প্রিন্ট ভিউ
116[২৬ক। (১) ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে নিমণবর্ণিত পরিমাণের অধিক শেয়ার ধারণ করিবে না, যথা:-
(ক) ধারণকৃত শেয়ার বাজারমূল্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের পাঁচ শতাংশ,
(খ) উক্ত কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধনের দশ শতাংশ:
তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত দফা (ক) ও দফা (খ) এ শেয়ার ধারণের পরিমাণ আদায়কৃত মূলধনের দশ শতাংশের বেশী হইতে পারিবে না :
আরো শর্ত থাকে যে, এই আইন কার্যকর হইবার তিন বৎসরের মধ্যে প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী এমনভাবে উহার পুঁজিবাজার বিনিয়োগ কোষ পুনর্গঠন করিবে যাহাতে ধারণকৃত সকল প্রকার শেয়ার, কর্পোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের মোট বাজারমূল্য এবং পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহ বা অন্য কোন কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহে প্রদত্ত ঋণসুবিধা, এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোন প্রকার তহবিলে প্রদত্ত চাঁদার পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে উহার আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশের অধিক না হয়।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার কোন কোম্পানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকেন বা উহাতে তাহার কোন স্বার্থ থাকে, তাহা হইলে, এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসর মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর, সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার উক্ত কোম্পানীতে কোন শেয়ার ধারণ করিতে পারিবে না।
(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনূর্ধ বিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপিত হইবে এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।
২৭৷ 117[ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী,-
(ক) উহার নিজস্ব শেয়ারকে জামানত হিসাবে রাখিয়া কোন ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না;’’
(খ) ইহার কোন পরিচালককে ‘‘জামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ ব্যতীত অন্য কোনরূপ ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না বা ইহার কোন পরিচালক কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে ‘‘জামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ ব্যতীত ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না;
(গ) বিনা জামানতে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না, অথবা এই সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে কোন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান করিবে না,-
(অ) ইহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য;
(আ) এমন কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেট কোম্পানী যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা উহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য পরিচালক, মালিক বা অংশীদার রহিয়াছেন;
(ই) এমন কোন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী, যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা উহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যাহাতে উক্ত ব্যক্তিদের এমন পরিমাণ শেয়ার থাকে যাহা দ্বারা তাহারা অন্যূন বিশ শতাংশ ভোটদান ক্ষমতার অধিকারী হন।]
(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পরিচালক ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন ব্যতিরেকে, কোন 118[ ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা] প্রদান করিবে না,-
(ক) উহার কোন পরিচালক, বা
(খ) এমন কোন ব্যক্তি, বাণিজ্য-প্রতিষ্ঠান, কোন কোম্পানী, যাহার সহিত বা যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক-অংশীদার, পরিচালক বা জামীনদাতা হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে৷
ব্যাখ্যা৷- এই 119[ ধারায়] ‘পরিচালক' বলিতে পরিচালরে স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, 120[ পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, 121[ এবং ঐ পরিচালকের উপর নির্ভরশীল সকলকে]] বুঝাইবে৷
(৩) [ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১৯ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]
(৪) 122[ প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক], প্রত্যেক মাস শেষ হওয়ার পূর্বে, উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে, এবং উক্ত বিবরণীতে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকিবে,-
(ক) এমন কোন প্রাইভেট বা পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক উক্ত কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন; এবং
(খ) এমন পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি বা জামিনদার হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন দাখিলকৃত কোন বিবরণী পরীতগান্ত্মে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার আমানতকারীগণের স্বার্থ হানি করিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত আদেশ দ্বারা এই প্রকার আর কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান না করার জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপ ঋণ বা অগ্রিম প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে, এবং উক্ত আদেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই প্রকার প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম আদায় নিশ্চিত করিবার জন্যও উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৪৪৷ (১) কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্বেও, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময়ে উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তার দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানী ও উহার খাতাপত্র এবং হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে এবং 177[***] এবং এইরূপ পরিদর্শন সমাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিবে৷
(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্বেও, এবং উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ন না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় ইহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর খাতাপত্র ও হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করাইতে পারিবে এবং 178[বাংলাদেশ ব্যাংক আবশ্যক মনে করিলে উক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্ত্ততকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিত পারিবে] ৷
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক ও তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর খাতাপত্র, হিসাব বা অন্যান্য দলিল দাখিল করা এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কে কোন বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা বহিরাগত নিরীক্ষকের দায়িত্ব হইবে৷
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর যে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা ইহার বহিরাগত নিরীক্ষককে শপথ পাঠ করাইয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বিষয়াবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
179[(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন কোন পরিদর্শন বা পরীক্ষাকার্য সম্পন্ন করার পর উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনান্তে যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিত আদেশ দ্বারা-
(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;
(খ) ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের উদ্দেশ্যে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে;
(গ) আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেইরূপ সংগত মনে করে সেইরূপ আদেশ প্রদান কিংবা কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।]
180[(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদানের পর, তৎকর্তৃক প্রস্ত্ততকৃত প্রতিবেদন বা উহার অংশ বিশেষ প্রকাশ করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী’’ বলিতে-
(ক) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখাকে বুঝাইবে; এবং
(খ) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের ভিতরে বা বাহিরে অবস্থিত উহার সকল শাখা ও সাবসিডিয়ারী কোম্পানীকে বুঝাইবে।]
(৭) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী দাবী করে যে, কোন আদালত, বা বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত, অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তলবকৃত কোন বিবরণ বা তথ্য এমন গোপনীয় যে উহাদের হস্ত্মান্ত্মর বা প্রকাশের মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তথ্য প্রকাশ হইয়া পড়িবে, তাহা হইলে সেই ব্যাংক-কোম্পানী কোন আদালত বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত না হওয়া পর্যন্ত্ম উক্ত বিবরণ প্রদান করিতে বা তথ্য প্রকাশ করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথা :-
(অ) প্রকাশিত ব্যালেন্সশীটে প্রদর্শিত হয় নাই এইরূপ সংরক্ষিত তহবিল; বা
(আ) আদায়যোগ্য নহে বা আদায়যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে এমন ঋণ যাহা উহাতে প্রদর্শিত হয় নাই৷