প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১

( ২০২১ সনের ০৪ নং আইন )

*** সংশোধনীসমূহ মূল আইন (বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩) এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ***

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন

         যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬১ নং আইন) সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

          সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২০১৩ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন

২।  বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর দফা (৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

‘‘(৫)   ‘‘পরিবহন’’ অর্থ নৌপথ, স্থল পথ ও আকাশপথে পরিবহন;’’।

২০১৩ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৭ এর সংশোধন

৩।  উক্ত আইনের ধারা ৭ এর উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (২ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

‘‘(২ক) উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়-সীমার মধ্যে যদি নিবন্ধন সনদ নবায়নের জন্য আবেদন দাখিল করা না হয়, তাহা হইলে সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত পরিমাণের জরিমানা প্রদান করিয়া উক্ত সময়-সীমার পরবর্তী ৬(ছয়) মাসের মধ্যে উক্ত আবেদন দাখিল করা যাইবে।’’।

২০১৩ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৮ এর প্রতিস্থাপন

 

৪।  উক্ত আইনের ধারা ৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

‘‘৮। নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর, ঠিকানা পরিবর্তন, ইত্যাদি।- (১) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনক্রমে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করা যাইবে, যথা:-

(ক)  যে ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদধারী ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন; বা

(খ)  যে ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদধারী ব্যক্তি শারীরিক কারণে ট্রাভেল এজেন্সির কার্যক্রম পরিচালনা করিতে অক্ষম; বা

(গ)  নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট যুক্তিযুক্ত বলিয়া বিবেচিত অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে।

(২) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো ট্রাভেল এজেন্সি তাহার ব্যবসায়িক ঠিকানা পরিবর্তন করিতে পারিবে না।

(৩) কোনো ট্রাভেল এজেন্সি দেশে বা বিদেশে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে চাহিলে তাহাকে নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’’।

 

২০১৩ সালের ৬১ নং আইনের ধারা ১১ এর প্রতিস্থাপন

৫।  উক্ত আইনের ধারা ১১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-

‘‘১১।      অপরাধ ও দণ্ড।- (১) কোনো ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে, উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(২) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের অভিযোগ দায়ের, প্রাথমিক তথ্য সরবরাহ, তদন্ত, বিচারিক অনুসন্ধান, সংক্ষিপ্ত বিচার ও আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(৩) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের বিপরীতে উল্লিখিত সীমার মধ্যে যে কোনো পরিমাণের অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষমতা আদালতের থাকিবে।

(৪) এই ধারার অধীন দণ্ডনীয় অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য, আপসযোগ্য ও জামিনযোগ্য হইবে।’’।

২০১৩ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ১১ক ও ১১খ এর সন্নিবেশ

৬।  উক্ত আইনের ধারা ১১ এর পর নিম্নরূপ ধারা ১১ক ও ১১খ সন্নিবেশিত হইবে, যথা :-

‘‘১১ক। অপরাধের আপসযোগ্যতা (Offences to be compoundable)।- (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতিবেদন ব্যতীত কোনো আদালত ধারা ১১ এর অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ আমলে গ্রহণ করিতে পারিবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করিয়া ধারা ১১ এর অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের আপসরফা করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত জরিমানার পরিমাণ কোনোক্রমেই ধারা ১১ এর অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের বিপরীতে উল্লিখিত অর্থদণ্ডের অধিক হইবে না।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন জরিমানা আরোপ ও আদায় করিবার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন জরিমানা আরোপ ও আদায় করিয়া ধারা ১১ এর অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের আপসরফা করা হইলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার অপরাধের দায় হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত হইবেন।

১১খ। কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।- ধারা ১১ এর অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকিলে, উক্তরূপ অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ  সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ প্রত্যেক মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।

ব্যাখ্যা।- এই ধারায়-

(ক)  ‘কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান’ বলিতে কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং

(খ)  ‘পরিচালক’ বলিতে কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকে বুঝাইবে।’’।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs