প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২০

( ২০২০ সনের ৩ নং আইন )

Bangladesh Krira Shikkha Protishthan Ordinance, 1983 রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

    যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়েরমধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধনের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হয় এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং

 

    যেহেতু ২০১৩ সনের নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহেরমধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং

 

    যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং

 

    যেহেতু সরকারের উল্লিখিত সিদ্ধান্তের আলোকে Bangladesh Krira Shikkha Protishthan Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVIII of 1983) রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন প্রয়োজনীয়;

 

    সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  () এই আইন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।

 

() ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

 

() ‘‘দেশীয় খেলাধুলা’’ অর্থ এই আইনের তপশিলে বর্ণিত খেলাসমূহ;

 

            () ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

 

() ‘‘প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ ধারা এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি);

 

() ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

 

() ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড; এবং

 

() ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক।

প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা

 

৩। () Bangladesh Krira Shikkha Protishthan, Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVIII of 1983) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Krira Shikkha Protishthan, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) (Bangladesh Krira Shikkha Protishthan) (BKSP) নামে অভিহিত হইবে এবং উহা এমনভাবে বহাল থাকিবে, যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।

 

      () প্রতিষ্ঠান একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে, এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠানের স্থাবর অস্থাবর উভপ্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়

৪। () প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় অবস্থিত হইবে।

 

      () প্রতিষ্ঠান, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে।

প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি

৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, থা :-

 

() নির্ধারিত বয়সসীমার বালক-বালিকাদের মধ্য হইতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণ করা এবং স্নাতক স্নাতকোত্তর শ্রেণি পর্যন্ত ক্রীড়া সাধারণ শিক্ষার সুযোগসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাহাদের বিজ্ঞানভিত্তিক নিবিড় প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি এবং পর্যাপ্ত সুবিধা প্রদান;

 

() উন্নতমানের ক্রীড়াবিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি এবং আম্পায়ার তৈরির উদ্দেশ্যে সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি এবং আম্পায়ারগণের প্রশিক্ষণ প্রদান;

 

() ক্রীড়াবিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি আম্পায়ারগণের কলাকৌশলগত দক্ষতা উন্নয়নকল্পে সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা;

 

()  আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসাবে জাতীয় দলের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান;

 

()  অটিস্টিকসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিবন্ধী অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক, দৃষ্টি অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার জন্য পৃথক ইউনিট গঠন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের সহিত সমন্বয়ক্রমে তাহাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান প্রতিযোগিতার আয়োজন;

 

()  বিভিন্ন দেশীয় খেলাধুলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন;

 

() ক্রীড়া সম্পর্কিত তথ্যকেন্দ্র হিসাবে কার্য সম্পাদন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা;

 

() ক্রীড়া সম্পর্কিত পুস্তক, সাময়িকী, বুলেটিন এবং হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ সংরক্ষণ;

 

() দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক যোগাযোগ স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়;

 

(১০) দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন কার্যাবলির সমন্বয় সাধন;

 

(১১) ক্রীড়া উন্নয়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান;

 

(১২) প্রতিবেশ পরিবেশবান্ধব ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন; এবং

 

(১৩) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা সাপেক্ষে, উহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন এবং প্রয়োজনীয় অন্য যেকোনো কার্য সম্পাদন।

পরিচালনা ও প্রশাসন

৬। প্রতিষ্ঠানের সাধারণ পরিচালনা প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং প্রতিষ্ঠান যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।

পরিচালনা বোর্ড গঠন

৭। () প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ড নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-

 

() মন্ত্রী, যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবে;

 

() প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যদি থাকেন, যিনি বা যাহারা বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;

 

() সচিব, যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়;

 

() সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়;

 

() সচিব, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়;

 

() সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়;

 

() সচিব, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়;

 

() যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

 

() কমিশনার, ঢাকা বিভাগ;

 

() পরিচালক, ক্রীড়া পরিদপ্তর;

 

() সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ;

 

() জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন একজন প্রতিনিধি;

 

() বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত উহার অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন একজন প্রতিনিধি;

 

() ক্যাডেট কলেজসমূহের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান;

 

() চেয়ারম্যান, আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ড;

 

() মহাসচিব, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন;

 

() সভাপতি, জাতীয় মহিলা ক্রীড়া পরিষদ;

 

() সরকার কর্তৃক মনোনীত তিনজন খ্যাতনামা ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ, যাহাদের মধ্যে একজন নারী হইবেন এবং মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর সাবেক ক্রীড়াবিদগণ অগ্রাধিকার পাইবেন;

 

() মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

 

() উপ-ধারা () এর দফা () ()- যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মন্ত্রী না থাকিলে এবং প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রী থাকিলে প্রতিমন্ত্রী চেয়ারম্যান উপমন্ত্রী ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন এবং মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী না থাকিলে, উপমন্ত্রী চেয়ারম্যান হইবেন।

 

() উপ-ধারা () এর দফা () উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:

 

তবে শর্ত থাকে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার, যেকোনো সময়, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে বা মনোনীত কোনো সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।

বোর্ডের সভা

৮। () এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

 

() প্রতি (ছয়) মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

 

() বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা, বোর্ড সভা আহবান করিবেন।

 

() চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ভাইস-চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে, চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন।

 

() বোর্ড সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

 

() বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে উক্ত সভার সভাপতির একটি নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

 

() বোর্ড উহার কোনো সভায় কোনো আলোচ্য বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম এইরূপ যেকোনো বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শককে আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তি সভার আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে ভোট প্রদানের কোনো ক্ষমতা তাহার থাকিবে না।

 

() কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

বোর্ডের ক্ষমতা

৯।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ডের ক্ষমতা হইবে নিম্নরূপ, যথা :-

 

() প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক অন্য সকল কার্যক্রমের বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ;

 

() প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পদ সংগ্রহ সম্পদের ব্যবহারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান; এবং

 

() এই আইনে বর্ণিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ কার্য সম্পাদন।

মহাপরিচালক

১০।  () প্রতিষ্ঠানের একজন মহাপরিচালক থাকিবে।

 

() মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

 

() মহাপরিচালক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি-

 

() প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কার্যাদি তহবিল পরিচালনা করিবেন;

 

() বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ কার্য সম্পাদন করিবেন;

 

() বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং

 

() সরকার কর্তৃক, সময় সময়, তাহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।

 

() মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা, বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্যপদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।

কর্মচারী নিয়োগ

১১। () প্রতিষ্ঠান উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

 

() কর্মচারীগণের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

কমিটি

১২। বোর্ড উহার কার্যাবলি পরিচালনায় সহযোগিতা করিতে যেরূপ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন বিবেচনা করিবে, সেইরূপ কমিটি গঠন করিতে পারিবে।

ক্ষমতা অর্পণ

১৩। বোর্ড লিখিতভাবে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত পরিস্থিতি শর্তে, যদি থাকে, উহার কোনো ক্ষমতা বোর্ডের চেয়াম্যান বা অন্য কোনো সদস্য বা প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।

তহবিল

 

১৪।  () প্রতিষ্ঠানের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নরূপ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, থা:-

 

() সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি অনুদান;

 

() সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, স্থানীয় সংস্থা বা কোনো বিদেশি সরকার বা সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা ঋণ;

 

() কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত দান বা অনুদান;

 

() প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়; এবং

 

() অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।

 

() তহবিলের সকল অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানের নামে জমা রাখিতে হইবে।

 

ব্যাখ্যা।- উপ-ধারা () এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. 127 of 1972 এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank

 

      () সরকারের নিয়ম-নীতি বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে প্রতিষ্ঠানের তহবিল পরিচালিত হইবে এবং তহবিলের অর্থ হইতে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।

বাজেট

১৫। প্রতিষ্ঠান প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে প্রতিষ্ঠানের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৬। () প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়-ব্যয় বিবরণী স্থিতিপত্র প্রস্তুত করিবে।

 

() বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রক প্রতি অর্থ বৎসর প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরণ করিবেন।

 

() উপ-ধারা () এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

প্রতিবেদন

১৭। প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী (তিন) মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠান উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

১৮।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিষ্ঠান, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসাঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

২০।  () Bangladesh Krira Shikkha Protishthan Ordinance, 1983 (Ordinance No. LVIII of 1983), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

 

() উপ-ধারা () এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন-

 

() কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

 

() প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারীকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারি করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং

 

() কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন করিতে হইবে, যেন উক্ত Ordinance টি রহিত হয় নাই।

 

() উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Krira Shikkha Protishthan এর-

 

() সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ জামানত, সকল দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ জামানত, দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে;

 

() সকল ঋণ, দায় দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে প্রতিষ্ঠানের ঋণ, দায় দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;

 

() বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;

 

() সকল কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, তাহারা সেই একই শর্তে প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২১।  () এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

 

() বাংলা ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

 


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs