প্রিন্ট ভিউ
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(১) ‘অধিদপ্তর’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর;
(২) ‘অ্যাগনিস্ট (Agonist)’ অর্থ এইরূপ কোনো বস্তু যাহা তপশিলে উল্লিখিত কোনো মাদকদ্রব্যের রাসায়নিক গঠনের অনুরূপ গঠনবিশিষ্ট বস্তু না হওয়া সত্ত্বেও আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে উক্ত বস্তুর মতো একইভাবে কার্যকর;
(৩) ‘অ্যানালগ (Analogue)’ অর্থ তপশিলের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই এইরূপ বস্তু, যাহার রাসায়নিক সংগঠন তপশিলের অন্তর্গত কোনো মাদকের রাসায়নিক সংগঠনের অনুরূপ এবং যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক কার্যক্রম একই রকম;
(৪) ‘অ্যালকালয়েড (Alkaloid)’ অর্থ তপশিলের উল্লিখিত কোনো বস্তু বা মাদকদ্রব্য হইতে রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনো বস্তু যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া মূল মাদকদ্রব্য বা মাদকজাতীয় বস্তুটির অনুরূপ;
(৫) ‘অ্যালকোহল (Alcohol)’ অর্থ 1[হাইড্রোকার্বনজাত হাইড্রোক্সিল (OH-] মূলকসম্বলিত কোনো জৈব যৌগ অথবা তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্যের ক্রমিক নং ৩ এবং ‘গ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্যের ক্রমিক নং ১ ও ২ এ উল্লিখিত কোনো তরল পদার্থ;
(৬) ‘আইসোমার (Isomer)’ অর্থ দুই বা ততোধিক সমগোত্রীয় পদার্থের যেকোনো একটি, যাহা একই উপাদান দ্বারা একই আনুপাতিক হারে গঠিত, কিন্তু উহাতে পারমাণবিক বিন্যাসের তারতম্যের কারণে কতিপয় গুণগত বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রহিয়াছে;
(৭) ‘উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্যকে কোনো বস্তু হইতে সংগ্রহ, পরিশোধন, রাসায়নিক বিন্যাস ও বিশ্লেষণ, তৈরি, উহার সহিত কোনো কিছু দ্রবীভূত অথবা মিশ্রিত করা, উহাকে অন্য কোনো মাদকদ্রব্য, কিংবা উহার উপজাত দ্রব্য অথবা যৌগ কিংবা উহা হইতে উদ্ভূত অথবা প্রস্তুতকৃত কোনো পদার্থ (যাহাতে উক্ত পদার্থ উহার রাসায়নিক গুণাগুণ ও মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ক্ষমতাসহ বিদ্যমান) কিংবা উহার কোনো অ্যালকালয়েড, সল্ট, আইসোমার, অ্যানালগ কিংবা অ্যাগনিস্ট যে বাণিজ্যিক নামে অথবা আকারেই থাকুক নামে অথবা আকারেই থাকুক না কেন ইত্যাদিতে রূপান্তরিত করা কিংবা উহা নির্দিষ্ট পরিমাণ ও মাত্রায় বিভাজন ও বিন্যস্ত করা;
2[(৭ক) ‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’ অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী, ক্ষেত্রমত, অপরাধ আমলে গ্রহণের অথবা বিচারের এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো আদালত;]
(৮) ‘ওয়াশ (Wash)’ অর্থ শর্করা কিংবা শ্বেতসার অথবা সেলুলোজসংবলিত যেকোনো বস্তুকে পানি ও অন্যান্য উপকরণ সহযোগে গাঁজানোর মাধ্যমে উৎপন্ন অ্যালকোহল মিশ্রিত কোনো দ্রবণ;
(৯) ‘ক’শ্রেণির মাদকদ্রব্য, ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য ও ‘গ’শ্রেণির মাদকদ্রব্য অর্থ তপশিলে উল্লিখিত যথাক্রমে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য;
(১০) ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার’ অর্থ ধারা ২৩ এ উল্লিখিত কোনো অফিসার;
(১১) ‘চাষাবাদ’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্যের উৎস হইতে পারে এইরূপ কোনো উদ্ভিদের বীজ বপন, চারা রোপণ, কলমকরণ, চারা উৎপাদন এবং তাহা হইতে মাদকদ্রব্যের কাঁচামাল, উপাদান, উপকরণ সংগ্রহ করা;
(১২) ‘চিকিৎসক’ অর্থ বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, 2010 (2010 সনের 61 নং আইন) এর ধারা 2 এর দফা (16) এবং (18) এ সংজ্ঞায়িত যথাক্রমে স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক ও স্বীকৃত মেডিক্যাল চিকিৎসক; এবং Bangladesh Homeopathe Practitioners Ordinance, 1983 (Ordinance XLI of 1983) অনুসারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী ব্যক্তি এবং Bangladesh Veterinary Practitioner Ordinance, 1982 (XXX of 1982) এর section 2(g) তে সংজ্ঞায়িত Registered Veterinary Practitioner;
(১৩) ‘তপশিল’ অর্থ এই আইনের সহিত সংযুক্ত কোনো তপশিল;
(১৪) ‘দখল অথবা ধারণ’ অর্থ কোনো পদার্থ অথবা উপকরণ অথবা বস্তু সজ্ঞানে কোনো ব্যক্তির অঙ্গপ্রতঙ্গে, পোশাকে অথবা মালিকানায় অথবা স্বত্বাধিকারে, নিয়ন্ত্রণে অথবা কর্তৃত্বে থাকা অথবা কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনোকিছু সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, দখল অথবা ধারণ করা;
(১৫) ‘নিয়ন্ত্রিত বিলি (Control Delivery)’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করিবার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিশেষ তদন্ত কৌশল, যাহাতে কোনো মাদকদ্রব্য, উহার উৎসবস্তু, উপাদান অথবা মিশ্রণের বেআইনি অথবা সন্দেহজনক চালানকে তদন্তের ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো আইন প্রায়োগকারী সংস্থার (সরকারের) জ্ঞাতসারে ও তত্ত্বাবধানে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পরিবহন ও বিতরণ অথবা হস্তান্তর করিতে দেওয়া যাহার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত উক্ত মাদকদ্রব্যের উৎস হইতে গন্তব্য পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সহিত জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করা যায়;
(১৬) ‘পারমিট’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো পারমিট;
(১৭) ‘পাস’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো পাস;
(১৮) ‘পুনর্বাসন’ অর্থ এমন কোনো কার্যক্রম অথবা কর্মসূচি যাহার মাধ্যমে কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা;
(১৯) ‘প্রিকারসর কেমিক্যালস (Precursor Chemicals)’ অর্থ তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য অংশের ৮ নং ক্রমিকে উল্লিখিত এবং সময়ে সময়ে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোনো প্রিকারসর কেমিক্যালস যাহা মাদকদ্রব্য উৎপাদনের উপাদান অথবা উপকরণ হিসাবে অপব্যবহৃত হইতে পারে;
(২০) ‘ফৌজদারী কার্যবিধি’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
(২১) ‘বাহন’ অর্থ বিমান, মোটরযান, জলযান এবং রেলগাড়িসহ যেকোনো প্রকারের বাহন;
(২২) ‘বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু’ অর্থ ধারা ২৬ এ উল্লিখিত কোনো দ্রব্য বা বস্তু বা মাদকদ্রব্য;
(২৩) ‘বিধি’ অর্থ ধারা ৬৮ এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি;
(২৪) ‘বিয়ার’ অর্থ মল্ট ও হপস্ সহযোগে ব্রিউইং (Brewing) পদ্ধতিতে ব্রিউয়ারিতে প্রস্তুতকৃত অন্যূন ০.৫% (দশমিক পাঁচ শতাংশ) অ্যালকোহলযুক্ত কোনো পানীয়;
(২৫) ‘ব্রিউয়ারি’ অর্থ বিয়ার অথবা বিয়ারের গুণাগুণসম্পন্ন যে-কোনো তরল পদার্থ প্রস্তুতের স্থাপনা, যন্ত্রপাতি, কারখানা অথবা কেন্দ্র;
3[(২৬) ‘ব্যক্তি’ অর্থে যে কোনো কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ অথবা অনুরূপ সংঘ বা সমিতিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;]
(২৭) ‘ব্যবস্থাপত্র’ অর্থ রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসকের প্রদেয় লিখিত ঔষধের ফর্দ, কিংবা ব্যবহার বিধি, অথবা নির্দেশনাপত্র;
(২৮) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;
(২৯) ‘মাদকদ্রব্য’ অর্থ-
(ক) প্রথম তপশিলে উল্লিখিত কোনো দ্রব্য; বা
(খ) মাদকদ্রব্যের সহিত অন্য যে-কোনো দ্রব্য একীভূত, মিশ্রিত, কিংবা দ্রবীভূত থাকিলে উহাদের সমুদয় কোনো দ্রব্য;
(৩০) ‘মাদকদ্রব্য অপরাধ’ অর্থ এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ;
(৩১) ‘মাদকাসক্ত’ অর্থ শারীরিক অথবা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের উপর নির্ভরশীল কোনো ব্যক্তি অথবা অভ্যাসবশে মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারী অথবা সেবনকারী কোনো ব্যক্তি;
(৩২) ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র’ অর্থ এই আইনের অধীন সরকারি খাতে স্থাপিত বা ঘোষিত অথবা বেসরকারি খাতে অনুমোদিত কোনো মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র;
4[***]
(৩৪) ‘লাইসেন্স’ অর্থ ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স; 5[এবং]
(৩৫) ‘সম্পদ’ অর্থ বিনিময় মূল্য রহিয়াছে এমন যে-কোনো স্থাবর-অস্থাবর বস্তু, গ্রন্থস্বত্ব (Copyright), সুনাম (Goodwill), কর্তৃত্ব, ক্ষমতা, স্বত্ব, অংশীদারিত্ব বা অনুরূপ কোনো বিষয় 6[।]
7[***]
দ্বিতীয় অধ্যায়
অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
তৃতীয় অধ্যায়
মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ (লাইসেন্স, পারমিট বা পাস)
চতুর্থ অধ্যায়
মাদকদ্রব্য প্রতিরোধের ক্ষমতাসমূহ
২৩। (১) মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার, অথবা পুলিশের উপ-পরিদর্শক অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা 8[কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা] অথবা সমমানসম্পন্ন অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ল্যান্স নায়ক অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা কোস্ট গার্ড বাহিনীর পেটি অফিসার অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কোনো কারণ থাকে যে, কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ কোনো স্থানে সংঘটিত হইয়াছে, হইতেছে অথবা হইবার আশংকা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া লাইসেন্স প্রিমিজেস ব্যতীত, যে কোনো সময়-
(ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে, বাধা অপসারণের জন্য দরজা-জানালা ভাঙ্গাসহ যে-কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
(খ) উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু এই আইনের অধীন আটক অথবা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু এবং কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল, দস্তাবেজ অথবা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন;
(গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে-কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করিতে পারিবে; এবং
(ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তিকে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করিয়াছেন অথবা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি পরিচালনা না করিলে মাদকদ্রব্য অপরাধ সম্পর্কীয় কোনো বস্তু নষ্ট অথবা লুপ্ত হইবার অথবা অপরাধী পালাইয়া যাইবার আশংকা রহিয়াছে বলিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোনো অফিসারের বিশ্বাস করিবার সংগত কারণ থাকিলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করিতে পারিবে।
২৬। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হইলে মাদকদ্রব্য, মাদকদ্রব্যের সহিত জব্দকৃত অর্থ, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন অথবা অন্য কোনো বস্তু সম্পর্কে অথবা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
(২) মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময় বাজেয়াপ্তযোগ্য মাদকদ্রব্যের সহিত যদি কোনো বৈধ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত মাদকদ্রব্যও বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য যদি কোনো সরকারি অথবা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো যানবাহন ব্যবহার করা হয়, তাহা হইলে উহা জব্দযোগ্য হইবে এবং মামলা রুজুকারী অফিসার সরকারি কার্যের স্বার্থে উক্ত যানবাহন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী অফিসারের জিম্মায় প্রদান করিতে পারিবেন, তবে বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করিতে হইবে।
(৪) জব্দকৃত মাদকদ্রব্য 9[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] আদেশক্রমে উহা ধ্বংস করিতে হইবে।
২৭। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের মামলা চলাকালে কোনো 10[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, আটককৃত কোনো বস্তু বাজেয়াপ্তযোগ্য, তাহা হইলে, 11[উক্ত আদালত] , উক্ত অপরাধ প্রমাণিত হউক অথবা না হউক-
(ক) বস্তুটি মাদকদ্রব্য হইলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিবে;
(খ) বস্তুটি মাদকদ্রব্য না হইলে বাজেয়াপ্ত করিবার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে; এবং
(গ) মাদকদ্রব্যের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোনো ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো বস্তু আটক করা হয় কিন্তু উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার, যিনি বস্তুটি আটককারী অফিসারের ঊর্ধ্বতন অফিসার হইবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে উক্তরূপ বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের পূর্বে বাজেয়াপ্তির বিরুদ্ধে আপত্তি প্রদানের সুযোগ প্রদান করিবার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারির তারিখ হইতে অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন হইতে হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।
২৮। (১) বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো মাদকদ্রব্য অথবা দ্রব্যের বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো অফিসার কর্তৃক আটককৃত হইলে উহা মহাপরিচালক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং মহাপরিচালক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা ব্যবহার, হস্তান্তর, ধ্বংস কিংবা অন্য কোনো প্রকারে নিষ্পত্তি অথবা বিলিবন্দেজের ব্যবস্থা করিবে।
(২) আটককৃত মাদকদ্রব্য অথবা দ্রব্য এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো সংস্থা কর্তৃক আটককৃত হইলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের পর উহা উক্ত আটককারী সংস্থার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং আটককারী সংস্থা 12[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] আদেশ অনুসারে মহাপরিচালক কিংবা তাহার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা হস্তান্তর কিংবা অন্য কোনো প্রকারে উহার বিলিবন্দেজ করিতে পারিবে।
(৩) এই আইনের অধীন কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু আটক, বাজেয়াপ্ত ও নিষ্পত্তির ক্ষমতাপ্রাপ্ত 13[অন্যান্য সংস্থা] ও অফিসার এই আইনের অধীন নিষ্পত্তিকৃত সকল মাদকদ্রব্য ও বস্তুসমূহের নিষ্পত্তিসংক্রান্ত একটি বাৎসরিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।
২৯। (১) মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার অথবা কোনো পুলিশ অফিসার ব্যতীত অন্য কোনো অফিসার কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিলে অথবা কোনো বস্তু আটক করিলে তিনি অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অথবা আটককৃত বস্তুটিকে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার হিসাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিকটস্থ কোনো অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তি অথবা বস্তুকে যে অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হইবে তিনি যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত ব্যক্তি অথবা বস্তু সম্পর্কে আইনানুগ যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং আটককৃত মাদকদ্রব্য অথবা মালামাল যদি পরিমাণে অত্যধিক হয় অথবা অতি মূল্যবান হয় কিংবা সংরক্ষণের জন্য অসুবিধাজনক কিংবা ঝুঁকিবহুল হয়, তাহা হইলে তদন্তকারী অফিসার 14[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] অনুমতিক্রমে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা মালামালের যথোপযুক্ত নমুনা ও প্রমাণ সংরক্ষণপূর্বক অবশিষ্ট মাদকদ্রব্য অথবা মালামাল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হস্তান্তর, ধ্বংস অথবা অন্য কোনো প্রকারে বিলিবন্দেজ করিতে পারিবেন এবং বিষয়টি উক্ত 15[আদালতকে] অবিলম্বে অবহিত করিবেন।
(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন আটককৃত কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর যদি কোনো কারণে তাৎক্ষণিক বিলিবন্দেজ অপরিহার্য হয় অথবা উহা বহন অথবা স্থানান্তরের অযোগ্য হয়, তাহা হইলে আটককারী অফিসার কর্তৃক উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর উপযুক্ত নমুনা এবং পরিমাণ নির্দেশক যথাযথ প্রমাণ সংরক্ষণপূর্বক অবশিষ্ট মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর হস্তান্তর, ধ্বংস অথবা অন্য কোনো প্রকারে উহার বিলিবন্দেজ করা যাইবে।
৩১। (১) ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ তদন্ত-
(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতেনাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে অথবা এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া কোনো 16[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] নিকট সোপর্দ হইলে, তাহার ধৃত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে;
(খ) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময় হাতেনাতে ধৃত না হইলে মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটন সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্যপ্রাপ্তি বা, ক্ষেত্রমত, মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার বা 17[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ৬০ (ষাট) কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; এবং
(গ) একই মামলায় গ্রেফতার ও পলাতক ব্যক্তি থাকিলে উক্ত মামলার তদন্ত উপ-ধারা (১) (খ) অনুযায়ী সম্পন্ন হইবে।
(২) কোনো যুক্তিসংগত কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, তদন্তকারী অফিসার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তকার্য সম্পন্ন করিবেন এবং তৎসম্পর্কে কারণ উল্লেখপূর্বক তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার অথবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 18[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময় সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 19[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে অবহিত হইবার পর নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 20[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ উক্ত অপরাধের তদন্তভার অন্য কোনো অফিসারের নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তভার হস্তান্তর করা হইলে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত অফিসার-
(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতেনাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে, তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিবে; এবং
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 21[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।
(৬) উপ-ধারা (২) অথবা (৪) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোনো তদন্তকার্য সম্পন্ন না করিবার ক্ষেত্রে, তৎসম্পর্কে ব্যাখ্যা সংবলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 22[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হইবার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারই দায়ী, তাহা হইলে উহা দায়ী, ব্যক্তির অদক্ষতা বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা তাহার বাৎসরিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকরি বিধি অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
৩৩। (১) যদি মহাপরিচালক অথবা তদন্তকারী অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত থাকিয়া অবৈধ অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহে লিপ্ত রহিয়াছেন এবং উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধান অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্ত তাহার ব্যাংক হিসাব অথবা আয়কর অথবা সম্পদের কর সম্পর্কীয় রেকর্ডপত্র পরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তদন্তকারী অফিসার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(২) তদন্তকারী অফিসার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (শ) এ উল্লিখিত সম্পৃক্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ (অবৈধ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা) নিয়ন্ত্রণের জন্য তদন্তকারী অফিসার হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তিনি অবৈধ মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অথবা সম্পদ সম্পর্কে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী তদন্তসহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৩) প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত হিসাব অথবা রেকর্ডপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব নিষ্ক্রিয়করণ (Freezing) করা কিংবা সম্পদ যাচাই-বাছাইয়ের (Scrutinizing) অনুমতি প্রদানের জন্য 23[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে] আবেদন করিতে পারিবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারীকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া 24[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবে এবং যদি তিনি প্রার্থিত অনুমতি যুক্তিসংগত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে অনুমতি প্রদান করিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, কর অফিসার অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অনুমতিপ্রাপ্ত অফিসার তাহার পরীক্ষা-নিরীক্ষার অগ্রগতি ও ফলাফল সম্পর্কে 25[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতকে] নির্ধারিত সময়ে অবহিত করিবে।
৩৪। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তকালে যদি তদন্তকারী অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তির নিকট উক্ত অপরাধের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পত্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার হস্তান্তর তদন্ত কার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদানের জন্য, তিনি 26[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারী ও যাহার বিরুদ্ধে আবেদন করা হইয়াছে তাহাকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া 27[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবেন এবং যদি তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান যুক্তিসংগত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন:
তবে শর্ত থাকে, ৩ (তিন) মাসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন না হইলে 28[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] আবেদনকারী অফিসারের আবেদনের ভিত্তিতে উক্ত সময় অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন:
আরও শর্ত থাকে যে, উভয় পক্ষের শুনানির পর আবেদনটির নিষ্পত্তিসাপেক্ষে বিশেষ কারণে কেবল আবেদনকারীকে শুনানি প্রদান করিয়া 29[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটির ব্যাপারে সাময়িক আদেশ জারি করিতে পারিবে।
(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দায়েরকৃত কোনো মামলা চলাকালীন অভিযোগকারী যদি এই মর্মে আবেদন করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণিত হইলে তাহার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার প্রয়োজন হইবে এবং সেই কারণে তাহার সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার লেনদেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদান প্রয়োজন, তাহা হইলে 30[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] উভয়পক্ষকে যুক্তিসংগত শুনানির সুযোগ দান করিয়া, প্রয়োজনবোধে, উক্তরূপ আদেশ প্রদান করিবে।
পঞ্চম অধ্যায়
অপরাধ ও দণ্ড
৩৬। (১) কোনো ব্যক্তি যদি নিম্নের সারণির ২য় কলামে উল্লিখিত কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এবং ১০ এর কোনো বিধান লঙ্ঘন করে তাহা হইলে তিনি উক্ত সারণির কলাম ৩ এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, যথা:-
সারণি
ক্রমিক
|
মাদকদ্রব্যের নাম এবং অপরাধের বিবরণ
|
দণ্ডের প্রকার
|
(১)
|
(২)
|
(৩)
|
১। |
প্রথম তপশিলের ক শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়াম পপি গাছ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
(ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০টি হইলে অন্যূন ১(এক) বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) গাছের সংখ্যা ১০ এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০(দশ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) গাছের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ (দশ) বৎসর, এবং অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
২। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়ম পপি ফল সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) ফলের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ১(এক) বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) ফলের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০ (পাচশত) টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) ফলের সংখ্যা ৫০০ (পাঁচশত) টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ (দশ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
৩। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়ম পপি বীজ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ গ্রাম হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড; (খ) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ ১০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ ৫০(পঞ্চাশ) গ্রামের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন |
৪। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত কোকা গাছ অথবা কোকা গুল্ম সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
(ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০টি হইলে অন্যূন (খ) গাছের সংখ্যা ১০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব (গ) গাছের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
৫। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত কোকা পাতা সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) পাতার পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর, কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) পাতার পরিমাণ ১০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০০ গ্রাম হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) পাতার পরিমাণ ১০০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
৬। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়াম ফল নিঃসৃত আঠাল পদার্থ কিংবা পরিশোধিত, অপরিশোধিত কিংবা তৈরিকৃত যে-কোনো ধরনের আফিম কিংবা আসক্তি সৃষ্টিতে সক্ষম আফিম সহযোগে তৈরি যে-কোনো পদার্থ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন (খ) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০০ গ্রাম অথবা মিলি লিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ ১০০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনের) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
৭। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
৮। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ)বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ (পচিশ) গ্রাম অথবা মিলি লিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
৯। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
১০। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৪০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৪০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
১১। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৬ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১ এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
১২। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৬নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের এর ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
১৩। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৭ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০০ গ্রাম অথবা মি.লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
১৪। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৭ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
১৫। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৮ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ (গ) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ |
১৬। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (গ) 31[অথবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ)] এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ৩ (তিন) মাস, অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
১৭। |
প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) কিংবা উপ-ধারা (২)-এর দফা (ঘ) এবং উপ-ধারা (৪) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ৩ (তিন) মাস, অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
১৮। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত গাঁজা অথবা ভাং গাছ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
(ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ৫০টি হইলে অন্যূন (খ) গাছের সংখ্যা ৫০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০টি হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড; (গ) গাছের সংখ্যা ৫০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
১৯। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত গাঁজা অথবা ভাং গাছের শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল অথবা ইত্যাদি সহযোগে প্রস্তুত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১৫ কেজি হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২০। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব |
২১। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির (৩ নং ক্রমিকে উল্লিখিত মাদকদ্রব্য ব্যতীত) কোনো মাদকদ্রব্যের সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (গ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ৩ (তিন) মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২২। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির (৩ নং ক্রমিকে উল্লিখিত মাদকদ্রব্য ব্যতীত) কোনো মাদকদ্রব্যের সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২৩। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২৪। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) (ঘ) অথবা (ঙ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর অনূর্ধ্ব (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০০ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২৫। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (চ) এর লঙ্ঘন |
অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। |
২৬। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ছ) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২৭। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (জ) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২৮। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে 32[ধারা ৯] এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
২৯। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ) অথবা (ঘ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব |
৩০। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন। |
অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। |
৩১। |
প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ) অথবা (ঘ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৩ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৩ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইতে ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব |
৩২। |
প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ১ ও ২ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ), (ঘ) অথবা (ঙ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০ কেজি অথবা লিটার হইলে অনূর্ধ্ব ১ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ২ বৎসর অনূর্ধ্ব |
৩৩। |
প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইতে ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব |
৩৪। |
প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন। |
(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; (খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর অন্যূন (গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব |
(২) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দণ্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য এই আইনে সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দ্বিতীয়বার দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দন্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো 33[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে] যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকসেবন ব্যতীত অন্য কোনোরূপ মাদক অপরাধী হিসাবে প্রতীয়মান না হন, তাহা হইলে উক্ত আদালত উক্ত ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিবেচনাপূর্বক যে-কোনো মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রে স্বীয় অথবা পরিবারের ব্যয়ের মাদকাসক্তি চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং যদি উক্ত মাদকাসক্ত ব্যক্তি এইরূপ মাদকাসক্তির চিকিৎসা গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(৫) কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান কিংবা যে-কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট অথবা বিরক্তিকর কোনো আচরণ করিলে কিংবা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা করিলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(৬) কোনো সরকারি যানবাহনের চালক যানবাহন ব্যবহারকারী অফিসারের অনুপস্থিতিতে গাড়িতে মাদকদ্রব্য পরিবহণের সময় যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক হাতেনাতে আটক হন, তাহা হইলে তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুযায়ী আইনানুগ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
34[মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার]
35[৪৪। (১) এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, উহার এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য, কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধ বিচারের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করিবেন।]
৪৭৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হইবে না, যদি-
(ক) তাহাকে মুক্তি প্রদানের আবেদনের উপর রাষ্ট্র বা, ক্ষেত্রমত, অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান করা না হয়; এবং
(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে মর্মে 37[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] সন্তুষ্ট হন; অথবা
(গ) তিনি নারী বা শিশু অথবা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ না হন এবং তাহাকে জামিনে মুক্তি প্রদানের কারণে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে 38[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] সন্তুষ্ট না হয়।
(২) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্ত সমাপ্তির পর, তদন্ত প্রতিবেদন বা সেই সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে যদি 39[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] বা, ক্ষেত্রমত, আপিল আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো ব্যক্তি উক্ত অপরাধের সহিত জড়িত নহেন বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে 40[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] বা আপিল আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্য ও কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
41[৪৮। এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক কারাদণ্ড না হইলে, সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে।]
৪৯৷ 42[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে] মামলার বিচারকার্য আরম্ভ হইলে উহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম চলিবে, তবে 43[উক্ত আদালত] যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারকার্য মুলতবি করা একান্ত প্রয়োজন, তাহা হইলে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য, যাহা তিন কার্য দিবসের অধিক হইবে না, বিচারকার্য মুলতবি করা যাইবে।
44[৫০। এই আইনের অন্য কোনো বিধান অথবা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলার মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত অন্য কোনো অপরাধ যদি এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্ত অন্য অপরাধের বিচার বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত একই সঙ্গে হওয়া উচিত, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটি বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত, যতদূর সম্ভব, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে একই সঙ্গে বিচার্য হইবে।]
৫১৷ 45[(১) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নববই) কার্যদিবসের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার সমাপ্ত করিতে হইবে।]
(২) কোনো অনিবার্য কারণে উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোনো বিচার সমাপ্ত করা সম্ভব না হইলে, 46[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে বিচার সমাপ্ত করিতে পারিবে এবং তৎসম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে ৷
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বর্ধিত সময়ের মধ্যেও যদি যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণে কোনো বিচার কার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে 47[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিচার কার্য সমাপ্তির জন্য সর্বশেষ আরও ১৫ (পনেরো) কার্যদিবস সময় বর্ধিত করিতে পারিবে এবং এইরূপ সময় বর্ধিতকরণ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বর্ধিত সময়ের মধ্যে আবশ্যিকভাবে বিচার কার্য সমাপ্ত করিতে হইবে।
48[৫৩। এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে, রায় প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে, আপিল করা যাইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, রায়ের জাবেদা নকল পাওয়ার জন্য যে সময় অতিবাহিত হইবে উহা উক্ত সময় হইতে কর্তন করিতে হইবে।]
৫৪। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মাদকদ্রব্য অপরাধের অভিযোগ (এফ আই আর) দায়ের, তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার ও 49[আপিল] নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।
50[৫৫। যদি কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন, অন্য কোনোভাবে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা প্রয়োগ অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, ভিন্নতর প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, এই আইন লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।]
সপ্তম অধ্যায়
বিবিধ