প্রিন্ট ভিউ
অর্থ সংক্রান্ত কতিপয় আইন অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ
যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, অর্থ সংক্রান্ত কতিপয় আইন সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং
যেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;
সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন:
প্রারম্ভিক
-
১। (১) এই অধ্যাদেশ অর্থ সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর সংশোধন
২। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন), এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“(১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে বা বিশেষ আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, যে কোনো পণ্য বা পণ্য শ্রেণির আমদানি বা সরবরাহ বা প্রদত্ত যে কোনো সেবাকে এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক বা আগাম কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।”।
তৃতীয় অধ্যায়
আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর সংশোধন
৩। আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ১০৬ এ উল্লিখিত “১০% (দশ শতাংশ) হারে কর কর্তন করিবেন” সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে “নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত হারে উৎসে কর কর্তন করিয়া সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিবেন, যথা:-
সারণী
|
ক্রমিক নং |
প্রাপকের ধরন |
কর কর্তনের হার |
|
(১)
|
(২) |
(৩) |
|
১। |
কোম্পানি করদাতার ক্ষেত্রে |
১৫% (পনেরো শতাংশ) |
|
২। |
কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য করদাতার ক্ষেত্রে |
১০% (দশ শতাংশ) |
শব্দগুলি, সংখ্যা, চিহ্ন ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে।
০৪। উপ-ধারা (১১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১১) ও শর্তাংশসমূহ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“(১১) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত সারণীর কলাম (২)-এ উল্লিখিত উৎস হইতে অর্জিত আয়/উৎসে কর সংগ্রহের খাত এর বিপরীতে কলাম (৩)-এ উল্লিখিত ধারার অধীন উৎসে কর্তিত বা সংগৃহীত করের পরিমাণকে কলাম (৪)-এ উল্লিখিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করবর্ষে উক্ত আয়ের জন্য চূড়ান্ত করদায় হিসাবে গণ্য করা হইবে, যথা:-
সারণী
|
ক্রমিক নং |
আয়ের উৎস/উৎসে কর সংগ্রহের খাত |
যে ধারার অধীন উৎসে কর কর্তন/ সংগ্রহযোগ্য |
যে সকল ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য
|
|
(১) |
(২) |
(৩) |
(৪) |
|
১।
|
এই আইনের ধারা ৩০ এ উল্লিখিত আয়ের খাতসমূহ
|
এই আইনের অংশ-৭ এর অন্তর্ভুক্ত সকল ধারা
|
এই আইনের ধারা ১৬৬ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ
|
|
২।
|
সঞ্চয়পত্র হইতে অর্জিত মুনাফা
|
১০৫
|
যেকোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি
|
|
৩। |
সম্পত্তির অধিগ্রহণ এর ক্ষতিপূরণ হইতে অর্জিত মূলধনি আয়
|
১১১
|
যেকোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি
|
|
৪। |
রপ্তানির বিপরীতে প্রাপ্ত নগদ ভর্তুকি
|
১১২
|
যেকোনো ব্যক্তি
|
|
৫।
|
সম্পত্তি হস্তান্তর হইতে অর্জিত মূলধনি আয়
|
১২৫
|
যেকোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি
|
|
৬।
|
বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত মোটরযান হইতে অগ্রিম কর সংগ্রহ
|
১৩৮ |
যেকোনো ব্যক্তি
|
তবে শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত সারণীর ক্রমিক নং (৬) এ বর্ণিত বিধান বাণিজ্যিকভাবে মোটরযান পরিচালনা হইতে আয়প্রাপ্ত হন শুধুমাত্র এইরূপ করদাতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে এবং এইরূপ উৎসে সংগৃহীত অগ্রিম করের উপর ভিত্তি করিয়া উক্ত করদাতার সংশ্লিষ্ট উৎসের আয় পরিগণনা করিতে হইবে:
আরো শর্ত থাকে যে, এইরূপে পরিগণিত আয়ের অধিক আয় প্রদর্শিত হইলে উক্ত অধিক প্রদর্শিত আয়ের উপর নিয়মিত হারে কর পরিশোধ করিতে হইবে”।