প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ২২ নং আইন )

The Patents And Designs Act, 1911 রহিতক্রমে শিল্প-নকশা সংক্রান্ত বিষয়ে নুতনভাৰে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু The Patents And Designs Act, 1911 (Act No. II of 1911 ) রহিতক্রমে শিল্প-নকশা সংক্রান্ত বিষয়ে নূতনভাবে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২।  বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(ক) ‘অগ্রাধিকার তারিখ’ অর্থ পূর্বে দাখিলকৃত আবেদনের তারিখ যাহা প্যারিস কনভেনশনের অধীন অগ্রাধিকার প্রাপ্তির অধিকারী;

(খ) ‘অগ্রাধিকার দাবি’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন ঘোষিত অগ্রাধিকার সংক্রান্ত দাবি;

(গ) ‘অধিদপ্তর’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর;

(ঘ) ‘আদালত’ অর্থ Civil Courts Act, 1887 (Act No. XII of 1887) এর section 3 (a) এ উল্লিখিত Court of the District Judge;

(ঙ) ‘আন্তর্জাতিক শ্রেণিবিভাগ’ অর্থ Locarno Agreement, 1968 এ উল্লিখিত Locarno Classification অনুযায়ী নির্ধারণকৃত শিল্প-নকশার আন্তর্জাতিক শ্রেণিবিভাগ;

(চ) ‘দেওয়ানি কার্যবিধি’ অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);

(ছ) ‘নির্ধারিত’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;

(জ) ‘প্যারিস কনভেনশন’ অর্থ Paris Convention for the Protection of Industrial Property, 1883;

(ঝ) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(ঞ) ‘ব্যক্তি’ অর্থে আইনগত সত্তাবিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, সমিতি, অংশীদারী কারবার বা সংঘ, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(ট) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;

(ঠ) ‘লাইসেন্সি’ অর্থ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো শিল্প-নকশা ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি;

(ড) ‘শিল্প-নকশা’ অর্থ শিল্পোৎপাদিত কোনো পণ্যের বৈশিষ্ট্যজনিত আকৃতি, রেখা, রং, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস, ক্যালিগ্রাফি ইত্যাদির অলংকরণের নান্দনিক দৃশ্যমানতা;

(ঢ) ‘শিল্প-নকশা প্রতিনিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন শিল্প-নকশা প্রতিনিধি হিসাবে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি;

(ণ) ‘শিল্প-নকশা ব্যবহার’ অর্থ নিবন্ধিত কোনো শিল্প-নকশা অঙ্গীভূত করিয়া কোনো দ্রব্য প্রস্তুত, বিক্রয়ের প্রস্তাব, বাজারে সরবরাহ বা বিক্রয় করা অথবা উক্ত সকল উদ্দেশ্যে অনুরূপ দ্রব্য আমদানি করা;

(ত) ‘শিল্প-নকশা লঙ্ঘন' অর্থ ধারা ২১ এ উল্লিখিত শিল্প-নকশা লঙ্ঘন;

(থ) ‘সরকার’ বলিতে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়কে বুঝাইবে; এবং

(দ) ‘স্বত্বাধিকারী’ অর্থ ধারা ১২ এর অধীন নিবন্ধিত কোনো শিল্প-নকশার স্বত্বাধিকারী।

দ্বিতীয় অধ্যায়

পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি

অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি

৩।  (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৯ নং আইন), ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৫৪ নং আইন), বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৫ নং আইন) এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিদ্যমান Department of Patents, Designs and Trademarks) পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর নামে অভিহিত হইবে এবং উহা এমনভাবে বহাল থাকিবে, যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।

(২) অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী হিসাবে একজন মহাপরিচালক থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, এ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ও এক্সামিনার পদসমূহ যথাক্রমে মহাপরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক পদ হিসাবে গণ্য হইবে।

(৩) অধিদপ্তরের সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, এই আইন, ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৯ নং আইন), ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৫৪ নং আইন) এবং বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৫ নং আইন) এ উল্লিখিত কার্যাদি সম্পাদনের জন্য অধিদপ্তরের নিম্নবর্ণিত চারটি ইউনিট থাকিবে, যথা :-

(ক) শিল্প-নকশা ইউনিট;

(খ) ট্রেডমার্কস ইউনিট;

(গ) ভৌগোলিক নির্দেশক ইউনিট; এবং

(ঘ) পেটেন্ট ইউনিট।

(৪) অধিদপ্তরের একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে, এবং শিল্প-নকশা ইউনিট, ট্রেডমার্কস ইউনিট, ভৌগোলিক নির্দেশক ইউনিট এবং পেটেন্ট ইউনিটের জন্য পৃথক পৃথক দাপ্তরিক সিলমোহর থাকিবে।

(৫) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে, তবে সরকার, প্রয়োজনে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে জনস্বার্থে ইহার আঞ্চলিক ও শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

(৬) সরকার, অধিদপ্তরে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক, কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

(৭) মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, অধিদপ্তরের এক ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অন্য ইউনিটের দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবেন।

তৃতীয় অধ্যায়

শিল্প-নকশা নিবন্ধন

কতিপয় শিল্প-নকশার ক্ষেত্রে সুরক্ষা না পাওয়া

৪।  নিম্নবর্ণিত শিল্প-নকশাসমূহ এই আইনের অধীন কোনো সুরক্ষা পাইবে না, যথা:-

(ক) এইরূপ কোনো শিল্প-নকশা, যাহাতে কেবল প্রযুক্তিগত বা ব্যবহারিক দিক বিবেচনা করা হইয়াছে;

(খ) এইরূপ কোনো শিল্প-নকশা, যাহার বাণিজ্যিক ব্যবহার জনশৃঙ্খলা, পরিবেশ ও নৈতিকতার পরিপন্থি;

(গ) কোনো অনিবন্ধিত শিল্প-নকশা; এবং

(ঘ) জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোনো শিল্প-নকশা।

নিবন্ধনযোগ্য শিল্প-নকশা

৫।  (১) কোনো শিল্প-নকশা নূতনত্ব (novelty), স্বাতন্ত্র্যসূচক এবং শিল্পে উৎপাদনযোগ্য বা ব্যবহারযোগ্য হইলে উহা এই আইনের অধীন নিবন্ধনযোগ্য হইবে।

(২) আবেদনকারী কর্তৃক না-দাবি পত্র প্রদান সাপেক্ষে, কোনো শব্দ, অক্ষর, ট্রেডমার্কস, সংখ্যা, ইত্যাদি সংবলিত শিল্প নকশা নিবন্ধন যোগ্য হইবে।

(৩) কোনো শিল্প-নকশা নূতন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি —

(ক) আবেদন দাখিল করিবার তারিখের পূর্বে বা, ক্ষেত্রমতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিলের অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে উহা বাংলাদেশ বা বিশ্বের যেকোনো স্থানে দৃশ্যমান আকারে প্রকাশ, প্রদর্শনী, ব্যবসায়ে বা অন্য কোনো রূপে ব্যবহার দ্বারা জনসমক্ষে প্রকাশ না করা হইয়া থাকে;

(খ) যৌগিক পণ্য গঠনের কোনো অংশে আরোপিত শিল্প-নকশা সাধারণভাবে ব্যবহারের সময় দৃশ্যমান হয়;

ব্যাখ্যা। — এই উপ-ধারার দফা (খ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

(অ) “যৌগিক পণ্য” বলিতে এইরূপ পণ্যকে বুঝাইবে যাহার প্রতিটি অংশ পৃথক পৃথকভাবে উৎপাদন ও বিক্রয়যোগ্য এবং পৃথক পৃথক অংশকে একীভূত করিলে উহা একটি পূর্ণাঙ্গ পণ্য হইবে; এবং

(আ) “সাধারণভাবে ব্যবহার” বলিতে যৌগিক পণ্য ভোক্তা কর্তৃক ব্যবহারকে বুঝাইবে, তবে রক্ষণাবেক্ষণ, উপযোগীকরণ (servicing) বা মেরামত কার্য ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

(৪) আবেদনকারীর সম্মতি ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যদি কোনো শিল্প-নকশা আবেদনের তারিখ বা, ক্ষেত্রমত অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে জনসম্মুখে প্রকাশ করিয়া থাকে তাহা হইলে এইরূপ প্রকাশ উক্ত নকশার নূতনত্ব বিবেচনার ক্ষেত্রে বাধা হইবেনা।

শিল্প-নকশা নিবন্ধনের অধিকার

৬।  (১) কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধনের অধিকার উক্ত নকশার স্বত্বাধিকারী বা নকশাকারের থাকিবে।

(২) দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো শিল্প-নকশা সৃজন করিলে উক্ত ব্যক্তিগণ উহাতে যৌথ নিবন্ধনের অধিকারী হইবেন।

(৩) শিল্প-নকশা নিবন্ধনের অধিকার স্বত্ব নিয়োগযোগ্য (assignable) এবং উহা উত্তরাধিকার সূত্রে অর্পণ বা হস্তান্তর করা যাইবে।

(৪) যেক্ষেত্রে এক বা একাধিক নকশা সৃজনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত কোনো চুক্তি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক কোনো শিল্প-নকশা সৃজন করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত চুক্তিতে সুস্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকিলে, উহা নিবন্ধনের অধিকার নিয়োগকারীর থাকিবে।

শিল্প নকশা নিবন্ধন আবেদন, সংশোধন, প্রত্যাহার, ইত্যাদি

৭।  (১) কোনো ব্যক্তি বা তাহার আইনানুগ প্রতিনিধিকে, কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধন করিবার উদ্দেশ্যে, নির্ধারিত ফরমে, পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত দলিলাদিসহ মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করিতে হইবে, যথা:-

(ক) উক্ত শিল্প-নকশার একটি ফটোপ্রতিরূপ, তবে উক্ত শিল্প-নকশা কোনো দ্বি-মাত্রিক বস্তুতে অঙ্গীভূত থাকিলে, ফটোপ্রতিরূপের পরিবর্তে উক্ত বস্তুটির নমুনা;

(খ) আবেদনকারী স্বয়ং নকশাকার না হইলে উক্ত শিল্প-নকশার নিবন্ধন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর স্বপক্ষে যৌক্তিকতা সংবলিত বিবৃতি; এবং

(গ) নির্ধারিত অন্যান্য দলিল।

(২) প্রত্যেক শিল্প-নকশার জন্য পৃথকভাবে আবেদন করিতে হইবে এবং উক্ত আবেদনে এই আইন ও বিধি অনুযায়ী অনুরূপ শিল্প-নকশা সম্পর্কিত দ্রব্যের আন্তর্জাতিক শ্রেণি উল্লেখ করিতে হইবে।

(৩) বিবেচনাধীন মূল শিল্প-নকশা পরিবর্তন বা সংযোজন ব্যতিরেকে কোনো আবেদনকারী যে কোনো সময় তৎকর্তৃক দাখিলকৃত আবেদন সংশোধন বা পরিমার্জনের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

(৪) কোনো আবেদনকারী নিজেকে কোনো শিল্প-নকশার যৌথ নকশাকার দাবি করিলে তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে মহাপরিচালকের নিকট তাহাকে যৌথ নকশাকার বা, ক্ষেত্রমতে উক্ত শিল্প-নকশা নিবন্ধনের সহ-অংশীদার হিসাবে যুক্ত করিবার আবেদন করিতে পারিবেন।

(৫) মহাপরিচালক উপ-ধারা (৩) ও (৪) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করিবেন।

(৬) কোনো আবেদনকারীর আবেদন বিবেচনাধীন থাকাকালে যে কোনো সময় তিনি তাহার আবেদন নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।

(৭) কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন দাখিলকৃত শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত আবেদনের তথ্য এবং প্রত্যয়িত প্রতিলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

অগ্রাধিকার সংক্রান্ত দাবি

৮।   (১) প্যারিস কনভেনশন অনুসারে কোনো আবেদনকারী বা স্বত্বাধিকারী প্যারিস কনভেনশনভুক্ত কোনো দেশে একই শিল্প-নকশা বিষয়ে ইতঃপূর্বে আবেদন করিয়া থাকিলে, তিনি উক্ত আবেদনে উল্লিখিত তারিখকে অগ্রাধিকার তারিখ দাবি করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অগ্রাধিকারের মেয়াদ হইবে ৬ (ছয়) মাস এবং উক্ত মেয়াদ প্যারিস কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৪ এর বিধান অনুযায়ী গণনা করা হইবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে বাংলাদেশে দাখিলকৃত আবেদন উক্ত সময়ের মধ্যে সংঘটিত কোনো কার্যের ফলে বাতিল হইবে না এবং অন্য কোনো আবেদন দাখিল, উদ্ভাবন প্রকাশ, ব্যবহার বা এইরূপ কোনো কার্যের ফলে তৃতীয় পক্ষের কোনো অধিকার সৃষ্টি হইবে না।

(৪) এই ধারার অধীন দাখিলকৃত কোনো আবেদনে অগ্রাধিকার দাবি সংবলিত কোনো ঘোষণা থাকিলে, সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী উক্ত আবেদনের সহিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূর্বের আবেদনটি যে দেশের এতদ্‌সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা হইয়াছিল, উক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত আবেদনের অনুলিপি দাখিল করিবেন এবং উক্ত প্রত্যয়নকৃত অনুলিপিতে আবেদন দাখিলের তারিখ উল্লেখ থাকিতে হইবে এবং মহাপরিচালক প্রয়োজনে, বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় উক্ত প্রত্যয়নকৃত অনুলিপির একটি অনূদিত পাঠ দাখিলের জন্য আবেদনকারীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনকারী যথাযথ প্রত্যয়নপত্রসহ অগ্রাধিকার দাবি প্রমাণ করিতে না পারিলে, তাহার অগ্রাধিকার দাবি বিবেচনা করা হইবে না।

(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

শিল্প-নকশা নিবন্ধন আবেদন দাখিলের তারিখ

৯।  কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধনের জন্য যে তারিখে আবেদন দাখিল করা হয়, সেই তারিখই হইবে উক্ত শিল্প-নকশা নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের তারিখ।

আবেদন প্রকাশনা

১০।   (১) কোনো শিল্প নকশা নিবন্ধন আবেদন গৃহীত হইবার পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ের মধ্যে মহাপরিচালক উক্ত আবেদন ই-গেজেটে বা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে।

(২) উপধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন আবেদন প্রকাশের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত উক্ত নিবন্ধন আবেদনের বিষয়ে আপত্তি দাখিল করিবার জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।

(৩) উপধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন আবেদন প্রকাশের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, কোনো পক্ষ মহাপরিচালকের নিকট শিল্প-নকশা নিবন্ধনের আবেদনের বিরোধিতা করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে লিখিত আপত্তি দাখিল করিতে পারিবে।

(২) মহাপরিচালক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত আপত্তি নিষ্পত্তি করিবেন।

শিল্প-নকশা নিবন্ধন আবেদন পরীক্ষা

১১।   (১) মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধারা ৭ এর অধীন দাখিলকৃত কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধন আবেদন পরীক্ষা করিবেন।

(২) উপধারা (১) এর অধীন কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধন আবেদন পরীক্ষার সময় নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সর্ম্পকে নিশ্চিত হইতে হইবে, যথা:-

(ক) উক্ত নিবন্ধন আবেদন ধারা ৭ এ উল্লিখিত বিধান অনুসরণপূর্বক যথাযথভাবে দাখিল করা হইয়াছে; এবং

(খ) নিবন্ধনের নিমিত্ত আবেদনকৃত শিল্প-নকশা —

(অ) ধারা ২ এর দফা (ড) এ সংজ্ঞায়িত কোনো শিল্প-নকশা;

(আ) ধারা ৫ এর বিধান অনুযায়ী নূতন, স্বাতন্ত্র্যসূচক এবং শিল্পে উৎপাদনযোগ্য বা ব্যবহারযোগ্য; এবং

(ই) ধারা ৪ এ উল্লিখিত কোনো শিল্প-নকশা নহে।

(৩) কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধনের আবেদনের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কোনো বিধানের ব্যত্যয় হইলে, মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে উক্ত বিষয়টি অবহিত করিয়া ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন এবং আবেদনকারী নোটিশ ইস্যুর তারিখ হইতে ২(দুই) মাসের মধ্যে উক্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, মহাপরিচালক, যুক্তিসঙ্গত কারণে, উক্ত মেয়াদ আরও ১ (এক) মাস পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবেন।

(৪) উপধারা (৩) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারী উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান না করিলে আবেদনটি প্রত্যাহার করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৫) মহাপরিচালক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এই ধারার অধীন শিল্প-নকশা নিবন্ধন আবেদন পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

শিল্প-নকশা নিবন্ধন, ইত্যাদি

১২।  (১) মহাপরিচালক, ধারা ১১ এ উল্লিখিত বিষয়াদিসহ নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক সন্তুষ্ট হইলে, কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধন করিবেন এবং আবেদনকারীর অনুকূলে নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবেন, যথা:-

(ক) উক্ত আবেদনের বিরোধিতা করিয়া ধারা ১০ এ উল্লিখিত নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্ধারিত ফিসহ লিখিত কোনো আপত্তি পাওয়া না গেলে;

(খ) ধারা ১০ এর অধীন প্রাপ্ত আপত্তি আবেদনকারীর অনুকূলে নিষ্পত্তি হইলে; এবং

(গ) নির্ধারিত অন্যান্য বিষয়।

(২) মহাপরিচালক, উপধারা (১) এ উল্লিখিত বিষয়ে সন্তুষ্ট না হইলে, শিল্প-নকশা নিবন্ধন আবেদন প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবেন এবং উহা আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

(৩) মহাপরিচালক উপধারা (১) এর অধীন কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধন করিলে উহা ধারা ১৭ এ উল্লিখিত নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিবেন।

নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অধিকারসমূহ

১৩।  কোনো শিল্প-নকশার স্বত্বাধিকারীর তাহার নিবন্ধিত শিল্প-নকশা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহার করা হইতে নিবৃত্ত করিবার অধিকার থাকিবে।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

(ক) নিবন্ধিত কোনো শিল্প-নকশা কোনো পণ্যে অঙ্গীভূত হইলে উহা ব্যবহার করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) যেক্ষেত্রে কোনো শিল্প-নকশা কোনো পণ্যের কেবল এইরূপ কোনো অংশের জন্য নিবন্ধিত হয়, যাহা উক্ত পণ্যের অপরিহার্য ও অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেইক্ষেত্রে উক্ত শিল্প-নকশাকে অঙ্গীভূত পণ্যের সামগ্রিক দৃশ্যমানতা হিসাবে বিবেচনা করা হইবে।

নিবন্ধনজনিত অধিকারের সীমাবদ্ধতা

১৪।   শিল্প-নকশা নিবন্ধনজনিত অধিকারসমূহ নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সুরক্ষা পাইবে না, যথা:-

(ক) কোনো উড়োজাহাজ, স্থলযান অথবা জলযানের কোনো অংশে কোনো শিল্প-নকশা ব্যবহার, যাহা অস্থায়ীভাবে বা দৈবক্রমে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে বা অনুরূপ উড়োজাহাজ, স্থলযান বা জলযান মেরামতের জন্য কোনো যন্ত্রাংশ বা আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি আমদানি করা হইয়াছে;

(খ) ব্যক্তিগত পর্যায়ে এবং অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পাদিত কার্যাবলি;

(গ) শিক্ষা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা বা গবেষণার উদ্দেশ্যে সম্পাদিত কার্যাবলি;

(ঘ) কোনো শিল্প-নকশা বিষয়ে পরীক্ষামূলক উদ্দেশ্যে সম্পাদিত কার্যাবলি; এবং

(ঙ) কোনো শিল্প-নকশার কোনো বিশেষ অংশের পুনরুৎপাদন, যাহা কেবল ব্যবহারিক বা কারিগরি বিবেচনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অথবা যাহা কারিগরি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয়।

নিবন্ধনের মেয়াদ ও নবায়ন

১৫।  (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, শিল্প-নকশা নিবন্ধনের মেয়াদ হইবে নিবন্ধনের আবেদন দাখিল করিবার তারিখ বা, ক্ষেত্রমত অগ্রাধিকার তারিখ হইতে ১০ (দশ) বৎসর পর্যন্ত।

(২) নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, নিবন্ধনের মেয়াদ প্রতি ৫ (পাঁচ) বৎসর অন্তর অন্তর অনধিক ৩ (তিন) বার নবায়ন করা যাইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নিবন্ধন মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর মেয়াদ নবায়নের আবেদন করিবার জন্য নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত শিথিল করা যাইবে।

(৩) উপধারা (২) এর অধীন কোনো শিল্প-নকশার নিবন্ধন নবায়ন করা হইলে, উহা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।

নিবন্ধন বাতিল

১৬।  (১) কোনো ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কারণে কোনো শিল্প-নকশার নিবন্ধন বাতিল করিবার উদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) উক্ত শিল্প-নকশা ধারা ২ এর দফা (ড) এ সংজ্ঞায়িত কোনো শিল্প-নকশা নহে;

(খ) উক্ত শিল্প-নকশা ধারা ৫ এর বিধান অনুযায়ী নূতন, স্বাতন্ত্র্যসূচক এবং শিল্পে উৎপাদনযোগ্য বা ব্যবহারযোগ্য নহে; এবং

(গ) উক্ত শিল্প-নকশা ধারা ৪ এ উল্লিখিত কোনো শিল্প-নকশা।

(২) কোনো ব্যক্তি কোনো শিল্প নকশা নিবন্ধন প্রদানের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর সময়ের মধ্যে উপধারা (১) এর অধীন উক্ত নিবন্ধন বাতিলের আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন।

(৩) উপধারা (২) এ উল্লিখিত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর নিবন্ধন বাতিলের আবেদন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করা যাইবে।

(৪) এই ধারার অধীন নিবন্ধিত কোনো শিল্প-নকশা বাতিল করা হইলে উহা নিবন্ধন প্রদানের তারিখ হইতে বাতিল বলিয়া এবং আদৌ নিবন্ধন প্রদান করা হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে।

(৫) এই ধারার অধীন শিল্প-নকশা নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

নিবন্ধন বহি

১৭।   (১) অধিদপ্তরে শিল্প-নকশা নিবন্ধন বহি নামে একটি নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে, যাহাতে এই আইনের অধীন নিবন্ধিত শিল্প-নকশাসমূহ এবং তৎসম্পর্কিত তথ্যাদি উহাদের নিবন্ধনের ক্রমানুসারে অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।

(২) যে কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন বহি পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং অধিদপ্তর হইতে, এই আইন এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে, উক্ত নিবন্ধন বহির উদ্ধৃতি লাভের অধিকারী হইবেন এবং উক্ত নিবন্ধন বহি সুবিধাজনক সময়ে ও স্থানে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।

(৩) নিবন্ধন বহির সংশ্লিষ্ট অংশের প্রত্যয়িত অনুলিপি বা উদ্ধৃতাংশ, অধিদপ্তরের সীলমোহরসহ, নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, আবেদনকারীকে সরবরাহ করা যাইবে।

নিবন্ধন বহির প্রত্যয়িত অনুলিপির সাক্ষ্য মূল্য

১৮।  এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, নিবন্ধন বহির যে কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি সকল প্রকার আইনগত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে উক্ত এন্ট্রির অস্তিত্বের আপাত গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য (prima facie evidence) হিসাবে গণ্য হইবে।

চতুর্থ অধ্যায়

মালিকানা পরিবর্তন, লাইসেন্স, লঙ্ঘন ও প্রতিকার

মালিকানা পরিবর্তন বা স্বত্বনিয়োগ

১৯।  (১) শিল্প-নকশা নিবন্ধনের মালিকানা পরিবর্তন বা স্বত্বনিয়োগের কোনো আবেদন নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, লিখিতভাবে মহাপরিচালকের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

(২) উপধারা (১) এর অধীন আবেদন রেকর্ডভুক্ত হইবে এবং উক্ত আবেদনের কার্যক্রম গ্রহণ শেষে মহাপরিচালক কর্তৃক উহা আবেদনকারীকে অবহিত করা হইবে।

(৩) উপধারা (২) এর অধীন কোনো শিল্প-নকশা নিবন্ধন মালিকানা পরিবর্তন বা স্বত্বনিয়োগের আবেদন রেকর্ডভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উহা তৃতীয় পক্ষের কোনো অধিকার সৃষ্টি করিবে না।

(৪) এই ধারার অধীন শিল্প-নকশা নিবন্ধন মালিকানা পরিবর্তন বা স্বত্বনিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

লাইসেন্স চুক্তি

২০।   (১) কোনো নিবন্ধিত শিল্প-নকশার স্বত্বাধিকারী এতদ্‌সংক্রান্ত কোনো চুক্তি দ্বারা কোনো তৃতীয় পক্ষকে উক্ত নিবন্ধিত শিল্প-নকশা ব্যবহারের লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) উপধারা (১) এর অধীন কোনো লাইসেন্স চুক্তি লিখিত এবং পক্ষগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সম্পাদিত হইতে হইবে।

(৩) উপধারা (২) এর অধীন সম্পাদিত লাইসেন্স চুক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে।

(৪) উপধারা (৩) এর অধীন কোনো লাইসেন্স চুক্তি রেকর্ডভুক্তির জন্য আবেদনকারীকে আবেদনের সহিত নিম্নবর্ণিত দলিলাদি দাখিল করিতে হইবে, যথা: —

(ক) পক্ষসমূহ এবং কোন কোন অধিকারের লাইসেন্স প্রদান করা হইতেছে তাহা প্রদর্শনকারী লাইসেন্স চুক্তিটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত অনুলিপি; অথবা

(খ) নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারী এবং লাইসেন্সি কর্তৃক স্বাক্ষরিত লাইসেন্স সম্পর্কিত একটি প্রত্যয়িত বিবরণী।

(৫) স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোনো পক্ষ কোনো নিবন্ধিত শিল্প-নকশা সংক্রান্ত লাইসেন্স রেকর্ডভুক্ত করিবার জন্য মহাপরিচালককে অনুরোধ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ রেকর্ডভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো লাইসেন্স তৃতীয় পক্ষের কোনো অধিকার সৃষ্টি করিবে না।

(৬) যে লাইসেন্স রেকর্ডভুক্ত হইবে উহার প্রতিপাদ্য অধিকারের কোনো অংশীদার লাইসেন্স চুক্তির পক্ষ না হইলে, উক্ত লাইসেন্স রেকর্ডভুক্ত করা হইবে না, যদি না উক্ত অংশীদার স্বাক্ষরযুক্ত কোনো দলিলে উক্ত লাইসেন্সের বিষয়ে সম্মতি প্রদান করেন এবং তাহা মহাপরিচালকের নিকট দাখিল করেন।

(৭) এই আইনের অধীন কোনো শিল্প-নকশার নিবন্ধন বাতিল করা হইলে, উক্ত শিল্প-নকশা ব্যবহারের লাইসেন্সও কার্যকর থাকিবে না এবং উক্ত লাইসেন্স চুক্তির অধীন কোনো অর্থ প্রদান করা হইলে পক্ষসমূহ উহা সম্পূর্ণ বা আংশিক উদ্ধার করিতে পারিবে, যদি না অর্থ প্রদানকারী ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করিয়া লাভবান হইয়া থাকেন।

(৮) এই ধারার অধীন লাইসেন্স চুক্তির ধরন, পদ্ধতি, রেকর্ডভুক্তকরণ, বাতিল, লাইসেন্সির অধিকার এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

শিল্প-নকশা লঙ্ঘন

২১।   যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নিবন্ধিত শিল্প-নকশার স্বত্বাধিকারী বা লাইসেন্সি না হওয়া সত্ত্বেও, স্বীয় ব্যবসায় নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে উক্ত শিল্প-নকশা ব্যবহার করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নিবন্ধিত শিল্প-নকশা লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যাহা—

(ক) নিবন্ধিত শিল্প-নকশার সহিত অভিন্ন এবং যে পণ্যে উহা ব্যবহার করা হয়, তাহা নিবন্ধিত শিল্প-নকশার সাদৃশ্যপূর্ণ;

(খ) নিবন্ধিত শিল্প-নকশার সহিত সাদৃশ্যপূর্ণ এবং যে পণ্যে অথবা সেবায় উহার ব্যবহার করা হয় তাহা নিবন্ধিত শিল্প-নকশার অভিন্ন; অথবা

(গ) নিবন্ধিত শিল্প-নকশার সহিত অভিন্ন এবং যে পণ্যে উহার ব্যবহার করা হয়, তাহা নিবন্ধিত শিল্প-নকশার অভিন্ন, এবং যাহার ফলে জনগণ বিভ্রান্ত হইতে পারে এইরূপ আশঙ্কা থাকে অথবা নিবন্ধিত শিল্প-নকশার সহিত অনুরূপ শিল্প-নকশার সম্পর্ক রহিয়াছে মর্মে ভুল ধারণার সৃষ্টি করে।

প্রশাসনিক ক্ষতিপুরণ আরোপ, ইত্যাদি

২২।   (১) কোনো ব্যক্তি শিল্প-নকশা লঙ্ঘন করিলে, স্বত্বাধিকারী উক্তরূপ লঙ্ঘনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণের জন্য মহাপরিচালকের নিকট নির্ধারিত ফরম, পদ্ধতি ও ফি প্রদান করিয়া আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) উপধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর মহাপরিচালক আবেদনটি যাচাই-বাছাই করিয়া যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, শিল্প-নকশা লঙ্ঘন হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, লঙ্ঘিত শিল্প-নকশা ও ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করিয়া সংশ্লিষ্ট লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণের আদেশ এবং যথাযথ মনে করিলে, লঙ্ঘনের সংশ্লিষ্ট পণ্য বা পণ্য প্রস্তুতের উপাদান, সামগ্রী ইত্যাদি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তেরও আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(৩) উপধারা (২) এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা হইলে, তিনি উক্তরূপ আদেশ প্রদানের ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করিবেন এবং উক্তরূপ ক্ষতিপূরণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদান করিতে হইবে।

শিল্প-নকশা লঙ্ঘনের জন্য আদালতে মামলা দায়ের

২৩।  (১) ধারা ২২ এর উপধারা (৩) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে যদি ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করা না হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট স্বত্বাধিকারী শিল্প-নকশা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে অধিক্ষেত্রসম্পন্ন আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) আদালত শিল্প-নকশা লঙ্ঘনের মামলায় নিম্নবর্ণিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা :-

(ক) নিষেধাজ্ঞা জারি;

(খ) ক্ষতিপূরণ প্রদান; বা

(গ) অন্য কোনো প্রতিকার মঞ্জুর।

অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি

২৪।   (১) শিল্প-নকশার স্বত্বাধিকারী মামলা দায়ের করিলে আদালত, শিল্প-নকশা লঙ্ঘন প্রতিরোধ করিবার লক্ষ্যে, দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করিয়া অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করিতে পারিবে।

(২) আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির উদ্দেশ্যে স্বত্বাধিকারীকে নিম্নরূপ তথ্যাদি সরবরাহের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) আবেদনকারী তর্কিত শিল্প-নকশার স্বত্বাধিকারী এবং তাহার উক্ত শিল্প-নকশা সম্পর্কিত অধিকার লঙ্ঘিত হইতেছে অথবা উক্তরূপ লঙ্ঘন অত্যাসন্ন, এই মর্মে উপযুক্ত সনদ ও সাক্ষ্য প্রমাণ;

(খ) বিবাদীর স্বার্থ সুরক্ষা ও সুযোগের অপব্যবহার রোধের লক্ষ্যে আদালতের চাহিদা অনুযায়ী জামানত অথবা তৎসমতুল্য মুচলেকা; এবং

(গ) সংশ্লিষ্ট মালামাল শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য।

ক্ষতিপুরণ

২৫।  (১) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য বা তদ্‌বিবেচনায় উপযুক্ত কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি জ্ঞাতসারে বা জ্ঞাত থাকিবার যৌক্তিক কারণ থাকা সত্ত্বেও এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো শিল্প-নকশা লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে আদালত উক্ত লঙ্ঘনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা অথবা উক্তরূপ লঙ্ঘনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করিয়া অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) আদালত উপধারা (২) এর অধীন কোনো লঙ্ঘনকারীকে স্বত্বাধিকারীর অনুকূলে মামলার আনুষঙ্গিক ব্যয়বাবদ খরচ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৪) এই আইনের অধীন কোনো লঙ্ঘনের সহিত সংশ্লিষ্ট কার্যের জন্য আদালত ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং লঙ্ঘনের সময় নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে গণনা করা হইবে, যথা:-

(ক) নিবন্ধনের আবেদন মহাপরিচালক বরাবর দাখিল করিবার তারিখ; বা

(খ) আবেদনকারী কর্তৃক অভিযুক্ত লঙ্ঘনকারী বরাবর আবেদনের বিষয়বস্তু সংক্রান্ত নোটিশ জারির তারিখ।

(৫) বিরোধীয় শিল্প-নকশা অধিকার মঞ্জুর হইবার পরেই কেবল উপ-ধারা (৪) এর অধীন আদালতে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশের জন্য আবেদন করা যাইবে।

অন্যান্য প্রতিকার

২৬।  আদালত, পুনঃপুনঃ শিল্প-নকশা লঙ্ঘন প্রতিরোধ করিবার নিমিত্ত, লঙ্ঘনের ব্যাপকতা ও স্বত্বাধিকারীর স্বার্থ বিবেচনাপূর্বক, কোনোরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিয়া, যে সকল পণ্যে শিল্প-নকশা ব্যবহার করা হইয়াছে সেই সকল পণ্য জব্দ করিবার অথবা বিনষ্ট করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে অথবা যে সকল কাঁচামাল অথবা উপকরণ ব্যবহার করিয়া নকল শিল্প-নকশা সংবলিত পণ্য ও উপকরণাদি প্রস্তুত করা হইয়াছে, সেই সকল নকল শিল্প-নকশা সংবলিত পণ্য ও উপকরণাদি অন্য কোনোভাবে নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

আপিল

২৭।  এই আইনের অধীন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

দেওয়ানি কার্যবিধির প্রয়োগ

২৮। এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন মামলা দায়ের এবং আইনগত কার্যধারা ও কার্যপদ্ধতির ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

পঞ্চম অধ্যায়

মহাপরিচালকের ক্ষমতা, ইত্যাদি

মহাপরিচালক কর্তৃক ত্রুটি সংশোধন

২৯।   (১) মহাপরিচালক, তাহার নিকট দাখিলকৃত কোনো দলিল বা আবেদনে অথবা এই আইন বা বিধির অধীন তৎকর্তৃক প্রস্তুতকৃত কোনো রেকর্ডে কোনো করণিক ত্রুটি বা ভুল, বা কোনো অনুবাদ বা প্রতিলিপিতে কোনো ভুল থাকিলে, উহা সংশোধন করিতে পারিবেন।

(২) উপধারা (১) এর অধীনকৃত সংশোধন বিষয়ে আবেদনকারী বা স্বত্বাধিকারীকে অবহিত করিতে হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশোধনীর প্রকাশনা নোটিশ ই-গেজেটে বা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিতে হইবে।

প্রশাসনিক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, ইত্যাদি

৩০।  (১) এই আইনের অধীন মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবে।

(২) উপধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত আপিলের সিদ্ধান্তে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে উক্তরূপ সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের করিতে পারিবে।

ক্ষমতা অর্পণ

৩১।  মহাপরিচালক তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা, প্রয়োজনে, অধিদপ্তরে কর্মরত যে কোনো কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অর্পণ করিতে পারিবেন।

ষষ্ঠ অধ্যায়

বিবিধ

শিল্প-নকশা প্রতিনিধি নিয়োগ

৩২।  (১) এই আইনের অধীন কোনো আবেদনকারীর সাধারণ বাসস্থান বা প্রধান ব্যবসাস্থল বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হইলে, তিনি বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তিকে তাহার শিল্প-নকশা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ করিবেন।

(২) বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো আবেদনকারী, প্রয়োজনে, বাংলাদেশে বসবাসকারী যে কোনো ব্যক্তিকে তাহার শিল্প-নকশা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবেন।

(৩) শিল্প-নকশা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগের যোগ্যতা ও অন্যান্য শর্তাবলি, নিবন্ধন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

অনুসন্ধান

৩৩।   (১) কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত ফরমে, পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান করিয়া কোনো শিল্প-নকশার অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) অনুসন্ধান সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৩৪।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ

৩৫।এই আইনে বর্ণিত অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

২০০১ সনের ১৯ নং আইন এর সংশোধন

৩৬।  ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৯ নং আইন) এর যে সকল স্থানে “ট্রেডমার্ক নিবন্ধক” শব্দগুলি রহিয়াছে সে সকল স্থানে “মহাপরিচালক” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১৩ সনের ৫৪ নং আইন এর সংশোধন

৩৭।  ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৫৪ নং আইন) এর যে সকল স্থানে “রেজিস্ট্রার" শব্দটি রহিয়াছে সে সকল স্থানে “মহাপরিচালক” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ৫ নং আইন এর সংশোধন

৩৮।  বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৫ নং আইন) এর যে সকল স্থানে “রেজিস্ট্রার” শব্দটি রহিয়াছে সে সকল স্থানে “মহাপরিচালক" শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রয়োগ

৩৯।  বাংলাদেশ শিল্প-নকশা সম্পর্কিত কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তির পক্ষভুক্ত হইলে উহার বিধানসমূহ এই আইনের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

৪০।  (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে The Patents And Designs Act, 1911 (Act No. II of 1911), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত হইবে।

(২) উক্ত Act রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে-

(ক) উহার অধীন প্রতিষ্ঠিত Department of Patents, Designs and Trade Marks, অতঃপর বিলুপ্ত Department বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;

(খ) বিলুপ্ত Department কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলা বা কার্যধারা অধিদপ্তর কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; এবং

(গ) বিলুপ্ত Department এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তাধীনে চাকরিতে ছিলেন, উহা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে চাকরিরত থাকিবেন।

(৩) উক্ত Act রহিত হওয়া সত্ত্বেও-

(ক) উহার অধীন কৃত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রকাশিত কোনো বিজ্ঞপ্তি, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, নোটিশ, অনুমোদন এবং মঞ্জুরকৃত কোনো লাইসেন্স এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইন এবং বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৫ নং আইন) এর অনুরূপ বিধানের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত, জারীকৃত, প্রকাশিত, প্রদত্ত, অনুমোদিত এবং মঞ্জুরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা এই আইন এবং বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৫ নং আইন) এর অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে; এবং

(খ) চলমান কোনো কার্যক্রম বা আবেদন এই আইন এবং বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৫ নং আইন) এর অধীন অব্যাহত থাকিবে এবং নিষ্পন্ন করিতে হইবে।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

৪১।  (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।

(২) এই আইনের বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs