প্রিন্ট ভিউ
Rajshahi Krishi Unnayan Bank Ordinance, 1986
(Ordinance No. LVIII of 1986)
এর বিষয়বস্ত্ত বিবেচনাক্রমে
উহা পরিমার্জনপূর্বক নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন), অতঃপর ‘‘পঞ্চদশ সংশোধনী’’ বলিয়া উল্লিখিত, দ্বারা সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বিলুপ্তির ফলশ্রুতিতে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহ, অতঃপর ‘‘উক্ত অধ্যাদেশসমূহ’’ বলিয়া উল্লিখিত, অনুমোদন ও সমর্থন (ratification and confirmation) সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
যেহেতু সিভিল আপীল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেও উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহ ও উহাদের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন ইত্যাদি প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন, জনগণের অর্জিত অধিকার সংরক্ষণ এবং বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত, জনস্বার্থে, উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা প্রদান করা আবশ্যক; এবং
যেহেতু দীর্ঘসময় পূর্বে জারীকৃত উক্ত অধ্যাদেশসমূহ যাচাই-বাছাইপূর্বক যথানিয়মে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সময় সাপেক্ষ; এবং
যেহেতু পঞ্চদশ সংশোধনী এবং সুপ্রীম-কোর্টের আপীল বিভাগের প্রদত্ত রায়ের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনী শূন্যতা সমাধানকল্পে সংসদ অধিবেশনে না থাকাবস্থায় আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হওয়ায় তিনি ২১ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ২০১৩ সনের ২নং অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারী করেন; এবং
যেহেতু সংবিধানের ৯৩(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা পূরণকল্পে উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখিবার স্বার্থে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৭নং আইন) প্রণীত হইয়াছে; এবং
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া যে সকল অধ্যাদেশ আবশ্যক বিবেচিত হইবে সেইগুলি সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলা ভাষায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত রহিয়াছে; এবং
যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Rajshahi Krishi Unnayan Bank Ordinance, 1986 (Ordinance No. LVIII of 1986) শীর্ষক অধ্যাদেশটির বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :
৪২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সংগে সংগে Rajshahi Krishi Unnayan Bank, Ordinance, 1986 (Ordinance No. LVIII of 1986) রহিত হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Rajshahi Krishi Unnayan Bank এর-
(ক) সকল সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, প্রকল্প এবং অন্য সকল প্রকার দাবি ও অধিকার ব্যাংকের সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, সম্পত্তি, অর্থ, প্রকল্প এবং দাবি অধিকার হিসাবে গণ্য হইবে;
(খ) সকল ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি যথাক্রমে ব্যাংকের ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;
(গ) বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত কোন মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোন কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে;
(ঘ) সকল চুক্তি, দলিল, বন্ড, সম্মতি, আমমোক্তারনামা ও বৈধ প্রতিনিধি অনুমোদন, যাহাতে উক্ত ব্যাংক একটি পক্ষ ছিল, ব্যাংকের অনুকূলে বা বিরুদ্ধে এমনভাবে বলবৎ ও কার্যকর থাকিবে যেন উহাতে ব্যাংক একটি পক্ষ ছিল এবং ব্যাংকের অনুকূলেই উহা ইস্যু করা হইয়াছিল;
(ঙ) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল বিধিমালা, প্রবিধানমালা, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় এমনভাবে চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারি হইয়াছে;
(চ) বিদ্যমান বোর্ড, কমিটি ,কারিগরী কমিটি অথবা অন্যান্য কমিটি বা উপ-কমিটি, যদি থাকে, কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত করা না হইলে, এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত বোর্ড, কমিটি বা কারিগরী কমিটি এই আইনের অধীন গঠিত হইয়াছে;
(ছ) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, বিদ্যমান মেয়াদের পূর্বে অব্যাহতি প্রদান করা না হইলে, ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে স্ব স্ব পদে এমনভাবে বহাল থাকিবেন যেন তাহারা এই আইনের অধীন নিযুক্ত হইয়াছেন;
(জ) অধীন প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয়ের, ঢাকা শাখাসহ, যে নামে ও স্থানেই প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত হউক না কেন, কার্যক্রম এই আইনের অধীন ব্যাংকের অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, এমনভাবে কার্যকর ও অব্যাহত থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত হইয়াছে; এবং
(ঝ) কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ব্যাংকের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন।