প্রিন্ট ভিউ

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫

( ২০২৫ সনের ২৯ নং অধ্যাদেশ )

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২ সংশোধনকল্পে প্রণীত

অধ্যাদেশ

যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ১৫ নং আইন) এর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং

যেহেতু সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;

সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন:

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই অধ্যাদেশ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের প্রস্তাবনার সংশোধন

২। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ১৫ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর প্রস্তাবনায় উল্লিখিত “জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করিবার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গঠন করিবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের” শব্দগুলির পরিবর্তে “জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী পরিবারের” শব্দগুলি ও কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন

৩। উক্ত আইনের ধারা ২ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ২ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“২। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই অধ্যাদেশে-

(১) “উপদেষ্টা পরিষদ” অর্থ ধারা ৯ এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ;

(২) “কাউন্সিল” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা);

(৩) “খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা” অর্থ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম বা বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা;

(৪) “চেয়ারম্যান” অর্থ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান;

(৫) “তফসিলি ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (President's Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank;

(৬) “নিবন্ধক” অর্থ ধারা ১৩ এ উল্লিখিত নিবন্ধক;

(৭) “প্রধান উপদেষ্টা” অর্থ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা;

(৮) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(৯) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(১০) “বীর মুক্তিযোদ্ধা” অর্থ যাঁহারা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন এবং যে সকল ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করিয়া ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাঁহাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করিয়াছিলেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের এই দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক উক্ত সময়ে যাঁহাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে; এবং সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই.পি.আর), পুলিশ বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্য এবং বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত নাগরিকগণও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবেন, যথা:-

(ক) হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাহাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত সকল নারী (বীরাঙ্গনা); এবং

(খ) মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফিল্ড হাসপাতালের সকল ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা-সহকারী;

(১১) “মহাপরিচালক” অর্থ কাউন্সিলের মহাপরিচালক;

(১২) “মুক্তিযুদ্ধ” অর্থ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষায় হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ;

(১৩) “মুক্তিযোদ্ধা পরিবার” অর্থ কোনো মুক্তিযোদ্ধার স্বামী বা স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা ও মাতা;

(১৪) “মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য” অর্থ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ এপ্রিল তারিখে মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য (Equality), মানবিক মর্যাদা (Human Dignity) ও সামাজিক ন্যায়বিচার (Social Justice) নিশ্চিতকল্পে নির্ধারিত লক্ষ্য;

(১৫) “মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী” অর্থ যাঁহারা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে উদ্দীপিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করিবার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্তিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে নিম্নবর্ণিত যেসকল বাংলাদেশের নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করিয়াছেন, যথা:-

(ক) যেসকল বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রাখিয়াছিলেন এবং যেসকল বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করিয়াছিলেন;

(খ) যেসকল ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত এবং উক্ত সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স বা অন্যান্য সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়াছিলেন;

(গ) মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সহিত সম্পৃক্ত সকল এম. এন. এ (Member of National Assembly) বা এম. পি. এ (Member of Provincial Assembly) যাঁহারা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য (Member of Constituent Assembly) হিসাবে গণ্য হইয়াছিলেন;

(ঘ) স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সকল শিল্পী ও কলা-কুশলী এবং দেশ ও দেশের বাহিরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সকল বাংলাদেশি সাংবাদিক; এবং

(ঙ) স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল;

(১৬) “মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী পরিবার” অর্থ কোনো মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর স্বামী বা স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা ও মাতা;

(১৭) “যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা” অর্থ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধে আহত হইয়াছেন এইরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা, যাঁহার শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে; এবং

(১৮) “শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা” অর্থ এইরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিয়া শহিদ হইয়াছেন।”।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ৫ এর সংশোধন

৪। উক্ত আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর-

(ক) দফা (ক) এ তিনবার উল্লিখিত “মন্ত্রী” শব্দটির পরিবর্তে “মন্ত্রী বা উপদেষ্টা” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং

(খ) দফা (গ) এ উল্লিখিত-

(অ) “বীর মুক্তিযোদ্ধা,” শব্দগুলি ও কমার পর “মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী,” শব্দগুলি ও কমা সন্নিবেশিত হইবে; এবং

(আ) “মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী পরিবারের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ৬ এর সংশোধন

৫। উক্ত আইনের ধারা ৬ এর-

(ক) দফা (খ) এ উল্লিখিত “মুক্তিযোদ্ধাদের” শব্দটির পর “ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(খ) দফা (গ) এ উল্লিখিত “কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নহে” শব্দগুলির পরিবর্তে “কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী যথাক্রমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী নহে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) দফা (ঘ) এ উল্লিখিত “মুক্তিযোদ্ধাদের” শব্দটির পর “বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

দফা (ঙ) এ উল্লিখিত-

(অ) “, মুজাহিদ বাহিনী” কমা ও শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে; এবং

(আ) “সনের” শব্দটির পরিবর্তে “খ্রিষ্টাব্দের” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঙ) দফা (চ) এ উল্লিখিত “বীর মুক্তিযোদ্ধা” শব্দগুলির পর “বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(চ) দফা (ছ) এ উল্লিখিত “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ছ) দফা (জ) এ উল্লিখিত “মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা সমুন্নত রাখা ও কার্যকর করিবার লক্ষ্যে” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(জ) দফা (ঝ), (ঞ), (ট) ও (ত) এ উল্লিখিত “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(ঝ) দফা (ঢ) এ উল্লিখিত “উভয় প্রকার” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে; এবং

(ঞ) দফা (ণ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ণ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(ণ) মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বাতিলকৃত বা অবলুপ্ত কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ, বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অ্যাডহক কমিটি গঠন;”।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধন

৬। উক্ত আইনের ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর-

(ক) দফা (ক) এ উল্লিখিত “প্রধানমন্ত্রী” শব্দটির পর “বা প্রধান উপদেষ্টা” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(খ) দফা (খ) এ উল্লিখিত “মন্ত্রী” শব্দটির পর “বা উপদেষ্টা” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে; এবং

(গ) দফা (গ) এ উল্লিখিত-

(অ) “বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা” শব্দগুলির পর “বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে, এবং

(আ) “মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী পরিবারের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের খারা ১১ এর সংশোধন

৭।  উক্ত আইনের ধারা ১১ এর উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত “মন্ত্রী” শব্দটির পরিবর্তে “মন্ত্রী বা উপদেষ্টা বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ১৩ এর সংশোধন

৮। উক্ত আইনের ধারা ১৩ এর উপান্তটিকা এবং উপ-ধারা (১), (২), (৩) ও (৪) এ উল্লিখিত “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ১৪ এর সংশোধন

৯। উক্ত আইনের ধারা ১৪ এর-

(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত-

(অ) “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং

(আ) “বাতিল” শব্দটির পর “বা অবলুপ্ত” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (৪) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোনো সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল বা অবলুপ্ত করা হইলে কাউন্সিল উক্ত সংগঠন পরিচালনার জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে, বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ ১১ (এগারো) সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।”; এবং

(ঘ) উপ-ধারা (৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৫) সংযোজিত হইবে, যথা:-

“(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক বা গঠিত অ্যাডহক কমিটি নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তরের পূর্ব পর্যন্ত সকল দায়িত্ব পালন করিতে পারিবে।”।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ১৫ এর সংশোধন

১০। উক্ত আইনের ধারা ১৫ এর উপান্তটিকা এবং উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ১৬ এর সংশোধন

১১। উক্ত আইনের ধারা ১৬ এর উপান্তটিকা এবং উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার” শব্দগুলির পরিবর্তে “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ২১ এর সংশোধন

১২। উক্ত আইনের ধারা ২১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ২১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“২১। কাউন্সিলের তহবিল।- (১) কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে যাহা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) তহবিল নামে অভিহিত হইবে এবং উক্ত তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-

(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান, সাহায্য ও মঞ্জুরি;

(খ) কাউন্সিলের নিজস্ব আয়;

(গ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(ঘ) কোনো বিদেশি সরকার, সংস্থা বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান; এবং

(ঙ) অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।

(২) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নামে প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে একটি পারসোনাল লেজার (Personal Ledger) হিসাব (account) থাকিবে এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) তহবিলের সমুদয় অর্থ উক্ত হিসাবে জমা হইবে।

(৩) তহবিলের ব্যাংক হিসাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।

(৪) কাউন্সিলের তহবিল বা উহার অংশবিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।

(৫) সরকারের নিয়মনীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে তহবিল হইতে কাউন্সিলের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিতে হইবে।

(৬) কাউন্সিল উহার দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য কোনো তফসিলি ব্যাংকে একটি হিসাব খুলিতে পারিবে এবং উক্ত হিসাবটি সরকারি বিধি মোতাবেক পরিচালিত হইবে।”।

২০২২ সনের ১৫ নং আইনের ধারা ২৫ এর সংশোধন

১৩। উক্ত আইনের ধারা ২৫ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ২৫ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“২৫। ঋণ গ্রহণ।- (১) কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবে।

(২) কাউন্সিল উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত ঋণের জন্য কোনো তফসিলি ব্যাংকে হিসাব খুলিতে পারিবে এবং উক্ত হিসাবটি সরকারি বিধি মোতাবেক পরিচালিত হইবে।

(৩) এই ধারার অধীন গৃহীত ঋণ বিনিয়োগ করা যাইবে না বা বিনিয়োগের অংশ হইবে না।”।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs