প্রিন্ট ভিউ

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩

( ১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন )

এই আইন ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান, উহাদের নিয়ন্ত্রণ এবং তত্সংক্রান্ত্ম প্রাসংগিক অন্যান্য বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন৷
 
যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান, উহাদের নিয়ন্ত্রণ এবং তত্সংক্রান্ত্ম প্রাসংগিক অন্যান্য বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) ইহা ১লা ভাদ্র, ১৪০০ বাং মোতাবেক ১৬ই আগষ্ট, ১৯৯৩ ইং তারিখ হইতে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “অর্থায়ন ব্যবসা” অর্থ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসা;
 
 
 
 
(খ) “আর্থিক প্রতিষ্ঠান” অর্থ এমন নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে, যাহা-
 
 
 
 
(অ) শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি বা গৃহায়ণের জন্য ঋণ এবং আগাম প্রদান করে; বা
 
 
 
 
(আ) সরকার বা কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা কর্তৃক ইস্যুকৃত শেয়ার, ষ্টক, বণ্ড, ডিবেঞ্চার বা ডিবেঞ্চার ষ্টক বা সিকিউরিটিজ বা বাজার-জাতকরণের উপযোগী অন্যান্য সিকিউরিটিজের দায় গ্রহণ, অধিগ্রহণ, বিনিয়োগ বা পুনঃবিনিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে; বা
 
 
 
 
(ই) যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ইজারাদানসহ কিস্তিবন্ধী লেনদেনের ব্যবসা করে; বা
 
 
 
 
(ঈ) প্রচেষ্টা মূলধনে (Venture capital) অর্থায়ন করে; এবং
 
 
মার্চেন্ট ব্যাংক, বিনিয়োগ কোম্পানী, মিউচুয়্যাল এসোসিয়েশন, মিউচুয়্যাল কোম্পানী, লিজিং কোম্পানী অথবা বিল্ডিং সোসাইটি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(গ) “আমানত” অর্থ সুদের ভিত্তিতে কোন আর্থিক কর্জ অথবা প্রিমিয়ামসহ পরিশোধযোগ্য কর্জ, কিন্তু কোন কোম্পানী বা অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকে ঋণপত্র বা অন্য কোন সিকিউরিটি ইস্যু করার শর্তে প্রদত্ত কর্জ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
 
 
 
 
(ঘ) “আমানতকারী” অর্থ নিজ অথবা অন্যের দ্বারা আমানতকৃত অর্থ ফেরত পাইবার অধিকারী কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(ঙ) “ঋণ সুবিধা” অর্থ-
 
 
 
 
(অ) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আগাম ঋণ এবং অন্যান্য সুবিধাদি মঞ্জুর বা গ্রাহকের পক্ষে উহা কর্তৃক দায় বহন করার প্রতিশ্রুতি;
 
 
 
 
(আ) কোন গ্রাহকের পক্ষে তাহার অন্যান্য দায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহন করা;
 
 
 
 
(চ) “কোম্পানী” অর্থ Companies Act, 1913 (VII of 1913) এর অধীন নিবন্ধিত কোন কোম্পানী;
 
 
 
 
(ছ) “কোম্পানী আইন” অর্থ Companies Act, 1913 (VII of 1913);
 
 
 
 
(জ) “নিরীক্ষক” অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব ও লেনদেন নিরীক্ষার জন্য এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিয়োজিত কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(ঝ) “পরিচালক” অর্থ এমন ব্যক্তিকেও বুঝাইবে যাহার নির্দেশ বা আদেশ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কোন দায়িত্ব পালন করেন এবং বিকল্প ও স্থলাভিষিক্ত পরিচালকও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
 
 
 
 
(ঞ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ট) “বাংলাদেশ ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 126 of 1972) এর অধীন স্থাপিত Bangladesh Bank;
 
 
 
 
(ঠ) “বিনিয়োগ কোম্পানী” অর্থ যে কোম্পানী মূলতঃ বা সম্পূর্ণরূপে অন্যান্য কোম্পানীর সিকিউরিটিজ ক্রয় বিক্রয়ে নিয়োজিত, এবং যে কোম্পানীর পরিশোধিত মূলঋণের শতকরা আশি ভাগ কোন সময় অন্যান্য কোম্পানীতে বিনিয়োজিত থাকে উহা ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে, তবে কোন ব্যাংক বা বীমা কোম্পানী বা সংস্থা, যাহা ষ্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য, ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
 
 
(ড) “বিল্ডিং সোসাইটি” অর্থ এমন সোসাইটিকে বুঝাইবে যাহা গৃহ নির্মাণ এবং সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য সঞ্চয় গ্রহণ ও ঋণ প্রদান করে;
 
 
 
 
(ঢ) “ব্যক্তি” অর্থ কোন কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকেও বুঝাইবে;
 
 
 
 
(ণ) “ব্যাংক কোম্পানী” অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪নং আইন) এর অধীন স্থাপিত ব্যাংক কোম্পানী;
 
 
 
 
(ত) “মার্চেন্ট ব্যাংক” অর্থ যে ব্যাংক অন্য কোন সংস্থা বা কোম্পানীর সিকিউরিটিজের দায় গ্রহণ করে এবং অনুরূপ গ্রাহকের একীভূতকরণ কিংবা অন্য বাণিজ্যিক উদ্যোগে পরামর্শ দান করে;
 
 
 
 
(থ) “মিউচুয়্যাল এসোসিয়েশন” অর্থ এমন সঞ্চয়ী সংঘকে বুঝাইবে যে সঞ্চয়ী সংঘ কোন মূলধন ষ্টক ইস্যু করে না এবং যাহার আমানতকারী ও ঋণ গ্রহীতাগণ উহার মালিক ও নিয়ন্ত্রণকারী;
 
 
 
 
(দ) “মিউচুয়্যাল কোম্পানী” অর্থ এমন সংস্থাকে বুঝাইবে যে সংস্থা মূলধন বিহীন এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের অনুপাতে মালিক-গ্রাহকদের মধ্যে যাহার নীট মুনাফা বন্টন করা হয়;
 
 
 
 
(ধ) “লিজিং কোম্পানী” অর্থ এমন কোম্পানীকে বুঝাইবে যে কোম্পানী উহার ব্যবসা বা ব্যবসার অংশ হিসাবে যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম ইজারা প্রদান করে বা এইরূপ ইজারা কার্যে অর্থায়ন করে৷
আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷
 
 
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স
৪৷ (১) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যতীত বাংলাদেশে কোন অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনা করিবে না৷
 
 
 
 
(২) এই আইন প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উক্ত প্রবর্তন হইতে তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে এই ধারার অধীন লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই এই আইন প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা চালাইয়া যাইতে বাধা হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি-
 
 
(ক) এই ধারার অধীন উহার আবেদন বিবেচনাধীন থাকে, বা
 
 
(খ) লাইসেন্স মঞ্জুর করা যাইবে না এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উহাকে নোটিশের মাধ্যমে জানাইয়া দেওয়া না হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীন লাইসেন্স প্রদানের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রস্তাবিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিম্্নবর্ণিত বিষয়ে সন্তুষ্ট হইতে হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) আর্থিক অবস্থা;
 
 
 
 
(খ) ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য;
 
 
 
 
(গ) মূলধন কাঠামোর পর্যাপ্ততা ও উপার্জনের সম্ভাব্যতা;
 
 
 
 
(ঘ) সংঘ-স্মারকে উল্লিখিত উদ্দেশ্যাবলী;
 
 
 
 
(ঙ) জনস্বার্থ৷
 
 
 
 
(৪) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাংলাদেশ ব্যাংক উহার বিবেচনায় সংগত যে কোন শর্তসাপেক্ষে প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় শুনানীর সুযোগ দিয়া যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের যে কোন শর্ত পরিবর্তন এবং নূতন শর্তের সংযোজন করিতে পারিবে৷
অর্থায়ন ব্যবসায় নিয়োজিত সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে তদন্ত
৫৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি এই মর্মে প্রতীয়মান হয় বা উক্ত ব্যাংকের এই মর্মে বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোন ব্যক্তি ধারা ৪ এর বিধান লংঘনক্রমে অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনা করিতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক,-
 
 
 
 
(ক) উক্ত ব্যক্তির দখলে, জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে আছে এমন কোন তথ্য, দলিল, নথিপত্র, বহি, হিসাব ও রেকর্ডপত্র উহার নিকট দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) উক্ত ব্যক্তির যে কোন অংগনে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে এবং সংশ্লিষ্ট দলিল, নথিপত্র, বহি এবং হিসাব ও রেকর্ডপত্র আটক করিতে যে কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা অর্পন করিতে পারিবে৷
ন্যুনতম মূলধন
৬৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ন্যুনতম মূলধন কত হইবে উহা নির্ধারণ করিয়া দিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইস্যুকৃত মূলধন ও পরিশোধিত মূলধন ও উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যুনতম মূলধনের কম হইলে উহাকে এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রদান করা হইবে না এবং বিদ্যমান লাইসেন্স, যদি থাকে, বাতিল যোগ্য হইবে৷
শাখা খোলার উপর বাধা-নিষেধ
৭৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাংলাদেশের বাহিরে কোথাও উহার কোন শাখা বা অফিস খুলিতে পারিবে না এবং বিদ্যমান শাখা বা অফিসের স্থান পরিবর্তন করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা বা অফিস খোলার আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক ধারা ৪(৩) এ উল্লেখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে বিবেচনা করিয়া অনুমতি প্রদান করিবে বা আবেদন বাতিল করিবে এবং এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
লাইসেন্স বাতিলকরণ
৮৷ (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্্নবর্ণিত কারণে বাতিল করিতে পরিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) যে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উহা প্রতিষ্ঠা করা হইয়াছিল সে কার্যক্রম পরিচালনা না করা;
 
 
 
 
(খ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন বা কার্যক্রম বন্ধ করা;
 
 
 
 
(গ) লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য বা দলিল সরবরাহ করা;
 
 
 
 
(ঘ) আমানতকারীদের স্বার্থ হানি হয় এরূপভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা;
 
 
 
 
(ঙ) উহার সম্পদ আমানতকারীদের দায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত;
 
 
 
 
(চ) ন্যুনতম মূলধনের অপেক্ষা কম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণ করিয়া উহার পরিচালনা করা;
 
 
 
 
(ছ) লাইসেন্সের শর্ত ভংগ করা;
 
 
 
 
(জ) এই আইনের অধীন কোন অপরাধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বা উহার কোন পরিচালক দণ্ডিত হওয়া৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করিবার পূর্বে অনুর্ধ ১৫ দিনের লিখিত নোটিশের মাধ্যমে কেন উহার লাইসেন্স বাতিল করা হইবে না তজ্জন্য কারণ দর্শাইবার সুযোগ প্রদান না করিয়া কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হইলে তাত্ক্ষণিকভাবেই উহা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জানাইতে হইবে এবং বাতিলকরণের নোটিশ গেজেটে প্রকাশ করিতে হইবে৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন নোটিশ প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে, উহার আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ করার সুবিধার্থে গৃহীতব্য কার্যক্রম ব্যতীত অন্য কোন আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম সম্পাদন করিবে না৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর বিধান কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর কোন ব্যক্তির অধিকার অথবা দাবীর কার্যকরকরণ ক্ষুণ্ন করিবে না অথবা কোন ব্যক্তির উপর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধিকার অথবা দাবীর কার্যকরকরণ ক্ষুণ্ন করিবে না৷
 
 
 
 
সংরক্ষিত তহবিল
৯৷ প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষিত তহবিল সংরক্ষণ করিবে৷
লভ্যাংশ প্রদানে বাধা-নিষেধ
১০৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার প্রাথমিক ব্যয়, সাংগঠনিক ব্যয়, শেয়ার বিক্রির কমিশন, দালালীর খরচ, লোকসান এবং অন্যান্য খাতের ব্যয়সহ মূলধনে পরিণত হইয়াছে এমন সকল ব্যয় সম্পূর্ণরূপে অবলোপন (Write off) না করা পর্যন্ত উহার শেয়ারের উপর কোন লভ্যাংশ প্রদান করিবে না৷
ব্যালেন্সশীট প্রদর্শন
১১৷ প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার সর্বশেষ নিরীক্ষিত ব্যালেন্স শীট-এর কপি, পরিচালকদের নামসহ, উহার সকল কার্যালয় ও শাখার প্রকাশ্য স্থানে সারা বত্সর প্রদর্শন করিবে এবং সংশ্লিষ্ট বত্সর শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে উক্ত ব্যালেন্সশীট কমপক্ষে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিবে৷
তথ্য সরবরাহ
১২৷ বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যে কোন তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময় ও পদ্ধতিতে সরবরাহ করিতে প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকিবে৷
 
 
আমানত গ্রহণের রশিদ
১৩৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন ব্যক্তির নিকট হইতে আমানত গ্রহণ করিলে ঐ ব্যক্তির অনুকূলে তাত্ক্ষণিকভাবে অর্থ গ্রহণের প্রমাণস্বরূপ রশিদ প্রদান করিবে৷
ঋণ সুবিধা, ইত্যাদি সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ
 
 
১৪৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান -
 
 
 
 
(ক) এমন কোন আমানত গ্রহন করিবে না যাহা চেক, ড্রাফট্‌ অথবা আমানতকারীর আদেশের মাধ্যমে চাহিবা মাত্র পরিশোধযোগ্য;
 
 
 
 
(খ) স্বর্ণ অথবা কোন বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করিবে না;
 
 
 
 
(গ) কোন একক ব্যক্তি, ফার্ম, কর্পোরেশন অথবা কোম্পানীকে অথবা উক্ত ব্যক্তি, ফার্ম, কর্পোরেশন বা কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব আছে এমন কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি, গোষ্ঠীর অনুকূলে উহার মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক বা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সহকারে ১০০ শতাংশের অধিক, ঋণ সুবিধা অনুমোদন করিবে না;
 
 
 
 
(ঘ) উহার মোট ঋণ সুবিধার ৫০ শতাংশ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত শতাংশের অধিক হয় এমন ঋণ মঞ্জুর করিবে না;
 
 
 
 
(ঙ) উহার কোন পরিচালক, যৌথ বা পৃথক যেভাবেই হউক না কেন, এর স্বার্থ রহিয়াছে এমন কোন ফার্মকে জামানতবিহীন আগাম, ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদান করিবে না যদি সার্বিকভাবে ঐরূপ সুবিধার পরিমাণ উহার পরিশোধিত শেয়ার মূলধন ও রিজার্ভের ১০ শতাংশের বেশী হয়;
 
 
 
 
(চ) দফা (ঙ) তে উল্লিখিতভাবে আগাম, ঋণ বা ঋণ সুবিধা উক্ত দফায় বিধৃত ব্যক্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টিকে পাঁচ লক্ষ টাকার অধিক প্রদান করিবে না৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় “পরিচালক” বলিতে পরিচালকের স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, জামাতা,পুত্রবধু, শ্বশুর ও শাশুড়ীকেও বুঝাইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা ১(ঙ) তে উল্লিখিত “জামানতবিহীন আগাম” “জামানতবিহীন ঋণ” অথবা “জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা” অর্থে কোনরূপ জামানত ও সহায়ক ছাড়াই আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদান, এবং জামানত বা সহায়ক সমেত আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে ঋণের যে অংশ জামানত বা সহায়কের বাজার মূল্যের অতিরিক্ত হয় উহাকে বুঝাইবে এবং যেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে জামানত বা সহায়কের কোন নির্ধারিত বাজার মূল্য নাই সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক কর্তৃক স্থিরকৃত পরিমাণ অর্থকে বুঝাইবে৷
 
 
 
 
(৩) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার নিজস্ব শেয়ারকে জামানত হিসাবে রাখিয়া কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না অথবা উহার নিজস্ব শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধান লংঘনপূর্বক জামানতবিহীন আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদানের ফলে উদ্ভুত কোন লোকসান হইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল পরিচালক যুগ্মভাবে এবং পৃথকভাবে ক্ষতিপূরণের জন্য দায়ী থাকিবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ
 
 
 
 
১৫৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান একক বা সম্মিলিতভাবে উহার অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনভাবে আমদানী ও রপ্তানী ব্যবসাসহ কোন পাইকারী বা খুচরা ব্যবসায় লিপ্ত হইবে না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনে উল্লেখ করা হইয়াছে এমন ব্যবসা এবং অর্থায়ন ব্যবসা ব্যতীত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অন্য কোন ব্যবসা পরিচালনা করিবে না৷
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ
 
 
 
 
১৬৷ আর্থিক, বাণিজ্যিক, কৃষি বা শিল্প বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের যে কোন ধরনের শেয়ার অর্জন বা ধারণের লক্ষ্যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার পরিশোধিত মুলধন ও রিজার্ভের ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় বা ব্যবহার করিতে পারিবেনা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ আদায়ের স্বার্থে অর্জিত শেয়ার যথাশীঘ্র সম্ভব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিক্রয় করিয়া দিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উহার আবেদন সাপেক্ষে এবং ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভের অনধিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উপরিউক্ত ধরনের শেয়ার অর্জন বা ধারণের লক্ষ্যে ব্যয় বা ব্যবহার করা যাইবে৷
অস্থাবর সম্পত্তি ধারণের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ
 
 
 
 
১৭৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভের ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করিতে বা অধিকারে রাখিতে পারিবে না:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সুবিধা প্রদানের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় অস্থাবর সম্পত্তি এবং উহা কর্তৃক প্রদত্ত অনাদায়ী ঋণ আদায়ের স্বার্থে অর্জিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
কতিপয় বিষয় নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা
 
 
 
 
১৮৷ বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ দ্বারা নিম্্নবর্ণিত বিষয় নির্ধারন করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বিভিন্ন শ্রেণীর আমানতের উপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় সুদের সর্বোচ্চ হার,
 
 
 
 
(খ) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীতব্য ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ,
 
 
 
 
(গ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা,
 
 
 
 
(ঘ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন শ্রেনীর ঋণের উপর সুদের সর্বোচ্চ হার এবং উক্ত হার হিসাবায়ন পদ্ধতি,
 
 
 
 
(ঙ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন ব্যক্তির অনুকূলে ঋণ প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা,
 
 
 
 
(চ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিতব্য রিজার্ভ,
 
 
 
 
(ছ) জনস্বার্থে বা মুদ্রানীতির উন্নতি বিধানে অন্যান্য বিষয়৷
 
 
তরল সম্পদ সংরক্ষণ
১৯৷ (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত তরল সম্পদ সংরক্ষণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “তরল সম্পদ” বলিতে-
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশে প্রচলিত নোট ও কয়েন,
 
 
 
 
(খ) বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহে নীট স্থিতি,
 
 
 
 
(গ) বাংলাদেশে কল মানির পরিমাণ,
 
 
 
 
(ঘ) বাংলাদেশ ট্রেজারী বিল,
 
 
 
 
(ঙ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য সম্পদকে বুঝাইবে৷
 
 
পরিদর্শন
২০৷ (১) কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কমকর্তার দ্বারা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উহার খাতাপত্র ও হিসাব পরিদর্শন করাইতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মর্মে মনে করার কারণ থাকে যে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইরূপ ব্যবসায় নিয়োজিত আছে যাহা উহার আমানতকারী ও খাতকের স্বার্থের পরিপন্থী, অথবা উহার সম্পদ জনসাধারণের দায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত, অথবা উহা এই আইনের বিধানের পরিপন্থী কাজ কর্মে লিপ্ত, তাহা হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক, উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ন না করিয়া, যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খাতাপত্র, হিসাব বই ও অন্যান্য দলিল পরীক্ষা করাইতে পারিবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানী আইনের section 144 এর অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক ছাড়াও অন্য যে কোন নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন অথবা তদন্তের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উহার হিসাব বহি, হিসাব ও অন্যান্য দলিলে প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তার সহিত সহযোগিতা করিবে এবং তদন্ত পরিচালনার স্বার্থে যে কোন তথ্য ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করিতে উক্ত প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ হিসাব বহি, হিসাব ও অন্যান্য দলিল এমন সময় বা স্থানে উপস্থাপন করা যাইবে না যাহা সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ কর্মের ব্যাঘাত ঘটাইতে পারে৷
দায় পরিশোধে অক্ষমতা অবহিতকরণ
২১৷ যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই মর্মে সন্দেহ করার কারণ থাকে যে, উহা গ্রাহকগণের দায়-দায়িত্ব মিটাইতে অসমর্থ হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে অথবা যখন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার কোন গ্রাহকের পাওনা স্থগিত করিতে বাধ্য হইতেছে তখনি সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি অবহিত করিবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীতব্য ব্যবস্থাদি
 
 
 
 
২২৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ২১ এর বিধান মোতাবেক উহার অক্ষমতার বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিলে বা ধারা ২০ এর অধীন পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মর্মে বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, বা উহা আর্থিকভাবে দেউলিয়া হইয়া পড়িয়াছে বা দেনা পরিশোধে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রায় অক্ষম হওয়ার পর্যায়ে রহিয়াছে বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহাকে প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্ত ভংগ করিয়াছে বা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বক্তব্য উপস্থাপনে যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর বাংলাদেশ ব্যাংক, আদেশ দ্বারা, নিম্্নবর্ণিত সকল বা যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান উক্ত ব্যবস্থা মান্য করিতে বাধ্য থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) উহার অর্থায়ণ ব্যবসা সম্পর্কীয় কোন কাজ করিতে বা না করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) উহার ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে কোন ব্যক্তিকে উহারই খরচে নিয়োগ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) উহার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে অথবা তজ্জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত ব্যবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বতঃই বা কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সংশোধন বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে সংশোধন বা প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারায় উল্লিখিত কারণে যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের জন্য হাই কোর্ট বিভাগে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) যেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব গ্রহণ করিবে সেক্ষেত্রে যতদিন পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক এ মর্মে সন্তুষ্ট না হয় যে, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে উহার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার আর প্রয়োজন নাই ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক উহাকে নিয়ন্ত্রণে রাখিবে এবং অনুরূপ নিয়ন্ত্রণ বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার সুবিধার্থে উক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতে বাধ্য থাকিবে৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনার জন্য নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় পারিশ্রমিক বা তাহার কাজের অন্যান্য শর্তাদি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিবে এবং তজ্জন্য এবং উহার নিয়ন্ত্রণ বাবদ অন্যান্য খরচ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বহন করিবে৷
 
 
ব্যাংকের নিকট হিসাব বিবরণী দাখিল
২৩৷ প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকগণ কোম্পানী আইন মোতাবেক প্রস্তুতকৃত লাভ-ক্ষতির হিসাব ও ব্যালেন্সশীট এর একটি প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে৷
নিরীক্ষকের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা।
1[২৩ক। ফাইনান্সিয়াল রিপোর্ট আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে প্রস্ত্ততকৃত তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।]
নিরীক্ষক নিয়োগ ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব
২৪৷ (১) কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বার্ষিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে একজন নিরীক্ষক নিয়োগ করিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষক নিয়োগে অসমর্থ হইলে, বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষকের সাথে অপর একজন নিরীক্ষকের কাজ করার প্রয়োজন থাকে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাকে প্রদেয় পারিতোষিকও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিয়া দিবে৷
 
 
(৩) যে বত্সরের জন্যে নিরীক্ষক নিযুক্ত হইবেন সেই বত্সরের হিসাব নিরীক্ষা সম্পন্ন করা এবং তত্ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরী করাই হইবে এই ধারার অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষকের দায়িত্ব৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত দায়িত্ব ছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংক নিরীক্ষকের উপর তত্কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন দায়িত্ব আরোপ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিরীক্ষক অতিরিক্ত পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীন প্রস্তুতকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদন, ব্যালেন্সশীট ও লাভ-ক্ষতির হিসাবের সাথে সংযোজিত করিতে হইবে এবং উহার একটি প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৬) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোন নিরীক্ষক এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে,-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের বিধানসমূহ গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হইয়াছে বা পালন করা হয় নাই অথবা প্রতারণা বা অসততার দরুন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে;
 
 
 
 
(খ) লোকসানের দরুন আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মূলধন পঞ্চাশ শতাংশ পরিমাণ নামিয়া গিয়াছে;
 
 
 
 
(গ) পাওনাদারগণের পাওনা প্রদানের নিশ্চয়তা বিঘ্নিত হওয়াসহ অন্য কোন গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে; অথবা
 
 
 
 
(ঘ) পাওনাদারগণের পাওনা মিটানোর জন্যে সম্পদ যথেষ্ট কি-না সে ব্যাপারে সন্দেহ রহিয়াছে;
 
 
 
 
তাহা হইলে তিনি অবিলম্বে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিবেন৷
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইত্যাদির অযোগ্যতা
২৫৷ (১) দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন, বা কোন সময় দেউলিয়া ছিলেন, বা পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ বন্ধ করিয়াছেন, বা পাওনাদারের সহিত আপোষ রফার মাধ্যমে পাওনা আদায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়াছেন, বা স্খলনজনিত কারণে কোন ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হইয়াছেন এমন কোন ব্যক্তি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হইতে, থাকিতে বা ব্যবস্থাপনার জন্য নিযুক্ত হইতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন বন্ধ ঘোষিত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা উহার ব্যবস্থাপনার সহিত সরাসরিভাবে জড়িত কোন ব্যক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার সহিত জড়িত হওয়ার মত কোন পদে নিযুক্ত হইতে পারিবেন না৷
 
 
2[(৩) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা একাধিক ব্যাংক কোম্পানী বা একাধিক সাধারণ বীমা কোম্পানী বা একাধিক জীবন বীমা কোম্পানীর পরিচালক থাকিবেন না৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বীমা কোম্পানী অর্থ Insurance Act, 1938 (IV of 1938) এর section 2 এর clause (8) এ সংজ্ঞায়িত insurance company.]
চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, পরিচালক পর্ষদ অথবা কোন পরিচালকের অপসারণ
২৬৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা কোন পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা উহার আমানতকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে, বা জনস্বার্থে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, অপসারণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশের মাধ্যমে উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আদেশ প্রদানের পূর্বে যাহার বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ প্রদান করা হইবে তাহাকে উহার বিরুদ্ধে কারণ প্রদর্শনের জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ দিতে হইবে৷
 
 
সাময়িক স্থগিতকরণ, পুনর্গঠন ও একত্রীকরণ
২৭৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, আমানতকারীদের স্বার্থে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশ প্রদান করার কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, আদেশ দ্বারা অনধিক ছয় মাস মেয়াদের জন্য উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা স্থগিত রাখার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত মেয়াদ অনধিক আরো ছয় মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশের মেয়াদ বলবত্ থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা আমানতকারীদের স্বার্থে বা উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার স্বার্থে বা দেশের সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থার স্বার্থে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনের জন্য
 
 
অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অতঃপর এই ধারায় হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান বলিয়া উল্লিখিত, এর সহিত একত্রীকরণের জন্য স্কীম প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ স্কীম প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপরোল্লিখিত স্কীমে নিম্্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় থাকিতে পারে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নাম, নিবন্ধীকরণ, মূলধন, সম্পদ, ক্ষমতা, অধিকার, স্বার্থ, কর্তৃত্ব, সুবিধা, দায়-দায়িত্ব এবং কর্তব্য;
 
 
 
 
(খ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একত্রীকরণের ক্ষেত্রে, স্কীমে নির্ধারিত শর্ত মোতাবেক হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নিকট উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা, সম্পত্তি, সম্পদ এবং দায়ের হস্তান্তর;
 
 
 
 
(গ) পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন, বা নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ এবং কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কিভাবে এবং কি শর্তে উক্ত পরিবর্তন করা হইবে সে বিষয়ে, এবং নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগের ক্ষেত্রে, কোন মেয়াদের জন্য নিয়োগ করা হইবে সে বিষয়;
 
 
 
 
(ঘ) মূলধন পরিবর্তনের জন্য বা পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার উদ্দেশ্য পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের সংঘ- স্মারক সংশোধন;
 
 
 
 
(ঙ) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত সাময়িক স্থগিত রাখার আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গৃহীত যে সকল পদক্ষেপ বা কার্যধারা অনিস্পন্ন ছিল তা পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অব্যাহত রাখার বিষয়;
 
 
 
 
(চ) জনস্বার্থে, অথবা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের স্বার্থে, অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা চালু রাখার স্বার্থে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে প্রয়োজন মনে করে সেভাবে উক্ত সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের প্রাক-পুনর্গঠন বা প্রাক-একত্রীকরণ স্বার্থ বা দাবী হ্রাসকরণ;
 
 
 
 
(ছ) আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের দাবী পূরণকল্পে-
 
 
 
 
(অ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ-এর পূর্বে উহাতে বা উহার বিরুদ্ধে তাহাদের স্বার্থ বা অধিকার ভিত্তিতে, উহা নগদ পরিশোধ; বা
 
 
 
 
(আ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা উহার বিরুদ্ধে তাহাদের স্বার্থ বা দাবী দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে, হ্রাসকৃত স্বার্থ বা দাবীর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;
 
 
(জ) পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের যে পরিমাণ শেয়ার ছিল সে পরিমাণ শেয়ার, বা দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত শেয়ারের ভিত্তিতে প্রদেয় শেয়ার পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানে উক্ত সদস্যগণকে বরাদ্দকরণ এবং কোন শেয়ারের পরিবর্তে নগদ দাবী করিলে বা কোন সদস্যকে শেয়ার বরাদ্দ করা সম্ভব না হওয়ার ক্ষেত্রে, তাহাদের পূর্ণ দাবী পূরণকল্পে-
 
 
 
 
(অ) পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে তাহাদের স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ, বা
 
 
 
 
(আ) উক্ত স্বার্থ দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;
 
 
 
 
(ঝ) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী যে বেতনে ও শর্তাধীনে কর্মরত ছিলেন সেই একই বেতনে ও শর্তাধীনে পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার বিষয়:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক এই ধারার অধীন স্কীম অনুমোদনের তিন বত্সর অতিক্রান্ত হইবার পূর্বেই-
 
 
 
 
(অ) পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর কর্মচারীগণের জন্য এইরূপ বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে যা এইরূপ নির্ধারণের সময় উক্ত রূপ সমমর্যদাসম্পন্ন কর্মচারীগণ ভোগ করেন এবং এইরূপ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমতুল্যতা ও কর্মচারীগণের পারস্পরিক সমমর্যাদা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই হইবে চূড়ান্ত;
 
 
 
 
(আ) হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান উহার নিজস্ব কর্মচারীগণের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সংগে তুলনীয় হইলে পূর্বতন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণের জন্য একই বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে এবং যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ বা দ্বিমত দেখা দিলে বিষয়টি, বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণের তারিখ হইতে তিন বছর সময় অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পাঠাইতে হইবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঞ) দফা (জ) তে যাহাই থাকুক না কেন, স্কীমে যে সকল কর্মচারীর ব্যাপারে বিশেষভাবে উল্লেখ থাকিবে, বা যে সকল কর্মচারী, সরকার কর্তৃক স্কীম মঞ্জুর হওয়ার এক মাস সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়ে পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসাবে বহাল না হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া নোটিশ প্রদান করিবে, সেই সকল কর্মচারীর ক্ষতিপূরণ, পেনশন, গ্রাচ্যুইটি, ভবিষ্য তহবিল এবং অন্যান্য অবসরজনিত সুবিধা প্রদানের বিষয়;
 
 
(ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন অথবা একত্রীকরণের জন্য অন্য কোন নিয়ম ও শর্তাদি;
 
 
 
 
(ঠ) পুনর্গঠন অথবা একত্রীকরণ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাসংগিক, আনুসাংগিক বা পরিপূরক অন্য কোন বিষয়৷
 
 
 
 
(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন প্রস্তুতকৃত স্কীমের খসড়া কপি, তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আপত্তি বা পরামর্শ প্রদানের আহবান জানাইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত আপত্তি ও পরামর্শ বিবেচনা করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক খসড়া স্কীমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৫) ও (৬) মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক স্কীমটি অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সরকার তত্কর্তৃক প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকেই উক্ত স্কীম অনুমোদন করিবে, এবং অনুরূপভাবে অনুমোদিত স্কীমটি, সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখ হইতে, কার্যকর হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, স্কীমের বিভিন্ন বিধানের প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন তারিখ নির্ধারিত হইতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৮) স্কীম অথবা উহার কোন বিধান কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে নিম্্নবর্ণিত সকলেই উহা মানিতে বাধ্য থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান এবং একত্রীকরণের সহিত সম্পর্কিত অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
 
 
 
 
(খ) সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদার;
 
 
 
 
(গ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী;
 
 
 
 
(ঘ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন ভবিষ্য তহবিল বা অন্য কোন তহবিলের ব্যবস্থাপনার সহিত কোন ট্রাষ্টি বা উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানে অধিকার বা দায় রহিয়াছে এমন সকল ব্যক্তি৷
 
 
 
 
(৯) স্কীম কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সকল সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় স্কীমে বিধৃত পরিমাণে হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় হইবে৷
 
 
(১০) স্কীমটির বিধান কার্যকর করিতে কোন অসুবিধা দেখা দিলে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সরকার, আদেশ দ্বারা, উহার নিকট প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত কিন্তু উক্ত বিধানের সাথে অসমঞ্জস্য নহে এমন সবকিছু করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(১১) এই ধারার অধীন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একত্রীকরণ স্কীম অনুমোদিত হইলে, উক্ত স্কীম বা উহার কোন বিধানের অধীনে হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান যে ব্যবসা অর্জন করে উহা, স্কীমটি বা উহার বিধান কার্যকর হইবার তারিখ হইতে হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ যে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেই আইন দ্বারা পরিচালিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত স্কীমকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনধিক সাত বত্সরের জন্য উক্ত আইনের কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে উক্ত ব্যবসাকে অব্যাহতি দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(১২) ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা স্থগিতকরণ (Moratorium) আদেশ থাকা সত্ত্বেও, একটি মাত্র স্কীমের দ্বারা উক্ত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একত্রীকরণের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই বাধা হইবে না৷
 
 
 
 
(১৩) এই আইনের অন্য কোন বিধানে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তিতে বা অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার বিধান এবং উহার অধীন প্রস্তুতকৃত যে কোন স্কীম কার্যকর হইবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একীভূত হওয়া
২৮৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে একীভূত হইতে বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শেয়ার অর্জন করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পূর্বানুমোদনের আবেদন বিবেচনার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদনকারীর নিকট যে কোন তথ্য চাহিতে পারিবে এবং আবেদনকারীকে যুক্তিসংগত শুনানীর সুযোগ না দিয়া কোন আবেদন নাকচ করিবে না৷
হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন
২৯৷ কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের ভিত্তিতে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়;
 
 
(খ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার ঋণ পরিশোধ করিতে অক্ষম হয়;
 
 
 
 
(গ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই আইনের বিধান লংঘন করার দায়ে শাস্তি প্রাপ্ত হয়৷
 
 

অপরাধ ও শাস্তি

লাইসেন্সবিহীন অর্থায়ন ব্যবসার শাস্তি
৩০৷ কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইয়া অর্থায়ন ব্যবসা করেন বা অর্থায়ন ব্যবসা করার জন্য প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল হইয়া যাওয়ার পরেও অর্থায়ন ব্যবসা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ২ বত্সরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধারা ৫ এর অধীন তদন্তে সহযোগিতা না করার শাস্তি
৩১৷ (১) ধারা ৫ এর অধীন তদন্তকালে অর্থায়ন ব্যবসায়ে নিয়োজিত সন্দেহভাজন কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কোন তথ্য, দলিল, নথিপত্র, বহি, হিসাব ও রেকর্ডপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট পেশ করিতে অস্বীকার করিলে বা তদন্তকাজে অসহযোগিতা করিলে, তিনি অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা অনুর্ধ ১ বত্সরের কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন তথ্য বা রেকর্ডপত্র আদালতে জমাদানের নির্দেশ অমান্য করিলে তিনি উক্ত ধারায় উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
লাইসেন্সের জন্য ভুল তথ্য প্রদানের শাস্তি
৩২৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্সের জন্য পেশকৃত আবেদনে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করিলে, তিনি অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সরের কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
লাইসেন্সের শর্ত পালন না করার শাস্তি
৩৩৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্ত পালন করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট শর্ত পালনে ব্যর্থ হইলে, প্রতিদিনের ব্যর্থতার জন্য ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধারা ৭ এর বিধান ভংগের শাস্তি
৩৪৷ ধারা ৭ এর বিধান ভংগ করিয়া কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার শাখা খুলিয়া অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনা করিলে সেই প্রতিষ্ঠান প্রতিদিনের কার্যক্রমের জন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধারা ১৪ এর বিধান ভংগের শাস্তি
 
 
 
 
৩৫৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ১৪ এর বিধান লংঘন করিয়া ঋণ সুবিধা প্রদান করিলে উহা অনধিক ২০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
তরল সম্পদ সংরক্ষণের ব্যর্থতার শাস্তি
৩৬৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী তরল সম্পদ সংরক্ষণে ব্যর্থ হইলে উহা প্রতিদিনের ঘাটতির এক শতাংশ হারে অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
ধারা ২০ এর অধীন তদন্তকালে হিসাব বহি, ইত্যাদি সরবরাহে ব্যর্থতার শাস্তি
৩৭৷ ধারা ২০ এর অধীন পরিদর্শনকালে যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাব বহি, হিসাব, তথ্য বা প্রয়োজনীয় অন্য কোন দলিল দস্তাবেজ সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ বিধি অমান্যের শাস্তি
৩৮৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ২২ এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা অমান্য করিলে উহা ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
ধারা ২৫ মোতাবেক অযোগ্য ব্যক্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পৃক্ত থাকার শাস্তি
৩৯৷ কোন ব্যক্তি ধারা ২৫ এর উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান অনুযায়ী অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও উহাদের বিধান লংঘন করিয়া যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পৃক্ত থাকেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সর কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং কোন ব্যক্তি উক্ত ধারার উপ-ধারা (৩) এর বিধান লংঘন করিয়া যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হন, তাহা হইলে তিনি ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে মিথ্যা পরিচয়দানের শাস্তি
৪০৷ কোন প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইয়া লাইসেন্সধারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচয় প্রদান করিয়া যদি কার্য পরিচালনা করে, তাহা হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক, অংশীদার পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট প্রত্যেকেই অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সর কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন, বা তিনি উক্তরূপ লংঘনের সহিত কোনভাবে জড়িত নন৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বহি, ইত্যাদিতে মিথ্যা সংযোজনের শাস্তি
৪১৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপক, নিরীক্ষক, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের হিসাব বহি, হিসাব, প্রতিবেদন, ব্যবসা সংক্রান্ত কাগজ, বা অন্যান্য দলিলে, অতঃপর উক্ত দলিল বলিয়া উল্লিখিত, মিথ্যা কিছু সংযোজন করেন বা করিতে সাহায্য করেন বা উক্ত দলিলের কিছু গোপন বা নষ্ট করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সরের কারাদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের প্রয়োজন মোতাবেক বা উহার অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে তলবকৃত বা দাখিলকৃত কোন বিবরণ, প্রতিবেদন বা অন্যান্য দলিলে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, অথবা অনুরূপ কোন বিবরণ, প্রতিবেদন বা দলিলে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান না করেন, তাহা হইলে তিনি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নাই এই রকম অপরাধের শাস্তি
৪২৷ কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কাজ করেন বা করিতে বিরত থাকেন যাহা এই আইনের কোন বিধান বা বিধানের অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করার সামিল এবং তজ্জন্য এই আইনে কোন স্বতন্ত্র দণ্ডের ব্যবস্থা নাই, তাহা হইলে তিনি অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষমতা
৪৩৷ (১) ধারা ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯ এবং ৪২ এর অধীন কোন ব্যক্তি দণ্ডনীয় অপরাধ করিলে, তাহার বিরুদ্ধে মামলা না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক তাহাকে কোন অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিবে না সে সম্পর্কে কারণ দর্শাইতে সুযোগ দিতে পারিবে এবং তাহার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হইলে বা তিনি কোন ব্যাখ্যা প্রদান না করিলে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাহাকে উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ অংকের অনধিক যে কোন অংকের অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অর্থদণ্ড আরোপ করার ১৪ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উহা পরিশোধ করিলে তাহার বিরুদ্ধে তত্কর্তৃক কৃত অপরাধের জন্য আর কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না; কিন্তু যদি তিনি উক্তরূপ সময়সীমার মধ্যে দণ্ডিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কৃত অপরাধের জন্য তাহার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করিবে৷
 
 
 
 

অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
৪৪৷ (১) সেসনস্‌ আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালতে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচার করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উহার কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করা যাইবে না৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ
৪৫৷ (১) এই আইনের অধীন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদানের সাথে সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) প্রতি বত্সর জুলাই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা সরকারের নিকট সরবরাহ করিবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংঘ-স্মারক পরিবর্তন
৪৬৷ (১) কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন আপত্তি নাই এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংঘ-স্মারক পরিবর্তনের কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
 
 
(২) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উহা লংঘনের তারিখ হইতে প্রত্যেক দিনের জন্য ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
৪৭৷ এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কিছুর জন্য বা সরল বিশ্বাসে কোন কিছু সম্পাদন করিবার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বা সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা উহাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না৷
কতিপয় ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা
৪৮৷ বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষণা করিতে পারে যে, এই আইনের সকল বা কোন বিশেষ বিধান, কোন নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত কোন মেয়াদকালে প্রযোজ্য হইবে না৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৪৯৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপরিউক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ প্রবিধান দ্বারা-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের অধীন নির্ধারণ করা যায় এমন ফিস নির্ধারণ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে৷
P.O. No. 127 of 1972 এর সংশোধন
৫০৷ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Chapter V সহ উহার অন্তর্গত Articles 49, 50, 51, 52, 53, 54, 55, 56, 57 ও 58 বিলুপ্ত হইবে৷
রহিতকরণ ও হেফাজত
৫১৷ (১) আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধ্যাদেশ, ১৯৯৩ (অধ্যাদেশ নং ৬, ১৯৯৩) এতদ্বারা রহিত করা হইল৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশ দ্বারা কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 

  • 1
    ধারা ২৩ক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬১ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৩) আর্থিক প্রতিষ্ঠান (সংশোধন) আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৪ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs