প্রিন্ট ভিউ

বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২

( ২০২২ সনের ০৯ নং আইন )

ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসহ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বাণিজ্য সংগঠনসমূহের ভূমিকা, কার্যক্রম, শৃঙ্খলা ও দায়বদ্ধতা সুসংহতকরণকল্পে
Trade Organisations Ordinance, 1961 রহিতক্রমে উহা যুগোপযোগী করিয়া পুনঃপ্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসহ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বাণিজ্য সংগঠনসমূহের ভূমিকা, কার্যক্রম, শৃঙ্খলা ও দায়বদ্ধতা সুসংহতকরণ এবং সময়ের চাহিদা পূরণকল্পে Trade Organisations Ordinance, 1961 (Ordinance No. XLV of 1961) রহিতক্রমে উহা যুগোপযোগী করিয়া পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) ‘কোম্পানি আইন’ অর্থ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন);

(২) ‘নিবন্ধন’ অর্থ লাইসেন্স প্রাপ্তির পর কোনো বাণিজ্য সংগঠনের কোম্পানি আইনের অধীন নিবন্ধন;

(৩) ‘নির্বাহী কমিটি’ বা ‘পরিচালনা পর্ষদ’ অর্থ কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি অনুসারে নির্বাচনের মাধ্যমে উহার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ;

(৪) ‘নির্বাহী কমিটির সদস্য’ বা ‘পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক’ অর্থ কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সংঘবিধি অনুসারে উহার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কমিটির সদস্য বা পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকসহ উহার সভাপতি, সিনিয়র
সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি;

(৫) ‘প্রশাসক’ অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন নিযুক্ত কোনো প্রশাসক;

(৬) ‘ফেডারেশন’ অর্থ বাণিজ্য সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের চেম্বারসমূহ ও সমিতিসমূহের সমন্বয়ে গঠিত ফেডারেশন;

(৭) ‘বাণিজ্য সংগঠন’ অর্থ এইরূপ কোনো সংগঠন-

(ক) যাহা কোম্পানি আইন অনুসারে সীমিতদায় কোম্পানি হিসাবে গঠিত হইবার যোগ্য;

(খ) যাহা অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন হিসাবে পরিচালিত এবং যাহা ধারা ৩ এর অধীনে সংশ্লিষ্ট এলাকার বা বিভিন্ন ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের বা উহাদের কোনো গোষ্ঠী বা শ্রেণির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিসাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং কোম্পানি আইনের অধীনে নিবন্ধিত; এবং

(গ) যাহার তহবিল বা আয় বা মুনাফা বা উদ্বৃত্ত অর্থ বা অন্যবিধ আয় উক্ত সংগঠনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় করা হয়, তবে উহার কোনো অংশই উহার কোনো সদস্য বা নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য বা পরিচালনা পর্ষদের কোনো পরিচালকের মধ্যে লভ্যাংশ বা মুনাফা বা বোনাস কিংবা অন্য কোনো আকারে বণ্টন করা হয় না;

(৮) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(৯) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ ধারা ১৫ এর অধীন নিযুক্ত মহাপরিচালক;

(১০) ‘রেজিস্ট্রার’ অর্থ কোম্পানি আইনে সংজ্ঞায়িত রেজিস্ট্রার;

(১১) ‘লাইসেন্স’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো লাইসেন্স;

(১২) ‘সহায়ক কমিটি’ অর্থ প্রশাসকের কর্মসমূহ সম্পাদনে সহায়তা বা পরামর্শ প্রদান করিবার নিমিত্ত মহাপরিচালকের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রশাসক কর্তৃক ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এর অধীন গঠিত কোনো কমিটি;

(১৩) ‘সংঘবিধি’ অর্থ কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সংঘবিধি;

(১৪) ‘সংঘস্মারক’ অর্থ কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক।

বাণিজ্য সংগঠনের লাইসেন্স

৩। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো সংগঠন, বাণিজ্য সংগঠন হিসাবে কার্য পরিচালনা করিতে পারিবে না যতক্ষণ না উহা সরকারের নিকট হইতে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়।

(২) কোনো বাণিজ্য সংগঠনকে লাইসেন্স প্রদান করা হইবে না, যদি না উহা-

(ক) দফা (খ), (গ), (ঘ), (ঙ), (জ), (ঝ) ও (ঞ) তে বর্ণিত বাণিজ্য সংগঠনমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহে নিয়োজিত চেম্বারসমূহ এবং সমগ্র বাংলাদেশভিত্তিক সমিতিসমূহের ‘ফেডারেশন’ হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক বাণিজ্য সংগঠনকে প্রদান করা হইবে না;

(খ) সমগ্র বাংলাদেশভিত্তিক গঠিত শিল্পখাতসমূহের চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক বাণিজ্য সংগঠনকে প্রদান করা হইবে না;

(গ) সুনির্দিষ্ট এলাকা, যেমন:- জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকার ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য গঠিত কোনো চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একই জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় একাধিক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে প্রদান করা হইবে না;

(ঘ) সুনির্দিষ্ট ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য সমগ্র বাংলাদেশভিত্তিক গঠিত ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের কোনো সমিতি হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক সমিতিকে প্রদান করা হইবে না;

(ঙ) নারী উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক পরিচালিত সমগ্র বাংলাদেশভিত্তিক গঠিত ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে প্রদান করা হইবে না;

ব্যাখ্যা: ‘নারী উদ্যোক্তা’ অর্থ এইরূপ কোনো নারী যাহার নিজ মালিকানাধীন কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা বা অন্য কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান রহিয়াছে এবং তিনি উহা পরিচালনা করিয়া থাকেন;

(চ) সুনির্দিষ্ট এলাকা, যেমন:- পৌরসভা বা শহরে ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য গঠিত কোনো শহর সমিতি হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক শহর সমিতিকে প্রদান করা হইবে না:

আরও শর্ত থাকে যে, অনুরূপ শহর সমিতি যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর অধিভুক্ত হইতে হইবে;

(ছ) সুনির্দিষ্ট এলাকা, যেমন:- জেলা ও উপজেলায় সুনির্দিষ্ট ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য গঠিত কোনো গ্রুপ হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক গ্রুপকে প্রদান করা হইবে না;

(জ) জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নারী উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য গঠিত কোনো উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে প্রদান করা হইবে না;

(ঝ) বিদেশি বিনিয়োগকারীগণের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য সমগ্র বাংলাদেশভিত্তিক গঠিত ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে প্রদান করা হইবে না;

(ঞ) বাংলাদেশের সহিত কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান রহিয়াছে এইরূপ কোনো দেশ বা অঞ্চলের সহিত ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য যৌথ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো লাইসেন্স একাধিক যৌথ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে প্রদান করা হইবে না।

(৩) এই ধারার অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক ফরমে আবেদন করিতে হইবে।

(৪) সরকার যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ শর্ত ও বিধি-নিষেধ আরোপ সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত শর্ত ও বিধি-নিষেধ বাণিজ্য সংগঠনের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং উক্ত শর্ত ও বিধি-নিষেধ বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি অথবা উহার কোনো একটিতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।

(৫) লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো বাণিজ্য সংগঠন উহার নামের সহিত ‘লিমিটেড’ শব্দ সংযোজন ব্যতিরেকেই একটি ‘সীমিত দায়’ কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত হইলে উহা একটি সীমিত দায় কোম্পানির সকল অধিকার ভোগ করিবে এবং সীমিত দায় কোম্পানির সকল বিধি-বিধান মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবে।

(৬) সরকার জনস্বার্থে, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত মেয়াদ ও শর্ত সাপেক্ষে, যে কোনো বাণিজ্য সংগঠনকে এই ধারার যে কোনো বিধান হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(৭) কোনো বাণিজ্য সংগঠনের অনুকূলে লাইসেন্স মঞ্জুর করা যাইবে না, যদি না উহার উদ্যোক্তা বা সংগঠকগণ উহা গঠনের পূর্বে-

উহার অভিপ্রায়, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ এবং সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ও স্থান উল্লেখ করিয়া উপ-ধারা (২) এর দফা (খ), (ঘ), (ঙ), (ঝ) ও (ঞ) তে উল্লিখিত বাণিজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ (দুই) টি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে এবং অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১ (এক) টি জাতীয় ও ১ (এক) টি স্থানীয় বা আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়া থাকে;

(খ) মহাপরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন এর নিকট হইতে নামের ছাড়পত্র গ্রহণ করিয়া থাকে;

মহাপরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন এর নিকট হইতে নামের ছাড়পত্র প্রাপ্তির পর ‍উপ-ধারা (২) এর দফা (খ), , (ঘ), (ঙ), (জ), (ঝ) ও (ঞ) তে উল্লিখিত বাণিজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে ফেডারেশনের মতামত এবং অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা চেম্বারের মতামত গ্রহণ না করিয়া থাকে:

তবে শর্ত থাকে যে, ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উক্তরূপ কোনো মতামত পাওয়া না গেলে উক্ত মতামত ব্যতিরেকেই লাইসেন্স মঞ্জুর করা যাইবে।

(৮) উপ-ধারা (২) এর-

দফা (খ), (গ), (ঘ), (ঙ), (জ) ও (ঝ) তে উল্লিখিত কোনো বাণিজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে ফেডারেশনের সংঘবিধি অনুসারে ফেডারেশনের চেম্বার বা ক্ষেত্রমত এসোসিয়েশন সদস্য হিসাবে অধিভুক্তির জন্য আবেদন করিতে হইবে;

দফা (ঞ) তে উল্লিখিত কোনো বাণিজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে ফেডারেশনের সংঘবিধি অনুসারে ফেডারেশনের সহযোগী সদস্য (Associate Member) হিসাবে অধিভুক্তির জন্য আবেদন করিতে হইবে; এবং

দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত বাণিজ্য সংগঠন ব্যতীত অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সংঘবিধি অনুসারে উহার সদস্য হিসাবে অধিভুক্তির জন্য আবেদন করিতে হইবে।

(৯) লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোনো বাণিজ্য সংগঠন নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে আবেদন করিতে পারিবে না।

বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন

৪। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বাণিজ্য সংগঠন ধারা ৩ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত হইলে উক্তরূপ লাইসেন্স প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উহার নামের সহিত ‘লিমিটেড’ শব্দটির সংযোজন ব্যতিরেকেই একটি ‘সীমিত দায়’ কোম্পানি হিসাবে কোম্পানি আইন অনুসারে নিবন্ধিত হইতে হইবে।

(২) নিবন্ধন ব্যতিরেকে কোনো বাণিজ্য সংগঠন উহার কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে না।

লাইসেন্স ও অব্যাহতি বাতিল

৫। (১) সরকার, যে কোনো সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বাণিজ্য সংগঠন বা ফেডারেশনের আবেদন বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অথবা স্ব-প্রণোদিত হইয়া শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক কোনো বাণিজ্য সংগঠনের অনুকূলে প্রদত্ত লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে, যদি উক্ত বাণিজ্য সংগঠন-

(ক) ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৪) ও (৮) এর বিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়;

(খ) ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধনে ব্যর্থ হয় অথবা লাইসেন্সে প্রদত্ত অন্য কোনো শর্ত লঙ্ঘন করিয়া থাকে;

(গ) উহার সংঘস্মারকের উদ্দেশ্য বহির্ভূত কোনো কাজে লিপ্ত হইয়া থাকে;

(ঘ) ধারা ১২ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে;

(ঙ) ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে বাণিজ্য সংগঠনসমূহ একীভূত হইয়া থাকে;

(চ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো বাণিজ্য সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করা হইলে উক্ত সংগঠন কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে না এবং উক্ত সংগঠনের নামে কোনো দপ্তর থাকিতে পারিবে না।

(৩) সরকার, যে কোন সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বাণিজ্য সংগঠনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানীর সুযোগ প্রদানপূর্বক কোনো বাণিজ্য সংগঠনের অনুকূলে ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৬) এর অধীন প্রদত্ত অব্যাহতি বাতিল করিতে পারিবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্স বাতিল বা উপ-ধারা (৩) এর অধীন অব্যাহতি বাতিলের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত বাণিজ্য সংগঠন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করিতে পারিবে।

সুপ্ত বাণিজ্য সংগঠন

৬। (১) কোনো নিগমিত বাণিজ্য সংগঠন-

(ক) নিগমিত হইবার অনধিক ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে উহার কোনো কার্যালয় স্থাপন করিতে না পারিলে; বা

(খ) একাদিক্রমে ২ (দুই) বৎসর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান করিতে ব্যর্থ হইলে; বা

(গ) একাদিক্রমে ২ (দুই) বৎসর মহাপরিচালক বরাবর অডিট রিপোর্ট এবং অন্যান্য রিপোর্ট ও রিটার্ন দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে;

উক্ত মেয়াদ অবসানে অথবা বিধিতে উল্লিখিত অন্য কোনো কারণে ও পদ্ধতিতে মহাপরিচালক উপযুক্ত কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদানপূর্বক উক্ত বাণিজ্য সংগঠনকে সুপ্ত বাণিজ্য সংগঠন বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবেন।

(২) মহাপরিচালক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে কোনো বাণিজ্য সংগঠনকে সংশোধনের সুযোগ প্রদান সাপেক্ষে সুপ্ত বাণিজ্য সংগঠন বলিয়া চিহ্নিত করিবার ঘোষণা প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।

(৩) মহাপরিচালক সুপ্ত বাণিজ্য সংগঠন বলিয়া ঘোষিত কোনো বাণিজ্য সংগঠনের অনুকূলে মঞ্জুরকৃত লাইসেন্স বাতিল করিবার উদ্দেশ্যে সরকারের নিকট সুপারিশ করিতে পারিবেন।

নিবন্ধন বাতিলকরণ

৭। (১) সরকার কোনো বাণিজ্য সংগঠনের অনুকূলে ইস্যুকৃত লাইসেন্স ধারা ৫ এর অধীন বাতিল করিলে উক্তরূপ বাতিল আদেশের ৩০ (ত্রিশ) দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন বাতিল হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, লাইসেন্স বাতিলকৃত বাণিজ্য সংগঠনের নাম জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করিবে।

বাণিজ্য সংগঠনসমূহের একত্রীকরণ

৮। (১) দুই বা ততোধিক বাণিজ্য সংগঠন যদি কোনো ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহ একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পরিচালনা করিয়া থাকে তাহা হইলে কোনো বাণিজ্য সংগঠনের আবেদন বা ফেডারেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার উক্ত বাণিজ্য সংগঠনসমূহের শুনানি গ্রহণপূর্বক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্তরূপ সকল বাণিজ্য সংগঠনকে একীভূত করিয়া প্রযোজ্য মতে এক বা একাধিক সংগঠনের লাইসেন্স বাতিলপূর্বক একত্রীকরণ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাণিজ্য সংগঠনসমূহের একত্রীকরণ আদেশ জারি হইবার পর একীভূত বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি প্রণয়ন এবং উক্ত বাণিজ্য সংগঠন পরিচালনার জন্য সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে অথবা উক্ত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে।

বাণিজ্য সংগঠনের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন

৯। (১) কোনো বাণিজ্য সংগঠন, মহাপরিচালকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত উহার নাম পরিবর্তন বা সংশোধন করিতে পারিবে না।

(২) কোনো বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক উপযুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক উহার নাম পরিবর্তন বা সংশোধনের আবেদন বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে 1[বা স্বীয় বিবেচনায়] মহাপরিচালক উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের নাম পরিবর্তন বা সংশোধনের বিষয়টি অনুমোদন প্রদান করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ অনুমোদন প্রদানের পূর্বে রেজিস্ট্রার ও ফেডারেশন অথবা শহর সমিতি বা গ্রুপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা বা মেট্রোপলিটন চেম্বারের নিকট হইতে উক্ত বিষয়ে মতামত গ্রহণ করিতে হইবে:

আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ মতামত আহবানের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কোনো মতামত প্রাপ্ত না হইলে উক্ত মতামত ব্যতিরেকেই মহাপরিচালক উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের নাম পরিবর্তন বা সংশোধনের বিষয়টি অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত অনুমোদন অনুযায়ী নাম পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য বাণিজ্য সংগঠন অনুমোদন প্রাপ্তির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের নিকট কোম্পানি আইন অনুযায়ী আবেদন করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সময় বৃদ্ধি করিতে পারিবে।

বাণিজ্য সংগঠন ব্যতীত অন্য কোনো সংগঠন বা কোম্পানি কর্তৃক কতিপয় শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ

১০। (১) বাণিজ্য সংগঠন ব্যতীত অন্য কোনো সংগঠন বা কোম্পানি উহার নামে বা শিরোনামে ‘চেম্বার’, ‘এসোসিয়েশন’, ‘গ্রুপ’, ‘কাউন্সিল’ বা ‘এলায়েন্স’ শব্দ ব্যবহার করিতে পারিবে না।

2[(২) শিল্পকলা, বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি, ধর্ম, জনসেবা, ক্রীড়া, পেশাভিত্তিক বা সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত কোনো জনহিতকর উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গঠিত কোম্পানি, সমিতি বা সংঘের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।]

বাণিজ্য সংগঠনের শ্রেণিবিন্যাস ও চাঁদার হার নির্ধারণ

১১। (১) সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাণিজ্য সংগঠনসমূহের জাতীয় অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের তুলনামূলক গুরুত্ব; উহার স্থায়ী দপ্তর, সম্পদের পরিমাণ, সদস্য সংখ্যা, উহার আয়-ব্যয়ের পরিমাণ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বিবেচনাপূর্বক বিভিন্ন শ্রেণীতে বিন্যাস করিয়া প্রত্যেক শ্রেণীর বাণিজ্য সংগঠনের জন্য ফেডারেশনকে প্রদেয় বার্ষিক চাঁদার হার এবং প্রত্যেক বাণিজ্য সংগঠনকে উহার সদস্যগণ কর্তৃক প্রদেয় ভর্তি ফিসহ বার্ষিক চাঁদার হার নির্ধারণ করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন শ্রেণিবিন্যাসকৃত বাণিজ্য সংগঠনসমূহকে জাতীয় অর্থনীতিতে উহাদের তুলনামূলক গুরত্ব বিবেচনাপূর্বক, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে, সেইরূপ সাধারণ বা বিশেষ অধিকার প্রদান করিতে পারিবে।

বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি

১২। (১) প্রতিটি বাণিজ্য সংগঠনের জন্য উহার উদ্দেশ্য, কার্যাবলী ও সংগঠন পরিচালনার সকল বিধি-বিধান, উপ-ধারা (২) ও (৩) এ উল্লিখিত বিধানাবলী প্রতিপালনসহ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালার আলোকে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সংঘস্মারক ও সংঘবিধি থাকিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের কোনো বিধান বা বিধির কোনো বিধানের সহিত বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধির কোনো অসংগতি থাকিলে উহা অকার্যকর ও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

(২) প্রতিটি বাণিজ্য সংগঠনের ‘নির্বাহী কমিটি’ বা ‘পরিচালনা পর্ষদ’ এর গঠন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বা পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক সংখ্যা, কমিটি বা পর্ষদের মেয়াদ, নির্বাচন এবং উহার কার্যাবলী এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালার আলোকে প্রণীত সংঘবিধি অনুযায়ী উহার ‘নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ’ বা ক্ষেত্রমত, প্রশাসক কর্তৃক পরিচালিত হইবে।

(৩) বাণিজ্য সংগঠনের ‘নির্বাহী কমিটি’ বা ‘পরিচালনা পর্ষদ’ বা ক্ষেত্রমত, প্রশাসক কর্তৃক নিযুক্ত একজন ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাণিজ্য সংগঠনের ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’ বা ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন ও রহিতকরণ, ইত্যাদি

১৩।  (১) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা সংঘবিধি বা সংঘস্মারকে যাহা কিছু থাকুক না কেন-

(ক) কোনো নিগমিত বাণিজ্য সংগঠন সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত উহার সংঘস্মারক বা সংঘবিধি বা উহার কোনো অংশের সংশোধন, সংযোজন, রহিতকরণ বা অন্যভাবে পরিবর্তন করিতে পারিবে না;

(খ) কোনো বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক উহার সংঘস্মারক ও সংঘবিধি বা উহার কোনো অংশের সংশোধন, সংযোজন, রহিতকরণ বা অন্য কোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কোম্পানি আইনের বিধান অনুযায়ী উক্ত সংশোধন, সংযোজন, রহিতকরণ বা অন্য কোনো পরিবর্তন করিতে পারিবে; এবং

(গ) সরকার প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করিলে লিখিত আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত পদ্ধতি ও মেয়াদের মধ্যে কোনো বাণিজ্য সংগঠনকে উহার সংঘস্মারক, সংঘবিধি, বিধি বা উপ-আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, রহিতকরণ বা বিধি বা উপ-আইন প্রণয়নের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) যদি কোনো বাণিজ্য সংগঠন উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ পরিপালন করিতে ব্যর্থ হয় বা আদেশ পরিপালন করিতে অবহেলা করিয়া থাকে, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের-

(ক) সংঘস্মারক, সংঘবিধি, বিধি বা উপ-আইন সংশোধন, সংযোজন, রহিতকরণ বা অন্যভাবে পরিবর্তন করিতে পারিবে;

(খ) আদেশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে বিধি বা উপ-আইন প্রণয়ন করিতে পারিবে; এবং

(গ) দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত উক্তরূপ সংশোধন, সংযোজন ও রহিতকরণ এবং বিধি বা উপ-আইন প্রণয়ন এই আইন বা উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের সংঘবিধি বা সংঘস্মারক অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক কৃত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।

বাণিজ্য সংগঠনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যর্থতায় অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর

১৪।  এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা সংঘস্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি দৈব-দুর্বিপাক বা সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অন্য কোনো কারণে কোনো বাণিজ্য সংগঠন যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে মহাপরিচালক উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বা স্বীয় উদ্যোগে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিলম্ব প্রমার্জনপূর্বক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন এবং উক্ত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনকে নির্বাচন অনুষ্ঠান করিবার জন্য নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন:

3[তবে শর্ত থাকে যে, সরকার প্রয়োজন মনে করিলে বিশেষ বিবেচনায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্ধিত সময়ের ধারাবাহিকতায় আরও ০৬ (ছয়) মাস সময় মঞ্জুর করিতে পারিবে:

আরও শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক মঞ্জুরকৃত বর্ধিত ০৬ (ছয়) মাস সময়ের মধ্যে কোনো বাণিজ্য সংগঠন নির্বাচন অনুষ্ঠান করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠান ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে।]

মহাপরিচালক নিয়োগ এবং তাহার ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য

১৫। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের অধীন অর্পিত কার্যসমূহ সম্পাদন করিবার জন্য 4[অন্যূন যুগ্মসচিব] পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) বাণিজ্য সংগঠনসমূহের কার্যাবলী মহাপরিচালকের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে এবং সময় সময়, মহাপরিচালক কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের কার্যাবলী পরিচালিত হইবে।

(৩) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক বা সংঘবিধিতে যাহাই থাকুক না কেন, মহাপরিচালক-

(ক) অনুরূপ কোনো বাণিজ্য সংগঠন কিংবা এতদসংশ্লিষ্ট কোনো উপযুক্ত ব্যক্তিকে উক্ত বাণিজ্য সংগঠন সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য, দলিলপত্র, আয়-ব্যয়ের হিসাব, সদস্য তালিকা ও প্রতিবেদনসমূহ সরবরাহ করিবার জন্য কিংবা তৎসম্পর্কে কোনো জিজ্ঞাসার জবাব প্রদান করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন;

(খ) কোনো বাণিজ্য সংগঠনের যে কোনো শাখা বা আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক বা সার্কেল বা লিয়াজোঁ অফিস অথবা যেই সকল স্থানে কোনো রেকর্ডপত্র বা দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হইয়াছে সেই সকল স্থান লিখিত পূর্ব নোটিশ প্রদানপূর্বক বা ব্যতিরেকে স্বয়ং বা তদকর্তৃক মনোনীত কোনো কর্মকর্তা পরিদর্শন করিতে পারিবেন;

(গ) কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সাধারণ সভা, নির্বাহী কমিটি, পরিচালনা পর্ষদ বা অন্য যে কোনো কমিটির সভায় উপস্থিত থাকিতে পারিবেন অথবা কোনো কর্মকর্তাকে প্রতিনিধি হিসাবে প্রেরণ করিতে পারিবেন;

(ঘ) কোনো বাণিজ্য সংগঠন বা উহার আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক বা সার্কেলের কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করিতে পারিবেন বা পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করিবার জন্য কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবেন অথবা পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করিবার নিমিত্ত অন্য যে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;

(ঙ) কোনো বাণিজ্য সংগঠন বা উহার আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক বা সার্কেলের যে কোনো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের অনুমোদনক্রমে উক্ত নির্বাচনকে অকার্যকর বা বাতিল ঘোষণা অথবা পুনঃনির্বাচনের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যদি তিনি-

(অ) স্বীয় জ্ঞাতসারে; বা

আ) প্রতিদ্বন্দ্বী কাহারও নিকট হইতে প্রাপ্ত কোনো অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে; বা

(ই) উপ-দফা (অ) ও (আ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত নির্বাচন পরিচালনায় সংঘটিত অনিয়ম উক্ত নির্বাচন বাতিলের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠিত করে তাহা হইলে তিনি উক্ত আদেশে উল্লিখিত মেয়াদের মধ্যে নূতন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন;

(চ) নির্বাহী কমিটি, পরিচালনা পর্ষদ বা ক্ষেত্রমত, প্রশাসক কর্তৃক গৃহীত যে কোনো প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত বাতিল, স্থগিত বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন, যদি তিনি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত এই আইন বা বিধির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নহে অথবা উক্ত প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকালে সংঘস্মারক ও সংঘবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয় নাই অথবা উক্ত প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের প্রতি সরকার বা মহাপরিচালক কর্তৃক জারিকৃত কোনো নির্দেশাবলী বা বিধির পরিপন্থি;

(ছ) তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো বাণিজ্য সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মনে করেন, তাহা
হইলে-

(অ) উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের এক বা একাধিক সদস্য বা পরিচালককে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিয়া অপসারণ করিতে পারিবেন; এবং

(আ) উক্ত কমিটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য শূন্য পদ পূরণ করিতে বা পূরণ করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন অথবা প্রশাসক নিয়োগপূর্বক অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন; বা

উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের যেকোনো সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদানপূর্বক নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং অনুরূপভাবে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ পুনঃবিবেচনা করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকে এই উপ-দফার অধীনে অপসারণ বা সাময়িক বরখাস্ত বা শূন্যপদ পূরণ বা প্রশাসক নিয়োগ করা যাইবে না;

(জ) ফেডারেশন বা অন্য কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সদস্যপদ লাভের জন্য নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করা সত্ত্বেও ফেডারেশন কর্তৃক কোনো বাণিজ্য সংগঠনের অথবা অন্য কোনো বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক কোনো ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ প্রাপ্তির আবেদন প্রত্যাখান করা হইলে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন অথবা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আবেদনক্রমে ফেডারেশনকে বা উক্ত বাণিজ্য সংগঠনকে যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনের অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সদস্যপদ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন;

কোনো বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিযুক্ত হইলে তিনি উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের আর্থিক সক্ষমতা ও কাজের পরিধি বিবেচনাপূর্বক উহার প্রশাসক ও সহায়ক কমিটির সদস্যগণের মাসিক সম্মানি ভাতা বা পারিশ্রমিক বা দায়িত্ব ভাতা বা আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্ধারণ করিতে পারিবেন;

(ঞ) বাণিজ্য বা বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোনো পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন;

(ট) সরকারি বা জনকল্যাণমূলক কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা প্রদান করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন;

(ঠ) কোনো সদস্য বা ফেডারেশন বা ক্ষেত্রমত, জেলা বা মেট্রোপলিটন চেম্বারের অভিযোগ বা আবেদন অথবা স্বীয় বিবেচনায় কোনো বাণিজ্য সংগঠনে বিদ্যমান কোনো সমস্যা বা দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবেন;

(ড) ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাণিজ্য সংগঠনসমূহের সহিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার যোগাযোগ ও কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করিবেন;

(ঢ) কোনো বাণিজ্য সংগঠন অথবা ফেডারেশনের আবেদন বা অভিযোগ অথবা স্বীয় বিবেচনায় কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে নির্বাচন বোর্ড এবং নির্বাচন আপিল বোর্ড গঠন করিতে পারিবেন; এবং

(ণ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা অন্য যে কোনো ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিবেন।

ফেডারেশন ও অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাচন ও সদস্যপদ সংক্রান্ত বিশেষ বিধান

১৬।  (১) এসোসিয়েশন গ্রুপ (Association Group) ও চেম্বার গ্রুপ (Chamber Group) হইতে নির্বাচনের মাধ্যমে বিধি দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যক পরিচালক এবং সরকার কর্তৃক মনোনীত পরিচালকগণের সমন্বয়ে ফেডারেশনের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হইবে।

(২) ফেডারেশনে ৩ (তিন) শ্রেণির সদস্যপদ থাকিবে, যথা:-

(ক) চেম্বার সদস্য Chamber Member);

(খ) এসোসিয়েশন সদস্য (Association Member); এবং

(গ) সহযোগী সদস্য (Associate Member)।

(৩) বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো কর্পোরেট হাউজ বা গ্রুপ অব কোম্পানিজ বা যৌথ উদ্যোগী কোম্পানিজ (Joint Venture Companies) বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ টার্নওভার (Turnover) সম্বলিত প্রাইভেট ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো ব্যবসায়ী বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের বাণিজ্য সংগঠনের (চেম্বার বা এসোসিয়েশন) সদস্যপদ গ্রহণ করিতে পারিবে তাহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

(৪) কোনো সহযোগী সদস্য (Associate Member) ফেডারেশনের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবে না।

(৫) ফেডারেশন ব্যতীত অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনের সংঘবিধি অনুযায়ী উহার-

(ক) সদস্যগণের মধ্য হইতে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ গঠন করিবে; এবং

(খ) সদস্য শ্রেণি নির্ধারণ করিবে।

নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ও প্রশাসক নিয়োগ

১৭। (১) যেক্ষেত্রে কোনো বাণিজ্য সংগঠন অথবা ফেডারেশনের আবেদন বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অথবা সরকারের স্বীয় বিবেচনায় কোনো নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন বা উহার কোনো শাখা বা দপ্তরের কার্যক্রম, ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও বা সেবাখাতের স্বার্থে সঠিকভাবে পরিচালিত হইতেছে না মর্মে সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয়, সেই ক্ষেত্রে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা আদেশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদকে লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া উক্তরূপ বাতিলের বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগ প্রদান ব্যতীত এইরূপ আদেশ প্রদান করা যাইবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণে-

(ক) কোনো বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হইলে; অথবা

(খ) ধারা ১৪ অনুযায়ী মঞ্জুরকৃত সময়ের মধ্যে কোনো বাণিজ্য সংগঠন নির্বাচন করিতে ব্যর্থ হইলে; অথবা

(গ) কোনো কারণ ব্যতীত যথাসময়ে কোনো বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা না হইলে; অথবা

(ঘ) কোনো আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা কোনো বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদকে উহার কর্মসমূহ পালন করা হইতে বিরত করা হইলে;

উক্ত বাণিজ্য সংগঠন বা উহার কোনো শাখা বা দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখিবার লক্ষ্যে, সরকার যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপে উক্ত কমিটির কর্মকান্ড পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করিবার উদ্দেশ্যে এক বছরের অধিক নয় এমন মেয়াদের জন্য ১ (এক) জন প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে:

তবে র্শত থাকে যে, নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হইলে সরকার উক্ত প্রশাসককে তৎকর্তৃক পরিচালিত দায়িত্ব নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের অনুকূলে ন্যস্ত করিবার উদ্দেশ্যে নির্দেশ প্রদান করিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রশাসক নিযুক্ত হইবার পর নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ স্ব স্ব পদ হইতে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ পদ্ধতিতে প্রশাসক নিযুক্ত হইবার পর নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য বা পরিচালনা পর্ষদের কোনো পরিচালক উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের কোনো কার্যক্রম বা দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না।

(৪) কোনো বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিযুক্ত থাকাকালীন উক্ত সংগঠনের কোনো সদস্য ফেডারেশনের নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হইতে পারিবেন না এবং ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদে উক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব স্থগিত থাকিবে।

প্রশাসকের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য

১৮। (১) প্রশাসক মহাপরিচালকের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে থাকিয়া সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নির্দেশনার আলোকে স্বীয় ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের লক্ষ্যে প্রশাসক-

(ক) স্বীয় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করিবার জন্য উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের সদস্যগণের মধ্য হইতে একাধিক সদস্য সমন্বয়ে সহায়ক কমিটি গঠন করিতে পারিবেন;

(খ) তাহার মেয়াদের মধ্যে নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিমিত্ত নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড গঠন এবং উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিধি-বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন;

(গ) সাধারণ সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন এবং নিরীক্ষকের প্রতিবেদন পাঠ সম্পর্কিত বিধানাবলী ব্যতীত বাণিজ্য সংগঠনের জন্য প্রযোজ্য বিদ্যমান কোম্পানি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার নির্দেশাবলী প্রতিপালন করিবেন;

(ঘ) নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করিবার উদ্দেশ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট সভা ব্যতীত, অপসারিত নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদে সাধারণ সভা স্থগিত করিতে পারিবেন;

(ঙ) যে মেয়াদের জন্য সাধারণ সভা স্থগিত করা হইয়াছে সেই মেয়াদে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ সদস্যগণের অনুমোদন বা সম্মতি আবশ্যক হইলে উক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন;

(চ) প্রশাসক ও সহায়ক কমিটির সদস্যগণের সম্মানি, ভাতা, পারিশ্রমিক ও সংগঠন পরিচালনার নিমিত্ত অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করিতে পারিবেন;

(ছ) বাণিজ্য সংগঠন সুচারুরূপে পরিচালনার উদ্দেশ্যে এই আইন ও বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া যেইরূপ প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ কার্যসম্পাদন করিতে পারিবেন;

(জ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা অন্য যেকোনো ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদন করিবেন।

(৩) প্রশাসক ও সহায়ক কমিটির সদস্যগণের সম্মানি, ভাতা, পারিশ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক দায়েরকৃত বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা পরিচালনাসহ বাণিজ্য সংগঠন পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় উক্ত সংগঠনের তহবিল হইতে নির্বাহ করা হইবে।

‘জয়েন্ট ট্রেড ওয়ার্কিং কমিটি’ বা ‘জেটিডব্লিউসি’ গঠন ও উহার কার্যাবলি

১৯।  (১) সরকার ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য সংগঠনের স্বার্থ সংরক্ষণ ও দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নিমিত্ত মহাপরিচালককে আহবায়ক করিয়া ফেডারেশনের প্রতিনিধিগণের 5[এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার উপযুক্ত কর্মকর্তাগণের] সমন্বয়ে জয়েন্ট ট্রেড ওয়ার্কিং কমিটি (Joint Trade Working Committee) বা জেটিডব্লিউসি (JTWC) গঠন করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কমিটি নিম্নরূপ কার্যাবলি সম্পাদন করিবে, যথা:-

(ক) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সংগঠনের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করা;

(খ) দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্য বৃদ্ধির স্বার্থে সেমিনার, মতবিনিময় সভা, বাণিজ্য মেলা, প্রদর্শনী, প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি আয়োজন;

(গ) বাণিজ্য সংগঠনসমূহ ও উহার সদস্যগণের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখিবার স্বার্থে সভা, সমাবেশ বা অন্য যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ;

(ঘ) বাণিজ্য সংগঠনসমূহের সংশ্লিষ্ট ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের নিমিত্ত সভা, সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন; এবং

(ঙ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার আলোকে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অন্য যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা।

বাণিজ্য সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা

২০। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা কোনো নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠনের কোনো সংঘবিধি বা সংঘস্মারকে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অনুরূপ বাণিজ্য সংগঠন বা উহার নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ বা উহার অন্যান্য সংস্থার বৈধতা বা উহার কোনো কার্য বা কার্যধারার যথার্থতা অথবা উহার গঠন বা উক্ত কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের বা সংস্থার নির্বাচন বা নিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে অনুরূপ বাণিজ্য সংগঠনের কোনো সদস্য কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা অন্য কোনো বাণিজ্য সংগঠনের কোনো সদস্য কর্তৃক কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে, অনুরূপ বাণিজ্য সংগঠন বা উহার কোনো সদস্য বা অনুরূপ বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটির বা পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের বা আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ বা রুজু করা যাইবে না, যদি না উক্ত সদস্য বা অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠন বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফিসহ ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত সালিশ ট্রাইব্যুনালের নিকট বিষয়টি নিষ্পত্তির আবেদন করে এবং অনুরূপ সালিশ ট্রাইব্যুনাল উক্ত বিষয়ে উহার সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ বা প্রশাসক কর্তৃক নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হইলে নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে গঠিত নির্বাচন বোর্ড বা নির্বাচন আপিল বোর্ড বা সালিশ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ ব্যতীত মহাপরিচালকের নিকট এই বিষয়ে কোনো আবেদন বা অভিযোগ করা যাইবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সালিশ ট্রাইব্যুনাল ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যূন ৩ (তিন) বা অনধিক ৫ (পাঁচ) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং উক্ত ট্রাইব্যুনাল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা এবং সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করিবে।

বাণিজ্য সংগঠনের বাধ্যতামূলক সদস্যপদ

২১। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক বা সংঘবিধি বা কোনো চুক্তিপত্র বা অন্য কোনো দলিলপত্রে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, 

(ক) ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা উহাদের কোনো শ্রেণিকে ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবার স্বার্থে কোনো নির্দিষ্ট নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য হইতে হইবে;

(খ) ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসমূহে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা উহাদের কোনো শ্রেণির নিকট হইতে কোনো নির্দিষ্ট নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন প্রাপ্তির পর উক্ত নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন সংঘবিধি অনুযায়ী উহার সদস্য হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোনো ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা উহাদের কোনো শ্রেণি কোনো নির্দিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা সত্ত্বেও উক্ত বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হইলে উক্ত ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং উক্ত বিষয়ে মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের শুনানি গ্রহণপূর্বক যথোপযুক্ত আদেশ প্রদান করিবেন।

সদস্যপদ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ

২২।  (১) কোনো ব্যক্তি তাহার ট্রেড লাইসেন্সে উল্লিখিত শ্রেণির ব্যবসা ব্যতীত অন্য কোনো শ্রেণির এসোসিয়েশনের সদস্য হইতে পারিনে না।

(২) কোনো ব্যক্তি তাহার ট্রেড লাইসেন্সে উল্লিখিত জেলা বা মেট্টোপলিটন চেম্বার ব্যতীত অন্য কোনো জেলা বা মেট্টোপলিটন চেম্বারের সদস্য হইতে পারিবেন না:

তবে শর্ত থাকে যে, একাধিক জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় বিদ্যমান শাখা অফিস বা কারখানার অনুকূলে ট্রেড লাইসেন্স থাকিলে কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট জেলা বা মেট্রোপলিটন চেম্বারেরও সদস্য হইতে পারিবেন।

পদে অধিষ্ঠিত হইবার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ

২৩। (১) কোনো ব্যক্তি কোনো বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেন না অথবা কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন না, যদি তিনি-

(ক) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তি লাভের পর
৫ (পাঁচ) বৎসর অতিবাহিত না হইয়া থাকে;

(খ) ঋণ খেলাপী হন অথবা হালনাগাদ কর, ভ্যাট, শুল্ক পরিশোধ না করিয়া থাকেন:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো পদে নির্বাচিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ঋণ খেলাপী অথবা কর খেলাপী হিসাবে তালিকাভুক্ত হইবার তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে ‍উক্ত ঋণ বা কর পরিশোধ না করিলে উক্ত পদ শূন্য বলিয়া বিবেচিত হইবে;

(গ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকেন;

(ঘ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বলিয়া ঘোষিত হন বা দেউলিয়া হিসাবে ঘোষিত হইবার জন্য আবেদন করিয়া থাকেন।

(২) কোনো ব্যক্তিকে ধারা ২৭ এর অধীন অর্থদণ্ড প্রদান করা হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।

আপিল

২৪। (১) কোনো বাণিজ্য সংগঠনের কোনো সদস্য নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ বা ক্ষেত্রমত প্রশাসকের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশে সংক্ষুব্ধ হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে মহাপরিচালকের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং মহাপরিচালক উক্ত বিষয়ে শুনানি গ্রহণপূর্বক সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী প্রদত্ত মহাপরিচালকের সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি বা বাণিজ্য সংগঠন উক্তরূপ সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

ক্ষমতা অর্পণ

২৫। সরকার, এই আইন বা বিধির অধীন উহার কোনো ক্ষমতা, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মহাপরিচালককে এবং মহাপরিচালক, তাহার কোনো ক্ষমতা, লিখিত আদেশ দ্বারা প্রশাসক বা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে প্রদান করিতে পারিবেন।

সরকার কর্তৃক মহাপরিচালকের কার্য সম্পাদন

২৬। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পরিস্থিতিতে বা ক্ষেত্রে মহাপরিচালকের যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ ও তাঁহার যে কোনো কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রজ্ঞাপন জারির পর এই আইনের যে সকল বিধানে মহাপরিচালক শব্দটির উল্লেখ রহিয়াছে সেই সকল বিধানে মহাপরিচালক শব্দের পরিবর্তে সরকার শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং তদনুসারে উক্ত বিধান কার্যকর হইবে।

অপরাধ ও দণ্ড

২৭। (১) যদি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, করপোরেট সংস্থা বা কোনো বাণিজ্য সংগঠন এই আইন বা বিধির কোনো বিধান বা কোনো আদেশ লংঘন করেন বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে স্বীয় দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তাহা হইলে তিনি অন্যূন ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা বা অনূর্ধ্ব ১,০০০০০ (এক লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(২) কোনো ব্যক্তি ধারা ২১ ও ২২ এর বিধান লংঘন করিলে উক্তরূপ লংঘনের ক্ষেত্রে তিনি প্রতিদিনের জন্য ১,০০০ (এক হাজার) টাকা হারে অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন

২৮। (১) এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ যদি কোম্পানি কর্তৃক সংঘটিত হয় তাহা হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা উক্ত অপরাধের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।

ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(ক) ‘কোম্পানি’ অর্থে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, ফার্ম বা অনুরূপ ব্যক্তিসংঘ অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং

(খ) ‘পরিচালক’ অর্থে ফার্মের অংশিদার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা হইলেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করিয়া উহার উপর অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।

অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার

২৯। (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-

(ক) মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না;

(খ) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে; এবং

(গ) ধারা ২৭ এ উল্লিখিত সীমার যেকোনো পরিমাণের অর্থদন্ড আরোপের ক্ষমতা ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের থাকিবে।

(২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য, আপোষযোগ্য ও জামিনযোগ্য হইবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৩০‌। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

অসুবিধা দূরীকরণ

৩১। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করিতে পারিবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

৩২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সংগে সংগে, Trade Organisations Ordinance, 1961 (Ordinance No. XLV of 1961), অতঃপর রহিত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিতকৃত Ordinance এর অধীন-

(ক) লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাণিজ্য সংগঠন এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ ও প্রশাসক এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধিমালার কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, উহার মেয়াদকালের জন্য বহাল থাকিবে এবং দায়িত্ব পালন করিবে;

(খ) প্রণীত কোনো বিধি, জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন ও প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশ এই আইনের কোনো বিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে;

(গ) গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন বা চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে বা চলমান রাখিতে হইবে যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

৩৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs