প্রিন্ট ভিউ
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত
অধ্যাদেশ
যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
যেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;
সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন:-
১। (১) এই অধ্যাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯, অত:পর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৪) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“(৪) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকিবে।”।
৩। উক্ত আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ক) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“(ক) নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান, যথা:-
(১) জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান;
(২) নাগরিকগণের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন সম্পর্কিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান;
(৩) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উদ্দেশ্যে নির্বাচনি আসনসমূহের সীমানা নির্ধারণ;
(৪) রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নির্বাচন পরিচালনাসহ উপ-নির্বাচন এবং গণভোট অনুষ্ঠান;
(৫) ভোট গ্রহণের নিমিত্ত সারাদেশে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও সরকারি গেজেটে প্রকাশ;
(৬) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রদান, প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণ, নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সহিত নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনসহ এতৎসংক্রান্ত কার্যাবলি;
(৭) প্রত্যেক নির্বাচনের জন্য সারাদেশে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থাদি গ্রহণ এবং ভোটগ্রহণের নিমিত্ত প্যানেল ও নিয়োগকৃতদের তালিকা সংরক্ষণ (যেমন- রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার, প্রভৃতি);
(৮) ব্যালট পেপারসহ সকল প্রকারের নির্বাচনি মালামাল মুদ্রণ, সরবরাহ এবং নির্বাচনের পর সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ;
(৯) রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদ, গণভোট এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ এবং প্রেরণ সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ;
(১০) প্রত্যেক নির্বাচনের ফলাফল একত্রীকরণ এবং সরকারি গেজেটে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ;
(১১) স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচনি দরখাস্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং এতৎসংক্রান্ত কার্যাদি সম্পাদন;
(১২) নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং এতদুদ্দেশ্যে সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ, একত্রীকরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণসহ তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহায়তাকরণ;
(১৩) জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পর রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং
(১৪) নির্বাচনি আইনি কাঠামো পর্যালোচনা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, পরিমার্জন ও সংযোজনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।”।