প্রিন্ট ভিউ

বীমা কর্পোরেশন আইন, ২০১৯

( ২০১৯ সনের ৮ নং আইন )

Insurance Corporations Act, 1973 রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন

 

যেহেতু  Insurance Corporations Act, 1973 রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন প্রয়োজনীয়;

 

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিমরূপ আইন করা হইল : -

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  () এই আইন বীমা কর্পোরেশন আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে।

 

 

 

() ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা 

২।   () বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে এই আইনে, -

 

 

 

() ‘‘আর্থিক বিবরণী’’ অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন বা চূড়ান্ত স্থিতিপত্র, আয় বিবরণী বা লাভ লোকসান হিসাব, ইক্যুইটি পরিবর্তনের বিবরণী, নগদ প্রবাহ বিবরণী, টীকা অপরাপর বিবরণী ইহাদের উপর ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি;

 

 

 

() ‘‘কর্পোরেশন’’ অর্থ জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন;

 

 

 

() ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১২ নং  আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ;

 

 

 

() ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

 

 

 

() ‘‘পরিচালক’’ অর্থ বোর্ডের পরিচালক;

 

 

 

() ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

 

 

 

() ‘‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’’ অর্থ জীবনবীমা সাধারণবীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক;

 

 

 

() ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্তাবিশিষ্ট একক ব্যক্তি (individual), কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোনো সংস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 

 

 

() ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশনের পরিচালনা বোর্ড;

 

 

 

() ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; এবং

 

 

 

() ‘‘বীমাকারী’’ অর্থ বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা এর দফা (২৫) সংজ্ঞায়িত বীমাকারী।

 

 

 

() এই আইনে যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই, সেই সকল শব্দ অভিব্যক্তি বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এবং বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১২ নং আইন) যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে ব্যবহৃত হইবে।  

অন্যান্য আইনের প্রযোজ্যতা

৩।   কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত আইন বা আইনের কতিপয় বিধান, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে, যথা : -

 

 

 

() বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০; এবং

 

 

 

() বীমা আইন, ২০১০ এর ধারা , ধারা -১৫, ধারা ২১-২৫, ধারা ৪২, ধারা ৪৩ এর উপ-ধারা () এর ‘‘এবং উক্ত ক্ষেত্রে এই আইনের ধারা ৯৫ এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে’’ অংশ, ধারা ৪৮ এর উপ-ধারা () এর দফা () (), ধারা ৫০ এর উপ-ধারা () এর দফা (), ধারা ৫২-৫৫, ধারা ৭৬-৮১, ধারা ৮২ এর উপ-ধারা (), ধারা ৮৩, ধারা ৯৫-১১২ এবং ধারা ১২৫ ব্যতীত অন্যান্য ধারা।

কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা 

৪।  () এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পেInsurance Corporations Act, 1973 (Act No. VI of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উক্ত কর্পোরেশন দুইটি এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।

 

 

 

() কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা সাধারণ একটি সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

মূলধন 

৫।  () জীবন বীমা কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হইবে ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হইবে ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকা।

 

 

 

() সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হইবে ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হইবে ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা।

 

 

 

() উপ-ধারা () () যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা () () বর্ণিত অনুমোদিত বা পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ পরিবর্তন এবং উৎস নির্ধারণ করিতে পারিবে।

কর্পোরেশনের কার্যালয়

৬।  কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে, এবং কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে উহার এক বা একাধিক শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

কর্পোরেশনের ক্ষমতা ও কার্যাবলি

৭।   কর্পোরেশনের ক্ষমতা কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা : -

 

 

 

()     বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাহিরে -

 

 

 

() জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক, বীমা আইন, ২০১০ বর্ণিত সকল প্রকার লাইফ বীমা এতদ্সংক্রান্ত পুনঃবীমা ব্যবসা পরিচালনা করা; এবং

 

 

 

() সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক, বীমা আইন, ২০১০ বর্ণিত সকল প্রকার নন-লাইফ বীমা এবং এতদ্সংক্রান্ত পুনঃবীমা ব্যবসা পরিচালনা করা;

 

 

 

()     ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, ধারণ এবং হস্তান্তর করা;

 

 

 

()     কর্পোরেশনের স্বার্থে সমীচীন মনে হইলে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের বাহিরে পরিচালিত বীমা ব্যবসায়ের সম্পূর্ণ বা কোনো অংশ কোনো ব্যক্তিকে হস্তান্তর করা; এবং

 

 

 

()     কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে, বীমা সংক্রান্ত ব্যবসার সহিত সংশ্লিষ্ট এবং কর্পোরেশনের জন্য লাভজনক এবং যাহা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করিতে কর্পোরেশন সক্ষম এইরূপ অন্য কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা।

কর্পোরেশনের সাধারণ নির্দেশনা 

৮।   () প্রত্যেক বোর্ড উহার কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে জনস্বার্থের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করিয়া বাণিজ্যিক বিবেচনায় কার্য সম্পাদন করিবে, কর্পোরেশনের বাণিজ্যিক কৌশল পরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়ন এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।

 

 

 

() কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পাদনযোগ্য সকল কার্য এবং প্রয়োগযোগ্য সকল ক্ষমতা কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পন্ন প্রযুক্ত হইবে, এবং প্রতিটি কর্পোরেশনের সাধারণ বিষয়াবলি ব্যিবসা সম্পর্কিত সাধারণ নির্দেশনা এতদ্সংক্রান্ত প্রশাসন পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে।

পরিচালনা বোর্ড

৯।  () কর্পোরেশনের পরিচালনা বোর্ড নিম্নবর্ণিত পরিচালক সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা : -

 

 

 

() সরকার কর্তৃক মনোনীত (এক) জন চেয়ারম্যান;

 

 

 

() আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার (দুই) জন কর্মচারী;

 

 

 

() অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার (এক) জন কর্মচারী;

 

 

 

() বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার (এক)জন কর্মচারী;

 

 

 

() সরকার কর্তৃক মনোনীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন অধ্যাপক;

 

 

 

() পরিচালক, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমী, পদাধিকারবলে;

 

 

 

() সরকার কর্তৃক মনোনীত বীমা ব্যবসা পরিচালনায় অভিজ্ঞ (দুই) জন বীমাবিদ;

 

 

 

() সরকার কর্তৃক মনোনীত হিসাবরক্ষণ নিরীক্ষা বিষয়ে অভিজ্ঞ (এক) জন পেশাদার একাউন্টেন্ট; এবং

 

 

 

() ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পদাধিকারবলে।

 

 

 

ব্যাখ্যা : উপ-ধারা () এর দফা () এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘পেশাদার একাউন্টেন্ট’’ অর্থ ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা এর দফা (১৮) তে সংজ্ঞায়িত নিবন্ধিত পেশাদার একাউন্টেন্ট।

 

 

 

() উপ-ধারা () এর দফা (), (), () () তে উল্লিখিত পরিচালকগণ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বপদে বহাল থাকিবেন এবং অনধিক (এক) মেয়াদে পুনঃনিয়োগের যোগ্য হইবেন :

 

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে যে কোনো সময় চেয়ারম্যান বা যে কোনো পরিচালককে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

 

 

 

() চেয়ারম্যান বা পরিচালক সরকারের উদ্দ্যেশ্যে স্বীয় স্বক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন :

 

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক গৃহীত বা অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত উক্তরূপ পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।

 

 

 

() চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়াম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন পরিচালক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।

বোর্ডের সভা 

১০।  () বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় এবং স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।

 

 

 

() এই ধারার বিধানাবলি সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

 

 

 

() চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক বোর্ডের সভা আহূত হইবে।

 

 

 

() সভায় কোরামের জন্য অন্যূন (পাঁচ) জন পরিচালকের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।

 

 

 

() বোর্ডের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত পরিচালকগণ কর্তৃক নির্বাচিত একজন পরিচালক উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

 

 

 

() বোর্ডের সভায় প্রত্যেক পরিচালকের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত পরিচালকগণের মধ্য হইতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতারর ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে :

 

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো পরিচালকের স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে এইরূপ কোনো বিষয়ের উপর সংশ্লিষ্ট পরিচালক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না।

 

 

 

() কেবল কোনো পরিচালক পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।

পরিচালকগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা

১১।   কোনো ব্যক্তি পরিচালক হইবেন না বা পরিচালক থাকিবেন না, যদি-

 

 

 

() তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হন অথবা অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন বা অন্য কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য পোষণ করেন;

 

 

 

() তিনি কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া কোনো আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হন;

 

 

 

() তিনি আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ামক সংস্থার কোনো আইন, বিধি বা প্রবিধান লঙ্ঘনজনিত কারণে উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হন;

 

 

 

() তিনি কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন অথবা দেউলিয়া ঘোষিত হইবার দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;

 

 

 

() তিনি কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন;

 

 

 

() তাহার সম্পর্কে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকে;

 

 

 

() তিনি, চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে সরকারের নিকট হইতে এবং অন্যান্য পরিচালকের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের নিকট হইতে ছুটি গ্রহণ ব্যতিরেকে বোর্ডের পরপর (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;

 

 

 

() তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষেত্র ব্যতীত, কর্পোরেশনের একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হন;

 

 

 

() তাহার অন্যূন (পাঁচ) বৎসরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা না থাকে;

 

 

 

 

() তিনি এমন কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত থাকেন, যাহার নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করা হইয়াছে বা প্রতিষ্ঠানটি অবসায়িত হইয়াছে;

 

 

 

() তাহার নিজের বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ পরিশোধে তিনি ব্যর্থ বা খেলাপী হন; অথবা

 

 

 

() তিনি একই শ্রেণির বীমা ব্যবসার জন্য নিবন্ধিত অন্য কোনো বীমাকারী, কোনো ব্যাংক কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হন।

বোর্ড বাতিল 

১২।  যদি কোনো সময় কর্তৃপক্ষের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে,  কোনো কর্পোরেশন তাহার বীমা ব্যবসা এইরূপে পরিচালনা করিতেছে যাহাতে বীমা পলিসি গ্রাহকদের স্বার্থ  ক্ষুণ্ণ হইতে পারে, বা উক্ত কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় সলভেন্সি মার্জিন রাখিতে সমর্থ হইতেছে না, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত কর্পোরেশনকে, উহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করিয়া, উহার বোর্ড বাতিল করিবার জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করিতে পারিবে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

১৩।  () কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরিকৃত হইবে।

 

 

 

() ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি -

 

 

 

() বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব কার্যসম্পাদন করিবেন এবং বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং

 

 

 

() সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ, অর্পিত দাযিত্ব পালন কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন।

 

 

 

() ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বীয় কর্পোরেশন ব্যতীত অন্য কোনো কর্পোরেশন, কোম্পানি বা ব্যবসায়ে কোনো পরিচালকের পদ ধারণ করিয়া থাকিলে উহা পরিত্যাগ করিবেন।

 

 

 

() ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, উক্ত শূন্য পদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদান না করা পর্যন্ত বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কর্পোরেশনের কোনো কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

বিনিয়োগ 

১৪। প্রত্যেক কর্পোরেশন উহার তহবিলের অর্থ, বীমা আইন, ২০১০ এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ, ক্ষেত্র পদ্ধতিতে, বিনিয়োগ করিতে পারিবে।

 

 

সংক্ষিপ্ত তহবিল গঠন, উদ্বৃত্ত, ইত্যাদি

১৫।  () মন্দ ঋণ সন্দেহজনক ঋণ, সম্পদের অবচয় এবং বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত অন্য কোনো বিষয় নিষ্পত্তির পর সাধারণ বীমা কর্পোরেশন উহার নিট বার্ষিক মুনাফা হইতে একটি সংরক্ষিত তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারকে প্রদান করিবে।

 

 

 

() ধারা ২৪ এর অধীন জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক অ্যাকচুয়ারি দ্বারা অনুসন্ধানের মাধ্যমে ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা এবং উহার উপরে দায়সমূহের মূল্যমান নির্ণয়ের পর কোনো উদ্বৃত্ত থাকিলে, উক্ত উদ্বৃত্ত অর্থের ৯৫% (শতকরা পঁচানববই ভাগ) বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কর্পোরেশনের জীবন বীমা পলিসি গ্রাহকগণের মধ্যে বণ্টন করিতে হইবে অথবা তাহাদের জন্য সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং উক্তরূপ বণ্টন অথবা সংরক্ষণের পর অবশিষ্ট অংশ সরকারকে প্রদান করিবে।

 

 

 

() সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে উপ-ধারা () উল্লিখিত ৯৫% (শতকরা পঁচানববই ভাগ) এর অধিক উদ্বৃত্ত অর্থ বীমা পলিসি গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টন করা যাইবে না।

সরকারি সম্পত্তি বীমাকরণ 

১৬।   () কোনো সরকারি সম্পত্তি অথবা সরকারি সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনো ঝুঁকি বা দায় সম্পর্কিত সকল প্রকার নন-লাইফ বীমা ব্যবসা সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১০০% (শতকরা একশত ভাগ) অবলিখন (underwrite) করিয়া উহার ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) নিজের নিকট রাখিয়া অবশিষ্ট ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) সকল বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সমহারে বণ্টন করিবে।

 

 

 

ব্যাখ্যা। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘সরকারি সম্পত্তি’’ অর্থ -

 

 

 

() যে কোনো ধরনের স্থাবর অথবা অস্থাবর সম্পত্তি যাহা সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কিংবা সংরক্ষণে রহিয়াছে এবং যাহার রক্ষণাবেক্ষণের আইনগত দায়িত্ব সরকারের;

 

 

 

() সরকার অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাবরে ন্যস্ত সম্পত্তি;

 

 

 

() সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো কোম্পানি, খামার, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, উদ্যোগ বা অন্য কোনো স্থাপনা, অথবা, যেইগুলিতে সরকারের বা সরকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বা সরকার কোনো কোম্পানির যৌথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা রহিয়াছে বা যাহাতে সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঐরূপ আর্থিক সংশ্লেষ বা স্বার্থ রহিয়াছে বা কোনো কোম্পানির অর্থায়নে সরকারের গ্যারান্টি রহিয়াছে;

 

 

 

() সরকারের গ্যারান্টিযুক্ত বৈদেশিক ঋণ বা আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত যে কোনো প্রকল্প; অথবা

 

 

 

() সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো সম্পত্তি।

 

 

 

() সরকার, বীমা শিল্পে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা এবং কর্পোরেশনকে জনস্বার্থে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালনার লক্ষ্যে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা () বর্ণিত সীমা প্রয়োজনে পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে।

 

 

 

() উপ-ধারা () এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া গৃহীত বা ইস্যুকৃত যে কোনো বীমা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

পুনঃবীমা 

১৭। () বাংলাদেশে নিবন্ধিত বীমা ব্যবসায়রত প্রত্যেক বীমাকারী, সাধারণভাবে প্রচলিত গ্রহণযোগ্য শর্তে, তাহার নিজস্ব ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পুনঃবীমা অংশের পুনঃবীমা করিবে।

 

 

 

() নন-লাইফ বীমা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে, পুনঃবীমাযোগ্য অংশের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের নিকট করিতে হইবে এবং অবশিষ্ট ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) উক্ত কর্পোরেশন অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অবস্থিত অন্য কোনো বীমাকারীর নিকট করা যাইবে:

 

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত সীমা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে।

 

 

 

() জীবন বীমা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে, পুনঃবীমাযোগ্য অংশের সম্পূর্ণ বা যে কোনো অংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অবস্থিত কোনো বীমাকারীর নিকট করা যাইবে:

 

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তদ্কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত সীমা মোতাবেক, জীবন বীমা কর্পোরেশনের নিকট পুনঃবীমা করিবার বাধ্যবাধকতা আরোপ করিতে পারিবে।

প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ 

১৮।  কোনো বীমাকারী ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করিলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর উপর অন্যূন (পাঁচ) লক্ষ টাকা এবং অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে।

কর্পোরেশনের অবসায়ন

১৯।   () সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ এবং তৎকর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতি ব্যতীত কোনো কর্পোরেশনের অবসায়ন করা যাইবে না।

 

 

 

() কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অথবা এতদ্সম্পর্কিত অন্য কোনো আইন বা বিধিতে বর্ণিত অবসায়ন সংক্রান্ত বিধান কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

ঋণ গ্রহণ ও অনুদান প্রদানের ক্ষমতা

২০।  () কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এই আইনের অধীন উহার কার্যাবলি সম্পাদনের নিমিত্ত, সিকিউরিটসহ বা সিকিউরিটি ব্যতিরেকে, কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে, এবং উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবে।

 

 

 

() কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, অন্য কোনো সংস্থাকে অনুদান প্রদান করিতে পারিবে।

কমিটি

২১।   বোর্ড, উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, অডিট কমিটি এবং নির্বাহী কমিটিসহ প্রয়োজনে এক বা একাধিক অন্যান্য কমিটি গঠন, উহার কার্যপরিধি মেয়াদ নির্ধারণ করিতে পারিবে।

কর্পোরেশনের কর্মচারী নিয়োগ

২২।  () কর্পোরেশন উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

 

 

 

() কর্পোরেশনের কর্মচারীদের নিয়োগ চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

 

 

ক্ষমতা অর্পণ

২৩।   এই আইনের অধীন, সরকার, প্রয়োজনে এবং তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শত সাপেক্ষে, উহার যে কোনো ক্ষমতা কর্তৃপক্ষের নিকট অর্পণ করিতে পারিবে।

অ্যাকচুয়ারিয়াল মূল্যায়ন ও প্রতিবেদন 

২৪।  () প্রতি (দুই) বৎসরে অন্যূন একবার জীবন বীমা কর্পোরেশনকে উহার ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা এবং উহার উপরে দায়সমূহের মূল্যমান কোনো অ্যাকচুয়ারি দ্বারা অনুসন্ধানের মাধ্যমে নির্ণয় করিতে হইবে এবং তদ্কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ সরকারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

 

 

 

() সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রয়োজনে, উপ-ধারা () বর্ণিত সময়সীমা পরিবর্তন করিতে পারিবে।

 

 

বাজেট

২৫।   কর্পোরেশন, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে।

হিসাব পরিচালনা 

২৬।   কর্পোরেশন যে কোনো তপশিলি ব্যাংকে উহার হিসাব খুলিতে পরিচালনা করিতে পারিবে।

 

 

 

ব্যাখ্যা -  এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত ‘‘Scheduled Bank কে বুঝাইবে।

আর্থিক বিবরণী, ইত্যাদি

২৭।  () কর্পোরেশন, সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী, আর্থিক বিবরণী প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের নিকট দাখিল করিবে।

 

 

 

() কর্পোরেশন প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষ হইবার (ছয়) মাসের মধ্যে, যদি না সরকার যুক্তিসঙ্গত কারণে উহা বর্ধিত করে, উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কর্পোরেশনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপর একটি প্রতিবেদনসহ ধারা ২৮ বর্ণিত নিরীক্ষিত হিসাব, বিবরণী সংক্ষিপ্তসার সরকার বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বরাবরে দাখিল করিবে এবং উহার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

২৮।   () বীমা আইন, ২০১০ এর এতদ্সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রতিপালন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন উহার যথাযথ হিসাবরক্ষণ করিবে এবং বৎসরান্তে উক্ত বৎসরের জন্য, একটি আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং উক্ত বিবরণীতে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির বীমা ব্যবসায়ে লাভ-ক্ষতির হিসাব, রাজস্ব হিসাবসহ অন্য সকল হিসাবের সংক্ষিপ্তসার বিবৃতি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদির উল্লেখ থাকিতে হইবে।

 

 

 

() Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act, 1974 (Act No. XXIV of 1974) এর কোনো বিধানকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, কর্পোরেশনের হিসাব এমন অন্যূন (দুই) জন নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে, যাহারা Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1) (b) তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant’ এবং ধারা এর ব্যাখ্যায় প্রদত্তপেশাদার একাউন্টেন্ট

 

 

 

() উপ-ধারা () উল্লিখিত Chartered Accountant’ এবং ‘‘পেশাদার একাউন্টেন্ট’’ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবে।

 

 

 

() উপ-ধারা () এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রত্যেক নিরীক্ষককে কর্পোরেশনের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী অন্যান্য হিসাবের এক প্রস্থ করিয়া প্রদান করিতে হইবে এবং নিরীক্ষকগণ এতদ্সম্পর্কিত হিসাব বহি ভাউচারের সহিত যাচাই করিয়া উহা পরীক্ষা করিবেন।

 

 

 

() কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা () এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত নিরীক্ষক কর্পোরেশনের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো প্রকার সম্পত্তি বা বিষয় সম্পর্কিত কর্পোরেশন কর্তৃক রক্ষিত সকল বহির একটি তালিকা সরবরাহ করিতে হইবে এবং নিরীক্ষকগণ সকল বিষয় পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বা এতদ্সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

 

 

 

() বার্ষিক আর্থিক বিবরণী হিসাবের বিষয়ে নিরীক্ষকগণ সরকারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবেন এবং উক্ত প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকিতে হইবে,  যথা : -

 

 

 

() আর্থিক বিবরণীতে প্রয়োজনীয় সকল বিবরণ ;

 

 

 

() কর্পোরেশনের বিষয়াবলীর বাস্তব অবস্থার সঠিক প্রতিফলন ;

 

 

 

() বোর্ডের নিকট হইতে তাহারা কোনো ব্যাখ্যা বা তথ্য চাহিলে উক্ত ব্যাখ্যা বা তথ্য; এবং

 

 

 

() দফা () এর অধীন প্রদত্ত সন্তোষজনক ব্যাখ্যা।

 

 

 

() এই ধারার অধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরীক্ষকগণ অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজের জন্য অনুসৃত পদ্ধতির পর্যাপ্ততা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশ করিবেন।

 

 

 

() সরকার, যে কোনো সময়, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনের পাওনাদারদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য, কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের পর্যাপ্ততা অথবা সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনের বিষয়াবলীর নিরীক্ষণ পদ্ধতির পর্যাপ্ততার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করিতে নিরীক্ষকগণকে নির্দেশনা দিতে পারিবে এবং নিরীক্ষার পরিধি বর্ধিতকরণ অথবা নিরীক্ষকগণ বা অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক অন্য কোনো পদ্ধতিতে নিরীক্ষণেরও নির্দেশ দিতে পারিবে।

 

 

 

() এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আর্থিক বিবরণী তৈরি, নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত বা অনুরূপ কোনো কার্যসম্পাদনের ক্ষেত্রে, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলি অনুসরণ করিতে হইবে।

অসুবিধা দূরীকরণ 

২৯।  এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা বা জটিলতা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারিবে।

চুক্তি

৩০।    কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো দেশী বিদেশী সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৩১।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা 

৩২।   এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত 

৩৩।  () Insurance Corporations Act, 1973 (Act No. VI of 1973), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

 

 

 

() উপ-ধারা () এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Act এর অধীন -

 

 

 

() কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

 

 

 

() প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশন কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত বা গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে;

 

 

 

() প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পাদিত কোনো চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে;

 

 

 

() প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশনের সকল প্রকার ঋণ, দায়-দায়িত্ব আইনগত বাধ্যবাধকতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী সেই একই শর্তে কর্পোরেশনের ঋণ, দায় আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে;

 

 

 

() কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা কর্মচারী যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে কর্পোরেশনের চাকরিতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন; এবং

 

 

 

()   প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশনের সকল ব্যবসা, সম্পদ, পরিসম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা কর্তৃত্ব সুবিধা, ফি, স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি, অনুমোদিত মূলধন, সংরক্ষিত তহবিল, নগদ অর্থ, উদ্বৃত্ত, ব্যাংক জমা সিকিউরিটিসহ সকল হিসাব, বিনিয়োগ, দায়-দেনা, ডিপোজিট এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাংলাদেশের বাহিরে বিদ্যমান সম্পদের মালিকানা, দখল, ক্ষমতা বা নিয়ন্ত্রণ এবং উহা হইতে উদ্ভূত অন্য সকল অধিকার স্বার্থ, এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট সকল হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তরিত বা, ক্ষেত্রমত, স্থানান্তরিত হইবে এবং কর্পোরেশন উহার অধিকারী হইবে। 

 

 

 

 

() উপ-ধারা () এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Act এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নিদের্শ, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল পরিকল্পনা বা কার্যক্রম এবং অনুমোদিত সকল হিসাব বিবরণী বার্ষিক প্রতিবেদন উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানে অধীন প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

৩৪।   () এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের নির্ভরযোগ্য ইংরেজি পাঠ (Authentic English Text) হইবে।

 

 

 

() বাংলা ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs