প্রিন্ট ভিউ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ৬৩ নং আইন )

মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে বিধান প্রণয়নের জন্য প্রণীত আইন
যেহেতু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ রহিতক্রমে, মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান সংবলিত একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখ হইতে এই আইন কার্যকর হইবে।
 
এস, আর, ও নং ৩৬২-আইন/২০১৮, তারিখঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ইং দ্বারা ১৩ পৌষ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

 

(১) ‘অধিদপ্তর’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর;

 

(২) ‘অ্যাগনিস্ট (Agonist)’ অর্থ এইরূপ কোনো বস্তু যাহা তপশিলে উল্লিখিত কোনো মাদকদ্রব্যের রাসায়নিক গঠনের অনুরূপ গঠনবিশিষ্ট বস্তু না হওয়া সত্ত্বেও আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে উক্ত বস্তুর মতো একইভাবে কার্যকর;

 

(৩) ‘অ্যানালগ (Analogue)’ অর্থ তপশিলের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই এইরূপ বস্তু, যাহার রাসায়নিক সংগঠন তপশিলের অন্তর্গত কোনো মাদকের রাসায়নিক সংগঠনের অনুরূপ এবং যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক কার্যক্রম একই রকম;

 

(৪) ‘অ্যালকালয়েড (Alkaloid)’ অর্থ তপশিলের উল্লিখিত কোনো বস্তু বা মাদকদ্রব্য হইতে রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনো বস্তু যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া মূল মাদকদ্রব্য বা মাদকজাতীয় বস্তুটির অনুরূপ;

 

(৫) ‘অ্যালকোহল (Alcohol)’ অর্থ 1[হাইড্রোকার্বনজাত হাইড্রোক্সিল (OH-] মূলকসম্বলিত কোনো জৈব যৌগ অথবা তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্যের ক্রমিক নং ৩ এবং ‘গ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্যের ক্রমিক নং ১ ও ২ এ উল্লিখিত কোনো তরল পদার্থ;

 

(৬) ‘আইসোমার (Isomer)’ অর্থ দুই বা ততোধিক সমগোত্রীয় পদার্থের যেকোনো একটি, যাহা একই উপাদান দ্বারা একই আনুপাতিক হারে গঠিত, কিন্তু উহাতে পারমাণবিক বিন্যাসের তারতম্যের কারণে কতিপয় গুণগত বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রহিয়াছে;

 

(৭) ‘উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্যকে কোনো বস্তু হইতে সংগ্রহ, পরিশোধন, রাসায়নিক বিন্যাস ও বিশ্লেষণ, তৈরি, উহার সহিত কোনো কিছু দ্রবীভূত অথবা মিশ্রিত করা, উহাকে অন্য কোনো মাদকদ্রব্য, কিংবা উহার উপজাত দ্রব্য অথবা যৌগ কিংবা উহা হইতে উদ্ভূত অথবা প্রস্তুতকৃত কোনো পদার্থ (যাহাতে উক্ত পদার্থ উহার রাসায়নিক গুণাগুণ ও মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ক্ষমতাসহ বিদ্যমান) কিংবা উহার কোনো অ্যালকালয়েড, সল্ট, আইসোমার, অ্যানালগ কিংবা অ্যাগনিস্ট যে বাণিজ্যিক নামে অথবা আকারেই থাকুক নামে অথবা আকারেই থাকুক না কেন ইত্যাদিতে রূপান্তরিত করা কিংবা উহা নির্দিষ্ট পরিমাণ ও মাত্রায় বিভাজন ও বিন্যস্ত করা;

 

2[(৭ক) ‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’ অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী, ক্ষেত্রমত, অপরাধ আমলে গ্রহণের অথবা বিচারের এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো আদালত;]

 

(৮) ‘ওয়াশ (Wash)’ অর্থ শর্করা কিংবা শ্বেতসার অথবা সেলুলোজসংবলিত যেকোনো বস্তুকে পানি ও অন্যান্য উপকরণ সহযোগে গাঁজানোর মাধ্যমে উৎপন্ন অ্যালকোহল মিশ্রিত কোনো দ্রবণ;

 

(৯) ‘ক’শ্রেণির মাদকদ্রব্য, ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য ও ‘গ’শ্রেণির মাদকদ্রব্য অর্থ তপশিলে উল্লিখিত যথাক্রমে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য;

 

(১০) ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার’ অর্থ ধারা ২৩ এ উল্লিখিত কোনো অফিসার;

 

(১১) ‘চাষাবাদ’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্যের উৎস হইতে পারে এইরূপ কোনো উদ্ভিদের বীজ বপন, চারা রোপণ, কলমকরণ, চারা উৎপাদন এবং তাহা হইতে মাদকদ্রব্যের কাঁচামাল, উপাদান, উপকরণ সংগ্রহ করা;

 

(১২) ‘চিকিৎসক’ অর্থ বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, 2010 (2010 সনের 61 নং আইন) এর ধারা 2 এর দফা (16) এবং (18) এ সংজ্ঞায়িত যথাক্রমে স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক ও স্বীকৃত মেডিক্যাল চিকিৎসক; এবং Bangladesh Homeopathe Practitioners Ordinance, 1983 (Ordinance XLI of 1983) অনুসারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী ব্যক্তি এবং Bangladesh Veterinary Practitioner Ordinance, 1982 (XXX of 1982) এর section 2(g) তে সংজ্ঞায়িত Registered Veterinary Practitioner;

 

(১৩) ‘তপশিল’ অর্থ এই আইনের সহিত সংযুক্ত কোনো তপশিল;

 

(১৪) ‘দখল অথবা ধারণ’ অর্থ কোনো পদার্থ অথবা উপকরণ অথবা বস্তু সজ্ঞানে কোনো ব্যক্তির অঙ্গপ্রতঙ্গে, পোশাকে অথবা মালিকানায় অথবা স্বত্বাধিকারে, নিয়ন্ত্রণে অথবা কর্তৃত্বে থাকা অথবা কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনোকিছু সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, দখল অথবা ধারণ করা;

 

(১৫) ‘নিয়ন্ত্রিত বিলি (Control Delivery)’ অর্থ কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করিবার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিশেষ তদন্ত কৌশল, যাহাতে কোনো মাদকদ্রব্য, উহার উৎসবস্তু, উপাদান অথবা মিশ্রণের বেআইনি অথবা সন্দেহজনক চালানকে তদন্তের ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো আইন প্রায়োগকারী সংস্থার (সরকারের) জ্ঞাতসারে ও তত্ত্বাবধানে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পরিবহন ও বিতরণ অথবা হস্তান্তর করিতে দেওয়া যাহার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত উক্ত মাদকদ্রব্যের উৎস হইতে গন্তব্য পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সহিত জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করা যায়;

 

(১৬) ‘পারমিট’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো পারমিট;

 

(১৭) ‘পাস’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো পাস;

 

(১৮) ‘পুনর্বাসন’ অর্থ এমন কোনো কার্যক্রম অথবা কর্মসূচি যাহার মাধ্যমে কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা;

 

(১৯) ‘প্রিকারসর কেমিক্যালস (Precursor Chemicals)’ অর্থ তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য অংশের ৮ নং ক্রমিকে উল্লিখিত এবং সময়ে সময়ে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোনো প্রিকারসর কেমিক্যালস যাহা মাদকদ্রব্য উৎপাদনের উপাদান অথবা উপকরণ হিসাবে অপব্যবহৃত হইতে পারে;

 

(২০) ‘ফৌজদারী কার্যবিধি’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);

 

(২১) ‘বাহন’ অর্থ বিমান, মোটরযান, জলযান এবং রেলগাড়িসহ যেকোনো প্রকারের বাহন;

 

(২২) ‘বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু’ অর্থ ধারা ২৬ এ উল্লিখিত কোনো দ্রব্য বা বস্তু বা মাদকদ্রব্য;

 

(২৩) ‘বিধি’ অর্থ ধারা ৬৮ এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি;

 

(২৪) ‘বিয়ার’ অর্থ মল্ট ও হপস্ সহযোগে ব্রিউইং (Brewing) পদ্ধতিতে ব্রিউয়ারিতে প্রস্তুতকৃত অন্যূন ০.৫% (দশমিক পাঁচ শতাংশ) অ্যালকোহলযুক্ত কোনো পানীয়;

 

(২৫) ‘ব্রিউয়ারি’ অর্থ বিয়ার অথবা বিয়ারের গুণাগুণসম্পন্ন যে-কোনো তরল পদার্থ প্রস্তুতের স্থাপনা, যন্ত্রপাতি, কারখানা অথবা কেন্দ্র;

 

3[(২৬) ‘ব্যক্তি’ অর্থে যে কোনো কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ অথবা অনুরূপ সংঘ বা সমিতিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;]

 

(২৭) ‘ব্যবস্থাপত্র’ অর্থ রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসকের প্রদেয় লিখিত ঔষধের ফর্দ, কিংবা ব্যবহার বিধি, অথবা নির্দেশনাপত্র;

 

(২৮) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;

 

(২৯) ‘মাদকদ্রব্য’ অর্থ-

 

(ক) প্রথম তপশিলে উল্লিখিত কোনো দ্রব্য; বা

 

(খ) মাদকদ্রব্যের সহিত অন্য যে-কোনো দ্রব্য একীভূত, মিশ্রিত, কিংবা দ্রবীভূত থাকিলে উহাদের সমুদয় কোনো দ্রব্য;

 

(৩০) ‘মাদকদ্রব্য অপরাধ’ অর্থ এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ;

 

(৩১) ‘মাদকাসক্ত’ অর্থ শারীরিক অথবা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের উপর নির্ভরশীল কোনো ব্যক্তি অথবা অভ্যাসবশে মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারী অথবা সেবনকারী কোনো ব্যক্তি;

 

(৩২) ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র’ অর্থ এই আইনের অধীন সরকারি খাতে স্থাপিত বা ঘোষিত অথবা বেসরকারি খাতে অনুমোদিত কোনো মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র;

 

4[***]

 

(৩৪) ‘লাইসেন্স’ অর্থ ধারা ১৩ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স; 5[এবং]

 

(৩৫) ‘সম্পদ’ অর্থ বিনিময় মূল্য রহিয়াছে এমন যে-কোনো স্থাবর-অস্থাবর বস্তু, গ্রন্থস্বত্ব (Copyright), সুনাম (Goodwill), কর্তৃত্ব, ক্ষমতা, স্বত্ব, অংশীদারিত্ব বা অনুরূপ কোনো বিষয় 6[।]

 

7[***]

আইনের প্রাধান্য
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
৪। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর ধারা ৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এমনভাবে বহাল ও কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীনে স্থাপিত হইয়াছে।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়
৫। (১) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে ।
 
(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, দেশের যে কোনো স্থানে অধিদপ্তরের অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
অধিদপ্তরের কার্যাবলি
৬। অধিদপ্তরের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
(ক) মাদকদ্রব্য-সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
(খ) মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য যে কোনো ধরনের গবেষণা বা জরিপ পরিচালনা;
 
(গ) মাদকদ্রব্য উৎপাদন, সরবরাহ, ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
(ঘ) মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
(ঙ) মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রচারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
 
(চ) মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং এতৎসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন;
 
(ছ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে-কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং
 
(জ) সরকার কর্তৃক সময় সময় উহার উপর অর্পিত অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন।
মহাপরিচালক
৭। (১) অধিদপ্তরের একজন মহাপরিচালক থাকিবে এবং তিনি অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী হইবেন।
 
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবে এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
কর্মচারী নিয়োগ
৮। সরকার অধিদপ্তরের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে তৎকর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিসহ চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

তৃতীয় অধ্যায়

মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ (লাইসেন্স, পারমিট বা পাস)

অ্যালকোহল ব্যতীত অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, ইত্যাদি নিষিদ্ধ
৯। (১) অ্যালকোহল ব্যতীত অন্যান্য মাদকদ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্যের উৎপাদন অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত হয় এইরূপ কোনো দ্রব্য অথবা উদ্ভিদের,-
 
(ক) চাষাবাদ, উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন বা স্থানান্তর; এবং আমদানি বা রপ্তানি করা যাইবে না;
 
(খ) সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলামকরণ, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ ও প্রদর্শন করা যাইবে না;
 
(গ) সেবন, প্রয়োগ অথবা ব্যবহার করা যাইবে না; এবং
 
(ঘ) দফা (ক) হইতে (গ) পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উদ্দেশ্যে কোনো প্রচেষ্টা অথবা উদ্যোগ গ্রহণ, অর্থ বিনিয়োগ, কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন অথবা পরিচালনা কিংবা উহার পৃষ্ঠপোষকতা, কিংবা মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করা যাইবে না।
 
(২) কোনো মাদকদ্রব্যের উপাদান অথবা উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় অথবা হইতে পারে এইরূপ কোনো প্রিকারসর কেমিক্যালসের-
 
(ক) উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ; বহন, পরিবহন বা স্থানান্তর; এবং আমদানি বা রপ্তানি করা যাইবে না;
 
(খ) সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলাম করা, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ ও প্রদর্শন করা যাইবে না;
 
(গ) সেবন, প্রয়োগ অথবা ব্যবহার করা যাইবে না; এবং
 
(ঘ) দফা (ক) হইতে (গ) পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উদ্দেশ্যে কোনো প্রচেষ্টা অথবা উদ্যোগ গ্রহণ, অর্থ বিনিয়োগ, কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন অথবা পরিচালনা, কিংবা উহার পৃষ্ঠপোষকতা, কিংবা মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করা যাইবে না।
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো মাদকদ্রব্য, দ্রব্য অথবা উদ্ভিদ অথবা প্রিকারসর কেমিক্যালস কোনো আইনের অধীন অনুমোদিত কোনো ঔষধ প্রস্তুতে, শিল্পে ব্যবহার, চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কিংবা মহাপরিচালক কর্তৃক অনুমোদিত কোনো বৈধ কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন হইলে উহা এই আইনের অধীন প্রদত্ত-
 
(ক) লাইসেন্সবলে চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, স্থানান্তর, আমদানি, রপ্তানি, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন অথবা ব্যবহার করা যাইবে;
 
(খ) পারমিটবলে সেবন, প্রয়োগ অথবা ব্যবহার করা যাইবে; এবং
 
(গ) পাসবলে বহন অথবা পরিবহন করা যাইবে:
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের কোনো বিধান প্রতিপালনের নিমিত্ত, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো আইন প্রায়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য দায়িত্ব পালনকালে যুক্তিসংগতভাবে যথাযথ এবং বৈধ কাগজপত্র অথবা দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তপশিলে উল্লিখিত কোনো বস্তু বহন, পরিবহন, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, নিলামকরণ, নিয়ন্ত্রিত বিলিবন্দেজ, ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
 
(৪) উপ-ধারা ৩ এর অধীন উৎপাদিত, প্রক্রিয়াজাত এবং আমদানিকৃত মাদকদ্রব্যের মোড়ক ও লেবেলের উপর উহার অপব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে সর্তকবাণী স্পষ্ট অক্ষরে মুদ্রণ অথবা ছাপাংঙ্কন করিতে হইবে।
 
(৫) যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত কোনো জলযান, আকাশযান অথবা স্থলযানে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে চিকিৎসকের নিয়ন্ত্রণে রক্ষিত প্রাথমিক চিকিৎসাবাক্সে, যদি থাকে, সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পরিমাণ ঔষধ হিসাবে ব্যবহারযোগ্য মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ, বহন, পরিবহন, প্রয়োগ ও ব্যবহার করিবার ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
অ্যালকোহল উৎপাদন, ইত্যাদি সম্পর্কে বিধি-নিষেধ
১০। (১) কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স, পারমিট বা পাস ব্যতিরেকে নিম্নবর্ণিত কোনো কার্য করিতে পারিবে না, যথা:-
 
‌‌(ক) কোনো ডিস্টিলারি অথবা ব্রিউয়ারি স্থাপন;
 
(খ) কোনো অ্যালকোহল উৎপাদন অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণ;
 
(গ) কোনো অ্যালকোহল বহন, পরিবহন, আমদানি অথবা রপ্তানি;
 
(ঘ) কোনো অ্যালকোহল সরবরাহ, বিপণণ, ক্রয় অথবা বিক্রয়;
 
(ঙ) কোনো অ্যালকোহল ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ অথবা প্রদর্শন;
 
(চ) কোনো অ্যালকোহল সেবন, প্রয়োগ ও ব্যবহার;
 
(ছ) কোনো অ্যালকোহল জাতীয় ঔষধ প্রস্তুতের উপাদান হিসাবে ব্যবহার; এবং
 
(জ) দফা (ক) হইতে (ছ) পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উদ্দেশ্যে কোনো প্রচেষ্টা অথবা উদ্যোগ গ্রহণ, অর্থ বিনিয়োগ, কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা, উহার পৃষ্ঠপোষকতা, কিংবা মিথ্যা ঘোষণা (Misdeclaration) প্রদান।
 
ব্যাখ্যা: এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘ডিস্টিলারি (Distillery)’ বলিতে অ্যালকোহল উৎপাদনের যে কোনো স্থাপনা অথবা কারখানাকে বুঝাইবে।
 
(২) উপ-ধারা (১)-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের কোনো বিধান প্রতিপালনের জন্য, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো আইন প্রায়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যের নিকট সরকারি দায়িত্ব পালনকালে যুক্তিসংগতভাবে যথাযথ এবং বৈধ কাগজপত্র অথবা দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে অ্যালকোহল বহন, পরিবহন, ধারণ, অধিকার অথবা দখল, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, নিলামকরণ, ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে, এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
অ্যালকোহল পান, ইত্যাদি সম্পর্কে বিধি-নিষেধ
১১। (১) পারমিট ব্যতীত কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করিতে পারিবেন না এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অন্যূন কোনো সহযোগী অধ্যাপকের লিখিত ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো মুসলমানকে অ্যালকোহল পান করিবার জন্য পারমিট প্রদান করা যাইবে না।
 
(২) মুচি, মেথর, ডোম, চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কর্তৃক তাড়ি ও পচুঁই পান করিবার ক্ষেত্রে এবং রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাসমূহ এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কর্তৃক ঐতিহ্যগতভাবে প্রচলিত অথবা প্রস্তুতকৃত মদ পান করিবার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন-
 
(ক) লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার-এ বসিয়া বিদেশি ও পারমিটধারী দেশিয় নাগরিকগণ অ্যালকোহল পান করিতে পারিবেন; এবং
 
(খ) কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী বিদেশি নাগরিকরা শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পাস বইধারী অথবা প্রচলিত ব্যাগেজ রুলসের দ্বারা স্বীকৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, অ্যালকোহল আমদানি, রপ্তানি, ক্রয়, বহন, সংরক্ষণ অথবা পানের ব্যাপারে কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
 
(৪) অ্যালকোহল সংক্রান্ত সকল শুল্কমুক্ত কার্যক্রম (Duty Free Operations) এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সবলে সম্পাদিত হইবে।
মাদকদ্রব্যের ব্যবস্থাপত্র প্রদান সম্পর্কে বিধি-নিষেধ
১২। (১) চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য ঔষধ হিসাবে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করিতে পারিবেন না।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্রের ভিত্তিতে একবারের অধিক মাদকদ্রব্য ক্রয় করা যাইবে না।
লাইসেন্স, ইত্যাদি
১৩। (১) লাইসেন্স, পারমিট ও পাস বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ফরমে, শর্তে এবং ফিস প্রদান সাপেক্ষে মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার কর্তৃক প্রদান করা যাইবে।
 
(২) লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের মেয়াদ উহাতে উল্লিখিত শর্তে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অথবা উহার প্রদানের তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসর সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে:
 
তবে শর্ত থাকে, কোনো লাইসেন্স অথবা পারমিট একাদিক্রমে ৩ (তিন) বৎসর নবায়ন না করা হইলে উহা পুনরায় নবায়নের যোগ্য হইবে না।
লাইসেন্স, ইত্যাদি প্রদানের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ
১৪। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স অথবা পারমিট প্রাপ্তির যোগ্য হইবেন না, যদি-
 
(ক) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে, অথবা ৫০০ (পাঁচশত) টাকার অধিক অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হন এবং দণ্ডের টাকা আদায় করিবার পর ৫ (পাঁচ) বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
 
(খ) তিনি কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হন; এবং
 
(গ) তিনি লাইসেন্স অথবা পারমিটের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন এবং সেইজন্য তাহার উক্ত লাইসেন্স অথবা পারমিট বাতিল হইয়া যায়।
লাইসেন্স, ইত্যাদির শর্ত ভঙ্গের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা
১৫। (১) কোনো ব্যক্তি কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের শর্ত ভঙ্গ করিলে লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস প্রদানকারী অফিসার-
 
(ক) প্রথমবার শর্ত ভঙ্গের ক্ষেত্রে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে ভবিষ্যতে এইরূপ শর্ত লঙ্ঘন না করিবার জন্য হলফনামার মাধ্যমে অঙ্গীকার অথবা মুচলেকা গ্রহণ করিয়া অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়পূর্বক উক্ত অভিযোগের আপোষ নিষ্পত্তি করিতে পারিবে;
 
(খ) দ্বিতীয়বার শর্তভঙ্গের ক্ষেত্রে, লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস বাতিল করিতে পারিবে।
 
(২) লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের শর্ত ভঙ্গজনিত অভিযোগের জন্য যদি কোনো ব্যক্তির দখল হইতে কোনো বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু জব্দ করা হয় এবং উক্ত ব্যক্তির উক্ত অভিযোগটি যদি উপ-ধারা (১)(ক) এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করা হয় এবং উক্ত ব্যক্তি যদি উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু সংরক্ষণের জন্য আইনগতভাবে বৈধ অধিকারপ্রাপ্ত হন, তাহা হইলে আটককারী অফিসার তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসারের অনুমোদনক্রমে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু বাজেয়াপ্ত না করিয়া বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার প্রচলিত বাজারমূল্য নির্ধারণ করিয়া সমপরিমাণ অর্থ আদায়পূর্বক উহা উক্ত ব্যক্তির অনুকূলে হস্তান্তর করিতে পারিবে এবং আদায়কৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করিতে হইবে।
লাইসেন্স, ইত্যাদি বাতিল
১৬। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন অথবা যদি কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসধারী ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দণ্ডিত হন, তাহা হইলে লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস প্রদানকারী অফিসার তাহাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস বাতিল করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে-
 
(ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালকের অধস্তন কোনো অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে মহাপরিচালকের নিকট আপিল করিতে পারিবে; এবং
 
(খ) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবে।
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত আপিল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না।
লাইসেন্স, ইত্যাদি সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ
১৭। (১) লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস প্রদানকারী কোনো অফিসারের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসের শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করা হইতেছে না, তাহা হইলে উক্ত অফিসার লিখিত আদেশ দ্বারা এই আইনের অধীন অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাস অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে।
 
(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে-
 
(ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালকের অধস্তন কোনো অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে মহাপরিচালকের নিকট আপিল করিতে পারিবে; এবং
 
(খ) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবে।
 
(৩) উপ-ধারা (২)-এ উল্লিখিত আপিল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না।
কতিপয় লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ
১৮। (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৯ ব্যতীত অন্য কোনো ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র অথবা যানবাহন চালকের লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে না এবং তাহার উক্তরূপ কোনো লাইসেন্স থাকিলে উহা বাতিল হইয়া যাইবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যক্তির লাইসেন্স বাতিল হইলে তিনি অথবা ক্ষেত্রমতে, তত্ত্বাবধায়ক অথবা অভিভাবক লাইসেন্স বাতিল হইবার দিন হইতে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে লাইসেন্স প্রদানকারী অফিসার অথবা নিকটস্থ থানায় জমা প্রদান করিবেন এবং যদি লাইসেন্সটি আগ্নেয়াস্ত্র-এর জন্য হয়, তাহা হইলে আগ্নেয়াস্ত্রটি তৎসহ জমা প্রদান করিতে হইবে।
মাদকদ্রব্যের দোকান অথবা পানশালা (Bar) সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করিবার ক্ষমতা
১৯। (১) মহাপরিচালকের অনুমোদন ব্যতীত লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো মদের দোকান অথবা পানশালা বন্ধ করা যাইবে না:
 
তবে শর্ত থাকে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে তাঁহার অধীন কোনো এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কোনো মাদকদ্রব্যের দোকান বা পানশালা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের জন্য উক্ত দোকান বা পানশালা বন্ধ করিতে পারিবেন।
 
(২) বিশেষ জরুরি অবস্থায় মহাপরিচালকের পূর্বানুমোদনক্রমে এই মেয়াদ আরও ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবেন।
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন জারিকৃত কোনো আদেশের অনুলিপি অবিলম্বে মহাপরিচালকের নিকট তাঁহার অবগতির জন্য প্রেরণ করিতে হইবে।

চতুর্থ অধ্যায়

মাদকদ্রব্য প্রতিরোধের ক্ষমতাসমূহ

প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা
২০। মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার বিধির বিধান সাপেক্ষে-
 
(ক) কোনো মাদকদ্রব্য লাইসেন্সবলে প্রস্তুত অথবা গুদামজাত করা হইয়াছে অথবা হইতেছে এইরূপ যে-কোনো স্থানে যে-কোনো সময় প্রবেশ করিতে এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবে;
 
(খ) লাইসেন্সবলে প্রস্তুত অথবা সংগৃহীত মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য যে দোকানে মজুত রাখা হইয়াছে সেই দোকানে, দোকান খোলা রাখিবার সাধারণ সময়ে প্রবেশ করিতে পারিবে এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবে;
 
(গ) দফা (ক) ও (খ) এ উল্লিখিত স্থান অথবা দোকানে,-
 
(অ) রক্ষিত হিসাববহি অথবা নিবন্ধনবহি পরীক্ষা করিতে পারিবে;
 
(আ) প্রাপ্ত মাদকদ্রব্য, মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও তৈজসপত্র পরীক্ষা, ওজন ও পরিমাপ করিতে পারিবে;
 
(ই) উপ-দফা (অ) ও (আ) এ উল্লিখিত কোনো কিছু বেআইনি অথবা ত্রুটিপূর্ণ প্রাপ্ত হইলে অথবা বিবেচিত হইলে উহা জব্দ করিতে পারিবে।
প্রকাশ্য স্থান, ইত্যাদিতে আটক অথবা গ্রেফতারের ক্ষমতা
২১। যদি কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যেকোনো প্রকাশ্য স্থানে অথবা কোনো চলাচলকারী যানবাহনে,-
 
(ক) এই আইনের পরিপন্থি কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু অথবা কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণের সহায়ক কোনো দলিলদস্তাবেজ রক্ষিত রহিয়াছে, তাহা হইলে, তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত মাদকদ্রব্য, বস্তু অথবা দলিলদস্তাবেজ তল্লাশি করিয়া জব্দ করিতে পারিবেন; এবং
 
(খ) মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনকারী অথবা সংঘটনে উদ্যত কোনো ব্যক্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি তাহাকে আটকপূর্বক তল্লাশি করিয়া দলিল দস্তাবেজ প্রাপ্ত হইলে তাহাকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
তল্লাশি, ইত্যাদির পদ্ধতি
২২। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জারিকৃত সকল পরোয়ানা, তল্লাশি, গ্রেফতার, ক্রোক, বাজেয়াপ্তি ও আটকের বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।
পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, ইত্যাদির ক্ষমতা

২৩। (১) মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার, অথবা পুলিশের উপ-পরিদর্শক অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা 8[কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা] অথবা সমমানসম্পন্ন অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ল্যান্স নায়ক অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসার অথবা কোস্ট গার্ড বাহিনীর পেটি অফিসার অথবা তদূর্ধ্ব কোনো অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কোনো কারণ থাকে যে, কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ কোনো স্থানে সংঘটিত হইয়াছে, হইতেছে অথবা হইবার আশংকা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া লাইসেন্স প্রিমিজেস ব্যতীত, যে কোনো সময়-

 

(ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে, বাধা অপসারণের জন্য দরজা-জানালা ভাঙ্গাসহ যে-কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;

 

(খ) উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু এই আইনের অধীন আটক অথবা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু এবং কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল, দস্তাবেজ অথবা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন;

 

(গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে-কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করিতে পারিবে; এবং

 

(ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তিকে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করিয়াছেন অথবা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।

 

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি পরিচালনা না করিলে মাদকদ্রব্য অপরাধ সম্পর্কীয় কোনো বস্তু নষ্ট অথবা লুপ্ত হইবার অথবা অপরাধী পালাইয়া যাইবার আশংকা রহিয়াছে বলিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোনো অফিসারের বিশ্বাস করিবার সংগত কারণ থাকিলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করিতে পারিবে।

দেহ তল্লাশির জন্য বিশেষ পরীক্ষা
২৪। (১) এই আইনের অধীন কোনো তদন্ত অথবা তল্লাশি পরিচালনাকালে কোনো অফিসারের যদি ইহা বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে কোনো ব্যক্তি তাহার শরীরের কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মাদকদ্রব্য লুকাইয়া রাখিয়াছেন, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি তাহাকে তাহার শরীরের এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, এন্ডোসকপি, কোলনস্কপি কিংবা রক্ত ও মলমূত্রসহ অন্য যে-কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিবার নিমিত্তে নিজেকে সমর্পণ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ অমান্য করিলে নির্দেশ প্রদানকারী অফিসার তাহাকে নির্দেশ পালনে বাধ্য করিবার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে পরীক্ষার পর কোনো ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যদি কোনো মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি সনাক্ত হয়, তাহা হইলে তাহাকে প্রযোজ্যক্ষেত্রে ধারা ৩৬ এর সারণির ক্রমিক নম্বর ৬ হইতে ১১ কিংবা ১৩ হইতে ২০ এর বিধান অনুযায়ী দণ্ডিত মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য গ্রেফতার করা যাইবে।
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে পরীক্ষার পর যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো মাদকদ্রব্য গ্রহণের, সেবনের, ব্যবহারের অথবা প্রয়োগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় এবং উহা যদি ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) কিংবা ধারা ১০ এর (চ) এর বিধান লঙ্ঘনকারী হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে ধারা ৩৬ এর সারণি ক্রমিক নম্বর ১৬, ২১, ২৫, ২৯ অথবা ৩১ অনুসারে শাস্তিযোগ্য মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা যাইবে।
 
(৪) মাদকাসক্ত ব্যক্তি শনাক্ত করিবার প্রয়োজনে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডোপ টেস্ট (Dope Test) করা যাইবে। ডোপ টেস্ট (Dope Test) পজেটিভ হইলে ধারা ৩৬(৪) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
আটক, ইত্যাদি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন অফিসারকে অবহিতকরণ
২৫। এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে অথবা কোনো বস্তু জব্দ করা হইলে, গ্রেফতারকারী অথবা আটককারী অফিসার তৎসম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাহার ঊর্ধ্বতন অফিসারকে অবহিত করিবেন এবং প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি মহাপরিচালকের নিকট প্রেরণ করিবে।
বাজেয়াপ্তযোগ্য মাদকদ্রব্য, বস্তু, ইত্যাদি

২৬। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হইলে মাদকদ্রব্য, মাদকদ্রব্যের সহিত জব্দকৃত অর্থ, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন অথবা অন্য কোনো বস্তু সম্পর্কে অথবা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

(২) মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময় বাজেয়াপ্তযোগ্য মাদকদ্রব্যের সহিত যদি কোনো বৈধ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত মাদকদ্রব্যও বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য যদি কোনো সরকারি অথবা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো যানবাহন ব্যবহার করা হয়, তাহা হইলে উহা জব্দযোগ্য হইবে এবং মামলা রুজুকারী অফিসার সরকারি কার্যের স্বার্থে উক্ত যানবাহন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী অফিসারের জিম্মায় প্রদান করিতে পারিবেন, তবে বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করিতে হইবে।

 

(৪) জব্দকৃত মাদকদ্রব্য 9[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] আদেশক্রমে উহা ধ্বংস করিতে হইবে।

বাজেয়াপ্তকরণ পদ্ধতি

২৭। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের মামলা চলাকালে কোনো 10[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, আটককৃত কোনো বস্তু বাজেয়াপ্তযোগ্য, তাহা হইলে, 11[উক্ত আদালত] , উক্ত অপরাধ প্রমাণিত হউক অথবা না হউক-

 

(ক) বস্তুটি মাদকদ্রব্য হইলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিবে;

 

(খ) বস্তুটি মাদকদ্রব্য না হইলে বাজেয়াপ্ত করিবার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে; এবং

 

(গ) মাদকদ্রব্যের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

 

(২) যদি কোনো ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো বস্তু আটক করা হয় কিন্তু উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার, যিনি বস্তুটি আটককারী অফিসারের ঊর্ধ্বতন অফিসার হইবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন :

 

তবে শর্ত থাকে যে উক্তরূপ বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের পূর্বে বাজেয়াপ্তির বিরুদ্ধে আপত্তি প্রদানের সুযোগ প্রদান করিবার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারির তারিখ হইতে অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন হইতে হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।

বাজেয়াপ্ত এবং আটককৃত মাদকদ্রব্য ও দ্রব্যাদির নিষ্পত্তি অথবা বিলিবন্দেজ

২৮। (১) বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো মাদকদ্রব্য অথবা দ্রব্যের বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো অফিসার কর্তৃক আটককৃত হইলে উহা মহাপরিচালক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং মহাপরিচালক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা ব্যবহার, হস্তান্তর, ধ্বংস কিংবা অন্য কোনো প্রকারে নিষ্পত্তি অথবা বিলিবন্দেজের ব্যবস্থা করিবে।

 

(২) আটককৃত মাদকদ্রব্য অথবা দ্রব্য এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো সংস্থা কর্তৃক আটককৃত হইলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের পর উহা উক্ত আটককারী সংস্থার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং আটককারী সংস্থা 12[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] আদেশ অনুসারে মহাপরিচালক কিংবা তাহার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা হস্তান্তর কিংবা অন্য কোনো প্রকারে উহার বিলিবন্দেজ করিতে পারিবে।

 

(৩) এই আইনের অধীন কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বস্তু আটক, বাজেয়াপ্ত ও নিষ্পত্তির ক্ষমতাপ্রাপ্ত 13[অন্যান্য সংস্থা] ও অফিসার এই আইনের অধীন নিষ্পত্তিকৃত সকল মাদকদ্রব্য ও বস্তুসমূহের নিষ্পত্তিসংক্রান্ত একটি বাৎসরিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও আটককৃত মালামাল সম্পর্কে বিধান

২৯। (১) মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার অথবা কোনো পুলিশ অফিসার ব্যতীত অন্য কোনো অফিসার কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিলে অথবা কোনো বস্তু আটক করিলে তিনি অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অথবা আটককৃত বস্তুটিকে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার হিসাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিকটস্থ কোনো অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবে।

 

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তি অথবা বস্তুকে যে অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হইবে তিনি যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত ব্যক্তি অথবা বস্তু সম্পর্কে আইনানুগ যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং আটককৃত মাদকদ্রব্য অথবা মালামাল যদি পরিমাণে অত্যধিক হয় অথবা অতি মূল্যবান হয় কিংবা সংরক্ষণের জন্য অসুবিধাজনক কিংবা ঝুঁকিবহুল হয়, তাহা হইলে তদন্তকারী অফিসার 14[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] অনুমতিক্রমে উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা মালামালের যথোপযুক্ত নমুনা ও প্রমাণ সংরক্ষণপূর্বক অবশিষ্ট মাদকদ্রব্য অথবা মালামাল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হস্তান্তর, ধ্বংস অথবা অন্য কোনো প্রকারে বিলিবন্দেজ করিতে পারিবেন এবং বিষয়টি উক্ত 15[আদালতকে] অবিলম্বে অবহিত করিবেন।

 

(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন আটককৃত কোনো মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর যদি কোনো কারণে তাৎক্ষণিক বিলিবন্দেজ অপরিহার্য হয় অথবা উহা বহন অথবা স্থানান্তরের অযোগ্য হয়, তাহা হইলে আটককারী অফিসার কর্তৃক উক্ত মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর উপযুক্ত নমুনা এবং পরিমাণ নির্দেশক যথাযথ প্রমাণ সংরক্ষণপূর্বক অবশিষ্ট মাদকদ্রব্য অথবা বস্তুর হস্তান্তর, ধ্বংস অথবা অন্য কোনো প্রকারে উহার বিলিবন্দেজ করা যাইবে।

মহাপরিচালক ইত্যাদির তদন্তের ক্ষমতা
৩০। (১) এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের ব্যাপারে মহাপরিচালকের থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের ক্ষমতা থাকিবে।
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মহাপরিচালকের অধস্তন কোনো অফিসারকে এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত একজন অফিসারের ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
মাদকদ্রব্য অপরাধ তদন্তের সময়সীমা

৩১। (১) ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ তদন্ত-

 

(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতেনাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে অথবা এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া কোনো 16[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] নিকট সোপর্দ হইলে, তাহার ধৃত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে;

 

(খ) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময় হাতেনাতে ধৃত না হইলে মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটন সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্যপ্রাপ্তি বা, ক্ষেত্রমত, মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার বা 17[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ৬০ (ষাট) কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; এবং

 

(গ) একই মামলায় গ্রেফতার ও পলাতক ব্যক্তি থাকিলে উক্ত মামলার তদন্ত উপ-ধারা (১) (খ) অনুযায়ী সম্পন্ন হইবে।

 

(২) কোনো যুক্তিসংগত কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, তদন্তকারী অফিসার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তকার্য সম্পন্ন করিবেন এবং তৎসম্পর্কে কারণ উল্লেখপূর্বক তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার অথবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 18[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।

 

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময় সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 19[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।

 

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে অবহিত হইবার পর নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 20[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ উক্ত অপরাধের তদন্তভার অন্য কোনো অফিসারের নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তভার হস্তান্তর করা হইলে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত অফিসার-

 

(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতেনাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে, তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিবে; এবং

 

(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিবে।

 

(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা, ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 21[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।

 

(৬) উপ-ধারা (২) অথবা (৪) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোনো তদন্তকার্য সম্পন্ন না করিবার ক্ষেত্রে, তৎসম্পর্কে ব্যাখ্যা সংবলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার কিংবা ক্ষেত্রমতে, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী মহাপরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার অথবা 22[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হইবার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারই দায়ী, তাহা হইলে উহা দায়ী, ব্যক্তির অদক্ষতা বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা তাহার বাৎসরিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকরি বিধি অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

মামলার তদন্ত হস্তান্তর
৩২। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক এই আইনের অধীন রুজুকৃত এবং অধিদপ্তরের কোনো অফিসার কর্তৃক তদন্তকৃত কোনো মামলার তদন্তকালীন যদি মহাপরিচালক লিখিতভাবে অনুরোধ করেন, তাহা হইলে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোনো অফিসারের নিকট তদন্তকার্য হস্তান্তর করিবেন এবং যে অফিসারের নিকট উক্ত তদন্তকার্য হস্তান্তর করা হইবে তিনি প্রয়োজনবোধে শুরু হইতে অথবা যে পর্যায়ে তদন্তকার্য হস্তান্তর হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে তদন্তকার্য পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
ব্যাংক হিসাব, ইত্যাদি নিরীক্ষা ও নিষ্ক্রিয়করণ

৩৩। (১) যদি মহাপরিচালক অথবা তদন্তকারী অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত থাকিয়া অবৈধ অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহে লিপ্ত রহিয়াছেন এবং উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধান অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্ত তাহার ব্যাংক হিসাব অথবা আয়কর অথবা সম্পদের কর সম্পর্কীয় রেকর্ডপত্র পরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তদন্তকারী অফিসার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

 

(২) তদন্তকারী অফিসার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (শ) এ উল্লিখিত সম্পৃক্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ (অবৈধ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা) নিয়ন্ত্রণের জন্য তদন্তকারী অফিসার হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তিনি অবৈধ মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অথবা সম্পদ সম্পর্কে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী তদন্তসহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন।

 

(৩) প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত হিসাব অথবা রেকর্ডপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব নিষ্ক্রিয়করণ (Freezing) করা কিংবা সম্পদ যাচাই-বাছাইয়ের (Scrutinizing) অনুমতি প্রদানের জন্য 23[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে] আবেদন করিতে পারিবে।

 

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারীকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া 24[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবে এবং যদি তিনি প্রার্থিত অনুমতি যুক্তিসংগত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে অনুমতি প্রদান করিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, কর অফিসার অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।

 

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অনুমতিপ্রাপ্ত অফিসার তাহার পরীক্ষা-নিরীক্ষার অগ্রগতি ও ফলাফল সম্পর্কে 25[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতকে] নির্ধারিত সময়ে অবহিত করিবে।

সম্পত্তি হস্তান্তর, ইত্যাদি নিষিদ্ধ

৩৪। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তকালে যদি তদন্তকারী অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তির নিকট উক্ত অপরাধের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পত্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার হস্তান্তর তদন্ত কার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদানের জন্য, তিনি 26[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

 

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারী ও যাহার বিরুদ্ধে আবেদন করা হইয়াছে তাহাকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া 27[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবেন এবং যদি তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান যুক্তিসংগত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন:

 

তবে শর্ত থাকে, ৩ (তিন) মাসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন না হইলে 28[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] আবেদনকারী অফিসারের আবেদনের ভিত্তিতে উক্ত সময় অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন:

 

আরও শর্ত থাকে যে, উভয় পক্ষের শুনানির পর আবেদনটির নিষ্পত্তিসাপেক্ষে বিশেষ কারণে কেবল আবেদনকারীকে শুনানি প্রদান করিয়া 29[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটির ব্যাপারে সাময়িক আদেশ জারি করিতে পারিবে।

 

(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দায়েরকৃত কোনো মামলা চলাকালীন অভিযোগকারী যদি এই মর্মে আবেদন করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণিত হইলে তাহার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার প্রয়োজন হইবে এবং সেই কারণে তাহার সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার লেনদেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদান প্রয়োজন, তাহা হইলে 30[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] উভয়পক্ষকে যুক্তিসংগত শুনানির সুযোগ দান করিয়া, প্রয়োজনবোধে, উক্তরূপ আদেশ প্রদান করিবে।

গোপন অভিযোগ ও নিয়ন্ত্রিত বিলি
৩৫। (১) উপ-ধারা (২) এবং কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত চুক্তি অথবা সমঝোতা সাপেক্ষে, সরকার, এই আইন অথবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের অনুরূপ কোনো আইনের অধীন সংঘটিত কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সম্পর্কে বাংলাদেশে অথবা অন্য কোথাও প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে, নিয়ন্ত্রিত বিলির লিখিত অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুমোদন প্রদান করা হইবে না, যদি না সরকার-
 
(ক) কোনো ব্যক্তিকে, যাহার পরিচিতি জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাত যাহাই হউক না কেন, এই বলিয়া সন্দেহ করে যে, তিনি এইরূপ কোনো কার্যে লিপ্ত ছিলেন অথবা রহিয়াছেন অথবা হইবার উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছেন যাহা এই আইন অথবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের অনুরূপ কোনো আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধ বলিয়া পরিগণিত; এবং
 
(খ) এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়, নিয়ন্ত্রিত বিলির ব্যবস্থা এইরূপ নির্ধারিত করা হইয়াছে যে, উহাতে উক্ত ব্যক্তির কার্য প্রকাশিত হইবার অথবা উক্ত কার্যসংক্রান্ত অন্য কোনো প্রমাণ লাভের সুযোগ রহিয়াছে।
 
(৩) সরকার অনধিক ৩ (তিন) মাসের জন্য, সময়ে সময়ে, উক্ত অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে।
 
(৪) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, উক্ত উপ-ধারার অধীন অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, নিয়ন্ত্রিত বিলি ও গোপন অভিযান চলাকালে এবং তদুদ্দেশ্যে, নিম্নরূপ কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারিবে, যথা:-
 
(ক) কোনো বাহনকে বাংলাদেশে প্রবেশ অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ করিতে দেওয়া;
 
(খ) কোনো বাহনকে মাদকদ্রব্য সরবরাহ অথবা সংগ্রহ করিতে দেওয়া;
 
(গ) কোনো বাহনে প্রবেশ ও তল্লাশির জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী যুক্তিসংগত শক্তি প্রয়োগ করা;
 
(ঘ) কোনো বাহনে গোপন সংকেত প্রদানকারী যন্ত্র (Tracking Device) স্থাপন করা; এবং
 
(ঙ) যে ব্যক্তির অধিকারে অথবা হেফাজতে মাদকদ্রব্য রহিয়াছে তাহাকে বাংলাদেশে প্রবেশ অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ করিতে দেওয়া।
 
(৫) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো গোপন অভিযান অথবা নিয়ন্ত্রিত বিলিতে অংশগ্রহণকারী কোনো অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যক্তি, অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী, উক্ত অভিযান অথবা নিয়ন্ত্রিত বিলিতে অংশগ্রহণের জন্য কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের দায়ে দায়ী হইবে না।

পঞ্চম অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড

ধারা ৯ এবং ১০ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড

৩৬। (১) কোনো ব্যক্তি যদি নিম্নের সারণির ২য় কলামে উল্লিখিত কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এবং ১০ এর কোনো বিধান লঙ্ঘন করে তাহা হইলে তিনি উক্ত সারণির কলাম ৩ এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, যথা:-

 
 
 

সারণি

 

 

ক্রমিক

 

 

মাদকদ্রব্যের নাম এবং অপরাধের বিবরণ

 

 

দণ্ডের প্রকার

 

 

(১)

 

 

(২)

 

 

(৩)

 

১।

প্রথম তপশিলের ক শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়াম পপি গাছ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

(ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০টি হইলে অন্যূন ১(এক) বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) গাছের সংখ্যা ১০ এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব  ১০(দশ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) গাছের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ (দশ) বৎসর,  এবং অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

২।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়ম পপি ফল সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) ফলের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ১(এক) বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) ফলের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০ (পাচশত) টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব  ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) ফলের সংখ্যা ৫০০ (পাঁচশত) টির ঊর্ধ্বে হইলে  অন্যূন ১০ (দশ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৩।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়ম পপি বীজ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ গ্রাম হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড;

(খ)  অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ ১০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) অঙ্কুরোদগম উপযোগী বীজের পরিমাণ ৫০(পঞ্চাশ) গ্রামের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন
১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৪।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত কোকা গাছ অথবা কোকা গুল্ম সম্পর্কে ধারা  ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

(ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০টি হইলে অন্যূন
১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) গাছের সংখ্যা ১০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০টি হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব
১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) গাছের সংখ্যা ১০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৫।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত কোকা পাতা সম্পর্কে ধারা      ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) পাতার পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর, কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) পাতার পরিমাণ ১০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০০ গ্রাম হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) পাতার পরিমাণ ১০০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে হইলে  অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনেরো) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৬।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত অপিয়াম ফল নিঃসৃত আঠাল পদার্থ কিংবা পরিশোধিত, অপরিশোধিত কিংবা তৈরিকৃত যে-কোনো ধরনের আফিম কিংবা আসক্তি সৃষ্টিতে সক্ষম আফিম সহযোগে তৈরি যে-কোনো পদার্থ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন
১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০০ গ্রাম অথবা মিলি লিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) আফিম অথবা পদার্থের পরিমাণ ১০০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে  অন্যূন      ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১৫ (পনের) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৭।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৮।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ)বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ (পচিশ) গ্রাম অথবা মিলি লিটার হইলে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

৯।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

১০।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৪০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৪০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

১১।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৬ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১ এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ২৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

১২।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৬নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০  গ্রাম অথবা মিলিলিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০ গ্রাম অথবা মিলিলিটারের এর ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। 

১৩।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৭ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে  ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০০ গ্রাম অথবা মি.লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ  ৫০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

১৪।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৭ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০০ গ্রাম অথবা মিলিলিটার  হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

১৫।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির ৮ নং ক্রমিকভুক্ত  যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ
১০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব
৫০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) প্রিকারসর কেমিক্যালস-এর পরিমাণ
৫০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ১০ বৎসর, অনূর্ধ্ব যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

১৬।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (গ) 31[অথবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ)] এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ৩ (তিন) মাস, অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

১৭।

প্রথম তপশিলের ‘ক’ শ্রেণির কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) কিংবা উপ-ধারা (২)-এর দফা (ঘ) এবং উপ-ধারা (৪) এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ৩ (তিন) মাস, অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

১৮।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত  গাঁজা অথবা ভাং গাছ সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

(ক) গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ৫০টি হইলে অন্যূন
১ বৎসর অনূর্ধ্ব  ৫ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড;

(খ) গাছের সংখ্যা ৫০টির ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০টি হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড;

(গ) গাছের সংখ্যা ৫০০টির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

১৯।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ১ নং ক্রমিকভুক্ত  গাঁজা অথবা ভাং গাছের শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল অথবা ইত্যাদি সহযোগে প্রস্তুত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর  উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার  হইলে অন্যূন ৬ মাস, অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১৫ কেজি হইলে অন্যূন ৫ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২০।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ২ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর, অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব
১০ বৎসর, কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

২১।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির (৩ নং ক্রমিকে উল্লিখিত মাদকদ্রব্য ব্যতীত) কোনো মাদকদ্রব্যের সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (গ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ৩ (তিন) মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২২।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির (৩ নং ক্রমিকে উল্লিখিত মাদকদ্রব্য ব্যতীত) কোনো মাদকদ্রব্যের সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) কিংবা উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২৩।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২৪।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) (ঘ) অথবা (ঙ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কেজি অথবা লিটার  হইলে অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ১০০ কেজি অথবা লিটার  হইলে অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর অনূর্ধ্ব
৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০০ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২৫।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (চ) এর লঙ্ঘন

অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

২৬।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা     ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ছ) এর  লঙ্ঘন।

অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২৭।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (জ) এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২৮।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে 32[ধারা ৯] এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

২৯।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ) অথবা (ঘ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব
১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৩০।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর লঙ্ঘন।

অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

৩১।

প্রথম তপশিলের ‘খ’ শ্রেণির ৫ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ) অথবা (ঘ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৩ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব
৩ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৩ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইতে ১০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৭ বৎসর অনূর্ধ্ব
১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৩২।

প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ১ ও ২ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) (গ), (ঘ) অথবা (ঙ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০ কেজি অথবা লিটার হইলে অনূর্ধ্ব ১ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ  ৫০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫০০ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০০ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ২ বৎসর অনূর্ধ্ব
৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৩৩।

প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ৩ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইতে ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ বৎসর অনূর্ধ্ব ৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব
৭ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

৩৪।

প্রথম তপশিলের ‘গ’ শ্রেণির ৪ নং ক্রমিকভুক্ত যে-কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অথবা (খ) এর লঙ্ঘন।

(ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ   অনূর্ধ্ব ১ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ১ বৎসর অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ  ১ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে এবং অনূর্ধ্ব ৫ কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর অন্যূন
৫ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড; এবং

(গ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজি অথবা লিটারের ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব
৭ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড।

 


(২) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দণ্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য এই আইনে সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দ্বিতীয়বার দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দন্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো 33[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে] যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকসেবন ব্যতীত অন্য কোনোরূপ মাদক অপরাধী হিসাবে প্রতীয়মান না হন, তাহা হইলে উক্ত আদালত উক্ত ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিবেচনাপূর্বক যে-কোনো মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রে স্বীয় অথবা পরিবারের ব্যয়ের মাদকাসক্তি চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং যদি উক্ত মাদকাসক্ত ব্যক্তি এইরূপ মাদকাসক্তির চিকিৎসা গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৫) কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান কিংবা যে-কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট অথবা বিরক্তিকর কোনো আচরণ করিলে কিংবা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা করিলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৬) কোনো সরকারি যানবাহনের চালক যানবাহন ব্যবহারকারী অফিসারের অনুপস্থিতিতে গাড়িতে মাদকদ্রব্য পরিবহণের সময় যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক হাতেনাতে আটক হন, তাহা হইলে তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুযায়ী আইনানুগ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

 
 

 

 

 

মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি রাখিবার দণ্ড
৩৭। লাইসেন্সপ্রাপ্ত নহেন এইরূপ কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত কোনো স্থানে যদি মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য কোনো যন্ত্রপাতি, ওয়াশ অথবা অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।
গৃহ অথবা যানবাহন, ইত্যাদি ব্যবহার করিতে দেওয়ার দণ্ড
৩৮। কোনো ব্যক্তি যদি সজ্ঞানে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য তাহার মালিকানাধীন অথবা দখলি কোনো বাড়িঘর, জায়গাজমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, যন্ত্রপাতি অথবা সাজসরঞ্জাম কিংবা কোনো অর্থ অথবা সম্পদ ব্যবহার করিতে অনুমতি প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
বেআইনি অথবা হয়রানিমূলক তল্লাশি, ইত্যাদির দণ্ড
৩৯। যদি তল্লাশি, আটক অথবা গ্রেফতার করিবার ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো অফিসার-
 
(ক) সন্দেহ করিবার যুক্তিসংগত কোনো কারণ ব্যতিরেকে তল্লাশির নামে কোনো স্থানে প্রবেশ করেন ও তল্লাশি চালান,
 
(খ) হয়রানিমূলকভাবে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো বস্তু তল্লাশি করিবার নামে কোনো ব্যক্তির কোনো সম্পদ আটক করেন, এবং
 
(গ) কোনো ব্যক্তিকে হয়রানিমূলক তল্লাশি করেন অথবা গ্রেফতার করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে অথবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
অর্থ যোগানদাতা, পৃষ্ঠপোষকতা, মদদদাতা, ইত্যাদি সম্পর্কে বিধান
৪০। কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ করিলে অথবা অর্থ সরবরাহ করিলে অথবা সহযোগিতা প্রদান করিলে অথবা পৃষ্ঠপোষকতা করিলে তিনি সংশ্লিষ্ট ধারায় নির্ধারিত দণ্ডের অনুরূপ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ইত্যাদির দণ্ড
৪১। কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে কাহাকেও প্ররোচিত করিলে অথবা সাহায্য করিলে অথবা কাহারও সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে অথবা এতদুদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোগ অথবা প্রচেষ্টা গ্রহণ করিলে, মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হউক অথবা না হউক, তিনি সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের অনুরূপ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নাই, এইরূপ মাদকদ্রব্য অপরাধের দণ্ড
৪২। (১) কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন অথবা বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে যাহার জন্য উহাতে স্বতন্ত্র কোনো দণ্ডের ব্যবস্থা নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে এবং অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
(২) মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন কার্যে নিয়োজিত কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যকে তাহার দায়িত্ব পালনকালে কোনো ব্যক্তি কোনোভাবে অসহযোগিতা করিলে অথবা বাধা প্রদান করিলে কিংবা কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিলে তাহা মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা হিসাবে গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
কোম্পানি কর্তৃক মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটন
৪৩। এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানি হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব অথবা অন্য কোনো অফিসার অথবা এজেন্ট বিধানটি লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সামর্থ হন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছে।
 
ব্যাখ্যা: এই ধারায়-
 
(ক) ‘কোম্পানি’ বলিতে কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সমিতি অথবা সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘পরিচালক’ বলিতে উহার কোনো অংশীদার অথবা পরিচালনা পর্ষদের সদস্যকেও বুঝাইবে।

ষষ্ঠ অধ্যায়

34[মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার]

  

অপরাধের বিচার, ইত্যাদি

35[৪৪।  (১) এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।

 

         (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, উহার এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য, কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধ বিচারের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করিবেন।]

36[***]
মাদকদ্রব্য অপরাধ আমলযোগ্যতা
৪৬। মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ আমলযোগ্য অপরাধ হইবে।
জামিন সংক্রান্ত বিধান

৪৭৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হইবে না, যদি-

 

(ক) তাহাকে মুক্তি প্রদানের আবেদনের উপর রাষ্ট্র বা, ক্ষেত্রমত, অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান করা না হয়; এবং

 

(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে মর্মে 37[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] সন্তুষ্ট হন; অথবা

 

(গ) তিনি নারী বা শিশু অথবা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ না হন এবং তাহাকে জামিনে মুক্তি প্রদানের কারণে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে 38[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] সন্তুষ্ট না হয়।

 

(২) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্ত সমাপ্তির পর, তদন্ত প্রতিবেদন বা সেই সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে যদি 39[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] বা, ক্ষেত্রমত, আপিল আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো ব্যক্তি উক্ত অপরাধের সহিত জড়িত নহেন বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে 40[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] বা আপিল আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্য ও কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

বিচারের বিশেষ পদ্ধতি

41[৪৮।  এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক কারাদণ্ড না হইলে, সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে।]

বিচারকার্য মুলতবি

৪৯৷ 42[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে] মামলার বিচারকার্য আরম্ভ হইলে উহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম চলিবে, তবে 43[উক্ত আদালত] যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারকার্য মুলতবি করা একান্ত প্রয়োজন, তাহা হইলে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য, যাহা তিন কার্য দিবসের অধিক হইবে না, বিচারকার্য মুলতবি করা যাইবে।

বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত অন্য অপরাধের বিচার

44[৫০।  এই আইনের অন্য কোনো বিধান অথবা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলার মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত অন্য কোনো অপরাধ যদি এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্ত অন্য অপরাধের বিচার বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত একই সঙ্গে হওয়া উচিত, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটি বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত, যতদূর সম্ভব, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে একই সঙ্গে বিচার্য হইবে।]

বিচার সমাপ্তির মেয়াদ

৫১৷ 45[(১) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নববই) কার্যদিবসের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার সমাপ্ত করিতে হইবে।]

 

(২) কোনো অনিবার্য কারণে উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোনো বিচার সমাপ্ত করা সম্ভব না হইলে, 46[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে বিচার সমাপ্ত করিতে পারিবে এবং তৎসম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে ৷

 

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বর্ধিত সময়ের মধ্যেও যদি যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণে কোনো বিচার কার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে 47[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিচার কার্য সমাপ্তির জন্য সর্বশেষ আরও ১৫ (পনেরো) কার্যদিবস সময় বর্ধিত করিতে পারিবে এবং এইরূপ সময় বর্ধিতকরণ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

 

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বর্ধিত সময়ের মধ্যে আবশ্যিকভাবে বিচার কার্য সমাপ্ত করিতে হইবে।

অভিযুক্ত শিশুর বিচার পদ্ধতি
৫২৷ কোনো শিশু মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত হইলে তাহার ক্ষেত্রে শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে ৷
আপিল

48[৫৩। এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে, রায় প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে, আপিল করা যাইবে :

 

        তবে শর্ত থাকে যে, রায়ের জাবেদা নকল পাওয়ার জন্য যে সময় অতিবাহিত হইবে উহা উক্ত সময় হইতে কর্তন করিতে হইবে।]

ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ

৫৪। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মাদকদ্রব্য অপরাধের অভিযোগ (এফ আই আর) দায়ের, তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার ও  49[আপিল] নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে আইনানুগ অনুমান (presumption)

50[৫৫। যদি কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন, অন্য কোনোভাবে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা প্রয়োগ অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, ভিন্নতর প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, এই আইন লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।]

ক্যামেরায় গৃহীত ছবি, রেকর্ডকৃত কথাবার্তা, ইত্যাদির সাক্ষ্য মূল্য
৫৬। Evidence Act, 1872 (Act No.I of 1872) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি বা তদন্তকারী সংস্থার কোনো সদস্য বা অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটন বা সংঘটনের প্রস্তুতি গ্রহণ বা উহা সংঘটনে সহায়তা সংক্রান্ত কোনো ঘটনার ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ বা গ্রহণ করিলে বা কোনো কথাবার্তা বা আলাপ-আলোচনা টেপ রেকর্ড বা ডিস্কে ধারণ করিলে উক্ত ভিডিও, স্থিরচিত্র, টেপ বা ডিস্ক উক্ত অপরাধ বা ক্ষতি সংশ্লিষ্ট মামলা বিচারের সময় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।
মোবাইল কোর্ট আইনের প্রয়োগ
৫৭। এই আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া বিচারকার্য সম্পাদন করা যাইবে।

সপ্তম অধ্যায়

বিবিধ

মাদকশুল্ক
৫৮৷ (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিলে উল্লিখিত মাদকদ্রব্যের উপর মাদকশুল্ক নামে এক প্রকার শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে এবং সময় সময় উক্ত শুল্ক পরিবর্তন করিতে পারিবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো উৎপাদিত অ্যালকোহল বা প্রিকারসর কেমিক্যালস রপ্তানি করা হইলে উহার উপর উক্ত মাদকশুল্ক আরোপ করা হইবে না।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত শুল্ক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মহাপরিচালক বা তদধীন কোনো কর্মচারী কর্তৃক আদায় করা হইবে।
মাদকপ্রবণ অঞ্চল ঘোষণা
৫৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার জনস্বার্থে মাদকের ভয়াবহতার বিষয় বিবেচনা করিয়া দেশের যে-কোনো অঞ্চলকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য বিশেষ মাদকপ্রবণ অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত অঞ্চলে মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রতিরোধের জন্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদির দাবি অগ্রহণযোগ্য
৬০। এই আইনের অধীন প্রদত্ত আদেশের কারণে কোনো লাইসেন্স, পারমিট অথবা পাসধারী ব্যক্তির কিংবা যেখানে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন অভিযান পরিচালনা করা হইয়াছে এইরূপ স্থানের কোনো মালিক অথবা তৎসংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি তজ্জন্য অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করিতে পারিবে না অথবা তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো ফিস ফেরত চাহিতে পারিবে না।
মাদকাসক্ত ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন এবং মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র, ইত্যাদি
৬১। (১) অধিদপ্তর মাদকাসক্ত ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,-
 
(ক) অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে এবং উহা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলি অধিদপ্তরের চাকরি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে; এবং
 
(খ) সরকারি খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসাবে নির্ধারণ বা ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
(৩) বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অনুমতি সরকার প্রদান করিতে পারিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও মানদন্ডে উহা পরিচালিত হইবে।
রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন ও উহার প্রতিবেদন
৬২। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,-
 
(ক) মাদকদ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্যের কোনো উপাদানের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক পরীক্ষাগার স্থাপন করিতে পারিবে এবং উহার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষকসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাবলি অধিদপ্তরের চাকরি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে; এবং
 
(খ) সরকারি খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানকে রাসায়নিক পরীক্ষাগার হিসাবে নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
(২) এই আইনের অধীন পরিচালিত কার্যক্রমের কোনো পর্যায়ে কোনো বস্তুর রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন অনুভূত হইলে উহা উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত বা নির্ধারিত রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিতে হইবে।
 
(৩) রাসায়নিক পরীক্ষকের স্বাক্ষরযুক্ত রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন মামলা দায়ের, মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার অথবা অন্য কোনো প্রকার কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে।
 
ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘রাসায়নিক পরীক্ষক’ অর্থ এই আইনের অধীন সরকার কর্তৃক স্থাপিত বা নির্ধারিত সরকারি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নিয়োগকৃত অথবা স্বীকৃত যে-কোনো পদমর্যাদার রাসায়নিক পরীক্ষক।
কমিটি গঠন ও উহার দায়িত্ব
৬৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিম্ন-বর্ণিত এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে, যথা:-
 
(ক) জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি;
 
(খ) জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি;
 
(গ) জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি; এবং
 
(ঘ) উপজেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রজ্ঞাপনে বা বিধি দ্বারা সরকার কমিটিসমূহের দায়-দায়িত্ব, সভা অনুষ্ঠান, কার্য পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়াদি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
ক্ষমতা অর্পণ
৬৪। মহাপরিচালক এই আইনের অধীন তাহার কোনো ক্ষমতা অথবা দায়িত্ব প্রয়োজনবোধে, লিখিত আদেশ দ্বারা, তাহার অধস্তন যে-কোনো অফিসারকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
তপশিল সংশোধন
৬৫। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে-কোনো তপশিল সংশোধন করিয়া কোনো মাদকদ্রব্যের নাম অর্ন্তভূক্তি বা কর্তন করিতে পারিবে।
পারস্পরিক সহযোগিতায় বাধ্যবাধকতা
৬৬। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ব্যাপারে এবং তথ্য বিনিময় করিবার ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি অনুরুদ্ধ হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারগণকে সর্বপ্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন।
জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা
৬৭। এই আইনের কোনো অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৬৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, উক্ত বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:-
 
(ক) অ্যালকোহল;
 
(খ) মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন, মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা;
 
(গ) লাইসেন্স, পারমিট ও ফিস;
 
(ঘ) বাজেয়াপ্তকরণ;
 
(ঙ) ডোপ টেস্ট;
 
(চ) মাদকাসক্তদের তালিকা; এবং
 
(ছ) অফিসার-কর্মচারী নিয়োগ:
 
(৩) এই ধারার অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার, প্রয়োজনে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ ও সম্পাদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
৬৯। (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, (১৯৯০ সনের ২০ নং আইন), অতঃপর ‘উক্ত আইন’ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত হইবে।
 
(২) উক্ত আইন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে, উহার অধীন গঠিত-
 
(ক) ‘জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড’ বিলুপ্ত হইবে; এবং
 
(খ) ‘জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড তহবিল ও এতৎসংক্রান্ত ‘জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ( তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ ও অর্থ ব্যয় ) বিধি, ২০০১’ বিলুপ্ত হইবে, এবং বিলুপ্ত তহবিলে গচ্ছিত সকল অর্থ সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত হইবে।
 
(৩) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উহার অধীন-
 
(ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
 
(খ) প্রণীত কোনো বিধি, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ বা কার্যক্রম উক্তরূপ রহিত হইবার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের অধীন প্রণীত, জারিকৃত বা প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বলবৎ থাকিবে;
 
(গ) দায়েরকৃত অনিষ্পন্ন ফৌজদারি কার্যধারা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই;
 
(ঘ) প্রতিষ্ঠিত বা অনুমোদিত মাদকাসক্তি পরামর্শ কেন্দ্র, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র এ মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
 
(ঙ) স্থাপিত বা অনুমোদিত রাসায়নিক পরীক্ষাগার এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে।
 
(৪) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উহাতে সংযুক্ত দ্বিতীয় তপশিলে উল্লিখিত মাদক শুল্কের হার এই আইনের অধীন নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
আইনের ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ
৭০। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
(২) বাংলা পাঠ এবং ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs