প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন, ২০১৯

( ২০১৯ সনের ৭ নং আইন )

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠা এবং এতদ্‌সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে  বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

    যেহেতু বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠা এবং এতদ্‌সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 

    সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে।

 

 

 

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২।  বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে, -

 

 

 

(১) ‘কর্মচারী’ অর্থ পরিষদের কোনো কর্মচারী;

 

 

 

(২) ‘চেয়ারম্যান’ অর্থ নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান;

 

 

 

(৩) ‘তহবিল’ অর্থ পরিষদের তহবিল;

 

 

 

(৪) ‘নির্বাহী কমিটি’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন গঠিত নির্বাহী কমিটি; 

 

 

 

(৫) ‘নির্বাহী সচিব’ অর্থ পরিষদের নির্বাহী সচিব;

 

 

 

(৬) ‘পরিষদ’অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ;

 

 

 

(৭) ‘পরিচালনা বোর্ড’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিচালনা বোর্ড;

 

 

 

(৮) ‘প্রবিধান’ অর্থ ধারা ২২ এর অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান;

 

 

 

(৯) ‘বিধি’ অর্থ ধারা ২১ এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি; এবং

 

 

 

(১০) ‘সদস্য’ অর্থ পরিচালনা বোর্ডের কোনো সদস্য বা, ক্ষেত্রমত, নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য।

পরিষদ প্রতিষ্ঠা

৩।  (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হইবে।

 

 

 

(২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর-অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

পরিষদের কার্যালয়

৪।  (১) পরিষদের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।

 

 

 

(২) পরিষদ, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার কার্যক্রম পরিচালনা করিবার জন্য, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

পরিষদের কার্যাবলি

৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ নিম্নবর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদন করিবে, যথা :-

 

 

 

(ক) সমাজের সকলের, বিশেষত, নারী, শিশু, অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত বা কম সুবিধাপ্রাপ্ত, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী, অসহায়, দুর্বল, অক্ষম, শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, বা অন্যবিধ কারণে পূর্ণাঙ্গ বা আংশিক অক্ষম, দুর্যোগে বিপদাপন্ন বা ক্ষতিগ্রস্ত, নদী ভাঙ্গনে ভিটামাটিহীন ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসী, চা-বাগান শ্রমিকসহ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী, নিম্ন আয়ের ব্যক্তি, গোষ্ঠী, শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের সার্বিক জীবনমান বা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আর্থিক অনুদান প্রদান করা;

 

 

 

(খ) সমাজকল্যাণমূলক কার্যে নিয়োজিত বা আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ, অনুদান ও স্বীকৃতি প্রদান করা;

 

 

 

(গ) সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা;

 

 

 

(ঘ) সামাজিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমস্যার কারণ এবং প্রতিকারের উপায় নিরূপণে গবেষণা পরিচালনা করা;

 

 

 

(ঙ) সামাজিক গবেষণার জন্য দেশি-বিদেশি স্বীকৃত ও মানসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত চুক্তি সম্পাদন ও গবেষণা পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

 

 

 

(চ) সমাজকল্যাণমূলক বিদেশি, আন্তর্জাতিক, বহুজাতিক, বৈশ্বিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং হালনাগাদ ধারণা, তত্ত্ব, তথ্য, কৌশল, কর্মপন্থা ও উপায় সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ এবং অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে উক্ত কার্যাবলির প্রয়োগযোগ্যতা বিশ্লেষণ এবং ফলাফল নিয়মিতভাবে সরকারকে অবহিত করা;

 

 

 

 

 

(ছ) জাতীয় পর্যায়ে সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত সকল  ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা;

 

 

 

(জ) দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বা প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন করা;

 

 

 

(ঝ) সমাজের অস্বচ্ছল রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, এতদুদ্দেশ্যে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইহার কার্যক্রম তদারকি করা;

 

 

 

(ঞ) সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার, প্রচারণা, সভা, সমিতি, সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন করা;

 

 

 

(ট) পরিষদের কার্যক্রমের বার্ষিক, পঞ্চবার্ষিক ও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা;

 

 

 

(ঠ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক যে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকা- গ্রহণ করা; এবং

 

 

 

(ড) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করা।

পরিষদের পরিচালনা

৬। (১) পরিষদের পরিচালনা উহার পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং পরিষদ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে, পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে।

 

 

 

(২) পরিচালনা বোর্ড উহার দায়িত্ব পালন ও কার্যসম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি, প্রবিধান বা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত ও জারীকৃত আদেশ ও নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।

পরিচালনা বোর্ড গঠন।
 

৭।   (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :-

 

 

 

(ক) মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি পরিচালনা বোর্ডের সভাপতিও হইবেন;

 

 

 

(খ) প্রতিমন্ত্রী, যদি থাকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি পরিচালনা বোর্ডের সহ-সভাপতিও হইবেন;

 

 

 
 

(গ) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়;

 

 

 

(ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়;

 

 

 

(ঙ) সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়;

 

 

 

(চ) সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়;

 

 

 

(ছ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়;

 

 

 

(জ) মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়;

 

 

 

(ঝ) মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো;

 

 

 

(ঞ) মহাপরিচালক সমাজ সেবা অধিদপ্তর;

 

 

 

(ট) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;

 

 

 

(ঠ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন;

 

 

 

(ড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট;

 

 

 

(ঢ) পরিচালক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়;

 

 

 

(ণ) প্রতিটি জেলা হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ০১ (এক) জন করিয়া বিশিষ্ট সমাজকর্মী যাহাদের মধ্যে অন্যূন ২০ (বিশ) জন মহিলা হইবেন;

 

 

 

(ত) খ্যাতিমান সমাজকর্মী অথবা সমাজকল্যাণ বিষয়ে খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, লেখক বা শিক্ষকগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন শষ্টবিনিাগরিক যাহাদের মধ্যে অন্যূন ০২ (দুই) জন মহিলা হইবেন; এবং

 

 

 

(থ) নির্বাহী সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ, যিনি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য-সচিবও হইবেন।

 

 

 

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ণ) ও (ত) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ০৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন :

 

 

 

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং কোনো মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবে।

 

 

 

(৩) পরিচালনা বোর্ডের মনোনীত সদস্যের পদ শূন্য হইবে, যদি-

 

 

 

(ক) তিনি মৃত্যুবরণ করেন; অথবা

 

 

 

(খ) তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন; অথবা

 

 

 

(গ) তিনি মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কারণ দর্শানো ব্যতিরেকেসরকার কর্তৃক অপসারিত হন; অথবা

 

 

 

(ঘ) তাহার সদস্য হিসাবে মনোনয়নের মেয়াদ ০৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হয় অথবা কোনো শূন্য পদের বিপরীতে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং উক্ত অবশিষ্ট মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়; অথবা

 

 

 

(ঙ) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না থাকেন; অথবা

 

 

 

(চ) তিনি পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির অনুমতি গ্রহণ ব্যতিরেকে পর পর ০৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন; অথবা

 

 

 

(ছ) তিনি পরিষদ বা রাষ্ট্রের জন্য হানিকর কোনো কার্যে লিপ্ত থাকেন; অথবা

 

 

 

(জ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে অন্যূন ০২ (দুই)বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; অথবা

 

 

 

(ঝ) তিনি কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন।

পরিচালনা বোর্ডের সভা

৮।  (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, পরিচালনা বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।

 

 

 

(২) পরিচালনা বোর্ডের সভা সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।

 

 

 

(৩) প্রতি বৎসর পরিচালনা বোর্ডের অন্যূন ২ (দুই) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।

 

 

 

(৪) পরিচালনা বোর্ডের সকল সভায় উহার সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ সদস্য উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

 

 

 

(৫) পরিচালনা বোর্ডের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

 

 

 

(৬) পরিচালনা বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

 

 

 

(৭) কেবল সদস্যপদে শূন্যতা বা পরিচালনা বোর্ড গঠনে ত্রুটি কিবার কারণে পরিচালনা বোর্ডের কোনো কার্য অথবা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

নির্বাহী কমিটি

৯।  (১) পরিষদের একটি নির্বাহী কমিটি থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে নির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে, যথা:-

 

 

 

(ক) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

 

 

 

(খ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ একজন কর্মচারী;

 

 

 

(গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে হেন এইরূপ একজন কর্মচারী;

 

 

 

(ঘ) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ একজন কর্মচারী;

 

 

 

(ঙ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ একজন কর্মচারী;

 

 

 

(চ) মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়;

 

 

 

(ছ) মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর;

 

 

 

(জ) মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর;

 

 

 

(ঝ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;

 

 

 

(ঞ) মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো;

 

 

 

(ট) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন;

 

 

 

(ঠ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট;

 

 

 

(ড) পরিচালক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;

 

 

 

(ঢ) পরিচালনা বোর্ডের মনোনীত সদস্যগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন বিশিষ্ট সমাজ কর্মী যাহাদের মধ্যে অন্যূন ২(দুই)জন মহিলা হইবেন; এবং

 

 

 

(ণ) নির্বাহী সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

 

 

 

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঢ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন :

 

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে অব্যাহতি প্রদানকরিতে পারিবে এবং কোনো মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবে।

 

 

 

(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা ঢ এর অধীন মনোনীত কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে সরকার নির্বাহী কমিটির মনোনীত সদস্যদের মধ্য হইতে অন্য যে কোনো সদস্যকে অবশিষ্ট সময়ের জন্য উক্ত শূন্য পদে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে।

 

 

 

(৪) নির্বাহী কমিটির মনোনীত সদস্যগণের পদ শূন্য হইবে, যদি-

 

 

 

(ক) তিনি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য না থাকেন;

 

 

 

(খ) তিনি নির্বাহী কমিটির অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত পর পর ৩(তিন)টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;

 

 

 

(গ) তিনি সরকার কর্তৃক অপসারিত হন;

 

 

 

(ঘ) তিনি স্বীয় পদ ত্যাগ করেন; এবং

 

 

 

(ঙ) তিনি কোনো শূন্য পদের বিপরীতে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মনোনীত হইবার পর অবশিষ্ট মেয়াদকাল শেষ হইয়া যায়।

 

 

নির্বাহী কমিটির সভা।

১০।  (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, নির্বাহী কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।

 

 

 

(২) নির্বাহী কমিটির সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

 

 

 

(৩) নির্বাহী কমিটির সকল সভায় উহার চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ সদস্য উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

 

 

 

(৪) নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

 

 

 

(৫) নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

 

 

 

(৬) কেবল সদস্যপদে শূন্যতা বা নির্বাহী কমিটির গঠনে ত্রুটিাকিবার কারণে নির্বাহী কমিটির কোনো কার্য অথবা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি

১১।  (১) নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি নিম্নরূপ, যথা :-

 

 

 

(ক) পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক এবং এই আইনের অধীন গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা;

 

 

 

(খ) পরিচালনা বোর্ডকে উহার কার্যাবলি সুচারুভাবে সম্পাদনে সহায়তা প্রদান করা; এবং

 

 

 

(গ) পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক অর্পিত সকল কার্যাবলি সম্পাদন,ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করা।

 

 

 

(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে,পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করিবে।

 

 

 

(৩) নির্বাহী কমিটি পরিষদের প্রশাসনিক কার্যাবলি সম্পর্কে, সময় সময়, নির্বাহী সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে।

 

 

 

(৪) নির্বাহী কমিটি উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে পরিচালনা বোর্ডের নিকট দায়ী থাকিবে এবং পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়,প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।

নির্বাহী সচিব

১২।  (১) পরিষদের একজন নির্বাহী সচিব থাকিবে।

 

 

 

(২) নির্বাহী সচিব সরকারের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদাধারীদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট শর্তে নিযুক্ত হইবে।

 

 

 

(৩) নির্বাহী সচিব পরিষদের প্রধান নির্বাহী ও সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবে এবং তিনি পরিষদের আয়ন-ব্যয়ন কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

 

 

 

(৪) নির্বাহী সচিব এর পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি তাহার কার্যালয়ের কার্যক্রম বা দায়িত্ব পালনে অসর্ম হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত নির্বাহী সচিব কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাহী সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন।

নির্বাহী সচিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য 

১৩।  নির্বাহী সচিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা :-

 

 

 

(ক) তিনি পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির সহিত পরামর্শক্রমে পরিচালনা বোর্ডের সভা আহবান করিবেন;

 

 

 

(খ) তিনি চেয়ারম্যানের সহিত পরামর্শক্রমে নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করিবেন;

 

 

 

(গ) তিনি পরিচালনা বোর্ডের এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন;

 

 

 

(ঘ) তিনি পরিচালনা বোর্ড এবং নির্বাহী কমিটি এর সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;

 

 

 

(ঙ) তিনি পরিষদের সার্বিক প্রশাসন ও তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং

 

 

 

(চ) তিনি নির্বাহী কমিটির নির্দেশ মোতাবেক পরিষদের অন্যান্য কার্যসম্পাদন করিবেন।

কর্মচারী নিয়োগ

১৪। (১) পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

 

 

 

(২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

কমিটি গঠন

১৫। পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, প্রয়োজনবোধে, শহর, জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটির গঠন, দায়িত্ব ও কর্তব্য সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করিতে পারিবে।

তহবিল 

১৬।  (১) বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ তহবিল নামে পরিষদের একটি তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা উক্ত তহবিল গঠিত হইবে, যথা:-

 

(ক) সরকারি দান, অনুদান, সাহায্য অথবা মঞ্জুরি অথবা বরাদ্ধকৃত অর্থ;

 

 

 

(খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, দানশীল ব্যক্তি অথবা সংগঠন, প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে প্রাপ্ত অর্থ অথবা উপকরণ আকারে প্রাপ্ত সাহায্য, দান, অনুদান অথবা চাঁদা;

 

 

 

(গ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, জাতিসংঘ অথবা জাতিসংঘের কোনো বিশেষায়িত সংস্থা, কোনো আঞ্চলিক সংস্থা, কোনো বহুজাতিক অথবা আমত্মর্জাতিক সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য, মঞ্জুরি, দান, অনুদান বা চাঁদা বা উপকরণ;

 

 

 

(ঘ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার বা নাগরিক বা কোনো বিদেশি সরকারি অথবা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য, মঞ্জুরি,দান, অনুদান অথবা চাঁদা বা উপকরণ;

 

 

 

(ঙ) সরকারের অনুমোদনক্রমে যে কোনো তপশিলি ব্যাংক অথবাকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ;

 

 

 

(চ) পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা;

 

 

 

(ছ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা;

 

 

 

(জ) পরিষদের নিজস্ব আয়; এবং

 

 

 

(ঝ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।

 

 

 

(২) তহবিলের অর্থ পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে পরিষদের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং প্রচলিত সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক তহবিল পরিচালিত হইবে।

 

(৩) তহবিল হইতে পরিষদের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।

 

 

 

ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972 ) এর Article 2(J) তে সংজ্ঞায়িত ‘Scheduled Bank’ কে বুঝাইবে।

বাজেট

১৭।  (১) পরিষদ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থবৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে পরিষদের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ  থাকিবে।

 

 

 

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত বাজেট পরিচালনা বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হইবার পর উহা সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৮।  (১) পরিষদ তদকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাযথভাবে হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।

 

 

 

(২) বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রতি বৎসর পরিষদের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া কপি সরকার ও পরিষদের নিকট প্রেরণ করিবেন।

 

 

 

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি পরিষদের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং পরিষদের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

 

 

 

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ব্যতিরেকে Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973(President Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b)  তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা পরিষদের হিসাব নিরীক্ষা করিতে হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে পরিষদ এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।

প্রতিবেদন।

১৯। (১) প্রতি অর্থবৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পরিষদ উক্ত অর্থবৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে।

 

 

 

(২) সরকার, প্রয়োজনে, পরিষদের নিকট হইতে যে কোনো সময় পরিষদের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন আহবান করিতে পারিবে এবং পরিষদ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।

ক্ষমতা অর্পণ

২০।  পরিষদ উহার যে কোনো কার্যাবলি, ক্ষমতা বা দায়িত্ব, প্রয়োজনে, তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্বাহী কমিটি, কোনো সদস্য, নির্বাহী সচিব বা কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

২১।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনা ববিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরুপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

২৩।  (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২৫ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখের সকম/কর্ম-শাঃ/বাজাসকপ-১/২০০২-৯৮ নং রেজুলিউশন, অত:পর ‘উক্ত রেজুলিউশন’ বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।

 

 

 

(২) উক্ত রেজুলিউশন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে, উহার অধীন গঠিত ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ’ বিলুপ্ত হইবে।

 

 

 

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও,-

 

 

 

(ক) উক্ত রেজুলিউশন এর অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি, জেলা সমাজকল্যাণ পরিষদ এবং উপজেলা সমাজকল্যাণ পরিষদ এই আইনের অধীন যথাক্রমে পরিচালনা বোর্ড, নির্বাহী কমিটি, জেলা সমাজকল্যাণ কমিটি এবং উপজেলা সমাজকল্যাণ কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে ;

 

 

 

(খ) উক্ত রেজুলিউশন এর অধীন গঠিত ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ এর-

 

 

 

(অ) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর অস্থাবরও সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, তহবিল, দায়, দলিল দসত্মাবেজ এবং অন্য সকল দাবি ও অধিকার পরিষদে হস্তান্তরিত হইবে;

 

 

 

(আ) সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব পরিষদের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব বলিয়া গণ্য হইবে; এবং

 

 

 

(ই) সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী পরিষদের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন, এবং তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, পরিষদ কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে পরিষদের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন;

 

 

 

(গ) উক্ত রিজলিউশনের অধীন-

 

 

 

(অ) গৃহীত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহাএই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে ; এবং

 

 

 

(আ) প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ বা কার্যক্রম উক্তরূপ রহিত হইবার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের অধীন প্রণীত, জারীকৃত বা প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বলবৎ থাকিবে।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২৪।  (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।

 

 

 

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

 

 


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs