প্রিন্ট ভিউ
অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রাখিয়া ঋণ প্রদান ও গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি এবং ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার লেনদেনে সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে এতদ্সংক্রান্ত অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রাখিয়া ঋণ প্রদান ও গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি এবং ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার লেনদেনে সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে এতদ্সংক্রান্ত অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
১। (১) এই আইন সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।
* এস, আর, ও নং ২৭৭-আইন/২০২৪, তারিখ: ৩১ জুলাই, ২০২৪ ইং দ্বারা ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০১ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) “অর্থায়ন বিবরণী (financing statement)” অর্থ ধারা ১২ এর অধীন নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুতকৃত জামানত ও ঋণ সম্পর্কিত বিবরণী;
(২) “অস্থাবর সম্পত্তি” অর্থ তপশিলে বর্ণিত অস্থাবর সম্পত্তি;
(৩) “আয় (proceeds)” অর্থ জামানত হইতে উদ্ভূত বা প্রাপ্ত সকল আয়;
(৪) “ঋণদাতা” অর্থ ধারা ৩ এর উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা সুরক্ষিত পক্ষ যাহার নিকট হইতে এই আইনের অধীন অস্থাবর সম্পত্তি জামানতের বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করা হয়;
(৫) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ৯ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ;
(৬) “জামানত (collateral)” অর্থ কোনো সুরক্ষা স্বার্থের অধীন জামানতকৃত অস্থাবর সম্পত্তি;
(৭) “জামিনদার (guarantor/obligor)” অর্থ-
(ক) কোনো ব্যক্তি যিনি জামানতের মালিক বা জামানতে যাহার অধিকার রহিয়াছে;
(খ) কোনো ব্যক্তি যিনি কোনো চালান (invoice) এর মাধ্যমে অপর কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে পণ্য গ্রহণ করেন;
(গ) কিস্তিতে ক্রয় চুক্তি (hire purchase agreement) এর অধীন কোনো ক্রেতা, আর্থিক ইজারার অধীন কোনো ইজারাগ্রহীতা অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো ইজারার অধীন ইজারাগ্রহীতা;
ব্যাখ্যা।- এই দফার উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে “আর্থিক ইজারা” অর্থ কোনো অস্থাবর সম্পত্তির ইজারা যাহার মেয়াদ ১ (এক) বৎসরের অধিক এবং যাহার মেয়াদ শেষে-
(অ) ইজারাগ্রহীতা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ইজারাকৃত অস্থাবর সম্পত্তিটির মালিক হন; অথবা
(আ) ইজারাগ্রহীতা নামমাত্র মূল্যে অস্থাবর সম্পত্তিটির মালিকানা স্বত্বের অধিকারী হন; অথবা
(ই) অস্থাবর সম্পত্তিটির অবশিষ্ট মূল্য (residual value) অতি নগণ্য; এবং
(ঘ) কোনো ক্রেতা যিনি, স্বত্ব বহাল রাখিবার শর্ত সাপেক্ষে (retention of title clause) বিক্রয় অথবা Sale of Goods Act, 1930 (Act No. III of 1930) এর section 25 অথবা অন্য কোনো আইনের অধীন বিক্রেতার বিক্রয় বা বন্দোবস্ত করিবার অধিকার সংরক্ষিত রাখিয়া পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে কোনো পণ্য অর্জন করেন;
(৮) “তপশিল” অর্থ এই আইনের তপশিল;
(৯) “দখল” অর্থ কোনো ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক সম্পত্তির প্রকৃত দখল অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রকৃত দখল গ্রহণ যিনি উক্ত ব্যক্তির পক্ষে দখলদার হিসাবে স্বীকৃত;
(১০) “দলিল” অর্থ Negotiable Instruments Act, 1881 (Act No. XXVI of 1881) এর section 4 এ বর্ণিত Promissory note (প্রতিশ্রুতিপত্র), section 5 এ বর্ণিত Bill of exchange (বিনিময়পত্র) বা section 6 এ বণির্ত Cheque (চেক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো সরকারি বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত লেনদেন এবং ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পরিচালিত, কোনো লেনদেন (যেমন-মুদারাবা, মুশারিকা, ইজারা, সুকুক বা অন্য যে কোনো শরীয়া ভিত্তিক লেনদেন);
(১১) “দেনাদার” অর্থ কোনো ব্যক্তি যিনি কোনো দায় এর বিপরীতে অর্থ পরিশোধ বা অন্য কোনো কার্যের দায় গ্রহণকারী অথবা দায় গ্রহণের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা প্রদানকারী;
(১২) “নিবন্ধন” অর্থ অস্থাবর সম্পত্তিতে সুরক্ষা স্বার্থ বা অন্যান্য দাবি সংক্রান্ত অর্থায়ন বিবরণীর নিবন্ধন;
(১৩) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;
(১৪) “পাওনাদার” অর্থ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাহার নিকট দেনাদার ঋণ পরিশোধে দায়বদ্ধ;
(১৫) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান;
(১৬) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি;
(১৭) “ব্যক্তি” অর্থে কোনো প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্তা, কোম্পানি, অংশীদারী কারবার, ফার্ম, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সমিতি বা সংঘও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৮) “সরকার” অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ;
(১৯) “সুরক্ষিত পক্ষ” অর্থ-
(ক) কোনো ব্যক্তি যিনি কোনো সুরক্ষা স্বার্থের অধিকারী বা যাহার অনুকূলে সুরক্ষা স্বার্থ সৃষ্টি অথবা যিনি অন্য কোনো ব্যক্তির স্বার্থে কোনো সুরক্ষা স্বার্থ ধারণ করেন; বা
(খ) কোনো ট্রাস্টি যাহার ট্রাস্ট চুক্তিনামায় সুরক্ষা স্বার্থ অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে; বা
(গ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত রিসিভার বা অবসায়ক; বা
(ঘ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো সুরক্ষিত পক্ষ;
(২০) “সুরক্ষা স্বার্থ” অর্থ অস্থাবর সম্পত্তিতে বা সংযুক্তিতে কোনো স্বার্থ যাহা কোনো দায় এর কার্যসম্পাদন বা পরিশোধ নিশ্চিত করে এবং কোনো হিসাবের হস্তান্তরগ্রহীতার স্বার্থ অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা সত্তায় প্রযুক্ত বা সৃষ্ট স্বার্থ এবং এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-
ব্যাখ্যা-১।- “সংযুক্তি” অর্থ ভবন উপকরণ ব্যতীত এমন কোনো পণ্যসামগ্রী যাহা কোনো স্থাবর সম্পত্তির সহিত এইরূপভাবে সম্পৃক্ত হইয়াছে যাহার ফলে উহার উপর উদ্ভূত আইনানুগ কোনো অধিকার অথবা স্বার্থ;
ব্যাখ্যা-২।- “ভবন উপকরণ” অর্থ এইরূপ কোনো উপকরণ যাহা কোনো ভবনে সন্নিবেশিত হইয়াছে, এবং ভবনের সহিত সংযুক্ত পণ্যসামগ্রীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে যদি ইহার অপসারণ-
(ক) আবশ্যিকভাবে ভবনের অন্য কতিপয় অংশের স্থানচ্যুতি বা বিনাশ সাধন করে এবং এইরূপ অপসারণের ফলে ভবনের মূল্যহানির সহিত উহার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে; অথবা
(খ) ভবনের কাঠামো দুর্বল করে; অথবা
(গ) ভবনটিকে আবহাওয়াজনিত ক্ষয়ক্ষতি বা অবনতির সম্মুখীন করে:
তবে শর্ত থাকে যে, তাপ উৎপন্নকারী, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী অথবা বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ অথবা এমন যন্ত্র যাহা কোনো ভবনে বা ভূমিতে কোনো কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে উক্ত ভবন বা ভূমিতে সংস্থাপিত হইয়াছে উক্ত উপকরণসমূহ ভবন উপকরণ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
ব্যাখ্যা।- “ভবন” অর্থ কোনো কাঠামো, স্থাপনা অথবা ভূমির উপর নির্মিত বা স্থাপিত বা নির্মানাধীন কোনো কাঠামো বা স্থাপনা;
(২১) “হিসাব” অর্থ কোনো সিকিউরিটি বা দলিল দ্বারা অপ্রমাণযোগ্য কোনো আর্থিক দায় এবং যে আর্থিক দায় কার্যসম্পাদন অথবা অন্যভাবে অর্জিত;
(২২) “শনাক্তকরণ চিহ্ন” অর্থ-
(ক) কোনো প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্তার ক্ষেত্রে তাহার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর;
(খ) প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত উহার নিবন্ধন বা ট্রেড লাইসেন্স নম্বর।
৩। (১) এই আইন অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (ক) তে সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (২৫) এ সংজ্ঞায়িত বীমাকারী, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (২১) এ সংজ্ঞায়িত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান ও Money-Lenders Act, 1933 (Act No. VII of 1933) এর section 2 এর clause (1) এ সংজ্ঞায়িত money-lender এবং বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রাখিয়া লেনদেন করিয়া থাকিলে উহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(২) এই আইনে ভিন্নরূপ কোনো কিছু না থাকিলে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হইবে না, যথা :¾
(ক) পেশাগত সেবার ফি ব্যতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ মজুরি, বেতন, ভাতা বা কমিশন অথবা অন্য কোনো প্রকারের শ্রম বা ব্যক্তিগত সেবার জন্য পারিশ্রমিকের উপর স্বার্থ সৃষ্টি বা হস্তান্তর;
(খ) মধ্যবর্তী সিকিউরিটির স্বার্থ সংক্রান্ত লেনদেন;
ব্যাখ্যা।- এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “মধ্যবর্তী সিকিউরিটি (intermediated security)” অর্থ কোনো মধ্যস্থ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি হিসাবে রক্ষিত কোনো ব্যক্তির অধিকার।
(গ) জামিনদার কর্তৃক ধারণকৃত এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৮ নং আইন), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৭ নং আইন), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ৩ নং আইন), পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৫৩ নং আইন) এবং Bangladesh Merchant Shipping Ordinance, 1983 (Ordinance No. XXVI of 1983) এর অধীন নিয়ন্ত্রিত বা নিবন্ধিত কোনো পণ্য হস্তান্তর; এবং
(ঘ) আদালতের আদেশের ভিত্তিতে জব্দকরণ হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো সম্পত্তির উপর স্বার্থ সৃষ্টি বা হস্তান্তর।
(৩) এই আইনের কোনো বিধান দ্বারা Negotiable Instruments Act, 1881 (Act No. XXVI of 1881) এর section 4 এ বর্ণিত Promissory note (প্রতিশ্রুতিপত্র), section 5 এ বর্ণিত Bill of exchange (বিনিময়পত্র) বা section 6 এ বর্ণিত Cheque (চেক) এর ধারক বা উহার বাহকের অধিকার এবং উক্ত আইনে বর্ণিত যথাযথ ধারকের অধিকার ক্ষুণ্ন হইবে না।
(৪) যেইক্ষেত্রে কোনো বিক্রেতা বিক্রিত পণ্যের ক্রয় মূল্যে সুরক্ষা স্বার্থ ধারণ করেন, সেইক্ষেত্রে-
(ক) উক্ত বিক্রয় এবং কোনো দাবি ত্যাগ, তামাদি, বা বিক্রেতার শর্তাবলি ও নিশ্চয়তাপত্রের (surety) কোনো সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় বিক্রয় চুক্তি সংক্রান্ত আইনসহ Sale of Goods Act, 1930 (Act No. III of 1930) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে; এবং
(খ) কোনো বিক্রয় চুক্তির শর্তাবলি ও নিশ্চয়তাপত্র (surety) কোনো সুরক্ষা চুক্তি দ্বারা প্রভাবিত হইবে না।
ব্যাখ্যা।- এই উপধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “ক্রয় মূল্যে সুরক্ষা স্বার্থ” অর্থ-
(অ) ক্রয় মূল্যের সম্পূর্ণ বা আংশিক পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য গৃহীত বা সংরক্ষিত জামানত; বা
(আ) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত জামানত, যিনি উক্ত জামানত জামিনদারের অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মূল্য পরিশোধ করেন;
(ই) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ১ (এক) বৎসরের অধিক কোনো ইজারার অধীন কোনো পণ্যের উপর ইজারাগ্রহীতার স্বার্থ; বা
(ঈ) কোনো চালান প্রেরকের স্বার্থ, যিনি বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বাণিজ্যিক চালানের অধীন কোনো চালান প্রাপকের নিকট পণ্য সরবরাহকারী; বা
(উ) অস্থাবর সম্পত্তিতে যে কোনো সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার; বা
(ঊ) যে কোনো প্রাপ্যতা (receivables) সম্পূর্ণ হস্তান্তরের লক্ষ্যে সম্পাদিত কোনো চুক্তি:
তবে শর্ত থাকে যে, বিক্রেতা কর্তৃক বিক্রয় এবং বিক্রেতার নিকট পুনরায় ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কোনো লেনদেন ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
৪। এই আইনের বিধানাবলি অন্যান্য আইনের বিধানের ব্যত্যয় না ঘটাইয়া উহার অতিরিক্ত হইবে।
৫। এই আইনের তপশিল এ বর্ণিত অস্থাবর সম্পত্তির সুরক্ষা স্বার্থকে জামানত হিসাবে দায়যুক্ত (encumber) করা যাইবে।
৬। কোনো অস্থাবর সম্পত্তি জামানত হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে, যদি-
(ক) উহার উপর দেনাদার অথবা জামিনদারের নিরঙ্কুশ মালিকানা থাকে অথবা তাহাদের জামানতের উপর প্রয়োজনীয় অধিকার অথবা উক্ত অধিকার হস্তান্তরের ক্ষমতা থাকে;
(খ) উহার বাজার মূল্য থাকে; এবং
(গ) সুরক্ষা স্বার্থের মেয়াদকাল পর্যন্ত উহার ন্যূনতম অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল থাকে।
৭। সুরক্ষা স্বার্থ সৃষ্টির ক্ষেত্রে জামানত হিসাবে ব্যবহারযোগ্য অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৮। (১) এই আইনের অধীন ঋণ প্রাপ্তির জন্য ঋণদাতা বরাবর বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন ঋণ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করিবার পর সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা ধারা ১২ এর অধীন অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে এবং নিবন্ধন সাপেক্ষে এই আইন, বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদনকারীর অনুকূলে ঋণ মঞ্জুর করিতে পারিবে।
৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার, চুক্তি সম্পাদন ও অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবার ক্ষমতা ও উদ্যোগ গ্রহণের অধিকার থাকিবে, এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
(৩) কর্তৃপক্ষের কার্যালয়, কর্মচারী নিয়োগ, পরিচালনা ও প্রশাসন, সভা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৪) কর্তৃপক্ষের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরির শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
১০। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
(ক) তপশিল এ উল্লিখিত জামানতযোগ্য অস্থাবর সম্পত্তির অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধন;
(খ) জামানত হিসাবে অস্থাবর সম্পত্তির ইলেকট্রনিক নিবন্ধন সংক্রান্ত ইলেকট্রনিক তথ্যভান্ডার পরিচালনা; এবং
(গ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলি।
১১। (১) অর্থায়ন বিবরণীতে নিম্নবর্ণিত তথ্য থাকিতে হইবে, যথা:-
(ক) জামিনদারের ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর;
(খ) সুরক্ষিত পক্ষের ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর;
(গ) জামানতের বিবরণ, যাহাতে সুরক্ষিত স্বার্থ সঠিকভাবে ও সহজে চিহ্নিত করা যায়;
(ঘ) আবেদনকারীর ঋণের বিবরণ; এবং
(ঙ) বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো তথ্য।
(২) জামানতের বিবরণীতে অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য এবং ক্রমিক চিহ্নিত পণ্য হইলে, উহার ক্রমিক নম্বর, পণ্য প্রতীক ও প্রস্তুতকারকের নাম উল্লেখ করিতে হইবে।
ব্যাখ্যা।- এই উপধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “ক্রমিক চিহ্নিত পণ্য” অর্থ এইরূপ সকল প্রকার মোটরযান এবং যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামসহ যে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি যাহাতে উহার প্রস্তুতকালীন প্রক্রিয়ার সময় প্রস্তুতকারক কর্তৃক প্রতিটি পণ্যকে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে উহার গায়ে বা কাঠামোতে স্থায়ী ক্রমিক নম্বর যুক্ত করা হয় এবং যাহার মাধ্যমে সঠিকভাবে উহা চিহ্নিতকরণ সম্ভব।
১২। (১) ঋণদাতা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিকভাবে সুরক্ষা স্বার্থ নিশ্চিত করিবার জন্য ইলেকট্রনিক নিবন্ধন পদ্ধতির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নিকট দায়যুক্ত জামানত চিহ্নিত করিয়া অর্থায়ন বিবরণীর একটি ইলেকট্রনিক কপি জমা প্রদান করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিগমিত কোম্পানির অস্থাবর সম্পত্তির উপর সৃষ্ট কোনো চার্জ বা জামানতের সহিত সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য, যাহা উক্ত আইনের ধারা ১৫৯ এর অধীন রেজিষ্ট্রারের নিকট নিবন্ধিত হইয়াছে, সেই সকল তথ্য এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান মোতাবেক একটি আন্তঃবিনিময়যোগ্য পদ্ধতি (interoperable system) এর মাধ্যমে বিনিময় করিবে এবং উক্ত তথ্য এই আইনের অধীন নিবন্ধিত তথ্য বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রেরিত অর্থায়ন বিবরণী প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে উহা নিবন্ধন করিতে পারিবে।
(৩) অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হইয়াছে কিনা সে বিষয়টি যাচাই করিবে এবং এইক্ষেত্রে কোনো তথ্যের ঘাটতি থাকিলে অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধন করিতে অপারগতা প্রকাশ করিবে।
(৪) কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনের অপারগতার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা বা তাহার এজেন্টকে কারণ উল্লেখপূর্বক অবহিত করিবে।
(৫) উপধারা (৪) এর অধীন সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা বা তাহার এজেন্ট অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনের অপারগতা প্রকাশের বিষয়টি অবহিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উল্লিখিত ত্রুটি সংশোধন করিয়া সংশ্লিষ্ট অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনের জন্য প্রেরণ করিতে পারিবে।
(৬) কর্তৃপক্ষ উপধারা (৫) এর অধীন প্রাপ্ত সংশোধিত অর্থায়ন বিবরণীতে সন্তুষ্ট হইলে উহা নিবন্ধন করিবে।
(৭) যেই তারিখ ও সময় হইতে নিবন্ধন সার্বজনীন অনুসন্ধানযোগ্য হয়, সেই তারিখ ও সময় হইতে অর্থায়ন বিবরণীর নিবন্ধন কার্যকর হইবে।
(৮) কোনো সুরক্ষা বা অর্থায়ন চুক্তি সম্পাদনের পরে এবং সুরক্ষা অধিকার সৃষ্টি হইবার পরে উহা নিবন্ধন করা যাইবে।
(৯) একটি নিবন্ধন এক বা একাধিক সুরক্ষা বা অর্থায়ন চুক্তির সহিত সম্পর্কিত হইতে পারিবে।
(১০) ক্রমিক চিহ্নিত পণ্যের ক্রমিক নম্বরের কোনো ত্রুটি কেবল জামানতের ক্রেতা কিংবা উহার ইজারাগ্রহীতার বিরুদ্ধে অর্থায়ন বিবরণীকে অকার্যকর করিবে এবং ক্রমিক নম্বরযুক্ত জামানত ইনভেনটোরি হিসাবে থাকিলে অর্থায়ন বিবরণীতে ক্রমিক নম্বরের প্রয়োজন হইবে না।
(১১) যেইক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যক্তির নাম কোনো অর্থায়ন বিবরণীতে জামিনদার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং যে কোনো একজন বা একের অধিক জামিনদারের স্বতন্ত্র শনাক্তকরণ চিহ্নের ত্রুটি বা বিচ্যুতি ঘটে, সেইক্ষেত্রে ভুলভাবে চিহ্নিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত নিবন্ধন অকার্যকর হইবে, কিন্তু অর্থায়ন বিবরণীতে সঠিকভাবে চিহ্নিত অন্যান্য জামিনদারের ক্ষেত্রে নিবন্ধনটি অকার্যকর হইবে না।
(১২) কোনো জামানতের বিষয় বা ধরন সম্পর্কে অর্থায়ন বিবরণীতে বর্ণনা প্রদানে অসম্পূর্ণতা উহাতে উল্লিখিত অন্যান্য জামানতের নিবন্ধনের বৈধতাকে প্রভাবিত করিবে না।
(১৩) পাওনাদার একটি অর্থায়ন বিবরণীর নিবন্ধন কার্যকর হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অর্থায়ন বিবরণীতে জামিনদার হিসেবে উল্লিখিত প্রত্যেক ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত নিবন্ধন সনদের অনুলিপি প্রদান করিবেন, তবে কোনো ব্যক্তি এই উপধারার বাধ্যবাধকতা পরিপালনে ব্যর্থ হইলে তাহা সংশ্লিষ্ট নিবন্ধিত অর্থায়ন বিবরণীর বৈধতাকে প্রভাবিত করিবে না।
(১৪) এই ধারার অধীন সকল কার্যক্রম ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পরিচালনা করিতে হইবে এবং কর্তৃপক্ষ প্রবিধান দ্বারা নিবন্ধন পদ্ধতি নির্ধারণ করিবে এবং কর্তৃপক্ষ এই আইনে অনুমোদিত যে কোনো কার্য বা ক্ষমতা উহার যে কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।
(১৫) আদালতের আদেশ, রায় বা ডিক্রি বলে পাওনাদারের স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে পাওনাদারের আবেদনক্রমে আদেশ, রায় বা ডিক্রির নোটিশ কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন করিতে পারিবে।
১৩। নিবন্ধনের রেকর্ড নিম্নবর্ণিত নম্বর অথবা মানদণ্ডের ভিত্তিতে অনলাইনে স্বতন্ত্র নিবন্ধন নম্বর (unique registration number) দ্বারা এইরূপভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে যাহাতে উহা সঠিকভাবে, সহজে এবং দ্রুততার সহিত অনুসন্ধান করা যায়, যথা:-
(ক) জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর; বা
(খ) জামানতের ক্রমিক নম্বর; বা
(গ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো অতিরিক্ত মানদণ্ড।
১৪। (১) এই আইনের অধীন নিবন্ধনের নোটিশের তথ্য, পাওনাদার এবং দেনাদারদের নাম ও ঠিকানা, ঋণের পরিমাণ, ঋণের মেয়াদ, জামানতের বিবরণ, নিবন্ধনের তারিখ ও সময় এবং একটি স্বতন্ত্র নিবন্ধন নম্বর (unique registration number) সংক্রান্ত সকল তথ্য কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন সংরক্ষিত তথ্য ঋণদাতা, জামিনদার, দেনাদার, পাওনাদার বা সুরক্ষিত পক্ষের কেবল পাঠের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।
(৩) যে কোনো পক্ষ নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে উপধারা (১) এর অধীন সংরক্ষিত তথ্য কর্তৃপক্ষ হইতে পাইবার অধিকারী হইবে।
(৪) ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ২৭ নং আইন) ও Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বা মুদ্রিত তথ্য বা বিবরণী এবং উহার বিষয়বস্তু সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে।
(৫) কর্তৃপক্ষ হইতে কোনো মুদ্রিত কাগজের অনুলিপি যাহা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় প্রত্যায়িত তাহা কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ব্যতীত অবিকল অনুলিপি হিসাবে সাক্ষ্যপ্রমাণ বলিয়া গ্রহণযোগ্য হইবে।
১৫। (১) এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো তথ্যে ভুল থাকিলে বা কোনো কারণে তথ্য সংশোধন করিবার প্রয়োজন হইলে, সুরক্ষিত পক্ষ, পাওনাদার বা তাহাদের মনোনীত প্রতিনিধি উক্ত ভুল সংশোধন করিবার জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আবেদনে সন্তুষ্ট হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ভুল তথ্য সংশোধন করিবে।
১৬। (১) নিম্নরূপ ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন সংরক্ষিত তথ্যের কার্যকারিতার অবসান ঘটিবে, যথা:-
(ক) দেনাদার কর্তৃক ঋণ বা দায় সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হইলে; অথবা
(খ) দেনাদার ও সুরক্ষিত পক্ষের মধ্যে কোনো লেনদেন না থাকিলে; অথবা
(গ) আদালত কর্তৃক তথ্য সংরক্ষণের কার্যকাল অবসানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইলে।
(২) উপধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কারণে সংরক্ষিত তথ্যের কার্যকারিতার অবসান ঘটিলে, নিবন্ধন বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবে এবং কর্তৃপক্ষ উক্ত নিবন্ধন বাতিল করিবে।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন সংরক্ষিত তথ্যের কার্যকারিতার অবসান সম্পর্কে অবহিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট তথ্য অন্যূন ১০ (দশ) বৎসরের জন্য আর্কাইভে সংরক্ষণ করিবে।
(৪) দেনাদার ঋণ পরিশোধ করিবার পর সংশ্লিষ্ট সুরক্ষিত পক্ষ উপধারা (২) এর অধীন পদক্ষেপ গ্রহণ না করিলে, দেনাদার ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত সহায়ক দলিল বা সাক্ষ্যপ্রমাণসহ পাওনাদারের লিখিত অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট তথ্য বিলুপ্তির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবে।
(৫) কর্তৃপক্ষ উপধারা (৪) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর উক্ত বিষয়ে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।
১৭। (১) জামানতকৃত অস্থাবর সম্পত্তিতে সুরক্ষিত পক্ষের অনুকূলে সুরক্ষা স্বর্থের সৃষ্টি হইবে, যদি:-
(ক) জামানতের বিপরীতে দেনাদারকে ঋণ অথবা মূল্য প্রদান করা হয়; বা
(খ) জামানতে জামিনদারের অধিকার থাকে অথবা তাহার উক্ত অধিকার হস্তান্তরের ক্ষমতা থাকে; বা
(গ) জামিনদার জামানতের বিবরণ সম্বলিত কোনো সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেন যাহাতে জামানত শনাক্ত করা যায়।
(২) সুরক্ষা স্বার্থ তৃতীয় কোনো পক্ষের বিপরীতে কার্যকর হইবে না, যদি না উহা উপধারা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে সৃষ্টি করা হয় এবং এই আইন অনুসারে সম্পূর্ণ হয়।
(৩) Contract Act, 1872 (Act No. IX of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জামানত কোনো সুরক্ষিত পক্ষের দখলে থাকা সত্ত্বেও উপধারা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতি ব্যতীত কোনো সুরক্ষা চুক্তি মৌখিকভাবে সম্পাদনকৃত হইয়াছে বলিয়া বিবেচনা করা যাইবে না।
১৮। সুরক্ষা চুক্তির ক্ষেত্রে নিম্নরূপ শর্ত পূরণ করিতে হইবে, যথা:-
(ক) সুরক্ষা চুক্তিটি লিখিত হইতে হইবে;
(খ) চুক্তিবদ্ধ পক্ষসমূহ চিহ্নিত হইতে হইবে; এবং
(গ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সুরক্ষিত দায় এবং জামানতের বর্ণনা থাকিতে হইবে।
ব্যাখ্যা।- এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “সুরক্ষিত দায়” অর্থ কোনো সুরক্ষা স্বার্থ দ্বারা সুরক্ষিত কোনো দায়।
১৯। (১) কোনো সুরক্ষা স্বার্থ দ্বারা নির্ধারিত, শর্তযুক্ত বা নিঃশর্ত, নির্দিষ্ট বা হ্রাস-বৃদ্ধিযোগ্য এক বা একাধিক দায়কে সুরক্ষিত করা যাইবে।
(২) সুরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অস্থাবর সম্পত্তিতে সুরক্ষা স্বার্থ সৃষ্টি করা যাইবে।
২০। এই আইনের অধীন অস্থাবর সম্পত্তিসমূহে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সুরক্ষা স্বার্থের সম্পূর্ণকরণ হইবে, যদি-
(ক) অস্থাবর সম্পত্তি জামানত হিসাবে সুরক্ষিত পক্ষের অথবা জামিনদার বা জামিনদারের প্রতিনিধি ব্যতীত সুরক্ষিত পক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে অন্য কোনো ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দখলে বা পুনর্দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকে; অথবা
(খ) কোনো সুরক্ষা স্বার্থ সংক্রান্ত অর্থায়ন বিবরণী ধারা ১২ এর অধীন নিবন্ধিত হয়।
২১। (১) দেনাদার তাহার দখলে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি সুরক্ষিত পক্ষের অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত বিক্রয় বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করিতে পারিবে না, যদি না পক্ষদ্বয় চুক্তির মাধ্যমে সম্মত হয় যে, দেনাদার ব্যবসার সাধারণ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে জামানতকৃত সম্পত্তিটি বিক্রয় বা হস্তান্তর করিতে পারিবেন।
(২) উপধারা (১) এ উল্লিখিত চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, সুরক্ষিত পক্ষ কর্তৃক তাহার দখলে থাকা দায়যুক্ত অস্থাবর সম্পত্তির দখল অর্জন, হেফাজত বা সংরক্ষণের জন্য নির্বাহকৃত ব্যয় দেনাদারের উপর বর্তাইবে এবং উক্ত ব্যয় জামানত দ্বারা সুরক্ষিত হইবে।
(৩) সুরক্ষিত পক্ষ তাহার দখলে থাকা দায়যুক্ত অস্থাবর সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত যে কোনো আয় বা লাভের অর্থ নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার নিকট জমা রাখিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, দায়যুক্ত অস্থাবর সম্পত্তি হইতে অর্জিত আয় বা লাভ উক্ত সম্পত্তির বিপরীতে সৃষ্ট দায় বা দেনা পরিশোধে ব্যবহৃত হইবে।
২২। (১) যেইক্ষেত্রে জামানত হইতে কোনো আয় অর্জিত হয়, সেইক্ষেত্রে-
(ক) সুরক্ষা চুক্তিতে ভিন্নরূপ কোনো কিছু না থাকিলে অথবা সুরক্ষিত পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সুরক্ষা স্বার্থের লেনদেন অনুমোদন করিয়া না থাকিলে, জামানত হইতে অর্জিত আয়ে সুরক্ষিত পক্ষের সুরক্ষা স্বার্থ বহাল থাকিবে;
(খ) সুরক্ষা চুক্তিতে জামানত হইতে অর্জিত আয় চুক্তিভুক্ত কোনো পক্ষের অনুকূলে নির্ধারিত হইবে উহা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকিলেও, জামানত হইতে অর্জিত আয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত পক্ষের অধিকার সৃষ্টি হইবে।
(২) জামানত হইতে অর্জিত আয়ে সুরক্ষা স্বার্থ অব্যাহত থাকিবে, যদি-
(ক) অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনের মাধ্যমে মূল জামানতে সুরক্ষা স্বার্থ সম্পূর্ণকরণ করা হইয়া থাকে এবং উক্ত অর্থায়ন বিবরণীতে মূল জামানত ও উহা হইতে অর্জিত আয়ের বিবরণ থাকে; বা
(খ) অর্জিত আয় যদি এইরূপ কোনো ধরনের হয় যাহা অর্থায়ন বিবরণীতে উল্লিখিত মূল জামানতের বিবরণের অন্তর্ভুক্ত; বা
(গ) অর্থায়ন বিবরণী মূল জামানতকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং অর্জিত আয় নগদ অর্থ, চেক বা আমানত হিসাবের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
(৩) জামানত হইতে অর্জিত আয়ে অব্যাহতভাবে সুরক্ষা স্বার্থ বহাল থাকিবে যদি উক্ত আয় উদ্ভূত হইবার সময় জামানতের উপর সুরক্ষা স্বার্থ সম্পূর্ণকরণ হইয়া থাকে।
(৪) নিবন্ধন ব্যতীত অন্য কোনোভাবে জামানতের উপর সুরক্ষা স্বার্থ সম্পূর্ণকরণ করা হইলে, জামিনদার উক্ত আয়ে সুরক্ষা স্বার্থ অর্জন করিবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই আইনের অধীন অর্জিত আয়ে সুরক্ষা স্বার্থ সম্পূর্ণকরণ করা না হইলে উহা সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থ হিসাবে গণ্য হইবে না।
২৩। (১) একই জামানতে সুরক্ষা স্বার্থের ক্ষেত্রে নিম্নরূপে অগ্রাধিকার নির্ধারিত হইবে, যথা:-
(ক) নিবন্ধনের মাধ্যমে সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থ অগ্রাধিকার নিবন্ধনের ক্রমানুসারে নির্ধারিত হইবে;
(খ) এই আইনের অধীন নিবন্ধনের মাধ্যমে সম্পূর্ণকৃত কোনো সুরক্ষা স্বার্থ অসম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থের উপর অগ্রাধিকার পাইবে;
(গ) নিবন্ধন ব্যতীত অন্যভাবে সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থ অন্য কোনো সুরক্ষা স্বার্থের উপরে অগ্রধিকার পাইবে, যদি নিবন্ধন ব্যতীত অন্যভাবে সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থটি অন্য কোনো সুরক্ষা স্বার্থের সহিত সম্পর্কিত কোনো অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধনের পূর্বে সম্পূর্ণকৃত হইয়া থাকে;
(ঘ) যেইক্ষেত্রে এই আইনের অধীন নিবন্ধন ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা অধিকারের মধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারিত হইবে, সেইক্ষেত্রে সম্পূর্ণতার ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার নির্ধারিত হইবে; এবং
(ঙ) অসম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থের ক্ষেত্রে, উক্ত সুরক্ষা স্বার্থ সৃষ্টি হইবার তারিখ অনুসারে অগ্রাধিকার নির্ধারিত হইবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন সুরক্ষা স্বার্থের অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠিত হইবার তারিখ হইতে মূল জামানত বা উহার অর্জিত আয়ের উপর সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থের অগ্রাধিকার প্রযোজ্য হইবে।
(৩) কোনো সুরক্ষা স্বার্থের হস্তান্তরগ্রহীতা উক্ত সুরক্ষা স্বার্থ সংক্রান্ত সেইরূপ অগ্রাধিকার অর্জন করিবেন, হস্তান্তরের সময়ে হস্তান্তরকারীর যেইরূপ অগ্রাধিকার ছিল।
(৪) ধারা ২৪ এর বিধান সাপেক্ষে, উপধারা (১) এর অধীন কোনো সুরক্ষা স্বার্থের যেইরূপ অগ্রাধিকার ছিল তাহা সকল ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রেও সেইরূপ থাকিবে।
২৪। নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে আদালতের রায়, আদেশ বা ডিক্রির মাধ্যমে প্রাপ্ত পাওনাদারের অধিকারের উপর সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থের অগ্রাধিকার থাকিবে, যথা:-
(ক) রায়, আদেশ বা ডিক্রিবলে পাওনাদার (judgment creditor) কর্তৃক ধারা ২৫ এর উপধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত রায়, আদেশ বা ডিক্রির নোটিশ নিবন্ধনের পূর্বে প্রদত্ত অগ্রিমের ক্ষেত্রে পাওনাদার কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের পরিমাণ পর্যন্ত; বা
(খ) রায়, আদেশ বা ডিক্রিবলে পাওনাদার কর্তৃক কোনো রায়, আদেশ বা ডিক্রির নোটিশ প্রাপ্তির পূর্বে অগ্রিম প্রদানের ক্ষেত্রে পাওনাদার কর্তৃক প্রসারিত ঋণের পরিমাণ পর্যন্ত; বা
(গ) সুরক্ষিত পক্ষ কর্তৃক ধারা ২৫ এর উপধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত রায়, আদেশ বা ডিক্রির বিষয় অবহিত হইবার পূর্বে সৃষ্ট আইনি বাধ্যবাধকতা অথবা, জামিনদার ব্যতীত, অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট আইনি দায় অনুসারে প্রদত্ত অগ্রিম; বা
(ঘ) জামানতের সুরক্ষা, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামত বাবদ সুরক্ষিত পক্ষ কর্তৃক নির্বাহকৃত যুক্তিসংগত ব্যয়।
২৫। (১) জামানতে কোনো অসম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থ থাকিলে নিম্নবর্ণিত স্বার্থ উহার উপর অগ্রাধিকার পাইবে, যথা:-
(ক) একই জামানতে সম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থ রহিয়াছে; বা
(খ) আদালতের রায়, আদেশ বা ডিক্রির নোটিশ অনুসারে পাওনাদারের কোনো স্বার্থ যদি উক্ত নোটিশ নিবন্ধিত হয়; বা
(গ) অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তির বিলি বা বণ্টনে অংশগ্রহণের অধিকার, যাহা উপধারা (২) এ উল্লিখিত কোনো ব্যক্তি জামানত হিসাবে জব্দ করিয়াছে।
(২) কোনো জামানতে অসম্পূর্ণকৃত সুরক্ষা স্বার্থ নিম্নবর্ণিত কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে কার্যকর হইবে না, যথা:-
(ক) দেউলিয়া সংক্রান্ত কার্যধারার কোনো স্বত্ব প্রাপকের বিরুদ্ধে, যদি দেউলিয়া আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন) অনুসারে দেউলিয়া ঘোষিত হইবার তারিখে উক্ত সুরক্ষা স্বার্থ অসম্পূর্ণকৃত থাকে; বা
(খ) কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিযুক্ত কোনো অবসায়কের বিরুদ্ধে, যদি হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অবসায়নের আদেশ প্রদানের সময় সুরক্ষা স্বার্থটি অসম্পূর্ণকৃত থাকে; বা
(গ) স্বত্ব দলিলে বা পণ্যে কোনো হস্তান্তরগ্রহীতার বিরুদ্ধে, যদি উক্ত হস্তান্তরগ্রহীতা-
(অ) সুরক্ষা চুক্তি নহে এইরূপ লেনদেনের মাধ্যমে জামানতে স্বার্থ অর্জন করেন; বা
(আ) মূল্য পরিশোধ করেন; বা
(ই) সুরক্ষা স্বার্থ সম্পর্কে অবহিত না হইয়া জামানত গ্রহণ করেন; বা
(ঘ) হিসাব ব্যতীত অন্য কোনো সম্পত্তির হস্তান্তরগ্রহীতার বিরুদ্ধে, যদি উক্ত হস্তান্তরগ্রহীতা-
(অ) সুরক্ষা চুক্তি নহে এইরূপ লেনদেনের মাধ্যমে জামানতে স্বার্থ অর্জন করেন; বা
(আ) সুরক্ষা স্বার্থ সম্পর্কে অবহিত না হইয়া মূল্য পরিশোধ করেন।
২৬। দৃশ্যমান সম্পদের উপর কোনো পূর্বস্বত্ব (lien), যাহা সুরক্ষিত স্বার্থ সংক্রান্ত কোনো সম্পদের সহিত সম্পর্কিত কোনো সামগ্রী অথবা পরিষেবার উপরে কোনো অর্থ পরিশোধ অথবা কার্যসম্পাদন এর দায় নিশ্চিত করে, তাহা সুরক্ষিত স্বার্থে উপর সামগ্রী এবং পরিষেবার উপযুক্ত মূল্য পর্যন্ত অগ্রাধিকার পাইবে, যদি-
(ক) উক্ত দায় এর সহিত সম্পর্কিত সামগ্রী অথবা পরিষেবা সাধারণ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রদান করা হইয়া থাকে; বা
(খ) দখলদার পূর্বস্বত্বের অধিকারী সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিটির দখলে থাকে।
২৭। (১) যেইক্ষেত্রে দেনাদার খেলাপী হয়, সেইক্ষেত্রে সুরক্ষিত পক্ষ নিম্নরূপ অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) সুরক্ষা চুক্তিতে উল্লিখিত অধিকার; বা
(খ) সংযুক্তির উপর কোনো সুরক্ষা স্বার্থের অধিকার; বা
(গ) জামানত যদি সুরক্ষিত পক্ষের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহা হইলে খেলাপীর বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামানতের হেফাজত ও সংরক্ষণ বিষয়ে বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো অধিকার; বা
(ঘ) অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর অধীন প্রদত্ত অধিকার।
(২) জামানতের হেফাজত ও সংরক্ষণ, জামানত বাজেয়াপ্তকরণ বা পুনঃদখলের পর জামানত হস্তান্তর করিবার অধিকার, হস্তান্তরের ফলে কোনো উদ্বৃত্ত অথবা ঘাটতি, দায় এর দাবি পূরণের জন্য জামানত ধারণ করিবার অধিকার এবং জামানতের পুনরুদ্ধার এবং সুরক্ষা চুক্তি পুনর্বহাল, পরিত্যাগ বা পরিবর্তন (যাহা প্রযোজ্য হয়) সংক্রান্ত বিষয়ে জামিনদারের অধিকার ও সুরক্ষিত পক্ষের কর্তব্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৩) চুক্তিভুক্ত যে কোনো পক্ষ কর্তৃক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করা হইলে, যে কোনো পক্ষ অথবা ঋণ খেলাপীর ক্ষেত্রে ঋণদাতা ধারা ২৮ এর বিধান সাপেক্ষে, আদালতে প্রতিকার প্রাপ্তির জন্য আবেদন করিতে পারিবে।
২৮। (১) সুরক্ষা চুক্তির বাস্তবায়ন, চুক্তিভুক্ত যে কোনো পক্ষ কর্তৃক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, চুক্তির ব্যাখ্যা, নিবন্ধন এবং তৎসম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে পক্ষগণের মধ্যে কোনো বিরোধ বা ভিন্নমতের সৃষ্টি হইলে, উহা নিরসনকল্পে পক্ষগণ নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে উহার নিষ্পত্তি করিবে।
(২) দেনাদার চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হইলে, ঋণদাতা ও দেনাদার নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ঋণদাতা কোনো প্রাপ্যতার অধিকার অথবা কোনো ব্যাংক একাউন্টে জমাকৃত কোনো অর্থ তহবিলসহ দায়যুক্ত যে কোনো সম্পত্তি অথবা জামানতকৃত অস্থাবর সম্পত্তি আদালতে আবেদন ব্যতীত স্বীয় দখলে গ্রহণ করিয়া সুরক্ষিত পাওনাদার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা বিক্রয়পূর্বক, অথবা স্বীয় দখল বহাল রাখিয়া, সংশ্লিষ্ট পাওনা পরিশোধিত গণ্যে বিষয়টি আপোষে-নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।
(৩) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মামলা চলাকালীন মামলার পক্ষগণ আদালতের বাহিরে উক্ত মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং পক্ষগণ নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আপোষে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সমঝোতায় উপনীত হইলে তাহাদের লিখিত যৌথ আবেদনের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি করা যাইবে।
২৯। অস্থাবর সম্পত্তির উপর সুরক্ষিত স্বার্থ সৃষ্টি, উহার ব্যবহারসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করিতে হইবে।
৩০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
৩১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
৩২। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।
৩৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে একটি অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।
(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।