প্রিন্ট ভিউ

পাট আইন, ২০১৭

( ২০১৭ সনের ৫ নং আইন )

Jute Ordinance, 1962 রহিতক্রমে উহা সুসংহতকরণ এবং পাটের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি, চাষ সম্প্রসারণ, গুণগত মান উন্নয়ন, পাট শিল্পের বিকাশ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু Jute Ordinance, 1962 (Ordinance No. LXXIV of 1962) রহিতক্রমে উহা সুসংহত করিয়া এবং পাটের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি, চাষ সম্প্রসারণ, গুণগত মান উন্নয়ন, পাট শিল্পের বিকাশ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন পাট আইন, ২০১৭ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।
 
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
(১) ‘‘আদেশ’’ অর্থ এ আইনের অধীন, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রদত্ত কোন আদেশ;
 
 
(২) ‘‘এজেন্ট’’ অর্থ পাট ও পাটজাত পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা মজুদ করিবার জন্য সরকার বা পাট ব্যবসার সহিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োজিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;
 
 
(৩) ‘‘চুক্তি’’ অর্থ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট পাট বা পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি;
 
 
(৪) ‘‘পাট’’ অর্থ পাট গাছের আঁশ, জীব বিজ্ঞানে যাহা -
 
 
(ক) জেনাস করকরাস (Genus Corchorus) নামে পরিচিত, এবং উক্ত জেনাসের সকল স্পেসিস (species), আঞ্চলিক ভাষায় যাহা পাট, কোস্টা, নাইল্যা, সাদা পাট (Corchorus Capsularis), তোষা পাট (Corchorus Olitorius), যে নামেই অভিহিত হউক;
 
 
(খ) কেনাফ (Hibiscus Cannabinus) আঞ্চলিক ভাষায় যাহা মেস্তা (Hibiscus Sabdariffa) হিসাবে পরিচিত;
 
 
(৫) ‘‘পাটখড়ি’’ অর্থ পাট গাছ হইতে পাটের আঁশ বা তন্তু আহরণের পর অবশিষ্ট কঠিন অংশ;
 
 
(৬) ‘‘পাট চাষি’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্য, দিন মজুর, অর্ধ-ভাগী বা বর্গাদার দ্বারা তাহার দখলীয় নিজ জমিতে পাট উৎপাদন করেন বা যিনি অন্যের জমি বর্গামূলে পাট চাষ করেন;
 
 
(৭) ‘‘পাটজাত পণ্য’’ অর্থ পাটের তৈরি হেসিয়ান, সেকিং, রশি, গানিব্যাগ, টুয়াইন, ইয়ার্ন-সুতা, মেটিং, সিবিসি, কার্পেট, জিওজুট, ফেল্ট, চট বা থলি; এবং পাটগাছ, পাটপাতা ও পাট হইতে প্রস্তুতকৃত অন্য কোন পণ্য; এবং পাটখড়ি হইতে প্রস্তুতকৃত পণ্যও উহার অন্তুর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(৮) ‘‘প্রেস মালিক’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি কোন পাট প্রেস বা পাট প্রেসের মালিক, এবং কোন পাট প্রেস বা পাট প্রেসের বিষয়াদির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, তবে প্রেস ভাড়া বা ইজারার মাধ্যমে পরিচালনা করেন এমন কোন ব্যক্তি উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না;
 
 
(৯) ‘‘বহুমুখী পাটজাত পণ্য’’ অর্থ প্রচলিত পাটজাত পণ্য যথা:‒ হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ছয় কাউন্ট ও তদূর্ধ্ব পাট সূতা ব্যতীত এইরূপ কোনো পণ্য যে পণ্য প্রস্তুতে পাট বা পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের আধিক্য ন্যূনতম পঞ্চাশ ভাগ;
 
 
তবে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্তরূপ পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করিতে পারিবে;
 
 
(১০) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি;
 
 
(১১) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোন ধরনের কোম্পানি, সংঘ, সমিতি, অংশীদারী কারবার, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, অন্য কোন কৃত্রিম আইনগত সত্ত্বাসহ উহাদের প্রতিনিধিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(১২) ‘‘ব্যবসায়ী’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি পাট বা পাটজাত পণ্য ক্রয়, ক্রয়ের মধ্যস্থতা, বিক্রয়, শ্রেণি যাচাই, বাঁধাই, বা পাট সূতা বা পাটজাত পণ্য তৈরির ব্যবসার সহিত সম্পৃক্ত;
 
 
(১৩) ‘‘সরকার’’ অর্থ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
 
পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও প্রসার, গবেষণা ও পাট চাষে উদ্বুদ্ধকরণে সরকারের ক্ষমতা
৩। পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও প্রসার, গবেষণা ও পাট চাষে উদ্বুদ্ধকরণে সরকার নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :-
 
 
(ক) মানসম্মত উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ;
 
 
(খ) পাট চাষের উন্নয়ন, পাট পণ্যের বিপণন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(গ) স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার চাহিদার সহিত সংগতি রাখিয়া পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি;
 
 
(ঘ) পাট চাষের জন্য ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
 
 
(ঙ) বহুমুখী পাটজাত পণ্যের গবেষণা, উদ্ভাবন, উৎপাদন এবং ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(চ) পাট সংশ্লিষ্ট তথ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ;
 
 
(ছ) পাট চাষিদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ এবং সহায়তা প্রদান; এবং
 
 
(জ) পাট গবেষণা, পাটের চাষ ও উৎপাদনে উদ্বুদ্ধকরণ, পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বাজার সৃষ্টিকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রণোদনা প্রদান ও পুরস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঝ) আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাজার বহুমুখীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ।
 
পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের ক্ষমতা
৪। (১) পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :-
 
 
(ক) পাট ও পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
 
 
(খ) পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ;
 
 
(গ) দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে পাট ও পাটজাত পণ্য পরিবহন এবং জাহাজীকরণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় সহায়তাকরণ;
 
 
(ঘ) ব্যবসায়ী এবং প্রেস মালিকগণকে লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন এবং স্থগিত বা বাতিলকরণ;
 
 
(ঙ) পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি সংক্রান্ত বিষয়ে পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন এবং প্রচার; এবং
 
 
(চ) প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পাট ব্যবসা সংক্রান্ত কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ, পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ।
 
 
(২) সরকার, সময় সময়, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :
 
 
(ক) পাট ও পাটজাত পণ্যের গুণগতমান ও শ্রেণি বিন্যাসকরণ;
 
 
(খ) মূল্য স্থিতিকরণ, জরুরি মজুদ কার্যক্রম বা রাষ্ট্রীয়ভাবে পাটের ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ; এবং
 
 
(গ) মূল্য স্থিতিকরণ বা সহায়ক কর্মসূচি, জরুরি মজুদ কার্যক্রম বা রাষ্ট্রীয়ভাবে পাটের ব্যবসা কার্যক্রম হইতে সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে উদ্ভূত কোন দাবির নিষ্পত্তি।
 
লাইসেন্স প্রদান
৫। (১) পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা পরিচালনার জন্য, এই ধারার বিধানাবলি সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন পাট চাষি কর্তৃক তাহার নিজ উৎপাদিত পাট বিক্রয় করিবার ক্ষেত্রে কোন লাইসেন্স গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না। তবে তিনি সরাসরি রপ্তানি করিতে চাহিলে সেই ক্ষেত্রে লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(২) সকল ব্যবসায়ী এবং প্রেস মালিককে পাট ব্যবসা পরিচালনার জন্য লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(৩) এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সে প্রয়োজনীয় শর্তের উল্লেখ থাকিবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত শর্তানুযায়ী পাট ব্যবসা পরিচালনা করিতে হইবে।
 
 
(৫) এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য হইবে না।
 
 
(৬) এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের মেয়াদ সংশ্লিষ্ট আর্থিক বৎসরের শেষাবধি বলবৎ থাকিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বৎসর ভিত্তিক নবায়ন করিতে হইবে।
 
 
(৭) লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়নের জন্য আদেশ দ্বারা নির্ধারিত ফি জমা প্রদান করিতে হইবে।
 
 
(৮) এই ধারার অধীন প্রদত্ত বা নবায়নকৃত লাইসেন্স নিম্নবর্ণিত কারণে স্থগিত বা বাতিল করা যাইবে, যথা :-
 
 
(ক) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার কোন বিধান লংঘন করা হইলে;
 
 
(খ) যেই শর্তাধীন লাইসেন্স প্রদান করা হইয়াছে, উহা লংঘন করা হইলে;
 
 
(গ) যেই ব্যবসার জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হইয়াছে, সেই ব্যবসা পরিচালনা করা না হইলে বা সেই ব্যবসার স্বার্থ বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা হইলে;
 
 
(ঘ) অভ্যন্তরীণ ব্যবসা, রপ্তানি বা বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কোন আইন লংঘন করা বা পালনে ব্যর্থ হইলে;
 
 
(ঙ) প্রতারণার মাধ্যমে কোন লাইসেন্স গ্রহণ করা হইলে বা গ্রহণের চেষ্টা করা হইলে;
 
 
(চ) আদেশ দ্বারা নির্ধারিত ফি জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে;
 
 
(ছ) ব্যবসা, বাণিজ্য বা শিল্প সংক্রান্ত এমন কোন কার্য করা হইলে যাহা সরকারের মতে জনস্বার্থের পরিপন্থি; বা
 
 
(জ) গুণগতমান, মূল্য, চার্জ বা কমিশন সংক্রান্ত এই আইনের অধীন জারীকৃত কোন আদেশ লংঘন করা হইলে।
 
 
(৯) লাইসেন্স সাময়িক বাতিল বা বাতিলের কারণে কোন লোকসান বা ক্ষয়-ক্ষতির জন্য লাইসেন্সধারী কোন ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন না।
 
আপিল
৬। (১) এই আইনের ধারা ৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্তরূপ আদেশ প্রাপ্তির ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে দাখিল করিতে হইবে।
 
 
(৩) আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
 
মূল্য নির্ধারণ
৭। (১) সরকার, আদেশ দ্বারা, বিভিন্ন শ্রেণির পাট বা পাটজাত পণ্যের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে, এবং সকল এলাকা বা ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা নির্দিষ্ট কোন এলাকা বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে উক্তরূপে মূল্য নির্ধারণ করা যাইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আদেশ দ্বারা নির্ধারিত সর্বনিম্ন মূল্যের কম বা সর্বোচ্চ মূল্যের অধিক মূল্যে কোন ব্যক্তি পাট বা পাটজাত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করিতে পারিবে না।
 
বেলিং চার্জ, ইত্যাদি নির্ধারণ
৮। সরকার, আদেশ দ্বারা, বেল বাঁধাই বা মজুদ বা এজেন্ট বা ব্রোকারের কমিশনের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং বিভিন্ন এলাকা বা শ্রেণির ব্যবসায়ীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন হার নির্ধারণ করা যাইবে।
এজেন্ট ও ব্রোকার
৯। সরকার, আদেশ দ্বারা, উহার পক্ষে পাট ক্রয়, বিক্রয় ও মজুদ কার্যক্রম পরিচালনা করিবার জন্য, উক্ত আদেশে উল্লিখিত শর্তাধীন, এজেন্ট বা ব্রোকার বা উভয় নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং তাহাদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
ব্যাখ্যা: এই ধারায়, ‘‘ব্রোকার’’ বলিতে পাট ও পাটজাত পণ্য ক্রয়, বিক্রয় এবং মজুদ করিবার জন্য সরকার বা পাট ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োজিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে।
 
প্রেস, গুদাম, ইত্যাদি অধিগ্রহণ
১০। (১) সরকার, আদেশ দ্বারা, কোন কাঁচ্চা বা পাক্কা প্রেস, কোন গুদাম, বা পাট ও পাটজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য কোন উন্মুক্ত বা আবদ্ধ জায়গা হুকুমদখল (Requisition) করিতে পারিবে।
 
 
(২) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন হুকুমদখলকৃত প্রেস বা গুদাম বা জায়গা, পাট বাঁধাই, বিক্রয় বা মজুদ করিবার জন্য ব্যবহার বা যে কোন ব্যক্তিকে বরাদ্দ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন হুকুমদখলকৃত কোন কাঁচ্চা বা পাক্কা প্রেস, কোন গুদাম বা জায়গার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের মধ্যে চুক্তির অধীন সম্মত হারে বা সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ কর্তৃক নিয়োজিত সালিসকারী কর্তৃক নির্ধারিত হারে বা উভয় পক্ষ সম্মত না হওয়ার ক্ষেত্রে সালিস আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১নং আইন) এর বিধান মোতাবেক নিয়োজিত সালিসকারী কর্তৃক নির্ধারিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সালিসকারীগণকে (Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (Ordinance No. II of 1982) এর section 8 এর sub-section (1) এর বিধান বিবেচনা করিতে হইবে।
 
 
ব্যাখ্যা : এই ধারায়, -
 
 
(ক) ‘‘কাঁচ্চা প্রেস’’ অর্থ কায়িক শ্রমে বা শক্তিতে পরিচালিত কোন পেষণ যন্ত্র বা অন্য কোন ডিভাইস যাহার দ্বারা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের নিমিত্ত, ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজনের পাটের বেল, যাহা কাঁচা বেল নামে পরিচিত, বাঁধাই করা হয়;
 
 
(খ) ‘‘পাক্কা প্রেস’’ অর্থ শক্তি চালিত কোন পেষণ যন্ত্র যাহার দ্বারা রপ্তানির নিমিত্ত সাধারণতঃ ২.২৫ কিলোগ্রাম হইতে ১৮২.২৫ কিলোগ্রাম ওজনের প্রতিটি পাট বেল বাঁধাই করা হয়; এবং উক্ত অর্থে সেমি-পাকা পেষণ যন্ত্রও অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 
সেস ধার্যকরণ
১১। সরকার, আদেশ দ্বারা, বাংলাদেশে উৎপাদিত সকল বা যে কোন শ্রেণির পাটের রপ্তানি মূল্যের উপর উক্ত আদেশে উল্লিখিত হারে পাট-সেস আরোপ ও আদায় করিতে পারিবে।
চুক্তির নিবন্ধন
১২। সরকার, আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন সম্পাদিত কোন চুক্তিপত্র বা সকল শ্রেণির চুক্তিপত্র, উক্ত আদেশে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের নিকট ও পদ্ধতিতে, নিবন্ধন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
বিক্রয়, ইত্যাদি নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা
১৩। সরকার, আদেশ দ্বারা, কোন পাট বা পাটজাত পণ্য বা যে কোন শ্রেণির পাট বা পাটজাত পণ্য, উক্ত আদেশে উল্লিখিত শর্ত প্রতিপালন ব্যতিরেকে, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়, বিক্রয় বা অন্যভাবে হস্তান্তর না করিবার জন্য যে কোন রপ্তানিকারক, প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
ব্যাখ্যা: এই ধারায়, ‘‘রপ্তানিকারক’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা শিপার, যিনি বা যাহারা বাংলাদেশ হইতে পাট বা পাটজাত পণ্য রপ্তানী করেন।
 
বিক্রয়ের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা
১৪। (১) সরকার, আদেশ দ্বারা, পাট বা পাটজাত পণ্যের মজুতদার, প্রস্তুতকারক, বা ব্যবসায়ীকে উহার মজুদের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ, উক্ত আদেশে উল্লিখিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নিকট, বিক্রয়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) সরকার, উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্দেশ প্রদানকালে মজুদকৃত পাট ও পাটজাত পণ্যের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ক্রেতা-বিক্রেতাকে প্রদেয় সময়সীমার মধ্যে একটি সম্মত মূল্যে উপনীত হইবার সুযোগ প্রদান এবং উক্ত ক্ষেত্রে তাহাদের ব্যর্থতা ব্যতীত, সরকার মজুদকৃত পাট ও পাটজাত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করিবে না।
 
 
(৩) সরকার, আদেশ দ্বারা, কোন প্রস্তুতকারক বা ব্যবসায়ীকে উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোন এলাকা বা এলাকাসমূহ হইতে পাট ক্রয় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে পাট মজুদ রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
পাটখড়ি হইতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পণ্য উৎপাদন, ক্রয় ও বিক্রয় সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা
১৫। সরকার, আদেশ দ্বারা, পাটখড়ি হইতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যে কোন বা বিশেষ শ্রেণির পণ্য উৎপাদন, ক্রয় ও বিক্রয় সম্পর্কে, উক্ত আদেশে উল্লিখিত উপায়ে, তথ্য সংগ্রহ ও উহাদের নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।
তথ্যাদি তলবের ক্ষমতা
১৬। (১) সরকার, সময় সময়, আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে উল্লিখিত ব্যক্তি বা ব্যক্তি শ্রেণি বা প্রতিষ্ঠানকে তাহাদের পাট বা পাটজাত পণ্য উৎপাদন, মজুদ, ক্রয়, বিক্রয় বা ব্রোকারি সংক্রান্ত হিসাব সংরক্ষণ এবং তৎসংক্রান্ত রিটার্ন বা তথ্যাদি উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সরকার বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন তথ্য, খাতাপত্র বা দলিল সংগ্রহ, পরিদর্শন বা পরীক্ষা করিবার প্রয়োজন মনে করিলে আদেশ দ্বারা, উহা সরকার বা তৎকর্তৃক নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সরবরাহ বা দাখিল করিবার জন্য যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) সরকার, আদেশ দ্বারা, যে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে পাট ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কোন চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৪) সরকার, আদেশ দ্বারা, সরকারের কোন কর্মকর্তা বা যে কোন ব্যক্তিকে যে কোন স্থান বা আঙ্গিনায় পাট ক্রয়, বিক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য মজুদ বা বেল বাঁধাইয়ের কাজ চলিতেছে বলিয়া তাহার বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে, সেই স্থানে বা আঙ্গিনায় প্রবেশ ও পরিদর্শন এবং তৎসংক্রান্ত যে কোন দলিল তলব এবং উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এ উল্লিখিত তথ্যাদি সংগ্রহ করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
 
হিসাব বহি, মজুদ, ইত্যাদি আটকের ক্ষমতা
১৭। সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোন বিধান লংঘন করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি-
 
 
(ক) কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে, উক্তরূপ লংঘনের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, ভাউচার, হিসাবের খাতাপত্র, পাট বা পাটজাত পণ্যের মজুদ, ওজন স্কেল, বাটখারা এবং তৎসংক্রান্ত সরঞ্জামাদি আটক করিতে পারিবেন; এবং
 
 
(খ) উক্তরূপ কার্যের সহিত সম্পর্কিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তৎকর্তৃক মজুদকৃত পাট বা পাটজাত পণ্য বা উহার অংশবিশেষ ওজন করিবার আবশ্যক মনে করিলে উহা অন্য কোন স্থানে স্থানান্তর করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
চুক্তি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের ক্ষমতা
১৮। (১) কোন চুক্তি প্রতিপালিত না হইলে সরকার উক্ত চুক্তির খেলাপকারীর পাট বা পাটজাত পণ্য চুক্তির অনুকূলে উপযোজন করিতে পারিবে এবং সম্ভব না হইলে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে বা স্থান হইতে ক্রয় করিয়া একইভাবে উপযোজন করা যাইবে।
 
 
(২) চুক্তি খেলাপের কারণে সরকার লোকসানের সম্মুখীন হইলে উক্ত খেলাপকারীকে উহার দায় বহন করিতে হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্রয়কৃত পাট বা পাটজাত পণ্য ক্রয় হইতে কোন মুনাফা অর্জিত হইলে খেলাপকারী উহা প্রাপ্য হইবেন না।
 
দণ্ডসমূহ
১৯। (১) কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি বা জারীকৃত কোন আদেশ বা নির্দেশ লংঘন করিলে বা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) বিচারিক আদালত প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের সহিত সংশ্লিষ্ট পাট বা পাটজাত পণ্যের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
মিথ্যা বিবৃতির জন্য দণ্ড
২০। যদি কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) এমন কোন বিবরণ তৈরি করেন বা কোন তথ্য সরবরাহ করেন, যাহা তিনি মিথ্যা বলিয়া অবগত বা মিথ্যা বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে বা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করা যায় না; বা
 
 
(খ) এমন কোন বহি, হিসাব, রেকর্ড, ঘোষণা, রিটার্ন বা দলিল রক্ষণাবেক্ষণ ও সরবরাহ বা প্রস্তুত করেন, যাহা তিনি মিথ্যা বলিয়া অবগত বা মিথ্যা বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে বা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করা যায় না; বা
 
 
(গ) নকল বা ডুপ্লিকেট বহি, হিসাব বা অন্য কোন রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করেন, যাহার লিখন একইরূপ নহে,-
 
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২১। (১) এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানি হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা উক্ত অপরাধের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
 
 
ব্যাখ্যা : এই ধারায়,-
 
 
(ক) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থ কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, নিবন্ধিত কোম্পানি, অংশদারি কারবার ও সমিতি বা সংগঠন;
 
 
(খ) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্য।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা হইলেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করিয়া উহার উপর অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।
 
অপরাধের আমলযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা
২২। (১) সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তির লিখিত প্রতিবেদন ব্যতীত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ আদালত কর্তৃক আমলযোগ্য হইবে না।
 
 
(২) আদেশ দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ জরিমানা প্রদান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আপোষযোগ্য হইবে।
 
জরিমানা সংক্রান্ত বিশেষ বিধান
২৩। Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত কোন ব্যক্তির উপর এই আইনে উল্লিখিত সর্বোচ্চ পরিমাণের অর্থদণ্ড আরোপে কোন বাধা থাকিবে না।
ক্ষমতা অর্পণ
২৪। সরকার, আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন উহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা, উক্ত আদেশে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন সংস্থা, কর্তৃপক্ষ, প্রতিনিধি বা কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে অর্পণ করিতে পারিবে।
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
২৫। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে উক্ত কারণে সরকার, কর্তৃপক্ষ বা সরকারের পক্ষে দায়িত্বপালনকারী কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম কোন আদালতে গ্রহণ করা যাইবে না।
অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা
২৬। সরকার, আদেশ দ্বারা, কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তি-শ্রেণি অথবা কোন শ্রেণির পাট বা পাটের উৎপাদনকারীকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বা আদেশের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
অসুবিধা দূরীকরণার্থ সরকারের ক্ষমতা
২৭। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোন বিধানের অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা সৃষ্টি হইলে, সরকার, এই আইনের অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৮। সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
২৯। (১) Jute Ordinance, 1962 (Ordinance No. LXXIV of 1962), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
 
 
(২) উক্ত Ordinance রহিতকরণ সত্ত্বেও, -
 
 
(ক) উহার অধীন প্রণীত কোন বিধি জারীকৃত কোন প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত আদেশ, নির্দেশ এবং কৃত সকল কাজকর্ম উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে এবং এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হইলে উহা এই আইনের অধীন প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত, অনুমোদিত এবং কৃত বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(খ) উহার অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স, উহার মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে;
 
 
(গ) উহার অধীন গৃহীত কোন কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই।
 
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৩০। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর, সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs