প্রিন্ট ভিউ

বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৪৩ নং আইন )

Foreign Donations (Voluntary Activities) Regulation Ordinance, 1978 এবং Foreign Contributions (Regulation) Ordinance, 1982 রহিতক্রমে উহাদের বিধানাবলী বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পরিমার্জনপূর্বক নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু Foreign Donations (Voluntary Activities) Regulation Ordinance, 1978 (Ordinance No. XLVI of 1978) এবং Foreign Contributions (Regulation) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXXI of 1982) রহিতক্রমে উহাদের বিধানাবলী বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পরিমার্জনপূর্বক নূতন আইন প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।
 
 
 
* এস, আর, ও নং ৩৫৩-আইন/২০১৬, ২২ কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০৬ নভেম্বর, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -
 
 
(১) ‘‘এনজিও’’ অর্থ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত কোন সংস্থা এবং কোন বিদেশি রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন সংস্থা বা এনজিও, যাহা এই আইনের অধীনও নিবন্ধিত, ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(২) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
(৩) ‘‘প্রকল্প’’ অর্থ এই আইনের অধীন ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত কোনো প্রকল্প;
 
 
(৪) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
(৫) ‘‘বৈদেশিক অনুদান’’ অর্থ বিদেশি কোন সরকার, প্রতিষ্ঠান বা নাগরিক অথবা প্রবাসে বসবাসরত কোন বাংলাদেশি নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্বেচ্ছাসেবামূলক বা দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোন সংস্থা, এনজিও বা ব্যক্তিকে প্রদত্ত নগদ অর্থ (cash) বা পণ্যসামগ্রী (goods) অথবা অন্য কোনভাবে প্রদত্ত যে কোন অনুদান, দান, সাহায্য বা সহযোগিতা;
 
 
(৬) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ এই আইনের অধীন স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে বৈদেশিক অনুদান গ্রহণের নিমিত্ত ব্যুরো কর্তৃক অনুমতি প্রাপ্ত ব্যক্তি;
 
 
(৭) ‘‘ব্যুরো’’ অর্থ এনজিও বিষয়ক ব্যুরো;
 
 
(৮) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক;
 
 
(৯) ‘‘সংস্থা’’ অর্থ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের অধীন নিবন্ধিত অরাজনৈতিক, অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;
 
 
(১০) ‘‘স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম’’ অর্থ অলাভজনক সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, কৃষি ও কৃষি উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসচেতনতা, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র ও সুশাসন, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ক্ষমতায়ন ও অধিকার রক্ষা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ ও অধিকার রক্ষা, সম-অধিকার ও সম-অংশগ্রহণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ, দক্ষতা উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, বৃত্তিমূলক কার্যক্রম, সমাজকল্যাণ, গবেষণামূলক কার্যক্রম, বিভিন্ন জাতি সত্তা, ভূমি অধিকার রক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রম এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত অন্য কোন কার্যক্রমও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 
বৈদেশিক অনুদান গ্রহণক্রমে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন ব্যুরোর নিকট হইতে নিবন্ধন গ্রহণ ব্যতীত কোন সংস্থা বা এনজিও বৈদেশিক অনুদান গ্রহণক্রমে কোন স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করিতে পারিবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে বৈদেশিক অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের প্রয়োজন হইবে না, ব্যুরোর অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
 
নিবন্ধন এবং নিবন্ধন নবায়ন
৪। (১) এই আইনের অধীন নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত ফিসহ মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
 
 
(২) আবেদনপত্রে বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ, উহা প্রাপ্তির উৎস ও উক্ত অনুদান কি কাজে ব্যবহৃত হইবে ইত্যাদি উল্লেখসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দাখিল করিতে হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন ও তথ্যাদি সঠিক পাওয়া গেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে, মহাপরিচালক ১০ (দশ) বৎসরের জন্য আবেদনকারী বরাবর একটি নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিবেন এবং উক্ত নিবন্ধন সনদ ১০ (দশ) বৎসর অন্তর অন্তর নবায়নযোগ্য হইবে।
 
 
(৪) নিবন্ধন প্রাপ্তির ১০ (দশ) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার ৬ (ছয়) মাস পূর্বে নির্ধারিত নবায়ন ফিসহ নিবন্ধন সনদ নবায়নের নিমিত্ত মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন ও তথ্যাদি যদি সঠিক পাওয়া যায় এবং আবেদনকারীর পূর্ববর্তী ১০ (দশ) বৎসরের কর্মকাণ্ড সন্তোষজনক হয় তাহা হইলে মহাপরিচালক পরবর্তী ১০ (দশ) বৎসরের জন্য নিবন্ধন নবায়ন সনদ ইস্যু করিবেন।
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন সনদ কার্যকর থাকিবে।
 
বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ নিষিদ্ধ
৫। নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করিতে পারিবে না, যথা :-
 
 
(ক) জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী;
 
 
(খ) জাতীয় সংসদের সদস্য;
 
 
(গ) স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি;
 
 
(ঘ) কোন রাজনৈতিক দল;
 
 
(ঙ) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি;
 
 
(চ) সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী;
 
 
(ছ) এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিও বা সংস্থার কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী;
 
 
(জ) সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ১৮ এর অধীন, ক্ষেত্রমত, তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন ব্যক্তি বা সত্তা।
 
প্রকল্প অনুমোদন, ইত্যাদি
৬। (১) প্রকল্প অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি বা এনজিও বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করিতে পারিবে না এবং উক্ত ব্যক্তি বা এনজিওর কর্মকাণ্ড অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ এবং ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত ফরমে প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করিয়া উহা অনুমোদনের জন্য মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
 
 
(৩) ব্যুরো প্রকল্প প্রস্তাব প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণ করিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এই আইনের অধীন স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা এনজিওকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিকট হইতে মতামত গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(৪) ব্যুরো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আপত্তি বা সুপারিশ অনুসারে প্রকল্প প্রস্তাব পরিবর্তন বা সংশোধন করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা এনজিওকে ফেরত প্রদান করিতে পারিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আপত্তি বা সুপারিশ ব্যুরো অগ্রহণযোগ্য মনে করিলে উহা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করিবে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
 
 
(৫) কোন প্রকল্পে অনুমোদিত ব্যয়ের ২০ (বিশ) শতাংশের অধিক অর্থ প্রশাসনিক খাতে ব্যয় করা যাইবে না।
 
 
(৬) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ কর্মসূচি তাৎক্ষণিকভাবে পরিচালনা করিতে উদ্যোগী ব্যক্তি বা এনজিওসমূহের আবেদন ও তথ্যাদি যথাযথ হইলে মহাপরিচালক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকল্প অনুমোদনসহ বৈদেশিক অনুদান অবমুক্তির আদেশ জারি করিবেন।
 
এনজিও, ইত্যাদি কর্তৃক সাহায্য প্রদান
৭। এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিও সংগৃহীত বৈদেশিক অনুদান হইতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে কোন বাংলাদেশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিম্নবর্ণিত শর্তে সাহায্য প্রদান করিতে পারিবে, যথা-
 
 
(ক) সাহায্য গ্রহণকারীকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের অধীন নিবন্ধিত সংস্থা হইতে হইবে;
 
 
(খ) ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত সাহায্য প্রদানকারী কর্তৃক প্রণীত প্রকল্প প্রস্তাবে সাহায্য গ্রহণকারীর বিস্তারিত বিবরণ ও অর্থ ব্যয়ের রূপরেখা থাকিতে হইবে; এবং
 
 
(গ) প্রকল্প অনুমোদনের শর্ত মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা নিশ্চয়তা প্রদান করিবে।
 
বিদেশি বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা বা কর্মকর্তা নিয়োগ ও বিদেশ ভ্রমণ
৮। (১) অনুমোদিত প্রকল্পে বিদেশি বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা বা কর্মকর্তা নিয়োগের সংস্থান থাকিলে তাহাদের নিয়োগ, নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ছাড়পত্র এর বিষয়ে নির্ধারিত ফরমে মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং নিয়োগ প্রস্তাবসমূহ ব্যুরোর অনুমোদিত জন মাসের (man-month) মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিতে হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন ও তথ্যাদি যদি সঠিক পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে মহাপরিচালক আবেদন মঞ্জুর করিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(৩) স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে নিয়োজিত কোন ব্যক্তির দাপ্তরিক কাজে প্রকল্পে অনুমোদিত বাজেটের অর্থে বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে ব্যুরোকে অবহিত করিতে হইবে।
 
বৈদেশিক অনুদানের হিসাব সংরক্ষণ
৯। (১) প্রত্যেক ব্যক্তি বা এনজিওকে বৈদেশিক মুদ্রায় অথবা দেশিয় মুদ্রায় প্রাপ্ত সকল বৈদেশিক অনুদানের অর্থ যে কোন তফসিলি ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টের (মাদার একাউন্ট) মাধ্যমে গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(২) কোন ব্যাংক ব্যুরোর অর্থ ছাড়ের অনুমোদনপত্র ব্যতীত বৈদেশিক অনুদানের অর্থ কোন ব্যক্তি বা এনজিওকে প্রদান করিতে পারিবে না।
 
 
(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যেক ব্যক্তি বা এনজিও কর্তৃক প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার ষান্মাসিক হিসাব প্রতি বৎসর জুলাই ও জানুয়ারি মাসে ব্যুরো এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রেরণ করিবে।
 
 
(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি বা এনজিও কর্তৃক প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব ব্যুরো এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের চাহিদা মোতাবেক প্রেরণ করিবে।
 
 
ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 3 এর অধীন স্থাপিত Bangladesh Bank কে বুঝাইবে।
 
পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা
১০। (১) ব্যুরো এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তি এবং এনজিও কর্তৃক পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম ও উহার অগ্রগতি, সময় সময়, পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ব্যুরো মনিটরিং কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনে, বহিঃপর্যবেক্ষণকারী (third party assessor) নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের সময় প্রত্যেক এনজিও চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিবরণী, হিসাব বহি, দলিলাদি ও তথ্যাবলী সরবরাহ করিবে।
 
 
(৪) ব্যুরোর পক্ষে, বিভাগীয় কমিশনার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহাদের নিজ নিজ এলাকার এনজিও কর্তৃক পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করিবেন।
 
 
(৫) ব্যুরোর পক্ষে, জেলা প্রশাসক এবং ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহাদের নিজ নিজ এলাকার এনজিও কর্তৃক পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম ও উহার অগ্রগতি প্রতি মাসে সমন্বয় সভার মাধ্যমে পর্যালোচনা করিবেন এবং কোন এনজিওর বিষয়ে কোন ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে ব্যুরোকে অবহিত করিবেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন আকারে অবহিত করিবেন ও উহার অনুলিপি ব্যুরোতে প্রেরণ করিবেন।
 
 
(৬) পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১২ নং আইন) এর অধীন স্থাপিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ উক্ত আইনের ধারা ২২ এর দফা (ছ) এর বিধান অনুসারে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহাদের নিজ নিজ এলাকার এনজিওর কার্যাবলীর সার্বিক সমন্বয় ও তদারকি করিবেন।
 
 
(৭) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার এনজিওসমূহের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ন করিবার জন্য জেলা পর্যায়ে নির্ধারিত একটি কমিটি থাকিবে এবং উক্ত কমিটি প্রতি চার মাসে অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এনজিওদের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয় করিবে।
 
 
(৮) উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত এনজিওসমূহ নিয়মিত তাহাদের কার্যাবলী সম্পর্কে কমিটির আহবায়ক বরাবরে অগ্রগতি ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং প্রতিবেদনের অনুলিপি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদে প্রেরণ করিবে।
 
গঠনতন্ত্র ও পরিচালনা পর্ষদ
১১। প্রতিটি এনজিওর গঠন, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও পরিচালনা সংক্রান্ত একটি গঠনতন্ত্র থাকিবে এবং উহার পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদের উল্লেখ গঠনতন্ত্রে থাকিবে।
নিরীক্ষা ও হিসাব
১২। (১) প্রত্যেক এনজিও এবং ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) প্রকল্প সমাপ্তির পর খরচের ভাউচারসমূহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, এনজিওর কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ ৫(পাঁচ) বৎসরের জন্য সংরক্ষণ করিবে।
 
প্রতিবেদন এবং ঘোষণা
১৩। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যেক এনজিও এবং ব্যক্তি উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন মহাপরিচালকের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে, যে কোন এনজিও এবং ব্যক্তির নিকট হইতে যে কোন সময় ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং উক্ত এনজিও এবং ব্যক্তি উহা মহাপরিচালকের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
(৩) সরকার কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি বা এনজিওকে অব্যাহতি প্রদান না করা হইলে, সম্পূর্ণ বা আংশিক বৈদেশিক অনুদান দ্বারা স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনাকারী প্রত্যেক ব্যক্তি বা এনজিওকে মহাপরিচালকের নিকট, তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে, একটি ঘোষণাপত্র দাখিল করিতে হইবে এবং উক্ত ঘোষণাপত্রে প্রাপ্ত বৈদেশিক অনুদান, উহার উৎস এবং ব্যবহার বিধৃত থাকিবে।
 
অপরাধ
১৪। কোন এনজিও বা ব্যক্তি এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত কোন বিধি বা আদেশের বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন এবং সংবিধান এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক ও অশালীন কোন মন্তব্য করিলে বা রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড করিলে বা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা সহায়তা করিলে অথবা নারী ও শিশু পাচার বা মাদক ও অস্ত্র পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকিলে উহা দেশে প্রচলিত আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।
অপরাধের শাস্তি
১৫। (১) ধারা ১৪ এর অধীন কোন অপরাধ করিলে, মহাপরিচালক-
 
 
(ক) পত্র জারির মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত এনজিও বাব্যক্তিকে সতর্ক হইবার বা সংশোধনের জন্য লিখিত নির্দেশ দিতে পারিবেন;
 
 
(খ) নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত এনজিও বা সংস্থার অনুকূলে ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত নিবন্ধন বাতিল, স্থগিত বা স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্জক্রম বন্ধ করিতে পারিবেন;
 
 
(গ) বিনা অনুমতিতে বৈদেশিক অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সর্বনিম্ন গৃহীত বৈদেশিক অনুদানের আর্থিক মূল্যের সমপরিমাণ অথবা অনধিক উহার তিনগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আদায় করিতে পারিবেন;
 
 
(ঘ) দেশের প্রচলিত আইনের অধীন শাস্তি প্রদানের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট এনজিও বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) কোন এনজিওর কোন কর্মকর্তা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে তাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে, সংঘটিত অপরাধটি তাহার জ্ঞাতসারে ঘটে নাই বা অপরাধ যাহাতে সংঘটিত না হয় সেই জন্য তিনি যথেষ্ট প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছিলেন সেই ক্ষেত্রে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য শাস্তিযোগ্য হইবেন না।
 
ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত নিবন্ধন বাতিল বা কার্যক্রম স্থগিত, ইত্যাদির ক্ষেত্রে করণীয়
১৬। এই আইনের অধীন কোন এনজিওর নিবন্ধন বাতিল বা কার্যক্রম স্থগিত করা হইলে, অথবা নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে, অথবা অন্য কোন কারণে বিলুপ্ত হইলে মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, নিম্নবর্ণিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা :-
 
 
(ক) কোন ব্যাংক বা ব্যক্তি যাহার নিকট সংশ্লিষ্ট এনজিওর বৈদেশিক অনুদানের অর্থ, অথবা উক্ত অনুদানের অর্থ দ্বারা অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, সিকিউরিটিজ অথবা অন্য কোন সম্পত্তি গচ্ছিত রহিয়াছে তাহাদিগকে উক্ত সম্পদ মহাপরিচালকের লিখিত অনুমতি ব্যতীত বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ;
 
 
(খ) কোন এনজিও বিলুপ্ত করিবার জন্য অথবা অন্য কোন কারণে মোকদ্দমা দায়ের ও মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ;
 
 
(গ) সংশ্লিষ্ট এনজিওর সকল দায়-দেনা পরিশোধের পর উদ্বৃত্ত অবশিষ্ট অর্থ বা সম্পদ সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক অনুদান প্রদানকারীর নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ:
 
 
(ঘ) যদি কোন কারণে দফা (গ) এর অধীন উদ্বৃত্ত অবশিষ্ট অর্থ বা সম্পদ সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক অনুদান প্রদানকারীর নিকট হস্তান্তর করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে উক্ত উদ্বৃত্ত অবশিষ্ট অর্থ বা সম্পদ, ক্ষেত্রমত, সরকারি হিসাবে অথবা বিলুপ্ত এনজিওর উদ্দেশ্য সম্বলিত অনুরূপ কোন এনজিওর নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান।
 
আপিল
১৭। (১) কোন এনজিও বা ব্যক্তি এই আইনের অধীন ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে উক্তরূপ আদেশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) কর্ম দিবসের মধ্যে সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বরাবর আপিল করিতে পারিবেন এবং সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আপিল কর্তৃপক্ষ হিসাবে গণ্য হইবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যুক্তিসঙ্গত কারণে উক্ত ৩০ (ত্রিশ) কর্ম দিবসের মধ্যে আপিল করিতে ব্যর্থ হইলে সেইক্ষেত্রে আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল কর্তৃপক্ষ আপিল দায়েরের সময় অনধিক ১৫ (পনের) কর্মদিবস বর্ধিত করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল গ্রহণ বা প্রাপ্তির ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) কর্মদিবসের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
 
 
(৩) আপিল কর্তৃপক্ষ ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন আদেশ বহাল, বাতিল অথবা সংশোধন করিতে পারিবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
 
এনজিওদের সংগঠন
১৮। এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিওদের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও সহযোগিতার লক্ষ্যে এবং সরকারকে সহযোগিতা প্রদানের নিমিত্ত আগ্রহী এনজিওদের সমন্বয়ে সংগঠন করা যাইবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার প্রয়োজনে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ ও সম্পাদন সম্পর্কে নির্দেশ প্রদান করিত পারিবে।
 
নির্বাহী আদেশ জারি
২০। আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, প্রয়োজনে, সময় সময় নির্বাহী আদেশ জারি করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
২১। (১) Foreign Donations (Voluntary Activities) Regulation Ordinance, 1978 (Ordinance No. XLVI of 1978) এবং Foreign Contributions (Regulation) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXXI of 1982) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত Ordinance দুইটির অধীন –
 
 
(ক) কৃত কোন কাজ-কর্ম বা প্রণীত কোন বিধি বা জারীকৃত কোন আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন বা প্রদত্ত কোন নোটিশ বা দায়েরকৃত কোন অভিযোগ বা দাখিলকৃত কোন দরখাস্ত, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কৃত, প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত, দায়েরকৃত এবং দাখিলকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(খ) কোন কার্যক্রম চলমান থাকিলে, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উহা এমনভাবে চলমান ও অব্যাহত থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন গৃহীত হইয়াছে; এবং
 
 
(গ) এই আইন প্রবর্তনের তারিখে কোন আদালতে কোন মামলা বা আইনগত কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকিলে, উক্ত মামলা বা কার্যধারা রহিত অধ্যাদেশ দুইটির বিধান অনুসারে এইরূপে নিষ্পত্তি করিতে হইবে, যেন উক্ত অধ্যাদেশ দুইটি রহিত হয় নাই।
 
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২২। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs