প্রিন্ট ভিউ
Patents And Designs Act, 1911 এর পেটেন্ট সংক্রান্ত বিধানসমূহ রহিতক্রমে যুগোপযোগী করিয়া পেটেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ের উপর পৃথকভাবে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু Patents And Designs Act, 1911 (Act No. II of 1911) এর পেটেন্ট সংক্রান্ত বিধানসমূহ রহিতক্রমে যুগোপযোগী করিয়া পেটেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ের উপর পৃথকভাবে আইন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,¾
(১) ‘‘অগ্রাধিকার তারিখ’’ অর্থ পূর্বে দাখিলকৃত আবেদনের তারিখ যাহা Paris Convention for the Protection of Industrial Property, 1883 এর অধীন অগ্রাধিকার প্রাপ্তির অধিকারী;
(২) ‘‘অগ্রাধিকার দাবি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ১১ এর অধীন ঘোষিত অগ্রাধিকার সংক্রান্ত দাবি;
(৩) ‘‘আদালত’’ অর্থ Civil Courts Act, 1887 (Act No. XII of 1887) এর section 3 তে উল্লিখিত আদালত;
(৪) ‘‘উদ্ভাবন’’ অর্থ পণ্য বা প্রক্রিয়ার সহিত সম্পৃক্ত উদ্ভাবকের এইরূপ কোনো ধারণা, যাহা প্রযুক্তিগত সুনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে সহায়ক;
(৫) ‘‘জেনেটিক রিসোর্স’’ অর্থ জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত বংশানুগতি তথ্য, যাহাকে মেধাসম্পদ হিসাবে গণ্য করা যায়;
(৬) ‘‘দেওয়ানি কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);
(৭) ‘‘পেটেন্ট’’ অর্থ কোনো উদ্ভাবন সুরক্ষা করিবার জন্য মঞ্জুরিকৃত নিরঙ্কুশ অধিকার, যাহার দ্বারা পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী তাহার উদ্ভাবন বাংলাদেশে অন্য কোনো ব্যক্তিকে ব্যবহার করা হইতে বিরত রাখিবার আইনগত অধিকারী হয়;
(৮) ‘‘পেটেন্ট প্রতিনিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন পেটেন্ট প্রতিনিধি হিসাবে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি;
(৯) ‘‘বাধ্যতামূলক লাইসেন্স’’ অর্থ কোনো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানকে, স্বত্বাধিকারীর অনুমোদন ব্যতীত, পেটেন্টস্বত্ব বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত লাইসেন্স;
(১০) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১১) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি এবং কোনো কোম্পানি, সমিতি বা সংঘ,
নিগমিত (incorporated) হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১২) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস বিষয়ক দপ্তরের প্রধান, তিনি যে নামেই অভিহিত হউন না কেন;
(১৩) ‘‘লাইসেন্সি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত পেটেন্ট ব্যবহারের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি;
(১৪) ‘‘স্বত্বাধিকারী’’ অর্থ এই আইনের অধীন পেটেন্ট এর স্বত্বাধিকারপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি;
(১৫) ‘‘Patent Cooperation Treaty” অর্থ ১৯ জুন, ১৯৭০ খ্রি. তারিখে ওয়াশিংটনে সম্পাদিত Patent Cooperation Treaty (পেটেন্ট কো-অপারেশন ট্রিটি);
(১৬) ‘‘আন্তর্জাতিক পেটেন্ট’’ Patent Cooperation Treaty (পেটেন্ট কো-অপারেশন ট্রিটি) অনুযায়ী দাখিলকৃত আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আবেদন।
দ্বিতীয় অধ্যায়
পেটেন্টযোগ্য উদ্ভাবন ও সুরক্ষা
৩। (১) প্রযুক্তিগত যে কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনই পেটেন্টযোগ্য হইবে, যদি উহাতে নূতনত্ব (novelty) ও উদ্ভাবনী ধাপ বিদ্যমান থাকে এবং শিল্পে প্রয়োগযোগ্য হয়।
(২) কোনো উদ্ভাবনে নূতনত্ব বিদ্যমান রহিয়াছে মর্মে বিবেচিত হইবে, যদি উহা জ্ঞাত পূর্বত্ব দ্বারা ধারণাযোগ্য না হয়।
(৩) কোনো উদ্ভাবনে উদ্ভাবনী ধাপ বিদ্যমান রহিয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে, যদি উহা জ্ঞানের প্রভূত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নির্দেশ করে, যাহা বিদ্যমান জ্ঞান বা জ্ঞাতপূর্ব কোনো কলাকৌশলের আওতাবহির্ভূত এবং উক্ত সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিতে জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট দাবিকৃত উদ্ভাবনটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান না হয়।
(৪) শিল্পে প্রয়োগ বা ব্যবহার করা যাইতে পারে এইরূপ যে কোনো কর্ম উদ্ভাবন হিসাবে বিবেচিত হইবে।
ব্যাখ্যা।¾‘‘জ্ঞাত পূর্বত্ব (prior art)’’ বলিতে পেটেন্ট আবেদনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবনের তথ্যাদি যে কোনো স্থানে দৃশ্যমানরূপে, ব্যবহারের মাধ্যমে, লিখিত, মৌখিক বা অন্য কোনো উপায়ে জনসাধারণের নিকট প্রকাশিত হওয়াকে বুঝাইবে, তবে আবেদনের তারিখ হইতে বা, ক্ষেত্রমত, আবেদনের অগ্রাধিকার তারিখ হইতে পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে আবেদনকারী বা তাহার স্বত্বের পূর্বসূরি কর্তৃক বা তদ্সম্পর্কিত কোনো তৃতীয় পক্ষের অপব্যবহার দ্বারা উক্ত প্রকাশের বিষয়টি ঘটিয়া থাকিলে কোনো উদ্ভাবন জনসাধারণের নিকট প্রকাশিত হইবার বিষয়টি বিবেচনা করা হইবে না।
৪। (১) উদ্ভাবকের পেটেন্টের স্বার্থ বা অধিকার সংরক্ষিত থাকিবে।
(২) দুই বা ততোধিক ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে কোনো কিছু উদ্ভাবন করিলে, উক্ত ব্যক্তিগণ যৌথভাবে পেটেন্টের অধিকারী হইবেন।
(৩) যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে একইরূপ উদ্ভাবন করেন, তাহা হইলে যে ব্যক্তি প্রথম পেটেন্টের জন্য আবেদন করিবেন তিনি উক্ত পেটেন্টের অধিকারী হইবেন এবং অগ্রাধিকার দাবির ক্ষেত্রে, অগ্রাধিকার তারিখ পেটেন্ট আবেদনের তারিখ হিসাবে গণ্য হইবে।
(৪) পেটেন্টের অধিকার উত্তরাধিকারসূত্রে অর্পণ বা হস্তান্তর করা যাইবে।
(৫) যেক্ষেত্রে উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক কোনো কিছু উদ্ভাবন করা হয়, সেইক্ষেত্রে চুক্তিতে সুস্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, পেটেন্টের অধিকার নিয়োগকারীর থাকিবে এবং উক্ত উদ্ভাবন হইতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির পারিশ্রমিক অপেক্ষা অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি লাভবান হইলে, নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত পারিতোষিক (rayalty) প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন।
(৬) যেক্ষেত্রে উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত চুক্তি ব্যতিরেকে, নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিয়োগকারীর সরঞ্জামাদি, তথ্য-উপাত্ত, ব্যবহারিক জ্ঞানসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করিয়া কোনো কিছু উদ্ভাবন করেন, সেইক্ষেত্রে নিয়োগ চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, পেটেন্টের অধিকার নিয়োগকারীর থাকিবে এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত উদ্ভাবন ব্যবহার করিয়া প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে পরিমাণ মুনাফা লাভ করিবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি অন্যূন উহার এক-তৃতীয়াংশ পারিতোষিক প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন।
(৭) নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার উদ্ভাবনের বিষয়টি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণের
১ (এক) বৎসরের মধ্যে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ পেটেন্টের জন্য আবেদন না করিলে, নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি পেটেন্টের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন বা পেটেন্টটি অনুমোদিত হইলে যে কোনো ব্যক্তিকে লাইসেন্সের জন্য তাহার পেটেন্টের অধিকার অর্পণ বা হস্তান্তর করিতে পারিবেন।
(৮) যদি উদ্ভাবনকারী তাহার নিয়োগকারীর নিকট এই মর্মে কোনো পূর্ব প্রতিশ্রুতি প্রদান বা অঙ্গীকার করেন যে, তিনি এই ধারার অধীন কোনো পারিতোষিক গ্রহণ করিবেন না, তাহা হইলে উক্ত প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার গ্রহণযোগ্য হইবে না।
(৯) উদ্ভাবকের নামেই পেটেন্ট হইবে, যদি না তিনি স্বাক্ষরযোগে রেজিস্ট্রারের নিকট লিখিত ঘোষণা প্রদান করেন যে, তিনি তাহার নামে পেটেন্ট করিতে ইচ্ছুক নহেন :
তবে শর্ত থাকে যে, উদ্ভাবক কর্তৃক অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট এইরূপ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি প্রদান বা অঙ্গীকার করিলে উহা গ্রহণযোগ্য হইবে না।
৫। (১) নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি পেটেন্ট সুরক্ষার আওতা বহির্ভূত হইবে, যথা :¾
(ক) আবিষ্কার, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গাণিতিক পদ্ধতি;
(খ) ব্যবসা-পদ্ধতি, সম্পূর্ণভাবে মানসিক কার্য সম্পাদনের বা খেলাধুলার নিয়মাবলি বা পদ্ধতি এবং এইরূপ কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম;
(গ) সার্জারি বা থেরাপির মাধ্যমে মানবদেহ বা প্রাণির চিকিৎসা পদ্ধতি এবং মানবদেহ বা প্রাণির রোগ নির্ণয় পদ্ধতি, তবে এই বিধান উক্ত পদ্ধতিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা পণ্যের (device or kit) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না;
(ঘ) প্রাকৃতিক বস্ত্ত, এমনকি যদি উহা শোধিত, কৃত্রিমভাবে রূপান্তরিত বা অন্য কোনোভাবে প্রকৃতি হইতে পৃথক করা হয়, তাহা হইলে এই বিধান উক্ত প্রাকৃতিক বস্ত্তকে উহার স্বাভাবিক পরিবেশ হইতে পৃথক করিবার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না;
(ঙ) পরিচিত বস্ত্ত যাহার একটি নূতন ব্যবহার আবিষ্কার হইয়াছে, তবে ইহা এইরূপ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যে ক্ষেত্রে উক্তরূপ ব্যবহারের ফলে এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন কোনো উদ্ভাবন সংঘটিত হয়;
(চ) অণুজীব ব্যতীত উদ্ভিদ ও প্রাণি, উহাদের অংশ এবং অজৈব ও মাইক্রো বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়া ব্যতীত উদ্ভিদ বা প্রাণি ও উহাদের অংশ উৎপাদনের জন্য আবশ্যকীয় জৈবিক প্রক্রিয়া;
(ছ) জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন এইরূপ উদ্ভাবনসমূহ;
(জ) কোনো উদ্ভাবন যাহা অসার বা তুচ্ছ বস্ত্ত (frivolous) বা এমন কোনো প্রক্রিয়া যাহা প্রতিষ্ঠিত এবং স্পষ্টত প্রাকৃতিক নিয়মের পরিপন্থি;
(ঝ) সাধারণ সংমিশ্রণের মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনো বস্ত্ত যাহাতে কেবল উপাদানসমূহের গুণাগুণের সমষ্টি বিদ্যমান থাকে এবং এইরূপ বস্ত্ত উৎপাদনের কোনো প্রক্রিয়া;
(ঞ) জ্ঞাত একাধিক উদ্ভাবনের (ডিভাইস) সুবিন্যাস বা পুনরুৎপাদন, যাহা বিন্যাসের পূর্বে উহাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য স্বাধীনভাবে কার্যরত থাকে;
(ট) কৃষি বা উদ্যান পালন পদ্ধতি;
(ঠ) সাহিত্য, নাট্যকলা, সংগীত অথবা শিল্পজনোচিত কর্ম বা কোনো সৌন্দর্যবোধ বিশিষ্ট কর্ম, চলচ্চিত্র কর্ম এবং রেডিও বা টেলিভিশনে প্রচারিত নাটকাদি;
(ড) কেবল কোনো তথ্যের বর্ণনা;
(ঢ) বিভিন্ন উপাদানে গঠিত ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট সংক্রান্ত বিশদ বর্ণনা;
(ণ) ঐতিহ্যগত জ্ঞান হইতে উদ্ভাবন, ঐতিহ্যগতভাবে জ্ঞাত কোনো উপাদান বা উপাদানসমূহের জ্ঞাত গুণাগুণের সমন্বয় বা সমষ্টি বা প্রতিরূপ;
(ত) কোনো উদ্ভাবন যাহার ব্যবহার জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ;
(থ) জ্ঞাত কোনো বস্ত্ত নূতন রূপে আবিষ্কার করা এবং যদি উক্ত বস্ত্ত জ্ঞাত অভীষ্ট ফলদানে কোনো প্রকার উন্নতি করিতে সক্ষম না হয় অথবা জ্ঞাত কোনো বস্ত্তর কেবল নূতন গুণাগুণ অথবা নূতন ব্যবহার আবিষ্কার বা জ্ঞাত প্রক্রিয়া বা মেশিন বা যন্ত্রের কেবল নূতন ব্যবহার আবিষ্কার করা যতক্ষণ না উক্তরূপ সকল জ্ঞাত প্রক্রিয়া কোনো নূতন উৎপাদন বা বিক্রিয়ায় অন্যূন একটি নূতন উপাদান তৈরি করে;
(দ) দফা (থ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, লবণ, ইস্টার, ইথার, পলিমরফস, মেটাবলিটস্, বিশুদ্ধ গঠন, কণার আকার, আইসোমার, আইসোমারের সংমিশ্রণ, যৌগিক বস্ত্ত, জ্ঞাত বস্ত্ত বা অন্যান্য আহরণের সংমিশ্রণ একই বস্ত্ত হিসাবে বিবেচিত হইবে, যদি না উহার ফলপ্রদ ও অর্থপূর্ণ গুণাগুণ ভিন্নরূপ হয়।
(২) Council for Trade-Related Aspects of Intellectual Property Rights (TRIPs), অতঃপর TRIPs Council বলিয়া উল্লিখিত, এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ঔষধ পণ্য এবং
কৃষি-রাসায়নিক পণ্য এর পেটেন্ট সুরক্ষা হইতে অব্যাহতির মেয়াদ যতদিন বহাল থাকিবে, ততদিন পর্যন্ত উক্তরূপ পণ্য পেটেন্ট সুরক্ষার আওতা বহির্ভূত থাকিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্তরূপ সময়সীমা হ্রাস-বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
তৃতীয় অধ্যায়
পেটেন্ট আবেদন দাখিল ও মঞ্জুর
৬। (১) কোনো উদ্ভাবনের দাবিদার ব্যক্তি একক বা যৌথভাবে বা আইনানুগ প্রতিনিধি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে নির্দিষ্টকৃত ফি প্রদানপূর্বক, নিমণবর্ণিত শর্তাধীনে পেটেন্টের জন্য রেজিস্ট্রারের নিকট সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা (Complete specification) বা সাময়িক বিশেষত্বনামা (Provisional specification) সহকারে আবেদন করিতে পারিবেন, যথা :¾
(ক) আবেদনকারী কর্তৃক সাময়িক বিশেষত্বনামা দাখিলের ১২ (বার) মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা দাখিল করিতে হইবে;
(খ) সাময়িক বিশেষত্বনামায় উদ্ভাবনের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য থাকিতে হইবে এবং উহা পরবর্তীতে দাখিলকৃত সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত ফরমে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকিতে
হইবে, যথা:¾
(ক) আবেদনকারী ও উদ্ভাবকের নাম ও পরিচয় সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য;
(খ) উদ্ভাবনের শিরোনাম;
(গ) প্রার্থিত পেটেন্টের সুস্পষ্ট ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বর্ণনা;
(ঘ) আবেদনের নির্দিষ্ট অংশে উদ্ভাবনের বিবরণ;
(ঙ) উদ্ভাবনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক এক বা একাধিক দাবি;
(চ) উদ্ভাবনের সার-সংক্ষেপ;
(ছ) অগ্রাধিকার সংক্রান্ত দাবির নম্বর ও তারিখ, যদি থাকে।
(৩) যদি আবেদন গ্রহণের সময় রেজিস্ট্রারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত শর্তাদি পূরণ করা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়নের জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা না হইলে আবেদন পরিত্যক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) পেটেন্ট আবেদনের সহিত নিম্নবর্ণিত দলিলাদি সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা:¾
(ক) আবেদনকারী কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদন দাখিল করিলে, উক্ত প্রতিনিধির অনুকূলে প্রদত্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৩৫ নং আইন) এর অধীন প্রদত্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির কপি;
(খ) পেটেন্ট আবেদনকারী নিজে উদ্ভাবক না হইলে, তাহার অধিকারের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করিয়া একটি প্রত্যয়নপত্র বা হস্তান্তরপত্র;
(গ) অগ্রাধিকার সংক্রান্ত দাবির ক্ষেত্রে, এই আইনের ধারা ১১ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রত্যায়িত অনুলিপি।
(৫) যদি কোনো সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিতে জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি কর্তৃক অত্যধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যতিরেকে সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ভাবন ব্যবহার বা কার্যকর করা যায় তাহা হইলে দাবিকৃত উদ্ভাবন সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ হিসাবে প্রকাশ করা হইয়াছে মর্মে বিবেচিত হইবে।
(৬) উদ্ভাবন সুস্পষ্টভাবে প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয়তার নিরিখে অংকন (drawing) প্রদান করিতে হইবে।
(৭) উদ্ভাবন সুরক্ষার বিষয়বস্ত্ত¾
(ক) দাবি আকারে উল্লেখ করিতে হইবে,
(খ) সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্তহইতে হইবে এবং উহা বর্ণনার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গরূপে সমর্থিত হইতে হইবে,
(গ) ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের বিবরণ ও অংকন ব্যবহার করা যাইবে।
(৮) পেটেন্ট সুরক্ষা ব্যাখ্যা করিবার উদ্দেশ্যে সার-সংক্ষেপে কারিগরি তথ্য প্রদান করিতে হইবে এবং, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত, উক্ত সার-সংক্ষেপ ৩০০ (তিনশত) শব্দের অধিক হইবে না।
(৯) জেনেটিক অরিজিন বা বায়োলজিক্যাল রিসোর্স এর ক্ষেত্রে দাবিকৃত উদ্ভাবনে প্রত্যক্ষবা পরোক্ষভাবে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে সংগৃহীত জেনেটিক অরিজিন বা বায়োলজিক্যাল রিসোর্সের সুস্পষ্ট পরিচিতি এবং উহাদের সহিত সম্পৃক্ত বা সম্পৃক্ত নহে এইরূপ ঐতিহ্যগত জ্ঞানের উপাদান যাহা, উহার সৃষ্টিকারীর পূর্বানুমতি ব্যতীত, দাবিকৃত উদ্ভাবনে প্রত্যক্ষবা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করা হইয়াছে, তাহা উদ্ভাবনের বিবরণীতে উল্লেখ করিতে হইবে।
(১০) রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশে পেটেন্টকৃত প্রযুক্তি ব্যবহারের বিস্তার ঘটাইবার লক্ষ্যে, পেটেন্ট মঞ্জুরের পূর্বে কোনো বিদেশি পেটেন্ট আবেদনকারীকে তাহার পেটেন্টের বর্ণনা বাংলাদেশের নাগরিকদের সাধারণ দক্ষতার উপযোগী করিয়া অভিযোজিত করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
ব্যাখ্যা।¾এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ‘‘সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিতে জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি’’ বলিতে বাংলাদেশের এইরূপ কোনো নাগরিককে বুঝাইবে যিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করিয়াছেন এবং দাবিকৃত উদ্ভাবনের কারিগরি বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন।
৭। (১) যদি আবেদনকারী এই মর্মে ঘোষণা প্রদান করেন যে, আবেদনে উল্লিখিত অণুজীব বা অণুজীবসমূহ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো ডিপোজিটরি কর্তৃপক্ষের নিকট গচ্ছিত রাখা হইয়াছে এবং প্রমাণস্বরূপ উক্ত ডিপোজিটরি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত দলিলের একটি কপি দাখিল করা হয়, তাহা হইলে রেজিস্ট্রার অণুজীব সম্পর্কিত পেটেন্ট আবেদন বিবেচনা করিবেন।
(২) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অণুজীব সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি জনগণের জন্য সহজলভ্য করা যাইবে।
৮। (১) আবেদনকারী তাহার আবেদনটি মঞ্জুর হইবার পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় উহা প্রত্যাহার করিতে পরিবেন।
(২) যেক্ষেত্রে¾
(ক) পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত না করিয়াই কোনো আবেদন প্রত্যাহার করা হয়,
(খ) কোনো অগ্রাধিকার দাবি করা না হয়,
(গ) বাংলাদেশে উক্ত আবেদনের সহিত কোনো অনিষ্পন্ন অধিকার না থাকে,
সেইক্ষেত্রে একই উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশে পুনরায় আবেদন করা যাইবে।
(৩) আবেদন সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবনের জন্য, বাংলাদেশে দাখিলকৃত আবেদন প্রথম আবেদন হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং পুনরায় আবেদন দাখিল করা হইলে, প্রথমবার দাখিলকৃত আবেদনের জন্য কোনো অগ্রাধিকার দাবি করা যাইবে না।
৯। (১) কেবল একটি উদ্ভাবনের জন্য বা একটি স্বতন্ত্র সাধারণ উদ্ভাবন-ধারণা গঠন করে এইরূপ পারস্পরিক সংযুক্ত উদ্ভাবনের সমষ্টির জন্য পেটেন্টের আবেদন করা যাইবে।
(২) পেটেন্ট আবেদন মঞ্জুর হইবার পূর্বে আবেদনকারী যে কোনো সময় প্রয়োজনীয় ফি দাখিল সাপেক্ষে আবেদন সংশোধন করিতে পরিবেন, তবে প্রথম আবেদনে যে বিষয়টি দাবি করা হইয়াছিল সংশোধনের ক্ষেত্রে তদতিরিক্ত কোনো দাবি করা যাইবে না।
১০। (১) আবেদনকারী পেটেন্ট মঞ্জুর হইবার পূর্বে যে কোনো সময় পেটেন্ট আবেদন ২ (দুই) বা ততোধিক আবেদনে বিভাজিত করিতে পারিবেন, তবে বিভাজিত আবেদনের দাবি প্রাথমিক আবেদনে দাবিকৃত বিষয়ের অতিরিক্ত হইবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিভাজিত আবেদন প্রথম আবেদন দাখিলের তারিখে দাখিল করা হইয়াছিল মর্মে গণ্য হইবে এবং, ক্ষেত্রমত, প্রথম আবেদনের অগ্রাধিকার তারিখ বিভাজিত আবেদনের অগ্রাধিকার তারিখ হিসাবে বিবেচিত হইবে।
১১। (১) Paris Convention for the Protection of Industrial Property, 1883, অতঃপর প্যারিস কনভেনশন বলিয়া উল্লিখিত, অনুসারে আবেদনকারী প্যারিস কনভেনশন এবং World Trade Organization, অতঃপর ডব্লিউটিও বলিয়া উল্লিখিত, এর কোনো সদস্য দেশে পেটেন্ট আবেদন দাখিলের সময় পূর্বের দাখিলকৃত এক বা একাধিক জাতীয় বা আঞ্চলিক আবেদনের অগ্রাধিকার দাবি করিয়া একটি ঘোষণা প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে বাংলাদেশে দাখিলকৃত আবেদন উক্ত সময়ের মধ্যে সংঘটিত কোনো কার্যের ফলে বাতিল হইবে না এবং অন্য কোনো আবেদন
দাখিল, উদ্ভাবন প্রকাশ, ব্যবহার বা এইরূপ কোনো কার্যের ফলে তৃতীয় পক্ষের কোনো অধিকার সৃষ্টি হইবে না।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন অগ্রাধিকারের মেয়াদ হইবে ১২ (বারো) মাস এবং উক্ত মেয়াদ প্যারিস কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৪ এর বিধান অনুযায়ী গণনা করা হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন দাখিলকৃত আবেদনে কোনো ঘোষণা প্রদান করা হইলে, রেজিস্ট্রার, আবেদনকারীকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, যে মেধা সম্পদ দপ্তরে পূর্বে আবেদন দাখিল করা হইয়াছিল উক্ত দপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত এতদ্সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র দাখিলের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
৫। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১২। (১) রেজিস্ট্রার, প্রয়োজনে, পেটেন্ট আবেদনকারীকে বিদেশি আবেদন সংক্রান্ত নিম্নবর্ণিত দলিলাদি দাখিলের নোটিশ জারি করিতে পারিবেন এবং নোটিশ জারির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে উহা দাখিল করিতে হইবে, যথা :¾
(ক) বিদেশি আবেদন পরীক্ষার ফলাফল এবং অনুসন্ধান তথ্য সংক্রান্ত কোনো পত্র আবেদনকারীকে প্রদান করা হইলে, উহার একটি কপি;
(খ) বিদেশি আবেদনের ভিত্তিতে প্রদত্ত পেটেন্ট মঞ্জুরের একটি কপি;
(গ) বিদেশি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হইলে উহার একটি কপি;
(ঘ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মঞ্জুরিকৃত পেটেন্ট বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের একটি কপি;
(২) আবেদনকারী কর্তৃক দলিলাদি অনুবাদের জন্য সময় প্রার্থনা করা হইলে রেজিস্ট্রার উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ (নব্বই) দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।
(৩) যদি আবেদনকারী রেজিস্ট্রারের অনুরোধ প্রতিপালনে, কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, ব্যর্থ হন বা প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান না করেন, তাহা হইলে আবেদন প্রত্যাখ্যাত বা বাতিলযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হইবে।
১৩। রেজিস্ট্রার, পেটেন্ট আবেদন গ্রহণের তারিখকে পেটেন্ট আবেদন দাখিলের তারিখ হিসাবে বিবেচনা করিবেন।
১৪। (১) আবেদন দাখিলের ১৮ (আঠারো) মাস অতিবাহিত হইবার পর, রেজিস্ট্রার, পেটেন্ট আবেদন জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পেটেন্ট আবেদনের বিষয়বস্ত্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ বা
প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিম্নবর্ণিত বিষয় প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করিতে হইবে, যথা :¾
(ক) উদ্ভাবনের শিরোনাম;
(খ) পেটেন্ট আবেদনকারী ও উদ্ভাবকের নাম;
(গ) আবেদন দাখিলের তারিখ ও নম্বর;
(ঘ) অগ্রাধিকার নম্বর ও তারিখ, যদি থাকে;
(ঙ) পেটেন্ট এর শ্রেণিবিন্যাস;
(চ) উদ্ভাবনের মূল উপাদান চিত্রায়িত করে এইরূপ অংকন, যদি থাকে;
(ছ) বিষয়বস্ত্তর সার-সংক্ষেপ।
(৩) পেটেন্ট আবেদন প্রকাশনা সংক্রান্ত ফি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৪) কোনো ব্যক্তি, প্রয়োজনে, জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য প্রকাশিত আবেদনের পেটেন্ট সংক্রান্ত পূর্ণ বিবরণের কপি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক, গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ওয়েবসাইটে বা প্রজ্ঞাপনে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার তৃতীয় কোনো পক্ষকে আবেদন পরিদর্শন করিবার অনুমতি বা উহার কোনো তথ্য প্রদান করিবেন না।
(৬) আবেদনকারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক, ১৮ (আঠারো) মাস মেয়াদ সমাপ্তির পূর্বে যে কোনো সময়ে রেজিস্ট্রারকে পেটেন্ট আবেদন জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করিবার অনুরোধ করিতে পারিবেন।
১৫। (১) জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে দাখিলকৃত যে কোনো আবেদন গোপন রাখিতে হইবে এবং রেজিস্ট্রার কোনো আবেদন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মনে করিলে, তাহা জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট যাচাইয়ের জন্য প্রেরণ করিবেন।
(২) জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উহা প্রাপ্তির অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে দাবিকৃত উদ্ভাবন জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কি না সে বিষয়ে রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিবেন এবং যদি উক্ত সময়ের মধ্যে বিষয়টি রেজিস্টারকে অবহিত করা না হয়, তাহা হইলে পেটেন্টের আবেদনটি প্রকাশ করা যাইবে।
(৩) আবেদনকারী, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পেটেন্ট এর বিষয়ে রেজিস্ট্রার কর্তৃক অবহিত না হওয়া পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (২) এর অধীন সময়সীমা অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত, এতদ্বিষয়ক কোনো পেটেন্ট আবেদন বিদেশে দাখিল করিবেন না।
(৪) জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কোনো উদ্ভাবন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত, ব্যবহার, লাইসেন্স প্রদান এবং হস্তান্তর করা যাইবে না।
১৬। (১) এই আইনের ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এবং ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ওয়েবসাইটে বা প্রজ্ঞাপনে প্রকাশের তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ রেজিস্ট্রারের নিকট পেটেন্ট আবেদনের বিরোধিতা করিয়া আপত্তিপত্র দাখিল করিতে পারিবেন।
(২) আপত্তিপত্রে আপত্তিকৃত পেটেন্ট আবেদন শনাক্ত করিতে হইবে এবং আপত্তির কারণ উল্লেখপূর্বক উহার সমর্থনে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণাদি দাখিল করিতে হইবে।
(৩) পেটেন্টের বিরোধিতাকারী পক্ষ এই আইনের ধারা ৩, ৪, ৫ ও ৬ এর বিধান মোতাবেক পেটেন্ট প্রাপ্তির জন্য আবশ্যকীয় শর্তাবলি প্রতিপালনের ব্যর্থতা সম্পর্কে অভিযোগে উল্লেখ করিতে পারিবেন।
(৪) রেজিস্ট্রার ওয়েবসাইটে এবং, প্রয়োজনে, প্রজ্ঞাপন দ্বারা আপত্তির নোটিশ প্রকাশ করিবেন।
(৫) আবেদনকারী নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে অভিযোগ খণ্ডন করিয়া প্রতি বিবৃতি দাখিল করিতে পারিবেন।
(৬) রেজিস্ট্রার, প্রয়োজনে, আবেদনকারী ও বিরোধিতাকারী পক্ষের শুনানি গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং উভয় পক্ষও যুক্তি বা পাল্টা-যুক্তি প্রদানসহ মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্য উপস্থাপন করিতে পারিবেন।
১৭। (১) পেটেন্ট আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে ৩৬ (ছত্রিশ) মাসের মধ্যে, আবেদনকারী নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক রেজিস্ট্রারকে তাহার পেটেন্ট আবেদন পরীক্ষার অনুরোধ করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে অনুরোধ দাখিল করা না হইলে, আবেদনটি পরিত্যক্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মেয়াদ, প্রয়োজনে, ৩(তিন) মাস বৃদ্ধি করা যাইবে, তবে উক্ত মেয়াদ সমাপ্ত হইবার পূর্বে রেজিস্ট্রারের নিকট নির্ধারিত ফি’সহ মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধপত্র দাখিল করিতে হইবে।
(৪) রেজিস্ট্রার বিধি মোতাবেক পেটেন্ট আবেদন পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
১৮। (১) উদ্ভাবনের পেটেন্ট মঞ্জুর সংক্রান্ত শর্তাবলি পূরণ করা হইয়াছে বলিয়া রেজিস্ট্রারের নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি উদ্ভাবনটির পেটেন্ট মঞ্জুর করিবেন এবং উক্ত শর্তাবলি পূরণ না হইলে আবেদন প্রত্যাখ্যান করিবেন এবং উভয় ক্ষেত্রেই গৃহীত সিদ্ধান্ত আবেদনকারীকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।
(২) রেজিস্ট্রার পেটেন্ট মঞ্জুরের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, যথা:¾
(ক) পেটেন্ট মঞ্জুরের বিষয়টি ওয়েবসাইটে বা প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশ;
(খ) ওয়েবসাইটে বা প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপনে প্রকাশের ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে তৃতীয় পক্ষেরকোনো বিরোধিতা না থাকিলে সিলিং ফি পরিশোধ সাপেক্ষে পেটেন্ট আবেদনকারীকে পেটেন্ট মঞ্জুরের সনদ (লেটার্স অব পেটেন্ট) প্রদান;
(গ) পেটেন্ট আবেদনটি ধারা ৩৩ এ উল্লিখিত নিবন্ধন বহিতে নিবন্ধন;
(ঘ) জনসাধারণের নিকট পেটেন্টের কপি সহজলভ্য করিবেন এবং ফি পরিশোধ সাপেক্ষে যে কোনো আবেদনকারীকে পেটেন্টের কপি প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন।
(৩) রেজিস্ট্রার পেটেন্ট স্বত্বাধিকারীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে পেটেন্টের মাধ্যমে অর্পিত সুরক্ষার পরিধি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে উহার মূলপাঠ ও অংকন পরিবর্তন করিতে পারিবেন, তবে কোনো ক্ষেত্রেই উক্ত পরিবর্তন প্রথম আবেদনে দাবিকৃত যে সকল পেটেন্ট সুবিধা মঞ্জুর করা হইয়াছিল তাহার অতিরিক্ত হইবে না।
চতুর্থ অধ্যায়
পেটেন্ট অধিকার, লাইসেন্স, মালিকানা
১৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পুরণকল্পে, পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী, তাহার অনুমোদন ব্যতিরেকে, তদনামে পেটেন্টকৃত উদ্ভাবন বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষের ব্যবহার নিবৃত্ত করিবার অধিকার থাকিবে।
(২) পেটেন্টকৃত কোনো উদ্ভাবনের ব্যবহার বলিতে নিম্নবর্ণিত যে কোনো কার্য করা বুঝাইবে, যথা :¾
(ক) পেটেন্টকৃত উদ্ভাবনটি যখন কোনো পণ্য হয়, তখন¾
(অ) উক্ত পণ্য উৎপাদন বা তৈরি, আমদানি, বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব, বিক্রয় ও ব্যবহার;
(আ) বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করিবার উদ্দেশ্যে উক্ত পণ্য মজুদ, বিক্রয় বা ব্যবহার;
(খ) পেটেন্টকৃত উদ্ভাবনটি যখন কোনো প্রক্রিয়া হয়, তখন¾
(অ) উক্ত প্রক্রিয়া প্রয়োগ;
(আ) উক্ত প্রক্রিয়া প্রয়োগের মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদিত পণ্য সম্পর্কে দফা (ক) তে উল্লিখিত যে কোনো কার্য।
২০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, যে কোনো পেটেন্টের মেয়াদ পেটেন্ট আবেদন দাখিলের তারিখ বা, ক্ষেত্রমত, অগ্রাধিকার তারিখ হইতে ২০ (বিশ) বৎসর পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
(২) পেটেন্ট সংরক্ষণ করিবার জন্য পেটেন্ট আবেদনের তারিখ বা, ক্ষেত্রমত, অগ্রাধিকার তারিখ হইতে ষষ্ঠ বৎসরের শুরু হইতে বার্ষিক ফি প্রযোজ্য হইবে এবং পেটেন্টের ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদান্তের পূর্বেই নির্ধারিত ফি পরিশোধসহ নবায়নের জন্য আবেদন করিতে হইবে।
(৩) পূর্ববর্তী বৎসরের বার্ষিক ফি পরিশোধ করত পরবর্তী বৎসরের জন্য পেটেন্ট নবায়ন করা যাইবে।
(৪) বার্ষিক ফি প্রদানে বিলম্ব হইলে, বিলম্ব ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, বার্ষিক ফি প্রদানের সময়সীমা ৩ (তিন) মাস করিয়া সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইবে।
(৫) উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এর বিধান মোতাবেক যদি ফি পরিশোধ করা না হয়, তাহা হইলে পেটেন্ট তামাদি হইবে।
(৬) ফি পরিশোধের জন্য নির্ধারিত তারিখের ১ (এক) বৎসরের মধ্যে যে কোনো সময় পেটেন্ট পুনরুদ্ধারের আবেদনের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার তামাদি পেটেন্ট পুনরুদ্ধার করিতে পারিবেন, যদি তিনি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, যুক্তিসঙ্গত কারণে উক্ত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধ করা সম্ভব হয় নাই।
২১। (১) যে ক্ষেত্রে¾
(ক) জনস্বার্থ, বিশেষত জাতীয় নিরাপত্তা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য বা জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ কোনো খাতের উন্নয়নের জন্য আবশ্যক হয়,
(খ) কোনো আদালত বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে যে, পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী বা লাইসেন্সি কর্তৃক উদ্ভাবন ব্যবহারের পদ্ধতি অসম প্রতিযোগিতামূলক এবং সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, এই উপ-ধারা অনুসারে উক্ত উদ্ভাবন ব্যবহার করা হইলে উহার প্রতিকার সম্ভব,
(গ) পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী তাহার একচেটিয়া অধিকারের অপব্যবহার করিতেছেন বা লাইসেন্সি কর্তৃক একচেটিয়া অধিকারের অপব্যবহার রোধে অবহেলা করিতেছেন,
(ঘ) পেটেন্টকৃত উদ্ভাবন বাংলাদেশে উৎপাদন বা আমদানির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে বা মানসম্পন্নভাবে বা পূর্বনির্ধারিত সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সহজলভ্য হইতেছে না,
(ঙ) কোনো দ্বিতীয় পেটেন্ট আবেদনে এইরূপ কোনো উদ্ভাবনের দাবি করা হয়, যাহা প্রথম পেটেন্টে দাবিকৃত উদ্ভাবনের সহিত সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নত কারিগরি জ্ঞান বিষয়ক, এবং প্রথম পেটেন্ট লঙ্ঘন না করিয়া দ্বিতীয় পেটেন্ট কাজে লাগানো সম্ভব নহে,¾
সেইক্ষেত্রে সরকার, পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর সহিত কোনোরূপ সমঝোতা বা চুক্তি ব্যতীত, কোনো সরকারি সংস্থা বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো ব্যক্তিকে উক্ত উদ্ভাবন ব্যবহার করিবার জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।
(২) সরকার বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের প্রতিটি আবেদন পৃথকভাবে বিবেচনা করিবে এবং উদ্ভাবন কেবল যে উদ্দেশ্যে লাইসেন্স প্রদত্ত হইয়াছে সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাইবে এবং ইহার জন্য পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীকে সরকার কর্তৃক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত, পারিতোষিক পরিশোধ করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে লাইসেন্সি কর্তৃক পেটেন্ট এর অসম প্রতিযোগিতামূলক ব্যবহার সংশোধনের আবেদন বিবেচনা করিতে হইবে।
(৪) পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ শুনানি করিতে চাহিলে, শুনানি গ্রহণের পর সরকার বিরোধীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
(৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) অধীন পেটেন্টকৃত পণ্যের অপর্যাপ্ততার কারণে বা পেটেন্টকৃত পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনের কারণে পেটেন্ট আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে ৪ (চার) বৎসর বা পেটেন্ট মঞ্জুরের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর, যে সময়কাল পরে অতিক্রান্ত হয়, কোনো বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রযোজ্য হইবে না এবং বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান অস্বীকার করা হইবে, যদি না পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী এইরূপ নিস্ক্রিয়তা বা অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের যুক্তিসঙ্গত কারণ উপস্থাপন করিতে সক্ষম হন।
(৬) পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী, বা কোনো সরকারি সংস্থা বা পেটেন্টপ্রাপ্ত উদ্ভাবন ব্যবহারের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে, সরকার, কোনো পক্ষ বা উভয় পক্ষ শুনানির ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, পক্ষগণকে শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক, পেটেন্টপ্রাপ্ত উদ্ভাবন ব্যবহারের শর্তাবলি পরিবর্তন করিতে পারিবে।
(৭) পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে, কোনো পক্ষ বা উভয় পক্ষ শুনানির ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, পক্ষগণকে শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক, সরকার, যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উহার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখিবার জন্য উপযুক্ত কারণ বিদ্যমান রহিয়াছে বা উহার পুনরাবৃত্তি অসম্ভব বা সরকারি সংস্থা বা তৎকর্তৃক মনোনীত অন্য কোনো ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্তের শর্তাবলি পালনে ব্যর্থ হইয়াছেন, তাহা হইলে সরকার বাধ্যতামূলক লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে।
(৮) উপ-ধারা (৭) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো সরকারি সংস্থা বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তির আইনগত স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সিদ্ধান্ত বহাল রাখিবার উপযুক্ত পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে বা যদি উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন অসম প্রতিযোগিতার প্রতিকার লাভের জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্স মঞ্জুর করা হয় এবং বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের শর্তাবলির পুনরাবৃত্তি সম্ভবপর হয়, তাহা হইলে সরকার বাধ্যতামূলক লাইসেন্স বাতিল করিবে না।
(৯) পেটেন্টপ্রাপ্ত উদ্ভাবন যে ব্যক্তির উদ্যোগ বা ব্যবসার স্বার্থে ব্যবহৃত হইতেছে, উহা কেবল উক্ত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার নামে বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার অংশের নামে হস্তান্তর করা যাইবে।
(১০) বাধ্যতামূলক লাইসেন্স একচেটিয়া হইবে না, এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :¾
(ক) উৎপাদনের বা আমদানির মাধ্যমে বা উভয়বিধভাবে, পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উদ্ভাবনের ব্যবহার;
(খ) পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী কর্তৃক লাইসেন্স চুক্তির সমাপ্তি; এবং
(গ) এই আইনের ধারা ২৪ এর অধীন, পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী কর্তৃক অধিকারের অব্যাহত ব্যবহার।
(১১) বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের আবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিতে হইবে এবং আবেদনের সহিত এই মর্মে সাক্ষ্য-প্রমাণ দাখিল করিতে হইবে যে, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রত্যাশী ব্যক্তি পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর নিকট চুক্তিভিত্তিক লাইসেন্সের আবেদন করিয়াছিলেন, তবে তাহাকে যুক্তিসংগত বাণিজ্যিক শর্তে এবং সময়ের মধ্যে উক্তরূপ লাইসেন্স প্রদান করা হয় নাই এবং উক্ত পরিস্থিতিতে, পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী আবেদনকারীর নিকট হইতে আবেদন গ্রহণের পর এবং পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী কর্তৃক স্বেচ্ছাধীন লাইসেন্সের প্রস্তাব অস্বীকারের সিদ্ধান্ত অবহিত হইবার পর অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(১২) উপ-ধারা (১১) এর অধীন স্বেচ্ছাধীন লাইসেন্স অর্জনের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা সংশ্লিষ্ট সাক্ষ্যাদি, জাতীয় জরুরি অবস্থা বা অন্যান্য চরম জরুরি পরিস্থিতি বা সরকার কর্তৃক অবাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বা বিচারিক বা প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় অসম প্রতিযোগিতা প্রতিকারের বিষয়ে লাইসেন্স মঞ্জুরির প্রয়োজন হইবে না এবং উক্তরূপ পরিস্থিতিতে পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারের সিদ্ধান্ত অবহিত করিতে হইবে।
(১৩) কোনো সরকারি সংস্থা বা সরকার কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক, ঔষধ পণ্য বা ঔষধ পণ্য প্রস্ত্ততের প্রক্রিয়ায় পেটেন্টের দাবি সংশ্লিষ্ট বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ব্যতীত, উদ্ভাবনের ব্যবহার প্রধানত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যদি না উক্ত সমজাতীয় পণ্য প্রস্ত্ততের বিকল্প প্রক্রিয়া অজ্ঞাত হয় বা সহজলভ্য না হয়, এবং পেটেন্টেপ্রাপ্ত পণ্য বা ধারা ৩৮ এর অধীন অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশি ভূখণ্ডে বা, উৎপাদন-সামর্থহীন বা অপর্যাপ্ত উৎপাদন-সামর্থ, কোনো দেশে রপ্তানি করাই লাইসেন্সের উদ্দেশ্য হয়।
(১৪) সেমি-কন্ডাক্টর প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, উদ্ভাবনের বাধ্যতামূলক লাইসেন্স কেবল সরকার কর্তৃক অবাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মঞ্জুর করা হইবে বা যেক্ষেত্রে কোনো আদালত বা সংস্থা কর্তৃক স্থিরীকৃত হয় যে, পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী বা লাইসেন্সি কর্তৃক, পেটেন্টভুক্ত উদ্ভাবনের ব্যবহারের প্রক্রিয়া অসম প্রতিযোগিতামূলক এবং সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, স্বেচ্ছাধীন নয় এমন কোনো লাইসেন্সের মঞ্জুরি উক্ত প্রচলিত রীতিতে যথাযথ প্রতিকার হইতে পারে সেইক্ষেত্রে এইরূপ ব্যবহারের জন্য মঞ্জুর করা হইবে।
(১৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) এর অধীন বাধ্যতামূলক লাইসেন্স মঞ্জুর করা হইলে¾
(ক) প্রথম পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী দ্বিতীয় পেটেন্টের দাবিকৃত উদ্ভাবন ব্যবহারের জন্য যুক্তিসঙ্গত শর্তে লাইসেন্স প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন; এবং
(খ) দ্বিতীয় পেটেন্টের স্বত্ব প্রদান ব্যতীত প্রথম পেটেন্টের লাইসেন্সের স্বত্ব প্রদানযোগ্য হইবে না।
(১৬) এই ধারার বিধানাবলি, ক্ষেত্রমত, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ, পেটেন্টপ্রাপ্ত পণ্যের অপর্যাপ্ততা বা পেটেন্টপ্রাপ্ত প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্র ব্যতীত, অনিষ্পন্ন পেটেন্ট আবেদনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
(১৭) যদি বাধ্যতামূলক লাইসেন্স মঞ্জুরি লাভের পর, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদার প্রতি যথাযথভাবে মনোযোগ প্রদান করা না হয়, তাহা হইলে যে কোনো ব্যক্তি পেটেন্ট বাজেয়াপ্তির জন্য আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, প্রথম বাধ্যতামূলক লাইসেন্স মঞ্জুরের পর ২ (দুই) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে পেটেন্ট বাজেয়াপ্তির আবেদন করা যাইবে না।
(১৮) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানির জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে, যথা :¾
(ক) যে সকল দেশে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের ব্যবস্থা গৃহীত হইয়াছে এবং যে সকল দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য অপর্যাপ্ত বা উক্ত পণ্য তৈরি করিবার সামর্থ নাই, সেই সকল দেশে পেটেন্টেড ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য তৈরি এবং রপ্তানি;
(খ) রেজিস্ট্রার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদন প্রাপ্তির পর কেবল সংশ্লিষ্ট ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদনের জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্স মঞ্জুরের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া গ্রহণ করিবেন এবং উক্ত পণ্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলি সাপেক্ষে, অন্য কোনো দেশে রপ্তানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য আবেদনের কপি সরকারের নিকট প্রেরণ;
(গ) দফা (ক) এবং (খ) এর বিধান মোতাবেক বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের মাধ্যমে যে সকল ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য তৈরি করা হইয়াছে উহা এই আইনের প্রযোজ্য অন্য কোনো বিধান অনুযায়ী রপ্তানি করা যাইবে।
ব্যাখ্যা।¾এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য’’ বলিতে কোনো পেটেন্টকৃত ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, বা পেটেন্টকৃত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরিকৃত কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল দ্রব্য যাহা জনস্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় এবং উক্ত পণ্য তৈরির উপাদান এবং রোগ নির্ণয়ক কিটও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
২২। (১) দাখিলকৃত বা গৃহীত পেটেন্টের ক্ষেত্রে এই আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৯) এর বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পেটেন্টের মালিকানার অংশ দাবি করিতে পারিবে।
(২) পেটেন্টের মালিকানার অংশ হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সি বা সত্তা’র নাম উল্লেখপূর্বক রেজিস্ট্রারের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পেটেন্টের মালিকানার অংশ ২০ (বিশ) শতাংশের কম হইবে না।
(৪) জেনেটিক রিসোর্স এর পেটেন্টের ক্ষেত্রে এই আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১০) এর বিধান লঙ্ঘনের কারণে যদি জনশৃঙ্খলা এবং নৈতিকতার প্রশ্ন জোরালোভাবে উত্থাপিত হয় সেইক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার, আবেদনের বা মঞ্জুরকৃত পেটেন্ট এর মালিকানা ন্যস্ত হইয়া থাকিলে, উহা প্রত্যাহার করিতে পারিবেন বা পেটেন্ট পরিত্যক্ত ঘোষণা করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রত্যাহারকৃত বা পরিত্যক্ত ঘোষিত পেটেন্ট পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত হইবে।
(৬) এই ধারার বিধানাবলি, ধারা ২৪ এর উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) এবং উপ-ধারা (৫) এর বিধান ক্ষুণ্ন না হওয়া সাপেক্ষে প্রয়োগযোগ্য হইবে।
২৩। (১) স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি কোনো পেটেন্ট বাতিল করিবার উদ্দেশ্য আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) পেটেন্ট বাতিলের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তি যদি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, এই আইনের ধারা ৩, ৪, ৫ এবং ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৪), (৫), (৯) ও (১০) এর অধীন কোনো প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণ করা হয় নাই বা পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী উহার উদ্ভাবক বা উহার স্বত্বের উত্তরাধিকারী না হন, তাহা হইলে উপযুক্ত আদালত উক্ত পেটেন্ট বাতিল করিতে পারিবে।
(৩) যেক্ষেতে উদ্ভাবনের অংশবিশেষ বাতিলের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়, কেবল সেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দাবি বা দাবিসমূহ বাতিল হইবে।
(৪) বাতিল ঘোষিত যে কোনো পেটেন্ট বা কোনো দাবি বা দাবির অংশবিশেষ, পেটেন্ট মঞ্জুরের তারিখ হইতে বাতিল হইবে এবং উহা কখনও মঞ্জুর করা হয় নাই মর্মে গণ্য হইবে।
(৫) পেটেন্ট অধিকার সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পেটেন্ট বাতিল করিবার পরিবর্তে পেটেন্টের স্বত্বাধিকার তাহাকে হস্তান্তর করিবার জন্য উপযুক্ত আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(৬) আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রেজিস্ট্রারকে অবহিত করা হইবে এবং অবহিত হইবার পর তিনি উহা রেকর্ড করিবেন ও বিধি মোতাবেক উহার স্মারক প্রকাশ করিবেন।
(৭) রেজিস্ট্রারের নিকট পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী কর্তৃক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পেটেন্ট সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধি-বিধান মোতাবেক পেটেন্ট বাতিল করা যাইবে।
(৮) রেজিস্ট্রারের নিকট পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী কর্তৃক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পেটেন্ট সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধি-বিধান মোতাবেক পেটেন্ট এর স্বত্বত্যাগ ও পেটেন্ট প্রত্যাহার করা যাইবে।
২৪। (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ১৯ ও ২১ এর বিধান সাপেক্ষে, পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর সহিত চুক্তি সম্পাদন ব্যতিরেকে, ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো কার্য সম্পাদন করিলে উক্ত ব্যক্তি পেটেন্ট এর বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) যদি¾
(ক) কোনো পেটেন্টের স্বত্বাধিকারী একচেটিয়া লাইসেন্সি, বাধ্যতামূলক লাইসেন্সি বা একচেটিয়া লাইসেন্সি নয় এইরূপ কোনো লাইসেন্সিকে প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহা হইলে সংক্ষুব্ধ কোনো লাইসেন্সি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার লাভের জন্য পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে আদালতে কার্যধারা দায়ের করিতে পারিবেন;
(খ) কোনো একচেটিয়া লাইসেন্সি, বাধ্যতামূলক লাইসেন্সি বা একচেটিয়া লাইসেন্সি নয় এইরূপ কোনো লাইসেন্সি লাইসেন্সে প্রদত্ত শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহা হইলে উক্তরূপ কোনো লাইসেন্সির বিরুদ্ধে পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর সুনির্দিষ্ট প্রতিকার লাভের জন্য আদালতে কার্যধারা দায়ের করিতে পারিবেন;
(গ) দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত শর্ত ভঙ্গ দ্বারা লাইসেন্সি বা পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হয়, তাহা হইলে আদালত নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করিতে পারিবে;
(ঘ) আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো পক্ষ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করিয়াছে এবং উক্তরূপ শর্ত ভঙ্গ দ্বারা অপরপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন, তাহা হইলে আদালত শর্ত ভঙ্গকারী কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিতে পারিবে;
(ঙ) লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হইবার পর ৫ (পাঁচ) বৎসর সময় অতিক্রান্ত হয়, তাহা হইলে দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত শর্ত ভঙ্গের জন্য আদালতে কোনো কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না।
(৩) আদালত, দেওয়ানি কার্যবিধি বা বিষয় সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো আইন অনুসারে, উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য সংরক্ষণের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৪) আদালত, আবেদনকারী কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্যাদির ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করিতে পারিবে, যথা :¾
(ক) আবেদনকারী নিজেই অধিকার গ্রহীতা হইলে এবং আবেদনকারীর অধিকার লঙ্ঘিত হইলে বা লঙ্ঘিত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে; এবং
(খ) বিরোধীয় অপর পক্ষের অধিকার রক্ষার্থে জামানত বা সমপরিমাণ নিশ্চয়তা প্রদানের আদেশ প্রদান সত্ত্বেও উক্ত আদেশ প্রতিপালন না করিলে বা করিতে ব্যর্থ হইলে :
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত, কালক্ষেপণের কারণে কোনো পক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি বা সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্ট হইবার আশংকা থাকিলে, অপর পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান ব্যতিরেকে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করিতে পারিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোনো অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা হইলে আদালত, যথাশীঘ্র সম্ভব, অপর পক্ষকে উক্তরূপ অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে অবহিত করিবে।
(৬) কোনো পক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন, ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতীত, ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(৭) সংক্ষুব্ধ পক্ষ, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে, উহা পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন।
(৮) সংক্ষুব্ধ পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে এবং আবেদনকারী পক্ষ যুক্তিসঙ্গত কারণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হইলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উহা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।
(৯) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির পর আদালত যদি এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, বিরোধীয় পক্ষ দ্বারা পেটেন্টের কোনো শর্ত লঙ্ঘিত হয় নাই এবং উহা লঙ্ঘিত হইবার আশংকা নাই, তাহা হইলে আদালত বিরোধীয় পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে সংঘটিত ক্ষতির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে আবেদনকারী পক্ষকেআদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(১০) আদালত, প্রয়োজনে, অনিষ্পন্ন নিবন্ধন মঞ্জুরের পূর্বে এই ধারার অধীন প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য সংরক্ষণের আদেশ দিতে পারিবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে অনিষ্পন্ন নিবন্ধনের মঞ্জুরি প্রকাশের পর আবেদনকারীকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আইনগত কার্যধারা সূচনা করিতে হইবে।
(১১) আদালত নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, ক্ষতিপূরণ আদেশের হানি না ঘটাইয়া, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত শর্ত ভঙ্গের কারণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করিবে না, যথা :¾
(ক) আদালতে পেটেন্টের আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে ৪ (চার) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর বা পেটেন্ট মঞ্জুরির তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর, বাদী বা তদ্কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি যদি¾
(অ) প্রয়োজনীয় প্রস্ত্ততি গ্রহণ না করেন; বা
(আ) বাণিজ্যিকভাবে উদ্ভাবন ব্যবহার না করেন; বা
(ই) এমনভাবে উদ্ভাবন ব্যবহার করেন যাহা মানসম্মতভাবে বাজারের চাহিদা পূরণে অক্ষম।
(খ) জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার আশংকা থাকিলে;
(গ) যেক্ষেত্রে¾
(অ) পেটেন্টপ্রাপ্ত পণ্য বা পেটেন্টপ্রাপ্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্য বাদী বা বাদীর সম্মতিতে অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ভোক্তার গড় ক্রয় ক্ষমতার অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় হয়;
(আ) ভোক্তার সুনির্দিষ্ট চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়;
(ই) বাজারে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পণ্যের বিদ্যমানতা বা অবিদ্যমানতার কারণে উক্ত পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় হয়;
(ঘ) যদি বাদী এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনক্রমে পেটেন্ট অর্জন করেন।
(১২) পেটেন্টগ্রহীতা যে কোনো সময় আদালতে পেটেন্ট অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারার সূচনা করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, পেটেন্ট গ্রহীতার পূর্বেই তৃতীয় কোনো পক্ষ আইনগত কার্যধারার সূচনা করিলে তিনি উক্ত বিষয়ে নূতন করিয়া কোনো আইনগত কার্যধারা সূচনা করিবার অধিকার হইবেন না।
(১৩) যদি সরকারি কোনো সংস্থা কর্তৃক বা সরকারি সেবা প্রদানের কারণে পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘিত হয়, তাহা হইলে আদালত, ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের বিষয়টি ক্ষুণ্ন না করিয়া, পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘনকারীর নিয়ন্ত্রণাধীন সাক্ষ্য লাভের জন্য আবশ্যকতা ব্যতীত, কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করিবে না।
(১৪) ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত¾
(ক) পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘনকারীকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিবে;
(খ) পেটেন্ট এর স্বত্বাধিকারী কর্তৃক ব্যয়িত অর্থ পরিশোধের জন্য পেটেন্টের বিধান লঙ্ঘনকারীকে নির্দেশ প্রদান করিবে; এবং
(গ) ব্যয়িত অর্থ হিসাবে আদালতের ব্যয়, স্ট্যাম্প ফি এবং আইনজীবীর ফি অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে।
(১৫) উপ-ধারা (১৪) এর বিধান সাপেক্ষে, আদালত স্বীয় বিবেচনায় অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করিবে।
(১৬) পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করিতে পারিবে, যথা :¾
(ক) কোন্ তারিখে নিবন্ধন সরকারি নোটিশে, ওয়েবসাইটে বা প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করা হইয়াছিল;
(খ) নিবন্ধনের জন্য কোন্ তারিখে আবেদনকারী আবেদনের বিষয়ে পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘনকারীকে নোটিশ প্রদান করিয়াছিলেন;
(গ) কোন্ তারিখে পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘনকারী আবেদনের বিষয়বস্ত্ত সম্পর্কে জ্ঞাত হইয়াছিলেন।
(১৭) ক্ষতিপূরণের আবেদন কেবল পেটেন্ট অধিকার মঞ্জুরের পর আদালতের নিকট দাখিল করা যাইবে।
(১৮) যদি পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়বস্ত্ত কোনো পণ্য লাভের পদ্ধতি হয়, তাহা হইলে আদালত স্বত্বাধিকার লঙ্ঘনকারীকে তদ্কর্তৃক উদ্ভাবিত অভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতি পেটেন্টপ্রাপ্ত পদ্ধতি হইতে পৃথক উহা প্রমাণ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(১৯) যদি কোনো অভিন্ন পণ্য পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীর সম্মতি ব্যতীত উৎপাদন করা হয়, সেইক্ষেত্রে ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত উহা পেটেন্টপ্রাপ্ত পদ্ধতি দ্বারা অর্জিত হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে, যদি না পেটেন্টপ্রাপ্ত পদ্ধতির দ্বারা অর্জিত উক্তরূপ পণ্য নূতন হয়।
(২০) ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, আদালত অন্যান্য ব্যবস্থার মধ্যে পেটেন্টের স্বত্বাধিকার লংঙ্ঘনকারীর কোনো বৈধ স্বার্থ, পণ্য উৎপাদন এবং ব্যবসার গোপনীয়তা বিবেচনা করিবে, তবে উহা পেটেন্টের স্বত্বাধিকারীকে গোপনীয়তার সুবিধা প্রদান করিবে না।
(২১) যদি কোনো পণ্য সংক্রান্ত বিধানের লঙ্ঘন হয়, তাহা হইলে আদালত উক্তরূপ বিধান লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য উহার গুরুত্ব ও প্রতিকার এবং তৃতীয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনাক্রমে উক্ত পণ্যসমূহ, কোনরূপ ক্ষতিপূরণ ব্যতীত, ধ্বংস করিবার বা অধিকার গ্রহীতার ক্ষতি না করিয়া
অ-বাণিজ্যিকভাবে নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করিবে।
(২২) আদালত, প্রয়োজনে, উপ-ধারা (২১) এ উল্লিখিত বিষয়াদি বিবেচনাক্রমে, যে সকল উপাদান বা উপকরণের সর্বোচ্চ ব্যবহারের ফলে উক্ত বিধানের লঙ্ঘন হইয়াছে, উক্তরূপ উপাদান বা উপকরণের অধিকতর ব্যবহার লঙ্ঘনের আশংকা ন্যূনতম পর্যায়ে রাখিবার জন্য কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ ব্যতীত অ-বাণিজ্যিকভাবে নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২৩) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনপূর্বক পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, সেবা প্রদান এবং সরবরাহ চ্যানেলের সহিত জড়িত তৃতীয় পক্ষকে শনাক্তকরণের জন্য পেটেন্টের অধিকার গ্রহীতাকে অবহিত করিবার জন্য আদালত উক্তরূপ বিধান লঙ্ঘনকারীকে উহার গুরুত্ব অনুপাতে আদেশ প্রদান করিবে।
(২৪) ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ সত্ত্বেও পেটেন্টের বিধান লঙ্ঘনকারী ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিলে আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আদেশ অমান্যের গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া তাহাকে আইনজীবী ফি’সহ অন্যান্য খরচ পরিশোধের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পরিবে।
২৫। (১) পেটেন্টের মালিকানা বা উহার আবেদনে উল্লিখিত যে কোনো পরিবর্তন লিখিত হইতে হইবে এবং পেটেন্ট স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে রেকর্ড করিতে হইবে এবং কোনো আবেদন করা না হইলে, রেজিস্ট্রার কর্তৃক উক্ত পরিবর্তন ওয়েবসাইটে বা প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশিত হইবে এবং উক্তরূপ পরিবর্তন রেকর্ডভুক্তির পূর্বে তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর হইবে না।
(২) পেটেন্ট সংক্রান্ত যে কোনো লাইসেন্সের চুক্তি বা তদ্সম্পর্কিত আবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।
(৩) রেজিস্ট্রার, উক্ত আবেদন রেকর্ডভুক্ত করিবেন, তবে উহার বিষয়বস্তু গোপন রাখিতে হইবে এবং তদ্সম্পর্কিত মন্তব্য প্রকাশ করিবেন এবং রেকর্ডভুক্ত হইবার পূর্বে তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে লাইসেন্সের চুক্তি কার্যকর হইবে না।
(৪) যদি রেজিস্ট্রার এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, অধিকার সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়ে এইরূপ এক বা একাধিক দফা রহিয়াছে যাহা চুক্তির অপব্যবহার বা অসম প্রতিযোগিতামূলক বা উহাতে এমন কোনো ত্রুটি রহিয়াছে যাহা ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবে বা উক্তরূপ কোনো প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি পেটেন্টের মালিকানা পরিবর্তন বা লাইসেন্সের চুক্তি রেকর্ড করিতে অস্বীকার করিতে পরিবেন এবং কোনো পক্ষ বা উভয় পক্ষ শুনানি গ্রহণের অনুরোধ করিলে, তিনি চুক্তির সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের শুনানি গ্রহণ করিবেন, তবে এইরূপ ক্ষেত্রে চুক্তির পক্ষগণকে চুক্তি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্যপ্রমাণ দাখিল করিতে হইবে।
(৫) কোনো পক্ষ বা উভয় পক্ষ, রেজিস্ট্রার কর্তৃক, চুক্তি রেকর্ড করিতে অস্বীকার করিবার সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে ২(দুই) মাসের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।
(৬) স্বত্বগ্রহীতা বা লাইসেন্স গ্রহীতার উপর আরোপিত যে কোনো সীমাবদ্ধতা, যাহা লাইসেন্সকৃত অধিকারের নিবন্ধন দ্বারা উদ্ভূত নহে বা অধিকারের রক্ষাকবচের জন্য প্রয়োজনীয় নহে, তাহা অপব্যবহারমূলক বা অসম প্রতিযোগিতামূলক প্রভাবসম্পন্ন বা অসম প্রতিযোগিতামূলক বলিয়া গণ্য হইবে।
(৭) ভিন্নরূপ বিধান করা না হইলে, প্রয়োগের পরিস্থিতি, কারণ বা যৌক্তিকতা যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন না থাকিলে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলি বা দফার প্রয়োগ আইন বহির্ভূত মর্মে গণ্য হইবে, যথা:¾
(ক) লাইসেন্স গ্রহীতা কর্তৃক লাইসেন্সকৃত উদ্ভাবনের যে কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দাতাকে ক্ষমতার্পণ, যদি না উক্ত ক্ষমতার্পণ লাইসেন্সের চুক্তি অধীন একই শর্তে হইয়া থাকে;
(খ) লাইসেন্স দাতার অন্যান্য অদৃশ্যমান সম্পদ যাহা অন্যান্য মেধাসম্পন্ন পেটেন্ট, ট্রেডমার্কস বা ব্যবসার গোপনীয়তার দ্বারা অর্জিত হয়, উহার অতিরিক্ত পারিতোষিক বা উহা অর্জনের জন্য লাইসেন্স গ্রহীতা বা স্বত্বনিয়োগের বাধ্যবাধকতা;
(গ) লাইসেন্সকৃত অধিকার বা হস্তান্তরিত অধিকারের বৈধতার আপত্তির ক্ষেত্রে লাইসেন্সগ্রহীতা বা স্বত্ব গ্রহীতার প্রতিষেধ;
(ঘ) লাইসেন্সকৃত বা হস্তান্তরিত উদ্ভাবন সংরক্ষণের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর ব্যবহার বা পেটেন্ট দ্বারা অর্জিত হয় নাই এইরূপ বিষয়বস্তুর ব্যবহারের পারিতোষিকের ক্ষেত্রে লাইসেন্সগ্রহীতার বাধ্যবাধকতা;
(ঙ) লাইসেন্সগ্রহীতা বা স্বত্বনিয়োগী কর্তৃক লাইসেন্সদাতা বা স্বত্বনিয়োগকর্তা, বা লাইসেন্সদাতা বা স্বত্বনিয়োগকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোনো ব্যক্তি হইতে উপাদান, কাঁচামাল বা অন্য যে কোনো দ্রব্য বা সেবা যাহা উদ্ভাবনটি ব্যবহার করিবার জন্য প্রয়োজন এবং যাহা লাইসেন্সকৃত উদ্ভাবনে দাবি দ্বারা সমর্থিত নহে, তাহা অর্জন করিবার বাধ্যবাধকতা;
(চ) মেধা সম্পদের অধিকারের আওতাভুক্ত হউক বা না হউক অন্য যে কোনো প্রযুক্তির উন্নয়ন বা ব্যবহার সীমিতকারী অথবা বারণকারী সংক্রান্ত যে কোনো শর্ত।
(৮) এই ধারায় অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, স্বত্বনিয়োগ এবং লাইসেন্স প্রদানের চুক্তিতে নিম্নবর্ণিত বিধান থাকিতে পারিবে, যথা:¾
(ক) পরিধি, ভৌগোলিক এলাকা এবং ব্যবহারের মেয়াদ;
(খ) পণ্য এবং সেবার মানের পর্যাপ্ততা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি;
(গ) অধিকারের মালিকানা বা অধিকারের বিষয়বস্তুর সুনামের প্রতি হানিকর সকল কার্য হইতে বিরত থাকিবার ক্ষেত্রে লাইসেন্সগ্রহীতার বাধ্যবাধকতা।
(৯) যেক্ষেত্রে স্বত্বনিয়োগ বা কোনো লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়বস্তু চুক্তি কার্যকর হইবার পর বাতিল হয়, সেইক্ষেত্রে চুক্তিটি তাৎক্ষণিকভাবে সমাপ্ত হইবে এবং পক্ষগণ চুক্তির অধীন যে পরিমাণ অর্থ বা সুযোগ-সুবিধা পরস্পরকে প্রদান করিয়াছে উক্ত অর্থ বা সুযোগ-সুবিধার সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ পুনরুদ্ধার করিতে পারিবেন, যদি না উক্ত অর্থ বা সুযোগ-সুবিধা যে পক্ষের অনুকূলে প্রদত্ত হইয়াছিল, উক্ত পক্ষ, চুক্তির কারণে, সরল বিশ্বাসে উহার দ্বারা লাভবান হইয়া থাকে এবং চুক্তি বাতিলের কারণে উক্ত সুযোগ-সুবিধা বাতিল করিয়া না থাকে।
(১০) উপ-ধারা (৯) এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ, লাইসেন্স প্রদান এবং অনিষ্পন্ন পেটেন্ট আবেদন হস্তান্তরের চুক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
২৬। (১) এই আইনের অধীন, রেজিস্ট্রার কর্তৃক, প্রদত্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত, বিশেষত বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের মঞ্জুরি এবং বাধ্যতামূলক লাইসেন্স এর জন্য পারিতোষিক প্রদান সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখ হইতে ২(দুই) মাসের মধ্যে, সরকারের নিকট আপিল দায়ের করিতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত আপিলের সিদ্ধান্তে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে উক্তরূপ সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখ হইতে ২(দুই) মাসের মধ্যে বিশেষ আদালত বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করিতে হইবে।
পঞ্চম অধ্যায়
মামলা দায়ের ও কার্যপদ্ধতি
২৭। এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন মোকদ্দমা দায়ের এবং আইনগত কার্যধারা ও কার্যপদ্ধতির ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।
২৮। (১) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য বা তদ্বিবেচনায় উপযুক্ত কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বহিতে মিথ্যা এন্ট্রি তৈরি করেন, বা তৈরি করান, বা উক্ত নিবন্ধন-বহির এন্ট্রির অনুলিপি বুঝাইবার অভিপ্রায়ে উহাতে কোনো কিছু লিপিবদ্ধ করেন, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেন যে, তৎকর্তৃক বিক্রীত পণ্য বা ব্যবহৃত প্রক্রিয়া বাংলাদেশে পেটেন্টপ্রাপ্ত বা বাংলাদেশে পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হইয়াছে, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।
(৪) যদি কোনো ব্যক্তি তাহার ব্যবসাস্থলে বা তৎকর্তৃক প্রেরিত কোনো দলিলে বা অন্য কোনোভাবে ‘‘পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর’’ অভিব্যক্তি বা শব্দাবলি বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করেন যাহার দ্বারা বিশ্বাস হইতে পারে যে, তাহার ব্যবসা এবং ব্যবসাস্থল পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস নিবন্ধনের কর্তৃপক্ষ, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।
(৫) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্তরূপ লঙ্ঘনের জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং তদ্পরবর্তী কোনো লঙ্ঘনের জন্য অনধিক ৮০,০০০ (আশি হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।
(৬) যদি উক্ত লঙ্ঘন কোনো কোম্পানি কর্তৃক সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানি এবং কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি এবং লঙ্ঘনকালে উক্ত কোম্পানির কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্তরূপ লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে।
(৭) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ব্যক্তি এইরূপভাবে এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন যাহা ফৌজদারি প্রকৃতির অপরাধ, তাহা হইলে আদালত Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর অধীন উক্ত অপরাধ আমলে গ্রহণের জন্য (cognizance) এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে প্রেরণ করিতে পারিবে।
২৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, পেটেন্ট সংক্রান্ত বিশেষ আদালত গঠন করিতে পারিবে এবং বিশেষ আদালত গঠিত না হওয়া পর্যন্ত, Patents And Designs Act, 1911 এর অধীন, পেটেন্ট অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়েরকৃত মোকদ্দমা বা আইনগত কার্যধারা নিষ্পত্তির জন্য এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত উপযুক্ত আদালত বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত বিশেষ আদালত বা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রায় বা ডিক্রির বিরুদ্ধে, উক্ত আদেশ, রায় বা ডিক্রি প্রদানের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে আপিল দায়ের করিতে হইবে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
রেজিস্টারের কার্যালয় ও ক্ষমতা
৩০। (১) রেজিস্ট্রার, আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক, পেটেন্ট নিবন্ধন বহি এবং ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট নিবন্ধন বহিতে বা, ক্ষেত্রমত, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক পেটেন্ট, ডিজাইন ও টেডমার্কস অধিদপ্তরে দাখিলকৃত দলিল বা কোনো আবেদনে করণিক ত্রুটি বা ভুল, বা কোনো অনুবাদ বা ভাষান্তরের ত্রুটি থাকিলে, যথাযথ পদ্ধতিতে, সংশোধন করিতে পারিবেন।
(২) পেটেন্ট সংক্রান্ত বস্তুনিষ্ঠ ত্রুটিসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালত কর্তৃক সংশোধন করা যাইবে।
(৩) এই আইনে ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকিলে, রেজিস্ট্রার, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান সাপেক্ষে, লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে যে কোনো কার্য সম্পাদন বা আইনগত কার্যধারা গ্রহণের জন্য সময় বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(৪) রেজিস্ট্রার, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে নোটিশ ও শর্তাদি প্রদান করিবেন এবং সময় অতিক্রান্ত হইবার ক্ষেত্রে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক, আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন।
৩১। রেজিস্ট্রার, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান মোতাবেক তাহার উপর ন্যস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন, তবে উক্ত ক্ষমতাবলে কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে উক্ত পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।
সপ্তম অধ্যায়
ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট
৩২। (১) কোনো প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিগত বিষয় উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট প্রযোজ্য হইবে না।
(২) ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট এর সুরক্ষার সময়কাল হইবে আবেদনের তারিখ বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অগ্রাধিকার তারিখ হইতে ১০ (দশ) বৎসর।
(৩) নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, কোনো পেটেন্ট আবেদনকে ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট আবেদন হিসাবে এবং, ক্ষেত্রমত, কোনো ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট আবেদনকে পেটেন্ট আবেদন হিসাবে রূপান্তর করা যাইবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন পেটেন্ট পরিবর্তনের আবেদন রেজিস্ট্রার কর্তৃক আবেদনকারীকে প্রথম আপত্তিপত্র প্রেরণের তারিখের অনধিক ৩ (তিন) মাসের মধ্যে করিতে হইবে।
(৫) এই ধারার অধীন পরিবর্তিত কোনো আবেদন প্রাথমিক আবেদন দাখিল করিবার সময় দাখিল করা হইয়াছিল মর্মে গণ্য হইবে।
(৬) একই উদ্ভাবনের জন্য একইসাথে পেটেন্ট এবং ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট সনদ মঞ্জুর করা যাইবে না।
(৭) যদি কোনো ব্যক্তি¾
(ক) ইউটিলিটি মডেল পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন,
(খ) ইউটিলিটি মডেল পেটেন্টের সনদ গ্রহণ করেন,
(গ) কর্তৃক উল্লিখিত আবেদন বা পেটেন্ট সনদের বিষয়বস্তুর অনুরূপ হয়,
তাহা হইলে তাহার অনুকূলে ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট মঞ্জুর করা হইবে না, যতক্ষণ না তিনি উল্লিখিত আবেদন প্রত্যাহার বা উক্ত সনদ সমর্পণ করেন।
(৮) যদি কোনো ব্যক্তি¾
(ক) পেটেন্ট এর জন্য আবেদন করেন,
(খ) পেটেন্ট প্রাপ্ত হইয়া থাকেন,
(গ) কর্তৃক উল্লিখিত আবেদন বা পেটেন্টের বিষয়বস্তুর অনুরূপ হয়,
তাহা হইলে তাহার অনুকূলে পেটেন্ট মঞ্জুর করা হইবে না, যতক্ষণ না তিনি উল্লিখিত আবেদন প্রত্যাহার বা উক্ত সনদ সমর্পণ করেন।
(৯) যেক্ষেত্রে ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট এর অগ্রাধিকার দাবি করা হয়, সেইক্ষেত্রে আবেদনের অগ্রাধিকার তারিখ কার্যকর হইবে।
(১০) ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
ব্যাখ্যা।¾‘‘ইউটিলিটি মডেল পেটেন্ট’’ অর্থ কোনো নূতন প্রযুক্তিগত সমাধান যাহা পণ্যের আকৃতি, কাঠামো বা উভয় সম্পর্কিত এবং যাহা শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযুক্ত।
অষ্টম অধ্যায়
বিবিধ
৩৩। (১) পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে পেটেন্ট নিবন্ধন বহি নামে একটি নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(২) নিবন্ধন বহি, যে কোনো ব্যক্তি পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং যে কোনো ব্যক্তি অধিদপ্তর হইতে, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান সাপেক্ষে, নিবন্ধন বহির উদ্ধৃতি লাভের অধিকারী হইবেন এবং উক্ত নিবন্ধন বহি সুবিধাজনক সময়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।
(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর সকল প্রকাশনা ওয়েবসাইটে বা প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করিবে।
(৪) নিবন্ধন বহির সংশ্লিষ্ট অংশের প্রত্যায়িত অনুলিপি বা উদ্ধৃতাংশ, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের সীলমোহরসহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, আবেদনকারীকে সরবরাহ করা যাইবে।
(৫) নিবন্ধন বহি, এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা যাচিত যে কোনো বিষয়ের প্রাথমিক সাক্ষ্য হইবে এবং সনদসমূহ রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং উহাতে এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হইবে যে, যে কোনো এন্ট্রি যাহার জন্য তিনি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন, তদনুযায়ী উক্ত সনদ তৈরি করা হইয়াছে বা হয় নাই, বা অন্য কোনো কিছু যাহা করিবার জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া উহা সম্পাদন করিয়াছেন বা করেন নাই, এইরূপ বিষয়াদি প্রাথমিক সাক্ষ্য হইবে।
৩৪। (১) যেক্ষেত্রে আবেদনকারীর সাধারণ বাসস্থান বা ব্যবসার স্থান বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয়, সেইক্ষেত্রে তাহাকে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করিতে হইবে।
(২) পেটেন্ট প্রতিনিধি হিসাবে নিবন্ধনের যোগ্যতা এবং অন্যান্য শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৩৫। রেজিস্ট্রার, তাহার কার্যালয়ে পেটেন্ট প্রতিনিধি নিবন্ধন বহি নামে একটি নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ করিবেন।
৩৬। (১) ডব্লিউটিও এর ২০০৩ সনের আগস্ট মাসের ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের সভার সিদ্ধান্তের শর্তাবলি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যতক্ষণ না TRIPs Council চুক্তির সংশোধন সংক্রান্ত বিধানাবলি বাংলাদেশে কার্যকর হয়।
(২) ঔষধ পণ্য বা ঔষধ পণ্য উৎপাদনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত পেটেন্টের বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের ক্ষেত্রে পারিতোষিক প্রদানের বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য হইবে এবং, ক্ষেত্রমত, ডব্লিউটিও এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সভার সিদ্ধান্তের শর্তাবলি বিবেচনা করিতে হইবে।
৩৭। (১) কোনো পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী কর্তৃক পেটেন্ট স্বত্বযুক্ত পণ্য বিশ্বের যে কোনো স্থানে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উক্ত স্থানের স্বত্বাধিকার বিলোপ নীতি অনুসারে তাহার মেধাসম্পদের স্বত্বাধিকার নিঃশেষিত হইবার বিষয়টি নিষ্পত্তি হইবে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিলোপ নীতি (international exhaustion) প্রযোজ্য হইবে।
(২) পেটেন্টকৃত পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর প্রয়োগ এই আইনের লঙ্ঘন বলিয়া বিবেচিত হইবে না।
৩৮। (১) গবেষণার উদ্দেশ্যে যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োজনীয় কোনো পণ্য উদ্ভাবন, তৈরি, নির্মাণ, ব্যবহার বা আমদানি, পেটেন্ট অধিকারের লঙ্ঘন বলিয়া বিবেচিত হইবে না।
(২) এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান মোতাবেক সরকারি উদ্যোগে উদ্ভাবিত কোনো পণ্য পেটেন্টযোগ্য হইবে এবং সরকার, প্রয়োজনে, কোনো পেটেন্ট অধিগ্রহণ করিতে পারিবে।
৩৯। (১) পেটেন্ট সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে যেখানে বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত বা পক্ষভুক্ত হইবে, সেই চুক্তির বিধানসমূহ এই আইনের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(২) আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আবেদনসমূহ Patents Cooperation Treaty এর বিধান ও সংশ্লিষ্ট নির্দেশাবলী অনুযায়ী সম্পাদিত হইবে।
(৩) Patents Cooperation Treaty সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৪০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
৪১। (১) Patents And Designs Act, 1911 (Act No. II of 1911), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর পেটেন্ট সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত আইনের অধীন অনিষ্পপন্ন কোনো আবেদন এই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ কার্যকর হইবে এবং এই আইন কার্যকর হইবার পূর্বে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সংরক্ষিত থাকিবে।
(৪) যেক্ষেত্রে এই আইন কোনোভাবে কোনো অধিকার বৃদ্ধি করে বা নূতন অধিকার সৃষ্টি করে, সংরক্ষণে শর্তাবলি বৃদ্ধিসহ, বিদ্যমান রেজিস্ট্রেশন সেইরূপ বৃদ্ধি বা সৃজন হইতে সুবিধা গ্রহণ অনুমোদন করিবে, তবে যেক্ষেত্রে এই আইন অধিকারসমূহ হ্রাস করে বা বিলুপ্ত করে বিদ্যমান রেজিস্ট্রেশন সেই ক্ষেত্রে কার্যকর হইবে না এবং বিদ্যমান রেজিস্ট্রেশন এমনভাবে বলবৎ থাকিবে যেন এই আইন কার্যকর হয় নাই:
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হইবে না।
(৫) রেজিস্ট্রার কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এমনভাবে সংরক্ষিত থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে।
(৬) এই আইনের ধারা ৪০ এর অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এবং এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, Patents and Designs Rules, 1933 কার্যকর থাকিবে।
৪২। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।