প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪

( ২০১৪ সনের ৬ নং আইন )

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কল্যাণ সাধনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কল্যাণ সাধনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপন এবং এতদ্‌সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
(১) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
(২) ‘‘ট্রাস্ট’’ অর্থ এই আইনের অধীন স্থাপিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট;
 
 
(৩) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ট্রাস্টের তহবিল;
 
 
(৪) ‘‘পরিবার’’ অর্থ সাংবাদিকের স্ত্রী বা স্বামী, সন্তান এবং তাহার সঙ্গে একত্রে বসবাসরত ও তাহার উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল পিতা, মাতা, নাবালক ভাই এবং অবিবাহিতা, তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা বোন, প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিবন্ধী ভাই ও বোন এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ক্ষেত্রে দত্তক পুত্র;
 
 
(৫) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
(৬) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
(৭) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড;
 
 
(৮) ‘‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’’ অর্থ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ধারা ১০ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকরূপে দায়িত্বপালনরত ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(৯) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের সদস্য;
 
 
(১০) ‘‘সাংবাদিক’’ অর্থ কোন ব্যক্তি যিনি একজন সার্বক্ষণিক সাংবাদিক এবং যিনি প্রিন্ট অথবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন এবং কোন সম্পাদক, সম্পাদকীয় লেখক, সংবাদ সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, কপি টেস্টার, কার্টুনিস্ট, সংবাদ চিত্রগ্রাহক, ক্যালিগ্রাফিস্ট এবং প্রুফ রিডারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
ট্রাস্ট স্থাপন
৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপন করিবে।
 
 
(২) ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
ট্রাস্টের কার্যালয়
৪। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে শাখা স্থাপন করিতে পারিবে।
সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন
৫। ট্রাস্টের পরিচালনা ও প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ট্রাস্ট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
ট্রাস্টি বোর্ড গঠন
৬। (১) ট্রাস্টি বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
(খ) সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়, যিনি উহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
(গ) প্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদপ্তর;
 
 
(ঘ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক মনোনীত মহাপরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(ঙ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(চ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট;
 
 
(ছ) যুগ্ম-সচিব (প্রেস), তথ্য মন্ত্রণালয়;
 
 
(জ) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্তৃক মনোনীত উহার ২ (দুই) জন প্রতিনিধি;
 
 
(ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন সাংবাদিক;
 
 
(ঞ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (জ) এবং (ঝ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার, কোন মনোনীত সদস্যকে কোনরূপ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে :
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উক্তরূপ কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) শুধুমাত্র সদস্যপদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
ট্রাস্টের কার্যাবলী
৭। ট্রাস্টের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
 
(ক) দুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের কল্যাণ সাধন;
 
 
(খ) ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্ত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
(গ) পেশাগত কাজ করিতে অক্ষম ও অসমর্থ সাংবাদিককে আর্থিক সাহায্য প্রদান;
 
 
(ঘ) অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা বা আর্থিক সাহায্য প্রদান;
 
 
(ঙ) সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা;
 
 
(চ) সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য এককালীন মঞ্জুরী, বৃত্তি কিংবা স্টাইপেন্ড প্রদান;
 
 
(ছ) দুর্ঘটনায় বা দায়িত্বপালনকালে কোন সাংবাদিক গুরুতর আহত হইলে তাহাকে বা তাহার মৃত্যু ঘটিলে তাহার পরিবারকে সাহায্য প্রদান;
 
 
(জ) ট্রাস্টের তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিয়োগ; এবং
 
 
(ঝ) অবসরপ্রাপ্ত প্রথিতযশা দুস্থ সাংবাদিক অথবা প্রথিতযশা প্রয়াত সাংবাদিকদের অসচ্ছল পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও তাহাদের কল্যাণ সাধন; এবং
 
 
(ঞ) উপর্যুক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য যে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অন্য যে কোন কার্য করা।
বোর্ডের সভা
৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) বোর্ডের সভা, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি তিন মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
 
 
(৫) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
ট্রাস্টের তহবিল
৯। (১) ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহা নিম্নরূপ দুইটি অংশে বিভক্ত থাকিবে, যথা :-
 
 
(ক) স্থায়ী তহবিল; এবং
 
 
(খ) চলতি তহবিল।
 
 
(২) এই আইনের অধীন ট্রাস্ট গঠিত হইবার পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, ট্রাস্টের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকল্পে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসাবে প্রদান করিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীন গঠিত স্থায়ী তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে,
 
 
যথা :-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এককালীন অনুদান; এবং
 
 
(খ) উক্তরূপে জমাকৃত অর্থ হইতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ।
 
 
(৪) স্থায়ী তহবিলের অর্থ কোন রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসাবে জমা রাখিতে হইবে এবং ট্রাস্টের কোন কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে উক্ত তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাইবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ডের পূর্বানুমোদনক্রমে, স্থায়ী আমানতের লভ্যাংশ হইতে সর্বোচ্চ ৫০% দুস্থ, অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসা, দুর্ঘটনায় বা দায়িত্বপালনকালে কোন সাংবাদিক গুরুতর আহত হইলে তাহাকে বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে তাহার মৃত্যু ঘটিলে তাহার পরিবারকে সাহায্য প্রদান করা যাইবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন গঠিত চলতি তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে,
 
 
যথা :-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ;
 
 
(ঘ) ট্রাস্ট পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ হইতে আয়;
 
 
(ঙ) ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
(চ) দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিদেশী উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; এবং
 
 
(ছ) অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত চলতি তহবিলের অর্থ যে কোন তফসিলি ব্যাংকে একটি হিসাবে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্তরূপ অর্থ হইতে ট্রাস্টের যে কোন কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।
 
 
(৭) তহবিলের ব্যাংক হিসাব বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।
 
 
(৮) তহবিলের অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
১০। (১) ট্রাস্টের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকিবেন।
 
 
(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
 
 
(৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্রাস্টের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
(ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
(খ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব ও কার্য সম্পাদন করিবেন; এবং
 
 
(গ) ট্রাস্টের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন।
 
 
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১১। (১) ট্রাস্ট উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(২) ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
বাজেট
১২। ট্রাস্ট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ট্রাস্টের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৩। (১) ট্রাস্ট উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বৎসর ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ট্রাস্টের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের কোন সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ট্রাস্টের অন্যান্য কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব-নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ট্রাস্ট এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।
প্রতিবেদন
১৪। (১) প্রতি অর্থ বৎসরে ট্রাস্ট কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন ট্রাস্ট পরবর্তী বৎসরের ৩০ শে জুনের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজনমত, ট্রাস্টের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং ট্রাস্ট সরকারের নিকট উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
ক্ষমতা অর্পণ
১৫। বোর্ড উহার যে কোন ক্ষমতা, প্রয়োজনবোধে এবং নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
১৮। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs