প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১৯ নং আইন )

বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন, ২০১৫ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৮ নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :—

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৪ এর সংশোধন

২। বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি আশীদারিত্ব আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৮ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) এ “ও স্বাধীন” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৮ এর সংশোধন

৩।  উক্ত আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-

“(২) বোর্ড অব গভর্নরসের সভা চেয়ারপারসন বা চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারপারসন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে এবং বৎসরে অন্যূন দুইটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে; তবে প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় চেয়ারপারসনের অনুমোদন সাপেক্ষে পিপিপি সংশ্লিষ্ট যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে।"।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধন

৪।  উক্ত আইনের ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) ও (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ক) ও (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-

“(ক) পিপিপি সম্পর্কিত নীতিমালা, প্রবিধি, নির্দেশনা, গাইডলাইন ও কার্যপ্রণালী প্রণয়ন, অনুমোদন ও সরকারি গেজেট প্রকাশ;

(খ) পিপিপি প্রকল্পে সরকারি আর্থিক অংশগ্রহণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান;”।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ১০ এর সংশোধন

৫। উক্ত আইনের ধারা ১০ এর-

(ক) উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (২ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা :-

“(২ক) পিপিপি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য সরাসরি বোর্ড অব গভর্নরসের নিকট দায়ী থাকিবেন।”;

(খ) উপ-ধারা (৪) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-

“(৪) পিপিপি কর্তৃপক্ষের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকিবে—

(ক) যিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন; এবং

(খ) যাহার চাকরির শর্তাদি, পদমর্যাদা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।"; এবং

(গ) উপ-ধারা (৭) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৭) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-

“(৭) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিপিপি কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বোর্ড অব গভর্নরসের নিকট দায়ী থাকিবেন।”।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন

৬।  উক্ত আইনের ধারা ১১ এর "বোর্ড অব গভর্নরস" শব্দগুলির পরিবর্তে "সরকার" শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২৩ এর সংশোধন

৭।  উক্ত আইনের ধারা ২৩ এর বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসাবে সংখ্যায়িত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) সংযোজিত হইবে, যথা :-

“(২) পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।”।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২৬ এর সংশোধন

৮। উক্ত আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (গ) এর "গণ্যপণ্য” শব্দের পরিবর্তে "গণপণ্য" শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩৬ এর সংশোধন

৯।  উক্ত আইনের ধারা ৩৬ এর উপান্তটীকায় উল্লিখিত "দূরীকরণার্থ পিপিপি কর্তৃপক্ষের" শব্দগুলির পরিবর্তে "দূরীকরণার্থে সরকারের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর তৃতীয় লাইনে উল্লিখিত "পিপিপি কর্তৃপক্ষ” শব্দগুলির পরিবর্তে "সরকার" শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩৭ এর সংশোধন

১০।  উক্ত আইনের ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঙ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-

"(ঙ) কোনো প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত সার্ভিস চার্জ, প্রকল্প উন্নয়ন ফি ও নির্ধারিত সাকসেস ফি; এবং"।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৪১ এর বিলুপ্তি

১১।  উক্ত আইনের ধারা ৪১ বিলুপ্ত হইবে।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৪৪ এর সংশোধন

১২।  উক্ত আইনের ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর “পিপিপি অফিস” শব্দগুলির পরিবর্তে "পিপিপি কর্তৃপক্ষ” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১৫ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৪৫ এর সংশোধন

১৩।  উক্ত আইনের ধারা ৪৫ এর-

(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :—

“(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পিপিপি কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত কোনো বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রবিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।”; এবং

(খ) উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) বিলুপ্ত হইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs