প্রিন্ট ভিউ

গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ৫৬ নং আইন )

Grameen Bank Ordinance, 1983 (Ordinance No. XLVI of 1983) রহিতক্রমে উহা পুনঃ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু Grameen Bank Ordinance, 1983 রহিতক্রমে উক্ত বিষয়ে যুগোপযোগী আকারে পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১।(১) এই আইন গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,
 
 
(১) ‘‘ঋণ’’ অর্থে কোন ভূমিহীন ব্যক্তির পক্ষে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত নিশ্চয়তা বা দায়মুক্তি বা কোন ভূমিহীন ব্যক্তির পক্ষে ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত কোন দায়ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(২) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
(৩) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক;
 
 
(৪) ‘‘ পরিবার’’ অর্থে কোন ব্যক্তি এবং তাহার স্বামী বা স্ত্রী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই ও বোন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল সকলেই অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
 
 
(৫) ‘‘পল্লী এলাকা’’ অর্থ কোন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা সেনানিবাসের অন্তর্ভুক্ত নহে এইরূপ এলাকা;
 
 
(৬) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
(৭) ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O.No. 127 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংক;
 
 
(৮) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড;
 
 
(৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
(১০) ‘‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’’ অর্থ ধারা ১৪ এর অধীন নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক;
 
 
(১১) ‘‘ব্যাংক’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক; এবং
 
 
(১২) ‘‘ভূমিহীন ব্যক্তি’’ অর্থ এইরূপ কোন ব্যক্তি যিনি বা যাহার পরিবার পঞ্চাশ শতাংশের কম চাষযোগ্য জমির মালিক অথবা যিনি বা যাহার পরিবার এইরূপ স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তির মালিক যাহার মূল্য তিনি যে ইউনিয়নে সাধারণতঃ বসবাস করেন সেই ইউনিয়নের বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এক একর চাষযোগ্য জমির মূল্যের অধিক নহে।
আইনের প্রাধান্য ও অন্যান্য আইনের প্রযোজ্যতা
৩।(১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
 
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪নং আইন) এবং ব্যাংক কোম্পানী সংক্রান্ত আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের সুনির্দিষ্ট বিধানসমূহ এই ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করিতে পারিবে।
ব্যাংক স্থাপন
৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে ইতোমধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ (Ordinance No. XLVI of 1983) এর মাধ্যমে স্থাপিত গ্রামীণ ব্যাংক।
 
 
(২) ব্যাংক একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ব্যাংক ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
৫। (১) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।
 
 
(২) ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক আঞ্চলিক কার্যালয় ও ব্রাঞ্চ স্থাপন করিতে পারিবে।
অনুমোদিত মূলধন
৬। (১) ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হইবে ১ (এক) হাজার কোটি টাকা।
 
 
(২) অনুমোদিত মূলধন প্রতিটি ১০০ (একশত) টাকার ১০ (দশ) কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হইবে।
 
 
(৩) ব্যাংক ইহার অনুমোদিত মূলধন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সময় সময় বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
পরিশোধিত শেয়ার মূলধন
৭। (১) ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হইবে তিনশত কোটি টাকা যাহা নিম্নবর্ণিত হারে পরিশোধিত হইবে, যথা:
 
 
(ক) ২৫%, সরকার বা তদ্‌কর্তৃক পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত এইরূপ কোন সংস্থা বা সংগঠন;
 
 
(খ) ৭৫%, ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা (শেয়ার হোল্ডার)।
 
 
(২) সরকার, সময় সময়, ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বৃদ্ধি করিতে পারিবে, তবে উহা কোনভাবেই অনুমোদিত মূলধনের বেশী হইতে পারিবে না ।
 
 
(৩) ঋণ গ্রহীতা তাহার শেয়ার সম শ্রেণির অপর ঋণ গ্রহীতার নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবে।
নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধান
৮। (১) ব্যাংকের কার্যক্রম ও বিষয়াবলীর পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধান পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ব্যাংক উক্ত বোর্ডের মাধ্যমে উহা প্রয়োগ ও তত্ত্বাবধান সম্পাদন করিতে পারিবে।
 
 
(২) ব্যাংক উহার কার্যাদি সম্পাদনে জনস্বার্থের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
বোর্ড
৯। (১) নিম্নবর্ণিত পরিচালক সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ৩ (তিন) জন ব্যক্তি;
 
 
(খ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহীতা-শেয়ার হোল্ডারগণ কর্তৃক নির্বাচিত ৯ (নয়) জন ব্যক্তি।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকারবলে বোর্ডের পরিচালক হইবেন, কিন্তু তাহার কোন ভোটাধিকার থাকিবে না।
চেয়ারম্যান
১০। (১) বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন যিনি সরকার নিযুক্ত পরিচালকগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।
 
 
(২) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে সরকার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যতীত, তদকর্তৃক নিযুক্ত কোন পরিচালককে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
পরিচালকগণের কার্যকাল
১১। (১) নির্বাচিত পরিচালকগণের কার্যকাল হইবে প্রতি মেয়াদে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসর।
 
 
(২) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালকগণ তাহাদের নিজ নিজ পদে সরকারের সন্তুষ্টি অনুযায়ী প্রতি মেয়াদে সর্বোচ্চ তিন বৎসর বহাল থাকিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ব্যতীত অন্য কোন পরিচালক একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদের অধিক উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন না।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন পরিচালক একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদে পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিলে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যাংকের পরিচালক পদে পুনঃনির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।
সাময়িক শূন্যতা পূরণ
১২। নির্বাচিত পরিচালকের পদে সাময়িক শূন্যতা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হইবে এবং যে ব্যক্তি উক্তরূপ শূন্যতা পূরণের জন্য নির্বাচিত হইবেন, তিনি তাহার পূর্বসূরীর অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য দায়িত্বে বহাল থাকিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অনধিক ৩ (তিন) মাস মেয়াদের জন্য কোন শূন্যতা পূরণের প্রয়োজন হইবে না।
শূন্যতা, ইত্যাদির কারণে কার্যধারা অবৈধ না হওয়া
১৩। শুধু বোর্ডে কোন শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ক্রটি থাকার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
১৪। (১) ব্যাংকের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকিবেন যিনি
 
 
উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান অনুসারে বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত তিনজন প্রার্থীর প্যানেল হইতে বোর্ড কর্তৃক, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনক্রমে নিযুক্ত হইবেন।
 
 
(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই এর উদ্দেশ্য চেয়ারম্যান, বোর্ডের সহিত পরামর্শক্রমে অন্যূন ৩ (তিন) জন এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) জন সদস্য সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করিবেন।
 
 
(৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি ৩ (তিন) জন প্রার্থীর একটি প্যানেলের সুপারিশ করিবে এবং এইক্ষেত্রে গ্রামীণ অর্থনীতি, ফাইন্যান্স বা মাইক্রোফাইন্যান্স এর ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হইবে।
 
 
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যাংকের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য শর্তাধীনে অনধিক ৬০ (ষাট) বৎসর বয়স পর্যন্ত চাকুরীতে বহাল থাকিতে পরিবেন।
 
 
(৫) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে, বোর্ড কর্তৃক মনোনীত ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন কোন কর্মকর্তা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
পরিচালকগণের দায়িতব
১৫। চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অন্যান্য পরিচালকগণ বোর্ড কর্তৃক অর্পিত বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা প্রয়োগ, কার্য সম্পাদন ও দায়িত্ব পালন করিবেন।
পদত্যাগ
১৬। চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন পরিচালক সরকারের নিকট লিখিত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার অথবা, ক্ষেত্রমত, চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোন পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।
সভা
১৭। (১) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(২) চেয়ারম্যান এবং অপর ৩ (তিন) জন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হইলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অপর ২ (দুই) জন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে।
 
 
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যতীত বোর্ডের সভায় প্রত্যেক পরিচালকের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি নির্ণায়ক বা দ্বিতীয় ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(৫) যে বিষয়ে কোন পরিচালকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যক্তিগত স্বার্থ রহিয়াছে সেই বিষয়ে তিনি কোন ভোট প্রদান করিবেন না।
 
 
(৬) যদি কোন কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হইতে অসমর্থ হন, তাহা হইলে উপস্থিত পরিচালকগণ সভাপতিত্ব করিবার জন্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালকের মধ্য হইতে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করিতে পারিবেন।
কমিটি
১৮। বোর্ড উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করিলে এক বা একাধিক কমিটি গঠন এবং উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
ব্যাংকের কার্যাবলী
১৯। ব্যাংক ভূমিহীন ব্যক্তিগণকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ব্যবসা ব্যতীত গৃহায়নসহ সকল প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য, নির্ধারিত মেয়াদ এবং শর্ত সাপেক্ষে জামানতসহ বা ব্যতীত, নগদ বা বস্ত্তগত ঋণ প্রদান করিবে এবং উহা দ্বারা নিম্নবর্ণিত ব্যবসা সম্পাদন ও পরিচালনা করা যাইবে, যথা:-
 
 
(ক) জমা রাখার উদ্দেশ্যে;
 
 
(খ) ব্যাংকের সম্পদ বা অন্য কিছুর জামানতের বিপরীতে ব্যাংকের ব্যবসার উদ্দেশ্যে;
 
 
(গ) বন্ড এবং ডিবেঞ্চার ইস্যু এবং বিক্রয়;
 
 
(ঘ) ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ এবং অগ্রিম পরিশোধের নিশ্চয়তা স্বরূপ যে কোন প্রকার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের নিকট প্লেজ, বন্ধক, হাইপোথিকেশন বা এসাইনমেন্ট গ্রহণ;
 
 
(ঙ) ভূমিহীন ব্যক্তিগণের কল্যাণ ও অগ্রগতির জন্য কোন পল্লী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণ;
 
 
(চ) ভূমিহীন ব্যক্তিগণকে শিল্প এবং কৃষিভিত্তিক দ্রব্য, গবাদি পশু, যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি এবং শিল্পের কাঁচামাল ক্রয় ও মজুতকরণের জন্য ঋণের মাধ্যমে সরবরাহকরণ এবং এইরূপ পণ্য বা গবাদিপশু বিক্রয়ের জন্য কোন সংস্থার পক্ষে উহার প্রতিনিধি হিসাবে কার্য সম্পাদন;
 
 
(ছ) পল্লী এলাকায় অর্থনৈতিক কমকাণ্ডের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অনধিক দশ বৎসরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ;
 
 
(জ) ভূমিহীন ব্যক্তিগণকে সেবা প্রদানের জন্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থার শেয়ার ক্রয়;
 
 
(ঝ) সঞ্চয় সার্টিফিকেট, মালিকানা দলিল এবং অন্যান্য মুল্যবান বস্ত্ত জমা রাখা এবং এইরূপ যে কোন সিকিউরিটি বা সঞ্চয় সার্টিফিকেটের আসল, সুদ বা লভ্যাংশ সংগ্রহ;
 
 
(ঞ) দেশের মধ্যে অর্থ এবং সিকিউরিটি প্রদান, গ্রহণ, সংগ্রহ এবং প্রেরণ;
 
 
(ট) নিজ ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে আবাসিক অঙ্গনসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং হস্তান্তর;
 
 
(ঠ) ভূমিহীন ব্যক্তিগণের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন সম্পর্কিত জরিপ ও গবেষণা পরিচালনা, প্রকাশনা এবং পরিসংখ্যান সংরক্ষণ;
 
 
(ড) ভূমিহীন ব্যক্তিগণকে ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নির্ধারিত কুটির শিল্পে বিনিয়োগ সম্পর্কে পেশাগত পরামর্শ প্রদান;
 
 
(ঢ) ভূমিহীন ব্যক্তিগণকে নির্ধারিত কুটির শিল্পে এবং সেবা প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ প্রদান;
 
 
(ণ) ভূমিহীন ব্যক্তিগণের জন্য আয় সৃষ্টিকারী প্রকল্প গ্রহণ;
 
 
(ত) ঋণ গ্রহীতাগণকে সকল প্রকার বীমা সম্পর্কে সেবা প্রদান;
 
 
(থ) প্রচলিত বিধি-বিধান পালনক্রমে যে কোন প্রকার বা বৈশিষ্ট্যের মিউচুয়াল ফান্ড বা ইউনিট ট্রাস্ট গঠন, উন্নয়ন, জারিকরণ, সুসংগঠিতকরণ, ব্যবস্থাকরণ ও প্রশাসন এবং উক্তরূপ ফান্ড বা ট্রাস্টের শেয়ার, সার্টিফিকেট বা সিকিউরিটি অর্জন, অধিকারে রক্ষণ, বিক্রয়, প্রদান বা হস্তান্তরকরণ বা উহার লেনদেন;
 
 
(দ) ঋণ গ্রহীতাগণকে ব্যবস্থাপনা, বিপণন, কারিগরি এবং প্রশাসনিক উপদেশ প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সেবা লাভের জন্য সহায়তা প্রদান;
 
 
(ধ) যে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব খোলা অথবা উহার সহিত কোনরূপ এজেন্সী কার্যক্রমে জড়িত হওয়া এবং উহার প্রতিনিধি বা যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে দায়িত্ব পালন;
 
 
(ন) সরকারি সিকিউরিটিতে তহবিল বিনিয়োগ;
 
 
(প) ব্যাংকের দাবীর সম্পূর্ণ বা আংশিক পূরণকল্পে যে কোন ভাবে ব্যাংকের দখলে আসা সকল স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় বা বিক্রয় লব্ধ অর্থ আদায় এবং ঐ সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি যাহা ব্যাংকের নিকট জামানত বাবদ গচ্ছিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ অর্জন রক্ষণ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা; এবং
 
 
(ফ) ব্যাংকের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় আনুষংগিক বা সহায়ক হিসাবে সকল কার্য এবং বিষয়াদি সম্পাদন।
অননুমোদিত ব্যবসা পরিচালনায় বিধি নিষেধ
২০। ব্যাংক এই আইন দ্বারা বা ইহার অধীন অনুমোদিত ব্যবসা ব্যতিরেকে অন্য কোন ব্যবসা পরিচালনা বা তদসংক্রান্ত লেনদেন করিবে না।
বন্ড, ডিবেঞ্চার ইস্যু, ইত্যাদি
২১। (১) ব্যাংক সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, তদকর্তৃক অনুমোদিত হারে, সুদ সম্বলিত, বন্ড ও ডিবেঞ্চার ইস্যু ও বিক্রয় করিতে পারিবে।
 
 
(২) ব্যাংকের বন্ড ও ডিবেঞ্চার ইস্যু কালে সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্দিষ্টকৃত সুদের হার উক্ত বন্ড ও ডিবেঞ্চারের আসল ও প্রদানকৃত সুদ সম্পর্কে নিশ্চয়তা প্রদান করা হইবে।
হিসাব
২২। ব্যাংক বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্ত্তত করিবে এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্ত্ততকালে দেশে প্রচলিত বিধিবিধান ও হিসাবমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দেশিত হিসাবমান পরিপালন করিবে।
নিরীক্ষা
২৩। (১) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর মর্মানুযায়ী অন্যূন দুইটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতি বৎসর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত প্রত্যেক নিরীক্ষককে ব্যাংকের বার্ষিক স্থিতিপত্র ও অন্যান্য হিসাবের অনুলিপি প্রদান করা হইবে এবং তিনি তদ্‌সম্পর্কিত হিসাব ও ভাউচারসহ উহা পরীক্ষা করিবেন এবং ব্যাংক কর্তৃক রক্ষিত সকল বইয়ের একটি তালিকা তাহাকে প্রদান করা হইবে এবং তিনি যুক্তিসংগত সময়ে ব্যাংকের হিসাবের বহি ও দলিল-দস্তাবেজ পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং উক্ত হিসাব সম্পর্কে ব্যাংকের যে কোন পরিচালক বা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) নিরীক্ষকগণ বার্ষিক স্থিতিপত্র ও হিসাব সম্পর্কে বোর্ডের নিকট প্রতিবেদন প্রদান করিবেন এবং তাহারা তাহাদের রিপোর্টে উল্লেখ করিবেন যে, তাহাদের মতে স্থিতিপত্রে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য রহিয়াছে কিনা এবং উহা ব্যাংকের অস্থাবর সম্পত্তির সত্য ও সঠিক চিত্র তুলিয়া ধরিবার জন্য যথাযথভাবে প্রস্ত্তত করা হইয়াছে কিনা এবং যদি তাহারা ব্যাংকের নিকট কোন ব্যাখ্যা বা তথ্য চাহিয়া থাকেন তাহা হইলে উহা দেওয়া হইয়াছে কিনা এবং উহা সন্তোষজনক কিনা।
 
 
(৪) বোর্ড, যে কোন সময় শেয়ার হোল্ডারগণ এবং ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাবলীর পর্যাপ্ততা সম্পর্কে বা ব্যাংকের বিষয়াবলী নিরীক্ষা পদ্ধতির পর্যাপ্ততা সম্পর্কে উহার নিকট প্রতিবেদন প্রদানের জন্য নিরীক্ষকগণকে নির্দেশ, নিরীক্ষার পরিধি পরিবর্তন, নিরীক্ষার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য নির্দেশ প্রদান বা যদি ব্যাংকের স্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইলে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে নিরীক্ষকগণ কর্তৃক জিজ্ঞাসাবাদ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
রিটার্ন
২৪। (১) ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক রিটার্ন, প্রতিবেদন ও বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) ব্যাংক, প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, ধারা ২৩ এর অধীন নিরীক্ষকগণ কর্তৃক নিরীক্ষিত একটি হিসাব বিবরণীসহ উক্ত বৎসরের ব্যাংকের কার্যাবলীর বার্ষিক প্রতিবেদন সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(৩) সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের নিরীক্ষিত হিসাব এবং বাৎসরিক প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর
 
 
উপ-ধারা (২) এর অধীন সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে এবং জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করিবে।
সংরক্ষিত তহবিল
২৫। ব্যাংক একটি সংরক্ষিত তহবিল গঠন করিবে এবং উক্ত তহবিলে ব্যাংকের নীট বার্ষিক মুনাফা হইতে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ জমা হইবে।
মুনাফার ব্যবহার
২৬। ধারা ২৫ এর অধীন সংরক্ষিত তহবিলে জমাকৃত অর্থ বাদ দেওয়ার পর এবং কু-ঋণ ও সন্দেহজনক ঋণ, সম্পদের অবচয় এবং অন্যান্য ব্যাংক কর্তৃক রক্ষিত সঞ্চিতি বা সংস্থান রাখিবার পর ব্যাংকের অবশিষ্ট নীট বার্ষিক মুনাফা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হইবে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
২৭। ব্যাংক, উহার দায়িত্ব ও কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য যেইরূপ প্রয়োজনীয় মনে করিবে সেইরূপ সংখ্যক ব্যক্তিগণকে কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসাবে, প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তে নিয়োগ করিতে পারিবে।
ব্যাংকের পাওনা আদায়
২৮। (১) ব্যাংকের সকল বকেয়া পাওনা ভূমি রাজস্ব হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, দেনাদার বা উক্ত পাওনা পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোন ব্যক্তিকে
 
 
ব্যাংক কর্তৃক প্রথমে পনের দিনের নোটিশ প্রদান ব্যতীত এই ধরনের পাওনা উক্তরূপে আদায় করা যাইবে না।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নোটিশের মাধ্যমে দেনাদার বা পাওনা পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোন ব্যক্তিকে এই মর্মে অবহিত করিবে যে, তিনি উক্ত নোটিশে নির্ধারিত কিস্তিতে পাওনা পরিশোধ করিতে পারিবেন এবং কোন কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হইবার ক্ষেত্রে তাহার নিকট পাওনা সমুদয় অর্থ আদায়ের জন্য ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।
 
 
(৩) ব্যাংকের পাওনা আদায়ের উদ্দেশ্যে Public Demands Recovery Act, 1913 (Ben. Act. III of 1913) প্রয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত Act এর section 7, 9, 10 and 13 এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না এবং উক্ত Act এর section 6 এর অধীন জারীকৃত সার্টিফিকেটই চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হইবে যে, উহাতে বর্ণিত অর্থ ব্যাংকের পাওনা রহিয়াছে।
 
 
(৪) কেবল ব্যাংকের পাওনা আদায়ের উদ্দেশ্যে, ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার বা সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বিশেষ বা সাধারণ আদেশ দ্বারা তাহার কর্তৃত্বাধীন এলাকায় Public Demands Recovery Act, 1913 (Ben. Act. III of 1913) এর অধীন সার্টিফিকেট অফিসারের সকল ক্ষমতা প্রদান করা যাইবে।
ক্ষমতা অর্পণ
২৯। বোর্ড ব্যাংকের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিতকরণ এবং উহার দৈনন্দিন ব্যবসা পরিচালনা সুবিধাজনক করিবার উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা অন্য কোন পরিচালক বা ব্যাংকের কোন কর্মকর্তাকে শর্ত সাপেক্ষে উহার যে কোন দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে।
দণ্ড, ইত্যাদি
৩০। (১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রার্থিত বা মঞ্জুরীকৃত কোন ঋণ বা সুবিধার জন্য ব্যাংককে প্রদত্ত কোন মালিকানা দলিল বা অন্য কোন দলিলে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণ প্রদান করেন অথবা জ্ঞাতসারে কোন মিথ্যা বিবরণ প্রদান করিতে বা বহাল থাকিতে দেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর বিনাশ্রম কারাদণ্ড- অথবা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদ-- অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) যদি কোন ব্যক্তি ব্যাংকের লিখিত সম্মতি ব্যতীত কোন প্রসপেক্টাস বা বিজ্ঞাপনে ব্যাংকের নাম ব্যবহার করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক
 
 
১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(৩) যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংকের নিকট এমন কোন কিছু হস্তান্তর না করেন বা করিতে ব্যর্থ হন যাহা তিনি এই আইনের অধীন হস্তান্তর করিতে বাধ্য, তাহা হইলে তিনি অনধিক
 
 
১ (এক) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অপরাধের আমলযোগ্যতা
৩১। ব্যাংকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ আমলে গ্রহণ করিবে না।
আয়কর হইতে অব্যাহতি
৩২। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, Income-tax Ordinance, 1984 (Ord. XXXVI of 1984) এর অধীন যে মেয়াদ নির্ধারণ করিবে ব্যাংক সেই মেয়াদের জন্য উহার আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হইতে অব্যাহতি লাভ করিবে।
অবসায়ন
৩৩। কোম্পানি অবসায়ন সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট আইনের কোন বিধান ব্যাংকের উপর প্রযোজ্য হইবে না এবং সরকারের আদেশ ও নির্দেশিত পদ্ধতি ব্যতীত ব্যাংক অবসায়িত হইবে না।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৪। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৫। বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর ও ব্যাংকের বিষয়াবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে যে সকল বিষয়ে বিধান করা প্রয়োজন বা সমীচীন সেই সকল বিষয়ে, এই আইনের বিধানাবলী ও বিধিমালার সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
অসুবিধা দূরীকরণ
৩৬। এই আইনের কোন বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, লিখিত আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
৩৭। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সংগে সংগে Grameen Bank Ordinance, 1983 (Ordinance No. XLVI of 1983), রহিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, রহিতকৃত Ordinance এর অধীন কৃত কোন কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৩) ব্যাংক কর্তৃক দায়েরকৃত বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মামলা বা গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোন কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত বা গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে।
 
 
(৪) ব্যাংক কর্তৃক সম্পাদিত কোন চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে।
 
 
(৫) কোন চুক্তি বা চাকুরীর শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে শর্তাধীনে চাকুরীতে ছিলেন, তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে ব্যাংকের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs