প্রিন্ট ভিউ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষত বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষার নিমিত্ত বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি, আধুনিক জ্ঞানচর্চা বিশেষ করিয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ পঠন-পাঠন ও গবেষণা কার্য পরিচালনা, নূতন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’’ প্রতিষ্ঠার গতিকে তরান্বিত করিবার লক্ষ্যে গাজীপুর জেলায় 1[ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ] নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষত বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষার নিমিত্ত বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি, আধুনিক জ্ঞানচর্চা বিশেষ করিয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ পঠন-পাঠন ও গবেষণা কার্য পরিচালনা, নূতন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’’প্র্রতিষ্ঠার গতিকে তরান্বিত করিবার লক্ষ্যে গাজীপুর জেলায় 2[ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ] নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:
১। (১) এই আইন 3[ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ] আইন, ২০১৬ নামে অভিহিত হইবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে, প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) ‘‘অনুষদ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ;
(২) ‘‘অর্থ কমিটি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ২৯ এ উল্লিখিত সদস্যগণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি;
(৩) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত বা স্থাপিত কোন ইনস্টিটিউট;
(৪) ‘‘একাডেমিক কাউন্সিল’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল;
(৫) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৮ এ উল্লিখিত কোন কর্তৃপক্ষ;
(৬) ‘‘কর্মকর্তা’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা;
(৭) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী;
(৮) ‘‘কেন্দ্র’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র;
(৯) ‘‘গবেষক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে নিয়োজিত গবেষক;
(১০) ‘‘চ্যান্সেলর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর;
(১১) ‘‘ট্রেজারার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার;
(১২) ‘‘ডিন’’ অর্থ অনুষদের ডিন;
(১৩) ‘‘প্রক্টর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর;
(১৪) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৩৯ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(১৫) ‘‘প্রভোস্ট’’ অর্থ কোন শিক্ষার্থীনিবাসের প্রধান;
(১৬) ‘‘প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর;
(১৭) ‘‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৩১-এ উল্লিখিত সদস্যগণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি;
(১৮) ‘‘বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টার যাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসাবে গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল সহযোগিতা প্রদান করিবে;
(১৯) ‘‘বিভাগ’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগ;
(২০) ‘‘বিভাগীয় চেয়ারম্যান’’ অর্থ কোন বিভাগের চেয়ারম্যান;
(২১) ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৩-এর অধীনে স্থাপিত 4[ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ];
(২২) ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় বিধি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৩৮ এর অধীন প্রণীত বিধি;
(২৩) ‘‘ভাইস-চ্যান্সেলর’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর;
(২৪) ‘‘মঞ্জুরী কমিশন’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P.O.No. 10 of 1973) এর অধীন গঠিত University Grants Commission of Bangladesh;
(২৫) ‘‘মঞ্জুরী কমিশন আদেশ’’ অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P.O.No. 10 of 1973);
(২৬) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার;
(২৭) ‘‘শিক্ষক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃত অন্য কোন ব্যক্তি;
(২৮) ‘‘শিক্ষার্থী’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে নিবন্ধিত কোন শিক্ষার্থী;
(২৯) ‘‘শিক্ষার্থীনিবাস’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ জীবন এবং শিক্ষা সহায়ক কার্যাবলির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন আবাসস্থল;
(৩০) ‘‘সিন্ডিকেট’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট;
(৩১) ‘‘সংবিধি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৩৭ এর অধীন প্রণীত সংবিধি; এবং
(৩২) ‘‘সংস্থা’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সংস্থা।
৩। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী গাজীপুর জেলায় 5[ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ] এবং ইংরেজিতে 6[University of Frontier Technology, Bangladesh] নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে।
(২) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।