প্রিন্ট ভিউ
Customs Act, 1969 রহিতক্রমে যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) রহিতক্রমে যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। (১) এই আইন কাস্টমস আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।
* এস, আর, ও নং ১৫৩-আইন/২০২৪, তারিখ: ২৮ মে, ২০২৪ ইং দ্বারা ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ৬ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) “আপিল ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ২২৫ এর অধীন গঠিত কাস্টমস, এক্সাইজ এবং মূল্য সংযোজন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল;
(২) “আমদানি” অর্থ বিদেশ হইতে কোনো পণ্য বাংলাদেশে আনয়ন করা;
(৩) “আমদানিকারক” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি স্বয়ং বা যাহার পক্ষে কোনো পণ্য আমদানি করা হয়, এবং উক্ত পণ্য আমদানির সময় হইতে কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত উহার মালিক বা দখলের অধিকার বা স্বার্থ রহিয়াছে এইরূপ প্রাপক (consignee) বা ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪) “আমদানিকৃত” অর্থ বিদেশ হইতে বাংলাদেশে আনীত হইয়াছে বা প্রবেশ করানো হইয়াছে এইরূপ কোনো পণ্য, এবং বাংলাদেশে আনীত বা আগত কোনো পরিত্যক্ত (derelict) পণ্য, জাহাজ হইতে নিক্ষিপ্ত (jetsam) পণ্য, ডুবন্ত জাহাজের ভাসমান (flotsam) পণ্য বা উহার ধ্বংসাবশেষও (wreck) ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৫) “আমদানি শুল্ক ও কর” অর্থ পণ্য আমদানির সহিত সম্পর্কিত বা আমদানিকৃত পণ্যের উপর ধারা ১৮, ১৯, ২০ ও ২৩ এর অধীন আরোপণীয়, ক্ষেত্রমত, কাস্টমস শুল্ক ও অন্য কোনো শুল্ক, কর বা চার্জ এবং রেগুলেটরি, কাউন্টারভেইলিং, অ্যান্টি- ডাম্পিং ও সেইফগার্ড শুল্ক; তবে ধারা ২৪ এর অধীন প্রদত্ত কোনো সেবার জন্য ফি বা কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বোর্ড কর্তৃক সংগৃহীত কোনো চার্জ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৬) “উপকূলীয় পণ্য” অর্থ কাস্টমস শুল্ক পরিশোধিত হয় নাই এইরূপ আমদানিকৃত পণ্য ব্যতীত বাংলাদেশের এক বন্দর হইতে অন্য বন্দরে নৌযানযোগে পরিবহণকৃত পণ্য;
(৭) “উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ” অর্থ পণ্য আমদানি বা রপ্তানি সম্পর্কিত কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য আইন দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সরকারি সংস্থা;
(৮) “এজেন্ট” অর্থ শিপিং এজেন্ট, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট, কার্গো এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং এজেন্টসহ ধারা ২৪৩ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা ধারা ২৪৪ এর অধীন কার্যাবলি পরিচালনা করিবার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৯) “ওয়্যারহাউস” অর্থ ধারা ১১ এর অধীন ঘোষিত বা ধারা ১২ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো স্থান;
(১০) “ওয়্যারহাউসিং স্টেশন” অর্থ ধারা ১০ এর অধীন ওয়্যারহাউসিং স্টেশন হিসাবে ঘোষিত কোনো স্থান;
(১১) “কার্গো ঘোষণা” অর্থ ধারা ৪৮ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৫৫ এর অধীন প্রদত্ত কোনো কার্গো ঘোষণা;
(১২) “কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকা;
(১৩) “কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ- কন্টেইনার টার্মিনাল” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ- কন্টেইনার টার্মিনাল হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকা;
(১৪) “কাস্টমস এলাকা” অর্থ ধারা ৯ এর অধীন নির্ধারিত কাস্টমস স্টেশনের সীমা, এবং আমদানিকৃত বা রপ্তানির জন্য কোনো পণ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ছাড় প্রদানের পূর্বে যে এলাকায় সাধারণত রক্ষিত থাকে সেই এলাকাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৫) “কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম” অর্থ বোর্ড কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বা নিয়োজিত কোনো কাস্টমস কম্পিউটারাইজড প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি, যাহা এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদ্ধতির সহিত উপযুক্ত বা প্রয়োজনীয়ভাবে আন্তঃসংযোগকৃত;
(১৬) “কাস্টমস কর্মকর্তা” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা;
(১৭) “কাস্টমস বিমানবন্দর” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষিত কোনো বিমানবন্দর;
(১৮) “কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ” অর্থ বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে পণ্য আমদানি, রপ্তানি, ট্রানজিট, স্থানান্তর ও মজুদ এবং আমদানিকৃত পণ্যের অবস্থান ও স্থানান্তর সম্পর্কিত এই আইনের বিধানসমূহের প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোনো কার্যক্রম;
(১৯) “কাস্টমস পদ্ধতি” অর্থ কাস্টমস বিষয়ক নিম্নবর্ণিত যে কোনো পদ্ধতি, যথা:-
(ক) দেশীয় ভোগের জন্য ছাড় প্রদান;
(খ) সাময়িক আমদানি;
(গ) ইনওয়ার্ড প্রসেসিং;
(ঘ) আউটওয়ার্ড প্রসেসিং;
(ঙ) কাস্টমস ওয়্যারহাউসিং;
(চ) ট্রানজিট;
(ছ) ট্রান্সশিপমেন্ট;
(জ) রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রী;
(ঝ) রপ্তানি; বা
(ঞ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য কোনো পদ্ধতি;
(২০) “কাস্টমস বন্দর” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস বন্দর হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকা;
(২১) “কাস্টমস মূল্য (assessable value)” অর্থ ধারা ২৭ অনুযায়ী নিরূপিত মূল্য, যাহা কোনো পণ্যের উপর কাস্টমস শুল্ক আরোপণের ভিত্তি;
(২২) “কাস্টমস শুল্ক” অর্থ প্রথম তফসিলে উল্লিখিত কোনো শুল্ক, অথবা বাংলাদেশে পণ্য প্রবেশ বা প্রস্থান সংক্রান্ত প্রচলিত অন্য কোনো আইনের অধীন প্রদেয় কোনো শুল্ক;
(২৩) “কাস্টমস স্টেশন” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন, সময় সময়, ঘোষিত কোনো কাস্টমস বন্দর, কাস্টমস বিমানবন্দর, স্থল কাস্টমস স্টেশন, কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো, কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ- কনটেইনার টার্মিনাল, বা অনুরূপ অন্য কোনো এলাকা;
(২৪) “চোরাচালান” অর্থ আপাতত বলবৎ কোনো আইনের অধীন আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা বা বিধি- নিষেধ লঙ্ঘন করিয়া অথবা আরোপণীয় কাস্টমস শুল্ক বা কর ফাঁকি দিয়া নিম্নবর্ণিত কোনো পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনয়ন করা বা বাহিরে লইয়া যাওয়া, যথা:-
(ক) মাদক দ্রব্য, নেশাজাতীয় ঔষধ বা সাইকোট্রপিক বস্তু;
(খ) স্বর্ণবার, রৌপ্যবার, প্লাটিনাম, প্যালাডিয়াম, রেডিয়াম, মহামূল্যবান পাথর, মুদ্রা অথবা স্বর্ণ, রৌপ্য, প্লাটিনাম, প্যালাডিয়াম বা কোনো মহামূল্যবান পাথরের তৈরিবস্তু অথবা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যমানের কোনো পণ্য;
(গ) কোনো জাহাজ, নৌযান, উড়োজাহাজ বা অন্য কোনো যানবাহনের কোনো স্থানে অথবা কোনো ব্যাগেজ বা কোনো পণ্যের মধ্যে বা কোনো ব্যক্তির দেহে যে কোনো প্রকারে লুকানো (concealed) কোনো পণ্য; বা
(ঘ) ধারা ৮ বা ধারা ৯ এর অধীন ঘোষিত কোনো রুট ব্যতীত অন্য কোনো রুটে (route) কাস্টমস স্টেশন ব্যতীত অন্য কোনো স্থান হইতে আনীত বা বাহিরে লওয়া কোনো পণ্য; এবং উক্ত পণ্য উল্লিখিতভাবে আনয়ন করিবার বা বাহিরে নেওয়ার জন্য কোনো প্রচেষ্টা, প্ররোচনা বা সমর্থনও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে এবং সকল সমজাতীয় শব্দ ও অভিব্যক্তিসমূহের ব্যাখ্যা তদনুসারে হইবে; বা
(ঙ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য কোনো পণ্য;
(২৫) “জেটি (wharf)” অর্থ ধারা ৯ এর দফা (খ) এর অধীন কাস্টমস বন্দরে পণ্য বা কোনো পণ্যশ্রেণি বোঝাই ও খালাস করিবার জন্য অনুমোদিত কোনো স্থান;
(২৬) “দণ্ডবিধি” অর্থ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860);
(২৭) “দেওয়ানি কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);
(২৮) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, আদেশ বা প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত;
(২৯) “ন্যায়নির্ণয়ন (adjudication)” অর্থ জরিমানা আরোপযোগ্য কাস্টমস অপরাধ বিষয়ে যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত প্রশাসনিক কার্যক্রম;
(৩০) “পণ্য” অর্থ যে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি এবং নিম্নবর্ণিত পণ্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
(ক) যানবাহন;
(খ) রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রী;
(গ) ব্যাগেজ;
(ঘ) ইলেক্ট্রনিক ডাটা;
(ঙ) মুদ্রা এবং বিনিময়যোগ্য দলিলপত্র (negotiable instruments); এবং
(চ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত অন্য কোনো পণ্য;
(৩১) “পণ্য ঘোষণা” অর্থ ধারা ৮১ এর বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত কোনো পণ্যের ঘোষণা;
(৩২) “পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস (H.S. Classification)” অর্থ World Customs Organization (WCO) কর্তৃক উদ্ভাবিত Harmonized Commodity Description and Coding System অনুসরণপূর্বক প্রণীত, এই আইনের প্রথম তফসীল অনুযায়ী পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস;
(৩৩) “সভাপতি” অর্থ আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি;
(৩৪) “ফৌজদারি কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898);
(৩৫) “বাংলাদেশ কাস্টমস জলসীমা” অর্থ বাংলাদেশের যথোপযুক্ত উপকূলের তটরেখা হইতে পরিমাপকৃত ২৪ (চব্বিশ) নটিক্যাল মাইল দূরত্ব পর্যন্ত সমূদ্রের মধ্যে বিস্তৃত জলসীমা;
(৩৬) “বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান” অর্থ বাংলাদেশের কোনো স্থায়ী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে অবস্থানের অনুমতিপ্রাপ্ত বা আইনগতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ও নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যক্তিসংঘ;
(৩৭) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি;
(৩৮) “বোর্ড” অর্থ National Board of Revenue Order, 1972 (President’s Order No. 76 of 1972) এর অধীন গঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড;
(৩৯) “ব্যক্তি” অর্থে কোনো কোম্পানি, অংশীদারিত্বমূলক কারবার, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সমিতি বা ব্যক্তি সংঘও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪০) “ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি” অর্থ-
(ক) নৌযানের ক্ষেত্রে, মাস্টার;
(খ) উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে, কমান্ডার বা পাইলট;
(গ) রেলওয়ে ট্রেনের ক্ষেত্রে, কন্ডাক্টর, পরিচালক বা পরিচালক হিসাবে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি; বা
(ঘ) অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে, চালক বা উহার নিয়ন্ত্রণকারী;
(৪১) “মাস্টার” অর্থ, নৌযানের ক্ষেত্রে, পাইলট বা হারবার মাস্টার ব্যতীত উক্ত নৌযানের উপর কর্তৃত্ব বা দায়িত্ব রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তি;
(৪২) “যথাযথ কর্মকর্তা (appropriate officer)” অর্থ এই আইনের অধীন কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে, এই আইনের দ্বারা বা অধীন, উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা;
(৪৩) “যানবাহন” অর্থ জলে, স্থলে বা আকাশপথে পণ্য বা যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত যে কোনো প্রকারের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহন;
(৪৪) “রপ্তানি শুল্ক ও কর” অর্থ পণ্য রপ্তানির সহিত সম্পর্কিত বা রপ্তানিতব্য পণ্যের উপর আরোপণীয় কাস্টমস শুল্কসহ অন্য সকল প্রকারের শুল্ক, কর বা চার্জ, তবে ধারা ২৪ এর অধীন প্রদত্ত কোনো সেবার জন্য ফি বা অন্য কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বোর্ড কর্তৃক সংগৃহীত চার্জ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৪৫) “রপ্তানিকারক” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি স্বয়ং বা যাহার পক্ষে কোনো পণ্য রপ্তানি করা হয়, এবং উক্ত পণ্য রপ্তানির ঘোষণা প্রদানের পর এবং রপ্তানির পূর্ব পর্যন্ত উহার মালিক বা দখলের অধিকার বা স্বার্থ রহিয়াছে বা থাকিবে, এইরূপ প্রেরক (consignor) বা ব্যক্তিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪৬) “রপ্তানি কার্গো ঘোষণা” অর্থ ধারা ৫৫ এর অধীন প্রদত্ত কোনো রপ্তানি কার্গো ঘোষণা;
(৪৭) “রসদ ও ভাণ্ডার” অর্থ কোনো যানবাহনে ব্যবহারের জন্য বা সঞ্চিত কোনো পণ্য এবং, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারের জন্য হউক বা না হউক, জ্বালানি, খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ এবং যানবাহনের যাত্রীদের নিকট খুচরা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উক্ত যানবাহনে বহনকৃত অন্য কোনো পণ্যও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪৮) “শুল্ক ও কর” অর্থ আমদানি শুল্ক ও কর অথবা রপ্তানি শুল্ক ও কর;
(৪৯) “স্থল কাস্টমস স্টেশন” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসহ স্থল কাস্টমস স্টেশন হিসাবে ঘোষিত কোনো স্থান।
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
কাস্টমস কর্মকর্তা নিয়োগ এবং ক্ষমতা
৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড, 1[আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে] উল্লিখিত কোনো এলাকা বা কার্যক্রমের জন্য যে কোনো ব্যক্তিকে নিম্নবর্ণিত পদে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) কমিশনার অব কাস্টমস;
(খ) কমিশনার অব কাস্টমস (আপিল);
(গ) কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড);
(ঘ) কমিশনার অব কাস্টমস (কাস্টমস মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা);
(ঙ) কমিশনার অব কাস্টমস (বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইনডো);
(চ) কমিশনার অব কাস্টমস (কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা);
(ছ) ডিরেক্টর জেনারেল (কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত);
(জ) ডিরেক্টর জেনারেল (কাস্টমস রেয়াত ও প্রত্যর্পণ);
(ঝ) ডিরেক্টর জেনারেল (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট প্রশিক্ষণ একাডেমি);
(ঞ) ডিরেক্টর জেনারেল (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল);
(ট) অ্যাডিশনাল কমিশনার অব কাস্টমস, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বা ডিরেক্টর (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল);
(ঠ) জয়েন্ট কমিশনার অব কাস্টমস বা ডিরেক্টর বা জয়েন্ট ডিরেক্টর (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল);
(ড) ডেপুটি কমিশনার অব কাস্টমস বা উপ- পরিচালক;
(ঢ) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর;
(ণ) রাজস্ব কর্মকর্তা;
(ত) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা; এবং
(থ) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পর্যায়ের নিম্নে নহে এইরূপ অন্য যে কোনো পদবীর কাস্টমস কর্মকর্তা।
৫। কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা এই আইনের দ্বারা অথবা অধীনে তাহাকে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ বা তাহার উপর অর্পিত কর্তব্য পালন করিবেন; এবং তিনি, তাহার অধস্তন যে কোনো কর্মকর্তাকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং তাহার উপর অর্পিত সকল কর্তব্য সম্পাদন করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড, সাধারণ অথবা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালনের উপর যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ সীমা নির্ধারণ এবং শর্ত আরোপ করিতে পারিবে।
৬। 2[(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বা ক্ষেত্রমত, সদস্য (কাস্টমস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন।
(১ক) বোর্ড, আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তাকে তাহার অব্যবহিত উচ্চতর পদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।]
(২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্ত ও সীমা সাপেক্ষে, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব অন্য যে কোনো সরকারি কর্মকর্তার উপর অর্পণ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৮ এর অধীন ঘোষিত কাস্টমস বন্দর, কাস্টমস বিমানবন্দর, স্থল কাস্টমস স্টেশন এর ক্ষেত্রে উক্তরূপ ক্ষমতা অর্পণ করা যাইবে না এবং কাস্টমস পদ্ধতি প্রয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তার কাজে হস্তক্ষেপ বা নিয়ন্ত্রণ আরোপযোগ্য হইবে না।
৭। কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সরকারি, আধা- সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, বিধিবদ্ধ সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সহায়তা করিবেন।
তৃতীয় অধ্যায়
বন্দর, বিমান বন্দর, স্থল কাস্টমস স্টেশন, ইত্যাদি ঘোষণা
৮। (১) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,-
(ক) যে সকল বন্দর ও বিমানবন্দরে আমদানিকৃত পণ্য বা পণ্যশ্রেণি নামানো হয় এবং রপ্তানিতব্য পণ্য বা পণ্যশ্রেণি বোঝাই করা হয়, সেই সকল বন্দর ও বিমানবন্দরকে, যথাক্রমে, কাস্টমস বন্দর ও কাস্টমস বিমানবন্দর হিসাবে;
(খ) যে স্থানে স্থলপথে অথবা অভ্যন্তরীণ জলপথে আমদানিকৃত পণ্য নামানো হয় বা রপ্তানিতব্য পণ্য বোঝাই করা হয় অথবা যে কোনো পণ্য বা পণ্যশ্রেণি নামানো বা বোঝাই করা হয়, সেই সকল স্থানকে স্থল কাস্টমস স্টেশন অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ- কন্টেইনার টার্মিনাল হিসাবে; এবং
(গ) কোন কোন রুটের মাধ্যমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত, কোন পণ্য বা পণ্যশ্রেণি স্থলপথে বা অভ্যন্তরীণ জলপথে বা কোন স্থল কাস্টমস স্টেশন বা কাস্টমস স্টেশন বা কোন সীমান্ত দিয়া আমদানি বা রপ্তানি করা যাইবে, উহা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে কোনো রুটকে কাস্টমস রুট হিসাবে-
ঘোষণা করিতে পারিবে।
(২) কেবল সে সকল স্থানকে কাস্টমস বন্দর হিসাবে ঘোষণা করা যাইবে, যে সকল স্থান হইতে বাংলাদেশের কোনো নির্ধারিত কাস্টমস বন্দরের সহিত উপকূলীয় বাণিজ্য পরিচালনা করা হয় এবং, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যাহা কাস্টমস হাউস এবং উহার সীমানা হিসাবে গণ্য হয়।
৯। বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা-
(ক) কোনো কাস্টমস স্টেশনের সীমানা নির্ধারণ করিতে পারিবে;
(খ) কোনো কাস্টমস স্টেশনে পণ্য বা পণ্যশ্রেণি বোঝাই এবং খালাস করিবার জন্য যথাযথ স্থান হিসাবে অনুমোদন করিতে পারিবে; এবং
(গ) বেসরকারি খাতের সহিত আলোচনা এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয়পূর্বক কাস্টমস স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালনার সময়সীমা নির্ধারণ করিতে পারিবে।
১০। বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো সুনির্দিó স্থানকে ওয়্যারহাউসিং স্টেশন ঘোষণা করিতে পারিবে।
১১। কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কমিশনার অব কাস্টমস, সময় সময়, যে কোনো ওয়্যারহাউসিং স্টেশনকে সরকারি ওয়্যারহাউস নির্ধারণ করিতে পারিবে, যেস্থানে শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে জমা রাখা যাইবে।
১২। (১) কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কমিশনার অব কাস্টমস, উপ- ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোনো ওয়্যারহাউসিং স্টেশনে, কোনো ভবন বা ভবনের অংশবিশেষ বা আবদ্ধ কোনো স্থানকে (enclosure), নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে বেসরকারি ওয়্যারহাউস হিসাবে পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) লাইসেন্সি কর্তৃক বা তাহার পক্ষে আমদানিকৃত শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য মজুদ রাখা;
(খ) সরকারি ওয়্যারহাউসে মজুদ রাখিবার মত সুবিধা নাই এইরূপ যে কোনো আমদানিকৃত পণ্য মজুদ রাখা; অথবা
(গ) আমদানিকৃত শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য হইতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পণ্য প্রক্রিয়াকরণ বা প্রস্তুত করা।
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:-
(ক) বেসরকারি ওয়্যারহাউসের লাইসেন্স মঞ্জুর ও বেসরকারি ওয়্যারহাউসের ব্যবস্থাপনা;
(খ) বেসরকারি ওয়্যারহাউসের পরিচালনা ও উহার প্রকৃতি এবং ওয়্যারহাউসে মজুদযোগ্য পণ্যের উপর শর্ত, সীমাবদ্ধতা বা বিধিনিষেধ; এবং
(গ) ওয়্যারহাউসের আমদানি প্রাপ্যতা।
(৩) কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) বা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস, এই ধারার অধীন প্রাপ্ত লাইসেন্সিকে ওয়্যারহাউসে মজুদকৃত পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক ও কর পরিশোধ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে, গ্যারান্টি প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৪) কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) বা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস, উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স নিম্নবর্ণিত যে কোনো কারণে স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) লাইসেন্সি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান বা লাইসেন্সের কোনো শর্ত ভঙ্গ করিলে; বা
(খ) জনস্বার্থে কোনো লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা উপযুক্ত বিবেচিত হইলে।
(৫) উপ- ধারা (৪) এর দফা (খ) এর অধীন লাইসেন্স স্থগিতের ক্ষেত্রে, বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্সিদের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন ইস্যুকৃত ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) স্থগিত থাকিবে।
(৬) উপ- ধারা (৪) এর অধীন লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা সত্ত্বেও, কোনো লাইসেন্সির নিকট এই আইনের অধীন কোনো সরকারি পাওনা থাকিলে, উক্ত পাওনা আদায় কার্যক্রম অব্যাহত থাকিবে।
১৩। কমিশনার অব কাস্টমস, সময় সময়, কাস্টমস বন্দরে বা উহার নিকটবর্তী স্থানে স্টেশন অথবা উহার সীমা নির্ধারণ করিতে পারিবেন, যে স্থানে অথবা যে সীমার মধ্যে উক্ত বন্দরে আগমনকারী অথবা বন্দর হইতে বহির্গমনকারী জাহাজকে কাস্টমস কর্মকর্তাগণের আরোহণ বা অবতরণের জন্য আনয়ন করিতে হইবে, এবং Ports Act, 1908 (Act No. XV of 1908) এ যদি কোনো ভিন্ন ব্যবস্থা না করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে পাইলট কর্তৃক বন্দরে আনীত হয় নাই এইরূপ জাহাজ বন্দরের কোন্ নির্দিষ্ট স্থানে নোঙর করিবে অথবা ভিড়াইবে, তাহার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
চতুর্থ অধ্যায়
ইলেকট্রনিক রেকর্ড এবং পেমেন্ট
১৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের অধীন কোন কোন দলিল বা পেমেন্ট ইলেকট্রনিক মাধ্যমে দাখিল বা প্রদান করা যাইবে উহা নির্দিষ্ট করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড উপ- ধারা (১) এর অধীন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে দলিল দাখিল বা পেমেন্ট প্রদান করিবার পদ্ধতি এবং তদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
১৫। বোর্ড ইলেকট্রনিক মাধ্যমে দাখিলকৃত দলিল বা প্রদানকৃত পেমেন্ট সম্পর্কিত তথ্য ইলেকট্রনিক রেকর্ডে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য সংরক্ষণ করিবে।
১৬। ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে দলিল দাখিল বা পেমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।
পঞ্চম অধ্যায়
আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ
১৭। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করা যাইবে না, যথা:-
(ক) নকল ধাতব মুদ্রা;
(খ) জাল বা নকল কারেন্সি নোট এবং অন্য কোনো নকল দ্রব্য;
(গ) কোনো অশ্লীল পুস্তক, পুস্তিকা, কাগজ, ড্রইং, প্রতিকৃতি, আলোকচিত্র, চলচ্চিত্র বা বস্তু, ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিং, সিডি অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে রেকর্ডিং;
(ঘ) বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৩০ নং আইন) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া আনিত পণ্য;
(ঙ) নকল ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য;
(চ) দণ্ডবিধির আওতাধীন নকল ট্রেডমার্কযুক্ত পণ্য অথবা ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৯ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৫) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী মিথ্যা ট্রেড বর্ণনা সংবলিত পণ্য;
(ছ) বাংলাদেশের বাহিরে প্রস্তুত খণ্ড পণ্যসমূহ (piece- goods) (যাহা সাধারণত দৈর্ঘ্য বা খণ্ড হিসাবে বিক্রয় করা হয়), যদি না বাংলাদেশে আপাতত প্রযোজ্য প্রমিত (standard) মিটারে বা অন্য কোনো পরিমাপে উহার প্রকৃত দৈর্ঘ্য সংখ্যায় প্রতিটি খণ্ডে সুস্পষ্টভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত বা অন্য কোনোভাবে মুদ্রিত থাকে;
(জ) বাংলাদেশে বলবৎ পেটেন্ট আইনের এর অধীন কোনো পেটেন্ট এর স্বত্বাধিকারীর স্বত্ব লঙ্ঘন করিয়া প্রস্তুতকৃত পণ্য;
(ঝ) বাংলাদেশে বলবৎ কপিরাইট আইনের এর অধীন কোনো কপিরাইট এর স্বত্বাধিকারীর স্বত্ব লঙ্ঘন করিয়া প্রস্তুতকৃত পণ্য;
(ঞ) অন্য কোনো আইনের অধীন নিষিদ্ধ কোনো পণ্য; এবং
(ট) বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দিষ্টকৃত কোনো পণ্য।
(২) সরকার, সময়ে সময়ে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনয়ন বা বাংলাদেশের বাহিরে নেওয়া নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
কাস্টমস শুল্ক আরোপ ও অব্যাহতি
১৮। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, আমদানিকৃত বা রপ্তানিতব্য সকল পণ্যের উপর প্রথম তফসিলে বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন নির্ধারিত হারে কাস্টমস শুল্ক প্রদেয় হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক আরোপণীয় কোনো শুল্ক ও কর আরোপ বা আদায় করা হইবে না, যদি কোনো একটি চালানের পণ্যমূল্য ২ (দুই) হাজার টাকার অধিক না হয়।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেইরূপ সমীচীন মনে করিবে সেইরূপ শর্ত, সীমা বা বিধি- নিষেধ আরোপ সাপেক্ষে, প্রথম তফসিলে বিনির্দিষ্ট সকল বা যে কোনো পণ্যের উপর উক্ত তফসিলে নির্ধারিত কাস্টমস শুল্কের সর্বোচ্চ হারের দ্বিগুণের অধিক নয়, এমন হারে রেগুলেটরি শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- কোনো পণ্যের উপর রেগুলেটরি শুল্কের হার উক্ত পণ্যের উপর প্রথম তফসিলে নির্ধারিত আরোপযোগ্য কাস্টমস শুল্ক হারের অধিক হইতে পারিবে, তবে উক্ত রেগুলেটরি শুল্ক উক্ত তফসিলের সর্বোচ্চ কাস্টমস শুল্ক হারের দ্বিগুণের অধিক হইতে পারিবে না।
(৩) উপ ধারা (২) এর অধীন আরোপিত রেগুলেটরি শুল্ক উপ ধারা (১) অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপিত শুল্কের অতিরিক্ত হইবে।
(৪) উপ ধারা (২) এর অধীন জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন পূর্বে রহিত করা না হইলে, যেই অর্থ- বৎসরে উহা জারি করা হইয়াছে সেই অর্থ- বৎসর সমাপনান্তে (on the expiry) উহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রহিত হইয়া যাইবে।
১৯। (১) যদি কোনো দেশ বা এলাকা কোনো পণ্যের প্রস্তুত বা উৎপাদন অথবা উক্ত স্থান হইতে রপ্তানিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, উক্ত পণ্য পরিবহণে ভর্তুকিসহ অন্য কোনো ভর্তুকি প্রদান করে, তাহা হইলে, উক্ত পণ্য যে দেশে প্রস্তুত, উৎপাদিত বা ভিন্নভাবে প্রাপ্ত, সেই দেশ হইতে সরাসরি আমদানি করা হউক বা না হউক এবং উহা প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত দেশ হইতে রপ্তানির সময়ে যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় বা প্রস্তুতকরণ, উৎপাদন দ্বারা বা ভিন্নভাবে পরিবর্তিত অবস্থায় আমদানি করা হউক না কেন, উক্ত পণ্য আমদানির ফলে অনুরূপ দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা হইবার সম্ভাবনা থাকিলে এবং আমদানির সহিত দেশীয় উক্ত শিল্পের ক্ষতির কার্যকারণ সম্পর্ক থাকিলে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশক্রমে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহার উপর উক্ত ভর্তুকির অধিক নহে, এইরূপ পরিমাণ কাউন্টারভেইলিং শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ভর্তুকি প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি-
(ক) রপ্তানিকারক বা উৎপাদক দেশের অভ্যন্তরে সরকার বা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক সহায়তা থাকে, যেখানে-
(অ) সরকারের কোনো প্রচলিত কার্যক্রম, যাহাতে সরাসরি তহবিল হস্তান্তর (কোনো অনুদান, ঋণ এবং অংশীদারি মূলধন প্রবাহসহ) অথবা তহবিল বা দায় বা উভয়ের সম্ভাব্য (potential) সরাসরি হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট থাকে;
(আ) সরকারি রাজস্ব, যাহা অন্যবিধভাবে প্রাপ্য থাকা সত্ত্বেও ছাড় দেয়া হয় বা আদায় করা না হয় (আর্থিক প্রণোদনাসহ);
(ই) সরকার সাধারণ অবকাঠামো ব্যতিরেকে অন্য যে কোনো পণ্য বা সেবা প্রদান করে অথবা পণ্য ক্রয় করে;
(ঈ) উপ- দফা (অ) (আ) বা (ই) তে বর্ণিত এক বা একাধিক ধরনের কার্যক্রম, যাহা সচরাচর সরকারের উপর ন্যস্ত থাকে, তাহা পরিচালনার জন্য সরকার কোনো অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় তহবিল সরবরাহ করে অথবা কোনো বেসরকারি সংস্থার উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করে অথবা নির্দেশ প্রদান করে, যাহার প্রচলিত পদ্ধতি প্রকৃত অর্থে সরকার কর্তৃক সচরাচর অনুসৃত পদ্ধতি হইতে ভিন্ন না হয়; অথবা
(খ) সরকার যে কোনো ধরনের আয় বা মূল্য সহায়তা প্রদান করে বা বহাল রাখে, যাহা উক্ত দেশ হইতে কোনো পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি বা উক্ত দেশে কোনো পণ্যের আমদানি হ্রাসে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়ক হয় এবং ইহার ফলে কোনো সুবিধা প্রদত্ত হয়।
(২) ভর্তুকির পরিমাণ নির্ধারণ সাপেক্ষে, সরকার, এই ধারার বিধান এবং তদ&ধীন প্রণীত বিধি অনুসারে সাময়িকভাবে প্রাক্কলিত ভর্তুকির অধিক নহে এইরূপ কাউন্টারভেইলিং শুল্ক এই উপ- ধারার অধীনে আরোপ করিতে পারিবে, এবং যদি উক্ত কাউন্টারভেইলিং শুল্ক পরবর্তীকালে নির্ধারিত ভর্তুকির পরিমাণ হইতে অধিক হয়, তাহা হইলে সরকার-
(ক) উক্ত ভর্তুকি নির্ধারণের বিষয় বিবেচনায় রাখিয়া এবং যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত নির্ধারণের পরে উক্ত কাউন্টারভেইলিং শুল্ক হ্রাস করিবে; এবং
(খ) এইরূপ হ্রাস করিবার ফলে যে পরিমাণ অতিরিক্ত কাউন্টারভেইলিং শুল্ক আদায় হইয়াছে উহা ফেরত প্রদান করিবে।
(৩) উপ- ধারা (১) বা (২) এর অধীন কাউন্টারভেইলিং শুল্ক আরোপিত হইবে না, যদি না ইহা নিরূপিত হয় যে-
(ক) ভর্তুকি কোনো রপ্তানি সক্ষমতার সহিত সম্পর্কিত; বা
(খ) ভর্তুকি রপ্তানিকৃত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমদানিকৃত কাঁচামালের পরিবর্তে স্থানীয় কাঁচামালের ব্যবহার সম্পর্কিত; অথবা
(গ) পণ্য প্রস্তুতকরণ, উৎপাদন বা রপ্তানিতে নিয়োজিত কতিপয় সীমিত সংখ্যক ব্যক্তিকে ভর্তুকি প্রদান করা হইয়াছে, যদি না উক্ত ভর্তুকি-
(অ) প্রস্তুতকরণ, উৎপাদন বা রপ্তানিতে নিয়োজিত ব্যক্তি কর্তৃক বা তাহার পক্ষে পরিচালিত গবেষণা কার্যের জন্য; বা
(আ) রপ্তানিকারক দেশের অভ্যন্তরে কোনো অনগ্রসর এলাকার সহায়তার জন্য; বা
(ই) নূতন পরিবেশগত আবশ্যকতার সহিত বিদ্যমান সুবিধাদির অভিযোজন উন্নয়নকল্পে সহায়তার জন্য-
প্রদান করা হয়।
(৪) যদি সরকার এই অভিমত পোষণ করে যে, ভর্তুকি সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্য তুলনামূলক স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণে আমদানির ফলে স্থানীয় শিল্পের স্বার্থহানি হইয়াছে, যাহা পূরণ করা কঠিন এবং যেক্ষেত্রে উক্ত স্বার্থহানির পুনরাবৃত্তি রোধ করিবার জন্য ভূতাপেক্ষভাবে কাউন্টারভেইলিং শুল্ক আরোপ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে সেইক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ- ধারা (২) এর অধীন কাউন্টারভেইলিং শুল্ক আরোপের পূর্ববর্তী কোনো তারিখ হইতে ভূতাপেক্ষভাবে কাউন্টারভেইলিং শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে; তবে উহা উক্ত উপ- ধারার অধীন প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের পূর্বে হইবে না এবং, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত শুল্ক এই উপ- ধারার অধীন জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখ হইতে প্রদেয় হইবে।
(৫) এই ধারার অধীন আরোপযোগ্য কাউন্টারভেইলিং শুল্ক এই আইন অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপিত অন্যান্য শুল্কের অতিরিক্ত হইবে।
(৬) পূর্বেই প্রত্যাহার করা না হইলে, এই ধারার অধীন আরোপিত কাউন্টারভেইলিং শুল্ক, আরোপের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর সমাপ্তির পর অকার্যকর হইয়া যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার পুনর্বিবেচনা করিয়া যদি এই অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে ভর্তুকি কার্যক্রম এবং স্বার্থহানি অব্যাহত থাকিতে অথবা উহাদের পুনরাবৃত্তি ঘটিতে পারে, তাহা হইলে সরকার, সময় সময়, এই শুল্ক আরোপের মেয়াদ অতিরিক্ত ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য মেয়াদের জন্য বৃদ্ধি করিতে পারিরে:
আরও শর্ত থাকে যে, যদি উল্লিখিত ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদ সমাপ্তি হওয়ার পূর্বে আরম্ভ হওয়া কোনো পুনর্বিবেচনা কার্যক্রম উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে চূড়ান্ত না হয়, তাহা হইলে, পুনর্বিবেচনার ফলাফল সাপেক্ষে, কাউন্টারভেইলিং শুল্ক ১ (এক) বৎসরের অধিক নহে, এইরূপ অতিরিক্ত সময়ের জন্য বলবৎ থাকিবে।
(৭) সরকার, সময় সময় যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপ তদন্তের পর উপ- ধারা (১) বা (২) এ উল্লিখিত ভর্তুকির পরিমাণ নিরূপণ ও নির্ধারণ করিবে এবং এইরূপ পণ্য শনাক্তকরণ ও আমদানির পর এই ধারার অধীন আরোপিত কাউন্টারভেইলিং শুল্ক নিরূপণ ও আদায় করিবার জন্য বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
(৮) এই ধারার অধীন কাউন্টারভেইলিং শুল্ক আরোপের কোনো কার্যক্রম শুরু করা যাইবে না, যদি না কোনো স্থানীয় শিল্প কর্তৃক অথবা উহার পক্ষ হইতে পেশকৃত লিখিত আবেদন প্রাপ্তির পর অথবা স্ব- প্রণোদিত হইয়া বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন সরকারকে অবহিত করে যে, কোনো নির্দিষ্ট আমদানিকৃত পণ্যের উপর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভর্তুকির কারণে সৃষ্ট স্বার্থহানির দৃশ্যমান প্রমাণ রহিয়াছে।
২০। (১) যদি কোনো দেশ অথবা এলাকা, অতঃপর এই ধারায় রপ্তানিকারক দেশ অথবা এলাকা বলিয়া উল্লিখিত, হইতে কোনো পণ্য উহার স্বাভাবিক মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয় এবং উক্ত রপ্তানির ফলে দেশীয় অনুরূপ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে সরকার, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, ডাম্পিং মার্জিনের অধিক নহে এইরূপ পরিমাণ, অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে-
(ক) “ডাম্পিং মার্জিন” অর্থ উহার রপ্তানি মূল্য এবং স্বাভাবিক মূল্যের মধ্যকার পার্থক্য;
(খ) “রপ্তানি মূল্য” অর্থ রপ্তানিকারক দেশ বা এলাকা হইতে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য এবং যে স্থানে কোনো রপ্তানি মূল্য নাই বা রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারক বা কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যে সম্পৃক্ততা (association) বা কোনো ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থার কারণে যখন রপ্তানিমূল্য বিশ্বাসযোগ্য হয় না তখন যে মূল্যে আমদানিকৃত পণ্য কোনো নিরপেক্ষ ক্রেতার নিকট প্রথম পুনঃবিক্রয় হয় সেই মূল্যের ভিত্তিতে অথবা যে অবস্থায় পণ্য আমদানি করা হইয়াছে, সেই অবস্থায় যদি কোনো নিরপেক্ষ ক্রেতার নিকট পুনঃবিক্রয় না হয়, তাহা হইলে উপ- ধারা (৬) এর অধীন প্রণীত বিধিমালা অনুসারে নির্ধারণযোগ্য যুক্তিসংগতভিত্তিতে রপ্তানি মূল্য নির্ণয় করা যাইবে;
(গ) “স্বাভাবিক মূল্য” অর্থ-
(অ) উপ- ধারা (৬) এর অধীন প্রণীত বিধিমালা অনুসারে রপ্তানিকারক দেশে অথবা এলাকায় ভোগের জন্য সমজাতীয় পণ্যের (like product) সাধারণ ব্যবসা প্রক্রিয়ায় নিরূপিত তুলনীয় মূল্য; অথবা
(আ) রপ্তানিকারক দেশের বা এলাকার স্থানীয় বাজারে যখন স্বাভাবিক ব্যবসা প্রক্রিয়ায় সমজাতীয় পণ্যের কোনো বিক্রয় থাকে না, অথবা যখন বিশেষ বাজার পরিস্থিতির কারণে অথবা রপ্তানিকারক দেশের বা এলাকার (territory) স্থানীয় বাজারে স্বল্প পরিমাণ বিক্রয়ের কারণে উক্ত বিক্রয় যথাযথ তুলনা অনুমাদন করে না, তখন স্বাভাবিক মূল্য হইবে-
(i) উপ- ধারা (৬) এর অধীন প্রণীত বিধিমালা অনুসারে রপ্তানিকারক দেশ বা এলাকা বা কোনো উপযুক্ত তৃতীয় কোনো দেশ হইতে রপ্তানিকৃত সমজাতীয় পণ্যের নিরূপিত তুলনীয় প্রতিনিধিত্বমূলক মূল্য; অথবা
(ii) উপ- ধারা (৬) এর অধীন প্রণীত বিধিমালা অনুসারে উক্ত পণ্যের উৎস দেশের উৎপাদন ব্যয়ের সহিত যুক্তিসংগত পরিমাণ প্রশাসনিক, বিক্রয় ও সাধারণ ব্যয় এবং মুনাফা বাবদ যুক্তিসংগত সংযোজনসহ উক্ত পণ্যের উৎপাদন ব্যয়:
তবে শর্ত থাকে যে, উৎস দেশ (country of origin) ব্যতীত অন্য কোনো দেশ হইতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যদি রপ্তানিকারক দেশের মাধ্যমে পণ্য কেবল স্থানান্তরিত হয় (transhipped) অথবা এইরূপ পণ্য রপ্তানিকারক দেশে উৎপাদিত না হয়, সেই ক্ষেত্রে উৎস দেশের মূল্যের ভিত্তিতে পণ্যের স্বাভাবিক মূল্য নির্ধারিত হইবে।
(২) কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মূল্য এবং ডাম্পিং মার্জিন নিরূপণ না হওয়া পর্যন্ত সরকার এই ধারার বিধান এবং তদ&ধীন প্রণীত বিধি অনুসারে সাময়িকভাবে প্রাক্কলিত উক্ত মূল্য এবং ডাম্পিং মার্জিন ভিত্তিতে এইরূপ পণ্য বাংলাদেশে আমদানির উপর অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে এবং যদি উক্ত অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক পরবর্তীকালে নির্ধারিত মার্জিন হইতে অধিক হয়, তাহা হইলে সরকার-
(ক) উক্তরূপ নির্ধারণের বিষয় বিবেচনায় রাখিয়া এবং উক্তরূপ নির্ধারণের পর যথাশীঘ্র সম্ভব এই প্রকার অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক হ্রাস করিবে; এবং
এইরূপ হ্রাস করিবার ফলে আদায়কৃত অতিরিক্ত অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক যতটুকু অতিরিক্ত আদায় করা হইয়াছে, ততটুকু ফেরত প্রদান করিবে।
(৩) যদি সরকার তদন্তাধীন ডাম্পকৃত কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, ডাম্পিং এর কারণে শিল্পের স্বার্থহানির ইতিহাস রহিয়াছে অথবা রপ্তানিকারক ডাম্পিং চর্চা করে এবং ইহাতে স্থানীয় শিল্পের স্বার্থহানি ঘটে মর্মে আমদানিকারক জানিতেন বা তাহার জানা উচিত ছিল, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ- ধারা (২) এর অধীন অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক আরোপের পূর্ববর্তী কোনো তারিখ হইতে ভূতাপেক্ষভাবে অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে; তবে তাহা উক্ত উপ- ধারার অধীন প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হইতে নব্বই দিনের পূর্বে হইবে না এবং, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত শুল্ক এই উপ- ধারার অধীন জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত হার ও তারিখ হইতে প্রদেয় হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন আরোপযোগ্য অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপিত অন্যান্য শুল্কের অতিরিক্ত হইবে।
(৫) পূর্বেই প্রত্যাহার করা না হইলে, এই ধারার অধীন আরোপিত অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক, আরোপের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর সমাপ্তির পর অকার্যকর হইয়া যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার পর্যালোচনা করিয়া যদি এই অভিমত পোষণ করে যে উক্ত শুল্ক অকার্যকর (cessation) করিবার ফলে ডাম্পিং এবং স্বার্থহানি অব্যাহত থাকিতে অথবা উহাদের পুনারাবৃত্তি ঘটিতে পারে, তাহা হইলে সরকার, সময় সময়, এইরূপ শুল্ক আরোপের মেয়াদ অতিরিক্ত ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য মেয়াদের জন্য বৃদ্ধি করিতে পারিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, যদি উল্লিখিত ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদ সমাপ্তি হওয়ার পূর্বে আরম্ভ হওয়া কোনো পর্যালোচনা কার্যক্রম উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে চূড়ান্ত করা না হয়, তাহা হইলে, পর্যালোচনার ফলাফল সাপেক্ষে, অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক অনধিক এক বৎসর অতিরিক্ত সময়ের জন্য বলবৎ থাকিবে।
(৬) সরকার, সময় সময়, যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপ তদন্তের পর উপ- ধারা (১) বা (২) এ উল্লিখিত ডাম্পিং এর ডাম্পিং মার্জিন নিরূপণ ও নির্ধারণ করিবে এবং এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং উপরি- উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, উক্তরূপ বিধিমালায় এই ধারার অধীন অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্কারোপযোগ্য পণ্য কোনো উপায়ে শনাক্ত করা যায় এবং উক্ত পণ্য সম্পর্কিত রপ্তানি মূল্য, স্বাভাবিক মূল্য এবং ডাম্পিং মার্জিন কিভাবে নির্ধারণ করা যায়, উহার পদ্ধতি এবং উক্ত অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক নিরূপণ এবং আদায়ের বিধান করিতে পারিবে।
(৭) এই ধারার অধীন অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক আরোপের কোনো কার্যক্রম আরম্ভ করা যাইবে না, যদি না কোনো স্থানীয় শিল্প কর্তৃক অথবা উহার পক্ষ হইতে পেশকৃত লিখিত আবেদন প্রাপ্তির পর অথবা স্ব- উদ্যোগে সংগৃহীত পর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন সরকারকে অবহিত করে যে কোনো নির্দিষ্ট আমদানিকৃত পণ্যের ডাম্পিং এর কারণে দেশীয় শিল্পের স্বার্থহানির দৃশ্যমান প্রমাণ রহিয়াছে।
২১। (১) ধারা ১৯ বা ২০ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-
(ক) ডাম্পিং অথবা রপ্তানি ভর্তুকির অভিন্ন পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের জন্য যুগপৎভাবে কোনো পণ্যের উপর কাউন্টারভেইলিং শুল্ক ও অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা যাইবে না;
(খ) সরকার,-
(অ) উৎস দেশে ভোগের জন্য বা রপ্তানির জন্য অনুরূপ পণ্যের উপর প্রযোজ্য শুল্ক বা কর হইতে উক্ত পণ্যকে অব্যাহতি প্রদানের কারণে অথবা রপ্তানির কারণে বা উক্ত শুল্ক বা কর ফেরত (refund) প্রদানের কারণে ধারা ১৯ বা ২০ এর অধীন কোনো কাউন্টার ভেইলিং শুল্ক বা অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক;
(আ) কোনো নির্দিষ্ট দেশ হইতে বাংলাদেশে কোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, যদি ভর্তুকি বা ডাম্পিং এবং উহার পরিণতিতে স্থানীয় শিল্পের স্বার্থহানি হইবে মর্মে প্রাথমিকভাবে নিরূপণ করে, এবং আরও নিরূপণ করে যে, তদন্তকালীন সময়ে উক্ত স্বার্থহানি প্রতিরোধে শুল্ক আরোপ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে, উপ- ধারা (২) এর অধীন প্রণীত বিধি অনুসরণ ব্যতীত, উক্তক্ষেত্রে, ধারা ১৯ এর উপ- ধারা (২) ও ধারা ২০ এর উপ- ধারা (২) এর অধীন কোনো কাউন্টারভেইলিং শুল্ক বা অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক-
আরোপ করিবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি বাংলাদেশে অনুরূপ পণ্য রপ্তানিকারী কোনো তৃতীয় দেশের স্থানীয় শিল্পের স্বার্থহানি বা স্বার্থহানির হুমকি রোধের উদ্দেশ্যে কোনো পণ্যের উপর কাউন্টারভেইলিং শুল্ক বা অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(গ) সরকার,-
(অ) যে কোনো সময়ে, রপ্তানিকারক দেশ বা অঞ্চলের সরকারের নিকট হইতে ভর্তুকি বিলুপ্ত বা সীমিত করিবার অথবা উহার প্রভাব সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের সম্মতি সম্বলিত সন্তোষজনক স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অঙ্গীকারনামাপ্রাপ্ত হইলে অথবা পণ্যের মূল্য সংশোধনে (revision) রপ্তানিকারক সম্মত হইলে এবং যদি সন্তুষ্ট হয় যে, ইহার ফলে ভর্তুকির ক্ষতিকর প্রভাব তিরোহিত হইবে, তাহা হইলে ধারা ১৯ এর অধীন কোনো কাউন্টারভেইলিং শুল্ক; এবং
(আ) যে কোনো সময়ে, রপ্তানিকারকের নিকট হইতে মূল্য সংশোধনের অথবা ডাম্পকৃত মূল্যে বিবেচ্য এলাকায় রপ্তানি বন্ধ করিবার সন্তোষজনক স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অঙ্গীকারনামাপ্রাপ্ত হইলে এবং যদি সন্তুষ্ট হয় যে, এইরূপ ব্যবস্থার ফলে ডাম্পিং এর ক্ষতিকর প্রভাব তিরোহিত হইবে, তাহা হইলে ধারা ২০ এর অধীন কোনো অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্ক-আরোপ করিবে না ।
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণয়ন করা যাইবে।
২২। (১) কোনো পণ্য আমদানির সহিত সম্পর্কিত কোনো ভর্তুকি বা ডাম্পিং এর অস্তিত্ব, মাত্রা এবং প্রভাব বিষয়ে নির্ধারণী আদেশ বা উহার পুনর্বিবেচনার বিরুদ্ধে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করা যাইবে।
(২) এই ধারার অধীন প্রত্যেক আপিল আপিলাধীন আদেশের তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, আপিলকারী যুক্তিসংগত কারণে সময়মত আপিল দায়েরে বাধাগ্রস্ত হইয়াছে মর্মে আপিল ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হইলে উপরিউক্ত ৯০ (নব্বই) দিন সময় সমাপ্তির পরও আপিল গ্রহণ করা যাইবে।
(৩) আপিলের পক্ষসমূহকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিবার পর আপিল ট্রাইব্যুনাল যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে উহা বহাল রাখিয়া, পরিবর্তন করিয়া বা বাতিল করিয়া ইহার বিবেচনায় সংগত যে কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৪) আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি কর্তৃক উক্ত আপিলসমূহ শুনানির জন্য গঠিত একটি বিশেষ বেঞ্চে উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রত্যেক আপিলের শুনানি হইবে এবং উক্ত বেঞ্চ সভাপতি ও অন্যূন দুইজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।
২৩। (১) সরকার উপযুক্ত তদন্ত করিয়া যদি সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো পণ্য বাংলাদেশে এইরূপ বেশি পরিমাণে এবং এইরূপ শর্তে আমদানি করা হইতেছে যাহা স্থানীয় শিল্পের গুরুতর স্বার্থহানি ঘটাইতে পারে অথবা স্বার্থহানি ঘটাইবার হুমকির সৃষ্টি করিতে পারে, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত পণ্যের উপর সেইফগার্ড শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহার বিবেচনায় যেরূপ সংগত মনে হয়, সেইরূপ শর্ত, সীমা বা বিধি- নিষেধ আরোপ সাপেক্ষে, যে কোনো পণ্যকে আরোপণীয় সেইফগার্ড শুল্ক হইতে সম্পূর্ণ বা আংশিক অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন স্বার্থহানি বা স্বার্থহানির হুমকি নির্ধারণের বিষয়টি অনিষ্পন্ন থাকা অবস্থায়, যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত প্রাথমিক নির্ধারণে দেখা যায় যে, বর্ধিত আমদানি স্থানীয় শিল্পের গুরুতর স্বার্থহানি করিয়াছে অথবা স্বার্থহানির হুমকি সৃষ্টি করিয়াছে, তাহা হইলে তদ্ভিত্তিতে সরকার সাময়িক সেইফগার্ড শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি চূড়ান্ত নির্ধারণের পর সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, বর্ধিত আমদানি কোনো স্থানীয় শিল্পের স্বার্থহানি ঘটায় নাই বা স্বার্থহানির হুমকি সৃষ্টি করে নাই, তাহা হইলে সরকার উক্তরূপে আদায়কৃত শুল্ক ফেরত প্রদান করিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, সাময়িক সেইফগার্ড শুল্ক, আরোপের তারিখ হইতে ২০০ (দুইশত) দিবসের অধিক বলবৎ থাকিবে না।
(৩) এই ধারার অধীন আরোপিত শুল্ক এই আইনের অধীন অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপিত শুল্কের অতিরিক্ত হইবে।
(৪) পূর্বেই প্রত্যাহার করা না হইলে, এই ধারার অধীন আরোপিত শুল্ক আরোপের তারিখ হইতে ৪ (চার) বৎসর সমাপ্তির পর অকার্যকর হইয়া যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি সরকার এই অভিমত পোষণ করে যে, স্থানীয় শিল্প উক্ত স্বার্থহানি অথবা স্বার্থহানির হুমকির সহিত খাপ খাওয়ানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে এবং উক্ত সেইফগার্ড শুল্ক আরোপ বহাল থাকা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার উক্ত আরোপের মেয়াদ বাড়াইতে পারিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, কোনো অবস্থাতেই উক্ত সেইফগার্ড শুল্ক উহা প্রথম আরোপের তারিখ হইতে ১০ (দশ) বৎসর সময়ের অধিক আরোপ করা যাইবে না।
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণয়ন করা যাইবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে-
(ক)“স্থানীয় শিল্প” অর্থ সেই সকল উৎপাদনকারীগণ-
(অ) যাহারা সম্পূর্ণভাবে কোনো অনুরূপ পণ্য বা কোনো প্রত্যক্ষভাবে প্রতিযোগি পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদন করেন; অথবা
(আ) যাহাদের বাংলাদেশে কোনো অনুরূপ পণ্যের বা কোনো প্রত্যক্ষভাবে প্রতিযোগি পণ্যের মোট সম্মিলিত উৎপাদনের পরিমাণ বাংলাদেশে উক্ত পণ্যের মোট উৎপাদনের একটি প্রধান হিস্যা গঠন করে;
(খ) “গুরুতর স্বার্থহানি” অর্থ এইরূপ কোনো স্বার্থহানি, যাহা কোনো স্থানীয় শিল্পের অবস্থানকে লক্ষ্যনীয় মাত্রায় ভারসাম্যহীন করে; এবং
(গ) “গুরুতর স্বার্থহানির হুমকি” অর্থ গুরুতর স্বার্থহানির কোনো সুস্পষ্ট এবং অত্যাসন্ন ঝুঁকি।
২৪। (১) বোর্ড কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনুকূলে প্রদত্ত নিম্নরূপ সেবার জন্য ফি প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) পণ্য বোঝাই বা খালাসের জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে বা এতদ্সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্ধারিত কর্মসময়ের বাহিরে কোনো পণ্য বোঝাই বা খালাস করা;
(খ) এই আইনের অধীন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্ধারিত কর্মসময়ের বাহিরে বা নির্ধারিত কাস্টমস স্টেশন ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে কোনো পণ্যের ঘোষণা, সত্যতা প্রতিপাদন বা ছাড় করা;
(গ) কাস্টমস কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানের প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে এইরূপ কোনো কাস্টমস বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা অস্থায়ী সংরক্ষণাগারে কোনো পণ্যের মালিক বা আমদানিকারক কর্তৃক প্রবেশ বা পণ্যের হ্যান্ডলিং বা নমুনা সংগ্রহ করা;
(ঘ) এই আইনের অধীন কোনো বেসরকারি ওয়্যারহাউস প্রতিষ্ঠা বা বন্দরের সীমানার মধ্যে পণ্য নামানো ও জাহাজীকরণের জন্য কার্গো- বোট বা কোনো এজেন্ট হিসাবে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য কোনো লাইসেন্স প্রদান বা নবায়ন সংক্রান্ত;
(ঙ) কোনো ব্যক্তির অনুরোধের প্রেক্ষিতে তথ্য, ফরম বা দলিল সরবরাহ সংক্রান্ত;
(চ) সত্যতা প্রতিপাদনের উদ্দেশ্যে পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা, বা পণ্য ধ্বংস করিবার জন্য কাস্টমস কর্মকর্তা ব্যবহারের ব্যয় ব্যতীত অন্য কোনো ব্যয় জড়িত থাকার ক্ষেত্রে; এবং
(ছ) ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে আরোপিত কোনো ফি এর পরিমাণ সম্ভাব্য প্রশাসনিক ব্যয় এবং প্রদত্ত সেবার ব্যয়ের অধিক হইবে না।
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণয়ন করা যাইবে।
(৩) সুস্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে, শুল্ক প্রত্যর্পণ বা পরিশোধ বিলম্বিতকরণ সম্পর্কিত বিধানাবলি ব্যতীত, এই আইন ও বিধির অধীন অন্য সকল প্রশাসনিক ও প্রয়োগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধানাবলি, এই ধারার অধীন প্রদেয় ফি এবং উক্ত ফি পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তির ক্ষেত্রে, এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত ফি কোনো কাস্টমস শুল্ক, এবং এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাস্টমস শুল্কের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট নিরূপণীয় দণ্ড, উক্ত শুল্ক বাস্তবিক পক্ষে প্রদেয় বা পরিশোধযোগ্য হউক বা না হউক, এই ধারার অধীন প্রদেয় কোনো ফি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একই পদ্ধতি অনুসারে নিরূপিত হইবে।
২৫। (১) সরকার, বোর্ডের সহিত পরামর্শক্রমে, জনস্বার্থে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপযুক্ত শর্ত, সীমা অথবা বিধি- নিষেধ, যদি থাকে, আরোপ সাপেক্ষে, কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উপর আরোপনীয় সমুদয় বা আংশিক শুল্ক ও কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোনো অর্থ- বৎসরে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে সেই বৎসরে একবারের অধিক শুল্কহার বৃদ্ধি করা যাইবে না।
(২) সরকার, বোর্ডের সহিত পরামর্শক্রমে, জনস্বার্থে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সীমা অথবা বিধি- নিষেধ, যদি থাকে, আরোপ সাপেক্ষে, কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি বা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি পারস্পরিক ভিত্তিতে (reciprocal basis) বাস্তবায়নের জন্য, কোনো পণ্য বা পণ্য শ্রেণি আমদানি বা রপ্তানির উপর আরোপনীয় সমুদয় বা আংশিক শুল্ক ও কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) সরকার, বিশেষ আদেশ দ্বারা, প্রত্যেক ক্ষেত্রে কারণ উল্লেখপূর্বক, আমদানিকৃত কোনো পণ্য বা পণ্য চালানের উপর আমদানি পর্যায়ে আরোপযোগ্য সমুদয় বা আংশিক শুল্ক ও কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
২৬। যদি বাংলাদেশে উৎপাদিত বা প্রস্তুত কোনো পণ্য অথবা বাংলাদেশে দেশীয় ভোগের জন্য ইতঃপূর্বে ছাড়কৃত কোনো পণ্য অথবা ইনওয়ার্ড প্রসেসিং বা কাস্টমস ওয়্যারহাউস পদ্ধতির অধীন বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত বা প্রস্তুতকৃত কোনো পণ্য রপ্তানি হইবার ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে কোনোরূপ প্রক্রিয়াকরণ ব্যতীত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস এর নিম্নে নহে, এইরূপ কর্মকর্তা কর্তৃক কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে দেশে প্রবেশ করিতে দেওয়া যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) উক্ত পণ্য রপ্তানির সময়ে প্রত্যর্পণ প্রদান করা হইলে, উক্ত প্রত্যর্পণ পরিশোধ করিতে হইবে;
(খ) যদি উক্ত পণ্য ইনওয়ার্ড প্রসেসিং বা কাস্টমস ওয়্যারহাউস পদ্ধতির অধীন বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত বা প্রস্তুতকৃত হইয়া থাকে এবং নিম্নলিখিত শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে রপ্তানি করা হইয়া থাকে, যথা:-
(অ)উক্ত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ বা প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত কোনো আমদানিকৃত উপাদান, যদি থাকে, উহার উপর আরোপণীয় শুল্ক ও কর;
(আ) উক্ত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ বা প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত স্থানীয় কাঁচামাল, যদি থাকে, উহার উপর আরোপণীয় শুল্ক ও কর; বা
(ই) উক্ত স্থানীয় পণ্য, যদি থাকে, উহার উপর আরোপণীয় শুল্ক ও কর,-
তাহা হইলে উক্ত পণ্য আমদানির সময় এবং স্থানে বিদ্যমান হারে হিসাবকৃত সকল শুল্ক ও করের সমপরিমাণ কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ করিতে হইবে।
২৭। (১) কোনো পণ্যের উপর কাস্টমস শুল্ক উহার মূল্যের ভিত্তিতে আরোপণীয় হইলে, এই ধারার অন্যান্য বিধান অনুযায়ী নিরূপিত উক্ত পণ্যের মূল্যই হইবে কাস্টমস মূল্য।
(২) এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি অনুসারে যদি কোনো আমদানিকৃত পণ্যের উপর কাস্টমস শুল্ক উহার মূল্যের ভিত্তিতে আরোপণীয় হয়, তাহা হইলে সেই মূল্য হইবে বিনিময় মূল্য অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে পরিশোধিত বা পরিশোধযোগ্য মূল্য বা উক্ত মূল্যের নিকটতম নিরূপণযোগ্য সমতুল্য মূল্য যে মূল্যে সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় উক্ত পণ্য অথবা অনুরূপ পণ্য আমদানির সময় এবং স্থানে অর্পণের উদ্দেশ্যে সাধারণত বিক্রয় করা হয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়, যেখানে বিক্রেতা এবং ক্রেতার মধ্যে একে অন্যের ব্যবসায়ে কোনো স্বার্থ থাকে না এবং বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাবই মূল্য নিরূপণের একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হয়।
ব্যাখ্যা।- এই উপ- ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, “আমদানির স্থান” অর্থ কাস্টমস বন্দর, কাস্টমস বিমানবন্দর অথবা কাস্টমস স্টেশন, যেখানে ধারা ৮৩ এর অধীন পণ্য ঘোষণা নিবন্ধিত হয়।
(৩) কোনো রপ্তানিকৃত পণ্য বা অনুরূপ পণ্য রপ্তানির সময় যে মূল্যে সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক অবস্থাধীনে সাধারণ বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়, সেই মূল্য, বাংলাদেশের যে কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি হইবে সেই কাস্টমস স্টেশন পর্যন্ত পরিবহন ব্যয়সহ, হইবে রপ্তানিকৃত পণ্যের কাস্টমস মূল্য:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো রপ্তানিকৃত পণ্যের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে, যাহা উক্ত নির্ধারিত মূল্য উক্ত পণ্যের ঘোষিত মূল্য অপেক্ষা অধিক হওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত পণ্যের কাস্টমস মূল্য নিরূপণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে।
(৪) কোনো আমদানিকৃত বা রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য হিসাব করিবার জন্য মুদ্রার বিনিময় হার হইবে, যে মাসে ধারা ৮৩ এর অধীন পণ্য ঘোষণা নিবন্ধিত হয় উহার পূর্ববর্তী মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের পূর্বের ৩০ (ত্রিশ) দিবস সময়ে বিদ্যমান গড় বিনিময় হার এবং উক্ত হার বোর্ড কর্তৃক অথবা এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারণ করা হইবে।
(৫) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মূল্য ভিত্তিক (ad valorem) কাস্টমস শুল্ক আরোপযোগ্য হয় এমন কোনো আমদানিকৃত অথবা রপ্তানিকৃত পণ্যের উপর কাস্টমস শুল্ক আরোপণের উদ্দেশ্যে ট্যারিফ মূল্য অথবা ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যেই ক্ষেত্রে আমদানিকৃত বা রপ্তানিকৃত কোনো পণ্যের ঘোষিত মূল্য এই উপ ধারার অধীনে নির্ধারিত ট্যারিফ মূল্য অথবা ন্যূনতম মূল্যের চেয়ে অধিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত পণ্যের কাস্টমস শুল্ক আরোপিত হইবে পণ্যটির ঘোষিত মূল্যের ভিত্তিতে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-
(ক) “বিনিময় হার” বলিতে বাংলাদেশি মুদ্রা বৈদেশিক মুদ্রায় বা বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশি মুদ্রায় রূপান্তরের জন্য বিদ্যমান বাজার হার অনুযায়ী নির্ধারিত বিনিময় হারকে বুঝাইবে;
(খ) “বৈদেশিক মুদ্রা” এবং “বাংলাদেশ মুদ্রা” বলিতে Foreign Exchange Regulation Act, 1947 (Act No. VII of 1947) এ যথাক্রমে "foreign currency" এবং "Bangladesh currency" যেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে বুঝাইবে।
২৮। (১) যেক্ষেত্রে মালিক কর্তৃক আবেদনের সূত্রে কোনো আমদানিকৃত পণ্যের প্রথম পরীক্ষাকালে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কর্মকর্তা সন্তুষ্ট হন যে-
(ক) অবতরণকালে অথবা তাহার পূর্বে যে কোনো সময়ে পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত বা অবনতিপ্রাপ্ত হইয়াছে; বা
(খ) অবতরণের পর, কিন্তু উক্ত পরীক্ষার পূর্বে যে কোনো সময় কোনো দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দৈবদুর্বিপাক (act of God) দ্বারা, যাহা মালিক অথবা তাহার এজেন্টের কোনো ইচ্ছাকৃত কর্ম, অবহেলা অথবা ব্যর্থতার কারণে নহে, পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে;
সেইক্ষেত্রে মালিকের লিখিত আবেদনক্রমে উক্ত পণ্যের মূল্য যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক নিরূপণ করা হইবে এবং পণ্যের উক্তরূপ হ্রাসকৃত মূল্য নিরূপণের অনুপাত অনুসারে মালিককে শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করা হইবে।
(২) যেক্ষেত্রে কোনো আমদানিকৃত পণ্যের মালিক কর্তৃক লিখিতভাবে আবেদনের সূত্রে কমিশনার অব কাস্টমস এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আমদানির পর কিন্তু দেশীয় ভোগের উদ্দেশ্যে খালাসের পূর্বে দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা দৈবদুর্বিপাকের ফলে পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত, অবনতিপ্রাপ্ত, নিখোঁজ অথবা ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে উক্ত ক্ষতি, অবনতি, নিখোঁজ অথবা ধ্বংসের সত্যতা প্রমাণের জন্য সকল প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপনপূর্বক পণ্যের মালিক কর্তৃক পেশকৃত আবেদনক্রমে কমিশনার অব কাস্টমস একজন যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক উক্ত পণ্যের মূল্য নিরূপণের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং পণ্যের মালিককে উক্তরূপ মূল্য নিরূপণে যে হারে মূল্য হ্রাস পাইয়াছে সেই আনুপাতিক হারে উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় অথবা পরিশোধিত শুল্ক অব্যাহতি বা ফেরত প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) যে ক্ষেত্রে কমিশনার অব কাস্টমস এর সন্তুষ্টিমতে দেখা যায় যে, ওয়্যারহাউসকৃত কোনো পণ্য দেশীয় ভোগের জন্য খালাসের পূর্বে কোনো দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা দৈবদুর্বিপাকে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ক্ষতির সত্যতা প্রমাণের জন্য সকল প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপনপূর্বক পণ্যের মালিক কর্তৃক পেশকৃত আবেদনক্রমে কমিশনার অব কাস্টমস একজন যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক উক্ত পণ্যের মূল্য নিরূপণের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং পণ্যের মালিককে উক্তরূপ মূল্য নিরূপণে যে হারে মূল্য হ্রাস পাইয়াছে সেই আনুপাতিক হারে শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করা হইবে।
২৯। আপাতত বলবৎ কোনো আইন দ্বারা যদি পান করিবার অনুপযোগী করা স্পিরিটের উপর এই আইনে নির্ধারিত শুল্ক হইতে কম শুল্ক আরোপিত থাকে, তাহা হইলে এইরূপ স্পিরিট আমদানি করা হইলে উহা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক পরীক্ষা করা যাইবে এবং, প্রয়োজনে, কাস্টমস শুল্ক আরোপ করিবার পূর্বে উহা আমদানিকারকের খরচে পর্যাপ্তভাবে পানাহার অনুপযোগী করা যাইবে।
৩০। কোনো আমদানিকৃত বা রপ্তানিকৃত পণ্যের উপর প্রযোজ্য শুল্ক ও করের পরিমাণ নিম্নবর্ণিত তারিখে বলবৎ বিনিময় হার ও বাণিজ্যের শ্রেণি, পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, রুলস অব অরিজিন, এবং উক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক ও কর হারের ভিত্তিতে গণনা করিতে হইবে, যথা:-
(ক) ধারা ৮৩ এর অধীন পণ্য ঘোষণা নিবন্ধিত হওয়ার তারিখ;
(খ) ধারা ১৩৪ এর দফা (ক) এর উপ- দফা (অ) এর অধীন ওয়্যারহাউস হইতে দেশীয় ভোগের জন্য পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে যে তারিখে ধারা ৮৩ এর অধীন কোনো পণ্য ঘোষণা নিবন্ধিত হয় সেই তারিখ; এবং
(গ) অন্যান্য ক্ষেত্রে শুল্ক পরিশোধের তারিখ:
তবে শর্ত থাকে যে, যে যানবাহনে পণ্য আমদানি করা হইবে উহা আগমনের প্রত্যাশায় যদি ধারা ৮৪ এর উপ- ধারা (২) অনুসারে কোনো পণ্য ঘোষণা দাখিল করা হয়, তাহা হইলে, এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে পণ্য আগমনের বিষয়ে অবহিতকরণের (notify) তারিখ হইবে পণ্যের শুল্ক হার, মূল্য এবং বিনিময় হার নির্ধারণের তারিখ:
আরও শর্ত থাকে যে, পণ্য ঘোষণা ব্যতীত বা এইরূপ ঘোষণা অর্পণের প্রত্যাশায় কোনো পণ্য রপ্তানি অনুমোদিত হইলে, উক্ত পণ্যের উপর প্রযোজ্য শুল্ক হার এবং মূল্য নিরূপণের জন্য বিনিময় হার হইবে, যে তারিখ বহির্গমনোদ্যত যানবাহনে পণ্য জাহাজীকরণ আরম্ভ করা হয় সেই তারিখে প্রযোজ্য শুল্ক হার, বা, ক্ষেত্রমত, বিনিময় হার।
৩১। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৩০ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূল্য এবং শুল্ক হারের অন্তর্ভুক্ত হইবে যথাক্রমে ধারা ২৭ এর অধীন নির্ধারিত মূল্য, এবং ধারা ১৮, ১৯, ২০ বা ২৩ এর অধীন আরোপিত শুল্কের পরিমাণ এবং কোনো পণ্যের বিক্রয়ের জন্য চুক্তি সম্পাদনের অথবা ঋণপত্র খোলার পূর্বে অথবা পরে শুল্ক হইতে অব্যাহতি বা রেয়াত সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রত্যাহারের ফলে যে পরিমাণ শুল্ক প্রদেয় হইত সেই পরিমাণ শুল্ক।
৩২। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কোনো শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে উহা অবহিতকরণের বিজ্ঞপ্তিতে অন্য কোনো তারিখ প্রদান করা না হইলে, ১০ (দশ) দিনের মধ্যে উক্ত শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ প্রদেয় হইবে।
(২) যদি কোনো শুল্ক, কর বা অন্যান্য চার্জ পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি ধারা ৩৫ এর উপ- ধারা (২) এর অধীন বিলম্ব পরিশোধের জন্য অনুমতি প্রাপ্ত হন, তাহা হইলে উক্ত উপ- ধারায় উল্লিখিত মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করা যাইবে।
(৩) কোনো শুল্ক, কর বা অন্যান্য চার্জ প্রদেয় তারিখের মধ্যে পরিশোধিত না হইলে, উক্ত শুল্ক, কর বা অন্যান্য চার্জের উপর, উহা পরিশোধযোগ্য বা প্রদেয় হইবার সর্বশেষ তারিখ হইতে আরম্ভ করিয়া উহা পরিশোধিত হইবার তারিখ পর্যন্ত মেয়াদের জন্য বার্ষিক ১০ (দশ) শতাংশ সাধারণ সুদের হারে সুদ পরিশোধ করিতে হইবে।
(৪) কোনো শুল্ক, কর বা অন্যান্য চার্জ কোনো পণ্য ছাড়ের পর বকেয়া থাকিলে, উক্ত নির্ধারিত বকেয়ার অতিরিক্ত হিসাবে, উক্ত পণ্য ছাড়ের তারিখ হইতে উক্ত নির্ধারিত বকেয়া 3[পরিশোধের] তারিখ পর্যন্ত বার্ষিক ১০ (দশ) শতাংশ হারে সুদ ধার্য করা হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসারে, যদি ইহা নির্ধারণ করে যে, ধার্যকৃত সুদ পরিশোধের ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গুরুতর অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হইবেন, তাহা হইলে বোর্ড উক্তরূপ সুদ ধার্য করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে।
৩৩। (১) কোনো ব্যক্তি কাস্টমস সংশ্লিষ্ট নিম্নবর্ণিত কোনো বিষয়ে অসত্য তথ্য বা বিবৃতি বা, ক্ষেত্রমত, দলিল দাখিল করিবেন না, যথা:-
(ক) কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট কোনো ঘোষণা, নোটিশ, প্রত্যয়নপত্র অথবা অন্য যে কোনো দলিল দাখিল বা স্বাক্ষর করা অথবা অর্পণ করা বা অর্পণ করিবার ব্যবস্থা করা;
(খ) এই আইন বা বিধির অধীন কোনো প্রশ্নের উত্তর প্রদানে বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের জবাবে কোনো ঘোষণা প্রদান করা; অথবা
(গ) ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে কোনো ঘোষণা, দলিল, তথ্য অথবা রেকর্ড প্রেরণ করা অথবা উহাদের সফট কপি উপস্থাপন করা।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো অসত্য তথ্য বা বিবৃতি বা দলিল দাখিলের কারণে অথবা কোনোরূপ যোগসাজশের কারণে যদি কোনো শুল্ক অথবা চার্জ আরোপ করা না হয় অথবা কম আরোপিত হয় অথবা ভুলক্রমে ফেরত প্রদান করা হয়, তাহা হইলে যে ব্যক্তি উক্ত কারণে কোনো অর্থ পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ তাহার উপর নোটিশে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ তিনি কেন পরিশোধ করিবেন না উহার কারণ দর্শানোর জন্য দাবিনামা সম্বলিত নোটিশ জারি করিতে হইবে।
(৩) উপ- ধারা (২) এ বর্ণিত ব্যক্তির যদি কোনো বক্তব্য থাকে, তাহা হইলে যথাযথ কর্মকর্তা তাহা বিবেচনাপূর্বক উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় শুল্কের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন, যাহা নোটিশে উল্লিখিত অর্থের পরিমাণ হইতে বেশি হইবে না, এবং উক্ত ব্যক্তি এইরূপে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিবেন।
(৪) উপ- ধারা (২) এর অধীন কোনো নোটিশ জারির ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা থাকিবে না।
৩৪। (১) অসাবধানতা, ভুলবশত, ভুল ব্যাখ্যা বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত বা অতিরিক্ত পরিশোধিত বলিয়া দাবিকৃত কোনো কাস্টমস শুল্ক বা চার্জ পরিশোধের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে দাবি করা না হইলে, উহা ফেরত প্রদান করা হইবে না এবং উক্ত দাবির সত্যতা প্রতিপাদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো অযৌক্তিক বিলম্ব না করিয়া ফেরত প্রদান করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ধারা ১৮ এর উপ- ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত পরিমাণের কম হইলে, ফেরত প্রদান করা হইবে না।
(২) ধারা ৯৩ এর অধীন সাময়িক পরিশোধের ক্ষেত্রে, উক্ত ৩ (তিন) বৎসর সময়, চূড়ান্ত শুল্ক নিরূপণের পর শুল্ক সমন্বয় করিবার তারিখ হইতে গণনা করা হইবে।
৩৫। (১) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কাস্টমস কর্মকর্তা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে যদি তাহার বিবেচনায় যথাযথ হয় তাহা হইলে কাস্টমস শুল্ক বা চার্জ যেভাবে এবং যখন প্রদেয় হয় সেইভাবে এবং তখন পরিশোধে বাধ্য করিবার পরিবর্তে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত উক্ত শুল্ক এবং চার্জের চলতি হিসাব রক্ষণ করিতে পারিবেন, যে হিসাব এক মাসের অতিরিক্ত নহে এইরূপ বিরতিতে নিষ্পত্তি করিতে হইবে, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা এইরূপ পরিমাণ অর্থ জমা প্রদান করিবে বা জামানত দাখিল করিবে, যাহা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিবেচনায় যে কোনো সময়ে যে পরিমাণ শুল্ক বা চার্জ প্রদেয় তাহা মিটাইবার জন্য যথেষ্ট হয়।
(২) ধারা ৯৭ অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইকোনোমিক অপারেটরের মর্যাদাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পর্যাপ্ত গ্যারান্টি প্রদান সাপেক্ষে, তাহার অনুকূলে ছাড়কৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রদেয় শুল্ক ও কর পরিশোধ বিলম্বিত করিবার অনুরোধ জ্ঞাপন করিতে পারিবে, তবে উক্তরূপ বিলম্বের অনুরোধ উক্ত ছাড়ের তারিখ হইতে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের অধিক হইবে না।
(৩) বোর্ড, বিশেষ আদেশ দ্বারা, জনস্বার্থে, কোনো সরকারি বা আধা- সরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা বিধিবদ্ধ সংস্থা কাস্টমস শুল্ক বা অন্যান্য চার্জ পরিশোধ ব্যতিরেকে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উক্ত শুল্ক এবং চার্জ পরিশোধ করিবার গ্যারান্টি দাখিলপূর্বক পণ্য খালাস নেওয়ার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
সপ্তম অধ্যায়
প্রত্যর্পণ
৩৬। (১) সহজে শনাক্তকরণযোগ্য এইরূপ কোনো পণ্য বাংলাদেশের বাহিরে যে কোনো স্থানে রপ্তানি করা হইলে, এবং অতঃপর বিদেশগামী কোনো যানবাহনে রসদ বা মজুদ সামগ্রী হিসাবে ব্যবহারের জন্য নামানো হইলে বা যথাযথ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ধ্বংস করা হইলে বা সরকারের নিকট হস্তান্তর করিলে, উক্ত পণ্যের উপর প্রদত্ত শুল্কের অনধিক সাত- অষ্টমাংশ নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যর্পণ হিসাবে ফেরত প্রদান করিতে হইবে, যথা:-
(ক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ব্যতিক্রম এবং অনুমোদিত ক্ষেত্র ব্যতীত, উক্ত পণ্য আমদানি এবং পরবর্তীতে রপ্তানি, ধ্বংস, বা হস্তান্তর করিবার মধ্যবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয় নাই; এবং
(খ) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস এর নিম্নে নহেন এইরূপ কর্মকর্তার সন্তুষ্টিমতে যে পণ্য আমদানি করা হইয়াছে সেই একই পণ্য হিসেবে উহা কাস্টমস স্টেশনে শনাক্ত করা হয়:
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার অব কাস্টমস উক্ত পণ্য আমদানির পর ৩ (তিন) বৎসরের অধিক সময় বর্ধিত করিবেন না।
ব্যাখ্যা।- এই উপ- ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক ধারা ৮৩ এর অধীন যে তারিখে রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য ঘোষণা নিবন্ধিত করা হয়, সেই তারিখে উক্ত পণ্য রপ্তানির জন্য ঘোষণা করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) যে ক্ষেত্রে বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের বাহিরে কোনো স্থানে রপ্তানিকৃত কোনো শ্রেণির অথবা বর্ণনার পণ্য প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত পণ্যের উপর প্রত্যর্পন প্রদান করা সমীচীন সেই ক্ষেত্রে বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত পণ্যের ব্যাপারে বিধিমালায় যেরূপ ব্যবস্থিত থাকে সেই পরিমাণ এবং সেইরূপ শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যর্পণ মঞ্জুর করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
৩৭। (১) বোর্ড, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সহজে শনাক্তযোগ্য নহে এইরূপ পণ্যের তালিকা ঘোষণা করিতে পারিবে।
(২) সরকার, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো নির্ধারিত বিদেশি বন্দর অথবা এলাকায় কোনো পণ্য বা নির্দিষ্টকৃত পণ্য বা পণ্যশ্রেণি রপ্তানির উপর প্রত্যর্পণ প্রদান নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
৩৮। ধারা ৩৬ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোনো প্রত্যর্পণ মঞ্জুর করা যাইবে না, যথা:-
(ক) যে সকল পণ্য রপ্তানি কার্গো ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক এবং উহার অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই, সেই সকল পণ্যের উপর;
(খ) কোনো একক চালানের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ দাবির অর্থ ২ (দুই) হাজার টাকার নিম্নে হইলে; বা
(গ) পণ্য রপ্তানি, ধ্বংস বা পরিত্যাগের সময় বা রপ্তানির তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে প্রত্যর্পণ দাবি করা এবং উহা প্রতিষ্ঠিত না করিলে।
৩৯। পণ্য রপ্তানির উপর ভিত্তি করিয়া কোনো প্রত্যর্পণের দাবি করা হইলে, উক্ত দাবি অযথা বিলম্ব ব্যতীত পরিশোধ করিতে হইবে, তবে পণ্যবাহী জাহাজ সমুদ্রে যাত্রা বা অন্যান্য যানবাহন বাংলাদেশ হইতে প্রস্থান না করা পর্যন্ত কোনোরূপ প্রত্যর্পণ প্রদান করা যাইবে না।
৪০। যথাযথ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে যথাযথভাবে ধ্বংস, সরকারের নিকট হস্তান্তর বা পরিত্যাগ রপ্তানিকৃত কোনো পণ্যের জন্য প্রত্যর্পণ দাবিদার প্রত্যেক ব্যক্তি বা তাহার উপযুক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট এই মর্মে ঘোষণা এবং স্বাক্ষর প্রদান করিবেন যে, উক্ত পণ্য প্রকৃত পক্ষে হস্তান্তর, পরিত্যাগ, ধ্বংস বা রপ্তানি করা হইয়াছে এবং উহা বাংলাদেশের কোনো স্থানে পুনরায় অবতরণ করে নাই এবং পুনরায় অবতরণের অভিপ্রায় নাই এবং হস্তান্তর, পরিত্যাগ, ধ্বংস বা রপ্তানির সময়ে উক্ত ব্যক্তি প্রত্যর্পণ পাইবার অধিকারী এবং তাহার এই অধিকার বহাল রহিয়াছে।
অষ্টম অধ্যায়
কাস্টমস গ্যারান্টি
৪১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কোনো শুল্ক, কর বা অন্যান্য চার্জ পরিশোধের জন্য নিম্নবর্ণিত গ্যারান্টি প্রদান করা যাইবে, যথা:-
(ক) বাংলাদেশি মুদ্রায় কোনো নগদ জমা, বা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত নগদ জমার সমতুল্য অন্য কোনো প্রকারের পরিশোধ;
(খ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে কোনো জামিনদার কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা (surety); অথবা
(গ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে বন্ড বা অন্যান্য প্রকারের গ্যারান্টি বা অঙ্গীকারনামা, যাহা এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, শুল্ক, কর বা অন্যান্য চার্জ পরিশোধ করা হইবে এবং এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির অধীন উদ্ভূত অন্য কোনো বাধ্যবাধকতা যথাযথভাবে প্রতিপালিত হইবে।
4[(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত গ্যারান্টিসমূহের মধ্যে কোন্ প্রকারের গ্যারান্টি প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত গ্যারান্টি কোন্ নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বহাল রাখিতে হইবে, উহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]
৪২। (১) বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হইয়াছে এইরূপ কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীন ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোনো গ্যারান্টিদাতা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কোনো তৃতীয় পক্ষ এবং বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে।
(২) গ্যারান্টিদাতা এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির অধীন নিয়োজক (principal) এ বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন এবং প্রতিপালিত হয় নাই এইরূপ দায় (undischarged obligation) এর নিমিত্ত জামানতকৃত অর্থ পরিশোধের জন্য যৌথভাবে এবং পৃথকভাবে দায়ী থাকিবেন মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করিবেন।
(৩) যদি গ্যারান্টিদাতা বা প্রস্তাবিত গ্যারান্টি হইতে ইহা নিশ্চিত না হয় যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জামানতকৃত অর্থ পরিশোধিত হইবে, তাহা হইলে বোর্ড উক্ত গ্যারান্টিদাতা বা গ্যারান্টিকে অনুমোদন প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে।
৪৩। (১) গ্যারান্টি প্রদানের আবশ্যকতা রহিয়াছে এমন কোনো ব্যক্তির অনুরোধের প্রেক্ষিতে, কমিশনার অব কাস্টমস এই আইন বা বিধির অধীন দুই বা ততোধিক কার্যক্রম, ঘোষণা বা কাস্টমস পদ্ধতি সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার জন্য সমন্বিত গ্যারান্টির অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত অনুমতি কেবল নিম্নলিখিত শর্তসমূহ পূরণ করিয়াছে এইরূপ ব্যক্তিকে প্রদান করা যাইবে, যথা:-
(ক) বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হইতে হইবে;
(খ) কাস্টমস এবং কর সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের রেকর্ড থাকিতে হইবে;
(গ) কাস্টমস পদ্ধতির একজন নিয়মিত ব্যবহারকারী বা উক্ত পদ্ধতির সহিত সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতা পূরণের সক্ষমতা রহিয়াছে মর্মে কমিশনার অব কাস্টমস অবহিত থাকেন।
৪৪। 5[***] কমিশনার অব কাস্টমস নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনাপূর্বক ঝুঁকি নিরূপণের ভিত্তিতে কোনো গ্যারান্টির প্রয়োজনীয় পর্যায় নির্ধারণ করিবেন, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক যথাসময়ে শুল্ক ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধের পূর্ব- রেকর্ড;
(খ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিং (handling), স্থানান্তর (movement) এবং ওয়্যারহাউসিং এর জন্য কাস্টমস পদ্ধতি এবং এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির প্রয়োগ ব্যবস্থা (enforcement) ও প্রশাসন সম্পর্কিত অন্যান্য বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের পূর্ব- রেকর্ড;
(গ) গ্যারান্টির জন্যে বিবেচ্য লেনদেনের সহিত জড়িত পণ্যের মূল্য ও প্রকৃতি এবং শুল্ক ও করের পরিমাণ;
(ঘ) কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট লেনদেনের উপর প্রয়োগযোগ্য তদারকির মাত্রা ও ধরন;
(ঙ) জামানতকৃত অর্থ পরিশোধসহ বন্ডের শর্তাবলি প্রতিপালনে প্রতিষ্ঠান নিয়োজক (principal) এর পূর্ব- রেকর্ড; এবং
(চ) অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি।
6[***]
৪৫। যে ক্ষেত্রে কমিশনার অব কাস্টমস এর নিকট প্রতীয়মান হয় যে, প্রদত্ত গ্যারান্টি নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে শুল্ক, কর বা অন্যান্য চার্জ পরিশোধসহ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন নিয়োজক বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের নিশ্চয়তা প্রদান করে না বা নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য নিশ্চিত বা পর্যাপ্ত নহে, সেই ক্ষেত্রে তিনি অতিরিক্ত গ্যারান্টি বা মূল গ্যারান্টির স্থলে নতুন গ্যারান্টি প্রদানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করিবেন।
৪৬। (১) কমিশনার অব কাস্টমস অথবা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো যথাযথ কর্মকর্তা এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী কোনো গ্যারান্টি অবমুক্ত করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন, অথবা গ্যারান্টির কোনো শর্ত ভঙ্গ হইবার ক্ষেত্রে নিম্নতর পরিমাণ অর্থ বা জরিমানা পরিশোধ সাপেক্ষে তাহার বিবেচনা মতে অন্য কোনো প্রকার শর্ত ও সীমা আরোপ সাপেক্ষে উক্ত গ্যারান্টির উপর আরোপিত কোনো চার্জ বাতিল করিতে পারিবেন।
(২) কোনো গ্যারান্টি হইতে জামানতকৃত দায় এই আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি হইলে, কমিশনার অব কাস্টমস বা তদ&কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অবিলম্বে উক্ত গ্যারান্টি অবমুক্ত করিবেন বা নগদ জমা ফেরত প্রদান করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত দায় আংশিক নিষ্পত্তি হইলে জামানতকৃত অর্থের সংশ্লিষ্ট অংশ বা আংশিক উদ্ভূত হইলে উক্ত দায় সংশ্লিষ্ট অর্থ ব্যতীত জামানতের অবশিষ্ট অংশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুরোধের প্রেক্ষিতে তদনুযায়ী অবমুক্ত করিতে হইবে, যদি সংশ্লিষ্ট অর্থ উক্তরূপ কার্যক্রমের ন্যায্যতাকে প্রতিপাদন করে।
(৩) অভিন্ন, যুক্তিসংগত ও ন্যায়ানুগ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে, সরকার, গ্যারান্টি অবমুক্তকরণ এবং উহার অধীন আরোপিত চার্জ বাতিলের শর্তাবলি নির্ধারণের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠাকল্পে বিধি প্রণয়ন করিবে।
নবম অধ্যায়
যানবাহনের আগমন এবং প্রস্থান
৪৭। (১) শুল্ক ও কর প্রদানের জন্য, দায়বদ্ধ হউক বা না হউক, বাংলাদেশে প্রবেশ করে বা বাংলাদেশ হইতে বাহিরে যায় এইরূপ সকল পণ্য কাস্টমস এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে।
(২) আমদানিকৃত পণ্য বাংলাদেশে আগমনের সময় হইতে এই আইন অনুসারে দেশীয় ভোগের জন্য ছাড় বা সরকারের নিকট হস্তান্তর বা সমর্পণ না করা পর্যন্ত কাস্টমস এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে।
(৩) আমদানিকৃত পণ্য কাস্টমস ওয়্যারহাউস, অস্থায়ী আমদানি, ইনওয়ার্ড প্রসেসিং, ট্রান্সশিপমেন্ট, ট্রানজিট বা মজুদের জন্য কাস্টমস পদ্ধতিতে ন্যস্ত থাকিলে, উক্ত পণ্য কাস্টমস এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে এবং কেবল উক্ত পণ্য রপ্তানি বা এই আইনের অধীন অনুমোদিত সংশ্লিষ্ট পদ্ধতিতে দেশীয় ভোগের জন্য ছাড় বা সরকারের নিকট হস্তান্তর বা পরিত্যাগ করা হইলে উক্ত নিয়ন্ত্রণ সমাপ্ত হইবে।
(৪) রপ্তানিতব্য পণ্য কোনো কাস্টমস এলাকায় আনয়নের সময় হইতে বাংলাদেশের বাহিরে কোনো স্থানে রপ্তানি বা সরকারের নিকট হস্তান্তর বা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত কাস্টমস এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে।
(৫) সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্ক্যানিং করা হইতে অব্যাহতি প্রদান করা হয় নাই এইরূপ কোনো পণ্য ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে স্ক্যানিং করা ব্যতীত দেশীয় ভোগ বা ওয়্যারহাউসিং এর জন্য বা বাংলাদেশের বাহিরে কোনো স্থানে রপ্তানির জন্য কাস্টমস এর নিয়ন্ত্রণ হইতে ছাড় প্রদান করা যাইবে না।
৪৮। (১) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, বাংলাদেশের বাহির হইতে বাংলাদেশে আগমন করিবে এইরূপ যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি (person- in- charge) অথবা তাহার পক্ষে উক্ত যানবাহনের মালিক বা পরিচালনাকারী বা তাহার এজেন্ট নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরম, পদ্ধতি ও সময়সীমার মধ্যে একটি ঘোষণা দাখিল করিবেন, যথা:-
(ক) যানবাহন আগমনের আসন্ন সময়;
(খ) রুট;
(গ) ক্রু;
(ঘ) যাত্রী;
(ঙ) বাংলাদেশে খালাস করিবার লক্ষ্যে হউক বা না হউক, বাংলাদেশে আনয়ন করা হইবে, এইরূপ সকল পণ্যের একটি কার্গো ঘোষণা; এবং
(চ) যানবাহন আগমনের কাস্টমস স্টেশনের নাম।
(২) যথাযথ কর্মকর্তা কোনো যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, মালিক বা পরিচালনাকারী বা তাহাদের এজেন্টকে উপ- ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত ঘোষণার সংশোধন বা সম্পূরক ঘোষণা দাখিলের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোনো সংশোধন বা সম্পূরক ঘোষণা দাখিলের অনুমতি প্রদান করা যাইবে না, যথা:-
(ক) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক কোনো যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, মালিক বা পরিচালনাকারী বা তাহাদের এজেন্টকে যদি এই মর্মে অবহিত করা হয় যে, উক্ত পণ্য পরীক্ষা করা হইবে;
(খ) কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক উক্ত সংশোধনের বিষয়টি ইতোমধ্যে অশুদ্ধ বলিয়া প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে;
(গ) গমনের স্থান হইতে উক্ত পণ্য অপসারণ করিবার অনুমতি প্রদান করা হইয়াছে; বা
(ঘ) উক্ত পণ্যের জন্য ইতোমধ্যে একটি পণ্য ঘোষণা দাখিল করা হইয়াছে।
(৩) যানবাহনের মালিক বা তাহার প্রতিনিধি বা পরিচালনাকারী যানবাহনের আগমন ও প্রস্থানের পূর্বে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (Advance Passenger Information- API) এবং প্যাসেঞ্জার নেইম রেকর্ড (Passenger Name Record- PNR) দাখিল করিবেন।
৪৯। (১) বাংলাদেশের বাহির হইতে বাংলাদেশে প্রবেশকারী যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি (person- in- charge) কাস্টমস স্টেশন ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে যানবাহনটি ভিড়াইবেন না বা অবতরণ করাইবেন না, অথবা ভিড়াইবার বা অবতরণ করাইবার অনুমতি প্রদান করিবেন না।
(২) স্থলপথে বাংলাদেশে প্রবেশকারী যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত রুটে বাংলাদেশের যে স্থানে সীমান্ত অতিক্রম করিবেন, তৎক্ষণাৎ উক্ত স্থানের নিকটবর্তী কাস্টমস স্টেশনে তাহার যানবাহনসহ অগ্রসর হইবেন।
(৩) বাংলাদেশে আগমনের পর, কোনো যানবাহন যথাযথ কর্মকর্তার নিকট হইতে অনুমতি প্রাপ্ত না হইলে আগমনের বন্দর, স্থান বা বিমানবন্দর হইতে প্রস্থান করিবে না বা কোনো পণ্য খালাস করিবে না।
(৪) উপ- ধারা (১), (২) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সন্ত্রাস ও ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তার ও উহার অর্থায়ন সন্দেহে আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক তালিকাভুক্ত আমদানি বা রপ্তানি পণ্য বহনকারী কোনো বাহন বাংলাদেশের কোনো কাস্টমস স্টেশনে ভিড়াইবার বা অবতরণ করাইবার বা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানির জন্য প্রস্থান করিবার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না।
৫০। যদি কোনো দুর্ঘটনা, খারাপ আবহাওয়া বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে কোনো যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি (person- in- charge) ধারা ৪৯ এ উল্লিখিত বাধ্যবাধকতা পরিপালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিম্নরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন, যথা:-
(ক) যানবাহনের আগমন নিকটতম কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অবিলম্বে অবহিত করিবেন এবং চাহিদামত উক্ত যানবাহনের কার্গোবুক অথবা মেনিফেস্ট অথবা লগ-বুক তাহার নিকট উপস্থাপন করিবেন;
(খ) উক্ত কর্মকর্তার সম্মতি ব্যতীত যানবাহনটিতে পরিবহণকৃত কোনো পণ্য খালাসের অথবা কোনো ক্রু-সদস্য অথবা যাত্রীকে ঐ এলাকা হইতে প্রস্থানের অনুমতি দিবেন না;
(গ) উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে প্রদত্ত যে কোনো নির্দেশ পরিপালন করিবেন; এবং কোনো যাত্রী বা ক্রু- সদস্য এইরূপ কোনো কর্মকর্তার সম্মতি ব্যতীত যানবাহনটির এলাকা ত্যাগ করিবেন না:
তবে শর্ত থাকে যে, যানবাহনটির যাত্রী অথবা ক্রু- সদস্যদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা জীবন অথবা সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজন হইলে এই ধারার কোনো কিছুই উক্ত যানবাহন এর সংলগ্ন এলাকা হইতে কোনো যাত্রী অথবা ক্রু- সদস্যের প্রস্থান বর্হিগমন অথবা যানবাহনটি হইতে কোনো পণ্য খালাসকে বিরত করিবে না ।
৫১। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, বাংলাদেশের বাহিরের কোনো স্থান হইতে বাংলাদেশে প্রবেশকারী কোনো যানবাহন বা কাস্টমস নিয়ন্ত্রণের অধীন পণ্য বহনকারী উক্ত যানবাহন বা অন্য কোনো যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, মালিক, পরিচালনাকারী, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের এজেন্ট, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, সময়, ফরম ও পদ্ধতিতে সহায়ক দলিল ও বিবরণ সম্বলিত পণ্য আগমন বিষয়ে অন্তর্মুখী (inward) প্রতিবেদন যথাযথ কর্মকর্তার নিকট প্রদান করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৪৮ এর উপ- ধারা (১) অনুযায়ী ঘোষিত তথ্য উক্তরূপ বিবরণ ও সহায়ক দলিলের অন্তর্ভুক্ত করিবার প্রয়োজন হইবে না।
(২) কোনো যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি মালিক, পরিচালনাকারী, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের এজেন্ট-
(ক) যথাযথ কর্মকর্তার চাহিদামত যানবাহনে বোঝাইকৃত কার্গো বা পণ্যের প্রতিটি অংশের জন্য বিল অব ল্যাডিং বা বিল অব ফ্রেইট বা উহাদের কপি, জার্নি লগ- বুক এবং বন্দর ছাড়পত্র, যে স্থান হইতে যানবাহনটি আসিয়াছে বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে, সেই স্থানে প্রদত্ত ডকেট বা অন্যান্য দলিলাদি উক্ত কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করিবেন;
(খ) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক যানবাহন, বহনকৃত পণ্য, ক্রু, এবং রুট সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিবেন; এবং
(গ) কাস্টমস এলাকার মধ্যে উক্ত যানবাহনের চলাচল এবং উহা হইতে পণ্য খালাস বা ক্রু বা যাত্রীদের অবতরণ সম্পর্কে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা মানিয়া চলিবেন।
৫২। (১) যথাযথ কর্মকর্তা ভিন্নরূপ নির্দেশনা প্রদান না করিলে, যাত্রী ব্যাগেজ এবং মেইল ব্যাগ ব্যতীত অন্য কোনো পণ্য কোনো যানবাহনে বোঝাই করা যাইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না উক্ত পণ্য এই আইন অনুসারে রপ্তানি পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত করা হয় এবং-
(ক) নৌযানের ক্ষেত্রে, উক্ত নৌযান বহির্গমন এন্ট্রির জন্য যথাযথ কর্মকর্তার নিকট নৌযানের মাস্টার কর্তৃক স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন করা হয় এবং উক্ত এন্ট্রির জন্য উহার উপর আদেশ প্রদান করা হয়; এবং
(খ) অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে, যানবাহনে পণ্য বোঝাই করিবার অনুমতি পাওয়ার জন্য যথাযথ কর্মকর্তার নিকট যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন করা হয় এবং উহার উপর পণ্য বোঝাইয়ের আদেশ প্রদান করা হয়।
(২) এই ধারার অধীন পেশকৃত প্রত্যেক আবেদনপত্রে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বিবরণ উল্লেখ থাকিতে হইবে।
৫৩। (১) কোনো নৌযান, বোঝাইকৃত অথবা খালি যে অবস্থায় থাকুক না কেন, যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক বন্দর ছাড়পত্র মঞ্জুর না করা পর্যন্ত কোনো কাস্টমস বন্দর হইতে প্রস্থান করিবে না।
(২) নৌযানের মাস্টার বন্দর ছাড়পত্র পেশ না করিলে কোনো পাইলট সাগরমুখী কোনো জাহাজের দায়িত্ব গ্রহণ করিবেন না।
৫৪। যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত অনুমতি প্রদান না করা পর্যন্ত নৌযান ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন কাস্টমস স্টেশন অথবা কাস্টমস বিমানবন্দর হইতে প্রস্থান করিবে না।
৫৫। (১) বন্দর ছাড়পত্রের জন্য প্রত্যেক আবেদনপত্র নৌযানের মাস্টার কর্তৃক নৌযানের প্রস্তাবিত প্রস্থানের অন্যূন চব্বিশ ঘন্টা পূর্বে পেশ করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার অব কাস্টমস অথবা তদ্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত আবেদনপত্র আরও কম সময়ে পেশ করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন:
আরও শর্ত থাকে যে, যখন মাস্টার একজন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী হন তখন তিনি এই উপ- ধারার অধীন আবেদনপত্রটি কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে প্রেরণের মাধ্যমে পেশ করিতে পারিবেন এবং এইভাবে পেশকৃত আবেদনপত্র তদ্কর্তৃক যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) বন্দর ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করিবার সময় মাস্টার-
(ক) বোর্ড কর্তৃক, সময় সময় নির্ধারিত ফরমে, নৌযানে রপ্তানি কার্গো ঘোষণা করা হইবে এইরূপ সকল পণ্যের বর্ণনা সম্বলিত উক্ত মাস্টার কর্তৃক স্বাক্ষরিত দুই প্রস্থ রপ্তানি কার্গো ঘোষণা যথাযথ কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করিবেন এবং উহাতে আমদানি কার্গো ঘোষণায় প্রদর্শিত সকল পণ্য এবং রসদ ও ভাণ্ডার, যাহা অবতরণ করা হয় নাই অথবা নৌযানে ভোগ করা হয় নাই অথবা ট্রান্সশিপ করা হয় নাই, তাহা পৃথক পৃথকভাবে প্রদর্শন করিবেন;
(খ) কমিশনার অব কাস্টমস এর সাধারণ নির্দেশাবলির আলোকে যথাযথ কর্মকর্তার চাহিদা মোতাবেক রপ্তানি পণ্য ঘোষণা অথবা অন্যান্য দলিলপত্র দাখিল করিবেন; এবং
(গ) যথাযথ কর্মকর্তা জাহাজের প্রস্থান এবং গন্তব্য স্থান সম্পর্কে যে সকল প্রশ্ন করিবেন তাহার উত্তর প্রদান করিবেন।
(৩) ধারা ৪৮ এর উপ- ধারা (৩) এর কার্গো ঘোষণার সংশোধন সম্পর্কিত বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সাপেক্ষে, এই ধারা এবং ধারা ৫৭ এর অধীন রপ্তানি কার্গো ঘোষণা দাখিলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
৫৬। নৌযান ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা তাহার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট-
(ক) বোর্ড কর্তৃক, সময় সময় নির্ধারিত ফরমে, উক্ত যানে যে সকল পণ্য রপ্তানি হইবে তাহা উল্লেখপূর্বক তাহার অথবা তাহার এজেন্টর স্বাক্ষরযুক্ত দুই প্রস্থ রপ্তানি কার্গো ঘোষণা যথাযথ কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করিবেন এবং উক্ত যানবাহনের আমদানি কার্গো ঘোষণায় প্রদর্শিত সকল পণ্য এবং রসদ ও ভাণ্ডার, যাহা অবতরণ করা হয় নাই অথবা যানবাহনে ভোগ করা হয় নাই অথবা ট্রান্সশিপ করা হয় নাই, তাহা পৃথক পৃথকভাবে প্রদর্শন করিবেন ;
(খ) কমিশনার অব কাস্টমস এর সাধারণ নির্দেশাবলির আলোকে যথাযথ কর্মকর্তার চাহিদা মোতাবেক রপ্তানি পণ্য ঘোষণা অথবা অন্যান্য দলিলপত্র দাখিল করিবেন; এবং
(গ) যথাযথ কর্মকর্তা যানবাহনটির প্রস্থান এবং গন্তব্য স্থান সম্পর্কে যে সকল প্রশ্ন করিবেন তাহার উত্তর প্রদান করিবেন।
৫৭। (১) যথাযথ কর্মকর্তা নৌযানের বন্দর ছাড়পত্র অথবা অন্যান্য যানবাহনের প্রস্থান সম্পর্কিত অনুমতি প্রদান করিতে প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না-
(ক) ধারা ৬৬ অথবা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৬৭ এর বিধান পরিপালন করা হয়;
(খ) উক্ত নৌযানের ক্ষেত্রে উহার মালিক অথবা মাস্টার কর্তৃক অথবা অন্য যানবাহনের ক্ষেত্রে উহার মালিক অথবা ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক নৌযানের জন্য প্রদেয় স্টেশন অথবা বন্দরের সকল পাওনা, অন্যান্য চার্জ বা জরিমানা এবং উহাতে বোঝাইকৃত পণ্যসমূহের উপর প্রদেয় সকল শুল্ক, কর এবং অন্যান্য পাওনা যথাযথভাবে পরিশোধ করা হয় অথবা উক্ত কর্মকর্তা যেরূপ নির্দেশ করেন সেইরূপ গ্যারান্টি দ্বারা অথবা সেইরূপ হারে অর্থ জমা প্রদান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়;
(গ) যে ক্ষেত্রে দফা (ক) ও (খ) এর বর্ণনামতে প্রদেয় সকল শুল্ক, কর এবং অন্যান্য পাওনা পরিশোধ ব্যতীত অথবা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান ব্যতীত অথবা এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা আপাতত বলবৎ পণ্য রপ্তানি সম্পর্কিত অন্য কোনো আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া রপ্তানি পণ্য বোঝাই করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে-
(অ) উক্ত পণ্য নামানো হয়; অথবা
(আ) যথাযথ কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত পণ্য নামানো বাস্তবসম্মত নহে, তাহা হইলে পণ্য বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাহার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন অথবা উক্ত কর্মকর্তা যেরূপ নির্দেশ করেন, সেইরূপ গ্যারান্টি বা সেইরূপ পরিমাণ অর্থ জমা প্রদান করেন;
(ঘ) এজেন্ট, যদি থাকেন, যথাযথ কর্মকর্তার নিকট এই মর্মে লিখিত ঘোষণা প্রদান করেন যে, যদি কোনো যানবাহনে এইরূপ কোনো পণ্য পাওয়া যায়, যাহা কার্গো ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত বা বর্ণনা করা হয় নাই অথবা কার্গো ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে এইরূপ কোনো পণ্য উক্ত যানবাহনে পাওয়া না যায় বা কম পাওয়া যায়, এবং যথাযথ কর্মকর্তার সন্তুষ্টিতে উক্ত অতিরিক্ত বা ঘাটতির কৈফিয়ত প্রদান করা না হয়, তাহা হইলে তিনি, ক্ষেত্রমত, ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (১) এ উল্লিখিত ক্রমিক নম্বর ১১ এর অধীন আরোপণীয় যে কোনো জরিমানার জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন, এবং উহা সম্পাদন করিবার জন্য জামানত পেশ করেন;
(ঙ) এজেন্ট, যদি থাকেন, যথাযথ কর্মকর্তার নিকট এই মর্মে লিখিত ঘোষণা প্রদান করেন যে, আমদানি পণ্যের অন্তর্ভুক্ত কোনো পণ্যের মালিক কর্তৃক উক্ত পণ্যের ক্ষতি হওয়ার অথবা কম পণ্য পাওয়ার (short delivery) দাবি প্রতিষ্ঠিত হইলে তিনি উহা পূরণের জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন ঘোষণা প্রদানকারী এজেন্ট ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (১) এ উল্লিখিত ক্রমিক নং ১১ এর অধীন আরোপিত সকল জরিমানার জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন এবং উপ- ধারা (১) এর দফা (ঙ) এর অধীন ঘোষণা প্রদানকারী এজেন্ট উক্ত ঘোষণায় বর্ণিত সকল দাবি পূরণ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
৫৮। যদি যথাযথ কর্মকর্তা এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, এই অধ্যায়ের যানবাহন সম্পর্কিত বিধানাবলি যথাযথভাবে পরিপালিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি নৌযানের মাস্টারকে বন্দর ছাড়পত্র এবং অন্য যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রস্থানের অনুমতি মঞ্জুর করিবেন এবং একই সময়ে তদ্কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত কার্গো ঘোষণার একটি কপি মাস্টারকে অথবা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফেরত প্রদান করিবেন।
৫৯। ধারা ৫৭ বা ৫৮ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, যথাযথ কর্মকর্তা নৌযানের ক্ষেত্রে বন্দর ছাড়পত্র এবং অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রস্থানের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন, যদি ধারা ৫৫ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৫৬ তে নির্ধারিত রপ্তানি কার্গো ঘোষণা এবং অন্যান্য দলিলপত্র উক্ত মঞ্জুরির তারিখ হইতে ১০ (দশ) দিবসের মধ্যে যথাযথভাবে অর্পণ করিবার জন্য এজেন্ট এইরূপ জামানত পেশ করেন যাহা উক্ত কর্মকর্তার নিকট পর্যাপ্ত মনে হয়।
৬০। (১) এই আইন, বিধি বা অন্য কোনো আইনের বিধান পরিপালন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে যদি কোনো নৌযান কোনো বন্দর এলাকার মধ্যে থাকে বা অন্য কোনো যানবাহন কোনো স্টেশন বা বিমানবন্দর বা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে থাকে, তাহা হইলে যে কোনো সময়ে যথাযথ কর্মকর্তা বন্দর ছাড়পত্র বা প্রস্থানের লিখিত অনুমতি ফেরত প্রদানের দাবি করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো দাবি লিখিতভাবে করা যাইবে অথবা যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট বেতার বার্তাযোগে অবহিত করা যাইবে, এবং লিখিতভাবে করা হইলে, উহা-
(ক) ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাহার এজেন্টের নিকট ব্যক্তিগতভাবে অর্পণের মাধ্যমে;
(খ) উক্ত ব্যক্তির বা এজেন্টের সর্বশেষ জ্ঞাত বাসস্থানে রাখিয়া আসার মাধ্যমে; অথবা
(গ) যানবাহনটির উপর ভারপ্রাপ্ত বা পরিচালনার দায়িত্বে রহিয়াছেন বলিয়া প্রতীয়মান ব্যক্তির নিকট রাখিয়া আসার মাধ্যমেজারি করা যাইবে।
(৩) যে ক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) অনুসারে বন্দর ছাড়পত্র অথবা প্রস্থানের অনুমতি ফেরত প্রদানের দাবি করা হয়, সেই ক্ষেত্রে বন্দর ছাড়পত্র অথবা অনুমতি অবিলম্বে বাতিল হইয়া যাইবে।
৬১। (১) নৌযান ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহনে অবস্থানকারীদের (occupants) ব্যাগেজ ব্যতীত অন্য পণ্য বহন করা না হইলে উহার ক্ষেত্রে ধারা ৪৮, ৫৪ এবং ৫৬ এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে না।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যায়ের সকল অথবা যে কোনো বিধান হইতে সরকারের অথবা কোনো বিদেশি সরকারের মালিকানাধীন যানবাহনকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
দশম অধ্যায়
কাস্টমস স্টেশনে যানবাহন সংশ্লিষ্ট সাধারণ বিধানাবলি
৬২। (১) যখন কোনো যানবাহন কোনো কাস্টমস স্টেশনে অবস্থান করে অথবা উক্ত স্টেশন অভিমুখে অগ্রসর হয় তখন যথাযথ কর্মকর্তা যে কোনো সময়ে এক বা একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তাকে যানবাহনটিতে আরোহণের জন্য নিযুক্ত করিতে পারিবেন।
(২) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তাকে কোনো যানবাহনে আরোহণের জন্য নিযুক্ত করা হইলে, ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহাকে গ্রহণ, তাহার জন্য উপযুক্ত থাকার ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
৬৩। (১) ধারা ৬২ এর অধীন নিযুক্ত প্রত্যেক কর্মকর্তার যানবাহনের প্রতিটি অংশে প্রবেশের অধিকার থাকিবে এবং তিনি-
(ক) উক্ত যানবাহন হইতে খালাসের পূর্বে যে কোনো পণ্য চিহ্নযুক্ত করাইতে পারিবেন;
(খ) যানবাহনে পরিবহনকৃত কোনো পণ্য বা কোনো স্থান বা কন্টেইনার, যাহাতে পণ্য পরিবহন করা হয়, তাহা তালাবদ্ধ, সিলকৃত, চিহ্নযুক্ত অথবা অন্যভাবে নিরাপদ করিতে পারিবেন; অথবা
(গ) ডেকের ফাঁক অথবা খোলের প্রবেশপথ দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ (fasten) করিতে পারিবেন।
(২) যদি সংশ্লিষ্ট যানবাহনে কোনো বাক্স, স্থান বা বন্ধ পাত্র তালাবদ্ধ থাকে এবং উহার চাবি প্রদান করিতে অস্বীকার করা হয়, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন, যিনি তৎপ্রেক্ষিতে যানবাহনে অবস্থানকারী কর্মকর্তা বা তাহার অধীনস্থ অন্য কোনো কর্মকর্তাকে উহা তল্লাশি করিবার লিখিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) উপ- ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত আদেশে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদেশটি উপস্থাপন করিয়া উক্ত বাক্স, স্থান বা বন্ধ পাত্র তাহার সম্মুখে খুলিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং তাহার নির্দেশ মতে উহা খোলা না হইলে তিনি উহা ভাঙ্গিয়া খুলিতে পারিবেন।
৬৪। যে সকল যানবাহন বাংলাদেশের বাহিরে গন্তব্য স্থলের জন্য ট্রানজিট পণ্য বহন করে অথবা বিদেশি ভূখন্ড হইতে কোনো কাস্টমস স্টেশনে অথবা কোনো কাস্টমস স্টেশন হইতে বিদেশি ভূখন্ডে পণ্য বহন করে, সেই সকল যানবাহন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিল করা যাইবে।
৬৫। বিধি দ্বারা নির্ধারিত যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতি ব্যতীত কোনো কাস্টমস স্টেশনে পণ্য বোঝাই বা খালাসের জন্য নির্ধারিত কার্য ঘণ্টা বা স্থানের বাহিরে কোনো পণ্য বোঝাই বা খালাস করা যাইবে না।
৬৬। (১) যখন কোনো পণ্য জলযান যোগে পরিবহণ ও ওয়্যারহাউসিং এর উদ্দেশ্যে কোনো জাহাজ হইতে অবতরণ করা হয় অথবা দেশীয় ভোগের জন্য খালাস করা হয় অথবা রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোনো জাহাজে বোঝাইয়ের জন্য বহন করা হয় তখন প্রত্যেক বোঝাইকৃত জলযান অথবা অন্য কোনো পৃথক চালানের জন্য এইরূপ প্রেরিত প্যাকেজের সংখ্যা এবং মার্কস ও নম্বর অথবা উহার অন্য প্রকার বর্ণনা উল্লেখপূর্বক একটি বোট- নোট প্রেরণ করিতে হইবে।
(২) পণ্য অবতরণের জন্য প্রতিটি বোট- নোট জাহাজের একজন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং যদি জাহাজে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অবস্থান করেন, তাহা হইলে তদ্কর্তৃক উহা অনুরূপভাবে স্বাক্ষরিত হইবে এবং গন্তব্যে পৌঁছার পর উহা গ্রহণ করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করিতে হইবে।
(৩) পণ্য রপ্তানির জন্য প্রতিটি বোট- নোট যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং যদি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা যে জাহাজে পণ্য রপ্তানি করা হইবে উক্ত জাহাজে অবস্থান করেন তাহা হইলে উহা উক্ত কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করা হইবে এবং যদি কোনো কর্মকর্তা জাহাজে অবস্থান না করেন, তাহা হইলে উহা জাহাজের মাস্টার অথবা উহা গ্রহণ করিবার জন্য নিযুক্ত জাহাজের কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করা হইবে।
(৪) অবতরণকৃত পণ্যের বোট- নোট গ্রহণকারী কাস্টমস কর্মকর্তা, এবং রপ্তানিকৃত পণ্যের বোট- নোট গ্রহণকারী কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা, ক্ষেত্রমত, মাস্টার অথবা অন্য কর্মকর্তা উক্ত বোট- নোট স্বাক্ষর করিবেন এবং কমিশনার অব কাস্টমস যেরূপ নির্দেশ করেন সেইরূপ বিবরণ উহাতে লিপিবদ্ধ করিবেন।
(৫) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, কোনো কাস্টমস বন্দর অথবা উহার কোনো অংশের জন্য এই ধারার প্রয়োগ স্থগিত রাখিতে পারিবে।
৬৭। অবতরণের অথবা জাহাজজাতকরণের উদ্দেশ্যে জলপথে পরিবহণকৃত সকল পণ্য অযথা বিলম্ব না করিয়া অবতরণ অথবা জাহাজজাত করিতে হইবে।
৬৮। আসন্ন বিপদের ক্ষেত্র ব্যতীত কাস্টমস কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অবতরণের অথবা জাহাজীকরণের উদ্দেশ্যে কোনো জলযানে খালাসকৃত অথবা বোঝাইকৃত কোনো পণ্য অন্য কোনো জলযানে যানান্তর করা যাইবে না।
৬৯। (১) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো কাস্টমস বন্দরের ক্ষেত্রে ঘোষণা করিতে পারিবে যে, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখের পর যথাযথভাবে লাইসেন্সকৃত অথবা নিবন্ধিত নহে এইরূপ নৌকাকে উক্ত বন্দর সীমানার মধ্যে পণ্যদ্রব্য অবতরণ অথবা জাহাজীকরণের জন্য কার্গো- বোট হিসাবে চলাচল করিতে দেওয়া হইবে না।
(২) যে বন্দরের ক্ষেত্রে উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপন জারি করা হইয়াছে সেই বন্দরের ক্ষেত্রে কমিশনার অব কাস্টমস অথবা এই উদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে ফি নির্ধারণ করিবে তাহা পরিশোধ করা হইলে, কার্গো- বোটের জন্য লাইসেন্স প্রদান এবং নিবন্ধন করিতে অথবা উহা বাতিল করিতে পারিবেন।
৭০। (১) বাংলাদেশি জাহাজের আওতাধীন প্রত্যেক নৌযান (Boat) এবং অনধিক ১ (এক) শত টনের অন্যান্য প্রতিটি জাহাজ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চিহ্নযুক্ত করিতে হইবে।
(২) বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, অনধিক ১ (এক) শত টনের সকল বা যে কোনো শ্রেণির বা যে কোনো বর্ণনার নৌযানের চলাচল, সমুদ্রে বা অভ্যন্তরীণ জলপথে হউক না কেন, নিষিদ্ধ, নিয়ন্ত্রিত বা সীমাবদ্ধ করা যাইবে।
একাদশ অধ্যায়
কার্গো খালাস এবং পণ্যের অন্তর্মুখী (inward) এন্ট্রি
৭১। বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক কার্গো খালাসের অনুমতি প্রদান না করা পর্যন্ত কোনো যানবাহন হইতে কার্গো খালাস করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথ কর্মকর্তা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অন্তর্মুখী প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বে পচনশীল বা বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন এইরূপ অন্যান্য কার্গো খালাসের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
৭২। নৌযান ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন স্থল কাস্টমস স্টেশন বা কাস্টমস বিমানবন্দরে পৌঁছাইবার পর উক্ত যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, ধারা ৫১ এর অধীন প্রয়োজনীয় আগমন সংক্রান্ত অবহিতকরণ এবং অন্তর্মুখী প্রতিবেদন প্রেরণ করিলে, তিনি, যথাযথ কর্মকর্তার চাহিদা মোতাবেক, উক্ত যানবাহন অবিলম্বে স্থল কাস্টমস স্টেশন বা কাস্টমস বিমানবন্দরের পরীক্ষাস্থলে লইবেন বা লইবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং উক্ত যানবাহনে পরিবহণকৃত সকল পণ্য যথাযথ কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তির উপস্থিতিতে উক্ত স্থল কাস্টমস স্টেশন বা কাস্টমস বিমানবন্দরে অপসারণ করিবেন বা অপসারণ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।
৭৩। (১) কার্গো ঘোষণায় প্রদর্শন করিবার আবশ্যকতা রহিয়াছে এইরূপ আমদানিকৃত পণ্য, উক্ত কাস্টমস স্টেশনে নামাইবার জন্য কার্গো ঘোষণায় বা সংশোধিত বা সম্পূরক কার্গো ঘোষণায় উল্লেখ করা না হইলে যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো যানবাহন হইতে উক্ত পণ্য নামানো যাইবে না।
(২) এই ধারার কোনো কিছুই কোনো যাত্রী বা ক্রু-সদস্যের সহিত আনা ব্যাগেজ বা মেইল ব্যাগ নামানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
৭৪। (১) যদি-
(ক) পণ্য খালাসের অনুমতি প্রদানের পর, বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে নৌযানে আমদানিকৃত পণ্য (নামানো হইবে না বলিয়া কার্গো ঘোষণায় প্রদর্শিত পণ্য ব্যতীত) নামানো না হয়; বা
(খ) সামান্য পরিমাণ পণ্য ব্যতীত নৌযানের অন্যান্য পণ্য উক্তরূপে নির্দিষ্টকৃত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে খালাস করা হয়;
তাহা হইলে উক্ত নৌযানের মাস্টার বা তাহার আবেদনক্রমে যথাযথ কর্মকর্তা, উক্ত পণ্য কাস্টমস হাউসে বহন করিতে পারিবেন এবং উহা উক্ত স্থানে এন্ট্রির অপেক্ষায় থাকিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন কোনো পণ্য কাস্টমস হাউসে আনয়ন করা হইলে যথাযথ কর্মকর্তা উক্ত পণ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করিবেন এবং উহার জন্য প্রাপ্তি রসিদ প্রদান করিবেন; এবং যদি নৌযানের মাস্টার বা এজেন্ট কর্তৃক উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এই মর্মে লিখিত নোটিশ প্রদান করা হয় যে, পণ্যসমূহ ফ্রেইট, প্রাইমেজ, জেনারেল এভারেজ, ডেমারেজ, কন্টেইনার ডিটেনশন চার্জ, ডেড- ফ্রেইট, টার্মিনাল হ্যান্ডলিং চার্জ, কন্টেইনার সার্ভিস চার্জ বা অন্য কোনো চার্জ এর লিয়েনের অধীন থাকিবে, তাহা হইলে যথাযথ কর্মকর্তা বর্ণিত চার্জসমূহ পরিশোধ করা হইয়াছে মর্মে লিখিত নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত পণ্য তাহার দখলে রাখিবেন।
৭৫। (১) কোনো নৌযান পৌঁছাইবার পর যে কোনো সময় যথাযথ কর্মকর্তা উক্ত নৌযানের মাস্টারের সম্মতিক্রমে পণ্যের কোনো ক্ষুদ্র প্যাকেজ বা পার্সেল কাস্টমস স্টেশনে বহন করিবার ব্যবস্থা করিবেন, যেখানে উহা এন্ট্রির জন্য কাস্টমস কর্মকর্তার দায়িত্বে এই আইনের অধীন উক্ত প্যাকেজ বা পার্সেল অবতরণের জন্য অনুমোদিত অবশিষ্ট কার্যদিবস পর্যন্ত রক্ষিত থাকিবে।
(২) যদি কাস্টমস স্টেশন বহনকৃত কোনো প্যাকেজ বা পার্সেল নামাইবার জন্য অনুমোদিত সংখ্যক কার্যদিবস উত্তীর্ণ হওয়ার পর বা যে নৌযান হইতে উহা নামানো হইয়াছে তাহা বহির্গমনের ছাড়পত্র প্রদান করিবার সময় দাবিদারবিহীন থাকে, তাহা হইলে উক্ত নৌযানের মাস্টার ধারা ৭৪ এর বিধানমতে নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং কাস্টমস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতঃপর উক্ত ধারার ব্যবস্থামতে উক্ত প্যাকেজ বা পার্সেলের দখল গ্রহণ করিবেন।
৭৬। (১) ধারা ৭২, ৭৪ এবং ৭৫ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কাস্টমস স্টেশনের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য ঘোষণা করিয়াছে, উক্ত স্টেশনের যথাযথ কর্মকর্তা ধারা ৭১ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে কোনো নৌযানের মাস্টারকে বা কার্গো ঘোষণা প্রাপ্তির অব্যবহিত পরে, নৌযান ব্যতীত অন্য যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে উক্ত যানবাহনে আমদানিকৃত সকল পণ্য অথবা উহার অংশবিশেষ, তাহার এজেন্টের জিম্মায়, যদি তিনি উহা গ্রহণ করিতে সম্মত থাকেন, নিম্নবর্ণিত স্থানে খালাসের উদ্দেশ্যে নামাইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) কোনো কাস্টমস হাউস, নির্ধারিত কোনো অবতরণ স্থানে বা জেটিতে;
(খ) বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ, রেলওয়ে বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা বা কোম্পানির মালিকানাধীন কোনো অবতরণ স্থান বা জেটিতে; বা
(গ) জিম্মায় প্রদানের জন্য কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক অনুমোদিত কোনো ব্যক্তির নিকট।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত পণ্য বা উহার অংশবিশেষ গ্রহণকারী কোনো এজেন্ট উক্ত পণ্যের মালিককে এতদ্সম্পর্কিত কোনো ক্ষতি বা কম সরবরাহের সকল প্রতিষ্ঠিত দাবি মিটাইতে বাধ্য থাকিবেন এবং উক্ত মালিকের নিকট হইতে প্রদত্ত সেবা বাবদ চার্জ আদায় করিবার অধিকারী হইবেন, কিন্তু যে ক্ষেত্রে উক্ত পণ্য বা উহার অংশবিশেষ নামাইবার জন্য মালিক কর্তৃক কোনো এজেন্ট পূর্বাহ্নে নিযুক্ত হইয়া থাকেন এবং উক্ত নিযুক্তি বাতিল না হয় সেক্ষেত্রে উক্ত এজেন্ট কমিশন বা অনুরূপ কোনো কিছু প্রাপ্ত হইবেন না:
তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথ কর্মকর্তার লিখিত আদেশ ব্যতীত উক্ত পণ্য বা উহার অংশবিশেষ গ্রহণকারী কোনো এজেন্ট উহা অপসারণ করিতে বা অন্যভাবে ব্যবস্থাপনা করিতে পারিবেন না।
(৩) যথাযথ কর্মকর্তা উপ- ধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীন খালাসকৃত সকল পণ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করিবেন এবং ধারা ৭৪ ও ধারা ৯৪ এর বিধান অনুযায়ী উহাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(৪) উপ- ধারা (১) এর দফা (খ) বা দফা (গ) এর অধীন কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ, রেলওয়ে বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা অথবা কোম্পানি বা ব্যক্তির মালিকানাধীন অবতরণ স্থানে অথবা জেটিতে বা মজুদ করিবার স্থানে কোনো পণ্য নামানো হইলে তাহারা যথাযথ কর্মকর্তার লিখিত আদেশ ব্যতীত উহা অপসারণ করিতে অথবা অন্য কোনোভাবে ব্যবস্থাপনা করিতে পারিবেন না।
৭৭। (১) কোনো কার্গো আগমনের সংবাদ অবহিতকরণের সময় হইতে কোনো কাস্টমস পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত না করা পর্যন্ত, আমদানিকৃত পণ্য অস্থায়ী মজুদের অধীন বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) পণ্যের কার্গো ঘোষণাই অস্থায়ী মজুদের ঘোষণা হইবে।
৭৮। (১) অস্থায়ী মজুদের পণ্য কেবল ধারা ১১ এর অধীন নির্ধারিত বা ধারা ১২ এর অধীন এতদুদ্দেশ্যে লাইসেন্সকৃত ওয়্যারহাউসে বা বোর্ড কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) বা অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোনো স্থানে রাখা যাইবে।
(২) অস্থায়ী মজুদে রক্ষিত পণ্য, ধারা ৯২ অনুসারে ছাড় বা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অন্য কোনো কারণে অপসারণের অনুমতি প্রদান না করা পর্যন্ত, উক্ত স্থান হতে অপসারণ করা যাইবে না।
৭৯। পণ্যের আমদানিকারকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহে এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অস্থায়ীভাবে মজুদকৃত পণ্য পরীক্ষা বা নমুনা সংগ্রহের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
৮০। ধারা ৮৮ এর বিধানকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অস্থায়ী মজুদে রক্ষিত পণ্য কেবল এইরূপে হ্যান্ডলিং করিতে হইবে যেন উক্ত পণ্যের বাহ্যিক বা কারিগরি বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন না হয়।
দ্বাদশ অধ্যায়
পণ্যের ঘোষণা এবং ছাড়করণ
৮১। (১) কোনো পণ্যের আমদানিকারককে বা রপ্তানিকারককে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে নিম্নবর্ণিত বিষয় উল্লেখ করিয়া একটি পণ্য ঘোষণা কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে বা, ইলেকট্রনিক সিস্টেম না থাকিলে ম্যানুয়্যালি দাখিল করিতে হইবে, যথা:-
(ক) উক্ত পণ্যের জন্য প্রযোজ্য কাস্টমস পদ্ধতি;
(খ) এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলি অনুসারে পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ এবং পণ্যের কাস্টমস মূল্য সংক্রান্ত ঘোষণা; এবং
(গ) পণ্যের পরিমাণ ও যথাযথ বর্ণনাসহ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো বিষয়।
(২) পণ্য আমদানিকারককে পণ্যের সঠিক শুল্ক নিরূপণ এবং ছাড়ের জন্য বোর্ড বা অন্যান্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত দলিল ও পর্যাপ্ত তথ্য যথাযথ কর্মকর্তার নিকট দাখিল বা উপস্থাপন করিতে হইবে।
৮২। আমদানি বা রপ্তানির জন্য পণ্য ঘোষণাকারী বা যাহার পক্ষে উক্তরূপ ঘোষণা প্রদান করা হইয়াছে এইরূপ ব্যক্তি নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন, যথা:-
(ক) পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতা;
উপস্থাপিত যে কোনো দলিলের সত্যতা;
(গ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রদেয় সকল শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ এবং প্রাসঙ্গিক কাস্টমস পদ্ধতির অধীন সংশ্লিষ্ট পণ্য ন্যস্ত করা সম্পর্কিত অন্যান্য সকল বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন; এবং
(ঘ) যথাযথ কর্মকর্তার অনুরোধে এবং উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনো উপযুক্ত ফরমে চাহিদামত সকল দলিল ও তথ্য দাখিল এবং কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন বা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান;
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনো এজেন্ট কর্তৃক উক্ত ঘোষণা প্রদান করিবার ক্ষেত্রে, উক্ত এজেন্টও উপরিউক্ত দফা (ক), (খ) ও (ঘ) তে উল্লিখিত বাধ্যবাধকতার জন্য দায়ী থাকিবেন।
৮৩। (১) ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় পণ্য ঘোষণা দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ৮১ অনুযায়ী দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উহা নিবন্ধিত হইয়া যাইবে।
(২) ম্যানুয়্যালি কোনো পণ্য ঘোষণা দাখিলের ক্ষেত্রে, ধারা ৮১ এর আবশ্যকতাসমূহ প্রতিপালন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, যথাযথ কর্মকর্তা অনতিবিলম্বে উহা নিবন্ধন করিবেন।
৮৪। (১) কোনো কাস্টমস স্টেশনে পণ্য নামাইবার পর আমদানিকারক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পণ্য পৌঁছাইবার বা, ক্ষেত্রমত, অবতরণের ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে, পণ্য ঘোষণা দাখিল করিবেন।
(২) আমদানির জন্য পণ্য বোঝাই করা হইয়াছে এইরূপ কোনো যানবাহন এতদ&সংক্রান্ত পণ্য ঘোষণা দাখিলের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে পৌঁছাইবার প্রত্যাশার ক্ষেত্রে, আমদানিকারক উক্ত পণ্যের আমদানির পূর্বেই কোনো পণ্য ঘোষণা দাখিল করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত পণ্য উক্ত সময়ের মধ্যে না পৌঁছায়, তাহা হইলে উক্তরূপ পণ্য ঘোষণা দাখিল করা হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে।
৮৫। কোনো আমদানিকারক তদ্কর্তৃক কোনো কাস্টমস পদ্ধতির অধীনে প্রদত্ত পণ্য ঘোষণা অন্য কোনো কাস্টমস পদ্ধতি দ্বারা প্রতিস্থাপন করিবার লিখিত অনুরোধ করিলে, কমিশনার অব কাস্টমস যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত অনুরোধ বৈধ কারণে করা হইয়াছে এবং উহাতে প্রতারণা করিবার কোনো অভিপ্রায় নাই, তাহা হইলে উক্তরূপ প্রতিস্থাপনের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
৮৬। (১) কোনো আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক কর্তৃক লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে ধারা ৮১ এর অধীন দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় উল্লিখিত এক বা একাধিক বিবরণ সংশোধনের অনুমতি প্রদান করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরোধকৃত সংশোধন মূল দলিলের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হইতে হইবে:
আরও শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত কোনো ঘটনার পর যদি কোনো সংশোধনের অনুরোধ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত সংশোধনের অনুমতি প্রদান করা যাইবে না, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যদি ইহা অবহিত করা হয় যে, পণ্য পরীক্ষা করা হইবে;
(খ) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক যদি ইহা প্রতিষ্ঠিত হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিবরণ সঠিক নহে; অথবা
(গ) ধারা ১১২ এ উল্লিখিত ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতীত, পণ্য ছাড় করা হইয়াছে।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন পণ্য ঘোষণার কোনো সংশোধন মূল পণ্য ঘোষণায় উল্লিখিত পণ্য ব্যতীত অন্য কোনো পণ্যের জন্য প্রযোজ্য হইবে না।
(৩) যথার্থতা প্রতিপাদিত হইলে, কমিশনার অব কাস্টমস যুক্তিসঙ্গত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণা প্রত্যাহারের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
7[(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১১২ এ বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কাস্টমস এলাকা হইতে পণ্য অপসারণের পর পণ্যের পরিমাণ, মূল্য এবং বর্ণনা সংশোধন করা যাইবে না।]
৮৭। (১) কোনো পণ্য ঘোষণায় বর্ণিত বিবরণের সঠিকতার সত্যতা প্রতিপাদন এবং এই আইন ও বিধি এবং পণ্য আমদানি বা, ক্ষেত্রমত, রপ্তানি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের কোনো নিষেধাজ্ঞা, বিধি- নিষেধ (restriction) বা অন্যান্য আবশ্যকতা প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে এবং ধারা ৯৩ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, যথাযথ কর্মকর্তা নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) পণ্য ঘোষণা এবং যে কোনো সহায়ক দলিল পরীক্ষা করা;
(খ) সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারককে অন্যান্য দলিল উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান;
(গ) নন- ইন্ট্রুসিভ (non intrusive) যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য পরিদর্শন করা;
(ঘ) পণ্য পরীক্ষা করা;
(ঙ) অন্য কোনো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পণ্য পরীক্ষা করানো; বা
(চ) পণ্যের বিশ্লেষণ বা বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা।
(২) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো পণ্য পরীক্ষা বা নমুনা হিসাবে সংগ্রহের জন্য নির্বাচন করিলে, যথাযথ কর্মকর্তা অবিলম্বে উহা সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারককে অবহিত করিবেন।
(৩) অন্য কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের পক্ষে কোনো পণ্যের পরীক্ষা, নমুনা সংগ্রহ বা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে, যথাযথ কর্মকর্তা, যেক্ষেত্রে সম্ভব, সেইক্ষেত্রে ইহা নিশ্চিত করিবেন যে, উক্ত কাস্টমস সংক্রান্ত কার্যাদি এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের পক্ষে অনুরূপ কার্যাদি একই সময়ে ও স্থানে পরিচালিত হয়।
৮৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যথাযথ কর্মকর্তা কোনো পণ্য প্রবেশ অথবা খালাসের সময় অথবা উহা কোনো কাস্টমস এলাকার মধ্য দিয়া অতিক্রম করিবার সময়ে উক্ত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
(২) বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আমদানিকৃত পণ্যের পরীক্ষা বা রাসায়নিক পরীক্ষা পরিচালনা করিবার জন্য যে কোনো পরীক্ষাগারকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) উপ- ধারা (১) ও (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অনুসরণীয় পদ্ধতিসমূহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৮৯। কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বা পরীক্ষার আনুষঙ্গিক কার্যক্রম, যাহার মধ্যে কোনো তদন্ত, বৈজ্ঞানিক অথবা রাসায়নিক পরীক্ষা বা ড্রাফট সার্ভে অন্তর্ভুক্ত, পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য বা উহার কন্টেইনার খোলা, মোড়ক খোলা, বাদ দেওয়া, পরিমাপ করা, পুনঃমোড়কজাত করা, স্তূপ করা, বাছাই করা, বাহির করা, চিহ্নযুক্ত (marking) করা, সংখ্যায়ন করা, উঠানো, নামানো, পরিবহণ করা বা বোঝাই করিবার কাজ বা উহার অপসারণ বা ওয়্যারহাউসিং এর জন্য এবং উক্তরূপ পরীক্ষা, তদন্ত, রাসায়নিক পরীক্ষা অথবা সার্ভে করিবার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো সুবিধা বা সহায়তা প্রদান উক্ত পণ্যের আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক কর্তৃক এবং তাহার নিজ খরচে সম্পন্ন করিতে হইবে।
৯০। (১) এই আইন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যথাযথ কর্মকর্তা-
(ক) এই আইন ও বিধির বিধানাবলি এবং অন্যান্য আইনগত বিধানাবলি অনুসরণপূর্বক পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ এবং পণ্যের কাস্টমস মূল্য নিরূপণ করিবেন; এবং
(খ) উক্ত পণ্যের উপর, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিশোধযোগ্য শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন।
(২) সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারককে অনতিবিলম্বে, প্রদেয় শুল্ক করের পরিমাণ নিরূপণ করিয়া, যদি থাকে, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বা শুল্কায়ন আদেশ জারি করিয়া অবহিত করিতে হইবে।
(৩) উপ- ধারা (১) এর অধীন যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক শুল্কায়নের পরিবর্তে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পণ্য ঘোষণায় বর্ণিত কাস্টমস মূল্য, পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ, শুল্ক হার, প্রদেয় শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জের পরিমাণ গ্রহণ করা যাইবে এবং উক্তরূপ ক্ষেত্রে, প্রদেয় পরিমাণের নোটিশ, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক কৃত শুল্কায়ন আদেশ বলিয়া গণ্য হইবে।
৯১। (১) ধারা ২০৪ এর উপ- ধারা (৩) অধীন দাবির উপর প্রযোজ্য সময়সীমা ক্ষুণ্ন না করিয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, সময় সময়, কোনো শুল্কায়নের শুদ্ধতা নিশ্চিত করিবার নিমিত্তে শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জের শুল্কায়ন, গৃহীত পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ ও কাস্টমস মূল্য পরিবর্তন করিয়া পুনঃশুল্কায়ন করিতে বা করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কর্মকর্তা, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা, বিধি- নিষেধ বা লঙ্ঘনের বিষয়ে যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবেন, সেইরূপ সংশোধন করিতে বা করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন, তবে উক্ত শুল্কায়ন সংশ্লিষ্ট পণ্য আর কাস্টমস নিয়ন্ত্রণাধীন না থাকিলে বা উহার উপরে প্রথমে শুল্কায়িত শুল্ক ও করের পরিমাণ পরিশোধ করা হইলেও উপর্যুক্ত বিধান প্রযোজ্য হইবে।
(৩) যদি এই ধারার অধীন পুনঃশুল্কায়নের ফলে নূতন বা অতিরিক্ত শুল্ক, কর বা ফি পরিশোধের প্রয়োজন হয় বা ভুলক্রমে ফেরত প্রদান করা হইয়াছে এইরূপ শুল্ক, কর বা ফি পুনরায় আদায়ের প্রয়োজন হয় তাহা হইলে যে কারণের ভিত্তিতে উক্ত পুনঃশুল্কায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে তাহা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবহিত করিতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তিকে, উক্তরূপ অবহিতকরণের তারিখ হইতে উহাতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাহার মতামত লিখিতভাবে প্রকাশ এবং শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত সময়ের পর, পুনঃশুল্কায়ন চূড়ান্ত করিতে হইবে এবং একটি লিখিত দাবিনামা জারি করা হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন পুনঃশুল্কায়িত শুল্ককর লিখিত দাবিনামা জারির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে।
৯২। পণ্য ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত কোনো পণ্য নিম্নলিখিত কার্যক্রমসমূহের সমাপনান্তে ছাড় করা হইবে, যথা:-
(ক) যথাযথ কাস্টমস পদ্ধতি অনুযায়ী, শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ বা প্রয়োজনমতে কোনো গ্যারান্টি প্রদানসহ, সকল শর্তাবলি, পূরণ করা; এবং
(খ) যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক পণ্য ঘোষণার সত্যতা প্রতিপাদিত হওয়া অথবা প্রতিপাদন ব্যতীত গৃহীত হওয়া।
৯৩। (১) যদি দেশীয় ভোগের জন্য বা ওয়্যারহাউসিং এর জন্য বা দেশীয় ভোগের উদ্দেশ্যে ওয়্যারহাউস হইতে খালাসের জন্য এন্ট্রি করা কোনো আমদানিকৃত পণ্যের উপর অথবা রপ্তানির জন্য এন্ট্রি করা কোনো পণ্যের উপর প্রদেয় কাস্টমস শুল্ক, পণ্যসমূহের রাসায়নিক বা অন্যান্য পরীক্ষার কারণে বা শুল্কায়নের উদ্দেশ্যে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে বা উক্ত পণ্য সম্পর্কিত সকল দলিলপত্র অথবা সম্পূর্ণ দলিলপত্র অথবা পূর্ণ তথ্য সরবরাহ না করিবার জন্য অবিলম্বে শুল্কায়ন করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কর্মকর্তা উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় শুল্ক ও কর সাময়িকভাবে শুল্কায়ন এবং উক্ত পণ্য ছাড়ের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, সাময়িকভাবে শুল্কায়নের উপর চূড়ান্ত শুল্কায়নের ফলে যে অতিরিক্ত শুল্ক প্রদেয় হইবে উহা পরিশোধ করিবার জন্য উক্ত কর্মকর্তার বিবেচনায় যেরূপ পর্যাপ্ত বিবেচিত হইবে, আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক সেইরূপ পরিমাণ গ্যারান্টি দাখিল করিবেন এবং এই ক্ষেত্রে উক্ত পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকিবে না এবং উক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে সকল বিধি- বিধান প্রতিপালিত হইয়াছে মর্মে নিশ্চিত করিতে হইবে।
(২) যদি উপ- ধারা (১) এর অধীন সাময়িক শুল্কায়নের ভিত্তিতে কোনো পণ্য খালাস প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় প্রকৃত শুল্ক ও কর সাময়িক শুল্কায়নের তারিখ হইতে ১২০ (একশত বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে এবং যেক্ষেত্রে কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল অথবা আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো মামলা অনিষ্পন্ন রহিয়াছে সেই ক্ষেত্রে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১২০ (একশত বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নিরূপণ করিতে হইবে এবং উক্ত শুল্কায়ন সম্পন্ন হওয়ার পর যথাযথ কর্মকর্তা ইতঃপূর্বে পরিশোধিত অথবা গ্যারান্টিকৃত অর্থের সহিত চূড়ান্ত শুল্কায়নের ভিত্তিতে প্রদেয় অর্থের বিপরীতে শুল্ক ও করের পরিমাণ সমন্বয় করিবার আদেশ প্রদান করিবেন এবং উহাদের মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ আমদানিকারক অথবা রপ্তানিকারক অনতিবিলম্বে পরিশোধ করিবেন অথবা, ক্ষেত্রমত, তাহাদের নিকট ফেরত প্রদান করা হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে, উহা লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া এই উপ- ধারায় বর্ণিত চূড়ান্ত শুল্ক নিরূপণের সময় বর্ধিত করিতে পারিবে।
৯৪। (১) কোনো আমদানিকৃত পণ্য দেশীয় ভোগের জন্য ছাড় করা না হইলে বা কোনো পণ্য রপ্তানির ঘোষণা প্রদানের পর রপ্তানি করা না হইলে, যথাযথ কর্মকর্তার পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্ত পণ্যের আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, হেফাজতকারী ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত পণ্য সরকারের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে।
8[(২) কোনো পণ্য সরকারের নিকট হস্তান্তরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত পণ্য নিম্নবর্ণিত কারণে কাস্টমস বন্দর অথবা স্থল কাস্টমস স্টেশন অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ-কন্টেইনার টার্মিনালে পণ্য নামাইবার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অথবা কাস্টমস বিমানবন্দরে পণ্য নামাইবার তারিখ হইতে ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে, বা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে, ছাড় করা বা জাহাজীকরণ না হয়—
(ক) সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারকের কারণে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত পণ্য পরীক্ষার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা পরীক্ষা করা সম্ভব না হইলে;
(খ) সংশ্লিষ্ট পণ্য অনুরোধকৃত কাস্টমস পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত বা ছাড় করিবার পূর্বে অবশ্য উপস্থাপনীয় দলিল উপস্থাপন না করিলে; বা
(গ) শুল্ক ও কর পরিশোধ বা এতদ্সংক্রান্ত কোনো গ্যারান্টি প্রদানের ক্ষেত্রে, উহা পরিশোধ বা প্রদান করা না হইলে।]
(৩) সরকারের নিকট হস্তান্তরিত পণ্য, উক্ত পণ্যের মালিকের ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হইলে তাহাকে যথাযথ নোটিশ প্রদান করিয়া বা তাহার ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হইলে উক্ত নোটিশ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়া, যথাযথ কর্মকর্তার আদেশক্রমে বিক্রয়, ধ্বংস বা অন্যবিধ উপায়ে বিলিবন্দেজ করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে-
(ক) যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে, জীবজন্তু এবং পচনশীল পণ্য যে কোনো সময় বিক্রয় করা যাইবে;
(খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, অস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সরঞ্জাম ও বিপজ্জনক পণ্য, বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত সময়ে, স্থানে এবং পদ্ধতিতে বিক্রয় বা অন্যবিধ উপায়ে বিলিবন্দেজ করা যাইবে।
(৪) উপ- ধারা (১) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দেশীয় ভোগের জন্য শুল্কযোগ্য কোনো পণ্য কাস্টমস শুল্ক ও কর পরিশোধ না করিয়া অপসারণ করা যাইবে না।
(৫) যদি ন্যায়নির্ণয়ন, আপিল, পুনরীক্ষণ (revision) বা কোনো আদালতের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে, উপ- ধারা (১) এর অধীন কোনো পণ্য বিক্রয় করা হয়, তাহা হইলে উক্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারি ট্রেজারিতে জমা করিতে হইবে; এবং যদি উক্ত ন্যায়নির্ণয়নে বা আপিলে বা পুনরীক্ষণে ইহা পরিদৃষ্ট হয় বা আদালত সিদ্ধান্ত প্রদান করে যে, উক্তরূপ বিক্রয়কৃত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য নহে, তাহা হইলে বিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে ধারা ২৩৭ এ যেরূপ ব্যবস্থা বর্ণিত রহিয়াছে, সেইরূপ পাওনা, শুল্ক বা কর প্রয়োজনীয় কর্তনের পর উহা মালিককে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
৯৫। যদি এই আইনের বিধানাবলির অধীন আটককৃত, জব্দকৃত, বাজেয়াপ্তকৃত, ন্যায়নির্ণয়নাধীন বা আপিলাধীন পণ্য ব্যতীত, যথাযথভাবে পণ্য ঘোষণা উপস্থাপন করা হইয়াছে এইরূপ অন্য কোনো পণ্য, ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে শুল্কায়ন করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের আমদানিকারক ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে শুল্কায়নের জন্য কমিশনারকে নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্ত কমিশনার বা তাহার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা, আমদানি বৈধ হইলে, শুল্কায়ন করিবেন অথবা আমদানি বৈধ না হইলে, কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “আটককৃত পণ্য” বলিতে রাসায়নিক পরীক্ষা বা তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষার জন্য বা শ্রেণিবিন্যাস, মূল্য, আমদানিযোগ্যতা বা অন্য কোনো আইনগত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আটককৃত পণ্য অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৯৬। ছাড় প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দ্রুত করিবার উদ্দেশ্যে, বোর্ড, তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও পরিসীমা সাপেক্ষে, নিম্নলিখিত পণ্যের ক্ষেত্রে পণ্যের ঘোষণা, সত্যতা প্রতিপাদন এবং ছাড়ের জন্য এই আইনের অধীন আবশ্যকতাসমূহ বিধি দ্বারা পরিবর্তন করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট পণ্য চালানের মোট মূল্য বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত পরিমাণের অধিক না হইলে;
(খ) বিদেশে মৃত্যুবরণ করিয়াছেন এইরূপ বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত পণ্য;
(গ) একই অবস্থায় অস্থায়ী আমদানি বা পুনঃআমদানিযোগ্য বাণিজ্যিক বাহন;
(ঘ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ত্রাণকর্মীদের দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যবহৃত পণ্যসহ দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য আনীত পণ্য;
(ঙ) জীবিত প্রাণী এবং পচনশীল পণ্য;
(চ) এক্সপ্রেস (express) পদ্ধতির আওতাভুক্ত চালান; এবং
(ছ) অন্য কোনো ক্ষেত্রে, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণি বা ধরনের পণ্য বা বিভিন্ন শ্রেণির লেনদেনের জন্য পৃথক হইতে পারে এইরূপ বাণিজ্য সহজীকরণ ও ঝুঁকি বিবেচনার জন্য বিকল্প ঘোষণা বা ছাড়করণ প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়।
৯৭। (১) বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি সাপেক্ষে, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তিকে, যিনি এই আইন ও বিধি উপযুক্ত পর্যায় পর্যন্ত প্রতিপালন করিয়াছেন এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বিধানের মান্যতা (compliance) বা অমান্যতা (Non- compliance) এর ঝুঁকি সম্পর্কিত অন্যান্য মানদণ্ড পূরণ করিয়াছেন, অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটর এর মর্যাদা প্রদান করিতে পারিবে।
(২) অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটর, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে সহজীকৃত কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা ব্যবহার করিবার যোগ্যতাসম্পন্ন হইবেন।
(৩) বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশে বা ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তিকে এই ধারার অধীন অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটর সুবিধা মঞ্জুর করিবার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক চুক্তি করিতে পারিবে, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত দেশ বা ভূখণ্ডের প্রাসঙ্গিক আইনে বর্ণিত শর্তাবলি ও বাধ্যবাধকতা এই ধারার অধীন নির্ধারিত শর্তাবলি ও বাধ্যবাধকতার সমতুল্য হয় এবং উক্ত সুবিধা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিকে পারস্পরিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।
(৪) উপ- ধারা (৩) এ উল্লিখিত আন্তর্জাতিক চুক্তি সাপেক্ষে, বোর্ড এই ধারার অধীন অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটরকে প্রদত্ত সুবিধা, বিদেশি রাষ্ট্র বা ভূখণ্ডের প্রাসঙ্গিক আইনে বর্ণিত শর্তাবলি পূরণ ও বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে, মঞ্জুর করিতে পারিবে।
ত্রয়োদশ অধ্যায়
পণ্যের ছাড় ও ছাড় পরবর্তী নিরীক্ষা
৯৮। (১) বাংলাদেশে বিক্রয়, ব্যবহার বা ভোগের নিমিত্ত আমদানিকৃত পণ্য, দেশীয় ভোগের জন্য নির্ধারিত কাস্টমস পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত করিতে হইবে।
(২) দেশীয় ভোগের জন্য কাস্টমস পদ্ধতির অধীন পণ্য ন্যস্ত করিবার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তাবলি পূরণ করিতে হইবে, যথা:-
(ক) উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় সকল কাস্টমস শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ, বা এই আইন বা বিধি অনুযায়ী অনুমোদিত হওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য গ্যারান্টি প্রদান করিতে হইবে; এবং
(খ) পণ্য ঘোষণা এবং ছাড়ের জন্য আবশ্যকীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করিতে হইবে।
৯৯। (১) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা যে কোনো সময়ে এবং ধারা ১৭৬ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, ধারা ২৪৬ অনুসারে নথিপত্র যে স্থানে সংরক্ষণ করা হয় সেই স্থানে বা অঙ্গনে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং যে সকল নথিপত্র হস্তলিখিত বা ইলেকট্রনিক সিস্টেমে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করা হয় উহার পর্যাপ্ততা অথবা সত্যতা সম্পর্কিত বিষয়ে অথবা কোনো সুনির্দিষ্ট লেনদেন সম্পর্কে নিরীক্ষা এবং পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো হিসাব পুস্তক, রেকর্ড ও দলিলাদি এবং কোনো সম্পত্তি, পদ্ধতি অথবা বিষয় পরীক্ষা করিবার উদ্দেশ্যে কোনো লাইসেন্সধারী, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির হেফাজতে অথবা নিয়ন্ত্রণে থাকা সকল ভূমি, ইমারত এবং স্থানে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার প্রবেশের এবং সকল হিসাব পুস্তক, রেকর্ড এবং দলিলপত্র দেখিবার বা পরীক্ষার সম্পূর্ণ এবং অবাধ অধিকার থাকিবে, যাহা উক্ত কর্মকর্তার বিবেচনায়-
(ক) এই আইনের অধীন কোনো শুল্ক আহরণের জন্য অথবা কর্মকর্তার উপর আইনানুগভাবে অর্পিত কোনো কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় অথবা প্রাসঙ্গিক হইতে পারে; অথবা
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অথবা এই আইনের অধীন কোনো কর্তব্য সম্পাদনের জন্য অন্যবিধ প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য সরবরাহ করিতে পারে।
(৩) কাস্টমস কর্মকর্তা উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোনো পুস্তক, নথিপত্র অথবা দলিলপত্রের উদ্ধৃতি বা অনুলিপি গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৪) উপ- ধারা (২) এবং (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কোনো বেসরকারি আবাসস্থলে, উহার বাসিন্দা বা মালিকের সম্মতি ব্যতীত বা এই আইনের অধীন জারীকৃত কোনো পরোয়ানা ব্যতীত, উক্তরূপ আবাসস্থলে প্রবেশ করিতে পারিবেন না।
(৫) নথিপত্র নিরীক্ষা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ও পদ্ধতি এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১০০। বোর্ড, বিশেষ আদেশ জারি করিয়া, যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, সেইরূপ শর্তাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কোনো বিষয়ে নিরীক্ষা পরিচালনার জন্য পেশাদার নিরীক্ষক অথবা নিরীক্ষা ফার্ম নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত নিরীক্ষক অথবা নিরীক্ষা ফার্ম, ধারা ৯৯ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসাবে গণ্য হইবেন।
চতুর্দশ অধ্যায়
অস্থায়ী আমদানি
১০১। (১) এই অধ্যায়ের বিধানাবলি এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলি ও বিধি- নিষেধ সাপেক্ষে, বিধিতে বর্ণিত আমদানিকৃত পণ্য বাংলাদেশে অস্থায়ী ব্যবহার এবং পরবর্তীতে পুনঃরপ্তানির উদ্দেশ্যে অস্থায়ী আমদানি পদ্ধতির অধীন আমদানি শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতীত ছাড় করা যাইবে।
(২) কোনো পণ্য নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, অস্থায়ী আমদানি পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত করা যাইবে, যথা:-
(ক) উক্ত পণ্য ব্যবহারের কারণে স্বাভাবিক অবচয় ব্যতীত পণ্যের কোনো পরিবর্তন করা যাইবে না;
(খ) পণ্যের প্রকৃতি বা উহার অভীষ্ট ব্যবহারের কারণে, শনাক্তকরণের উপায়ের অবর্তমানে উল্লিখিত পদ্ধতির কোনোরূপ অপব্যবহারের ক্ষেত্র ব্যতীত, অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে ইহা নিশ্চিত করা সম্ভব যে, উক্ত পদ্ধতি সম্পাদনের পর উক্ত পণ্য শনাক্ত করা যাইবে;
(গ) এই আইনের অন্যান্য বিধানে বা বিধিতে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে, উক্ত পণ্যের উপর আরোপণীয় কোনো শুল্ক ও কর পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য কোনো গ্যারান্টি প্রদান;
(ঘ) বিধিতে উল্লিখিত পদ্ধতিতে সমুদয় শুল্ক অব্যাহতির জন্য আবশ্যকতাসমূহ পূরণ; এবং
(ঙ) পণ্য ঘোষণা এবং ছাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নকরণ।
(৩) সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোনো পণ্যের জন্য Temporary Admission (ATA) Carnet পদ্ধতিসহ যে কোনো অস্থায়ী আমদানি পদ্ধতির অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “Temporary Admission (ATA) Carnet” অর্থ Istanbul Convention on Temporary Importation এ বর্ণিত Admission Temporaire/Temporary Admission (ATA) Carnet পদ্ধতি।
১০২। (১) কোনো পণ্য পুনঃরপ্তানি হওয়ার পর অস্থায়ী আমদানি পদ্ধতির পরিসমাপ্তি ঘটিবে।
(২) যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমতি এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও বিধি- নিষেধ সাপেক্ষে, অস্থায়ী আমদানি পদ্ধতির নিম্নবর্ণিতভাবে পরিসমাপ্তি ঘটিবে, যথা:-
(ক) দেশীয় ভোগের জন্য পণ্য ঘোষণা দাখিল করা হইলে; বা
(খ) সরকারের নিকট পণ্য হস্তান্তর করা হইলে।
(৩) অস্থায়ী আমদানি পদ্ধতির পরিসমাপ্তির মেয়াদ বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে, যদি উক্ত মেয়াদের মধ্যে অনুমোদিত ব্যবহার সম্পন্ন করা না যায়, তাহা হইলে কমিশনার অব কাস্টমস, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক কর্তৃক যুক্তিসঙ্গত অনুরোধের প্রেক্ষিতে, উক্ত মেয়াদ অনধিক ৬ (ছয়) মাসের জন্য বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।
পঞ্চদশ অধ্যায়
ইনওয়ার্ড ও আউটওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতি
১০৩। এই অধ্যায়ে বর্ণিত ইনওয়ার্ড প্রসেসিং (inward processing) এবং আউটওয়ার্ড প্রসেসিং (outward processing) পদ্ধতি, ৬ (ছয়) মাস বা বোর্ড কর্তৃক বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে সমাপ্ত করিতে হইবে।
১০৪। এই আইনের ষোড়শ অধ্যায়ে উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত এবং এই অধ্যায়ে উল্লিখিত আবশ্যকতা এবং পণ্য ঘোষণা ও ছাড় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কমিশনার অব কাস্টমস মেরামত, আংশিক পরিবর্তন বা প্রসেসিং এর জন্য বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আমদানিকৃত পণ্যের উপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ও কর পরিশোধ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান সাপেক্ষে, উক্ত পণ্য ইনওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির অধীন শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে ছাড় করিতে পারিবেন।
১০৫। (১) এই অধ্যায়ে উল্লিখিত আবশ্যকতা এবং পণ্য ঘোষণা ও ছাড় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাংলাদেশে প্রস্তুত বা উৎপাদিত পণ্য, দেশীয় ভোগের জন্য ছাড় করা আমদানিকৃত পণ্য, যাহা বিদেশে মেরামত, আংশিক পরিবর্তন বা প্রসেসিং এর জন্য অস্থায়ীভাবে রপ্তানির জন্য অভিপ্রেত, তাহা আউটওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত করা যাইবে।
(২) আউটওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির অধীন ন্যস্তকৃত পণ্য হইতে মেরামতকৃত, পরিবর্তিত বা প্রক্রিয়াজাত পণ্য বাংলাদেশে ফেরত আনা হইলে, বাংলাদেশ হইতে উক্ত পণ্য বিদেশে প্রেরণ এবং বাংলাদেশে ফেরত আনিবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিবহণ, বোঝাই, হ্যান্ডলিং চার্জ এবং বিমা ব্যয়সহ বাংলাদেশের বাহিরে গৃহীত উক্ত কার্যক্রমের ব্যয়ের ভিত্তিতে আমদানি শুল্ক ও কর নিরূপিত হইবে।
(৩) উপ- ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশনার অব কাস্টমস যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, অস্থায়ীভাবে রপ্তানিকৃত পণ্য, কোনো গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি হইতে উদ্ভূত কোনো চুক্তিগত বা বিধিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা অথবা কোনো প্রস্তুতজনিত বা তাৎপর্যপূর্ণ ত্রুটির কারণে চার্জমুক্তভাবে মেরামত করা হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত পণ্য বাংলাদেশে ফেরত আনা হইলে, উক্ত চুক্তি, ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টির সীমা পর্যন্ত প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতীত ছাড় করা যাইবে।
(৪) অস্থায়ী রপ্তানিকৃত পণ্যের উপর প্রত্যর্পণ পরিশোধিত হইলে আউটওয়ার্ড প্রসেসিং এর অনুমতি প্রদান করা যাইবে না।
১০৬। (১) ইনওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত মেরামতকৃত, আংশিক পরিবর্তিত বা প্রক্রিয়াজাত পণ্য একক বা একাধিক পণ্যচালান হিসাবে রপ্তানি করিলে, বা ধারা ৯৪ অনুযায়ী সরকারের নিকট হস্তান্তর করিলে, ইনওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির পরিসমাপ্তি ঘটিবে।
(২) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুরোধক্রমে ইনওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির পরিসমাপ্তির উদ্দেশ্যে কমিশনার অব কাস্টমস কোনো পণ্য আমদানিকালীন অবস্থার ন্যায় একই অবস্থায় (in the same state) পণ্য রপ্তানি বা হস্তান্তর করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) ইনওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির অধীন আমদানিকৃত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ হইতে, উদ্ভূত যেকোনো পণ্য, বর্জ্যসহ, যাহা রপ্তানি করা হইবে না, এর উপর আমদানি শুল্ক ও কর প্রদান করিতে হইবে।
১০৭। (১) আউটওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত মেরামতকৃত, আংশিক পরিবর্তিত বা প্রক্রিয়াজাত পণ্য, একক বা একাধিক পণ্য চালান হিসাবে, দেশীয় ভোগের জন্য ঘোষণা দাখিল করিলে, আউটওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতির পরিসমাপ্তি ঘটিবে।
(২) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, কমিশনার অব কাস্টমস আউটওয়ার্ড প্রসেসিং পদ্ধতি, উক্ত পদ্ধতির শর্তাবলি এবং আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন সাপেক্ষে, স্থায়ী রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ঘোষণার মাধ্যমে পরিসমাপ্তির অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
ষোড়শ অধ্যায়
ওয়্যারহাউসিং
১০৮। এই অধ্যায় এবং তদধীন প্রণীত বিধির অধীন আবশ্যকতা, শর্তাবলি ও বিধি- নিষেধ এবং পণ্য ঘোষণা ও ছাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন সাপেক্ষে, আমদানিকৃত পণ্য, এই অধ্যায়ের অধীন প্রদত্ত কোনো উদ্দেশ্যে কাস্টমস ওয়্যারহাউসিং পদ্ধতির অধীন, আমদানি শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতীত যে কোনো ওয়্যারহাউসে ন্যস্ত করা যাইবে।
১০৯। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ওয়্যারহাউস পদ্ধতির অধীন কোনো পণ্য ন্যস্ত করিবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক, কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) বা এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো কমিশনার সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে যেরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ পরিমাণ অর্থ, শর্ত ও সীমা বা বিধি- নিষেধ সাপেক্ষে একটি সাধারণ বন্ড দাখিল করিবেন।
(২) এই ধারার অধীন কোনো আমদানিকারক কর্তৃক কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে সম্পাদিত বন্ড উক্ত পণ্য অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর বা উহা অন্য ওয়্যারহাউসে অথবা ওয়্যারহাউসিং স্টেশনে অপসারণ করা সত্ত্বেও কার্যকর থাকিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে সকল পণ্য বা উহার অংশবিশেষ অন্য ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা হয়, সেই ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা হস্তান্তর গ্রহণকারী ব্যক্তির নিকট হইতে একটি নূতন বন্ড গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং অতঃপর হস্তান্তর গ্রহণকারী ব্যক্তি কর্তৃক নূতন সম্পাদিত বন্ডের সমপরিমাণ দায় হইতে হস্তান্তর গ্রহণকারী ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত বন্ড অবমুক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
১১০। ওয়্যারহাউসিং এর জন্য পণ্য খালাস সম্পর্কিত বন্ড সম্পাদনের বিষয়ে এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড অথবা বোর্ড হইতে এতদ্বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিশনার অব কাস্টমস, বন্ড দাখিলের অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসাবে পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্কের অনধিক পরিমাণ অর্থের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
১১১। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বোর্ড কর্তৃক জারীকৃত এতদ&সংক্রান্ত বিধির বিধানমতে ওয়্যারহাউসিং এর জন্য খালাসকৃত পণ্য যে ওয়্যারহাউসে জমা প্রদানের জন্য নির্ধারিত হইবে সেই ওয়্যারহাউসে পণ্য জমা প্রদান নিশ্চিত করিবেন।
১১২। বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কাস্টমস ওয়্যারহাউস পদ্ধতি প্রতিপালনপূর্বক ওয়্যারহাউস রক্ষক কর্তৃক পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ ও হ্যান্ডলিং এর কার্যক্রম সম্পাদিত হইবে।
১১৩। (১) ওয়্যারহাউসকৃত সকল পণ্য যথাযথ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকিবে।
(২) কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বা কাস্টমস মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কর্মকর্তা কোনো ওয়্যারহাউসের যেকোনো অংশে প্রবেশ এবং উহাতে রক্ষিত পণ্য, রেকর্ড, হিসাবপত্র এবং দলিলপত্র পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
১১৪। (১) যথাযথ কর্মকর্তা যে কোনো সময়ে লিখিত আদেশ দ্বারা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, কোনো ওয়্যারহাউসে সংরক্ষিত কোনো পণ্য বা প্যাকেজ খোলা, ওজন করা বা পরীক্ষা করা হইবে, এবং উক্ত কোনো পণ্য এইরূপে খোলা, ওজন করা বা পরীক্ষা করিবার পর উহা তিনি যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপভাবে সিলযুক্ত অথবা মার্কযুক্ত করাইতে পারিবেন।
(২) কোনো পণ্য পরীক্ষার পর উক্তরূপ সিলযুক্ত বা মার্কযুক্ত করা হইলে উহা যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে পুনরায় খোলা যাইবে না, এবং এইরূপ অনুমতিক্রমে উক্ত পণ্য খোলা হইলে তিনি যদি উপযুক্ত মনে করেন, তাহা হইলে প্যাকেজসমূহ পুনরায় সিলযুক্ত অথবা মার্কযুক্ত করিবার ব্যবস্থা করিবেন।
১১৫। যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে অফিস চলাকালীন যে কোনো সময়ে একজন কাস্টমস কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওয়্যারহাউসে সংরক্ষিত পণ্যের মালিকের পণ্যের নিকট যাওয়ার প্রবেশাধিকার থাকিবে এবং যথাযথ কর্মকর্তার নিকট এতদুদ্দেশ্যে লিখিতভাবে আবেদন করা হইলে একজন কাস্টমস কর্মকর্তাকে উক্ত মালিকের সঙ্গী হওয়ার জন্য নিয়োগ করা যাইবে।
১১৬। (১) যথাযথ কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ফি পরিশোধ করিয়া কোনো পণ্যের মালিক উহা ওয়্যারহাউসকরণের পূর্বে বা পরে-
(ক) ক্ষতিগ্রস্ত বা অবনতিগ্রস্ত পণ্য অবশিষ্ট পণ্য হইতে পৃথক করিতে পারিবেন;
(খ) পণ্যের সংরক্ষণ, বিক্রয়, রপ্তানি অথবা ব্যবস্থিত করিবার উদ্দেশ্যে পণ্য বাছাই করিতে বা উহার পাত্র পরিবর্তন করিতে পারিবেন;
(গ) পণ্যের অবচয়, অবনতি অথবা ক্ষতি রোধ করিবার জন্য যেরূপ প্রয়োজন হয় সেইরূপ পদ্ধতিতে পণ্য এবং উহাদের আধারের (container) বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
(ঘ) বিক্রয়ের জন্য পণ্য প্রদর্শন করাইতে পারিবেন; বা
(ঙ) যথাযথ কর্মকর্তা যেরূপ অনুমোদন করেন পণ্যের সেইরূপ কোনো নমুনা দেশীয় ভোগের জন্য পণ্য ঘোষণা দাখিল অথবা ঘোষণা ব্যতীত এবং শুল্ক পরিশোধপূর্বক অথবা পরিশোধ ব্যতীত, তবে মূল পরিমাণের ঘাটতির উপর শেষ পর্যন্ত প্রদেয় হইলে উহার শুল্ক পরিশোধপূর্বক, গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(২) কোনো পণ্য উক্তরূপ পৃথককৃত এবং যথাযথ অথবা অনুমোদিত প্যাকেজে পুনঃপ্যাকেটজাত করিবার পর উক্ত পণ্যের মালিকের অনুরোধক্রমে উপযুক্ত কর্মকর্তা এইভাবে পৃথক্করণ অথবা পুনঃপ্যাকেটজাতকরণের পরে কোনো বর্জ্য, ক্ষতিগ্রস্ত অথবা উদ্বৃত্ত পণ্য অবশিষ্ট থাকিলে উহা, অথবা অনুরূপ অনুরোধক্রমে, শুল্ক আরোপের উপযোগী নহে এইরূপ কোনো পণ্য, ধ্বংস করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে অথবা অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন, এবং উহার উপর প্রদেয় শুল্ক মওকুফ করিতে পারিবেন।
১১৭। (১) বিধি এবং ধারা ১২ এর আওতায় ইস্যুকৃত লাইসেন্সের শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে, কোনো ওয়্যারহাউসকৃত পণ্যের মালিক উক্ত পণ্য দ্বারা কোনো প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়া বা অন্য কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন।
(২) যেক্ষেত্রে উপ- ধারা (১) এর অধীন পরিচালিত কার্যক্রম অথবা প্রক্রিয়ায় পণ্যের কোনো অপচয় বা বর্জ্য হয় সেইক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
(ক) যদি উক্ত কার্যক্রম অথবা প্রক্রিয়া দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের সম্পূর্ণ বা আংশিক রপ্তানি করা হয় তাহা হইলে রপ্তানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে পরিচালিত কার্যক্রম অথবা প্রক্রিয়ায় যে পরিমাণ ওয়্যারহাউসকৃত পণ্য অপচয় বা বর্জ্য হইয়াছে উহার জন্য কোনো শুল্ক আরোপ করা হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অপচয় বা বর্জ্য ধ্বংস করিতে হইবে কিংবা উহাদের উপর শুল্ক পরিশোধ করিতে হইবে, যেন উহা উক্ত অবস্থায় বাংলাদেশে আমদানি করা হইয়াছে;
(খ) যদি উক্ত কার্যক্রমে অথবা প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত পণ্যের সম্পূর্ণ বা আংশিক দেশীয় ভোগের জন্য ওয়্যারহাউস হইতে খালাস করা হয়, তাহা হইলে দেশীয় ভোগের জন্য উক্ত পণ্যের যে পরিমাণ খালাস করা হয় তাহার উপর, এবং ওয়্যারহাউসকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত কার্যক্রম বা প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অপচয়কৃত বস্তু বা বর্জ্য দেশীয় ভোগের জন্য খালাস করা হইলে তাহার উপর আমদানি শুল্ক ও কর আরোপ করা হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অন্য ধারায় ভিন্নরূপ বিধানাবলি সত্ত্বেও কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস এই দফার অধীন শুল্কায়নের উদ্দেশ্যে মূল্য নিরূপণ করিবেন।
১১৮। দেশীয় ভোগ বা রপ্তানির জন্য খালাস অথবা অন্য কোনো ওয়্যারহাউসে অপসারণ অথবা এই আইনে ব্যবস্থিত অন্য কোনো প্রক্রিয়া ব্যতীত, ওয়্যারহাউসকৃত কোনো পণ্য ওয়্যারহাউস হইতে বাহিরে নেওয়া যাইবে না।
১১৯। (১) বোর্ড, বিধি মোতাবেক, ওয়্যারহাউসে পণ্য সংরক্ষণের মেয়াদ নির্ধারণ করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড বিভিন্ন শ্রেণির ওয়্যারহাউসের জন্য ওয়্যারহাউসিং পদ্ধতির পরিসমাপ্তির বিভিন্ন মেয়াদ নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এ বর্ণিত ওয়্যারহাউসিং পদ্ধতির পরিসমাপ্তির মেয়াদ ওয়্যারহাউসিং পদ্ধতির আওতায় আমদানিকৃত পণ্য ছাড়ের তারিখ হইতে গণনা করা হইবে।
১২০। যদি কোনো বেসরকারি ওয়্যারহাউসের লাইসেন্স বাতিল করা হয়, তাহা হইলে উহাতে ওয়্যারহাউসকৃত কোনো পণ্যের মালিক উক্ত বাতিলকরণের নোটিশ প্রদানের তারিখ হইতে ১০ (দশ) দিবসের মধ্যে অথবা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত কোনো বর্ধিত সময়ের মধ্যে ওয়্যারহাউস হইতে পণ্য অন্য কোনো ওয়্যারহাউসে অপসারণ করিবেন অথবা উহা দেশীয় ভোগের জন্য অথবা রপ্তানির জন্য খালাস করিবেন।
১২১। ওয়্যারহাউসকৃত পণ্যের মালিক ধারা ১১৯ এর অধীন ওয়্যারহাউসিং মেয়াদের মধ্যে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিয়া এবং কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস অথবা কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) কর্তৃক অথবা বোর্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে উক্ত কমিশনার যেরূপ নির্দেশ প্রদান করিবেন সেইরূপ শর্তাবলিতে এবং জামানত পেশের পর ওয়্যারহাউসকৃত পণ্য একই কাস্টমস স্টেশনের এক ওয়্যারহাউস হইতে অন্য ওয়্যারহাউসে অপসারণ করিতে পারিবেন।
১২২। কোনো ওয়্যারহাউসিং স্টেশনে ওয়্যারহাউসকৃত পণ্যের মালিক, উক্ত পণ্য ধারা ১১৯ এর অধীন ওয়্যারহাউসিং মেয়াদের মধ্যে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে এবং পদ্ধতিতে যে পণ্য অপসারণ করা হইবে উহার বিবরণ এবং যে কাস্টমস স্টেশনে অপসারিত হইবে উহার নাম উল্লেখপূর্বক কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনারের নিকট আবেদন করিয়া অন্য কোনো ওয়্যারহাউসিং স্টেশনে ওয়্যারহাউসিং এর উদ্দেশ্যে ওয়্যারহাউসকৃত পণ্য অপসারণ করিতে পারিবেন।
১২৩। ওয়্যারহাউসকৃত পণ্য গন্তব্যের কাস্টমস স্টেশনে পৌঁছাইবার পর উহা প্রথম আমদানির পর এন্ট্রি এবং ওয়্যারহাউসিং করিবার অনুরূপ পদ্ধতিতে এন্ট্রি এবং ওয়্যারহাউসিং করা হইবে এবং শেষে উল্লিখিত পণ্যের এন্ট্রি এবং ওয়্যারহাউসিং যে সকল আইন এবং বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, উহা উক্ত আইন এবং বিধি, যতদূর প্রযোজ্য হয়, এর অধীন হইবে।
১২৪। মূল্যভিত্তিক শুল্ক আরোপযোগ্য কোনো পণ্য ওয়্যারহাউসিং এর জন্য ছাড় করিবার পর হইতে দেশীয় ভোগের জন্য খালাস করিবার পূর্ব পর্যন্ত কোনো অনিবার্য দুর্ঘটনা অথবা কারণে যদি ক্ষতিগ্রস্ত অথবা অপচায়িত হয়, তাহা হইলে মালিক ইচ্ছা করিলে ক্ষতিগ্রস্ত অথবা অপচায়িত অবস্থায় উহাদের মূল্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক নিরূপণ করাইতে পারিবেন এবং তদনুসারে উহাদের উপর আরোপযোগ্য শুল্ক হ্রাসকৃত মূল্যের অনুপাতে হ্রাস করা হইবে এবং মালিকের স্বেচ্ছায় প্রথমে সম্পাদিত বন্ড প্রতিস্থাপন করিবার জন্য হ্রাসকৃত শুল্কের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থের একটি নূতন বন্ড সম্পাদন করা যাইবে।
১২৫। যখন এইরূপ কোনো শ্রেণির এবং বর্ণনার ওয়্যারহাউসকৃত পণ্য, যাহার উদ্বায়িতা এবং উহাদের মজুদ প্রক্রিয়া বিবেচনাপূর্বক বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারণ করে, তাহা যদি ওয়্যারহাউস হইতে অপসারণের সময় পরিমাণে কম পাওয়া যায় এবং কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত ঘাটতি স্বাভাবিক অপচয়ের কারণে ঘটিয়াছে, তখন উক্ত ঘাটতির উপর কোনো শুল্ক আরোপ করা যাইবে না।
১২৬। নিম্নবর্ণিত পণ্যসমূহের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা দাবিনামা জারি করিতে পারিবেন এবং এইরূপ দাবিনামার প্রেক্ষিতে পণ্যসমূহের মালিক উহাদের ক্ষেত্রে প্রদেয় সমুদয় ভাড়া, জরিমানা, সুদ এবং অন্যান্য চার্জসহ উহাদের উপর আরোপণীয় সমুদয় পরিমাণ শুল্ক অবিলম্বে পরিশোধ করিবেন, যথা:-
(ক) ধারা ১১৮ লঙ্ঘন করিয়া অপসারিত ওয়্যারহাউসকৃত পণ্য;
(খ) ধারা ১২০ এর অধীন অপসারণের জন্য অনুমোদিত সময়ের মধ্যে ওয়্যারহাউস হইতে অপসারণ না করা পণ্য;
(গ) যে সকল পণ্যের ক্ষেত্রে ধারা ১০৯ অথবা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী বন্ড সম্পাদিত হইয়াছে এবং যাহা দেশীয় ভোগের জন্য অথবা রপ্তানির জন্য খালাস করা হয় নাই অথবা এই আইনের বিধান অনুসারে অপসারণ করা হয় নাই অথবা যাহা ধারা ১১৬ এবং ১১৭ এ ব্যবস্থিত হয় নাই অথবা ধারা ১২৯ এ উল্লিখিত বিধান ব্যতীত অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছে অথবা যথাযথ কর্মকর্তার সন্তুষ্টিমতে যাহার হিসাব প্রদান করা হয় নাই সেই সকল পণ্য; এবং
(ঘ) ধারা ১১৬ এর অধীন নমুনা হিসাবে গৃহীত পণ্য।
১২৭। (১) যদি কোনো মালিক ধারা ১২৬ এর অধীন দাবিকৃত কোনো অর্থ পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে যথাযথ কর্মকর্তা ধারা ১০৯ এর অধীন সম্পাদিত বন্ডের উপর অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন অথবা ওয়্যারহাউসে রক্ষিত মালিকের পণ্য অথবা পণ্য প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত কোনো কারখানা, যন্ত্রপাতি অথবা মেশিনারি অথবা উক্ত ব্যক্তির মালিকানাধীন অন্য কোনো পণ্য এবং সম্পত্তির এইরূপ অংশ যাহা দাবি আদায়ের জন্য পর্যাপ্ত বিবেচিত হইবে তাহা আটক করাইতে পারিবেন, এবং অবিলম্বে উক্তরূপ আটকের লিখিত নোটিশ মালিককে প্রদান করিতে হইবে।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত নোটিশের তারিখ হইতে ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হইলে উক্তরূপ আটককৃত পণ্য বিক্রয় করা যাইবে।
(৩) উপ- ধারা (২) এর অধীন বিক্রয়লদ্ধ অর্থের নিট পরিমাণ লিপিবদ্ধ করিয়া বন্ডের বিপরীতে সমন্বয় করা হইবে এবং বন্ডের দায় সম্পূর্ণ মিটাইবার পর উদ্বৃত্ত, যদি থাকে, ধারা ২৩৭ অনুসারে বিলিবন্দেজ পদ্ধতিতে ব্যবস্থিত হইবে।
(৪) পণ্যের কোনো হস্তান্তর বা স্বত্ব- নিয়োগ (assignment) এর উপর পাওনা আদায়ের জন্য যথাযথ কর্মকর্তাকে এই ধারায় বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হইতে নিবৃত্ত করিতে পারিবে না।
১২৮। ওয়্যারহাউস রক্ষক ওয়্যারহাউসে প্রবেশকৃত পণ্যের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্টক কিপিং এর হিসাবসহ সকল রের্কড সংরক্ষণ করিবেন।
১২৯। ধারা ১০৯ এর অধীন বন্ড সম্পাদিত হইয়াছে এবং দেশীয় ভোগের জন্য খালাস করা হয় নাই, এইরূপ কোনো ওয়্যারহাউসকৃত পণ্য, যদি কোনো অনিবার্য দুর্ঘটনায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, তাহা হইলে কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস তাহার বিবেচনাবলে উহার উপর প্রদেয় শুল্ক মওকুফ করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি বেসরকারি ওয়্যারহাউসে উক্ত পণ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ ধ্বংসের ঘটনা উদঘাটনের পর ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে যথাযথ কর্মকর্তার নিকট এতদ&বিষয়ে লিখিত নোটিশ প্রদান করিতে হইবে।
১৩০। সরকারি ওয়্যারহাউসে রক্ষিত পণ্যের ক্ষেত্রে ওয়্যারহাউস রক্ষক এবং বেসরকারি ওয়্যারহাউসে রক্ষিত পণ্যের ক্ষেত্রে লাইসেন্সধারী, উক্ত পণ্যের শুল্কায়নকারী কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক উল্লিখিত পরিমাণ, ওজন অথবা পরিমাপ অনুসারে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা ১২৫ এ ব্যবস্থিত স্বাভাবিক অপচয়ের কারণে পরিমাণে ঘাটতির জন্য ছাড় প্রদানপূর্বক, ওয়্যারহাউসে উহাদের যথাযথ গ্রহণ এবং উক্ত স্থান হইতে সরবরাহ এবং উক্ত স্থানে জমা থাকাকালীন সময়ে নিরাপদ হেফাজতের জন্য দায়ী থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, ওয়্যারহাউসে পণ্য প্রবেশ করানোর অথবা উক্ত স্থান হইতে বাহিরে লইবার অথবা উক্ত স্থানে জমা থাকাকালীন সময়ে সংঘটিত কোনো অপচয় অথবা ক্ষতির জন্য কোনো মালিক যথাযথ কর্মকর্তা বা কোনো সরকারি ওয়্যারহাউসের রক্ষকের নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করিবার অধিকারী হইবেন না, যদি না ইহা প্রমাণিত হয় যে, উক্ত অপচয় বা ক্ষতি ওয়্যারহাউস রক্ষক বা কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার ইচ্ছাকৃত কর্ম বা অবহেলার কারণে সংঘটিত হইয়াছে।
১৩১। কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) অথবা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস ওয়্যারহাউসের কোন্ অংশে, কোন্ পদ্ধতিতে এবং কী শর্তে কোনো পণ্য জমা রাখা যাইবে এবং কোন্ কোন্ প্রকারের পণ্য এইরূপ কোনো ওয়্যারহাউসে জমা রাখা যাইবে তাহা, সময় সময়, নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
১৩২। সরকারি ওয়্যারহাউসে পণ্য গ্রহণ অথবা উক্ত স্থান হইতে উহা অপসারণ বাবদ পরিবহণ, প্যাকিং এবং মজুদের ব্যয় যদি যথাযথ কর্মকর্তা অথবা ওয়্যারহাউস রক্ষক পরিশোধ করেন, তাহা হইলে উহা পণ্যের উপর আরোপণীয় হইবে এবং মালিক কর্তৃক বহন করা হইবে, এবং ধারা ১২৭ এ উল্লিখিত পদ্ধতিতে মালিকের নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে।
১৩৩। এই অধ্যায়ের অন্তর্গত কোনো বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো শর্ত অথবা বাধ্যবাধকতা সংযোজন অথবা পরিবর্তন করিতে পারিবে, এবং কোনো বিশেষ প্রয়োজন মিটাইবার জন্য যথাযথ বিবেচনা করিলে উহার কোনো বিধান শিথিল করিতে পারিবে।
১৩৪। কোনো কাস্টমস ওয়্যারহাউস পদ্ধতির নিম্নলিখিতভাবে পরিসমাপ্তি ঘটিবে, যথা:-
(ক) উক্ত পদ্ধতির অধীন প্রয়োজনীয় শর্তাবলি ও আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন সাপেক্ষে, নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে কোনো কাস্টমস পদ্ধতির অধীন পণ্য ছাড়ের মাধ্যমে, যথা:-
(অ) দেশীয় ভোগের জন্য পণ্য ছাড়করণ; বা
(আ) স্থায়ী রপ্তানিকরণ;
(খ) সরকারের নিকট পণ্য হস্তান্তরের মাধ্যমে।
সপ্তদশ অধ্যায়
ট্রান্সশিপমেন্ট
১৩৫। এই অধ্যায়ের বিধানাবলি ব্যাগেজ এবং ডাকযোগে আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
১৩৬। (১) ট্রান্সশিপমেন্ট পদ্ধতির অধীন ন্যস্তকৃত পণ্য, একই কাস্টমস বন্দর বা কাস্টমস বিমানবন্দরের মধ্যে, শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে, কোনো আমদানিকারী নৌযান বা উড়োজাহাজ হইতে কোনো রপ্তানিকারী নৌযান বা উড়োজাহাজে স্থানান্তর করা যাইবে।
(২) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ন্ত্রণ ও শর্তাবলি সাপেক্ষে, ট্রান্সশিপমেন্ট হওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো কার্গো ঘোষণা ট্রান্সশিপমেন্ট এর জন্য ঘোষণা হিসাবে কাজ করিবে।
১৩৭। (১) ট্রান্সশিপমেন্ট হওয়া পণ্য এক যানবাহন হইতে অন্য কোনো যানবাহনে অপসারণ কাজ তত্ত্বাবধান করিবার জন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা যাইবে।
(২) বোর্ড নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট করিবার কাস্টমস বন্দর বা কাস্টমস বিমানবন্দর চিহ্নিতকরণ;
(খ) পণ্য আগমনের পর ট্রান্সশিপমেন্ট পদ্ধতির অধীন ন্যস্তকৃত পণ্যের রপ্তানির জন্য সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারণ; এবং
(গ) এই অধ্যায়ের বিধানাবলি বাস্তবায়নের জন্য।
১৩৮। ট্রান্সশিপমেন্ট পদ্ধতির অধীন পণ্য ন্যস্ত করিয়াছেন এইরূপ কোনো আমদানিকারক নিম্নলিখিত বিষয়ের জন্য দায়ী থাকিবেন, যথা:-
(ক) কাস্টমস বন্দর বা কাস্টমস বিমানবন্দরের মধ্যে বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে অনুমোদিত স্থানে আমদানিকারী নৌযান বা উড়োজাহাজ হইতে নামানো পণ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ;
(খ) পণ্য শনাক্তকরণ নিশ্চিত করিবার জন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোনো পদক্ষেপ প্রতিপালন;
(গ) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রপ্তানিকারী বাহনে পণ্য বোঝাই;
(ঘ) পণ্য ঘোষণা ও ছাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা; এবং
(ঙ) ট্রান্সশিপমেন্ট পদ্ধতি সম্পর্কিত বিধি- বিধান প্রতিপালন ।
১৩৯। (১) যাত্রা অথবা সমুদ্রযাত্রা সম্পন্ন করিবার পূর্বে যদি কোনো যানবাহন মেরামতের জন্য কোনো কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করিতে বাধ্য হয়, তাহা হইলে উক্ত যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির আবেদনক্রমে যথাযথ কর্মকর্তা পণ্য অথবা উহার অংশবিশেষ নামানোর, এবং উক্ত মেরামতকালীন উহা একজন যথাযথ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখিবার, এবং বিনা শুল্কে উহা বোঝাই ও রপ্তানি করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন তত্ত্বাবধান সংশ্লিষ্ট সমুদয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বহন করিবেন।
১৪০। যে নৌযানের বা উড়োজাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ হইতে পণ্য রপ্তানি করা হইবে, সেই নৌযান বা উড়োজাহাজে পণ্য বোঝাই করা হইলে, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বাধ্যবাধকতা পূরণ এবং ট্রান্সশিপমেন্ট পদ্ধতির পরিসমাপ্ত ঘটিবে।
অষ্টাদশ অধ্যায়
ট্রানজিট বাণিজ্য
১৪১। এই অধ্যায়ের বিধানাবলি ব্যাগেজ এবং ডাকযোগে আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
১৪২। (১) কোনো যানবাহনে আমদানিকৃত এবং বাংলাদেশের কোনো কাস্টমস স্টেশনে অথবা বাংলাদেশের বাহিরে কোনো গন্তব্যে ট্রানজিটের জন্য কার্গো ঘোষণায় উল্লিখিত কোনো পণ্য ট্রানজিটের কাস্টমস স্টেশনে উহার উপর আরোপণীয় আমদানি শুল্ক ও কর, যদি থাকে, পরিশোধ ব্যতিরেকে, ধারা ১৭ এর বিধানাবলি এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে, উক্তরূপ ট্রানজিটে প্রেরণের অনুমতি প্রদান করা যাইবে।
(২) বাংলাদেশের মধ্য দিয়া বাংলাদেশের বাহিরের কোনো গন্তব্যে ট্রানজিটে চলাচলকারী কোনো যানবাহনে আমদানিকৃত কোনো রসদ ও ভান্ডার সামগ্রী, বিধির বিধান সাপেক্ষে, উহাদের উপর অন্যভাবে আরোপণীয় আমদানি শুল্ক ও করসমূহ পরিশোধ ব্যতিরেকে উক্ত যানবাহনে ভোগের জন্য অনুমতি প্রদান করা যাইবে।
১৪৩। গন্তব্যে সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, বিদেশি ভূখণ্ডের মধ্য দিয়া বাংলাদেশের এক এলাকা হইতে কোনো পণ্য অন্য এলাকায় পরিবহণ করা যাইবে।
১৪৪। (১) যে ক্ষেত্রে কোনো পণ্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়া বাংলাদেশের বাহিরে কোনো গন্তব্যে ট্রানজিটের জন্য এন্ট্রি করা হয় সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মকর্তা, বিধির বিধান সাপেক্ষে, উক্ত পণ্যের উপর অন্যভাবে আরোপণীয় আমদানি শুল্ক ও করসমূহ পরিশোধ ব্যতিরেকে উহাদের ট্রানজিটযোগে প্রেরণের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৪১ মোতাবেক ট্রানজিট এর অধীন পণ্যের আমদানি শুল্ক ও কর এর জন্য নিশ্চয়তা হিসাবে একটি গ্যারান্টি বা নিরাপত্তা সাপেক্ষে উক্তরূপ ট্রানজিট হইতে হইবে।
(২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশের মধ্য দিয়া বাংলাদেশের বাহিরে ট্রানজিট এর অধীন পণ্য এবং যানবাহন এর জন্য সেবাজনিত ব্যয় বাবদ ফি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
১৪৫। (১) যথাযথ তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করিবার জন্য বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোনো আমদানিকৃত পণ্য যে কাস্টমস স্টেশনে আগমন করিয়াছে, উক্ত কাস্টমস স্টেশন হইতে, বাংলাদেশের মধ্যে যে কাস্টমস স্টেশনে উক্ত পণ্য খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করা হইবে, উক্ত কাস্টমস স্টেশনে পরিবহণের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতির অধীন ন্যস্তকৃত সকল পণ্য গন্তব্য কাস্টমস স্টেশনে পৌঁছাইবার পর, উক্ত পণ্য প্রথম আমদানির সময়ে যে পদ্ধতিতে ঘোষণা করা হইয়াছে, সেই একই পদ্ধতিতে ঘোষণা করিতে হইবে এবং অনুরূপভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
ঊনবিংশ অধ্যায়
রপ্তানি বা জাহাজীকরণ এবং পুনরায় অবতরণ
১৪৬। (১) নিম্নলিখিত পণ্য ব্যতীত বাংলাদেশ ত্যাগের জন্য নির্ধারিত অন্য সকল পণ্য, পণ্য ঘোষণা দাখিল এবং রপ্তানি পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত হওয়া সাপেক্ষে, রপ্তানি করা যাইবে, যথা:-
(ক) ট্রানজিট পদ্ধতির অধীন বাংলাদেশের মধ্য দিয়া অতিক্রমকারী পণ্য;
(খ) ট্রানজিট পদ্ধতির অধীন বাংলাদেশের এক স্থান হইতে কোনো সংলগ্ন দেশের মাধ্যমে অন্য কোনো স্থানে স্থানান্তরিত পণ্য; এবং
(গ) ট্রান্সশিপমেন্ট বা ভান্ডার পদ্ধতির অধীন পুনঃরপ্তানিকৃত পণ্য।
(২) রপ্তানি পদ্ধতির অধীন কোনো পণ্য ন্যস্তকরণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তাবলি প্রতিপালন করিতে হইবে, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর প্রদেয় সকল রপ্তানি শুল্ক ও কর, এবং অন্যান্য চার্জ পরিশোধ বা এই আইন বা বিধির অধীনে অনুমোদিত হইলে, উক্ত পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য গ্যারান্টি প্রদান করিতে হইবে;
(খ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং যথাযথ কর্মকর্তার চাহিদা সাপেক্ষে, পণ্যের প্রকৃত রপ্তানি সম্পন্নের প্রমাণ দাখিল নিশ্চিত করিবার জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গ্যারান্টি প্রদান করিতে হইবে; এবং
(গ) পণ্য ঘোষণা এবং খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করিতে হইবে।
১৪৭। (১) যদি রপ্তানি পণ্য ঘোষণা অথবা কার্গো ঘোষণায় উল্লিখিত পণ্য বোঝাই না করা হয় অথবা কম বোঝাই করা হয় অথবা বোঝাই করিবার পর উহা নামানো হয়, তাহা হইলে যে যানবাহনে উক্ত পণ্য বোঝাই করিবার অভিপ্রায় ছিল অথবা যে যানবাহন হইতে উহা নামানো হইয়াছে সেই যানবাহনটি কাস্টমস স্টেশন ত্যাগ করিবার ১৫ (পনের) কার্যদিবস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে পণ্যের রপ্তানিকারক যথাযথ কর্মকর্তার নিকট, যে ক্ষেত্রে কর্মকর্তা নিজেই পণ্য ঘোষণা অপেক্ষা কম বোঝাই করেন অথবা পুনরায় নামানোর ব্যবস্থা করিয়াছেন সেইক্ষেত্র ব্যতীত, অন্যান্য ক্ষেত্রে, উক্ত কম বোঝাই অথবা পুনরায় নামানোর সংবাদ প্রদান করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পণ্য- বোঝাই অথবা কম বোঝাই অথবা পুনরায় নামানোর এক বৎসরের মধ্যে যথাযথ কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা হইলে বোঝাই করা হয় নাই অথবা কম বোঝাইকৃত অথবা বোঝাই করিবার পর পুনরায় নামানো পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক যে ব্যক্তির পক্ষে উহা পরিশোধ করা হইয়াছিল তাহাকে ফেরত প্রদান করা হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে উল্লিখিত ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে পণ্য বোঝাই করা হয় নাই অথবা কম বোঝাই অথবা পুনরায় নামানোর প্রয়োজনীয় সংবাদ প্রদান করা না হয়, সেইক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করেন সেইরূপ জরিমানা, যদি হয়, আরোপ সাপেক্ষে শুল্ক ফেরত প্রদান করিতে পারিবেন।
১৪৮। (১) কোনো কাস্টমস স্টেশন হইতে ছাড়িয়া যাওয়ার পর কোনো যানবাহন যদি পণ্য খালাস না করিয়া উক্ত কাস্টমস স্টেশনে প্রত্যাবর্তন করে অথবা অন্য কোনো কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করে এবং উক্ত যানবাহনে পরিবহণকৃত পণ্যের কোনো মালিক যদি উহা অথবা উহার অংশবিশেষ পুনরায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে নামানো অথবা ট্রান্সশিপ করিবার ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির সম্মতিক্রমে এতদুদ্দেশ্যে যথাযথ কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) যথাযথ কর্মকর্তা যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনপত্র মঞ্জুর করেন, তাহা হইলে অতঃপর তিনি যানবাহনটির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখিবার জন্য এবং উক্তরূপ নামানো অথবা ট্রান্সশিপমেন্টের সময় উক্ত পণ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করিবার জন্য একজন কাস্টমস কর্মকর্তা প্রেরণ করিবেন।
(৩) ইতঃপূর্বে প্রথম রপ্তানির সময় শুল্ক নিষ্পত্তি করিবার যুক্তিতে কোনো পণ্য শুল্ক- মুক্তভাবে ট্রান্সশিপ অথবা পুনরায় রপ্তানির জন্য অনুমতি প্রদান করা যাইবে না, যদি না উহা পুনরায় রপ্তানির সময় পর্যন্ত একজন কাস্টমস কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে প্রবেশ করানো এবং রক্ষিত হয় অথবা উক্তরূপ তত্ত্বাবধানে ট্রান্সশিপ করা হয়।
(৪) উপ- ধারা (৩) এ উল্লিখিত তত্ত্বাবধান সংশ্লিষ্ট সমুদয় ব্যয় মালিক কর্তৃক বহন করা হইবে।
১৪৯। (১) ধারা ১৪৮ এ উল্লিখিত দুইটি ক্ষেত্রের মধ্যে যে কোনো একটি ক্ষেত্রে যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট যানবাহন কাস্টমস স্টেশনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানোর জন্য এন্ট্রি করিতে পারিবেন এবং পণ্যের মালিক অতঃপর, যানবাহনটির ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির সম্মতিক্রমে, এই আইন এবং বিধির বিধান অনুসারে উহা নামাইতে পারিবেন।
(২) প্রত্যেক ক্ষেত্রে কোনো পরিশোধিত রপ্তানি শুল্ক সংশ্লিষ্ট পণ্যের মালিকের আবেদনক্রমে, উহা নামানোর এক বৎসরের মধ্যে, ফেরত প্রদান করা হইবে এবং উক্ত পণ্যের মালিককে প্রত্যর্পণ অথবা শুল্ক (কাস্টমস শুল্ক বা অন্য কোনো কর হউক না কেন) ফেরত (repayment) প্রদান হিসাবে প্রদত্ত অর্থ তাহার নিকট হইতে আদায় করা হইবে অথবা ফেরতযোগ্য অর্থের সহিত সমন্বয় করা হইবে।
১৫০। (১) যে ক্ষেত্রে কোনো পণ্য অসাবধানতাবশত, গন্তব্য ভুল হওয়া অথবা উহার প্রাপকের সন্ধান না পাওয়ার কারণে কোনো কাস্টমস স্টেশনে আনীত হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত পণ্য আনয়নকারী যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির অথবা উহা প্রেরণকারীর আবেদনক্রমে এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে কমিশনার অব কাস্টমস উক্ত পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক, আমদানি শুল্ক কিংবা রপ্তানি শুল্ক, যাহাই হউক না কেন, পরিশোধ ব্যতিরেকে উহা এই শর্তে রপ্তানি করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন যে, উক্ত পণ্য একজন কাস্টমস কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখিয়া রপ্তানি করিতে হইবে।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কারণ ব্যতীত অন্য কোনো কারণে কোনো কাস্টমস স্টেশনে কোনো পণ্য আনয়ন করা হইলে, বোর্ডের পূর্বানুমতিক্রমে, কমিশনার অব কাস্টমস উক্ত পণ্য, উহার উপর আরোপণীয় শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে, পুনরায় রপ্তানির অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত তত্ত্বাবধানের সহিত সংশ্লিষ্ট সমুদয় ব্যয় আবেদনকারীকে বহন করিতে হইবে।
বিংশ অধ্যায়
রসদ ও ভান্ডার সামগ্রী
১৫১। (১) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাবলি ও বিধি- নিষেধ এবং পণ্য ঘোষণা এবং ছাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন সাপেক্ষে, এবং এই অধ্যায়ের অধীন ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ না থাকিলে, বাংলাদেশের বাহিরের কোনো স্থান হইতে আগমনকারী কোনো যানবাহনের রসদ ও ভান্ডার হিসাবে বহনকৃত কোনো পণ্য, নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কাস্টমস শুল্ক হইতে অব্যাহতি পাইবে, যথা:-
(ক) উক্ত রসদ ও ভান্ডার সামগ্রী, উল্লিখিত যানবাহন বাংলাদেশে উহার প্রস্থানের সর্বশেষ বন্দর, বিমানবন্দর, বা কাস্টমস স্টেশন হইতে প্রস্থানের পূর্বে, উক্ত যানবাহন ও যানবাহনের যাত্রী বা ক্রুদের ব্যবহার বা সেবার জন্য ব্যবহার ব্যতীত, ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাইবে না; এবং
(খ) উক্ত রসদ ও ভান্ডার সামগ্রী যানবাহন হইতে নামানো যাইবে না।
(২) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে, রসদ ও ভান্ডার সামগ্রী সিলমোহর করাসহ, উহার যে কোনো অননুমোদিত ব্যবহার রোধকল্পে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
১৫২। ধারা ১৫১ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশের বাহিরের কোনো স্থান হইতে আগমনকারী কোনো যানবাহনে রসদ ও ভান্ডার সামগ্রী হিসাবে বহনকৃত এবং আগমনের পর যথাযথভাবে রিপোর্টকৃত পণ্য, যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদন এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাবলি ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে,-
(ক) বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নিরাপদ স্থানে অস্থায়ীভাবে তত্ত্বাবধানের জন্য নামানো বা খালাস করা যাইবে এবং বাংলাদেশের বাহিরে সম্ভাব্য কোনো গন্তব্যস্থলে যাওয়ার প্রাক্কালে ব্যবহারের জন্য একই যানবাহনে পুনরায় বোঝাই করা যাইবে;
(খ) বাংলাদেশের বাহিরে সম্ভাব্য কোনো গন্তব্যস্থলে যাওয়ার প্রাক্কালে ব্যবহারের জন্য, শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে, একই স্থানে একই যাত্রা পথের অন্য যানবাহনে অবিলম্বে স্থানান্তরের জন্য নামানো বা খালাস করা যাইবে।
১৫৩। বাংলাদেশে উৎপাদিত অথবা প্রস্তুতকৃত পণ্য, যাহা কোনো বৈদেশিক বন্দর, বিমানবন্দর অথবা স্টেশনের গন্তব্যে যাত্রার জন্য উদ্যত কোনো যানবাহনে রসদ ও ভান্ডার সামগ্রী হিসাবে প্রয়োজন, উক্ত যানবাহনের আয়তন, যাত্রী ও ক্রুগণের সংখ্যা এবং যাত্রা বা ভ্রমণের মেয়াদ বিবেচনাপূর্বক যথাযথ কর্মকর্তা যে পরিমাণ নির্ধারণ করিবে, সেই পরিমাণে শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে রপ্তানি করা যাইবে।
একবিংশ অধ্যায়
ব্যাগেজ এবং ডাকযোগে আমদানিকৃত অথবা রপ্তানিকৃত পণ্য সম্পর্কিত বিশেষ বিধানাবলি
১৫৪। বাংলাদেশে আগমনকারী কোনো যাত্রী অথবা ক্রু তাহার ব্যাগেজ বা ব্যাগেজের পণ্য খালাসের উদ্দেশ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যথাযথ কর্মকর্তার নিকট একটি মৌখিক বা লিখিত ঘোষণা প্রদান করিবেন এবং তাহার ব্যাগেজ এবং ব্যাগেজের পণ্য অথবা তাহার সহিত বহনকৃত পণ্য সম্পর্কে উক্ত কর্মকর্তার সকল প্রশ্নের জবাব প্রদান করিবেন এবং উক্ত ব্যাগেজ বা ব্যাগেজের পণ্য পরীক্ষার জন্য উপস্থাপন করিবেন।
১৫৫। ধারা ১৫৪ এর অধীন ব্যাগেজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কহার, যদি থাকে, উক্ত ব্যাগেজ সম্পর্কে যে তারিখে ঘোষণা প্রদান করা হয়, সেই তারিখে বলবৎ শুল্কহার প্রযোজ্য হইবে।
১৫৬। যথাযথ কর্মকর্তা যদি এইমর্মে সন্তুষ্ট হন যে, যাত্রীর অথবা ক্রুর কোনো ব্যাগেজ প্রকৃত ব্যবহারের অথবা উপহার প্রদানের উদ্দেশ্যে আনয়ন করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি উহা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত সীমা, শর্ত ও বিধি- নিষেধ সাপেক্ষে, শুল্কমুক্তভাবে খালাস প্রদান করিতে পারিবেন।
১৫৭। যে ক্ষেত্রে কোনো যাত্রীর ব্যাগেজের কোনো পণ্য শুল্কযোগ্য হয় অথবা উহার আমদানি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং যে ক্ষেত্রে উহার বিষয়ে ধারা ১৫৪ এর অধীন সঠিক ঘোষণা প্রদত্ত হয়, সেইক্ষেত্রে যাত্রীর আবেদনক্রমে যথাযথ কর্মকর্তা উক্ত পণ্য তাহাকে বাংলাদেশ ত্যাগের প্রাক্কালে ফেরত প্রদানের উদ্দেশ্যে আটক রাখিতে পারিবেন।
১৫৮। ধারা ১৫৪ এর অধীন ঘোষণা প্রদান করা হইয়াছে, ট্রানজিট যাত্রী অথবা ক্রু সদস্যগণের এইরূপ ব্যাগেজ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত সীমা, শর্ত ও বিধি- নিষেধ সাপেক্ষে, শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক উক্তরূপ ট্রানজিটে প্রেরণের অনুমতি প্রদান করা যাইবে।
১৫৯। ডাকযোগে আমদানিকৃত অথবা রপ্তানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে উহার বর্ণনা, পরিমাণ এবং মূল্য সম্বলিত লেবেল অথবা ঘোষণাকে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আমদানি অথবা, ক্ষেত্রমত, রপ্তানির জন্য ঘোষণা হিসাবে গণ্য করা হইবে।
১৬০। (১) ডাকযোগে আমদানিকৃত কোনো পণ্যের উপর প্রযোজ্য শুল্কের হার হইবে উহার উপর শুল্ক নিরূপণের জন্য ধারা ১৫৯ এ উল্লিখিত ঘোষণা অথবা লেবেল যে তারিখে ডাক কর্তৃপক্ষ যথাযথ কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করেন সেই তারিখে বলবৎ শুল্কহার।
(২) ডাকযোগে রপ্তানিকৃত কোনো পণ্যের উপর প্রযোজ্য শুল্কহার হইবে রপ্তানিকারক যে তারিখে উক্ত পণ্য রপ্তানির জন্য ডাক কর্তৃপক্ষের নিকট অর্পণ করেন সেই তারিখে বলবৎ শুল্কহার।
দ্বাবিংশ অধ্যায়
উপকূলীয় পণ্য এবং নৌযান সম্পর্কিত বিধানাবলি
১৬১। এই অধ্যায়ের বিধানাবলি ব্যাগেজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
১৬২। (১) উপকূলীয় পণ্যের প্রেরক, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, যথাযথ কর্মকর্তার নিকট উক্ত পণ্য সম্পর্কিত একটি বিল পেশ করিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক প্রেরক তাহার পেশকৃত উপকূলীয় পণ্য সম্পর্কিত বিলে উহার অন্তর্ভুক্ত পণ্যের সত্যতা সম্পর্কে একটি ঘোষণা প্রদান করিবেন।
১৬৩। যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক উপকূলীয় পণ্য সম্পর্কিত বিল ছাড় না হওয়া পর্যন্ত এবং উহা পণ্যের প্রেরক কর্তৃক নৌযানের মাস্টারের নিকট অর্পণ না করা পর্যন্ত কোনো নৌযান উপকূলীয় পণ্য গ্রহণ করিবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, ব্যতিক্রমী অবস্থায় নৌযানের মাস্টার কর্তৃক লিখিত আবেদনক্রমে যথাযথ কর্মকর্তা উক্ত পণ্য সম্পর্কিত বিলের উপস্থাপন এবং ছাড় প্রদান অপেক্ষমান রাখিয়া উপকূলীয় পণ্য বোঝাই করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
১৬৪। (১) উপকূলীয় পণ্য বহনকারী নৌযানের মাস্টার ধারা ১৬৩ এর অধীন তাহার নিকট অর্পিত সকল বিল নৌযানে বহন করিবেন এবং উক্ত নৌযান কোনো কাস্টমস বন্দর অথবা উপকূলীয় বন্দরে পৌঁছাইবার ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার মধ্যে যে পণ্য উক্ত বন্দরে নামানো হইবে সেই পণ্য সম্পর্কিত সকল বিল যথাযথ কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করিবেন।
(২) যে ক্ষেত্রে কোনো উপকূলীয় পণ্য কোনো বন্দরে নামানো হয় সেই ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা যদি এইমর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত পণ্য উপ- ধারা (১) এর অধীন তাহার নিকট অর্পিত বিলের অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উহা খালাসের অনুমতি প্রদান করিবেন।
১৬৫। উপকূলীয় পণ্য বহনকারী নৌযান বাংলাদেশের কোনো বন্দরে পৌঁছাইবার অব্যবহিত পূর্বে কোনো বিদেশি বন্দর স্পর্শ করিয়া থাকিলে উহার মাস্টার ধারা ১৬৪ এ উল্লিখিত বিলসমূহের সহিত উক্ত ঘটনা বিবৃত করিয়া এবং উক্ত বিদেশি বন্দরে খালাসকৃত অথবা সেইস্থান হইতে নৌযানে বোঝাইকৃত পণ্যের, যদি থাকে, বিবরণ এবং বিনির্দেশ উল্লেখ করিয়া একটি ঘোষণা প্রদান করিবেন।
১৬৬। (১) প্রত্যেক উপকূলীয় নৌযানে নৌযানের নাম, যেখানে নিবন্ধিত সেই বন্দরের নাম এবং মাস্টারের নাম উল্লেখপূর্বক একটি কার্গো বুক সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(২) প্রত্যেক উপকূলীয় নৌযানের মাস্টারের কর্তব্য হইবে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি কার্গো বুকে লিপিবদ্ধকরণের ব্যবস্থা করা, যথা:-
(ক) নৌযানের গন্তব্য বন্দর এবং প্রতিটি সমুদ্রযাত্রা;
(খ) প্রত্যেক পণ্য বোঝাই করা বন্দর হইতে প্রস্থানের এবং প্রত্যেক পণ্য খালাস হওয়া বন্দরে পৌঁছার ভিন্ন ভিন্ন সময়;
(গ) প্রত্যেক পণ্য বোঝাই করা বন্দরের নাম এবং নৌযানে বোঝাইকৃত প্যাকেজসমূহের বর্ণনা ও পরিমাণ এবং উহাতে ধারণকৃত অথবা খোলা সাজানো পণ্যের বর্ণনাসহ সকল পণ্যের হিসাব এবং রপ্তানিকারকের এবং প্রাপকের নামসমূহ এবং বর্ণিত তথ্যাদি যতখানি নিরূপণ সম্ভবপর হয়; এবং
(ঘ) প্রত্যেক পণ্য খালাসে প্রতিটি বন্দরের নাম এবং উক্ত নৌযান হইতে প্রতিটি পণ্য খালাসের তারিখ।
(৩) পণ্য বোঝাই এবং খালাস সম্পর্কিত এন্ট্রিসমূহ যথাক্রমে বোঝাই এবং খালাস করিবার বন্দরে সম্পন্ন করিতে হইবে।
(৪) যথাযথ কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্য চাহিবামাত্র প্রত্যেক মাস্টার কার্গো বুক উপস্থাপন করিবেন এবং উহাতে উক্ত কর্মকর্তা যেরূপ আবশ্যক বিবেচনা করিবেন সেইরূপ নোট অথবা মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিতে পারিবেন।
১৬৭। ধারা ৮ এর অধীন ঘোষিত কাস্টমস বন্দর অথবা উপকূলীয় বন্দর ব্যতীত অন্য কোনো বন্দরে কোনো উপকূলীয় পণ্য কোনো নৌযানে বোঝাই অথবা নৌযান হইতে খালাস করা যাইবে না।
১৬৮। (১) যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো কাস্টমস বন্দরে অথবা উপকূলীয় বন্দরে উপকূলীয় পণ্য আনয়নকারী অথবা বোঝাইকারী কোনো উপকূলীয় নৌযান উক্ত বন্দর হইতে প্রস্থান করিতে পারিবে না।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো আদেশ প্রদান করা যাইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না-
(ক) নৌযানের মাস্টার তাহার নিকট জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের, যদি থাকে, উত্তর প্রদান করেন;
(খ) উক্ত নৌযান সম্পর্কিত অথবা উহার মাস্টার কর্তৃক প্রদেয় সকল চার্জ এবং জরিমানা, যদি থাকে, পরিশোধ করা হয় অথবা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দেশিত গ্যারান্টি দ্বারা উহার পরিশোধ নিশ্চিত করা হয়।
১৬৯। (১) আমদানিকৃত পণ্য অথবা রপ্তানিতব্য পণ্যের ক্ষেত্রে ধারা ৬৫ যেরূপ প্রযোজ্য হয় সেইরূপ, যতদূর সম্ভব, উপকূলীয় পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(২) আমদানিকৃত পণ্য অথবা রপ্তানিতব্য পণ্য বহনকারী নৌযানের ক্ষেত্রে ধারা ৫১ এর উপ- ধারা (২), ধারা ৫২ এবং ধারা ৬০ যেরূপ প্রযোজ্য হয় সেইরূপ, যতদূর সম্ভব, উপকূলীয় পণ্য বহনকারী নৌযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, নবম অধ্যায়ের সকল বিধানাবলি অথবা যে কোনো বিধান এবং ধারা ৭৬ এর বিধানাবলি প্রজ্ঞাপনে যেরূপ উল্লেখ থাকে সেইরূপ ব্যতিক্রম এবং পরিবর্তনসহ উপকূলীয় পণ্যের ক্ষেত্রে অথবা উপকূলীয় পণ্য বহনকারী নৌযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
১৭০। কোনো আইন দ্বারা অথবা আইনের অধীন আরোপিত নিষিদ্ধকরণ অথবা বিধি- নিষেধ লঙ্ঘন করিয়া উপকূলবাহী কোনো পণ্য অথবা রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রী হিসাবে কোনো পণ্য উপকূলীয় নৌযানে বহন করা যাইবে না অথবা উক্ত পণ্য অথবা রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রী এইরূপ বহন করিবার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের কোনো স্থানে আনয়ন করা যাইবে না।
ত্রয়োবিংশ অধ্যায়
অপরাধ, জরিমানা ও দণ্ড
১৭১। (১) যদি কোনো ব্যক্তি নিম্নের টেবিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধের জন্য তাহার বিরুদ্ধে কলাম (৪) এ বর্ণিত জরিমানা বা দণ্ড আরোপণীয় হইবে, যথা:-
টেবিল
ক্রমিক নং |
সংশ্লিষ্ট ধারা, অধ্যায়, ইত্যাদি |
অপরাধ |
জরিমানা/দণ্ড |
(১) |
(২) |
(৩) |
(৪) |
১। |
৮ ও ৯ |
যদি কোনো ব্যক্তি-
(ক) সমুদ্রপথে বা আকাশপথে আমদানিকৃত কোনো পণ্য খালাসের জন্য ধারা ৮ এর অধীন ঘোষিত কাস্টমস বন্দর অথবা কাস্টমস বিমানবন্দর ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে নামান বা নামানোর চেষ্টা করেন;
(খ) স্থলপথে বা অভ্যন্তরীণ জলপথে আমদানিকৃত কোনো পণ্য উহা আমদানির জন্য ধারা ৮ এর দফা (গ) এর অধীন ঘোষিত রুট ব্যতীত অন্য কোনো রুটের মাধ্যমে আমদানি করেন;
(গ) রপ্তানি পণ্য বোঝাই করিবার জন্য নির্ধারিত কাস্টমস বন্দর অথবা কাস্টমস বিমানবন্দর ব্যতীত অন্য কোনো স্থান হইতে উহা সমুদ্রপথে অথবা আকাশপথে রপ্তানি করিবার চেষ্টা করেন; |
ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ১ (এক) বৎসর কিন্তু অনধিক ৬ (ছয়) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং পণ্য মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
|
|
|
(ঘ) ধারা ৮ এর দফা (গ) এর অধীন রপ্তানির জন্য নির্ধারিত রুটের মাধ্যমে ব্যতীত অন্য কোনো রুটে স্থলপথে অথবা অভ্যন্তরীণ জলপথে কোনো পণ্য রপ্তানির চেষ্টা করেন;
(ঙ) কোনো আমদানিকৃত পণ্য কাস্টমস বন্দর ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে নামাইবার উদ্দেশ্যে উপসাগর, খাঁড়ি অথবা নদীতে আনয়ন করেন; বা |
|
|
|
(চ) কাস্টমস স্টেশন ব্যতীত অথবা ধারা ৯ এর দফা (খ) এর অধীন পণ্য বোঝাইয়ের জন্য অনুমোদিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থান হইতে রপ্তানি করিবার জন্য কোনো পণ্য বাংলাদেশের স্থল সীমান্তে অথবা উপকূলের নিকটে অথবা কোনো উপসাগর, খাঁড়ি বা নদীর নিকটে আনয়ন করেন |
|
২। |
১২, ষোড়শ অধ্যায়
|
যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক অনুমোদিত কোনো কাস্টমস ওয়্যারহাউসে নির্ধারিত কোনো শর্ত বা বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
৩। |
১৩ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৩ এর অধীন কাস্টমস কর্মকর্তাদের আরোহন বা অবতরণের উদ্দেশ্যে কাস্টমস স্টেশনের নির্ধারিত স্থানে আগমনকারী বা বহির্গমনমুখী কোনো জাহাজ আনয়ন করিতে বা যথাযথ কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী উক্ত স্টেশনের নির্ধারিত এলাকার মধ্যে উক্ত জাহাজ চলাচল বা অবস্থান করাইতে ব্যর্থ হন; |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।
|
৪। |
চতুর্থ অধ্যায় |
(১) যদি কোনো ব্যক্তি-
(ক) আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতীত অবৈধভাবে কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করেন বা প্রবেশের চেষ্টা করেন অথবা উক্ত কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য অননুমোদিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার বা প্রকাশ করেন;
(খ) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে আইনানুগ প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত হইয়া উক্ত কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য অননুমোদিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার বা প্রকাশ করেন; অথবা |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে, অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। |
|
|
(গ) কর্তৃত্বপ্রাপ্ত না হইয়াও কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য গ্রহণ করেন, এবং উক্ত তথ্য ব্যবহার, প্রকাশ বা প্রচার করেন অথবা উহা বিতরণের জন্য অনুমোদন প্রদান করেন;
(২) যদি কোনো ব্যক্তি-
(ক) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে সংরক্ষিত কোনো রেকর্ড বা তথ্য প্রতারণামূলকভাবে পরিবর্তন করেন;
(খ) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকল করেন; অথবা
(গ) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য কোনো ডুপ্লিকেট টেপ, ডিস্ক বা অন্য কোনো মাধ্যমে ধারণ করেন অথবা উক্ত সংরক্ষিত তথ্য বোর্ডের অনুমতি ব্যতীত অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকল করেন। |
|
|
|
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি,-
(ক) কোনো অনুমোদিত ব্যবহারকারী না হইয়াও কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে কোনো তথ্য প্রেরণ প্রমাণীকরণের উদ্দেশ্যে কোনো ইউনিক ইউজার আইডেন্টিফাইয়ার ব্যবহার করেন; অথবা
(খ) কোনো নিবন্ধিত ব্যবহারকারী হইয়া কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে কোনো তথ্য প্রেরণ প্রমাণীকরণের জন্য অন্য কোনো অনুমোদিত ব্যবহারকারীর ইউনিক ইউজার আইডেন্টিফাইয়ার ব্যবহার করেন। |
|
৫। |
১৭ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করেন বা করিবার চেষ্টা করেন। |
এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন অপরাধী যে দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন তাহা ক্ষুণ্ন না করিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৬। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্য চোরাচালান করিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনয়ন করেন বা বাংলাদেশের বাহিরে লইয়া যান। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর কিন্তু অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড এবং পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৭। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বৈধ কারণ ব্যতীত, যাহা প্রমাণের দায়িত্ব উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে, এই আইনের অধীন চোরাচালানকৃত পণ্য অথবা চোরাচালানকৃত বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ হয় এইরূপ অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা মূল্যমানের কোনো পণ্য দখলে আনেন অথবা যে কোনো উপায়ে উহা বহন করা, অপসারণ করা, জমা রাখা, আশ্রয়ে রাখা, সংরক্ষণ করা, লুকাইয়া রাখা বা অন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার সহিত সংশ্লিষ্ট থাকেন। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ১ (এক) বৎসর কিন্তু অনধিক ৬ (ছয়) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
|
|
ব্যাখ্যা- এই এন্ট্রির অধীন বিবেচ্য পণ্য যদি স্বর্ণ বুলিয়ন বা রৌপ্য বুলিয়ন হয় এবং কোনো ব্যক্তি যদি এইমর্মে দাবি করেন যে, পণ্যটি চোরাচালানকৃত নহে, উহা বাংলাদেশে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে সংগৃহীত, তাহা হইলে বিষয়টি প্রমাণ করিবার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর বর্তাইবে। |
|
৮। |
২৫ |
যদি কোনো ব্যক্তি কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে ধারা ২৫ এর অধীন আরোপিত শর্ত, সীমা বা বিধি- নিষেধ লঙ্ঘন করেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় স্বাভাবিক (statutory) শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৯। |
৩৩ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৩ এর অধীনে কাস্টমস সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে অসত্য বিবৃতি প্রদান বা দলিলপত্র দাখিল করেন। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফাঁকিকৃত শুল্ক- করের অন্যূন দ্বিগুণ কিন্তু অনধিক চারগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড বা ফাঁকিকৃত শুল্ক- করের অন্যূন দ্বিগুণ কিন্তু অনধিক চারগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
১০। |
সপ্তম অধ্যায় |
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্যের উপর প্রত্যর্পণ দাবি করেন অথবা প্রত্যর্পণ গ্রহণ করিয়াছেন যাহা যথাযথভাবে রপ্তানি করা হয় নাই অথবা এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া জাহাজীকরণের পর সংশ্লিষ্ট পণ্য পুনরায় বাংলাদেশে নামান বা অবতরণ করান। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট প্রত্যর্পণকৃত অর্থ ফেরত প্রদানসহ উক্ত পণ্যের উপর আরোপ উপর আরোপণীয় শুল্ক করের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
১১। |
৪৮ |
(১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা ও পদ্ধতিতে যানবাহন ও কার্গো ঘোষণা দাখিল করিতে ব্যর্থ হন। |
(১) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
(২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান অনুযায়ী কার্গো ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত বা বর্ণনা করিবার আবশ্যকতা থাকা সত্ত্বেও কোনো পণ্য উক্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত বা বর্ণনা করিতে ব্যর্থ হন, যাহা যানবাহনে থাকা অবস্থায় বা উক্ত যানবাহন হইতে নামানোর সময় পাওয়া যায়। |
(২) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
||
|
|
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান অনুযায়ী কার্গো ঘোষণায় যে পণ্য অন্তর্ভুক্ত বা বর্ণনা করেন, তাহা পাওয়া না যায় বা কম পাওয়া যায়।
|
(৩) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অথবা, উক্ত পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে বা উহার উপর শুল্ক- কর নিরূপণ করা সম্ভব না হইলে, প্রতিটি নিখোঁজ বা ঘাটতি প্যাকেজ (package) বা পৃথক বস্তুর জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং, বাল্ক পণ্যের ক্ষেত্রে, অন্যূন সংশ্লিষ্ট পণ্য- মূল্যের সমপরিমাণ অথবা ২ (দুই) লক্ষ টাকা, যাহাই অধিকতর হয়, জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
১২। |
৪৯, ৫০, ৫১, ৬৫, ৬৮, ৭১, ৭২ ও ৭৩ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯, ৫০, ৫১, ৬৫, ৬৮, ৭১, ৭২ বা ৭৩ এর বিধান অনুযায়ী যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো যানবাহন হইতে কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রযোজ্য এইরূপ কোনো পণ্য খালাস করেন এবং বাংলাদেশ হইতে গমনোদ্যত কোনো যানবাহনে পণ্য বোঝাই করেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
|
১৩।
|
৫১ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫১ এর বিধান অনুযায়ী পণ্য আগমন সম্পর্কে অবহিত করিতে এবং অন্তর্মুখী প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
১৪। |
৫৩ ও ৫৪ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫৩ বা ৫৪ এর অধীন পোর্ট ক্লিয়ারেন্স বা যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত কোনো যানবাহন কাস্টমস স্টেশন হইতে নির্গমন করান বা নির্গমন করাইতে উদ্যত হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।
|
১৫। |
৬২ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬২ এর অধীন কাস্টমস স্টেশনে আগমনকারী বা কাস্টমস স্টেশন হইতে বহির্গমনমুখী জাহাজে অবতরণের উদ্দেশ্যে কাস্টমস কর্মকর্তাকে গ্রহণ করিতে কিংবা জাহাজে অবস্থানকারী কাস্টমস কর্মকর্তাকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য বা সেবা সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
১৬। |
৬৬ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬৬ এর অধীন বোট নোট ব্যতীত অথবা বোট নোট এ উল্লিখিত পরিমাণের অধিক কোনো পণ্য কোনো কার্গো বোটের মাধ্যমে কোনো জাহাজ হইতে বা জাহাজে পরিবহণ করেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক- করাদির অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ এবং, সংশ্লিষ্ট পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে, অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
১৭। |
৭০ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৭০ এর অধীন প্রণীত বিধি- বিধান পরিপালন না করিয়া বাংলাদেশি জাহাজের মালিকানাধীন প্রত্যেক নৌকা এবং অনধিক ১০০ (একশত) টনের অন্যান্য প্রত্যেক নৌযান চলাচল করান। |
সংশ্লিষ্ট নৌযান বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
|
১৮। |
৮১ ও ৮২ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৮১ বা ৮২ এর বিধান অনুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, পণ্য ঘোষণা দাখিল করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
১৯। |
৮২ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৮২ এর বিধান অনুযায়ী কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন বা কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করিবার জন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক আইনসঙ্গতভাবে যাচিত কোনো দলিল বা তথ্য প্রদান করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
|
২০। |
৯২ |
যদি কোনো ব্যক্তি যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অস্থায়ী মজুদ (temporary storage) হইতে ধারা ৯২ এর অধীন ছাড় করা হয়নি, এইরূপ পণ্য অপসারণ করেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ ছাড়াও উক্ত আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দশ গুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
২১। |
চর্তুদশ অধ্যায় |
যদি কোনো ব্যক্তি চতুর্দশ অধ্যায়ের অধীন অস্থায়ী আমদানির ক্ষেত্রে এই আইন বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো শর্ত বা বিধি- নিষেধ পরিপালন করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রদেয় শুল্ক- কর এর অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু পণ্যের মূল্যের অনধিক তিনগুণ, যাহাই অধিকতর হয়, জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
২২। |
ষোড়শ অধ্যায় |
যদি কোনো ব্যক্তি ষোড়শ অধ্যায়ের অধীন কোনো ওয়্যারহাউসে এই আইন বা বিধির বিধানাবলি লঙ্ঘন করিয়া বা কোনো যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
২৩। |
ষোড়শ অধ্যায় |
(১) যদি কোনো ওয়্যারহাউস রক্ষক কোনো পণ্য ষোড়শ অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী ওয়্যারহাউসে সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হন অথবা কাস্টমস শুল্ক ও কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওয়্যারহাউস সুবিধার অপব্যবহার করেন।
|
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ড দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
|
|
(২) যদি কোনো ওয়্যারহাউসরক্ষক কোনো ওয়্যারহাউস হইতে কোনো পণ্য শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে অবৈধভাবে বাহিরে লইয়া যান, বা উহাতে সহায়তা করেন বা অন্য কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট থাকেন। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৩ (মাস) কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
২৪। |
সপ্তদশ অধ্যায় |
যদি কোনো ব্যক্তি সপ্তদশ অধ্যায়ের ধারা ১৩৬, ১৩৭, ১৩৮, ১৩৯ বা ১৪০ এর বিধান অনুযায়ী ট্রান্সশিপমেন্ট সম্পর্কিত কোনো বিধি- বিধান লঙ্ঘন করেন বা ট্রান্সশিপমেন্টযোগ্য নহে এইরূপ পণ্য ট্রান্সশিপ করেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
|
২৫। |
অষ্টাদশ অধ্যায় |
যদি কোনো ব্যক্তি অষ্টাদশ অধ্যায়ের ধারা ১৪২, ১৪৩, ১৪৪ বা ১৪৫ এর বিধান অনুযায়ী ট্রানজিট পদ্ধতির অধীন ন্যস্তকৃত পণ্য এবং প্রযোজ্য দলিল, উক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী গন্তব্য কাস্টমস স্টেশনে উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হন অথবা ট্রানজিট সংক্রান্ত বিধি- বিধান লঙ্ঘন করেন। |
শুল্ক- কর ফাঁকিজনিত অপরাধের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রদেয় শুল্ক- কর এর অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক পাঁচগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে, তবে শুল্ক- কর ফাঁকির ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
২৬। |
১৪৭ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৪৭ এর অধীন রপ্তানি পণ্য বোঝাই না করিবার অথবা কম বোঝাই করিবার অথবা বোঝাই করিবার পর উহা পুনরায় নামানোর সংবাদ যথাযথ কর্মকর্তাকে অবহিত করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
২৭। |
১৪৮ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৪৮ এর অধীন যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে যানবাহন হইতে কোনো রপ্তানি পণ্য, রসদ বা ভাণ্ডারসামগ্রী পুনরায় নামান। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
২৮। |
বিংশ অধ্যায় |
যদি কোনো ব্যক্তি বিংশ অধ্যায়ের অধীন রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রীর ক্ষেত্রে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো শর্ত বা বিধি- নিষেধ পরিপালন করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রদেয় শুল্ক- কর এর অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু পণ্যের মূল্যের অনধিক তিনগুণ, যাহাই অধিকতর হয়, জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
২৯। |
১৫৪ |
যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে আগমনের পর ধারা ১৫৪ এর বিধান অনুযায়ী তাহার সহিত বহনকৃত বা তাহার ব্যাগেজের ভিতরে রক্ষিত কোনো পণ্য সম্পর্কে, ব্যাগেজ পরীক্ষা আরম্ভ হইবার পূর্বে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঘোষণা প্রদান করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৩০। |
১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫, ১৬৬ ও ১৬৮ |
যদি কোনো ব্যক্তি উপকূলীয় পণ্য বহনকারী নৌযানের মাস্টার হিসাবে ধারা ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫, ১৬৬ বা ১৬৮ এর বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৩১। |
১৭০ |
যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের বাইরে কোনো উপকূলীয় পণ্য পরিবহণে নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কোনো বিধান প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন। |
উক্ত পণ্য বহনকারী জাহাজের মাস্টার অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্ত লঙ্ঘনের ফলে কোনো শুল্ক- কর ফাঁকি হইলে উক্ত শুল্কের অনধিক তিনগুণ জরিমানা আরোপনীয় হইবে; এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৩২। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি স্বীয় হেফাজতে রক্ষিত কোনো পণ্য রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বন্দর এলাকা হইতে অপসারণ করেন অথবা অপসারণের চেষ্টা করেন। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ ছাড়াও উক্ত আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক পাঁচ গুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা, অথবা সংশ্লিষ্ট পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে বা উহার উপর শুল্ক- কর নিরূপণ করা সম্ভব না হইলে, প্রতিটি নিখোঁজ বা ঘাটতি প্যাকেজ (package) বা পৃথক বস্তুর জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা এবং, বাল্ক পণ্যের ক্ষেত্রে, অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা বা সংশ্লিষ্ট পণ্য- মূল্যের অনধিক দশগুণ পরিমাণ, যাহাই অধিকতর হয়, অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
|
|
|
|
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ১ (এক) বৎসর কিন্তু অনধিক ৬ (ছয়) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- করাদি পরিশোধসহ প্রদেয় শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ
কিন্ত অনধিক পাঁচগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড, অথবা যদি উক্ত পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হয় কিংবা শুল্ক- কর নির্ধারণ করা না যায়, তাহা হইলে প্রত্যেকটি নিখোঁজ বা ঘাটতি পণ্যের জন্য বা স্বতন্ত্র পণ্যের জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, এবং বাল্ক পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক পণ্য- মূল্যের পাঁচগুণ, যাহা অধিকতর হয়, পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৩৩। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি জ্ঞাতসারে-
(ক) এই আইনের দ্বারা বা অধীন অর্পিত বা প্রদত্ত কোনো কর্তব্য পালনে অথবা ক্ষমতা প্রয়োগে যথাযথভাবে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তিকে অথবা তাহার সহায়তায় কর্মরত কোনো ব্যক্তিকে বাধা প্রদান করেন, বিঘ্নিত করেন, নিগৃহীত করেন অথবা আক্রমণ করেন;
(খ) এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো জিনিসের জন্য কোনো তল্লাশি পরিচালনা করিতে বা উক্ত জিনিস আটক, জব্দ অথবা অপসারণ করিতে এইরূপ কিছু করেন যাহা উক্ত কার্যকে বাধা সৃষ্টি করে অথবা বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়; |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। |
|
|
(গ) এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো জিনিস নিজ দখলে নেন অথবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করেন অথবা কোনো জিনিস বাজেয়াপ্তযোগ্য কিনা তাহার সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হইতে বা সাক্ষ্য দেওয়া হইতে বিরত রাখিবার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কিছু করেন;
(ঘ) এই আইনের অধীন নিয়োজিত বা কর্মরত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে আটক করিতে বাধা প্রদান করেন বা উক্তরূপ আটককৃত কোনো ব্যক্তিকে ছিনাইয়া নেন; অথবা
(ঙ) উপরি- উল্লিখিত এন্ট্রিসমূহের যে কোনো একটি কার্য বা বিষয় করিতে চেষ্টা করেন অথবা উহাদের যে কোনো একটি করিতে সহায়তা বা সহযোগিতা করেন অথবা সহায়তা বা সহযোগিতা করিবার চেষ্টা করেন; |
|
৩৪। |
১৯৩ |
যদি ধারা ১৯৩ এর উপ- ধারা (২) এর অধীন কোনো লিখিত নোটিশ প্রদান করা হয় অথবা কোনো কাস্টমস হাউস বা কাস্টমস স্টেশনে পণ্য পৌঁছাইয়া দেওয়া যে পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব, তিনি উক্তরূপ কর্তব্য প্রতিপালন করিতে যদি অবহেলা করেন। |
সংশ্লিষ্ট অফিসার অন্যূন ১০ (দশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। |
৩৫। |
২১৩ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২১৩ এর উপ- ধারা (২) এর অধীন দণ্ডাদেশের নোটিশ প্রদর্শন করিতে ব্যর্থ হন।
|
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; (খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। |
৩৬। |
২১৫ |
যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অথবা উক্তরূপ অপরাধ সংঘটিত করিবার কোনো চেষ্টা বা সম্ভাব্য চেষ্টার বিষয় অবগত হইয়া নিকটতম কাস্টমস হাউস অথবা কাস্টমস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অথবা, যুক্তিসঙ্গত সুবিধাজনক দূরত্বে কোনো কাস্টমস হাউস বা কাস্টমস স্টেশন না থাকিলে, যদি নিকটতম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে উহার সংবাদ প্রদান করিতে ব্যর্থ হন, |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
|
৩৭। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বৈধ কারণ, যাহা প্রমাণের দায়িত্ব উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে, ব্যতীত, কোনো বিল- হেডিং বা কোনো হেডিং সদৃশ অন্য কোনো কাগজ বা ফাঁকা কাগজ বাংলাদেশে আনয়ন করেন অথবা উহা আনয়ন করিবার সহিত সংশ্লিষ্ট থাকেন অথবা উহা দখলে রাখেন এবং ধারণা করা হয় যে, যে ব্যক্তির দখল হইতে উহা উদ্ধার করা হইয়াছে অথবা যে ব্যক্তি উহা বাংলাদেশে আনিয়াছেন অথবা যাহার পক্ষে উহা বাংলাদেশে আনয়ন করা হইয়াছে তাহারা ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি অথবা ফার্ম কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে উহা চালানপত্র হিসাবে পূরণ এবং ব্যবহার করা সম্ভব। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
|
৩৮। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি ছদ্মবেশ ধারণপূর্বক অথবা আক্রমণাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া এই আইনের যে কোনো বিধান দ্বারা বা অধীন অর্পিত বা প্রদত্ত কোনো কর্তব্য পালনরত বা ক্ষমতা প্রয়োগরত কোনো ব্যক্তিকে অথবা তাহার সহায়তাকারী কোনো ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন বা উক্ত অস্ত্র বর্ণিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন, যখন-
|
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
|
|
|
(ক) তিনি কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উপর এই আইন অথবা অন্য কোনো আইন দ্বারা আরোপিত নিষিদ্ধকরণ বা নিয়ন্ত্রণ লঙ্ঘন করিবার উদ্দেশ্যে অথবা উহার উপর আরোপণীয় শুল্ক ও কর পরিশোধ না করিবার অভিপ্রায়ে অথবা ইহা পরিশোধের জন্য জামানত প্রদান ব্যতীত উক্ত পণ্যের চলাচল, পরিবহণ বা লুকাইবার সহিত সংশ্লিষ্ট থাকেন;
অথবা
(খ) তিনি এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য দখলে রাখেন |
|
৩৯। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের ভিতরে বা বাহিরে চোরাচালানের অথবা অভীষ্ট চোরাচালানের সহিত সম্পৃক্ত কোনো সংকেত বা সংবাদ হিসাবে বাংলাদেশের কোনো এলাকা হইতে অথবা কোনো জাহাজ বা উড়োজাহাজ হইতে কোনো জাহাজে বা কোনো উড়োজাহাজে অথবা সীমান্তের ওপারে অবস্থানরত কোনো ব্যক্তির অবগতির জন্য যে কোনো মাধ্যমে কোনো সংকেত বা সংবাদ প্রেরণ করেন, যে ব্যক্তির উদ্দেশ্যে উক্ত সংকেত বা সংবাদ প্রেরিত হয় তিনি উহা গ্রহণ করিবার অবস্থায় অথবা সেই সময়ে প্রকৃতপক্ষে চোরাচালানে নিয়োজিত থাকুক বা না থাকুক। ব্যাখ্যা।- এই দফার অধীন কোনো কার্যধারায় যদি এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে কোনো সংকেত বা সংবাদ পূর্বোল্লিখিত সংকেত বা সংবাদ কিনা, তাহা হইলে উহা প্রমাণ করিবার দায় বিবাদীর উপর বর্তাইবে। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
|
৪০। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো শুল্কযোগ্য পণ্য, যাহার উপর শুল্ক পরিশোধ করা হয় নাই, অথবা এই আইন বা অন্য কোনো আইনের যে কোনো বিধান লঙ্ঘনপূর্বক আমদানিকৃত পণ্য বাংলাদেশ এবং অন্য কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সীমান্ত হইতে বাংলাদেশের ১.৬ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে অবস্থিত কোনো ইমারতের মধ্য দিয়া অথবা ইমারতের ভিতরে বা ইমারতের সহিত সংযুক্ত কোনো আঙ্গিনার মধ্য দিয়া অথবা আঙ্গিনার ভিতরে জমা রাখেন, ন্যস্ত করেন বা বহন করেন অথবা জমা রাখা, ন্যস্ত করা বা বহন করিবার ব্যবস্থা করেন। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অন্যূন |
৪১। |
২৪৩ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪৩ এর বিধান অনুযায়ী কোনো বৈধ লাইসেন্স ব্যতীত, কোনো যানবাহনে প্রবেশ বা প্রস্থান অথবা পণ্য আমদানি, রপ্তানি বা ব্যাগেজ সংক্রান্ত কোনো কাস্টমস কার্যক্রম পরিচালনা করেন। |
সংশ্লিষ্ট পণ্য শুল্ক- করযোগ্য হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক- করাদির দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ অথবা, উক্ত পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে, উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
৪২। |
২৪৬ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪৬ এর বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যবসায়িক রেকর্ড বা কোনো বিশেষ কাস্টমস পদ্ধতির জন্য নির্ধারিত রেকর্ড সংরক্ষণ করিতে, বা উক্ত রেকর্ড কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট লভ্য বা উপস্থাপন করিতে বা কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক জিজ্ঞাসিত যে কোনো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতে ব্যর্থ হন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
৪২। |
২৪৭ |
যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪৭ এর অধীন কোনো প্রজ্ঞাপনের বিধানাবলি অথবা বাংলাদেশের সীমান্তের ২৪ (চব্বিশ) কিলোমিটারের মধ্যে স্বর্ণ, রৌপ্য বা মহামূল্যবান পাথর অথবা স্বর্ণ, রৌপ্য বা মহামূল্যবান পাথরের তৈরি অলংকারের সহিত সম্পর্র্কিত ব্যবসার বিধি- নিষেধমূলক বিধানসমূহ লঙ্ঘন করেন। |
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড এবং অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৪৪। |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি উপরি- উল্লিখিত এন্ট্রিসমূহে উল্লিখিত কার্য ব্যতীত এই আইনে বারিত করা হইয়াছে এইরূপ কোনো কার্য করেন অথবা এই আইনের অধীন করণীয় এইরূপ কোনো কার্য করা হইতে বিরত থাকেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। |
৪৫ |
সাধারণ |
যদি কোনো ব্যক্তি, কোনো কাস্টম হাউস বা স্টেশনের মাধ্যমে আমদানিকৃত পণ্যের মালিক না হইয়া বা পণ্যের মালিক হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া উক্ত পণ্য খালাসের উদ্দেশ্যে পণ্যের মালিকের পক্ষে কোনো দলিলাদিতে স্বাক্ষর বা সত্যায়ন করেন। |
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে। |
(২) উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (১) এ উল্লিখিত ক্রমিক নম্বর ১৭ ও ২৭ এর বিপরীতে কলাম (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো ব্যক্তি পণ্য ঘোষণায় উল্লিখিত পণ্যের পরিমাণ, গুণাগুণ, প্রকৃতি, পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, কাস্টমস মূল্য বা উৎস দেশের বিষয়ে সঠিক, সত্য বা সম্পূর্ণ বিবরণের ধারণা প্রদান করিতে ব্যর্থ হন বা সকল পণ্য ঘোষণা করিতে ব্যর্থ হন, যাহার ফলে শুল্ক ও কর বা অন্যান্য চার্জ প্রকৃত পরিমাণ হইতে কম পরিমাণে নিরূপিত বা পরিশোধিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি নিম্নরূপ যে কোনো বিষয় অবহিতকরণের (notify) পূর্বেই সংশ্লিষ্ট লঙ্ঘন সম্পর্কে স্বেচ্ছায় উপযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট তাহা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তাহার বিরুদ্ধে এই ধারার অধীন কোনো জরিমানা আরোপ করা হইবে না, যথা :-
(ক) সংশ্লিষ্ট ঘোষণা বা উক্ত ঘোষণা সম্পর্কিত পণ্য পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত হইলে;
(খ) সংশ্লিষ্ট ঘোষণা সম্পর্কিত দলিল উপস্থাপনের জন্য আবশ্যকতা থাকিলে; বা
(গ) নিরীক্ষা বা তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঘোষণা বাছাইকৃত হইলে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ প্রকাশের সময় বা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অবহিত হইবার ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে বা কমিশনার কর্তৃক অনুমোদিত বর্ধিত সময়ের মধ্যে উক্ত অপরিশোধিত শুল্ক, কর ও ফি এবং উহা হইতে উদ্ভূত কোনো সুদ সম্পূর্ণ পরিশোধ করিতে হইবে।
(৩) যথাযথ কর্মকর্তা, উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত যে কোনো অপরাধ তদন্ত করিতে পারিবে এবং সেইক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য সাব- ইন্সপেক্টর অব পুলিশ পদের নিম্নে নহে এইরূপ কোনো কর্মকর্তা যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন, সেই একই ক্ষমতা উক্ত যথাযথ কর্মকর্তা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
9[(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা কতিপয় অপরাধ চিহ্নিত এবং উক্ত অপরাধের জন্য জরিমানা আরোপ করা যাইবে, এবং এইরূপ জরিমানার পরিমাণ উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সবোর্চ্চ জরিমানার অধিক হইতে পারিবে না]
১৭২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করেন বা সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি, উহার জন্য অন্য কোনো আইনে দণ্ডযোগ্য হইলে তাহা ক্ষুণ্ন না করিয়া, অতিরিক্ত হিসাবে এই আইনের অধীন দণ্ডিত হইবেন।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি এইরূপ কোনো পণ্য, যাহা এই আইনের বিধি- বিধান লঙ্ঘনের কারণে ধারা ১৭১ এর আওতায় জরিমানা আরোপযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে জানিয়াও অথবা জানিবার যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, দখলে রাখেন বা গ্রহণ করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ তিনি নিজেই সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে জরিমানা আরোপণীয় হইবে।
(৩) ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (৩) এ উল্লিখিত অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারার অধীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
(৪) যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পরবর্তীতে একই অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত হন, তাহা হইলে তাহার বিরুদ্ধে প্রথমবারের অপরাধের জন্য আরোপিত, ক্ষেত্রমত, জরিমানা বা অর্থদন্ডের দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা বা অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।
১৭৩। (১) ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট পণ্যসহ নিম্নবর্ণিত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে, যথা:-
(ক) কোনো পণ্যের সহিত মিশ্রিত, মোড়কজাত বা প্রাপ্ত কোনো পণ্য যাহা ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর সহিত সম্পর্কিত;
(খ) এই অধ্যায়ের অধীন কোনো লঙ্ঘনের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো যানবাহন এবং উহার কপিকল, আবরণ, ফার্নিচার, হার্নেস বা যন্ত্রপাতি;
(গ) কোনো যানবাহনসহ কোনো পণ্য গোপন করিবার উদ্দেশ্যে যে কোনো পদ্ধতিতে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত, অভিযোজিত, পরিবর্তিত বা সংযুক্ত যে কোনো পণ্য;
(ঘ) এই আইন বা বিধির অধীন কোনো লঙ্ঘনের সহিত সংশ্লিষ্ট এই অধ্যায়ের অধীন সংঘটিত জরিমানা আরোপণীয় অপরাধ বা বিচারিক আদালতে বিচার্য অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোনো দলিল।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে সকল যানবাহন ব্যক্তি বা পণ্য পরিবহণ কাজের জন্য ভাড়ায় ব্যবহৃত হয়, সেই সকল যানবাহনকে নিম্নবর্ণিত পণ্য সংশ্লিষ্ট লঙ্ঘনের জন্য এই আইনের অধীন দায়ী বা বাজেয়াপ্ত করা যাইবে না, যথা:-
(ক) কোনো যাত্রীর নিকট রক্ষিত পণ্য;
(খ) উক্ত যানবাহনে আইনগতভাবে পরিবহণকৃত কোনো যাত্রীর ব্যাগেজ বা উহার সহিত বহনকৃত কোনো পণ্য; বা
(গ) যদি কোনো যানবাহনের পণ্য, কার্গো ঘোষণাভুক্ত হয় এবং বাহিরের মোড়ক বা ধারকের চিহ্ন, সংখ্যা, ওজন ও পরিমাণ উক্ত কার্গো ঘোষণার সহিত সংগতিপূর্ণ হয়, তাহা হইলে উক্ত যানবাহনের কার্গোতে উল্লিখিত পণ্য, যদি না উক্ত যানবাহনের মালিক বা ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত লঙ্ঘনে অংশগ্রহণ করিয়া থাকেন বা লঙ্ঘন সম্পর্কে অবহিত থাকেন বা উক্ত লঙ্ঘন প্রতিরোধ বা উদ্ঘাটন করিতে তিনি গুরুতর অবহেলা করিয়া থাকেন।
(৩) যেই ক্ষেত্রে কোনো অপরাধের জন্য এই আইনের অধীন কোনো আদালতের বিচার করিবার এবং দণ্ড আরোপের বিধান রহিয়াছে, সেই ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি অনুসারে যথাযথ কর্মকর্তা পণ্যের বিলিবন্দেজের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন, এবং এইক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার কেবলমাত্র পণ্য সম্পর্কে গঠিত ফৌজদারি কার্যধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে।
(৪) ফৌজদারি কার্যবিধি অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালতের কার্যধারা, যদি থাকে, অনিষ্পন্ন থাকা অবস্থায় যেইক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত হয়, সেইক্ষেত্রে যথাযথ শনাক্তকরণ চিহ্নসহ নমুনা সংরক্ষণ করিবার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জব্দকৃত পণ্য বিক্রয় অথবা অন্যভাবে বিলি- বন্দেজ করিতে পারিবে এবং যদি আদালত কর্তৃক সিদ্ধান্ত হয় যে, কোনো অপরাধ সংঘটিত হয় নাই, তাহা হইলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, যেক্ষেত্রে মালিক অথবা যথাযথ দাবিদার পাওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে, পণ্য অথবা পণ্যের বিক্রয়লব্ধ অর্থ মালিক অথবা দাবিদারকে ফেরত প্রদান করিবে, যদি উহা অন্য কোনো কারণে বাজেয়াপ্তযোগ্য না হয়।
(৫) যদি বাজেয়াপ্তযোগ্য যানবাহন কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক জব্দ করা হয়, তাহা হইলে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো কর্মকর্তা ইহার বাজেয়াপ্ত সংশ্লিষ্ট মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায়, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে, ইহা খালাসের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যদি উক্ত যানবাহনের মালিক উক্ত কর্মকর্তাকে,-
(ক) যেই ক্ষেত্রে উক্ত যানবাহন কোনো বাস, মিনিবাস বা ট্রাক অথবা অন্য কোনো মোটরযান হয়, সেই ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং এতদ্বিষয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো কর্তৃপক্ষের সহিত নিবন্ধিত সংশ্লিষ্ট যানবাহন মালিক সমিতি দ্বারা যথাযথভাবে সত্যায়িত এবং সঠিকভাবে সিল মোহরকৃত ব্যক্তিগত অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন; অথবা
(খ) অন্য কোনো যানবাহনের ক্ষেত্রে, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দেশিত সময়ে এবং স্থানে উক্ত যানবাহন যথাযথভাবে উপস্থাপন করিবার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার এর নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তার নিকট যেইরূপ গ্রহণযোগ্য হয়, কোনো তফসিলি ব্যাংকের সেইরূপ ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করেন,-
তাহা হইলে, উক্তরূপ আদেশ প্রদানের পর উক্ত অঙ্গীকারনামা অথবা, ক্ষেত্রমত, ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানের ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার মধ্যে আদেশটির সাথে সম্পর্কিত যানবাহনটির খালাস প্রদান করা হইবে।
চতুর্বিংশ অধ্যায়
কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ (enforcement)
১৭৪। (১) বোর্ড কর্তৃক নির্দেশনা সাপেক্ষে, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, তাহার আইনগত ক্ষমতার মধ্যে, তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সকল কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করিতে পারিবেন।
(২) ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও মূল্যায়ন করার এবং উহার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে, স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়ন করা হয়েছে এইরূপ ইলেক্ট্রনিক তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কৌশল, যদি থাকে, অনুসরণ করিয়া তথ্যাদি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্রণীত ঝুঁকি পর্যালোচনা হইবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে পরীক্ষাসহ কাস্টমস নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ভিত্তি।
(৩) বোর্ড স্বয়ংক্রিয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাসহ একটি সামগ্রিক কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা দপ্তর স্থাপন করিবে।
(৪) কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা দপ্তর আন্তর্জাতিক যাত্রী, পণ্য, কার্গো বা যানবাহনের উপর কাস্টমস নিয়ন্ত্রণের প্রয়োগ এবং সমন্বিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ন্যাশনাল রিস্ক টার্গেটিং সেন্টার গঠন করিতে পারিবে।
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ করিতে পারিবে এবং বিধি ও কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
১৭৫। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (Bangladesh Single Window) প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে যাহা ধারা ৪৮, ৫১, ৫২ ও ৮১ তে উল্লিখিত দলিলাদি ব্যতীত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট দাখিলসহ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আমদানি, রপ্তানি, ওয়্যারহাউসিং, ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট এর সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে একটি নির্দিষ্ট স্থান হইতে সকল সেবা প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো কমিশনারেট নামে একটি নিয়ন্ত্রক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করিবে এবং উক্ত কমিশনারেট বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডোর অপারেটর হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবে।
(৩) কমিশনার অব কাস্টমস (বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো) এবং সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট প্রদানকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান (CLPIA) এর প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রতিনিধির সমন্বয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো কমিশনারেট গঠিত হইবে।
(৪) বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধিতিতে উক্ত কমিশনারেটের গঠন, জনবল, কর্মপরিধি ও কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।
(৫) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমদানি, রপ্তানি, ওয়্যারহাউসিং, ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট এর সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য প্রেরণ বা দলিল দাখিল করিবে।
(৬) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি স্থায়ী কমিটি গঠন করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;
(খ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর কাস্টমস অনুবিভাগের সদস্য (কাস্টমস) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(গ) প্রতিটি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের একজন করিয়া প্রতিনিধি।
(৭) উপ- ধারা (৬) এর অধীন গঠিত স্থায়ী কমিটি বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো কমিশনারেটের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করিবে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করিবে।
(৮) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো ব্যবহারের জন্য পদ্ধতি, ফি বা অন্যান্য চার্জ নির্ধারণ করিতে পারিবে।
১৭৬। (১) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, কোনো ঘোষণা প্রসঙ্গে উপস্থাপিত অথবা এই আইনের অধীন আবশ্যকতার কারণে দাখিলকৃত কোনো দলিলপত্র অথবা রেকর্ডপত্র দখলে লইতে এবং তত্ত্বাবধানে রাখিতে পারিবেন।
(২) যেক্ষেত্রে একজন কাস্টমস কর্মকর্তা, উপ- ধারা (১) এর অধীন, কোনো দলিল বা রেকর্ড দখলে নেন, সেই ক্ষেত্রে উক্ত দলিল বা রেকর্ডের স্বত্ব সংরক্ষণ করেন এইরূপ ব্যক্তির অনুরোধক্রমে উক্ত কর্মকর্তা তদ্কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে প্রত্যায়িত দলিলের কাস্টমস সিলযুক্ত একটি কপি অবিকল নকল হিসাবে সেই ব্যক্তিকে প্রদান করিবেন।
(৩) উপ- ধারা (২) এর অধীন প্রত্যায়িত প্রতিটি কপি সকল আদালতে এইরূপে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে, যেন উহাই মূল কপি।
১৭৭। (১) যদি যথাযথ কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য অথবা এতদ্সম্পর্কিত কোনো দলিলপত্র স্বয়ং বহন করিতেছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের কাস্টমস জলসীমার মধ্যে অবস্থানকারী কোনো জাহাজ হইতে অবতরণ অথবা জাহাজে আরোহণ করিবার সময়ে অথবা বাংলাদেশে আগমনকারী অথবা বাংলাদেশ হইতে গমনোদ্যত অন্য কোনো যানবাহন হইতে নামার অথবা যানবাহনে ওঠার সময়ে অথবা বাংলাদেশে প্রবেশ অথবা বাংলাদেশ হইতে প্রস্থানোদ্যত হওয়ার সময়ে তাহাকে তল্লাশি করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর বিধানাবলি ক্ষুণ্ন না করিয়া যথাযথ কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করিতে পারিবেন, যদি তাহার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি স্বয়ং এই আইনের অধীন চোরাচালানকৃত প্লাটিনাম, কোনো রেডিওঅ্যাকটিভ খনিজদ্রব্য, স্বর্ণ, রৌপ্য, মহামূল্যবান পাথর, অথবা প্লাটিনামের, রেডিওঅ্যাকটিভ খনিজদ্রব্যের, স্বণের্র, রৌপ্যের অথবা মহামূল্যবান পাথরের তৈরী দ্রব্য, অথবা মুদ্রা, অথবা সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রজ্ঞাপিত অন্য কোনো পণ্য অথবা পণ্যশ্রেণি অথবা পূর্বোল্লিখিত এক বা একাধিক কোনো পণ্যের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো দলিলপত্র বহন করিতেছেন।
১৭৮। (১) ধারা ১৭৭ এর অধীন যখন কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করিতে উদ্যত হইবেন, তখন তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট লইবার অধিকারের বিষয়ে অবহিত করিবেন, এবং উক্ত ব্যক্তি তেমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে তাহাকে তল্লাশি করিবার পূর্বে নিকটতম অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে অবিলম্বে লইয়া যাইবেন এবং উক্তরূপ না লওয়া পর্যন্ত তাহাকে সাময়িক আটক (detain) রাখিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে উক্ত উপ- ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে আনয়ন করা হইলে, যদি তিনি তাহাকে তল্লাশি করিবার জন্য যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করিবেন এবং এইরূপ করিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিবেন অথবা, অন্যথায়, তল্লাশি করিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন।
(৩) ধারা ১৭৭ এর অধীন তল্লাশি করিবার পূর্বে কাস্টমস কর্মকর্তা দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে তল্লাশির সময়ে উপস্থিত থাকিবার এবং সাক্ষী থাকিবার জন্য ডাকিয়া লইবেন এবং এইরূপ করিবার জন্য তাহাদিগকে অথবা তাহাদের যে কোনো একজনকে লিখিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন, এবং উক্ত ব্যক্তিগণের সম্মুখে তল্লাশি অনুষ্ঠিত হইবে এবং তল্লাশি কার্যক্রমের সময়ে আটককৃত সকল বস্তুর একটি তালিকা উক্ত কর্মকর্তা অথবা অন্য ব্যক্তি কর্তৃক প্রস্তুত করা হইবে এবং উক্ত সাক্ষীগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে।
(৪) কোনো মহিলাকে কোনো মহিলা ব্যতীত তল্লাশি করা যাইবে না।
(৫) কোনো আইনগত কার্যধারার উদ্দেশ্যে অথবা এই আইনের অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বাস্তবসম্মত ক্ষেত্রে, যথাযথ শনাক্তকরণ চিহ্নসহ সংশ্লিষ্ট নমুনা সংরক্ষণ করা যাইবে।
১৭৯। (১) যে ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, ধারা ১৭৭ এর অধীন তল্লাশিযোগ্য কোনো ব্যক্তি তাহার দেহের অভ্যন্তরে কোনো বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য লুকাইয়া রাখিয়াছেন সেই ক্ষেত্রে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে আটক করিতে পারিবেন এবং অনতিবিলম্বে তাহাকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমার্যাদার কর্মকর্তার নিম্নে নহেন এইরূপ কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত করিবেন।
(২) যদি উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস এর বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তির দেহের অভ্যন্তরে উক্তরূপ পণ্য লুকানো রহিয়াছে এবং উক্ত ব্যক্তির দেহ স্ক্রিন অথবা এক্স- রে করানো আবশ্যক, তাহা হইলে তিনি সেই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন অথবা, অন্যথায়, উক্ত ব্যক্তি অন্য কোনো কারণে আটককৃত না হইলে, তাহাকে অবিলম্বে মুক্তির আদেশ প্রদান করিবেন।
(৩) যেক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস কোনো ব্যক্তিকে স্ক্রিন বা এক্স- রে করানোর জন্য আদেশ প্রদান করেন সেই ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা যথাশীঘ্র সম্ভব এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক যেরূপ স্বীকৃত হয় সেইরূপ যোগ্যতাসম্পন্ন রেডিওলজিস্টের নিকট উক্ত ব্যক্তিকে লইয়া যাইবেন এবং উক্ত ব্যক্তি রেডিওলজিস্টকে তাহার দেহ স্ক্রিন বা এক্স- রে করাইতে দিতে বাধ্য থাকিবেন।
(৪) রেডিওলজিস্ট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেহ স্ক্রিন অথবা এক্স- রে করিবেন এবং উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত কর্মকর্তার নিকট তাহার গৃহীত স্ক্রিন অথবা এক্স- রে ছবিসহ অনতিবিলম্বে এতদ্বিষয়ে তাহার প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন।
(৫) যেক্ষেত্রে রেডিওলজিস্টের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অথবা অন্যভাবে উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত কর্মকর্তা সন্তুষ্ট হন যে, কোনো ব্যক্তির দেহের অভ্যন্তরে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য লুকানো রহিয়াছে সেই ক্ষেত্রে তিনি কোনো নিবন্ধিত পেশাজীবী চিকিৎসকের পরামর্শ এবং তত্ত্বাবধানে তাহার দেহ হইতে উক্ত পণ্য বাহির করিয়া আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি এইরূপ নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মহিলার ক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত পেশাজীবি মহিলা চিকিৎসকের পরামর্শ এবং তত্ত্বাবধান ব্যতীত উক্তরূপ কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।
(৬) যেক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত কর্মকর্তার নিকট উক্তরূপ কোনো ব্যক্তিকে আনয়ন করা হয়, সেই ক্ষেত্রে তিনি এই ধারার অধীন সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তিকে আটক রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৭) যদি কোনো ব্যক্তি স্বীকার করেন যে তাহার দেহের অভ্যন্তরে বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য লুকানো রহিয়াছে এবং যদি তিনি তাহার নিজ সম্মতিতে উক্ত পণ্য বাহির করিয়া আনিবার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে রাজী থাকেন, তাহা হইলে তাহাকে স্ক্রিনিং অথবা এক্স- রে করা হইবে না।
১৮০। (১) এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার যদি বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
(২) এই আইনের অধীন চোরাচালান নিরোধ কাজে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো চোরাচালানের অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
(৩) এই আইনের অধীন গ্রেফতারকৃত প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে, এইরূপ মামলায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিকটতম কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত করিতে হইবে অথবা, যদি যুক্তিসংগত দূরত্বের মধ্যে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা না থাকেন তাহা হইলে নিকটতম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লইয়া যাইতে হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন কোনো ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সম্মুখে আনয়ন করা হইলে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধটি জামিনযোগ্য হইলে, উক্ত কর্মকর্তা, তাহাকে এখতিয়ারভুক্ত প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে জামিনের জন্য উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রদান করিবেন অথবা তাহাকে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে প্রেরণ করিবেন।
(৫) উপ- ধারা (৪) এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে পূর্বোল্লিখিত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে আনয়ন করা হইলে, উক্ত কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।
(৬) উপ- ধারা (৫) এর অধীন কোনো তদন্তের উদ্দেশ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা, কোনো আমলযোগ্য অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন এবং যে বিধানসমূহের অধীন থাকেন, সেই একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং সেই একই বিধানসমূহের অধীন থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কাস্টমস কর্মকর্তা যদি এই অভিমত পোষণ করেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য রহিয়াছে অথবা সন্দেহের যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অপরাধটি যদি জামিনযোগ্য হয়, তাহাকে এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য অনুমতি প্রদান করিবেন অথবা উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে প্রেরণ করিবেন।
(৭) যদি কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য নাই অথবা সন্দেহের যুক্তিসংগত কারণ নাই, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দেশিত জামানত সহকারে অথবা জামানত ব্যতীত, একটি বন্ড সম্পাদন সাপেক্ষে, এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তলব করিলে তৎক্ষণাৎ তাহার সম্মুখে হাজির হইবার জন্য উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করিবেন এবং মামলাটির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তাহার পরবর্তী ধাপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন।
১৮১। (১) এই আইনের অধীন গৃহীত কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার উপযোগী বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য অথবা দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারসম্পন্ন এলাকার সীমানার মধ্যে কোনো স্থানে লুকাইয়া রাখা হইয়াছে বলিয়া অভিমত পোষণকারী কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার উক্তরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ সম্বলিত আবেদনক্রমে, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট উক্তরূপ পণ্য, দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র তল্লাশি করিবার জন্য পরোয়ানা জারি করিতে পারিবেন।
(২) ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন জারিকৃত তল্লাশি- পরোয়ানা যেভাবে কার্যকর করা হয় এবং উহার যেরূপ কার্যকারিতা থাকে, উক্তরূপ জারীকৃত পরোয়ানা সেইভাবে কার্যকর করা যাইবে এবং উহার সেইরূপ কার্যকারিতা থাকিবে।
১৮২। (১) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্ন নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা এই আইনের অধীন চোরাচালান নিরোধে নিয়োজিত অন্য কোনো কর্মকর্তার নিকট যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য অথবা কোনো দলিলপত্র অথবা কোনো জিনিসপত্র, যাহা তাহার মতে এই আইনের অধীন গৃহীত কোনো কার্যধারার জন্য ব্যবহার উপযোগী অথবা প্রাসঙ্গিক, তাহা কোনো স্থানে লুকানো বা রক্ষিত রহিয়াছে এবং ধারা ১৮১ এর অধীন তল্লাশি কার্যকর করিবার পূর্বে উহা অপসারিত হওয়ার আশঙ্কা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি তাহার বিশ্বাসের কারণসমূহের, এবং তল্লাশি করা হইবে সেইরূপ পণ্যসমূহ, দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্রের একটি লিখিত বিবরণ প্রস্তুতপূর্বক ঐ স্থানে উক্ত পণ্য, দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্রের জন্য তল্লাশি করিবেন অথবা করাইবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন যে কর্মকর্তা বা ব্যক্তি তল্লাশি করিবেন অথবা করাইবেন তিনি পূর্বোল্লিখিত বিবরণের একখানি স্বাক্ষরিত কপি তল্লাশকৃত স্থানে অথবা উহার নিকট রাখিয়া আসিবেন এবং তল্লাশি করিবার সময়ে অথবা ইহার পর যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত বিবরণের আরও একটি স্বাক্ষরিত অনুলিপি স্থানটির বাসিন্দার সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় প্রেরণ করিবেন।
(৩) এই ধারার অধীন সকল তল্লাশি ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুসারে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পরিচালিত হইবে।
(৪) পূর্বোল্লিখিত উপ- ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা এইরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কোনো চোরাচালান অপরাধের ক্ষেত্রে,-
(ক) উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে, অথবা যাহার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ বিদ্যমান যে তিনি উক্ত অপরাধের সহিত সহসা সংশ্লিষ্ট হইবেন তাহাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করিতে পারিবেন;
(খ) দফা (ক) এর অধীন গ্রেফতার করিতে বিনা পরোয়ানায় কোনো আঙ্গিনায় প্রবেশ এবং তল্লাশি করিতে পারিবেন অথবা আপাতত বলবৎ নিষিদ্ধকরণ অথবা বিধি- নিষেধের পরিপন্থিভাবে চোরাচালান হইতে পারে এইরূপ যুক্তিসঙ্গত সন্দেহযুক্ত কোনো পণ্য, এবং এই আইনের অধীন কোনো কার্যধারায় তাহার বিবেচনায় প্রাসঙ্গিক অথবা উপযোগী হইতে পারে এমন সকল দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন; এবং
(গ) উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট অথবা সংশ্লিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা, আটক করা বা তত্ত্বাবধানে লওয়া অথবা তাহার পলায়ন রোধ করিবার উদ্দেশ্যে অথবা যে পণ্যের ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে অথবা সংঘটিত হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, উহা আটক করিবার অথবা উহার অপসারণ রোধ করিবার উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনবোধে মৃত্যু সংঘটিত হইতে পারে এমন মাত্রায়, বল প্রয়োগ করিতে অথবা করাইতে পারিবেন।
(৫) উপ- ধারা (৪) এর বিধানাবলি কেবল বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের ৮ (আট) কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায়, এবং বাংলাদেশের জলসীমা বরাবর ২৪ (চব্বিশ) নটিক্যাল মাইলের (Contiguous Zone সহ) মধ্যবর্তী বলয়ের মধ্যে প্রযোজ্য হইবে।
(৬) উপ- ধারা (১) বা (২) এর অধীন অথবা উপ- ধারা (৫) এ উল্লিখিত এলাকাসমূহে উপ- ধারা (৪) এর অধীন অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো কিছু করিবার জন্য অথবা করিবার অভিপ্রায়ের জন্য, সরকারের লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে, তাহার বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি মোকদ্দমা, ফৌজদারি মামলা অথবা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না।
১৮৩। (১) এই আইনের অধীন যদি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো আইনানুগ তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা বা পরীক্ষা পরিচালনা করেন এবং যুক্তিসঙ্গত কারণে যদি তাহার ইহা বিশ্বাস হয় যে, উক্ত তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা বা পরীক্ষাকালে হস্তগত হওয়া দলিলপত্র এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের সাক্ষ্য হইবে, তাহা হইলে তিনি উক্ত দলিলপত্র কপি করিবার উদ্দেশ্যে অপসারণ করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) অনুযায়ী অপসারিত দলিলপত্র বা নথিপত্র যথাশীঘ্র সম্ভব অনুলিপি করিয়া উহা পাইবার অধিকারী ব্যক্তির নিকট ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
(৩) কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে প্রত্যায়িত কাস্টমস সিলযুক্ত উক্ত দলিলপত্রের কোনো অনুলিপি সকল আদালতে এইরূপে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয় হইবে যেন উহাই মূল কপি।
১৮৪। (১) এই আইনের অধীন যদি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো আইনানুগ তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা অথবা পরীক্ষা পরিচালনা করেন এবং যুক্তিসংগত কারণে যদি তাহার এই বিশ্বাস জন্মে যে, উক্ত তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা অথবা পরীক্ষাকালে তাহার হস্তগত হওয়া দলিলপত্র ও পণ্য এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের সাক্ষ্য হইবে অথবা এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা অথবা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলিলপত্রের বা, ক্ষেত্রমত, পণ্যের কর্তৃত্ব গ্রহণ এবং সংরক্ষণ করিতে পারিবেন।
(২) যদি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা তদ&কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপ- ধারা (১) এর অধীন কোনো দলিলের কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন, তাহা হইলে উক্ত দলিলের স্বত্ব সংরক্ষণ করেন এইরূপ ব্যক্তির অনুরোধক্রমে, তিনি তদ্কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে প্রত্যায়িত উহার কাস্টমস সিলযুক্ত একটি কপি অবিকল কপি হিসাবে উক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করিবেন।
১৮৫। (১) যদি উপযুক্ত কর্মকর্তার ইহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডের মধ্যে, রাষ্ট্রীয় জলসীমা এবং আকাশসীমাসহ, কোনো যানবাহন কোনো পণ্য চোরাচালান করিবার জন্য অথবা কোনো চোরাচালানকৃত পণ্য পরিবহণে ব্যবহৃত হইয়াছে অথবা হইতেছে অথবা হইতে যাইতেছে, তাহা হইলে তিনি যে কোনো সময়ে উক্তরূপ কোনো যানবাহন থামাইতে পারিবেন অথবা, উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে, উহাকে অবতরণে বাধ্য করিতে পারিবেন, এবং-
(ক) যানবাহনটির যে কোনো অংশ তন্ন- তন্ন করিয়া খুঁজিতে (rummage) বা তল্লাশি করিতে পারিবেন;
(খ) উহার উপরে রক্ষিত যে কোনো পণ্য পরীক্ষা এবং তল্লাশি করিতে পারিবেন; এবং
(গ) তল্লাশি করিবার জন্য যে কোনো দরজার তালা, সাজ- সরঞ্জাম অথবা মোড়ক ভাঙিয়া খুলিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত অবস্থায়-
(ক) যদি কোনো জাহাজ বা নৌযান থামাইতে অথবা কোনো উড়োজাহাজকে অবতরণ করিতে বাধ্য করা আবশ্যক হয়, তাহা হইলে সরকারি কার্যে নিয়োজিত নিজস্ব পতাকাবাহী কোনো জাহাজ অথবা নিজস্ব পতাকা চিহ্নধারী কোনো উড়োজাহাজ অথবা এতদুদ্দেশ্যে সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের জন্য কোনো আর্ন্তজাতিক সংকেত অথবা কোড দ্বারা অথবা অন্য কোনো স্বীকৃত পন্থায় উক্ত জাহাজকে থামাইতে অথবা উড়োজাহাজকে অবতরণ করিতে তলব করানো বৈধ হইবে, এবং ইহাতে উক্ত জাহাজ অবিলম্বে থামিবে এবং উক্ত উড়োজাহাজ সঙ্গে সঙ্গে অবতরণ করিবে, এবং যদি উহা উক্তরূপ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে কোনো জাহাজ অথবা উড়োজাহাজ দ্বারা উক্ত জাহাজ বা উড়োজাহাজকে ধাওয়া করা যাইবে, এবং সংকেত হিসাবে একবার গুলি বর্ষণ করিবার পর জাহাজটি থামিতে বা উড়োজাহাজটি অবতরণ করিতে ব্যর্থ হইলে উহার উপর গুলি বর্ষণ করা যাইবে;
(খ) যেক্ষেত্রে কোনো জাহাজ অথবা উড়োজাহাজ ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহনকে থামানো আবশ্যক হয়, সেই ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা উহা থামাইতে অথবা উহার পলায়ন রোধ করিতে সকল আইনসম্মত পন্থা অবলম্বন করিতে বা করাইতে পারিবেন, যাহার মধ্যে, অন্য সকল পন্থা ব্যর্থ হইলে, গুলিবর্ষণ অন্তর্ভুক্ত হইবে।
১৮৬। (১) কোনো পণ্য চোরাচালানের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো তদন্ত অনুষ্ঠিত হইবার সময়ে যথাযথ কর্মকর্তা-
(ক) কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলপত্র অথবা কোনো বস্তু উক্ত কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন অথবা প্রদান করিতে বাধ্য করিতে পারিবেন; এবং
(খ) মামলার ঘটনা এবং পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত কোনো ব্যক্তিকে পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
(২) যথাযথ কর্মকর্তা উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতা কেবল তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া ব্যক্তির অথবা তাহার সম্মুখে উপস্থিত হওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করিবেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো আমলযোগ্য অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন যে বিধানাবলির আওতাধীন থাকেন সেই একই বিধানাবলির আওতাধীন থাকিবেন।
১৮৭। (১) যদি-
(ক) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার ইহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো পণ্য বেআইনিভাবে আমদানি, রপ্তানি, অবমূল্যায়ন, অধিমূল্যায়ন, প্রবেশ, অপসারণ অথবা এই আইনের পরিপন্থি প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তি দ্বারা অবৈধভাবে লেনদেন করা হইয়াছে অথবা কোনো ব্যক্তি উক্ত পণ্য আমদানি, রপ্তানি, অবমূল্যায়ন, অধিমূল্যায়ন, প্রবেশ, অপসারণ অথবা অন্য কোনোভাবে লেনদেন করিবার চেষ্টা করিয়াছে; অথবা
(খ) এই আইনের অধীন কোনো পণ্য আটক করা হয়,-
তাহা হইলে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া, উক্ত ব্যক্তিকে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি, যাহাকে উক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট পণ্যের মালিক, আমদানিকারক অথবা রপ্তানিকারক বলিয়া সন্দেহ করেন, তাহাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, তাহার এজেন্টকে, যেভাবে এবং যখন প্রয়োজন মনে করিবেন সেই ভাবে এবং তখন উক্ত কর্মকর্তার নিকট অথবা অন্য কোনো নির্ধারিত কর্মকর্তার নিকট সকল হিসাব পুস্তক, রেকর্ডপত্র অথবা দলিলপত্র, যাহাতে নোটিশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর পূর্ব পর্যন্ত সময়ের ক্রয়, আমদানি, রপ্তানি, ব্যয় অথবা মূল্য অথবা পরিশোধ সম্পর্কিত এন্ট্রি অথবা স্মারক লিপিবদ্ধ থাকে অথবা লিপিবদ্ধ থাকার কথা, তাহা পেশ এবং অর্পণ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কাস্টমস কর্মকর্তা উপ- ধারা (১) এর অধীন আবশ্যকতার অতিরিক্ত উক্তরূপ পণ্যের মালিক বা আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক অথবা, ক্ষেত্রমত, এজেন্টকে নিম্নলিখিত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) উক্ত কর্মকর্তার অথবা অন্য কোনো নির্দিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্য উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত দলিলপত্র, পুস্তক অথবা নথিপত্র উপস্থাপন করিতে এবং উহার কপি করিতে অথবা উহা হইতে উদ্ধৃতি লইবার জন্য কর্মকর্তাকে অনুমতি প্রদান করিতে;
(খ) ইলেকট্রনিক অথবা অন্য কোনো মাধ্যম মারফত উক্ত দলিলপত্র, পুস্তক অথবা রেকর্ডপত্রের ধারণকৃত তথ্য সঞ্চারণ অথবা প্রেরণ করিতে; এবং
(গ) উক্ত দলিলপত্র, পুস্তক বা নথিপত্র সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতে।
১৮৮। (১) জয়েন্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কাস্টমস কর্মকর্তা, নোটিশ দ্বারা, কোনো সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, স্থানীয় সংস্থা, ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ২(১৯) এ সংজ্ঞায়িত পরিচালনাকারী বা যে কোনো সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাসহ কোনো ব্যক্তিকে-
(ক) টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ কোনো দলিলপত্র বা নথিপত্র, যাহা জয়েন্ট কমিশনার অব কাস্টমস কোনো তদন্ত বা নিরীক্ষার জন্য আবশ্যক বা প্রাসঙ্গিক বলিয়া মনে করেন, তাহা একজন কাস্টমস কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করিতে নির্দেশ দিতে পারিবেন;
(খ) উক্ত দলিলপত্র বা রেকর্ডপত্রের কপি বা অংশবিশেষের উদ্ধৃতি লইবার জন্য কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন; এবং
(গ) কোনো পণ্য সম্পর্কিত বা উক্ত তদন্তাধীন পণ্যের বিনিময় সম্পর্কিত অথবা উক্ত তদন্তের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র বা রেকর্ডপত্র সম্পর্কিত বিষয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদানের জন্য যুগ্ম- কমিশনারের সম্মুখে উপস্থিত হইতে নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিতভাবে প্রত্যায়িত প্রতিটি কপি সকল আদালতে এইরূপ সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে যেন উহাই মূল কপি।
১৮৯। (১) কোনো গেজেটেড কাস্টমস কর্মকর্তা কোনো পণ্য চোরাচালানের সহিত সংশ্লিষ্ট তদ্কর্তৃক পরিচালিত কোনো তদন্তে সাক্ষ্য প্রদান বা দলিলপত্র অথবা অন্য কোনো জিনিসপত্র উপস্থাপন করিবার জন্য কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি আবশ্যক বলিয়া বিবেচনা করিলে, সেই ব্যক্তির উপর তাহার সমন জারি করিবার ক্ষমতা থাকিবে।
(২) দলিলপত্র বা অন্য কোনো জিনিসপত্র উপস্থাপন সম্পর্কিত সমন তলবকৃত ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো নির্দিষ্ট দলিলপত্র বা জিনিসপত্র অথবা কতিপয় বর্ণনার সকল দলিলপত্র বা জিনিসপত্র সম্পর্কে হইতে পারিবে।
(৩) উপ- ধারা (১) এর অধীন সমনকৃত সকল ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক সশরীরে অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হইতে বাধ্য থাকিবেন; এবং উক্তভাবে সমনকৃত সকল ব্যক্তি যে কোনো বিষয় সম্পর্কে তাহাদের পরীক্ষা করিবার সময়ে সত্য বলিতে অথবা বিবৃতি প্রদান করিতে এবং যেরূপ আবশ্যক হইতে পারে সেইরূপ দলিলপত্র এবং জিনিসপত্র উপস্থাপন করিতে বাধ্য থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ১৩২ এর অধীন প্রদেয় অব্যাহতি এই ধারার অধীন উপস্থিতির জন্য তলবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে ।
(৪) এই ধারায় উল্লিখিত প্রতিটি তদন্ত দণ্ডবিধির ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর মর্মানুযায়ী বিচারিক কার্যধারা হিসাবে গণ্য হইবে।
১৯০। যদি এই আইনের অধীনে গ্রেফতারযোগ্য কোনো ব্যক্তি যে অপরাধের জন্য দায়ী তাহা সংঘটনের সময় গ্রেফতার না হন অথবা গ্রেফতারের পরে পলায়ন করেন, তাহা হইলে তাহাকে পরবর্তীকালে যে কোনো সময়ে গ্রেফতার করা যাইবে এবং ধারা ১৮০ এর উপ- ধারা (৩) হইতে (৭) এর বিধানাবলি অনুসারে তাহার বিরুদ্ধে এমনভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে, যেন তিনি উক্ত অপরাধ সংঘটনের সময়ে গ্রেফতার হইয়াছেন।
১৯১। (১) যথাযথ কর্মকর্তা এই আইনের অধীনে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য জব্দ করিতে পারিবেন, এবং যে ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোনো পণ্য জব্দ করা বাস্তবে সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে তিনি উক্ত পণ্যের মালিক অথবা উহা যে ব্যক্তির দখলে বা তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে সেই ব্যক্তিকে উক্ত কর্মকর্তার পূর্ব অনুমতি ব্যতীত উহা অপসারণ, হস্তান্তর অথবা প্রকারান্তরে বিলিবন্দেজ না করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) যেক্ষেত্রে উপ- ধারা (১) এর অধীনে কোনো পণ্য জব্দ করা হয় এবং উহার উপর ধারা ২০৩ এর অধীনে পণ্য জব্দ করার ২ (দুই) মাসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা না হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত পণ্য যে ব্যক্তির দখল হইতে জব্দ করা হইয়াছিল তাহাকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার অব কাস্টমস কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উপরিউক্ত ২ (দুই) মাসের মেয়াদ অনধিক ২ (দুই) মাসের জন্য বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(৩) যথাযথ কর্মকর্তা কোনো দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র, যাহা তাহার মতে এই আইনের অধীনে গৃহীত কোনো কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার উপযোগী হইবে, আটক করিতে পারিবেন।
(৪) যে ব্যক্তির তত্ত্বাবধান হইতে উপ- ধারা (৩) এর অধীনে কোনো দলিলপত্র আটক করা হয় তিনি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উহার কপি অথবা উহা হইতে উদ্ধৃতি গ্রহণ করিতে পারিবেন।
১৯২। (১) এই আইনের অধীনে বাজেয়াপ্তযোগ্য হওয়ার কারণে জব্দকৃত সকল পণ্য, উহা গ্রহণ করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনতিবিলম্বে অর্পণ করিতে হইবে।
(২) যদি উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কর্মকর্তা নিকটে না থাকেন, তাহা হইলে উক্ত সকল পণ্য আটককৃত স্থানের নিকটতম কাস্টমস গুদামে জমা প্রদানের জন্য বহন করিতে হইবে।
(৩) যদি সুবিধাজনক দূরত্বে কোনো কাস্টমস গুদাম না থাকে, তাহা হইলে উক্তরূপ জব্দকৃত পণ্য জমা প্রদানের জন্য কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক নির্ধারিত নিকটতম স্থানে উক্ত পণ্য জমা করিতে হইবে।
(৪) যদি কমিশনার অব কাস্টমস অথবা তাহার দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার বিবেচনায় কোনো পণ্য পচনশীল অথবা দ্রুত অবনতিশীল হয়, তাহা হইলে তিনি উহা ধারা ২৩৭ এর বিধানাবলি অনুসারে অবিলম্বে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করিবেন এবং মামলার ন্যায়নির্ণয়ন অনিষ্পন্ন থাকা পর্যন্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ জমা রাখার ব্যবস্থা করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো আইনগত কার্যধারার অথবা এই আইনের অন্য কোনো উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যে ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত হয় সেই ক্ষেত্রে যথাযথ শনাক্তকরণ চিহ্নসহ উক্ত পণ্যের নমুনা সংরক্ষণ করা যাইবে।
(৫) যদি উক্ত ন্যায়নির্ণয়নের পর দেখা যায় যে, উক্তরূপ বিক্রয়কৃত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য ছিল না, তাহা হইলে ধারা ২৩৭ এর বিধান অনুসারে সকল শুল্ক, কর অথবা অন্যান্য পাওনা প্রয়োজনীয় কর্তনের পর বিক্রয়লব্ধ অবশিষ্ট অর্থ মালিককে ফেরত প্রদান করা হইবে।
১৯৩। (১) এই আইনের অধীনে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো জিনিসপত্র যখন কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক চোরাই মাল সন্দেহে জব্দ করা হয় তখন তিনি যে থানায় অথবা আদালতে উক্ত জিনিসপত্র চুরি হওয়া বা উক্তরূপ জব্দকরণ সম্পর্কিত অভিযোগ দায়ের করেন অথবা যেস্থানে চুরি বা উক্তরূপ জব্দকরণ সম্পর্কে কোনো তদন্ত চলমান থাকে, সেই থানা বা আদালতে উহা হেফাজত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত বা তদন্ত অথবা উহা হইতে উদ্ভূত কোনো বিচার সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্তস্থানে উহা আটক রাখিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক ক্ষেত্রে জিনিসপত্র জব্দকারী পুলিশ কর্মকর্তা উহাদের জব্দকরণের এবং আটক রাখিবার একটি লিখিত নোটিশ নিকটতম কাস্টমস গুদামে প্রেরণ করিবেন এবং অভিযোগ খারিজ অথবা তদন্ত বা বিচার সমাপ্ত হওয়ার অব্যবহিত পর উক্ত জিনিসপত্র নিকটতম কাস্টমস গুদামে বহন এবং জমাদানের ব্যবস্থা করাইবেন, যাহাতে আইন অনুসারে যথাযথ কার্যধারা গ্রহণের জন্য উহা উক্ত স্থানে রক্ষিত থাকে।
১৯৪। এই আইনের অধীনে কোনো কিছু জব্দ বা কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে, উক্তরূপ জব্দকারী বা গ্রেফতারকারী কর্মকর্তা অথবা ব্যক্তি জব্দ বা গ্রেফতার করিবার সময়ে উক্তরূপ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে বা যে ব্যক্তির দখল হইতে জিনিসপত্র জব্দ করা হইয়াছে তাহাকে উক্ত জব্দ বা গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন এবং কোনো কিছু জব্দ করিবার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির দখল হইতে উহা জব্দ করা হইয়াছে তাহাকে এতদ&সংশ্লিষ্ট একটি ইনভেন্টরি প্রদান করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি জব্দ করিবার সময়ে উক্ত ইনভেন্টরি প্রদান করা সম্ভবপর না হয়, তাহা হইলে জব্দ করিবার তারিখ হইতে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে উহা প্রদান করিতে হইবে।
১৯৫। (১) কমিশনার অব কাস্টমস হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা এতদ্বিষয়ে সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা স্থল, জল, আকাশ বা সমুদ্রপথে বাংলাদেশে আনীত কোনো মোড়ক আটক করিতে পারিবেন, যদি তিনি সন্দেহ পোষণ করেন যে উহাতে,-
(ক) Printing Presses and Publications (Declaration and Registration) Act, 1973 (Act No. XXIII of 1973) অনুযায়ী কোনো নিষিদ্ধ খবরের কাগজ বা পুস্তক রহিয়াছে; অথবা
(খ) রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য বা বস্তু সম্বলিত দলিলপত্র মোড়কজাত অবস্থায় রহিয়াছে,-
যাহার প্রকাশনা দণ্ডবিধির ধারা ১২৩ এ বা, ক্ষেত্রমত, ১২৪ এ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য, তাহা হইলে তিনি উক্ত মোড়ক এতদ্বিষয়ে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন মোড়ক আটককারী কোনো কর্মকর্তা, যে ক্ষেত্রে সম্ভব, অবিলম্বে উক্ত মোড়কের প্রাপক অথবা গ্রহীতার নিকট ডাকযোগে উক্ত আটকের ঘটনা সম্বলিত নোটিশ প্রেরণ করিবেন।
(৩) সরকার উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত মোড়কের ভিতরের সকল বিষয়বস্তু পরীক্ষা করাইবেন এবং যদি সরকারের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত মোড়কে উক্ত উপ- ধারায় উল্লিখিত খবরের কাগজ, পুস্তক বা দলিলপত্র রহিয়াছে, তাহা হইলে সরকার যেরূপ যথাযথ বিবেচনা করিবে সেইরূপে উহা বিলিবন্দেজ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপ প্রতীয়মান না হইলে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীনে উহা আটকযোগ্য না হইলে, মোড়কসহ উহার অভ্যন্তরস্থ বস্তুসমূহ ছাড় প্রদান করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার বিধানাবলির অধীন আটককৃত কোনো মোড়কের বিষয়ে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি উহা ছাড় করাইবার জন্য উক্তরূপ আটকাদেশের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন, এবং সরকার উক্ত আবেদনপত্র বিবেচনা করত যেরূপ যথাযথ বিবেচনা করিবে, উহার উপর সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত আবেদনপত্র সরকার কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহা হইলে আবেদনকারী আবেদনপত্রটি প্রত্যাখ্যাত হইবার তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে মোড়কটি অথবা উহার ভিতরের বস্তুসমূহ খালাসের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করিতে পারিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত বিধান ব্যতীত, এই ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ বা গৃহীত কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় “দলিলপত্র” অর্থে কোনো লেখা, চিত্র, উৎকীরণ, অঙ্কন বা আলোকচিত্র অথবা অন্য কোনো দৃশ্যমান প্রতীকও অন্তর্ভুক্ত হইবে।
১৯৬। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৯৯ডি হইতে ৯৯এফ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে, উক্ত কার্যবিধির ধারা ৯৯সি এর বিধান অনুযায়ী গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ কর্তৃক এই আইনের ধারা ১৯৫ এর উপ- ধারা (৩) এর দ্বিতীয় শর্তাংশের অধীন পেশকৃত প্রতিটি আবেদনপত্রের উপর শুনানি গ্রহণ এবং নিষ্পত্তি করা হইবে।