প্রিন্ট ভিউ

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৩৫ নং আইন )

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন

 

যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৬২নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন

২। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (২০১০ সনের ৬২নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর-

(ক) দফা (৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৪ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“(৪ক) “জেলা প্রশাসক” অর্থ জেলা প্রশাসক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক;”; এবং

(খ) দফা (৭) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (৭) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(৭) “বালুমহাল” অর্থ পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখিয়া আহরণযোগ্য বা উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি সংরক্ষিত রহিয়াছে এইরূপ কোনো সরকারি মালিকানাধীন উন্মুক্ত স্থান, চা বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ যাহা এই আইনের অধীন জেলা প্রশাসক কর্তৃক বালুমহাল হিসাবে ঘোষিত;”।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ৪ এর প্রতিস্থাপন

৩। উক্ত আইনের ধারা ৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“৪। কতিপয় ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোনো সরকারি মালিকানাধীন উন্মুক্ত স্থান, চা বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ হইতে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না, যদি-

(ক) উহা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন) এর অধীন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত হয়;

(খ) উহা সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হয় অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সীমানার মধ্যে হয়;

(গ) বালু বা মাটি উত্তোলন বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ড্রেজিংয়ের ফলে কোনো নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হয়;

(ঘ) ড্রেজিংয়ের ফলে কোনো স্থানে স্থাপিত কোনো গ্যাস-লাইন, বিদ্যুৎ-লাইন, পয়ঃনিষ্কাশন-লাইন বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ লাইন বা তদ্‌সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার আশংকা থাকে;

(ঙ) উহা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক চিহ্নিত বা নির্ধারিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন, সেচ, খরা প্রতিরোধের লক্ষ্যে নির্মিত জলাধার, ব্যারেজ, বাঁধ বা নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে নির্মিত পরিকাঠামো বা অবকাঠামো সংলগ্ন এলাকা হয়;

(চ) চা বাগান, পাহাড় বা টিলার ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা থাকে;

(ছ) নদীর ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য, মৎস্য, জলজ ও স্থলজ প্রাণি, ফসলি জমি বা উদ্ভিদ বিনষ্ট হয় বা হইবার আশংকা থাকে;

(জ) বালু বা মাটি উত্তোলনের কারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক নির্ধারিত নৌ-পথের নাব্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা নৌ-চ্যানেল বন্ধ হইবার সম্ভাবনা থাকে; এবং

(ঝ) উহা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত এলাকা বা সীমানা বা বিধি-নিষেধের আওতাভুক্ত হয়।”।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ৭ এর প্রতিস্থাপন

৪। উক্ত আইনের ধারা ৭ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৭, ৭ক ও ৭খ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“৭। সরকারি কার্যক্রম বা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধানাবলি। - (১) সরকারি কার্যক্রম বা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বালু বা মাটি উত্তোলন ও ব্যবহার করিবার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হইবে।

(২) সরকারি কার্যক্রম বা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে বালু বা মাটি উত্তোলন, পরিবহণ, বিক্রয় ও সরবরাহের অনুমোদনের ক্ষেত্রে বালু ভরাট বাবদ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বা প্রকল্পের নির্ধারিত অর্থ সরকারের অনুকূলে জমা প্রদান করিতে হইবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পে উক্তরূপ কাজে কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকিলে সংশ্লিষ্ট জেলা বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি উত্তোলিত বালু বা মাটির পরিমাণ ও রেট নির্ধারণ করিবে।

(৩) কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নদী, নদী বন্দর, সমুদ্র বন্দর, খাল, বিল, ইত্যাদি স্থান হইতে বালু বা মাটি উত্তোলনের প্রয়োজন হইলে বা নদী খনন প্রকল্প গৃহীত হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো সরকারি কার্যক্রম বা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পূর্বেই  এতদ্‌সংক্রান্ত এলাকা বালুমহাল হিসাবে ইজারা বহির্ভূত রাখিবার সম্ভাব্য সময় এবং উহার সুনির্দিষ্ট বিবরণ সম্পর্কে ভূমি মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করিবে।

৭ক। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির বালু বা মাটি উত্তোলন।-কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হইতে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না, যদি-

(ক) উহা উর্বর কৃষি জমি হয়;

(খ) বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয়;

(গ) কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি বিনষ্ট হয়;

(ঘ) পরিবেশ, প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয়; বা

(ঙ) ড্রেজারের মাধ্যমে বা অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয়, যাহাতে উক্ত জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি তাহার বসত বাড়ি নির্মাণ বা স্বীয় প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিক্রমে নিজ মালিকানাধীন ভূমি হইতে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি উত্তোলন করিতে পারিবেন।

৭খ। উত্তোলিত বালু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়ন্ত্রণ আরোপ।-এই আইনের অন্য কোনো ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-

(ক) ইজারা গ্রহীতা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উত্তোলিত বালু বা মাটি কোনোক্রমেই সর্বসাধারণের ব্যবহার্য রাস্তা বা রাস্তা সংলগ্ন স্থান, খেলার মাঠ, পার্ক বা উন্মুক্ত স্থানে স্তুপ আকারে রাখিয়া স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করিতে পারিবেন না;

(খ) ইজারা গ্রহীতা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উত্তোলিত বালু বা মাটি সংশ্লিষ্ট মালিক বা আইনানুগ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুমতি ব্যতীত স্থানীয় জনগণের জায়গা জমিতে বা সরকারের জায়গা জমিতে বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মাঠ, আঙ্গিনা বা জায়গা জমিতে স্তূপ আকারে রাখিতে পারিবেন না।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধন

৫। উক্ত আইনের ধারা ৯ এর-

(ক) উপধারা (১) এর দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(খ) নৌ-বন্দর সীমার বাহিরে নির্ধারিত নৌ-পথ যেই স্থানে বালু বা মাটি রহিয়াছে সেই স্থানে বিআইডব্লিউটিএ এর মাধ্যমে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনাপূর্বক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন, তবে যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক উক্ত জরিপ পরিচালনা করা সম্ভব না হইলে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা কর্তৃক জরিপ সম্পন্ন করা যাইবে;”;

(খ) উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপধারা (৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(৩) কোনো বালুমহালে উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি না থাকিলে, বা বালু বা মাটি উত্তোলন করিবার ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট বা সরকারি বা বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত অথবা জনস্বাস্থ্য বা জনস্বার্থ বিঘ্নিত হইবার আশংকা থাকিলে অথবা উত্তোলিত বালু পরিবহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি রাস্তা না থাকিলে বা এইরূপ বালু পরিবহণের কারণে বিদ্যমান সরকারি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ইজারাগ্রহীতা স্বীয় উদ্যোগে বা স্বীয় অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট রাস্তা মেরামত বা রাস্তা না থাকিলে তৈরি করিতে সম্মত না হইলে, জেলা প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনারের নিকট উক্ত বালুমহাল বিলুপ্ত ঘোষণা করিবার প্রস্তাব প্রেরণ করিতে পারিবেন।”; এবং

(গ) উপধারা (৫) এ উল্লিখিত “জেলা প্রশাসক” শব্দগুলির পর “জনস্বার্থে” শব্দ সন্নিবেশিত হইবে।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ১০ এর সংশোধন

৬। উক্ত আইনের ধারা ১০ এর-

(ক) উপধারা (৪) এর প্রান্তস্থিত “।” দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে “:” কোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ শর্তাংশ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ১৪ এর উপধারা (১) এর অধীন কালো তালিকাভুক্ত ইজারাগ্রহীতা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না।”; এবং

(খ) উপধারা (৭) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপধারা (৭) প্রতিস্থাপিত হইবে এবং উক্ত উপ-ধারা (৭) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপধারা (৮) সংযোজিত হইবে, যথা:-

“(৭) ইজারা মূল্যের সম্পূর্ণ অর্থ এবং ইজারা মূল্যের উপর সরকার নির্ধারিত আয়কর ও মূল্য সংযোজন করসহ সকল সরকারি দাবি আদায় সম্পাদন করিবার পর সংশ্লিষ্ট ইজারাগ্রহীতাকে বালুমহালের দখল হস্তান্তর করিতে হইবে।

(৮) বালুমহাল ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) ইজারাগ্রহীতার নিকট হইতে ইজারা মূল্যের অতিরিক্ত জামানত হিসাবে সংগ্রহ এবং শর্ত ভঙ্গের কারণে উহা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণ;

(খ) অনলাইন পদ্ধতিতে ইজারা কার্যক্রম সম্পাদনকরণ;

(গ) সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সরকারি কার্যক্রম বা উন্নয়ন প্রকল্পে উত্তোলিত বালু দরপত্র প্রক্রিয়ায় বিক্রয়করণ;

(ঘ) বালুমহালের সীমানা চৌহদ্দি ও বালুর পরিমাণ নির্ণয় এবং ইজারা বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তিতে উহা উল্লেখকরণ;

(ঙ) ইজারাগ্রহীতা কর্তৃক বালু উত্তোলনের পরিমাণ মনিটরিং করিবার নিমিত্ত স্যাটেলাইট ডাটা ক্রয়পূর্বক বালুর পরিমাণ নির্ধারণ বা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন বা ৬ (ছয়) মাস অন্তর সরকার অনুমোদিত জরিপ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিজিটাল জরিপ করিবার ব্যবস্থাকরণ;

(চ) বালুমহালের ইজারায় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও ইজারা মেয়াদের মধ্যে ডিজিটাল জরিপ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা বাবদ প্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় এবং উত্তোলনযোগ্য বালুর সম্ভাব্য বাজার মূল্য বিবেচনায় বালুমহাল ঘোষণার যৌক্তিকতা নিরূপণকরণ;

(ছ) বালুমহালের সরকারি ইজারা মূল্য নির্ধারণ ও উহা ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখকরণ; এবং

(জ) অবৈধ বা অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হইলে বা ঘর-বাড়ি, স্থাপনা, গাছ বা ফসল বিনষ্ট হইলে বা পরিবেশ, প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হইলে, অনুরূপ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় এবং ইজারাগ্রহীতার জামানত হইতে ক্ষতিপূরণ আদায় পদ্ধতি নির্ধারণের ব্যবস্থাকরণ।”।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ১১ এর প্রতিস্থাপন

৭। উক্ত আইনের ধারা ১১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“১১। ইজারা বহির্ভূত বালুমহাল হইতে সরকারি রাজস্ব আদায়। - কোনো বালুমহাল ইজারা প্রদান করা সম্ভব না হইলে, উক্ত ইজারা বহির্ভূত বালুমহাল হইতে সরকারি রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, খাস আদায়ের মাধ্যমে বালু বা মাটি উত্তোলন, পরিবহণ, বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাইবে।”।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ১৩ এর সংশোধন

৮। উক্ত আইনের ধারা ১৩ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৩ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“১৩। বালুমহাল ইজারার মেয়াদ।-বালুমহাল ইজারা প্রদানের মেয়াদ হইবে ১ (এক) বৎসর (প্রতি বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ হইতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত)।”।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ১৪ এর সংশোধন

৯। উক্ত আইনের ধারা ১৪ এর উপধারা (১) ও (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপধারা (১) ও (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(১) ইজারাগ্রহীতা ইজারা মূল্য এবং ইজারা মূল্যের উপর সরকার নির্ধারিত আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর যথাসময়ে সরকারের নির্দিষ্ট খাতে জমা প্রদান না করিলে, অথবা ইজারা চুক্তিপত্রের কোনো শর্ত ভঙ্গ করিলে, জেলা প্রশাসক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত ইজারাগ্রহীতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া সংশ্লিষ্ট ইজারা চুক্তি বাতিল করিতে পারিবেন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত, মেয়াদ ও পদ্ধতিতে কালো তালিকাভুক্ত করিবেন।

(২) উপধারা (১) এর অধীন কোনো ইজারা চুক্তি বাতিল হইলে সংশ্লিষ্ট ইজারাগ্রহীতার জামানত সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হইবে এবং উক্ত জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া সত্ত্বেও বালুমহালের দখল বুঝিয়া পাইয়াছে এইরূপ ইজারাগ্রহীতার ক্ষেত্রে জেলা বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ইজারা চুক্তি বাতিলের পূর্বে ইজারাগ্রহীতা কর্তৃক যেই পরিমাণ বালু উত্তোলন করা হইয়াছে সেই পরিমাণ বালুর জন্য হারাহারি ইজারা মূল্য কর্তনপূর্বক অবশিষ্ট ইজারা মূল্য ইজারাগ্রহীতাকে ফেরত প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সুপরিশ প্রদান করিতে পারিবে।”।

২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ধারা ১৫ এর সংশোধন

১০। উক্ত আইনের ধারা ১৫ এর উপধারা (১) এ উল্লিখিত “এই আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত কতিপয় ক্ষেত্রে” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “এই আইনের ধারা ৪ ও ৫ এ বর্ণিত” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি এবং “দণ্ডিত হইবেন” শব্দগুলির পর “এবং উক্ত অপরাধে ব্যবহৃত ড্রেজার, বালু বা মাটিবাহী যানবাহন বা সংশ্লিষ্ট সামগ্রী সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হইবে” শব্দগুলি ও কমা সংযোজিত হইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs