প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৪৩ নং আইন )

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪২ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২০১০ সনের ৪২ নং আইনের ধারা ৬ এর সংশোধন

২। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪২ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৬ এর-

(ক) উপধারা (১) এ উল্লিখিত “Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (Ordinance No. II of 1982)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ২১ নং আইন)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং

(খ) উপধারা (২) এ উল্লিখিত “Ordinance এর ”শব্দগুলির পরিবর্তে “আইনের” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১০ সনের ৪২ নং আইনের ধারা ১৩ এর সংশোধন

৩।  উক্ত আইনের ধারা ১৩ এর-

(ক) “(১)” বন্ধনী ও সংখ্যা বিলুপ্ত হইবে;

(খ) দফা (ঘ) এ উল্লিখিত “Electricity Act, 1910 (Act No. IX of 1910)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৭ নং আইন)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) দফা (ঙ) এ উল্লিখিত “Boilers Act, 1923 (Act No. V of 1923)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “বয়লার আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৬নং আইন)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঘ) দফা (ছ) এ উল্লিখিত “Income-tax Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1953)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঙ) দফা (ঝ) এ উল্লিখিত “Land Development Tax Ordinance, 1976 (Ordinance No. XLII of 1976)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি, কমা ও বন্ধনীর পরিবর্তে “ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি এবং কমা প্রতিস্থাপিত হইবে;

(চ) দফা (ঠ) এ উল্লিখিত “মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২নং আইন)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং

(ছ) দফা (ড) বিলুপ্ত হইবে।

২০১০ সনের ৪২ নং আইনের ধারা ৩৪ এর প্রতিস্থাপন

৪।  উক্ত আইনের ধারা ৩৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“৩৪। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর প্রযোজ্যতা।- বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২নং আইন) এর বিধানাবলী, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে।”


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs