প্রিন্ট ভিউ
Police (Non-Gazetted Employees) Welfare Fund Ordinance, 1986 রহিতপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং-৪৮/২০১১ এ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়; এবং
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল অংশীজন ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং
যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Police (Non-Gazetted Employees) Welfare Fund Ordinance, 1986 (Ordinance No. XXXIII of 1986) রহিতপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া নূতনভাবে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ তহবিল আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর পদের নিম্নপদমর্যাদাভুক্ত পুলিশ এবং পুলিশ ব্যতীত ১০-২০তম গ্রেডের অন্যান্য সকল কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(১) "কর্মচারী" অর্থ-
(ক) পুলিশ ইন্সপেক্টরের নিম্ন পদমর্যাদার কোনো পুলিশ; এবং
(খ) বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত পুলিশ ব্যতীত ১০-২০তম গ্রেডের অন্যান্য সকল কর্মচারী;
(২) “তহবিল” অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ তহবিল:
(৩) "পরিবার” অর্থ-
(ক) স্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, স্বামী; এবং
(খ) কর্মচারীর সহিত একত্রে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গ সন্তানসহ তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল সন্তানগণ, পিতা-মাতা, নাবালক ভাই, অবিবাহিতা বা তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা বোন, হিন্দু কর্মচারীর ক্ষেত্রে দত্তক পুত্র;
(৪) "বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৫) "বোর্ড" অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা বোর্ড।
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে, তবে এই আইনের কোনো কিছুই কোনো কর্মচারীর অবসর বা অক্ষমতার ফলে তাহার বা তাহার মৃত্যুর পরে তাহার পরিবারকে পেনশন, ভবিষ্য তহবিল, আনুতোষিক বা অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির অধিকারকে ব্যাহত করিবে না।
৪। (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা বোর্ড নামে একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হইবে।
(২) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
(ক) মহা-পুলিশ পরিদর্শক, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
(খ) মহা-পুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক মনোনীত একজন অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক, যিনি ইহার ভাইস চেয়ারম্যানও হইবেন;
(গ) মহা-পুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক মনোনীত একজন উপ মহা-পুলিশ পরিদর্শক;
(ঘ) বাংলাদেশ পুলিশ এর সহকারী মহা-পুলিশ পরিদর্শক (কল্যাণ ও পেনশন), যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন; এবং
(ঙ) মহা-পুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন সদস্য, যাহাদের মধ্যে অন্যূন একজন নারী ও দুই জন কর্মচারী হইবেন।
৫। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, সভার কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি বছর বোর্ডের কমপক্ষে ২টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৪) অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে বোর্ডের সভার কোরাম গঠিত হইবে।
(৫) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে, উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
(৬) বোর্ডের কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
৬। বোর্ডের দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
(ক) তহবিল হইতে কর্মচারী এবং তাহাদের পরিবারকে কল্যাণ অনুদান মঞ্জুরি প্রদান;
(খ) এই আইনের অধীন সকল কল্যাণ অনুদানের দাবি নিষ্পত্তিকরণ;
(গ) তহবিলের প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত ব্যয় মঞ্জুরি;
(ঘ) তহবিলের অর্থ সরকারের সিকিউরিটিজ বা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে অন্য কোনো লাভজনক খাতে বিনিয়োগ;
(ঙ) বিভিন্ন শাখা, কেন্দ্র বা বাংলাদেশ পুলিশের অধীন স্থাপনা বা দপ্তরের ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহ গঠন এবং উহাদের তত্ত্বাবধানের জন্য প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা প্রদান; এবং
(চ) তহবিলের অর্থ বা সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার জন্য অন্যান্য দায়িত্ব।
৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ তহবিল নামে একটি তহবিল থাকিবে।
(২) নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ তহবিলে জমা হইবে, যথা:-
(ক) কর্মচারীদের প্রদত্ত চাঁদা;
(খ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(গ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং
(ঘ) বোর্ড কর্তৃক গৃহীত অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
(৩) তহবিলের অর্থ বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোনো তপশিলি ব্যাংকে রাখা যাইবে।
ব্যাখ্যা। উপধারা (৩) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, "তপশিলি ব্যাংক" অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Article 2(j) এ সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank।
(৪) তহবিল হইতে কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।
৮। (১) প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন হইতে ষান্মাসিক ৫০০ (পাঁচশত) টাকা অথবা বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত অর্থ কর্তন করিয়া তহবিলে জমা করা হইবে।
(২) কোনো কারণে কোনো কর্মচারীর বেতন হইতে চাঁদা কর্তন করা না হইয়া থাকিলে উক্ত কর্মচারী তাহার প্রদেয় চাঁদা বোর্ডকে প্রদান করিবেন এবং অসাবধানতা বা অবহেলাজনিত কারণে চাঁদার অপ্রদত্ত কোনো অংশ উক্ত কর্মচারীর নিকট হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদায় করা হইবে।
(৩) কর্মচারীর অসাবধানতা, অবহেলা, বেতন উত্তোলন না করা বা অন্য যেকোনো কারণেই হউক না কেন, চাঁদা প্রদানে অপারগতা উক্ত কর্মচারীর বা তাহার পরিবারের সদস্যের এই আইনের অধীন অনুদান প্রাপ্তির অধিকারকে ব্যাহত করিবে না, তবে অপ্রদত্ত চাঁদা কল্যাণ অনুদানের অর্থ হইতে কর্তন করা হইবে।
৯। (১) কোনো কর্মচারী বা তাহার মৃত্যু হইলে তাহার স্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, স্বামী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে তহবিল হইতে অনুদান গ্রহণের অধিকারী হইবেন, যথা:-
(ক) কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শারীরিক বা মানসিকভাবে তাহার দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চিরস্থায়ীভাবে অক্ষম বলিয়া ঘোষিত হন এবং উক্ত কারণে চাকরি হইতে অবসর, অপসারণ বা অব্যাহতি পান; অথবা
(খ) চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বা একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসাবে চাকরি হইতে অবসরের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
(২) বোর্ড, উপধারা (১) এর অধীন প্রদেয় কল্যাণ অনুদান মাসিক ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকা অথবা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে, সর্বোচ্চ ১৫ (পনেরো) বৎসরের জন্য মঞ্জুর করিতে পারিবে।
(৩) উপধারা (১) এর অধীন কল্যাণ অনুদান গ্রহণের অধিকারী স্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, স্বামী উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে পুনরায় বিবাহ করিলে বা মৃত্যুবরণ করিলে অবশিষ্ট সময়ের জন্য বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে মৃত কর্মচারীর পরিবারের অন্য কোনো সদস্য বা সদস্যদেরকে কল্যাণ অনুদান প্রদেয় হইবে।
(৪) কোনো কর্মচারীর মৃত্যুবরণকালে স্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, স্বামী না থাকিলে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাহার পরিবারের সদস্যগণ উপ-ধারা (১) এর অধীন কল্যাণ অনুদান গ্রহণের অধিকারী হইবেন।
(৫) উপধারা (১) এর অধীন কল্যাণ অনুদান গ্রহণের অধিকারী কোনো অক্ষম কর্মচারী উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে অবশিষ্ট সময়ের জন্য বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে মৃত কর্মচারীর স্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত স্বামীকে প্রদেয় হইবে, তবে মৃত্যুবরণকালে উক্ত অক্ষম কর্মচারীর স্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, স্বামী না থাকিলে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাহার পরিবারের সদস্যগণ উপ-ধারা (১) এর অধীন কল্যাণ অনুদান গ্রহণের অধিকারী হইবেন।
১০। বোর্ড মৃত, স্থায়ীভাবে অক্ষম, বিকলাঙ্গ বা অন্য কোনোভাবে চরম দুর্দশাগ্রস্ত কোনো কর্মচারীর সন্তানের বিবাহের জন্য তহবিল হইতে অনধিক ২ (দুই) মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কল্যাণ অনুদান মঞ্জুর করিতে পারিবে।
১১। (১) বোর্ড কোনো কর্মচারীর বা মৃত, স্থায়ীভাবে অক্ষম, বিকলাঙ্গ কর্মচারীর সন্তানের শিক্ষার জন্য তহবিল হইতে ১ (এক) বৎসর মেয়াদি মাসিক কল্যাণ অনুদান মঞ্জুর করিতে পারিবে।
(২) শিক্ষার কোনো স্তর বা কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করিবার উদ্দেশ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কল্যাণ অনুদান গ্রহণ করা হইলে উহা প্রত্যেক বৎসর নবায়ন করা যাইবে।
১২। (১) নিম্নবর্ণিত যেকোনো উদ্দেশ্যে বোর্ড কোনো কর্মচারী বা তাহার পরিবারকে তহবিল হইতে বিশেষ কল্যাণ অনুদান মঞ্জুর করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) দুরারোগ্য ও জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা;
(খ) রোগের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়;
(গ) দাফন-কাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া; এবং
(ঘ) বিভিন্ন ধরনের আঘাত বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চিকিৎসা।
(২) বোর্ড, উপধারা (১) এ বর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহের জন্য, কোনো কর্মচারী বা তাহার পরিবারকে, চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার ক্ষেত্রে, বিশেষ কল্যাণ অনুদানের অতিরিক্ত অনুদান মঞ্জুর করিতে পারিবে।
(৩) বোর্ড, কর্মচারীদের সাধারণ কল্যাণের উদ্দেশ্যে, তহবিল হইতে অন্য কোনো অনুদান, এককালীন বা ধারাবাহিক অনুদানও মঞ্জুর করিতে পারিবে।
১৩। যেক্ষেত্রে কল্যাণ অনুদানের পরিমাণ আইনে নির্ধারিত নাই, সেইক্ষেত্রে বোর্ড প্রত্যেকটি আবেদনের গুরুত্ব, তহবিলে গচ্ছিত অর্থ বিবেচনা করিয়া বোর্ডের দায়বদ্ধতা পূরণ সাপেক্ষে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করিবে।
১৪। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেকোনো আইনের অধীন সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত কোনো কর, চার্জ, ভ্যাট বা শুল্ক কর হইতে তহবিলকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
১৫। (১) তহবিলের হিসাব-নিকাশ এমন কোনো অফিসার অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত হইবে যাহাকে বোর্ড নিয়োগ প্রদান করিবে।
(২) প্রতি ২ (দুই) বৎসর অন্যূন একবার করিয়া সরকারের নিরীক্ষা বিভাগ অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োজিত কোনো নিরীক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তহবিলের হিসাব-নিকাশ নিরীক্ষণ করিতে হইবে।"।
১৬। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১ নং আইন) এর কোনো বিধান এই আইনে উল্লিখিত কোনো কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
১৭। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
১৯। (১) Police (Non-Gazetted Employees) Welfare Fund Ordinance, 1986, অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে-
(ক) উহার অধীন প্রতিষ্ঠিত Police (Non-Gazetted Employes) Welfare Fund, অতঃপর বিলুপ্ত Fund বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে; এবং
(খ) বিলুপ্ত Fund এর সম্পত্তি, অধিকার ও স্বার্থ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত সকল অর্থ এবং সিকিউরিটিজ, বিনিয়োগ, সকল দাবি ও অধিকার, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং অন্যান্য দলিলপত্র বোর্ডের নিকট হস্তান্তরিত ও উহার উপর ন্যস্ত হইবে।
(৩) উক্ত Ordinance রহিত হওয়া সত্ত্বেও-
(ক) উহার অধীন কৃত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রণীত কোনো প্রবিধান, জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, মঞ্জুরি বা অনুদান এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত, জারীকৃত বা প্রদত্ত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
(খ) চলমান কোনো কার্যক্রম এই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।
২০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।
(২) মূল বাংলা পাঠ এবং ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।