প্রিন্ট ভিউ
জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহপূরণকল্পে জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৩০ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
১। (১) এই আইন জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৩০ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর পূর্ণাঙ্গ শিরোনাম (long title) এবং প্রস্তাবনায় উল্লিখিত “দফা এবং চতুর্থ তফসিলের ২৩ অনুচ্ছেদের” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “দফার” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।
৩। উক্ত আইনের ধারা ২ এর দফা (ফ) এ উল্লিখিত “দফা এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ২৩ অনুচ্ছেদের” শব্দগুলি, কমাগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “দফার” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।
৪। উক্ত আইনের ধারা ৩ এর—
(ক) উপ-ধারা (২) বিলুপ্ত হইবে;
(খ) উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত “এবং, ক্ষেত্রমত, এই আইন কার্যকর হইবার তারিখের পরবর্তী পনের কার্যদিবসের মধ্যে” শব্দগুলি ও কমাগুলি বিলুপ্ত হইবে; এবং
(গ) উপ ধারা (৯) এ উল্লিখিত “, বা ক্ষেত্রমত, (২)” কমাগুলি, শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী বিলুপ্ত হইবে।
৫। উক্ত আইনের ধারা ৪ এর—
(ক) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত “পঁয়তাল্লিশ” শব্দের পরিবর্তে “পঞ্চাশ” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত “পঁয়তাল্লিশ” শব্দের পরিবর্তে “পঞ্চাশ” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।
৬। উক্ত আইনের ধারা ৫ এর উপ ধারা (৪) বিলুপ্ত হইবে।
৭। উক্ত আইনের ধারা ৬ এর-
(ক) উপ ধারা (১) এ উল্লিখিত “(১)” সংখ্যা ও বন্ধনী বিলুপ্ত হইবে; এবং
(খ) উপ ধারা (২) বিলুপ্ত হইবে।
৮। উক্ত আইনের ধারা ৯ এর-
(ক) উপ ধারা (৯) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত “দশ হাজার (১০,০০০)” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে “বিশ হাজার (২০,০০০)” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) উপ ধারা (৯) এর দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“(খ) ইহার সহিত প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক ব্যাংক ড্রাফ্ট বা পে অর্ডার বা কোন সরকারী ট্রেজারি বা সাব ট্রেজারিতে পূর্বোক্ত অর্থ নির্ধারিত কোডে জমা প্রদানের রসিদ সংযুক্ত না করা হয়। ”।
৯। উক্ত আইনের ধারা ২৭ এ উল্লিখিত “পঁয়তাল্লিশ” শব্দের পরিবর্তে “নব্বই” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।
১০। উক্ত আইনের প্রথম তফসিলের পরিবর্তে নিম্নরূপ প্রথম তফসিল প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“প্রথম তফসিল
[ধারা ২৮(১) দ্রষ্টব্য ]
সংরক্ষিত মহিলা আসনসমূহ আনুপাতিক হারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টন পদ্ধতি
আনুপাতিক হারে প্রাপ্ত আসন সংখ্যা (সংরক্ষিত মহিলা আসনের মোট সংখ্যা / সংসদের সাধারণ আসনের মোট সংখ্যা ) × রাজনৈতিক দল বা জোটের মোট আসন সংখ্যা = (৫০/৩০০) × রাজনৈতিক দল বা জোটের মোট আসন সংখ্যা
ছক নং-১
নং |
দলের নাম |
আসন
|
আনুপাতিক হারে প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
ভগ্নাংশকে পুর্ণ সংখ্যা/শূন্য সংখ্যা গণনার পর প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
১। |
পদ্মা |
২০৩ |
৩৩.৮৩ |
৩৪ |
২। |
মেঘনা |
৫৯ |
৯.৮৩ |
১০ |
৩। |
যমুনা |
২০ |
৩.৩৩ |
৩ |
৪। |
সুরমা |
১৪ |
২.৩৩ |
২ |
৫। |
করতোয়া |
৪ |
.৬৬ |
১ |
|
|
৩০০ |
৫০.০০ |
৫০ |
ছক নং ২
নং |
দলের নাম |
আসন |
আনুপাতিক হারে প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
ভগ্নাংশকে পুর্ণ সংখ্যা/শূন্য সংখ্যা গণনার পর প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
১। |
পদ্মা |
১৯৭ |
৩২.৮৩ |
৩৩ |
২। |
মেঘনা |
৫৮ |
৯.৬৬ |
১০ |
৩। |
যমুনা |
২৭ |
৪.৫ |
৫ |
৪। |
করতোয়া |
১৬ |
২.৬৬ |
৩ |
৫। |
মধুমতি |
২ |
.৩৩ |
০ |
|
|
৩০০ |
৫০.০০ |
৫১ |
[বি.দ্র. ছক ২ এ আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের পর দেখা যাইতেছে যে, বণ্টনকৃত আসনসমূহের যোগফল পঞ্চাশ ৫০) অপেক্ষা একটি বেশি (৫১) হইয়াছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ দশমিক পাঁচ (.৫) বা তদূর্ধ্ব হইবার কারণে যে সকল রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে আসন বণ্টন করা হইয়াছে সেই সকল রাজনৈতিক দল বা জোটের মধ্যে ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশের অধিকারী রাজনৈতিক দল বা জোটের প্রাপ্ত আসন হইতে অতিরিক্ত আসনটি কর্তন করিতে হইবে।
দেখা যাইতেছে যে, ১ নং ক্রমিকের রাজনৈতিক দল বা জোট পদ্মার আসন সংখ্যার আনুপাতিক হার বত্রিশ দশমিক আট তিন ৩২.৮৩) যাহার মধ্যে বত্রিশ ৩২) একটি পূর্ণ সংখ্যা এবং দশমিক আট তিন ৮৩) একটি ভগ্নাংশ। দশমিক আট তিন: ৮৩) দশমিক পাঁচ (.৫) অপেক্ষা বড় হওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী দশমিক আট তিন ৮৩) কে পূর্ণ এক (১) সংখ্যা গণনা করিয়া পদ্মার আসন সংখ্যা হইয়াছে ৩২+১=৩৩। একই কারণে মেঘনা, যমুনা এবং করতোয়ার আসন সংখ্যা হইয়াছে যথাক্রমে ৯+১= ১০ ৪+১= ৫ এবং ২+১= ৩।
আসন কর্তনের ক্ষেত্রে দেখা যাইতেছে যে, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এবং করতোয়ার আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ যথাক্রমে .৮৩ ৬৬, .৫ এবং .৬৬। ইহাদের মধ্যে যমুনার ভগ্নাংশ ক্ষুদ্রতম (.৫)। এই কারণে যমুনার প্রাপ্ত আসন হইতে অতিরিক্ত আসনটি কর্তন করিতে হইবে।]
ছক নং ৩
নং |
দলের নাম |
আসন |
আনুপাতিক হারে প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
ভগ্নাংশকে পূর্ণ সংখ্যা/শূন্য সংখ্যা গণনার পর প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
১। |
পদ্মা |
১০৫ |
১৭.৫ |
১৮ |
২। |
মেঘনা |
৫৯ |
৯.৮৩ |
১০ |
৩। |
যমুনা |
৫৮ |
৯.৬৬ |
১০ |
৪। |
করতোয়া |
২৮ |
৪.৬৬ |
৫ |
৫। |
মধুমতি |
১৭ |
২.৮৩ |
৩ |
৬। |
ইছামতি |
১৭ |
২.৮৩ |
৩ |
৭। |
সুরমা |
১৬ |
২.৬৬ |
৩ |
|
|
৩০০ |
৫০.০০ |
৫২ |
বি.দ্র. ছক ৩ এ আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের পর দেখা যাইতেছে যে, বণ্টনকৃত আসনসমূহের যোগফল পঞ্চাশ (৫০) অপেক্ষা ২টি বেশি (৫২) হইয়াছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ দশমিক পাঁচ (৫) বা তদূর্ধ্ব হইবার কারণে যে সকল রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে আসন বণ্টন করা হইয়াছে, সেই সকল রাজনৈতিক দল বা জোটের মধ্যে ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশের মানের ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে প্রত্যেকের প্রাপ্ত আসন হইতে একটি করিয়া আসন কর্তন করিতে হইবে।
দেখা যাইতেছে যে, ১ নং ক্রমিকের রাজনৈতিক দল বা জোট পদ্মার আসন সংখ্যার আনুপাতিক হার সতেরো দশমিক পাঁচ (১৭.৫) যাহার মধ্যে সতেরো (১৭) একটি পূর্ণ সংখ্যা এবং দশমিক পাঁচ .৫) একটি ভগ্নাংশ। নিয়ম অনুযায়ী দশমিক পাঁচ (৫) বা তাহার চেয়ে বড় ভগ্নাংশ কে পূর্ণ এক (১) সংখ্যা গণনা করিয়া পদ্মার আসন সংখ্যা হইয়াছে ১৭+১= ১৮। একই কারণে মেঘনা, যমুনা, করতোয়া, মধুমতি, ইছামতি এবং সুরমার আসন সংখ্যা হইয়াছে যথাক্রমে ৯+১= ১০ ৯+১= ১০ ৪+১= ৫, ২+১= ৩, ২+১= ৩, ২+১= ৩।
আসন কর্তনের ক্ষেত্রে দেখা যাইতেছে যে, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, করতোয়া, মধুমতি, ইছামতি এবং সুরমার আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ যথাক্রমে .৫ ৬৬ ৬৬ ৮৩ ৮৩, এবং .৬৬। ইহাদের মধ্যে পদ্মার ভগ্নাংশ ক্ষুদ্রতম (.৫)। এই কারণে প্রথমে পদ্মার প্রাপ্ত আসন হইতে অতিরিক্ত একটি আসন কর্তন করিতে হইবে।
অতঃপর যে রাজনৈতিক দল বা জোটের আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ পদ্মার আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ অপেক্ষা বড় সেই রাজনৈতিক দল বা জোটের প্রাপ্ত আসন হইতে অপর অতিরিক্ত আসন কর্তন করিতে হইবে। ৩ নং ক্রমিকের যমুনা, ৪ নং ক্রমিকের করতোয়া এবং ৭ নং ক্রমিকের সুরমার আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ দশমিক ছয় ছয় ৬৬), যাহা পদ্মার আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ (৫) অপেক্ষা বড়। তাই অপর একটি অতিরিক্ত আসন যমুনা, করতোয়া বা সুরমার প্রাপ্ত আসন হইতে কর্তন করিতে হইবে। উক্ত তিনটি রাজনৈতিক দল বা জোটের আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ সমান (.৬৬)। কাজেই লটারি করিয়া লটারিতে পরাজিত দলের প্রাপ্ত আসন হইতে অপর অতিরিক্ত আসনটি কর্তন করিতে হইবে।]
ছক নং ৪
নং |
দলের নাম |
আসন |
আনুপাতিক হারে প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
ভগ্নাংশকে পূর্ণ সংখ্যা/শূন্য সংখ্যা গণনার পর প্রাপ্ত আসন সংখ্যা |
১। |
পদ্মা |
১৯৯ |
৩৩.১৬ |
৩৩ |
২। |
মেঘনা |
৫৬ |
৯.৩৩ |
৯ |
৩। |
যমুনা |
২৫ |
৪.১৬ |
৪ |
৪। |
সুরমা |
৮ |
১.৩৩ |
১ |
৫। |
করতোয়া |
৫ |
৮৩ |
১ |
৬। |
মধুমতি |
৫ |
৮৩ |
১ |
৭। |
কর্ণফুলী |
২ |
.৩৩ |
০ |
|
|
৩০০ |
৫০.০০ |
৪৯ |
[বি.দ্র. ছক ৪ এ আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের পর দেখা যাইতেছে যে, বণ্টনকৃত আসনসমূহের যোগফল পঞ্চাশ (৫০) অপেক্ষা একটি কম (৪৯) হইয়াছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, অবশিষ্ট ১টি আসন যে রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে সর্বাধিক সংখ্যক সংরক্ষিত মহিলা আসন বণ্টন করা হইয়াছে, সেই রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টন করা হইবে। দেখা যাইতেছে যে, ১ নং ক্রমিকে উল্লিখিত পদ্মা সর্বাধিক সংখ্যক সংরক্ষিত মহিলা আসন প্রাপ্ত হইয়াছে। এই কারণে উপরি উক্ত ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আসনটি পদ্মার অনুকূলে বণ্টন করিতে হইবে।]”।