প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৯ নং আইন )

কোস্ট গার্ড বাহিনীকে অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী হিসাবে গড়িয়া তুলিবার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান আইন সুসংহতকরণপূর্বক উহা পুনঃপ্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকা, কতিপয় অন্যান্য জলসীমা, উপকূলীয় অঞ্চল এবং বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমারেখায় সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধ, সম্পদের উপর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, জলসীমা সন্নিহিত স্থলভাগের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ঐ সকল এলাকায় জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নামে একটি আধা-সামরিক বাহিনী গঠন, উহার নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা, শৃঙ্খলা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বিদ্যমান কোস্ট গার্ড আইন, ১৯৯৪ সুসংহতকরণপূর্বক উহা পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক, ইত্যাদি

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইন, ২০১৬ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে, -
 
 
(১) ‘‘অধিনায়ক’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কোন জাহাজ, ঘাঁটি বা স্থাপনা, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর কর্তৃত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা কিংবা এই আইনের সকল বা যে কোন বিধান কার্যকর তথা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক অধিনায়ক হিসাবে নির্ধারিত কর্মকর্তা;
 
 
(২) ‘‘অপরাধ’’ অর্থ এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ, তবে অসামরিক অপরাধও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(৩) ‘‘অবাধ্যতা’’ অর্থ অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কোন মৌখিক, লিখিত, সাংকেতিক বা অন্য কোনভাবে প্রদত্ত আইনানুগ আদেশ অমান্য করা;
 
 
(৪) ‘‘অসামরিক অপরাধ’’ অর্থ অসামরিক আদালতে বিচার্য কোন অপরাধ;
 
 
(৫) ‘‘অসামরিক আদালত’’ অর্থ অন্য কোন আইনের অধীন গঠিত সাধারণ ও বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ফৌজদারি আদালত বা ট্রাইব্যুনাল;
 
 
(৬) ‘‘অসামরিক কোস্ট গার্ড সদস্য’’ অর্থ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী হইতে প্রেষণে কর্মরত কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা ও পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য ব্যতীত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এই আইনের অধীন প্রণীত চাকরি বিধিতে উল্লিখিত কোন পদ;
 
 
(৭) ‘‘আইন কর্মকর্তা’’ অর্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাজ এডভোকেট জেনারেল শাখা হইতে প্রেষণে নিযুক্ত অন্যূন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা অথবা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;
 
 
(৮) ‘‘আউটপোস্ট’’ অর্থ উপকূলীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত উপকূলবর্তী কোন অবস্থান বা স্থাপনা, যে স্থান বা যাহা হইতে এই আইনের অধীনে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়;
 
 
(৯) ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’’ অর্থ পেটি অফিসার বা সমমানের ও তদূর্ধ্ব পদবির প্রেষণে নিযুক্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা আধাসামরিক সমমানের ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা এবং অসামরিক কর্মকর্তা;
 
 
(১০) ‘‘এখতিয়ারভুক্ত এলাকা’’ অর্থ বাংলাদেশের জলসীমা এবং জলসীমা-সন্নিহিত স্থলভাগ;
 
 
(১১) ‘‘কর্মকর্তা’’ অর্থ ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত পদের বিপরীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য হইতে প্রেষণে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এই আইনের অধীন প্রণীত চাকরি বিধি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;
 
 
(১২) ‘‘জুনিয়র কর্মকর্তা’’ অর্থ ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত পদের বিপরীতে প্রেষণে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এই আইনের অধীন প্রণীত চাকরি বিধি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন জুনিয়র কর্মকর্তা;
 
 
(১৩) ‘‘জাহাজ’’ অর্থ এই আইনের অধীন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দায়িত্ব প্রতিপালনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কমিশন বা অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পতাকাবাহী কোনো জলযান বা নৌযান বা জাহাজ বা অনুরূপ প্রকৃতির বাহন;
 
 
(১৪) ‘‘জোন’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এক বা একাধিক স্থাপনা, ঘাঁটি, জাহাজ, স্টেশন এবং আউটপোস্ট সমন্বয়ে গঠিত এলাকা বা অঞ্চল;
 
 
(১৫) ‘‘জোনাল কমান্ডার’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা যিনি একাধিক জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর সমন্বয়ে গঠিত জোনের অধিনায়ক;
 
 
(১৬) ‘‘জলসীমা’’ অর্থ বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকা, এবং সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য জল এলাকা;
 
 
(১৭) ‘‘জলসীমা-সন্নিহিত স্থলভাগ’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশের জলসীমা সন্নিহিত এলাকা যা সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
(১৮) ‘‘তফসিল’’ অর্থ এই আইনের তফসিল;
 
 
(১৯) ‘‘নির্দেশ’’ অর্থ এই আইনের অধীন মহাপরিচালক কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশ;
 
 
(২০) ‘‘নৌযান’’ অর্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনী অথবা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জাহাজ বা কোস্ট গার্ড নৌযান ব্যতীত, অন্য কোনো জাহাজ, জলযান, বোট বা নৌপোত;
 
 
(২১) ‘‘পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এ উল্লিখিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্য;
 
 
(২২) ‘‘পবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
(২৩) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
(২৪) ‘‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীনে গঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড;
 
 
(২৫) ‘‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আদালত’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৬৯ তে উল্লিখিত আদালত;
 
 
(২৬) ‘‘বাহিনী’’ অর্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের কমিশনপ্রাপ্ত প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা, এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমন্বয়ে এই আইনের ধারা ৪ এর অধীন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নামে গঠিত আধা-সামরিক (para-military) বাহিনী;
 
 
(২৭) ‘‘বাহিনীর সদস্য’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর কোন সদস্য;
 
 
(২৮) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ বাহিনীর মহাপরিচালক;
 
 
(২৯) ‘‘রিজিওন’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এক বা একাধিক জোনের সমন্বয়ে গঠিত এলাকা বা অঞ্চল;
 
 
(৩০) ‘‘রিজিওনাল কমান্ডার’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা, যিনি এক বা একাধিক জোনের সমন্বয়ে গঠিত রিজিওনের অধিনায়ক;
 
 
(৩১) ‘‘শত্রু’’ অর্থ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং বাহিনীর সদস্যগণের জন্য হুমকি স্বরূপ যে কোন প্রকারের বিদ্রোহী, দাঙ্গাকারী, সন্ত্রাসী, জলদস্যু বা অস্ত্রধারী;
 
 
(৩২) ‘‘সমুদ্র সীমা’’ অর্থ Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974 (Act No. XXVI of 1974) এর অধীনে ঘোষিত Territorial Waters অথবা এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত এলাকা;
 
 
(৩৩) ‘‘সক্রিয় কর্তব্য’’ অর্থ কোন অধিভুক্ত ব্যক্তি যখন বাহিনীর সদস্য হিসাবে বা উহার অংশ হিসাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় টহল বা প্রহরায় অথবা উপকূলীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে অথবা আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধমূলক কাজে নিয়োজিত অথবা শত্রুর বিরুদ্ধে কোন অপারেশনে কর্তব্যরত অথবা সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের যে কোন স্থানে সন্ত্রাসী বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের কার্যে নিয়োজিত থাকেন;
 
 
(৩৪) ‘‘স্থাপনা’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভবন বা দালান বা অস্থায়ী কোন কার্যালয় বা অনুরূপ কোন স্থাপনা;
 
 
(৩৫) ‘‘স্টেশন’’ অর্থ এখতিয়ারাধীন এলাকায় এই আইনের অধীন নিরাপত্তা বিধান সংক্রান্ত কোন অবস্থান বা স্থাপনা, যাহা হইতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়; এবং
 
 
(৩৬) ‘‘হাজত’’ অর্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যকে গ্রেপ্তার করিয়া অন্তরীণ রাখিবার জন্য নির্ধারিত স্থান।
 
 
(২) এই আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে কিন্তু সংজ্ঞায়িত হয় নাই এইরূপ সকল শব্দ এবং অভিব্যক্তি বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্যান্য আইনে ব্যবহৃত সংজ্ঞা এবং অভিব্যক্তির অনুরূপ অর্থ বহন করিবে।
আইনের প্রাধান্য
৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

বাহিনীর গঠন, পরিচালনা, ইত্যাদি

বাহিনী ও উহার গঠন
৪। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নামে একটি আধা-সামরিক (para-military) বাহিনী থাকিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ অনুসারে শৃঙ্খলা বাহিনী যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে একটি শৃঙ্খলা বহিনী হইবে।
 
 
(৩) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, বাহিনীর বিভিন্ন পদের শ্রেণিবিন্যাস এবং উক্ত পদসমূহের সংখ্যা, সময় সময়, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত পদসমূহে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রদান করিতে হইবে।
 
কোস্ট গার্ড বাহিনী
৫। (১) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত সংখ্যক নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য এবং এই আইনের অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমন্বয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) কর্মকর্তা -
 
 
(১) মহাপরিচালক,
 
 
(২) অতিরিক্ত মহাপরিচালক,
 
 
(৩) উপ-মহাপরিচালক,
 
 
(৪) কোস্ট গার্ড সচিব,
 
 
(৫) জাজ এ্যাডভোকেট জেনারেল,
 
 
(৬) প্রধান পরিদর্শক ও মান নিয়ন্ত্রক,
 
 
(৭) পরিচালক,
 
 
(৮) অতিরিক্ত পরিচালক,
 
 
(৯) উপ-পরিচালক,
 
 
(১০) রিজিওনাল কমান্ডার,
 
 
(১১) জোনাল কমান্ডার,
 
 
(১২) কমান্ডিং অফিসার/ কমান্ড্যান্ট,
 
 
(১৩) নির্বাহী কর্মকর্তা/ ডেপুটি কমান্ড্যান্ট; এবং
 
 
(১৪) অন্যান্য পদবির কর্মকর্তা (অসামরিক)।
 
 
ব্যাখ্যা : অন্যান্য পদবির কর্মকর্তা (অসামরিক) বলিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রণীত চাকরি বিধি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য অসামরিক কর্মকর্তাকে বুঝাইবে।
 
 
(খ) জুনিয়র কর্মকর্তা -
 
 
(১) মাস্টার চীফ পেটি অফিসার,
 
 
(২) সিনিয়র চীফ পেটি অফিসার,
 
 
(৩) চীফ পেটি অফিসার, এবং
 
 
(৪) পেটি অফিসার ;
 
 
(গ) পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য -
 
 
(১) লিডিং সেইলর,
 
 
(২) অ্যাবল সেইলর, এবং
 
 
(৩) অর্ডিনারি সেইলর ; এবং
 
 
(ঘ) এই আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) ও (৪) অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
 
 
(২) যুদ্ধাবস্থা চলাকালীন সময়ে কিংবা সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন দ্বারা অপারেশন ও প্রশিক্ষণের জন্য বা অপর কোন জরুরি বা বিশেষ কারণে কোন কর্তব্যকে সক্রিয় কর্তব্য ঘোষণা করা হইলে উক্ত কর্তব্যের জন্য যাহাদিগকে কোস্ট গার্ড বাহিনীকে সহায়তার জন্য তলব করা হয় তাহাদিগকেও উক্ত সহায়তাকালীন সময়ের জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর কর্মকর্তা বা সদস্য হিসাবে গণ্য করা হইবে এবং উক্তরূপভাবে নিয়োজিত থাকাকালে কোন কর্মকর্তা বা সদস্য চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিলে বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত হইবেন।
 
 
অধিভুক্ত ব্যক্তি
৬। (১) এই আইনে অধিভুক্ত ব্যক্তি অর্থে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা :
 
 
(ক) কর্মকর্তা (বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ;
 
 
(খ) জুনিয়র কর্মকর্তা (প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্ষেত্রে উক্ত বাহিনীর বিধান অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক নিযুক্ত পেটি অফিসার হইতে মাস্টার চীফ পেটি অফিসার সমমর্যাদা সম্পন্ন পদবিধারী সদস্য) ;
 
 
(গ) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক নিযুক্ত এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিধান অনুযায়ী প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য ;
 
 
(ঘ) অসামরিক কোস্ট গার্ড সদস্য যিনি এই আইনের অধীন এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন কিংবা সক্রিয় কর্তব্যে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি বা বাহিনীর কোন সম্পত্তি বা দাপ্তরিক বিষয় সম্পর্কিত কোন অপরাধে অভিযুক্ত হন;
 
 
(ঙ) অন্য কোনভাবে অধিভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও যাহাদের বিরুদ্ধে -
 
 
(অ) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বা উহার কোন জাহাজ, ঘাঁটি, স্থাপনা, আউটপোস্ট বা অবস্থান স্থল বা অর্পিত কোন দায়িত্বের স্থানে দায়িত্ব পালনকালে বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট কোন জাহাজ, ঘাঁটি বা অনুরূপ সম্পর্কিত কোন কার্যক্রম পরিচালনাকালে কৃত অপরাধের জন্য Official Secrets Act, 1923 (Act No. XIX of 1923) এর অধীনে অভিযোগ আনয়ন করা হয় ; অথবা
 
 
(আ) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তিকে তাহার কর্তব্য বা সরকারের প্রতি তাহার আনুগত্য প্রদর্শন করা হইতে বিরত থাকিতে প্ররোচনা করিবার বা প্ররোচনা করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিবার অপরাধে অভিযোগ আনয়ন করা হয়।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক)-(ঘ) তে উল্লিখিত প্রত্যেক ব্যক্তি যতদিন না চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ, চাকরিচ্যুত, অপসারিত, বরখাস্ত বা অব্যাহতি লাভ করেন ততদিন পর্যন্ত অধিভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ উল্লিখিত কোন ব্যক্তি যতদিন না তাহার অপরাধের নিষ্পত্তি হইবে ততদিন পর্যন্ত অধিভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 
বাহিনীর সদর দপ্তর
৭। ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর’ নামে ঢাকায় বাহিনীর একটি সদর দপ্তর থাকিবে এবং বিভাগীয় বা জেলা শহরে রিজিয়ন সদর দপ্তর এবং কোন জেলা বা উপজেলায় জোনাল সদর দপ্তর থাকিতে পারিবে।
মহাপরিচালক, ইত্যাদি
৮। (১) বাহিনীর প্রধান হিসাবে একজন মহাপরিচালক থাকিবেন এবং তিনি উক্ত বাহিনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন।
 
 
(২) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ নৌবাহিনী হইতে, প্রেষণে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিযুক্ত হইবেন।
 
 
বাহিনীর তত্ত্বাবধান, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ
৯। (১) বাহিনী সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকিবে এবং মহাপরিচালক, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলীর সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত সাধারণ আদেশ ও নির্দেশ অনুসারে বাহিনী পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করিবেন।
 
 
(২) মহাপরিচালক, কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণ এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলী দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

বাহিনীর কার্যাবলী, ক্ষমতা, শৃঙ্খলা, ইত্যাদি

বাহিনীর কার্যাবলী
১০। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, উহার এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় বাহিনীর কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :
 
 
(ক) বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করা ;
 
 
(খ) যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সহায়তা করা ;
 
 
(গ) সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা ;
 
 
(ঘ) নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও দমন করা এবং এতদুদ্দেশ্যে অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা ;
 
 
(ঙ) বাংলাদেশের জলসীমা দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা বাংলাদেশ হইতে অবৈধ গমন প্রতিরোধ করা এবং মানব পাচার প্রতিরোধ করা ;
 
 
(চ) প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করা এবং দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান, মানুষ এবং মালামাল উদ্ধার করা ;
 
 
(ছ) কোন নৌযান বা উহাতে অবস্থানরত ব্যক্তির ব্যাপারে আদালত বা অন্যবিধ কর্তৃপক্ষের পরোয়ানা বা অন্য কোন আদেশ বলবৎ করা ;
 
 
(জ) পরিবেশ দূষণকারী কার্যকলাপ অনুসন্ধান এবং উহা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা ;
 
 
(ঝ) মাদকদ্রব্য পাচার এবং চোরাচালান প্রতিরোধ করা ;
 
 
(ঞ) অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ প্রতিরোধ করা ;
 
 
(ট) প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সতর্কবাণীসহ অন্যান্য তথ্য বেতার বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা ;
 
 
(ঠ) নিয়মিত টহল দেওয়া ও এতদ্‌সম্পর্কিত দায়িত্ব পালন ;
 
 
(ড) কর্মরত ব্যক্তিগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ; এবং
 
 
(ঢ) সময় সময়, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোন দায়িত্ব সম্পাদন করা।
 
বাহিনীর সদস্যগণের ক্ষমতা
১১। (১) সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ও সীমা সাপেক্ষে, বাহিনীর এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় উহার যে কোন সদস্য বা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণির সদস্য তফসিলে উল্লিখিত আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা উহা সংঘটিত হইয়াছে মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে এইরূপ কোন স্থানে বা কোন যানে প্রবেশ, তল্লাশী বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেহ বা মালামাল তল্লাশী উক্ত অপরাধ সম্পর্কিত মালামাল আটকের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা পুলিশ বাহিনীর কোন সদস্য কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য কোন নির্দিষ্ট বা সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তফসিল সংশোধন করিতে পারিবে।
 
 
বাহিনীর সদস্যগণের দায়িত্ব
১২। ধারা ১০ এ উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদন এবং বাহিনীর তত্ত্বাবধান, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকল্পে মহাপরিচালক বাহিনীর সদস্যগণের দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করিতে পারিবে।
বাহিনীর শৃঙ্খলা
১৩। (১) বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য মহাপরিচালক এবং উক্ত সদস্যের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোন আইনানুগ আদেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
(২) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন -
 
 
(ক) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের কমিশনপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা প্রেষণে বাহিনীর কর্মকর্তা,
 
 
(খ) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কোন সদস্য প্রেষণে বাহিনীর জুনিয়র কর্মকর্তা, এবং
 
 
(গ) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কোন সদস্য প্রেষণে এই আইনের ধারা ৫ এর দফা (গ) তে উল্লিখিত পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য,
 
 
হিসাবে নিয়োজিত থাকাকালে চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিলে বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে, তিনি যে শৃঙ্খলা বাহিনী হইতে প্রেষণে আসিবেন সেই বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(৩) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত অসামরিক কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য বা অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিলে বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত হইবেন।
 
 
গেফতারকৃত ব্যক্তি, ইত্যাদি সোপর্দকরণ
 
১৪। বাহিনীর সদস্য কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা কোন মালামাল বা অন্য কোন কিছু আটক করিলে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে বা আটককৃত মালামাল বা অন্য কোন কিছু -
 
(ক) সামুদ্রিক এলাকায় উক্ত গ্রেফতার বা আটকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ এবং উক্ত আইনে এইরূপ কোন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত না থাকিলে নিকটবর্তী থানা কর্তৃপক্ষ এর হেফাজতে সোপর্দ করিবেন ; এবং
 
(খ) বাহিনীর এখতিয়ারভুক্ত অন্য কোন এলাকায় উক্ত গ্রেফতার বা আটকের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট আইনে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ এবং উক্ত আইনে এইরূপ কোন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত না থাকিলে, উক্ত গ্রেফতার স্থান বা আটক স্থানের উপর এখতিয়ারসম্পন্ন থানা কর্তৃপক্ষ এর হেফাজতে সোপর্দ করিবেন।
 
ব্যাখ্যা : ‘‘সামুদ্রিক এলাকা’’ অর্থ Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974 (Act No. XXVI of 1974) বা বিদ্যমান অন্য কোন আইন বা আইনগত দলিলে বর্ণিত বা অধীনে ঘোষিত Territorial Waters, Contiguous Zone, Exclusive Economic Zone এবং Continental Shelf ।
ক্ষমতা অর্পণ
১৫। মহাপরিচালক এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলীর অধীন তাহার উপর অর্পিত কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, বাহিনীর যে কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
মহাপরিচালকের নির্দেশ জারির ক্ষমতা
১৬। এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলীর সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, মহাপরিচালক তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সহিত সম্পাদন ও বাহিনী পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকল্পে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করিতে পারিবেন।

চতুর্থ অধ্যায়

চাকরির শর্তাবলী, অব্যাহতি, ইত্যাদি

বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশিদের অযোগ্যতা
১৭। বাংলাদেশের নাগরিক নহেন এমন কোন ব্যক্তি বাহিনীতে পদবিধারী সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হইবার বা নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।
কর্মকর্তাগণের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী
১৮। (১) সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের কমিশনপ্রাপ্ত যথাযথ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বাহিনীর কর্মকর্তা হিসাবে প্রেষণে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত অন্যান্য পদবির অসামরিক কর্মকর্তার নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী, এতদুদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এই আইনের অধীন প্রণীত চাকরি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
জুনিয়র কর্মকর্তা ও পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী
১৯। (১) সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যথাযথ পর্যায়ের কোন সদস্যকে বাহিনীর জুনিয়র কর্মকর্তা ও পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য হিসাবে প্রেষণে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) ও (গ) এ উল্লিখিত জুনিয়র কর্মকর্তা ও পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী, এতদুদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এই আইনের অধীন প্রণীত চাকরি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৩) মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, জুনিয়র কর্মকর্তাগণের মধ্য হইতে অনারারী কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
ট্রেড ইউনিয়ন, ডকুমেন্ট পকাশ, ইত্যাদি সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা
২০। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি -
 
 
(ক) কোন ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাজনৈতিক সংগঠন অথবা কোন শ্রেণিভুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হইবেন না বা কোনভাবেই উহার সহিত কোন প্রকারের সংশ্রব রাখিবেন না; অথবা
 
 
(খ) কোন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সংবাদপত্র বা কোন প্রকার প্রকাশনায় কোন সংবাদ, পুস্তক, চিঠি বা অন্য কোন প্রকার ডকুমেন্ট প্রকাশ করিবেন না বা প্রকাশে সহযোগিতা বা প্রকাশ করিবার কারণ হইবেন না; অথবা
 
 
(গ) কোন রাজনৈতিক বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে গঠিত সংগঠনের কোন মিছিল, সমাবেশ বা সভায় অংশগ্রহণ বা বক্তব্য প্রদান করিবেন না বা অন্যের দ্বারা করাইবার উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার অথবা মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বা বাহিনীর স্বার্থে কোন পেশাজীবী সংঘ বা সংগঠনের সদস্য হইতে পারিবেন।
 
 
বাহিনীর সদস্যগণের বদলী ও ছুটি
২১। বাহিনীর সদস্যগণের বদলী ও ছুটি সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
বাহিনীর সদস্যগণের চাকরি হইতে বরখাস্ত বা অপসারণ বা অব্যাহতি
২২। (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা বা জুনিয়র কর্মকর্তা বা পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যকে চাকরি হইতে বরখাস্ত, অপসারণ, অব্যাহতি বা অবসর প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) মহাপরিচালক প্রেষণ ব্যতীত জুনিয়র কর্মকর্তা বা তদনিম্ন পদবির যে কোন পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকরি হইতে বরখাস্ত, অপসারণ, অব্যাহতি বা অবসর প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং উপ-মহাপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা যিনি কমান্ড নিযুক্তিতে রহিয়াছেন তিনি কর্মকর্তা ও জুনিয়র কর্মকর্তা ব্যতীত যে কোন পদবিধারী ও তদনিম্ন পদবির কোস্ট গার্ড সদস্যকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চাকরি হইতে বরখাস্ত, অপসারণ, অব্যাহতি বা অবসর প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে যে কোন কর্মকর্তা, জুনিয়ার কর্মকর্তা ও তদনিম্ন পদবির কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক স্বেচ্ছায় দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যাহতি বা অবসর প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
চাকরি অবসানের সনদ
২৩। কোন জুনিয়র কর্মকর্তা অথবা তালিকাভুক্ত অন্যান্য কোস্ট গার্ড সদস্যকে চাকরি হইতে বরখাস্ত, অপসারণ, অব্যাহতি বা অবসর প্রদান করা হইলে তাহার অধিনায়ক কর্তৃক নিম্নবর্ণিত তথ্যসহকারে চাকরি হইতে অবসানের একটি সনদ প্রদান করা হইবে, যথা :
 
 
(ক) চাকরি হইতে অবসান প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ;
 
 
(খ) চাকরি অবসানের কারণ; এবং
 
 
(গ) বাহিনীতে তাহার চাকরির সময়কাল।
 
 
প্রশাসনিক আদেশে পদাবনমন
২৪। (১) মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা, প্রশাসনিক আদেশে, প্রেষণ ব্যতীত পরিচালক এবং তদ্‌নিম্ন অস্থায়ী পদবির কর্মকর্তাগণের অদক্ষতা বা দায়িত্বে অবহেলা বা উপযুক্ত অন্য কোন কারণে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এক স্তর নিম্ন পদে পদাবনমন করিতে পারিবেন।
 
 
(২) মহাপরিচালক অথবা রিজিওনাল কমান্ডার অথবা জোনাল কমান্ডার প্রশাসনিক আদেশে জুনিয়র কর্মকর্তাগণের অদক্ষতা বা দায়িত্বে অবহেলা বা উপযুক্ত অন্য কোন কারণে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এক স্তর নিম্ন পদে পদাবনমন করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) মহাপরিচালক অথবা রিজিওনাল কমান্ডার অথবা জোনাল কমান্ডার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন অধিনায়ক প্রশাসনিক আদেশে পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণের অদক্ষতা বা দায়িত্বে অবহেলা বা উপযুক্ত অন্য কোন কারণে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এক স্তর নিম্ন পদে পদাবনমন করিতে পারিবেন।
 
 
চাকরি অবসান ও পদাবনমন আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার
২৫। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি ধারা ২২ ও ২৪ এর অধীন গৃহীত কোন আদেশের প্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি উক্ত আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্নিরীক্ষণের (revision) জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে পারিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির নিকট পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করিতে হইবে।
 
 

পঞ্চম অধ্যায়

অপরাধ

শত্রু সম্পর্কিত গুরুতর অপরাধ
২৬। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) কোন জাহাজ, ঘাঁটি, স্থান অথবা প্রহরাস্থল শত্রুর নিকট পরিত্যাগ বা অর্পণ করেন বা উক্ত কার্য করিতে অন্যকে বাধ্য করেন, অথবা
 
 
(খ) শত্রুর উপস্থিতিতে তাহার অস্ত্র, গোলাবারুদ, যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম বা অনুরূপ কোন বিষয় পরিত্যাগ করেন, অথবা
 
 
(গ) প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে শত্রুকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, দ্রব্যসামগ্রী, অর্থ বা অননুমোদিত পন্থা দ্বারা সাহায্য করেন, অথবা
 
 
(ঘ) বন্দী না হওয়া সত্ত্বেও শত্রুকে স্বেচ্ছায় আশ্রয় প্রদান বা রক্ষা করেন, অথবা
 
 
(ঙ) যুদ্ধকালে বা কোন অভিযানের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন, আউটপোস্ট, শিবির, সামরিক বা কোস্ট গার্ড ছাউনিতে মিথ্যা বিপদ সংকেত প্রেরণ করেন অথবা আতঙ্ক, ত্রাস বা নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার করেন, অথবা
 
 
(চ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অথবা কাপুরুষতাবশতঃ শত্রুর নিকট শাস্তি পতাকা বা যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব প্রেরণ করেন, অথবা
 
 
(ছ) ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বক্তব্য রাখেন বা অন্য কোন আচরণের মাধ্যমে অধিভুক্ত অন্য কোন ব্যক্তি অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য শত্রুর বিরুদ্ধে সক্রিয় কর্তব্য হইতে বিরত থাকিতে বাধ্য হন বা বিরত থাকিতে প্ররোচিত হন অথবা শত্রুর বিরুদ্ধে সক্রিয় কর্তব্য হইতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন, অথবা
 
 
(জ) প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া শত্রু পক্ষের সহিত পত্র যোগাযোগ অথবা গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করেন অথবা এইরূপ যোগাযোগ বা তথ্য আদান-প্রদান সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া উহা অধিনায়ক অথবা অন্য কোন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকাশ না করেন, অথবা
 
 
(ঝ) যুদ্ধ বা অভিযান চলাকালে তাহার অধিনায়ককে অথবা জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট হইতে যথাযথভাবে মুক্ত না হইয়া বা অনুমতি ব্যতীত পরিত্যাগ করেন, অথবা
 
 
(ঞ) যুদ্ধবন্দী থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় ও অননুমোদিত পন্থায় শত্রুকে সেবা অথবা সাহায্য করেন, অথবা
 
 
(ট) যুদ্ধাবস্থা বিরাজকালে বাংলাদেশ শৃঙ্খলা বাহিনী অথবা উক্তরূপ বাহিনীর কোন অংশের সফলতাকে জ্ঞাতসারে বিপদাপন্ন করিয়া তোলেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
শক্র সম্পর্কিত অন্যান্য অপরাধ
২৭। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতীত যুদ্ধবন্দী অথবা দ্রব্য সামগ্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার অথবা আহতদেরকে পশ্চাৎভাবে অপসারণের অজুহাতে তাহার অবস্থান পরিত্যাগ করেন, অথবা
 
 
(খ) যথাযথ সতর্কতার অভাবে অথবা আদেশ অমান্য করিয়া বা ইচ্ছাকৃতভাবে কর্তব্যে অবহেলা করিয়া বা যুদ্ধবন্দী অবস্থা হইতে মুক্ত হইয়া চাকরিতে যোগদানে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও চাকরিতে যোগদান করিতে ব্যর্থ হন, অথবা
 
 
(গ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত শত্রুর সহিত পত্র বা অন্য কোন মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেন অথবা গোপন তথ্য আদান-প্রদান করেন বা সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রেরণ করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ১০ (দশ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্য অবস্থায় অপরাধ
২৮। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) কোন প্রহরীকে বলপ্রয়োগ করেন, আঘাত করেন অথবা অপরাধজনক বল প্রয়োগ করেন, অথবা
 
 
(খ) লুণ্ঠন করিবার উদ্দেশ্যে কোন বাড়ি বা অন্য কোন স্থানে বল প্রয়োগপূর্বক বা অনধিকার প্রবেশ করেন, অথবা
 
 
(গ) প্রহরী হিসাবে কর্তব্যরত অবস্থায় কর্তব্য স্থানে নিদ্রা যান, মাতাল হন বা অনুমতি ব্যতীত কর্তব্য স্থান ত্যাগ করেন, অথবা
 
 
(ঘ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কর্তব্য স্থান, কর্তব্য বা নিজ দল ত্যাগ করেন, অথবা
 
 
(ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলা করিয়া কোন কর্তব্য স্থান, শিবির, সামরিক বা কোস্ট গার্ড ছাউনিতে মিথ্যা বিপদ সংকেত প্রেরণ করেন অথবা আতঙ্ক, ত্রাস বা নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালান, অথবা
 
 
(চ) জানিবার অধিকারী নহেন এমন ব্যক্তির নিকট ইচ্ছাকৃতভাবে শব্দ সংকেত, শব্দ সংকেতমালা, শনাক্তকরণ সংকেত, চিহ্ন বা অনুরূপ বিষয় প্রেরণ বা অবহিত করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় অপরাধ সংঘটিত হইলে, অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে এবং যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় অপরাধ সংঘটিত হইলে, অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
বিদ্রোহ
২৯। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) বাহিনীর অভ্যন্তরে বা অন্য কোন শৃঙ্খলা বাহিনীতে কোন বিদ্রোহ সংঘটনের সূচনা করেন, বিদ্রোহের প্ররোচনা প্রদান করেন, বিদ্রোহের কারণ সৃষ্টি করেন অথবা অন্য কোন ব্যক্তির সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন অথবা বিদ্রোহে যোগদান করেন, অথবা
 
 
(খ) কোন বিদ্রোহে উপস্থিত থাকিয়া উহা দমনের জন্য যথাযথ প্রচেষ্টা বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, অথবা
 
 
(গ) কোন বিদ্রোহ সম্পর্কে জ্ঞাত থাকিয়া বা উক্তরূপ কোন বিদ্রোহের অস্তিত্ব রহিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করিয়া অথবা উক্তরূপ কোন বিদ্রোহের কারণ ঘটানোর কথা জ্ঞাত থাকিয়া অথবা কোন বিদ্রোহ, উত্তেজনা বা যড়যন্ত্রের কথা যুক্তিযুক্তভাবে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও যুক্তিসঙ্গত বিলম্ব ব্যতিরেকে তাহার অধিনায়ক বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত না করেন, অথবা
 
 
(ঘ) বাহিনীর অভ্যন্তরে অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাহার কর্তব্য বা আনুগত্য হইতে বিরত রাখিবার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
ব্যাখ্যা।- ‘‘বিদ্রোহ’’ অর্থ অধিভুক্ত দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কর্তৃক সম্মিলিতভাবে বাহিনী বা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন কর্তৃপক্ষের আইনানুগ আদেশ অমান্য করা বা উক্ত কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, প্রতিহত করা বা উৎখাত করা অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি তাহাদের বৈধ বা অবৈধ অসন্তুষ্টি সম্মিলিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকাশ করা বা উক্তরূপ কার্যকরণের কোন প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।
 
 
চাকরি হইতে পলায়ন, ইত্যাদি
৩০। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি চাকরি হইতে পলায়ন করেন অথবা চাকরি হইতে পলায়নের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক যুদ্ধাবস্থায় অথবা যুদ্ধাবস্থার নির্দেশ প্রাপ্তির পর অথবা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় অপরাধটি সংঘটিত হইলে, অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে এবং যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় অপরাধটি সংঘটিত হইলে, অনধিক ৭ (সাত) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি জ্ঞাতসারে যে কোন অবস্থায় বাহিনী অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যকে চাকরি হইতে পলায়নে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৭ (সাত) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
ছুটি ব্যতীত অনুপস্থিতি
৩১। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি –
 
 
(ক) ছুটি ব্যতীত অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকেন, অথবা
 
 
(খ) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত অনুমোদিত ছুটির অতিরিক্ত সময় অনুপস্থিত থাকেন, অথবা
 
 
(গ) ছুটিতে থাকাবস্থায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে তাহার কর্মস্থল বা জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট যাহার সহিত তিনি সংযুক্ত উক্ত কর্মস্থল বা জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট যুদ্ধাবস্থায় যাওয়ার অথবা সক্রিয় কর্তব্য পালনে নির্দেশ প্রদান করা হইয়াছে মর্মে সংবাদ প্রাপ্তির পর যথাযথ কারণ ব্যতীত অনতিবিলম্বে তথায় যোগদান করিতে ব্যর্থ হন, অথবা
 
 
(ঘ) কোন প্যারেড অথবা অনুশীলন বা কর্তব্য পালনের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে যথাযথ কারণ ব্যতীত যথাসময়ে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হন, অথবা
 
 
(ঙ) প্যারেড কিংবা লাইন অব মার্চে থাকাবস্থায় যথাযথ কারণ ব্যতীত উক্ত প্যারেড বা লাইন অব মার্চ পরিত্যাগ করেন, অথবা
 
 
(চ) কর্মস্থল বা জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্টে থাকাবস্থায় উক্ত কর্মস্থল বা জাহাজ ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর পরিসীমার বাহিরে বা নিষিদ্ধ স্থান যাহা কোন স্থায়ী বা রুটিন আদেশ দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হইয়াছে সেই স্থানে অবস্থান করেন, অথবা
 
 
(ছ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত ছুটি ব্যতীত অথবা যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা অন্য কোন শিক্ষালয়ে উপস্থিত থাকিবার আদেশ প্রদান করা সত্ত্বেও অনুপস্থিত থাকেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি অপরাধজনক বল পয়োগ ও হুমকি প্রদর্শন
৩২। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি-
 
 
(ক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপর অপরাধজনক বল প্রয়োগ বা বল প্রয়োগের চেষ্টা করেন বা আক্রমণ করেন, অথবা
 
 
(খ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি হুমকি প্রদর্শন অথবা অবাধ্যতা প্রকাশ অথবা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন, অথবা
 
 
(গ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাপ্তরিক কাজে বাধা প্রদান অথবা কোস্ট গার্ড প্রভোস্ট দলের কোন সদস্যকে কর্তব্য পালনে বাধা প্রদান অথবা কর্মকর্তার পক্ষে আদেশ পালনকারী কোন ব্যক্তি অথবা কোস্ট গার্ড প্রভোস্ট দলের সাহায্যের জন্য তলব করা হইলে, সাহায্য করিতে অস্বীকার করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় অপরাধ সংঘটিত হইলে, অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে এবং যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় অপরাধ সংঘটিত হইলে, অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
অধঃস্তন ব্যক্তিকে আঘাত
৩৩। যদি অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি তাহার নিম্ন পদমর্যাদাসম্পন্ন অধঃস্তন কোন ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে আঘাত অথবা তাহার প্রতি দুর্ব্যবহার (illtreat) করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
আইনানুগ আদেশ অমান্যকরণ
৩৪। (১) যদি অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে প্রদত্ত আইনানুগ আদেশ, যাহা তিনি মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে বা সংকেতের মাধ্যমে অথবা অনুমোদিত অন্য কোন উপায়ে প্রদান করেন, এমনভাবে অগ্রাহ্য করেন যাহাতে তাহার কর্তৃত্বের প্রকাশ্য বিরুদ্ধাচরণ প্রকাশ পায়, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ১০ (দশ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনানুগ আদেশ অগ্রাহ্য করেন তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় অপরাধটি সংঘটিত হইলে, ১০ (দশ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে এবং যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় অপরাধটি সংঘটিত হইলে, অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
গ্রেপ্তারকালীন অবাধ্যতা ও প্রতিবন্ধকতা
৩৫। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) কোন কলহ, প্রকাশ্য স্থানে মারামারি বা বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত থাকার কারণে তাহার অপেক্ষা নিম্ন পদবির হইলেও কোন উপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক তাহাকে গ্রেপ্তার করিবার আদেশ প্রদান করা হইলে, উহা মান্য করিতে অবাধ্যতা প্রকাশ করেন অথবা উক্তরূপ কর্মকর্তা বা আদেশ পালনকারীকে অপরাধজনক বলপ্রয়োগ বা আক্রমণ করেন, অথবা
 
 
(খ) অধিভুক্ত হউক বা না হউক কোন ব্যক্তির আইনানুগ জিম্মায় রাখা হইয়াছে এবং তিনি তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হউক বা না হউক তাহার প্রতি তিনি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করেন অথবা আক্রমণ করেন, অথবা
 
 
(গ) কোন কর্তব্যরত বা আদেশ পালনকারী ব্যক্তি যাহার কর্তব্য অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা অথবা তাহাকে হেফাজতে নেওয়া উক্ত ব্যক্তিকে তাহার কর্তব্যকর্মে বা আদেশ পালনে বাধা প্রদান করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ২ (দুই) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
মিথ্যা তথ্য প্রদান
৩৬। অধিভুক্ত ব্যক্তি যদি তালিকাভুক্তির সময়ে তালিকাভুক্তিকরণ কর্মকর্তার নিকট তালিকাভুক্তিকরণ ফরমে প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট কোন প্রশ্নে স্বেচ্ছায় মিথ্যা উত্তর প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
প্রতারণামূলক অপরাধ
৩৭। ।- অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) সরকারি বা বাহিনীর কোন সম্পত্তি বা অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি বা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য বা যে কোন ব্যক্তি যিনি বাহিনীতে কর্মরত বা উহার সহিত সংযুক্ত রহিয়াছেন তাহার সম্পত্তি চুরি বা অজ্ঞাতসারে সরানো বা অসাধুভাবে আত্মসাৎ বা অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করেন, অথবা
 
 
(খ) উপ-দফা (ক) এ উল্লিখিত পন্থায় কোন সম্পত্তি অর্জিত হইয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও অসাধুভাবে উহা গ্রহণ করেন বা নিজের নিকট রাখেন, অথবা
 
 
(গ) প্রতারণার উদ্দেশ্যে অথবা কোন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে লাভবান বা অবৈধভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করিবার উদ্দেশ্যে কোন কার্য বা বিচ্যুতি ঘটান, অথবা
 
 
(ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে তাহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত কোন সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
স্বেচ্ছা অসুস্থতা, নির্দয় বা অশালীন আচরণ, ইত্যাদি
৩৮। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) কর্তব্য এড়াইবার উদ্দেশ্যে অসুস্থতার ভান করেন বা ছলনা করেন বা নিজের মধ্যে রোগ বা অসুস্থতা সৃষ্টি করেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ হইতে বিলম্ব করেন বা নিজের মধ্যে রোগ বা অসুস্থতার বৃদ্ধি সাধন করেন, অথবা
 
 
(খ) নিজেকে বা অধিভুক্ত কোন ব্যক্তিকে চাকরির অযোগ্য করিবার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে বা উক্ত ব্যক্তিকে আঘাত করেন, অথবা
 
 
(গ) কোন নির্দয় বা অশালীন বা অশ্লীল বা অস্বাভাবিক প্রকৃতির ক্ষতিকর আচরণ করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ১০ (দশ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
কর্তব্যে অবহেলা, উৎকোচ গ্রহণ, ইত্যাদি
৩৯। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি চোরাচালানের সহিত সম্পৃক্ত হন অথবা চোরাচালানে সহায়তা করেন অথবা চোরাচালান দমনে ব্যর্থ হন অথবা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে আটককৃত চোরাচালানী মালামাল ছাড়িয়া দেন অথবা আটককৃত চোরাচালানী মালামালের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ আত্মসাৎ করেন অথবা মাদকদ্রব্য পাচারে সম্পৃক্ত হন বা সহায়তা করেন অথবা মানব পাচারে সম্পৃক্ত হন বা সহায়তা করেন অথবা উপকূলীয় ও এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় কর্তব্যরত থাকিয়া কর্তব্য পালনে অবহেলা করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রীয় কোন কার্য করিবার বা কোন কার্য করা হইতে বিরত থাকিবার বা কোন ব্যক্তির প্রতি পক্ষপাত বা পক্ষপাতহীনতা প্রদর্শনের কারণে পুরস্কার স্বরূপ, তাহার বৈধ পারিতোষিক ব্যতীত, অন্য কোন পারিতোষিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজের বা অন্য কাহারও জন্য অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে গ্রহণ করেন বা লাভ করেন বা গ্রহণ করিতে সম্মত হন বা গ্রহণের চেষ্টা করেন অথবা অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি উৎকোচ গ্রহণের বিষয় জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত না করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
জুয়াখেলা, মাতলামী করা, ইত্যাদি
৪০। যদি অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি, কর্তব্যরত অবস্থায় হউক বা না হউক, জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন অথবা মদ্যপ অবস্থায় মাতলামী করেন অথবা মাদকাসক্ত হন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় অপরাধটি সংঘটিত হইলে, অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে এবং যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় এই অপরাধ সংঘটিত হইলে, অনধিক ১ (এক) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বন্দী সম্পর্কিত অপরাধ
৪১। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া কোন বন্দীকে বা বাহিনীর হাজত হইতে কোন ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্ত করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় অপরাধটি সংঘটিত হইলে, অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে এবং যুদ্ধাবস্থায় বা সক্রিয় কর্তব্যরত ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় এই অপরাধ সংঘটিত হইলে, অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) অবহেলা করিয়া অথবা কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত তাহার হেফাজতে রক্ষিত কোন যুদ্ধবন্দীকে বা বন্দীকে পালাইয়া যাইতে সুযোগ প্রদান করেন; অথবা
 
 
(খ) যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মুক্ত হওয়া ব্যতীত একজন আইনানুগ বন্দী হওয়া সত্ত্বেও হাজত হইতে পলায়ন করেন বা পলায়নের চেষ্টা করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(৩) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিবার পর আইনানুগ কারণ ব্যতিরেকে উক্ত ব্যক্তিকে বিচারের জন্য সোপর্দ না করিয়া অথবা বিষয়টি তদন্তের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করিতে ব্যর্থ হইয়া উক্ত ব্যক্তিকে আটক রাখেন, অথবা
 
 
(খ) কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিবার পর গ্রেপ্তারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ বর্ণনা করিয়া লিখিত প্রতিবেদনসহ নির্ধারিত কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের সম্মুখে গ্রেপ্তারের চবিবশ ঘন্টার মধ্যে (গ্রেফতারের স্থান হইতে নির্ধারিত কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের নিকট আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যতিরেকে) বিচারের নিমিত্ত উপস্থিত বা হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হন,
 
 
তাহা হইলে তিনি, কর্মকর্তা হইলে, কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক, চাকরি হইতে বরখাস্ত অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে এবং কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যান্য পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য হইলে, অনধিক ২ (দুই) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকরণ, হারানো, ইত্যাদি
৪২। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি তাহার নিজের ব্যবহারের জন্য ইস্যুকৃত বা জিম্মায় প্রদত্ত বাহিনীর কার্যে ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, পোশাক-পরিচ্ছদ অথবা অন্য কোন সামগ্রী যাহা সরকারি বা বাহিনীর সম্পত্তি, ইচ্ছাকৃতভাবে বিনষ্ট করেন বা হারাইয়া ফেলেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক, অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে, এবং অবহেলাজনিত কারণে অপরাধটি সংঘটিত হইলে, অনধিক ২ (দুই) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন
৪৩। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি-
 
 
(ক) মিথ্যা জানিয়া বা মিথ্যা বলিয়া বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও অধিভুক্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করেন, অথবা
 
 
(খ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট অধিভুক্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়নের ক্ষেত্রে মিথ্যা জানিয়া বা অনুরূপ বক্তব্য মিথ্যা বলিয়া বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও চরিত্র ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন বিবৃতি প্রদান করেন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন প্রাসঙ্গিক সত্যকে গোপন করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক, অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
সরকারি দলিল জালকরণ ও মিথ্যা ঘোষণা
৪৪। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক অপরাধ করেন, যথা :
 
 
(ক) কোন বিবরণ, প্রতিবেদন, তালিকা, সনদ, বহি অথবা বাহিনীর বা দাপ্তরিক দলিল-পত্রাদি যাহা তাহার দ্বারা প্রস্তুতকৃত বা স্বাক্ষরিত বা কোন বিষয়বস্তু যাহার যথার্থতা নিরূপণ তাহার দায়িত্ব, উহাতে জ্ঞাতসারে বা গোপনে কোন মিথ্যা বা প্রতারণামূলক তথ্য বা বিবরণ প্রদান করেন অথবা জ্ঞাতসারে বা গোপনে প্রতারণা করিবার উদ্দেশ্যে কোন বিচ্যুতি ঘটান, অথবা
 
 
(খ) জ্ঞাতসারে বা ক্ষতিসাধন করিবার উদ্দেশ্যে বাহিনীর বা দাপ্তরিক দলিল গোপন করেন, পরিবর্তন করেন বা অপসারণ করেন বা বিনষ্ট করেন বা মুছিয়া ফেলেন, অথবা
 
 
(গ) বাহিনীর বা দাপ্তরিক কোন বিষয় জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও তৎসম্পর্কে মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও প্রতিবেদন উপস্থাপনে ব্যর্থতা
৪৫। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) বেতন, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সরঞ্জাম, পোশাক-পরিচ্ছদ বা ভাণ্ডার সম্পর্কিত কোন সরকারি বা বাহিনীর সম্পত্তির দলিল স্বাক্ষরের সময় জ্ঞাতসারে উহার গুরুত্বপূর্ণ কোন অংশ ফাঁকা রাখেন; অথবা
 
 
(খ) কোন বিবরণ বা প্রতিবেদন সম্পাদন করা বা প্রেরণ করা তাহার কর্তব্য হওয়া সত্ত্বেও উহা সম্পাদনে অস্বীকার বা অবহেলা প্রদর্শন করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
কোস্ট গার্ড আদালত ও তদন্ত পর্ষদ সংক্রান্ত অপরাধ
৪৬। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি কোস্ট গার্ড আদালতে বা তদন্ত পর্ষদে -
 
 
(ক) শপথ বা হলফ করিবার প্রয়োজন হইলে, শপথ বা হলফ গ্রহণে অস্বীকার করেন, অথবা
 
 
(খ) কোন প্রশ্নের উত্তর বা কোন তথ্য, দলিল বা অন্যান্য নথিপত্র প্রদান বা উপস্থাপন না করেন, অথবা
 
 
(গ) মিথ্যা অথবা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করেন না এইরূপ বিবৃতি প্রদান করেন অথবা পর্ষদের কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করেন, অথবা
 
 
(ঘ) অপমানজনক, হুমকি প্রদর্শনমূলক ভাষা ব্যবহার করেন বা আদালত বা তদন্ত পর্ষদের কার্যপদ্ধতি চলাকালে উহার ধারাবাহিকতায় বাধা প্রদান করেন বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
অবৈধভাবে বেতন স্থগিতকরণ
৪৭। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি বাহিনীর সদস্যগণের বেতন-ভাতা গ্রহণ করিয়া উক্ত বেতন-ভাতা অবৈধভাবে আটক করেন বা নিজ হেফাজতে রাখেন অথবা উহা যথাসময়ে প্রদান না করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ২ (দুই) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বলপূর্বক ও অবৈধভাবে অর্থ, সম্পদ, ইত্যাদি গ্রহণ
৪৮। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
 
 
(ক) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন অর্থ, সম্পদ, বস্তু, দ্রব্য বা অন্য কোন কিছু, বাহিনীর সদস্যের হউক বা না হউক, বলপূর্বক গ্রহণ করেন, অথবা
 
 
(খ) যথাযথ কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন ব্যক্তির নিকট হইতে অবৈধ উপায়ে অর্থ, সম্পদ, বস্ত্ত, দ্রব্য বা সেবা গ্রহণ করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অশোভন আচরণ
৪৯। কোন কর্মকর্তা বা কোন জুনিয়র কর্মকর্তা যদি তাহার পদমর্যাদার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এমন কোন আচরণ কিংবা চাকরির আচরণের পরিপন্থি কোন কার্য করেন তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ২ (দুই) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্য বা বিচ্যুতি
৫০। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কার্য বা বিচ্যুতি সংঘটনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন যাহা এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধের আওতায় পড়ে না কিন্তু উক্ত কার্য বা বিচ্যুতি স্পষ্টভাবে সু-আচরণ ও বাহিনীর শৃঙ্খলার পরিপন্থি হয়, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বিবিধ অপরাধ
৫১। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি-
 
 
(ক) কোন জাহাজ, ঘাঁটি, স্থাপনা, আউটপোস্ট, প্রহরার স্থান অথবা অভিযানের দায়িত্বে থাকিয়া তাহার অধঃস্তন কোন কোস্ট গার্ড সদস্য যিনি কোন ব্যক্তিকে প্রহার করিয়াছেন অথবা অন্যভাবে দুর্ব্যবহার অথবা অত্যাচার করিয়াছেন অথবা কোন মেলায় বা বাজারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিয়াছেন অথবা জনসম্মুখে সংঘটন করিয়াছেন অথবা কোন গৃহে, দোকানে বা কোন স্থানে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করিয়াছেন মর্মে অভিযোগপ্রাপ্ত হইয়া তদ্‌মর্মে ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন অথবা তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করিতে ব্যর্থ হন, অথবা
 
 
(খ) কোন ধর্মীয় গ্রন্থ বা স্থানকে অবমাননা করেন অথবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন, অথবা
 
 
(গ) আত্মহত্যা করিবার প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ গ্রহণ করেন অথবা অনুরূপ কোন প্রচেষ্টার নিমিত্তে কোন কার্য সংঘটিত করেন, অথবা
 
 
(ঘ) বাহিনীর জুনিয়র কর্মকর্তা ও তদ্‌নিম্ন পদবির কোন সদস্য কর্তব্যরত অবস্থায় না থাকিয়া বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া বাজার, শহর বা কোন আবাসস্থল বা লোকালয় অথবা জনসম্মুখে পোশাক পরিহিত অবস্থায় অথবা অনুরূপ অবস্থায় অস্ত্র বহন করিয়া ঘোরাফেরা করেন, অথবা
 
 
(ঙ) অসাধু উপায়ে বা জ্ঞাত আয়ের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এমন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেন, অথবা
 
 
(চ) নারী ঘটিত কিংবা যৌনতা সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধে লিপ্ত হন বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বহু বিবাহে আবদ্ধ হন বা বিবাহ সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেন, অথবা
 
 
(ছ) অপরাধজনক অসদাচরণ করেন,
 
 
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
অপরাধ সংঘটনের প্রচেষ্টা
৫২। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন এবং অনুরূপ প্রচেষ্টা গ্রহণ করতঃ উক্ত অপরাধ সংঘটনের নিমিত্তে কোন কার্য করেন এবং এই আইনে উক্ত প্রচেষ্টা গ্রহণের শাস্তি বিধানের জন্য যদি কোন সুস্পষ্ট বিধান না থাকে, তাহা হইলে তাহাকে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রচেষ্টাজনিত অপরাধ সংঘটনের জন্য যদি উহার শাস্তি-
 
 
(ক) মৃত্যুদণ্ড হয় তাহা হইলে, অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ড, এবং
 
 
(খ) সশ্রম কারাদণ্ড হয় তাহা হইলে উক্ত অপরাধের জন্য প্রদেয় সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের অর্ধ মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ড।
অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা
৫৩। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি বাহিনীর আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটনে অন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করেন, তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় উল্লিখিত দণ্ডে অথবা যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অসামরিক অপরাধ
৫৪। (১) ধারা ৫৫ এর বিধানাবলী সাপেক্ষে অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে এই আইনে উল্লিখিত অপরাধ ব্যতীত, কোন অসামরিক অপরাধ সংঘটন করিলে উক্ত অপরাধ এই আইনের অধীন কৃত বা সংঘটিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তাহাকে সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের জন্য নির্ধারিত দণ্ড অথবা এই আইনের অধীনে যে কোন লঘু দণ্ড প্রদান করা যাইবে।
 
 
কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক বিচার্য নয় এমন অসামরিক অপরাধ
৫৫। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি খুন বা খুন বলিয়া গণ্য নহে এইরূপ দণ্ডনীয় নরহত্যার অপরাধ করে বা ধর্ষণের অপরাধ সংঘটিত করে, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক এই আইনের অধীন বিচার্য হইবে না, যদি না অধিভুক্ত ব্যক্তি উক্ত অপরাধ নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে সংঘটন করেন, যথা :
 
 
(ক) যুদ্ধকালীন অবস্থায়; বা
 
 
(খ) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃক অপর কোন অধিভুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে তাহাকে সংশ্লিষ্ট অসামরিক অপরাধ সংঘটনের জন্য নির্ধারিত দণ্ড অথবা এই আইনের অধীনে যে কোন লঘু দণ্ড প্রদান করা যাইবে।
 
 

ষষ্ঠ অধ্যায়

দণ্ড, ইত্যাদি

কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদেয় দণ্ড
৫৬। ।- (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক বিচারের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত এক বা ক্ষেত্রমত, একাধিক দণ্ড প্রদান করা যাইবে, যথা :
 
 
(ক) মৃত্যুদণ্ড;
 
 
(খ) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড;
 
 
(গ) অসামরিক কারাগারে ভোগযোগ্য ৩ (তিন) মাসের ঊর্ধ্বে এবং অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের যে কোন মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড;
 
 
(ঘ) চাকরি হইতে বরখাস্ত;
 
 
(ঙ) পেনশনের নির্ধারিত অংশ কর্তন ব্যতিরেকে বা কর্তন সাপেক্ষে, বাধ্যতামূলক অবসর;
 
 
(চ) পদবিধারী এবং তালিকাভুক্ত সদস্যদের ক্ষেত্রে বাহিনীর হাজতে ভোগযোগ্য অনধিক ৯০ (নববই) দিনের সশ্রম কারাদণ্ড;
 
 
(ছ) জুনিয়র কর্মকর্তা এবং পদবিধারী ও তালিকাভুক্ত কোস্ট গার্ড সদস্যগণকে নিম্নতর পদে পদাবনমন;
 
 
(জ) কর্মকর্তাগণের পদোন্নতির জন্য যে কোন মেয়াদে চাকরি বাজেয়াপ্তকরণ এবং জুনিয়র কর্মকর্তা ও পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণের ক্ষেত্রে যাহাদের পদোন্নতির চাকরির জ্যেষ্ঠতার উপর নির্ভরশীল তাহাদের পদোন্নতির নিমিত্ত গণ্য যে কোন মেয়াদে জ্যেষ্ঠতাহরণ;
 
 
(ঝ) বর্ধিত বেতনের ক্ষেত্রে চাকরি বাজেয়াপ্তকরণ;
 
 
(ঞ) কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণের ক্ষেত্রে ভর্ৎসনা ও কঠোর ভর্ৎসনা;
 
 
(ট) জরিমানা;
 
 
(ঠ) কোন ব্যক্তিকে চাকরি হইতে বরখাস্তজনিত দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে বরখাস্তের সময় তাহার প্রাপ্য সমস্ত বকেয়া বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য সরকারি পাওনা বাজেয়াপ্তকরণ; এবং
 
 
(ড) বেতন ও ভাতা স্থগিতকরণ, যতক্ষণ না, তাহার কৃত অপরাধের কারণে প্রমাণিত কোন ক্ষতি বা অনিষ্টের ক্ষতিপূরণ হয়।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর (ঙ) দফায় উল্লিখিত দণ্ড, কেবল দণ্ড অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অথবা কোস্ট গার্ড আদালত কতৃক পুনর্নিরীক্ষণ (Revision) এর সময় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির প্রতিকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োগ করা যাইবে।
কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডের বিকল্প
৫৭। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, যে কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে উল্লিখিত দণ্ড অথবা উহার পরিবর্তে অপরাধের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনায় যে কোন লঘু দণ্ড প্রদান করা যাইবে।
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক জরিমানার দণ্ড সশ্রম কারাদণ্ডের সহিত একত্রে অথবা এককভাবে আরোপ করা হয়, সেই ক্ষেত্রে আদালত এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, আরোপিত জরিমানা অনাদায়ে দণ্ডিত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করিবে এবং উক্তরূপ কারাদণ্ড সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য প্রদত্ত সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত হইবে।
 
 
দণ্ড সম্পর্কিত বিশেষ বিধান
৫৮। (১) কোস্ট গার্ড আদালত চাকরি হইতে বরখাস্তের সহিত ধারা ৫৬ এ উল্লিখিত অন্য যে কোন দণ্ড একত্রে প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি ৯০ (নববই) দিন বা ততোধিক সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তাহা হইলে তিনি স্বয়ংসিদ্ধভাবে (automatically) চাকরি হইতে বরখাস্ত হইবেন।
 
 
(৩) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তিকে ৯০ (নববই) দিনের অধিক কারাদণ্ডের সহিত স্বয়ংসিদ্ধভাবে চাকরি হইতে বরখাস্ত অথবা কেবল বরখাস্ত শাস্তি প্রদান করা হইলে, উক্ত কারাদণ্ডের সহিত বরখাস্ত জনিত দণ্ড অথবা কেবল বরখাস্ত জনিত দণ্ড, সরকার অথবা মহাপরিচালক অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক ক্ষমা অথবা লাঘব করা হইলেও বরখাস্তকৃত অধিভুক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের চাকরিতে বহাল বা পুনর্বহাল করা যাইবে না।
 
 
কোস্ট গার্ড আদালত ব্যতীত অন্য পদ্ধতিতে প্রদেয় দণ্ড
৫৯। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন অধিভুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড আদালত গঠন না করিয়াও উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত লঘু দণ্ড প্রদান করা যাইবে।
 
 
(২) মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর অধিনায়ক বা কমান্ড নিযুক্তিতে রহিয়াছেন এমন কর্মকর্তা, পদবিধারী ও তালিকাভুক্ত কোস্ট গার্ড সদস্য এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের জন্য নিম্নবর্ণিত এক বা ক্ষেত্রমত, একাধিক লঘু দণ্ড প্রদান করিতে পারিবেন, যথা :
 
 
(ক) বাহিনীর হাজতে ভোগযোগ্য অনধিক ২৮ (আটাশ) দিনের সশ্রম কারাদণ্ড;
 
 
(খ) অনধিক ২৮(আটাশ) দিনের জন্য কোস্ট গার্ড ব্যারাকে অন্তরীণ;
 
 
(গ) অতিরিক্ত প্রহরা বা দায়িত্ব;
 
 
(ঘ) বিশেষ নিযুক্তি হইতে অপসারণ বা বিশেষ ভাতা বাজেয়াপ্তকরণ বা অস্থায়ী পদ হইতে নিম্নতর পদে পদাবনতি অথবা বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমন;
 
 
(ঙ) অনধিক ১২(বার) মাসের বর্ধিত বেতন বাজেয়াপ্ত বা স্থগিতকরণ;
 
 
(চ) সুকর্তব্য বা সু-আচরণ সংক্রান্ত ভাতা বাজেয়াপ্তকরণ;
 
 
(ছ) ভৎর্সনা অথবা কঠোর ভৎর্সনা;
 
 
(জ) একমাসে অনধিক ১৫(পনের) দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা; এবং
 
 
(ঝ) কোন অপরাধ সংঘটনের ফলে কোন সম্পত্তি ধ্বংস, ক্ষতি, লোকসান বা ব্যয়ের কারণ হইলে উহার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বেতন হইতে কর্তন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত দুই বা ততোধিক লঘু দণ্ড একত্রে প্রদান করা হইলে এক দণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অন্য দণ্ড কার্যকর করিতে হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত দণ্ডের পরিমাণ একত্রে ৪২(বিয়াল্লিশ) দিনের অতিরিক্ত হইবে না।
 
 
কর্মকর্তা ও জুনিয়র কর্মকর্তাদের লঘু দণ্ড
৬০। মহাপরিচালক অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, যিনি উপ-মহাপরিচালক পদবির নিম্নে নহেন, কর্মকর্তা ও জুনিয়র কর্মকর্তাকে (প্রেষণ ব্যতীত) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের জন্য নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক লঘু দণ্ড প্রদান করিতে পারিবেন, যথা :
 
 
(ক) কর্মকর্তাগণের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনধিক ১২(বার) মাসের জন্য চাকরি বাজেয়াপ্তকরণ এবং জুনিয়র কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে অনধিক ১২(বার) মাসের চাকরির জ্যেষ্ঠতাহরণ:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ দণ্ডের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির কোস্ট গার্ড আদালতের মাধ্যমে বিচার বা প্রতিকার প্রার্থনার অধিকার থাকিবে; অথবা
 
 
(খ) ভর্ৎসনা অথবা কঠোর ভর্ৎসনা; অথবা
 
 
(গ) অপরাধ সংঘটনের ফলে কোন সম্পত্তি ধ্বংস, ক্ষতি, লোকসান বা ব্যয়ের কারণ হইলে উহার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত বেতন স্থগিত অথবা প্রয়োজনীয় অর্থ বেতন হইতে কর্তন।
 
 
লঘু দণ্ড পুনর্বিবেচনা
৬১। (১) দণ্ড প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংক্ষিপ্ত নিষ্পত্তিতে প্রদেয় দণ্ডের একটি অনুলিপি অনতিবিলম্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
(২) কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত দণ্ড বাতিল, পরিবর্তন বা আংশিকভাবে হ্রাস বা সম্পূর্ণ মওকুফের প্রার্থনা করিতে চাহিলে তাহাকে উক্ত দণ্ড প্রদানের তারিখ হইতে ৯০(নববই) দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করিতে হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে বা অন্য কোনভাবে যদি প্রতীয়মান হয় যে, দণ্ড প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি বা আইনের নির্ধারিত মাত্রা হইতে অতিরিক্ত বা অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় অতি কঠোর হইয়াছে, তাহা হইলে যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, পরিস্থিতি বিবেচনায়, উক্ত দণ্ড বাতিল, পরিবর্তন বা আংশিকভাবে হ্রাস বা সম্পূর্ণ মওকুফের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 

সপ্তম অধ্যায়

গ্রেপ্তার ও বিচার-পূর্ব কার্যপদ্ধতি

অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
৬২। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনয়ন করা হইলে তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া বাহিনীর হাজতে আটক রাখা যাইবে।
 
 
(২) বাহিনীর যে কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুরূপ অধিভুক্ত ব্যক্তিকে বাহিনীর হাজতে আটক রাখিবার আদেশ এবং কর্মকর্তা ব্যতীত অধিভুক্ত অন্যান্য পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যদের ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড প্রভোস্ট সদস্য তদ্রূপ আটকাদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) কোন কর্মকর্তা অন্য কোন কর্মকর্তাকে, ঊর্ধ্বতন পদবির কর্মকর্তা হউক বা না হউক, যদি তিনি কলহ, প্রকাশ্যে মারামারি অথবা বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হন, তাহা হইলে তাহাকে গ্রেপ্তার করিবার নির্দেশ আদেশ করিতে পারিবেন।
 
 
গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে অধিনায়কের কর্তব্য
৬৩। (১) প্রত্যেক অধিনায়ক এই মর্মে সতর্ক থাকিবেন যেন, তাহার কমান্ডের আওতাধীন কোন ব্যক্তি, কোন অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়া তাহার নিকট আনীত হইলে, অভিযোগের তদন্ত শুরু করা ব্যতীত গ্রেপ্তার হইবার সময় হইতে ৪৮(আটচল্লিশ) ঘন্টার অধিক সময় আটক না থাকে, যদি না উক্ত সময়ের মধ্যে জনস্বার্থে বা চাকরির স্বার্থে উক্ত তদন্ত অনুষ্ঠান অসম্ভব হয়।
 
 
(২) ৪৮(আটচল্লিশ) ঘন্টার অধিক সময় (সকল সরকারি ছুটির দিন ও যাত্রার সময় ব্যতিরেকে) কোস্ট গার্ড হাজতে আটক প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে, আটকের বিদ্যমান কারণসমূহ উল্লেখ করিয়া অধিনায়ক অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচারের নিমিত্ত স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
 
 
গ্রেপ্তার ও বিচার শুরুর মধ্যবর্তী সময়ে করণীয়
৬৪। যুদ্ধাবস্থায় অথবা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় নহে এইরূপ যে কোন ব্যক্তির বিচারের জন্য কোস্ট গার্ড আদালত গঠন করা ব্যতীত, তাহাকে ৮(আট) দিনের অধিক সময় অন্তরীণ রাখা হইলে, তাহার অধিনায়ক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত বিলম্বের কারণ উল্লেখ করিয়া একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন এবং বিচার অনুষ্ঠান না হওয়া অথবা উক্ত ব্যক্তিকে আটক অবস্থা হইতে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি ৮(আট) দিন অন্তর অনুরূপ প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে থাকিবেন।
অসামরিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রেপ্তার
৬৫। (১) এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি, যখন কোন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কর্মকর্তার এখতিয়ারাধীন থাকেন, তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির অধিনায়কের স্বাক্ষর সম্বলিত পত্র বা আবেদন প্রাপ্তির পর অনুরূপ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিয়া বাহিনীর হাজতে হস্তান্তর করিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত গ্রেপ্তারকারী কর্তৃপক্ষ বাহিনীর কোন সদস্যকে গ্রেপ্তার করিবার পর নিকটস্থ কোন জাহাজ, ঘাঁটি, স্থাপনা অথবা আউটপোস্ট এর অধিনায়ক বা কোস্ট গার্ড প্রভোস্টকে অবহিত করিয়া উপযুক্ত কর্মকর্তার হেফাজতে হস্তান্তর করিবেন।
 
 
পলাতকের গ্রেপ্তার
৬৬। (১) যখন অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি চাকরি হইতে পলায়ন করেন, তখন তাহার অধিনায়ক উক্ত পলাতককে গ্রেপ্তারের জন্য সহায়তা প্রদান করিতে সক্ষম এইরূপ অসামরিক কর্তৃপক্ষকে উক্ত পলায়নের সংবাদটি লিখিতভাবে অবহিত করিবেন, অতঃপর অনুরূপ অসামরিক কর্তৃপক্ষ উক্ত পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিয়া বাহিনীর হেফাজতে হস্তান্তর করিবার নিমিত্ত এইরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন যেন, তাহার বিরুদ্ধে এখতিয়ারসম্পন্ন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হইয়াছে।
 
 
(২) পরোয়ানা ব্যতীত কোন পুলিশ কর্মকর্তা কোন ব্যক্তি যাহাকে তিনি যুক্তিসঙ্গতভাবে এই আইনের অধিভুক্ত একজন ব্যক্তি এবং পলাতক বা ছুটি ব্যতীত অনুপস্থিত বলিয়া মনে করেন, তাহাকে গ্রেপ্তার করিবেন এবং তাহার বিরুদ্ধে এই আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে নিকটস্থ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত করিবেন।
 
 
অভিযোগের তদন্ত সম্পর্কিত বিধান
৬৭। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যথাযথ অনুমতি ব্যতীত তাহার কর্তব্য হইতে একাধিকক্রমে ৩০(ত্রিশ) দিন অনুপস্থিত থাকিলে, সংশ্লিষ্ট জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর অধিনায়ক যথাশীঘ্র সম্ভব একটি তদন্ত পর্ষদ গঠন করিবেন এবং উক্তরূপ পর্ষদ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, শপথ বা হলফ গ্রহণের পর উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুপস্থিতিজনিত তদন্ত আরম্ভ করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত পর্ষদ অভিযুক্তের দায়িত্বে অর্পিত কোন সরকারি সম্পত্তি বা অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজ-সরঞ্জামাদি, যন্ত্রপাতি, পোশাক-পরিচ্ছদ বা নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদির ঘাটতি হইয়া থাকিলে এবং যথাযথ অনুমতি বা অন্য কোন উপযুক্ত কারণ ব্যতীত উক্ত অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হইলে, উক্তরূপ অনুপস্থিতির মেয়াদ এবং উক্ত ক্ষতির পরিমাণ, যদি থাকে, লিখিতভাবে ঘোষণা করিবে এবং উক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর অধিনায়ক কোস্ট গার্ড বহিতে উক্ত ঘোষণা লিপিবদ্ধ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত অনুপস্থিত ঘোষিত ব্যক্তি যদি পরবর্তীকালে আত্মসমর্পন না করেন বা তাহাকে গ্রেপ্তার করা না যায়, তাহা হইলে তাহাকে পলাতক বলিয়া গণ্য করা হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) হইতে (৩) এ উল্লিখিত বিষয় ব্যতীত, অন্য যে কোন বিষয়ের তদন্তের জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তদন্ত পর্ষদ গঠন ও তদন্ত অনুষ্ঠান করা যাইবে।
 
 
কোস্ট গার্ড প্রভোস্ট
৬৮। (১) মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) ও (৩) এ উল্লিখিত দায়িত্ব পালনের জন্য, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোস্ট গার্ড প্রভোস্ট পদায়ন করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোস্ট গার্ড প্রভোস্টের কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা : -
 
 
(ক) বাহিনীতে সু-আচরণ ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা;
 
 
(খ) সু-আচরণ ও শৃঙ্খলার ব্যত্যয় প্রতিরোধ করা; এবং
 
 
(গ) এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত তৎসংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন।
 
 
(৩) কোন অধিভুক্ত ব্যক্তি যখন কোন অপরাধ সংঘটন করেন বা অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন, তখন কোস্ট গার্ড প্রভোস্ট তাহাকে যে কোন সময় গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন এবং কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশ অথবা কোন কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশ কার্যকর করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
 
 

অষ্টম অধ্যায়

আদালতের গঠন, এখতিয়ার ও ক্ষমতা

কোস্ট গার্ড আদালতের প্রকারভেদ
৬৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পুরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত ৩(তিন) প্রকারের কোস্ট গার্ড আদালত থাকিবে, যথা :
 
 
(ক) স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত;
 
 
(খ) স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালত; এবং
 
 
(গ) সামারি কোস্ট গার্ড আদালত।
 
 
স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত
৭০। (১) মহাপরিচালক অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যিনি জোনাল কমান্ডারের নিযুক্তিতে রহিয়াছেন তিনি এক বা একাধিক স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত গঠন করিতে পারিবেন।
 
 
(২) অন্যূন ৩(তিন) জন অথবা ক্ষেত্রমত, ৫(পাঁচ) জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত গঠিত হইবে এবং তাহাদের প্রত্যেকের অন্যূন ১০(দশ) বৎসরের কমিশনপ্রাপ্ত বা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসাবে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে এবং তাহাদের মধ্যে অন্যূন এক জন সদস্য পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে হইবেন না।
 
 
(৩) কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তা, স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতের সদস্যগণের মধ্য হইতে একজনকে উক্ত আদালতের সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করিবেন।
 
 
(৪) কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিটি স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতে আবশ্যিকভাবে একজন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে হইবে।
 
 
(৫) এই আইনের অধীন বিচার্য যে কোন অপরাধের জন্য অধিভুক্ত যে কোন ব্যক্তির, প্রেষণ ব্যতীত, বিচার এবং এই আইনে অনুমোদিত যে কোন দণ্ড প্রদান করিবার ক্ষমতা স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতের থাকিবে।
 
 
স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালত
৭১। (১) স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত গঠন করিবার ক্ষমতাসম্পন্ন কোন কর্মকর্তা অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যিনি উপ-মহাপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এবং কমান্ডে নিযুক্ত রহিয়াছেন, এক বা একাধিক স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালত গঠন করিতে পারিবেন।
 
 
(২) অন্যূন ৩(তিন) জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালত গঠিত হইবে এবং তাহাদের প্রত্যেকের অন্যূন ৫(পাঁচ) বৎসরের কমিশনপ্রাপ্ত বা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসাবে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে এবং তাহাদের মধ্যে অন্যূন একজন সদস্য পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে হইবেন না।
 
 
(৩) কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তা, স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের সদস্যগণের মধ্য হইতে একজন সভাপতি নিয়োগ করিবেন।
 
 
(৪) কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিটি স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতে আবশ্যিকভাবে একজন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে হইবে।
 
 
(৫) স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের পরিচালক বা তদ্‌নিম্ন পদবির যে কোন কোস্ট গার্ড সদস্যকে এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধের বিচার করিবার এবং অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ড প্রদান করিবার ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
সামারি কোস্ট গার্ড আদালত
৭২। (১) সামারি কোস্ট গার্ড আদালত হইবে কোন জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর অধিনায়ক বা কমান্ডের একটি স্থায়ী আদালত।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালনাকালে জোনাল কমান্ডার কর্তৃক মনোনীত এবং অভিযুক্তের জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট ব্যতীত অন্য জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট হইতে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য একজন কর্মকর্তা অথবা জুনিয়র কর্মকর্তা উক্ত আদালতের উপস্থিত সদস্য হিসাবে বিচারকার্য প্রত্যক্ষ করিবেন, তবে তিনি বিচারের রায় ও দণ্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতামত প্রকাশ করিবার অধিকারী হইবেন না।
 
 
(৩) সামারি কোস্ট গার্ড আদালত, প্রেষণ ব্যতীত, পদবিধারী ও তালিকাভুক্ত কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক সংঘটিত এই আইনে বিচার্য শত্রু সম্পর্কিত অপরাধ, বিদ্রোহ, অসামরিক অপরাধ, অধিনায়কের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধ ব্যতীত যে কোন অপরাধের বিচার এবং অনধিক এক বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ এই আইনে অনুমোদিত যে কোন লঘু দণ্ড প্রদান করিবার ক্ষমতা থাকিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে অধিনায়কের পদমর্যাদা উপ-মহাপরিচালক সমমর্যাদার হইলে তিনি অনধিক ৬(ছয়) মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
কোস্ট গার্ড আদালতের বিলুপ্তি, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি, ইত্যাদি
৭৩। (১) কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তার নিকট যদি বাহিনীর শৃঙ্খলার স্বার্থে বা অন্য কোন কারণে কোস্ট গার্ড আদালতে বিচার কার্য চালাইয়া যাওয়া অসম্ভব বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত কোস্ট গার্ড আদালত বিলুপ্ত ঘোষণা করা যাইবে।
 
 
(২) বিচার আরম্ভ হইবার পর, কোন কোস্ট গার্ড আদালতের অপরিহার্য ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা যদি হ্রাস পায়, তাহা হইলে উক্ত কোস্ট গার্ড আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে, উক্ত কোস্ট গার্ড আদালতের সভাপতি অনতিবিলম্বে বিষয়টি লিখিতভাবে উক্ত আদালত গঠনকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী অবহিত হইবার পর কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তা এই আইনের বিধান অনুযায়ী যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তাকে উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত কোস্ট গার্ড আদালতের সদস্য হিসাবে নিয়োগ প্রদান এবং বিষয়টি উক্ত কোস্ট গার্ড আদালতের সভাপতিকে অবহিত করিবেন।
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কোস্ট গার্ড আদালতের বিলুপ্তি ঘটিলে উক্ত আদালতে বিচারাধীন অভিযুক্তের বিচার নূতনভাবে গঠিত কোস্ট গার্ড আদালতে পুনরায় আরম্ভ করা যাইবে।
 
 
দ্বিতীয়বার বিচার সম্পর্কে রক্ষণ
৭৪। যে ক্ষেত্রে অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি কোন কোস্ট গার্ড আদালত বা অসামরিক আদালত কর্তৃক কোন অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা খালাসপ্রাপ্ত হন অথবা এই আইনে উল্লিখিত বিধান অনুসারে কোন অপরাধে সংক্ষিপ্ত বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত হন, সেইক্ষেত্রে তাহাকে একই অপরাধের জন্য বা একই ঘটনার বিষয়ে কোস্ট গার্ড আদালতে দ্বিতীয়বার বিচার করা যাইবে না।
অধিভুক্ততা সমাপ্ত হইয়াছে এমন অপরাধীর দায়বদ্ধতা
৭৫। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি অধিভুক্ততা থাকাকালে কোন অপরাধ করিয়া থাকিলে তাহার অধিভুক্ততা সমাপ্তির পরও তাহাকে বাহিনীর হাজতে আটক রাখা যাইবে এবং অনুরূপ অপরাধের জন্য এমনভাবে তাহার বিচার ও তাহাকে দণ্ড প্রদান করা যাইবে যেন, তিনি এখনও এই আইনের অধিভুক্ত রহিয়াছেন।
 
 
(২) কোন অপরাধে উক্ত ব্যক্তির বিচার করা যাইবে না, যদি না উক্ত বিচার এই আইনে তাহার অধিভুক্ততা সমাপ্ত হইবার এক বৎসরের মধ্যে আরম্ভ হয় :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন কিছুই চাকরি হইতে পলায়ন অথবা বিদ্রোহ বা শক্র সম্পর্কিত অপরাধ সংঘটনকারী কোন ব্যক্তির বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না এবং অসামরিক আদালত বা কোস্ট গার্ড আদালত বা উভয় প্রকারের আদালতে বিচার্য কোন অপরাধের বিচার করিবার এখতিয়ারকে ক্ষুণ্ণ করিবে না।
 
 
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনের অধিভুক্ততা
৭৬। (১) কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক বরখাস্তের দণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশ জারির সময় হইতে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা অসামরিক কারাগারে ভোগযোগ্য সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত কারাদণ্ড ভোগের উদ্দেশ্যে দণ্ডিত ব্যক্তিকে অসামরিক কারাগার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের সময় হইতে দণ্ডিত ব্যক্তির এই আইনের অধিভুক্ততা সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(২) কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অসামরিক কারাগার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের সময় হইতে দণ্ডিত ব্যক্তির এই আইনের অধিভুক্ততা সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
বিচারের স্থান
৭৭। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে, অপরাধ সংঘটনের স্থান নির্বিশেষে তাহার বিচার ও দণ্ড প্রদান যে কোন স্থানে করা যাইবে।
কোস্ট গার্ড আদালত ও অসামরিক আদালতের যৌথ এখতিয়ারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত
৭৮। এই আইনের বিধান সাপেক্ষে কোন অসামরিক অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে যখন অসামরিক আদালত এবং কোস্ট গার্ড আদালত উভয়ের অধিক্ষেত্র থাকে, তখন কোন্ আদালতে অপরাধের বিচার নিষ্পত্তি হইবে উহা নির্ধারণে মহাপরিচালক অথবা জোনাল কমন্ডার অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্মকর্তা স্বীয় বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন, এবং যদি উক্ত কর্মকর্তা এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, বিচার কার্যক্রম কোস্ট গার্ড আদালত আরম্ভ করিবে, তাহা হইলে তিনি উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাহিনীর হাজতে আটক রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
অপরাধী হস্তান্তরের ক্ষেত্রে অসামরিক আদালতের ক্ষমতা
৭৯। (১) যে ক্ষেত্রে যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন কোন অসামরিক আদালত এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, কোন অসামরিক অপরাধ সংক্রান্ত মামলা উক্ত আদালতে বিচার করা বাঞ্চনীয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত আদালত লিখিতভাবে মহাপরিচালক অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্মকর্তাকে তাহার স্বীয় বিবেচনায় অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার নিমিত্তে নিকটস্থ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে অথবা সরকারকে অবহিত করিয়া সরকারে সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত সকল কার্যধারা স্থগিত রাখিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুরোধের প্রেক্ষিতে উল্লিখিত কর্মকর্তা অসামরিক আদালতের নিকট অপরাধীকে হস্তান্তর করিবেন অথবা কোন্ আদালতে মামলাটি বিচার করিতে হইবে, উহা নির্ধারণের নিমিত্ত বিষয়টি অবিলম্বে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।
 
 
ব্যাখ্যা- Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 549 এ উল্লিখিত অনুরূপ আইন (any similar law) অর্থে এই আইনকে, এবং কোর্ট মার্শাল অর্থে কোস্ট গার্ড আদালতকে অন্তর্ভুক্ত করিবে, এবং সামরিক অপরাধী (Military Offender) অর্থে অধিভুক্ত ব্যক্তিকে বুঝাইবে।
 

নবম অধ্যায়

আদালত কর্তৃক অনুসরণীয় পদ্ধতি

আপত্তি
৮০। ।- (১) স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত ও স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের বিচারের ক্ষেত্রে, আদালত গঠিত হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব, আদালতের সভাপতি এবং অন্যান্য সদস্যের নাম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পড়িয়া শুনাইতে হইবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এই মর্মে জিজ্ঞাসা করিতে হইবে যে, আদালতে আসন গ্রহণকারী কোন কর্মকর্তা দ্বারা বিচারে তাহার কোন আপত্তি রহিয়াছে কি না।
 
 
(২) অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্তরূপ কোন কর্মকর্তার ব্যাপারে আপত্তি করিলে তাহার আপত্তি এবং যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আপত্তি করা হইয়াছে তাহার প্রত্যুত্তর শোনা হইবে এবং অবশিষ্ট কর্মকর্তাগণ আপত্তিকৃত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে উক্ত আপত্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
 
 
(৩) ভোটাধিকারী কর্মকর্তাগণের অর্ধেক বা তদতিরিক্ত ভোটে আপত্তিটি গৃহীত হইলে, আপত্তিকৃত কর্মকর্তাকে উক্ত আদালতের সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে হইবে, এবং অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অভিযুক্ত ব্যক্তির আপত্তির অধিকার সাপেক্ষে, বিধি অনুসারে তাহার শূন্য আসন পূরণ করা যাইবে।
 
 
(৪) যদি কোন আপত্তি উত্থাপিত না হয় অথবা উত্থাপন করা হইলেও উহা বৈধ না হয় অথবা আপত্তিকৃত কোন কর্মকর্তার স্থান এমন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক পূরণ করা হয়, যাহার বিরুদ্ধে কোন আপত্তি উত্থাপিত হয় নাই বা আপত্তি উত্থাপিত হইলেও উহা বৈধ হয় নাই, তাহা হইলে উক্ত সদস্যগণ আদালতের বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখিবেন।
 
 
সদস্য, আইন কর্মকর্তা ও সাক্ষীর শপথ গ্রহণ
৮১। (১) বিচার আরম্ভ হইবার পূর্বেই কোস্ট গার্ড আদালতের প্রত্যেক সদস্য ও আইন কর্মকর্তাকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, শপথ বা হলফ গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(২) কোস্ট গার্ড আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, শপথ বা হলফ গ্রহণ করিতে হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন শিশু অপ্রাপ্ত বয়স্ক বিধায় শপথ বা হলফের প্রকৃতি অনুধাবন করিতে অসমর্থ, সেই ক্ষেত্রে আদালত তাহাকে শপথ বা হলফ গ্রহণ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
সদস্যগণের ভোটদান
৮২। (১) কোস্ট গার্ড আদালতের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে উক্ত সিদ্ধান্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুকূলে নিষ্পত্তি হইবে।
 
 
(২) স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতের ক্ষেত্রে আদালতের সদস্যগণের অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি ব্যতিরেকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যাইবে না।
 
 
(৩) আপত্তি বা রায় বা দণ্ড ব্যতীত অন্য সকল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোস্ট গার্ড আদালতের সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে।
 
 
সাক্ষী সম্পর্কিত সাধারণ নিয়ম
৮৩। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক গৃহীত সকল কার্যধারায় সাক্ষীর ক্ষেত্রে Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
ক্যামেরায় গৃহীত ছবি, রেকর্ডকৃত কথাবার্তা, ইত্যাদির সাক্ষ্যমূল্য
৮৪। Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অপরাধ সংঘটন বা সংঘটনে প্রস্তুতি গ্রহণ বা উহা সংঘটনের সহায়তা সংক্রান্ত কোন ঘটনার চলচ্চিত্র বা স্থিরচিত্র ধারণ বা গ্রহণ করিলে বা কোন কথাবার্তা বা আলাপ আলোচনা টেপ রেকর্ড বা ডিস্কে বা অনুরূপ অন্য কোন মাধ্যমে ধারণ করিলে, উক্ত চলচ্চিত্র বা স্থিরচিত্র বা টেপ বা ডিস্ক বা যে কোন প্রযুক্তি নির্ভর তথ্য সম্বলিত বস্তু বা দলিল উক্ত অপরাধের বিচারে প্রমাণ হিসাবে কোস্ট গার্ড আদালতে গ্রহণযোগ্য হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কেবল উক্ত প্রমাণের উপর ভিত্তি করিয়া কোস্ট গার্ড আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দণ্ড প্রদান করিতে পারিবে না।
 
 
সাক্ষীর প্রতি সমন
৮৫। (১) আদালত গঠনকারী কর্মকর্তা, কোস্ট গার্ড আদালত অথবা তদন্ত পর্ষদের সভাপতি, আইন কর্মকর্তা অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তির অধিনায়ক তাহার স্বহস্তে সম্পাদিত সমন দ্বারা সাক্ষ্য প্রদান অথবা কোন দলিল বা অন্য কোন বস্তু উপস্থাপন করিবার জন্য যে কোন ব্যক্তিকে উক্ত সমনে উল্লিখিত সময়ে এবং স্থানে উপস্থিত হইতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(২) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে তাহার অধিনায়কের নিকট সমন প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত অধিনায়ক তদানুসারে উহা উক্ত সাক্ষীর উপর জারি করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সাক্ষী ব্যতীত অন্যান্য সাক্ষীর ক্ষেত্রে, এখতিয়ারসম্পন্ন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সমন প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সমন এমনভাবে জারি করিবেন যেন, উল্লিখিত সাক্ষীকে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতেই তলব করা হইয়াছে।
 
 
(৪) কোন সাক্ষীকে তাহার জিম্মায় বা অধীন রক্ষিত কোন দলিল বা বিষয় উপস্থাপন করিতে সমন জারি করা হইলে, উক্ত সমনে উহার যুক্তিসঙ্গত সংক্ষিপ্ত বিবরণ থাকিতে হইবে।
 
 
(৫) কোস্ট গার্ড আদালত উহার জন্য আবশ্যকীয় হইলে ডাক ও টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ, কুরিয়ার সার্ভিস, ইন্টারনেট, টেলিফোন বা টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রক্ষিত যে কোন নথি বা দলিল তলব করিতে পারিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় কোন কিছুই Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) section 123 এবং 124 এর বিধানকে ক্ষুণ্ণ করিবে না।
সাক্ষীকে পরীক্ষা করিবার কমিশন
৮৬। (১) যদি বিচার চলাকালীন সময়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে কোন সাক্ষীকে পরীক্ষা করা অপরিহার্য বলিয়া কোস্ট গার্ড আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় এবং উক্ত সাক্ষীর উপস্থিতি যদি অহেতুক বিলম্ব, অত্যধিক ব্যয় অথবা অন্যান্য অসুবিধার কারণে সম্ভবপর না হয় বা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অযৌক্তিক বলিয়া গণ্য হয়, তাহা হইলে আদালত এখতিয়ারসম্পন্ন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোন কর্মকর্তাকে উক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কমিশন নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(২) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তাকে কমিশন নিযুক্ত করা হইলে, তিনি সাক্ষী যে স্থানে বসবাস করেন, সেই স্থানে গমন করিবেন এবং তিনি Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) ও Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর বিধান অনুযায়ী সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করিবেন।
কমিশন কর্তৃক সাক্ষীকে পরীক্ষা
৮৭। (১) কমিশন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রশ্নমালার আলোকে, মামলার প্রসিকিউটরের উপস্থিতিতে উক্ত সাক্ষীকে পরীক্ষা করিবেন।
 
 
(২) প্রসিকিউটর এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনজীবীর মাধ্যমে অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্তরীণ না থাকিলে, স্বশরীরে অনুরূপ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত হইতে পারিবেন এবং প্রয়োজনমত উক্ত সাক্ষীকে জবানবন্দী, জেরা এবং পুনঃজবানবন্দী গ্রহণ করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) এই ধারার অধীন কমিশনের কার্যাবলী যথাযথভাবে সম্পাদিত হইবার পর কমিশন সাক্ষীর জবানবন্দীসহ সংশ্লিষ্ট কাগজাদি উক্ত কোস্ট গার্ড আদালতের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
অভিযোগ গঠন করা হয় নাই এমন অপরাধে দণ্ড প্রদান
৮৮। (১) পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে পলায়নের প্রচেষ্টা গ্রহণের অভিযোগে অথবা ছুটি ব্যতীত অনুপস্থিতির জন্য কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে।
 
 
(২) কোন ব্যক্তি অপরাধজনক বল প্রয়োগের অভিযোগে অভিযুক্ত হইলে, তাহাকে আক্রমণের (assault) অভিযোগে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে।
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি হুমকিমূলক ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত হইলে, তাহাকে অবাধ্যতামূলক ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে।
 
 
(৪) কোন ব্যক্তি ধারা ৩৭ এর দফা (ক) হইতে (ঘ) তে উল্লিখিত যে কোন অপরাধে অভিযুক্ত হইলে, তাহাকে উক্ত অপরাধসমূহের যে কোনটির জন্য, যাহাতে সে অভিযুক্ত হইতে পারিত, কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে।
 
 
(৫) কোন ব্যক্তি কোস্ট গার্ড আদালতের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধে অভিযুক্ত হইলে, তাহাকে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধান অনুসারে যে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা যাইত উক্তরূপ যে কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে।
 
 
(৬) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য কোস্ট গার্ড আদালতে অভিযুক্ত হইলে তাহাকে উক্ত অপরাধ সংঘটনের প্রচেষ্টা অথবা প্ররোচনার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, যদিও উক্ত প্রচেষ্টা অথবা প্ররোচনার অভিযোগে তাহাকে পৃথকভাবে অভিযুক্ত করা হয় নাই।
 
 
কোস্ট গার্ড বাহিনীর সদস্য তালিকাভুক্তির ফরম
৮৯। (১) পদবিধারী কোস্টগার্ড সদস্য তালিকাভুক্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক এতদুদ্দ্যেশ্যে কোন তালিকাভুক্তি ফরমে প্রদত্ত স্বাক্ষর এই আইনের যে কোন কার্যধারায় তালিকাভুক্ত ব্যক্তি যেরূপ বিবৃতির মাধ্যমে উত্তর প্রদান করিয়াছেন সেইরূপে উহা সাক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হইবে।
 
 
(২) তালিকাভুক্তি ফরমের জিম্মাদার কর্মকর্তা কর্তৃক তালিকাভুক্তি ফরমের মূলকপি বা এতদুদ্দেশ্যে প্রত্যায়িত তালিকাভুক্তি ফরমের একটি অনুলিপি উপস্থাপনের মাধ্যমে অনুরূপ ব্যক্তির তালিকাভুক্তি প্রমাণ করা যাইবে।
 
 
কতিপয় দলিলের সাক্ষ্যমূল্য
৯০। (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত চাকরি অবসানের সনদ বা কোন অধিভুক্ত ব্যক্তি বাহিনীর কোন জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্টে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন কি না সে সম্পর্কে পত্র, রিটার্ণ বা অন্য কোন দলিল মহাপরিচালক বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন কর্মকর্তা বা তাহার পক্ষে অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইলে উহা এই আইনের অধীন সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে।
 
 
(২) বাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত বাহিনীর সদস্যগণের কোন তালিকা বা গেজেটে প্রকাশিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা জুনিয়র কর্মকর্তার পদ ও মর্যাদা এবং অনুরূপ কর্মকর্তা কর্তৃক সদর দপ্তর, জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্টে পদায়ন সংক্রান্ত পত্র সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।
 
 
(৩) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি অনুসারে কোন সার্ভিস বহিতে লিপিবদ্ধ কোন বিবরণ বা কর্তব্যের প্রতিপালনে লিপিবদ্ধ কোন বিবরণ যাহা অধিনায়ক বা অনুরূপ বিবরণ লিপিবদ্ধকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত, উহা অনুরূপ দলিলে উল্লিখিত সমস্ত ঘটনার সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।
 
 
 
 
(৪) কোন সার্ভিস বহির কোন বিবরণীর বিষয়ে উক্ত সার্ভিস বহির জিম্মাদার কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সত্যায়িত অনুলিপি উক্ত লিপির সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য ইবে।
 
 
(৫) যে ক্ষেত্রে অধিভুক্ত কোন ব্যক্তির পলায়ন বা ছুটি ব্যতীত অনুপস্থিতির অভিযোগে বিচার অনুষ্ঠিত হয় এবং অনুরূপ ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন ইউনিট বা কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তির হেফাজতে আত্মসমর্পণ করেন বা অনুরূপ কর্মকর্তা বা ব্যক্তি কর্তৃক গ্রেপ্তার হন সেই ক্ষেত্রে তৎসংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক বা গ্রেপ্তারকারী ব্যক্তির জাহাজ, ঘাঁটি, স্টেশন অথবা আউটপোস্ট এর অধিনায়ক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ, প্রয়োজনবোধে, উক্ত আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তার হইবার ঘটনা, তারিখ এবং স্থান সম্বলিত বর্ণনার সনদ, উল্লিখিত বিষয়ের সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।
 
 
(৬) যে ক্ষেত্রে অধিভুক্ত কোন ব্যক্তির পলায়ন অথবা ছুটি ব্যতীত অনুপস্থিতির অভিযোগে বিচার অনুষ্ঠিত হয় এবং অনুরূপ ব্যক্তি যখন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিম্নপদবির নহেন এমন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট আত্মসমর্পণ করেন অথবা অনুরূপ পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রেপ্তার হন, সেই ক্ষেত্রে অনুরূপ পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ, যাহাতে উক্ত ব্যক্তি আত্মসমর্পণ বা গ্রেফতারের ঘটনা, তারিখ ও স্থানের বর্ণনা রহিয়াছে উহা উল্লিখিত বিষয়ে সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।
 
 
(৭) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বা স্বীকৃত কোন রাসায়নিক পরীক্ষক বা সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষকের নিকট পরীক্ষার জন্য উপস্থাপিত কোন বস্তু বা বিষয়ের উপর পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ এবং প্রতিবেদনের জন্য প্রেরিত হইলে উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন, এই আইনের অধীনে কোন কার্যধারার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।
 
 
অভিযুক্ত কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তার বরাত
৯১। (১) যে ক্ষেত্রে পলায়ন বা অনুমতি ব্যতিরেকে ছুটি বা ছুটি সমাপ্ত হইবার পর ছুটিতে থাকা অথবা তলব করিবার পরও চাকরিতে যোগদান না করা সংক্রান্ত অপরাধের বিচারে বা কোন কার্যধারার অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার আত্মপক্ষ সমর্থনে পর্যাপ্ত বা যুক্তিসঙ্গত অযুহাত উপস্থাপন করিয়া প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন কর্মকর্তার বরাত দেন এবং অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনে উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্য প্রমাণিত বা অপ্রমাণিত হইতে পারে বলিয়া আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয়, সেইক্ষেত্রে আদালত বা কার্যধারা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা উক্ত কর্মকর্তাকে এতদুদ্দেশ্যে তাহার বক্তব্য প্রদান করিবার জন্য লিখিত নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং তাহার উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আদালত সাময়িকভাবে মুলতবি রাখিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন কর্মকর্তার নিকট হইতে লিখিত জবাব প্রাপ্তির পর, উহা তৎকর্তৃক স্বাক্ষরিত হইলে, সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে এবং আদালতে বা কার্যধারা পরিচালনাকারী কর্মকর্তার সম্মুখে শপথ বা হলফ করিয়া বক্তব্য প্রদানের ন্যায় গুরুত্ব বহন করিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত জবাব প্রাপ্তিতে অত্যধিক বিলম্ব হইলে, আদালত অন্যান্য সকল বিষয় বিবেচনাপূর্বক যাহা ন্যায়সঙ্গত বিবেচিত হইবে তদানুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
 
 
পূর্বের দণ্ড এবং সাধারণ চরিত্র সম্পর্কিত সাক্ষ্য
৯২। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি কোন অপরাধে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, আদালত উক্ত ব্যক্তির পূর্বের কোন কোস্ট গার্ড আদালত বা অসামরিক আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড বা এই আইনের অধীন সংক্ষিপ্ত নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রদত্ত দণ্ড সম্পর্কে অনুসন্ধান, সাক্ষ্য গ্রহণ ও লিপিবদ্ধ করিতে পারিবেন, অধিকন্তু উক্ত ব্যক্তির সাধারণ চরিত্র ও অন্যান্য নির্ধারিত বিষয়ে অনুসন্ধান এবং উহার ফলাফল লিপিবদ্ধ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) এই ধারার অধীন গৃহীত সাক্ষ্য মৌখিক অথবা লিখিত আকারে বা কোস্ট গার্ড আদালতের কার্যধারা হইতে সত্যায়িত উদ্ধৃতাংশ অথবা অন্য কোন দাপ্তরিক নথি হইতে সংকলন করা যাইতে পারে এবং এই আইনের অধীন অভিযুক্তকে বিচারের পূর্বে তাহার পূর্বের দণ্ড বা সাধারণ চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হইবে মর্মে লিখিত বা মৌখিকভাবে অবহিত করিবার প্রয়োজন হইবে না।
 
 
(৩) সামারি কোস্ট গার্ড আদালতে বা আদালত পরিচালনাকারী কর্মকর্তা যথাযথ মনে করিলে অভিযুক্তের পূর্বের দণ্ড, তাহার সাধারণ চরিত্র এবং অনুরূপ অন্যান্য নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে যাহা তাহার স্বীয়জ্ঞান হইতে লব্ধ, এই ধারার পূর্ববর্তী বিধান অনুসারে প্রমাণ না করিয়া লিপিবদ্ধ করিতে পারিবেন।
 
 
অভিযুক্ত অপ্রকৃতিস্থ হইবার ক্ষেত্রে বিধান
৯৩। (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোস্ট গার্ড আদালতের বিচারের পর্যায়ে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপ্রকৃতিস্থ হইবার কারণে তাহার আত্মপক্ষ সমর্থন অযোগ্য অথবা উক্ত ব্যক্তি আনীত অভিযোগে উল্লিখিত কার্যটি সংঘটিত করিলেও অপ্রকৃতিস্থতার কারণে কৃতকর্মের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করিতে অপারগ ছিলেন অথবা ইহা অনুধাবন করিতে অক্ষম ছিলেন যে উহা অন্যায় বা আইনের পরিপন্থি, সেই ক্ষেত্রে আদালত তদানুসারে তাহার রায় লিপিবদ্ধ করিবে।
 
 
(২) কোস্ট গার্ড আদালতের সভাপতি অথবা সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের ক্ষেত্রে বিচার পরিচালনাকারী কর্মকর্তা অবিলম্বে কার্যধারা অনুমোদনকারী কর্মকর্তাকে বা যে ক্ষেত্রে সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না, সেই ক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্মকর্তার নিকট উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়টি অবহিত করিবেন।
 
 
(৩) এই ধারার বিধান অনুযায়ী, ক্ষেত্রমত, কার্যধারা অনুমোদনকারী কর্মকর্তা যদি রায়টি অনুমোদন না করেন, তাহা হইলে মূল অভিযোগের বিচার সম্পন্ন করিবার জন্য বিষয়টি একই আদালত বা অন্য কোন কোস্ট গার্ড আদালতের বিচারের জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে নির্ধারিত কর্মকর্তা যাহার নিকট সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় সম্পর্কে অবহিত করা হইয়াছে এবং কার্যধারা অনুমোদনকারী কর্মকর্তা অনুরূপ রিপোর্টকৃত বিষয়ে রায় অনুমোদন করিবার পর অভিযুক্তকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অন্তরীণ রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করিবেন।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর বিধান অনুসারে রিপোর্ট প্রাপ্তির পর সরকার অভিযুক্তকে পাগলা গারদে আটক অথবা অন্য কোন উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ জিম্মায় রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
অপ্রকৃতিস্থ অভিযুক্ত ব্যক্তির সুস্থ হইবার পর বিচার
৯৪। যে ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপ্রকৃতিস্থ হইবার কারণে আত্মপক্ষ সমর্থনে অযোগ্য হন এবং অন্তরীণ বা বন্দী থাকেন, সেই ক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্মকর্তা, যদি অনুরূপ ব্যক্তি -
 
 
 
 
(ক) অন্তরীণ থাকেন, তাহা হইলে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে সক্ষম মর্মে মেডিকেল অফিসার রিপোর্ট প্রদান করিলে, অথবা –
 
 
 
 
(খ) নিরাপদ জিম্মায় থাকেন, তাহা হইলে কারা মহা পরিদর্শক, এবং যদি পাগলা গারদে থাকেন, তবে উক্ত পাগলা গারদের যে কোন দুই বা ততোধিক পরিদর্শক, এবং যদি অভিযুক্ত অন্য কোন স্থানে আটক থাকেন তাহা হইলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অপরাধী আত্মপক্ষ সমর্থনে সক্ষম মর্মে সনদ প্রদান করিলে,
 
 
কোস্ট গার্ড আদালতে অথবা অসামরিক অপরাধের ক্ষেত্রে অসামরিক আদালতে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
 
 
অপ্রকৃতিস্থ অভিযুক্তের অবমুক্তি
৯৫। যে ক্ষেত্রে অপ্রকৃতিস্থ অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি কারাগারে অন্তরীণ থাকেন অথবা আটক বা নিরাপদ জিম্মায় থাকেন, সেই ক্ষেত্রে -
 
 
(ক) অন্তরীণের ক্ষেত্রে মেডিকেল অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতে, অথবা
 
 
(খ) আটকের ক্ষেত্রে, অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নিজের বা অপরের কোন ক্ষতিসাধন করিবার ভীতি না থাকিবার কারণে মুক্তি দেওয়া যাইতে পারে মর্মে যে কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সনদের প্রেক্ষিতে,
 
 
সরকার উক্ত ব্যক্তিকে মুক্তির আদেশ প্রদান অথবা কারাগারে অন্তরীণ রাখিবার অথবা যদি তাহাকে ইতিমধ্যে অনুরূপ পাগলা গারদে না পাঠানো হইয়া থাকে, তাহা হইলে পাগলা গারদে পাঠাইবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
মালামালের হেফাজত ও নিষ্পত্তি সম্পর্কে আদেশ
৯৬। কোস্ট গার্ড আদালতের বিচারে যখন কোন মালামাল সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হয় বা যখন কোন অপরাধ সংঘটনে উহাকে ব্যবহার করা হইয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তখন আদালত তাহার নিজস্ব বিবেচনায় যেভাবে যথাযথ মনে করে সেইভাবে বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উহার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত মালামাল যদি পচনশীল বা দ্রুত বিনষ্ট যোগ্য হইবার বিষয়বস্ত্ত হয়, তাহা হইলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করিয়া উহা বিক্রয় বা অন্যভাবে নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
মালামালের বিলি-বন্টন
৯৭। (১) কোস্ট গার্ড আদালতে বিচার সমাপ্ত হইবার পর উক্ত আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ অনুমোদনকারী কর্মকর্তা অথবা তাহার ঊর্ধ্বতন কোন কর্তৃপক্ষ অথবা যে ক্ষেত্রে অনুমোদনকারী কর্মকর্তার অনুমোদনের প্রয়োজন নাই সেই ক্ষেত্রে উক্ত কোস্ট গার্ড আদালত বা তাহার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেইরূপ মনে করেন সেইরূপে আদালতের নিকট উপস্থাপিত মালামাল বা নথিপত্র যাহা অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হইয়াছে, উহা ধ্বংস, সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত বা বৈধ দাবীদারের নিকট অথবা অন্যভাবে হস্তান্তর করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন আদেশ প্রদান করা হয়, সেই ক্ষেত্রে বিচারের স্থান নির্বিশেষে, উক্ত আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত ও প্রত্যয়িত একটি অনুলিপি উক্ত মালামাল সংক্রান্ত অপরাধ যে জেলায় সংঘটিত হইয়াছে, উক্ত জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বা ক্ষেত্রমত, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং আদেশ প্রাপ্তির পর উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধান অনুসারে আদেশ কার্যকর করিবার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
 
 
(৩) এই ধারায় ‘মালামাল’ অর্থে যে মালামালের ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হয়, কেবল উক্ত মালামাল অন্তর্ভুক্ত করিবে না, বরং এইরূপ মালামালকে বুঝাইবে যাহা রূপান্তরিত বা বিনিময় হইয়াছে এবং রূপান্তর বা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জিত মালামালও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 
 
কোস্ট গার্ড আদালতের ক্ষমতা
৯৮। এই আইনের বিধান অনুসারে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনুষ্ঠিত কোন বিচারিক কার্যক্রম Penal Code, 1860 অনুযায়ী বিচারিক কার্যক্রম হিসাবে গণ্য হইবে এবং কোস্ট গার্ড আদালত Code of Criminal Procedure, 1898 অনুযায়ী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।

দশম অধ্যায়

রায় অনুমোদন, পুনর্বিবেচনা, ইত্যাদি

রায় ও দণ্ডাদেশ অনুমোদন
৯৯। এই আইনের বিধানানুসারে অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত ও স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের কোন রায় বা দণ্ডাদেশ কার্যকর করা যাইবে না।
স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ অনুমোদন করিবার ক্ষমতা
১০০। স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতের রায় এবং দণ্ডাদেশ মহাপরিচালক অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুমোদন করিতে পারিবেন।
স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ অনুমোদন করিবার ক্ষমতা
১০১। স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতের রায় এবং দণ্ডাদেশ মহাপরিচালক অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুমোদন করিতে পারিবেন।
শর্ত আরোপের ক্ষমতা
১০২। অনুমোদন প্রদানকারী কর্মকর্তা তাহার স্বীয় বিবেচনা অনুযায়ী শর্ত, সীমাবদ্ধতা বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করিতে পারিবেন।
রায় অনুমোদনকারী কর্তৃক দণ্ডের মাত্রা হ্রাস, লাঘব, ইত্যাদি
১০৩। বিধি দ্বারা নির্ধারিত সীমাবদ্ধতা, নিয়ন্ত্রণ বা শর্ত সাপেক্ষে, কোস্ট গার্ড আদালতের দণ্ডাদেশ অনুমোদন করিবার সময় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশের মাত্রা হ্রাস বা লাঘব অথবা আদালত কর্তৃক অপরাধীকে অন্যান্য যে দণ্ড প্রদান করা যাইত অনুরূপ কোন দণ্ডকে লঘু মাত্রায় পরিবর্তন অথবা দণ্ডটি যদি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়, তাহা হইলে উহাকে যে কোন লঘু দণ্ডে পরিবর্তন করিতে পারিবেন।
রায় বা দণ্ডাদেশ পুনর্নিরীক্ষণ (Revision)
১০৪। (১) কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একবারই সংশোধনার্থে পুনর্নিরীক্ষণ করা যাইবে এবং উক্তরূপ পুনর্নিরীক্ষণের সময় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দেশিত হইলে, আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) পুনর্নিরীক্ষণ আদালত, অপরিহার্য কারণে কোন কর্মকর্তার অনুপস্থিতি ব্যতীত, মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার সমন্বয় গঠিত হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত অপরিহার্য কারণে অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে কারণটি কার্যধারায় যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া আদালত পুনর্নিরীক্ষণের কার্যক্রম শুরু করিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালতের ক্ষেত্রে কর্মকর্তার সংখ্যা ৩ (তিন) জন অথবা ৫ (পাঁচ) জন এবং স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের ক্ষেত্রে ৩ (তিন) জন হইবে।
 
 
সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ
১০৫। সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ কোন প্রকার অনুমোদন ব্যতীত তৎক্ষণাৎ কার্যকর করা যাইবে।
সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের কার্যধারা প্রেরণ
১০৬। সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের কার্যধারা অনতিবিলম্বে স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালত গঠনের ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত কর্মকর্তার বা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অপরাধ বা উহার গুনাগুণ বিবেচনা করিয়া কার্যধারাটি বাতিল করিতে পারিবেন বা দণ্ড লাঘব করিতে পারিবেন।
ত্রুটিপূর্ণ রায় অথবা দণ্ডাদেশের প্রতিস্থাপন
১০৭। (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দোষী হিসাবে প্রদত্ত রায় অনুমোদিত হইবার পূর্বে অথবা রায় অনুমোদনের প্রয়োজন না থাকিলে রায় ঘোষণার পর কোন কারণে রায়টি ত্রুটিপূর্ণ প্রতীয়মান হয় বা সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত না হয়, সেই ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এই আইনের বিধান অনুযায়ী নূতন রায় দ্বারা প্রতিস্থাপন করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক রায়টি যথাযথ ও আইনসম্মতভাবে প্রদান করা যাইত তাহা হইলে উল্লিখিত অপরাধের জন্য প্রযোজ্য দণ্ডও প্রতিস্থাপন করিতে পারিবে।
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশ অনুমোদিত হইবার পূর্বে বা যে ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশ অনুমোদনের প্রয়োজন নাই, উপ-ধারা (১) অনুসারে নূতন রায়ের প্রেক্ষিতে প্রতিস্থাপিত দণ্ডাদেশ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কোন কারণে প্রদত্ত দণ্ড ত্রুটিপূর্ণ বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ যথাযথ বলিয়া বিবেচিত দণ্ডাদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) যে ত্রুটিপূর্ণ দণ্ডের জন্য উপ-ধারা (১) বা উপ-ধারা (২) এর অধীন নূতন দণ্ড প্রতিস্থাপিত হয় কোন অবস্থাতেই উহা প্রদেয় দণ্ড অপেক্ষা অধিক হইবে না।
 
 
(৪) এই ধারার অধীন কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ নূতন কোন রায় ও দণ্ডাদেশের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হইলে এবং প্রতিস্থাপিত রায়ের প্রেক্ষিতে অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড প্রদান করা হইলে, উহা এমনভাবে কার্যকর হইবে যেন উহা কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদান করা হইয়াছে।
 
 
কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার
১০৮। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত বা স্পেশাল সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় বা দণ্ডাদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, উক্ত রায় বা দণ্ডাদেশ অনুমোদিত হইবার পূর্বে, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তার নিকট অথবা অনুমোদিত হইবার পর সরকার, মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট দণ্ডের গুরুত্ব অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রতিকার প্রার্থনা করিয়া আবেদন করিতে পারিবেন।
 
 
(২) সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় বা দণ্ডাদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কার্যধারা প্রতিস্বাক্ষরের পূর্বে কার্যধারা প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট এবং প্রতিস্বাক্ষরের পর মহাপরিচালক বা স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত গঠনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার প্রার্থনা করিয়া আবেদন করিতে পারিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অনুমোদনকারী কর্মকর্তা, প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্মকর্তার পদমর্যাদা হইতে উচ্চতর হইবেন :
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এই ধারায় রায় বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাহিয়া আবেদন করিলে তিনি এই আইনের অধীন কোন আপিল দায়ের করিতে পারিবেন না।
 
 
(৩) সরকার, উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত শর্তাবলী ক্ষুণ্ণ না করিয়া এই ধারা অনুসারে প্রাপ্ত কোন প্রতিকারের আবেদন মহাপরিচালক অথবা অন্য কোন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন।
 
 
কোস্ট গার্ড আদালতের কার্যধারা বাতিলকরণ
১০৯। সরকার অথবা মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোস্ট গার্ড আদালতের কার্যধারা বেআইনি অথবা অন্যায্য হইয়াছে মর্মে বাতিল করিতে পারিবেন।

একাদশ অধ্যায়

আপিল

কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনাল
১১০। (১) কোস্ট গার্ড আদালতের নিম্নবর্ণিত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাইবে, যথা:-
 
 
(ক) চাকরি হইতে বরখাস্ত;
 
 
(খ) অসামরিক কারাগারে ভোগযোগ্য যে কোন মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড;
 
 
(গ) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড; এবং
 
 
(ঘ) মৃত্যুদণ্ড।
 
 
(২) দণ্ডাদেশ জারির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) কার্যদিবসের মধ্যে এই ধারার অধীন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপিল দায়ের করিতে হইবে।
 
 
কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন
১১১। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এক বা একাধিক কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করিতে পারিবে এবং কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনাল ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট হইবে যাহাতে ১ (এক) জন সভাপতি ও অন্য ২ (দুই) জন সদস্য থাকিবে।
 
 
(২) ন্যূনতম অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি হইবেন এবং সদস্যদ্বয়ের একজন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অন্য কোন বাহিনীর আইন কর্মকর্তা এবং অপর জন অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োজিত কোন আইন কর্মকর্তা হইবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে কোস্ট গার্ড আদালতের রায় বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে উক্ত আদালতের কোন সদস্য আপিল ট্রাইব্যুনালে সভাপতি বা সদস্য হইতে পারিবেন না।
 
 
কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার ও ক্ষমতা
১১২। (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদন মহাপরিচালকের মাধ্যমে কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রহণ করিবার এখতিয়ার থাকিবে।
 
 
(২) কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আপিল গৃহীত হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল উহা পরীক্ষা করিবে এবং পরীক্ষান্তে আপিলের যথাযথ কারণ থাকিলে উহাতে অগ্রসর হইবেন, অন্যথায় কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া আপিলটি খারিজ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) আপিল নিষ্পত্তি করণার্থে ট্রাইব্যুনাল যথাযথ মনে করিলে সাক্ষীগণকে হাজিরকরণ, কমিশন নিয়োগ, দলিল দাখিল ও সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড আদালতের অনুরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(৪) আপিল ট্রাইব্যুনাল কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় ও দণ্ডাদেশ বহাল, বৃদ্ধি, হ্রাস, পরিবর্তন বা বাতিলের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আপিল ট্রাইব্যুনাল কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশ বৃদ্ধি করিতে চাহিলে আসামির উপস্থিতিতে তাহার বক্তব্য শ্রবণ করিতে হইবে।
 
 
(৫) আপিল ট্রাইব্যুনাল উহার নিকট উপস্থাপিত আইনগত ও তথ্যগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে এবং আপীল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
আদালতের এখতিয়ার বারিত
১১৩। এই আইনের বিধান ব্যতীত কোস্ট গার্ড আদালত এবং কোস্ট গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনালের কোন কার্যধারা, রায়, আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অন্য কোন প্রশাসনিক ফোরাম বা অসামরিক আদালত বা সুপ্রিম কোর্টে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি উক্তরূপ দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন, মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার প্রার্থনা করিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় বা আদেশ বা সিদ্ধান্ত ঘোষণার ২০ (বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন।
 
 

দ্বাদশ অধ্যায়

দণ্ডাদেশ কার্যকরকরণ, ক্ষমা, ইত্যাদি

মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করিবার পদ্ধতি
১১৪। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে অপরাধীকে গলায় ফাঁস লাগাইয়া মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ঝুলাইয়া মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করিতে হইবে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ গণনা
১১৫। যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়, সেই ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশের মেয়াদ আদালত বা ট্রাইব্যুনালের সভাপতি কর্তৃক মূল কার্যধারা স্বাক্ষরিত হইবার তারিখ হইতে এবং সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের কার্যধারা আদালত পরিচালনাকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবার তারিখ হইতে গণনা করিতে হইবে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা সশ্রম কারাদণ্ড কার্যকরকরণ
১১৬। যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় অথবা মৃত্যু দণ্ডাদেশকে লঘু দণ্ডে পরিবর্তন করিয়া যাবজ্জীবন বা সশ্রম কারাদণ্ডে রূপান্তর করা হয়, সেই ক্ষেত্রে দণ্ডে ভোগকারী ব্যক্তির অধিনায়ক অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত ফরমে লিখিত ওয়ারেন্টের মাধ্যমে সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তিকে অসামরিক কারা কর্তৃপক্ষের নিকট বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কারা ভোগের জন্য প্রেরণ করিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সশ্রম কারাদণ্ড ৯০ (নববই) দিনের অধিক না হইলে দণ্ড অনুমোদনকারী কর্মকর্তা বা যে ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশ অনুমোদন করিবার প্রয়োজন হয় না, সেই ক্ষেত্রে আদালত উক্ত দণ্ড কোস্ট গার্ড হাজতে অতিবাহিত হইবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
বিশেষ ক্ষেত্রে কারাদণ্ডাদেশ কার্যকরকরণ
১১৭। যে ক্ষেত্রে মহাপরিচালকের পক্ষে অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এইরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা এই মর্মে অভিমত প্রকাশ করেন যে, কোন দণ্ডাদেশ বা কারাদণ্ডের কোন অংশ বিশেষ, এই আইনের বিধান অনুযায়ী সুবিধাজনকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত কর্মকর্তা উক্ত দণ্ড বা দণ্ডাদেশের অংশ যে কোন অসামরিক কারাগার বা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে আটক রাখিয়া কার্যকর করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
যাবজ্জীবন ও সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদীর অন্তর্বর্তীকালীন আটক
১১৮। এই আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রে, কয়েদীকে যথাস্থানে হস্তান্তর না করা পর্যন্ত তাহাকে সশ্রম কারাদণ্ডের ন্যায় দণ্ডাদেশ ভোগ করিতে হইবে এবং এই সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ তাহার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ হিসাবে গণ্য হইবে।
অসামরিক কারা কর্তৃপক্ষের নিকট সংশোধিত ওয়ারেন্ট প্রেরণ
১১৯। যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন যথাযথভাবে কোন দণ্ডাদেশ বাতিল বা পরিবর্তন করা হয়, সেই ক্ষেত্রে যে আদেশ বা ওয়ারেন্ট বলে উক্ত ব্যক্তিকে অসামরিক কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয়, উক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট পরিবর্তিত আদেশের প্রেক্ষিতে সংশোধিত ওয়ারেন্ট প্রেরণ করিতে হইবে।
জরিমানার দণ্ড কার্যকরকরণ
১২০। যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন জরিমানার দণ্ড আরোপ করা হয়, সেই ক্ষেত্রে আদালতের সভাপতি, বা ক্ষেত্রমত, আদালত গঠনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক উক্ত আদেশের একটি কপি স্বাক্ষরিত ও প্রত্যয়িত করিয়া সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বা ক্ষেত্রমত, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট উহা প্রাপ্তির পর উক্ত জরিমানা Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ উল্লিখিত জরিমানা সংক্রান্ত বিধান অনুসারে আদায় করিবেন।
সরকার ও মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমা ও লাঘব
১২১। যে ক্ষেত্রে অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যখন কোন অভিযোগে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হন এবং দাখিলকৃত দরখাস্ত প্রত্যাখ্যাত হয়, অথবা তাহার আপিলটি অগ্রাহ্য বা প্রত্যাখ্যান করা হয়, সেই ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজের কৃত অপরাধের জন্য দোষ স্বীকার করিয়া এবং অনুতপ্ত হইয়া ভবিষ্যতে এই ধরণের কোন কাজ করিবে না মর্মে অঙ্গীকার করিয়া আবেদন করিলে ৫ (পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড বা তদূর্ধ্ব দণ্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রে সরকার এবং অন্যান্য পরিমাণ দণ্ডের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক -
 
 
(ক) কোন শর্ত ব্যতীত বা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বীকৃত শর্ত সাপেক্ষে, তাহাকে ক্ষমা করিতে পারিবেন অথবা দণ্ড আংশিক বা সম্পূর্ণ লাঘব, অথবা
 
 
(খ) প্রদত্ত দণ্ডের মাত্রা হ্রাস, অথবা
 
 
(গ) প্রদত্ত দণ্ডকে এই আইনে উল্লিখিত অন্য যে কোন লঘু মাত্রার দণ্ডে রূপান্তর, অথবা
 
 
(ঘ) কোন শর্ত ব্যতীত বা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বীকৃত শর্ত সাপেক্ষে, তাহাকে প্যারোলে মুক্তি প্রদান, করিতে পারিবেন।
 
 
শর্তযুক্ত ক্ষমা, লাঘব বা প্যারোলে মুক্তি বাতিলকরণ
১২২। (১) এই আইনের অধীন যদি কোন শর্তে কোন কোন অপরাধীকে ক্ষমা করা হয় বা তাহার দণ্ড হ্রাস করা হয় অথবা তাহাকে প্যারোলে মুক্তি প্রদান করা হয় এবং ক্ষমা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত শর্ত পূরণ করা হয় নাই, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় উক্ত ক্ষমা বা দণ্ড হ্রাস বা প্যারোলের আদেশটি বাতিল করিতে পারিবেন এবং তৎপ্রেক্ষিতে আদালত প্রদত্ত দণ্ডাদেশ এমনভাবে কার্যকর করা যাইবে যেন অপরাধীকে উক্ত ক্ষমা বা দণ্ড লাঘব বা প্যারোলে মুক্তি প্রদান করা হয় নাই।
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন ব্যক্তির দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হইবে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে দণ্ডাদেশের কেবল অভোগকৃত বা অনতিবাহিত অংশটুকু ভোগ করিতে হইবে।
 
 
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সশ্রম কারাদণ্ডের দণ্ডাদেশ স্থগিতকরণ
১২৩। (১) যে ক্ষেত্রে অধিভুক্ত কোন ব্যক্তিকে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং এই আইনের অধীন প্রতিকারের জন্য দাখিলকৃত দরখাস্তটি প্রত্যাখ্যাত হয় অথবা তাহার আপিলটি অগ্রাহ্য বা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই ক্ষেত্রে সরকার, মহাপরিচালক বা স্পেশাল কোস্ট গার্ড আদালত গঠন করিবার ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তা, অপরাধীকে ইতিমধ্যে কারাগারে বা বাহিনীর হেফাজতে প্রেরণ করা হউক বা না হউক উক্ত দণ্ড স্থগিত করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা অনুরূপ কোন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপরাধীর ক্ষেত্রে এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, উক্ত কর্তৃপক্ষের আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত অপরাধীকে কারাগার বা বাহিনীর হেফাজতে প্রেরণ করা হইবে না।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ প্রদত্ত ক্ষমতা যেই সকল দণ্ড অনুমোদিত বা হ্রাস বা লঘু দণ্ডে রূপান্তর করা হইয়াছে, সেই সকল ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যাইবে।
 
 
স্থগিতকরণের প্রেক্ষিতে দণ্ডাদেশ মুলতবি রাখিবার আদেশ
১২৪। (১) যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন দণ্ডাদেশ স্থগিতের আদেশ প্রদান করা হয়, সেই ক্ষেত্রে আদেশ প্রদানকারী কর্মকর্তা, এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত অপরাধীকে কারাগার বা বাহিনীর হেফাজতে প্রেরণ করা হইবে।
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে সামারি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়, সেই ক্ষেত্রে বিচার পরিচালনাকারী কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
দণ্ড স্থগিতকরণের প্রেক্ষিতে মুক্তি
১২৫। যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়, সেই ক্ষেত্রে কারাগার বা হাজতে প্রেরণ করা হউক বা না হউক অপরাধীকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করা যাইবে।
স্থগিত দণ্ডাদেশের ক্ষেত্রে সময় গণনা
১২৬। যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়, সেই ক্ষেত্রে স্থগিত দণ্ডাদেশের মেয়াদ উক্তরূপ দণ্ডাদেশের অংশ হিসাবে গণ্য হইবে।
স্থগিতকরণ, বাতিল অথবা লাঘবের আদেশ প্রদানের ক্ষমতা
১২৭। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা দণ্ডাদেশ স্থগিত থাকাকালীন যে কোন সময় এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে,
 
 
(ক) অপরাধীকে দণ্ডাদেশের অনতিবাহিত অংশ ভোগ করিতে হইবে; অথবা
 
 
(খ) উক্ত দণ্ডাদেশ লাঘব হইবে।
 
 
দণ্ডাদেশ স্থগিতকরণ পরবর্তী পুনর্বিবেচনা
১২৮। (১) যে ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে অনধিক ৪ (চার) মাস অন্তর অন্তর এই আইনে উল্লিখিত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত স্থগিত দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা করিতে হইবে।
 
 
(২) যদি উপ-ধারা (১) এর অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক পুনর্বিবেচনায় ইহা প্রতীয়মান হয় যে, দণ্ডের মেয়াদ আরম্ভ হইবার পর হইতে অপরাধীর পরিবর্তিত আচরণ তাহার দণ্ড লাঘবের ন্যায্যতা প্রতিপাদন করে, তাহা হইলে তিনি এই আইনে উল্লিখিত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করিবেন।
 
 
দণ্ডাদেশ স্থগিতকরণের পর নূতন দণ্ড আরোপের পদ্ধতি
১২৯। কোন অপরাধীর দণ্ডাদেশ স্থগিত থাকা অবস্থায় অন্য কোন অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে যদি তাহার পরবর্তী দণ্ড-
 
 
(ক) স্থগিত রাখা হয়, তাহা হইলে স্থগিত উভয় দণ্ড একই সঙ্গে গণনা করা হইবে;
 
 
(খ) ৩ (তিন) মাস বা ৩ (তিন) মাসের অধিক হয় এবং এই আইনের বিধান অনুসারে স্থগিত রাখা না হয়, তাহা হইলে অপরাধীকে তাহার পূর্ব দণ্ডের অনতিবাহিত অংশের জন্য কারাগারে বা বাহিনীর হেফাজতে প্রেরণ করা যাইবে এবং সেই ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড একই সঙ্গে চলিতে থাকিবে; এবং
 
 
(গ) ৩ (তিন) মাস বা ৩ (তিন) মাসের কম সময়ের জন্য হয় এবং এই আইনের বিধান অনুসারে স্থগিত রাখা না হয়, তাহা হইলে অপরাধীকে কেবল বর্তমান দণ্ড ভোগ করিবার জন্যই কারাগারে বা বাহিনীর হেফাজতে প্রেরণ করা হইবে এবং পূর্বতন দণ্ড, এই আইনের অধীন প্রদেয় যে কোন আদেশ সাপেক্ষে স্থগিত আদেশ চলমান থাকিবে।
 
 
স্থগিতকরণ আদেশের পরিধি
১৩০। এই আইনের অধীন প্রদেয় ক্ষমতা দণ্ডাদেশের মাত্রা হ্রাস, লাঘব বা লঘু দণ্ডে রূপান্তরিত করিবার ক্ষমতার অতিরিক্ত হইবে এবং উহার কোন ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করিবে না।
বরখাস্তের উপর স্থগিতকরণ ও লাঘবের প্রভাব
১৩১। (১) যে ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অন্যান্য দণ্ডের অতিরিক্ত বরখাস্তজনিত দণ্ড প্রদান করা হয় এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য দণ্ড স্থগিত করা হয়, সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত বরখাস্ত কার্যকর হইবে না।
 
 
(২) যদি এই আইনের অধীন অন্যান্য দণ্ড লাঘব করা হয়, তাহা হইলে বরখাস্তের দণ্ডও লাঘব হইবে।
 
 

ত্রয়োদশ অধ্যায়

বিবিধ

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৩২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে বিধি প্রণয়ন করা যাইবে, যথা :
 
 
(ক) বাহিনীর সংগঠন, রক্ষণাবেক্ষণ, আদেশ প্রদান, ক্ষমতা অর্পণ, নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা;
 
 
(খ) আধা সামরিক ও অসামরিক পদে কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য বা এই আইনের অধীন অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের নিয়োগ, পদোন্নতি, চাকরির মেয়াদ ও অন্যান্য শর্তাবলী;
 
 
(গ) পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য পদে তালিকাভুক্তি সম্পর্কিত বিষয়াদি;
 
 
(ঘ) মহাপরিচালক ও কর্মকর্তাগণের শ্রেণি, পদবি এবং তাহাদের অধঃস্তন ব্যক্তিগণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণের ক্ষমতা ও এখতিয়ার;
 
 
(ঙ) কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদবিধারী সদস্যগণের বাহিনীর চাকরি হইতে বরখাস্ত, অপসারণ, অবসর ও অব্যাহতি;
 
 
(চ) কোস্ট গার্ড আদালতের গঠন, অনুষ্ঠান, বিরতি, বিলুপ্তি, কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক অনুসরণীয় পদ্ধতি, বিচার, প্রসিকিউশন এবং অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তির নিয়োগ ও কার্যপদ্ধতি;
 
 
(ছ) কোস্ট গার্ড আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশ অনুমোদন, পুনর্বিবেচনা ও বাতিল এবং দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার ও আপিলের বিধান;
 
 
(জ) কোস্ট গার্ড আদালতের গঠন, কার্যধারা, দণ্ড কার্যকরণ সম্পর্কিত ফরম্‌স ও আদেশসমূহ;
 
 
(ঝ) এই আইনের বিধানাবলীর কার্যকর প্রয়োগের নিমিত্তে, গ্রেপ্তার, হাজতে আটক, তদন্ত ও অন্তরীণ রাখা এবং বিচারে সোপর্দকরণ ও দোষী সাব্যস্তকরণ;
 
 
(ঞ) তদন্ত পর্ষদের গঠন, কার্যধারা, সাক্ষীগণের সমন ও শপথ;
 
 
(ট) কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা ও পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণের প্রশিক্ষণ; এবং
 
 
(ঠ) বাহিনীর প্রশাসন, পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণের বেতন-ভাতা, পেনশন ও আনুতোষিক সম্পর্কিত বিধানসহ অন্যান্য যে কোন প্রয়োজনীয় বিষয়।
 
 
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৩৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা :
 
 
(ক) বিভিন্ন পদে পদায়ন ও পদবির দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা;
 
 
(খ) কোস্ট গার্ড সদস্যের জন্য বিভিন্ন সুবিধাদি;
 
 
(গ) কোস্ট গার্ড সদস্যদের স্বাস্থ্যবীমা;
 
 
(ঘ) পুরস্কার;
 
 
(ঙ) শৃঙ্খলা;
 
 
(চ) বাহিনীর লোগো, পতাকা, পোষাক, র‍্যাঙ্ক ও ব্যাজ, ইত্যাদি;
 
 
(ছ) অস্ত্র ও গোলাবারুদ;
 
 
(জ) প্রহরা ও সশস্ত্র প্রহরা;
 
 
(ঝ) বিভিন্ন ছুটির নিয়মাবলী;
 
 
(ঞ) মেডেল ও রিবন প্রদান এবং পরিধানের নিয়মাবলী;
 
 
(ট) আনুষ্ঠানিকতা;
 
 
(ঠ) জলযান ও যানবাহন মেরামত এবং অকেজো, হারানো জলযান ও যানবাহনের নিষ্পত্তি;
 
 
(ড) আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধিতে উল্লিখিত যে সকল বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে, সেই সকল বিষয়; এবং
 
 
(ঢ) বাহিনীর গঠন, তত্ত্বাবধান, পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলার প্রয়োজনে বিধিতে উল্লিখিত বিষয়াবলী ব্যতীত বাহিনীর সহিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়।
 
 
রহিতকরণ ও হেফাজত
১৩৪। (১) কোস্ট গার্ড আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ২৬ নং আইন) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
 
 
(২) উক্ত কোস্ট গার্ড আইন, ১৯৯৪ রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে -
 
 
(ক) উহার অধীন প্রতিষ্ঠিত কোস্ট গার্ড অধিদপ্তর, অতঃপর বিলুপ্ত অধিদপ্তর বলিয়া উল্লিখিত বিলুপ্ত হইবে;
 
 
(খ) বিলুপ্ত অধিদপ্তরের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং সিকিউরিটিসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তিতে বিলুপ্ত অধিদপ্তরের যাবতীয় অধিকার ও স্বার্থ, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এতদসংক্রান্ত সকল দলিল-দস্তাবেজ এই আইনের ধারা ৪ এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এ স্থানান্তরিত হইবে এবং নবসৃষ্ট বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উহার অধিকারী হইবে;
 
 
(গ) বিলুপ্ত অধিদপ্তরের সকল দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি যথাক্রমে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা বা সূচিত অন্য কোন আইনগত কার্যধারা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বা সূচিত মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
 
 
(ঙ) কোস্ট গার্ড আইন, ১৯৯৪ এর অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধি, কোন চুক্তি, আইনগত দলিল বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিলুপ্ত অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এই আইনের অধীন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তাধীনে চাকরিতে ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন।
 
 
(৩) কোস্ট গার্ড আইন, ১৯৯৪ রহিত হওয়া সত্ত্বেও উহার অধীনে প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধান, জারীকৃত কোন প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোন আদেশ, নির্দেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোন নোটিশ, বিভাগীয় কার্যধারা, বাহিনীর কোন সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহীত কোন শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা বা বাহিনীর আদালতের কার্যধারা, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল পরিকল্পনা বা কার্যক্রম উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে এবং এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন কৃত, প্রণীত, জারীকৃত, দায়েরকৃত, পেশকৃত, মঞ্জুরীকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীনে রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
 
 
আইনের ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
১৩৫। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) এই বাংলা পাঠ এবং এই আইনের অধীন প্রণীত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs