প্রিন্ট ভিউ
Public Debt Act, 1944 রহিতপূর্বক উহা সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু Public Debt Act, 1944 (Act No. XVIII of 1944) রহিতপূর্বক উহা সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল : -
১। (১) এই আইন সরকারি ঋণ আইন, ২০২২ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে -
(১) “জাতীয় সঞ্চয় স্কীম” অর্থ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত যে কোনো ধরনের সঞ্চয় স্কীম;
(২) “ট্রেজারি বন্ড” অর্থ এই আইন বা বিধির অধীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ইস্যুকৃত ১ (এক) বৎসরের ঊর্ধ্বে যে কোনো মেয়াদি সরকারি সিকিউরিটি;
(৩) “ট্রেজারি বিল” অর্থ এই আইন বা বিধির অধীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ইস্যুকৃত ১ (এক) বৎসরের নিম্নে যে কোনো মেয়াদি সরকারি সিকিউরিটি;
(৪) “ট্রাস্টি” অর্থ সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ট্রাস্টি;
(৫) “তপশিলি ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর Article 2(j)-তে সংজ্ঞায়িত তপশিলি ব্যাংক (Scheduled Bank);
(৬) “ধারক” অর্থ সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের আইনসম্মত স্বত্বাধিকারী বা উক্তরূপ দলিলের আইনসম্মত ধারক;
(৭) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(৮) “প্রচ্ছন্ন দায় (Contingent Liability)” অর্থ কোনো সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংগৃহীত ঋণের বিপরীতে সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রদান করা হইয়াছে এইরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে সরকারের উপর আরোপিত হইতে পারে এইরূপ প্রত্যক্ষ দায় অথবা উক্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অক্ষমতার কারণে সৃষ্ট অথবা আদালতের আদেশে বা প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট কোনো আর্থিক দায় যাহা সরকারের উপর আরোপিত হইতে পারে এইরূপ পরোক্ষ দায়;
(৯) “প্রমিসরি নোট” অর্থ Negotiable Instruments Act, 1881 (Act No. XXVI of 1881) এর section 4 অনুসারে প্রদত্ত প্রমিসরি নোট, এবং ট্রেজারি বন্ড ও ট্রেজারি বিলও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১০) “প্রস্তাবক বা অরিজিনেটর” অর্থ কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা সুকুকের প্রস্তাবক;
ব্যাখ্যা ।- কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা সুকুক ইস্যুর ক্ষেত্রে সরকার প্রস্তাবক বা অরিজিনেটর হিসাবে গণ্য হইবে;
(১১) “ফ্রন্ট অফিস (Front Office)” অর্থ ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত ও নির্দিষ্টকৃত কার্যালয়, যেখানে প্রত্যক্ষভাবে সরকারি ঋণ গ্রহণে ঋণ দাতাদের সহিত যোগাযোগ স্থাপন, আলাপ-আলোচনা (negotiation), চুক্তি, ইত্যাদি কার্য সম্পাদিত হইবে;
(১২) “বাংলাদেশ ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর Article 3 এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক;
(১৩) “বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা” অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত ও নির্ধারিত কার্য সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তা;
(১৪) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১৫) “ব্যাক অফিস (Back Office)” অর্থ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ও নির্দিষ্টকৃত কার্যালয়, যেখানে সরকারি ঋণের হিসাবায়ন, সামঞ্জস্য বিধান (reconciliation), পরিশোধ ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হইবে;
(১৬) “মিডল অফিস (Middle Office)” অর্থ ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত ও নির্দিষ্টকৃত কার্যালয়, যেখানে সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করা হইবে এবং বিভিন্ন ঋণ অফিসসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হইবে;
(১৭) “সরকারি ঋণ” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন গৃহীত ঋণ বা বিনিয়োগ;
(১৮) “সরকারি ঋণ অফিস (Public Debt Office)” অর্থ ধারা ৬ এ উল্লিখিত সরকারি ঋণ অফিস ও সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সহিত সম্পৃক্ত ফ্রন্ট অফিস বা মিডল অফিস বা ব্যাক অফিস;
(১৯) “সরকারি দায়” অর্থ সরকার কর্তৃক পরিশোধ করিতে হইবে এইরূপ দায়;
(২০) “সরকারি সিকিউরিটি (Government Security)” অর্থ -
(ক) সরকারি ঋণ সৃষ্টি অথবা সরকার কর্তৃক শরীয়াহসম্মত পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রহণের উদ্দেশ্যে ইস্যুকৃত নিম্নরূপ যে কোনো ধরনের সিকিউরিটি, যথা : -
(অ) সরকারি সিকিউরিটির ডিপোজিটরি বা বহিতে নিবন্ধনের মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য স্টক;
(আ) অর্ডার (order) এ প্রদেয় প্রমিসরি নোট;
(ই) ধারককে প্রদেয় বাহক (bearer) বন্ড;
(ঈ) শরীয়াহসম্মত বিনিয়োগ বা ইজারা বা অন্য কোনো চুক্তির আওতায় ইস্যুকৃত সরকারি সিকিউরিটি, যেমন: সুকুক ইত্যাদি; অথবা
(উ) সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে, সময় সময়, নির্ধারিত কোনো সিকিউরিটি; এবং
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার বা কোনো এসপিভি কর্তৃক ইস্যুকৃত উক্তরূপ যে কোনো সিকিউরিটি;
(২১) “সরকারি সিকিউরিটির ডিপোজিটরি” অর্থ রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে ইস্যুকৃত সরকারি সিকিউরিটির সংরক্ষণ, হস্তান্তর, পরিচালনা, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের সহিত সম্পৃক্ত যাবতীয় তথ্যের ইলেকট্রনিক বা অন্য কোনো উপায়ে রক্ষিত তথ্যের সংরক্ষণাগার;
(২২) “স্পেশাল পারপাস ভেহিকল বা এসপিভি (Special Purpose Vehicle বা SPV)” অর্থ ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন গঠিত বা নিযু্ক্ত স্পেশাল পারপাস ভেহিকল;
(২৩) “স্টক” অর্থ ধারক বা অন্য কোনো আইনানুগ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষিত সরকারি সিকিউরিটি;
(২৪) “সার্বভৌম বন্ড (Sovereign Bond)” অর্থ আন্তর্জাতিক বাজার হইতে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক দেশীয় বা বৈদেশিক মুদ্রায় ইস্যুকৃত সরকারি সিকিউরিটি;
(২৫) “সুকুক” অর্থ শরীয়াহসম্মত বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় সরকার কর্তৃক বিনিয়োগ গ্রহণের উদ্দেশ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো এসপিভি কর্তৃক ইস্যুকৃত সরকারি সিকিউরিটি; এবং
(২৬) “রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি” অর্থ সরকার কর্তৃক কোনো স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বা পাবলিক নন-ফাইনান্সিয়াল কর্পোরেশন বা স্ব-শাসিত সংস্থা বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অভ্যন্তরীণ অথবা আন্তর্জাতিক উৎস হইতে গৃহীত ঋণের আসল ও সুদ বা মুনাফা এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্য কোনো দায় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে পরিশোধে অসমর্থ হইলে সরকার কর্তৃক উহা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান বা এই ধরনের নিশ্চয়তা প্রদান সংক্রান্ত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কোনো গ্যারান্টি বা কাউন্টার গ্যারান্টি, যাহা Contract Act, 1872 (Act No. IX of 1872) এর বিধান অনুযায়ী বলবৎ হইবে।
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।
৪। (১) সরকার, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৪০ নং আইন) এর ধারা ২১ এর বিধান সাপেক্ষে, বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে, ঘাটতি অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত দেশীয় বা বৈদেশিক উৎস হইতে দেশীয় বা বৈদেশিক মুদ্রায় গৃহীত সুদযু্ক্ত বা মুনাফাযুক্ত অথবা সুদমুক্ত বা মুনাফামুক্ত যে কোনো প্রকারের ঋণ বা বিনিয়োগ সংগ্রহ করিতে পারিবে।
(২) সরকারের পক্ষে ঋণ সংগ্রহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সরকারের পক্ষে কোনো প্রকার ঋণ সংগ্রহ বা ঋণ সৃষ্টি করিতে পারিবে না।
(৩) সরকারের পক্ষে সংগৃহীত ঋণের হিসাবায়ন, যথাসময়ে পরিশোধ সূচি অনুযায়ী ঋণের আসল ও সুদ বা মুনাফা পরিশোধ, ঋণের পুনঃতপশিলিকরণসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি ঋণ অফিস দায়ী থাকিবে।
৫। (১) সরকারের পক্ষে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা গাইডলাইন বা প্রজ্ঞাপনের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি বা এই ধরনের নিশ্চয়তা প্রদান সংক্রান্ত কাউন্টার গ্যারান্টি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি বা কাউন্টার গ্যারান্টি সরকারের প্রচ্ছন্ন দায় হিসাবে গণ্য হইবে এবং প্রতি বৎসর উহার একটি হিসাব সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরের বাজেটের সহিত জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করিতে হইবে।
(৩) রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি বা কাউন্টার গ্যারান্টি হইতে উদ্ভূত প্রচ্ছন্ন দায় সরকারের প্রত্যক্ষ প্রচ্ছন্ন দায় হইবে এবং উক্ত প্রচ্ছন্ন দায়ের ঝুঁকি সহনীয় পর্যায়ে রাখিবার জন্য সরকার বৎসর ভিত্তিক ঊর্ধ্বসীমা (ceiling) নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(৪) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি বা কাউন্টার গ্যারান্টির জন্য উপযুক্ত ফি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(৫) সরকারের পক্ষে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রদান করিতে পারিবে না।
৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-
(ক) অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ঋণনীতি ও ঋণ পরিকল্পনা প্রণয়ন, ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ, অভ্যন্তরীণ ঋণ বাজেট প্রস্তুত ও উক্ত উৎস হইতে ঋণ সংগ্রহ, সার্বভৌম বন্ড ইস্যু, সার্বভৌম বন্ড বা সার্বভৌম সুকুক বা সুকুকের প্রসপেক্টাস অনুমোদন, রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রদান, গ্যারান্টি ও অন্যান্য উৎস হইতে উদ্ভূত সরকারের প্রচ্ছন্ন দায়ের হিসাবায়ন ও পরিবীক্ষণ ও কেন্দ্রীয় ঋণ ডাটাবেইজ রক্ষণাবেক্ষণ, ইত্যাদি করিবে, এবং এইক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় মিডল অফিস বলিয়া গণ্য হইবে এবং সকল সরকারি ঋণ অফিসের সহিত সমন্বয় সাধন করিবে;
(খ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারের ঋণনীতি, ঋণ পরিকল্পনা ও ঋণ কৌশলপত্র অনুযায়ী বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহ করিতে পারিবে এবং ঋণ সংগ্রহ, ঋণ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে ও উক্ত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহ, ঋণ পরিশোধ (debt servicing), হিসাব সংরক্ষণ, বৈদেশিক ঋণের বাজেট এবং ঋণ প্রোফাইলিং (debt profiling)-সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করিবে, এবং এইক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় একই সঙ্গে ফ্রন্ট অফিস ও ব্যাক অফিস হিসাবে গণ্য হইবে;
(গ) বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ঋণ বাজেট অনুযায়ী সরকারের পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি ইস্যু করিয়া স্থানীয় বা বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক উৎস হইতে সরকারি ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ সরকারি ঋণ বা বিনিয়োগের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করিবে, এবং এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক একই সঙ্গে ফ্রন্ট অফিস ও ব্যাক অফিস হিসাবে গণ্য হইবে;
(ঘ) জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সরকার কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপন, আদেশ, পরিপত্র অনুসরণপূর্বক সরকারের ঋণ বাজেট অনুযায়ী সরকারের পক্ষে বিভিন্ন সঞ্চয় স্কীমের আওতায় জনগণের বিনিয়োগ গ্রহণ করিবে এবং উক্তরূপ সরকারি ঋণের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করিবে, এবং এইক্ষেত্রে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর একই সঙ্গে ফ্রন্ট অফিস (Front office) ও ব্যাক অফিস (Back office) হিসাবে গণ্য হইবে; এবং
(ঙ) হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সকল সরকারি ঋণ অফিসের সহায়তায় সরকারি ঋণের হিসাব সংরক্ষণ, পরিশোধ সূচি অনুযায়ী ঋণের আসল ও সুদ বা মুনাফা পরিশোধের হিসাবায়ন, সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ঋণ অফিসের সহিত ঋণ তথ্যের সামঞ্জস্য বিধান, ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করিবে, এবং এইক্ষেত্রে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সামগ্রিক সরকারি ঋণের হিসাব সংরক্ষণকারী অফিস হিসাবে গণ্য হইবে।
৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি সিকিউরিটি ইস্যু ও ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট সরকারি ঋণ অফিস এই আইনের অধীন উহাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরকারি সিকিউরিটি সংরক্ষণ, হস্তান্তর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি সিকিউরিটির ডিপোজিটরি স্থাপন করিতে পারিবে।
৮। (১) Trusts Act, 1882 (Act No. II of 1882) বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো সরকারি সিকিউরিটির বিপরীতে বা শরীয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ গ্রহণের উদ্দেশ্যে সরকারি সিকিউরিটি ইস্যু করিবার লক্ষ্যে সরকার স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) গঠন বা নিযুক্ত করিতে পারিবে এবং উক্ত এসপিভি কর্তৃক ইস্যুকৃত সরকারি সিকিউরিটির ধারকের পক্ষে ও উহাদের স্বার্থ রক্ষার্থে ট্রাস্টি নিয়োগ করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সরকার এসপিভি বা ট্রাস্টি হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিযুক্ত করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত এসপিভি বা ট্রাস্টি কর্তৃক ইস্যুকৃত সরকারি সিকিউরিটির হিসাবায়ন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব দায়-সম্পদ সংক্রান্ত হিসাবের বাহিরে রাখিতে হইবে এবং উক্ত সিকিউরিটির হিসাব পৃথক বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
৯। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, নির্দিষ্ট প্রকারের সিকিউরিটির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক সরকারি সিকিউরিটি হস্তান্তর করিতে হইবে।
(২) সরকারি সিকিউরিটি হস্তান্তর বৈধ হইবে না, যদি-
(ক) সিকিউরিটির পূর্ণ স্বত্বাধিকার না থাকে; অথবা
(খ) উক্ত সিকিউরিটি হস্তান্তরের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিধি-বিধান বা পদ্ধতির সহিত সাংঘর্ষিক হয়।
(৩) এই ধারার কোনো কিছুই এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশকে ক্ষুণ্ন করিবে না।
১০। Negotiable Instruments Act, 1881 (Act No. XXVI of 1881) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাহার সরকারি সিকিউরিটি হস্তান্তর করিবার পর, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তরকৃত সিকিউরিটির আসল বা আসলের অধীন প্রদেয় সুদ বা মুনাফার অর্থ প্রদানে দায়বদ্ধ করা যাইবে না।
১১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো সরকারি কার্যালয়কে সরকারি সিকিউরিটি বা প্রমিসরি নোটের ধারক হইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো সরকারি কার্যালয় ধারক হইবার অনুমোদন লাভ করিবার পর, উক্ত সরকারি সিকিউরিটি যথানিয়মে উক্ত কার্যালয়ের নামে হস্তান্তরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এইক্ষেত্রে কোনোরূপ পৃষ্ঠাঙ্কন বা হস্তান্তর দলিলের প্রয়োজন হইবে না।
(৩) অফিস প্রধান কর্তৃক তাহার পরবর্তী অফিস প্রধান (successor office head) ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট সরকারি সিকিউরিটি হস্তান্তর করিবার ক্ষেত্রে ধারা ৯ এর বিধানাবলি অনুসরণপূর্বক সংশ্লিষ্ট অফিসের নামে ও অফিস প্রধানের স্বাক্ষরে উহা হস্তান্তর করিতে হইবে।
(৪) এই ধারার বিধানাবলি যে কোনো সরকারি কার্যালয়ের আওতায় যৌথ বা একক উভয় ধরনের ধারকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
১২। সরকারি সিকিউরিটির ধারক প্রতিষ্ঠান আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইলে বা আইনানুগ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন ঘটিলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিযুক্ত প্রশাসক বা নির্বাহী সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিযুক্ত হইতে পারিবে এবং নিযুক্ত প্রশাসক বা নির্বাহী উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীন সরকারি সিকিউরিটির বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।
১৩। (১) সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন সরকার কর্তৃক গঠিত বা নিযুক্ত কোনো ট্রাস্ট ব্যতীত, সরকার অন্য কোনো ট্রাস্টের-
(ক) কোনো প্রকার নোটিশ গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিবে না; বা
(খ) উক্তরূপ কোনো নোটিশ দ্বারা সরকারকে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিতে বাধ্য করা যাইবে না; অথবা
(গ) উক্তরূপ বিষয়ে সরকারকে ট্রাস্টি হিসাবে গণ্য করা যাইবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ধারকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বা সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা সৃষ্টি না করিয়া, সুদ বা মুনাফা বা মেয়াদ পূর্তিতে অর্থ পরিশোধের জন্য বা হস্তান্তরের জন্য বা তৎসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের উপর বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর উপযুক্ত মনে করিলে, উক্তরূপ অনুরোধ ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক উহা নিজস্ব বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে পারিবে।
১৪। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানসাপেক্ষে, সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ধারক মৃত্যুবরণ করিলে, উক্ত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের প্রশাসকগণ (Administrator) অথবা নির্বাহীগণ (Executor) এর মধ্য হইতে যিনি Succession Act, 1925 (Act No. XXXIX of 1925) এর Part X এর বিধান অনুযায়ী ঘোষিত উত্তরাধিকারী, তাহাকে বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ধারা ১৫, ১৬ ও ১৮ এর বিধানসাপেক্ষে উক্ত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্বাধিকারী হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে।
(২) হিন্দু আইনের দায়ভাগ বা, ক্ষেত্রমত, মিতাক্ষরা মতবাদ অনুযায়ী পরিচালিত কোনো হিন্দু যৌথ পরিবার সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্বাধিকারী হইলে, উক্ত পরিবারের একমাত্র জীবিত পুরুষ সদস্য বা তাহার নিযুক্ত ব্যবস্থাপক কর্তৃক উত্তরাধিকার সনদ দাখিলপূর্বক উক্ত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের মালিকানা দাবি করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বরাবর দরখাস্ত করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর তদন্ত করিয়া যদি সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী হিন্দু আইনের দায়ভাগ বা, ক্ষেত্রমত, মিতাক্ষরা মতবাদ অনুযায়ী উক্ত যৌথ পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য বা নিযুক্ত ব্যবস্থাপক, তাহা হইলে আবেদনকারীকে উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের স্বত্বাধিকারী বা ব্যবস্থাপক হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে।
১৫। Contract Act, 1872 (Act No. IX of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-
(ক) সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের একাধিক ধারক থাকিলে, তাহাদের মধ্য হইতে কেহ মৃত্যুবরণ করিলে, উক্ত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব ধারকগণের মধ্যে জীবিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের উপর ন্যস্ত হইবে; এবং
(খ) সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের অর্থ একাধিক ব্যক্তিকে প্রদেয় হইলে এবং তাহাদের মধ্য হইতে কেহ মৃত্যুবরণ করিলে, ধারক ব্যক্তিগণের মধ্যে জীবিত ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিগণকে বা মৃত ব্যক্তির আইনসম্মত প্রতিনিধি বা তাহাদের মধ্যে যে কোনো ব্যক্তিকে উল্লিখিত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের অর্থ প্রদেয় হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোনো কিছুই, ধারা ১৬, ১৭ ও ১৮ এর বিধানসাপেক্ষে, জীবিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের প্রতি মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনসম্মত প্রতিনিধি কর্তৃক উত্থাপিত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট দাবি-দাওয়ার উপর কোনোরূপ প্রভাব ফেলিবে না।
১৬। ধারা ১৪ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সর্বমোট প্রদেয় মূল্যমান ১ (এক) লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে নয় এইরূপ সরকারি সিকিউরিটির ধারক অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা মূল্যমানের জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ধারকের মৃত্যুর ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তাহার উইল বা তাহার ভূ-সম্পত্তির (estate) পক্ষে কোনো দরখাস্ত বা Succession Act, 1925 (Act No. XXXIX of 1925) এর Part X এর বিধান অনুযায়ী উত্তরাধিকারী সনদ বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের নিকট দাখিল না করিলে অথবা উক্তরূপ কোনো পদক্ষেপই মৃত ধারকের পক্ষে যথাযথভাবে গ্রহণ করা হয়নি মর্মে নিশ্চিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর উক্ত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্বাধিকারী সম্পর্কে বা মৃত ধারকের ভূ-সম্পত্তির প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উল্লিখিত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে।
১৭। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-
(ক) সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ধারক উল্লিখিত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের প্রাপ্য অর্থ তাহার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার পক্ষে এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে; এবং
(খ) ধারকের মৃত্যুর পর আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নমিনি পরিবর্তন বা বাতিল না হইলে, ধারকের মনোনীত নমিনিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বাবদ পাওনা অর্থ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) ধারক কর্তৃক প্রদত্ত একক নমিনি বা একাধিক নমিনির ক্ষেত্রে সকল নমিনি মৃত্যুবরণ করিলে উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত নমিনির মনোনয়ন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) সরকারি সিকিউরিটি হস্তান্তর করিলে, হস্তান্তরের পূর্বে প্রদত্ত নমিনির মনোনয়ন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি সিকিউরিটি কোনো আর্থিক লেনদেনের জন্য বন্ধক বা জামানত হিসাবে প্রদান করিলে, উক্তরূপ বন্ধক বা জামানত নমিনি বাতিলকে প্রভাবিত করিবে না, তবে বন্ধক বা জামানত গ্রহীতার অধিকারের সহিত নমিনির অধিকার সম্পর্কযুক্ত হইবে।
(৪) নমিনি নাবালক হইলে, ধারকের মৃত্যুর পর নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নমিনির পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয়স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের প্রাপ্য অর্থ গ্রহণ বা উত্তোলনের জন্য ধারক কর্তৃক নমিনি প্রদানকালে যে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ করা আইনসম্মত ও যৌক্তিক হইবে এবং উক্তরূপ নিয়োগের ক্ষেত্রে ধারকের মৃত্যুর পর নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি নাবালকের প্রতিনিধি হিসাবে গণ্য হইবে।
১৮। (১) সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ধারক নমিনি প্রদানপূর্বক মৃত্যুবরণ করিলে এবং তাহার মৃত্যুর পর নমিনি কার্যকর থাকিলে উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের অর্থ নমিনি প্রাপ্য হইবে।
(২) নমিনি নাবালক হইলে ধারকের মৃত্যুর পর ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (৪) এর বিধান অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের অর্থ প্রাপ্য হইবেন এবং উক্তরূপ কোনো ব্যক্তি নিয়োগপ্রাপ্ত না হইলে নাবালকের আইনসম্মত অভিভাবক উল্লিখিত সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের অর্থ প্রাপ্য হইবেন।
(৩) সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের একাধিক নমিনি থাকিলে এবং যে কোনো একজন নমিনি মৃত্যুবরণ করিলে, জীবিত নমিনি বা নমিনিগণ উল্লিখিত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের স্বত্বাধিকারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের অর্থ তাহারা প্রাপ্য হইবেন।
(৪) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি সিকিউরিটির মেয়াদ পূর্ণ হইবার পূর্বে অথবা উক্ত সিকিউরিটির জন্য প্রযোজ্য শর্তাবলি প্রতিপালন ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি উহার প্রাপ্য অর্থ গ্রহণ করিতে পারিবেন না।
(৫) এই ধারার বিধান অনুসারে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের অর্থ প্রদান করিলে, উল্লিখিত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের সমুদয় পাওনা অর্থ প্রদান করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন কোনো ব্যক্তিকে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের অর্থ প্রদান করা হইলে, উক্ত ব্যক্তির নিকট কোনো ব্যক্তির আইনসম্মত অধিকার বা দাবীকে এই ধারা বা ধারা ১৪ এর বিধানকে প্রভাবিত করিবে না।
১৯। নাবালক বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা মূল্যমানের সরকারি সিকিউরিটির ধারক হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত সিকিউরিটির স্বত্ব উক্ত নাবালক বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির উপযুক্ত প্রতিনিধির উপর ন্যস্ত করিতে পারিবে।
২০। (১) সরকারি সিকিউরিটির ধরন পরিবর্তন বা অন্য কোনো ঋণের সহিত সম্পৃক্ত কোনো সিকিউরিটিতে রূপান্তর করা হইলে বা অন্য কোনো সিকিউরিটির সহিত একীভূত করা হইলে বা উক্ত সিকিউরিটিকে একাধিক সিকিউরিটিরূপে বিভক্ত করা হইলে বা সিকিউরিটি পুনঃইস্যু করা হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ফি আদায় সাপেক্ষে উক্ত সিকিউরিটি বাতিল করিয়া নূতন সিকিউরিটি ইস্যু অথবা পুনঃইস্যু করিতে পারিবে।
(২) এই ধারার অধীন সরকারি সিকিউরিটির রূপান্তর বা পুনর্গঠন বা বিভাজন বা পুনঃইস্যু করা হইলে, ধারা ২৮ এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উক্ত সিকিউরিটি বা সিকিউরিটিসমূহকে সরকার ও ধারকের সহিত নূতন চুক্তি হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত ধারক ও তাহার মাধ্যমে আইনসঙ্গত পদ্ধতিতে উদ্ভূত সকল দাবীদার ব্যক্তিকে উক্ত সিকিউরিটির স্বত্বাধিকারী বলিয়া গণ্য করিতে হইবে।
২১। (১) একাধিক ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের নিকট সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব দাবী করিলে বা এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের মালিকানা নির্ধারণের নিমিত্ত শুনানির জন্য প্রত্যেক দাবীদার পক্ষের নামে লিখিত নোটিশ প্রদান করিবে এবং নোটিশে শুনানি গ্রহণকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, শুনানির স্থান, সময় ও তারিখ উল্লেখ থাকিবে।
(২) শুনানি সমাপ্ত হইবার পর, বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্বের বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক উক্ত সিদ্ধান্ত সকল দাবীদার পক্ষকে লিখিত নোটিশ দ্বারা অবহিত করিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নোটিশ প্রদানের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস অতিক্রান্ত হইবার পর, বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর যে ব্যক্তিকে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের প্রকৃত স্বত্বাধিকারী বলিয়া চিহ্নিত করিয়াছে, তাহার অনকূলে উক্ত সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব ন্যস্ত করিয়া একটি আদেশ জারি করিতে পারিবে।
২২। সরকার কর্তৃক সরকারি সিকিউরিটির অর্থ বা উহার সুদ বা মুনাফা বাবদ প্রদেয় অর্থ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে যে স্থানেই পরিশোধের ব্যবস্থা গৃহীত হউক না কেন, উক্তরূপ কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অধিকার এই আইনের অধীন নির্ধারিত হইবে এবং উক্তরূপ বিষয়ে বাংলাদেশের আইন প্রযোজ্য হইবে।
২৩। (১) বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো আদেশ প্রদান করিবার ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, যে কোনো ব্যক্তির সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করিবার নিমিত্ত উহাদের অধীনস্ত যে কোনো উপযুক্ত কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করিতে পারিবে অথবা এতদুদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তির সত্যপাঠ (affidavit) সাপেক্ষে লিখিত বক্তব্য সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিতে পারিবে।
(২) সাক্ষ্য লিপিবদ্ধকরণের সময় এই ধারার অধীন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা সাক্ষী পরীক্ষা বা সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করিবার পূর্বে সাক্ষীকে শপথ গ্রহণ করাইতে পারিবেন।
২৪। বাংলাদেশ ব্যাংক এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে সরকারি সিকিউরিটির স্বত্ব ন্যস্ত করিবার আদেশ দানে মনস্থ করিলে, উক্ত আদেশ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত সিকিউরিটির সুদ বা মুনাফা বা মেয়াদপূর্তি বাবদ প্রদেয় অর্থ প্রদান অথবা ধারা ২১ এর অধীন কোনো আদেশ বা উক্ত সিকিউরিটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত করিতে পারিবে।
২৫। (১) এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কোনো ব্যক্তির অনুকূলে কোনো আদেশ জারি করিবার পূর্বে তাহার নিকট হইতে নির্ধারিত ফরমে এক বা একাধিক জামানত সহকারে, আদেশের সহিত সম্পৃক্ত অর্থের দ্বিগুণ বা তদপেক্ষা কম অর্থের সমপরিমাণ অর্থের মুচলেকা গ্রহণপূর্বক স্বীয় জিম্মায় সংরক্ষণ করিতে পারিবে এবং মুচলেকাটি এমনভাবে সম্পাদিত হইবে, যাহাতে উক্ত জামানতের অর্থ, প্রয়োজনে, বাংলাদেশ ব্যাংককে বা বাংলাদেশ ব্যাংক যে ব্যক্তিকে উক্ত জামানত অর্পণ (assign) করিবে, তাহাকে বা উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী যাহাকে অর্পণ করা হইয়াছে এইরূপ ব্যক্তিকে প্রদান করা যাইবে।
(২) বাংলাদেশ ব্যাংকের উক্তরূপ আদেশ সংশ্লিষ্ট দাবী কোনো আদালতের নিকট উপস্থাপিত হইলে, আদালত উপযুক্ত দাবীদারকে উক্ত মুচলেকার শর্ত বাস্তবায়ন বা জামানতের অর্থ গ্রহণের স্বত্ববান করিয়া উক্ত মুচলেকা বা জামানত অর্পণ করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
২৬। এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক কোনো নোটিশ প্রদানের প্রয়োজন হইলে, উক্ত নোটিশ ডাক বা ইলেকট্রনিক মেইল বা অন্য কোনো স্বীকৃত মাধ্যমে প্রেরণ করা যাইবে, তবে প্রতিটি নোটিশ সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিতে হইবে, এবং সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে উক্ত নোটিশ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি প্রাপ্ত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
২৭। এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে কোনো সরকারি সিকিউরিটির সম্পূর্ণ স্বত্ব অথবা সিকিউরিটির সম্পূর্ণ স্বত্ব প্রদান না করিয়া, কেবল উক্ত সিকিউরিটির অর্জিত ও প্রদেয় সুদ বা মুনাফার স্বত্ব ঘোষণা করিতে পারিবে।
২৮। (১) এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর যে কোনো ব্যক্তিকে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ধারক হিসাবে স্বত্ব অর্পণের বা উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের ন্যায়সঙ্গত মালিক বিবেচনার জন্য উক্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও প্রাপ্য অর্থ তাহার স্বীয় হিসাবে গ্রহণের অধিকার প্রদানের বিষয়ে আদেশ বা স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত উক্তরূপ আদেশ বা স্বীকৃতির মাধ্যমে সরকার বা, ক্ষেত্রমত, বাংলাদেশ ব্যাংক বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সহিত ধারক হিসাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত উক্ত ব্যক্তির অথবা উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেট বা উহাদের সুদ বা মুনাফার দাবীদার ব্যক্তির আইনসঙ্গত সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ না করিলে, উক্ত আদেশ বা স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
২৯। বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এই আইনের অধীন সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট সংক্রান্ত কোনো আদেশ প্রদানে মনস্থ করিলে এবং উক্তরূপ আদেশ প্রদানের পূর্বে কোনো আদালত হইতে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর-
(ক) আদালতের পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেট এবং সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের বিপরীতে প্রাপ্য বা প্রদেয় সুদ বা মুনাফাসহ সমুদয় অর্থের লেনদেন স্থগিত রাখিবে; অথবা
(খ) আদালতের কার্যক্রম নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেট ট্রাস্টির নিকট হস্তান্তরের অনুমতি প্রার্থনাপূর্বক আদালতের নিকট আবেদন করিবে।
৩০। বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এই আইনের অধীন সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব কোনো ব্যক্তিকে ন্যস্ত করিবার কোনো আদেশ প্রদানে মনস্থ করিলে, উক্তরূপ আদেশ প্রদানের পূর্বে যে কোনো সময়, উক্তরূপ বিষয়ে গৃহীত সকল কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে এবং বাতিলকরণের পর নূতন কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
৩১। সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের শর্তাবলিতে ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকিলে, কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের নির্ধারিত মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পর কোনো সময় বা মেয়াদের জন্য কোনো ব্যক্তি কোনোরূপ সুদ বা মুনাফা বা অর্থ দাবী করিতে পারিবে না।
৩২। আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশে নিষেধাজ্ঞা বা ভিন্নরূপ কোনো কিছু না থাকিলে, কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের মেয়াদ পূর্তির তারিখে বা মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী কোনো তারিখে উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের আসল বাবদ পাওনা অর্থ বা উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের সুদ বা মুনাফা বাবদ কুপন এর অর্থ ইলেকট্রনিক বা অন্য কোনো স্বীকৃত পদ্ধতিতে পরিশোধ করা হইলে অথবা পরিশোধের জন্য ধারক কর্তৃক উপস্থাপিত হইবার পর উহার ধারককে উক্ত অর্থ পরিশোধ করা হইলে, সরকার উক্ত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের সকল দায়বদ্ধতা হইতে মুক্ত হইবে।
৩৩। অন্য কোনো আইনে তামাদি হইবার জন্য এই ধারায় বর্ণিত মেয়াদ অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত কোনো মেয়াদ নির্ধারিত না থাকিলে, সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের সুদ বা মুনাফা বাবদ পাওনা অর্থ যে তারিখে পাওনা হইয়াছে উক্ত তারিখ হইতে ৬ (ছয়) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর, উক্ত পাওনা বাবদ সরকারের দায় তামাদি হইয়া যাইবে।
৩৪। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২০ নং আইন) এর অধীন তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, কোনো ব্যক্তি এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত ক্ষেত্র ও পদ্ধতি অনুসরণ ব্যতীত, সরকারের দখলে বা হেফাজতে থাকা সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বা এতদ্সংক্রান্ত কোনো দলিলাদি পরিদর্শন করিতে বা উহার কোনো তথ্য চাহিতে পারিবে না।
৩৫। Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর section 124 এবং Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর Part IV, Order V এর rule 27 এবং Order XXI এর rule 52 এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে গণ্য হইবেন।
৩৬। (১) কোনো ব্যক্তি নিজের বা অন্য কোনো ব্যক্তির পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে কোনো দরখাস্তে বা এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রম গ্রহণের জন্য লিখিত কোনো আবেদনে বা এই আইনের অধীন তদন্ত চলাকালীন তদন্ত কর্মকর্তা বা কোনো ব্যক্তির নিকট মিথ্যা বলিয়া জানে বা সে নিজে বিশ্বাস করে না এইরূপ কোনো বক্তব্য বা মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করিলে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৬ (ছয়) মাস মেয়াদে কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধ আমলে গ্রহণ করিবে না।
৩৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি, আদেশ, নির্দেশনা, গাইডলাইন, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র জারি করিতে পারিবে।
৩৮। এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত সরকারি সিকিউরিটির ক্ষেত্রে Securities Act, 1920 (Act No. X of 1920) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে না।
৩৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।
(২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
৪০। (১) Public Debt Act, 1944 (Act No. XVIII of 1944), অতঃপর রহিতকৃত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, রহিতকৃত আইনের অধীন-
(ক) কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, সুপারিশ, প্রণীত সকল পরিকল্পনা বা কার্যক্রম এবং অনুমোদিত সকল বাজেট, এই আইনের বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত এবং অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে;
(খ) অর্জিত দায়-দায়িত্ব, গৃহীত বাধ্যবাধকতা, সম্পাদিত সকল চুক্তি, দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট এইরূপে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে;
(গ) সকল প্রকারের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এই আইনের বিধান অনুযায়ী একই শর্তে ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে; এবং
(ঘ) দায়েরকৃত কোনো মামলা বা গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে এইরূপে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে।