প্রিন্ট ভিউ

অর্থ আইন, ২০২৪

( ২০২৪ সনের ০৫ নং আইন )

সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরকরণ এবং নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে কতিপয় আইন সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:—

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন অর্থ আইন, ২০২৪ নামে অভিহিত হইবে।

(২) Provisional Collection of Taxes Act, 1931 (Act No. XVI of 1931) এর অধীন এই আইনের সপ্তম অধ্যায়ে উল্লিখিত জনস্বার্থে জারীকৃত ঘোষণা সাপেক্ষে, এই আইন ২০২৪ সনের ১ জুলাই তারিখে কার্যকর হইবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

ভ্রমণ কর আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৫ নং আইন) এর সংশোধন

২০০৩ সনের ৫ নং আইনের ধারা ৩ক এর সংশোধন

২।  ভ্রমণ কর আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৫ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৩ক এর দফা (ঘ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঘ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

"(ঘ) আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ২২১ ও ২৭৫ এ উল্লিখিত বিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।"।

২০০৩ সনের ৫ নং আইনের ধারা ৪ এর সংশোধন

৩।   উক্ত আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঝ) এর প্রান্তঃস্থিত "।" দাঁড়ি এর পরিবর্তে ";" সেমিকোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঞ) সংযোজিত হইবে, যথা:—

"(ঝ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ দ্বারা, কোনো ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।"।

তৃতীয় অধ্যায়

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর সংশোধন

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন

৪।   মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর—

ক) দফা (২১) এর—

(অ) উপ-দফা (ঘ) এর শেষাংশে উল্লিখিত "বা” শব্দ বিলুপ্ত হইবে;

(আ) উপ-দফা (ঙ) এর প্রান্তস্থিত "।" দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে ";" সেমিকোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং সেমিকোলন চিহ্নের পর "বা" শব্দ সংযোজিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন উপ-দফা (চ) সংযোজিত হইবে, যথা:—

"(চ) দশ কোটি টাকার অধিক বার্ষিক টার্নওভারযুক্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।"; এবং

(খ) দফা (২৯) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (২৯) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

"(২৯) "কর ভগ্নাংশ" অর্থ নিম্নবর্ণিত ভগ্নাংশ,

যথা:- {R/(১০০+ R)}

যেইক্ষেত্রে, R অর্থ ধারা ১৫ (৩) এ উল্লিখিত মূসক হার;"।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৩৩ এর সংশোধন

৫।  উক্ত আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) এ উল্লিখিত "অনুক্রম" শব্দের পরিবর্তে "আনুক্রমিক" শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৭৮ এর সংশোধন

৬।   উক্ত আইনের ধারা ৭৮ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

"(২) বোর্ড, আদেশ দ্বারা, মূসক কর্মকর্তাগণের নিয়োগ এবং আঞ্চলিক অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করিয়া এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি-বিধানের আওতায় তাহাদের দায়িত্ব, কর্তব্য, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সুনির্দিষ্ট করিতে পারিবে।"।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ৮১ এর প্রতিস্থাপন

৭।  উক্ত আইনের ধারা ৮১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৮১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

"৮১। ক্ষমতা অর্পণ।— (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, সদস্য (মূল্য সংযোজন কর), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।

(২) বোর্ড, আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, যেকোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার নাম ও পদবী উল্লেখপূর্বক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি-বিধানের অধীন কমিশনারের যে কোনো দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।

(৩) বোর্ডের ভিন্নতর নির্দেশ না থাকিলে, কমিশনার বা মহাপরিচালক অধস্তন যেকোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় তাহার যেকোন ক্ষমতা প্রয়োগের কর্তৃত্ব প্রদান করিতে পারিবেন।

(৪) কোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার অব্যবহিত উচ্চতর পদে চলতি দায়িত্বে পদায়ন করিলে তিনি উক্ত উচ্চতর পদের সকল দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।"।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১২১ এর সংশোধন

৮।   উক্ত আইনের ধারা ১২১ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “২০ (বিশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দের পরিবর্তে "১০ (দশ)" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১২২ এর সংশোধন

৯।   উক্ত আইনের ধারা ১২২ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত—

(ক) "২০ (বিশ)" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দের পরিবর্তে "১০ (দশ)" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং

(খ) "দাবীকৃত কর বা আরোপিত অর্থদন্ডের" শব্দগুলির পরিবর্তে "দাবীকৃত করের, জরিমানা ব্যতীত," শব্দগুলি ও চিহ্নগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১২৯ এর সংশোধন

১০।   উক্ত আইনের ধারা ১২৯ এ উল্লিখিত "কোন কমিশনার" শব্দগুলির পরিবর্তে "কোন মূসক কর্মকর্তা” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের ধারা ১৩০ এর সংশোধন

১১।  উক্ত আইনের ধারা ১৩০ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত "চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বা” শব্দগুলির পর "কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট বা" শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের দ্বিতীয় তফসিল এর সংশোধন

১২।  উক্ত আইনের দ্বিতীয় তফসিল এর—

২০১২ সনের ৪৭ নং আইনের তৃতীয় তফসিল এর সংশোধন

১৩। উক্ত আইনের তৃতীয় তফসিল এর—

চতুর্থ অধ্যায়

আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর সংশোধন

২০২৩ সনের ১২ নং আইনে উল্লিখিত কতিপয় শব্দ ও রেফারেন্স সংশোধন

১৪।  আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর –

(ক) সর্বত্র উল্লিখিত “আর্থিক প্রতিষ্ঠান”, “আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে”, “আর্থিক প্রতিষ্ঠানে” ও “আর্থিক প্রতিষ্ঠানের” শব্দগুলির পরিবর্তে যথাক্রমে “ফাইন্যান্স কোম্পানি”, “ফাইন্যান্স কোম্পানিকে”, “ফাইন্যান্স কোম্পানিতে” ও “ফাইন্যান্স কোম্পানির” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) ধারা ৬৭ এর উপ-ধারা (৮) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত “আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন) শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) সর্বত্র উল্লিখিত “Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন) শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঘ) ধারা ১৪২ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “অধ্যায়ের অধীন” শব্দগুলির পরিবর্তে “অংশের অধীন” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঙ) ধারা ২৬০ এর উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত “১৬৭” সংখ্যাটির পরিবর্তে “১৬৬” সংখ্যাটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন

১৫।  উক্ত আইনের ধারা ২ এর—

(ক) দফা (৫) এ উল্লিখিত “বোর্ড” শব্দটির পরিবর্তে “কর কমিশনার” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) দফা (৬) এ উল্লিখিত “বোর্ড” শব্দটির পরিবর্তে “কর কমিশনার” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) দফা (১১) বিলুপ্ত হইবে;

(ঘ) দফা (১৩) এর উপ-দফা (চ) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-দফা (ছ) সংযোজিত হইবে, যথা:-

“(ছ) কোনো পরিসম্পদের অর্জন যাহা—

(অ) প্রাকৃতিক নহে;

(আ) কোনো ব্যক্তির স্বীয় সৃষ্টি নহে;

(ই) দায় বা বন্ধকের বিপরীতে অধিগ্রহণ (foreclosure) নহে;

(ঈ) উত্তরাধিকার, উইল, অছিয়ত বা ট্রাস্টমূলে অর্জিত নহে;

(উ) বিনিময় বা ক্রয়মূলে অর্জিত নহে;”;

(ঙ) দফা (২৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (২৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(২৫) “কর্মচারী” অর্থ যেকোনো কর্মচারী এবং নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-

(অ) কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে, উহার যেকোনো পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পদবি নির্বিশেষে ব্যবস্থাপনার সহিত সম্পর্কিত কোনো দায়িত্ব পালন করেন এইরূপ কোনো ব্যক্তি;

(আ) কোম্পানি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে, পদবি নির্বিশেষে ব্যবসায়ের ব্যবস্থাপনার সহিত সম্পর্কিত কোনো দায়িত্ব পালন করেন এইরূপ কোনো ব্যক্তি;

(ই) এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি নিয়োগকারী হইতে বেতন প্রাপ্ত হন, নিয়োগকারীর নিয়ন্ত্রণাধীন ও নিয়োগকারীর নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হন এবং নিয়োগকারী কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে কাজ করেন;

(ঈ) ধারা ৩২ অনুযায়ী চাকরি হইতে আয় প্রাপ্ত হয় এইরূপ সকল ব্যক্তি:

তবে শর্ত থাকে যে, চা-বাগানের কোনো শ্রমিক এবং দিনমজুর ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;”;

(চ) দফা (২৬) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (২৬ক) ও (২৬খ) সংযোজিত হইবে, যথা:-

“(২৬ক) “কর কমিশনার” অর্থ ধারা ৪ এ উল্লিখিত এবং ধারা ৫ এর অধীন নিযুক্ত বা পদায়িত কর কমিশনার, মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল) ও মহাপরিচালক (পরিদর্শন);

(২৬খ) “কর নির্ধারণ” অর্থ এই আইনের অধীন যেকোনো প্রকারের কর নির্ধারণ এবং পুনঃকর নির্ধারণ, অতিরিক্ত কর নির্ধারণ, অধিকতর কর নির্ধারণও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;”;

(ছ) দফা (৩৬) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৩৬ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“(৩৬ক) “চার্টার্ড সেক্রেটারি” অর্থ চার্টার্ড সেক্রেটারীজ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৬) এ সংজ্ঞায়িত কোনো চার্টার্ড সেক্রেটারি;”;

(জ) দফা (৪৩) এর শর্তাংশ এর-

(অ) অনুচ্ছেদ (অ) এ উল্লিখিত “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড” শব্দগুলির পরিবর্তে “কর কমিশনার” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(আ) অনুচ্ছেদ (আ)(২) এ উল্লিখিত “২০ (বিশ) লক্ষ” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে “১ (এক) কোটি” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঝ) দফা (৫৭) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৫৭ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“(৫৭ক) “ফাইন্যান্স কোম্পানি” অর্থ ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১৭) তে সংজ্ঞায়িত কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি;”

(ঞ) দফা (৮১) এর-

(অ) উপ-দফা (ছ) তে উল্লিখিত “প্রাইভেট” শব্দটি বিলুপ্ত হইবে;

(আ) শর্তাংশ (ই) তে উল্লিখিত “উপ-দফা (ঙ)” শব্দ ও বন্ধনীর পরিবর্তে “উপ-দফা (ছ)” শব্দ ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ট) দফা (৮৯) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৮৯ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“(৮৯ক) “স্বীকৃত করদায়” অর্থ দাখিলকৃত রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন এর ভিত্তিতে, ক্ষেত্রমত, ধারা ১৭৩, ১৭৪ বা ১৮১ অনুযায়ী পরিগণিত প্রদেয় আয়কর দায়;”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৪ এর সংশোধন

১৬।  উক্ত আইনের ধারা ৪ এর—

(ক) দফা (ঝ) তে উল্লিখিত “অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল)” শব্দগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “পরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল)” শব্দগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) দফা (ঞ) তে উল্লিখিত “পরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল)” শব্দগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “যুগ্মপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল)” শব্দগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) দফা (ট) তে উল্লিখিত “উপকর কমিশনার” শব্দগুলির পর “বা উপপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল)” শব্দগুলি ও বন্ধনী সংযোজিত হইবে;

(ঘ) দফা (ড) তে উল্লিখিত “সহকারী কর কমিশনার” শব্দগুলির পর “বা সহকারী পরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল)” শব্দগুলি ও বন্ধনী সংযোজিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৫ এর সংশোধন

১৭।  উক্ত আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে, যথা:—

“(৪) কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ তাহার বিদ্যমান পদের অব্যবহিত উচ্চতর পদে চলতি দায়িত্বে পদায়িত হইলে তিনি উক্তরূপ উচ্চতর পদের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন।” ।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৬ এর প্রতিস্থাপন

১৮। উক্ত আইনের ধারা ৬ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৬ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“৬। ক্ষমতা অর্পণ।— (১) বোর্ড, আদেশ দ্বারা,—

(ক) উহার কোনো ক্ষমতা অধীনস্ত অন্য কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে;

(খ) কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা অন্য কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে।

(২) কর কমিশনার, আদেশ দ্বারা, তাহার কোনো ক্ষমতা তাহার অধীনস্ত অন্য কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১০ এর সংশোধন

১৯। উক্ত আইনের ধারা ১০ এ উল্লিখিত “যুগ্ম” শব্দটি বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৩ এর সংশোধন

২০।  উক্ত আইনের ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “ছিলেন বা” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৩১ এর সংশোধন

২১। উক্ত আইনের ধারা ৩১ এর উপ-ধারা (২) বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের অংশ ৫ এর তৃতীয় অধ্যায় এর প্রতিস্থাপন

২২।  উক্ত আইনের অংশ ৫ এর তৃতীয় অধ্যায় এর পরিবর্তে নিম্নরূপ তৃতীয় অধ্যায় প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“তৃতীয় অধ্যায়
ভাড়া হইতে আয়

৩৫। সংজ্ঞা।—এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,—

(১) “গৃহসম্পত্তি” অর্থে যেকোনো গৃহসম্পত্তি, ভবন বা দালানসহ নিম্নবর্ণিত পরিসম্পদও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা—

(ক) আসবাবপত্র, ফিক্সার, ফিটিংস যাহা উক্ত গৃহের অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং

(খ) গৃহসম্পত্তি যে ভূমির উপর স্থাপিত উক্ত ভূমি:

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ভবন বা দালান ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:—

(অ) কোনো ভবন যাহা সম্পূর্ণরূপে গুদাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়, বা

(আ) কোনো কারখানা ভবন যাহা প্ল্যান্ট ও মেশিনারি ভাড়া প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে ভাড়া প্রদান করা হয়;

(২) “ভাড়া প্রদান” অর্থ মালিকানা বা স্বত্ব ত্যাগ ব্যতিরেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পত্তির ব্যবহারের অধিকার প্রদান, তবে স্বীয় মালিকানাধীন হউক বা না হউক, কোনো তফসিলি ব্যাংক, বিনিয়োগ ব্যাংক, কোনো উন্নয়নমূলক ফাইন্যান্স কোম্পানি অথবা মুদারাবা বা লিজিং কোম্পানি কর্তৃক অন্য কোনো ব্যক্তিকে ভাড়া প্রদান অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(৩) “সম্পত্তি” অর্থ গৃহসম্পত্তি, জমি, আসবাবপত্র, ফিক্সার, কারখানা ভবন, ব্যবসার আঙ্গিনা, যন্ত্রপাতি, ব্যক্তিগত যানবাহন ও মূলধনি প্রকৃতির অন্য কোনো ভৌত পরিসম্পদ, যাহা ভাড়া প্রদান করা যায়।

৩৬। ভাড়া হইতে আয়।— (১) কোনো ব্যক্তির কোনো সম্পত্তির ভাড়া প্রদান হইতে অর্জিত মোট ভাড়ামূল্য হইতে এই অধ্যায়ে বর্ণিত সর্বমোট অনুমোদনযোগ্য খরচ বাদ দিলে যাহা অবশিষ্ট থাকিবে, উহা হইবে উক্ত সম্পত্তি হইতে উক্ত ব্যক্তির ভাড়া হইতে আয়।

(২) কোনো ব্যক্তির সম্পত্তির কোনো অংশ উক্ত ব্যক্তির স্বীয় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইলে বা উহা হইতে প্রাপ্ত আয় উক্ত ব্যক্তির ব্যবসা হইতে আয় খাতে পরিগণনাযোগ্য হইলে, উক্ত অংশের জন্য এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না।

(৩) হোস্টেল, হোটেল, মোটেল বা রিসোর্টের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোনো সম্পত্তির ভাড়ার প্রকৃতি, কারবার, বাণিজ্য বা ব্যবসা নির্বিশেষে যে ধরনেরই হউক না কেন, উক্ত সম্পত্তি হইতে অর্জিত আয় “ভাড়া হইতে আয়” খাতের অধীন পরিগণনা করিতে হইবে।

৩৭। মোট ভাড়ামূল্য পরিগণনা।— (১) কোনো আয়বর্ষে কোনো ব্যক্তির স্বীয় মালিকানাধীন কোনো গৃহসম্পত্তির মোট ভাড়ামূল্য নিম্নবর্ণিত সূত্রানুযায়ী পরিগণিত হইবে, যথা:—

ক = (খ+গ+ঘ+ঙ)-চ, যেখানে—

ক = মোট ভাড়ামূল্য,

খ = নিম্নবর্ণিত অংকসমূহের মধ্যে যাহা অধিক হয় উহা, যথা:—

অ) গৃহসম্পত্তি হইতে অর্জিত ভাড়ার পরিমাণ; বা

আ) গৃহসম্পত্তির বার্ষিক মূল্য;

গ = উক্ত গৃহসম্পত্তির ভাড়া বাবদ গৃহীত সমন্বয়যোগ্য অগ্রিমের যতটুকু উক্ত আয়বর্ষে সমন্বয়কৃত হইয়াছে উহা:

তবে শর্ত থাকে যে, অসমন্বয়যোগ্য কোনো অগ্রিম বা নিরাপত্তা জামানত ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না,

ঘ = উক্ত আয়বর্ষে উক্ত গৃহসম্পত্তি ব্যবহার সূত্রে প্রাপ্ত সেলামী বা প্রিমিয়াম ব্যতীত অন্য যেকোনো অংক বা কোনো সুবিধার অর্থমূল্য, যাহা খ ও গ তে উল্লিখিত অংকের অতিরিক্ত,

ঙ = গৃহসম্পত্তির ভাড়াটিয়া কর্তৃক পরিশোধিত যেকোনো প্রকারের সার্ভিস চার্জ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ বা অন্য কোনো অর্থ, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন,

চ = শূন্যতা ভাতা যাহা কেবল বিদ্যুৎ বিল উপস্থাপন সাপেক্ষে প্রমাণিত হইলে অনুমোদনযোগ্য হইবে।

(২) গৃহসম্পত্তি ব্যতীত অন্যান্য সম্পত্তির মোট ভাড়ামূল্য নিম্নবর্ণিত সূত্রানুযায়ী পরিগণিত হইবে, যথা:—

ক = (খ+গ+ঘ), যেখানে-

ক = মোট ভাড়ামূল্য,

খ = নিম্নবর্ণিত অংকসমূহের মধ্যে যাহা অধিক হয় উহা, যথা:—

(অ) সম্পত্তি হইতে অর্জিত ভাড়ার পরিমাণ; বা

(আ) সম্পত্তির বার্ষিক মূল্য;

গ = উক্ত সম্পত্তির ভাড়া বাবদ গৃহীত সমন্বয়যোগ্য অগ্রিমের যতটুকু উক্ত আয়বর্ষে সমন্বয়কৃত হইয়াছে উহা:

তবে শর্ত থাকে যে, অসমন্বয়যোগ্য কোনো অগ্রিম বা নিরাপত্তা জামানত ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না,

ঘ = অন্য কোনোভাবে সম্পত্তির ব্যবহার হইতে অর্জিত আয় এবং সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত অন্য যেকোনো অংক বা কোনো সুবিধার অর্থমূল্য, যাহা খ ও গ তে উল্লিখিত অংকের অতিরিক্ত।

৩৮। ভাড়া হইতে প্রাপ্ত আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিয়োজনসমূহ।— (১) কোনো ব্যক্তির স্বীয় মালিকানাধীন গৃহসম্পত্তির ভাড়া হইতে প্রাপ্ত আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত খরচ বিয়োজনযোগ্য হইবে, যথা:—

(ক) কোনো গৃহসম্পত্তির ক্ষতি বা ধ্বংসের ঝুঁকির বিপরীতে কোনো বিমা করা হইলে তাহার জন্য পরিশোধিত প্রিমিয়াম;

(খ) গৃহসম্পত্তি অর্জন, নির্মাণ, সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের জন্য কোনো ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি হইতে কোনো মূলধনি ঋণ গ্রহণ করা হইলে সেই ঋণের উপর পরিশোধিত সুদ বা মুনাফা;

(গ) গৃহসম্পত্তির উপর পরিশোধিত কোনো কর, ফি বা অন্য কোনো বার্ষিক চার্জ, যাহা মূলধনি চার্জ প্রকৃতির নহে;

(ঘ) গৃহসম্পত্তি অর্জন, নির্মাণ, মেরামত, নবনির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের জন্য ব্যবহৃত কোনো মূলধনি ঋণের উপর কোনো ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানিকে ভাড়াপূর্ব সময়ে কোনো সুদ বা মুনাফা পরিশোধ করা হইয়া থাকিলে সেই সুদ বা মুনাফা ভাড়া শুরুর সহিত সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষ হইতে একাদিক্রমে মোট ৩ (তিন) আয়বর্ষে সমকিস্তিতে:

তবে শর্ত থাকে যে, ভাড়াপূর্ব সময়ের কোনো সুদ বা মুনাফা বা উহার কোনো অংশ, যদি থাকে, উক্ত বর্ণিত সময়ের পরে বিয়োজনযোগ্য হইবে না;

(ঙ) ভাড়া সংগ্রহ, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সার্ভিস চার্জ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ এবং অন্য কোনো মৌলিক সেবা সংক্রান্ত ব্যয়ের জন্য নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত অংক, যথা:-

 

সারণী

ক্রমিক নং

সম্পত্তির ধরন

সংবিধিবদ্ধ বিয়োজন

(মোট ভাড়ামূল্যের

শতকরা হারে)

 

()

()

()

 

১।

বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গৃহসম্পত্তি

৩০% (ত্রিশ শতাংশ)

 

২।

অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গৃহসম্পত্তি

২৫% (পঁচিশ শতাংশ)

;

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(চ) গৃহসম্পত্তির আংশিক ভাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে আংশিক ভাড়ার বিপরীতে আনুপাতিক হারে খরচ অনুমোদনযোগ্য হইবে;

(ছ) যেইক্ষেত্রে কোনো গৃহসম্পত্তি আয়বর্ষের অংশবিশেষের জন্য ভাড়া প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে ভাড়া প্রদানকৃত সময়ের আনুপাতিক হারে খরচ অনুমোদনযোগ্য হইবে।

(২) গৃহসম্পত্তি ভিন্ন অন্য কোনো সম্পত্তির ভাড়া হইতে আয় হিসাবের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে বিয়োজনসমূহ অনুমোদিত হইবে, যথা:—

(ক) ব্যবসা হইতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে ধারা ৪৯-৫৫ অনুযায়ী যে সকল বিয়োজন যে সকল সীমা ও শর্তে অনুমোদিত;

(খ) তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী অনুমোদিত ভাতাসমূহ ব্যতীত অন্যান্য সকল বিয়োজন ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে সম্পন্ন হইলে।

৩৯। বিশেষ ভাড়া হইতে আয় পরিগণনা।— (১) ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী কোনো সংবিধিবদ্ধ বিয়োজনের কোনো অংশ অব্যয়িত বলিয়া দাবি করিলে, উহা বিশেষ ভাড়া হইতে আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(২) অ্যাকাউন্টিং সমন্বয়ের ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত, ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী অননুমোদিত বিয়োজনসমূহ বিশেষ ভাড়া হইতে আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(৩) বিশেষ ভাড়া হইতে আয় হিসাবে পরিগণিত আয়ের বিপরীতে কোনো প্রকারের বিয়োজন, ক্ষতির সমন্বয় বা জের টানা ও তৃতীয় তফসিলের অধীন কোনো ভাতা অনুমোদিত হইবে না এবং এইরূপ আয়ের উপর সাধারণ করহারে করদায় নির্ধারিত হইবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৪৬ এর সংশোধন

২৩।  উক্ত আইনের ধারা ৪৬ এর—

(ক) উপ-ধারা (৩) এর সারণীর (২) নং কলামের “ক্রয়লব্ধ অর্থ” শিরোনামের পরিবর্তে “বিক্রয়লব্ধ অর্থ” শিরোনামটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত “প্রাপ্ত অর্থ” শব্দগুলির পর “বা বিক্রয়লব্ধ অর্থ” শব্দগুলি সংযোজিত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (৭) বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৪৯ এর সংশোধন

২৪।   উক্ত আইনের ধারা ৪৯ এর দফা (প) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (প) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

(প) শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২৩৪ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) অনুযায়ী অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদেয় অর্থ যাহা প্রদর্শিত নীট ব্যবসায়িক মুনাফার ৫% (পাঁচ শতাংশ) এর অধিক নহে;”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৫৫ এর সংশোধন

২৫।  উক্ত আইনের ধারা ৫৫ এর—

(ক) দফা (থ) তে উল্লিখিত “যেকোনো দায়” শব্দগুলির পরিবর্তে “কোনো বিয়োজন বা কোনো দায়ের বিপরীতে সৃষ্ট কোনো বিয়োজন” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) দফা (ধ) তে উল্লিখিত “ভূমি বা আঙ্গিনার” শব্দগুলির পরিবর্তে “পরিসম্পদের” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) দফা (প) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (প) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

(প) এই আইনে অনুমোদন গ্রহণের বিধান রহিয়াছে কিন্তু অনুমোদন গ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ কোনো তহবিলে প্রদত্ত অর্থ;”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৫৬ এর সংশোধন

২৬।   উক্ত আইনের ধারা ৫৬ এ উল্লিখিত “দফা (ধ)” শব্দ, বর্ণ ও বন্ধনীর পরিবর্তে “দফা (ঘ)-(ঞ), (থ), (ধ) এবং (ন)” শব্দগুলি, বর্ণগুলি, চিহ্নগুলি ও বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৬২ এর সংশোধন

২৭।  উক্ত আইনের ধারা ৬২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর উপ-দফা (আ) তে উল্লিখিত “আর্থিক” শব্দটির পর “পরিসম্পদ,” শব্দ ও কমা সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৬৬ এর সংশোধন

২৮। উক্ত আইনের ধারা ৬৬ এর—

(ক) দফা (গ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (গ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(গ) খনিজ মজুদ ও হাইড্রোকার্বন (mineral deposits and hydrocarbons) এবং সুনাম (goodwill) ব্যতীত অন্য কোনো পরিসম্পদ, যাহা প্রাকৃতিক বা কোনো ব্যক্তির স্বীয় সৃষ্ট, হস্তান্তর হইতে অর্জিত আয়;”;

(খ) দফা (গ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঘ) ও (ঙ) সংযোজিত হইবে, যথা:—

(ঘ) যেকোনো দান, অনুদান বা উপহার, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;

(ঙ) ধারা ৩০ এ বর্ণিত অন্য কোনো খাতের অধীন শ্রেণিভুক্ত হয় নাই এইরূপ কোনো উৎস হইতে আয়।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৬৭ এর সংশোধন

২৯। উক্ত আইনের ধারা ৬৭ এর—

(ক) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত “তাহা” শব্দটির পর “সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (১৩)—

(অ) এ দুইবার উল্লিখিত “দান” শব্দটি বিলুপ্ত হইবে;

(আ) এর শর্তাংশ (ক) এ উল্লিখিত “দাতার ব্যাংক হিসাব হইতে উত্তোলিত হইলে” শব্দগুলির পরিবর্তে “দাতা ও গ্রহীতার রিটার্নে প্রদর্শিত হইলে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (১৫) বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৭০ এর সংশোধন

৩০।  উক্ত আইনের ধারা ৭০ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “ন্যূনতম” শব্দটির পূর্বে “ধারা ১৬৩ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৭৩ এর সংশোধন

৩১।  উক্ত আইনের ধারা ৭৩—

(ক) এ উল্লিখিত “কোনো কোম্পানি, ৩ (তিন) কোটি টাকার ঊর্ধ্বে টার্নওভার রহিয়াছে এইরূপ ফার্ম, ব্যক্তিসংঘ, তহবিল” শব্দগুলি, সংখ্যা, বন্ধনী ও কমাগুলির পরিবর্তে “স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার ব্যতীত যেকোনো ব্যক্তি” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) এ উল্লিখিত “স্থিতিপত্রের” শব্দটির পরিবর্তে “আর্থিক বিবরণীসমূহের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) এর প্রান্তঃস্থিত “।” দাঁড়ির পরিবর্তে “:” কোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন শর্তাংশ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

(অ) অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার গ্রস প্রাপ্তি রহিয়াছে এইরূপ কোনো ফার্ম, ট্রাস্ট, ব্যক্তিসংঘ, ফাউন্ডেশন, সমিতি, এবং সমবায় সমিতি;

(আ) যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাহা কেবল প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদানে নিয়োজিত।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৭৪ এর সংশোধন

৩২।   উক্ত আইনের ধারা ৭৪ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত “করবর্ষের” শব্দটির পরিবর্তে “বৎসরের” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৭৬ এর সংশোধন

৩৩।  উক্ত আইনের ধারা ৭৬ এর—

(ক) উপ-ধারা (৫) এর দফা (ঘ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঘ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(ঘ) কর অব্যাহতি প্রাপ্ত কোনো খাত হইতে সকল প্রকার প্রাপ্তি ও আয় ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে গ্রহণ:

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না, যথা:—

(অ) প্রাপ্তির খাত “কৃষি হইতে আয়” হিসাবে পরিগণিত এবং কোনো আয়বর্ষে মোট প্রাপ্তির পরিমাণ ১ (এক) কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নহে; বা

(আ) ষষ্ঠ তফসিলের অংশ ১ এর দফা (৩৪) অনুযায়ী দান হিসাবে কোনো পরিসম্পদ অর্জিত হয়;”;

(খ) উপ-ধারা (৬) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৭) ও (৮) সংযোজিত হইবে, যথা:—

(৭) এই আইনের অন্য কোনো বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর অব্যাহতি প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি তাহার কর অব্যাহতি পূর্ণাঙ্গ বা আংশিকভাবে সমর্পণপূর্বক নিয়মিত হারে কর পরিশোধ করিতে পারিবেন।

(৮) কোনো ব্যক্তি কোনো একটি উৎসের আয়ের বিপরীতে আইন দ্বারা নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদে কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হইলে উক্তরূপ উৎসের আয়ের বিপরীতে পুনরায়, অন্য কোনোভাবে বা অন্য কোনো মেয়াদে, কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবেন না এবং উক্তরূপ কোনো ব্যক্তি কোনো প্রকারের একীভূতকরণ, ডিমার্জার ও অধিগ্রহণের মাধ্যমে পুনর্গঠিত হইলেও উক্তরূপ কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবেন না:

তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে আইনের কোনো বিধান দ্বারা বা কোনো প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোনো কর অব্যাহতির বিদ্যমান মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়, সেইক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৮২ এর সংশোধন

৩৪।   উক্ত আইনের ধারা ৮২ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “মাসের মধ্যে” শব্দগুলির পরিবর্তে “অনধিক ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৮৬ এর সংশোধন

৩৫।  উক্ত আইনের ধারা ৮৬ এর—

(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “আনুমানিক” শব্দটির পরিবর্তে “প্রাক্কলিত” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (২) বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৮৮ এর প্রতিস্থাপন

৩৬।   উক্ত আইনের ধারা ৮৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৮৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“৮৮। অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদত্ত অর্থ হইতে উৎসে কর্তন।—বাংলাদেশে বিদ্যমান কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২৩৪ অনুযায়ী অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অর্থ পরিশোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্তরূপ অর্থ পরিশোধ বা ক্রেডিটকালে ১০% (দশ শতাংশ) হারে কর কর্তন করিবেন।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৯৪ এর সংশোধন

৩৭।   উক্ত আইনের ধারা ৯৪ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “-এর নিকট উক্ত কোম্পানি বা ফার্ম” চিহ্ন ও শব্দগুলির পর “বা অন্য কোনো ব্যক্তি” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৯৭ এর সংশোধন

৩৮। উক্ত আইনের ধারা ৯৭ এর—

(ক) উপান্তটীকা “স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশন হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ হইতে কর্তন” এর পরিবর্তে “স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে পরিশোধিত অর্থ হইতে কর্তন” উপান্তটীকাটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(৩) সকল প্রকার ফল এবং কম্পিউটার বা কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ক্রয়ের জন্য খোলা বা কৃত স্থানীয় ঋণপত্র খোলা বা অন্য কোনো অর্থায়ন চুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি কর্তৃক পরিশোধিত বা ঋণকৃত পরিমাণের উপর ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি ২% (দুই শতাংশ) হারে কর কর্তন করিবে।”;

(গ) উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে, যথা:—

(৪) ধান, গম, গোল আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুটি, ছোলা, মশুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ডাল, ভূট্টা, মোটা আটা, আটা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি, কালো গোল মরিচ, দারুচিনি, বাদাম, লবঙ্গ, তেজপাতা, পাট, তুলা এবং সুতা ক্রয়ের জন্য খোলা বা কৃত স্থানীয় ঋণপত্র খোলা বা অন্য কোনো অর্থায়ন চুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি কর্তৃক পরিশোধিত বা ঋণকৃত পরিমাণের উপর ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি ১% (এক শতাংশ) হারে কর কর্তন করিবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৯৮ এর সংশোধন

৩৯। উক্ত আইনের ধারা ৯৮ এ উল্লিখিত “১০% (দশ শতাংশ)” সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে “২০% (বিশ শতাংশ)” সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১০২ এর সংশোধন

৪০।  উক্ত আইনের ধারা ১০২ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(১) এই আইন বা বাংলাদেশে বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশের কোনো আইনের অধীন কোনো প্রকার ব্যাংকিং, ইনস্যুরেন্স, লিজিং, ফাইন্যান্সিং, ডাক ও ব্যাংকিং, সমবায় বা মোবাইল ফাইন্যন্সিয়াল সার্ভিসেস কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোনো ব্যক্তি, অথবা কোনো প্রকারের আমানত (deposit) এর বিপরীতে সুদ বা মুনাফা পরিশোধকারী কোনো ব্যক্তি, অন্য কোনো নিবাসী ব্যক্তিকে কোনো প্রকারের সুদ বা মুনাফা পরিশোধ করিলে, সুদ বা মুনাফা পরিশোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সুদ বা মুনাফা কোনো ব্যক্তির হিসাবে ক্রেডিটের সময় অথবা সুদ বা মুনাফা পরিশোধের সময়, যাহা পূর্বে ঘটে, নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত হারে উৎসে কর কর্তন করিয়া সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিবেন, যথা:—

সারণী

 

ক্রমিক নং

প্রাপকের ধরন

কর কর্তনের হার

 

()

()

()

 

ট্রাস্ট, ব্যক্তিসংঘ কোম্পানির ক্ষেত্রে

২০% (বিশ শতাংশ)

 

 

প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারীজ ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে

 

১০% (দশ শতাংশ)

 

ক্রমিক নং উল্লিখিত হয় নাই এইরূপ অন্যান্য ব্যক্তির ক্ষেত্রে 

১০% (দশ শতাংশ)

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১০৩ এর বিলোপ

৪১।   উক্ত আইনের ধারা ১০৩ বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১১৩ এর বিলোপ

৪২। উক্ত আইনের ধারা ১১৩ বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১১৪ এর সংশোধন

৪৩।   উক্ত আইনের ধারা ১১৪ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “কোনো ব্যক্তি” শব্দগুলির পর “অথবা ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী হইতে বিদ্যুৎ ক্রয় করেন এইরূপ কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১২৪ এর সংশোধন

৪৪।   উক্ত আইনের ধারা ১২৪-

(ক) এ উল্লিখিত “১০% (দশ শতাংশ)” সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে “৭.৫% (সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ)” সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) এর শর্তাংশ (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ শর্তাংশ (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

(১) ফ্রেইট ফরওয়ার্ড এজেন্ট কর্তৃক গৃহীত অর্থ-

(অ) যদি শুধু কমিশন হয় উক্ত কমিশনের উপর ১০% (দশ শতাংশ) হারে কর সংগ্রহ করিতে হইবে;

(আ) যদি গ্রস বিল বা কমিশনসহ গ্রস বিল হয় উক্ত বিলের উপর ২.৫% (দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ) হারে কর সংগ্রহ করিতে হইবে;”;

(গ) এর শর্তাংশ (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ শর্তাংশ (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(২) বিদেশ হইতে প্রেরিত নিম্নবর্ণিত অর্থের বিপরীতে কোনো কর্তন করা যাইবে না, যথা:-

(অ) ষষ্ঠ তফসিলের অংশ ১ এর দফা (১২), (১৭), (২১) ও (৩৩) দ্বারা মোট আয় বহির্ভূত অর্থ;

(আ) কোনো শিক্ষা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত কোনো দান বা অনুদান হয়।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১২৫ এর সংশোধন

৪৫।  উক্ত আইনের ধারা ১২৫ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(১) Registration Act, 1908 (Act No. XVI of 1908) এর section 17 এর sub-section (1) এর clauses (b), (c) বা (e) এর অধীন দলিল দস্তাবেজ নিবন্ধনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো নিবন্ধন কর্মকর্তা কোনো দলিল দস্তাবেজ নিবন্ধন করিবেন না, যদি না সম্পত্তি হস্তান্তরকারী নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করেন।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১২৬ এর প্রতিস্থাপন

৪৬।  উক্ত আইনের ধারা ১২৬ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১২৬ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“১২৬। ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের নিকট হইতে কর সংগ্রহ।-(১) Registration Act, 1908 (Act No. XVI of 1908) এর অধীন কোনো ভূমি, স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস হস্তান্তরের নিমিত্ত কোনো দলিল নিবন্ধনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি উক্তরূপ কোনো দলিল নিবন্ধন করিবেন না, যদি না ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কর্তৃক নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করা হয়।

(২) এই ধারার অধীন কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে, করহার নিম্নবর্ণিত হারের অধিক হইবে না, যথা:—

(ক) আবাসিক উদ্দেশ্যে নির্মিত বা ব্যবহৃত স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ক্ষেত্রে বর্গমিটার প্রতি ১৬০০ (এক হাজার ছয়শত) টাকা;

(খ) স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস আবাসিক উদ্দেশ্যে নির্মিত বা ব্যবহৃত না হইলে বর্গমিটার প্রতি ৬৫০০ (ছয় হাজার পাঁচশত) টাকা;

(গ) স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের সহিত সংশ্লিষ্ট ভূমির ক্ষেত্রে দলিলমূল্যের ৫% (পাঁচ শতাংশ)।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, “ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার” বলিতে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৮ নং আইন) এ বর্ণিত ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে বুঝাইবে এবং যদি কোনো ব্যক্তি ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের অনুরূপ কার্যাবলি সম্পাদনপূর্বক তাহার নিজের বা অন্যের ভূমি উন্নয়ন করেন অথবা তাহার নিজের বা অন্যের ভূমিতে স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস নির্মাণ করেন; অথবা ভূমির মালিক বা স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের মালিক ডেভেলপার বা কো-ডেভেলপারের ন্যায় আচরণ করেন, তাহা হইলে তিনিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১২৮ এর সংশোধন

৪৭।   উক্ত আইনের ধারা ১২৮ এ উল্লিখিত “হারে” শব্দটির পর “ইজারাদার কর্তৃক” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৩০ এর প্রতিস্থাপন

৪৮।  উক্ত আইনের ধারা ১৩০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৩০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“১৩০। ইট প্রস্তুতকারকের নিকট হইতে কর সংগ্রহ।— (১) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন ইট প্রস্তুত বা উৎপাদনের লাইসেন্স প্রদান বা নবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি এই ধরনের লাইসেন্স প্রদান বা নবায়ন করিবেন না, যদি না এই ধরনের লাইসেন্স প্রদান বা নবায়নের আবেদনপত্রের সহিত-

অ) ইটভাটার আয়তন ও প্রকৃতি বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ইট উৎপাদনের পদ্ধতি ও প্রকৃতি উল্লেখপূর্বক একটি কর পরিশোধের সনদ সংযুক্ত থাকে; এবং

আ) নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত হারে পরিশোধিত অগ্রিম করের এ-চালান সংযুক্ত থাকে:

(সারণী

ক্রমিক নং

ইটভাটার ধরন

অগ্রিম করহার (টাকায়)

()

()

()

১।

১০৮০০০ (এক লক্ষ আট হাজার) ঘনফুট আয়তনের অধিক নহে এইরূপ মৌসুমী ইটভাটার ক্ষেত্রে

৮০০০০ (আশি হাজার টাকা)

২।

১০৮০০০ (এক লক্ষ আট হাজার) ঘনফুট আয়তনের অধিক কিন্তু ১২৪০০০ (এক লক্ষ চব্বিশ হাজার) ঘনফুটের অধিক নহে এইরূপ মৌসুমী ইটভাটার ক্ষেত্রে

১২০০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা)

৩।

১২৪০০০ (এক লক্ষ চব্বিশ হাজার) ঘনফুটের অধিক এইরূপ মৌসুমী ইটভাটার ক্ষেত্রে

১৬০০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা)

৪।

ক্রমিক নং , উল্লিখিত হয় নাই এইরূপ ইটভাটার ক্ষেত্রে

২২০০০০ (দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা)

 

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো বৎসরে একাধিক বৎসরের জন্য লাইসেন্স প্রদান বা নবায়ন করা হইবে, সেইক্ষেত্রে লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়নের বৎসরের পরের বৎসর বা বৎসরসমূহের ৩০ জুন তারিখের মধ্যে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত হারে অগ্রিম কর চালানের মাধ্যমে জমা করিতে হইবে।

(৩) যেইক্ষেত্রে কোনো বৎসরে ইট প্রস্তুতকারী বা উৎপাদনকারী ব্যক্তি উপ-ধারা (২) অনুযায়ী অগ্রিম কর পরিশোধে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে পরবর্তী বৎসরে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় অগ্রিম করের পরিমাণ ক + খ নিয়মে নির্ধারিত হইবে, যেখানে—

ক = পূর্ববর্তী বৎসর বা বৎসরগুলোতে অপরিশোধিত অগ্রিম করের পরিমাণ, এবং

খ = পরিশোধের বৎসরে উপ-ধারা (১) অনুযায়ী প্রদেয় অগ্রিম করের পরিমাণ।

(৪) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,—

(ক) “আয়তন” অর্থ ইটভাটার দেয়ালের ভেতরের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার পরিমাপ;

(খ) “ইটভাটা” অর্থ এইরূপ কোনো স্থান বা অবকাঠামো যেখানে ইট প্রস্তুত করা হয়;

(গ) “মৌসুমী ইটভাটা” অর্থ এইরূপ কোনো ইটভাটা যেখানে শুষ্ক মৌসুমে হাতের সাহায্যে ইট প্রস্তুতকরণসহ ইট পোড়ানো হয়।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৩৪ এর সংশোধন

৪৯।  উক্ত আইনের ধারা ১৩৪ এ প্রদত্ত ব্যাখ্যার দফা (গ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (গ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(গ) “পেশাদার মূল্যায়নকারী (professional valuer)” বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত কোনো পেশাদার মূল্যায়নকারীকে বুঝাইবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৩৫ এর প্রতিস্থাপন

৫০।  উক্ত আইনের ধারা ১৩৫ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৩৫ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“১৩৫। সিকিউরিটিজ হস্তান্তর হইতে কর সংগ্রহ।— (১) স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বা তহবিলের সিকিউরিটিজ হস্তান্তরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সিকিউরিটিজ হস্তান্তর করিবেন না, যদি না উক্ত হস্তান্তর কার্যকর করিবার পূর্বে হস্তান্তরকারী কর্তৃক নিম্নবর্ণিত নিয়মে কর পরিশোধ করা হইয়া থাকে, যথা:—

ক = (খ - গ) × ১০%, যেখানে,

ক = এই ধারার অধীন প্রদেয় করের পরিমাণ;

খ = সিকিউরিটিজের হস্তান্তর মূল্য;

গ = সিকিউরিটিজের অর্জন মূল্য।

(২) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,—

(ক) “সিকিউরিটিজ” অর্থ কোনো কোম্পানির বা তহবিলের স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার, ডিরেক্টর শেয়ারহোল্ডার বা প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক ধারণকৃত উক্ত কোম্পানি বা তহবিলের সিকিউরিটিজ;

(খ) “হস্তান্তর" অর্থ মাতা-পিতা ও সন্তান এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার দান ব্যতীত অন্যান্য সকল প্রকার হস্তান্তর;

(গ) “হস্তান্তর মূল্য” অর্থ—

(অ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক হস্তান্তরের সম্মতি বা অনুমোদন প্রদানের দিনে সিকিউরিটিজের সমাপনী মূল্য (closing price); বা

(আ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক সম্মতি প্রদানের দিনে সিকিউরিটিজের কোনো লেনদেন না হইলে সর্বশেষ যে দিন লেনদেন হইয়াছিল উক্ত দিনে সিকিউরিটিজের সমাপনী মূল্য।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৪০ এর সংশোধন

৫১।   উক্ত আইনের ধারা ১৪০ এর দফা (৩) এর উপ-দফা (চ) তে উল্লিখিত “হোটেল,” শব্দ ও কমার পর “রিসোর্ট, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কনভেনশন সেন্টার,” শব্দগুলি ও কমাগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৫৩ এর সংশোধন

৫২।   উক্ত আইনের ধারা ১৫৩ এর—

ক) উপান্তটীকায় উল্লিখিত “ব্যক্তিগত” শব্দটি বিলুপ্ত হইবে;

খ) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “ব্যক্তিগত” শব্দটি বিলুপ্ত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (৫) এর দফা (ঙ) এ উল্লিখিত “সরকারের” শব্দটির পূর্বে “এতিমখানা, অনাথ আশ্রম, ধর্মীয় উপাসনালয় এবং” শব্দগুলি ও কমাগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৬২ এর সংশোধন

৫৩।  উক্ত আইনের ধারা ১৬২ এর—

(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “আপেক্ষা কম হয়, তবে সেইক্ষেত্রে করদাতা পরিশোধযোগ্য অবশিষ্ট করের অতিরিক্ত পরিশোধকৃত মোট কর এবং নিয়মিত” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে “অপেক্ষা কম হয়, তবে সেইক্ষেত্রে, উক্তরূপ পরিশোধকৃত মোট কর এবং নিয়মিত কর” শব্দগুলি ও কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত “১৮১” সংখ্যাটির পরিবর্তে “১৮২” সংখ্যাটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৬৩ এর সংশোধন

৫৪।  উক্ত আইনের ধারা ১৬৩ এর—

(ক) উপ-ধারা (৩) এর দফা (ক) বিলুপ্ত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত “কার্বোনেটেড বেভারেজ” শব্দগুলির পর “, গুঁড়ো দুধ, অ্যালুমিনিয়াম পণ্য, সিরামিক পণ্য” কমাগুলি ও শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (৫)—

(অ) এ উল্লিখিত “উপ-ধারা (৬) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, কোনো ব্যক্তি, ফার্ম বা কোম্পানির ন্যূনতম কর হইবে নিম্নরূপ, যথা:-” শব্দগুলি, বন্ধনী, সংখ্যা ও চিহ্নগুলির পরিবর্তে “উপ-ধারা (৬) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, মুনাফা বা ক্ষতি নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তি তাহার গ্রস প্রাপ্তির উপর দফা (ক) ও (খ) এর বিধান অনুযায়ী ন্যূনতম কর পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন, যথা:-” শব্দগুলি, সংখ্যা, বন্ধনীগুলি ও চিহ্নগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(আ) এর দফা (ক) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ক) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(ক) যেকোনো কোম্পানি, যেকোনো ট্রাস্ট, অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকার গ্রস প্রাপ্তি রহিয়াছে এইরূপ কোনো ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ, অন্যূন ৩ (তিন) কোটি টাকার গ্রস প্রাপ্তি রহিয়াছে এইরূপ কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি কোনো করবর্ষে তাহার গ্রস প্রাপ্তির উপর নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত হারে ন্যূনতম কর পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন যথা:-

(সারণী

ক্রমিক নং

করদাতার ধরন

ন্যূনতম করহার

()

()

()

১।

সিগারেট, বিড়ি, চিবাইয়া খাওয়ার তামাক, ধোঁয়াবিহীন তামাক বা অন্য কোনো তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক

গ্রস প্রাপ্তির % (তিন শতাংশ)

কার্বোনেটেড বেভারেজ (carbonated beverage), মিষ্টি পানীয় (sweetened beverage) প্রস্তুতকারক

গ্রস প্রাপ্তির % (তিন শতাংশ)

মোবাইল ফোন অপারেটর

গ্রস প্রাপ্তির % (দুই শতাংশ)

সিগারেট, বিড়ি, চিবাইয়া খাওয়ার তামাক, ধোঁয়াবিহীন তামাক বা অন্য কোনো তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক ব্যতীত অন্য কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা

গ্রস প্রাপ্তির .২৫% (শূন্য দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ)

অন্য কোনো ক্ষেত্রে

গ্রস প্রাপ্তির .৬০% (শূন্য দশমিক ছয় শূন্য শতাংশ)

 

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সারণীর ক্রমিক নং ৫ প্রযোজ্য হয় এইরূপ ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইহার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর প্রথম ৩ (তিন) বৎসরের জন্য উক্ত হার হইবে এইরূপ প্রাপ্তির ০.১% (শূন্য দশমিক এক শতাংশ)।”;

(ঘ) উপ-ধারা (৬) এ দুইবার উল্লিখিত “উপ-ধারা (২)” শব্দ, বন্ধনী ও সংখ্যার পরিবর্তে “উপ-ধারা (৪)” শব্দ, বন্ধনী ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঙ) উপ-ধারা (৭) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৭) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(৭) এই ধারার অধীন পরিগণিত ন্যূনতম করের সমন্বয়যোগ্যতা নিম্নরূপে নির্ধারিত হইবে, যথা:-

(অ) উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিগণিত ন্যূনতম কর প্রত্যর্পণযোগ্য বা সমন্বয়যোগ্য হইবে না;

(আ) উপ-ধারা (৬) এর অধীন কর পরিগণনাকালে উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিশোধিত ন্যূনতম করের অতিরিক্ত করদায় সৃষ্টি হইলে উক্তরূপ অতিরিক্ত অংকের সহিত পূর্ববর্তী করবর্ষসমূহের সৃষ্ট প্রত্যর্পণ সমন্বয়যোগ্য হইবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৬৪ এর সংশোধন

৫৫।   উক্ত আইনের ধারা ১৬৪—

(ক) এর উপান্তটীকায় উল্লিখিত “অতিরিক্ত” শব্দটির পরিবর্তে “অধিক বা কম” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) এ দুইবার উল্লিখিত “অধিক” শব্দের পর “বা কম” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৬৫ এর সংশোধন

৫৬।  উক্ত আইনের ধারা ১৬৫ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “স্বাভাবিক” শব্দটির পর “ব্যক্তি” শব্দটি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৬৭ এর সংশোধন

৫৭। উক্ত আইনের ধারা ১৬৭—

(ক) এ সর্বত্র উল্লিখিত “স্বাভাবিক” শব্দটির পর “ব্যক্তি” শব্দটি সন্নিবেশিত হইবে;

(খ) এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত “৪০ (চল্লিশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দটির পরিবর্তে “৫০ (পঞ্চাশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) এর উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশে উল্লিখিত “এই উপ-ধারার শর্তাবলি পালন সাপেক্ষে” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৬৮ এর সংশোধন

৫৮।  উক্ত আইনের ধারা ১৬৮ এর—

(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “স্বাভাবিক” শব্দটির পর “ব্যক্তি” শব্দটি সন্নিবেশিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “ব্যক্তি” শব্দটির পূর্বে “স্বাভাবিক” শব্দটি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৬৯ এর সংশোধন

৫৯।  উক্ত আইনের ধারা ১৬৯ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত “স্বাভাবিক” শব্দটির পর “ব্যক্তি” শব্দটি সন্নিবেশিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭০ এর প্রতিস্থাপন

৬০।  উক্ত আইনের ধারা ১৭০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৭০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“১৭০। স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল।—ধারা ১৬৬ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের আইনানুগ বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ সকল ব্যক্তি ধারা ১৮০ এর অধীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করিবেন।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭১ এর প্রতিস্থাপন

৬১।  উক্ত আইনের ধারা ১৭১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৭১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“১৭১। রিটার্ন দাখিলের সময় ও আয়কর পরিশোধ।—(১) প্রত্যেক করদাতাকে করদিবস বা ইহার পূর্বে রিটার্ন দাখিল করিতে হইবে।

(২) করদিবস বা ইহার পূর্বে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী আয়কর পরিশোধপূর্বক রিটার্ন দাখিল করিতে হইবে।

(৩) করদিবসের পরে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৪ অনুযায়ী আয়কর পরিশোধপূর্বক রিটার্ন দাখিল করিতে হইবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭৪ এর প্রতিস্থাপন

৬২।  উক্ত আইনের ধারা ১৭৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৭৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“১৭৪। করদিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কর পরিগণনা।— ধারা ১৬৬ অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ কোনো করদাতা করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হইলে, এই আইনের অন্যান্য বিধানের অধীন উদ্ভূত দায় অক্ষুণ্ন রাখিয়া নিম্নবর্ণিত নিয়মে করদাতার কর নির্ধারিত ও প্রদেয় হইবে, যথা:-

ক = খ + (খ - গ) × ঘ × ০.০২, যেখানে,

ক = মোট প্রদেয় করের পরিমাণ;

খ = করদাতা করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করিলে মোট যেই পরিমাণ কর পরিশোধ করিতেন সেই অংক, তবে এইক্ষেত্রে—

(অ) কোনো প্রকার কর অব্যাহতি প্রযোজ্য না হইলে যেইরূপে কর পরিগণনা করা হইত সেইরূপে কর পরিগণনা করিতে হইবে; এবং

(আ) ন্যূনতম কর, সারচার্জ ও সরল সুদ ব্যতীত এই আইনের অধীন প্রযোজ্য বা ধার্যকৃত অন্য কোনো জরিমানা বা অংক ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

গ = উক্ত আয়বর্ষে করদাতা কর্তৃক পরিশোধিত অগ্রিম কর ও উৎসে করের সমষ্টি;

ঘ = নিম্নবর্ণিতরূপে নির্ধারিত মাসের সংখ্যা, যথা:—

(অ) করদিবস অতিক্রান্ত হইবার পর মাসের সংখ্যা যাহা অনধিক ২৪ (চব্বিশ) হইবে;

(আ) কোনো মাসের ভগ্নাংশও পূর্ণ মাস হিসাবে গণ্য হইবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭৫ এর প্রতিস্থাপন

৬৩।   উক্ত আইনের ধারা ১৭৫ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৭৫ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“১৭৫। সাধারণ রিটার্ন ও সংশোধিত রিটার্ন সংক্রান্ত বিশেষ বিধানাবলি।- (১) ধারা ১৮২ ও ২১২ এর বিধানাবলি অক্ষুণ্ন রাখিয়া, নিম্নোক্ত রিটার্নসমূহ সাধারণ রিটার্ন বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:-

(ক) ধারা ১৮২ এর উপ-ধারা (১০) অনুসারে দাখিলকৃত সংশোধিত রিটার্ন;

(খ) ধারা ২১২ এর উপ-ধারা (৩) অনুসারে নোটিশ জারির প্রেক্ষিতে দাখিলকৃত রিটার্ন।

(২) কর দিবসের মধ্যে এই আইনের কোনো বিধানের অধীন সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করিলে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধ করিতে হইবে।

(৩) করদিবস পরবর্তীকালে এই আইনের কোনো বিধানের অধীন সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করিলে, সংশোধিত রিটার্নে এইরূপ কোনো কর অব্যাহতি দাবি করা যাইবে না যাহা মূল রিটার্নে দাবি করা হয় নাই এবং নূতন কোনো কর অব্যাহতি দাবি করা হইলে উহা বাতিলপূর্বক নিয়মিত হারে করারোপিত হইবে।

(৪) আপিল বা ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে কর নির্ধারণকালে রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করা যাইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে করদাতা কোনো রিটার্ন দাখিল করেন নাই সেইক্ষেত্রে আপিল বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের ভিত্তিতে কর নির্ধারণকালে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, রিটার্ন দাখিল করা যাইবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭৬ এর সংশোধন

৬৪।   উক্ত আইনের ধারা ১৭৬ এর উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(৩) কোনো করদাতা উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশ সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করিতে ব্যর্থ হইলে, রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন, যাহা অসম্পূর্ণ বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল তাহা-

(ক) ধারা ১৬৯ এর উপ-ধারা (২) এবং (৫) পরিপালনের ব্যর্থতায় এইরূপভাবে বাতিল বা অকার্যকর বলিয়া বিবেচনা করা হইবে যেন উহা দাখিল করা হয় নাই এবং এইরূপ বাতিল বা অকার্যকরের ক্ষেত্রে উপকর কমিশনার নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করিবেন, যথা:-

(অ) দাখিলকৃত রিটার্ন বাতিল বা অকার্যকরের নোটিশ করদাতার বরাবরে প্রেরণ;

(আ) পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারকে বাতিল বা অকার্যকর সম্পর্কে লিখিতভাবে অবহিতকরণ;

(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে ধারা ১৮২ এর অডিটের জন্য নির্বাচন করা যাইবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭৭ এর সংশোধন

৬৫।  উক্ত আইনের ধারা ১৭৭ এর—

(ক) উপ-ধারা (৩)—

(অ) এর দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত “১৫ (পনেরো)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দটির পরিবর্তে “২৫ (পঁচিশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(আ) এর প্রান্তঃস্থিত “;” সেমিকোলন এর পরিবর্তে “।” দাঁড়ি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (৪) বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭৯ এর সংশোধন

৬৬।  উক্ত আইনের ধারা ১৭৯ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “বা ১৭৬” শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে “, ১৭৬ বা ২১২” কমা, সংখ্যাগুলি ও শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৮০ এর সংশোধন

৬৭।  উক্ত আইনের ধারা ১৮০ এর—

(ক) উপ-ধারা (১) এর—

(অ) দফা (খ) এর প্রান্তঃস্থিত “:” কোলন এর পরিবর্তে “।” দাঁড়ি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(আ) শর্তাংশ বিলুপ্ত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (২)-

(অ) এ উল্লিখিত “করিতে পারিবেন” শব্দগুলির প্রান্তঃস্থিত “:” কোলন এর পরিবর্তে “।” দাঁড়ি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(আ) এর শর্তাংশ বিলুপ্ত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (৫) বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৮২ এর সংশোধন

৬৮।  উক্ত আইনের ধারা ১৮২ এর-

(ক) উপ-ধারা (১৪) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ- ধারা (১৪) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(১৪) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত, কোনো করবর্ষের জন্য ধারা ১৮০ এর অধীন দাখিলকৃত কোনো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্নে অব্যবহিত পূর্ববর্তী করবর্ষের মোট আয় হইতে অন্যূন ১৫% (পনেরো শতাংশ) অধিক মোট আয় প্রদর্শন করা হইলে উক্ত রিটার্ন উপ-ধারা (১) এর অধীনে অডিটের জন্য নির্বাচন করা যাইবে না, যথা:-

(ক) কোনো ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স বা ফাইন্যান্স কোম্পানির রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন;

(খ) সংশ্লিষ্ট বৎসরে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানি ব্যতীত অন্য কোনো উৎস হইতে সর্বমোট ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার কোনো প্রকার ঋণ গ্রহণের সমর্থনে ব্যাংক বিবরণী দাখিল করা হয় নাই এইরূপ কোনো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন;

(গ) সম্পূর্ণ বা আংশিক করমুক্ত আয় প্রদর্শনকারী কোনো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন;

(ঘ) হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এইরূপ আয় প্রদর্শনকারী কোনো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন;

(ঙ) কর প্রত্যর্পণ দাবি করা হইয়াছে বা কর প্রত্যর্পণ সৃষ্টি হইয়াছে এইরূপ কোনো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন;

(চ) করদাতা-

(অ) সংশ্লিষ্ট বৎসরে অংশ ৭ এর বিধানাবলি পরিপালনের সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিলে ব্যর্থ হইলে; বা

(আ) ধারা ১৭৬ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী প্রেরিত নোটিশ সম্পূর্ণরূপে পরিপালন করিবার ব্যর্থতায় ধারা ১৭৬ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) অনুযায়ী অডিটের জন্য নির্বাচনের উপযুক্ত হইলে; বা

(ই) ধারা ১৭৭ এর অধীন রিটার্ন দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে।”;

(খ) উপ-ধারা (১৫) এর দফা (ঙ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঙ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

(ঙ) যেই করবর্ষে কোনো রিটার্ন দাখিল করা হইয়াছে সেই করবর্ষ সমাপ্ত হইবার অনধিক ২ (দুই) করবর্ষের মধ্যে উক্ত রিটার্ন উপ-ধারা (১) এর অধীন অডিটের নিমিত্ত নির্বাচন বা অনুমোদন করিতে হইবে;”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৮৩ এর সংশোধন

৬৯।  উক্ত আইনের ধারা ১৮৩ এর—

(ক) উপান্তটীকা “রিটার্নের ভিত্তিতে উপকর কমিশনার কর্তৃক কর নির্ধারণ” এর পরিবর্তে “উপকর কমিশনার কর্তৃক কর নির্ধারণ” উপান্তটীকাটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(১) উপকর কমিশনার, এই ধারার অধীন, সংশ্লিষ্ট রিটার্ন, দলিলাদি বা এই আইনের অন্য কোনো বিধান অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে প্রদেয় আয়কর নির্ধারণ করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত কোনো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন ধারা ১৭৫ এর অধীন সাধারণ রিটার্ন হিসাবে গণ্য হইলে; বা

(খ) কোনো ব্যক্তি ধারা ১৮২ এর উপ-ধারা (১২) অনুযায়ী কর নির্ধারণের যোগ্য হইলে; বা

(গ) কোনো ব্যক্তি ধারা ২১২ বা ২১৩ অনুযায়ী কর নির্ধারণের যোগ্য হইলে; বা

(ঘ) কোনো ব্যক্তি এই আইনের কোনো বিধান অনুযায়ী আয়কর পরিশোধের যোগ্য হইলে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৯৭ এর সংশোধন

৭০।   উক্ত আইনের ধারা ১৯৭ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(১) উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, নিম্নরূপ মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে কর নির্ধারণ বা রিটার্ন প্রসেস সম্পন্ন করিতে হইবে, যথা:—

(ক) ধারা ১৮১ অনুসারে রিটার্ন প্রসেসের ক্ষেত্রে যেই করবর্ষে রিটার্ন দাখিল করা হইয়াছে উক্ত করবর্ষ শেষ হইবার পরবর্তী ২ (দুই) করবর্ষ;

(খ) যেই করবর্ষে ধারা ১৮২ এর উপ-ধারা (১) অনুসারে কোনো রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচন করা হইয়াছে সেই করবর্ষ শেষ হইবার পরবর্তী ২ (দুই) করবর্ষ;

(গ) যেই করবর্ষে কোনো রিটার্ন সাধারণ রিটার্ন হিসাবে গণ্য হইয়াছে উক্ত করবর্ষ শেষ হইবার পরবর্তী ১ (এক) করবর্ষ;

(ঘ) ধারা ২৩৫ এর অধীন প্রণীত কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে সংশ্লিষ্ট করবর্ষে উক্ত আয় প্রথমবার নিরূপণযোগ্য হইয়াছে উহা শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) করবর্ষ ।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৯৮ এর সংশোধন

৭১। উক্ত আইনের ধারা ১৯৮ এর দফা (১) এর উপ-দফা (ঈ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-দফা (ঈ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(ঈ) পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনার বা উপকর কমিশনার বা উপকর কমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে কর পরিদর্শক;”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৬৪ এর সংশোধন

৭২।   উক্ত আইনের ধারা ২৬৪ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা ৪৩ এর প্রান্তঃস্থিত “।” দাঁড়ির পরিবর্তে “;” সেমিকোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দুটি দফা সংযোজিত হইবে, যথা:—

৪৪. হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মোটেল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নকালে;

৪৫. সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল বা সমজাতীয় কোনো সেবা গ্রহণকালে;”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৬৫ এর সংশোধন

৭৩।  উক্ত আইনের ধারা ২৬৫ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার” সংখ্যাগুলি, বন্ধনীগুলি ও শব্দগুলির পরিবর্তে “২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার” সংখ্যাগুলি, বন্ধনীগুলি ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৭০ এর সংশোধন

৭৪।   উক্ত আইনের ধারা ২৭০ এ উল্লিখিত “বা ১৮৩” শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে “, ১৮৩ বা ২১২” কমা, সংখ্যাগুলি ও শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৭১ এর সংশোধন

৭৫।   উক্ত আইনের ধারা ২৭১ এ উল্লিখিত “ধারা ১৭৩ এর আবশ্যকতা অনুযায়ী কর” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “স্বীকৃত করদায়” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৮৫ এর সংশোধন

৭৬।   উক্ত আইনের ধারা ২৮৫ এর উপ-ধারা (৪) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আবেদন বিবেচিত হইবে না, যদি না—

(ক) আবেদনের সহিত ২০০ (দুইশত) টাকা ফি প্রদান করা হয়; এবং

(খ) স্বীকৃত করদায় পরিশোধ করা হয়।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৮৬ এর সংশোধন

৭৭।   উক্ত আইনের ধারা ২৮৬ এর উপ-ধারা (৫) এর সারণীর (২) নং কলামে উল্লিখিত “ধারা ১৭৩ এর অধীন কোনো কর” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “স্বীকৃত করদায়” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৯১ এর সংশোধন

৭৮।   উক্ত আইনের ধারা ২৯১ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “ধারা ১৭৩ অনুসারে পরিশোধযোগ্য করের” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “স্বীকৃত করদায়ের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৯৩ এর সংশোধন

৭৯।   উক্ত আইনের ধারা ২৯৩ এর উপ-ধারা (১) এর—

(ক) শর্তাংশ (খ) তে উল্লিখিত “ধারা ১৭৩ এর অধীন পরিশোধযোগ্য করের” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “স্বীকৃত করদায়ের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

(খ) শর্তাংশ (গ) তে উল্লিখিত “ধারা ১৭৩ এর অধীন পরিশোধ্য করের” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “স্বীকৃত করদায়ের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ২৯৮ এর সংশোধন

৮০।  উক্ত আইনের ধারা ২৯৮ এর উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত “ধারা ১৭৩ এর অধীন প্রদেয় কর” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে “স্বীকৃত করদায়” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৩৩৪ এর প্রতিস্থাপন

৮১।  উক্ত আইনের ধারা ৩৩৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৩৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“৩৩৪। সময়সীমা বৃদ্ধি বা তামাদি প্রমার্জনের ক্ষমতা।— এই আইনের অন্য কোনো বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-

(ক) বোর্ড, আদেশ দ্বারা, করদিবস অনধিক ১ (এক) মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবে;

(খ) যেইক্ষেত্রে মহামারী, অতিমারী, দৈব দুর্বিপাক ও যুদ্ধকালীন সময় বিদ্যমান বলিয়া সরকারের ঘোষণা বা আদেশ রহিয়াছে সেইক্ষেত্রে বোর্ড, জনস্বার্থে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, আদেশ জারির মাধ্যমে, এই আইনের কোনো বিধান পরিপালনের সময়সীমা প্রমার্জন করিতে পারিবে বা পরিপালনের সময়সীমা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের প্রথম তফসিলের সংশোধন

৮২।   উক্ত আইনের প্রথম তফসিলের—

(ক) অংশ ১ এর অনুচ্ছেদ (১) এর—

(অ) উপ-অনুচ্ছেদ (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-অনুচ্ছেদ (২ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—

(২ক) যেইক্ষেত্রে স্থাপনা, বাড়ি অথবা ফ্লোর স্পেস বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মিত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে উপ-অনুচ্ছেদ (১) এ উল্লিখিত করহার ১০০% (একশত শতাংশ) অধিক হইবে।”;

(আ) উপ-অনুচ্ছেদ (৩)—

(১) এ উল্লিখিত “১০০% (একশত শতাংশ)” সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে “১৫০% (একশত পঞ্চাশ শতাংশ)” সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(২) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত “১৭১” সংখ্যাটির পরিবর্তে “১৭২” সংখ্যাটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(৩) এর দফা (গ) এর প্রান্তঃস্থিত “।” দাঁড়ির পরিবর্তে “;” সেমিকোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঘ) ও (ঙ) সংযোজিত হইবে, যথা:—

(ঘ) এই আইনের ধারা ২০০ এর অধীন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হইয়াছে এবং উহা চলমান রহিয়াছে; বা

(ঙ) এই আইনের অধীন করফাঁকি সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম চলমান রহিয়াছে।”;

(খ) অংশ ১ এর অনুচ্ছেদ ২ বিলুপ্ত হইবে;

(গ) অংশ - ২ এর পর নিম্নরূপ নূতন অংশ ৩ সংযোজিত হইবে, যথা:-

“অংশ ৩

অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শন

অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শনে বিশেষ ব্যবস্থা।—(১) আয়কর আইন, ২০২৩ বা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তির কোনো পরিসম্পদ অর্জনের উৎসের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করিতে পারিবে না, যদি উক্ত ব্যক্তি ১, জুলাই ২০২৪ হইতে ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখের মধ্যে (উভয় দিন অন্তর্ভুক্ত) ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের পূর্বে নিম্নবর্ণিত সারণীসমূহে উল্লিখিত হারে কর পরিশোধপূর্বক ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের রিটার্নে উক্তরূপ অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শন করেন, যথা:—

সারণী-১

ক্রমিক নং

অবস্থান

স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের করহার

ভূমির করহার

()

()

()

()

ঢাকা জেলার গুলশান থানা, বনানী থানা, মতিঝিল থানা, তেজগাঁও থানা, ধানমন্ডি থানা, ওয়ারী থানা, তেজগাঁ শিল্পাঞ্চল থানা, শাহবাগ থানা, রমনা থানা, পল্টন থানা, কাফরুল থানা, নিউমার্কেট থানা কলাবাগান থানার অন্তর্গত সকল মৌজা

 

প্রতি বর্গ মিটারে ৬০০০ (ছয় হাজার) টাকা

প্রতি বর্গ মিটারে ১৫০০০ (পনেরো হাজার) টাকা

ঢাকা জেলার বংশাল থানা, মোহাম্মদপুর থানা, সূত্রাপুর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, উত্তরা মডেল থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, চকবাজার থানা, কোতোয়ালি থানা, লালবাগ থানা, খিলগাঁও থানা, শ্যামপুর থানা, শাহজাহানপুর থানা, মিরপুর মডেল থানা, দারুস সালাম থানা, দক্ষিণখান থানা, উত্তরখান থানা, তুরাগ থানা, শাহ আলী থানা, সবুজবাগ থানা, কদমতলী থানা, কামরাঙ্গীরচর থানা, হাজারীবাগ থানা, ডেমরা থানা, আদাবর থানা, গেন্ডারিয়া থানা, খিলক্ষেত থানাবিমানবন্দর থানা, উত্তরা পশ্চিম থানা, মুগদা থানা, রূপনগর থানা, ভাষানটেক থানা, বাড্ডা থানা, পল্লবী থানা ভাটারা থানা; চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানা, পাঁচলাইশ থানা, পাহাড়তলী থানা, হালিশহর থানা কোতোয়ালী থানা; নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানা, সোনারগাঁও থানা, ফতুল্লা থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বন্দর থানা এবং গাজীপুর জেলার সদর থানার অন্তর্গত সকল মৌজা

 

প্রতি বর্গ মিটারে ৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচশত) টাকা

প্রতি বর্গ মিটারে ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা

ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ, সাভার ধামরাই উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার আকবর শাহ থানা, ইপিজেড থানা, কর্ণফুলী থানা, চকবাজার থানা, চান্দগাঁও থানা, ডবলমুরিং থানা, পতেঙ্গা থানা, বন্দর থানা, বাকলিয়া থানা, বায়েজিদ বোস্তামি থানা সদরঘাট থানা; গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানা, কালীগঞ্জ থানা, বাসন থানা, কোনাবাড়ী থানা, গাছা থানা, টঙ্গী পূর্ব থানা টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা আড়াইহাজার উপজেলার অন্তর্গত সকল মৌজা

 

প্রতি বর্গ মিটারে ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকা

প্রতি বর্গ মিটারে ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা

ক্রমিক নং হইতে এর অন্তর্গত নহে কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন অন্য কোনো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা সদরে অবস্থিত সকল পৌরসভার অন্তর্গত সকল মৌজা

 

প্রতি বর্গ মিটারে ১০০০ (এক হাজার) টাকা

প্রতি বর্গ মিটারে ২০০০ (দুই হাজার) টাকা

ক্রমিক নং হইতে এর অন্তর্গত নহে এইরূপ অন্য যেকোনো পৌরসভার অন্তর্গত সকল মৌজা

প্রতি বর্গ মিটারে ৮৫০ (আট শত পঞ্চাশ) টাকা

প্রতি বর্গ মিটারে ১০০০ (এক হাজার) টাকা

 

ক্রমিক নং হইতে এর অন্তর্গত নহে এইরূপ অন্য যেকোনো এলাকার সকল মৌজা

প্রতি বর্গ মিটারে ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা

প্রতি বর্গ মিটারে ৩০ (তিনশত) টাকা

 

সারণী-২

ক্রমিক নং

পরিসম্পদের বর্ণনা

করহার

()

()

()

সিকিউরিটিজ, নগদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, আর্থিক স্কিম ইনস্ট্রুমেন্ট (financial schemes and instruments), সকল প্রকার ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিট

 

মোট পরিসম্পদের ১৫% (পনেরো শতাংশ)

সারণী- এর ক্রমিক নং এবং সারণী- উল্লিখিত হয় নাই এইরূপ যেকোনো প্রকারের পরিসম্পদের ক্ষেত্রে

 

পরিসম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্যের ১৫% (পনেরো শতাংশ)

 

(২) এই অনুচ্ছেদের অধীন কর পরিশোধের ক্ষেত্রে—

(ক) ২০২২-২০২৩ আয়বর্ষ ও উহার পূর্বের আয়বর্ষসমূহের অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শন করা যাইবে;

(খ) ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য দাখিলকৃত রিটার্নের সম্পদ বিবরণী বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, রিটার্নের সহিত দাখিলকৃত পরিসম্পদ ও দায়ের বিবৃতিতে বা স্থিতিপত্রে পরিসম্পদ প্রদর্শন করিতে হইবে;

(গ) সারণী-১ এর (৩) নং কলামে উল্লিখিত করহার ১০০% (একশত শতাংশ) অধিক হইবে যদি উক্তরূপ স্থাপনা, বাড়ি অথবা ফ্লোর স্পেস বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়;

(ঘ) এই অনুচ্ছেদের অধীন পরিশোধিত কর ২০২৫-২০২৬ করবর্ষে প্রযোজ্যতা অনুযায়ী নিট পরিসম্পদ হইতে বাদ যাইবে;

(ঙ) স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভবন এবং ভূমির জন্য প্রযোজ্য কর পরিশোধ করিতে হইবে;

(চ) প্রদেয় কর কেবল এ-চালান এর মাধ্যমে পরিশোধ করিতে হইবে;

(ছ) প্রদর্শিত পরিসম্পদের বিপরীতে সারণী-১ ও সারণী-২ মোতাবেক পরিগণিত কর ব্যতীত অন্য কোনো প্রকারের জরিমানা বা সারচার্জ বা অন্য কোনো অংক প্রদেয় হইবে না এবং ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর উক্তরূপে পরিগণিত করের সহিত প্রদেয় হইবে না;

(জ) দফা (১) এর সারণী-১ এ উল্লিখিত পরিসম্পদ প্রদর্শিত হইলে পরবর্তীকালে উক্ত পরিসম্পদের বিপরীতে এই আইনের তৃতীয় তফসিলের অধীন কোনো প্রকারের অবচয় বা অ্যামোর্টাইজেশন দাবি করা যাইবে না।

(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই অনুচ্ছেদের অধীন কর পরিশোধ করা যাইবে না, যথা:—

(ক) এই আইনের অধীন কর ফাঁকির কোনো কার্যধারা চলমান থাকিলে; বা

(খ) এই আইনের অধীন ধারা ২০০ এর অধীন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হইলে এবং উহা চলমান থাকিলে; বা

(গ) এই আইনসহ অন্য কোনো আইনের অধীন ফৌজদারী কোনো কার্যধারা চলমান থাকিলে।”।

 

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের চতুর্থ তফসিলের সংশোধন

৮৩।  উক্ত আইনের চতুর্থ তফসিলের—

(ক) অনুচ্ছেদ ২ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ অনুচ্ছেদ ২ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“২। জীবন বিমা ব্যবসার মুনাফা ও লাভ গণনা।—পেনশন এবং অ্যানুইটি ব্যবসা ব্যতীত, জীবন বিমা ব্যবসার মুনাফা ও লাভ নিম্নবর্ণিতভাবে পরিগণিত হইবে, যথা:—

ক ও খ- এই দুইয়ের মধ্যে যেটি অধিক, যেখানে,

ক = ট - ঠ, যেখানে,

ট = সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষের সর্বমোট বহিঃস্থ প্রাপ্তি;

ঠ = সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষের সকল অনুমোদিত ব্যবস্থাপনা ব্যয় যাহা ত + থ + দ +ধ নিয়মে পরিগণিত অংককে অতিক্রম করিতে পারিবে না, যেখানে,

ত = একক প্রিমিয়ামের জীবন বিমা পলিসির ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে প্রাপ্ত প্রিমিয়ামের ৭.৫% (সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ);

থ = প্রথম বৎসরে বার্ষিক প্রিমিয়ামের সংখ্যা ১২ (বারো) টির কম এইরূপ অন্যান্য জীবন বিমা পলিসির ক্ষেত্রে অথবা ১২ (বারো) বৎসরের কম সময়ব্যাপী বার্ষিক প্রিমিয়াম পরিশোধযোগ্য এইরূপ জীবন বিমা পলিসির ক্ষেত্রে এইরূপ প্রতিটি প্রথম বৎসরের প্রিমিয়াম বা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি আয়বর্ষের প্রাপ্ত প্রিমিয়ামের ৭.৫% (সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ);

দ = অন্যান্য সকল জীবন বিমা পলিসির ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে প্রাপ্ত প্রথম বৎসরের প্রিমিয়ামের ৯০% (নব্বই শতাংশ);

ধ = সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে প্রাপ্ত সকল নবায়নকৃত প্রিমিয়ামের ১২% (বারো শতাংশ);

খ = (প - ফ + ব + ভ) ÷ ম, যেখানে,

প = নিম্নবর্ণিত তিনটি বিকল্পের যেটি প্রযোজ্য হয়, যথা:—

(অ) যেই করবর্ষের কর নির্ধারণ হইবে সেই করবর্ষের জন্য অ্যাকচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশন হইতে প্রাপ্ত উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি; বা

(আ) যেইক্ষেত্রে (অ) অনুযায়ী উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি নির্ধারণ সম্ভব নহে, সেইক্ষেত্রে বিবেচ্য করবর্ষের অব্যবহিত পূর্ববর্তী বৎসরের জন্য অ্যাকচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশন হইতে প্রাপ্ত উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি; বা

(ই) যেইক্ষেত্রে (অ) বা (আ) অনুযায়ী উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি নির্ধারণ সম্ভব নহে, সেইক্ষেত্রে সর্বশেষ আন্তঃমূল্যায়নকালের (intervaluation period) জন্য অ্যাকচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশন হইতে প্রাপ্ত উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি;

ফ = যেই করবর্ষের কর নির্ধারণ করা হইবে সেই করবর্ষের জন্য বিবেচ্য অ্যাকচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত পূর্ববর্তী সময়ের আনীত (brought forward) উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি;

ব = উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি সংশ্লিষ্ট সময়ে কোনো অন্তবর্তীকালীন বা চূড়ান্ত (interim or terminal) বোনাস, উহা যেই প্রকারের হউক না কেন, পরিশোধ করা হইলে উক্তরূপ অংক;

ভ = উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি সংশ্লিষ্ট সময়ে ধারা
৪৯-৫৫ এর বিধানাবলির অধীন অননুমোদনযোগ্য বিয়োজনের সমষ্টি;

ম = ১ (এক), বা যেইক্ষেত্রে আন্তঃমূল্যায়নকাল একাধিক বৎসরের হয় এবং প পরিগণনায় গৃহীত হয় সেইক্ষেত্রে আন্তঃমূল্যায়নকালের বৎসরসমূহের সমষ্টি।”;

(খ) অনুচ্ছেদ ৬ এর উপ-অনুচ্ছেদ (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-অনুচ্ছেদ (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(২) কোনো বৎসরে ব্যতিক্রমী ক্ষতি মিটাইতে কোনো কোম্পানির পরিমাণ অর্থ উপ-অনুচ্ছেদ (১) এর অধীন নিরূপিত মুনাফার স্থিতি হইতে বিয়োজন করিতে পারিবে, যেখানে,-

র = উক্ত বৎসরে কোনো কোম্পানির প্রিমিয়াম উদ্ভূত আয়ের অনধিক ১০% (দশ শতাংশ)।”।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের পঞ্চম তফসিলের অংশ ১ এর সংশোধন

৮৪।  উক্ত আইনের পঞ্চম তফসিলের অংশ ১ এর অনুচ্ছেদ ৩ বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের ষষ্ঠ তফসিলের সংশোধন

৮৫।   উক্ত আইনের ষষ্ঠ তফসিলের—

(ক) শিরোনামে উল্লিখিত “ধারা ৭৬” শব্দ ও সংখ্যার পর “, ৭৭ ও ৭৮” কমা, সংখ্যাগুলি ও শব্দ সন্নিবেশিত হইবে;

(খ) অংশ ১ এর—

(অ) দফা (১২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(১২) যেকোনো দান বা অনুদান যদি উহা—

(ক) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা কর কমিশনার কর্তৃক অনুমোদিত দাতব্য উদ্দেশ্য পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে ব্যয়িত হয়; বা

(খ) এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত হয়;”;

(আ) দফা (১৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(১৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো সত্তার ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা হইতে উদ্ভূত সার্ভিস চার্জ:

(ক) আইন দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত উক্তরূপ সার্ভিস চার্জ কেবল মাইক্রোক্রেডিট হিসাবে আবর্তিত হইতে হইবে; এবং

(খ) মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত উক্তরূপ সত্তা কেবল ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা ব্যতীত অন্য কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হইতে পারিবে না;

(গ) উপ-দফা (খ) তে বর্ণিত শর্ত করবর্ষ ২০২৬-২০২৭ হইতে প্রযোজ্য হইবে;

(ঘ) কোনো করবর্ষে যতটুকু অনাবর্তিত হইবে কেবল ততটুকুই করযোগ্য হইবে;

ব্যাখ্যা।— এই দফার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, “সার্ভিস চার্জ” অর্থ বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের অধীন ঋণকৃত অর্থের জন্য ঋণ গ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধকৃত বা প্রদেয় যেকোনো আর্থিক চার্জ বা সুদ বা মুনাফার শেয়ার, যে নামেই অভিহিত হউক না কেনো;”;

(ই) দফা (১৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

(১৫) ট্রাস্টের সুবিধাভোগী বা তহবিলের অংশগ্রহণকারী কর্তৃক ট্রাস্ট বা তহবিলের আয়ের অংশ হিসাবে প্রাপ্ত আয়ের অংশ যাহার উপর উক্ত ট্রাস্ট বা তহবিল কর্তৃক কর পরিশোধ করা হইয়াছে;”;

(ঈ) দফা (২১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (২১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

(২১) ১ জুলাই, ২০২৪ হইতে ৩০ জুন, ২০২৭ পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত কোনো ব্যবসা হইতে উদ্ভূত কোনো নিবাসী ব্যক্তি বা অনিবাসী বাংলাদেশি স্বাভাবিক ব্যক্তির আয়, যথা:—

(ক) এআই বেজড্‌ সলিউশন ডেভেলপমেন্ট (AI based solution development);

(খ) ব্লকচেইন বেজড্‌ সলিউশন ডেভেলপমেন্ট (blockchain based solution development);

(গ) রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং (robotics process outsourcing);

(ঘ) সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস (software as a service);

(ঙ) সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস (cyber security service);

(চ) ডিজিটাল ডেটা এনালাইটিক্স ও ডেটা সাইয়েন্স (digital data analytics and data science);

(ছ) মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস (mobile application development service);

(জ) সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন (software development and customization);

(ঝ) সফটওয়্যার টেস্ট ল্যাব সার্ভিস (software test lab service);

(ঞ) ওয়েব লিস্টিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস (web listing, website development and service);

(ট) আইটি সহায়তা ও সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিস (IT assistance and software maintenance service);

(ঠ) জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (geographic information service);

(ড) ডিজিটাল এনিমেশন ডেভেলপমেন্ট (digital animation development);

(ঢ) ডিজিটাল গ্রাফিক্স ডিজাইন (digital graphics design);

(ণ) ডিজিটাল ডেটা এন্ট্রি ও প্রসেসিং (digital data entry and processing);

(ত) ই-লার্নিং প্লাটফর্ম ও ই-পাব্লিকেশন (e-learning platform and e-publication);

(থ) আইটি ফ্রি ল্যান্সিং (IT freelancing);

(দ) কল সেন্টার সার্ভিস (call center service);

(ধ) ডকুমেন্ট কনভারশন, ইমেজিং ও ডিজিটাল আর্কাইভিং (document conversion, imaging and digital archiving):

তবে শর্ত থাকে যে, ০১, জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে উক্ত ব্যবসায়ের সকল আয়, ব্যয় ও বিনিয়োগ শতভাগ ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে সম্পন্ন করিতে হইবে;”;

(উ) দফা (২৮) এ উল্লিখিত “বা কোনো আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারিগণের কোনো পেশাজীবী সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত কোনো পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান (প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট)” শব্দগুলি ও বন্ধনী বিলুপ্ত হইবে।

(ঊ) দফা (৩৪) এর পর প্রান্তঃস্থিত “।” দাঁড়ির পরিবর্তে “;” সেমিকোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (৩৫) ও (৩৬) সংযোজিত হইবে, যথা:-

(৩৫) স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা বা সন্তানের নিকট হইতে দান হিসাবে গৃহীত কোনো পরিসম্পদ যদি উহা দাতা ও গ্রহীতার রিটার্নে প্রদর্শিত হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে উক্ত দান বিদেশ হইতে বাংলাদেশে অবস্থিত গ্রহীতার নিকট ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রেরিত হয় সেইক্ষেত্রে দাতার রিটার্নে প্রদর্শনের শর্ত প্রযোজ্য হইবে না;

(৩৬) কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকার কোনো মূলধনি আয়, যাহা-

(ক) তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বা তহবিলের শেয়ার বা ইউনিট হস্তান্তর হইতে অর্জিত হইয়াছে; এবং

(খ) কোনো কোম্পানি বা তহবিলের স্পনসর, ডিরেক্টর বা প্লেসমেন্ট শেয়ার বা ইউনিট হস্তান্তর হইতে অর্জিত নহে।”।

(গ) অংশ ২ এর—

(অ) শিরোনাম “মোট আয় হইতে বিয়োজন” এর পরিবর্তে “মোট আয় পরিগণনা হইতে বিয়োজন” শিরোনামটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(আ) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত “মোট আয় হইতে বিয়োজন” শব্দগুলির পরিবর্তে “মোট আয় পরিগণনা হইতে বিয়োজন” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঘ) অংশ ৩ এর—

(অ) অনুচ্ছেদ ১ এ দুইবার উল্লিখিত “স্বাভাবিক” শব্দটির পর “ব্যক্তি” শব্দটি সন্নিবেশিত হইবে;

(আ) অনুচ্ছেদ ২ এর উপ-অনুচ্ছেদ (৫) এ উল্লিখিত “বা” শব্দটির পরিবর্তে “এবং” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঙ) অংশ ৪ এর অনুচ্ছেদ ৩ ও ৪ বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ১২ নং আইনের সপ্তম তফসিলের সংশোধন

৮৬।  উক্ত আইনের সপ্তম তফসিলের—

(ক) অনুচ্ছেদ ১ এর-

(অ) উপ-অনুচ্ছেদ (ক) তে উল্লিখিত “কোম্পানি” শব্দটির পর “, তহবিল ও ট্রাস্ট” কমা ও শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(আ) উপ-অনুচ্ছেদ (খ) তে উল্লিখিত “কোম্পানি” শব্দটির পর “, তহবিল ও ট্রাস্ট” কমা ও শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(খ) অনুচ্ছেদ ৩ এর পর নিম্নরূপ নূতন অনুচ্ছেদ ৪ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—

“৪। ধারা ১৬৬ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলে বাধ্য নহে এইরূপ কোনো কোম্পানি কর্তৃক প্রাপ্ত যেকোনো প্রকারের গ্রস আয়ের উপর ২০% (বিশ শতাংশ) হারে করারোপিত হইবে এবং বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত লিখিত আদেশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে পরিশোধিত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে,—

(১) নিম্নবর্ণিত আয়সমূহ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:—

(ক) করমুক্ত কোনো আয়;

(খ) কোনো দান বা অনুদান;

(গ) কোনো প্রকারের কর, খাজনা ও শুল্ক;

(২) বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনা নেই এইরূপ কোম্পানির ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।”।

২০২৪ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ করবর্ষের আয়কর, সারচার্জ ও কর রেয়াত

৮৭।  (১) উপ-ধারা (৩) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ করবর্ষের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই আইনের তফসিল-২ এর প্রথম অংশে নির্দিষ্ট করহার অনুযায়ী আয়কর ধার্য হইবে।

(২) যে সকল ক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর তফসিল প্রযোজ্য হইবে, সেই সকল ক্ষেত্রে আরোপণযোগ্য কর উক্ত তফসিল অনুসারেই ধার্য করা হইবে, কিন্তু করহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রয়োগ করিতে হইবে।

(৩) আয়কর আইন, ২০২৩ এর অংশ ৭ অনুসারে কর কর্তনের নিমিত্ত বর্ণিত হার বা অগ্রিম কর পরিশোধের হার ২০২৪ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ আয়বর্ষে হইতে প্রযোজ্য হইবে।

(৪) এই ধারায় এবং এই ধারার অধীন আরোপিত আয়কর হারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত “মোট আয়” অর্থ আয়কর আইন, ২০২৩ এর বিধান অনুসারে নিরূপিত মোট আয়।

(৫) আয়কর আইন, ২০২৩ এর আওতায় ২০২৪ সালের ১ জুলাই হইতে আরদ্ধ করবর্ষের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে তফসিল-২ এর দ্বিতীয় অংশে ও তৃতীয় অংশে নির্দিষ্ট হার অনুযায়ী সারচার্জ ধার্য হইবে।

(৬) আয়কর আইন, ২০২৩ এর আওতায় ২০২৪ সালের ১ জুলাই হইতে আরদ্ধ করবর্ষের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে তফসিল-২ এর চতুর্থ অংশে নির্দিষ্ট হার অনুযায়ী কর রেয়াত প্রদান করা হইবে।

(৭) এই আইনের ধারা ৫৪ এর দফা (ক) ও (খ) এর বিধানাবলির ফলে উদ্ভূত ন্যূনতম করদায় ১ জুলাই, ২০২৪ তারিখে আরদ্ধ করবর্ষ হইতে প্রযোজ্য হইবে না।

২০২৫ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ করবর্ষের আয়কর, সারচার্জ ও কর রেয়াত

৮৮।  (১) আয়কর আইন, ২০২৩ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, ২০২৫ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ করবর্ষের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই আইনের তফসিল-৩ এর প্রথম অংশে নির্দিষ্ট করহার অনুযায়ী আয়কর ধার্য হইবে।

(২) এই ধারায় এবং এই ধারার অধীন আরোপিত আয়কর হারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত “মোট আয়” অর্থ আয়কর আইন, ২০২৩ এর বিধান অনুসারে নিরূপিত মোট আয়।

(৩) আয়কর আইন, ২০২৩ এর আওতায় ২০২৫ সালের ১ জুলাই হইতে আরদ্ধ করবর্ষের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে তফসিল-৩ এর দ্বিতীয় অংশে ও তৃতীয় অংশে নির্দিষ্ট হার অনুযায়ী সারচার্জ ধার্য হইবে।

(৪) আয়কর আইন, ২০২৩ এর আওতায় ২০২৫ সালের ১ জুলাই হইতে আরদ্ধ করবর্ষের জন্য কোনো কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে তফসিল-৩ এর চতুর্থ অংশে নির্দিষ্ট হার অনুযায়ী কর রেয়াত প্রদান করা হইবে।

(৫) এই আইনের তফসিল-৩ এর নিমিত্ত আয়কর আইন, ২০২৩ এর অংশ ৭ অনুসারে কর পরিশোধের বিধানাবলি ২০২৪ সালের ১ জুলাই তারিখে আরদ্ধ আয়বর্ষ হইতে প্রযোজ্য হইবে।

(৬) এই আইনের ধারা ৫৪ এর দফা (ক) ও (খ) এর বিধানাবলির ফলে উদ্ভূত ন্যূনতম করদায় ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে আরদ্ধ করবর্ষ হইতে প্রযোজ্য হইবে।

পঞ্চম অধ্যায়

কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন) এর সংশোধন

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৪ এর সংশোধন

৮৯।   কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৪ এ উল্লিখিত “সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত প্রজ্ঞাপনে” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে “আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে” শব্দগুলি ও কমা প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৬ এর সংশোধন

৯০। উক্ত আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) ও (১ক) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বা ক্ষেত্রমত, সদস্য (কাস্টমস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন।

(১ক) বোর্ড, আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তাকে তাহার অব্যবহিত উচ্চতর পদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৩২ এর সংশোধন

৯১।  উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত “অবহিতকরণের” শব্দের পরিবর্তে “পরিশোধের” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৪১ এর সংশোধন

৯২।   উক্ত আইনের ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত গ্যারান্টিসমূহের মধ্যে কোন্ প্রকারের গ্যারান্টি প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত গ্যারান্টি কোন্ নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বহাল রাখিতে হইবে, উহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৪৪ এর সংশোধন

৯৩।  উক্ত আইনের ধারা ৪৪ এর—

(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “(১)” সংখ্যা ও বন্ধনী বিলুপ্ত হইবে; এবং

(খ) উপ-ধারা (২) বিলুপ্ত হইবে।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৮৬ এর সংশোধন

৯৪।  উক্ত আইনের ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে, যথা:—

“(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১১২ এ বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কাস্টমস এলাকা হইতে পণ্য অপসারণের পর পণ্যের পরিমাণ, মূল্য এবং বর্ণনা সংশোধন করা যাইবে না।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৯৪ এর সংশোধন

৯৫।  উক্ত আইনের ধারা ৯৪ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(২) কোনো পণ্য সরকারের নিকট হস্তান্তরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত পণ্য নিম্নবর্ণিত কারণে কাস্টমস বন্দর অথবা স্থল কাস্টমস স্টেশন অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ-কন্টেইনার টার্মিনালে পণ্য নামাইবার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অথবা কাস্টমস বিমানবন্দরে পণ্য নামাইবার তারিখ হইতে ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে, বা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে, ছাড় করা বা জাহাজীকরণ না হয়—

(ক) সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারকের কারণে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত পণ্য পরীক্ষার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা পরীক্ষা করা সম্ভব না হইলে;

(খ) সংশ্লিষ্ট পণ্য অনুরোধকৃত কাস্টমস পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত বা ছাড় করিবার পূর্বে অবশ্য উপস্থাপনীয় দলিল উপস্থাপন না করিলে; বা

(গ) শুল্ক ও কর পরিশোধ বা এতদ্‌সংক্রান্ত কোনো গ্যারান্টি প্রদানের ক্ষেত্রে, উহা পরিশোধ বা প্রদান করা না হইলে।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ১৭১ এর সংশোধন

৯৬।   উক্ত আইনের ধারা ১৭১ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে, যথা:—

“(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা কতিপয় অপরাধ চিহ্নিত এবং উক্ত অপরাধের জন্য জরিমানা আরোপ করা যাইবে, এবং এইরূপ জরিমানার পরিমাণ উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সবোর্চ্চ জরিমানার অধিক হইতে পারিবে না।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ২০২ এর সংশোধন

৯৭।  উক্ত আইনের ধারা ২০২ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে, যথা:—

“(৪) উচ্চতর পদে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপ-ধারা (১) এর টেবিলে উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট উচ্চতর পদের জন্য নির্ধারিত ন্যায়নির্ণয়ন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ২২৭ এর সংশোধন

৯৮।  উক্ত আইনের ধারা ২২৭ এর উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(৫) আপিলকারী, বিচারাধীন কোনো আপিল মামলায়, আপিলাধীন কোনো আদেশ স্থগিত চাহিয়া অথবা কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ চাহিয়া আপিল ট্রাইব্যুনালের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং সে মোতাবেক আপিল ট্রাইব্যুনাল উক্ত আবেদন বিবেচনা করত উহার উপর আইনানুগ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ২২৯ এর সংশোধন

৯৯।   উক্ত আইনের ধারা ২২৯ এ উল্লিখিত “ধারা ২২৮” শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে “ধারা ২২৭” শব্দ ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ২৫২ এর সংশোধন

১০০।   উক্ত আইনের ধারা ২৫২ এ উল্লিখিত “সিদ্ধান্তের বৈধতা বা যথার্থতা নিরূপণের উদ্দেশ্যে” শব্দগুলির পরিবর্তে “সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিপরীতে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ২৬১ এর সংশোধন

১০১।   উক্ত আইনের ধারা ২৬১ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (গ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—

“(গ) কোনো আদালত বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সংস্থার সম্মুখে প্রমাণক হিসাবে উপস্থাপন:

তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কোনো দলিলাদি প্রমাণক হিসাবে উপস্থাপনের বিষয়ে আমলি আদালত আদেশ করিবে কেবল সেইক্ষেত্রে উক্তরূপ প্রয়োজনীয় কোনো দলিলাদি প্রমাণক হিসাবে উপস্থাপনযোগ্য হইবে; বা”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনে ধারা ২৬৪ক এর সন্নিবেশ

১০২।  উক্ত আইনের ধারা ২৬৪ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ২৬৪ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—

“২৬৪ক। বিশেষায়িত কার্যকরী ইউনিট।— এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিশেষ কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য এক বা একাধিক বিশেষায়িত কার্যকরী ইউনিট গঠন করিতে পারিবে, উহাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাস্টমস কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্দিষ্ট করিতে পারিবে।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ২৬৫ এর সংশোধন

১০৩।  উক্ত আইনের ধারা ২৬৫ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “কোনো ওয়্যারহাউস এর কার্যক্রম” শব্দগুলির পরিবর্তে “এই আইনের অধীন যেকোনো কার্যক্রম” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনে ধারা ২৭০ এর সংযোজন

১০৪।  উক্ত আইনের ধারা ২৬৯ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ২৭০ সংযোজিত হইবে, যথা:—

“২৭০। Customs Act, 1969 এর উল্লেখ রহিয়াছে এইরূপ আইন, বিধি, ইত্যাদির সংশোধন।—আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এইরূপ কার্যকরতার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ কোনো আইন, বিধি, প্রবিধান, প্রজ্ঞাপন, আদেশ কিংবা দলিলে উল্লিখিত “Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969)” এর পরিবর্তে “কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন)” প্রতিস্থাপিত হইবে এবং উক্ত আইন, বিধি, প্রবিধান, প্রজ্ঞাপন, আদেশ কিংবা দলিলে উল্লিখিত Customs Act, 1969 এর কোনো বিধানের রেফারেন্স থাকিলে উহার পরিবর্তে উক্ত বিধানের বিষয়বস্তুর প্রতিফলনে যে বিধান এই আইনে সংযোজিত হইয়াছে উহা ব্যাখ্যাত (construed) হইবে।”।

২০২৩ সনের ৫৭ নং আইনের প্রথম তফসিল

১০৫।   এই আইনের তফসিল-১ এ উল্লিখিত প্রথম তফসিল (পৃথকভাবে মুদ্রিত) হইবে উক্ত আইনের প্রথম তফসিল।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs