প্রিন্ট ভিউ

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আইন, ২০১৫

( ২০১৫ সনের ১৩ নং আইন )

The Export Promotion Bureau Ordinance, 1977 (Ordinance No XLVII of 1977) রহিতক্রমে উহা পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন), অতঃপর “পঞ্চদশ সংশোধনী” বলিয়া উল্লিখিত, দ্বারা সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১ নং আইন) বিলুপ্তির ফলশ্রুতিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ, অতঃপর “উক্ত অধ্যাদেশসমূহ” বলিয়া উল্লিখিত, অনুমোদন ও সমর্থন (ratification and confirmation) সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ৩ক ও ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
 
 
 
যেহেতু সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপীল নং ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯এ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারি সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ (১৯৭৯ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ার ফলশ্রুতিতে উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহ ও উহাদের অধীনে প্রণীত বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন ইত্যাদি প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন, জনগণের অর্জিত অধিকার সংরক্ষণ এবং বহাল ও অক্ষুণ্ন রাখিবার নিমিত্ত, জনস্বার্থে, অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা প্রদান আবশ্যক; এবং
 
 
 
যেহেতু দীর্ঘসময় পূর্বে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ যাচাই-বাছাইপূর্বক যথানিয়মে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সময় সাপেক্ষ; এবং
 
 
 
যেহেতু পঞ্চদশ সংশোধনী এবং সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের প্রদত্ত রায়ের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনী শূন্যতা সমাধানকল্পে সংসদ অধিবেশন না থাকাবস্থায় আশুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হওয়ায় তিনি ২১ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ২০১৩ সনের ১ নং অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেন; এবং
 
 
 
যেহেতু সংবিধানের ৯৩(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা পূরণকল্পে উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখিবার স্বার্থে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬ নং আইন) প্রণীত হইয়াছে; এবং
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া যে সকল অধ্যাদেশ আবশ্যক বিবেচিত হইবে সেইগুলি সকল স্টেকহোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নূতন আইন আকারে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করিবার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত রহিয়াছে; এবং
 
 
 
যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে The Export Promotion Bureau Ordinance, 1977 (Ordinance No XLVII of 1977) অধ্যাদেশটির বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক নূতনভাবে আইন প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
সেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আইন, ২০১৫ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
 
 
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,
 
 
(১)“চেয়ারম্যান” অর্থ পর্ষদের চেয়ারম্যান;
 
 
(২)“তহবিল” অর্থ ব্যুরোর তহবিল;
 
 
(৩)“পরিচালনা পর্ষদ” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত ব্যুরোর পরিচালনা পর্ষদ;
 
 
(৪)“প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
(৫)“ব্যুরো” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো;
 
 
(৬)“বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
(৭)“ভাইস-চেয়ারম্যান” অর্থ পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান; এবং
 
 
(৮)“সদস্য” অর্থ পরিচালনা পর্ষদের কোন সদস্য।
 
 
ব্যুরো প্রতিষ্ঠা
৩। (১)The Export Promotion Bureau Ordinance, 1977 (Ordinance No XLVII of 1977) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (Export Promotion Bureau) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।
 
 
(২) ব্যুরো একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ব্যুরো ইহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
 
 
প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
৪। (১) ব্যুরোর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।
 
 
(২) ব্যুরো, উহার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে বা বিদেশে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন, স্থানান্তর বা বিলুপ্ত করিতে পারিবে।
 
 
পরিচালনা ও প্রশাসন
৫। (১) ব্যুরোর পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ব্যুরো যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে, পরিচালনা পর্ষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিধানাবলির সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, ব্যুরো, ইহার কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে,-
 
 
(ক) কোন কার্যের উদ্যোগ গ্রহণ, বরাদ্দকৃত বাজেট বা কোন বিশেষ তহবিল বরাদ্দের আওতায় ব্যয় নির্বাহ, উহার ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রয়োজনীয় বা সমীচীন মনে করিলে, যে কোন ধরনের চুক্তি সম্পাদন ও উহা কার্যকর করিতে পারিবে;
 
 
(খ) কোন পরিকল্পনা প্রণয়ন বা বাস্তবায়নে যে কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারি সংস্থা বা অন্য কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সংস্থার নিকট হইতে পরামর্শ ও সহায়তা চাহিতে বা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) পরিচালনা পর্ষদ উহার দায়িত্ব পালন ও কার্য-সম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি, প্রবিধান ও সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।
 
 
পরিচালনা পর্ষদ
৭। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
(খ) প্রধান নির্বাহী, যিনি উহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
(গ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) - সদস্য;
 
 
জন কর্মকর্তা
 
 
(ঘ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার (এক)১ -সদস্য;
 
 
জন কর্মকর্তা
 
 
(ঙ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার এক (১) -সদস্য;
 
 
জন কর্মকর্তা
 
 
(চ) বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার -সদস্য;
 
 
১ (এক) জন কর্মকর্তা
 
 
(ছ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগসচিব -সদস্য;
 
 
পদমর্যাদার ১ (এক) জন কর্মকর্তা
 
 
(জ) পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার -সদস্য;
 
 
১ (এক) জন কর্মকর্তা
 
 
(ঝ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার (এক) ১ -সদস্য;
 
 
জন কর্মকর্তা
 
 
(ঞ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব -সদস্য;
 
 
পদমর্যাদার ১ (এক) জন কর্মকর্তা
 
 
(ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মনোনীত অন্যূন সদস্য পদমর্যাদার (এক) ১ -সদস্য;
 
 
জন কর্মকর্তা
 
 
(ঠ) বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন কর্তৃক মনোনীত অন্যূন সদস্য পদমর্যাদার -সদস্য;
 
 
১ (এক) জন কর্মকর্তা
 
 
(ড) বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক মনোনীত অন্যূন সদস্য পদমর্যাদার ১ (এক) জন -সদস্য;
 
 
কর্মকর্তা
 
 
(ঢ) বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (BEPZA) কর্তৃক - সদস্য;
 
 
মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা
 
 
(ণ) সরকার কর্তৃক মনোনীত এফবিসিসিআইসহ অন্যান্য ব্যবসা এবং শিল্পের - সদস্য;
 
 
প্রতিনিধিত্বকারী ৬ (ছয়) জন প্রতিনিধি
 
 
(ত) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মনোনীত উক্ত ব্যাংকের ১ (এক) জন জ্যেষ্ঠ -সদস্য;
 
 
কর্মকর্তা
 
 
(থ) মহা-পরিচালক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, যিনি উহার সদস-সচিবও হইবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ণ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে,
 
 
(ক) সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বেই কোন কারণ না দর্শাইয়া উক্তরূপ কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে;
 
 
(খ) উক্তরূপ কোন সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর শর্তাংশের দফা (খ) এর কোন পদত্যাগ চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হইবে না।
 
 
প্রধান নির্বাহী
৭। (১) ব্যুরোর একজন প্রধান নির্বাহী থাকিবেন।
 
 
(২) প্রধান নির্বাহী সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরির মেয়াদ ও শর্তাবলী সরকার কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৩) প্রধান নির্বাহী ব্যুরোর সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
(ক) পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং
 
 
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন ও কার্য-সম্পাদন করিবেন।
 
 
(৪) প্রধান নির্বাহীর পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে প্রধান নির্বাহী তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্যপদে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা প্রধান নির্বাহী পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করিবেন।
 
 
পরিচালনা পর্ষদের সভা
৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, পরিচালনা পর্ষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) পরিচালনা পর্ষদের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) পরিচালনা পর্ষদের সভার কোরামের জন্য মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।
 
 
(৪) পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(৫) চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন ।
 
 
(৬) পরিচালনা পর্ষদের কোন কার্য বা কার্যধারা কেবল উক্ত পর্ষদের কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
 
 
ব্যুরোর দায়িত্ব ও কার্যাবলি
৯। (১) ব্যুরোর দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
 
(ক) দেশের রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতের জন্য কার্যকর ও পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক ও সমন্বিত পরিকল্পনা এবং নীতি প্রণয়নে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
 
 
(খ) দেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানিযোগ্য পণ্যের অন্বেষণ, উহাদের সম্ভাবনা পরীক্ষণ এবং সকল রপ্তানি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণে সহায়তা প্রদান; এবং
 
 
(গ) দেশের মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহ কর্তৃক রপ্তানির জন্য গৃহীত বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন এবং এই ধরনের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশে রপ্তানি বাণিজ্যে অংশগ্রহণের সক্ষমতা অর্জন বা রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, তথ্য ও সহায়তা প্রদান।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, পরিচালনা পর্ষদ নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
(ক) বাংলাদেশ হইতে অন্যান্য দেশে কাঁচামাল, আধা-প্রস্তুত এবং প্রস্তুতকৃত পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাজার অন্বেষণ এবং পর্যবেক্ষণ;
 
 
(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিদেশে প্রদর্শনী বা বিক্রয়কন্দ্রে স্থাপন;
 
 
(গ) রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বিদেশে সহায়ক সংস্থা স্থাপন;
 
 
(ঘ) বিদেশে শিল্প, বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন এবং অংশগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঙ) দেশের অভ্যন্তরে বাণিজ্য এবং রপ্তানি মেলা আয়োজন;
 
 
(চ) বিদেশে দেশি পণ্যের প্রচারণার আয়োজন এবং তদলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
(ছ) সরকার কর্তৃক ব্যুরোর উপর আরোপিত বা নির্দেশিত কার্যসম্পাদন;-
 
 
(জ) প্রয়োজনীয় নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং প্রণীত নীতি ও কর্মসূচিসমূহ দক্ষতার সহিত ও সুবিধাজনকভাবে বাস্তবায়নে এক বা একাধিক কমিটি গঠন;
 
 
(ঝ) প্রশিক্ষণ, শিক্ষা জরিপ, পরীক্ষণ বা কারিগরি গবেষণা; অথবা অন্য কোন সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত এই ধরনের শিক্ষা, জরিপ, পরীক্ষণ বা কারিগরি গবেষণার ব্যয় নির্বাহে সহায়তাকরণ;
 
 
(ঞ) সেবা প্রদানের জন্য ফি বা চার্জ নির্ধারণ; এবং
 
 
(ট) উপরি-উল্লিখিত কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্য- সম্পাদন।
 
 
 
 
তহবিল, ইত্যাদি
১০। (১) ব্যুরোর একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা :-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, অভ্যন্তরীণ উৎস হইতে গৃহীত ঋণ;
 
 
(ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিদেশি সরকার, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান ও ঋণ;
 
 
(ঙ) চেম্বার্স অব কমার্স, বাণিজ্যিক সংগঠন, সংস্থা এবং কোন সমিতির নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান; এবং
 
 
(চ) অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(২) তহবিলের অর্থ পর্ষদের অনুমোদনক্রমে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।
 
 
(৩) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে।
 
 
(৪) এই আইনের অধীন সম্পাদিত কোন কার্য সংক্রান্ত ব্যয়সহ অন্যান্য সকল দায় ব্যুরোর তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে।
 
 
(৫) সরকারের-নিয়মনীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে তহবিলের অর্থ হইতে ব্যুরোর প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিতে হইবে।
 
 
ব্যাখ্যা। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘তফসিলি ব্যাংক’ অর্থ The Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Article 2(J) তে সংজ্ঞায়িত Schedule Bank ।
ঋণ গ্রহণ ও বিনিয়োগ
১১। (১) স্বীয় দায়িত্ব এবং কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য ব্যুরো, সরকারের অনুমোদনক্রমে ও তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বৈদেশিক উৎস হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং প্রযোজ্য শর্তাবলীর অধীন উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যুরো দায়ী থাকিবে।
 
 
(২) তাৎক্ষণিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজন হইবে না এইরূপ অর্থ The Trusts Act, 1882 (Act II of 1882) এর section 20 তে বর্ণিত যে কোন সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করিতে বা উহার section 9(3) এর অধীন অনুমোদিত যে কোন তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসাবে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।
বাজেট
১২। ব্যুরো, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্য সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে সম্ভাব্য কি পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।
হিসাব ও নিরীক্ষা
১৩। (১) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে ব্যুরো অর্থ ব্যয়ের যথাযথ হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) সরকার, প্রশাসনিক ব্যয়ের জন্য একটি এবং রপ্তানি বাজার উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য আরেকটি, পৃথক হিসাব সংরক্ষণের জন্য ব্যুরোকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক ইহার বিবেচনায় যেরূপ নির্ধারিত হইবে সেইরূপ পারিশ্রমিকে The Bangladesh Chartered Accounts Orders, 1973 (P.O 2 of 1973) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোন নিবন্ধিত চার্টাড একাউনটেন্টস প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যুরোর হিসাব নিরীক্ষা করাইতে হইবে এবং এতদসংক্রান্ত পারিশ্রমিক ব্যুরো কর্তৃক পরিশোধিত হইবে।
 
 
(৪) চার্টাড একাউনটেন্টস ব্যুরোর সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ব্যুরোর যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 
(৫) চার্টার্ড একাউনটেন্টস প্রতিষ্ঠান বার্ষিক হিসাবের উপর সরকারকে রিপোর্ট প্রদান করিবে, এবং রিপোর্টে, প্রতিষ্ঠানটি তাহার মতে, ব্যুরোর কার্যক্রম সত্য এবং সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য হিসাবে সকল প্রয়োজনীয় উপাদান আছে কিনা এবং সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হইয়াছে কিনা সে বিষয়ে মতামত প্রদান করিবে, এবং পর্ষদের নিকট কোন তথ্য বা ব্যাখ্যা চাওয়া হইয়া থাকিলে উহা প্রদান করা হইয়াছে কিনা এবং হইয়া থাকিলে উহা সন্তোষজনক কিনা তাহাও উল্লেখ করিতে হইবে।
 
 
(৬) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলীর কার্যক্রমকে ক্ষুণ্ন না করিয়া সরকার যেরূপ মনে করিবে সেইরূপ কোন কর্মকর্তা বা সংস্থা দ্বারা ব্যুরোর হিসাব নিরীক্ষা করাইতে পারিবে।
 
বার্ষিক প্রতিবেদন, ইত্যাদি
১৪। (১) ব্যুরো, প্রতি অর্থ বৎসরে উহার সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী অর্থ বৎসরের ৩১ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে সরকারের নিকট দাখিল করিবে।
 
 
(২) প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্তির পর, যত দ্রুত সম্ভব, ব্যুরো নিরীক্ষাকৃত হিসাবের একটি বিবরণী সরকারের নিকট দাখিল করিবে।
 
 
(৩) সরকার, প্রয়োজনে, ব্যুরোর নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর বিবরণী, রিটার্ণ ও প্রতিবেদন চাহিতে পারিবে এবং ব্যুরো উহা সরকারের নিকট দাখিল করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
উপদেষ্টা, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১৫। (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ব্যুরো ইহার কার্যাবলি দক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(২) সরকার রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালনা পর্ষদকে পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশ্যে তদকর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদ ও শর্তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
সরকারি কর্মচারী
১৬। এই আইনের বিধানাবলি বা উহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান অনুসারে কার্য-সম্পাদনকালে বা কার্যসম্পাদনের অভিপ্রায়কালে ব্যুরোর চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, সদস্য, উপদেষ্টা, পরামর্শক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ কর্মরত থাকা অবস্থায় The Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর section 21 অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন।
ক্ষমতা অর্পণ
(১) পরিচালনা পর্ষদ, বিশেষ বা সাধারণ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত শর্তাধীনে, প্রধান নির্বাহী, কোন সদস্য বা ব্যুরোর যে কোনকর্মকর্তাকে উহার যে কোন ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) প্রধান নির্বাহী একইভাবে তাহার উপর অর্পিত, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রধান নির্বাহীকে প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যতিত, যে কোন ক্ষমতা পর্ষদের কোন সদস্য বা ব্যুরোর যে কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
 
 
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯। এই আইন এবং বিধির সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, ব্যুরো, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২০। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।
 
 
(২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
 
 
রহিতকরণ ও হেফাজত
২১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে The Export Promotion Bureau Ordinance, 1977 (Ordinance No. XLVII of 1977) অতঃপর রহিতকৃত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, রহিতকৃত ordinance এর অধীন-
 
 
(ক) কৃত কোন কার্য বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(খ) ব্যুরো কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মামলা বা গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোন কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত বা গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে;
 
 
(গ) ব্যুরো কর্তৃক সম্পাদিত কোন চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে;
 
 
(ঘ) ব্যুরোর সকল প্রকারের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী সেই একই শর্তে ব্যুরোর, ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
(ঙ) কোন চুক্তি বা চাকুরীর শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে ব্যুরোর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে শর্তাধীনে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ব্যুরোর চাকুরীতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন; এবং
 
 
(চ) ব্যুরোর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধা, ফি, তহবিল, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা ও সিকিউরিটিসহ তহবিল এবং এতদসংশ্লিষ্ট সকল হিসাব বই, রেজিস্ট্রার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদে হস্তান্তরিত এবং পরিচালনা পর্ষদ উহার অধিকারী হইবে।
 
 
(৩) উক্ত Ordinance রহিত হওয়া সত্ত্বেও উহার অধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধানমালা, জারিকৃত কোন প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোন আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল পরিকল্পনা বা কার্যক্রম এবং অনুমোদিত সকল বাজেট উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে,এ ই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs