প্রিন্ট ভিউ

ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫

( ২০১৫ সনের ১৬ নং আইন )

জনস্বার্থ সংস্থাসমূহের ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কার্যক্রমকে একটি সুনিয়ন্ত্রিত কাঠামোর আওতায় আনয়ন, হিসাব ও নিরীক্ষা পেশার স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন, যথাযথ পতিপালন, বাস্তবায়ন, তদারকি এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের নিমিত্ত একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু, জনস্বার্থ সংস্থাসমূহের ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কার্যক্রমকে একটি সুনিয়ন্ত্রিত কাঠামোর আওতায় আনয়ন, হিসাব ও নিরীক্ষা পেশার স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন, যথাযথ প্রতিপালন, বাস্তবায়ন, তদারকি এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের নিমিত্ত একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু, এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল যথা: -

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞাসমূহ
 

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -

 

(১) ‘‘অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস’’ অর্থ ধারা ৪০ এর অধীন প্রণীত অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস;

 

(২) ‘‘আর্থিক বৎসর’’ অর্থ সেই সময়কালকে বুঝাইবে যে সময়কাল, উহা একটি পূর্ণ বৎসর হউক বা না হউক, এর লাভ-ক্ষতির হিসাব জনস্বার্থ সংস্থার সাধারণ বার্ষিক সভায় উপস্থাপন করা হয়;

 

(৩) ‘‘আর্থিক বিবরণী’’ অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন বা চূড়ান্ত স্থিতিপত্র, আয় বিবরণী বা লাভ ও লোকসান হিসাব, ইক্যুইটি পরিবর্তনের বিবরণ, নগদ প্রবাহ বিবরণী, টীকা ও অপরাপর বিবরণী এবং ইহাদের উপর ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি;

 

(৪) ‘‘আপীল কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৫৪ এর অধীন গঠিত আপীল কর্তৃপক্ষ;

 

(৫) ‘‘কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত কোন কমিটি;

 

(৬) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন গঠিত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল;

 

(৭) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান;

 

(৮) ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ অর্থ -

 

(ক) সেই সংস্থা যাহা নিম্নের যে কোন একটি নির্ণায়ক পূরণ করিবে, যথা :

 

(অ) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত ‘ব্যাংক-কোম্পানী’;

 

(আ) কোন সিকিউরিটি ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান যাহার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নং আইন) অনুসারে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে;

 

(ই) আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) এ সংজ্ঞায়িত ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান’;

 

(ঈ) মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর ধারা ২(২১) এ সংজ্ঞায়িত ‘ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান’;

 

(উ) বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ২(২৫) এ সংজ্ঞায়িত ‘বীমাকারী’;

 

(ঊ) কোন সংস্থা যাহার বার্ষিক রাজস্ব পূর্ববর্তী অর্থ বৎসরে কাউন্সিল কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত অর্থ সীমা অতিক্রম করিয়াছে;

 

(ঋ) কোন সংস্থা যাহা পূর্ববর্তী অর্থ বৎসরের শেষে নিম্নবর্ণিত যে কোন ২ (দুই) টি শর্ত পূরণ করিবে, যদি-

 

(১) উহা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ন্যূনতম সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করে,

 

(২) উহার মোট পরিসম্পদ কাউন্সিল কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত অর্থ সীমা অতিক্রম করে, এবং

 

(৩) উহার শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি ব্যতীত মোট দায় কাউন্সিল কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত দায় সীমা অতিক্রম করে;

 

(খ) উপ-দফা (ক) তে উল্লিখিত নির্ণায়ক পূরণকারী নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহও অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা :

 

(অ) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানী বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ;

 

(আ) সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ;

 

(ই) ব্যক্তি খাতে পরিচালিত স্বেচ্ছা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা (Non-governmental Organisation) ; এবং

 

(ঈ) অনুরূপ অন্য কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;

 

(৯) ‘‘তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক’’ অর্থ এই আইনের অধীন জনস্বার্থ সংস্থার নিরীক্ষক হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পঞ্চম অধ্যায়ের বিধান অনুসারে তালিকাভুক্ত কোন নিরীক্ষক;

 

(১০) ‘‘ধারা’’ অর্থ এই আইনের ধারা;

 

(১১) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;

 

(১২) ‘‘নিবন্ধন’’ অর্থ পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান এর সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত কোন একাউন্ট্যান্ট;

 

(১৩) ‘‘নিরীক্ষক’’ অর্থ একক কোন ব্যক্তি অথবা কোন নিরীক্ষা ফার্মের মালিক, অংশীদার বা উহাতে কর্মরত নিরীক্ষা সেবা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি যনি পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান এর সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত;

 

(১৪) ‘‘নিরীক্ষা চর্চা’’ অর্থ নিরীক্ষক বা নিরীক্ষা ফার্ম কর্তৃক প্রদত্ত নিরীক্ষা সেবা;

 

(১৫) ‘‘নিরীক্ষা ফার্ম’’ অর্থ নিরীক্ষা সেবা প্রদানকারী একক বা যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান বা ফার্ম উহা নিবন্ধিত হউক বা না হউক;

 

(১৬) ‘‘নিরীক্ষা সেবা’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২১০ হইতে ২২০ অনুসারে প্রদত্ত সেবা এবং অন্যান্য বিধিবদ্ধ আইনের অধীনে পরিচালিত অনুরূপ সেবা;

 

(১৭) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২(ঝ) এ সংজ্ঞায়িত পরিচালক বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের বোর্ডের সদস্য;

 

(১৮) ‘‘পেশাদার একাউন্টেন্ট’’ অর্থ ধারা ২(১৯) এর প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের সদস্যকে বুঝাইবে। কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চার্টার্ড একাউন্টেনটস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ এর সদস্যগণ পরিচালিত হইবেন এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৭ অনুযায়ী ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ এর সদস্যগণ পরিচালিত হইবেন;

 

(১৯) ‘‘পেশাদার একাউন্টেন্সি পতিষ্ঠান’’ অর্থ Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এবং The (Cost and Management Accountants Ordinance, 1977 (Ordinance No. LIII of 1977) এর অধীন ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ;

 

(২০) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ ধারা ৭০ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান;

 

(২১) ‘‘ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস’’ অর্থ ধারা ৪০ এর অধীন প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস;

 

(২২) ‘‘বার্ষিক প্রতিবেদন’’ অর্থ জনস্বার্থ সংস্থার আর্থিক বিবরণী ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ সংস্থার পরিচালনা পরিষদের প্রতিবেদনসহ উক্ত সংস্থার কার্যক্রম প্রতিফলনপূর্বক বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রকাশকৃত দলিল;

 

(২৩) ‘‘বিধি’’ অর্থ ধারা ৬৯ এর অধীন প্রণীত বিধি;

 

(২৪) ‘‘সদস্য’’ অর্থ কাউন্সিলের সদস্য;

 

(২৫) ‘‘স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়’’অর্থ আপাততঃ বলবৎ কোন আইন দ্বারা বা আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়, এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত বলিয়া ঘোষিত অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং

 

(২৬) ‘‘সরকার’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগকে বুঝাইবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, গঠন, ইত্যাদি

কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা
৩। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করিবে।
 
 
(২) কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার বা হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা নিজ নাম ব্যবহারে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
কাউন্সিলের কার্যালয়
৪। কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং কাউন্সিল প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
কাউন্সিলের গঠন, ইত্যাদি
৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা :
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন চেয়ারম্যান;
 
 
(খ) সরকার কর্তৃক মনোনীত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন যে কোন বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব;
 
 
(গ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অতিরিক্ত সচিব;
 
 
(ঘ) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃক মনোনীত একজন ডেপুটি সিএন্ডএজি;
 
 
(ঙ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কর্তৃক মনোনীত একজন ডেপুটি গভর্নর;
 
 
(চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য;
 
 
(ছ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন কমিশনার;
 
 
(জ) ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর সভাপতি;
 
 
(ঝ) ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর সভাপতি;
 
 
(ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক (নির্ধারিত মেয়াদে);
 
 
(ট) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি; এবং
 
 
(ঠ) কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন নির্বাহী পরিচালক, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
 
 
(২) চেয়ারম্যান কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী হইবেন।
 
 
কাউন্সিলের কোন সদস্যের অপসারণের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি
৬। (১) ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক), (জ), (ঝ) (ট) ও (ঠ) এ বর্ণিত সদস্যগণকে তাঁহাদের সদস্য পদ হইতে অপসারণ করা যাইবে, যদি তিনি-
 
 
(ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন বা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানান; বা
 
 
(খ) সঙ্গত কারণ ব্যতীত ৩ (তিন) মাসের অধিক সময় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন; বা
 
 
(গ) ধারা ১১ এর বিধান অনুযায়ী সদস্য থাকিবার অযোগ্য হইয়া পড়েন; বা
 
 
(ঘ) এমন কোন কাজ করেন যাহা কাউন্সিলের জন্য ক্ষতিকর; বা
 
 
(ঙ) এমন আচরণ, বা নিজের পদকে এমনভাবে ব্যবহার করেন যাহা এই আইনের উদ্দেশ্য বা জনস্বার্থকে ব্যাহত করে।
 
 
(২) সরকার, উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করিবে এবং উক্ত কমিটির কার্যপদ্ধতি, পরিধি, প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা, তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত আবশ্যিক বিষয়সমূহ, অপসারণ বিষয়ে সুপারিশ ও এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৩) এই ধারার অধীন অপসারিত কোন সদস্য কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে বা কাউন্সিলের অন্য কোন পদে পুনঃনিয়োগের অযোগ্য হইবেন।
কাউন্সিলের সাধারণ উদ্দেশ্যসমূহ
৭। কাউন্সিলের সাধারণ উদ্দেশ্যসমূহ হইবে নিম্নরূপ, যথা :
 
 
(ক) হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা পেশা স্ট্যান্ডার্ডস, নৈতিকতা সম্পর্কিত মান, ইত্যাদি নির্ধারণ;
 
 
(ঙ) হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা সেবার গুণগত মান উন্নতকরণ;
 
 
(গ) হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা পেশার উন্নয়ন সাধন;
 
 
(ঘ) কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকদের হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা কাজের সর্বোচ্চমান নিশ্চিতকরণ;
 
 
(ঙ) আর্থিক প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিকরণ;
 
 
(চ) হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষার পেশাগত কার্যক্রমের সততা, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা প্রদান; এবং
 
 
(ছ) জনস্বার্থ সংস্থাসমূহকে আর্থিক ও অ-আর্থিক তথ্যের উচ্চমান সম্পন্ন প্রতিবেদন প্রস্ত্ততে উদ্বুদ্ধকরণ।
কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৮। (১) কাউন্সিলের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত কাউন্সিল, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া কাউন্সিল, নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিতে পারিবে, যথা :
 
 
(ক) বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিত বিবেচনায় আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত ও মান সম্পন্ন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস এর সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া স্ট্যান্ডার্ডসসমূহ প্রণয়ন ও উহার বাস্তবায়ন;
 
 
(খ) ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড (আইএএসবি), ইন্টারন্যাশনাল অডিটিং এন্ড এস্যুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড (আইএএএসবি) বা এতদসংক্রান্ত অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রণীত আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত ও মান সম্পন্ন স্ট্যান্ডার্ডস প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ;
 
 
(গ) কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস এর কার্যকর প্রতিপালন, পরিবীক্ষণ ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ;
 
 
(ঘ) আর্থিক প্রতিবেদন, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিধি, প্রবিধি, স্ট্যান্ডার্ডস গাইডলাইন, কোড, প্রণয়ন ও উহার প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ;
 
 
(ঙ) পেশাগত আচরণের উচ্চমান বজায় রাখিবার লক্ষ্যে নিরীক্ষকদের নিরীক্ষা চর্চা ও অনুশীলন পরিবীক্ষণ;
 
 
(চ) হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যাবলী বিষয়ে পরামর্শ ও কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার হিসাবে তথ্যগত সেবা প্রদান;
 
 
(ছ) নিরীক্ষকদের তালিকাভুক্তকরণ এবং তৎসংক্রান্ত তথ্য রেজিস্টার সংরক্ষণ এবং প্রকাশ;
 
 
(জ) অন্য কোন আইনের অধীন নির্ধারিত রিপোর্টিং চাহিদার প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ;
 
 
(ঝ) পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা সনদ, কোর্স এবং পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশীপ, আর্টিকেলশীপ ও গবেষণা কার্যক্রম বিষয়ে সুপারিশ প্রদান এবং উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান;
 
 
(ঞ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত পেশাগত উন্নয়ন কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ;
 
 
(ট) কাউন্সিল, পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আর্থিক প্রতিবেদন, হিসাবরক্ষণ, নিরীক্ষা ও কর্পোরেট গভর্ন্যান্স পদ্ধতিকে অধিকতর কার্যকর ও দক্ষতার সহিত প্রয়োগ করা যায় এইরূপ যে কোন বিষয়ের উপর গবেষণাকে উৎসাহিতকরণ ও ক্ষেত্রমত, অর্থায়ন;
 
 
(ঠ) হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি বা প্রবিধান প্রণয়ন;
 
 
(ড) এই আইনের অধীন অনুসন্ধান পরিচালনা ও এতদ্‌সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(ঢ) কাউন্সিলের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি বা স্কীম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;
 
 
(ণ) কাউন্সিলের উদ্দেশ্য ও কার্য সম্পাদনের সহিত সম্পর্কিত বা উহার সহায়ক হয় এইরূপ স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সম্পাদন;
 
 
(ত) কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত সেবার বিষয়ে চার্জ ও ফি নির্ধারণ;
 
 
(থ) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধির অধীন জরিমানা আরোপ;
 
 
(দ) আর্থিক প্রতিবেদন, অ-আর্থিক প্রতিবেদন, আর্থিক বিবরণী, বার্ষিক প্রতিবেদন, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা বা এতদসম্পর্কিত বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ বা পরামর্শ প্রদান; এবং
 
 
(ধ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিলের সাধারণ উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাউন্সিল যেইরূপ প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপ অন্যান্য কার্য সম্পাদন।
কাউন্সিলের সভা
৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) কাউন্সিলের সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) প্রতি ৩ (তিন) মাসে কাউন্সিলের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরী প্রয়োজনে স্বল্পতম সময়ের নোটিশে সভা আহবান করা যাইবে।
 
 
(৪) কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে মোট ৩ (তিন) জন সদস্য কাউন্সিলের বিশেষ সভা আহবানের জন্য চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সভা আহবান করিবেন।
 
 
(৫) কাউন্সিলের সভায় কোরাম গঠনের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।
 
 
(৬) চেয়ারম্যান কাউন্সিলের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তদকর্তৃক লিখিতভাবে মনোনীত একজন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৭) কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(৮) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদের শূন্যতা বা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কাউন্সিলের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোন আদালতে বা অন্য কোথাও কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা ইত্যাদি

বাছাই কমিটি
১০। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে নিম্নরূপে একটি বাছাই কমিটি গঠন করিবে, যথা :-
 
 
(ক) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক - সভাপতি;
 
 
(খ) বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন এর চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত - সদস্য; এবং
 
 
একজন সদস্য
 
 
(গ) সচিব, অর্থ বিভাগ - সদস্য।
 
 
(২) নির্বাহী পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত বাছাই কমিটিতে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও সদস্য হিসাবে থাকিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।
 
 
(৪) অর্থ বিভাগ বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত বাছাই কমিটি ধারা ১১ ও ১২ এর বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে উহার সভায় গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের শূন্য পদের বিপরীতে ২ (দুই) জন এবং উপ-ধারা (১) ও (২) এর সমন্বয়ে গঠিত বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিটি নির্বাহী পরিচালকের শূন্য পদের বিপরীতে ২ (দুই) জন উপযুক্ত ব্যক্তির নামের তালিকা প্রস্ত্তত করিয়া সুপারিশসহ সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(৬) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান এবং উপ-ধারা (১) ও (২) এর সমন্বয়ে গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগ প্রদান করিবে।
 
 
ব্যাখ্যা : এই ধারায় ‘সচিব’ অর্থে সিনিয়র সচিবও অন্তর্ভুক্ত হইবেন।
চেয়ারম্যানের নিয়োগ, যোগ্যতা, ইত্যাদি
১১। (১) সরকার, কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে হিসাবরক্ষণ বা ব্যবসায় প্রশাসন বা অর্থনীতি বা আইন বা ফাইন্যান্স বা ব্যাংকিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীসহ অন্যূন ১৫ (পনের) বৎসরের নির্বাহী কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তিকে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্য কোন ভাবে ২ (দুই) মেয়াদের বেশী চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।
 
 
(২) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা তাহার অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ্য হইলে, শূন্য পদে নূতন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কাউন্সিলের কোন সদস্য চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
নির্বাহী পরিচালকগণের নিয়োগ, যোগ্যতা, ইত্যাদি
১২। (১) এই আইনের ধারা ২২ এর উপ-ধারা (১) এর-
 
 
(ক) দফা (ক), (খ) ও (গ) এ উল্লিখিত বিভাগের নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে ব্যবসা প্রশাসন বা হিসাবরক্ষণ, বা অর্থনীতি বা আইন বা ফাইন্যান্স বা ব্যাংকিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা হিসাব বিজ্ঞানে পেশাদার ডিগ্রীসহ অন্যূন ১০ (দশ) বৎসরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে; এবং
 
 
(খ) দফা (ঘ) এ উল্লিখিত প্রয়োগকারী বিভাগের নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে আইন বিষয়ে অন্যূন স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী এবং উক্ত বিভাগের কার্যাবলী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন ১০ (দশ) বৎসরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হইতে হইবে।
 
 
(২) নির্বাহী পরিচালকগণ তাহাদের নিয়োগের তারিখ হইতে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন এবং অনুরূপ আরও একটি মেয়াদের জন্য পুনঃনিয়োগের যোগ্য হইবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে নির্বাহী পরিচালকগণ যে কোন সময় ৩ (তিন) মাসের লিখিত নোটিশ প্রদানপূর্বক, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।
চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালকগণের অযোগ্যতা
১৩। কোন ব্যক্তি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বা নির্বাহী পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি -
 
 
(ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন; বা
 
 
(খ) উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন; বা
 
 
(গ) কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণখেলাপি হিসাবে ঘোষিত হন; বা
 
 
(ঘ) কোন ফৌজদারী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক অন্যূন ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; বা
 
 
(ঙ) শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; বা
 
 
(চ) কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারণ করিবার এখতিয়ার রহিয়াছে এমন কোন বিষয় হইতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন; বা
 
 
(ছ) নিযুক্ত হইবার পর নিজ নামে বা অন্য কোন ব্যক্তির নামে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন কিছুর বিনিময়ে বা বিনিময় গ্রহণ ব্যতিরেকে পেশাদার একাউন্টেন্ট হিসেবে হিসাবরক্ষণ বা নিরীক্ষা সেবা কাজে জড়িত থাকেন অথবা, ক্ষেত্রমত, আইনজীবী হিসাবে কর্মরত থাকেন; বা
 
 
(জ) ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বৎসর বয়স পূর্ণ করেন; বা
 
 
(ঝ) কোন পেশাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত হন; বা
 
 
(ঞ) কর ফাঁকির কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত হন।
চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালকগণের পারিশ্রমিক ও সুবিধাদি
১৪। সরকার, চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী পরিচালকগণের পারিশ্রমিক, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ আদেশ জারীর মাধ্যমে নির্ধারিত শর্তাবলী কার্যকর থাকিবে।
 
সম্মানী
১৫। কাউন্সিলের সভায় অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ এবং এই আইনের অধীন গঠিত কোন কমিটির সদস্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও হারে কাউন্সিলের তহবিল হইতে সম্মানী প্রাপ্য হইবেন।
চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য, ইত্যাদি
১৬। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
 
(ক) কাউন্সিলের প্রশাসন পরিচালনা;
 
 
(খ) কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত কার্যাবলী ও বিষয়সমূহের যথাযপরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা;
 
 
(গ) বার্ষিক বাজেট ও কর্মসূচী প্রণয়ন; এবং
 
 
(ঘ) কাউন্সিল কর্তৃক সময় সময় অর্পিত অন্য কোন দায়িত্ব পালন।
কমিটি, ইত্যাদি
১৭। (১) কাউন্সিল, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উহার যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা কোন কার্য সম্পাদনে সহায়তার জন্য প্রয়োজনবোধে এক বা একাধিক সদস্য বা উহার কোন কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দেশী বা বিদেশী কোন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি সমন্বয়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কমিটির অতিরিক্ত হিসাবে এই আইনের অধীন ফাইনান্সিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস, অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস, নিরীক্ষা চর্চা কোড, নৈতিকতা কোড, গাইড-লাইন বা অনুরূপ দলিলাদির খসড়া প্রস্তুত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রায়োগিক দিক পর্যালোচনার জন্য কাউন্সিল যেরূপ সংখ্যক প্রয়োজন মনে করিবে, ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস ও ইন্টারন্যাশনাল অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস এর ব্যবহারিক প্রয়োগ বিষয়ে অভিজ্ঞ সেইরূপ সংখ্যক দেশী-বিদেশী পেশাদার ও অপেশাদার বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি সমন্বয়ে এক বা একাধিক টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
 
 
(৩) কাউন্সিল, উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত কমিটি গঠনের আদেশে সংশ্লিষ্ট কমিটির দায়িত্ব, কার্যধারা, রিপোর্ট দাখিলের সময় সীমা, সাচিবিক সহায়তা, পারিশ্রমিক, সুবিধাদি, ইত্যাদি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
কাউন্সিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি
১৮। (১) কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(২) কাউন্সিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
প্রেষণে জনবল নিয়োগ
১৯। (১) কাউন্সিল প্রয়োজনে সরকারের নিকট উপযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রেষণে নিয়োগের জন্য অনুরোধ করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিযুক্ত ব্যক্তি কাউন্সিলের অন্যান্য কর্মচারীর ন্যায় একইরূপ শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাধীনে কর্মরত থাকিবেন, তবে তাহার উপর কোন দণ্ড আরোপের প্রশ্ন দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট তথ্যাদিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি উক্ত ব্যক্তির নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
ক্ষমতা অর্পণ
২০। কাউন্সিল, লিখিত আদেশ দ্বারা, আদেশে নির্ধারিত শর্তাধীনে, এই আইনের অধীন উহার সকল বা যে কোন ক্ষমতা প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী পরিচালক, কাউন্সিলের কোন কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তিকে অর্পণ করিতে পারিবে।
কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন
২১। (১) কাউন্সিল, ইহার অর্থ বৎসর সমাপ্তির অনধিক ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, সরকারের নিকট তৎকর্তৃক পূর্ববর্তী অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলী সম্পর্কে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদনে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-
 
 
(ক) বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব এবং তথ্যসমূহ;
 
 
(খ) কাউন্সিলের কর্মকাণ্ডের সার্বিক পর্যালোচনা;
 
 
(গ) কাউন্সিলের যে সকল লক্ষ্য অর্জিত হইয়াছে উহার বিবরণ;
 
 
(ঘ) কাউন্সিলের যে সকল লক্ষ্য অর্জিত হয় নাই কারণসহ উহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ;
 
 
(ঙ) কাউন্সিলের সদস্যদের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য এবং প্রাপ্ত পারিশ্রমিক, সম্মানী ও অন্যান্য সুবিধাদি সংক্রান্ত তথ্য; এবং
 
 
(চ) কাউন্সিলের সভায় সদস্যদের উপস্থিতির বিবরণী।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত কাউন্সিলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃক নিরীক্ষিত হইতে হইবে ।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কাউন্সিলের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে কাউন্সিলের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 
(৫) অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী এই ধারার অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদন যথাশীঘ্র সম্ভব জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবেন।

চতুর্থ অধ্যায়

কাউন্সিলের কর্মবিভাগ, দায়িত্ব, কোড ইত্যাদি

কাউন্সিলের কর্ম বিভাগ
২২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত বিভাগসমূহ সমন্বয়ে কাউন্সিলের কর্ম বিভাগ গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগ (Standards Setting Division);
 
(খ) আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগ (Financial Reporting Monitoring
 
Division);
 
(গ) নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ (Audit Practice Review Division); এবং
 
(ঘ) প্রয়োগকারী বিভাগ (Enforcement Division)”
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রতিটি বিভাগে একজন করিয়া নির্বাহী পরিচালক থাকিবেন এবং তিনি উক্ত বিভাগের প্রধান হইবেন।
 
 
মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগের দায়িত্ব
২৩। (১) মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগের দায়িত্ব হইবে এই আইনের বিধানাবলী অনুসরণক্রমে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং, মূল্য নির্ধারণ, একচুয়ারিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস, অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন, নবায়ন, উন্নয়ন ও পরিগ্রহণ সম্পর্কে যথোপযুক্ত প্রস্তাব প্রণয়নপূর্বক উহা কাউন্সিলের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনদ্বারা, প্রবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব
২৪।(১) আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব হইবে এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন প্রণীত যে কোন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস, কোড বা গাইডলাইন জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক যথাযথভাবে অনুসরণ করা হইতেছে কিনা উহা পরিবীক্ষণ, বিশ্লেষণ ও সনাক্ত করা।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধানমালা প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে, উক্ত বিভাগ সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ সংস্থা বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে যে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক গৃহীত কোন কার্যক্রমের বিষয়ে কোন আপত্তি থাকিলে উক্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি বিষয়টি আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের নিকট উত্থাপন করিতে পারিবে।
 
 
(৪) এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনের সময় আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস, কোড বা গাইডলাইন অনুসৃত হইতেছে না, তাহা হইলে বিষয়টি বিবেচনাক্রমে তৎসম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উক্ত বিভাগ উক্ত বিষয়ে উহার মতামত ও সুপারিশ প্রয়োগকারী বিভাগকে অবহিত করিবে।
 
 
(৫) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগ তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উহার পরিবীক্ষণ কার্য পরিচালনা করিবে।
নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব
২৫। (১) নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
 
(ক) পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা চর্চা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ;
 
 
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, দৈবচয়নের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক, নিরীক্ষা ফার্ম বা নিরীক্ষককে সহায়তা করিয়া থাকে এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা চর্চার পুনরীক্ষণ;
 
 
(গ) কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক, নিরীক্ষা ফার্ম বা নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা ফার্মকে সহযোগিতা করিয়া থাকে এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রণীত নিরীক্ষা চর্চা কোড বা অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডসমূহের প্রতিপালন অথবা উক্ত কোড বা স্ট্যান্ডার্ড এর কোন শর্ত বা বিধান ভঙ্গ হইয়াছে কিনা উহা নির্ধারণ; এবং
 
 
(ঘ) প্রতি ৩ (তিন) বৎসর অন্তর একবার করিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান -
 
 
(অ) এর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা পুনরীক্ষণ;
 
 
(আ) পেশাগত মান বজায় রাখিয়া একাউন্টেন্সি পেশার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়াছে কিনা তাহা পুনরীক্ষণ; এবং
 
 
(ই) উহার গঠনকারী সনদে (charter) বর্ণিত অন্যান্য জনস্বার্থ বিষয়ক উদ্দেশ্য প্রতিপালন করিয়া জনস্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করিতেছে কিনা উহা পুনরীক্ষণ।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ তৎকর্তৃক প্রস্তুতকৃত পুনরীক্ষণ রিপোর্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে এবং উক্ত বিষয়ে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন আপত্তি থাকিলে উহা সরাসরি উক্ত বিভাগের নিকট দাখিল করিতে পারিবে।
 
 
(৪) এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনের সময় কোন ব্যর্থতা চিহ্নিত হইলে, নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ বিষয়টি সম্পর্কে উহার মতামত ও সুপারিশ প্রয়োগকারী বিভাগকে অবহিত করিবে এবং উক্ত বিভাগ প্রাপ্ত মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(৫) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উহার পুনরীক্ষণ কার্য সম্পাদন করিবে।
প্রয়োগকারী বিভাগের কার্যাবলী
২৬। (১) প্রয়োগকারী বিভাগের প্রধান দায়িত্ব হইবে কাউন্সিলের অন্যান্য বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত মতামত ও সুপারিশ বা অন্য কোন আইনের অধীন প্রণীত স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে ব্যর্থতা বা লঙ্ঘন সম্পর্কে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরাসরি কাউন্সিলের নিকট প্রেরিত কোন বিষয় বিবেচনা করা এবং উক্ত বিষয়ের উপর, প্রয়োজনে, তদন্ত পরিচালনাক্রমে এই আইনের অধীন উক্ত লঙ্ঘন বা ব্যর্থতার জন্য সম্ভাব্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ করা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে উহা অবহিতকরণ।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে প্রয়োগকারী বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) এই আইনের অধীন প্রয়োগকারী বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাবিত লঙ্ঘন বা ব্যর্থতার অভিযোগ সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত শুনানীর সুযোগ প্রদান না করিয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে কোন সুপারিশ প্রণয়ন করিবে না।
 
 
নিরীক্ষা চর্চা কোড, প্রবিধান, ইত্যাদি প্রণয়ন
২৭। (১) কাউন্সিল, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক ও জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নিরীক্ষা চর্চা, কোড, গাইডলাইন বা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাহা কিছুই অনুসৃত হউক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন নিরীক্ষা চর্চা কোড, গাইডলাইন বা প্রবিধান প্রণয়ন করা হইলে উহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে এবং প্রাধান্য পাইবে।
 
 
পেশাগত আচরণ ও নৈতিক কোড
২৮। কাউন্সিল, উহার সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ব স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনে পেশাগত আচরণের মান প্রতিষ্ঠাকল্পে, পেশাগত আচরণ ও নৈতিক কোড প্রণয়ন করিতে পারিবে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা
২৯। কাউন্সিল, এই আইনের অধীন উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদানের লক্ষ্যে, তৎকর্তৃক উপযুক্ত হইবে মর্মে বিবেচিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্য কোন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত সমঝোতা স্মারক বা আইনগত দলিল সম্পাদন করিতে পারিবে।
তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা
৩০। কাউন্সিলের সম্মতি ব্যতিরেকে, কোন সদস্য বা উহার কোন কমিটির সদস্য বা কাউন্সিলের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোন তথ্য প্রকাশ করাসহ ব্যক্তিগত বা অন্য কোন ব্যক্তির সুবিধার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার কার্যসম্পাদনের সূত্রে প্রাপ্ত কোন তথ্য ব্যবহার করিতে পারিবেন না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২০নং আইন) এর বিধান অনুসারে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের কোন কিছুই বাধাগ্রস্ত হইবে না।
 
 
ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তথ্য প্রকাশ’’ বা ‘‘তথ্যের ব্যবহার’’ অর্থে কাউন্সিল বা কাউন্সিলের সদস্য বা কমিটির কোন সদস্য বা কাউন্সিলের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা কোন রেকর্ড বা দলিলে অন্য কোন ব্যক্তির প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা অন্তর্ভুক্ত হইবে।

পঞ্চম অধ্যায়

তালিকাভুক্তি, নবায়ন ইত্যাদি

নিরীক্ষকদের তালিকাভুক্তি
৩১। (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন বলবৎ হইবার পর কোন নিরীক্ষক বা কোন নিরীক্ষা ফার্ম কাউন্সিলের নিকট তালিকাভুক্তি ব্যতীত কোন জনস্বার্থ সংস্থার নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না বা নিরীক্ষা সংক্রান্ত কোন সেবা প্রদান করিতে পারিবেন না।
 
 
(২) কোন নিরীক্ষা ফার্মের কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক বা কোন অংশীদার উক্ত ফার্ম হইতে পদত্যাগ বা যোগদান করিলে, অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উক্ত পদত্যাগ বা যোগদানের বিষয় লিখিতভাবে কাউন্সিলকে অবহিত করিতে হইবে।
তালিকাভুক্তির আবেদন, ইত্যাদি
৩২। (১) এই আইনের অধীন তালিকাভুক্তির উদ্দেশ্যে, কোন নিরীক্ষক বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তে ও পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিবে।
 
 
(২) কাউন্সিল এই আইনের অধীন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষককে একটি তালিকাভুক্তি সনদ প্রদান করিবে যাহাতে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধি, গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ডস বা নির্দেশনায় উল্লিখিত তালিকাভুক্তির জন্য প্রযোজ্য শর্তাবলীর উল্লেখ থাকিবে।
 
 
(৩) এই ধারার অধীন তালিকাভুক্তির আবেদনপত্র যাচাই বাছাই, ফি, দাখিলীয় কাগজাদি, তালিকাভুক্তকরণ বা না করিবার সিদ্ধান্ত, তালিকাভুক্তি সনদের মুদ্রিত ও ইলেক্ট্রনিক অনুলিপি সংরক্ষণ, প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সাধারণভাবে বা ই-রেজিস্টারে লিপিবদ্ধকরণ, সময়সীমা, আবেদনকারীকে অবহিত করা, নিরীক্ষক বা নিরীক্ষা ফার্ম নাম বা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ কোন তথ্য পরিবর্তন বা এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
তালিকাভুক্তি সনদ স্থগিত, বাতিল

৩৩। (১) কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক ধারা ৪৮ এর অধীনে দণ্ডিত হইলে কাউন্সিল প্রয়োজনে বিষয়টি সভায় আলোচনা করিবে এবং নিম্নরূপ এক বা একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :-

 
 

(ক) তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক বরাবরে সতর্কতামূলক নোটিশ জারী; বা

 
 

(খ) এক বা একাধিক শর্ত আরোপ করিয়া নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনাসহ আদেশ জারী; বা

 
 

(গ) তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক হিসাবে উহার কার্যক্রম পরিচালনা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করিবে যাহার মেয়াদ ২ (দুই) বৎসর অধিক হইবে না; বা

 
 

(ঘ) তালিকাভুক্ত নিরীক্ষককে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া লিখিত আদেশ দ্বারা তালিকাভুক্তি বাতিল; বা

 
 

(ঙ) তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের বিরুদ্ধে পেশাদারী একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য প্রেরণ করিবে এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে কাউন্সিলকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবহিত করিবে; বা

 
 

(চ) তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের বিরুদ্ধে পেশাদারী একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য প্রেরণ করিবে এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে কাউন্সিলকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবহিত করিবে।

 
 

(২) এই আইনের অধীন কার্যক্রম পরিচালনার যে কোন পর্যায়ে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বা নির্বাহী পরিচালক বা কাউন্সিলের অন্য কোন কর্মকর্তার নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে কোন নিরীক্ষক উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ সংঘটিত করিয়াছেন তাহা হইলে বিষয়টি কাউন্সিলের অব্যবহিত পরবর্তী সভায় লিখিতভাবে উপস্থাপন করিতে হইবে।

 
 

(৩) কাউন্সিল এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজন মনে করিলে তদকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে অধিকতর তদন্ত, লিখিত বা ব্যক্তিগত শুনানী, ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

 
 

(৪) এই ধারার অধীন তালিকাভুক্তি সনদ স্থগিত বা বাতিল এর বষয়টি নিয়মিতভাবে কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ আকারে প্রকাশ করিবে।

 
অননুমোদিত নিরীক্ষা চর্চা
৩৪। (১) জনস্বার্থ সংস্থা এমন কোন ব্যক্তিকে নিরীক্ষা কার্যে নিয়োজিত করিবে না, যাহার তালিকাভুক্তি কাউন্সিল কর্তৃক স্থগিত করা হইয়াছে অথবা তালিকাভুক্তি নিরীক্ষক কাউন্সিল কর্তৃক বাতিল করা অথবা যাহার বিরুদ্ধে কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিষ্পন্নাধীন রহিয়াছে।
 
 
(২) নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে কাউন্সিলকে অবহিত না করিয়া কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক কোন নিরীক্ষা ফার্মের নামে নিরীক্ষা চর্চা করিতে পারিবেন না, যথা : -
 
 
(ক) অংশীদারী কারবারের ক্ষেত্রে, ফার্মের অংশীদারগণের নাম ও পরিচয় জ্ঞাপনকারীর স্বাক্ষর;
 
 
(খ) নিরীক্ষা ফার্মের লেটার হেড ব্যবহারের ক্ষেত্রে, উহার একটি অনুলিপি; এবং
 
 
(গ) যদি নিরীক্ষা ফার্মের নাম কোন আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এর অনুরূপ হয় বা ফার্ম কোন আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয় অথবা ফার্মের লেটার হেড বা অন্য কোন দলিল হইতে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ফার্ম কোন আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অংশ, তাহা হইলে উক্ত আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সহিত সম্পর্কের দালিলিক প্রমাণসহ বিস্তারিত বিবরণ।
 
 
(৩) কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক অন্য কোন নিরীক্ষক কর্তৃক সম্পাদিত কোন হিসাব, বিবরণ, প্রতিবেদন বা অন্য কোন দলিলে স্বাক্ষর করিবেন না, যদি না তিনি উহাতে সন্তুষ্ট হন এবং সম্পাদিত কাজের জন্য পূর্ণ দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
নিরীক্ষকের প্রতিবেদন ও অভিমত
৩৫। (১) কোন জনস্বার্থ সংস্থার আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্ত্তত করিবার ক্ষেত্রে নিরীক্ষক এই মর্মে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে হলফনামা প্রদান করিবেন যে, উক্ত প্রতিবেদন প্রযোজ্য অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং এই আইন ও অন্য কোন আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান প্রতিপালনক্রমে প্রস্ত্তত করা হইয়াছে।
 
 
(২) ধারা ৪০ এর অধীন কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণ না করিয়া কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক তাহার প্রতিবেদনে কোন অভিমত ব্যক্ত করিবেন না।
 
 
(৩) যেক্ষেত্রে কোন সংস্থা ইহার বার্ষিক প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পরিচালকবৃন্দ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই মর্মে অভিমত প্রকাশ করে যে, উক্ত প্রতিবেদনে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রণমূলক অবশ্য পালনীয় ব্যবস্থাদি প্রতিপালনক্রমে প্রস্ত্তত করা হইয়াছে, সেক্ষেত্রে নিরীক্ষক তাহার প্রতিবেদনে উক্ত কোড বা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাদির শর্তের সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া প্রস্ত্তত করা হইয়াছে কিনা উহা উল্লেখ করিবেন।
গুরুতর অনিয়ম
৩৬। (১) জনস্বার্থ সংস্থায় নিরীক্ষা পরিচালনাকালে তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন বা তাহার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, উক্ত সংস্থায় গুরুতর অনিয়ম সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অনতিবিলম্বে,-
 
 
(ক) জনস্বার্থ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ উহার কর্মকর্তাকে উক্ত অনিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত বিবরণ লিখিতভাবে অবহিত করিবেন; এবং
 
 
(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত প্রত্যেক ব্যক্তিকে, এককভাবে বা যৌথভাবে, উক্ত অনিয়মের বিষয়ে, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ সংস্থাকে অনুরোধ করিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন লিখিতভাবে অবহিতকরণের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ সংস্থা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে, তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক উক্তরূপে বিষয়টি তৎকর্তৃক উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত অন্যান্য তথ্যসহ, কাউন্সিল, পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এবং এতদসংক্রান্ত আইন বা বিধি অনুযায়ী অন্য কোন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে প্রয়োজন অনুযায়ী অবহিত করিবেন।
দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরীক্ষকের স্বাধীনতা
৩৭। (১) একজন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাহার দায়িত্ব পালন করিবেন এবং তিনি কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নিরীক্ষা চর্চা কোড এর পরিপন্থী কোন কাজ করিবেন না অথবা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক হিসাবে তাহার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে এইরূপ কোন কাজে জড়িত হইবেন না।
 
 
(২) কাউন্সিল, প্রবিধান দ্বারা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষা চর্চা বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও তথ্য সরবরাহের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নিরীক্ষা করিতে পারিবে।
 
 
স্বার্থের সংঘাত
৩৮। একজন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক জনস্বার্থ সংস্থার সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োজিত থাকাকলীন নিরীক্ষা কার্য ব্যতীত স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করিতে পারে এমন অন্য কোন কার্য সম্পাদন করিবেন না।
পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় জনস্বার্থমূলক পর্যবেক্ষণ
৩৯। (১) কাউন্সিল এবং পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান, একক এবং ক্ষেত্রমত, যৌথভাবে, পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের সনদে উল্লিখিত পেশাগত ও ব্যবসায়িক আচরণের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখাসহ একাউন্টেন্সি পেশার প্রসার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনর্স্বামূলক নজরদারী নিশ্চিত করিবে।
 
 
(২) কাউন্সিল এবং পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং, নিরীক্ষা চর্চার উন্নয়ন এবং এই আইনের অধীন পর্যালোচনার জন্য কৌশল ও নীতি নির্ধারণী বিষয়াদিসহ সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতি বৎসর অন্যূন ২ (দুই) বার পর্যালোচনা সভায় মিলিত হইবে।

ষষ্ঠ অধ্যায়

স্ট্যান্ডার্ডস নির্ধারণ ও পরিবীক্ষণ, প্রকাশনা ইত্যাদি

স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন, ইত্যাদি
৪০। (১) কাউন্সিল, জনস্বার্থ সংস্থাসমূহের জন্য পেশাদার একাউন্টিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে-
 
 
(ক) ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড এর সহিত সঙ্গতি রাখিয়া ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস; এবং
 
 
(খ) ইন্টারন্যাশনাল অডিটিং এন্ড এ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং নিশ্চয়তা ও নৈতিকতার ঘোষণার সহিত সঙ্গতি রাখিয়া অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন ও জারী করিবে।
 
 
(২) কাউন্সিল অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস এর সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন জারি করিবে।
 
 
(৩) প্রত্যেক তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক তাহার পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কাউন্সিল কর্তৃক অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডসসমূহে উল্লিখিত ন্যূনতম শর্ত প্রতিপালনসহ এই আইনের অধীন জারিকৃত বিধি, প্রবিধান, কোড বা গাইডলাইন অনুসরণ করিবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কাউন্সিল আন্তর্জাতিক উত্তম অনুশীলনের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক সরলীকৃত আর্থিক রিপোর্টিং কাঠামো এবং স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(৫) কাউন্সিল এই ধারার অধীন প্রণীত অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস ও ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করিবে এবং উহা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য প্রকাশ ও প্রচার করিবে।
স্ট্যান্ডার্ডস প্রতিপালনে অব্যাহতি
৪১। কাউন্সিল প্রয়োজনে, ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানকে পৃথক সরলীকৃত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে।
স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়নে সহযোগিতা
৪২। কাউন্সিল, এই ধারার অধীন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়নের জন্য পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ ও সহায়তা গ্রহণ করিবে এবং উক্তরূপে কোন পরামর্শ ও সহায়তা চাওয়া হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।
স্ট্যান্ডার্ডসমূহের প্রাক্-প্রকাশনা
৪৩। কাউন্সিল, কোন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন বা সংশোধন করিতে চাহিলে, তৎসম্পর্কে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গের নিকট হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপত্তি বা মন্তব্য বা মতামত আহবান করিয়া একটি নোটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং বহুল প্রচারিত অন্তত ১ (এক) টি বাংলা ও ১ (এক) টি ইংরেজী দৈনিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ৩ (তিন) দিন প্রচার করিবে।
 
 
(২) কোন ব্যক্তি জারিতব্য স্ট্যান্ডার্ডস্ এর উপর আপত্তি বা মন্তব্য বা মতামত দাখিল করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, তিনি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রচারের পর উক্ত নোটিশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাউন্সিলের নিকট লিখিতভাবে দাখিল করিতে পারিবে।
 
 
(৩) কাউন্সিল এই ধারার অধীন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডসমূহ প্রণয়ন বা সংশোধনের উদ্দেশ্যে উহা চূড়ান্ত করিবার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত আপত্তি বা মন্তব্য বা মতামত বিবেচনা করিবে।
জনস্বার্থ সংস্থাসমূহ কর্তৃক স্ট্যান্ডার্ডস প্রতিপালন
৪৪। এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পর হইতে, অন্য কোন আইনের অধীন জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক কোন আর্থিক বিবরণী প্রস্ত্তত করিবার বাধ্যবাধকতা থাকিলে উক্ত সংস্থা ইহা নিশ্চিত করিবে যে, আর্থিক বিবরণী উক্ত আইন এবং এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দ্বারা নিরীক্ষিত এবং এই আইনের অধীন প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড, কোড, নির্দেশনা, বিধি বা প্রবিধানসমূহ অনুসরণক্রমে প্রস্তুত করা হইয়াছে।
আর্থিক বিবরণী ও বার্ষিক প্রতিবেদনের পরিবীক্ষণ
৪৫। (১) কোন জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক আর্থিক বিবরণী ও বার্ষিক প্রতিবেদন কোন সরকারি দপ্তরে বা কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হইলে, কাউন্সিল বা তৎকর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উক্ত আর্থিক বিবরণী ও বার্ষিক প্রতিবেদন এই আইন অনুসরণপূর্বক প্রণয়ন করা হইয়াছে কিনা তাহা পর্যালোচনা করিতে পারিবে।
 
 
(২) কাউন্সিল বা তৎকর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এতদুদ্দেশ্যে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের নিকট হইতে তথ্য বা ব্যাখ্যা চাহিতে পারিবে, যথা :-
 
 
(ক) জনস্বার্থ সংস্থার যে কোন কর্মকর্তা বা পরিচালক;
 
 
(খ) আর্থিক বিবরণী প্রণয়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বার্থ সংস্থার কর্মকর্তা;
 
 
(গ) জনস্বার্থ সংস্থার আর্থিক বিবরণী ও প্রতিবেদন নিরীক্ষার জন্য নিযুক্ত নিরীক্ষক বা নিরীক্ষা ফার্ম; এবং
 
 
(ঘ) কস্ট অডিট সম্পাদনকারী নিরীক্ষক।
 
 
(৩) কোন জনস্বার্থ সংস্থা উহার বার্ষিক আর্থিক বিবরণী কোন সরকারি দপ্তর বা কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিলে, উক্ত আর্থিক বিবরণী একটি অনুলিপি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট উপস্থাপন করিবে।
 
 
(৪) কাউন্সিল, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফি ও তথ্য সহযোগে, যে কোন জনস্বার্থ সংস্থার নিকট হইতে উহার আর্থিক বিবরণী তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিলের জন্য আদেশ দিতে পারিবে।
জনস্বার্থ সংস্থার নিরীক্ষকদের নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ
৪৬। কাউন্সিল বা তৎকর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা, একজন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ করিতে পারিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে-
 
 
(ক) সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক বা তাহার অংশীদার, কর্মচারী বা সহায়ক কোন ব্যক্তির দখলে থাকা বা নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরিদর্শন, পরীক্ষ ও অনুলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবে; এবং
 
 
(খ) যে কোন অংশীদার, কর্মচারী বা সহযোগী ব্যক্তির নিকট হইতে তথ্য বা ব্যাখ্যা চাহিতে বা জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে।
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডির্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণের বাধ্যবাধকতা
৪৭। (১) কাউন্সিলের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন জনস্বার্থ সংস্থা এই আইনের অধীন প্রণীত কোন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস, কোড বা গাইডলাইন অনুসরণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, বা জনস্বার্থ সংস্থার আর্থিক বিবরণীর গুরুতর বিকৃতি ঘটাইয়াছে, তাহা হইলে কাউন্সিল উক্ত জনস্বার্থ সংস্থাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করিতে পারিবে বা উক্ত স্ট্যান্ডার্ডস্ অনুসরণক্রমে অবিলম্বে উহার আর্থিক বিবরণী পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন জনস্বার্থ সংস্থাকে নির্দেশ প্রদান করা হইলে, উক্ত নির্দেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত জনস্বার্থ সংস্থা উহার আর্থিক বিবরণী সংশোধন বা পরিবর্তন করিবে এবং সংশোধিত বা পরিবর্তিত আকারে প্রস্তুতকৃত আর্থিক বিবরণী সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর বা কর্তৃপক্ষের নিকট পুনঃউপস্থাপন করিবে।

সপ্তম অধ্যায়

অপরাধ, তদন্ত, জরিমানা ও দণ্ড, আপীল ইত্যাদি

অপরাধ ও দণ্ড ইত্যাদি
৪৮। যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ডস বা নির্দেশনায় উল্লিখিত কোন শর্ত ভঙ্গ অথবা অসাধু পন্থা অথবা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিরীক্ষক হিসাবে নিবন্ধন লাভ করেন অথবা এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অভিযোগের তদন্ত, ইত্যাদি
৪৯। (১) কাউন্সিল, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিম্নবর্ণিত যে কোন অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :-
 
 
(ক) কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যেকোন অসৎ নিরীক্ষা চর্চা, অবহেলা বা পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ;
 
 
(খ) কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষা চর্চা কোড এর লঙ্ঘন;
 
 
(গ) ধারা ৩৬ অনুযায়ী পেশকৃত গুরুতর অনিয়ম সংঘটন; এবং
 
 
(ঘ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ডস বা নির্দেশনায় উল্লিখিত কোন শর্ত ভঙ্গ।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাউন্সিলের কোন সদস্য বা কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দেশিত হইলে কোন জনস্বার্থ সংস্থা, উহার পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা নিরীক্ষক, তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা যে কোন তথ্য, প্রাসঙ্গিক বহি, রেকর্ড বা দলিল উপস্থাপন বা দাখিল করিতে বাধ্য থাকিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্দেশিত কোন বিষয় গোপন বা এতদ্‌সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা যাইবে না।
 
 
আদেশ লঙ্ঘনের জন্য প্রশাসনিক জরিমানা ইত্যাদি
৫০। (১) যদি কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক এই আইনের অধীন প্রদত্ত কাউন্সিলের কোন আদেশ বা নির্দেশ পালন করিতে অস্বীকার করেন বা ব্যর্থ হন, তাহা হইলে কাউন্সিল উক্ত তালিকাভুক্ত নিরীক্ষককে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও পরিমাণ অর্থ প্রশাসনিক জরিমানা হিসাবে আরোপ করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত জরিমানা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর অধীন Public Demands হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
Code of Criminal Procedure, 1898 এর প্রয়োগ
৫১। ধারা ৫০ এ বর্ণিত প্রশাসনিক জরিমানা ব্যতীত এই আইনের অন্য কোন বিধানে উল্লিখিত অপরাধের তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) প্রযোজ্য হইবে।
 
প্রয়োগকারী বিভাগের সুপারিশের উপর আপত্তি ও শুনানী
৫২। (১) জনস্বার্থ সংস্থা, তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক, নিরীক্ষা ফার্ম বা পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান প্রয়োগকারী বিভাগের কোন সুপারিশের উপর আপত্তি দাখিল করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপত্তি দাখিল, আপত্তি বিবেচনা ও শুনানীর জন্য প্যানেল গঠন, উহার কার্যপদ্ধতি, আপত্তি নিষ্পত্তি এবং এতদ্‌সম্পর্কিত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল
৫৩। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে, উক্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত হইবার অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবে এবং তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা যাইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত আপীলের ক্ষেত্রে আপীলকর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
 
 
আপীল কর্তৃপক্ষ
৫৪। (১) এই আইনের অধীন আপীল শুনানীর জন্য সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, একটি আপীল কর্তৃপক্ষ গঠন করিতে পারিবে এবং উহা হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা আপীল কর্তৃপক্ষ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষ নিম্নরূপে গঠিত হইবে, যথা : -
 
 
(ক) অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন, হিসাবরক্ষণ, আইন, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, ব্যবস্থাপনা বা বাণিজ্য বা আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রীসহ অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসরের নির্বাহী কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি অথবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
(খ) আইন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রীসহ আইন পেশা বা আইন চর্চায় অন্যূন ১৫ (পনের) বৎসরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন আইন বিশেষজ্ঞ; এবং
 
 
(গ) অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, হিসাবরক্ষণ, আইন, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, ব্যবস্থাপনা বা বাণিজ্য বা আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা হিসাববিজ্ঞানে পেশাদার ডিগ্রীসহ অন্যূন ১৫ (পনের) বৎসরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে।
 
 
(৩) আপীল কর্তৃপক্ষ উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।
 
 
(৪) আপীল কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলের কোন সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে অথবা সংশোধন, পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবে অথবা সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিতপূর্বক অন্তর্বর্তীকালীন যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৫) আপীল কর্তৃপক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।
 
 
(৬) এই ধারার বিধান অনুযায়ী আপীলকারীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইলে আপীল কর্তৃপক্ষ উক্ত আপীলকারীকে আপীল সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহনের সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৭) আপীল কর্তৃপক্ষের সকল ব্যয়ভার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং কাউন্সিলের তহবিল হইতে নির্বাহ করা হইবে।
 
 

অষ্টম অধ্যায়

কাউন্সিলের আর্থিক বিষয়াদি

কাউন্সিলের তহবিল
৫৫। (১) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল তহবিল নামে কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(খ) এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য ফি, চার্জ ও প্রশাসনিক জরিমানা;
 
 
(গ) কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত সেবা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ; এবং
 
 
(ঘ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(২) তহবিলের অর্থ কাউন্সিলের নামে, কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিএেই তহবিল অর্থ উঠানো যাইবে।
 
 
(৩) এই তহবিলের অর্থ হইতে চেয়ারম্যান, সদস্য, আপীল কর্তৃপক্ষ, কাউন্সিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা, পারিশ্রমিক, সম্মানী ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।
 
 
(৪) কমিশন উহার প্রত্যেক অর্থ বৎসরে উহার সকল ব্যয় নির্বাহের পর উদ্বৃত্ত অর্থ প্রজাতন্ত্রের সংযুক্ত তহবিলে জমা প্রদান করিবে।
 
 
ব্যাখ্যা। - এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘তফসিলি ব্যাংক’ অর্থ ”The Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এ সংজ্ঞায়িত ”Scheduled Bank””
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
৫৬। (১) কাউন্সিল, যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ এবং হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, প্রতি বৎসর কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরকার ও কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোন আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কাউন্সিল অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কাউন্সিলের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্তৃপক্ষের যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
বার্ষিক বাজেট বিবরণী
৫৭। কাউন্সিল প্রতি অর্থ বৎসর শুরুর অন্যূন ৩ (তিন) মাস পূর্বে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত আর্থিক বৎসরে সরকারের নিকট হইতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।
বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন
৫৮। কাউন্সিল প্রতি বৎসর উহার একটি কর্ম পরিকল্পনা ও কর্ম কৌশল প্রণয়ন করিবে এবং উহা অবগতির জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে।

নবম অধ্যায়

কতিপয় আইনের আনুষঙ্গিক সংশোধন

O. No. 2 of 1973 এর সংশোধন
৫৯। Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. No. 2 of 1973) এর-
 
(ক) Article 2 এর clause (1) এর sub-clause (d) এর পর নিম্নরূপ নূতন sub-clause (dd) সন্নিবেশিত হইবে, যথা :-
 
 
 
(dd) “Financial Reporting Council (FRC)” means the Financial Reporting Council established under section 3 of the Financial Reporting Act, 2015;”
 
(খ) Article 8 এর পর নিম্নরূপ নূতন Article 8A সন্নিবেশিত হইবে, যথা :
 
””8A. The Institute shall ensure that all members of the Institute shall comply with the Financial Reporting Standards and Auditing Standards issued by the Financial Reporting Council (FRC) pursuant to section 40 of the Financial Reporting Act, 2015.;
 
(গ) Article 9 এর sub-clause (vi) এর প্রান্তস্থিত ফুলস্টপ (.) এর পরিবর্তে সেমিকোলন (;) প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন sub-clause (vii) সংযোজিত হইবে, যথা : -
 
“(vii) has been removed from the membership of the Institute on being found on inquiry not to have complied with the Financial Reporting Standards and Auditing Standards issued by the Financial Reporting Council (FRC) pursuant to section 40 of the Financial Reporting Act, 2015.”; এবং
 
 
(ঘ) Article 13 এর পর নিম্নরূপ নূতন Article 13A সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-
 
“13A. The functions of the Institute shall be subject to the public interest oversight of the Financial Reporting Council (FRC) in accordance with the Financial Reporting Act, 2015, which shall ensure that the Institute meets its responsibilities to maintain high professional standards and develop the accounting profession.”|
 
১৯৯১ সনের ১৪ নং আইনের সংশোধন
৬০। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ দুইটি নূতন উপ-ধারা (১ক) ও (১খ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:
 
 
‘‘(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাংকিং কোম্পানীর কর্তব্য হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে প্রস্ত্ততকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।
 
 
(১খ) বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিস্ট্রার ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপস্থাপিত আর্থিক বিবরণী বা অনুরূপ বিবরণী বা প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।’’।
 
 
১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইনের সংশোধন
৬১। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২৩ এর পর একটি নূতন ধারা ২৩ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:
 
 
‘‘২৩ক। নিরীক্ষকের প্রতিবেদন পত্যাখ্যানের ক্ষমতা। ফাইনান্সিয়াল রিপোর্ট আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে প্রস্ত্ততকৃত তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।’’।
 
 
১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের সংশোধন
৬২। কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর-
 
 
(ক) ধারা ১৮৫ এর উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন দুইটি উপ-ধারা (২ক) ও (২খ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-
 
 
‘‘(২ক) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসারে প্রস্তুতকৃত তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকদের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।
 
 
(২খ) জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিস্ট্রার এরূপ কোন কোম্পানী কর্তৃক উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।’’;
 
 
(খ) ধারা ১৯০ এর উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (১ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:
 
 
‘‘(১ক) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর আর্থিক বিবরণী দাখিল করিতে পারিবে না, যদি না উক্ত আর্থিক বিবরণী প্রণয়নে একই আইনের ধারা ৪০ অনুসারে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত স্ট্যান্ডার্ডসসমূহ অনুসরণ করা হয়।’’;
 
 
(গ) ধারা ২১২ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৫) সংযোজিত হইবে, যথা:
 
 
‘‘(৫) কোন ব্যক্তি কোন জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি না তিনি ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৩১ এর অধীন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক একজন নিরীক্ষক হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।’’। এবং
 
 
(ঘ) ধারা ২২০ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে, যথা :-
 
 
‘‘(৪) কোন ব্যক্তি কোন জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি না তিনি ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৩১ এর অধীন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক একজন নিরীক্ষক হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।’’।
২০১০ সনের ১৩ নং আইনের সংশোধন
৬৩। বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ দুইটি নূতন উপ-ধারা (৪) ও (৫) সংযোজিত হইবে, যথা:-
 
 
‘‘(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বীমাকারীর দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে প্রস্তুতকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা।
 
 
(৫) উক্ত কর্তৃপক্ষ কোন বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।’’।
No. LIII of 1977 এ নূতন section 14A এর সন্নিবেশ
৬৪। Cost and Management Accountants Ordinance, 1977 (Ord. No. LIII of 1977) এর section14 এর পর নিম্নরূপ নূতন section 14A সন্নিবেশিত হইবে, যথা:
 
“14A. The function of the Institute shall be subject to the public-interest oversight of the Financial Reporting Council in accordance with section 40 of the Financial Reporting Act, 2015 which shall ensure that the Institute meets its responsibilities to maintain highprofessional standards and develop the accounting profession.” |
 
14B. The Institute shall ensure that all members of the Institute shall comply with the Financial Reporting Standards and Auditing Standards issued by the Financial Reporting Council (FRC) pursuant to section 40 of the Financial Reporting Act, 2015.
 
14C. A person shall not be entitled to have his name entered in or borne on the Register if he has been removed from the membership of the Institute on being found on inquiry not to have complied with the Financial Reporting Standards and Auditing Standards issued by the Financial Reporting Council (FRC) pursuant to section 40 of the Financial Reporting Act, 2015.
 
২০০৬ সালের ৩২ নং আইনের সংশোধন
৬৫। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর ধারা ২২ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) ও (৫) সংযোজিত হইবে, যথা:-
 
 
‘‘(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে প্রস্তুতকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা।
 
 
(৫) উক্ত কর্তৃপক্ষ কোন বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।’’।
 
 

দশম অধ্যায়

বিবিধ

অন্য আইনের অধীন ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ণ না করা
৬৬। (১) এই আইন, বিধি বা প্রবিধান এর অধীন গৃহীত কার্যধারা বা ব্যবস্থা অন্য কোন আইনের অধীন গৃহীত ব্যবস্থার অতিরিক্ত হইবে এবং অন্য আইনের অধীন গৃহীত ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ণ করিবে না।
 
(২) Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act, 1974 (Act No. XXIV of 1974) এর ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে না।
প্রকাশনা
৬৭। (১) কাউন্সিল উহার কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান, তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক, জনস্বার্থ সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের কার্যার্থে, সময় সময়, সার্কুলার, নোটিশ, বিজ্ঞপ্তি, ত্রৈ-মাসিক বা ষান্মাসিক বা বাৎসরিক সাময়িকী, ইত্যাদি প্রকাশ করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত বিষয় অনতিবিলম্বে কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে এবং বিজ্ঞপ্তি আকারে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচার করিতে হইবে।
 
 
(৩) কাউন্সিল এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি,প্রবিধি, বিদ্যমান স্ট্যান্ডার্ডস, গাইড লাইন, সংবিধিবদ্ধ প্রজ্ঞাপন ও এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত সংশ্লিষ্ট আইনগত দলিলাদি ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কোড হিসাবে নিয়মিত ও হালনাগাদ আকারে প্রকাশ করিবে এবং উহা কাউন্সিলের ওয়েব সাইটেও প্রকাশ করিবে।
বিশেষ বিধান
৬৮। এই আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের বিধানাবলী ধারা ২(৮)(খ) তে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রে ২০১৭ সনের ৩০ জুন সময় পর্যন্ত কার্যকর হইবে না।
পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত স্ট্যান্ডার্ডসমূহের হেফাজত
৬৯। এই আইনে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে, পেশাদার একাউন্টিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিরীক্ষকদের জন্য পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত ও প্রকাশিত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডসসমূহ, যদি থাকে, এই আইনের অধীন বিধি বা প্রবিধান দ্বারা অনুরূপ কোন স্ট্যান্ডার্ডস প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এইরূপে বলবৎ থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রণীত হইয়াছে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৭০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) সরকার, উপ-ধারা (১) এর অধীন বিধি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ গ্রহণ করিবে, এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহবান করিয়া সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা উহা প্রাক্-প্রকাশ করিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশিত বিষয়ের উপর কোন ব্যক্তির কোন মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি থাকিলে উহা লিখিতভাবে গেজেটে প্রাক্-প্রকাশের অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
(৪) সরকার, উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন প্রাপ্ত মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি বিবেচনা করিয়া গেজেট প্রাক-প্রকাশের অনধিক ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে উহা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৭১। (১) কাউন্সিল, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) কাউন্সিল, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ গ্রহণ করিবে, এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহবান করিয়া সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা উহা প্রাক্-প্রকাশ করিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশিত বিষয়ের উপর কোন ব্যক্তির কোন মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি থাকিলে উহা লিখিতভাবে গেজেটে প্রাক্-প্রকাশের অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কাউন্সিলের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
(৪) কাউন্সিল, উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন প্রাপ্ত মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি বিবেচনা করিয়া গেজেট প্রাক্-প্রকাশের অনধিক ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে উহা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করিবে।
জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা
৭২। কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে এই আইনের বিধানে অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদান করতঃ কাউন্সিলের করণীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৭৩। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের নির্ভরযোগ্য ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ এবং এই বাংলা আইনের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs