প্রিন্ট ভিউ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬৩নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
১। (১) এই আইন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬৩ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর-
(ক) দফা (৫) এ উল্লিখিত ‘‘হাইড্রোকার্বনজাত (OH®) হাইড্রোক্সিল’’ শব্দগুলি, বন্ধনী, বর্ণগুলি ও চিহ্নের পরিবর্তে ‘‘হাইড্রোকার্বনজাত হাইড্রোক্সিল(OH®)’’ শব্দগুলি, বন্ধনী, বর্ণগুলি ও চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে;
(খ) দফা (৭) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৭ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-
‘‘(৭ক) ‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’ অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী, ক্ষেত্রমত, অপরাধ আমলে গ্রহণের অথবা বিচারের এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো আদালত;’’;
(গ) দফা (২৬) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (২৬) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
‘‘(২৬) ‘ব্যক্তি’ অর্থে যে কোনো কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ অথবা অনুরূপ সংঘ বা সমিতিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;’’;
(ঘ) দফা (৩৩) বিলুপ্ত হইবে;
(ঙ) দফা (৩৪) এর প্রান্তস্থিত সেমিকোলন চিহ্নের পর ‘‘এবং’’ শব্দ সংযোজিত হইবে;
(চ) দফা (৩৫) এর প্রান্তস্থিত সেমিকোলন চিহ্নের পরিবর্তে দাঁড়ি চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং ‘‘এবং’’ শব্দ বিলুপ্ত হইবে; এবং
(ছ) দফা (৩৬) বিলুপ্ত হইবে।
৩। উক্ত আইনের ধারা ২৩ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ‘‘কাস্টমসের পরিদর্শক’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
৪। উক্ত আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা, ক্ষেত্রমত, ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
৫। উক্ত আইনের ধারা ২৭ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত-
(ক) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘উক্ত আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
৬। উক্ত আইনের ধারা ২৮ এর-
(ক) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ‘‘উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘সকল কর্তৃপক্ষ’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘অন্যান্য সংস্থা’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
৭। উক্ত আইনের ধারা ২৯ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত-
(ক) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘আদালতকে’’ শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।
৮। উক্ত আইনের ধারা ৩১ এর-
(ক) উপ-ধারা (১) এর-
(অ) দফা (ক) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(আ) দফা (খ) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(খ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(গ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(ঘ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(ঙ) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(চ) উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
৯। উক্ত আইনের ধারা ৩৩ এর-
(ক) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(খ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(গ) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতকে’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
১০। উক্ত আইনের ধারা ৩৪ এর-
(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(খ) উপ-ধারা (২) এর-
(অ) ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(আ) প্রথম শর্তাংশে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(ই) দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(গ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
১১। উক্ত আইনের ধারা ৩৬ এর-
(ক) উপ-ধারা (১) এর সারণির-
(অ) ক্রমিক নং ১৬ এর বিপরীতে (২) নং কলামের এন্ট্রিতে উল্লিখিত ‘‘উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণের পরিবর্তে ‘‘অথবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণ প্রতিস্থাপিত হইবে;
(আ) ক্রমিক নং ২৮ এর বিপরীতে (২) নং কলামের এন্ট্রিতে উল্লিখিত ‘‘ধারা ১০’’ শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে ‘‘ধারা ৯’’ শব্দ ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
১২। উক্ত আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের শিরোনামে উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনাল স্থাপন ও অপরাধের বিচার’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
১৩। উক্ত আইনের ধারা ৪৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
‘‘৪৪। অপরাধের বিচার, ইত্যাদি। - (১) এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, উহার এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য, কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধ বিচারের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করিবেন।’’।
১৪। উক্ত আইনের ধারা ৪৫ বিলুপ্ত হইবে।
১৫। উক্ত আইনের ধারা ৪৭ এর-
(ক) উপ-ধারা (১) এর-
(অ) দফা (খ) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(আ) দফা (গ) তে উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) উপ-ধারা (২) এ, দুইবার উল্লিখিত, ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে, উভয় স্থানে, ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
১৬। উক্ত আইনের ধারা ৪৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
‘‘৪৮। বিচারের বিশেষ পদ্ধতি। - এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক কারাদণ্ড না হইলে, সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে।’’।
১৭। উক্ত আইনের ধারা ৪৯ এ উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনালে’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি এবং ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘উক্ত আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
১৮। উক্ত আইনের ধারা ৫০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
‘‘৫০। বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত অন্য অপরাধের বিচার। - এই আইনের অন্য কোনো বিধান অথবা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলার মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত অন্য কোনো অপরাধ যদি এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্ত অন্য অপরাধের বিচার বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত একই সঙ্গে হওয়া উচিত, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটি বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত, যতদূর সম্ভব, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে একই সঙ্গে বিচার্য হইবে।’’।
১৯। উক্ত আইনের ধারা ৫১ এর-
(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-
‘‘(১) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) কার্যদিবসের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচার সমাপ্ত করিতে হইবে।’’;
(খ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(গ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ শব্দের পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
২০। উক্ত আইনের ধারা ৫৩ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫৩ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-
‘‘৫৩। আপিল। - এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে, রায় প্রদানের তারিখ হইতে
৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে, আপিল করা যাইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, রায়ের জাবেদা নকল পাওয়ার জন্য যে সময় অতিবাহিত হইবে উহা উক্ত সময় হইতে কর্তন করিতে হইবে।’’।
২১। উক্ত আইনের ধারা ৫৪ তে উল্লিখিত ‘‘বিচার ও ’’ শব্দগুলির পর ‘‘আপিল’’ শব্দ সন্নিবেশিত হইবে।
২২। উক্ত আইনের ধারা ৫৫ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫৫ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-
‘‘৫৫। মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে আইনানুগ অনুমান (presumption)। - যদি কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন, অন্য কোনোভাবে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা প্রয়োগ অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, ভিন্নতর প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, এই আইন লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।’’।