সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন
ক্যান্টনমেন্ট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।
(২) বাংলাদেশের সর্বত্র ইহার প্রয়োগ হইবে।
(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(১) “অফিসার” অর্থ জাতীয় বেতন স্কেলের প্রথম হইতে নবম গ্রেডভুক্ত কোনো সরকারি কর্মচারী;
(২) “ইমারত” অর্থ
Building Construction Act, 1952 (Act No. II of 1953) এর section 2 (b) এ সংজ্ঞায়িত building;
(৩) “উপদ্রব” অর্থ কোনো কার্য, কার্য-বিরতি, স্থান বা বিষয় যাহা দৃষ্টি, ঘ্রাণ বা শ্রবণের জন্য ক্ষতি, বিপদ, বিরক্তি বা অসন্তোষ সৃষ্টি করে বা করিতে পারে বা জীবনের জন্য বিপজ্জনক বা স্বাস্থ্য বা সম্পত্তির জন্য ক্ষতিকারক;
(৪) ‘‘উপ-আইন’’ অর্থ বোর্ড কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রণীত উপ-আইন;
(৫) ‘‘এরিয়া কমান্ডার” অর্থ সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক অফিসার যিনি সামরিক উদ্দেশ্যে সময় সময় বিভক্ত বাংলাদেশের কোনো একটি সামরিক এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং এরিয়া কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত; এবং নৌ অঞ্চলের ক্ষেত্রে নৌ অঞ্চল প্রধান, বা বিমান বাহিনী ঘাঁটির ক্ষেত্রে বিমান বাহিনী ঘাঁটি অধিনায়ক;
(৬) “এক্সিকিউটিভ অফিসার’’ অর্থ এই আইনের অধীন কোনো ক্যান্টনমেন্টে এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি;
(৭) “এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার” অর্থ সামরিক প্রকৌশল সার্ভিসের সমপর্যায়ের কোনো অফিসার যিনি কোনো ক্যান্টনমেন্টে সামরিক পূর্তকাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ক্যান্টনমেন্ট নির্বাহী প্রকৌশল কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত যে কোনো পর্যায়ের অফিসারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
(৮) “ওয়াটার ওয়ার্কস” অর্থে ক্যান্টনমেন্টে পানি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত সকল হ্রদ, পুকুর, জলপ্রবাহ, জলাধার, ঝর্ণা, পাম্প, কূপ, সংরক্ষিত জলাধার, জলনল, জলট্রাক, জলকপাট, মূলনল, সড়কের পার্শ্ববর্তী জলকল,পাইপ এবং পানি সরবরাহ বা ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য যন্ত্রপাতিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৯) ‘‘কসাইখানা’’ অর্থ এমন কোনো স্থান যেখানে মানুষের খাদ্য হিসাবে মাংস বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোনো পশু জবাই করা হয়;
(১০) “কুঁড়েঘর” অর্থ এমন কোনো গৃহ বা অবকাঠামো, যাহার ভিত্তি সমতলের (plinth level)-এর উপরের কাঠামোর কোনো অংশ রাজমিস্ত্রির কাজ নহে, বা বর্গাকৃতি কাঠের কাঠামো বা লোহার কাঠামো দ্বারা নির্মিত নহে;
(১১) “ক্যান্টনমেন্ট” অর্থ কোনো এক বা একাধিক বাহিনী কর্তৃক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোনো এক বা একাধিক নির্দিষ্ট এলাকা যাহা এই আইনের অধীন, সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে ঘোষিত হইয়াছে বা ঘোষিত হইতে পারে এবং যেখানে সর্বসাধারণের অবাধ প্রবেশাধিকার ও বিচরণ নিষিদ্ধ, সীমিত বা নিয়ন্ত্রিত করা যাইতে পারে;
(১২) ‘‘গণস্থান’’ অর্থ কোনো ভবন, আঙ্গিনা অথবা স্থান যেখানে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার রহিয়াছে;
(১৩) ‘‘গোয়ালা’’ অর্থ এমন কোনো ব্যক্তি যিনি, মানুষের খাদ্য হিসাবে দুগ্ধ বিক্রয় করা বা বিক্রয় করিবার উদ্দেশ্যে গরু, মহিষ, ছাগল বা অন্য কোনো জন্তু পালন করেন, এবং কোনো দুগ্ধ সরবরাহকারী বা কোনো দুগ্ধ খামারের মালিক বা দখলদারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৪) ‘‘ছাউনি’’ অর্থ ছায়া বা আশ্রয়ের জন্য স্থায়ী বা অস্থায়ী কাঠামো;
(১৫) ‘‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট’’ অর্থ কোনো ক্যান্টনমেন্ট যে প্রশাসনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত সেই জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কোনো ক্যান্টনমেন্ট একাধিক প্রশাসনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত হইলে অনুরূপ একাধিক যে কোনো জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট;
(১৬) “দখলদার” অর্থ এক জন মালিক যিনি নিজের জমি বা ইমারতের প্রকৃত দখলে আছেন এবং এমন ব্যক্তি যিনি সাময়িকভাবে জমি বা ইমারত বা ইহার অংশের জন্য ইহার মালিককে ভাড়া প্রদান করেন বা তাহা প্রদানের জন্য দায়ী থাকেন বা অন্য ভাবে উক্ত ভূমি বা ইমারত ব্যবহার করে;
(১৭) “দুগ্ধখামার” অর্থ কোনো খামার, গরুর ছাউনি, গোয়ালঘর, দুধ সংরক্ষণাগার, দুধের দোকান বা এমন কোনো স্থান যে স্থান হইতে দুধ অথবা দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য সরবরাহ করা হয়;
(১৮) ‘‘প্রাধিকারী ভোক্তা’’ অর্থ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কোনো ব্যক্তি যিনি প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ খাত হইতে বেতনপ্রাপ্ত এবং সরকারের সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে উল্লিখিত শর্তে, গৃহস্থালিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সামরিক প্রকৌশল সার্ভিস বা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হইতে বা সরকার স্বীকৃত কোনো পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে পানি সরবরাহ প্রাপ্ত হইবার অধিকারী;
(১৯) ‘‘বৎসর” অর্থ জুলাই মাসের প্রথম দিবসে যে বৎসরের আরম্ভ;
(২০) ‘‘বাসিন্দা” অর্থ কোনো ক্যান্টনমেন্ট বা স্থানীয় এলাকা সংশ্লেষে, কোনো ব্যক্তি যিনি সাধারণভাবে সেখানে বসবাস করেন বা ব্যবসা পরিচালনা করেন, বা উহার অভ্যন্তরে স্থাবর সম্পত্তির মালিক বা দখলদার হন এবং, কোনো বিরোধের ক্ষেত্রে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বাসিন্দা হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তি;
(২১) “বাজার” অর্থে এমন কোনো স্থান যেখানে জনগণ কর্তৃক মাছ, মাংস, ফল-মূল, শাক সবজি বা যে কোনো খাদ্য-দ্রব্যসহ বা অন্যান্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বিক্রয় ও ক্রয়ের জন্য জড়ো করা হয় এবং বিক্রয় ও ক্রয় হয় অথবা গরু-ছাগল ও অন্যান্য পশু-পক্ষী ক্রয়-বিক্রয় করা হয় এবং এমন কোনো স্থান যাহা বিধি মোতাবেক বাজার হিসাবে ঘোষণা করা হইয়াছে;
(২২) ‘‘বাহিনী” অর্থ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বা ইহাদের যে কোনো এক বা একাধিক বাহিনী;
(২৩) ‘‘বিভাজক প্রাচীর’’ অর্থ কোনো ইমারতের অংশরূপ প্রাচীর এবং যাহা বিভিন্ন মালিকের মালিকানাধীন সংলগ্ন ইমারতসমূহের আলম্বন বা পৃথককরণের জন্য নির্মিত বা ব্যবহৃত হয় বা বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা দখলের জন্য নির্মিত হইয়াছে বা উপযোগী করা হইয়াছে;
(২৪) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(২৫) ‘‘বেসরকারি বাজার’’ অর্থ এমন কোনো বাজার যাহা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত, তবে বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত নহে;
(২৬) ‘‘বেসরকারি কসাইখানা’’ অর্থ এমন কোনো কসাইখানা যাহা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত, তবে বোর্ড কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না;
(২৭) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড;
(২৮) “মালিক” অর্থে আপাতত জমি ও ইমারতের ভাড়া অথবা উহাদের যে কোনো একটির ভাড়া নিজ দায়িত্বে অথবা কোনো ব্যক্তির অথবা সমাজের অথবা কোনো ধর্মীয় অথবা দাতব্য কাজের প্রতিনিধি অথবা ট্রাস্টি হিসাবে সংগ্রহ করেন অথবা যদি জমি অথবা ইমারত ভাড়াটিয়ার নিকট ভাড়া প্রদান করিলে যিনি তাহা সংগ্রহ করিতেন বা করেন এইরূপ ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
(২৯) ‘‘যান’’ অর্থ সড়কে ব্যবহারের উপযোগী চাকাযুক্ত যে কোনো বর্ণনার বাহন এবং মোটরগাড়ি, মোটরলরি, মোটর ও মিনিবাস, ঠেলাগাড়ি, ভ্রমণগাড়ি, হস্তচালিত গাড়ি, ট্রাক, মোটর সাইকেল, দ্বিচক্রযান, ত্রিচক্রযান এবং রিক্সাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩০) ‘‘সরকারি কসাইখানা’’ অর্থ বোর্ড কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এইরূপ কোনো কসাইখানা;
(৩১) ‘‘সরকারি বাজার” অর্থ বোর্ড কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এইরূপ কোনো বাজার;
(৩২) ‘‘সশস্ত্র বাহিনী” অর্থ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বা ইহাদের যে কোনো এক বা একাধিক বাহিনী;
(৩৩) “সড়ক” অর্থে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জনসাধারণের চলাচলের অধিকার রহিয়াছে এমন কোনো পথ, রাস্তা, গলি, চক (square), অঙ্গন, সরু গলি বা সরু পথ, যাহাতে জনসাধারণ চলাচল করুক বা নাই করুক, এবং ইহা পাকা হউক বা না হউক, এবং কোনো পুল বা বাঁধের উপর পায়ে চলার রাস্তাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩৪) ‘‘সামরিক ভূমি’’ অর্থে প্রতিরক্ষা বিভাগীয় ভূমির অন্তর্গত ঐ সকল ভূমি যাহা প্রধানত কোনো ক্যান্টনমেন্টের সীমানার মধ্যে অবস্থিত এবং যাহা প্রধানত সামরিক উদ্দেশ্যে বা সামরিক উদ্দেশ্যের সহিত সম্পর্কিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, এবং সামরিক ভূমির উপরিস্থিত ভবনসহ সকল স্থায়ী স্থাপনাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩৫) ‘‘সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসক’’ অর্থ এই আইনের অধীন সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অফিসার;
(৩৬) ‘‘সামরিক অফিসার’’ অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি, যিনি সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কিত আইনে সংজ্ঞায়িত অর্থে একজন অফিসার;
(৩৭) ‘‘স্টেশন কমান্ডার” অর্থ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক অফিসার যিনি সেনাবাহিনীতে স্টেশন কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত এবং নৌ অঞ্চলের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ নৌ ঘাঁটি অধিনায়ক বা বিমান বাহিনী ঘাঁটির ক্ষেত্রে অধিনায়ক প্রশাসনিক শাখা;
(৩৮) ‘‘সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ’’ অর্থে এমন কোনো রোগ যাহা এক ব্যক্তি হইতে অন্য ব্যক্তিকে সংক্রামিত করে এবং সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনে প্রকাশিত অন্য রোগও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩৯) ‘‘সংলগ্ন এলাকা’’ অর্থ ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তর, সন্নিহিত বা বাহিরের কোনো অসামরিক এলাকা যেখানে বোর্ড পৌর সেবা প্রদান করিয়া থাকে বা যেখানে সামরিক কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণের অধিকার সংরক্ষণ করে;
(৪০) ‘‘সৈন্য” অর্থ এইরূপ ব্যক্তি যিনি সংশ্লিষ্ট বাহিনী সম্পর্কিত আইনের অধীনে তালিকাভূক্ত এবং ঐ সকল আইনে সংজ্ঞায়িত জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(৪১) “হেলথ অফিসার” অর্থ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত একজন সামরিক চিকিৎসক যিনি কোনো ক্যান্টনমেন্টে এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক স্বাস্থ্য অফিসার হিসাবে নিয়োজিত।
অধ্যায়-২
ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠা এবং সীমানা নির্ধারণ
ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠা
৩। (১) সরকার, এই অধ্যায়ে বর্ণিত বিধানাবলী অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনী- সমূহের ব্যবহারের জন্য, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে।
(২) এই আইন কার্যকর হইবার সময় বাংলাদেশে বিদ্যমান ক্যান্টনমেন্টসমূহ এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো এক বা একাধিক এলাকাকে, যেখানে এক বা একাধিক বাহিনীর কোনো অংশ অবস্থান করে, বা যাহা, উক্তরূপ এলাকার পার্শ্ববর্তী সন্নিহিত স্থান, বা যাহা, উক্তরূপ বাহিনীর ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন, এই আইন এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একটি ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে; এবং অনুরূপ প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো ক্যান্টনমেন্টের, তদ্রূপ ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে অবসায়ন হইবে মর্মে ঘোষণা করিতে পারিবে।
(৪) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপধারা (৩)-এ বর্ণিত উদ্দেশ্যে কোনো ক্যান্টনমেন্টের সীমানা নির্ধারণ, এবং ক্ষেত্রমত, পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে।
(৫) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো ক্যান্টনমেন্টকে, একটি বাহিনীর একক ব্যবহারের জন্য, বা, প্রয়োজন মনে করিলে, একাধিক বাহিনী কর্তৃক সমন্বিতভাবে ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
(৬) কোনো এলাকাকে ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে ঘোষণা করা হইলে, উক্ত ক্যান্টনমেন্টে এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোনো বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত, সরকার আদেশ দ্বারা, যেরূপ আবশ্যক প্রতীয়মান হইবে, ক্যান্টনমেন্টের প্রশাসনের জন্য বা বোর্ড গঠনের নিমিত্ত, সেরূপ বিধান করিতে পারিবে।
(৭) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে, এই আইন ছাড়া অন্য কোনো আইনের কোনো বিধান কেবলমাত্র ততদূর পর্যন্ত বা তদ্রূপ পরিবর্তন হওয়া সাপেক্ষে কার্যকর থাকিবে, বা অনুরূপ কোনো আইনের অধীনে গঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ, প্রজ্ঞাপনে যেরূপ উল্লেখ থাকিবে সেরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে মর্মে ঘোষণা করিতে পারিবে।
(৮) প্রতিটি ক্যান্টনমেন্ট, এই আইন এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একটি সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে গণ্য হইবে; এবং সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডার, ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তার স্বার্থে আবশ্যক মনে করিলে, ক্যান্টনমেন্টের সীমানার মধ্যে কোনো অসামরিক ব্যক্তির প্রবেশ ও চলাচল বা অস্ত্র-গোলাবারুদ বহন নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে।
ক্যান্টনমেন্টের সীমানা পরিবর্তন
৪। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের সন্নিহিত কোনো স্থানীয় এলাকাকে ইহার অন্তর্ভুক্ত করিবার অথবা ক্যান্টনমেন্টের অন্তর্ভুক্ত কোনো স্থানীয় এলাকাকে ইহার বহির্ভূত করিবার অভিপ্রায় সম্পর্কে ঘোষণা প্রদান করিতে পারিবে।
(২) কোনো ক্যান্টনমেন্ট বা স্থানীয় এলাকা সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার পর ইহার কোনো বাসিন্দা, প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হইতে ৬ (ছয়) সপ্তাহের মধ্যে, এরিয়া কমান্ডারের মাধ্যমে, সরকারের নিকট প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে লিখিত আপত্তি পেশ করিতে পারিবে, এবং সরকার উক্ত আপত্তি বিবেচনায় লইবে।
(৩) উক্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে ৬ (ছয়) সপ্তাহ অতিক্রান্ত হইবার পর, সরকার উপ-ধারা (২) এর অধীন পেশকৃত আপত্তিসমূহ, যদি থাকে, বিবেচনাক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে স্থানীয় এলাকা সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইয়াছে, ইহা বা ইহার কোনো অংশ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার অন্তর্ভুক্ত করিতে বা, ক্ষেত্রমত, ইহা বা ইহার কোনো অংশ ক্যান্টনমেন্ট এলাকা হইতে বাদ দিতে পারিবে।
ক্যান্টনমেন্টে কোনো এলাকা অন্তর্ভুক্তির ফলাফল
৫। ধারা ৪ এর অধীন প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো স্থানীয় এলাকাকে ক্যান্টনমেন্টের অন্তর্ভুক্ত করা হইলে, উক্ত এলাকা, এই আইন এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বলবৎ সকল আইন এবং তদধীন জারিকৃত বা প্রণীত সকল প্রজ্ঞাপন, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, আদেশ ও নির্দেশনার অধীন হইবে।
ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে কোনো এলাকার অবসায়নে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিল ব্যবস্থাপনা
৬। (১) যখন ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো ক্যান্টনমেন্টের অবসায়ন ঘোষণা করা হয় এবং ইহার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় এলাকাকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত করা হয়, তখন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিলের হিসাব-নিকাশ এবং বোর্ডের উপর অর্পিত অন্যান্য সম্পত্তি উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট অর্পিত হইবে, এবং বোর্ডের দায়দেনাও একই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত হইবে।
(২) যখন, অনুরূপভাবে, কোনো ক্যান্টনমেন্টের অবসায়ন ঘোষণা করা হয় এবং ইহার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় এলাকা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত করা না হয়, তখন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিলের হিসাব-নিকাশ এবং বোর্ডের উপর অর্পিত অন্যান্য সম্পত্তি সরকারের নিকট অর্পিত হইবে, এবং বোর্ডের দায়-দেনাও সরকারের নিকট হস্তান্তরিত হইবে।
কোনো স্থানীয় এলাকার ক্যান্টনমেন্টের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্তির অবসায়নে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিল ব্যবস্থাপনা
৭। (১) যখন, ধারা ৪ এর অধীন প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত কোনো স্থানীয় এলাকা, কোনো নির্দিষ্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ঘোষিত হয় এবং ইহার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় এলাকাকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত করা হয়, তখন, ততটুকু এলাকার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিলের হিসাব-নিকাশ ও বোর্ডের উপর অর্পিত অন্যান্য সম্পত্তি এবং বোর্ডের ততটুকু অংশের দায়-দেনা, সরকার, কোনো সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা যেরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেরূপে, উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত হইবে।
(২) যখন, অনুরূপভাবে, ক্যান্টনমেন্টের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত কোনো স্থানীয় এলাকা, কোনো নির্দিষ্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ঘোষিত হয় এবং ইহা তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত করা না হয় তখন ততটুকু এলাকার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিলের হিসাব-নিকাশ ও বোর্ডের উপর অর্পিত অন্যান্য সম্পত্তি সরকারের উপর অর্পিত হইবে, এবং বোর্ডের ততটুকু অংশের দায়-দেনা, সরকার, কোনো সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা যেরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেরূপে, সরকারের নিকট হস্তান্তরিত হইবে।
হস্তান্তরিত তহবিল ও সম্পত্তির প্রয়োগ
৮। ধারা ৬ বা ধারা ৭ এর বিধানাবলির অধীন সরকারের নিকট ন্যস্ত ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিল বা উহার অংশবিশেষ বা বোর্ডের অন্যান্য সম্পত্তি প্রথমত, বোর্ডের সেই সকল দায়-দেনা মিটাইতে ব্যবহৃত হইবে যাহা উক্ত বিধানাবলির অধীন সরকারের নিকট হস্তান্তরিত হইয়াছে এবং দ্বিতীয়ত, যে স্থানীয় এলাকা ক্যান্টনমেন্ট বা, ক্ষেত্রমত ক্যান্টনমেন্টের অংশ হিসাবে গণ্য হওয়া বন্ধ হইয়াছে সেই এলাকার বাসিন্দাদের কল্যাণে ব্যবহৃত হইবে।
আইন কার্যকারিতায় সীমাবদ্ধতা
৯। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের যে কোনো অংশের কার্যকারিতা হইতে কোনো ক্যান্টনমেন্টের সম্পূর্ণ বা যে কোনো অংশ বাদ দিতে পারিবে বা এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পরিবে, এই আইনের যে কোন বিধান, কোনো ক্যান্টনমেন্টের ক্ষেত্রে যেখানে ধারা ৪৭ এর অধীন বোর্ড বাতিল করা হইয়াছে, প্রয়োজনীয় পরিমার্জনাসহ প্রযোজ্য হইবে।
অধ্যায়-৩
অধিদপ্তর, মহাপরিচালক, ইত্যাদি
অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
১০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর নামে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর থাকিবে।
(২) বিদ্যমান সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর নামে অভিহিত হইবে এবং উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
১১। (১) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত হইবে।
(২) সরকার, প্রয়োজন মনে করিলে, ঢাকার বাহিরে যে কোনো ক্যান্টনমেন্টে অধিদপ্তরের শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
মহাপরিচালক
১২। (১) অধিদপ্তরের একজন মহাপরিচালক থাকিবে।
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
(৩) মহাপরিচালক অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক ও প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।
মহাপরিচালকের সাময়িক দায়িত্ব
১৩। ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ কোনো কারণে সাময়িকভাবে শূন্য হইলে, অধিদপ্তরের পরবর্তী জ্যেষ্ঠতম অফিসার মহাপরিচালকের সাময়িক দায়িত্ব পালন করিবেন।
অন্যান্য কর্মচারী
১৪। অধিদপ্তরের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী মহাপরিচালক ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংখ্যক, পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মচারী থাকিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
অধিদপ্তরের কার্যাবলি
১৫। (১) সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের কার্যাবলি হইবে প্রধানত নিম্নরূপ, যথা:-
(ক) সশস্ত্র বাহিনীসমূহের জন্য সকল ধরনের প্রতিরক্ষা বিভাগীয় ভূমির অধিগ্রহণ, রক্ষণাবেক্ষণ (custody) ও দাবি পরিত্যাগকরণ (relinquishment) সংক্রান্ত বিষয়াদি তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ;
(খ) সকল সামরিক ভূ-সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক নিয়ন্ত্রণ;
(গ) অধিদপ্তরের সকল গ্রেডের কর্মচারীগণের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ;
(ঘ) সামরিক আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং তদুদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বা অন্যান্য আইনানুগ উপায়ে ভূমি গ্রহণ;
(ঙ) সামরিক আবাসিক প্রকল্পের ভূমি ও ফ্ল্যাটের হস্তান্তর অনুমোদন, ছাড়পত্র প্রদান ও নাম জারিকরণ; এবং
(চ) বিধি দ্বারা অর্পিত যে কোনো কার্যাবলি।
(২) উপ-ধারা (১)-এ বর্ণিত কার্যাবলি ছাড়াও, সরকার, সময় সময়, নির্বাহী আদেশ দ্বারা, যে সকল কার্য বা দায়িত্ব অর্পণ করিবে, অধিদপ্তর বা, ক্ষেত্রমত, মহাপরিচালক সেই সকল কার্য ও দায়িত্ব পালন করিবেন।
সামরিক ভূমির শ্রেণি
১৬। (১) সামরিক ভূমি নিম্নরূপ শ্রেণিতে বিভক্ত হইবে, যথা:-
(ক) “‘ক” শ্রেণিভুক্ত ভূমি, যাহা সুনির্দিষ্ট সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বা তদ্রূপ ব্যবহারের জন্য সামরিক কর্তৃপক্ষের অধীন সংরক্ষিত;
(খ) “খ” শ্রেণিভুক্ত ভূমি, যাহা সুনির্দিষ্ট সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত নহে, বা তদ্রূপ ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত নহে, তবে সামরিক প্রশাসন সম্পর্কিত কার্যাদি সুচারুরূপে সম্পন্ন করিবার জন্য সামরিক কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনে সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে সংরক্ষিত থাকিবে; এবং
(গ) ‘‘গ’’ শ্রেণিভুক্ত ভূমি, যাহা এই আইনের ধারা ৯৩ অনুযায়ী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে ন্যস্ত।
(২) সামরিক ভূমি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহার করিতে হইবে।
(৩) কোনো ক্যান্টনমেন্টের নির্ধারিত সীমার মধ্যে কোনো সামরিক ভূমি, কোনো সামরিক বা অসামরিক ব্যক্তির নিকট ব্যক্তি মালিকানায়, কোনো প্রকারে হস্তান্তর করা যাইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, ক্যান্টনমেন্টের প্রয়োজনে বা ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোনো সামরিক বা আধা-সামরিক স্থাপনার সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহারের নিমিত্ত, ক্যান্টনমেন্টের নির্ধারিত সীমার মধ্যে কোনো সামরিক ভূমি কোনো সামরিক বা অসামরিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট নির্ধারিত শর্তে ইজারার ভিত্তিতে সাময়িক বন্দোবস্ত প্রদান করা যাইবে।
(৪) এই ধারার অধীন সামরিক ভূমির নির্ধারিত শ্রেণি সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে পরিবর্তন করা যাইবে না।
অধ্যায়-৪
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার
১৭। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টের জন্য একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন করিতে পারিবে; এবং প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জন্য একজন এক্সিকিউটিভ অফিসার থাকিবেন।
(২) এই আইন কার্যকর হইবার সময় বিদ্যমান বোর্ডসমূহ এই আইনের অধীনে গঠিত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং উপরোক্ত বোর্ডসমূহে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডার, বোর্ডের সভাপতি হিসাবে এবং সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট এরিয়া কমান্ডার এই আইনে বর্ণিত এরিয়া কমান্ডার হিসাবে অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) সরকার, আবশ্যক মনে করিলে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটির জন্য বোর্ড গঠন করিতে পারিবে এবং সেক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে (mutatis mutandis), উক্তরূপ বোর্ডের জন্যও প্রযোজ্য হইবে।
(৪) প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জনবল সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইবে।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আইনগত মর্যাদা
১৮। বোর্ড যে নামে ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে পরিচিত সেই নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, যাহার স্থায়ী ধারাবাহিকতাসহ একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকারের সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং যাহা উক্ত নামে মামলা করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাইবে।
সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা গণ্য হওয়া
১৯। (১) কোনো ক্যান্টনমেন্ট বা উহার অধিকাংশ অংশ কোনো সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত হইলে, বা কোনো ক্যান্টনমেন্ট যে সিটি কর্পোরশন বা পৌরসভার নিকটতম, উক্ত ক্যান্টনমেন্টের বোর্ড উক্ত সিটি কর্পোরেশনের অনুরূপ, যথাক্রমে, একটি সিটি কর্পোরেশন বা একটি পৌরসভা হিসাবে গণ্য হইবে, এবং সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অধীন এলাকায় নাগরিকগণকে যেরূপ পৌর সুবিধাদি প্রদান করা হয়, বোর্ড যতদূর সম্ভব, সেইরূপ সুবিধাদি ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দাগণকে প্রদান করিবে।
(২) সরকার কোনো নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটি বা ইহাদের কোনো অংশবিশেষের জন্য স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন আবশ্যক মনে না করিলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটির বা ইহাদের তদ্রুপ অংশ-বিশেষের পৌর সুবিধাদি নিকটস্থ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক প্রদান করা হইবে।
(৩) কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কোনো অংশ কোনো এলাকায় প্রতিরক্ষা বিভাগীয় ভূমিতে অবস্থান করিলে এবং উক্ত এলাকার জন্য ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন করা না হইলে, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বোর্ড ঐ এলাকায় প্রয়োজনীয় পৌর সুবিধা প্রদান করিবে।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিয়োগ
২০। (১) প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।
(২) এক্সিকিউটিভ অফিসারের বেতন ও ভাতাদি সরকারের তহবিল হইতে বহন করা হইবে।
(৩) এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং বোর্ডের সচিব হইবেন, কিন্তু বোর্ড বা বোর্ডের কোনো কমিটির সভায় তাহার আলোচনায় অংশগ্রহণের অধিকার থাকিলেও কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের সাময়িক দায়িত্ব
২১। কোনো বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারের অনুপস্থিতিতে, মহাপরিচালক, অন্য কোনো বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারকে, প্রথমোক্ত বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারের সাময়িক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
ক্যান্টনমেন্টের শ্রেণিবিন্যাস
২২। সরকার, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আয়তন, জনসংখ্যা ও গুরুত্ব বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত মনে করিলে, ক্যান্টনমেন্টসমূহকে নিম্নরূপ অনধিক তিনটি শ্রেণিতে বিন্যস্ত করিতে পারিবে; যথা:-
(ক) প্রথম শ্রেণি,
(খ) দ্বিতীয় শ্রেণি, এবং
(গ) তৃতীয় শ্রেণি।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন
২৩। (১) প্রথম শ্রেণির ক্যান্টনমেন্টসমূহে নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
(ক) স্টেশন কমান্ডার, যিনি পদাধিকারবলে বোর্ডের সভাপতিও হইবেন;
(খ) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট;
(গ) হেলথ অফিসার;
(ঘ) এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার;
(ঙ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ৩ (তিন) জন সামরিক অফিসার; এবং
(চ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ২ (দুই) জন অসামরিক বাসিন্দা।
(২) দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যান্টনমেন্টসমূহে নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
(ক) স্টেশন কমান্ডার, যিনি পদাধিকারবলে বোর্ডের সভাপতিও হইবেন;
(খ) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট;
(গ) হেলথ অফিসার;
(ঘ) এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার;
(ঙ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ২ (দুই) জন সামরিক অফিসার; এবং
(চ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ১ (এক) জন অসামরিক বাসিন্দা।
(৩) তৃতীয় শ্রেণির ক্যান্টনমেন্টসমূহে নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
(ক) স্টেশন কমান্ডার, যিনি পদাধিকারবলে বোর্ডের সভাপতিও হইবেন;
(খ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ২ (দুই) জন সামরিক অফিসার; এবং
(গ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ১ (এক) জন অসামরিক বাসিন্দা।
(৪) যখন, কোনো ক্যান্টনমেন্টে একাধিক বাহিনী অবস্থান করে, তখন, উক্ত ক্যান্টনমেন্ট সম্পর্কিত এই ধারার অধীন গঠিত বোর্ডে অনুরূপ প্রত্যেক বাহিনীর সামরিক অফিসারের প্রতিনিধিত্ব রাখিতে হইবে, এবং এক্ষেত্রে, তদুদ্দেশ্যে, এই ধারার অধীন গঠিত যে কোনো শ্রেণির ক্যান্টনমেন্ট সম্পর্কিত বোর্ডে তদতিরিক্ত অনধিক ২ (দুই) জন সামরিক অফিসারকে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে।
সদস্যের কার্যকাল
২৪। (১) বোর্ডের একজন মনোনীত সদস্যের কার্যকাল, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর হইবে।
(২) বোর্ডের পদাধিকারবলে মনোনীত কোনো সদস্যের কার্যকাল তিনি যে পদের কারণে অনুরূপ সদস্য পদে বহাল হইয়াছেন উক্ত পদে বহাল থাকা পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে।
(৩) যে সদস্যের কার্যকাল সমাপ্ত হইয়াছে তিনি, ভিন্নভাবে অযোগ্য না হইলে, পুনঃমনোনীত হইতে পারিবেন।
(৪) স্টেশন কমান্ডারের উপস্থিতিতে বোর্ডের সকল সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে, তাহার অনুপস্থিতে, বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত করিবার প্রয়োজন হইলে, তাহার স্থলে স্টেশন কমান্ডারের সাময়িক দায়িত্ব পালনকারী সামরিক অফিসার বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, এবং তদুদ্দেশ্যে তিনি বোর্ডের অস্থায়ী সভাপতি বলিয়া গণ্য হইবেন।
মনোনীত সদস্যের পদত্যাগ
২৫। (১) যদি বোর্ডের কোনো মনোনীত সদস্য পদত্যাগ করিবার ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে তাহার পদত্যাগপত্র, বোর্ডের সভাপতির মাধ্যমে, এরিয়া কমান্ডারের নিকট অগ্রবর্তী করিবেন।
(২) এরিয়া কমান্ডার পদত্যাগপত্র অনুমোদন করিলে পদত্যাগকারী সদস্যের আসন শূন্য হইবে ।
সভাপতির দায়িত্ব
২৬। প্রত্যেক বোর্ডের সভাপতির নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
(ক) বোর্ডের সকল সভা আহ্বান করা এবং উহাতে সভাপতিত্ব করা এবং উহার কার্যক্রম পরিচালনা করা;
(খ) বোর্ডের আর্থিক ও নির্বাহী প্রশাসনের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করা;
(গ) এই আইন দ্বারা বা তদধীন সভাপতির উপর আরোপিত বা অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করা; এবং
(ঘ) এই আইন দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধ, সীমাবদ্ধতা ও শর্তাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরাসরি দায়ী থাকা।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের দায়িত্ব
২৭। (১) এক্সিকিউটিভ অফিসার এই আইন দ্বারা বা তদধীন তাহার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করিবেন এবং বোর্ডের সকল তথ্যাদি হেফাজতের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং বোর্ডের বা উহার যে কোনো কমিটি বা এই আইনের অধীন গঠিত যে কোনো সালিস কমিটির কার্যবিবরণী সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পাদনের ব্যবস্থা করিবেন, যাহা উক্ত সংস্থাসমূহ যথাক্রমে তাহার উপর অর্পণ করিতে পারে, এবং ক্যান্টনমেন্ট প্রশাসন সম্পর্কিত বোর্ডের প্রত্যেক চাহিদা পূরণ করিবেন।
(২) এক্সিকিউটিভ অফিসার বোর্ডের সকল তহবিলের আয়ন-ব্যয়ন অফিসারের দায়িত্ব পালন করিবেন।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের বিশেষ ক্ষমতা
২৮। (১) জরুরি পরিস্থিতিতে, এক্সিকিউটিভ অফিসার যে কোনো কার্য বাস্তবায়ন বা দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যাহাতে সাধারণত বোর্ডের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং যাহা, তাহার মতে, তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন বা সম্পাদন জনস্বার্থে বা জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় এবং তিনি এইরূপ কার্য বাস্তবায়ন বা সম্পাদনের ব্যয় বোর্ডের তহবিল হইতে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) উপধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, এক্সিকিউটিভ অফিসার-
(ক) সভাপতির পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, এই ধারার অধীন দাপ্তরিক কার্যসম্পাদন করিবেন না;
(খ) এই ধারার অধীন বোর্ডের নির্দেশ লঙ্ঘন করিয়া এমন কোনো নির্দিষ্ট কার্য বা দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন করিবেন না, যাহা করা বা না-করা সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে; এবং
(গ) এই ধারার অধীন গৃহীত পদক্ষেপ এবং উহার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বোর্ডের নিকট রিপোর্ট পেশ করিবেন।
কতিপয় অফিসারের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা
২৯। (১) এই আইন দ্বারা বা এই আইনের অধীন অর্পিত দায়িত্ব পালনের সীমিত উদ্দেশ্য সাধনকল্পে বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণের, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা থাকিবে এবং তাহারা তদুদ্দেশ্যে Code ofCriminal Procedure, 1898 (Act No V of 1898) এর section 10 এর অধীন নিযুক্ত ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের অনুরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার সময় উক্ত কার্যবিধিতে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন।
(২) কোনো অফিসার এই ধারার অধীন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন না, যদি না তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণের মধ্য হইতে প্রেষণে উক্ত পদে নিযুক্ত হইয়া থাকেন।
(৩) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার ক্ষেত্রে, আবশ্যক হইলে, একজন অফিসার সামরিক কিংবা অসামরিক পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
সদস্যগণের অপসারণ
৩০। (১) এরিয়া কমান্ডার ধারা ২৩ এর অধীনে মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবেন, যিনি-
(ক) একাদিক্রমে ৩ (তিন)টির অধিক বোর্ডের সভায় অনুপস্থিত থাকেন এবং এইরূপ অনুপস্থিতির জন্য বোর্ডের নিকট সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করিতে অপারগ হন; বা
(খ) সরকারের মতে, বোর্ডের সদস্য হিসাবে চরমভাবে নিজ পদের অপব্যবহার করিয়াছেন, যাহার ফলে উক্ত সদস্য পদে বহাল থাকা জনস্বার্থ পরিপন্থি হইয়া পড়িয়াছে; বা
(গ) সংশ্লি¬ষ্ট বোর্ডের কোনো কার্য সম্পাদন বা মালামাল সরবরাহের জন্য বোর্ডের সহিত চুক্তি করেন বা অন্য কোনোভাবে ইহার কর্মকান্ডের সহিত তাহার আর্থিক স্বার্থ জড়িত থাকে।
(২) একজন অপসারিত সদস্য তাহার অপসারণের পর ৩(দিন) বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুনঃমনোনয়নের জন্য যোগ্য হইবেন না।
বোর্ডের কর্মচারীগণ সরকারি কর্মচারী গণ্য হইবেন
৩১। (১) বোর্ডের প্রত্যেক স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মচারী
Penal Code, 1860 (Act No XLV of 1860)-এ সংজ্ঞায়িত অর্থে সরকারি কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন।
(২) সরকারি কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আচরণ ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত সকল বিধি-বিধান একইভাবে বোর্ডের অফিসার ও কর্মচারীগণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
বোর্ডের সভা
৩২। (১) বোর্ড প্রতি ২ (দুই) মাসে অন্তত ১ (এক) বার সভায় মিলিত হইবে এবং উক্ত সভা সম্পর্কে এই আইনের অধীন প্রণীত উপ-আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিতে হইবে।
(২) সভাপতি, প্রয়োজন মনে করিলে অথবা বোর্ডের সদস্যদের অন্যূন এক-তৃতীয়াংশের লিখিত দাবির প্রেক্ষিতে, যে কোনো সময় বিশেষ সভা আহ্বান করিতে পারিবেন।
(৩) যে কোনো সভা পরবর্তী দিবস বা যে কোনো অনুবর্তী দিবস পর্যন্ত মুলতবি করা যাইবে এবং একটি মুলতবি সভাও একইভাবে মুলতবি করা যাইবে।
নিষ্পত্তিযোগ্য কার্যাবলি
৩৩। এই আইনের অধীন বোর্ড কর্তৃক প্রণীত যে কোনো উপ-আইন সাপেক্ষে, যে কোনো সময় সভায় যে কোনো কার্য নিষ্পন্ন করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কর আরোপণ, রহিতকরণ বা সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় সভায় নিষ্পত্তি করা হইবে না, যদি না উক্ত বিষয় ও তারিখ নির্ধারণপূর্বক সভা অনুষ্ঠিত হইবার অন্যূন ৭ (সাত) দিন পূর্বে প্রত্যেক সদস্যের নিকট নোটিশ প্রেরণ করা হয়।
সভার কোরাম
৩৪। বোর্ডের সভায় কোনো কার্য নিষ্পত্তির জন্য অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূরণ হইবে।
কার্যবিবরণী
৩৫। (১) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী একটি বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং সভা সমাপ্তির পর সভাপতি ও সদস্যসচিব কর্তৃক উহা স্বাক্ষরিত হইবে।
(২) কার্যবিবরণীর অনুলিপি প্রত্যেক সভার পর, যথাশীঘ্র সম্ভব, এরিয়া কমান্ডার ও সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকের নিকট জ্ঞাতার্থে বা কার্যার্থে অগ্রবর্তী করিতে হইবে।
উত্থাপিত বিষয় নিষ্পন্নের পদ্ধতি
৩৬। (১) সভায় উত্থাপিত সকল বিষয় উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্ধারিত হইবে।
(২) ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে।
(৩) বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো সদস্যের দ্বিমত থাকিলে, যদি উক্ত সদস্য অনুরূপ অনুরোধ করেন, তাহা হইলে তাহার দ্বিমত পোষণের কারণসমূহ, সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ, কার্যবিবরণীতে সন্নিবিষ্ট করা হইবে।
বাজার সংক্রান্ত কমিটি
৩৭। বোর্ড ইহার ৩(তিন) জন সদস্যের সমন্বয়ে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাজার এলাকার প্রশাসনের জন্য ১(এক)টি কমিটি গঠন করিবে এবং উক্ত কমিটিকে বাজার সংক্রান্ত বিষয়ে উহার ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে; এবং বোর্ড কর্তৃক কমিটির ১ (এক) জন সদস্যকে কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হইবে।
প্রশাসনিক প্রতিবেদন
৩৮। প্রত্যেক বোর্ড বৎসর সমাপ্ত হইবার পর, যথাশীঘ্র সম্ভব এবং এতদ্বিষয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে, এরিয়া কমান্ডারের মাধ্যমে পূর্ববর্তী আর্থিক বৎসরের ক্যান্টনমেন্ট প্রশাসন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে এবং বিস্তারিতভাবে, সরকারের নিকট দাখিল করিবে।
দলিলাদি উপস্থাপনের জন্য নির্দেশদানে সরকারের ক্ষমতা
৩৯। সরকার, যে কোনো সময়ে, যে কোনো বোর্ডকে নিম্নবর্ণিত দলিলাদি দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) উক্ত বোর্ডের অধিকারে থাকা বা উহার নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো রেকর্ড, চিঠিপত্র, পরিকল্পনা বা অন্যান্য দলিল উপস্থাপন;
(খ) উহার যে কোনো কর্মপন্থা, দায়দায়িত্ব বা কার্যাদি সম্পর্কিত নক্সা, প্রাক্কলন, বিবরণ, হিসাব বা পরিসংখ্যান প্রদান;
(গ) যে কোনো রিপোর্ট প্রদান বা সংগ্রহ।
পরিদর্শন
৪০। সরকার, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যে কোনো অসামরিক অফিসারকে বা, ক্ষেত্রমত, এরিয়া কমান্ডার তাহার অধস্তন যে কোনো সামরিক অফিসারকে, বোর্ডের দপ্তরের যে কোনো বিভাগ বা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত যে কোনো সেবা বা কাজ, বা উহার মালিকানাধীন বস্তু, পরিদর্শন বা পরীক্ষা করিবার এবং তৎসম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করিবার জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং বোর্ড ও উহার অফিসার ও কর্মচারীগণ এইরূপ নিযুক্ত ব্যক্তিকে সকল যুক্তিযুক্ত সময়ে বোর্ডের প্রাঙ্গণে ও সম্পত্তিতে প্রবেশের জন্য এবং ইহার সকল রেকর্ড, হিসাব এবং তিনি তাহার দায়িত্ব পালনের জন্য যে সকল দলিল পরিদর্শন করাকে প্রয়োজন বলিয়া মনে করেন সেইগুলি পরীক্ষা করিবার জন্য সুযোগ দানে বাধ্য থাকিবেন।
দলিলাদি তলব করিবার ক্ষমতা
৪১। এরিয়া কমান্ডার, লিখিত আদেশ দ্বারা,-
(ক) বোর্ডের অধিকারে থাকা বা নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো বহি বা দলিল তলব করিতে পারিবেন;
(খ) বোর্ডকে, তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ বিবৃতি, হিসাব, রিপোর্ট এবং উহার কার্যধারা, দায়িত্ব বা কার্যসম্পর্কিত দলিল প্রদানের জন্য, তলব করিতে পারিবেন।
কার্য, ইত্যাদি সম্পাদন সংক্রান্ত ক্ষমতা
৪২। ধারা ৪০ বা ৪১ এর অধীন সংগৃহীত তথ্য বা রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে, যদি সরকার বা, ক্ষেত্রমত, এরিয়া কমান্ডার মনে করেন যে,-
(ক) এই আইন দ্বারা বা তদধীন বোর্ডের উপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালন করা হয় নাই বা উহা ত্রুটিপূর্ণ, অদক্ষ বা অনুপযুক্তভাবে পালন করা হইয়াছে; বা
(খ) এইরূপ কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা হয় নাই,
তাহা হইলে সরকার বা এরিয়া কমান্ডার যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ সময়ের মধ্যে, যথাযথভাবে কর্তব্য পালন বা, ক্ষেত্রমত, আর্থিক সংস্থান করিবার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
নির্দেশ পালনে বাধ্য করিবার ক্ষমতা
৪৩। ধারা ৪২ এর অধীন, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যে কাজ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইয়াছিল উহা যদি যথাযথভাবে করা না হয়, তাহা হইলে সরকার বা, ক্ষেত্রমত, এরিয়া কমান্ডার উক্ত কাজ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অধিকন্তু উক্ত কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যয় ক্যান্টনমেন্ট তহবিল হইতে নির্বাহ করা হইবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করিবার ক্ষমতা
৪৪। (১) যদি সভাপতি বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তের সহিত দ্বিমত পোষণ করেন, যাহা তাহার মতে ক্যান্টনমেন্টের সৈন্যদের স্বাস্থ্য, কল্যাণ বা শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে তিনি কার্যবিবরণীতে কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করিয়া, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহার ব্যবস্থা গ্রহণ অনধিক ১(এক) মাসের জন্য স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবং এইরূপ করা হইলে তিনি বিষয়টি অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্তের জন্য এরিয়া কমান্ডারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(২) যদি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তকে জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা সুবিধার জন্য ক্ষতিকর মনে করেন, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে বোর্ডের নিকট তাহার অভিমত সম্পর্কে নোটিশ প্রদান করিয়া, বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সরকারের নিকট প্রেরণ-সূত্রে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সিদ্ধান্তের উপর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না।
(৩) যদি কোনো এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বোর্ডের সদস্য হইয়া, কোনো সভায় উপস্থিত থাকিয়া, কোনো সিদ্ধান্তের সহিত দ্বিমত পোষণ করেন, যাহা তিনি জনস্বাস্থ্য বা জননিরাপত্তা জন্য ক্ষতিকর মনে করেন, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে তাহার অভিমত সম্পর্কে সভাপতিকে নোটিশ প্রদান করিয়া, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করিবেন এবং সভাপতি এইরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর, উক্ত সিদ্ধান্তের উপর ব্যবস্থা গ্রহণ এইরূপ সময়ের জন্য স্থগিত করিবেন যাহা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সহিত যোগাযোগ এবং উপ-ধারা (২) এর অধীন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত হয়।
সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরিত বিষয়ে এরিয়া কমান্ডারের ক্ষমতা
৪৫। (১) এরিয়া কমান্ডার যে কোনো সময়ে-
(ক) নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন, সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের নিকট প্রেরিত বিষয় ব্যতীত, কোনো বিষয় বা কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব বোর্ড কর্তৃক বিবেচনা বা পুনর্বিবেচনা করা হউক; বা
(খ) ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন, সিদ্ধান্তের জন্য তাহার নিকট প্রেরিত বিষয় ব্যতীত, অন্য কোনো কার্যক্রম তাহার নির্দেশে বর্ণিত সময়ের জন্য স্থগিত রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং তৎপরবর্তী স্থগিতাদেশ বাতিল করিতে পারিবেন বা কেন এইরূপ নির্দেশ প্রদান করা হইবে না তজ্জন্য বোর্ডকে কারণ দর্শানোর যুক্তিযুক্ত সময় প্রদানের পর এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হইবে না বা তৎকর্তৃক নির্দিষ্ট সংশোধনীসহ উহা কার্যকর করা হইবে।
(২) বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্ত ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন মতামতের জন্য এরিয়া কমান্ডারের নিকট প্রেরণ করা হইলে, তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা,-
(ক) সভাপতি কর্তৃক কার্যক্রম স্থগিত করিবার জন্য প্রদত্ত আদেশ বাতিল করিতে পারিবেন; বা
(খ) তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ সময়ের জন্য আদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারিবেন; বা
(গ) কেন এইরূপ নির্দেশ প্রদান করা হইবে না বোর্ডকে উহার কারণ দর্শানোর যুক্তিযুক্ত সুযোগদানের পর, নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হইবে না বা তিনি যেইরূপ নির্দিষ্ট করিবেন সেইরূপ সংশোধনীসহ উহা বোর্ড কর্তৃক কার্যকর করা হইবে।
সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরিত বিষয়ে সরকারের ক্ষমতা
৪৬। ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকারের নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করা হইলে, সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা,-
(ক) নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, সিদ্ধান্তের উপর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে না; বা
(খ) নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, ইহা যেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেইরূপ সংশোধনীসহ বা ব্যতিরেকে আদেশটি কার্যকর করা যাইবে।
বোর্ড বাতিলকরণ
৪৭। যদি সরকারের নিকট এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, কোনো বোর্ড দায়িত্ব পালনে যোগ্য নহে বা ইহা ক্রমাগতভাবে এই আইন দ্বারা বা তদধীন ইহার উপর অর্পিত দায়িত্ব বা অন্য কোনো আইনগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইয়াছে বা ইহা নিজ ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করিয়াছে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়াছে, তাহা হইলে সরকার উক্ত বোর্ড বাতিল করিতে পারিবে।
বোর্ড বাতিলকরণের ফলাফল
৪৮। ধারা ৪৭ এর অধীন আদেশ দ্বারা কোনো বোর্ড বাতিল করা হইলে-
(ক) বোর্ডের সকল সদস্য, উক্ত আদেশে উল্লিখিত তারিখে সদস্যরূপে নিজ নিজ দায়িত্ব হইতে পদত্যাগ করিয়াছেন মর্মে গণ্য হইবেন, কিন্তু ইহাতে পুনঃমনোনয়নের জন্য তাহাদের যোগ্যতার বিষয়টি ক্ষুণ্ন হইবে না;
(খ) বোর্ড বাতিল থাকা অবস্থায়, এই আইনের অধীন বা অন্য কোনো আইন দ্বারা বোর্ডের উপর অর্পিত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক, এতদ্বিষয়ে সরকার কর্তৃক আরোপিত কোনো সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, প্রয়োগ ও পালন করা হইবে; এবং
(গ) বাতিলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে বোর্ড পুনর্গঠনের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হইবে।
কার্যধারা, ইত্যাদির বৈধতা
৪৯। (১) কেবল কোনো বোর্ডে বা উহার কোনো কমিটিতে পদ শূন্য থাকিবার কারণে উক্ত বোর্ড বা কমিটির কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না।
(২) বোর্ডের বা উহার কোনো কমিটির সভাপতি বা সদস্য হিসাবে মনোনয়ন বা নিয়োগজনিত কোনো অযোগ্যতা বা ত্রুটি বোর্ডের বা কমিটির কার্য বা কার্যধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না, যদি উক্ত কার্য করিবার বা কার্যধারা গ্রহণ করিবার সময় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যক্তি যথাযথভাবে উহার সদস্য থাকেন।
(৩) বোর্ড বা উহার কোনো কমিটির কার্যধারার রেকর্ড বলিয়া গণ্য কোনো দলিল বা কার্যবিবরণীকে, যদি উক্ত কার্যবিবরণী প্রস্তুত ও স্বাক্ষর করিবার জন্য নির্দেশিতরূপে সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত ও স্বাক্ষরিত হইয়া থাকে, যথাযথভাবে গঠিত বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, কমিটির যথাযথভাবে আহ্বানকৃত সভার কার্যবিবরণীর যথাযথ রেকর্ড হিসাবে গণ্য করা হইবে।
অধ্যায় - ৫
কর আরোপ, আদায় ও পৌর-দায়িত্ব
কর আদায় ও পৌরসেবা
৫০। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় পৌর-সুবিধাদি প্রদানের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের নিকট হইতে উপযুক্ত কর আদায় করিতে পারিবে।
করআরোপের সাধারণ ক্ষমতা
৫১। (১) বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো ক্যান্টনমেন্টে, যে কোনো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার ন্যায়, যে কোনো বিষয়ে কর আরোপ করিতে পারিবে।
(২) এই ধারার অধীন আরোপিত যে কোনো কর সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।
(৩) অসামরিক আবাসিক এলাকা, বাজার এলাকাসহ ক্যান্টনমেন্ট বহির্ভূত যে সকল সংলগ্ন এলাকায় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড পৌর-সুবিধাদি সরবরাহ করিয়া থাকে, সেই সকল এলাকা এই ধারার তৎসংশ্লিষ্ট সীমিত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একাংশ বলিয়া গণ্য হইবে।
প্রাথমিক প্রস্তাব প্রণয়ন
৫২। ধারা ৫১ এর অধীন কর আরোপের জন্য বোর্ড কর্তৃক কোনো প্রস্তাব গৃহীত হইলে, বোর্ড ধারা ৫৭-এ উল্লিখিত পদ্ধতিতে, নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সুনির্দিষ্ট করিয়া একটি নোটিশ প্রকাশ করিবে, যথা:-
(ক) যে কর আরোপের প্রস্তাব করা হইয়াছে;
(খ) যে ব্যক্তিবর্গ বা যে শ্রেণির ব্যক্তিবর্গকে প্রস্তাবিত কর পরিশোধ করিতে হইবে এবং যে সম্পত্তি বা বস্তুর জন্য কর পরিশোধ করিতে হইবে; এবং
(গ) যে হারে কর ধার্য হইবে।
আপত্তি এবং উহার নিষ্পত্তি
৫৩। (১) ক্যান্টনমেন্টের যে কোনো বাসিন্দা ধারা ৬৯ এর অধীন নোটিশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নোটিশে উল্লিখিত সকল বা যে কোনো প্রস্তাব সম্পর্কে লিখিত আপত্তি পেশ করিতে পারিবেন এবং বোর্ড উক্ত যে কোনো আপত্তি বিবেচনা করিবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক তৎসম্পর্কে আদেশ জারি করিবে।
(২) বোর্ড উহার সকল বা যে কোনো প্রস্তাব পরিবর্তন করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উহা ধারা ৬৯-এ উল্লিখিত পদ্ধতিতে, পরিবর্তিত প্রস্তাবসমূহ এইরূপে পুনঃপ্রকাশ করিবে যেন উক্ত প্রস্তাবসমূহ পূর্বে প্রকাশিত প্রস্তাবসমূহের পরিবর্তিত রূপ, এবং এইরূপ পরিবর্তিত প্রস্তাবসমূহের ক্ষেত্রে উপধারা (১) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।
(৩) বোর্ড প্রস্তাবসমূহ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করিয়া থাকিলে, উক্ত প্রস্তাবসমূহ, কোনো আপত্তি থাকিলে উহা-সহ, এরিয়া কমান্ডারের মাধ্যমে, সরকারের নিকট পেশ করিবে।
কর ধার্যকরণ
৫৪। (১) সরকার, বোর্ডকে মূল প্রস্তাব অনুসারে, বা কোনো আপত্তি দাখিল করা হইলে উক্তরূপে বা উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সংশোধিত রূপে, কর ধার্য করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
(২) সরকার, বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত যে কোনো কর হ্রাস বা বৃদ্ধি করিবার বা যে কোনো নূতন বিষয়ে কর আরোপ করিবার জন্য বোর্ডকে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) কোনো ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে বা সংলগ্ন এলাকায় কোনো অসামরিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক পৌর-সুবিধাদি প্রদান করা হইলে, প্রদত্ত পৌর-সুবিধাদির বিনিময়ে প্রাপ্য করসমূহের পরিমাণ, যতদূর সম্ভব, অসামরিক পৌর-কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিকটতম অসামরিক এলাকার জন্য অনুরূপ বিষয়ে ধার্য পৌর-করের সমপরিমাণ হইবে।
(৪) সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, উপধারা (৩) এর অধীন ধার্যকৃত পৌর-করসমূহ প্রতি ৩ (তিন) বৎসর অন্তর পুনর্মূল্যায়ন পূর্বক, আবশ্যক ক্ষেত্রে পুনঃনির্ধারণ করিয়া, বিজ্ঞপ্তি জারি করিবে; এবং বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে প্রেরণ করিবে।
(৫) কোনো ধার্যকৃত, নির্ধারিত বা সংশোধিত কর বা কর তালিকা কার্যকর করিবার পূর্বে উহাতে সরকারের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
বার্ষিক মূল্যায়নের সংজ্ঞা
৫৫। (১)এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘বার্ষিক মূল্যায়ন’’ অর্থ-
(ক) রেল স্টেশন, হোটেল, কলেজ, স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা এবং এই দফার অধীন বোর্ড মূল্যায়ন করিতে ইচ্ছুক এইরূপ ইমারতের ক্ষেত্রে, উহা নির্মাণের বর্তমান প্রাক্কলিত ব্যয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট ভূমির মূল্য যোগ করিলে মোট যে অংক হইবে উহার ২০ (বিশ) ভাগের এক ভাগ; এবং
(খ) দফা (ক) এর অধীন যে ইমারত বা ভূমির মূল্যায়ন করা হয় নাই উহার ক্ষেত্রে, মোট বার্ষিক ভাড়া যাহাতে উক্ত ইমারত (উহার মধ্যস্থ আসবাবপত্র বা যন্ত্রপাতি ব্যতীত) বা ভূমি বাস্তবে ভাড়া দেওয়া হয়, বা যেক্ষেত্রে ইমারত বা ভূমি ভাড়া দেওয়া হয় না বা, বোর্ডের মতে, উহার উচিত মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে ভাড়া দেওয়া হয়, সেইক্ষেত্রে বার্ষিক যে মূল্যে উহা যুক্তিযুক্তভাবে ভাড়া দেওয়ার প্রত্যাশা করা যায় সেই মূল্য:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ইমারতের বার্ষিক মূল্য পূর্বোক্তরূপে হিসাব করিলে যদি উক্ত মূল্য কোনো ব্যতিক্রমধর্মী কারণে বোর্ডের নিকট অত্যধিক বলিয়া মনে হয়, তাহা হইলে বোর্ড যেইরূপ ন্যায়সঙ্গত বিবেচনা করিবে সেইরূপ কোনো কম মূল্য ধার্য করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড উপ-আইন দ্বারা মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বিধান করিতে পারিবে।
করের ভার
৫৬। (১) কর ধার্য করিবার নোটিশে সুষ্পষ্টভাবে বিধৃত না হওয়া ব্যতীত, ইমারত বা ভূমি বা উভয়ের উপর মূল্যায়নকৃত প্রত্যেক কর, যে সম্পত্তির উপর উহা মূল্যায়ন করা হইয়াছে, প্রাথমিকভাবে উহার দখলদারের উপর আরোপযোগ্য হইবে, যদি তিনি উক্ত ইমারত বা ভূমির মালিক হন বা সরকার কর্তৃক বা সরকারের পক্ষে বোর্ডের প্রদত্ত ইমারত বা অন্য ধরনের ইজারাপ্রাপ্ত হন বা যে কোনো ব্যক্তি হইতে ইজারাপ্রাপ্ত হন।
(২) অন্যান্য ক্ষেত্রে, প্রাথমিকভাবে নিম্নরূপে কর আরোপ করা যাইবে, যথা:-
(ক) সম্পত্তি ভাড়া দেওয়া হইলে ভাড়া প্রদানকারীর উপর;
(খ) সম্পত্তি কোর্ফা ভাড়া (sublet) দেওয়া হইলে ঊর্ধ্বতন ভাড়া প্রদানকারীর উপর; এবং
(গ) সম্পত্তি ভাড়া দেওয়া না হইলে যে ব্যক্তির উপর ভাড়া দেওয়ার অধিকার বর্তায় তাহার উপর।
(৩) যে ব্যক্তির উপর প্রাথমিকভাবে কর আদায়যোগ্য হয় তাহার নিকট হইতে উহা আদায়ে ব্যর্থ হইলে, উহা যে ইমারত বা ভূমির ক্ষেত্রে আদায়যোগ্য সেই ইমারত বা ভূমির যে কোনো অংশের দখলদারের নিকট হইতে আদায় করা যাইতে পারে।
(৪) সম্পূর্ণ ইমারত বা ভূমির কোনো অংশ যে হার সম্পর্কিত, আদায়ের পরিমাণ সেই হারে, বা সম্পূর্ণ ইমারত বা ভূমির সমগ্র ভাড়ার পরিমাণ, যদি উহা প্রমাণীকৃত মূল্যায়ন তালিকায় বর্ণিত থাকে, উহার কোনো অংশের বার্ষিক ভাড়ার হারাহারিভাবে হইবে।
(৫) যদি কোনো দখলদার করের অংশবিশেষ পরিশোধ করেন যাহার জন্য তিনি এই ধারার অধীন প্রাথমিকভাবে দায়ী নহেন, তাহা হইলে তিনি, বিপরীত কোনো চুক্তির অনুপস্থিতিতে, যে ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে পরিশোধের জন্য দায়ী তাহার নিকট হইতে উহা ফেরত লাভের অধিকারী হইবেন এবং এইরূপ অধিকারপ্রাপ্ত হইলে, তিনি, সময়ে সময়ে, উক্ত ব্যক্তিকে প্রদেয় ভাড়া হইতে কর্তন করিতে পারিবেন।
কর-নির্ধারণ তালিকা
৫৭। ইমারত বা ভূমি বা উভয়ের বার্ষিক মূল্যের উপর নির্ধারণকৃত কোনো কর আরোপ করা হইলে, বোর্ড ক্যান্টনমেন্টের সকল ইমারত বা ভূমি বা, ক্ষেত্রমত, উভয়ের জন্য একটি কর নির্ধারণ তালিকা প্রস্তুত করিবে।
কর-নির্ধারণ তালিকা প্রকাশ
৫৮। কর-নির্ধারণ তালিকা প্রস্তুত করা হইলে, বোর্ড তৎসম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তি প্রদান করিবে এবং উক্ত তালিকা ব্যাপকভাবে প্রকাশ করিবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যিনি উক্ত তালিকাভুক্ত কোনো সম্পত্তির মালিক, ইজারাদার বা দখলদার বলিয়া দাবি করেন এবং উক্ত ব্যক্তির কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি স্বাধীনভাবে উক্ত তালিকা পরিদর্শন এবং বিনামূল্যে উহার কোনো অংশের উদ্ধৃতি সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
কর-নির্ধারণ তালিকা পুনর্বিন্যাস
৫৯। (১) একই সময়ে, বোর্ড যখন কর-নির্ধারণ তালিকাভুক্ত মূল্যায়ন এবং নির্ধারণসমূহ বিবেচনা শুরু করিবে, পরবর্তী অন্যূন ১ (এক) মাসের সময় প্রদানপূর্বক তারিখ নির্দিষ্ট করিয়া একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিবে, এবং যেক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তির প্রথমবারের মত কর-নির্ধারণ করা হয় বা কর-নির্ধারণ বৃদ্ধি করা হয়, সেইক্ষেত্রে ইহা এতদ্বিষয়ে সম্পত্তির মালিক এবং যে কোনো ইজারাদার বা দখলদারকে লিখিত নোটিশ প্রদান করিবে।
(২) কোনো মূল্যায়ন বা কর-নির্ধারণ সম্পর্কে আপত্তি থাকিলে তদ্বিষয়ে লিখিতভাবে বোর্ডের নিকট, নোটিশে প্রকাশিত হইবার তারিখের পূর্বে দাখিল করিতে হইবে এবং মূল্যায়ন বা কর-নির্ধারণ সম্পর্কে কি আপত্তি করা হইয়াছে উহা বর্ণনা করিতে হইবে এবং এইরূপ দায়েরকৃত সকল আপত্তি বোর্ডের দ্বারা বিবেচনার উদ্দেশ্যে একটি বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত আপত্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান এবং তদন্ত করিতে হইবে এবং বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত কর নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক আপত্তিকারীকে, ব্যক্তিগতভাবে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে, শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।
(৪) অন্যূন ৩(তিন) জন ব্যক্তির সমন্বয়ে কর নির্ধারণ কমিটি গঠিত হইবে এবং উক্ত কমিটিতে বোর্ডের কোনো সদস্যকে নিয়োগ দানের প্রয়োজন হইবে না।
কর-নির্ধারণ তালিকা প্রমাণীকরণ
৬০। (১) যখন ধারা ৫৩ এর অধীন দায়েরকৃত সকল আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয় এবং মূল্যায়ন এবং কর নির্ধারণের পুনর্বিবেচনা করা সমাপ্ত হয়, তখন কর-নির্ধারণ তালিকাটি কর নির্ধারণ কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর দ্বারা প্রমাণীকৃত হইবে যাহারা, একই সময়ে, প্রত্যয়ন করিবেন যে, উক্ত আপত্তিসমূহ যথাযথভাবে বিবেচনা করা হইয়াছে এবং তাহারা এইরূপ আপত্তিসমূহের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় সংশোধন করিয়াছেন।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রমাণীকৃত কর-নির্ধারণ তালিকা বোর্ডের কার্যালয়ে জমা করা হইবে এবং অফিস সময়ে বিনামূল্যে পরিদর্শনের জন্য সম্পত্তির সকল মালিক, ইজারাদার এবং দখলদারদের নিকট বা উক্ত ব্যক্তিগণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের নিকট উন্মুক্ত থাকিবে এবং এইরূপ উন্মুক্ত থাকিবার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিতে হইবে।
কর-নির্ধারণ তালিকার সাক্ষ্যগত মূল্য
৬১। এই অধ্যায়ের বিধানাবলির অধীন কর-নির্ধারণ তালিকায় পরবর্তীতে আনীত পরিবর্তন এবং উহার অধীন দায়েরকৃত আপিলের ফলাফল সাপেক্ষে, ধারা ৬০ এর বিধানমতে প্রমাণীকৃত ও জমাকৃত সকল ভুক্তি চূড়ান্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে, যদি উহা-
(ক) এই আইনের অধীন আরোপিত যে কোনো কর নির্ধারণের উদ্দেশ্যে, উক্ত ভুক্তিসমূহ যথাক্রমে যে সকল ইমারত ও ভূমির বার্ষিক মূল্য বা অন্যান্য মূল্যায়নের সহিত সম্পৃক্ত হয়; এবং
(খ) যে বৎসরের সহিত এইরূপ তালিকা সম্পৃক্ত সেই বৎসরে আরোপিত ইমারত বা ভূমির প্রত্যেক করের আরোপযোগ্য পরিমাণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে হয়।
কর-নির্ধারণ তালিকা সংশোধন
৬২। (১) বোর্ড যে কোনো সময় নিম্নবর্ণিত বিষয় বিবেচনাক্রমে কর-নির্ধারণ তালিকা সংশোধন করিতে পারিবে-
(ক) যে কোনো ব্যক্তির নাম সন্নিবেশিত করিয়া বা বাদ দিয়া, যাহার নাম সন্নিবেশিত করা বা বাদ দেওয়া উচিত বা উচিত হইবে; বা
(খ) যে কোনো সম্পত্তি সন্নিবেশিত করিয়া বা বাদ দিয়া, যে সম্পত্তি সন্নিবেশিত করা বা বাদ দেওয়া উচিত বা উচিত হইবে; বা
(গ) যে কোনো সম্পত্তির উপর কর-নির্ধারণ পরিবর্তন করিয়া, যাহা ভুলভাবে মূল্যায়ন করা হইয়াছে বা, বোর্ড বা কর নির্ধারণ কমিটি বা যাহার দ্বারাই হউক না কেন, নির্ধারণকৃত ব্যক্তির শঠতা, দুর্ঘটনা বা ভুলের কারণে হইয়াছে; বা
(ঘ) যে সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি করা হইয়াছে উহা পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃনির্ধারণ করিয়া; বা
(ঙ) দখলদার কর্তৃক প্রদেয় করের ক্ষেত্রে, দখলদারের নাম পরিবর্তন করিয়া:
তবে শর্ত থাকে যে, যে বৎসরে কর-নির্ধারণ শুরু হইয়াছে উহার পূর্ববর্তী কোনো সময়ের কর বা করের বৃদ্ধি পরিশোধের জন্য কোনো ব্যক্তি এইরূপ সংশোধনীর কারণে দায়ী হইবেন না।
(২) উপধারা (১) এর অধীন কোনো সংশোধন করিবার পূর্বে বোর্ড সংশোধন নোটিশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে এই মর্মে অন্যূন ১ (এক) মাসের নোটিশ প্রদান করিবে যে, উহা সংশোধনের প্রস্তাব করিতেছে।
(৩) এইরূপ যে কোনো সংশোধনী সম্পর্কে আগ্রহী যে কোনো ব্যক্তি নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে বোর্ডের নিকট লিখিতভাবে আপত্তি করিতে পারিবে এবং তিনি উহার সমর্থনে স্বয়ং বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে শুনানি প্রদানের সুযোগপ্রাপ্ত হইবেন।
নূতন কর-নির্ধারণ তালিকা প্রস্তুতকরণ
৬৩। বোর্ড প্রতি ৩(তিন) বৎসর অন্তর ১ (এক) বার একটি নূতন কর-নির্ধারণ তালিকা প্রস্তুত করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ধারা ৫৭ হইতে ধারা ৬২ এর বিধানাবলি যেইরূপ প্রথম বারের মত কর-নির্ধারণ তালিকা প্রস্তুত করিবার সময় প্রযোজ্য হইয়াছিল সেই একইরূপে প্রযোজ্য হইবে।
হস্তান্তরের নোটিশ
৬৪। (১) যখন কোনো ইমারত বা ভূমির বার্ষিক মূল্যের উপর কর পরিশোধের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী ব্যক্তির স্বত্ব হস্তান্তরিত হয়, তখন যে ব্যক্তির স্বত্ব হস্তান্তরিত হয় এবং যে ব্যক্তির অনুকূলে উহা হস্তান্তরিত হয়, তিনি, হস্তান্তর দলিল সম্পাদনের পর উহা নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে, নিবন্ধনের ৩(তিন) মাসের মধ্যে, এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট এইরূপ হস্তান্তরের নোটিশ প্রদান করিবেন।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রাথমিকভাবে দায়ী কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হইলে, যে ব্যক্তির উপর মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারের স্বত্ব বর্তায় তিনি ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট এইরূপ বর্তানোর নোটিশ প্রদান করিবেন।
(৩) এই ধারার অধীন প্রদেয় নোটিশ এক্সিকিউটিভ অফিসার যেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিবেন সেইরূপ আকারে হইবে এবং যাহার নিকট হস্তান্তর করা হয় বা যে ব্যক্তির উপর স্বত্ব বর্তায়, তিনি, প্রয়োজনবোধে, হস্তান্তর বা বর্তানোর যে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণজনিত দলিল এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট উপস্থাপন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
(৪) যে কোনো ব্যক্তি যিনি এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট নোটিশ প্রদান না করিয়া পূর্বোক্তরূপে হস্তান্তর করেন তিনি যতদিন না নোটিশ প্রদান করিবেন বা হস্তান্তর সম্পর্কে বোর্ডের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়, ততদিন পর্যন্ত তিনি হস্তান্তরিত সম্পত্তির উপর নির্ধারিত সকল কর আদায়ের জন্য দায়ী থাকিবেন, কিন্তু এই ধারার কোনো কিছু উল্লিখিত কর পরিশোধের বিষয়ে হস্তান্তর করণের দায়িত্বকে প্রভাবিত করিবে না।
(৫) এক্সিকিউটিভ অফিসার উপধারা (১) বা (২) এর অধীন তাহার নিকট নোটিশকৃত স্বত্বের প্রত্যেক হস্তান্তর বা বর্তানো বোর্ডের কর-নির্ধারণ তালিকায় এবং অন্যান্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন।
ইমারত নির্মাণের নোটিশ
৬৫। (১) যদি ধারা ১২৭-এ বর্ণিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী কোনো ইমারত নির্মিত বা পুনঃনির্মিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ইমারতের মালিক উহার নির্মাণ সমাপ্তি বা দখলের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, যাহা পূর্বে হয়, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট উহা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান করিবেন।
(২) যদি উপধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রদানে বাধ্য কোনো ব্যক্তি নোটিশ প্রদানে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নির্মিত বা, ক্ষেত্রমত, পুনঃনির্মিত ইমারতের উপর প্রদেয় ৩(তিন) মাসের কর বা ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, যাহা অধিকতর হয়, দণ্ডিত হইবেন।
ইমারত ভাঙ্গন, ইত্যাদি
৬৬। যদি কোনো ইমারত, সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে, ভাঙ্গা বা ধ্বংস করা বা অন্য কোনোরূপে মূল্যহীন করা হয়, তাহা হইলে বোর্ড, মালিক বা দখলদারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে, উহার বার্ষিক মূল্যের উপর নির্ধারিত যে কোনো করের অংশ বিশেষ, যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপে, মওকুফ বা প্রত্যর্পণ করিতে পারিবে।
কর মওকুফ
৬৭। যখন কোনো ক্যান্টনমেন্টে, কোনো ইমারত বা ভূমি একাদিক্রমে ৬০(ষাট) বা ততোধিক দিন খালি বা ভাড়াবিহীন অবস্থায় থাকে, তখন বোর্ড উহার বার্ষিক মূল্যের উপর নির্ধারিত যে কোনো করের এইরূপ হারাহারি অংশ, যতদিন উক্ত ইমারত বা ভূমি খালি এবং ভাড়াবিহীন অবস্থায় থাকে ততদিন পর্যন্ত, মওকুফ বা প্রত্যর্পণ করিবে।
ইমারতের বিস্তারিত বিবরণ কর-নির্ধারণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিবার ক্ষমতা
৬৮। (১) করের আংশিক মওকুফ বা প্রত্যর্পণ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে, ফ্ল্যাটবাড়ির ইমারতের মালিক উক্ত ইমারতের কর নির্ধারণের সময়, সম্পূর্ণ ইমারতের বার্ষিক মূল্যের অতিরিক্ত প্রত্যেক ফ্ল্যাটের মূল্য বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া, কর-নির্ধারণ তালিকায় সন্নিবেশিত করিবার জন্য, বোর্ডকে অনুরোধ করিতে পারিবে।
(২) যখন এইরূপ কোনো ফ্ল্যাট বাড়ির মূল্য পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, তখন উহা যদি একাদিক্রমে ৬০(ষাট) বা ততোধিক দিন খালি এবং ভাড়াবিহীন অবস্থায় থাকে, তাহা হইলে উক্ত সম্পূর্ণ ইমারতের বার্ষিক মূল্যের উপর নির্ধারিত করের এইরূপ অংশ মওকুফ বা প্রত্যর্পণ করা হইবে, যাহা পৃথক ফ্ল্যাট পৃথকভাবে কর নির্ধারণ করা হইলে করা হইত।
যে অবস্থার প্রেক্ষিতে কর মওকুফ বা প্রত্যর্পণ দাবি করা হইয়াছে তৎসম্পর্কিত নোটিশ প্রদান
৬৯। ধারা ৬৭ বা ধারা ৬৮ এর অধীন কোনো মওকুফ বা প্রত্যর্পণ করা হইবে না, যদি না উক্ত ইমারত, ভূমি বা ইমারতের পৃথক ফ্ল্যাট খালি এবং ভাড়াবিহীন থাকার বিষয় বোর্ডকে লিখিত নোটিশ দ্বারা অবহিত করা হয় এবং এইরূপ নোটিশ প্রদানের ১৫(পনের) দিন শুরু হইবার পূর্বের কোনো সময়ের জন্য কোনো মওকুফ বা প্রত্যর্পণ কার্যকর হইবে না।
যে সকল ইমারত, ইত্যাদি খালি বলিয়া গণ্য হইবে
৭০। (১) ধারা ৬৭ এবং ৬৮ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ইমারত বা উহার অংশ বা ফ্ল্যাট বা ভূমি খালি হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি উহা আনন্দনিবাস বা শহরবাড়ি বা বাগানবাড়ি হিসাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, বা উহা ভাড়াবিহীন হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি উহা এমন কোনো ভাড়াটিয়ার নিকট ভাড়া দেওয়া হয় যাহার উপর চলমান দখলাধিকার রহিয়াছে, তিনি বাস্তবে উহার দখলে থাকুন বা না থাকুন।
(২) ধারা ৬৭ বা ৬৮ বা ৬৯ এর অধীন সুবিধার প্রাধিকার দাবিকারী ব্যক্তির উপর উক্ত সকল অবস্থা প্রমাণ করিবার দায়িত্ব বর্তাইবে।
খালি ইমারত বা বাড়িতে বসবাসের ক্ষেত্রে নোটিশ প্রদান
৭১। (১) ধারা ৬৭ বা ৬৮ এর অধীন কর মওকুফ বা প্রত্যর্পণকৃত যে কোনো ইমারত, ফ্ল্যাট বা ভূমির মালিক উক্ত ইমারত, ফ্ল্যাট বা ভূমির পুনঃদখলের পরবর্তী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে এইরূপ পুনঃদখলের নোটিশ প্রদান করিবেন।
(২) উপধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রদানে বাধ্য যে কোনো মালিক উহা প্রদানে ব্যর্থ হইলে, তিনি, যে সময়ের মধ্যে উহা পুনঃদখল করা হইয়াছে সেই সময়ের জন্য এইরূপ ইমারত, ফ্ল্যাট বা ভূমির প্রদেয় করের অন্যূন দ্বিগুণ এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা বা বর্ণিত করের ১০(দশ) গুণ, যাহা অধিকতর হয়, অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ইমারত এবং ভূমির কর মাশুল হিসাবে গণ্য হওয়া
৭২। যে কোনো ইমারত বা ভূমির বার্ষিক মূল্যের উপর নির্ধারিত কর, সরকারকে প্রদেয় কোনো ভূমি-রাজস্ব থাকিলে উহা পূর্বে পরিশোধ সাপেক্ষে, ইমারত বা ভূমির উপর প্রথম মাশুল হিসাবে গণ্য হইবে।
কর-নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপিল
৭৩। (১) এই আইনের অধীন কোনো কর-নির্ধারণ বা কর আরোপ বা কর ফেরত প্রদান অস্বীকারের বিরুদ্ধে আপিল এরিয়া কমান্ডার বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো অফিসারের নিকট দায়ের করিতে হইবে।
(২) প্রত্যেক আপিলের খরচ আপিল শুনানিকারী অফিসারের ইচ্ছাধীন হইবে।
(৩) আপিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
বোর্ড হইতে খরচ আদায়
৭৪। কোনো আপিলকারীকে সালিসকৃত খরচ প্রদানের জন্য আদেশ করা হইলে, বোর্ড যদি আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে উহা প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে সালিসকারী অফিসার বোর্ড তহবিলের হেফাজতকারী অফিসারকে উক্ত অর্থ পরিশোধের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
আপিলের অধিকারের শর্তাবলি
৭৫। এই অধ্যায়ের অধীন কোনো আপিল শুনানি বা সিদ্ধান্তের জন্য গ্রহণযোগ্য হইবে না, যদি না-
(ক) আপিলটি, ইমারত বা ভূমি বা উভয়ের বার্ষিক মূল্যের উপর নির্ধারিত করের ক্ষেত্রে ধারা ৬০ এর অধীন কর-নির্ধারণ তালিকা প্রমাণীকরণের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে করা হয়, বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৬২ এর অধীন যে তারিখে চূড়ান্ত সংশোধনী করা হয় সেই তারিখের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে, এবং অন্য কোনো করের ক্ষেত্রে, কর-নির্ধারণের নোটিশ প্রাপ্তির বা কর-নির্ধারণ পরিবর্তনের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, বা যদি কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রদান না করা হইয়া থাকে, তবে উক্ত বিষয়ে প্রথম বিল উপস্থাপনের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে করা হয়:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় উল্লিখিত তারিখ অতিক্রান্ত হইবার পরও, উক্ত আপিল গ্রহণ করা যাইবে, যদি আপিলকারী আপিল অফিসারকে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, উক্ত তারিখের মধ্যে উহা দাখিল না করিবার জন্য তাহার যথেষ্ট কারণ ছিল;
(খ) আপিলে যে কোনো পরিমাণের বিরোধীয় অর্থ, যদি থাকে, আপিলকারী কর্তৃক বোর্ডের অফিসে জমা করা হয়।
কর প্রদানের সময় ও পদ্ধতি
৭৬। এই আইনের বিধানাবলির অধীন আরোপিত যে কোনো কর, বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, নির্ধারিত তারিখে এবং কিস্তিতে, যদি থাকে, আদায়যোগ্য হইবে।
বিল উপস্থাপন।-
৭৭। (১) কোনো কর আদায়যোগ্য হইলে, এক্সিকিউটিভ অফিসার দায়ী ব্যক্তির নিকট আদায়যোগ্য অর্থের একটি বিল উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবেন।
(২) এইরূপ প্রত্যেক বিলে করের বিবরণ এবং যে সময়ের জন্য উহা দাবি করা হইয়াছে উহা নির্দিষ্ট করা থাকিবে।
দাবির নোটিশ
৭৮। (১) যে পরিমাণ করের জন্য বিল উপস্থাপন করা হইয়াছে উহা যদি উপস্থাপনের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বোর্ডকে পরিশোধ করা না হয়, তাহা হইলে এক্সিকিউটিভ অফিসার উহা পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তির উপর প্রথম তপশিলে বর্ণিত ফরমে একটি দাবির নোটিশ জারি করিতে পারিবেন।
(২) প্রত্যেক দাবির নোটিশের জন্য এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক নির্ধারিত অনধিক ৫ (পাঁচ) শত টাকার ফি, আদায়ের খরচসহ, উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিশোধযোগ্য হইবে।
কর আদায়
৭৯। (১) যদি কর পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি, দাবির নোটিশ জারির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, আদায়যোগ্য অর্থ পরিশোধ না করেন, বা এক্সিকিউটিভ অফিসারের সন্তুষ্টি অনুসারে উহা অনাদায়ের জন্য কারণ দর্শাইতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে এইরূপ অর্থ আদায়ের সকল খরচসহ, দ্বিতীয় তপশিলে বর্ণিত ফরমে জারিকৃত একটি পরোয়ানার মাধ্যমে, পরিশোধে ব্যর্থ ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের মাধ্যমে আদায় করা যাইবে।
(২) এই ধারার অধীন জারিকৃত পরোয়ানায় এক্সিকিউটিভ অফিসার স্বাক্ষর করিবেন।
ক্রোক
৮০। (১) বোর্ডের কোনো অফিসার যাহার উপর ধারা ৭৯ এর অধীন জারিকৃত কোনো পরোয়ানার দায়িত্ব প্রদান করা হইয়াছে তিনি, খেলাপী ব্যক্তির নামে যে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বা বিদ্যমান কাঠের গাছ, জন্মানো ফসল বা ঘাস, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে যেইখানেই উহা পাওয়া যায়, উপধারা (২) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, ক্রোক করিতে পারিবেন।
(২) নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি ক্রোক করা যাইবে না-
(ক) খেলাপী ব্যক্তি, তাহার স্ত্রী এবং সন্তানদের পরিধেয় পোষাক-পরিচ্ছদ;
(খ) রান্নাবান্নার হাড়ি-পাতিল, বাসন-কোসন;
(গ) কারিগরদের যন্ত্রপাতি;
(ঘ) হিসাবের বইপত্র; বা
(ঙ) খেলাপী ব্যক্তি একজন কৃষিজীবী হইলে, তাহার চাষাবাদের যন্ত্রপাতি, বীজ-শস্য এবং জীবিকা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় গবাদি পশু।
(৩) ক্রোক মাত্রাতিরিক্ত হইবে না, অর্থাৎ ক্রোককৃত সম্পত্তি দাম বিবেচনায় পরোয়ানার মাধ্যমে আদায়যোগ্য অর্থের যথাসম্ভব কাছাকাছি হইবে এবং যদি এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, এমন কোনো সম্পত্তি ক্রোক করা হইয়াছে যাহা ক্রোক করা উচিত ছিল না, তাহা হইলে উহা তাৎক্ষণিকভাবে ফেরত দেওয়া হইবে।
(৪) ক্রোক পরোয়ানা কার্যকর করিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে তৎকর্তৃক ক্রোককৃত সম্পত্তির একটি তালিকা প্রস্তুত করিবেন এবং একই সময়ে তপশিলে বর্ণিত ফরমে জব্দ করিবার সময় দখলদার ব্যক্তির নিকট এই মর্মে একটি নোটিশ প্রদান করিবেন যে, উক্ত সম্পত্তি নোটিশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে বিক্রয় করা হইবে।
ক্রোককৃত সম্পত্তির নিষ্পত্তি
৮১। (১) যখন ক্রোককৃত সম্পত্তি দ্রুত এবং স্বাভাবিকভাবে বিনষ্ট হওয়ার প্রকৃতির হয় বা উহা হেফাজতে রাখিবার ব্যয় আদায়যোগ্য অর্থসহ উহার মূল্য অপেক্ষা অধিক হইতে পারে, তখন এক্সিকিউটিভ অফিসার উক্ত সম্পত্তি ক্রোক করিবার সময় উহা যে ব্যক্তির দখলে ছিল তাহাকে এই মর্মে নোটিশ প্রদান করিবেন যে, উহা তাৎক্ষণিকভাবে বিক্রয় করা হইবে এবং গণনিলামের মাধ্যমে উহা সেইরূপে বিক্রয় করিবেন, যদি না পরোয়ানায় উল্লিখিত অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা হয়।
(২) যদি ইতোমধ্যে এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক পরোয়ানা স্থগিত বা বাতিল না হইয়া থাকে, তাহা হইলে ক্রোককৃত সম্পত্তি ধারা ৮০ এর উপধারা (৪) এর অধীন জারিকৃত নোটিশে উল্লিখিত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর এক্সিকিউটিভ অফিসারের আদেশক্রমে, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, বিক্রয় করা হইবে।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন বিক্রয়লব্ধ অর্থের উদ্বৃত্ত, যদি থাকে, তাৎক্ষণিকভাবে বোর্ড তহবিলে জমা হইবে এবং একই সময়ে এইরূপ জমা করিবার নোটিশ যে ব্যক্তির দখল হইতে উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করা হইয়াছিল তাহাকে ফেরত প্রদান করা হইবে এবং যদি উহা বোর্ডের নিকট, লিখিত আবেদনের মাধ্যমে, নোটিশ জারির তারিখের ১ (এক) বৎসরের মধ্যে দাবি করা হয়, তাহা হইলে উহা এইরূপ ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়া হইবে এবং ১ (এক) বৎসরের মধ্যে বর্ণিতরূপে দাবি করা না হইলে যে কোনো উদ্বৃত্ত অর্থ বোর্ডের সম্পত্তি হইবে।
(৪) এই অধ্যায়ের অধীন প্রত্যেক ক্রোকের ক্ষেত্রে ২ (দুই) শত টাকার ফি আরোপ করা হইবে এবং উল্লিখিত ফি আদায়ের খরচের সহিত যোগ করা হইবে।
ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগকারী ব্যক্তির নিকট হইতে আদায়
৮২। (১) যদি এক্সিকিউটিভ অফিসারের বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি কর বাবদ আদায়যোগ্য কোনো অর্থ পরিশোধ না করিয়া ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগের উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত পরিশোধযোগ্য অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে উক্ত ব্যক্তির উপর একটি বিল জারির ব্যবস্থা করিবেন।
(২) যদি, উপধারা (১) এর অধীন এইরূপ বিল জারির প্রেক্ষিতে, উক্ত ব্যক্তি আদায়যোগ্য অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহা হইলে উক্ত অর্থ এই অধ্যায়ে বিধৃতরূপে ক্রোক ও বিক্রয় দ্বারা আদায়যোগ্য হইবে এবং এইরূপ বিশেষ ক্ষেত্রে তাহার উপর দাবি-নোটিশ জারি করিবার প্রয়োজন হইবে না এবং অনতিবিলম্বে ক্রোকি বিক্রয় পরোয়ানা জারি ও কার্যকর করা যাইবে।
পাওনা আদায়ের জন্য মামলা দায়েরের ক্ষমতা
৮৩। একজন খেলাপীর বিরুদ্ধে এই অধ্যায়ের অধীন পূর্বোক্তরূপে ক্রোক ও বিক্রয়ের দ্বারা কার্যক্রম গ্রহণের পরিবর্তে বা অসফল কার্যক্রমের পর বা শুধু আংশিক সফলতার পর কোনো আদায়যোগ্য অর্থ
Public Demands Recovery Act, 1913 (Act III of 1913) এর অধীন সরকারি পাওনা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত আইনের বিধান অনুযায়ী উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন সার্টিফিকেট আদালতে মামলা দায়ের করিয়া উক্ত পাওনা আদায় করা যাইবে।
কর আরোপে নিষেধাজ্ঞা বা অব্যাহতি
৮৪। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড
Municipal Taxation Act, 1881(Act No XI of 1881) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একটি পৌরসভা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত আইনে উল্লিখিত কর আরোপে নিষেধাজ্ঞা বা অব্যাহতির বিধান অত্র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিশেষ বিধান করিবার ক্ষমতা
৮৫। বোর্ড, উপ-আইন দ্বারা, একক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এবং একক ব্যবস্থাপনাধীন যে কোনো কারখানা, হোটেল, ক্লাব বা ইমারত বা ভূমির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বিশেষ বিধান করিতে পারিবে এবং, সময়ে সময়ে, উহা পরিশোধের জন্য বিশেষ দর, তারিখ এবং অন্যান্য শর্ত স্থির করিতে পারিবে, যাহা এইরূপ কারখানা, হোটেল, ক্লাব বা ইমারত বা ভূমির পরিচ্ছন্নতা বা ঝাড়ুকর প্রদানের জন্য দায়ী ব্যক্তির সহিত লিখিত চুক্তির দ্বারা নির্ধারিত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের সময়, সেবা প্রদানে বোর্ডের সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রতি যথাযথ দৃষ্টি রাখিতে হইবে।
ইমারতের ক্ষেত্রে অব্যাহতি
৮৬। (১) যে ক্ষেত্রে বোর্ড, ধারা ৮৫ এর বিধানাবলি অনুসারে, যে কোনো কারখানা, হোটেল, ক্লাব বা ইমারত বা ভূমির পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বিশেষ দর নির্ধারণ করে, সেইক্ষেত্রে এইরূপ অঙ্গনাদি ক্যান্টনমেন্টে আরোপিত যে কোনো পরিচ্ছন্নতা বা ঝাড়ুকর হইতে অব্যাহতি পাইবে।
(২) নিম্নবর্ণিত ইমারত এবং ভূমিসমূহ, বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত কোনো বিশেষ সেবার খরচ আদায়ের জন্য আরোপিত কর ব্যতীত, সম্পত্তির উপর যে কোনো কর হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবে, যথা:-
(ক) জনসাধারণের প্রার্থনার জন্য পৃথককৃত স্থানসমূহ যাহা বাস্তবে সেইরূপে ব্যবহৃত হয় বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় না;
(খ) শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ইমারত এবং গণপাঠাগার, খেলার মাঠ ও ধর্মশালা যাহা জনগণের জন্য উন্মুক্ত এবং যাহা হইতে কোনো আয় পাওয়া যায় না;
(গ) দাতব্য চাঁদায় সম্পূর্ণরূপে রক্ষণাবেক্ষণকৃত হাসপাতাল এবং ডিসপেনসারিসমূহ;
(ঘ) কবরস্থান এবং শ্মশান, যাহা সরকার বা বোর্ডের সম্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও, এই আইনের বিধানাবলির অধীন নিয়ন্ত্রিত হয়;
(ঙ) বোর্ডের উপর ন্যস্ত ইমারত বা ভূমিসমূহ; এবং
(চ) জনসেবা বা যে কোনো জন-উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বা হুকুমদখলকৃত ইমারত বা ভূমিসমূহ যাহা সরকারের সম্পত্তি বা সরকারের দখলে রহিয়াছে।
অব্যাহতি প্রদানের সাধারণ ক্ষমতা
৮৭। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বা যে কোনো সম্পত্তি বা মালামাল বা সম্পত্তি বা মালামালের উপর এই আইনের অধীন আরোপিত যে কোনো কর পরিশোধ করা হইতে, সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে, অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
দরিদ্র ব্যক্তিদের অব্যাহতি
৮৮। যদি বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ব্যক্তি দরিদ্রতার কারণে কর পরিশোধে অপারগ, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে এককালীন অনধিক ১ (এক) বৎসরের জন্য এই আইনের অধীন আরোপিত যে কোনো কর বা কোনো করের অংশবিশেষ পরিশোধ করা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
আপোষ মীমাংসা
৮৯। (১) বোর্ড, এরিয়া কমান্ডারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোনো ব্যক্তিকে যে কোনো প্রকারের করের জন্য আপোষ মীমাংসার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন আপোষ মীমাংসাকৃত করের প্রত্যেক প্রদেয় অর্থ কর হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
অনাদায়যোগ্য ঋণ
৯০। বোর্ড ইহার মতে অনাদায়যোগ্য যে কোনো কর বা মূল্য আদায়ের খরচ বাবদ যে কোনো অর্থ অবলোপন করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তির অনুকূলে অবলোপনকৃত অর্থের পরিমাণ ১০ (দশ) হাজার টাকার অধিক হইলে, এরিয়া কমান্ডারের, এবং ২০ (বিশ) হাজার টাকার অধিক হইলে, সরকারের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
দায় প্রকাশের বাধ্যবাধকতা
৯১। (১) এক্সিকিউটিভ অফিসার, লিখিত আদেশ দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের যে কোনো বাসিন্দাকে, নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের জন্য তলব করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) উক্ত বাসিন্দা এই আইনের অধীন আরোপিত কোনো কর পরিশোধের জন্য দায়ী কি না;
(খ) তাহার উপর কী পরিমাণ কর নির্ধারণ করা হইবে; বা
(গ) যে ইমারত বা ভূমি তাহার দখলে রহিয়াছে উহার বার্ষিক মূল্য এবং উহার মালিক বা ইজারাদারের নাম ও ঠিকানা।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর অধীন যাচিত তথ্য প্রদান না করেন বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য তথ্য প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অধ্যায়-৬
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিল এবং সম্পত্তি
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিল
৯২। (১) প্রত্যেকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জন্য একটি বোর্ড তহবিল গঠন করা হইবে এবং বোর্ড দ্বারা বা উহার পক্ষে প্রাপ্ত সকল অর্থ উহাতে জমা করা হইবে।
(২) তহবিলের অর্থ এক বা একাধিক তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।
(৩) বোর্ড, এরিয়া কমান্ডারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বোর্ড তহবিলের যে কোনো অংশ সরকারের সিকিউরিটি বা এইরূপ অন্য কোনো সিকিউরিটিতে বা ব্যাংকে স্থায়ী জামানত আকারে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।
(৪) উপধারা (৩) এ বর্ণিত কোনো স্থায়ী আমানত বা সিকিউরিটি হইতে প্রাপ্ত আয় বা এইরূপ সিকিউরিটির বিক্রয়লব্ধ অর্থ বোর্ড তহবিলে জমা হইবে।
(৫) উপধারা (৪) এ বর্ণিত কোনো স্থায়ী আমানত বা সিকিউরিটি, বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, ভাঙ্গানো বা উত্তোলন করা যাইবে না।
বোর্ডের সম্পত্তি
৯৩। এই ধারার অধীন বোর্ড কর্তৃক উহার নিজস্ব তহবিলের অর্থ দ্বারা ক্রয়কৃত, অধিগ্রহণকৃত বা সংস্থানকৃত বা রক্ষণাবেক্ষণকৃত নিম্নবর্ণিত সকল সম্পত্তি বোর্ডের উপর ন্যস্ত হইবে এবং উহার মালিকানাধীন হইবে এবং উহার নির্দেশনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে-
(ক) সকল বাজার, কসাইখানা, সার ও পায়খানার ডিপো এবং সকল প্রকারের ইমারত;
(খ) জনস্বার্থে পানি সরবরাহ, জমাকরণ ও বিতরণের জন্য সকল প্রকারের ওয়াটার-ওয়ার্কস এবং উহার সহিত সম্পর্কিত সকল পুল, ইমারত, ইঞ্জিন, মালামাল ও বস্তু;
(গ) সকল পয়ঃনালি, নর্দমা, কালভার্ট ও জল-নালা এবং উহার সহিত সংশ্লিষ্ট সকল স্থাপনা, মালামাল ও দ্রব্যাদি;
(ঘ) ধূলাবালি, ময়লা, গোবর, ছাই, আবর্জনা, পশুজাত দ্রব্যাদি, নোংরা বস্তু এবং সকল প্রকারের জঞ্জাল এবং বোর্ড কর্তৃক সড়ক, বাড়ি, শৌচাগার, পয়ঃনালি, মলাধার বা অন্য কোনো স্থান হইতে সংগৃহীত বা উক্ত উদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে জমাকৃত পশুর মৃতদেহ ;
(ঙ) সকল বাতি, বাতির খুঁটি এবং উহার সহিত সম্পর্কিত বা আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি;
(চ) সরকার কর্তৃক বোর্ডের নিকট হস্তান্তরিত সকল ভূমি বা অন্যান্য সম্পত্তি বা দান, ক্রয় বা অন্যসূত্রে স্থানীয় জনস্বার্থে ব্যবহৃত; এবং
(ছ) সকল সড়ক এবং ফুটপাত, পাথর এবং অন্যান্য দ্রব্য এবং সড়কের উপর বা উহার আনুষঙ্গিক নির্মাণ সামগ্রী, যন্ত্রপাতি এবং দ্রব্যাদি।
বোর্ড তহবিল এবং সম্পত্তির ব্যবহার
৯৪। (১) বোর্ড তহবিল এবং বোর্ডের উপর অর্পিত সকল সম্পত্তি প্রকাশ্য বা নিহিত যাহাই হউক, এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা বা তদধীন বোর্ডকে ক্ষমতা প্রদান করা হইয়াছে বা বোর্ডের উপর কর্তব্য বা দায়িত্ব অর্পণ করা হইয়াছে এইরূপ সকল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইবে।
(২) বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদন এবং তৎকর্তৃক আরোপিত শর্ত প্রতিপালন ব্যতিরেকে, ক্যান্টনমেন্টের সীমানার বাহিরে কোনো ভূমি অধিগ্রহণ বা ভাড়া গ্রহণ বা কোনো নির্মাণ কাজের জন্য কোনো ব্যয় নির্বাহ করিবে না।
(৩) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিল হইতে অর্থ ব্যয় করিবার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত দায়দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতাসমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হইবে, যথা:-
(ক) আইনানুগভাবে বোর্ডের উপর অর্পিত বা তৎকর্তৃক গৃহীত কোনো ট্রাস্ট হইতে উদ্ভূত দায় ও বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত ব্যয় পরিশোধ করা;
(খ) গৃহীত কোনো ঋণ এবং উহার সুদ পরিশোধ করা;
(গ) সংস্থাপন ব্যয় পরিশোধ করা; এবং
(ঘ) এইরূপ অর্থ প্রদান করা যাহা এই আইনের বিধানাবলি বা তদধীন প্রণীত বিধি বা উপ-আইন দ্বারা সুষ্পষ্টভাবে পরিশোধ করা আবশ্যক।
স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ
৯৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে বোর্ডের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি, স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অধিগ্রহণে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকিলে, সরকার, বোর্ডের অনুরোধক্রমে, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ২১ নং আইন) এর বিধানাবলির অধীন উহা অধিগ্রহণ করিতে পারিবে এবং বোর্ড কর্তৃক উক্ত আইনের অধীন রোয়েদাদকৃত ক্ষতিপূরণ এবং উক্ত কার্যক্রমে সরকার কর্তৃক ব্যয়িত অর্থ প্রদানের পর উক্ত ভূমি বোর্ডের উপর ন্যস্ত হইবে।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো সামরিক ভূমি, বোর্ডের অনুরোধক্রমে, বোর্ডের ব্যবহারের জন্য বোর্ডের উপর ন্যস্ত করা হইলে, বোর্ড নির্ধারিত শর্তে উহা কেবল ব্যবহারের অধিকারী হইবে, কিন্তু উহার মালিক গণ্য হইবে না।
অধ্যায়-৭
বোর্ডের দায়িত্বাবলি এবং ইচ্ছাধীন কার্যাদি
বোর্ডের দায়িত্ব
৯৬। (১) বোর্ড যতদূর সম্ভব, উহার তহবিলের অর্থের সংকুলান সাপেক্ষে, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে, যথা:-
(ক) সড়ক এবং অন্যান্য গণস্থানে বাতির ব্যবস্থা করা;
(খ) সড়ক এবং অন্যান্য গণস্থানে পানি ছিটানো;
(গ) সড়ক, সাধারণের ব্যবহার্য স্থান এবং নর্দমা পরিষ্কার করা, উপদ্রব সৃষ্টিতে বাধা দান এবং ক্ষতিকারক গাছপালা সরানো;
(ঘ) আপত্তিকর, বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর ব্যবসা এবং জীবিকা নিয়ন্ত্রণ করা;
(ঙ) সড়ক এবং অন্যান্য গণস্থানে জননিরাপত্তা, স্বাস্থ্য বা সুবিধার জন্য অনভিপ্রেত প্রতিবন্ধকতা এবং বাড়তি অংশ অপসারণ করা;
(চ) বিপজ্জনক ইমারত এবং স্থান নিরাপদকরণ বা অপসারণ করা;
(ছ) মৃতের সৎকারের জন্য স্থান অধিগ্রহণ, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করা;
(জ) সড়ক, কালভার্ট, বাজার, কসাইখানা, পায়খানা, শৌচাগার, প্রশ্রাবখানা, নর্দমা, নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং পয়ঃব্যবস্থা নির্মাণ, পরিবর্তন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
(ঝ) সড়কের পাশে এবং অন্যান্য গণস্থানে বৃক্ষ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
(ঞ) যেখানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির অভাব রহিয়াছে সেখানে উহা সরবরাহ করা বা সরবরাহের ব্যবস্থা করা এবং মানুষের ব্যবহার্য পানিকে দূষণ মুক্ত রাখা এবং দূষিত পানির এইরূপ ব্যবহার প্রতিরোধ করা;
(ট) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা;
(ঠ) গণটিকা ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং সংরক্ষণ করা;
(ড) গণহাসপাতাল ও ডিসপেনসারি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ বা সহায়তা করা এবং গণচিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা;
(ঢ) প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং রক্ষণাবেক্ষণ বা সহায়তা করা;
(ণ) অগ্নি নির্বাপণে সহায়তা প্রদান এবং অগ্নিকাণ্ডের সময় জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করা;
(ত) বোর্ডের উপর অর্পিত বা ব্যবস্থাপনায় ন্যস্ত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ এবং উহার মূল্য বৃদ্ধি করা;
(থ) শিশু বা সর্বসাধারণের বিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
(দ) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা বা তদধীন ইহার উপর অর্পিত যে কোনো দায়িত্ব পালন করা; এবং
(ধ) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সকল প্রকার কার্যক্রম এবং তদুদ্দেশ্যে ব্যবহৃত যে কোনো স্থাপনা পরিচালনা বন্ধকরণ।
(২) বোর্ড এই ধারায় বর্ণিত দায়িত্ব পালন ও কার্যাদি সম্পাদনে তহবিলের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় গ্রহণ করিবে।
সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা
৯৭। বোর্ড, সরকার কর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক ইহার ব্যবস্থাপনার উপর ন্যস্ত কোনো সম্পত্তি, ইহা হইতে প্রাপ্ত ভাড়া ও মুনাফার হিস্যার বিষয়ে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তে, ব্যবস্থাপনা করিতে পারিবে।
বোর্ডের ইচ্ছাধীন কার্যাদি
৯৮। (১) বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) এলাকা বিশেষে নূতন সড়ক নির্মাণ, পূর্বে নির্মিত হউক বা না হউক, এবং উক্ত উদ্দেশ্যে ইমারত এবং উহার অংগনাদি নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করা;
(খ) গণপার্ক, বাগান, অফিস, দুগ্ধখামার, গোসলখানা বা ধোপাখানা, পানীয় জলের ফোয়ারা, পুকুর, কূপ এবং অন্যান্য গণ উপযোগিতামূলক স্থাপনাদি নির্মাণ, প্রতিষ্ঠা বা রক্ষণাবেক্ষণ করা;
(গ) অস্বাস্থ্যকর লোকালয় পুনর্বাসন করা;
(ঘ) প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যতীত অন্যবিধ উপায়ে শিক্ষার উন্নয়ন সাধন করা;
(ঙ) আদম শুমারি গ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানের শুদ্ধ নিবন্ধনের নিশ্চয়তাদানকারী তথ্যের জন্য পুরস্কার প্রদান করা;
(চ) জরিপ পরিচালনা করা;
(ছ) ত্রাণ ব্যবস্থা প্রবর্তন বা সংরক্ষণ বা অন্য উপায়ে স্থানীয় মহামারীর প্রাদুর্ভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা;
(জ) উপযুক্ত স্থানসমূহকে যে কোনো বিপজ্জনক বা আপত্তিকর ব্যবসা, জীবিকা বা পেশা হইতে নিরাপদ রাখা বা নিরাপদ রাখিতে সহায়তা করা;
(ঝ) পয়ঃব্যবস্থাপনার জন্য কোনো খামার বা অন্য কোনো স্থান প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
(ঞ) বৈদ্যুতিক বাতি বা বৈদ্যুতিক শক্তি স্থাপনা নির্মাণ, ভর্তুকি প্রদান বা নিশ্চয়তা বিধান করা; বা
(ট) ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য বা অন্যান্য আবশ্যক সুবিধা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রহিয়াছে এইরূপ অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা।।
(২) বোর্ড, ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে বা বাহিরে যে কোনো কর্ম সম্পাদনের জন্য অর্থ সংস্থান করিতে পারিবে, যদি উক্ত কর্মসম্পর্কিত ব্যয় সরকার কর্তৃক বা সরকারের অনুমোদনক্রমে বোর্ড কর্তৃক, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তহবিলের যথাযথ ব্যয় বলিয়া ঘোষণা করা হয়।
অধ্যায়-৮
জননিরাপত্তা এবং উপদ্রব দমন
উপদ্রব সৃষ্টির শাস্তি
৯৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা গণস্থানে-
(ক) মাতলামি করেন, অসংযত বা মাতাল হন এবং নিজের যত্ন নিতে অপারগ হন; বা
(খ) কোনো ভীতি প্রদর্শনমূলক, কটূক্তিপূর্ণ বা অপমানকর শব্দ প্রয়োগ করেন, বা শাস্তি ভংগ হয় বা হইতে পারে এইরূপ উদ্দেশ্যে ভীতিজনক বা অপমানকর শব্দ ব্যবহার করেন; বা
(গ) মলমূত্র ত্যাগ করেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে বা অশালীনভাবে নিজ শরীর অনাবৃত করেন; বা
(ঘ) ভিক্ষার জন্য ঘোরাফেরা করেন বা পীড়াপীড়ি সহকারে ভিক্ষা করেন; বা
(ঙ) দানে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য কোনো বিকলাঙ্গতা বা ব্যাধি বা অশোভন ক্ষত বা আঘাত অনাবৃত করেন বা প্রদর্শন করেন; বা
(চ) জনগণের দৃষ্টির সামনে খোলা অবস্থায় মাংস বহন করেন; বা
(ছ) জুয়া খেলায় লিপ্ত হন বা তাহাকে জুয়া খেলায় পাওয়া যায়; বা
(জ) খুঁটিতে পশু বাঁধেন, বা যত্রতত্র বা এলোমেলোভাবে, ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলাবশত, কোনো যান রাখেন;
তাহা হইলে তিনি অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা গণস্থানে-
(ক) পায়খানা বা অন্য কোনো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু বা ময়লা পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় বা অবহেলা করিয়া উক্ত সকল বস্তুর কোনো অংশ উপচাইয়া পড়িতে বা পড়িয়া যাইতে দেন বা ঝাড়ু দিয়া বা অন্য কার্যকরভাবে উহার কোনো অংশ অপসারণ করিতে অবহেলা করেন, যাহা এইরূপ সড়ক বা স্থানে উপচাইয়া পড়িতে বা পতিত হইতে পারে; বা
(খ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে কোনো ইমারত, স্মৃতিসৌধ, খুঁটি, দেয়াল, বেড়া, বৃক্ষ বা অন্য বস্তুর গায়ে কোনো নোটিশ বা অন্য দলিল আঁটিয়া দেন; বা
(গ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে কোনো ইমারত, স্মৃতিসৌধ, খুঁটি, দেয়াল, বেড়া, বৃক্ষ বা অন্য বস্তু বিকৃত করেন, বা উহাতে কিছু লিখেন, বা অন্যভাবে চিহ্ন প্রদান করেন; বা
(ঘ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে এই আইনের অধীন স্থাপিত বা প্রদর্শিত কোনো নোটিশ বা অন্য কোনো দলিল অপসারণ, ধ্বংস ও বিকৃত করেন বা অন্যভাবে মুছিয়া ফেলেন; বা
(ঙ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে এইরূপ সড়ক বা গণস্থানে বোর্ড কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত ফুটপাথ, পয়ঃনালি, ঝড়োজল নালি, পতাকা বা এইরূপ সড়কের কোনো বস্তু বা কোনো বাতি, অবলম্বন (Bracket), নির্দেশক খুঁটি, জলের কল বা পাইপ স্থানচ্যুত, বিনষ্ট বা কোনো পরিবর্তন করেন বা অন্যভাবে বাধাদান করেন বা গণবাতি নিভাইয়া ফেলেন; বা
(চ) সুন্দরভাবে আবৃত না করিয়া বা সংক্রমণের ঝুঁকি বা জনস্বার্থের ক্ষতি বা পথচারীদের বা আশেপাশে বসবাসকারীদের বিরক্তি উৎপাদন প্রতিহত করিবার জন্য উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন না করিয়া কোনো লাশ বহন করেন; বা
(ছ) মল বা অন্য কোনো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু বা জঞ্জাল বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিষিদ্ধ সময়ে বা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয় নাই এইরূপ কোনো ধরনের গাড়ি বা আধারে উহা বহন করেন বা ব্যবহারের সময় এইরূপ গাড়ি বা আধার ঢাকা রাখিতে ব্যর্থ হন,
তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা গণস্থানে,-
(ক) বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া কোনো পথে মল বা অন্য কোনো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তুবা জঞ্জাল বহন করেন; বা
(খ) মাটি বা যে কোনো ধরনের বস্তু বা দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু বা জঞ্জাল বোর্ডের ব্যবস্থাপনাধীন কোনো রাস্তায় বা অন্য কোনো গণস্থানে বা পতিত বা অদখলকৃত ভূমিতে জমা করেন বা জমা করিবার ব্যবস্থা করেন বা অনুমোদন করেন; বা
(গ) কোনো লাশের দায়িত্বে থাকাকালীন, উহা, মৃত্যুর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে, কবরস্থ করিতে, দাহ করিতে বা অন্য কোনো আইনসম্মত উপায়ে সৎকার করিতে ব্যর্থ হন; বা
(ঘ) দফা (গ) এর উদ্দেশ্যে আলাদা করিয়া রাখা হয় নাই এইরূপ স্থানে কোনো কবর তৈরি করেন বা কোনো লাশ কবর দেন বা দাহ করেন; বা
(ঙ) কোনো স্থানকে সাধারণ জুয়ার ঘর হিসাবে বজায় রাখেন বা ব্যবহার করেন বা জ্ঞাতসারে রাখিতে বা ব্যবহার করিতে অনুমতি দেন বা কোনো সাধারণ জুয়ার ঘরের ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করেন; বা
(চ) বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তি বা বিশেষ নোটিশ দ্বারা নিষিদ্ধ সময় বা স্থানে ঢোল বা টমটম বাজান বা শিঙ্গা বা ঢাকের আওয়াজ করেন বা বাসন-কোষণ পেটান বা পিতল বা অন্য যন্ত্রে আওয়াজ করেন বা কোনো গীতবাদ্য করেন; বা
(ছ) গান গাহিয়া, তীক্ষ্ণ আওয়াজ করিয়া বা চিৎকার করিয়া গণশান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করেন; বা
(জ) কোনো ব্যক্তির প্রতি আঘাত, বিপদ, ভয় বা বিরক্তি সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে কোনো জন্তু অবাধে ছাড়িয়া দেন বা অবহেলাক্রমে এইরূপ করিতে দেন;
তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(৪) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে,-
(ক) কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক বা দখলদার থাকাকালীন, উহার অভ্যন্তরে বা উপরে কোনো জন্তু মারা গেলে, উক্ত জন্তুর মৃত্যুর ৩(তিন) ঘণ্টার মধ্যে বা যদি উক্ত মৃত্যু রাত্রিবেলায় সংঘটিত হয়, তাহা হইলে সূর্যোদয়ের ৩ (তিন) ঘণ্টার মধ্যে অবহেলা করিয়া-
(অ) এক্সিকিউটিভ অফিসার বা তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোনো অফিসারের নিকট, যদি থাকে, গণ-পরিচ্ছন্নতা সংস্থাপন দ্বারা পশুর মরদেহ অপসারণ ও সৎকার নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে ঘটনার রিপোর্ট করিতে ব্যর্থ হন; বা
(আ) বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তির দ্বারা প্রদত্ত সাধারণ নির্দেশনা বা এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক এইরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর প্রদত্ত বিশেষ কোনো নির্দেশনা অনুসারে পশুর মরদেহ অপসারণ ও সৎকার করিতে ব্যর্থ হন; বা
(খ) বোর্ডের লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে মল, সার, জঞ্জাল বা দুর্গন্ধ নিঃসরণকারী কোনো বস্তু জমা বা ব্যবহার করেন; বা
(গ) নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানকে পায়খানা হিসাবে ব্যবহার করেন বা ব্যবহার করিতে অনুমতি প্রদান করেন,
তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৪ (চার) হাজার এবং অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(৫) যদি কোনো ব্যক্তি তাহার অধীনস্থ ১২ (বারো) বৎসরের কম বয়স্ক কোনো শিশুকে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা অন্য কোনো গণস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা হইতে বিরত রাখিতে যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৫ (পনের) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(৬) যদি কোনো পশুকে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা অন্য কোনো গণস্থানে খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় বা রাখাল ছাড়া ইতস্তত ঘোরাফেরা করা অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহা হইলে উহার মালিক বা পালনকারী অনধিক ১৫ (পনের) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(৭) যদি কোনো পশুকে খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় উপধারা (৬) এ উল্লিখিতরূপে পাওয়া যায়, তাহা হইলে উহা বোর্ডের কোনো অফিসার বা কর্মচারী বা একজন পুলিশ অফিসার দ্বারা খোয়াড়ে প্রেরণ করা যাইতে পারে, যেন উহা ইতস্তত ঘোরাফেরা অবস্থায় পাওয়া গিয়াছে।
(৮) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে বা সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীতে সদস্য তালিকাভুক্তির বিষয়ে দালাল চক্রের সহিত কোনভাবে সম্পৃক্ত হয় বা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার এবং অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
কুকুরের নিবন্ধন এবং নিয়ন্ত্রণ
১০০। (১) বোর্ড ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সকল পোষা কুকুরের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্দেশাবলি জারি করিতে পারিবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলে উক্ত জারিকৃত যে কোনো নির্দেশ মান্য বা প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো নির্দেশ অমান্য করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
সড়ক ব্যবহারের নিয়মনীতি
১০১। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টে এলাকার সীমানার মধ্যে কোনো সড়কে যানবাহন চালনা, পথ নির্দেশনা বা পরিচালনার সময়, বাস্তব প্রয়োজন ব্যতিরেকে,-
(ক) বিপরীত দিক হইতে আগত কোনো যানবাহনকে অতিক্রমকালে বামে চলিতে, বা
(খ) তাহার ন্যায় একই দিকগামী কোনো যানবাহনকে অতিক্রমকালে ডানে চলিতে, ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) হাজার এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
দাহ্য বস্তু নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা
১০২। (১) বোর্ড, সম্ভাব্য অগ্নিকান্ড প্রতিরোধকল্পে, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে,-
(ক) ক্যান্টনমেন্টে, নোটিশে উল্লিখিত সীমানার মধ্যে, বোর্ডের লিখিত অনুমতি ব্যতীত, ঘাস, মাদুর, পাতা বা অন্য দাহ্য বস্তু দ্বারা নির্মাণ বা নবায়ন করা যাইবে না এবং বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, নির্দেশ অমান্যকারী কোনো ব্যক্তিকে কুঁড়েঘর বা অন্য কোনো ইমারতের ছাদ বা বাহিরের দেওয়াল উহা অপসারণ বা পরিবর্তন করিতে বাধ্য করিতে পারিবে;
(খ) ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কোনো ইমারত বা উহার বাহিরের ছাদ বা দেওয়াল দফা (ক) তে উল্লিখিত কোনো বস্তু দ্বারা নির্মিত থাকিলে উহার মালিককে এইরূপ ছাদ বা দেওয়াল, নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, অপসারণ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যদিও দফা (ক) এর অধীন কোনো গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি না হইয়া থাকে বা এইরূপ ছাদ গণ-বিজ্ঞপ্তি জারির পূর্বে নির্মাণ করা হইয়া থাকে;
(গ) ক্যান্টনমেন্টে নোটিশে উল্লিখিত কোনো স্থানে বা উহার কোনো সীমানায় কাঠ, শুকনা ঘাস, খড় বা অন্য দাহ্য পদার্থ গাদা করা বা সংগ্রহ করা বা মাদুর বিছানো বা কুঁড়েঘর স্থাপন করা বা আগুন জ্বালানো যাইবে না;
(ঘ) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র দাগা বা আতশবাজি বা আতশ বেলুন ছাড়া বা এমনভাবে কোনো খেলাধুলা করা যাইবে না যাহাতে পথচারী বা আশেপাশে বসবাসকারী বা কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য বিপদ বা সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের ঝুঁকি সৃষ্টি হয় বা হইবার আশংকা থাকে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো নির্দেশ অমান্য করেন বা প্রতিপালন না করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১৫ (পনের) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ইমারত, কূপ, ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধানের ক্ষমতা
১০৩। (১) যেক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্টে কোনো ইমারত বা দেওয়াল বা উহার সহিত সংযুক্ত কোনো কিছু বা কোনো কূপ, পুকুর, জলাধার, ডোবা, নীচুস্থান বা খোদাইকৃত স্থান বা কোনো পাড় বা বৃক্ষ, বোর্ডের মতে, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় বা পর্যাপ্ত মেরামত, সংরক্ষণ বা বেড়ার অভাবে পথচারী বা আশেপাশে বসবাসকারী বা কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য একটি উপদ্রব বা বিপজ্জনক অবস্থায় রহিয়াছে, সেইক্ষেত্রে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, উহার মালিক বা আংশিক মালিক বা উহার মালিকানার বা আংশিক মালিকানার দাবিদার বা তাহাদের যে কাহারও ব্যর্থতায় উহার দখলদারকে, বোর্ড যেইরূপ প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপে, উহা অপসারণ, সংরক্ষণ বা ঘেরা দেওয়ার জন্য, এবং বোর্ডের মতে অত্যাসন্ন বিপদ এড়ানোর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করিবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো নির্দেশ অমান্য করেন বা প্রতিপালন না করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১৫ (পনের) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অনুচিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পতিত জমি ঘের (enclosure) দেওয়া
১০৪। (১) বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক বা আংশিক মালিককে, বা মালিক বা আংশিক মালিক বলিয়া দাবিদার ব্যক্তিকে, বা এইরূপ কোনো ভূমির ইজারাদার বা ইজারাদার বলিয়া দাবিদার ব্যক্তিকে, যাহা অপব্যবহার বা বিতর্কিত মালিকানা বা অন্য কারণে অব্যবহৃত রহিয়াছে, এবং অলস বা অসংযত লোকদের বা যাহাদের জীবিকার কোনো বাহ্যত প্রতীয়মান উপায় নাই বা নিজেদের সম্পর্কে যাহারা সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারেন না এইরূপ লোকদের আবাসস্থলে পরিণত হইতেছে, বা অন্যভাবে উপদ্রব ঘটায় বা উপদ্রব ঘটানোর আশংকা থাকে, নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, উক্ত ইমারত বা ভূমি নিরাপদ করিবার এবং ঘের (enclosure) দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো নির্দেশ অমান্য করেন বা প্রতিপালন না করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ১ (এক) হাজার এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অধ্যায়-৯
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দায়িত্ব
১০৫। ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উদ্দেশ্যে, নিম্নবর্ণিত সামরিক অফিসারের, যথাক্রমে তাহাদের প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্টকৃত ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় রাখিবার লক্ষ্যে ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
(ক) স্টেশন কমান্ডার-সকল ইমারত ও ভূমি যাহা সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে দখল বা ব্যবহার করা হয়;
(খ) নৌপ্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ-সকল ইমারত ও ভূমি যাহা নৌবাহিনীর প্রয়োজনে দখল বা ব্যবহার করা হয়;
(গ) বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কমান্ডার-সকল ইমারত এবং ভূমি যাহা বিমান বাহিনীর প্রয়োজনে দখল বা ব্যবহার করা হয়;
(ঘ) কোনো অসামরিক সরকারি বিভাগ বা রেলওয়ে প্রশাসনের প্রধান হিসাবে যাহার তত্ত্বাবধানে ক্যান্টনমেন্টের কোনো এলাকা অর্পিত হইয়াছে- উক্ত বিভাগ বা প্রশাসনের প্রধান হিসাবে তাহার দায়িত্বাধীন সকল ইমারত বা ভূমি।
হেলথ অফিসারের সাধারণ দায়িত্বাবলি
১০৬। (১) হেলথ অফিসার সমগ্র ক্যান্টনমেন্টের উপর সাধারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিষয়ক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং প্রত্যেক মাসে বোর্ডের নিকট ক্যান্টনমেন্টের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিষয়ক অবস্থা সম্পর্কে, তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ সুপারিশসহ, একটি রিপোর্ট পেশ করিবেন।
(২) সহকারী হেলথ অফিসার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিষয়ে, বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, হেলথ অফিসার কর্তৃক তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন।
গণশৌচাগার, প্রশ্রাবখানা এবং আবর্জনা ব্যবস্থাপনা স্থাপনাসমূহ
১০৭। বোর্ড কর্তৃক স্থাপিত এবং রক্ষণাবেক্ষণকৃত সকল গণশৌচাগার ও প্রশ্রাবখানা এমনভাবে নির্মাণ করিতে হইবে যাহাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক লিঙ্গের জন্য উপদ্রবহীন পৃথক কামরা থাকে, এবং সকল প্রকার প্রয়োজনীয় আবর্জনা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থাপনার ব্যবস্থা থাকিবে এবং এইগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করিতে, এবং সঠিকভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
বেসরকারি আবর্জনা ব্যবস্থাপনা গ্রহণে বোর্ডের ক্ষমতা
১০৮। (১) বোর্ড কোনো ইমারত বা ভূমির দখলদারের আবেদন বা সম্মতিক্রমে বা, যেই ক্ষেত্রে কোনো ইমারত বা ভূমির দখলদার এই ধারায় উল্লিখিত কোনো বিষয়ে বোর্ডের সন্তুষ্টি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে এইরূপ সম্মতি ব্যতিরেকে এবং দখলদারকে লিখিত নোটিশ প্রদানের পর, যে কোনো ইমারত বা ভূমির বা ঘর সাফাইয়ের কাজের দায়িত্ব, এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সময় ও শর্তে, গ্রহণ করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড এই ধারায় উল্লিখিত দায়িত্ব গ্রহণ করিলে এইরূপ দায়িত্ব পালনের সময় অপসারিত সকল বস্তু বোর্ডের সম্পত্তি হইবে।
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘ঘর সাফাই’’ অর্থ শৌচাগার, পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, নর্দমা, মলাধার বা অন্যান্য সাধারণ পাত্র হইতে ময়লা বা আবর্জনা বা অন্যান্য দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু অপসারণ করা।
আবর্জনা, ইত্যাদি জমাকরণ এবং ব্যবস্থাপনা
১০৯। (১) প্রত্যেক বোর্ড, সঠিক ও সুবিধাজনক স্থানে, গৃহস্থালির আবর্জনা, দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু, জন্তুর মৃতদেহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন সাময়িকভাবে জমাকরণ বা ব্যবস্থাপনার জন্য গণধারণপাত্র, ডিপো বা জায়গার ব্যবস্থা করিবে।
(২) যে সময়, পদ্ধতি এবং শর্ত সাপেক্ষে উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো বস্তু কোনো সড়ক হইতে অপসারণ বা জমা বা অন্য কোনো ভাবে নিষ্পত্তি করা হইবে বোর্ড তৎসম্পর্কে, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
(৩) এই ধারার অধীন ব্যবস্থিত ধারণপাত্র, ডিপো বা স্থানসমূহে জমাকৃত সকল বস্তু বোর্ডের সম্পত্তি হইবে।
ভূগর্ভস্থ ময়লা, ইত্যাদির জন্য মলাধার ও ময়লাধার
১১০। কোনো ক্যান্টনমেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার, লিখিত নোটিশ দ্বারা,-
(ক) ক্যান্টনমেন্টের কোনো ভূমি বা ইমারতের মালিক, ইজারাদার বা দখলদার হিসাবে কর্তৃত্ব সম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে নিম্নবর্ণিত কার্যাদি সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-
(অ) কোনো ভূমি বা ইমারত সংশ্লি¬ষ্ট মলাধার যাহা, এক্সিকিউটিভ অফিসারের মতে, একটি উপদ্রব, উহা বন্ধ করা; বা
(আ) ভূমির উপর বা ইমারতের অভ্যন্তরের কোনো নোংরা বস্তু পাত্রে জমা হওয়া নোংরা বস্তু বা পয়ঃনিষ্কাশন, নোটিশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে, পরিষ্কার অবস্থায় রাখা; বা
(ই) কোনো বেসরকারি পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, সিংক, গোসলখানার পানি বা অন্য দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু, চুয়াইয়া পড়া, নিষ্কাশিত বা প্রবাহিত হওয়া বা ভূমি বা ইমারত হইতে কোনো সড়ক বা গণস্থানে, বা কোনো জলধারায় বা নর্দমায়, যাহা উক্ত উদ্দেশ্যে কাঙ্ক্ষিত নহে, রাখা প্রতিহত করা; বা
(ঈ) বোর্ডের আবর্জনা ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক অপসারণের জন্য সংগ্রহ ও জমা করা, যাহা নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে এবং নির্দিষ্ট পাত্রে বা স্থানে, ইমারতের সর্বাধিক নিকটবর্তী সীমানা হইতে অনধিক ১০০ (একশত) ফুটের মধ্যে, কোনো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু বা আবর্জনা, যাহা উক্ত ব্যক্তি উক্ত ইমারত বা ভূমির নীচে, মধ্যে বা উপরে জমা হইতে বা পড়িয়া থাকিতে দিয়াছেন; বা
(খ) কোনো গণ-নর্দমায় সংযুক্ত হয় এইরূপ কোনো নর্দমা প্রস্তুতকরণ বা পরিবর্তন করা হইতে কোনো ব্যক্তিকে বিরত রাখিতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন; বা
(গ) ক্যান্টনমেন্টের কোনো নর্দমার উপর নিয়ন্ত্রণ রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তিকে, নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, উহা পরিষ্কার, বিশুদ্ধ, মেরামত বা পরিবর্তন করা বা অন্য কোনো উপায়ে উহাকে ভাল অবস্থায় ফিরাইয়া আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
পুকুর, ইত্যাদির সংস্কার
১১১। (১) যে ক্ষেত্রে কোনো কূপ, পুকুর, সিস্টার্ন, জলাধার, ধারণপাত্র বা ক্যান্টনমেন্টের অন্য কোনো স্থান যেইখানে পানি মজু্দ বা সঞ্চয় করা হয়, কোনো বেসরকারি সীমানার মধ্যে হউক বা না হউক, এমন অবস্থায় থাকে যাহা উপদ্রব সৃষ্টি করিতে পারে, বা হেলথ অফিসার বা সহকারী হেলথ অফিসারের মতে উহা মশার বংশ বৃদ্ধির স্থানে পরিণত হইতে পারে, সেই ক্ষেত্রে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, উহার মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে উক্ত কূপ, সিস্টার্ন, ধারণপাত্র ভরাট বা আবৃত করিতে বা পুকুর বা জলাধার সংস্কার করিতে বা, ক্ষেত্রমত, পানি নিষ্কাশন বা অপসারণ করিতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড উপযুক্ত মনে করিলে, এরিয়া কমান্ডারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উপধারা (১) এ উল্লিখিত নির্দেশ প্রতিপালনের জন্য নির্বাহিত ব্যয়ের সম্পূর্ণ বা আংশিক অর্থ নির্বাহ করিতে পারিবে।
শৌচাগার, ইত্যাদি ব্যবস্থাকরণ
১১২। বোর্ড লিখিত নোটিশ দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের যে কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক বা ইজারাদারকে, নোটিশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে, কোনো শৌচাগার, প্রশ্রাবখানা, মলাধার, ডাস্টবিন বা নোংরা বস্তু, পয়ঃ বা ময়লার ধারণপাত্র বা কোনো অতিরিক্ত শৌচাগার, প্রশ্রাবখানা, মলাধার বা উল্লিখিত অন্যান্য ধারণপাত্র, যাহা, ইহার মতে, দালানে বা ভূমিতে সরবরাহের ব্যবস্থা করা উচিত, তাহা সরবারাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
বাজার, স্কুল, ইত্যাদিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
১১৩। (১) প্রত্যেক ব্যক্তি, যিনি সরকারের পক্ষে বা অন্যভাবে, ১০ (দশ) এর অধিক কর্মচারী বা শ্রমিক নিয়োগ করেন এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যিনি ক্যান্টনমেন্টের কোনো বাজার, স্কুল, নাট্যশালা বা গণ-অবকাশের কোনো স্থানের ব্যবস্থাপনা করেন বা নিয়ন্ত্রণ করেন, উক্ত বিষয়ে বোর্ডকে নোটিশ প্রদান করিবেন এবং এইরূপ শৌচাগার ও প্রশ্রাবখানার ব্যবস্থা করিবেন এবং, বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সংখ্যক ঝাড়ুদার নিয়োগ করিবেন এবং উক্ত শৌচাগার ও প্রশ্রাবখানা পরিষ্কার ও সঠিক অবস্থায় রাখিবার ব্যবস্থা করিবেন।
(২) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে, শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নম্বর আইন) এর অধীনে কোনো কারখানার ক্ষেত্রে, এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
বেসরকারি শৌচাগার
১১৪। বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা-
(ক) কোনো বেসরকারি শৌচাগার বা প্রশ্রাবখানার মালিক বা উহার উপর কর্তৃত্বসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে উহা গণ-ব্যবহারের জন্য না রাখিতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(খ) যেক্ষেত্রে বেসরকারি শৌচাগার বা প্রশ্রাবখানা নির্মাণ পরিকল্পনা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন করা হয় এবং উহার অনুলিপি, আবেদন করা হইলে, বিনামূল্যে পাওয়া যায়, সেইক্ষেত্রে-
(অ) যে কোনো ব্যক্তিকে, যিনি কোনো বেসরকারি শৌচাগার বা প্রশ্রাবখানা মেরামত বা নির্মাণ করিতেছেন উহা হেলথ অফিসার দ্বারা বা তাহার নির্দেশে পরিদর্শন না করা পর্যন্ত এবং পরিকল্পনা অনুসারে অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(আ) কোনো বেসরকারি শৌচাগার বা প্রশ্রাবখানার উপর কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তিকে উহা নক্সা অনুসারে পুনঃনির্মাণ বা পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(গ) এইরূপ কোনো বেসরকারি শৌচাগার বা প্রশ্রাবখানা যাহা, বোর্ডের মতে, একটি উপদ্রব স্বরূপ, উহার মালিক বা উহার উপর কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তিকে উক্ত শৌচাগার বা প্রশ্রাবখানা অপসারণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(ঘ) ক্যান্টনমেন্টের কোনো ভূমি বা ইমারতের মালিক, ইজারাদার বা দখলদার হিসাবে কর্তৃত্বসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে-
(অ) উহার জন্য প্রতিষ্ঠিত কোনো শৌচাগারকে যথেষ্ট পরিমাণ ছাদ ও প্রাচীর বা বেড়া দ্বারা পথচারী বা আশেপাশে বসবাসকারীদের দৃষ্টি হইতে আড়াল করিয়া রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(আ) ভূমি বা ইমারতের অধীন কোনো শৌচাগার বা প্রশ্রাবখানা নোটিশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে পরিষ্কার রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(ঙ) ক্যান্টনমেন্টের কোনো নর্দমার মালিক এবং উহার উপর কর্তৃত্বসম্পন্ন যে কোনো ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লিখিত ঢাকনা, নোটিশ জারির দশ দিনের মধ্যে, সরবরাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
ইমারতের অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করিবার ক্ষমতা
১১৫। (১) যেক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্টের কোনো ইমারত এইরূপ ত্রুটিযুক্তভাবে নির্মাণ করা হয় বা এইরূপ ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে, যাহা বোর্ডের মতে অস্বাস্থ্যকর, সেইক্ষেত্রে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, উহার মালিককে নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, এইরূপ ত্রুটিসমূহ দূরীভূত করিবার উদ্দেশ্যে, ইহা যেইরূপ প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপে মেরামত বা পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন জারিকৃত প্রত্যেক নোটিশের একটি অনুলিপি দৃশ্যমানভাবে সংশ্লিষ্ট ইমারতের গায়ে সাঁটিয়া দিতে হইবে।
(৩) উপধারা (১) এর অধীন জারিকৃত নোটিশ প্রতিপালিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত ইমারতের মালিক, মেরামত কাজ বা নোটিশে নির্দেশিত পরিবর্তন করার পরিবর্তে, ইমারতটি অপসারণ করিয়া থাকেন।
(৪) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন নির্দেশ তামিল করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ভূমি বা ইমারত পরিষ্কার করিবার ক্ষমতা
১১৬। (১) যদি এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ক্যান্টনমেন্টের কোনো ইমারত বা ভূমি নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উহার মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে, লিখিত নোটিশ দ্বারা, ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে, নোটিশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে পরিষ্কার করিবার বা অন্য কোনো উপায়ে সঠিক অবস্থায় রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) যদি উপধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রদানের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, নোটিশে উল্লিখিত কোনো ইমারত বা ভূমি পরিষ্কার করা না হয় বা সঠিক অবস্থায় না রাখা হয় বা উহা নোংরা বা অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে, তাহা হইলে উক্ত মালিক, ক্ষেত্রমত, ইজারাদার বা দখলদার অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বাড়ি ব্যবহার না করিবার আদেশ দানের ক্ষমতা
১১৭। (১) যদি বোর্ড এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে বসতবাড়িরূপে ব্যবহৃত বা ব্যবহারের জন্য কাঙ্ক্ষিত কোনো ইমারত বা উহার কোনো অংশ মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হইয়া পড়িয়াছে, তাহা হইলে উহা ইমারতের কোনো দৃশ্যমান অংশে একটি নোটিশ সাঁটিয়া উহার মালিক বা দখলদারকে উক্ত ইমারত বা উহার কোনো অংশ মানুষের বসবাসের জন্য ব্যবহার করিতে বা ব্যবহারের অনুমতি দিতে নিষেধ করিতে পারিবে, যে পর্যন্ত না উহা, বোর্ডের সন্তুষ্টি মতে, অনুরূপ ব্যবহারের উপযোগী হয়।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন নির্দেশ তামিল করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে অন্যূন ২ (দুই) হাজার এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ক্ষতিকর গাছপালা অপসারণ
১১৮। (১) বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে যে কোনো নিবিড় বা ক্ষতিকর গাছপালা বা লতাগুল্ম, যাহা ইহার মতে আশেপাশের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বা অশোভন মনে হয়, পরিষ্কার ও অপসারণ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন নির্দেশ তামিল করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) হাজার এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
কৃষি ও সেচ
১১৯। (১) যেক্ষেত্রে, বোর্ডের মতে, ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো ভূমিতে কোনো প্রকারের শস্যের চাষ বা এইরূপ কোনো সারের ব্যবহার বা কোনো সুনির্দিষ্ট ধরনের সেচ আশেপাশের বসবাসকারী জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হইতে পারে, সেই ক্ষেত্রে বোর্ড, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, নির্দিষ্ট সময়ের পর, উক্ত কার্যসমূহ নিষিদ্ধ করিতে পারিবে, বা একইভাবে নোটিশ দ্বারা, বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপে, নোটিশে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে উহা পরিচালিত হইবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) এই ধারার অধীন কোনো নোটিশ জারি হওয়ার পর, যদি কোনো ভূমি আইনানুগভাবে চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয় বা উহাতে কোনো ফসল বোনা হয় বা উহার উপর ফসল বিদ্যমান থাকে, তাহা হইলে বোর্ড এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিবে যে, যে সময়ের মধ্যে সাধারণত ফসল বপন করা হয় বা ক্ষেত্রমত কাটা হয়, সে সময়ের পূর্বে নোটিশটি কার্যকর হইবে এবং যে সকল ব্যক্তির উক্ত ভূমি বা ফসলে স্বার্থ রহিয়াছে তাহাদের কোনো ক্ষতি হইয়া থাকিলে, উহার জন্য, যাহারা নোটিশ মান্য করিবার জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হইয়াছেন, তাহাদেরকে, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে।
কবরস্থান ও শ্মশানঘাট সম্পর্কে তথ্য আহবানের ক্ষমতা
১২০। (১) ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মধ্যে সকল কবরস্থান ও শ্মশানঘাট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হইবে।
(২) বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো কবরস্থান বা শ্মশানঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে এইরূপ স্থানের ব্যবস্থাপনা বা পরিস্থিতি সম্পর্কে নোটিশে উল্লিখিত উপায়ে তথ্য সরবরাহ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
নূতন কবরস্থান ও শ্মশানঘাট ব্যবহারের অনুমতি
১২১। (১) ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে এমন কোনো স্থান যাহা এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে কবরস্থান বা শ্মশানঘাট হিসাবে ব্যবহৃত হয় নাই, বোর্ডের লিখিত অনুমতি ব্যতীত, উহা উক্তরূপে ব্যবহার করা যাইবে না।
(২) আশেপাশে বসবাসকারী জনগণের বিরক্তি বা স্বাস্থ্যের ঝুঁকি প্রতিরোধ করিবার জন্য বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ শর্ত সাপেক্ষে, উপধারা (১) এর অধীন কবরস্থান বা শ্মশানঘাট ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা যাইবে।
সংক্রামক রোগ বা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা
১২২। (১) কোনো ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটিলে বা ছড়াইয়া পড়িবার আশংকা দেখা দিলে বা উহার কোনো জীবজন্তুর মধ্যে মহামারি ছড়াইয়া পড়িলে, যদি স্টেশন কমান্ডার মনে করেন যে, এই আইনের বিধানাবলি বা ক্যান্টনমেন্টে আপাতত বলবৎ যে কোনো আইনের বিধানাবলি প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত, তাহা হইলে তিনি, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্ত রোগের প্রাদুর্ভাব বা বিস্তার রোধের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(২) একজন পেশাদার চিকিৎসক যদি ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট এই মর্মে প্রত্যায়ন করেন যে, তাহার মতে, কোনো গোয়ালা দ্বারা সরবরাহকৃত দুধের কারণে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে যে কোনো সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব বা বিস্তার ঘটিতেছে, তাহা হইলে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার উক্ত গোয়ালাকে ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে তাহার সকল গ্রাহকের নাম ও ঠিকানার পূর্ণ ও সম্পূর্ণ তালিকা দাখিল করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) হেলথ অফিসার যদি ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট এই মর্মে প্রত্যায়ন করেন যে, ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধ করিবার জন্য কোনো ধোপার গ্রাহকদের তালিকা সংগ্রহ করা বাঞ্ছনীয়, তাহা হইলে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার উক্ত ধোপাকে ক্যান্টনমেন্টে পোষাকপরিচ্ছদ বা অন্যান্য বস্তু, যাহা তিনি ধৌত করেন বা নোটিশ পাওয়ার তারিখের অব্যবহিত ছয় সপ্তাহ পূর্বে ধৌত করিয়াছেন এবং ঐগুলির মালিকদের নাম ও ঠিকানার একটি পূর্ণাঙ্গ ও সম্পূর্ণ তালিকা হেলথ অফিসারকে প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৪) ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রয়োজন মনে করিলে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে সরবরাহ করা হয় এমন কোনো দুগ্ধ খামার হইতে দুগ্ধ সরবরাহ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন এবং কোনো ধোপাকে এইরূপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থানে বা নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতিতে পোশাক পরিচ্ছদ বা অন্য কোনো বস্তু ধৌত করা যাইবে মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(৫) যখন কোনো ক্যান্টনমেন্টে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে বা এইরূপ আশংকার সৃষ্টি হয়, তখন বোর্ড, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, মানুষের ব্যবহার্য যে কোনো খাদ্যদ্রব্য বা পানীয় বিক্রয় বা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত কোনো পশুর মাংস বিক্রয়, নোটিশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে এবং সময়ের জন্য, সীমিত করিতে বা নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
(৬) যদি বোর্ডের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোনো কূপ, পুকুর বা অন্য কোনো স্থানের জল পানীয় হিসাবে ব্যবহৃত হইলে কোনো রোগের আশঙ্কা রহিয়াছে বা, বিস্তার ঘটিতে পারে, তাহা হইলে বোর্ড, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, পানের জন্য উক্ত জলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
(৭) যেক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্ট বা উহার কোনো অংশে কোনো সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে বা উহার আশংকা সৃষ্টি হয়, সেইক্ষেত্রে হেলথ অফিসার বা এতদুদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, বিনা নোটিশ যে কোনো সময়ে যে কোনো কূপ, পুকুর বা স্থান পরিদর্শন করিতে এবং পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করিবার, বা পানের জন্য উহার ব্যবহার প্রতিরোধের জন্য যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
হাসপাতাল বা ডিসপেনসারি রক্ষণাবেক্ষণ বা সহায়তাকরণ
১২৩। (১) বোর্ড-
(ক) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে বা বাহিরে ইহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সংখ্যক হাসপাতাল এবং ডিসপেনসারি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে; বা
(খ) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে বা বাহিরে যে কোনো হাসপাতাল বা ডিসপেনসারি বা পশু চিকিৎসালয়কে, উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ শর্ত সাপেক্ষে, অনুদান প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন রক্ষণাবেক্ষণকৃত বা সহায়তাকৃত প্রত্যেক হাসপাতাল বা ডিসপেনসারিতে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ড বা ওয়ার্ডসমূহ সংযুক্ত থাকিবে।
(৩) এই ধারার অধীন রক্ষণাবেক্ষণকৃত বা সহায়তাকৃত প্রত্যেক হাসপাতাল বা ডিসপেনসারিতে সরকার যেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেইরূপে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসা অফিসার থাকিবেন।
চিকিৎসা সংক্রান্ত বস্তু বা সরঞ্জাম
১২৪। (১) ধারা ১২৩ এর অধীন রক্ষণাবেক্ষণকৃত বা সহায়তাকৃত প্রত্যেক হাসপাতাল বা ডিসপেনসারি পরিচালনার জন্য সরকারের সাধারণ বা বিশেষ, আদেশ দ্বারা বা সরকার, যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সংশোধিত আদেশ অনুসারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হইবে।
(২) বোর্ড ধারা ১২৩ এর অধীন রক্ষণাবেক্ষণকৃত প্রত্যেক হাসপাতাল বা ডিসপেনসারি যাহাতে আবাসিকরোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ, হাতিয়ার, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, সরঞ্জাম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের খাট, বিছানাপত্র ও পোষাক পরিচ্ছদ দ্বারা সজ্জিত থাকে সেই ব্যবস্থা করিবে।
মাশুলমুক্ত রোগী
১২৫। ধারা ১২৩ এর অধীন রক্ষণাবেক্ষণকৃত বা সহায়তাকৃত প্রত্যেক হাসপাতাল বা ডিসপেনসারিতে, ক্যান্টনমেন্টের দরিদ্র রোগী এবং সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত ক্যান্টনমেন্টের অন্যান্য বাসিন্দা এবং বোর্ডের অনুমোদনক্রমে যে কোনো রুগ্ন ব্যক্তি, বিনা খরচে ডাক্তারি বা শল্যচিকিৎসা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যদি এইরূপ কাউকে ভর্তি হওয়া রোগী হিসাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহাকে বিনামূল্যে পথ্য সরবরাহ করা হইবে বা, দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক নির্দেশক্রমে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে, জীবিকা ভাতা (subsistence allowance) প্রদান করা হইবে।
অধ্যায়-১০
ইমারত, সড়ক, সীমানা, বৃক্ষ, ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ
ইমারতের অনুমোদন
১২৬। কোনো ব্যক্তি, বোর্ডের পূর্বানুমোদন বা এই অধ্যায়ের বিধানাবলির অনুসরণ বা ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ সংশ্লিষ্ট এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি ও উপ-আইনের বিধানাবলি অনুসরণ ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো ভূমিতে কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করিবে না।
নূতন ইমারতের নোটিশ
১২৭। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করিতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে তিনি বোর্ডের নিকট লিখিতভাবে তাহার ইচ্ছা প্রকাশ করত নোটিশ প্রদান করিয়া অনুমোদনের জন্য আবেদন করিবেন।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো ব্যক্তি, ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যিনি-
(ক) কোনো ইমারতের বাস্তব পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করেন; বা
(খ) কোনো ইমারতকে মানুষের আবাসন হিসাবে রূপান্তরিত করেন যাহা মূলত উক্ত উদ্দেশ্যে নির্মিত হয় নাই; বা
(গ) মূলত একটি আবাসস্থল হিসাবে নির্মিত ইমারতকে একাধিক আবাসস্থল হিসাবে রূপান্তরিত করেন; বা
(ঘ) ২ (দুই) বা ততোধিক আবাস্থলকে ততোধিক স্থানে রূপান্তরিত করেন; বা
(ঙ) মূলত মানুষের আবাসন হিসাবে নির্মিত ইমারতকে আস্তাবল, গবাদি পশুর চালা বা গোয়ালঘরে রূপান্তরিত করেন; বা
(চ) এমন কোনো পরিবর্তন করেন যাহা কোনো ইমারতের স্থায়িত্ব বা নিরাপত্তা বা নিষ্কাশন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিষয়ে অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ করিতে পারে বলিয়া বিশ্বাসের কারণ রহিয়াছে; বা
(ছ) কোনো ইমারতে এমন কোনো পরিবর্তন করেন যাহা কোনো ইমারতের উচ্চতা বা আচ্ছাদিত স্থান বা ঘন আয়তন বৃদ্ধি বা হ্রাস করে, বা এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো উপ-আইন অনুসারে ন্যূনতম নির্ধারিত আয়তন অপেক্ষা কোনো কক্ষের ঘন আয়তনকে হ্রাস করে।
আইনসম্মত নোটিশের শর্তাবলি
১২৮। (১) ধারা ১২৭ এর অধীন নোটিশ প্রদানকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ইমারতটি যে উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে উহা নির্দিষ্ট করিবেন।
(২) কোনো নোটিশ আইনসম্মত হইবে না, যদি না উপধারা (১) এর অধীন আবশ্যক সকল তথ্য এবং এই আইনের অধীন প্রণীত উপ-আইনসমূহের অধীন প্রয়োজনীয় কোনো অতিরিক্ত তথ্য ও নক্সা বোর্ডের সন্তুষ্টি অনুসারে নোটিশের সহিত প্রদান করা হয়।
অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান বিষয়ে বোর্ডের ক্ষমতা
১২৯। (১) বোর্ড, ইমারত নির্মাণ বা, ক্ষেত্রমত পুনঃনির্মাণ, প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে বা সম্পূর্ণরূপে বা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে, উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ লিখিত নির্দেশনা সাপেক্ষে, অনুমোদন করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) ইমারতের সম্মুখে উন্মুক্ত পথ বা সড়ক যাহা প্রয়োজনে ছাড়িতে হইবে;
(খ) ইমারতের বায়ু চলাচল নিশ্চিতকরণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সহায়তাকরণ ও অগ্নি প্রতিরোধের জন্য ইমারতের কাছাকাছি যে জায়গা ছাড়িতে হইবে;
(গ) ইমারতের অবাধ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা, কক্ষের ন্যূনতম ঘন আয়তন এবং ইমারতের সম্ভাব্য তলার সংখ্যা ও উচ্চতা;
(ঘ) নর্দমা, পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, ময়লার স্তুপ বা ময়লার অন্যান্য ধারণপাত্রের ব্যবস্থা ও অবস্থান;
(ঙ) ভিত্তির লেভেল ও প্রস্থ, সর্বনিম্নতলের লেভেল এবং কাঠামোর দৃঢ়তা ;
(চ) ইমারতটি সড়ক সংলগ্ন হইলে পার্শ্ববর্তী ইমারতসমূহের সহিত উহার সামনের দিকের অবস্থানের সীমা;
(ছ) অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে ইমারত হইতে বাহির হইবার উপায়ের ব্যবস্থাকরণ;
(জ) কামরা আগুন, মেঝে, প্রজ্বলনের স্থান এবং চিমনির বাহ্যিক ও বিভাজক প্রাচীর নির্মাণে ব্যবহার্য বস্তু এবং পদ্ধতি;
(ঝ) সর্বোচ্চতলের ছাদের উচ্চতা ও ঢাল, যেইখানে মানুষ বাস করিবে বা রান্নার কাজ করা হইবে; এবং
(ঞ) ইমারতের বায়ু চলাচল বা স্বাস্থ্য বিধান সম্পর্কিত অন্য যে কোনো বিষয়।
(২) ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণকারী ব্যক্তি, প্রত্যেক ক্ষেত্রে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নির্দেশনা মানিয়া চলিবে।
(৩) বোর্ড কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে, যদি ইহার নিকট যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট ইমারতের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক ইমারত সমূহের জনাকীর্ণতা প্রতিরোধ বা এইরূপ সীমানার মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্তিদের স্বার্থে বা অন্য কোনো জনস্বার্থে, নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ সীমিত করিয়া অনুমোদিত কোনো সাধারণ পরিকল্পনার অনুসরণে উহা করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৪) সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকের ব্যবস্থাপনাধীন কোনো ভূমিতে কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ অনুমোদন করিবার পূর্বে বোর্ড সরকারের পক্ষ হইতে এইরূপ নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণে আপত্তি আছে কিনা উহা যাচাই করিবার জন্য আবেদনটি, সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসক উক্ত আবেদন প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত বিষয়ে তাহার রিপোর্টসহ আবেদনটি বোর্ডের নিকট ফেরত পাঠাইবে।
(৫) বোর্ড কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ প্রত্যাখ্যান করিতে পারিব-
(ক) যখন সরকার হইতে ইজারাকৃত ভূমির উপর ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের প্রস্তাব করা হয় তখন যদি উক্ত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ ইজারার শর্তের খেলাপ হয় বা;
(খ) যখন সরকার হইতে ইজারা লওয়া হয় নাই এইরূপ ভূমির উপর ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের প্রস্তাব করা হয় তখন, যদি উক্ত ভূমিতে নির্মাণের অধিকার বিষয়ে সরকার এবং আবেদনকারী ব্যক্তির মধ্যে বিরোধ থাকে।
(৬) যদি বোর্ড ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করে তাহা হহলে ইহা লিখিতভাবে প্রত্যাখ্যানের, কারণসমূহ নোটিশ প্রদানকারীকে অবহিত করিবে।
(৭) যখন বোর্ড আইনসম্মত নোটিশ প্রাপ্তির পর, একমাস যাবত এই ধারায় উল্লিখিত কোনো আদেশ নোটিশ প্রদানকারীকে প্রদানে অবহেলা করে বা অপারগ হয়, এবং এইরূপ ব্যক্তি পরবর্তীতে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে, লিখিত যোগাযোগের মাধ্যমে, বোর্ডের অবহেলা বা অপারগতার বিষয়ে বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তখন, যদি উক্ত অবহেলা বা অপারগতা এইরূপ যোগাযোগের পর আরও ১৫ (পনের) দিন পর্যন্ত চলিতে থাকে, তাহা হইলে বোর্ড নিঃশর্তভাবে নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের অনুমোদন, প্রদান করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৪) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হয়, সেইক্ষেত্রে উহাতে উল্লিখিত, ১ (এক) মাস সময় যে তারিখে বোর্ড উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত প্রতিবেদন প্রাপ্ত হয় উক্ত তারিখ হইতে গণনা করা হইবে।
ক্ষতিপূরণ
১৩০। (১) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো ক্ষতি বা লোকসানের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি করা যাইবে না, যদি উহা কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের অনুমোদন প্রত্যাখ্যানের, বা ধারা ১২৯ এর উপধারা (১) এর অধীন জারিকৃত কোনো নির্দেশনার কারণে হইয়া থাকে।
(২) বোর্ড কোনো ইমারতের মালিককে যে কোনো প্রকৃত ক্ষতি বা লোকসানের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে, যাহা কোনো স্থানে কোনো ইমারত নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার কারণে বা তাহার মালিকানাধীন কোনো ভূমি সড়কের সহিত যুক্ত করিবার কারণে হইয়াছে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড কোনো ইমারতের পুনঃনির্মাণের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদানে দায়ী থাকিবে না যাহা এইরূপ প্রত্যাখ্যানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৩ (তিন) মাস বা ততোধিক সময়ের জন্য বিদ্যমান ছিল না বা যাহা মানুষের আবাসনের অনুপযুক্ত ছিল।
অনুমোদনের তামাদি
১৩১। বোর্ড কর্তৃক একটি ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের অনুমোদন যাহা ইতঃপূর্বে ব্যবস্থাকৃতভাবে প্রদান করা হইয়াছে বা প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইয়াছে, উহা প্রদানের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসরের জন্য স্থায়ী হইবে এবং যদি এইরূপ অনুমোদিত ইমারত অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাহার অধীন আইনত কোনো দাবিদার উক্ত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু না করেন, তাহা হইলে উহা তৎপরবর্তীতে শুরু করা যাইবে না, যদি না বোর্ড, ইহার নিকট দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে, উক্ত বিষয়ে সময় বৃদ্ধি করিয়া থাকে।
নির্মাণ সমাপ্তিকরণের সময়সীমা
১৩২। (১) বোর্ড, ইতঃপূর্বে উল্লিখিতরূপে কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ অনুমোদনের সময়, কাজ শুরু হইবার পর নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ সমাপ্ত করিবার জন্য একটি যুক্তিযুক্ত সময় নির্দিষ্ট করিয়া দিবে, এবং, যদি এইরূপ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ সমাপ্ত না হয়, তাহা হইলে ইহা তৎপরবর্তীতে ইতঃপূর্বে ব্যবস্থাকৃতভাবে নূতন অনুমোদন গ্রহণ করা ব্যতীত অব্যাহত রাখা যাইবে না, যদি না বোর্ড, ইহার নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে, উক্ত বিষয়ে সময় বৃদ্ধি করিয়া থাকে:
(২) উপধারা (১) বর্ণিত সময়সীমা বর্ধিত করিবার আবেদন জরিমানা ব্যতিরেকে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বার অনুমোদন করা যাইবে।
(৩) উপধারা (১) বর্ণিত সময়সীমা বর্ধিত করিবার আবেদন ৩ (তিন) বারের অধিক বর্ধিত করিবার প্রতি ক্ষেত্রে ২০(বিশ) হাজার টাকা জরিমানা আদায় করিতে হইবে; এবং ৫ (পাঁচ) বারের অধিক বর্ধিত করিবার প্রতি ক্ষেত্রে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আদায় করিতে হইবে।
অবৈধ নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ
১৩৩। যদি কোনো ব্যক্তি-
(ক) ধারা ১২৭ এবং ১২৮ এর অধীন আইনসম্মত নোটিশ প্রদান ব্যতীত, বা নির্মাণ অনুমোদনের বা অনুমোদন করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবার পূর্বে; বা
(খ) ধারা ১২৯ এর উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালন করা ব্যতীত; বা
(গ) যখন অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করা হইয়াছে, বা সময়সীমা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে, বা ধারা ৪৫এর উপধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক স্থগিত করা হইয়াছে তখন;
কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ শুরু করেন, অব্যাহত রাখেন বা সমাপ্ত করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার এবং অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ বন্ধকরণ বা ভাঙ্গিয়া ফেলার ক্ষমতা
১৩৪। (১) বোর্ড যে কোনো সময়ে, লিখিত নোটিশ দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টে যে কোনো ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং সেই ক্ষেত্রে বোর্ড যদি বিবেচনা করে যে, এইরূপ নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ ধারা ১৩৩ এর অধীন একটি অন্যায়কার্য, তাহা হইলে, উক্ত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার ১২ (বারো) মাসের মধ্যে, ইহা যেইরূপ প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপে, নির্মিত বা পুনঃনির্মিত ইমারত বা উহার যে কোনো অংশ পরিবর্তন করিবার বা ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড, এইরূপ কোনো ইমারত বা উহার কোনো অংশ পরিবর্তন করিবার বা ভাঙ্গিয়া ফেলিবার নির্দেশ প্রদান করিবার পরিবর্তে সমঝোতারূপে উহা যেইরূপ যুক্তিযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করিতে পারিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, বোর্ড, এরিয়া কমান্ডারের পূর্ব সম্মতি ব্যতীত, ইহার ব্যবস্থাপনার অধীন নহে এইরূপ ভূমির উপর কোনো ইমারতের জন্য পূর্বোক্ত শর্তাধীন কোনো অর্থ সমঝোতারূপে গ্রহণ করিবে না।
(২) বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের যে কোনো ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এইরূপ যে কোনো ক্ষেত্রে যেইখানে ধারা ৪৫ এর উপধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক ধারা ১২৯ এর অধীন নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের অনুমোদন স্থগিত করা হইয়াছে এবং এইরূপ যে কোনো ক্ষেত্রে একইরূপে উক্ত নির্মিত বা পুনঃনির্মিত যে কোনো ইমারত বা উহার কোনো অংশ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার বা, ক্ষেত্রমত, পরিবর্তন করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, এই ক্ষেত্রে এরিয়া কমান্ডার পরবর্তীতে আদেশ করেন যে, ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের জন্য বোর্ডের অনুমোদন কার্যকর করা হইবে না বা তৎকর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সংশোধনীসহ কার্যকর করা হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এরিয়া কমান্ডারের আদেশ যে তারিখে তাহার নিকট পৌঁছানো হয় সেই তারিখের পূর্বে নির্মিত বা পুনঃনির্মিত যে কোনো ইমারত ভাঙ্গিয়া ফেলিবার বা পরিবর্তন করিবার ফলে উক্ত ইমারতের মালিকের যে প্রকৃত ক্ষতি হয় উহার জন্য বোর্ড ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে।
নর্দমা বা পয়ঃসংযোগ
১৩৫। (১) বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, যে কোনো সড়কে কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক বা ইজাদারকে তাহার নিজ খরচে এবং বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপে উক্ত ইমারত বা ভূমি হইতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও বহনের জন্য এবং উহা নিষ্কাশনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা এবং পাইপ স্থাপন করিবার জন্য, এবং সুষ্ঠু অবস্থায় এইরূপ ইমারত বা ভূমি এবং কোনো নর্দমা বা পয়ঃনালির মধ্যে অন্য কোনো রূপ সংযোগ বা যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) ক্যান্টনমেন্টের কোনো ইমারত বা ভূমি হইতে সুষ্ঠুভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক বা ইজারাদারকে-
(ক) কোনো প্রাঙ্গণ, সরুপথ বা দুই বা ততোধিক ইমারতের মধ্যকার পথ, উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ বস্তুদ্বারা এবং পদ্ধতিতে, পাকা করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, বা
(খ) এইরূপ পাকাকৃত স্থান যথাযথ মেরামতে রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
সড়ক, ভূমি, ইত্যাদি অস্থায়ীভাবে দখল
১৩৬। বোর্ড, লিখিত আদেশ দ্বারা, যে কোনো সড়ক বা বোর্ডের উপর ন্যস্ত যে কোনো ভূমিতে কোনো নির্মাণ সামগ্রী জমা করিবার, বা উহাতে কোনো সাময়িক খনন করিবার বা, জনগণের নিরাপত্তা বা সুবিধার্থে ইহা যেইরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ শর্ত সাপেক্ষে, উহার উপর নির্মাণ করিবার জন্য অস্থায়ী অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে, এবং এইরূপ অনুমতির জন্য কোনো ফি আরোপ করিতে পারিবে এবং উহার নিজস্ব বিচার-বিবেচনা অনুসারে এইরূপ অনুমতি প্রত্যাহার করিতে পারিবে।
সড়কের নাম এবং ইমারতের নম্বর
১৩৭। (১) বোর্ড যে কোনো সড়কের নামকরণ করিতে পারিবে এবং ক্যান্টনমেন্টের যে কোনো স্থানে কোনো ইমারতে উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপে উক্ত নাম আঁটিয়া দিতে পারিবে, এবং এইরূপ যে কোনো ইমারতে একটি নাম্বারও আঁটিয়া দিতে পারিবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত সড়কের কোনো নাম বা ইমারতে উল্লিখিত নাম্বার ধ্বংস করেন, বা নামাইয়া ফেলেন, বা বিকৃত করেন, বা পরিবর্তন করেন, বা কোনো নাম বা নাম্বার যুক্ত করেন, যাহা বোর্ডের আদেশ দ্বারা আঁটিয়া দেওয়া নাম্বার হইতে ভিন্নতর হয়, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(৩) উপধারা (১) এর অধীন কোনো ইমারতে একটি নাম্বার আঁটিয়া দেওয়া হইলে ইমারতের মালিক নাম্বারটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করিবেন, এবং উহা অপসারণ বা বিকৃত করা হইলে পুনঃস্থাপন করিবেন, এবং যদি তিনি এইরূপ করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, তাহাকে উহা পুনঃস্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
বৃক্ষাদি কর্তন, ছাঁটাই এবং সুবিন্যস্তকরণ
১৩৮। (১) যেক্ষেত্রে, বোর্ডের মতে, ক্যান্টনমেন্টের বেসরকারি সীমানার ভিতরে অবস্থিত কোনো পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষ যে কোনো কারণে কর্তন করা প্রয়োজন, সেইক্ষেত্রে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে, নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, বৃক্ষটি কর্তন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে সরকারের মালিকানাধীন ভূমিস্থিত যে কোনো বৃক্ষ ছাঁটাই বা সুবিন্যস্ত করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবে।
(৩) বোর্ড, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টে সকল ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে বা, লিখিত নোটিশ দ্বারা, উক্ত ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে উক্ত ভূমিতে অবস্থিত সকল বা যে কোনো বৃক্ষ, নোটিশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে, ছাঁটাই বা সুবিন্যস্ত করিবার জন্য বা এইরূপ ভূমি হইতে মৃত কোনো বৃক্ষ অপসারণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
সরকারি ভূমি খনন
১৩৯। যদি কোনো ব্যক্তি, বোর্ডের লিখিত অনুমতি ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্টে কোনো গণস্থানের উপরিভাগ খনন করেন যাহা বেসরকারি সম্পত্তি নহে, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) হাজার টাকা এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ভূমির অনুচিত ব্যবহার
১৪০। (১) যদি, বোর্ডের মতে, ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো খনির কাজ বা ক্যান্টনমেন্টের কোনো স্থানের মাটি হইতে পাথর, মাটি বা অন্য বস্তু অপসারণ, উহাতে বসবাসকারী বা এইরূপ খনি বা স্থানের আশেপাশে যাতায়াতকারী ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক বা কোনো আপদ সৃষ্টি করে বা সৃষ্টি করিবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, এইরূপ খনি বা স্থানের মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে বা এইরূপ কাজের বা অপসারণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে, এইরূপ খনির কাজ অব্যাহত রাখিতে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে বা এইরূপ বস্তু অপসারণ না করিবার জন্য নিষেধ করিতে পারিবে বা তাহাকে এই বিষয়ে উহা হইতে সৃষ্ট বা সৃষ্টি হইতে পারে এইরূপ বিপদ প্রতিরোধ করিবার বা উপদ্রব প্রশমিত করিবার উদ্দেশ্যে, বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো ক্ষেত্রে বোর্ড এইরূপ মত পোষণ করে যে, এইরূপ কার্যক্রম আশু বিপদ প্রতিরোধের জন্য আবশ্যক, তাহা হইলে ইহা, লিখিত আদেশ দ্বারা, পথচারীদের রক্ষার জন্য উপযুক্ত সাইনবোর্ড বা বেড়া স্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
অধ্যায়-১১
বাজার, কসাইখানা, ব্যবসা এবং পেশা
বাজার এবং কসাইখানা
১৪১। (১) বোর্ড ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বা বাহিরে, ইহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সংখ্যক স্টল, দোকান, চালা, খোয়াড় এবং ব্যবসা বা ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের সুবিধা বা ব্যবহারের জন্য বাজার ও কসাইখানার ব্যবস্থা করিতে এবং এইরূপ বাজার বা কসাইখানায় যাতায়াতকারীদের জন্য সড়কের ব্যবস্থা করিতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে, এবং এইরূপ কোনো বাজারের ইমারত, স্থানাদি, যন্ত্রপাতি, ওজনের সামগ্রী, পাল্লা, পরিমাপের যন্ত্র, দ্রব্যাদি ওজন বা পরিমাপের জন্য ব্যবস্থা করিতে বা রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে।
(২) যেক্ষেত্রে উপধারা (১) এ উল্লিখিত বাজার বা কসাইখানা ক্যান্টনমেন্টের সীমানার সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত হয়, সেইক্ষেত্রে বোর্ডের উহার পরিদর্শন ও যথাযথ নিয়ন্ত্রণের জন্য একইরূপ ক্ষমতা থাকিবে যেন উহা উক্ত সীমার মধ্যে অবস্থিত।
(৩) বোর্ড, যে কোনো সময়ে, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, যে কোনো বাজার বা কসাইখানা বা উহার অংশবিশেষ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবে।
(৪) বোর্ড ব্যতীত অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শাসিত কোনো এলাকায় এইরূপ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা এইরূপ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেইরূপ আরোপ করিবে সেইরূপ শর্ত ব্যতিরেকে, এই ধারার কোনো কিছুই কোনো বাজার বা কসাইখানা স্থাপনের কর্তৃত্ব প্রদান করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।
বাজারের ব্যবহার
১৪২। (১) কোনো ব্যক্তি, বোর্ডের সাধারণ বা বিশেষ লিখিত অনুমতি ব্যতীত, বাজারে কোনো পশু বা দ্রব্য বিক্রয় করিবে না বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আনয়ন করিবে না।
(২) উপধারা (১) এর বিধানাবলি লঙ্ঘনকারী কোনো ব্যক্তিকে এবং উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আনীত কোনো পশু বা দ্রব্য, তাৎক্ষণিকভাবে এক্সিকিউটিভ অফিসার বা তাহার আদেশে বা এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো অফিসার বা কর্মচারী দ্বারা, বাজার হইতে অপসারণ করা যাইবে।
স্টলের ভাড়া, কর ও ফি ধার্য করা
১৪৩। (১) বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপে কোনো বাজার বা কসাইখানা, কোনো স্টল, দোকান, স্থাপনা, চালা, খোয়াড় দখল বা ব্যবহারের জন্য, বা বাজারে জিনিষপত্র বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আনয়নের অধিকার লাভের জন্য বা উহাতে বিক্রিত দ্রব্যাদি ওজন বা পরিমাপের জন্য বা কোনো কসাইখানায় গবাদিপশু জবাই করিবার জন্য স্টল ভাড়া, কর এবং ফি ধার্য করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড, এরিয়া কমান্ডারের অনুমোদনক্রমে, উপধারা (১) এ উল্লিখিত ধার্যযোগ্য স্টলের ভাড়া, কর এবং ফি বা উহার যে কোনো অংশ এককালীন অনধিক ১ (এক) বৎসরের জন্য ইজারা দিতে পারিবে।
(৩) বোর্ড, এরিয়া কমান্ডারের অনুমোদনক্রমে, কোনো স্টল, দোকান, স্থাপনা, চালা বা খোয়াড়ের দখল বা ব্যবহারের সুবিধা উহা যেইরূপ উপযু্ক্ত মনে করিবে সেইরূপ সময়ের জন্য এবং শর্ত সাপেক্ষে, নিলামের মাধ্যমে, ইজারা দিতে পারিবে।
স্টলের ভাড়া, কর, ইত্যাদি প্রকাশকরণ
১৪৪। কোনো বাজার বা কসাইখানায় স্টল ভাড়া, কর এবং আরোপযোগ্য ফি, যদি থাকে, উহার তালিকা এবং এই আইনের অধীন এইরূপ বাজার বা কসাইখানার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত উপ-আইন সমূহের কপি বাজার বা কসাইখানার কোনো দৃশ্যমান স্থানে আঁটিয়া দিতে হইবে।
বাজার এবং কসাইখানা
১৪৫। (১) সরকারি বাজার ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্টের কোনো স্থান বাজার হিসাবে ব্যবহৃত হইবে না এবং, সরকারি কসাইখানা ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্টের কোনো স্থান কসাইখানা হিসাবে ব্যবহৃত হইবে না, যদি না এইরূপ স্থান বাজার বা, ক্ষেত্রমত, কসাইখানা হিসাবে বোর্ড কর্তৃক লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়:
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপধারার কোনো কিছুই সরকার কর্তৃক স্থাপিত এবং রক্ষণাবেক্ষণকৃত কোনো কসাইখানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
(২) উপধারা (১) এর কোনো কিছুই-
(ক) কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠান উপলক্ষে, স্টেশন কমান্ডারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এক্সিকিউটিভ অফিসারের পূর্ববর্তী বা পরবর্তী গণ-বিজ্ঞপ্তি বা বিশেষ নোটিশ দ্বারা, এতদ্বিষয়ে আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে, কোনো স্থানে কোনো পশু জবাই করা সীমিত করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না;
(খ) এক্সিকিউটিভ অফিসারকে, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে, যখন এইরূপ পশু সৈন্যদের খাওয়ার জন্য বা উহার মাংস সৈন্যদের নিকট বিক্রয়ের জন্য জবাই করা হয়, উহা নিষেধ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (২) এর দফা (ক) এর অধীন এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক আরোপিত শর্তাবলি মানিয়া চলিতে অপারগ হন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বেসরকারি বাজার বা কসাইখানার লাইসেন্স প্রদানের শর্তাবলি
১৪৬। (১) বোর্ড ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো বেসরকারি বাজার বা কসাইখানা খোলার লাইসেন্স প্রদানের জন্য ইহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ, ফি আরোপ করিতে পারিবে এবং এই আইন এবং তদধীন প্রণীত উপ-আইনের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ শর্ত সাপেক্ষে, উক্ত লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে।
লাইসেন্স ব্যতীত বাজার বা কসাইখানা খোলা রাখিবার দণ্ড
১৪৭। (১) যদি কোনো ব্যক্তি জনগণের ব্যবহারের জন্য কোনো বাজার বা কসাইখানা, যাহার জন্য এই আইন দ্বারা বা তদধীন লাইসেন্সের প্রয়োজন উহা লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত, খোলা রাখেন বা উহার লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল হওয়ার পর, খোলা রাখেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(২) যদি কোনো বেসরকারি বাজার বা কসাইখানা খোলার লাইসেন্স অনুমোদন, প্রত্যাখ্যান, স্থগিত বা বাতিল করা হয়, তাহা হইলে বোর্ড উক্ত অনুমোদন, প্রত্যাখ্যান, স্থগিত বা বাতিলকরণের একটি নোটিশ বাংলায় সংশ্লিষ্ট স্থানের নিকট দৃশ্যমান কোনো স্থানে বা প্রবেশ পথের নিকটে আঁটিয়া দিবে।
লাইসেন্স বিহীন বাজার বা কসাইখানা ব্যবহারের দণ্ড
১৪৮। যদি কোনো ব্যক্তি এইরূপ কোনো বাজার বা কসাইখানা যাহার জন্য এই আইনের দ্বারা বা তদধীন লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন, উহা, লাইসেন্স ব্যতীত, জনগণের জন্য খোলা হইয়াছে, বা উহার জন্য প্রদত্ত লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করা হইয়াছে বা উহা বাতিল করা হইয়াছে, এইরূপ জানা সত্ত্বেও এইরূপ বাজারে কোনো দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য বা এইরূপ কসাইখানায় জবাই করিবার জন্য পশু আনয়ন করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বেসরকারি কসাইখানা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা
১৪৯। (১) যেক্ষেত্রে বোর্ডের মতে স্বাস্থ্যব্যবস্থার কারণে এইরূপ করা প্রয়োজন, সেইক্ষেত্রে বোর্ড, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, নোটিশে উল্লিখিত রূপে অনধিক ১ (এক) মাসের জন্য বা তদতিরিক্ত অনধিক আরো এক মাসের জন্য নোটিশে উল্লিখিত কোনো বেসরকারি কসাইখানার ব্যবহার বা উক্ত কসাইখানায় যে কোনো বর্ণনার পশু জবাই করা নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যেক নোটিশের একটি কপি সংশ্লিষ্ট কসাইখানায় দৃশ্যমানভাবে আঁটিয়া দিতে হইবে।
কসাইখানা পরিদর্শনের ক্ষমতা
১৫০। (১) যদি বোর্ডের সভাপতি কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত লিখিত আদেশে ক্ষমতাপ্রাপ্ত বোর্ডের কোনো কর্মচারী বা হেলথ অফিসারের বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, এই অধ্যায়ের বিধানাবলি লঙ্ঘন করিয়া কোনো স্থানে কোনো পশু জবাই করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি যে কোনো সময়ে উক্ত স্থানে, দিনে বা রাত্রে, প্রবেশ ও পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যেক আদেশে, যে স্থানে প্রবেশ করা হইবে এবং যে এলাকায় উহা অবস্থিত এবং যে সময়ের জন্য এই আদেশ বলবৎ থাকিবে, তাহা নির্দিষ্টভাবে উল্লে¬খ করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময় ৭ (সাত) দিনের অধিক হইবেনা।
স্থানাদি ধৌতকরণের ব্যবস্থা
১৫১। (১) বোর্ড ধোপাদের পেশার কাজে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত স্থানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং উক্ত স্থান ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত ফি পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যে ক্ষেত্রে বোর্ড উপধারা (১) এর অধীন কোনো স্থানের ব্যবস্থা করে, সেক্ষেত্রে, ইহা, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, উক্ত স্থান ব্যতীত ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে, অন্য কোনো স্থানে ধোপাদের দ্বারা কাপড় ধৌত করা নিষিদ্ধ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ নিষেধাজ্ঞা ধোপাদের নিজেদের পোষাকপরিচ্ছদ বা যে স্থানে উহা ধৌত করা হয় উহার দখলদারের পোশাক পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলিয়া গণ্য হইবে না।
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (২) এর অধীন জারিকৃত নোটিশে উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
কতিপয় পেশা পরিচালনার জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা
১৫২। (১) বোর্ড হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মধ্যে দোকান বা ফেরি করিয়া কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা যাইবে না এবং লাইসেন্সের শর্ত ও মাশুল বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স প্রদানের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের জন্য বৈধ থাকিবে এবং এইরূপ লাইসেন্স প্রদান বোর্ড কর্তৃক স্থগিত করা হইবে না, যদি না ইহার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনার ইচ্ছা করা হইয়াছে উহা জনগণের জন্য ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক হইবে।
(৩) উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স বোর্ড নবায়ন করিবে, যদি না ইহার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসার পরিচালনা বা চলমানতা ক্যান্টনমেন্টে বসবাসকারী জনগণের জন্য ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক হইবে।
(৪) যদি কোনো ব্যক্তি, এই ধারার অধীন আবশ্যক লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন ব্যতিরেকে, কোনো ব্যবসা পরিচালনা করেন বা চলমান রাখেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
লাইসেন্স বাতিল এবং স্থগিতকরণ
১৫৩। যেক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোনো লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাহার কোনো প্রতিনিধি বা শ্রমিক উহার শর্তাবলি, বা কোনো পদ্ধতি বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এই আইনের অধীন প্রণীত উপ-আইন, বা যে সকল শর্ত সাপেক্ষে উক্ত লাইসেন্স দ্বারা অনুমোদিত কোনো কিছু করিতে হইবে বা করা যাইবে, তাহা লঙ্ঘন করেন, সেইক্ষেত্রে বোর্ড, এই আইনের অধীন অন্য কোনো দণ্ড আরোপ করা হইলে উহা ক্ষুণ্ণ না করিয়া, লিখিত আদেশ দ্বারা, উক্ত লাইসেন্স বাতিল বা উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ সময়ের জন্য, উহা স্থগিত করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোনো আদেশ প্রদান করা হইবে না, যদি না লাইসেন্সধারীকে তদ্বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করা হয়।
গবাদি পশু এবং মাংস আমদানি
১৫৪। (১) কোনো ব্যক্তি, বোর্ডের লিখিত অনুমতি ব্যতীত, মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোনো পশু বা ক্যান্টনমেন্টের বাহিরে সরকার বা বোর্ড কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত কসাইখানা ব্যতীত অন্যত্র জবাইকৃত কোনো পশুর মাংস ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে আনয়ন করিবে না।
(২) উপধারা (১) লংঘন করিয়া ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে আনীত যে কোনো পশু বা মাংস এক্সিকিউটিভ অফিসার বা বোর্ডের যে কোনো কর্মচারী দ্বারা জব্দ করা যাইবে এবং বোর্ডের সভাপতি কর্তৃক নির্দেশিতভাবে বিক্রয় বা অন্যরূপ ব্যবস্থা করা যাইবে এবং উহা বিক্রয় করা হইলে বিক্রয়লব্ধ অর্থবোর্ড তহবিলে জমা হইবে।
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর বিধানাবলি লংঘন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অধ্যায়-১২
পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন এবং বাতি
পানি সরবরাহ বজায় রাখা
১৫৫। (১) প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টে যেইখানে অদ্যাবধি গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয় নাই, বোর্ড সেইখানে পানি সরবরাহ করিবে বা সরবরাহের ব্যবস্থা করিবে।
(২) বোর্ড, যতদূর সম্ভব, উপধারা (১) এ উল্লিখিত পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিবে যাহাতে এইরূপ সরবরাহ সারা বৎসর অব্যাহত থাকে, এবং পানি যেন সব সময়ে বিশুদ্ধ ও মানুষের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত থাকে।
(৩) বোর্ড, এরিয়া কমান্ডারের অনুমোদনক্রমে, সামরিক প্রকৌশল সার্ভিস বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সংলগ্ন পৌর কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষের সহিত চুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং পানি গ্রহণকারী প্রত্যেক ভোক্তার নিকট হইতে নির্ধারিত হারে মূল্য আদায় করিতে পারিবে।
পানি সরবরাহের উৎসের উপর নিয়ন্ত্রণ
১৫৬। (১) বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, যে কোনো হ্রদ, জলপ্রবাহ, প্রস্রবণ, কূপ, পুকুর, জলাধার বা ক্যান্টনমেন্টের সীমানার ভিতরের বা বাহিরের (সামরিক প্রকৌশল বা গণপূর্ত বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন পানি সরবরাহ ব্যতীত) যে স্থান হইতে ক্যান্টনমেন্টের সর্বসাধারণের জন্য পানি সরবরাহ করা হয় বা করা যাইতে পারে, উহাকে পানি সরবরাহ উৎস হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক পানি সরবরাহের উৎস বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকিবে।
বেসরকারি উৎসজাত গণ-ব্যবহার্য পানি সরবরাহ সংরক্ষণ বা বন্ধ করিবার ক্ষমতা
১৫৭। বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, পানের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এইরূপ পানি সরবরাহ উৎসের মালিক বা উহার উপর নিয়ন্ত্রণকারী যে কোনো ব্যক্তিকে-
(ক) উক্ত উৎসকে ভাল অবস্থায় রাখিবার জন্য এবং, সময়ে সময়ে, উহাকে কর্দম, আবর্জনা এবং পঁচা লতাগুল্ম হইতে পরিষ্কার রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(খ) উক্ত উৎসকে, বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে, দূষণমুক্ত রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; বা
(গ) উক্ত উৎসের পানি বোর্ডের সন্তুষ্টি মতে পানের অযোগ্য প্রমাণিত হইলে নোটিশে উল্লিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যাহাতে উক্ত পানির নিকট জনগণের গমন বা উহা ব্যবহার প্রতিরোধ করা যায়:
তবে শর্ত থাকে যে, যে কোনো কূপের ক্ষেত্রে, পূর্বোক্ত ব্যক্তি, নোটিশ প্রতিপালনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করিতে পারিবেন যেন তাহাকে কূপের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং জনগণের ব্যবহারের জন্য উহাকে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করিবার জন্য তাহার সম্মতি জ্ঞাপন করিতে পারিবেন এবং যদি তিনি এইরূপ করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত আদেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন না এবং বোর্ড কূপের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান গ্রহণ করিবে।
পানি সরবরাহ
১৫৮। (১) বোর্ড কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে, বোর্ড যেইরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ আকার এবং বর্ণনার সংযোগ পাইপ দ্বারা, গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য পানি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে, উক্ত ইমারত বা ভূমিকে কোনো পানি সরবরাহ উৎসের সহিত সংযুক্ত করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন পানি সরবরাহের সহিত সংযুক্ত প্রত্যেক ইমারতের দখলদারকে জলকর, যদি থাকে, প্রদানের বিনিময়ে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ পানি গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য পাইবার দাবিদার হইবেন।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন সীমিত এইরূপ সরবরাহের অতিরিক্ত সরবরাহকৃত সকল পানি এবং যে ক্যান্টনমেন্টে কোনো জলকর আরোপ করা হয় নাই সেইখানে এই ধারার অধীন সরবরাহকৃত সকল পানির জন্য বোর্ড যেইরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ মূল্য প্রদান করিতে হইবে।
(৪) গৃহস্থালিতে ব্যবহারের পানি সরবরাহের মধ্যে নিম্নবর্ণিত কোনো সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে না যাহা-
(ক) কোনো পশু বা যানবাহন রাখার স্থান, যেইখানে এইরূপ পশু বা যানবাহন বিক্রয় বা ভাড়ার জন্য রাখা হয়;
(খ) কোনো পেশা বা ব্যবসা;
(গ) ফোয়ারা, সাঁতার, গোসল বা কোনো সাজসজ্জা বা যান্ত্রিক প্রয়োজন;
(ঘ) বাগান বা সেচ কাজ;
(ঙ) সড়ক তৈরি বা সড়কে বা পথে পানি ছিটানো; বা
(চ) নির্মাণ কাজ।
পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আবশ্যক করিবার ক্ষমতা
১৫৯। যদি বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ক্যান্টনমেন্টের কোনো ইমারত বা ভূমিতে বিশুদ্ধ পানির যথাযথ সরবরাহ নাই, তাহা হইলে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, উক্ত ইমারত বা ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে কোনো পানি-সরবরাহ উৎস হইতে উক্ত ইমারত বা ভূমিতে সাধারণত দখলদার বা কর্মরত হিসাবে অবস্থানকারী ব্যক্তিদের প্রয়োজনে যথেষ্ট পরিমাণ পানি সংগ্রহ করিবার এবং নির্দিষ্ট আকার ও বর্ণনার সংযোগ পাইপের ব্যবস্থা করিবার এবং উক্ত উদ্দেশ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
চুক্তির অধীন পানি সরবরাহ
১৬০। (১) বোর্ড, চুক্তি দ্বারা, ক্যান্টনমেন্টের যে কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে, গৃহস্থালিতে ব্যবহার ব্যতীত, অন্য যে কোনো উদ্দেশ্যে এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি এবং উপ-আইনের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ যে কোনো নিয়ম ও শর্ত সাপেক্ষে, বোর্ড এবং উক্ত মালিক, ইজারাদার বা দখলদারের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যে কোনো পানি সরবরাহ করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড যে কোনো সময়ে উক্ত সরবরাহ প্রত্যাহার বা হ্রাস করিতে পারিবে, যদি ইহার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দাদের গৃহস্থালির ব্যবহারের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ বজায় রাখিবার জন্য ইহা আবশ্যক।
সরবরাহ ব্যাহত হইবার জন্য বোর্ড দায়ী নহে
১৬১। এই আইনের অধীন বোর্ডসমূহের উপর অর্পিত দায়িত্ব সত্ত্বেও, বোর্ড পানি সরবরাহ ব্যাহত হইবার কারণে বা উহার পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার কারণে কোনো ধরনের জব্দকরণ, দণ্ড বা ক্ষতিপূরণের জন্য আইনত দায়ী হইবে না, যদি উক্ত ব্যাহত হওয়া বা, ক্ষেত্রমত, হ্রাস পাওয়া কোনো দুর্ঘটনা বা অনাবৃষ্টি বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে হইয়া থাকে, যদি না, ধারা ১৬০ এর অধীন কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে, বোর্ড এইরূপ ব্যাহত হওয়া বা হ্রাস পাওয়ার জন্য জব্দকরণ, দণ্ড বা ক্ষতি দ্বারা দায়বদ্ধ থাকার বিষয়ে সুষ্পষ্টভাবে উল্লে¬খ করিয়া থাকে।
সার্বজনীন প্রয়োগের শর্তাবলি
১৬২। ইতঃপূর্বে বা ধারা ১৬০ এর অধীন কোনো চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড কর্তৃক যে কোনো ইমারত বা ভূমিতে, নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, পানি সরবরাহ করা হইবে বা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:-
(ক) যে কোনো ইমারত বা ভূমি যাহার ভিতর বা উপর বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত পানির পাইপ, নালি বা অন্য কোনো স্থাপনা মেরামতহীন অবস্থায় থাকার কারণে অপচয় করা হইলে উহার মালিক, ইজারাদার বা দখলকার যদি উহা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকেন, তাহা হইলে তিনি উহা সম্পর্কে বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত অফিসারের নিকট নোটিশ প্রদান করিবেন;
(খ) এক্সিকিউটিভ অফিসার বা যে কোনো অফিসার বা এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো কর্মচারী, পানি সরবরাহের সহিত সম্পর্কিত সকল পাইপ, নল, কার্যাদি, যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা এবং এইরূপ কোনো পানি অপচয় বা অপব্যবহার হইতেছে কি না উহা নিশ্চিত করিবার জন্য বোর্ড কর্তৃক পানি সরবরাহকৃত যে কোনো প্রাঙ্গণের ভিতর বা উপর প্রবেশ করিতে পারিবেন;
(গ) বোর্ড, লিখিত নোটিশ প্রদানের পর, যে কোনো গণ-পানি-সরবরাহ উৎস এবং যে কোনো ইমারত বা ভূমি যে স্থান হইতে যে কোনো উদ্দেশ্যে পানি সরবরাহ করা হইতেছে উহার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দিতে পারিবে বা এইরূপ সরবরাহ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবে যদি-
(অ) ইমারত বা ভূমির মালিক বা দখলদার জলকর বা পানি সরবরাহের সহিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মাশুল যে তারিখে এইরূপ কর বা মাশুল পরিশোধের যোগ্য হয় উহার এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করিতে অবহেলা করেন;
(আ) দখলদার এক্সিকিউটিভ অফিসার বা বোর্ডের অন্য কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার বা কর্মচারীকে দফা (খ) দ্বারা ক্ষমতা প্রদত্ত কোনো পরীক্ষা বা তদন্ত করিতে কোনো ইমারত বা ভূমিতে প্রবেশ করিতে দিতে অস্বীকার করেন বা এইরূপ কোনো পরীক্ষা বা তদন্ত করিতে বাধা প্রদান করেন;
(ই) দখলদার ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলা বশত পানির অপব্যবহার বা অপচয় করেন;
(ঈ) দখলদার ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলাবশত তাহার মিটার বা কোনো পাইপ বা ওয়াটার ওয়ার্কস হইতে পানি বহনকারী কল বিনষ্ট করে বা ক্ষতিগ্রস্ত করেন;
(উ) ইমারত বা ভূমিতে পানি সরবরাহের সহিত সংযুক্ত কোনো পাইপ, কল, স্থাপনা বা যন্ত্রপাতি এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক পরীক্ষান্তে এইরূপ মেরামতবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায় যাহাতে পানির অপচয় ঘটিতে পারে;
(ঘ) দফা (গ) এ বর্ণিত সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা বন্ধ করিয়া দেওয়ার যে কোনো ক্ষেত্রের খরচ ইমারত বা ভূমির মালিক বা দখলদার পরিশোধ করিবেন;
(ঙ) দফা (গ) এর অধীন বা তদনুসারে গৃহীত কোনো কার্যক্রম কোনো ব্যক্তিকে কোনোরূপ দণ্ড বা দায়মুক্ত করিবে না যাহা অন্যথায় তাহার উপর আরোপিত হইত।
ক্যান্টনমেন্ট এলাকা বহির্ভূত ব্যক্তিগণকে সরবরাহ
১৬৩। বোর্ড, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার অভ্যন্তরে বসবাস করে না এমন কোনো ব্যক্তিকে, যে কোনো উদ্দেশ্যে, যে কোনো পানি সরবরাহ উৎস হইতে, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, পানি সরবরাহ গ্রহণ করিতে বা সরবরাহ করিবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে, এবং যে কোনো সময় এইরূপ সরবরাহ প্রত্যাহার বা হ্রাস করিতে পারিবে।
পানির অবৈধ ব্যবহারের দণ্ড
১৬৪। যদি কোনো ব্যক্তি-
(ক) বোর্ড কর্তৃক গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য সরবরাহকৃত পানি গৃহস্থালি কাজে ব্যতীত অন্য কাজে ব্যবহার করেন; বা
(খ) যে ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বোর্ডের সহিত চুক্তি অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা হয়, সেইক্ষেত্রে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে উক্ত পানি ব্যবহার করেন;
তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং বোর্ড তাহার নিকট হইতে অপচয়কৃত পানির মূল্য আদায় করিবার অধিকারী হইবে।
তার, সংযোগ, ইত্যাদি স্থাপনে বোর্ডের ক্ষমতা
১৬৫। বোর্ড যে কোনো ক্যাবল, তার, পাইপ, নালি, পয়ঃনালি বা যে কোনো ধরনের খাল (চ্যানেল)-
(ক) যে কোনো ধরনের পানি সরবরাহ, বাতি, নিষ্কাশন ব্যবস্থা বা পয়ঃনালি যে কোনো রাস্তা বা সড়ক বা রাস্তা বা সড়ক হিসাবে বা এই উদ্দেশ্যে স্থাপিত যে কোনো রাস্তা বা সড়কের মধ্য দিয়া, আড়াআড়িভাবে, নীচে বা উপর দিয়া লইয়া যাওয়া, স্থাপন করা বা রক্ষণাবেক্ষণ করিবার উদ্দেশ্যে বা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত কোনো ভূমি বা ইমারতের মালিককে লিখিতভাবে যুক্তিযুক্ত নোটিশ প্রদান করিবার পর ইমারত বা ভূমির ভিতরে, মধ্য দিয়া, আড়াআড়িভাবে, নীচ বা উপর বা পাশ দিয়া; বা
(খ) পানি সরবরাহ করিবার উদ্দেশ্যে বা পানি জমা করিবার ব্যবস্থা তৈরি বা বিতরণ করিবার উদ্দেশ্যে বা পয়ঃ অপসারণ বা জমা করিবার উদ্দেশ্যে মালিক বা দখলদারকে লিখিতভাবে যথোপযুক্ত নোটিশ প্রদানের পর ক্যান্টনমেন্টের বাহিরে অবস্থিত ভূমি বা ইমারতের ভিতরে, মধ্য দিয়া, আড়াআড়িভাবে, বা পাশ দিয়া;
বিস্তৃত করিতে পারিবে এবং, সকল সময় এইরূপ কোনো ক্যাবল, তার, নালি, পয়ঃনালি বা খাল (যে উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইতে পারে, বা ব্যবহার হইবে বলিয়া অভিপ্রায় করা হয় সেই উদ্দেশ্যে) মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বা সমীচীন সকল কার্য ও বিষয় নিষ্পন্ন করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত কার্যাদি যথাযথভাবে নিষ্পন্ন করিতে যুক্তিযুক্তভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো উপদ্রব সৃষ্টি করা যাইবে না:
আরও শর্ত থাকে যে, এইরূপ কার্যাদি নিষ্পন্ন করিবার জন্য সরাসরিভাবে সংঘটিত ক্ষতির জন্য মালিক বা দখলদারকে ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে।
মাটির উপরে স্থাপিত তার, ইত্যাদি
১৬৬। যখন কোনো ক্যাবল, তার, পাইপ, নালি, পয়ঃনালি বা খাল কোনো ভূমির উপর দিয়া বা কোনো ইমারতের মধ্য দিয়া বা উপর দিয়া বা পাশ দিয়া স্থাপন করা হয় বা টানা হয়, তখন এইরূপ ক্যাবল, তার, পাইপ, নালি, পয়ঃনালি বা খাল এমনভাবে স্থাপন করা হইবে বা টানা হইবে যাহাতে মালিক বা দখলদারের উক্ত ভূমি বা ইমারতের অধিকার ভোগের উপর ন্যূনতম বাধা সৃষ্টি হয় এবং এইরূপ অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সৃষ্ট কোনো বাস্তবিক বাধার জন্য বোর্ড কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে।
বিনা অনুমতিতে প্রধান স্থাপনার সহিত সংযোগ না করা
১৬৭। কোনো ব্যক্তি, যে কোনো উদ্দেশ্যেই হউক না কেন, বোর্ডের বিনা অনুমতিতে, কোনো সময়ে, বোর্ড কর্তৃক নির্মিত এবং রক্ষণাবেক্ষণকৃত বা উহার উপর ন্যস্ত কোনো ক্যাবল, তার, নালি, পয়ঃনালি বা খালের সহিত কোনো সংযোগ বা যোগাযোগ স্থাপন করিবে না বা করিবার ব্যবস্থা করিবে না।
আংটার ধরন নির্ধারণ এবং মিটার, ইত্যাদি স্থাপন করিবার ক্ষমতা
১৬৮। বোর্ড গ্যাস সরবরাহে ব্যবহারের জন্য আংটার আকার, যদি থাকে, নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং কোনো পানির পরিমাণ পরীক্ষা করিবার জন্য বা বোর্ড কর্তৃক কোনো প্রাঙ্গণে সরবরাহকৃত গ্যাসের পরিমাণ ও মান পরীক্ষা করিবার জন্য মিটার বা অন্যান্য যন্ত্র স্থাপন করিতে পারিবে।
দর এবং মাশুল নির্ধারণের ক্ষমতা
১৬৯। বোর্ড তৎকর্তৃক বা উহার প্রতিনিধির মাধ্যমে পানি বা গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রধান স্থাপনা বা পাইপ হইতে যোগাযোগ এবং সংযোগ স্থাপনের জন্য, বা মিটারের জন্য, বা সরবরাহের পরিমাণ বা মান পরীক্ষা করিবার জন্য মাশুল নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং তদনুসারে এইরূপ মাশুল আরোপ করিতে পারিবে।
সরকারি পানি সরবরাহ
১৭০। (১) যে ক্ষেত্রে কোনো ক্যান্টনমেন্টে সামরিক প্রকৌশল সার্ভিস বা গণপূর্ত বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন পানি সরবরাহ ব্যবস্থা থাকে, সেইক্ষেত্রে সামরিক প্রকৌশল সার্ভিস বা, ক্ষেত্রমত, গণপূর্ত বিভাগের অফিসার যিনি এইরূপ পানি সরবরাহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত (অতঃপর এই অধ্যায়ে ‘‘অফিসার’’ বলিয়া উল্লিখিত) তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপে ক্যান্টনমেন্টে একটি নোটিশ প্রকাশ করিতে পারিবেন, যাহাতে এইরূপ ঘোষণা করা হইবে যে, কোনো হ্রদ, জলপ্রবাহ, প্রস্রবণ, কূপ, পুকুর, জলাধার বা অন্য উৎস, ক্যান্টনমেন্টের সীমানার মধ্যে বা বাহিরে (পানি সরবরাহ উৎস ব্যতীত) যাহা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন তাহা একটি পানি সরবরাহ উৎস এবং এইরূপ উৎসকে সঠিক অবস্থায় রাখিবার বা উহাকে দূষণমুক্ত রাখিবার বা ব্যবহার করা হইতে মুক্ত রাখিবার জন্য উহার উপর ধারা ১৫৭ দ্বারা প্রদত্ত যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার জন্য বোর্ডের পক্ষে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোনো পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের ধারা ১৫৫ হইতে ১৬৯ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, ক্যান্টনমেন্টে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে এবং এইরূপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে বোর্ডের অফিসার উল্লিখিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার বা বোর্ডের অন্য অফিসার বা কর্মচারীকে উল্লেখ করা হইলে উহা এতদুদ্দেশ্যে অফিসার কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত কোনো ব্যক্তিকে উল্লেখ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) ধারা ১৬০ এর বিধানাবলি বোর্ডের সহিত চুক্তির মাধ্যমে অফিসার কর্তৃক পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যাহা গৃহস্থালিতে ব্যবহার ব্যতীত অন্য যে কোনো উদ্দেশ্যে একইভাবে ব্যবহৃত হইবে যেইভাবে ক্যান্টনমেন্টের কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক ইজারাদার বা দখলদারকে সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।
মাশুল আদায়
১৭১। যেক্ষেত্রে ধারা ১৫৮ এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হয় এবং যেক্ষেত্রে বোর্ড ধারা ১৭০ এর অধীন পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ পাইতেছে না, সেই ক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্টে আরোপিত জলকর, যদি থাকে, এবং অন্য সকল মাশুল, যাহা এই অধ্যায়ের অধীন পানি সরবরাহের জন্য আরোপ করা যাইতে পারে যেইরূপ ধারা ১৫৮ দ্বারা প্রয়োগ করা হইয়া থাকে, তাহা বোর্ড কর্তৃক আদায় করা হইবে এবং এইরূপে আদায়কৃত সকল অর্থ বা উহার কোনো অংশবিশেষ, যাহা প্রত্যেক ক্ষেত্রে, সরকার নির্ধারণ করিবে, বোর্ড কর্তৃক উক্ত অফিসারের নিকট পরিশোধ করা হইবে।
সরকারি পানি সরবরাহ হইতে বোর্ডে পানি সরবরাহ
১৭২। (১) যেক্ষেত্রে কোনো ক্যান্টনমেন্টে ধারা ১৫৮ এর উপধারা (১) এ উল্লিখিত রূপে পানি সরবরাহ থাকে, সেইক্ষেত্রে বোর্ড এবং যে পর্যন্ত বোর্ড উহার নিজস্ব পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিতে না পারে, উহা সামরিক প্রকৌশল সার্ভিস বা, ক্ষেত্রমত, গণপূর্ত বিভাগ হইতে, বোর্ড এবং অফিসারের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে, স্থান বা স্থানসমূহে, প্রাধিকারী ভোক্তাগণ ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্টের সকল ব্যক্তির গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ প্রাপ্ত হইবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত সকল পানি সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে হইবে, এবং বোর্ড এইরূপে প্রাপ্ত সকল পানির জন্য, বোর্ড ও অফিসারের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে, নির্ধারিত অর্থ বা,এইরূপ সম্মতি না হইলে, সরকার কর্তৃক ক্যান্টনমেন্টে পানি সরবরাহের প্রকৃত খরচ এবং সংলগ্ন যে কোনো পৌরসভায় পানির জন্য যে মাশুল ধরা হয় উহা বিবেচনায় রাখিয়া যেইরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ হারে অফিসারকে পরিশোধ করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনে যাহাই থাকুক না কেন, বোর্ড এই ধারার অধীন প্রাপ্ত পানির জন্য ক্যান্টনমেন্টের ব্যক্তিগণের নিকট হইতে এমন কোনো মাশুল দাবি করিবে না যাহা অফিসার হইতে প্রাপ্ত পানি সরবরাহের জন্য পরিশোধ করা হইয়াছে এবং উহা ভোক্তাদের মধ্যে সরবরাহ করিতে যে প্রকৃত ব্যয় হইয়াছে উহা অপেক্ষা বেশি হয়।
(৩) প্রাধিকারী ভোক্তা ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্টের অন্যান্য ব্যক্তির প্রয়োজনে কী পরিমাণ পানি যথেষ্ট হইবে এই বিষয়ে বোর্ড ও অফিসারের মধ্যে যদি মতবিরোধ দেখা দেয়, তাহা হইলে উক্ত বিরোধ, সিদ্ধান্তের জন্য, সরকারের নিকট প্রেরণ করা হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
অধ্যায়-১৩
যৌন অনৈতিকতা দমন এবং অবাঞ্ছিত ব্যক্তিগণকে বহিষ্কার
পতিতালয় এবং পতিতাদের অপসারণের ক্ষমতা
১৭৩। (১) যদি স্টেশন কমান্ডার, এই মর্মে সংবাদ প্রাপ্ত হন যে, ক্যান্টনমেন্টের কোনো ইমারত পতিতালয় হিসাবে বা পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইতেছে, তাহা হইলে তিনি, প্রাপ্ত সংবাদের সারসংক্ষেপ উল্লেখ করিয়া লিখিত আদেশ দ্বারা, উক্ত ইমারতের মালিক, ইজারাদার, ভাড়াটিয়া বা দখলদারকে তাহার সম্মুখে, ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে, হাজির হইবার জন্য তলব করিতে পারিবেন এবং যদি স্টেশন কমান্ডার উক্ত সংবাদের সত্যতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হন, তাহা হইলে তিনি, লিখিত আদেশক্রমে, উক্ত মালিক, ইজারাদার, ভাড়াটিয়া বা, ক্ষেত্রমত, দখলদারকে, আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, ইমারতের এইরূপ ব্যবহার বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে পতিতাবৃত্তি করিবে না বা তদুদ্দেশ্যে ইতস্তত চলাফেরা করিয়া বেড়াইবে না বা যৌন অনৈতিকতা সংঘটিত করিবার জন্য অংগভংগি করিয়া কাউকে উত্যক্ত করিবে না।
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর নির্দেশ অমান্য করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উপধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অসংযত ব্যক্তিগণকে বহিষ্কার
১৭৪। (১) ক্যান্টনমেন্টে বসবাসকারী বা ঘনঘন যাতায়াতকারী কোনো ব্যক্তি যদি এমন একজন অসংযত ব্যক্তি হন যিনি-
(ক) একাধিকবার জুয়া খেলার অপরাধে শাস্তি প্রাপ্ত হইয়াছেন বা যিনি একটি সাধারণ জুয়াখানা চালান বা ঘনঘন জুয়াখানায়, কোনো অসংযত মদের দোকান বা যে কোনো ধরনের অসংযত বাড়িতে যাতায়াত করেন; বা
(খ) একাধিকবার কোনো আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধে শাস্তি প্রাপ্ত হইয়াছেন;
তাহা হইলে এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রাপ্ত সংবাদের সার-সংক্ষেপ লিখিতভাবে রেকর্ড করিবেন এবং এইরূপ ব্যাক্তিকে হাজির হইবার জন্য এবং এই মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য সমন জারি করিবেন যে কেন তাহাকে ক্যান্টনমেন্ট হইতে অপসারণ করা হইবে না এবং উহাতে পুনরায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হইবে না।
(২) উপধারা (১) এর অধীন জারিকৃত সমনের সহিত পূর্বে বর্ণিত রেকর্ডের একটি কপি যুক্ত থাকিবে এবং এক কপি সমনসহ যেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উহা জারি করা হইয়াছে তাহাকে প্রদান করা হইবে।
(৩) উপধারা (১) এর অধীন জারিকৃত সমনের প্রেক্ষিতে সমন প্রাপ্ত ব্যক্তি এক্সিকিউটিভ অফিসারের সামনে হাজির হওয়ার পর তিনি প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই শুরু করিবেন এবং তিনি যেরূপ সঠিক মনে করেন সেইরূপ অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণ করিবেন এবং এইরূপ তদন্তের পর, যদি তাহার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি উপধারা (১) এ বর্ণিত যে কোনো ধরনের একজন ব্যক্তি এবং ক্যান্টনমেন্টে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখিবার স্বার্থে উক্ত ব্যক্তিকে উহা হইতে অপসারণ করা এবং ক্যান্টনমেন্টে পুনঃ প্রবেশ করা হইতে নিষেধ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে এক্সিকিউটিভ অফিসার বিষয়টি স্টেশন কমান্ডারের নিকট রিপোর্ট করিবেন এবং যদি স্টেশন কমান্ডার সেইরূপ নির্দেশ প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উপর লিখিতভাবে একটি আদেশ প্রদান করিবার ব্যবস্থা করিবেন যাহাতে তাহাকে নোটিশে বর্ণিত সময়ের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করিতে হইবে এবং স্টেশন কমান্ডারের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে পুনরায় উহাতে প্রবেশ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হইবে।
অন্তর্ঘাতি ব্যক্তিগণের বহিষ্কার
১৭৫। (১) যদি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে অবস্থান বা বসবাস করিয়া কোনো ব্যক্তি এইরূপ কোনো কিছু ঘটান বা ঘটানোর চেষ্টা করেন বা এমন কোনো কাজ করেন যাহা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কোনো অংশের মধ্যে আনুগত্যহীনতা, সৌন্দর্যহানি বা শৃঙ্খলা ভংগ করিতে পারে বলিয়া স্টেশন কমান্ডার জ্ঞাত থাকেন বা তিনি এইরূপ ব্যক্তি যিনি এইরূপ করিতে পারেন বলিয়া তাহার বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে কারণসমূহ বিধৃত করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং আদেশে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত ব্যক্তিকে ক্যান্টনমেন্ট হইতে অপসারিত হওয়া এবং স্টেশন কমান্ডারের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে পুনরায় উহাতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত থাকিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো আদেশ প্রদান করা হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাহাকে প্রস্তাবিত আদেশের কারণসমূহ সম্পর্কে জ্ঞাত হইবার যুক্তিযু্ক্ত সুযোগ প্রদান করা হয় এবং কেন উক্ত আদেশ করা হইবে না তাহার কারণ দর্শাইতে বলা হয়।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যেক আদেশ জেলা পুলিশ প্রধান বা, ক্ষেত্রমত, মহানগর পুলিশ প্রধানের নিকট প্রেরণ করা হইবে, যিনি উহার একটি কপি সংশ্লি¬ষ্ট ব্যক্তির নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করিবেন।
(৩) উপধারা (১) এর অধীন কোনো আদেশ প্রদানের পর স্টেশন কমান্ডার তাৎক্ষণিকভাবে উহার একটি কপি এরিয়া কমান্ডারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(৪) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে অবস্থান বা বসবাস করে না এইরুপ কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো কিছু ঘটনা ঘটান বা ঘটানোর চেষ্টা করেন বা এমন কোনো কাজ করেন যাহা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কোনো অংশের মধ্যে আনুগত্যহীনতা, সৌন্দর্যহানি বা শৃঙ্খলা ভংগ করিতে পারে বলিয়া স্টেশন কমান্ডার জ্ঞাত থাকেন বা এইরূপ করিতে পারেন বলিয়া তাহার বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে,তাহা হইলে স্টেশন কমান্ডার একটি আদেশ প্রদানের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে স্টেশন কমান্ডারের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবেন।
উপ-আইন ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে দণ্ড
১৭৬। (১) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীনে প্রণীত কোনো উপ-আইন লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে, তিনি-
(ক) অনধিক ১ (এক) হাজার টাকাঅর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; বা
(খ) অনধিক ১ (এক) হাজার টাকার অর্থদন্ড এবং বারংবার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে উপরোক্তরুপ অর্থদন্ডের অতিরিক্ত প্রতিদিন ১ (এক) শত টাকা হারে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(২) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো উপ-আইন লঙ্ঘন করার কারনে বোর্ড কর্তৃক নোটিশ প্রদান সত্ত্বেও তদ্রুপ লঙ্ঘন অব্যাহত থাকিলে সেইক্ষেত্রে প্রতিদিন ১ (এক) শত টাকা হারে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অধ্যায়- ১৪
ক্ষমতা, কার্যপ্রণালী, দণ্ড এবং আপিল প্রবেশ ও পরিদর্শন
প্রবেশের ক্ষমতা
১৭৭। (১) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অফিসার, বোর্ডের সভাপতি, এক্সিকিউটিভ অফিসার, হেলথ অফিসার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী বা বোর্ড কর্তৃক তদুদ্দেশ্যে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার যে কোনো প্রকাশ্য ইমারত বা ভূমির ভিতর বা উপর, কোনো সাক্ষীসহ বা সাক্ষী ব্যতীত, কোনো অনুসন্ধান, পরিদর্শন, পরিমাপ, মূল্যায়ন বা জরিপ বা কোনো কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, প্রবেশ করিতে পারিবেন।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রবেশের ক্ষমতা, কেবল এই আইন দ্বারা বা তদধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন বা কার্য সম্পাদনের জন্য আবশ্যক বিবেচিত হইলে, প্রয়োগ করা যাইবে।
বোর্ডের সদস্য দ্বারা পরিদর্শনের ক্ষমতা
১৭৮। সভাপতির পূর্বানুমোদনক্রমে, বোর্ডের যে কোনো সদস্য যে কোনো কাজ বা প্রতিষ্ঠান যাহা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বোর্ডের খরচে নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হইতেছে, এবং বোর্ডের মালিকানাধীন বা অধিকারে থাকা যে কোনো রেজিস্টার, বহি, হিসাব বা দলিলপত্র পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
পরিদর্শন, ইত্যাদির ক্ষমতা
১৭৯। (১) বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, যে কোনো ব্যক্তিকে নিম্নবর্ণিত কোনো ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো ইমারত বা ভূমির মধ্যে বা উপরে যে কোনো নর্দমা, শৌচাগার, পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, মলাধার, পাইপ, পয়ঃনালি বা খাল পরিদর্শন করিতে এবং তাহার ইচ্ছামত নর্দমা, শৌচাগার, পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, মলাধার, পাইপ, পয়ঃনালি বা, ক্ষেত্রমত, খাল হইতে উদ্ভূত যে কোনো ধরনের উপদ্রব প্রতিরোধ বা অপসারণের জন্য মাটি খুঁড়িয়া উন্মুক্ত করিবার ব্যবস্থা করা;
(খ) ক্যান্টনমেন্ট নির্মাণাধীন কার্যাদি পরীক্ষা করা, তুলনামূলক উচ্চতা গ্রহণ করা বা যে কোনো মিটার অপসারণ, পরীক্ষা, নিরীক্ষা বা প্রতিস্থাপন করা।
(২) এইরূপ পরিদর্শনের পর, যদি মাটি খুঁড়িয়া উন্মুক্ত করা কোনো উপদ্রব প্রতিরোধ বা অপসারণের জন্য আবশ্যক বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে উহাতে যে খরচ হয় উহা ভূমি বা ইমারতের মালিক বা দখলদার কর্তৃক পরিশোধ করিতে হইবে, কিন্তু যদি ইহা দেখা যায় যে, কোনোরূপ উপদ্রব নাই বা উক্ত মাটি খুঁড়িয়া উন্মুক্ত না করিলে উহা সৃষ্ট হইত না, তাহা হইলে উন্মুক্ত করা মাটি বা ইমারতের নর্দমা বা অন্য কাজ যাহা এইরূপ পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত, নষ্ট, বা অপসারণ করা হইয়াছে উহা বোর্ড কর্তৃক ভরাট, পুনঃস্থাপন বা, ক্ষেত্রমত, সঠিক অবস্থায় ফিরাইয়া আনা হইবে।
চলমান কার্যাদি সম্পর্কিত ভূমি সংলগ্ন ভূমিতে প্রবেশের ক্ষমতা
১৮০। (১) ক্যান্টনমেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার, কোনো সহকারি বা শ্রমিকসহ বা ব্যতীত, এই আইন দ্বারা বা তদধীন অনুমোদিত কোনো কাজের নিকটেঅবস্থিত যে কোনো ভূমিতে কোনো মাটি, কাঁকর, পাথর বা অন্য কোনো বস্তু জমা করিবার জন্য বা উহাতে যাতায়াতের সুবিধা আদায়ের জন্য বা উক্ত কাজ চালাইয়া যাওয়া সম্পর্কিত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন।
(২) এক্সিকিউটিভ অফিসার, উপধারা (১) এর অধীন কোনো ভূমিতে প্রবেশের পূর্বে, দখলদারকে বা, কোনো দখলদার না থাকিলে, উহার মালিককে এইরূপ প্রবেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা করিয়া অন্যূন ৩ (তিন) দিনের লিখিত প্রাক-নোটিশ প্রদান করিবেন এবং যদি দখলদার বা মালিক কর্তৃক আবশ্যক হয়, তাহা হইলে এইরূপ উদ্দেশ্যে ভূমির যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু অংশ বেড়া দিয়া আলাদা করিয়া দিবেন।
(৩) এক্সিকিউটিভ অফিসার এই ধারার অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের সময়, যথাসম্ভব, ক্ষতি সাধন পরিহার করিবেন এবং এইরূপ ভূমির মালিক বা দখলদারকে বা উভয়কে, উক্ত ক্ষতির জন্য, স্থায়ী বা অস্থায়ী যাহাই হউক না কেন, বোর্ড কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
অঙ্গনাদিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করা
১৮১। (১) বোর্ডের সভাপতি, এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন হেলথ অফিসার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী বা বোর্ড কর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইন দ্বারা বা তদধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন বা কার্য সম্পাদনের জন্য আবশ্যক বিবেচিত হইলে, যে কোনো স্থানে, প্রয়োজনে জোরপূর্বক, যে কোনো দরজা বা দ্বার খুলিয়া বা অন্য যে কোনো প্রতিবন্ধক অপসারণ করিয়া প্রবেশ করিতে পারিবেন।
(২) এই ধারার অধীন সকল প্রবেশ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মধ্যে করিতে হইবে এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যূন ৩ (তিন) সদস্যের দল ব্যতীত কোনো ব্যক্তি এককভাবে কোনো স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন না।
(৩) যখন মানুষের বসবাসের কোনো স্থানে এই আইনের অধীন প্রবেশ করা হয় তখন উক্ত স্থানের দখলদারদের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা ও রীতিনীতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করিতে হইবে এবং কোনো মহিলা কর্তৃক প্রকৃতভাবে দখলকৃত কোনো বাসাতে প্রবেশ করা বা তড়িঘড়ি করিয়া প্রবেশ করা যাইবে না, যদি না তাহাকে অবহিত করা হয় যে, তাহার অন্যত্র সরিয়া যাইবার স্বাধীনতা রহিয়াছে এবং তাহাকে সরিয়া যাইবার জন্য যুক্তিযুক্ত সুযোগ প্রদান করা হইয়াছে।
বাধা প্রদানের দণ্ড
১৮২। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত বোর্ডের সভাপতি, সদস্য, এক্সিকিউটিভ অফিসার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী বা বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তিকে আইনগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন বা নিপীড়ন করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১০(দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেপ্তার
১৮৩। (১) এই আইনের বিধানাবলি লঙ্ঘন করিয়া কোনো অপরাধ সংঘটিত করিবার কারণে ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য, বিনা পরোয়ানায়, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন না;
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) কোনো বিধান অমান্য করিবার ক্ষেত্রে, কোনো ব্যক্তিকে এইরূপে গ্রেপ্তার করা যাইবে যিনি তাহার নাম ও ঠিকানা প্রদানে অসম্মত হন, অথবা, যদি তৎকর্তৃক প্রদত্ত নাম ও ঠিকানার যথার্থতা সম্পর্কে সন্দেহ করিবার যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে, এই ক্ষেত্রে প্রমাণ করিবার দায়িত্ব গ্রেপ্তারকারী অফিসারের উপর বর্তাইবে এবং এইরূপে গ্রেপ্তারকৃত কোনো ব্যক্তিকে তাহার নাম ও ঠিকানা নিশ্চিতকরণের পর আটকাইয়া রাখা যাইবে না; এবং
(খ) কোনো ব্যক্তিকে ধারা ১৭৪ এর অধীন কোনো অপরাধের জন্য এইরূপে গ্রেপ্তার করা হইবে না, যদি না-
(অ) যে ব্যক্তিকে উত্যক্ত করা হইয়াছে, বা যে সামরিক অফিসারের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, তিনি গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেন; বা
(আ) সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর সামরিক পুলিশের কোনো সদস্য যিনি ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত এবং এতদুদ্দেশ্যে স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত, এবং যাহার উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, বা সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো অসামরিক পুলিশ অফিসার যিনি ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত এবং এতদুদ্দেশ্যে স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত, দ্বারা গ্রেপ্তার করা হয় বা গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেন।
(২) উপধারা (১)-এ যাহাই থাকুক না কেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা হইতে অসামরিক পুলিশ কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে কোনো অভিযোগে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডারকে অবহিত করিতে হইবে।
অন্যায় কার্য ও অপরাধ বিষয়ে তথ্য প্রদানের দায়িত্ব
১৮৪। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাসরত বা অবস্থানরত সকল সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা উপ-আইনের বিধান বা তদধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশ লঙ্ঘনক্রমে সংঘটিত যে কোনো অন্যায়কার্য বা অপরাধ সম্পর্কে অবিলম্বে বোর্ডকে অবহিত করিবেন এবং এতদ্বিষয়ে আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে বা দায়িত্ব পালনে, অবশ্যক হইলে, অসামরিক ও সামরিক পুলিশ এবং বোর্ডের অফিসার ও কর্মচারীগণকে সহায়তা প্রদান করিবেন।
যৌক্তিক সময় নির্ধারণ
১৮৫। যেক্ষেত্রে এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা উপ-আইন অনুসারে প্রদত্ত কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি দ্বারা কোনো কিছু করা আবশ্যক হয় যাহার জন্য এই আইন বা বিধি বা উপ-আইনে কোনো সময় নির্ধারিত করা হয় নাই, সেইক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবিতে উহা করিবার জন্য যুক্তিযুক্ত সময় নির্ধারণ করিয়া দিতে হইবে।
নোটিশের প্রমাণীকরণ এবং যথার্থতা
১৮৬। বোর্ড কর্তৃক এই আইন বা তদধীন প্রণীত যে কোনো বিধি বা উপ-আইনের অধীন জারিকৃত প্রত্যেক নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের দ্বারা স্বাক্ষরিত হইবে, যথা :-
(ক) বোর্ডের সভাপতি বা এক্সিকিউটিভ অফিসার; বা
(খ) বোর্ড কর্তৃক এতদ্বিষয়ে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কোনো সদস্য।
নোটিশ, ইত্যাদি জারি
১৮৭। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত যে কোনো বিধি বা উপ-আইনের অধীন প্রদত্ত প্রত্যেক নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি, যদি না উহাতে সুষ্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ বিধান থাকে, নিম্নরূপে জারি করা হইবে, যথা :-
(ক) নোটিশ বা আদেশ বা লিখিত দাবি যে ব্যক্তির নিকট প্রেরণের জন্য ইচ্ছা করা হইয়াছে তাহাকে প্রদান বা পেশ করিয়া বা তাহার নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া; বা
(খ) যদি উক্ত ব্যক্তিকে না পাওয়া যায়, তাহা হইলে, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে হইলে, উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি তাহার সর্বশেষ জ্ঞাত আবাসস্থল বা ব্যবসায়ের স্থানের কোনো দৃশ্যমান অংশে আঁটিয়া দিয়া বা উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি তাহার পরিবারের কোনো বয়স্ক সদস্য বা গৃহকর্মীর হাতে প্রদান বা পেশ করিয়া, বা তৎসম্পর্কিত, ইমারত বা ভূমির, যদি থাকে, কোনো দৃশ্যমান অংশে আঁটিয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়া।
(২) কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি কোনো ইমারত বা ভূমির ইজারাদার বা দখলদারকে জারি করিবার নির্দেশ বা অনুমতি প্রদান করা হইলে, উহা নিম্নরূপে কার্যকর করা হইবে, যথা:-
(ক) নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি মালিক, ইজারাদার বা দখলদার, বা, যদি একাধিক মালিক, ইজারাদার বা দখলদার থাকে, তাহা হইলে তাহাদের যে কোনো এক জনের নিকট প্রদান বা পেশ বা ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া; বা
(খ) যদি এইরূপ কোনো মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে না পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি এইরূপ কোনো মালিক, ইজারাদার বা দখলদারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির নিকট যদি থাকে, বা এইরূপ মালিক, ইজারাদার বা দখলদারের পরিবারের কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সদস্য বা শ্রমিকের নিকট প্রদান বা পেশ করিয়া বা সংশ্লিষ্ট ইমারত বা ভূমির কোনো দৃশ্যমান অংশে আঁটিয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়া।
(৩) যে ব্যক্তির নিকট নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি প্রেরণ করা হইবে তিনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হইলে, তাহার অভিভাবক বা তাহার পরিবারের কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সদস্য বা গৃহকর্মীর নিকট প্রেরণ করা হইলে উহা উক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্কের নিকট প্রেরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
নোটিশ প্রদানের পদ্ধতি
১৮৮। এই আইন দ্বারা বা তদধীন প্রত্যেক নোটিশ গণ-বিজ্ঞপ্তি হিসাবে প্রদান বা জারি করিতে হইবে বা এইরূপ নোটিশ, যাহা উহাতে উল্লিখিত কোনো ব্যক্তির উপর জারি করিবার প্রয়োজন নাই, স্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, যদি উহার একটি কপি বোর্ডের কোনো প্রকাশ্য স্থানে বা অন্য কোনো গণস্থানে, বোর্ড যেইরূপ নির্দেশ করিবে সেইরূপে আঁটিয়া দেওয়া হয় বা কোনো স্থানীয় সংবাদপত্রে ছাপানো হয় বা অন্য কোনো ভাবে প্রকাশিত হয়, তাহা হইলে উহা যথাযথভাবে প্রদান বা জারি করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
নোটিশ, ইত্যাদি অমান্যকরণের ক্ষেত্রে বোর্ডের ক্ষমতা
১৮৯। যখন এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা উপ-আইনের অধীন কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি তামিল করিবার জন্য কোনো ব্যক্তির নিকট প্রেরণ করা হইয়াছে, কিন্তু তামিল করা হয় নাই তখন বোর্ড, তামিল করিতে ব্যর্থ ব্যক্তিকে, লিখিত নোটিশ প্রদানের পর, তাহার দ্বারা যে কাজ সম্পন্ন করা বা বাস্তবায়ন করা আবশ্যক ছিল উহা সমাপ্ত করিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার বা পদক্ষেপ গ্রহণ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং এতদ্বিষয়ক সকল ব্যয় বোর্ড কর্তৃক আদায়যোগ্য হইবে।
মালিকের ব্যর্থতায় দখলদার কর্তৃক পরিশোধের দায়
১৯০। (১) যদি ধারা ১৮৯ তে উল্লিখিত কোনো নোটিশ এমন কোনো সম্পত্তি বিষয়ে কোনো ব্যক্তির নিকট প্রেরণ করা হয় যে সম্পত্তি বা উহার কোনো অংশের তিনি মালিক, তাহা হইলে বোর্ড উক্ত সম্পত্তি বা উহার কোনো অংশের দখলদারকে, মালিকের পরিবর্তে, উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে উক্ত ব্যক্তির দ্বারা প্রদেয় ভাড়া, যাহা ধারা ১৮৯ এর অধীন মালিকের নিকট হইতে আদায়যোগ্য, পরিশোধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি দখলদার, বোর্ড কর্তৃক তাহার নিকট অনুরোধ জানানোর পর, তাহার ভাড়ার পরিমাণ বা যে ব্যক্তির নিকট পরিশোধযোগ্য তাহার নাম ও ঠিকানা সঠিকভাবে প্রকাশ করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে বোর্ড দখলদারের নিকট হইতে ধারা ১৮৯ এর অধীন আদায়যোগ্য সম্পূর্ণ অংশ আদায় করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন মালিকের পরিবর্তে দখলদারের নিকট হইতে আদায়কৃত যে কোনো অর্থ, মালিক কর্তৃক পরিশোধ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না মালিক এবং দখলদারের মধ্যে ভিন্নরূপ কোনো চুক্তি থাকে।
প্রতিনিধি এবং ট্রাস্টিগণের বিমোচন
১৯১। (১) যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিনিধি বা ট্রাস্টি হিসাবে, কোনো স্থাবর সম্পত্তির ভাড়া গ্রহণ করিবার কারণে বা উক্ত সম্পত্তি কোনো ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দেওয়া হইলে প্রতিনিধি বা ট্রাস্টিরূপে উক্ত ভাড়া গ্রহণ করিতেন, সেইক্ষেত্রে তিনি এই আইনের অধীন যে কোনো দায় পরিশোধ করিবার জন্য বাধ্য থাকিবেন যাহা সম্পত্তির মালিকের উপর আরোপ করা হয়, তবে, তিনি এই দায় পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন না, যদি না তাহার নিকট মালিকের এমন পরিমাণ অর্থ থাকে বা তাহার নিজস্ব কোনো অনুচিত কাজ বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার জন্য তাহার নিকট থাকিতে পারে।
(২) কোনো প্রতিনিধি বা ট্রাস্টি কর্তৃক উপধারা (১) এর অধীন বিমোচনের অধিকারের দাবি সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণের ভার তাহার উপর বর্তাইবে।
(৩) যে ক্ষেত্রে কোনো প্রতিনিধি বা ট্রাস্টি এই ধারার অধীন তাহার বিমোচনের অধিকার দাবি করেন এবং উহা প্রতিষ্ঠিত করেন, সেইক্ষেত্রে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, তাহাকে পূর্বোক্ত দায় পরিশোধের জন্য, সর্বপ্রথম যে পরিমাণ অর্থ মালিকের পক্ষে বা ব্যবহারের জন্য, তাহার হস্তগত হয় উহা কাজে লাগানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং, এইরূপ নোটিশ প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে উক্ত দায় পরিশোধের জন্য দায়ী হইবেন।
আর্থিক দায় আদায়ের পদ্ধতি
১৯২। (১) এই আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ যাহাই থাকুক না কেন, যে কোনো করের বকেয়া এবং বোর্ড কর্তৃক এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য যে কোনো অর্থ
Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No III of 1913)-এর অধীন সরকারি পাওনা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত আইনের বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।
(২) উপধারা (১) এর বিধানের অতিরিক্ত, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট আবেদনের মাধ্যমে, যে ব্যক্তির নিকট হইতে এইরূপ কর বা অর্থ আদায়যোগ্য সেই ব্যক্তির যে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় করিয়া, খরচসহ, আদায় করা যাইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, কারিগরদের যন্ত্রাদি এইরূপ ক্রোক ও বিক্রয় হইতে মুক্ত থাকিবে।
সালিসের জন্য আবেদন
১৯৩। (১) এই আইনের অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য বা এইরূপ প্রদেয় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কে কোনো মতানৈক্য দেখা দিলে, ক্ষতিপূরণের দাবিদার ব্যক্তি বিষয়টি সালিসের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করিবার জন্য আবেদন করিলে, বোর্ড সালিস কমিটি গঠন করিবে।
(২) সালিস কমিটি ৫ (পাঁচ) জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
(ক) একজন সভাপতি, যিনি প্রজাতন্ত্রের বা বোর্ডের চাকরিতে নিয়োজিত নহেন এবং যিনি স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক মনোনীত হইবেন;
(খ) বোর্ড কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন ব্যক্তি; এবং
(গ) সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষ কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন ব্যক্তি।
সালিস কমিটির সভা এবং ক্ষমতা
১৯৪। (১) সালিস কমিটি গঠিত হইবার পর, বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, প্রত্যেক সদস্যকে এতদ্বিষয়ে অবহিত করিবে এবং অতঃপর উক্ত কমিটি, যথাশীঘ্র সম্ভব, সভায় মিলিত হইবে।
(২) সালিস কমিটির সভাপতি সকল সভার সময় ও স্থান নির্ধারণ করিবেন এবং তিনি, প্রয়োজনবোধে, সময় সময়, যে কোনো সভা মূলতবি করিতে পারিবেন।
(৩) সালিস কমিটি সাক্ষ্য গ্রহণ ও রেকর্ড করিবে এবং সাক্ষীগণকে শপথবাক্য পাঠ করাইবে এবং কমিটির সভাপতি সাক্ষীগণের উপস্থিতি এবং কমিটি কর্তৃক প্রয়োজনীয় দলিলপত্র পেশ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সমন জারি করিবেন।
সালিস কমিটির সিদ্ধান্ত
১৯৫। (১) প্রত্যেক সালিস কমিটির সিদ্ধান্ত সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইবে, যে সভায় সভাপতি এবং অন্যূন তিন জন সদস্য উপস্থিত থাকেন।
(২) যদি কোনো সিদ্ধান্তের অনুকূলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না থাকে, তাহা হইলে সভাপতির মতামত প্রাধান্য পাইবে।
(৩) সালিস কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং তৎসম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
অধ্যায়-১৫
অপরাধ, বিচার, সাধারণ আইনের প্রয়োগ, ইত্যাদি
আইনের অধীন অপরাধ
১৯৬। (১)এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি বা উপ-আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক প্রশাসনিক এখতিয়ারে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হইলে, উক্ত অর্থদণ্ড কার্যকর বা, ক্ষেত্রমত, আপিলের পর চূড়ান্তভাবে কার্যকর হইবার পর, এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, উক্ত দণ্ডিত ব্যক্তি, উক্ত অর্থদণ্ড পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
(২) উপধারা (১) এর বিধানমতে দণ্ডিত ব্যক্তি, নিজ হইতে অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ না করিলে অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, অথবা অর্থদণ্ডের অতিরিক্ত আরো সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অপরাধ বিচারার্থ আমলে গ্রহণের শর্ত
১৯৭। এই আইনে স্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নিকট হইতে বা এতদবিষয়ে বোর্ডের, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত, কোনো আদালত এই আইন দ্বারা বা তদধীন প্রণীত বিধি বা উপ-আইন দ্বারা শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ বিচারার্থ আমলে গ্রহণ করিবে না।
অপরাধের আমল-অযোগ্যতা, জামিন যোগ্যতা এবং আপোষযোগ্যতা
১৯৮। (১) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ অপরাধ
Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No V of 1898) এর অর্থে আমল-অযোগ্য (non-cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।
(২) বোর্ড বা এতদুদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, অভিযোগ দায়েরের পূর্বে বা পরে, এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য যে কোনো অপরাধের বিষয়ে আপোষ করিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড দ্বারা বা উহার পক্ষে জারিকৃত কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি মান্য করিবার ব্যর্থতাজনিত কোনো অপরাধে আপোষ করা যাইবে না, যদি না এবং, যতক্ষণ পর্যন্ত না, যতদূর সম্ভব, উহা মান্য করা হয়।
(৩) যেক্ষেত্রে কোনো অপরাধের আপোষ করা হয়, সেইক্ষেত্রে অপরাধীকে, যদি হেফাজতে থাকে, মুক্তি দেওয়া হইবে এবং এইরূপ আপোষকৃত অপরাধের জন্য তাহার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না।
(৪) কোনো অপরাধ অর্থের বিনিময়ে আপোষের মাধ্যমে মীমাংসা করা হইলে, তদ্দ্বারা আদায়কৃত অর্থ বোর্ডের আয় হিসাবে বোর্ডের তহবিলে জমা হইবে।
অবশিষ্ট অন্যায়কার্য সম্পর্কিত শাস্তির বিধান
১৯৯। যেক্ষেত্রে এই আইনের কোনো বিধান অনুসারে জারিকৃত কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি মান্য করিতে ব্যর্থ হইবার জন্য এই আইনের অধীন স্পষ্টভাবে কোনো শাস্তির বিধান করা না থাকে, সেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অনুরূপ কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি মান্য করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) হাজার এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
সম্পত্তি বিনষ্টকরণের ক্ষেত্রে অর্থ আদায়
২০০। যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে বোর্ডের কোনো সম্পত্তি বিনষ্ট করিবার কারণে দণ্ডিত করা হয়, সেইক্ষেত্রে তিনি উক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকিবেন এবং উক্ত ক্ষতির কারণে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে মতানৈক্য হইলে, এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক উক্ত অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত হইবে এবং পুনঃনির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করা না হইলে, উহা উক্ত ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের মাধ্যমে, যতদূর সম্ভব, আদায় করা হইবে।
অন্যায়কার্য ও অপরাধ
২০১। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি, উপ-আইন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপনের ব্যত্যয়ে কৃত কোনো কার্য বা, করণীয় কোনো কার্য হইতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরত থাকা, কেবল আর্থিক জরিমানা দ্বারা শাস্তিযোগ্য হইয়া থাকিলে উহা, অন্যায়কার্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত কারণে আরোপিত জরিমানা প্রশাসনিক এখতিয়ারে প্রদত্ত আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে।
(২) ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় প্রযোজ্য কোনো সাধারণ আইন বা এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি, উপ-আইন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপনের ব্যত্যয়ে কৃত কোনো কার্য বা, করণীয় কোনো কার্য হইতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরত থাকা, কারাদণ্ড বা কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দ্বারা শাস্তিযোগ্য হইয়া থাকিলে উহা, অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত কারণে আরোপিত অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড বা কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বিচারিক এখতিয়ারে প্রদত্ত বিচারিক আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে।
জরিমানা ও অর্থদণ্ডের অর্থ বণ্টন
২০২। (১) কোনো অন্যায় কার্যের জন্য বোর্ড কর্তৃক বা বোর্ডের পক্ষে প্রশাসনিক এখতিয়ারে আরোপিত জরিমানার অর্থ আদায় হইয়া থাকিলে উহা বোর্ডের আয় গণ্যে বোর্ডের তহবিলে জমা হইবে।
(২) কোনো অপরাধের জন্য কোনো আদালত কর্তৃক বিচারিক এখতিয়ারে আরোপিত অর্থদণ্ডের অর্থ আদায় হইয়া থাকিলে উহা আদালত যেইভাবে নির্ধারণ করিবে সেইভাবে বণ্টিত বা ব্যবহৃত হইবে।
অভিযুক্তকরণের সীমাবদ্ধতা
২০৩। (১) এই আইন বা উহার অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইবার ৬ (ছয়) মাস অতিক্রান্ত হইবার পর তৎসম্পর্কে কোনো অভিযোগ বা মামলা বোর্ডের পক্ষে সরাসরি কোনো আদালতে দরখাস্তের মাধ্যমে করা হইলে আদালত উক্ত অভিযোগ বা মামলা বিচারার্থ আমলে গ্রহণ করিবে না।
(২) এই আইন বা উহার অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা উপ-আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইবার ৩ (তিন) মাস অতিক্রান্ত হইবার পর তৎসম্পর্কে কোনো অভিযোগ বা মামলার বিষয়ে বোর্ডের পক্ষে কোনো থানায় এজাহার দায়ের করা হইলে উক্ত থানা উক্ত এজহারের বিষয়ে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিবে না।
মামলার নোটিশ প্রদান
২০৪। (১) কোনো ব্যক্তি বোর্ডের কোনো আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইয়া কোনো দেওয়ানি মামলা দায়ের করিতে চাহিলে, তিনি তামাদির মেয়াদের মধ্যে বোর্ডের অফিসে লিখিত নোটিশ প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত নোটিশে সুনির্দিষ্টভাবে গৃহীত পদক্ষেপের কারণ, প্রার্থিত প্রতিকার, দাবিকৃত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং উদ্দিষ্ট বাদির নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা উল্লেখ করিবেন এবং উক্ত নোটিশ জারি হইবার পর ২ (দুই) মাস অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত মামলা দায়ের করিবেন না।
(২) উপধারা (১) এ উল্লিখিত ২ (দুই) মাস সময়ের মধ্যে বোর্ড এবং নোটিশ প্রদানকারী পক্ষ বিষয়টি আইন, বিধি-বিধান ও ন্যায়নীতির ভিত্তিতে মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পন্ন করিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন।
(৩) উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো মামলা কার্যকারণ উদ্ভূত হইবার তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস সময় অতিক্রান্তের পর দায়ের করা যাইবে না, যদি না উহা স্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের কোনো পদক্ষেপ হয় বা উহার স্বত্ব ঘোষণার জন্য হয়।
প্রশাসনিক আদেশ সংক্রান্ত আপিল
২০৫। (১) কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধি, উপ-আইন বা অন্য কোনো আদেশের অধীন বোর্ড কর্তৃক বা বোর্ডের পক্ষে প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হন, তাহা হইলে তিনি, এই আইন দ্বারা বা তদধীন ভিন্নতর কোনো বিকল্প পদ্ধতি বিধৃত করা না হইয়া থাকিলে, এরিয়া কমান্ডারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।
(২) এই ধারার অধীন আপিল, কার্যকারণ উদ্ভূত হইবার ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে দায়ের করা না হইলে, তামাদিতে বারিত হইবে।
আপিলের দরখাস্ত
২০৬। (১) প্রত্যেক আপিল লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে, যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে উহার একটি কপিসহ, করিতে হইবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন যে কোনো দরখাস্ত যে কর্তৃপক্ষ আপিলযোগ্য আদেশ প্রদান করিয়াছেন, উহার নিকট উপস্থাপন করা যাইতে পারে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ উহা আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট অগ্রবর্তী করিতে বাধ্য থাকিবে এবং ইচ্ছা করিলে ব্যাখ্যা স্বরূপ উহার সহিত একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করিতে পারিবে।
(৩) কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল গৃহীত হইবার পর, উক্ত আদেশ কার্যকর করিবার জন্য সকল কার্যধারা এবং উহা লঙ্ঘন করিবার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ আপিলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে স্থগিত রাখা যাইবে।
(৪) আপিল কর্তৃপক্ষের আদেশ চূড়ান্ত হইবে।
(৫) এই ধারার অধীন কোনো আপিলের নিষ্পত্তি হইবে না, যদি না আপিলকারীর শুনানি গ্রহণ করা হয় বা তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে শুনানির যুক্তিযুক্ত সুযোগ প্রদান করা হয় |
অধ্যায়-১৬
বিবিধ ও সাধারণ বিধানাবলি
কতিপয় আইন ও বিধি-বিধান ক্যান্টনমেন্ট বহির্ভূত এলাকায় সম্প্রসারণ
২০৭। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ক্যান্টনমেন্ট বহির্ভূত এবং তৎসংলগ্ন যে কোনো এলাকায়, যে কোনরূপ সীমাবদ্ধতা বা সংশোধনীসহ বা ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্টের জন্য প্রযোজ্য কোনো আইন বা বিধি-বিধানকে, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, প্রযোজ্য করিতে পারিবে।
(২) অনিবার্য প্রয়োজন ব্যতিরেকে, সরকার উপরোক্ত মতে ক্যান্টনমেন্ট বহির্ভূত এবং তৎসংলগ্ন কোনো এলাকায় ক্যান্টনমেন্টের জন্য প্রযোজ্য কোনো আইন বা বিধি-বিধানকে প্রযোজ্য করিবে না।
মোবাইল কোর্ট আইনের প্রয়োগ
২০৮। (১) এই আইনের অধীন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ (যদি তাহারা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণের মধ্য হইতে প্রেষণে নিযুক্ত হইয়া থাকেন), এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আবশ্যক হইলে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিতে পারিবেন, যদি এই আইনের অধীন অপরাধসমূহকে
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তপশিলভুক্ত অপরাধ করা হয়।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল দায়ের করা আবশ্যক হইলে, আপিলটি, সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বা, ক্যান্টনমেন্টের বৃহত্তর অংশ, যে জেলার অন্তর্গত সেই জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারাধীন হইবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ
২০৯। (১)
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৬ নং আইন) এর বিধানাবলি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় প্রযোজ্য হইবে।
(২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসম্পন্ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
(৩) বোর্ড ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরের সহায়তা গ্রহণ করিয়াও ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিধানাবলি প্রয়োগ করিতে পারিবে অথবা
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিধানাবলি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
ইমারত নির্মাণ ও আইনের প্রয়োগ
২১০। (১) ক্যান্টনমেন্ট এলাকার অভ্যন্তরে এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কোনো সংলগ্ন এলাকায়, বোর্ডের অনুমোদন বা ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো স্থায়ী ভবন, সরকারি বা বেসরকারি, সামরিক বা অসামরিক, নির্মাণ করা যাইবে না।
(২)
Building Construction Act, 1952 (Act No. II of 1953) এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলি, যতদূর প্রসঙ্গিক, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য হইবে।
(৩) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও ছাড়পত্র ব্যতিরেকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো ভবন নির্মাণ করা যাইবে না।
মাদকজাতীয় দ্রব্যাদির নিয়ন্ত্রণ
২১১। (১) ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানায় মাদক ও মাদকজাতীয় দ্রব্যাদি নিয়ন্ত্রণে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ (১৯৯০ সনের ২০ নং আইন) এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে এবং বোর্ড উক্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করিবে।
(২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসম্পন্ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
(৩) বোর্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তা গ্রহণ করিয়াও ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর বিধানাবলি প্রয়োগ করিতে পারিবে অথবা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর বিধানাবলি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
সংলগ্ন এলাকার ব্যাপ্তি, ইত্যাদি
২১২। (১) ক্যান্টনমেন্ট সীমানার বাহিরে সীমানার সন্নিহিত ১০০ (একশত) মিটার এলাকাকে সংলগ্ন এলাকা হিসাবে গন্য করা হইবে এবং উক্ত সংলগ্ন এলাকায় ৪০ (চল্লিশ) ফুটের অধিক উচ্চতার কোনো ভবন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে নির্মাণ করা যাইবে না।
(২) ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কোনো অস্ত্র বা গোলাবারুদের ভাণ্ডার থাকিলে উক্ত স্থানের সীমানা হইতে ৩০০ (তিনশত) মিটার পর্যন্ত এলাকাকে সংলগ্ন এলাকা হিসাবে গণ্য করা হইবে এবং উক্ত সংলগ্ন এলাকায় ক্যান্টনমেন্টের সীমানার বাহিরে কোনো ভবন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে নির্মাণ করা যাইবে না।
(৩) ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তা বা অন্যবিধ প্রয়োজনে বোর্ড বা সামরিক কর্তৃপক্ষ সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করিতে বা টহল দিতে পারিবে।
(৪) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই ধারায় বর্ণিত সংলগ্ন এলাকার সীমা, আবশ্যক ক্ষেত্রে, বর্ধিত বা হ্রাস করিতে পারিবে।
সামরিক আবাসিক প্রকল্প
২১৩। (১) ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন অথবা অন্য কোনো এলাকায় যদি সরকারিভাবে তদুদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বা আইনানুগভাবে অন্য কোনো উপায়ে ভূমি গ্রহণ করিয়া উহাতে আবাসিক প্রকল্প প্রস্তুত করা হয় এবং কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারগণকে, সীমিত সংখ্যক প্রতিরক্ষা খাতভূক্ত অসামরিক অফিসারসহ বা ব্যতিরেকে, উক্ত প্রকল্পে প্লট বা ফ্ল্যাট চিরস্থায়ী ইজারার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উহা সামরিক আবাসিক প্রকল্প হিসাবে গণ্য হইবে।
(২) এই ধারার অধীন সামরিক আবাসিক প্রকল্প এবং উহার সংশ্লিষ্ট এলাকা ক্যান্টনমেন্ট বা ক্যান্টনমেন্টের অংশ হইবে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো সামরিক আবাসিক প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌর-সুবিধাদি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক প্রদান করা হইবে। তবে ক্যান্টনমেন্ট হইতে বিচ্ছিন্ন এবং দূরবর্তী সামরিক আবাসিক প্রকল্প এলাকায় সংগত কারণে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক কোনো পৌর-সুবিধাদি প্রদান করা সম্ভব না হইলে, সেই ক্ষেত্রে নিকটবর্তী স্থানীয় সরকারের পৌর ব্যবস্থা হইতে উক্ত সুবিধা, প্রাপ্তি সাপেক্ষে, প্রযোজ্য নির্দিষ্ট করের বিনিময়ে গ্রহণ করা যাইবে।
(৩) কোনো সামরিক আবাসিক প্রকল্পে পৌর-সুবিধাদি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক প্রদান করা হইলে, প্রদত্ত পৌর-সুবিধাদির বিনিময়ে প্রাপ্য করসমূহের পরিমাণ, যতদূর সম্ভব, অসামরিক পৌর-কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিকটতম অসামরিক আবাসিক এলাকার জন্য অনুরূপ বিষয়ে ধার্য পৌর-করের সমপরিমাণ হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, উপধারা (১) এ উল্লিখিত সামরিক আবাসিক প্রকল্পে চিরস্থায়ী ইজারার ভিত্তিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাটের মূল গ্রহীতার মালিকানা অপরিবর্তিত থাকিলে, কিংবা দান বা হেবা মূলে কোনো এক বা একাধিক সম্ভ্যাব্য উত্তরাধিকারীকে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হইলে কিংবা মূল গ্রহীতার মৃত্যুর কারণে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাট উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীগণের উপর বর্তিত হইলে, তিনি বা, ক্ষেত্রমত, তাহারা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত স্বাভাবিক করসমূহের অনূর্ধ্ব ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পর্যন্ত রেয়াত সুবিধা প্রাপ্ত হইতে পারিবেন।
আরও শর্ত থাকে যে, উপধারা (১) এ উল্লিখিত সামরিক আবাসিক প্রকল্পে চিরস্থায়ী ইজারার ভিত্তিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাট যদি কোনো কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মচারী মূল গ্রহীতার নিকট হইতে খরিদ করিয়া মালিকানা অর্জন করেন, তাহা হইলে, তাহার মালিকানা অপরিবর্তিত থাকিলে, কিংবা দান বা হেবা মূলে কোনো এক বা একাধিক সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীকে তিনি উক্ত প্লট বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করিলে কিংবা তাহার মৃত্যুর কারণে উক্ত প্লট বা ফ্ল্যাট উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তাঁহার উত্তরাধিকারীগণের উপর বর্তিত হইলে, তিনি বা,ক্ষেত্রমত, তাঁহারাও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত স্বাভাবিক করসমূহের অনূর্ধ্ব ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পর্যন্ত রেয়াত সুবিধা প্রাপ্ত হইতে পারিবেন।
(৪) সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, উপধারা (৩) এর অধীন ধার্যকৃত পৌর-করসমূহ প্রতি ৩ (তিন) বৎসর অন্তর পুনর্মূল্যায়নপূর্বক, আবশ্যক ক্ষেত্রে পুনঃনির্ধারণ করিয়া, মহাপরিচালকের মতামত এবং সরকারের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক, গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করিবে; এবং বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে প্রেরণ করিবে।
(৫) সামরিক আবাসিক প্রকল্প প্রণয়নের সময় জমির সাশ্রয়ী ব্যবহারের প্রতি সর্বাধিক গূরুত্বারোপ করিতে হইবে এবং সীমিত জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করিয়া ফ্ল্যাট বরাদ্দের প্রতি অধিকতর গুরুত্বারোপ করিতে হইবে অথবা জমির একটি প্লট অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে যৌথভাবে বরাদ্দ প্রদান করিয়া বহুতল ভবন নির্মাণ করিতে উৎসাহিত করিতে হইবে।
(৬) সামরিক আবাসিক প্রকল্পের প্লট এবং ফ্ল্যাট মালিকগণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনে আবাসন পরিষদ গঠন করিতে পারিবেন এবং উক্ত পরিষদ ইহার ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পাদনের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত সামরিক আবাসিক প্রকল্প সম্পর্কীত কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট দায়বদ্ধ থাকিবে।
সামরিক আবাসিক প্রকল্পের সম্পত্তি হস্তান্তর
২১৪। কোনো সামরিক আবাসিক প্রকল্পে কোনো প্লট বা উক্ত প্লটে নির্মিত কোনো ফ্ল্যাট, উত্তরাধিকার মূলে স্বত্ব হস্তান্তরিত হইবার ক্ষেত্র ব্যতীত, মহাপরিচালকের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে হস্তান্তর করা যাইবে না।
জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা
২১৫। এই আইনের কোনো অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২১৬। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এই আইনের যে কোনো বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
উপ-আইন প্রণয়নের ক্ষমতা
২১৭। বোর্ড, এই আইনে বোর্ডকে প্রদত্ত দায়িত্ব পালন বা ক্ষমতা প্রয়োগ বিষয়ে অধিকতর বিধান করা প্রয়োজন মনে করিলে, এই আইন বা সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধির কোনো বিধানের সহিত সাংঘর্ষিক না হওয়া সাপেক্ষে এবং সরকারের পূর্বানোমোদন গ্রহণপূর্বক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-আইন প্রণয়ন করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
২১৮। (১)
Cantonments Act, 1924 (Act No II of 1924), অতঃপর ‘‘রহিত আইন’’ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্ত আইন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে-
(ক) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ক্যান্টনমেন্ট ও বোর্ডসমূহ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবে;
(খ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডসমূহের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং সিকিউরিটিসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তিতে যাবতীয় অধিকার ও স্বার্থ, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এতদসংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ সংশ্লি¬ষ্ট বোর্ডসমূহের দখল ও অধিকারে পূর্ববৎ বলবৎ থাকিবে;
(গ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডসমূহের সকল দায়-দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা, উহাদের পক্ষে বা উহাদের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডসমূহের দায়-দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা, উহাদের পক্ষে বা সহিত সম্পাদিত চুক্তি পূর্ববৎ বলবৎ থাকিবে;
(ঘ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডসমূহ কর্তৃক বা উহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা বা সূচিত অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা পূর্ববৎ বলবৎ থাকিবে; এবং
(ঙ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, চুক্তি, আইনগত দলিল বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ডসমূহের সকল অফিসার ও কর্মচারী এই আইনের অধীন বোর্ডের অফিসার ও কর্মচারী হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তাধীন চাকরিতে ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী উহা পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে সংশ্লিষ্ট বোর্ডসমূহের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন।
(৩) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, উপ-আইন, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, নোটিশ, বিভাগীয় কার্যধারা, বোর্ডের কোনো অফিসার বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে গৃহীত কোনো শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা, কার্যধারা বা অন্য কোনো কার্যক্রম উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে এবং এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন কৃত, প্রণীত, জারিকৃত, দায়েরকৃত, পেশকৃত, মঞ্জুরিকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২১৯। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।