প্রিন্ট ভিউ

যুবকল্যাণ তহবিল আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৩৩ নং আইন )

Youth Welfare Fund Ordinance, 1985 (Ordinance No. XL of 1985) এর বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক নূতনভাবে আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন), অতঃপর পঞ্চদশ সংশোধনী বলিয়া উল্লিখিত, দ্বারা ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সনের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহ, অতঃপর ‘‘উক্ত অধ্যাদেশসমূহ’’ বলিয়া উল্লিখিত, অনুমোদন ও সমর্থন (ratification and confirmation) সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
 
 
 
যেহেতু সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধনী) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেও উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহ ও উহাদের অধীনে প্রণীত বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন ইত্যাদি প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন, জনগণের অর্জিত অধিকার সংরক্ষণ এবং বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত, জনস্বার্থে, উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা প্রদান আবশ্যক; এবং
 
 
 
যেহেতু দীর্ঘসময় পূর্বে জারীকৃত উক্ত অধ্যাদেশসমূহ যাচাই-বাছাইপূর্বক যথানিয়মে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সময় সাপেক্ষ; এবং
 
 
 
যেহেতু পঞ্চদশ সংশোধনী এবং সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রদত্ত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনি শূন্যতা সমাধানকল্পে সংসদ অধিবেশনে না থাকাবস্থায় আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হওয়ায় তিনি ২১ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ২০১৩ সনের ২নং অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেন; এবং
 
 
 
যেহেতু সংবিধানের ৯৩(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা পূরণকল্পে উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখিবার স্বার্থে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৭ নং আইন) প্রণীত হইয়াছে; এবং
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া যে সকল অধ্যাদেশ আবশ্যক বিবেচিত হইবে সেইগুলি সকল স্টেকহোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলা ভাষায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত রহিয়াছে; এবং
 
 
 
যেহেতু আত্মকর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচনে সফল ভূমিকা রাখিবার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের উপযুক্ত যুব সংগঠনগুলিকে প্রকল্পভিত্তিক অনুদান প্রদান এবং ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য যুবদেরকে পুরস্কৃত করিবার উদ্দেশ্যে যুবকল্যাণ তহবিল প্রতিষ্ঠা এবং তদ্‌সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন; এবং
 
 
 
যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Youth Welfare Fund Ordinance, 1985 (Ordinance No. XL of 1985) এর বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক নূতনভাবে আইন প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন যুবকল্যাণ তহবিল আইন, ২০১৬ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
(১) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
(২) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ৩-এর অধীন গঠিত যুবকল্যাণ তহবিল;
 
 
(৩) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
(৪) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৫-এর অধীন গঠিত যুব কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা বোর্ড;
 
 
(৫) ‘‘যুব’’ অর্থ জাতীয় যুবনীতি অনুযায়ী, তবে জাতীয় যুবনীতির অবর্তমানে সরকার কর্তৃক যুব হিসাবে নির্ধারিত বয়সসীমার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক;
 
 
(৬) ‘‘যুব সংগঠন’’ অর্থ কোন আইনের অধীন নিবন্ধিত যুব কার্যক্রম পরিচালনা করিবার উদ্দেশ্যে যুবদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন;
 
 
(৭) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের সদস্য;
 
 
(৮) ‘‘সচিব’’ অর্থ বোর্ডের সচিব; এবং
 
 
(৯) ‘‘সিলেকশন কমিটি’’ অর্থ ধারা ৮-এর অধীন গঠিত সিলেকশন কমিটি।
তহবিল গঠন
৩। (১) Youth Welfare Fund Ordinance, 1985 (Ordinance No.XL of 1985) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত যুবকল্যাণ তহবিল এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান বা ঋণ;
 
 
(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন বিদেশি সরকার, সংস্থা বা ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত অনুদান;
 
 
(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে অন্য যে কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; এবং
 
 
(ঘ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(২) তহবিলের অর্থ যুবকল্যাণ তহবিল এর নামে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।
 
 
(৩) বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অন্যূন ২ (দু্ই) জন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে।
 
 
ব্যাখ্যাঃ ‘‘তফসিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972(P.O.127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank ।
তহবিল ব্যবহার
৪। (১) এই তহবিলের অর্থ নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাইবে, যথা :-
 
 
(ক) যুব সংগঠনসমূহকে প্রকল্পভিত্তিক অনুদান প্রদান;
 
 
(খ) সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য যুবদেরকে পুরস্কার প্রদান;
 
 
(২) বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদিসহ তহবিল পরিচালনা সংক্রান্ত সকল ব্যয় তহবিলের অর্থ হইতে নির্বাহ করিতে হইবে।
বোর্ড
৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যুব কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা বোর্ড নামে একটি বোর্ড থাকিবে, যাহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; তবে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী সকলেই বিদ্যমান থাকিলে মন্ত্রী চেয়ারম্যান, এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অন্য দুইজন বা একজন ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
(খ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সচিবও হইবেন;
 
 
(গ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
(ঘ) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
(ঙ) সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
(চ) সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
(ছ) সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পদাধিকারবলে;
 
 
(জ) মহাপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে; এবং
 
 
(ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৪(চার)টি যুব সংগঠনের মধ্য হইতে ৪(চার) জন প্রতিনিধি, যাহাদের মধ্যে অন্যূন ১(এক) জন মহিলা প্রতিনিধি থাকিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঝ) এর অধীন সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে, যে কোন সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, কোন মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।
বোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলি
৬। (১) বোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
 
(ক) এই আইনের অধীন অনুদান বা পুরস্কার প্রদানের নিমিত্ত নীতিমালা প্রণয়ন;
 
 
(খ) সিলেকশন কমিটির সুপারিশক্রমে -
 
 
(অ) বিভিন্ন যুবসংগঠনকে প্রকল্পভিত্তিক অনুদান প্রদান; এবং
 
 
(আ) সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য যুবদেরকে পুরস্কার প্রদান;
 
 
(গ) তহবিলের অর্থ হইতে ব্যয় অনুমোদন; এবং
 
 
(ঘ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যুবদের বা যুব সংগঠনের কল্যাণে প্রয়োজনীয় অনুরূপ অন্য যে কোন কার্য করা।
 
 
(২) বোর্ড কর্তৃক গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সচিব দায়ী থাকিবেন।
বোর্ডের সভা
৭। (১) বোর্ড, এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) প্রতি ৪ (চার) মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা করিতে হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান, যদি থাকে, সভাপতিত্ব করিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ভাইস চেয়ারম্যান, না থাকিলে বা ভাইস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে এতদুদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৪) বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।
 
 
(৫) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে, সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(৬) সদস্য পদে কোন শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে কোন ক্রটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা সিদ্ধান্ত অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
সিলেকশন কমিটি
৮। (১) বোর্ডকে সহায়তা করিবার জন্যে নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে একটি সিলেকশন কমিটি গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;
 
 
(খ) সংশ্লিষ্ট যুগ্ম-সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়;
 
 
(গ) মহাপরিচালক, সমাজ সেবা অধিদপ্তর অথবা তদকর্তৃক মনোনীত ১(এক) জন প্রতিনিধি;
 
 
(ঘ) মহাপরিচালক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর অথবা তদকর্তৃক মনোনীত ১(এক) জন প্রতিনিধি;
 
 
(ঙ) মহাপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অথবা তদকর্তৃক মনোনীত ১(এক) জন প্রতিনিধি;
 
 
(চ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড অথবা তদকর্তৃক মনোনীত ১(এক) জন প্রতিনিধি;
 
 
(ছ) সংশ্লিষ্ট উপ-সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন; এবং
 
 
(জ) যুব সংগঠকদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত, যুবকার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত ও খ্যাতিমান, ১(এক) জন মহিলা ও ১(এক) জন পুরুষ প্রতিনিধি।
 
 
(২) সিলেকশন কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
 
(ক) প্রকল্পভিত্তিক অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে যুব সংগঠন বাছাই করা;
 
 
(খ) পুরস্কার বা অনুদান প্রদানের জন্য উপযুক্ত যুব বাছাই করা; এবং
 
 
(গ) বাছাইয়ের পর অনুদান বা পুরস্কার প্রদানকল্পে বোর্ডের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা।
 
 
(৩) সিলেকশন কমিটি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিবে।
 
 
(৪) সিলেকশন কমিটি উহার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনে উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
অনুদান বা পুরস্কার প্রদানে বাধা-নিষেধ
৯। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন-
 
 
(ক) যুবদের কল্যাণের জন্য কোন প্রকল্প না থাকিলে অথবা অনুরূপ প্রকল্পের সাথে যুব সংগঠনটি সম্পৃক্ত না থাকিলে অনুদান প্রদান করা যাইবে না;
 
 
(খ) কোন যুবকে কোন পুরস্কার বা অনুদান প্রদান করা যাইবে না, যদি না -
 
 
(অ) তাহার যুব ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ে প্রশংসনীয় কার্য সম্পাদনের প্রমাণ বা রেকর্ড থাকে;
 
 
(আ) তিনি শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, কারিগরি, ক্রীড়া, কলা ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন;
 
 
(ই) তিনি দৃষ্টান্তমূলক দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শন করেন; অথবা
 
 
(ঈ) তিনি পিতা-মাতা বা জ্যেষ্ঠদের প্রতি আদর্শ সেবা প্রদানে বিশেষ অবদান রাখিতে পারেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ
১০। বোর্ডের সচিব, বোর্ডের পূর্বানুমোদনক্রমে ও নির্ধারিত শর্তে, তাহার কার্যাবলি সম্পাদনে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।
বাজেট
১১। প্রতিবৎসর তহবিলের পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হইবে।
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১২। (১) বোর্ড তহবিলের আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতি বৎসর তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি তহবিলের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
১৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, প্রয়োজনবোধে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authenitc English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।
 
 
(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
১৫। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Youth Welfare Fund Ordinance, 1985 (Ordinance No. XL of 1985), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর-
 
 
(ক) অধীন কৃত সকল কার্যক্রম ও গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত ও গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(খ) অধীন তহবিল, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এই আইনের অধীন তহবিল, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
(গ) অধীন গৃহীত কোন কার্য বা ব্যবস্থা অনিষ্পন্ন বা চলমান থকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে বা চলমান থাকিবে যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই; এবং
 
 
(ঘ) অধীন নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে বোর্ডের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs