প্রিন্ট ভিউ

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইন )

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যমান আইন রহিতক্রমে কতিপয় সংশোধনীসহ উহা পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন রহিতক্রমে উহা পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 
 
 
 

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন প্রণয়ন করা হইলঃ-

 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।
 
*এস, আর, ও নং ৩৫৭-আইন/২০১৫, তারিখ: ০১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ইং দ্বারা ১৭ আষাঢ়, ১৪২১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০১ জুলাই, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,—
 
(ক) “অনুসন্ধান কমিটি” অর্থ ধারা ১২ এর অধীন গঠিত কোন কমিটি;
 
(খ) “অপরাধ” অর্থ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ;
 
(গ) “অনুসন্ধান” অর্থে পরিবেশ আদালত আইন বা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন পরিচালিত অপরাধের অনুসন্ধান বা তদন্ত উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
 
1[ ***]
 
 
2[ (ঙ) ‘‘ইট’’ অর্থ বালি, মাটি বা অন্য কোনো উপকরণ দ্বারা ইটভাটায় পোড়াইয়া প্রস্তুতকৃত কোনো নির্মাণ সামগ্রী;]
 
(চ) “ইট প্রস্তুত” অর্থ এমন কোন প্রক্রিয়া যাহার মাধ্যমে ইটভাটায় কায়িক বা যান্ত্রিক বা উভয় উপায়ে ইটের মাটি সংগ্রহ হইতে শুরু করিয়া কাঁচা ইট তৈরি ও পোড়ানো হয়;
 
3[ (ছ) ‘‘ইটভাটা’’ অর্থ উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং বায়ুদূষণকে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুসারে নির্ধারিত মান মাত্রায় রাখিতে সক্ষম এমন কোনো স্থান বা অবকাঠামো যেখানে ইট প্রস্তুত করা হয়;]
 
 
(জ) “ইটভাটা স্থাপন” অর্থ এমন কোন কর্মকাণ্ড যাহার মাধ্যমে ইট প্রস্তুতের জন্য স্থান নির্বাচন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়, তবে ইট প্রস্তুতকরণ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
 
(ঝ) “কৃষি জমি” অর্থ এমন কোন জমি যাহা বৎসরে একাধিকবার কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়;
 
(ঞ) “ছাড়পত্র” অর্থ এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির অধীন ইস্যুকৃত কোন ছাড়পত্র;
 
4[ (ঞঞ) ‘‘ছিদ্রযুক্ত ইট (hollow brick)’’ অর্থ যে সকল ইটে প্রযুক্তি ব্যবহারক্রমে একাধিক ছিদ্র (hole) রাখা হয়;]
 
(ট) “জ্বালানি” অর্থ ইটভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য ব্যবহার্য কঠিন, তরল বা বায়বীয় কোন পদার্থ;
 
(ঠ) “জ্বালানি কাঠ” অর্থ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার্য যে কোন কাঠ, এবং বাশেঁর মোথা বা খেঁজুর গাছও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
5[ (ঠঠ) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল;]
 
(ড) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি বা আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;
 
(ঢ) “নিষিদ্ধ এলাকা” অর্থ ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন এলাকা;
 
(ণ) “পরিবেশ আদালত আইন” অর্থ পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫৬ নং আইন);
 
(ত) “পরিবেশ সংরক্ষণ আইন” অর্থ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন);
 
(থ) “পাহাড়” বা “টিলা” অর্থ এমন কোন ভূমি যাহা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি হইতে উঁচু, এবং যাহা মাটি, পাথর, মাটি ও পাথর, মাটি ও কাঁকড়, বা অনুরূপ কোন কঠিন পদার্থ সমন্বয়ে গঠিত, এবং যাহা সরকারি রেকর্ডপত্রে পাহাড় বা টিলা হিসাবে চিহ্নিত;
 
(দ) “ফৌজদারি কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
 
(ধ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি;
 
(ন) “ব্যক্তি” অর্থে, নিগমিত হউক বা না হউক, কোন কোম্পানী, সমিতি বা ব্যক্তি সমষ্টি বা অংশীদারি কারবার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
6[ (নন) ‘‘ব্লক’’ অর্থ বালি, সিমেন্ট, ফ্লাই অ্যাশ বা মাটি ব্যতীত অন্য কোনো উপাদান, না পোড়াইয়া তদ্দ্বারা প্রস্তুতকৃত কোনো নির্মাণ সামগ্রী;]
 
7[ ***]
 
(ফ) “মোবাইল কোর্ট আইন” অর্থ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন); এবং
 
(ব) “লাইসেন্স” অর্থ এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত কোন লাইসেন্স।
এই আইনের প্রাধান্য
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর থাকিবে।
লাইসেন্স ব্যতীত ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ।
8[ ৪। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে, কোনো ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত করিতে পারিবে না :
 
তবে শর্ত থাকে যে, ব্লক প্রস্তুত করিবার ক্ষেত্রে এইরূপ লাইসেন্স এর প্রয়োজন হইবে না।]
ইটভাটা ব্যতীত ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ
9[ ৪ক। ইট প্রস্তুতের জন্য এই আইনে সংজ্ঞায়িত ইটভাটা ব্যতীত অন্য কোনোরূপ ইটভাটা পরিচালনা কিংবা চালু করা যাইবে না।]
মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ
৫। (১) আপাতত বলবৎ অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হইতে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করিয়া ইটের কাঁচামাল হিসাবে উহা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।
 
10[ (২) জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে মজা পুকুর বা খাল বা বিল বা খাঁড়ি বা দিঘি বা নদ-নদী বা হাওর-বাওড় বা চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা হইতে মাটি কাটিতে বা সংগ্রহ করিতে পারিবেন:
 
তবে শর্ত থাকে যে, ইটভাটার লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত ইটভাটার মালিক কর্তৃক ইট প্রস্তুতের মাটির উৎস উল্লেখপূর্বক হলফনামা দাখিল করিতে হইবে।]
 
 
11[ (৩) ইটের কাঁচামাল হিসাবে মাটির ব্যবহার হ্রাস করিবার উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইটভাটায় উৎপাদিত ইটের একটি নির্দিষ্ট হারে ছিদ্রযুক্ত ইট (hollow brick) ও ব্লক প্রস্তুতের জন্য নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।]
 
12[ (৩ক) মাটির ব্যবহার হ্রাস করিবার উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইটের বিকল্প হিসাবে ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করিতে পারিবে।]
 
13[ ***]
ইটভাটা স্থাপনের জায়গার পরিমাণ ও সংখ্যা নির্ধারণ
14[ ৫ক। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রস্তাবিত প্রযুক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে ইটভাটার জায়গার পরিমাণ ও কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের সংখ্যা নির্ধারণ করিতে পারিবে।]
জ্বালানী কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ
৬। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসাবে কোন জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করিতে পারিবেন না।
কয়লার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ
 
৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা জ্বালানি হিসাবে 15[ আমদানি করিয়া] ব্যবহার করিতে পারিবেন না।
বর্জ্য নির্গমন ও গ্যাসীয় নিঃসরণের মানমাত্রা
16[ ৭ক। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইটভাটা হইতে গ্যাসীয় নিঃসরণ ও তরল বর্জ্যের নির্গমন মাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এ উল্লিখিত মানমাত্রার মধ্যে থাকিতে হইবে।]
কতিপয় স্থানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ
 
৮। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ছাড়পত্র থাকুক বা না থাকুক, এই আইন কার্যকর হইবার পর নিম্নবর্ণিত এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে কোন ব্যক্তি কোন ইটভাটা স্থাপন করিতে পারিবেন না, যথাঃ-
 
(ক) আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যেক এলাকা;
 
(খ) সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর;
 
(গ) সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি;
 
(ঘ) কৃষি জমি;
 
(ঙ) প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা;
 
(চ) ডিগ্রেডেড এয়ার শেড (Degraded Air Shed)।
 
(২) এই আইন কার্যকর হইবার পর, নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কোন আইনের অধীন কোনরূপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স, যে নামেই অভিহিত হউক, প্রদান করিতে পারিবে না।
 
(৩) 17[ ***] কোন ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত দূরত্বে বা স্থানে ইটভাটা স্থাপন করিতে পারিবেন না, যথাঃ—
 
(ক) নিষিদ্ধ এলাকার সীমারেখা হইতে ন্যূনতম ১ (এক) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে;
 
(খ) 18[ ***] সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা হইতে ২ (দুই) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে;
 
(গ) কোন পাহাড় বা টিলার উপরিভাগে বা ঢালে বা তৎসংলগ্ন সমতলে কোন ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে উক্ত পাহাড় বা টিলার পাদদেশ হইতে কমপক্ষে ১/২(অর্ধ) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে;
 
(ঘ) পার্বত্য জেলায় ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে, পার্বত্য জেলার পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থানে;
 
(ঙ) বিশেষ কোন স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বা অনুরূপ কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠান হইতে কমপক্ষে ১ (এক) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে 19[ :]
 
20[ ***]
 
21[ তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন প্রবর্তনের পুর্বে বিদ্যমান ইটভাটার বায়ু দূষণের মাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুসারে এলাকাভিত্তিক নির্ধারিত মান মাত্রায় থাকিলে এবং ইহার কর্মপরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ইটভাটাকে ধারা ৮(১) (ঙ) এবং ৮(৩) (খ), (গ) ও (ঘ) ব্যতীত অন্যান্য শর্তাবলি শিথিল করিতে পারিবে।]
 
 
22[ ***]
 
(৪) এই ধারা কার্যকর হইবার পূর্বে, ছাড়পত্র গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি যদি নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার মধ্যে বা উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত দূরত্বের মধ্যে বা স্থানে ইটভাটা স্থাপন করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি, এই আইন কার্যকর হইবার ২ (দুই) বৎসর সময়সীমার মধ্যে, উক্ত ইটভাটা, এই আইনের বিধানাবলি অনুসারে, যথাস্থানে স্থানান্তর করিবেন, অন্যথায় তাহার লাইসেন্স বাতিল হইয়া যাইবে।
 
ব্যাখ্যাঃ এই ধারায়,-
 
(ক) “আবাসিক এলাকা” অর্থ এমন কোন এলাকা যেখানে কমপক্ষে ৫০ (পঞ্চাশ) টি পরিবার বসবাস করে;
 
(খ) “জলাভূমি” অর্থ কোন ভূমি যাহা বৎসরের ৬ (ছয়) মাস বা তদূর্ধ্ব সময় পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে 23[ ***];
 
(গ) “প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা” অর্থ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত কোন এলাকা;
 
(ঘ) “বাগান” অর্থ এমন কোন স্থান যেখানে হেক্টর প্রতি কমপক্ষে ১০০ (একশত) টি ফলদ বা বনজ বা উভয় প্রকারের বৃক্ষ রহিয়াছে, এবং চা বাগানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; 24[ ***]
 
(ঙ) “ব্যক্তিমালিকানাধীন বন” অর্থ এমন কোন বন যাহা বন অধিদপ্তর কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানাধীন বন হিসাবে স্বীকৃত এবং যাহার গাছপালার আচ্ছাদন (crown cover) বনের কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) ভাগ এলাকায় বিস্তৃত থাকে, এবং সামাজিক বন বা গ্রামীণ বনও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে 25[ ;]
 
26[ (চ) ‘‘অভয়ারণ্য’’ অর্থ বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ এর ধারা ১৩ তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষিত এলাকা;
 
(ছ) ‘‘ডিগ্রেডেড এয়ার শেড’’ অর্থ একই বায়ু প্রবাহের অন্তর্গত একটি এলাকা যাহার বায়ুর গুণগতমান দূষণের কারণে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এর অধীন নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করিয়াছে; এবং
 
(জ) ‘‘সরকারি বন’’ অর্থ দফা (ঙ) তে উল্লিখিত বন ব্যতীত অন্য কোনো বন।]
ইট রপ্তানিতে বিধি-নিষেধ
27[ ৮ক। Imports and Exports (Control) Act, 1950 (Act No. XXXIX of 1950) এর অধীন সময় সময় জারিকৃত রপ্তানি নীতি আদেশ অনুসরণ ব্যতীত ইট রপ্তানি করা যাইবে না।]
লাইসেন্স ইস্যুকরণ, উহার মেয়াদ ও নবায়ন
৯। (১) যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্ত ও 28[ তপশিলের ফরম-ক-তে] , এবং নির্ধারিত দরখাস্ত-ফি, দলিলাদি ও তথ্যাদি প্রদান সাপেক্ষে, ইট প্রস্তুতকরণের লাইসেন্সের জন্য ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত দাখিল করিতে পারিবেনঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীন ইস্যুকৃত পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতীত, কোন ব্যক্তি উক্তরূপ দরখাস্ত দাখিল করিতে পারিবেন না।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্ত প্রাপ্তির পর, উক্ত দরখাস্তের তথ্যাদি ও দাখিলকৃত দলিলাদির সত্যতা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক 29[ ***] দরখাস্তটি অনুসন্ধান কমিটির নিকট প্রেরণপূর্বক উহার সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করিয়া সে বিষয়ে, নির্দেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, তাহার নিকট সুপারিশ প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
(৩) লাইসেন্সের দরখাস্তের তথ্যাদি ও দাখিলকৃত দলিলাদির সত্যতা সম্পর্কে, জেলা প্রশাসক 30[ ***] অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হইলে তিনি, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, দরখাস্তটি মঞ্জুর করিয়া দরখাস্তকারীর নিকট হইতে নির্ধারিত লাইসেন্স ফি আদায়পূর্বক নির্ধারিত 31[ পদ্ধতি, শর্ত ও তপশিলের ফরম-খ-তে] দরখাস্তকারীর অনুকূলে ইট প্রস্তুতকরণের জন্য লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবেন।
 
(৪) লাইসেন্সের দরখাস্তের তথ্যাদি ও দাখিলকৃত দলিলাদির সত্যতা সম্পর্কে, জেলা প্রশাসক 32[ ***]অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হইতে না পারিলে, তিনি উক্ত দরখাস্ত না-মঞ্জুর করিতে পারিবেন:
 
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত পদ্ধতি, সময় ও স্থানে দরখাস্তকারীকে যথাযথ শুনানির সুযোগ প্রদান ব্যতিরেকে জেলা প্রশাসক লাইসেন্সের দরখাস্ত না-মঞ্জুর করিতে পারিবেন না।
 
(৫) প্রতিটি লাইসেন্সের মেয়াদ হইবে উহা ইস্যুকরণের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর।
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত লাইসেন্সের মেয়াদ সমাপ্ত হইবার কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে লাইসেন্সি উহা নবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্ত ও ফরমে এবং নির্ধারিত দরখাস্ত-ফি, দলিলাদি ও তথ্যাদি প্রদান সাপেক্ষে, দরখাস্ত দাখিল করিবেন।
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন নবায়নের দরখাস্ত প্রাপ্তির পর, উক্ত দরখাস্তের তথ্যাদি ও দাখিলকৃত দলিলাদির সত্যতা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক 33[ ***] দরখাস্তটি অনুসন্ধান কমিটির নিকট প্রেরণপূর্বক উহার সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করিয়া সে বিষয়ে, নির্দেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, তাহার নিকট সুপারিশ প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
(৮) নবায়ন দরখাস্তের তথ্যাদি ও দাখিলকৃত দলিলাদির সত্যতা সম্পর্কে, জেলা প্রশাসক 34[ ***] অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হইলে তিনি, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, দরখাস্তটি মঞ্জুর করিবেন এবং দরখাস্তকারীর নিকট হইতে নির্ধারিত নবায়ন-ফি আদায়পূর্বক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে দরখাস্তকারীর লাইসেন্স নবায়ন করিতে পারিবেন।
 
(৯) নবায়ন দরখাস্তের তথ্যাদি ও দাখিলকৃত দলিলাদির সত্যতা সম্পর্কে, 35[ ***] অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট হইতে না পারিলে তিনি উক্ত দরখাস্ত না-মঞ্জুর করিতে পারিবেনঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত পদ্ধতি, সময় ও স্থানে দরখাস্তকারীকে যথাযথ শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া জেলা প্রশাসক লাইসেন্স নবায়নের দরখাস্ত না-মঞ্জুর করিতে পারিবেন না।
দরখাস্ত না-মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আপিল
১০। (১) ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন লাইসেন্সের দরখাস্ত বা উপ-ধারা (৯) এর অধীন লাইসেন্স নবায়নের দরখাস্ত না-মঞ্জুর করা হইলে, উহার বিরুদ্ধে লাইসেন্সি, না-মঞ্জুর আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং নির্ধারিত ফি, দলিলাদি ও তথ্যাদি প্রদান সাপেক্ষে, আপিল দায়ের করিতে পারিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যুক্তিসংগত কারণে উক্ত সময়সীমার মধ্যে আপিলকারী আপিল দায়ের করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি অতিরিক্ত ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে, বিলম্বের কারণ উল্লেখপূর্বক, আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।
 
 
(২) কোন আপিল দায়ের করা হইলে বিভাগীয় কমিশনার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট হইতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নথি বা তথ্যাদি তলব করিতে পারিবেন এবং আপিলকারীকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া ৯০ (নব্বই) কার্যদিবসের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আপিলটি নিষ্পত্তি করিয়া সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিলকরণ
36[ ১১। জেলা প্রশাসক নিম্নবর্ণিত কারণে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যক্তির লাইসেন্সের কার্যকারিতা অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের জন্য স্থগিত করিয়া ইটভাটার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখিবার ও অভিযুক্ত ইটভাটার মালিককে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে যথাযথ শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া লাইসেন্স বাতিল বা ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করিবার জন্য আদেশ জারি করিতে পারিবেন, যথা: -
 
(ক) লাইসেন্সের কোনো শর্ত লঙ্ঘন;
 
(খ) এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ সংঘটন; বা
 
(গ) স্থাপিত ইটভাটার কারণে তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন।]
অনুসন্ধান কমিটি ও উহার কার্যপরিধি
১২।(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিটি জেলায় নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি নামে একটি কমিটি থাকিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, যিনি উহার আহবায়ক হইবেন;
 
 
(খ) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা;
 
 
(গ) সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা;
 
 
(ঘ) সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা;
 
 
(ঙ) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোন বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার পদের নিম্নে নহেন);
 
 
(চ) পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় বা জেলা কার্যালয় কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তা, যিনি উহার সদস্য-সচিব হইবেন।
 
 
(২) অনুসন্ধান কমিটির কার্যপরিধি হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
 
(ক) নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অনুসন্ধান করিয়া লাইসেন্স প্রদান বা নবায়নের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট সুপারিশ প্রদান;
 
 
(খ) লাইসেন্সের শর্তাবলি লঙ্ঘনের বা এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটনের সত্যতা নিরূপনের জন্য অনুসন্ধান পরিচালনা করা;
 
 
(গ) ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুতকরণের বিষয়ে জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে, সময় সময়, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করিয়া জেলা প্রশাসকের নিকট উপস্থাপন করা; এবং
 
 
(ঘ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জেলা প্রশাসক কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন কার্য।
 
 
(৩) অনুসন্ধান কমিটি উহার সভার কার্য-পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে, এবং আহবায়ক কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৪) অনুসন্ধান কমিটি বা উহার যে কোন সদস্য যে কোন ইটভাটায় প্রবেশ বা যে কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ বা যে কোন দলিলাদি তলব করিতে পারিবে।
পরিদর্শন
১৩। (১) লাইসেন্সের কোন শর্ত লঙ্ঘন বা প্রতিপালন করা হইতেছে কিনা, বা এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে কিনা উহা তদারকির জন্য জেলা প্রশাসক স্বয়ং বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট জেলার কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোন বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার পদের নিম্নে নহে), অতঃপর ‘পরিদর্শনকারী’ বলিয়া উল্লিখিত, যে কোন সময় বিনা নোটিশে যে কোন ইটভাটায় প্রবেশ ও ভাটা পরিদর্শন, যে কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ বা যে কোন দলিলাদি তলব, করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকালে পরিবর্শনকারীর নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে, তাহা হইলে তিনি অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দ্রব্যাদি যেমনঃ ইট, মাটি, জ্বালানি কাঠ, কয়লা, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, মালামাল, কাগজপত্র, ইত্যাদি ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লিখিত পদ্ধতিতে, জব্দ করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন দ্রব্যাদি জব্দ করা হইলে, পরিদর্শনকারী উক্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে, একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, জেলা প্রশাসক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উক্ত প্রতিবেদনের যথার্থতা ও সঠিকতা সম্পর্কে নিজে পরীক্ষা করিতে পারিবেন বা প্রতিবেদনটি অনুসন্ধান কমিটির নিকট প্রেরণপূর্বক উহার যথার্থতা ও সঠিকতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাহার নিকট সুপারিশ প্রেরণের জন্য অনুসন্ধান কমিটিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(৫) অনুসন্ধান কমিটি উক্ত বিষয়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অনুসন্ধানপূর্বক সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন উক্ত জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করিবে।
 
 
(৬) জেলা প্রশাসক, নিজের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বা উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে,-
 
 
(ক) পরিদর্শনকারী কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের আবশ্যকতা নাই, তাহা হইলে তিনি নথিতে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া জব্দকৃত দ্রব্যাদি লাইসেন্সির অনুকূলে অবমুক্ত করিবেন; বা
 
 
(খ) পরিদর্শনকারী কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের আবশ্যকতা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি জব্দকৃত দ্রব্যাদি অবমুক্ত না করিয়া এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে মামলা দায়েরের জন্য পরিদর্শনকারীকে নির্দেশ প্রদান করিবেন।
ধারা ৪ ও ৪ক লঙ্ঘনের দণ্ড
37[ ১৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪ বা ৪ক লঙ্ঘন করিয়া কোনো ইট প্রস্তুত বা ইটভাটা স্থাপন, পরিচালনা বা চালু রাখেন তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।]
ধারা ৫ লঙ্ঘনের দণ্ড
১৫। (১) যদি কোন ব্যক্তি, ধারা ৫ এর-
 
(ক) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া, ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হইতে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করিয়া ইটের কাঁচামাল হিসাবে উহা ব্যবহার করেন; বা
 
(খ) উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া, 38[ জেলা প্রশাসকের] অনুমোদন ব্যতীত ইট প্রস্তুতের উদ্দেশ্যে মজা পুকুর বা খাল বা বিল বা খাঁড়ি বা দিঘি বা নদ-নদী বা হাওর-বাওর বা চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা হইতে মাটি কাটেন বা সংগ্রহ করেন;
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক 39[ ৫ (পাঁচ) লক্ষ] টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
40[ (২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে ছিদ্রযুক্ত ইট (hollow brick) ও ব্লক প্রস্তুত না করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।]
ধারা ৬ লঙ্ঘনের দণ্ড
১৬। যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৬ বিধান লঙ্ঘন করিয়া ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ধারা ৭ লংঘনের দণ্ড
 
১৭। যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৭ বিধান লঙ্ঘন করিয়া ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসাবে নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা ব্যবহার করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক 41[ ১ (এক) লক্ষ] টাকা অর্থদণ্ড দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ধারা ৭ক লঙ্ঘনের দণ্ড
42[ ১৭ক। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৭ক এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া ইটভাটা হইতে নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত গ্যাসীয় নিঃসরণ ও তরল বর্জ্যের নির্গমন করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।]
ধারা ৮ লংঘনের দণ্ড
১৮। (১) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিয়া নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৩) এর শর্তাবলি লংঘন করিয়া ইটভাটা স্থাপন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বিচারিক আদালত, অপরাধ আমলে গ্রহণ, বিচার, ইত্যাদি
১৯। (১) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোবাইল কোর্ট আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ভ্রাম্যমাণ আদালত এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ আমলে গ্রহণ করিয়া তাৎক্ষণিক বিচারের মাধ্যমে দণ্ডারোপ করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, পরিবেশ আদালত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত পরিবেশ আদালত বা স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালত এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ আমলে গ্রহণ ও উহার বিচার করিতে পারিবে না।
 
 
(৩) এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য সকল অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হইবে।
 
 
ব্যাখ্যা: এই ধারায় “ভ্রাম্যমাণ আদালত” অর্থ মোবাইল কোর্ট আইনের ধারা ৪ এ উল্লিখিত মোবাইল কোর্ট।
বাজেয়াপ্তি
২০। বিচারে অপরাদ প্রমাণিত হইলে, আদালত উক্ত অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত দ্রব্যাদি যেমন: ইট, মাটি, জ্বালানি কাঠ, কয়লা, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, মালামাল ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করিয়া আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
মোবাইল কোর্ট আইন, পরিবেশ আদালত আইন, ও ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ
২১। এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ দায়ের, আমলে গ্রহণ, সমন বা ওয়ারেন্ট ইস্যুকরণ, জামিন প্রদান তদন্ত, বিচার, দণ্ডারোপ, বাজেয়াপ্তি, আপীল, ইত্যাদি বিষয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, পরিবেশ আদালত আইন, বা ক্ষেত্রমত, ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।
কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২২। অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানি হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা উক্ত অপরাধের জন্য যৌথ ও পৃথকভাবে দায়ী হইবেন, যদি না তিনি বা তাহারা প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন তাহার বা তাহাদের অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উহা রোধ করিবার জন্য তিনি বা তাহারা যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
 
 
ব্যাখ্যা: এই ধারায়-
 
 
(ক) “কোম্পানি” অর্থ কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা নিগমিত হউক বা না হউক, কোন কোম্পানি, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা সংগঠন; ও
 
 
(খ) “পরিচালক” অর্থ, কোম্পানির ক্ষেত্রে, উহার পরিচালনা বোর্ডের কোন সদস্য, এবং অংশীদারি কারবারের ক্ষেত্রে, উহার কোন অংশীদার।
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
২৩। এই আইনের অধীন কোন কার্য সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর বিধান সাপেক্ষে, তথ্য প্রযু্ক্তি ব্যবহার করা যাইবে।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ
২৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) বাংলা ও ইংরেজিতে পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
২৬।(১) এই আইন কার্যকর হইবার সংগে সংগে, ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৮৯ (১৯৮৯ সনের ৮ নং আইন), অতঃপর রহিত আইন বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও-
 
 
(ক) রহিত আইনের অধীন কৃত সকল কার্য বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(খ) রহিত আইনের অধীন দাখিলকৃত কোন দরখাস্ত বিবেচনাধীন থাকিলে উহা, যথাসম্ভব, এই আইনের বিধানাবলি অনুসরণে নিষ্পত্তি করিতে হইবে; এবং
 
 
(গ) রহিত আইনের অধীন গৃহীত কোন কার্যধারা বা মামলা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্বেও, রহিত আইনের অধীন প্রদত্ত কোন লাইসেন্সের মেয়াদ বহাল থাকিলে উহা এমনভাবে কার্যকর থাকিবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই, এবং মেয়াদ সমাপ্ত হইবার কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে এই আইনের বিধানাবলি অনুসরণে লাইসেন্স নবায়ন করিতে হইবে।

  • 1
    দফা (ঘ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 2
    দফা (ঙ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    দফা (ছ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    দফা (ঞঞ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ঘ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 5
    দফা (ঠঠ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ঙ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 6
    দফা (নন) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ২(চ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 7
    দফা (প) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ছ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 8
    ধারা ৪ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    ধারা ৪ক ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 10
    উপ-ধারা (২) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৫ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 11
    উপ-ধারা (৩) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৫ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 12
    উপ-ধারা (৩ক) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৫ (গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 13
    উপ-ধারা (৪) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৫ (ঘ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 14
    ধারা ৫ক ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 15
    “আমদানি করিয়া” শব্দগুলি “হিসাবে” শব্দটির পর ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 16
    ধারা ৭ক ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 17
    “পরিবেশ অধিদপ্তর হইতে ছাড়পত্র গ্রহণকারী” শব্দগুলি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(ক) (অ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 18
    “বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত,” শব্দগুলি ও কমা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(ক) (আ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 19
    কোলন (:) সেমিকোলনের (;) পরিবর্তে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(ক) (ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 20
    “এবং” শব্দটি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(ক) (ই) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 21
    শর্তাংশ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(ক) (ই) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 22
    দফা (চ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(ক) (ঈ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 23
    ‘‘এবং যাহা প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত’’ শব্দগুলি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(খ) (অ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 24
    “এবং” শব্দটি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(খ) (আ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 25
    সেমিকোলন (;) দাঁড়ির (।) পরিবর্তে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(খ) (আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 26
    দফা (চ), (ছ) ও (জ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(খ) (আ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 27
    ধারা ৮ক ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 28
    “তপশিলের ফরম-ক-তে” শব্দগুলি “ফরমে” শব্দটির পরিবর্তে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 29
    ‘‘নিজে পর্যালোচনা করিবেন বা’’ শব্দগুলি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 30
    ‘‘নিজের পর্যালোচনার ভিত্তিতে বা’’ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 31
    ‘‘পদ্ধতি, শর্ত ও তপশিলের ফরম-খ-তে’’ শব্দগুলি ‘‘পদ্ধতি, ফরম ও শর্তে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 32
    “নিজের পর্যালোচনার ভিত্তিতে বা” ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(ঘ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 33
    ‘‘নিজে পর্যালোচনা করিতে পারিবেন, বা’’ শব্দগুলি ও কমা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(ঙ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 34
    ‘‘নিজের পর্যালোচনার ভিত্তিতে বা’’ শব্দগুলি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(চ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 35
    ‘‘নিজের পর্যালোচনার ভিত্তিতে বা’’ শব্দগুলি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(ছ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 36
    ধারা ১১ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 37
    ধারা ১৪ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 38
    ‘‘জেলা প্রশাসকের’’ শব্দগুলি ‘‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১৪(ক)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 39
    ‘‘৫ (পাঁচ) লক্ষ’’ শব্দ, সংখ্যা ও চিহ্ন ‘‘২ (দুই) লক্ষ’’ শব্দ, সংখ্যা ও চিহ্নের পরিবর্তে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১৪(ক)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 40
    উপ-ধারা (২) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১৪(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 41
    ‘‘১ (এক) লক্ষ’’ শব্দগুলি, সংখ্যা ও চিহ্ন ‘‘৫০ (পঞ্চাশ) হাজার’’ শব্দগুলি, সংখ্যা ও চিহ্নের পরিবর্তে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 42
    ধারা ১৭ক ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs