প্রিন্ট ভিউ

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৫

( ১৯৯৫ সনের ১৫ নং আইন )

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তি, আইনজীবী ও বিচার ব্যবস্থার সহিত সম্পৃক্ত কতিপয় অন্যান্য পেশাজীবীগণের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন;
 
 
 
 
এবং যেহেতু উক্তরূপ প্রশিক্ষণের আয়োজন ও পরিচালনার জন্য বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নামে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজন;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৫ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) ইহা ৯ই চৈত্র, ১৪০১ মোতাবেক ২৩শে মার্চ, ১৯৯৫ তারিখে বলবত্ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “ইনস্টিটিউট” অর্থ এই আইনের অধীন স্থাপিত বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট;
 
 
 
 
(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(গ) “প্রধান বিচারপতি” অর্থ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি;
 
 
 
 
(ঘ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ঙ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(চ) “বোর্ড” অর্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ড;
 
 
 
 
(ছ) “ভাইস-চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(জ) “মহা-পরিচালক” অর্থ ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক;
 
 
 
 
(ঝ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য৷
ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর যতশীঘ্র সম্ভব সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধান অনুযায়ী বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করিবে৷
 
 
 
 
(২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবব্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
ইনস্টিটিউটের কার্যালয়
৪৷ ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং ইহা প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷
ইনস্টিটিউট পরিচালনা
৫৷ ইনস্টিটিউট পরিচালনা ও ইহার প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
পরিচালনা বোর্ড
1[ 2[৬৷ পরিচালনা বোর্ড নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) প্রধান বিচারপতি, পদাধিকারবলে, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীমকোর্টে কর্মরত বা উক্ত কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত দুইজন বিচারক, যাহাদের মধ্যে প্রবীণতর বিচারক উহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(গ) বাংলাদেশের অ্যাটর্ণি জেনারেল, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঘ) ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঙ) সচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(চ) সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় (অর্থ বিভাগ), পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ছ) সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(জ) রেক্টর, বাংলাদেশ পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঝ) রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঞ) জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ট) ডীন, আইন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঠ) ডীন, আইন অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ড) ভাইস-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঢ) সভাপতি, সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশন, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ণ) ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন), যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন৷]
উপদেষ্টা
৬ক৷ (১) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বোর্ডের উপদেষ্টা হইবেন৷
 
 
 
 
(২) পরিচালক বোর্ড কর্তৃক প্রার্থীত এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপদেষ্টা, প্রয়োজনবোধে, বোর্ডের যে কোন সভায় উপস্থিত থাকিতে পারিবেন৷]
ইনস্টিটিউট এর কার্যাবলী
৭৷ ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী হইবে নিম্ন্নরূপ, যথা :-
 
 
 
 
(ক) বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তি, সরকারী মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালনকারী আইন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক সংরক্ষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এডভোকেট এবং সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
 
 
 
 
(খ) আইন এবং বিভিন্ন প্রকার আইনগত দলিলের খসড়া প্রণয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন ও পরিচালনা;
 
 
 
 
(গ) আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সহযোগিতায় আইন এবং বিভিন্ন প্রকার আইনগত দলিলের খসড়া প্রণয়ন বিষয়ে বিভিন্ন দেশের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান;
 
 
 
 
(ঘ) আদালত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গবেষণা এবং তথ্যানুসন্ধান করা এবং উক্তরূপ গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধানলব্ধ তথ্যাদি প্রকাশ;
 
 
 
 
(ঙ) বিচার ব্যবস্থা ও বিচার কার্যের গুণগত উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, ওয়ার্কশপ ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন ও পরিচালনা;
 
 
 
 
(চ) বিচার ব্যবস্থা ও আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাময়িকী, প্রতিবেদন ইত্যাদি প্রকাশ;
 
 
 
 
(ছ) বিচার ব্যবস্থা ও আদালত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
 
 
 
 
(জ) এই আইনের অধীন প্রশিক্ষণের পাঠক্রম ও অধ্যয়নের বিষয় নির্দিষ্ট করা এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঝ) ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে সার্টিফিকেট প্রদান;
 
 
 
 
(ঞ) লাইব্রেরী ও পাঠাগার স্থাপন ও উহাদের পরিচালনা;
 
 
 
 
(ট) বিচার প্রশাসন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত যে কোন কাজ;
 
 
 
 
(ঠ) উপরিউক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ৷
বোর্ডের সভা
৮৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) বোর্ডের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না৷
 
 
 
 
(৫) বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং, ভোটের সমতার ক্ষেত্রে, সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা হইবে না৷
কমিটি
৯৷ বোর্ড উহার দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তাদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
ইনস্টিটিউটের তহবিল
১০৷ (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ;
 
 
 
 
(ঘ) ইনস্টিটিউটের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
 
 
(ঙ) অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
 
 
 
 
(২) এই তহবিল ইনস্টিটিউটের নামে কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে এই তহবিল হইতে অর্থ উঠানো যাইবে৷
 
 
 
 
(৩) এই তহবিল হইতে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৪) ইনস্টিটিউট এই তহবিল সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে৷
মহা-পরিচালক
১১৷ (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহা-পরিচালক থাকিবেন৷
 
 
 
 
3[(১ক) সুপ্রীম কোর্টের বিচারক বা বিচারক ছিলেন বা বিচারক হইবার যোগ্য কোন ব্যক্তি মহা-পরিচালক হইবেন৷]
 
 
 
 
(২) মহা-পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) মহা-পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহা-পরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহা-পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা মহা-পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি মহা-পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) মহা-পরিচালক ইনস্টিটিউটের সার্বক্ষণিক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
 
 
(ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
 
 
(খ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১২৷ ইনস্টিটিউট উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
বার্ষিক বাজেট বিবরণী
১৩৷ ইনস্টিটিউট প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ-বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বত্সরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে৷
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৪৷ (১) ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বত্সরে ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্ট এর একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ইনস্টিটিউটের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
প্রতিবেদন
১৫৷ প্রতি অর্থ-বত্সর শেষ হইবার সংগে সংগে ইনস্টিটিউট উক্ত বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার প্রয়োজনমত ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার বিষয়াবলীর উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
১৬৷ এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে (in good faith) কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড, চেয়ারম্যান, সদস্য, মহা-পরিচালক বা ইনস্টিটিউটের অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৭৷ বোর্ড উহার বিবেচনায় যথাযথ যে কোন শর্ত সাপেক্ষে, যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বা মহা-পরিচালক বা ইনস্টিটিউটের অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৮৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
রহিতকরণ
২০৷ (১) এতদ্‌দ্বারা বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২ নং অধ্যাদেশ) রহিত করা হইল৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কাজকর্ম ও গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত ও গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

  • 1
    ধারা ৬ ও ৬ক পূর্ববর্তী ধারা ৬ এর পরিবর্তে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ৫ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংযোজিত
  • 2
    ধারা ৬ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৯ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 3
    উপ-ধারা (১ক) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ৫ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs