Print View
Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance, 1983 রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সনের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ তে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং
যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং
যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance, 1983 (Ordinance No. XLI of 1983) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
Chapter প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(১) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল;
(২) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থে কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
(৩) “গভর্নিং বডি” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত গভর্নিং বডি;
(৪) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ ধারা ১২ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান;
(৫) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(৬) “নির্বাহী পরিষদ” অর্থ ধারা ১১ এর অধীন গঠিত নির্বাহী পরিষদ;
(৭) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(৮) ‘‘প্রেসিডেন্ট’’ অর্থ গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট;
(৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১০) ‘‘ভাইস-প্রেসিডেন্ট’’ অর্থ গভর্নিং বডির ভাইস-প্রেসিডেন্ট;
(১১) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার;
(১২) ‘‘হোমিওপ্যাথি’’ অর্থ ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Dr. Christian Friedrich Samuel Hahnemann) এবং ডা. সুষলার (Dr. Wilhelm Heinrich Schuessler) প্রবর্তিত ও প্রতিষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতি;
(১৩) ‘‘হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (Homoeopathic Doctor)’’ অর্থ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডা.;
(১৪) “হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া” অর্থ নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক প্রণীত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুত সংক্রান্ত পুস্তক বা নির্দেশিকা যাহাতে ঔষধের উৎস, প্রস্তুত প্রণালী, যৌগিক গঠন, গুণগত মান এবং অনুরূপ বিষয়াদির বিস্তারিত বর্ণনা থাকে; এবং
(১৫) ‘‘হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত বা অনুমোদিত কোনো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ।
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।
Chapter দ্বিতীয় অধ্যায়
কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, গভর্নিং বডি, নির্বাহী পরিষদ, কার্যাবলি, ইত্যাদি
৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হইবে।
(২) কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কাউন্সিল স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
৫। (১) কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।
(২) কাউন্সিল, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
৬। কাউন্সিলের একটি গভর্নিং বডি থাকিবে এবং এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কাউন্সিলের পরিচালনা ও প্রশাসন উক্ত গভর্নিং বডির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কাউন্সিল যে সকল দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারিবে গভর্নিং বডিও সেই সকল দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারিবে।
৭। কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:̶
(ক) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর, ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি বা ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি ডিগ্রিধারীদের বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধন;
(খ) নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের দেশি-বিদেশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার অন্যান্য কোর্স, ডিগ্রি বা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;
(গ) হোমিওপ্যাথিক উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় আর্থিক অনুদান প্রদান, গবেষণাসমূহের অনুমোদন, স্বীকৃতি ও প্রকাশনাসহ এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ;
(ঘ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবার নির্ধারিত মান ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের নৈতিকতা নিশ্চিতকরণের এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার অসাধু অনুশীলন (practice) প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ;
(ঙ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা জার্নাল, সাময়িকী, চিকিৎসা গাইডলাইন, ম্যানুয়েল বা অনুরূপ অন্যান্য দলিলাদির অনুমোদন;
(চ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য অনুশীলনের ব্যবস্থা করা এবং সময়োপযোগী অন্যান্য প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন ও সনদ বিতরণ;
(ছ) হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীর দ্বারা হোমিওপ্যাথিক বিষয়ে গবেষণা বা তাহাদের উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, শিক্ষক বা হোমিওপ্যাথি বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিগণের দ্বারা গবেষণা কার্য পরিচালনা; এবং
(জ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি তদারকি;
(ঝ) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও কার্যাবলি সম্পাদন।
৮। (১) কাউন্সিলের একটি গভর্নিং বডি থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:̶
(ক) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন সংসদ সদস্য;
(খ) চেয়ারম্যান, নির্বাহী পরিষদ;
(গ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর;
(ঘ) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি;
(ঙ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি;
(চ) ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়;
(ছ) ডিন, মেডিসিন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
(জ) সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিনগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন ডিন;
(ঝ) সরকারি পর্যায়ে স্থাপিত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন অধ্যক্ষ;
(ঞ) বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন অধ্যক্ষ;
(ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত সরকারি পর্যায়ে স্থাপিত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার ১ (এক) জন শিক্ষক;
(ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত ও স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ১ (এক) জন শিক্ষক;
(ড) সরকার কর্তৃক মনোনীত হোমিওপ্যাথিক গবেষণা কার্যক্রমের সহিত সংশ্লিষ্ট ১ (এক) জন প্রতিনিধি;
(ঢ) ডিপ্লোমা-ইন-হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন প্রতিনিধি; এবং
(ণ) রেজিস্ট্রার, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
(২) উপধারা (১) এর দফা (ক) এবং দফা (জ) হইতে (ঢ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কোনো মনোনীত সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) কোনো সদস্য প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ব্যতীত গভর্নিং বডির পরপর ৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে তাহার সদস্য পদের অবসান হইবে।
(৪) উপধারা (১) এর দফা (ক) এবং দফা (জ) হইতে (ঢ) এ উল্লিখিত কোনো মনোনীত সদস্য, যে কোনো সময়, প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
৯। সরকার গভর্নিং বডির সদস্যগণের মধ্য হইতে একজনকে গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট এবং একজনকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করিবে।
১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, গভর্নিং বডি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) গভর্নিং বডির সভা উহার প্রেসিডেন্টের সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহুত হইবে এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩) প্রতি ৩ (তিন) মাসে গভর্নিং বডির অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে গভর্নিং বডি যে কোনো সময় সভা আহবান করিতে পারিবে।
(৪) প্রেসিডেন্ট গভর্নিং বডির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট গভর্নিং বডির সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৫) গভর্নিং বডির সভার কোরামের জন্য উহার অন্যূন পঞ্চাশ শতাংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
(৬) গভর্নিং বডির প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
(৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা গভর্নিং বডি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে গভর্নিং বডির কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোথাও কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
১১। (১) কাউন্সিলের একটি নির্বাহী পরিষদ থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:̶
(ক) চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;
(খ) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি;
(গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি;
(ঘ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন পরিচালক;
(ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ১ (এক) জন অধ্যক্ষ;
(চ) নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন মহিলা প্রতিনিধি;
(ছ) প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন করিয়া নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক প্রতিনিধি;
(জ) প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে উক্ত বিভাগের অন্তর্গত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হইতে নির্বাচিত ১ (এক) জন করিয়া শিক্ষক প্রতিনিধি; এবং
(ঝ) রেজিস্ট্রার, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
(২) উপধারা (১) এর দফা (ঙ) হইতে (জ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের জন্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে বহাল থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কোনো মনোনীত সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) উপধারা (১) এর দফা (ঙ) হইতে (জ) এ উল্লিখিত কোনো মনোনীত সদস্য চেয়ারম্যানের অনুমোদন ব্যতীত নির্বাহী পরিষদের পরপর ৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে তাহার সদস্য পদের অবসান হইবে।
(৪) উপধারা (১) এর দফা (ঙ) হইতে (জ) এ উল্লিখিত কোনো মনোনীত সদস্য, যে কোনো সময়, চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
১২। (১) নির্বাহী পরিষদের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন এবং তিনি নির্বাহী পরিষদের প্রধান নির্বাহী হইবেন।
(২) চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
(৩) চেয়ারম্যান নির্বাহী পরিষদের সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি নির্বাহী পরিষদের দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনা করিবেন।
(৪) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি সাময়িকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১৩। (১) কোনো ব্যক্তি গভর্নিং বডি বা নির্বাহী পরিষদের মনোনীত সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি -
(ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন; অথবা
(খ) নৈতিক স্খলনের জন্য কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন; অথবা
(গ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকেন; অথবা
(ঘ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকেন।
(২) সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান বা কোনো মনোনীত সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে, যদি তিনি-
(ক) এই আইনের অধীন অর্পিত দায়িত্ব পালনে অস্বীকার করেন বা ব্যর্থ হন বা অসমর্থ হন; অথবা
(খ) সরকারের বিবেচনায় তাহার পদের অপব্যবহার করেন।
১৪। (১) নির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
(ক) হোমিওপ্যাথিক ডিপ্লোমা শিক্ষা সনদসহ পেশাগত সনদ প্রদান;
(খ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা প্রদান করিতেছে বা করিতে ইচ্ছুক এমন দেশি বা বিদেশি হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্বীকৃতি প্রদান;
(গ) হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক, ক্লিনিক্যাল, প্র্যাকটিক্যাল এবং গবেষণা সম্পর্কিত বিষয়ে নির্ধারিত মান ও দক্ষতা নিশ্চিত করিবার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তদারকি ও পরিদর্শন;
(ঘ) হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন কোর্স চালু করা, উক্ত কোর্সসমূহে প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পাঠদান ও পরীক্ষার আয়োজন;
(ঙ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ;
(চ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, পাঠ্যপুস্তক রচনা এবং হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ার প্রণয়ন ও হালনাগাদ আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করা;
(ছ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত বিদ্যমান শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কোর্সের সমন্বয় সাধন, উন্নীতকরণ, নূতন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা এবং এতদ্সংক্রান্ত সিলেবাস প্রণয়ন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
(জ) অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞান ও মেডিকেল কোর্সের সহিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার সমন্বয় সাধন;
(ঝ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন ও অংশগ্রহণ;
(ঞ) হোমিওপ্যাথিক বিষয়ে বই, পত্রিকা, জার্নাল, বুলেটিন বা অনুরূপ প্রকাশনার ব্যবস্থা গ্রহণ;
(ট) হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, পুরষ্কার বা মেডেল বা অনুরূপ সম্মাননা প্রদান;
(ঠ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, হোমিওপ্যাথি বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা;
(ড) কাউন্সিলের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সংরক্ষণ করা; এবং
(ঢ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও কার্যাবলি সম্পাদন।
(২) নির্বাহী পরিষদ উহার দায়িত্ব পালন ও কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য কাউন্সিলের নিকট দায়ী থাকিবে।
১৫। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, নির্বাহী পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) নির্বাহী পরিষদের সভা চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহুত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩) প্রতি ৩ (তিন) মাসে নির্বাহী পরিষদের অন্যূন ১ (এক) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো সময় সভা আহবান করা যাইবে।
(৪) চেয়ারম্যান নির্বাহী পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৫) নির্বাহী পরিষদের সভার কোরামের জন্য উহার অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
(৬) নির্বাহী পরিষদের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
(৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা নির্বাহী পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে নির্বাহী পরিষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোথাও কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
১৬। চেয়ারম্যান নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবেন, যথা:̶
(ক) গভর্নিং বডি এবং নির্বাহী পরিষদের কার্যাবলি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন;
(খ) কাউন্সিলের হিসাবরক্ষণ, হিসাব বিবরণী প্রস্তুত ও হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ;
(গ) নির্বাহী পরিষদের দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনা; এবং
(ঘ) সরকার, কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
১৭। (১) কাউন্সিলের একজন রেজিস্ট্রার থাকিবেন এবং তাহার নিয়োগ ও কর্মের শর্তাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(২) রেজিস্ট্রার নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবেন, যথা:̶
(ক) প্রেসিডেন্ট বা চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষেত্রমত, গভর্নিং বডি এবং নির্বাহী পরিষদের সভার তারিখ, সময় ও আলোচ্যসূচি নির্ধারণ এবং কার্যপত্র ও কার্যবিবরণী প্রস্তুত;
(খ) গভর্নিং বডি ও নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট নথি সংরক্ষণ;
(গ) প্রেসিডেন্ট বা চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলের দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনায় সহায়তা প্রদান; এবং
(ঘ) প্রেসিডেন্ট বা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদন।
১৮। (১) কাউন্সিল এই আইনের অধীন উহার কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ বা কোনো দায়িত্ব পালনে সহায়তা করিবার উদ্দেশ্যে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, গভর্নিং বডি বা নির্বাহী পরিষদের কোনো সদস্য বা কাউন্সিলের কর্মচারী সমন্বয়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে, এবং, প্রয়োজনবোধে, উক্ত কমিটিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকেও অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন গঠিত কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
