প্রিন্ট ভিউ

যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন, ১৯৯৫

( ১৯৯৫ সনের ১৪ নং আইন )

যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের বিধান করার উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প” অর্থ Jamuna Multipurpose Bridge Authority Ordinance, 1985 (XXXIV of 1985), অতঃপর যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর section 2(e) এ সংজ্ঞায়িত Multipurpose Bridge;
 
 
 
 
(খ) “ব্যক্তি” অর্থ যে কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা সংস্থাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(গ) “জনস্বার্থ বিরোধী উদ্দেশ্য” অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে বা অন্য কোনভাবে আর্থিক সুবিধালাভের উদ্দেশ্য বা যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে বিঘ্ন সৃষ্টি বা বিলম্বিতকরণের যে কোন ব্যবস্থাকে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(ঘ) “জেলা প্রশাসক” অর্থ Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (II of 1982), অতঃপর ভূমি অধিগ্রহণ আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর section 2(b) এ সংজ্ঞায়িত Deputy Commissioner;
 
 
 
 
(ঙ) “কমিশনার” অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার৷
যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ
৩৷ এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প আইনের section 9 এর অধীন প্রয়োজনীয় জমি ভূমি অধিগ্রহণ আইনের বিধান অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা হইবে৷
আইনের প্রাধান্য
৪৷ ভূমি অধিগ্রহণ আইন, তদধীন প্রণীত বিধি বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন বা বিধিতে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে এই আইনের ধারা ৫ এর বিশেষ বিধান কার্যকর থাকিবে৷
বিশেষ বিধান
৫৷ (১) যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অধিগ্রহণাধীন বা অধিগ্রহণ হইতে পারে এমন ভূমির উপর জনস্বার্থ বিরোধী উদ্দেশ্যে নির্মিত বা নির্মাণাধীন ঘর-বাড়ী বা অন্য কোন প্রকার স্থাপনার জন্য বা একই উদ্দেশ্যে কোন ঘর-বাড়ী বা স্থাপনার বা ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হইলে উক্তরূপ পরিবর্তনের জন্য কোন ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হইবেন না৷
 
 
 
 
(২) ভূমি অধিগ্রহণ আইনের section 8 এর অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণকালে জেলা প্রশাসক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, যমুনা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অধিগ্রহণাধীন বা অধিগ্রহণের সম্ভাবনা ছিল এমন কোন ভূমির উপর নির্মিত বা নির্মাণাধীন কোন ঘর-বাড়ী বা অন্য কোন প্রকার স্থাপনা জনস্বার্থ বিরোধী উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হইয়াছে বা নির্মাণাধীন আছে বা একই উদ্দেশ্যে কোন ঘর-বাড়ী বা স্থাপনা বা ভূমির পরিবর্তন করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ ঘর-বাড়ী বা স্থাপনা বা পরিবর্তনকে উক্ত section 8 এর অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য বিবেচনা করিবেন না এবং এইরূপ ক্ষতিপূরণের দাবী, যদি থাকে, প্রত্যাখ্যান করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাবী বাতিলের কারণে সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি, বাতিল আদেশ জারী হইবার সাত দিনের মধ্যে, ক্ষতিপূরণের দাবীতে কমিশনারের নিকট উক্ত বাতিলের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) কমিশনার, উপ-ধারা (৩) এর অধীন আপীল আবেদন প্রাপ্তির পাঁচ দিনের মধ্যে আপীলের বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করিবেন এবং অতঃপর আপীলকারীকে শুনানীর সুযোগ দিয়া অনধিক পাঁচ দিনের মধ্যে আপীলের উপর তাঁহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত কমিশনারের সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত সিদ্ধান্তের দ্বারা যদি আপীল নামঞ্জুর করা হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ সিদ্ধান্তের আদেশ জারীর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপীলকারী সংশ্লিষ্ট ঘর-বাড়ী বা স্থাপনা নিজ খরচ ও দায়িত্বে সরাইয়া লইয়া যাইবেন, অন্যথায় জেলা প্রশাসক উক্ত ঘর-বাড়ী বা স্থাপনা প্রকাশ্যে নীলামে বিক্রি করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা করিবেন৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (২) এর অধীন জেলা প্রশাসক কর্তৃক ক্ষতিপূরণের দাবী প্রত্যাখানের বিরুদ্ধে যদি দাবীদার উপ-ধারা (৩) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপীল দায়ের না করেন, তাহা হইলে উক্ত সময়ের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট ঘর-বাড়ী বা স্থাপনা সরাইয়া লইয়া যাইবেন, অন্যথায় জেলা প্রশাসক উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৮) এই ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা গৃহীত কোন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোন আদালত কোন মামলা বা দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না, এবং এই ধারার অধীন বা এই ধারা হইতে প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে গৃহীত বা গৃহীতব্য কোন কার্যক্রম সম্পর্কে কোন আদালত কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারী করিতে পারিবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৬৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs