প্রিন্ট ভিউ
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত
অধ্যাদেশ
যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬০ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং
যেহেতু সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;
সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন:-
১। (১) এই অধ্যাদেশ স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬০ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর দফা (৪৮) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৪৮ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-
“(৪৮ক) শ্লথগতির সাধারণ যানবাহন” অর্থ সড়ক, নগর বা কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এমন মানবচালিত, পশুচালিত বা প্যাডেলচালিত নিম্নগতির যানবাহন অথবা ৩ (তিন) চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিক্সা (ই-রিক্সা), যাহার কাঠামোগত নকশা এবং প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০ (ত্রিশ) কিলোমিটার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ;”।
৩। উক্ত আইন এর তৃতীয় তফসিলের ক্রমিক ১৯.২ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ক্রমিক ১৯.২ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“১৯.২. কোনো ব্যক্তি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স এবং নিবন্ধন ব্যতীত নগরীতে মোটরযান বা মোটর গাড়ী ছাড়া অন্য কোনো শ্লথগতির সাধারণ যানবাহন রাখিতে, ভাড়া দিতে বা চালাইতে পারিবেন না।”।
৪। উক্ত আইন এর পঞ্চম তফসিলের ক্রমিক (৬০) এর পর নিম্নরূপ নূতন ক্রমিক (৬০ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-
“(৬০ক) লাইসেন্স এবং নিবন্ধন ব্যতীত ই-রিক্সা চালানো, অনুমোদিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অননুমোদিত ব্যাটারি ব্যবহার, মোটর বা কাঠামো পরিবর্তন, নিষিদ্ধ এলাকায় চালানো, বিপজ্জনকভাবে চালানো, যাত্রী ব্যতীত মালামাল পরিবহন, সিগন্যাল অমান্য করা অথবা দুর্ঘটনার পর পালাইয়া যাওয়া।”।
৫। উক্ত আইন এর ষষ্ঠ তফসিলের ক্রমিক (১৯) এর পর নিম্নরূপ নূতন ক্রমিক (১৯ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-
“(১৯ক) শ্লথগতির সাধারণ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, ই-রিক্সা নকশা ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য, নির্ধারিত স্থানে ই-রিক্সায় ব্যবহৃত ব্যাটারি রিচার্জকরণ, ই-রিক্সায় ব্যবহৃত ব্যাটারি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে বিনষ্ট বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা, কর্পোরেশনের অনুমোদিত অঞ্চল বা স্থানে নিবন্ধিত ই-রিক্সা চলাচল সীমিতকরণ এবং বাস চলাচলের রুটে ই-রিক্সা নিষিদ্ধকরণ।”।