Chapter তৃতীয় অধ্যায়
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের নিবন্ধন, ইত্যাদি
১৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিবন্ধন করত তাহাদের নাম, এতদ্সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিবরণসহ, একটি নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিবে, এবং উক্ত নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ ও হালনাগাদ করিয়া প্রকাশ করিবে।
(২) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর, ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি বা ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি সনদধারী কোনো ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি পরিশোধ সাপেক্ষে কাউন্সিলের নিকট নিবন্ধনের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল-
(ক) আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাবলি পরীক্ষা করিয়া নির্ধারিত মানদণ্ড এবং ধারা ২৪ এর অধীন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধন করিবে; এবং
(খ) আবেদনকারী নিবন্ধনের অযোগ্য হইলে আবেদনটি নামঞ্জুর করিয়া উহার কারণ আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।
(৪) বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৬১ নং আইন) এর অধীন চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৫) কোনো স্বীকৃত বিদেশি হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় স্নাতকোত্তর, ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি বা ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি সনদধারী কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৬) বিদেশে নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করিতে চাহিলে তাহাকে উক্ত চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করিবার পূর্বেই নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।
২০। (১) কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির কোনো বিধান লঙ্ঘনের কারণে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধন স্থগিত বা, ক্ষেত্রমত, বাতিল করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন কাউন্সিল কর্তৃক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বে উক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।
(২) উপধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল করা হইলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নিবন্ধন বহি হইতে তাহার নাম কর্তন করিতে হইবে।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন নাম কর্তন করিবার অনধিক ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে।
২১। (১) কাউন্সিল, প্রতি ২ (দুই) বৎসর অন্তর, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নাম, ঠিকানা, নিবন্ধনের তারিখ বা, অনুরূপ অন্যান্য বিষয় নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিয়া হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের তালিকা হালনাগাদ ও প্রকাশ করিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত তালিকায় কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নাম না থাকিলে তিনি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(৩) এই ধারার অধীন প্রকাশিত তালিকায় যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নাম থাকিবে তিনি একজন নিবন্ধিত ও তালিকাভুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (Homoeopathic Doctor) হিসাবে বিবেচিত হইবেন।
২২। এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধির অধীন প্রণীত, প্রকাশিত ও সংরক্ষিত নিবন্ধন বহি বা অনুরূপ দলিলাদি Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর অধীন সরকারি দলিল (public document) বলিয়া গণ্য হইবে।
২৩। এই আইনের অধীন স্বীকৃত বিভিন্ন কোর্স, ডিগ্রি বা অনুশীলনে ভর্তি ও চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
২৪। হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উহার শিক্ষার্থীদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি, ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি অথবা এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধি দ্বারা স্বীকৃত বা অনুমোদিত অন্য কোনো কোর্সের সনদ প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতি বৎসর অন্তত ১ (এক) বার করিয়া প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করিবে।
Chapter চতুর্থ অধ্যায়
পরিদর্শন, আপিল, ইত্যাদি
২৫। (১) কাউন্সিল এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধি দ্বারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা প্রদানকারী হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, উহার সক্ষমতা যাচাই বা নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষা তদারকি করিবার জন্য চেয়ারম্যান বা নির্বাহী পরিষদের কোনো সদস্য বা কাউন্সিলের কোনো কর্মচারীকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পন্ন করিয়া চেয়ারম্যানের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন প্রতিবেদন পাইবার পর নির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
২৬। (১) কাউন্সিল প্রতি বৎসর প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্বীকৃত বা অনুমোদনপ্রাপ্ত দেশি ও বিদেশি হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা প্রকাশ করিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত তালিকায় কোনো হোমিওপাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকিলে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সুযোগ প্রদান করা যাইবে।
২৭। (১) কাউন্সিল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করিবার জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
(২) উপধারা (১) এর অধীন গঠিত কমিটি উহার পরিদর্শন প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং রেজিস্ট্রার উক্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি কাউন্সিলের নিকট উপস্থাপন করিবে।
(৩) উপধারা (১) অনুযায়ী প্রাপ্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাইক্রমে, কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হইলে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার স্বীকৃতি বা অনুমোদন নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।
২৮। (১) কাউন্সিলের কোনো সিদ্ধান্তের ফলে কোনো ব্যক্তি, হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত অবহিত হইবার তারিখ হইতে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।
(২) সরকার, কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বিবেচনা করিয়া প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
২৯। (১) কাউন্সিল উহার দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকারের নিকট দায়ী থাকিবে।
(২) সরকার কাউন্সিলের যে কোনো বিষয় পরিদর্শন বা তদন্ত করিতে পারিবে।
(৩) উপধারা (২) এর অধীন পরিচালিত পরিদর্শন বা তদন্তের পর সরকার তদনুযায়ী কাউন্সিলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে নির্দেশনা প্রদান করা হইলে কাউন্সিল উহা প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে।
Chapter পঞ্চম অধ্যায়
অপরাধ, দণ্ড ও বিচার, ইত্যাদি
৩০। (১) কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক তদ্দ্বারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী অর্জিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা ব্যতীত অন্য কোনো কোর্সের নাম, ডিগ্রি, সনদ, উপাধি, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক ব্যবহার, প্রকাশ বা প্রচার করিতে পারিবেন না।
(২) কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া তদ্দ্বারা এই আইনের বিধান অনুযায়ী অর্জিত চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা ব্যতীত অন্য কোনো কোর্সের নাম, ডিগ্রি, সনদ, উপাধি, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক ব্যবহার, প্রকাশ বা প্রচার করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দণ্ডনীয় হইবেন।
৩১। (১) কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত নেই এমন কোনো ঔষধ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে লিখিতে বা বলিতে পারিবেন না।
(২) কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত নেই এমন কোনো ঔষধ চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে লিখিলে বা বলিলে উহা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
৩২। (১) নিবন্ধন ব্যতীত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালন বা শিক্ষাদান করা যাইবে না।
(২) কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত ঔষধ ব্যতীত অন্য কোনো ঔষধ মজুদ, প্রদর্শন বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।
(৩) কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া নিবন্ধন ব্যতীত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালন বা শিক্ষাদান করিলে অথবা উপধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত ঔষধ ব্যতীত অন্য কোনো ঔষধ মজুদ, প্রদর্শন বা বিক্রয় করেন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
৩৩। (১) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির অধীন প্রদত্ত ডিগ্রি বা সনদের সদৃশ বা অনুকরণে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করিবার অধিকার প্রদান করিয়া কোনো ডিগ্রি বা সনদ মঞ্জুর বা ইস্যু করিতে পারিবে না।
(২) স্বীকৃতি বা অনুমোদনবিহীন কোনো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কোর্স পরিচালনা বা সনদ প্রদান করিতে পারিবে না।
(৩) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির অধীন প্রদত্ত ডিগ্রি বা সনদের সদৃশ বা অনুকরণে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করিবার অধিকার প্রদান করিয়া কোনো ডিগ্রি বা সনদ মঞ্জুর বা ইস্যু করিলে অথবা উপধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া স্বীকৃতিবিহীন কোনো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কোর্স পরিচালনা বা সনদ প্রদান করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক বা স্বত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, অংশিদার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট বা প্রতিনিধি বা অন্য যে কোনো নামেই অভিহিত হউক না কেন, অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
৩৪। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, আপিল ও এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।
৩৫। ধারা ৩৩ এ উল্লিখিত অপরাধ ব্যতীত এই আইনে উল্লিখিত অন্যান্য অপরাধসমূহ জামিনযোগ্য (bailable) এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।
৩৬। Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 32 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনের ধারা ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ এ উল্লিখিত পরিমাণ অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন।
৩৭। এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।
Chapter ষষ্ঠ অধ্যায়
তহবিল, হিসাবরক্ষণ, ইত্যাদি
৩৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল তহবিল নামে কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে এবং উক্ত তহবিলে নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:̶
(ক) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত বরাদ্দ বা অনুদান;
(খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, কোনো দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত দান;
(গ) এই আইনের অধীন ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;
(ঘ) বিনিয়োগ হইতে অর্জিত আয়;
(ঙ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং
(চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
(২) তহবিলের অর্থ গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে কোনো তপশিলি ব্যাংকে কাউন্সিলের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন ও তহবিল পরিচালনা করা যাইবে।
(৩) কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদন এবং চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারসহ কাউন্সিলের অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও আনুষঙ্গিক সকল ব্যয় তহবিল হইতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাহ করা হইবে।
৩৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।
(২) কাউন্সিলের কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলি প্রবিধানমালা দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৪০। কাউন্সিল, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, প্রতি অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় এবং উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কি পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহা উল্লেখ করিয়া একটি বাজেট বিবরণী সরকারের অনুমোদনের জন্য পেশ করিবে।
৪১। (১) কাউন্সিল যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রত্যেক বৎসর কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং বিদ্যমান আইনের বিধান মোতাবেক নিরীক্ষা রিপোর্ট দাখিল করিবেন।
(৩) উপধারা (২) এ উল্লিখিত হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কাউন্সিল এক বা একাধিক Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৪) উপধারা (৩) এর অধীন নিয়োগকৃত Chartered Accountant এতদুদ্দেশ্যে কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিশ্রমিক প্রাপ্য হইবেন।
(৫) উপধারা (২) ও (৩) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা, ক্ষেত্রমত, Chartered Accountant কাউন্সিলের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার এবং গভর্নিং বডি বা নির্বাহী পরিষদের কোনো সদস্যসহ কাউন্সিলের কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
৪২। (১) কাউন্সিল প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষে ৩১ জুলাই এর মধ্যে উক্ত বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।
(২) সরকার, প্রয়োজনে, কাউন্সিলের নিকট হইতে যে কোনো সময় যে কোনো বিবরণী, হিসাব, পরিসংখ্যান এবং কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো বিষয় সম্পর্কিত তথ্য বা উক্তরূপ যে কোনো বিষয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন যাচনা করিতে পারিবে এবং কাউন্সিল উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।
Chapter সপ্তম অধ্যায়
বিবিধ
৪৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
৪৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
৪৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।
(২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
৪৫। (১) Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance, 1983 (Ordinance No. XLI of 1983), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উপধারা (১) এর অধীন উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন-
(ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা প্রদত্ত কোনো নোটিশ এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
(খ) প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারিকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের বিধানাবলি বা, ক্ষেত্রমত, তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত ও জারিকৃত বলিয়া গণ্য হইবে;
(গ) নিবন্ধিত, তালিকাভুক্ত বা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বা শিক্ষক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত, তালিকাভুক্ত বা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য হইবেন; এবং
(ঘ) কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।
(৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Board of Homoeopathic System of Medicine এর-
(ক) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, সকল দাবি, হিসাব বহি বা রেজিস্টার, রেকর্ড ও দলিল, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কাউন্সিলের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, দাবি, হিসাব বহি বা রেজিস্টার, রেকর্ড ও দলিল হিসাবে গণ্য হইবে;
(খ) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক, যদি থাকে, যথাক্রমে, কাউন্সিলের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বলিয়া গণ্য হইবে;
(গ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা কাউন্সিলের বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;
(ঘ) সকল কর্মচারী কাউন্সিলের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইন বা, ক্ষেত্রমত, তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির বিধান ও অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, তাহারা সেই একই শর্তে কাউন্সিলের চাকুরিতে নিয়োজিত এবং, ক্ষেত্রমত, বহাল থাকিবেন;
(ঙ) চেয়ারম্যান নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োজিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে তিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত হইয়া যে শর্তাধীনে নিয়োজিত ও কর্মরত ছিলেন উহা সরকার কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে নিয়োজিত ও কর্মরত থাকিবেন; এবং
(চ) সকল কর্মচারী অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী পদায়িত না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিলের কর্মচারী হিসাবে কর্মরত থাকিবেন।