সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(ক) “অনুসন্ধান ও অন্বেষণ লাইসেন্স” অর্থ খনি ও খনিজ সম্পদ আবিস্কারের উদ্দেশ্যে কোন ভূমিতে খনিজ বা খনিজ সম্পদ থাকার সম্ভাবনা পরীক্ষা বা অনুসন্ধানের জন্য প্রদত্ত লাইসেন্স;
(খ) “খনিজ সম্পদ” অর্থে এমন বস্তু যাহা সাধারণতঃ প্রাকৃতিকভাবে ভূত্বকের অংশ হিসাবে পাওয়া যায় বা ভূ-ত্বকের মধ্যস্থিত বা উপরিভাগস্থ পানিতে দ্রবনীয় বা নিলম্বিত থাকে, বা উক্তরূপ বস্তু হইতে নিষ্কাশন করা যায় এমন বস্তুকে বুঝাইবে, এবং-
(অ) সিরামিক, রিেফ্রক্টরী ও শোষণক্ষম সম্বন্ধীয় জিনিস তৈরীতে ব্যবহৃত ক্লে;
(আ) রাসায়নিক জিনিস ঘষামাজা ও ঢালাই করার বালুর জন্য ব্যবহৃত সিলিকাবালুসহ সিলিকা (silica);
(ই) অক্ষত, খণ্ডিত ও স্লাব আকারে ব্যবহৃত বালু, নুড়ীপাথর বা শিলা;
(ঈ) সকল প্রকার চুনাপাথর;
(উ) পিটসহ সকল প্রকার কয়লা;
(ঊ) কয়লা বা শেইল (shale) খনন, নিষ্কাশন বা উত্পাদন কাজের সহিত সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন এবং কয়লা খনন কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় মিথেন (methane) গ্যাস;
(ঋ) কয়লা বা শেইল প্রাপ্তিস্থানে উক্ত পদার্থের প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে নিষ্কাষিত বা উত্পাদিত খনিজ তৈল বা গ্যাস;
ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, কিন্তু-
(অ) জীবিত কোন বস্তু;
(আ) সামুদ্রিক পানি হইতে নিষ্কাষিত লবন, বা
(ই) পানি;
(ঈ) দি পেট্রোলিয়াম এ্যাক্ট ১৯৭৪-এর আওতাধীন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস;
ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(গ) “খনি” অর্থ খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও অর্জনের উদ্দেশ্যে খনন কাজ;
(ঘ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(ঙ) “ভূমি” অর্থে-
(অ) নদী, খাল, জলপ্রবাহ, জলপ্লাবিত এলাকার তলদেশ;
(আ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমার অন্তর্বর্তী মহাসাগরের অন্তরস্থ কিংবা বাংলাদেশের মহীসোপানের উপরিস্থ মহাসাগরের অন্তঃস্থ সকল ভূমি;
(ই) ভূমির অভ্যন্তরস্থ, উপরিস্থ ও উপরিভাগস্থ পানি; কে বুঝাইবে৷