সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬ নামে অভিহিত হইবে।
(২) এই আইন বা, ক্ষেত্রমত, উহার কোন বিধান, -
(ক) কক্সবাজার জেলার মৌজার ম্যাপে চিহ্নিত শহর এলাকায়, এবং
বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর অধীন কক্সবাজার জেলার আওতাধীন ‘পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা’ বা ‘বিশেষ পর্যটন অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষিত এলাকায়, যদি থাকে, অবিলম্বে; এবং
(খ) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কক্সবাজার জেলার বা উহার সন্নিহিত অন্য কোন এলাকার জন্য, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই এলাকার জন্য সেই তারিখে প্রযোজ্য হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -
(১) ‘‘অংশীদারী পতিষ্ঠান’’ অর্থ মুনাফা অর্জন এবং নিজেদের মধ্যে উক্ত মুনাফা বণ্টনের উদ্দেশ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় চুক্তিবদ্ধ হইয়া যেইরূপ ব্যবসা সংগঠন গড়িয়া তোলে সেইরূপ প্রতিষ্ঠান;
(২) ‘‘আর্থিক পতিষ্ঠান’’ অর্থ
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) তে সংজ্ঞায়িত ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান’;
(৩) ‘‘ইমারত’’ অর্থ The
Building Construction Act, 1952 (Act No. II of 1953) এর section 2(b) এ সংজ্ঞায়িত ”Building” কে বুঝাইবে;
(৪) ‘‘উন্নয়ন পকল্প’’ অর্থ সরকার অনুমোদিত কোন উন্নয়ন প্রকল্প;
(৫) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ;
(৬) ‘‘কোম্পানী’’ অর্থ
কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২(ঘ) তে সংজ্ঞায়িত ‘কোম্পানী’;
(৭) ‘‘ক্ষমতাপাপ্ত কর্মকর্তা’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা;
(৮) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;
(৯) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(১০) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ
Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898);
(১১) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা সংস্থা অন্তর্ভুক্ত হইবে, উহা নিবন্ধিত হউক বা না হউক;
(১২) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১৩) ‘‘মহাপরিকল্পনা (Master Plan))” অর্থ কক্সবাজার জেলার মৌজা ম্যাপে চিহ্নিত শহর এলাকায় (উপকূলীয় এলাকা, সমুদ্র সৈকত বা অনুরূপ স্থানসহ), এবং
বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর অধীন কক্সবাজার জেলার আওতাধীন ‘পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা’ বা ‘বিশেষ পর্যটন অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষিত এলাকায়, এবং এই আইনের ধারা ১ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (খ) এর অধীন সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত এলাকার ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা (Master Plan), স্ট্রাকচারাল প্ল্যান (Structural Plan) ও ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (Detailed Area Plan);
(১৪) ‘‘সদস্য’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের সদস্য; এবং
(১৫) ‘‘সমবায় সমিতি’’ অর্থ
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০১ এর ৪৭ নং আইন) এর ধারা ২(২০) এ সংজ্ঞায়িত ‘সমবায় সমিতি’।
দ্বিতীয় অধ্যায়
কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা
৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার বা হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা নিজ নাম ব্যবহারে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
কর্তৃপক্ষের কার্যালয়
৪। কর্তৃপক্ষের কার্যালয় কক্সবাজার জেলা সদরে স্থাপিত হইবে।
কর্তৃপক্ষ গঠন, ইত্যাদি
৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে, যথা:-
(ক) সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন চেয়ারম্যান;
(খ) সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত ৪ (চার) জন সদস্য, যথা: -
(১) সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ);
(২) সদস্য (প্রকৌশল);
(৩) সদস্য (পরিকল্পনা); এবং
(৪) সদস্য (আইন ও বাস্তবায়ন);
(গ) জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার;
(ঘ) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন উপ-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা;
(ঙ) ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন উপ-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা;
(চ) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন উপ-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা;
(ছ) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি;
(জ) পুলিশ সুপার, কক্সবাজার;
(ঝ) মেয়র, কক্সবাজার পৌরসভা;
(ঞ) বিভাগীয় প্রধান, নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়;
(ট) নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ, কক্সবাজার;
(ঠ) স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কর্তৃক মনোনীত কক্সবাজার জেলায় কর্মরত স্থানীয় স্থাপত্য বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি;
(ড) কক্সবাজার শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি অথবা তৎকর্তৃক মনোনীত সমিতির একজন প্রতিনিধি; এবং
(ঢ) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট নাগরিক, তন্মধ্যে অন্যূন একজন মহিলা হইবেন।
(২) চেয়ারম্যান এবং উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত সদস্যগণ কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হইবেন।
(৩) কোন ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্য কোনভাবে ২ (দুই) মেয়াদের বেশী সময়ের জন্য চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।
(৪) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন সময়, চেয়ারম্যান বা উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত কোন সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (ড) তে উল্লিখিত সদস্য উক্ত সমিতির নির্বাচিত পদাধিকারী হইলে তিনি যে মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন সেই মেয়াদকালীন, এবং দফা (ঢ) তে উল্লিখিত সদস্যগণ মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য এবং সময়ে, স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনবোধে, যে কোন সময় উক্ত দফা (ড) ও (ঢ) তে উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণকে মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কোন প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৬) উপ-ধারা (১) এর দফা (ড) ও (ঢ) তে উল্লিখিত কোন সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে তাহার পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
(৭) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা তাহার অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নূতন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য চেয়ারম্যান রূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।
কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :
(১) ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করিয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়নও বাস্তবায়ন;
(২) মহাপরিকল্পনা (Master Plan) প্রণয়নের নিমিত্ত ভূমি জরিপ ও সমীক্ষা, গবেষণা পরিচালনা এবং তদসংশ্লিষ্ট সকল প্রকার তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ;
(৩) ভূমির উপর যে কোন প্রকৃতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যাবলী গ্রহণ;
(৪) পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার গৃহায়ন ও আবাসন সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পর্যটনকেন্দ্রিক আবাসিক, বাণিজ্যিক, বিনোদন, শিল্প বা এতদসম্পর্কিত অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পৃথক পৃথক এলাকার অবস্থান নির্ধারণ ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণও উহার কার্যকর বাস্তবায়ন;
(৫) দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কক্সবাজার জেলায় নিরাপদ অবস্থান ও যাতায়াত সহজ করিবার লক্ষ্যে আধুনিক পর্যটন নগরী ও অঞ্চলের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সড়ক, মহাসড়ক, নৌপথ, রেলপথ ও সমুদ্রপথ নির্মাণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনাক্রমে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন;
(৬) সমুদ্র সৈকতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে বিধি বহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বা অপসারণ;
(৭) অপরিকল্পিত, অপ্রশস্ত ও ঘিঞ্জি বসতি অপসারণক্রমে নূতন আবাসন প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং উক্ত এলাকার বাসিন্দাগণের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
(৮) নিম্নবিত্ত, বস্তিবাসী এবং গৃহহীনদের আবাসন সমস্যার অগ্রাধিকার বিবেচনায় রাখিয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উহার বাস্তবায়ন;
(৯) উন্নয়ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রহিয়াছে এইরূপ কোন এলাকার জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি এবং উক্ত এলাকার ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা কোন ইমারত বা স্থাপনার পরিবর্তনের উপর অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ;
(১০) আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা তৈরী এবং উহার ধারাবাহিক সংরক্ষণ;
(১১) পর্যাপ্ত সংখ্যক বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনী তৈরি;
(১২) কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ বা বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যয়ে দেশি-বিদেশি বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;
(১৩) পর্যটন শিল্প বিকাশের উদ্দেশ্যে দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি, সরকারি বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;
(১৪) কোন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান;
(১৫) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ;
(১৬) পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয় সাধন;
(১৭) আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর সংক্রান্ত সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন;
(১৮) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত চুক্তি সম্পাদন;
(১৯) সমুদ্র সৈকত বা তৎসংলগ্ন পর্যটন অঞ্চলে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করিবার লক্ষ্যে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, বিনোদন ও সেবামূলক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং নিজস্ব ওয়েবসাইটসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; এবং
(২০) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত অন্য যে কোন দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদন।
কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী
৭। চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি -
(ক) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষের প্রশাসন পরিচালনার জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন।
চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যের অযোগ্যতা ও অপসারণ
৮। (১) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন না অথবা চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য থাকিতে পারিবেন না, যদি তিনি -
(ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন;
(খ) শারীরিক বা মানসিক অসমর্থের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;
(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন;
(ঘ) কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ খেলাপী হিসাবে ঘোষিত হন;
(ঙ) কোন ফৌজদারী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক অন্যূন ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; বা
(চ) কর্তৃপক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন পেশা বা ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন বা হন।
(২) সরকার, এই ধারার অধীন কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, চেয়ারম্যান বা কোন সার্বক্ষণিক সদস্যকে অপসারণ করিতে পারিবে।
(৩) এই ধারার অধীন অপসারিত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হিসাবে অথবা অন্যান্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের কোন পদে নিয়োগের অযোগ্য হইবেন।
কর্তৃপক্ষের সভা
৯। (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।
(২) চেয়ারম্যান, কর্তৃপক্ষের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তদকর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৩) কর্তৃপক্ষের সভায় কোরামের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।
(৪) প্রতি ৩ (তিন) মাসে কর্তৃপক্ষের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, যে কোন সময় জরুরি সভা আহবান করা যাইবে।
(৫) কর্তৃপক্ষের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে।
(৬) কেবল কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা কর্তৃপক্ষ গঠনে ক্রটি থাকিবার কারণে কর্তৃপক্ষের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।
(৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হইবার অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট উহার অনুলিপি প্রেরণ করিতে হইবে।
সম্মানী
১০। কর্তৃপক্ষের সভায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগণ এবং এই আইনের অধীন গঠিত কমিটির সদস্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও হারে কর্তৃপক্ষের তহবিল হইতে সম্মানী প্রাপ্য হইবেন।
পরামর্শ বা সহযোগিতা
১১। কর্তৃপক্ষ উহার সভার নির্ধারিত আলোচ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম বা কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদনে সহায়তার জন্য, প্রয়োজনে, সদস্য নন অথচ উক্তরূপ কাজে অভিজ্ঞ এইরূপ কোন ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে।
কমিটি গঠন
১২। কর্তৃপক্ষ সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা উহার কার্যাবলী সম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
তৃতীয় অধ্যায়
মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প, ইত্যাদি
মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রাক-প্রকাশনা, চূড়ান্ত প্রকাশ, ইত্যাদি
১৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করিয়া যথাশীঘ্র সম্ভব, উহার আওতাভুক্ত এলাকার সমন্বয়ে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে, যথা-
(ক) নৌ, বিমান, রেল, সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলের গতি-প্রকৃতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;
(খ) পানি সরবরাহ, সংরক্ষণ, পয়ঃপ্রণালী ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা;
(গ) বিভিন্ন সরকারি অফিস, সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা কেন্দ্র, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, উদ্যান, উন্মুক্ত স্থান, জলাশয় এবং বিনোদনমূলক ব্যবস্থা, পর্যটন তথ্য কেন্দ্র, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, ইত্যাদির জন্য ভূমি সংরক্ষণসহ উহার অবস্থান নির্ধারণ ও সংরক্ষণ;
(ঘ) আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার অবস্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;
(ঙ) মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজন হইতে পারে এইরূপ ভূমি চিহ্নিতকরণ ও উহার অবস্থান নির্ধারণ;
(চ) ভূমি ব্যবহার, জোনিং (Zoning) এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ (Natural Landscape) অনুসরণ করিয়া ভূমি সংরক্ষণ;
(ছ) সৌর-বিদ্যুৎসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;
(জ) দীর্ঘমেয়াদী ও আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত নগরায়ন পরিকল্পনা, প্রকল্প, ধারাবাহিক উন্নয়ন, নিয়মিত সংস্কার এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি; এবং
(ঝ) আধুনিক পর্যটন নগরী গড়িয়া তুলিবার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।
(২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত মহাপরিকল্পনা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেট, ইলেকট্রনিক গেজেট (যদি থাকে), কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েব সাইট এবং বহুল প্রচারিত ২ (দুই) টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে উহার প্রাক্-প্রকাশ করিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশিত মহাপরিকল্পনার বিষয়ে কাহারও কোন আপত্তি বা পরামর্শ থাকিলে উহা প্রাক্-প্রকাশের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(৪) কর্তৃপক্ষ, প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনা করিয়া উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশের তারিখ হইতে অনধিক ১০৫ (একশত পাঁচ) দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে।
(৫) সরকার, উপ-ধারা (৪) এর অধীন মহাপরিকল্পনা প্রাপ্ত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উহা অনুমোদন করিবে এবং সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা উহার চূড়ান্ত প্রকাশ করিবে।
মহাপরিকল্পনা সংশোধন, ইত্যাদি
১৪। (১) কর্তৃপক্ষ, সময় সময়, মহাপরিকল্পনা সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং তৎপরবর্তী সকল সরকারি বা বেসরকারি উন্নয়ন ও নির্মাণ কার্যক্রম উক্ত সংশোধন বা পরিবর্তন মোতাবেক বাস্তবায়ন করিতে হইবে।
(২) মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন অথবা উহার কোন সংশোধন বা পরিবর্তন অনুমোদিত হইবার পূর্বে বা পরে, উহা সম্পর্কে কোন আদালতে আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
মহাপরিকল্পনা পরিপন্থি ভূমি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, ইত্যাদি
১৫। (১) কোন ভূমি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাইবে না।
(২) কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় সকল সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন এবং নির্মাণ কাজ মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে।
(৩) এই ধারার অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ভূমি সংরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করিবার কারণে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ পাইবার যোগ্য হইবেন না, তবে মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ভূমিতে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।
উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
১৬।(১) কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনার ভিত্তিতে ইহার আওতাভুক্ত কোন এলাকার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত করিয়া উহা অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রকাশ করিবে, এবং অতঃপর উহা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।
(৩) কোন উন্নয়ন বা জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়নকালে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত কোন রাস্তায় বা উহার অংশ বিশেষে যানবাহন বা জনসাধারণের চলাচলের উপর কর্তৃপক্ষ সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে।
(৪) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি স্থানীয় জনসাধারণকে অবহিত করিবে যাহাতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উক্ত অঞ্চলের জনসাধারণ এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করিবার সুযোগ পায়।
উন্নয়ন প্রকল্প সংশোধন
১৭। কোন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহা সংশোধন করিতে পারিবে।
কতিপয় উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর বিধি-নিষেধ
১৮। এই আইন কার্যকর হইবার পর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ধারা ১ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রকাশিত গেজেট প্রজ্ঞাপনের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলের মধ্যে উহার কোন অংশ কোন ব্যক্তি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারি বা বেসরকারি কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী সাধারণভাবে কোন ধরনের রাস্তাঘাট ও ইমারত নির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়ন করিতে পারিবে না।
জনস্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
১৯। (১) ধারা ১৩ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, জনস্বার্থে, কোন অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প অবাস্তবায়িত থাকাবস্থায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হইলে উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হইবার পর উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর থাকিবে না।
স্থানীয় পরিকল্পনা
২০। (১) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, নৌ, বিমান, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ বা অন্য কোন সংস্থার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বা কোম্পানী মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উহাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য উন্নয়ন ও নির্মাণ পরিকল্পনা সম্পর্কিত স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে এবং উহা অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত স্থানীয় পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে অনুমোদন করিবে এবং উহার একটি অনুলিপি সরকারকে প্রেরণ করিবে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ভূমি ও ইমারত ন্যস্তকরণ
২১। (১) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন কোন ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার কোন অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের কোন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ভূমি উন্নয়নে প্রয়োজন হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা বা উহার অংশবিশেষ উহার অধীন ন্যস্ত করিবার জন্য উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান করিবে এবং তদানুসারে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীনে ন্যস্ত হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষের কোন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ভূমি উন্নয়নের জন্য কোন রাস্তা, চত্বর বা উহার কোন অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত হইলে উক্ত রাস্তা, চত্বর বা উহার কোন অংশবিশেষের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না।
(৩) রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশ বিশেষ ব্যতীত অন্য কোন ভূমি বা ইমারত উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্ত হইলে, যে উদ্দেশ্যে উক্ত ভূমি বা ইমারত অধিগ্রহণ করা হইয়াছিল সেই একই উদ্দেশ্যে উন্নয়ন বা ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোনরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে উন্নয়ন বা ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা কোন কার্যক্রমের বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে বা মতপার্থক্য দেখা দিলে উহা ধারা ৪৮ এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি হস্তান্তর
২২। (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অথবা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ ক্রয়, লীজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জন করিতে পারিবে এবং এইরূপ ভূমি কিংবা ভূমির স্বার্থ বিক্রয়, লীজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ভূমি বা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ অর্জন করিবার প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে উহা Aquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (Ordinance No. II of 1982) বা এতদসংক্রান্ত প্রচলিত আইনের বিধান মোতাবেক হুকুম দখল বা অধিগ্রহণ করা যাইবে।
সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন প্রকল্প বা সম্পত্তি হস্তান্তর
২৩। (১) সরকার, কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যে সরকার বা সরকারি কোন সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বা অনুমোদিত কোন উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারের মালিকানাধীন কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের বরাবরে হস্তান্তর করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন হস্তান্তরিত কোন উন্নয়ন প্রকল্পের অবাস্তবায়িত কার্য পূর্ববর্তী অনুমোদিত আকারে অথবা, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্পের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিয়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ন করা যাইবে।
(৩) সরকার, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পূর্বে সরকারি কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ধার্য ও আদায়কৃত কোন কর সংরক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
চতুর্থ অধ্যায়
বিধি-নিষেধ, অপসারণ, দণ্ড, ইত্যাদি
ইমারত নির্মাণ, জলাধার খনন, পাহাড় বা টিলা কাটা, ইত্যাদি বিষয়ে বিধি-নিষেধ
২৪। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোন ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা জলাধার খনন, জলাধার হইতে বালি উত্তোলন বা পুনঃখনন কিংবা পাহাড় বা টিলা কাটা যাইবে না।
(২)
Building Construction Act, 1952 (Act No. II of 1953) এর বিধান অনুযায়ী কোন ইমারত বা অন্য কোন প্রকার স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ বা জলাধার খননের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে এবং ফিসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং এইরূপ আবেদন পাইবার পর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মহাপরিকল্পনার সহিত সঙ্গতি রাখিয়া, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে, ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ, পুকুর বা জলাধার খনন বা এতদসংক্রান্ত বিষয়ে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) কর্তৃপক্ষের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যে সকল শর্তে উপ-ধারা (২) এর অধীন অনুমতি প্রদান করা হইয়াছিল উহা প্রতিপালন করা হয় নাই বা ভঙ্গ করা হইয়াছে বা ভঙ্গ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা হইলে তিনি উক্ত অনুমতি বাতিল করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ইমারত বা স্থাপনার সাধারণ মেরামত কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(৪) কর্তৃপক্ষ
বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন ঘোষিত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয় সাধন করিয়া যে কোন ধরনের ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা জলাধার খননের জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৫) অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, পর্যটন এলাকায় মহাপরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে কোন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলে উহা ধারা ৪৮ এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(৬) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
নির্মাণাধীন ভবন, জলাধার খনন, পাহাড় কাটা, ইত্যাদি স্থগিতকরণ বা বন্ধ বা অপসারণ
২৫। (১) কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনবোধে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্মাণাধীন কোন ইমারতের নির্মাণ কাজ স্থগিত বা খননাধীন কোন জলাশয়ের খনন কাজ স্থগিত বা বন্ধ করিবার বা টিলা কাটার কাজ স্থগিত বা বন্ধ, বা কোন নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ করিবার জন্য উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক এক বৎসর কারদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
অননুমোদিত ইমারতে বসবাসরতদের উচ্ছেদ
২৬। (১) ধারা ২৫ এর অধীন নির্মাণাধীন কোন ইমারতের মালিককে নোটিশ প্রদান করা হইলে, উক্ত ইমারতের মালিক নন এমন কোন ব্যক্তি সেখানে বসবাস করিলে, তাহাকেও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ইমারত ত্যাগ করিবার জন্য নোটিশ প্রদান করিতে হইবে।
(২) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রদানের পর, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, কোন বসবাসকারী ইমারত ত্যাগ না করিলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়, উক্ত বসবাসকারীকে উচ্ছেদ করিতে পারিবেন।
কতিপয় ইমারত ও জলাশয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যতা
২৭। এই আইনের ধারা ২৫ ও ২৬ এর বিধানসমূহ সরকারি মালিকানাধীন ইমারত এবং জলাশয় এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
নীচু ভূমি ভরাট, পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত, ইত্যাদি
২৮। (১) অন্য কোন আইন বা আইনগত দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের আওতাধীন কোন এলাকার নীচু ভূমি ভরাট বা উঁচু করা বা অন্য কোন উপায়ে যে কোন নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়, পুকুর, ডোবা, কৃত্রিম জলাধার, ইত্যাদির পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, সংশোধন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
(২) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
শেয়ার বা স্বত্ব বা দখলে বিধি নিষেধ
২৯। (১) চেয়ারম্যান, সদস্য বা কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃপক্ষের কোন পদে বহাল থাকাকালে কর্তৃপক্ষের সহিত ব্যবসা-বাণিজ্য বা কোন লেনদেন বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন শেয়ার বা স্বত্ব বা দখল করিবেন না।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন শেয়ার বা স্বত্ব বা দখল করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদনকালে নিরাপত্তা বেষ্টনী, ইত্যাদি অপসারণ নিষিদ্ধ
৩০। (১) আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতীত, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কোন কার্য সম্পাদনের সময় স্থাপিত কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী বা তীরবর্তী খুঁটি বা গ্রোথিত কোন বার বা চেইন বা পোস্ট বা অনুরূপ কোন কিছু অপসারণ বা কোন বাতি সরাইয়া লওয়া বা নিভাইয়া ফেলা যাইবে না।
(২) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদনে বাধা প্রদান বা চিহ্ন অপসারণ নিষিদ্ধ
৩১। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধি অনুসারে কর্তৃপক্ষের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ বা নির্দেশিত হইয়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা কোম্পানী কর্তৃক দায়িত্ব পালনে বা কার্য সম্পাদনে বাধা প্রদান বা বিঘ্ন ঘটানো অথবা কোন কার্য সম্পাদনের জন্য আবশ্যক কোন লেবেল বা নির্দেশনার জন্য স্থাপিত কোন চিহ্ন অপসারণ করা যাইবে না।
(২) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অথবা পৌরসভা কর্তৃক ইমারত নির্মাণের অনুমতি প্রদান নিষিদ্ধ
৩২। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা পৌরসভা এই আইনের আওতাধীন বিষয়সমূহ যেমন, কোন ইমারত নির্মাণের নকশা অনুমোদন, জলাধার খনন বা পুনঃখননের অনুমতি বা অনুরূপ কোন বিষয়ে অনুমোদন বা অনুমতি প্রদান করিবে না।
(২) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন ইমারত নির্মাণ বা জলাধার খননের অনুমতি প্রদান করিলে তাহাকে উক্ত ইমারত বা জলাধারের নকশাসহ তাহার স্বাক্ষরে উক্ত অনুমতি পত্রের একটি কপি ইমারত বা জলাধার যে এলাকায় অবস্থিত উক্ত এলাকার মেয়র বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহীর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(৩) এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর ব্যত্যয় ঘটাইয়া কোন নির্মাণ কাজ বা খননের অনুমতি প্রদান করা হইলে উহা বে-আইনি ও ক্ষমতা বহির্ভূত হিসাবে গণ্য হইবে অথবা অনুরূপ অনুমতির মাধ্যমে কৃত কার্যক্রম অকার্যকর ও অননুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে।
ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘পৌরসভা’’ অর্থে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৮ নং আইন) এর ধারা ২(৪৩) অনুসারে গঠিত কক্সবাজার পৌরসভাসহ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার অন্যান্য পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত হইবে।
ক্ষতিপূরণ প্রদান না করা
৩৩। এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিপরীতে ক্ষতিপূরণের দাবী উত্থাপন করা যাইবে না।
দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত
৩৪। এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোন কার্য, গৃহীত কোন ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশের বিরূদ্ধে কোন দেওয়ানি আদালতে কোন প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।
পঞ্চম অধ্যায়
রক্ষণাবেক্ষণ, স্থানীয় কর, ইত্যাদি
কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্তকৃত সরকারি রাস্তা, নর্দমা, ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ
৩৫। কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্তকৃত সকল রাস্তা, চত্বর, ইমারত, ভূমি অথবা উহার অংশ বিশেষ কর্তৃপক্ষকে রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে, এবং কর্তৃপক্ষ, উহার তদারকিতে, অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সহিত যৌথভাবে উহার রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে।
সমাপ্ত প্রকল্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট ন্যস্তকরণ
৩৬। মহাপরিকল্পনা বা অন্তর্বর্তী পরিকল্পনাভুক্ত কোন প্রকল্পের কাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সমাপ্ত হইবার পর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত প্রকল্পের অধীন সমাপ্ত অবকাঠামো যথা, উদ্যান, রাস্তা, নর্দমা এবং অনুরূপ অন্যান্য সেবা ও সুবিধাসমূহ স্থানীয় কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ন্যস্ত করিতে পারিবে।
কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্ত ইমারতের পৌরকর পরিশোধ
৩৭। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোন ইমারত অধিগ্রহণ করা হইলে এবং কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত ইমারত ন্যস্ত হইলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে উদ্দেশ্যে উক্ত ইমারত অধিগ্রহণ করা হইয়াছে, উহা ব্যতীত ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইলে বা কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া প্রদান করা হইলে সাধারণ হারে পৌরসভা হোল্ডিং ট্যাক্স এবং অন্যান্য করসমূহ পরিশোধ করিতে হইবে।
উন্নয়ন কর ধার্যের ক্ষমতা
৩৮। (১) কর্তৃপক্ষ তদকর্তৃক গৃহীত কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে উক্ত এলাকার কোন ভূমির মূল্য বৃদ্ধি পাইয়াছে বা পাইবে বলিয়া মনে করিলে উক্ত ভূমির মালিক বা ভূমির স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এমন ব্যক্তিবর্গের উপর ভূমির মূল্য বৃদ্ধির অনুপাতে উন্নয়ন কর ধার্য করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত উন্নয়ন কর বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধার্য, নির্ধারণ ও আদায় করিতে হইবে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
কর্তৃপক্ষের তহবিল, হিসাবরক্ষণ, ইত্যাদি
কর্তৃপক্ষের তহবিল
৩৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তহবিল’ নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে।
(২) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা তহবিল গঠিত হইবে, যথা :-
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোন বিদেশি সরকার, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;
(গ) সরকার অথবা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি সংস্থা হইতে গৃহীত ঋণ;
(ঘ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং নিজস্ব আয়; বা
(ঙ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান।
(৩) কর্তৃপক্ষের তহবিল তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা পরিচালনা করিতে হইবে।
(৪) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সদস্য, কমিটির সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি, সম্মানী এবং কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এতদসংশ্লিষ্ট প্রচলিত বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতি অনুসরণ করিতে হইবে।
(৫) প্রত্যেক অর্থ বৎসরে উহার সকল ব্যয় নির্বাহের পর কর্তৃপক্ষ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখিয়া তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে জমা প্রদান করিবে।
ব্যাখ্যা । - এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘তফসিলি ব্যাংক’ বলিতে
Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত ”Scheduled Bank””
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
৪০। (১) কর্তৃপক্ষ, যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ এবং হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নিকট পেশ করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোন আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও
Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) এ সংজ্ঞায়িত ”chartered accountant” দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক ”chartered accountant” নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত ”chartered accountant” সরকার কর্তৃক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হারে পারিশ্রমিক প্রাপ্য হইবেন।
(৫) কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত ”chartered accountant” কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্তৃপক্ষের যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
(৬) এই ধারার বিধানাবলী প্রয়োগের ক্ষেত্রে
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলী, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুসরণ করিতে হইবে।
বার্ষিক বাজেট
৪১। (১) কর্তৃপক্ষ কোন অর্থ বৎসর শুরুর ১২০ (একশত বিশ) দিন পূর্বে অথবা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বার্ষিক বাজেট বিবরণীর যথার্থতা সম্পর্কে উত্থাপিত যে কোন প্রশ্ন উহার প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে অবহিত রাখিয়া অর্থ বিভাগের সহিত আলোচনাক্রমে নিষ্পত্তি করিবে।
সপ্তম অধ্যায়
জরিমানা, অপরাধের আমলযোগ্যতা, বিচার, ইত্যাদি
প্রশাসনিক জরিমানা, চার্জ, ফি, ইত্যাদি আদায়
৪২। এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীন পরিশোধযোগ্য প্রশাসনিক জরিমানা, চার্জ, ফি বা অনুরূপ দাবী
Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর অধীন Public Demands বা সরকারি দাবি হিসাবে উক্ত ব্যক্তি বা তাহার উত্তরাধিকারীদের নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে এবং প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে জমা হইবে।
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার
৪৩। (১) এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তি আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে এবং আদালত উক্ত অভিযোগ আমলে গ্রহণ করিবে।
(২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।
অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা
৪৪। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য (cognizable) এবং জামিনযোগ্য (bailable) হইবে।
অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা
৪৫। ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে অনুমোদিত যে কোন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার
৪৬।এই আইনের অন্য কোন বিধানে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ৩০ এবং ৩১ এর অধীন অপরাধসমূহ
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।
কোম্পানি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা অংশীদারী প্রতিষ্ঠান বা সমবায় সমিতি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৪৭। কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা অংশীদারী প্রতিষ্ঠান বা সমবায় সমিতি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা অংশীদারী প্রতিষ্ঠান বা সমবায় সমিতির প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
মতবিরোধ নিষ্পত্তি
৪৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প বা অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা কোন কার্যক্রমের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে উহা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আপোষ মীমাংসা না হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত বিরোধের বিষয়টি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সরকার উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য, এর সহিত পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে উহা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা না হইলে, সরকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৫(৬) এর অধীন প্রণীত Rules of Business, 1996 এ বর্ণিত বিধান অনুসারে উহা নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করিবে এবং উক্তরূপে গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
৪৯। সরকার অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো মোতাবেক কর্তৃপক্ষ, ইহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
ক্ষমতা অর্পণ
৫০। কর্তৃপক্ষ উহার যে কোন ক্ষমতা, তৎকর্তৃক বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত শর্তে, চেয়ারম্যান বা সদস্য বা কর্তৃপক্ষের অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।
বার্ষিক প্রতিবেদন
৫১। (১) প্রতি বৎসর ৩১ মার্চ এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ উহার পূর্ববর্তী বৎসরের কার্যাবলী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদনের সহিত একটি স্মারকলিপি থাকিবে, যাহাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে না পারিলে সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ না করিবার কারণ কর্তৃপক্ষ যতদূর অবগত ততদূর, লিপিবদ্ধ করিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, উহা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবে।
নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা
৫২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সময় সময়, কর্তৃপক্ষকে যে কোন নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা পালন করিতে বাধ্য থাকিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৫৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৫৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৫৫। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের নির্ভরযোগ্য ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ এবং এই বাংলা আইনের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs