প্রিন্ট ভিউ

আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৯

( ১৯৮৯ সনের ১০ নং আইন )

এই আইন আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ০৮ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধের বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধের বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৯ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “আয়োডিন মিশ্রিত লবণ” বলিতে ঐ লবণকে বুঝাইবে যাহার মধ্যে জলীয় অংশের পরিমাণ উহার অশুষ্ক নমুনার ওজনের ৬.০ শতাংশের বেশী হইবে না এবং নিম্নবর্ণিত উপাদান শুষ্ক ওজনের ভিত্তিতে নিম্ন Dল্লিখিত পরিমাণে থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(অ) অন্যুন ৯৬.০ শতাংশ ওজনের সোডিয়াম ক্লোরাইড;
 
 
 
 
(আ) অনধিক ০.১ শতাংশ ওজনের পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ;
 
 
 
 
(ই) অনধিক ৩.০ শতাংশ ওজনের, সোডিয়াম ক্লোরাইড ব্যতীত, পানিতে দ্রবণীয় পদার্থ;
 
 
 
 
(ঈ) ৪.৫ হইতে ৫.০ লক্ষাংশ পরিমাণ আয়োডিন (উত্পাদনের সময়), এবং অন্যুন ২.০০ লক্ষাংশ আয়োডিন (খুচরা বিক্রয়ের সময়);
 
 
 
 
(খ) “প্যাকেট” অর্থ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক তৈরী ভোজ্য লবণের প্যাকেট;
 
 
 
 
(গ) “ব্যক্তি” বলিতে কোন কোম্পানী, সমিতি বা ব্যক্তিসমষ্টি, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, কেও বুঝাইবে;
 
 
 
 
(ঘ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(ঙ) “ভোজ্য লবণ” অর্থ মানুষের খাবার লবণ;
 
 
 
 
(চ) “লবণ কমিটি” অর্থ এই আইন অনুসারে গঠিত লবণ কমিটি৷
লবণ কমিটি
৩৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি লবণ কমিটি থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) একজন চেয়ারম্যান এবং অন্যুন পাঁচজন অন্যান্য সদস্য-সমন্বয়ে লবণ কমিটি গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) লবণ কমিটির চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহাদের নিয়োগের শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
ভোজ্য লবণ আমদানী ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ
৪৷ (১) কোন ব্যক্তি আয়োডিন মিশ্রিত লবণ ব্যতীত অন্য কোন ভোজ্য লবণ বাংলাদেশে আমদানী করিতে পারিবেন না :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ভোজ্য লবণ উত্পাদনের জন্য অথবা রাসায়নিক কারখানায় ব্যবহারের জন্য কাঁচা লবণ আমদানীর ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি আয়োডিন মিশ্রিত ভোজ্য লবণ ব্যতীত অন্য কোন ভোজ্য লবণ উত্পাদন করিতে, গুদামজাত করিতে, বিতরণ করিতে বা প্রদর্শন করিতে পারিবেন না :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য তৈরী বা উত্পাদনের জন্য অথবা রাসায়নিক কারখানায় ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ভোজ্য লবণ উত্পাদন, গুদামজাতকরণ, বিতরণ বা প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
লবণ গবেষণাগার
৫৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন গবেষণাগার বা প্রতিষ্ঠানকে লবণ গবেষণাগার হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে৷
ভোজ্য লবণ বিক্রয় সংক্রান্ত বিধিনষেধ
৬৷ (১) কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক তৈরী প্যাকেট ব্যতীত অন্য কোন প্রকারে কোন ভোজ্য লবণ বিক্রয় করিতে, গুদামজাত করিতে, বিতরণ করিতে বা প্রদর্শন করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(২) ভোজ্য লবণের প্রত্যেক প্যাকেটের উপরে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকিবে, যথা :-
 
 
 
 
(ক) উত্পাদনকারীর নাম ও ঠিকানা;
 
 
 
 
(খ) লবণের পরিমাণ এবং উহার উত্পাদন ও প্যাকেটস্থ করার তারিখ;
 
 
 
 
(গ) প্যাকেটের নম্বর;
 
 
 
 
(ঘ) সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য;
 
 
 
 
(ঙ) লবণে আয়োডিন মিশ্রিত হওয়া সম্পর্কে একটি ঘোষণা৷
 
 
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি প্যাকেটে উল্লিখিত মূল্যের অধিক মূল্যে ভোজ্য লবণ বিক্রয় করিতে পারিবেন না৷
ভোজ্য লবণ উত্পাদনকারীর নিবন্ধীকরণ
 
 
৭৷ (১) এই আইনের অধীন নিবন্ধীকৃত কোন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি ভোজ্য লবণ উত্পাদন করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(২) ভোজ্য লবণ উত্পাদনে ইচ্ছুক প্রত্যেক ব্যক্তিকে ভোজ্য লবণ উত্পাদনকারী ব্যক্তি হিসাবে নিবন্ধীকৃত হইতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় ও ফিস প্রদান করিয়া লবণ কমিটির নিকট নিবন্ধীকৃত হইতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) এই আইন প্রবর্তনের পূর্ব হইতে ভোজ্য লবণ উত্পাদনকারী কোন ব্যক্তি এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে তিনশত পঁয়ষট্টি দিনের মধ্যে এই ধারার অধীন ভোজ্য লবণ উত্পাদনকারী হিসাবে নিবন্ধীকৃত হইতে পারিবেন৷
পরিদর্শন
৮৷ সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যে কোন ভোজ্য লবণ তৈরীর কারখানা বা যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, গুদাম বা স্থানে রক্ষিত ভোজ্য লবণ পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং উহা পরীক্ষার জন্য যে কোন লবণ গবেষণাগারে পাঠাইতে পারিবেন৷
শাস্তি
৯৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক তিন বত্সরের কারাদণ্ডে বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানায় বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
১০৷ এই আইনের অধীন কোন বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধানটি লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাঁহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও সমিতি বা সংগঠনকেও বুঝাইবে;
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
১১৷ সরকারের অথবা সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিতে পারিবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১২৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, লবণ কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs