প্রিন্ট ভিউ

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৪১ নং আইন )

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৮ নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন

২।  বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৮ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর দফা (১৭) এর প্রান্তস্থিত দাঁড়ি “।” চিহ্নের পরিবর্তে সেমিকোলন “;” চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (১৮) সংযোজিত হইবে, যথা:-

“(১৮) “সাব-এজেন্ট” বা “প্রতিনিধি” অর্থ ধারা ১৪ক এর অধীন নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি যিনি কোন রিক্রুটিং এজেন্টের সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসাবে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য উক্ত এজেন্টের চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী কর্মী সংগ্রহ করেন।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ১২ এর সংশোধন

৩।  উক্ত আইনের ধারা ১২ এর উপ- ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (১ক) ও (১খ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারার দফা (ঘ) ও (চ) তে বর্ণিত কারণ ব্যতীত অন্যান্য কারণে সরকার, উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্টকে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা করিতে পারিবে।

(১খ) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনাপূর্বক, উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্ত ও শুনানি ব্যতিরেকে কিংবা তাহা চলাকালীন যে কোন লাইসেন্সের কার্যক্রম স্থগিত করিতে পারিবে।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ১৪ক এর সন্নিবেশ

৪।  উক্ত আইনের ধারা ১৪ এর পর নিম্নরুপ নূতন ধারা ১৪ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“১৪ক। সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ, ইত্যাদি।-কোন রিক্রুটিং এজেন্ট, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধিত কোন ব্যক্তিকে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ করিতে পারিবে এবং সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধির দায়িত্ব ও কর্তব্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের সপ্তম অধ্যায়ের শিরোনামের সংশোধন

৫। উক্ত আইনের সপ্তম অধ্যায়ের শিরোনামে উল্লিখিত “অভিবাসী কর্মীর অধিকার” শব্দগুলির পরিবর্তে “অভিবাসী কর্মীর অধিকার ও দায়-দায়িত্ব” শব্দগুলি ও চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ২৮ এর সংশোধন

৬।  উক্ত আইনের ধারা ২৮ এ উল্লিখিত “কোন অভিবাসী কর্মী” শব্দগুলির পর “বা অন্য কোন ব্যক্তি,” শব্দগুলি ও চিহ্ন সন্নিবেশিত হইবে।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ৩০ এর প্রতিস্থাপন

৭।  উক্ত আইনের ধারা ৩০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“৩০। আর্থিক ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি।- (১) অভিবাসী কর্মী এবং তাহাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ ও উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে সরকার, প্রয়োজনে, তাহাদের জন্য ব্যাংক ঋণ, কর রেয়াত, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি, দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও সনদায়ন, পুনঃএকত্রীকরণ (reintegration) কার্যক্রম, ইত্যাদি প্রবর্তন এবং সহজলভ্য করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

(২) সরকার, অভিবাসন প্রক্রিয়ার সকল স্তরে এবং বৈদেশিক কর্মস্থলে নারী অভিবাসী কর্মীদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করিবার জন্য বিশেষ আর্থিক ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ৩০ক এর সন্নিবেশ

৮।  উক্ত আইনের ধারা ৩০ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৩০ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“৩০ক। অভিবাসী কর্মীর দায়-দায়িত্ব।-(১) প্রত্যেক অভিবাসী কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও বৈধ পন্থা অবলম্বন করিবেন এবং বিদেশে অবস্থানকালে আইন বহির্ভূত কোন কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।

(২) এই আইনের অধীন অভিবাসন বা বৈদেশিক কর্ম সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরি বা অনুরূপ উদ্দেশ্যে কোন তথ্যের প্রয়োজন হইলে সংশ্লিষ্ট অভিবাসী কর্মী উক্ত তথ্য প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ৩৩ এর সংশোধন

৯।   উক্ত আইনের ধারা ৩৩ এ উল্লিখিত “অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে “অন্যূন ২ (দুই) বৎসর এবং অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি এবং বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ৩৩ক এর সন্নিবেশ

১০।  উক্ত আইনের ধারা ৩৩ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৩৩ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“৩৩ক। লাইসেন্স বাতিল বা প্রত্যাহারের পর রিক্রুটমেন্ট সংক্রান্ত কার্যক্রমের দণ্ড।-ধারা ১২ বা ১৩ এর অধীন কোন রিক্রুটিং এজেন্টের যথাক্রমে, লাইসেন্স বাতিল বা প্রত্যাহার করা হইলে উক্ত রিক্রুটিং এজেন্ট রিক্রুটমেন্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর ও অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড এবং অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা ও অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ৩৫ এর প্রতিস্থাপন

১১। উক্ত আইনের ধারা ৩৫ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৫ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“৩৫। ধারা ১৪ বা ১৪ক এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া শাখা অফিস পরিচালনা ও সাব-এজেন্ট নিয়োপের দণ্ড।-(১) কোন রিক্রুটিং এজেন্ট ধারা ১৪ বা ১৪ক এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া যথাক্রমে, কোন শাখা অফিস পরিচালনা করিলে কিংবা কাউকে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত রিক্রুটিং এজেন্ট ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(২) কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ক এর অধীন নিবন্ধন গ্রহণ না করিয়া কোন রিক্রুটিং এজেন্টের সাব-এজেন্টরূপে কাজ করিলে অথবা নিজেকে সেই মর্মে উপস্থাপন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ৩১ এর প্রতিস্থাপন

১২।  উক্ত আইনের ধারা ৩৯ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৯ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:

“৩৯। অপরাধের আমলযোগ্যতা, আপসযোগ্যতা, ইত্যাদি।-ধারা ৩১, ৩৩ ও ৩৪ এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য ও অ-আপসযোগ্য এবং ধারা ৩২, ৩৩ক ও ৩৫ এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আপসযোগ্য হইবে।”।

২০১৩ সনের ৪৮ নং আইনের ধারা ৪০ এর প্রতিস্থাপন

১৩।  উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“৪০। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের ধারা ৩২, ৩৩ক এবং ৩৫ এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার হইবে।”।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs