প্রিন্ট ভিউ

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২১

( ২০২১ সনের ১০ নং আইন )

শিশুদের দিবাকালীন পরিচর্যা ও নিরাপত্তার জন্য সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি পর্যায়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিকে দিনের বেশিরভাগ সময় নিজ বাসগৃহের বাহিরে অবস্থান করিতে হয় এবং তাহার শিশুর জন্য মানসম্পন্ন উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার লক্ষ্যে শিশুর দিবাকালীন অবস্থানের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রয়োজন; এবং

যেহেতু উক্ত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, নিবন্ধন প্রদান, উহার সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা, প্রদেয় সেবার গুণগতমান নিশ্চিতকরণ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে একটি আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২১ নামে অভিহিত হইবে।

(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।

*এস, আর, নং ২৮৬-আইন/২০২১, তারিখঃ ২৫ আগস্ট, ২০২১ ইং দ্বারা ১৭ ভাদ্র, ১৪২ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে উক্ত আইন কার্যকর

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(১) ‘অভিভাবক’ অর্থ শিশুর পিতা, মাতা বা এমন কোনো ব্যক্তি যিনি Guardians and Wards Act,1890 (Act No. VIII of 1890) এর অধীনে কোনো শিশুর কল্যাণে আদালত কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক (guardian);

(২) ‘আপিল’ অর্থ ধারা ১৯ এ উল্লিখিত আপিল;

(৩) ‘কেন্দ্র’ অর্থ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র;

(৪) ‘নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ’ অর্থ ধারা ৫ এর অধীন নির্ধারিত নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ;

(৫) ‘নির্ধারিত’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;

(৬) ‘নিবন্ধন সনদ’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন সনদ;

(৭) ‘পরিদর্শক’ অর্থ ধারা ১৩ এর অধীন নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তা;

(৮) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(৯) ‘ব্যক্তি’ অর্থ যেকোনো ব্যক্তি এবং কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, ফার্ম বা অন্য কোনো সংস্থাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১০) ‘শিশু’ অর্থ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে ভর্তির উপযুক্ত ৪ (চার) মাস বয়স হইতে ৬ (ছয়) বৎসর বয়স পর্যন্ত কোনো শিশু;

(১১) ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ অর্থ কোনো ইমারত, বাড়ি, নির্ধারিত স্থান, কক্ষ, বা কোনো আঙ্গিনা যাহাতে কোনো শিশু দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবস্থান করে।

অন্যান্য আইনের প্রযোজ্যতা

৩।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, দেশে কার্যকর অন্য কোনো আইনের বিধান, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রযোজ্য হইবে।

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন

৪। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বীয় ব্যবস্থাপনায়, নির্ধারিত শ্রেণির কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিতে পারিবে।

(২) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ব্যতিরেকে কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিতে পারিবেন না :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত কোনো কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নিবন্ধন গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না।

(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, জনস্বার্থে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো শ্রেণির কেন্দ্রকে নিবন্ধন সনদ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ

৫।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করিবে।

নিবন্ধন সনদ প্রদান

৬। (১) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনপত্র নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিবেচনা করিয়া, কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য নিবন্ধন সনদ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন সনদের মেয়াদ হইবে ৩ (তিন) বৎসর এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে উহা নবায়নযোগ্য হইবে।

(৩) কোনো ব্যক্তি কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিতে চাহিলে, তাহাকে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে।

(৪) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যাচাই-বাছাই করিয়া, উক্ত আবেদনপত্র গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে।

(৫) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোনো কেন্দ্র, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, স্থাপিত ও পরিচালিত হইলে উক্ত কেন্দ্র পরিচালনাকারী ব্যক্তিকে এই আইন কার্যকর হইবার ৬ (ছয়) মাস সময়ের মধ্যে এই আইনের অধীন উহার নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে।

নিবন্ধন প্রাপ্তির শর্ত

৭। (১) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত শর্তে কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য নিবন্ধন সনদ প্রদান করিতে পারিবে, যদি-

(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন;

(খ) তাহার নির্ধারিত আর্থিক সচ্ছলতা থাকে;

(গ) তিনি আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর উক্ত দেউলিয়াত্বের অবসান ঘটিয়া থাকে;

(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দন্ডিত হইয়া থাকেন এবং দণ্ডভোগের পর ২ (দুই) বৎসর সময় অতিবাহিত হইয়া থাকে;

(ঙ) তাহার নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ থাকে;

(চ) তাহার নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মচারী থাকে;

(ছ) তাহার নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত অবকাঠামো বা স্থাপনা থাকে; এবং

(জ) তিনি বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো শর্ত প্রতিপালন করেন।

(২) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, কোনো গার্মেন্টস বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান কেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে উহার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিপালনীয় কোনো শর্ত হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) নিবন্ধন সনদ ইস্যুর তারিখ হইতে অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে কেন্দ্রের কার্যক্রম আরম্ভ করিতে হইবে এবং কোনো ব্যক্তি উক্ত সময়ের মধ্যে কেন্দ্র পরিচালনার কার্যক্রম আরম্ভ করিতে ব্যর্থ হইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন সনদ বাতিল হইয়া যাইবে।

(৪) নিবন্ধন সনদ প্রাপ্ত ব্যক্তি, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।

(৫) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তি কেন্দ্রের অবস্থান ও ঠিকানা পরিবর্তন করিতে পারিবেন না।

নিবন্ধন নবায়ন

৮। (১) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন সনদের মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফি আদায় সাপেক্ষে নিবন্ধন সনদ নবায়ন করিতে পারিবে।

(২) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত কারণে ও পদ্ধতিতে নিবন্ধন সনদ নবায়ন করিতে বা অস্বীকার করিতে পারিবে।

(৩) কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে উহা নবায়নের জন্য আবেদন করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত বিলম্ব ফি প্রদান সাপেক্ষে সনদ নবায়নের আবেদন করিতে পারিবেন।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনপত্র নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত কারণে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে।

নিবন্ধন স্থগিত, বাতিল, ইত্যাদি

৯। (১) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, নিম্নবর্ণিত কোনো কারণে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে তদন্ত ও শুনানির সুযোগ প্রদান সাপেক্ষে, কোনো কেন্দ্রের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে, যদি-

(ক) মিথ্যা তথ্য প্রদান বা প্রতারণার মাধ্যমে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করা হইয়া থাকে;

(খ) এই আইন, ও তদধীন প্রণীত বিধি বা সনদের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হইয়া থাকে;

(গ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নবায়ন না করা হইয়া থাকে;

(ঘ) নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির পর নিবন্ধন গ্রহীতা কোনো ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হইয়া থাকেন;

(ঙ) কোম্পানি, সংস্থা, অংশীদারি কারবার বা আইনগত সত্তার ক্ষেত্রে উহার অবসায়ন ঘটিয়া থাকে;

(চ) সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া থাকেন;

(ছ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো কারণে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো কেন্দ্রের নিবন্ধন সনদ স্থগিত করা হইলে উক্ত কেন্দ্রে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কেন্দ্রের নিবন্ধন স্থগিত করা হইলে উক্ত কেন্দ্রের সেবার আওতাভুক্ত কোনো শিশুকে তাহার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের আবেদনের ভিত্তিতে, তদ্‌সন্নিহিত কোনো কেন্দ্রে সেবা প্রদান করা যাইবে।

(৩) সরকার বা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, এই আইন, বিধি বা সনদের কোনো শর্ত লঙ্ঘনের কারণে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোনো কেন্দ্রের সনদ স্থগিত এবং উহার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৪) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত বন্ধ বা স্থগিত আদেশ নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে প্রত্যাহার করিতে পারিবে।

(৫) নিবন্ধন সনদ হারাইয়া গেলে বা পুড়িয়া গেলে বা অন্য কোনোভাবে বিনষ্ট হইয়া গেলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সনদের অবিকল নকল (ডুপ্লিকেট কপি) প্রদান করিতে পারিবে।

শিশু সেবা মূল্য

১০।  (১) নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতিটি কেন্দ্রে শিশু সেবা মূল্য গ্রহণ করা যাইবে।

(২) কেন্দ্রের সেবা মূল্য (service charge) দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করিতে হইবে।

নিবন্ধনবহি, হিসাব-নিরীক্ষা ও প্রতিবেদন

১১।  (১) সকল কেন্দ্রে, প্রযোজ্যতা অনুযায়ী, কেন্দ্রের নাম ও ঠিকানা, প্রতিষ্ঠার সন ও তারিখ, পরিচালনাকারী ও নিযুক্ত কর্মচারীদের ব্যক্তিগত পরিচিতি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিবন্ধন সনদ প্রদানের তারিখ ও নম্বর এবং অনুরূপ বিষয়ে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধনবহি সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(২) সকল কেন্দ্রের আয়-ব্যয়ের হিসাব, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, লিখিতভাবে বা, ক্ষেত্রমত, ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(৩) সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রত্যেক বৎসর শেষে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত নিরীক্ষা ফার্ম কর্তৃক কেন্দ্রের নিরীক্ষিত, বাৎসরিক আয়-ব্যয় সংক্রান্ত একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন।

দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা

১২।  (১) সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে কেন্দ্র পরিচালিত হইবে।

(২) প্রত্যেক কেন্দ্রে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অভিভাবক বা তদ্‌কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধির নিকট হইতে শিশু গ্রহণ এবং অভিভাবক বা উক্ত প্রতিনিধির নিকট নির্দিষ্ট সময়ে শিশু হস্তান্তর করিতে হইবে।

(৩) প্রত্যেক কেন্দ্রে শিশুর যাবতীয় তথ্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(৪) প্রত্যেক কেন্দ্রে সনদের নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী ভৌত অবকাঠামো থাকিতে হইবে।

(৫) কেন্দ্রে নির্ধারিত শিশু সেবা বা, ক্ষেত্রমত, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করিতে হইবে।

(৬) কেন্দ্রে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, প্রয়োজনে, প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বা আর্চওয়ে, প্রবেশপথ, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, কেন্দ্রের চারপাশ ও প্রয়োজনীয় স্থানে দীর্ঘ সময়ের ভিডিও চিত্র ধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন উচ্চ মানসম্পন্ন নাইট ভিশন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা অনুরূপ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র স্থাপন করিতে হইবে।

পরিদর্শক

১৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার বা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উহার যেকোনো কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে পরিদর্শক হিসাবে নিযুক্ত করিতে পারিবে।

(২) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ আদেশ দ্বারা প্রত্যেক পরিদর্শকের কর্ম এলাকা বা এখতিয়ার সম্পন্ন এলাকা নির্ধারণ করিতে পরিবে।

পরিদর্শকের ক্ষমতা

১৪। (১) এখতিয়ারভুক্ত এলাকার পরিদর্শক, যেকোনো সময়ে যেকোনো কেন্দ্র পরিদর্শন করিতে পারিবেন।

(২) কোনো পরিদর্শক যুক্তিসংগত যেকোনো সময়ে তাহার এখতিয়ারাধীন এলাকার কোনো কেন্দ্রে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং উক্ত কেন্দ্রের যেকোনো লগ বুক, প্রতিবেদন, উপাত্ত, নথিপত্র, বিল বা অন্যবিধ দলিল পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং, প্রয়োজনে, উক্ত দলিলের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষের অনুলিপি বা ফটোকপি বা প্রয়োজনীয় তথ্যাদিও (extract) সংগ্রহ করিতে পারিবেন এবং উক্ত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকারী, পরিচালনাকারী, নিয়ন্ত্রণকারী বা উক্ত কেন্দ্রে কর্মরত কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

(৩) পরিদর্শক, কোনো কেন্দ্রের নিবন্ধন সনদ প্রদর্শন বা কোনো তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ করিলে, কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকারী বা পরিচালনাকারী বা নিয়ন্ত্রণকারী বা উক্ত কেন্দ্রে কর্মরত কর্মচারী, অনুরোধকৃত সনদ বা তথ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করিবেন।

(৪) এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনকালে কোনো ব্যক্তি পরিদর্শককে বাধা প্রদান করিবেন না বা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবেন না বা সজ্ঞানে কোনো মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য, মৌখিক বা লিখিত যাহাই হউক না কেন, প্রদান করিবেন না।

(৫) উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এর অধীন পরিদর্শনকালে যদি প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র এই আইন বা বিধি লঙ্ঘন করিয়াছে, বা উক্ত কেন্দ্রে কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া যুক্তিসংগতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে, তবে পরিদর্শক তল্লাশি পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং অপরাধ সংঘটনকালে ব্যবহৃত হইয়াছে এইরূপ কোনো পণ্য, উপাদান, রেকর্ড, রেজিস্টার, দলিল বা অনুরূপ বিষয়ে অন্য কোনো প্রমাণ জব্দ করিয়া উহা নিকটস্থ থানায় দাখিল করিবেন।

(৬) এই ধারার অধীন পরিদর্শনকালে পরিদর্শক কেন্দ্রের পরিবেশ বা সনদের অন্য কোনো শর্ত নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নিশ্চিত করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(৭) এই ধারার অধীন পরিদর্শন সম্পন্ন করিবার পর পরিদর্শক, যথাশীঘ্র সম্ভব, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট কেন্দ্রের যাবতীয় বিষয়ে তাহার প্রতিবেদন, প্রয়োজনে, সুপারিশসহ পেশ করিবেন।

কমিটি গঠন

১৫। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য কার্যপরিধি নির্ধারণ করিয়া এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।

অভিভাবকগণের সহিত মতবিনিময়

১৬। কেন্দ্র পরিচালনাকারী ব্যক্তি প্রত্যেক ৩ (তিন) মাসে অন্যূন একবার করিয়া সেবা গ্রহণকারী অভিভাবকগণের সহিত নির্ধারিত পদ্ধতিতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করিবেন।

প্রশাসনিক জরিমানা

১৭। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এই আইনের ধারা ১০ এর উপ-ধারা (২), ধারা ১১, ধারা ১২ ও ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (৬), এবং বিধির কোনো বিধি বা আইন ও বিধির অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ লঙ্ঘনের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি ও পরিমাণে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ ও আদায় করিতে পারিবে।

পুনর্বিবেচনা

১৮। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে, উক্তরূপে সংক্ষুব্ধ হইবার অনূর্ধ্ব ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পুনর্বিবেচনার আবেদন প্রাপ্ত হইলে কর্তৃপক্ষ, অনূর্ধ্ব ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, উহা নিষ্পত্তি করিয়া পূর্বের আদেশ বা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করিতে পারিবে।

আপিল

১৯। (১) কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) আপিল কর্তৃপক্ষ, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কোনো আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা উহা সংশোধন, পরিবর্তন, বাতিল বা স্থগিত করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

নিবন্ধন সনদ ব্যতীত কেন্দ্র পরিচালনার দণ্ড

২০।  (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন ব্যতীত কোনো ব্যক্তি কেন্দ্র পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ, তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা, তবে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার নিম্নে নহে, অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ পুনঃসংঘটনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকবার অপরাধ সংঘটনের জন্য প্রথম অপরাধের দ্বিগুণ কারাদণ্ডে ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

নির্দেশনা অমান্য বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দণ্ড

২১। কোনো ব্যক্তি কোনো পরিদর্শকের নির্দেশ অমান্য করিলে বা কাজে বাধা প্রদান করিলে পরিদর্শক তাহাকে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করিতে পারিবেন।

সংক্রামক রোগের বিস্তার এবং তথ্যগোপনের অপরাধ ও দণ্ড

২২। যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কেন্দ্রে-

ক) সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও সংক্রামক রোগ বিষয়ে প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন অথবা উক্ত কেন্দ্রে আগত শিশুর অভিভাবকের নিকট সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি গোপন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ;

খ) সংক্রামক রোগের সংক্রমন সম্পর্কে যথাযথ তথ্য জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

শিশুর নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করিবার দণ্ড

২৩। কোনো কেন্দ্রে শিশুর নিরাপত্তা বিপন্ন হইতে পারে এইরূপ কোনো কার্য সংঘটিত হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ, তজ্জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

কর্তব্যে অবহেলার দণ্ড

২৪।  কোনো ব্যক্তির কর্তব্য অবহেলার কারণে কেন্দ্রে অবস্থানকালে কোনো শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ হইলে বা স্বাস্থ্যহানি ঘটিলে উহা হইবে একটি অপরাধ, তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

শিশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের দণ্ড

২৫।  কোনো ব্যক্তি কেন্দ্রে শিশুর সহিত নির্ধারিত নিষ্ঠুর আচরণ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ, তজ্জন্য তিনি অন্যূন ২ (দুই) মাসের কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

কেন্দ্র হইতে শিশু নিখোঁজ বা হারাইয়া যাওয়ার দণ্ড

২৬।  কোনো কেন্দ্র হইতে কোনো শিশু নিখোঁজ হইলে বা হারাইয়া গেলে উহা হইবে একটি অপরাধ, তজ্জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ১০ (দশ) বৎসরের কারাদণ্ডে এবং ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ক্যামেরায় গৃহীত ছবি, রেকর্ডকৃত কথাবার্তার সাক্ষ্য মূল্য

২৭।  Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কেন্দ্রে সংঘটিত কোনো অপরাধের ভিডিও, স্থিরচিত্র বা আলোকচিত্র বা অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তির কোনো কথা-বার্তা বা আলাপ-আলোচনার রেকর্ড বা অন্য কোনো ডিজিটাল রেকর্ড উক্ত অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারের সময় সাক্ষ্য হিসাবে আদালত কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে।

কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন

২৮। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এইরূপ পরিচালক, শেয়ার হোল্ডার বা ব্যবস্থাপনা ও সেবামূলক কাজের সহিত জড়িত কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে বা উক্ত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তিনি যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়াছেন।

ব্যাখ্যা।―এই ধারায় ‘কোম্পানি’ অর্থ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) তে সংজ্ঞায়িত কোনো কোম্পানি।

মামলা, তদন্ত ও জামিন

২৯। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের মামলা দায়ের, উহার তদন্ত ও বিচার Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) অনুযায়ী সম্পন্ন হইবে।

(২) এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ, ধারা ২৬ এ বর্ণিত অপরাধ ব্যতীত, অ-আমলযোগ্য (non-cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) ও আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।

মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার

৩০। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধ, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) অনুযায়ী, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

প্রতিবেদন

৩১। (১) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, প্রত্যেক বৎসর ৩১ মার্চ তারিখের মধ্যে, তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যক্রমের একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে।

(২) সরকার যেকোনো সময় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উহার যেকোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন চাহিতে পারিবে এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ চাহিত প্রতিবেদন সরকারের নিকট, যথাশীঘ্র সম্ভব, দাখিল করিবে।

বকেয়া আদায়

৩২। (১) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উহার প্রাপ্য সকল ফি, চার্জ, প্রশাসনিক জরিমানা এবং অন্যবিধ সকল পাওনা, সরকারি পাওনা হিসাবে Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর বিধান অনুযায়ী আদায় করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উহার কোনো কর্মকর্তাকে উক্ত Act এর Section 3 এর clause (3) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী Certificate-officer হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং উক্ত কর্মকর্তা উক্ত Act এর অধীন Certificate-officer এর সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিতে পারিবেন।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৩৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

৩৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

(২) এই আইন এবং ইংরেজিতে অনূদিত পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs