প্রিন্ট ভিউ

পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯৩

( ১৯৯৩ সনের ২১ নং আইন )

এই আইনটি বাংলাদেশ পরমানু শক্তি নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ১৯ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন প্রণয়ন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
সংজ্ঞা
 
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,
 
(ক) “অনুমোদিত তেজস্ক্রিয়তা-মাত্রা” অর্থ ধারা ৩(জ) এর অধীন নির্ধারিত তেজস্ক্রিয়তার অনুমোদনযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা;
 
(খ) “আয়নায়নকারী বিকিরণ” অর্থ এমন বিকিরণ যাহা পদার্থে সঞ্চারণকালে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উক্ত পদার্থে আয়ন উত্পাদনে সক্ষম;
 
(গ) “উত্স পদার্থ” অর্থ-
 
(১) ইউরেনিয়াম বা থোরিয়াম বা উহাদের যে কোন ভৌত বা রাসায়নিক মিশ্রণ, বা
 
(২) এমন আকরিক যাহাতে ০.০৫% বা ততোধিক পরিমাণে ইউরেনিয়াম বা থোরিয়াম, একক বা যুক্তভাবে, বিদ্যমান;
 
(ঘ) “কমিশন” অর্থ Bangladesh Atomic Energy Commission Order, 1973 (President's Order No. 15 of 1973) এর অধীনে গঠিত Bangladesh Atomic Energy Commission;
 
(ঙ) “তেজস্ক্রিয় পদার্থ” অর্থ এমন পদার্থ যাহাতে অনুমোদিত তেজস্ক্রিয়তা-মাত্রার অধিক মাত্রাসম্পন্ন তেজস্ক্রিয়তা বিদ্যমান;
 
(চ) “তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ” অর্থ পারমাণবিক বা বিকিরণ কার্যের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ, যাহাতে অনুমোদিত তেজস্ক্রিয়তা-মাত্রার অধিক মাত্রাসম্পন্ন তেজস্ক্রিয়তা বিদ্যমান;
 
(ছ) “তেজস্ক্রিয় বিকিরণ” অর্থ তেজস্ক্রিয়তা, যন্ত্রপাতি ও কর্মকাণ্ড হইতে উদ্ভূত আয়নায়নকারী বিকিরণ;
 
(জ) “তেজস্ক্রিয়তা” অর্থ বিভাজনের অথবা পরমাণু কণা বিচ্ছুরণের মাধ্যমে অস্থায়ী পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের লয়;
 
(ঝ) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
(ঞ) “পরিদর্শক” অর্থ ধারা ৮(১) এর অধীন নিযুক্ত কোন পরিদর্শক;
 
(ট) “বিকিরণ” অর্থ পদার্থ বা স্থানের (Space) মধ্য দিয়া শক্তির এমন বিচ্ছুরণ বা সঞ্চারণ যাহা উক্ত পদার্থ বা স্থানে তড়িত্ চুম্বকীয় আবেশ বা ক্রিয়া সৃষ্টি করিতে পারে;
 
(ঠ) “ব্যক্তি” বলিতে কোন সরকারী সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সংঘও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
(ড) “লাইসেন্স” অর্থ ধারা ৫ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স৷
কমিশনের ক্ষমতা
৩৷ কমিশন-
 
 
 
 
(ক) পারমাণবিক নিরাপত্তা, বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি বা নীতিমালা প্রণয়ন বা আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উহা কার্যকর করিবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি হইতে জীবন, স্বাস্থ্য, সম্পত্তি ও পরিবেশ রক্ষণের জন্য নীতিমালা ও গবেষণাসূচী প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছাড়াও অন্য যে সকল বিকিরণ জীবন, স্বাস্থ্য, সম্পদ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সেই সকল বিকিরণ হইতে রক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ঘ) তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থ আহরণ, উত্পাদন, আমদানী, রপ্তানী, স্থানান্তর, পরিবহন, অর্জন, ধারণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্যবহার ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ এবং উহাদের সমন্বয় সাধন করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ঙ) পারমাণবিক পদার্থ বা শক্তি উত্পাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং উহাদের উত্পাদন ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(চ) তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থের ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ছ) তেজস্ক্রিয় বিকিরণ উত্পাদনকারী পদার্থ বা যন্ত্রপাতিসমূহের উত্পাদন, গুদামজাতকরণ, আমদানী, রপ্তানী, ব্যবহার, হস্তান্তর, পরিবহন ও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;
 
 
(জ) বায়ুতে এবং মানুষ ও জীবজন্তুর আহার্য অথবা পানীয় হিসাবে বা অন্যবিধভাবে ব্যবহার্য যে কোন পদার্থের উপর তেজস্ক্রিয়তার অনুমোদনযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ঝ) পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে জনগণের অবগতির জন্য তথ্য প্রকাশ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ঞ) বিকিরণ নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে পারমাণবিক শক্তিজনিত ও সম্পর্কীয় প্রকল্প, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ট) বিকিরণ উত্পাদনকারী পদার্থ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারকারী ব্যক্তিগণকে বিকিরণ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করিতে পারিবে৷
কতিপয় কার্যের উপর বিধি নিষেধ
৪৷ (১) কমিশন কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখের পর কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীনে প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে-
 
 
 
 
(ক) কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থ, পারমাণবিক পদার্থ, তেজস্ক্রিয় বা আয়নায়নকারী বিকিরণ উত্পাদনকারী পদার্থ বা যন্ত্রপাতি আহরণ, উত্পাদন, অর্জন, আমদানী, রপ্তানী, পরিবহন, ধারণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্যবহার, বিপণন, হস্তান্তর, স্থানান্তর, গুদামজাতকরণ, বর্জন বা বিনষ্ট করিতে বা উক্ত পদার্থ বা যন্ত্রপাতির উপর গবেষণা করিতে পারিবেন না;
 
 
 
 
(খ) পারমাণবিক শক্তি চালিত অথবা তেজস্ক্রিয় বিকিরণ উত্পাদনকারী পদার্থ বা যন্ত্রপাতি বা তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ বহনকারী কোন যানবাহন বাংলাদেশে আনয়ন করিতে বা প্রবেশ করাইতে পারিবেন না;
 
 
 
 
(গ) তেজস্ক্রিয় বিকিরণ দ্বারা কোন খাদ্যসামগ্রী প্রক্রিয়াজাতকরণ করিতে পারিবেন না অথবা অনুরূপভাবে প্রক্রিয়াজাত কোন খাদ্যবস্তু উত্পাদন, বিতরণ বা বিপণন বা অনুমোদিত তেজস্ক্রিয়তা মাত্রার অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তাদুষ্ট কোন খাদ্য বা পানীয় ধারণ, সংগ্রহ, আমদানী বা বিতরণ করিতে পারিবেন না;
 
 
 
 
(ঘ) তেজস্ক্রিয় বা আয়নায়নকারী বিকিরণ উত্পাদন সক্ষম যন্ত্রপাতি অর্জন, নির্মাণ, স্থাপন বা পরিচালনা করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও কমিশন, তত্কর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন ব্যক্তিকে এই ধারার কার্যকারিতা হইতে অব্যাহতি দান করিতে পারিবে৷
লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি
৫৷ (১) ধারা ৪ এ উল্লিখিত কোন লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত ফিস সহকারে কমিশনের নিকট দরখাস্ত করিতে হইবে এবং কমিশন উক্ত দরখাস্ত বিবেচনাক্রমে, কমিশন কর্তৃক সময় সময় আরোপনীয় শর্ত সাপেক্ষে, নির্ধারিত মেয়াদের জন্য লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত কোন দরখাস্ত বিবেচনার প্রয়োজনে কমিশন, দরখাস্তকারীকে সংশ্লিষ্ট যে কোন তথ্য সরবরাহ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স পারমাণবিক বা বিকিরণজনিত ক্ষতির দায়দায়িত্ব পূরণের উদ্দেশ্যে বীমা বা অন্যবিধ অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণসহ লাইসেন্সধারী কর্তৃক পালনীয় অন্যান্য শর্তাবলী লিপিবদ্ধ করা যাইবে৷
গবেষণাগার
৬৷ (১) কমিশন এই আইনের অধীন উহার ক্ষমতাবলী প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে-
 
 
 
 
(ক) একটি কেন্দ্রীয় গবেষণাগার এবং প্রয়োজনবোধে, এক বা একাধিক আঞ্চলিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে, এবং
 
 
 
 
(খ) এক বা একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বৈজ্ঞানিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিনিময় কেন্দ্র এবং পারমাণবিক বিষয়াবলী সম্পর্কিত ও বিকিরণ সংক্রান্ত গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশন উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ক্ষমতাবলী প্রয়োগ বা কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনবোধে, বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং যে কোন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি এজেন্সির গবেষণাগারসহ কমিশনের বিবেচনায় নির্ভরযোগ্য অন্য যে কোন দেশী বা বিদেশী গবেষণাগারের সাহায্য গ্রহণ করিতে পারিবে বা উক্তরূপ কোন দেশী বা বিদেশী প্রতিষ্ঠান বা গবেষণাগারের সহিত যুগ্মভাবে কোন পদার্থ বা বিষয়ের উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) উক্তরূপ কোন গবেষণাগার কর্তৃক উহার নিকট প্রেরিত কোন বস্তু বা বিষয়ের উপর প্রদত্ত প্রতিবেদন বা সমীক্ষা, আদালতে ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, সঠিক ও প্রামাণ্য বলিয়া গণ্য হইবে৷
বিশেষজ্ঞ কমিটি
৭৷ পারমাণবিক নিরাপত্তা ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কোন বিশেষ সমস্যা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদানের জন্য কমিশন প্রয়োজনবোধে সময় সময় উক্ত বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
পরিদর্শক
৮৷ (১) এই আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের প্রয়োজনে কমিশন এক বা একাধিক পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) পরিদর্শক কমিশনের নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে তাঁহার দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) পরিদর্শক-
 
 
 
 
(ক) এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলী এবং লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কিনা তাহা যাচাইয়ের জন্য যে কোন স্থান, ঘর-বাড়ী, অংগন বা যানবাহনে প্রবেশ করিয়া পরিদর্শন এবং অনুসন্ধান কার্য চালাইতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং তেজস্ক্রিয় ও আয়নায়নকারী বিকিরণ মাত্রা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি বা পদার্থ বা উহার নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করিতে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট হইতে প্রয়োজনীয় তথ্য তলব করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(গ) এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি অনুযায়ী জনসাধারণের স্বাস্থ্য, সম্পত্তি ও পরিবেশের নিরাপত্তা বিধানের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে নির্দেশ দান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) যদি কোন পরিদর্শনকালে পরিদর্শক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, কোন লাইসেন্সের কোন শর্ত ভংগ করা হইতেছে বা হইবে, তাহা হইলে তিনি অবিলম্বে কমিশনের নিকট তত্সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন এবং উক্তরূপ শর্ত ভংগের কারণে কোন বিকিরণকর্মী বা জনসাধারণের স্বাস্থ্যহানি বা কোন সম্পদ বা পরিবেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হইয়া থাকিলে বা হইবার আশংকা থাকিলে তাহা উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করিবেন৷
লাইসেন্স বাতিল, ইত্যাদি
৯৷ (১) কমিশন এই আইনের অধীন প্রদত্ত যে কোন লাইসেন্স নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাতিল করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন লাইসেন্সের শর্তাবলী ভংগ করা হইয়াছে বা হইতেছে এই মর্মে ধারা ৮(৪) এর অধীন কোন প্রতিবেদন প্রাপ্ত হইলে কমিশন-
 
 
 
 
(ক) উহার বিবেচনায় উপযুক্ত ক্ষেত্রে লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ দান করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) স্বাস্থ্যহানি রোধ বা সম্পদ বা পরিবেশের নিরাপত্তা বিধানকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সাপেক্ষে উক্ত লাইসেন্সের অধীন কার্যাবলী বন্ধ রাখিবার জন্য নির্দেশ দান করিতে পারিবে, অথবা
 
 
(গ) লাইসেন্সটি বাতিল করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীন লাইসেন্স বাতিলের কারণে কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি লাইসেন্স বাতিল আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত আপিলে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না৷
জরুরী প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা
১০৷ (১) যদি কোন প্রাপ্ত তথ্য বা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কমিশনের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন স্থানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মাত্রা উক্ত স্থানের লোকজন, জীবজন্তু, সম্পদ বা পরিবেশের জন্য বিপদজনক তাহা হইলে কমিশন বিষয়টি সম্পর্কে পরিবেশ দূষণ অধিদপ্তরকে অবহিত করিবে এবং প্রয়োজনবোধে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে-
 
 
 
 
(ক) উক্ত স্থান হইতে লোকজন, জীবজন্তু বা সম্পদ স্থানান্তর করার বা
 
 
 
 
(খ) তেজস্ক্রিয়তাদুষ্ট জীবজন্তু বা সম্পদ ধ্বংস করার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশনের নির্দেশ পালনে অবহেলা করিলে বা ব্যর্থ হইলে, ডেপুটি কমিশনার বা সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোন কর্তৃপক্ষ উক্ত প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে উহা কার্যকর করার জন্য যুক্তিসংগত বল প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) কমিশন ভিন্নরূপ আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত, ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি ব্যতীত কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন না এবং কোন ব্যক্তি উক্তরূপ অনুমতি ব্যতিরেকে উক্ত স্থানে প্রবেশ করিলে বা করার চেষ্টা করিলে তাঁহাকে ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশক্রমে, প্রয়োজনবোধে, বল প্রয়োগে উক্ত স্থান হইতে অপসারণ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীন গৃহীত কোন কার্যক্রমের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, তিনি তজ্জন্য কমিশন, ডেপুটি কমিশনার বা কোন সরকারী বা কমিশনের কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নিকট হইতে কোনরূপ ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না৷
দণ্ড
১১৷ কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি বা লাইসেন্সের কোন শর্ত লংঘন করিলে বা উক্ত বিধান বা শর্ত পালন করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি অন্যুন ৩ (তিন) বত্সর এবং অনূর্ধ ৭ (সাত) বত্সর কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং আদালত সংগত বিবেচনা করিলে, যে পদার্থ, খাদ্যবস্তু, পানীয়, যন্ত্রপাতি, যানবাহন বা অন্য কোন সম্পত্তি সম্পর্কে উক্তরূপ লংঘন বা ব্যর্থতা সংঘটিত হইয়াছে তাহা কমিশনের বরাবরে বাজেয়াপ্তির নির্দেশ দিতে পারিবে৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
১২৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোন কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত লংঘন যে কার্য সম্পর্কিত সেই কার্যের দায়িত্বে নিয়োজিত উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট উক্ত বিধান লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাযোগ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে অংশীদার বা পরিচালনা সদস্যকেও বুঝাইবে৷
অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ
১৩৷ কোন পরিদর্শকের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না৷
দায়মুক্তি
১৪৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের জন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতি হইলে বা ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, সরকার, কমিশন বা উহার কোন সদস্য, পরিদর্শক, ডেপুটি কমিশনার বা উহার বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা দায়ের বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা চলিবে না৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৫৷ কমিশন এই আইনের অধীন উহার সকল বা কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব উহার যে কোন সদস্যকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৬৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, কমিশন নিম্্নবর্ণিত যে কোন বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) লাইসেন্স প্রদান, সংশোধন, নবায়ন, স্থগিতকরণ ও বাতিলকরণ পদ্ধতি এবং লাইসেন্সধারী কর্তৃক পালনীয় শর্তাবলী;
 
 
 
 
(খ) পারমাণবিক ও আয়নায়নকারী বিকিরণ ও তেজস্ক্রিয়তা দূষণ হইতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষণ;
 
 
(গ) দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে পারমাণবিক পদার্থ, তেজস্ক্রিয় পদার্থ বা আয়নায়নকারী বিকিরণ উত্পাদনক্ষম যন্ত্রপাতির সংস্পর্শে আসিতে পারেন এইরূপ ব্যক্তির দৈহিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও বীমা;
 
 
 
 
(ঘ) পারমাণবিক ও আয়নায়নকারী বিকিরণ কার্যক্রম সম্পর্কিত নিরাপত্তার মান নির্ধারণ এবং উহার প্রয়োগ;
 
 
 
 
(ঙ) পারমাণবিক পদার্থ, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, আয়নায়নকারী বিকিরণ উত্পাদনক্ষম যন্ত্রপাতির গুদামজাতকরণ, হেফাজত সম্পর্কিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা;
 
 
 
 
(চ) পারমাণবিক পদার্থ, তেজস্ক্রিয় পদার্থ বা আয়নায়নকারী বিকিরণ উত্পাদনক্ষম যন্ত্রপাতি গুদামজাতকরণ, আবৃতকরণ, পরিবহন, ব্যবহার ও পরিচালনা;
 
 
 
 
(ছ) পারমাণবিক বা তেজস্ক্রিয় বিকিরণজনিত দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও প্রদান৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs