প্রিন্ট ভিউ

পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬

( ১৯৯৬ সনের ৬ নং আইন )

পানি সরবরাহ ও পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা নির্মাণ, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, পরিচালনা ও সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাদি সম্পর্কে বিধানকরণ এবং তদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু পানি সরবরাহ ও পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা নির্মাণ, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, পরিচালনা ও সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাদি সম্পর্কে এবং তদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাকল্পে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
 
 

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) ইহা-
 
 
 
 
(ক) ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের এখ্‌তিয়ারভুক্ত এলাকার ক্ষেত্রে ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪০৩ মোতাবেক ১৫ই মে, ১৯৯৬ তারিখে বলবত্ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
 
 
 
 
(খ) অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ এবং যে এলাকা নির্ধারণ করিবে সে তারিখে এবং সে এলাকায় বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ;
 
 
 
 
(খ) “কর্পোরেশন” অর্থ কোন আইনের অধীন কোন নগরীর জন্য গঠিত সিটি কর্পোরেশন;
 
 
 
 
(গ) “কার্য-সম্পাদন-চক্তি” অর্থ সম্মত লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্য সম্পাদন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কর্তৃপক্ষ ও সরকারের মধ্যে বার্ষিক চুক্তি;
 
 
 
 
(ঘ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(ঙ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল;
 
 
 
 
(চ) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
 
 
(ছ) “নীতি-বিবৃতি” অর্থ কতৃপক্ষের নির্দেশনার জন্য ধারা ১৬ এর অধীন, সময় সময় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নীতি-বিবৃতি;
 
 
 
 
(জ) “পয়ঃঅভিকর” অর্থ পয়ঃব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত চার্জ এবং পয়ঃসংযোগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত হইতে পারে এইরূপ চার্জ বা ফিসও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঝ) “পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা” অর্থ স্বাস্থ্য, পয়ঃ এবং শিল্পবর্জ্য সংগ্রহ, পাম্পিং, শোধন এবং অপসারণের জন্য সর্বপ্রকার পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা;
 
 
 
 
(ঞ) “পরিবেশ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা” অর্থ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা;
 
 
 
 
(ট) “পানি অভিকর” অর্থ বিভিন্ন প্রকার পানি ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত চার্জ এবং পানি সংযোগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত হতে পারে এইরূপ চার্জ বা ফিসও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঠ) “পানি সরবরাহ ব্যবস্থা” অর্থ পানি সংগ্রহ, শোধন, পাম্পিং, সঞ্চয় এবং সরবরাহ করার ব্যবস্থা;
 
 
 
 
(ড) “পৌর কর্তৃপক্ষ” অর্থ কোন আইনের অধীন কোন নগরীর জন্য গঠিত কোন সিটি কর্পোরেশন বা Paurashava Ordinance, 1977 (XXVI of 1977) এর অধীন গঠিত কোন পৌরসভা;
 
 
 
 
(ঢ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ণ) “বৃষ্টি-পানি” অর্থ বৃষ্টি দ্বারা সৃষ্ট পানি-কুণ্ড;
 
 
 
 
(ত) “বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন অভিকর” অর্থ বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন প্রণালীর জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত চার্জ;
 
 
 
 
(থ) “বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন প্রণালী” অর্থ বৃষ্টি, বন্যা এবং ভূ-উপরস্থ পানি নিষ্কাশনের জন্য সকল পয়ঃপ্রণালী;
 
 
 
 
(দ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(ধ) “বোর্ড” অর্থ কর্তৃপক্ষের বোর্ড;
 
 
 
 
(ন) “ব্যবস্থাপনা পরিচালক” অর্থ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক;
 
 
 
 
(প) “ভাইস-চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(ফ) “শিল্প বর্জ্য” অর্থ শিল্প প্রক্রিয়া হইতে প্রাপ্ত, কিন্ত স্বাস্থ্য বর্জ্য হইতে স্বতন্ত্র, তরল বর্জ্য;
 
 
 
 
(ব) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য;
 
 
 
 
(ভ) “স্বাস্থ্য-পয়ঃ” অর্থ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ধৌত ও অপসারিত স্বাস্থ্য বর্জ্য৷
 
 
 
 

দ্বিতীয় অধ্যায়

কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা

কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা
৩৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন এলাকার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ উহার এলাকাধীন কোন মহানগরী বা প্রধান শহরের নামানুসারে পরিচিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
শেয়ার মূলধন
৪৷ (১) প্রত্যেক কর্তৃপক্ষের সরকার যেরূপ অনুমোদন করিবে সেরূপ মূলধন থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষের সকল শেয়ার মূলধন সরকার তত্কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত শেয়ার মূলধন, সরকার সময় সময়, বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
কর্তৃপক্ষের সাধারণ পরিচালনা
৫৷ কর্তৃপক্ষের বিষয়াদি ও কার্যাবলীর সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
বোর্ডের গঠন
৬৷ (১) বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য-সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(খ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(গ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরবরাহকৃত পানি ব্যবহারকারীগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(ঘ) সংশ্লিষ্ট এলাকার শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(ঙ) ইনষ্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(চ) ইনষ্টিটিউট অব ইজ্ঞিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(ছ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এলাকাধীন পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী মহিলাসহ দুই জন সদস্য:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কোন কর্তৃপক্ষের এলাকাধীন একাধিক পৌর কর্তৃপক্ষ থাকে সেই ক্ষেত্রে উক্ত এলাকাধীন প্রধান পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের সদস্য হইবেন;
 
 
 
 
(জ) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(ঝ) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(ঞ) বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
 
 
(ট) ইনষ্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইজ্ঞিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য৷
 
 
 
 
(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকারবলে বোর্ডের একজন সদস্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) সকল সদস্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত কোন সদস্য সরকারের অন্যান্য যুগ্ম-সচিবের পদ-মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ হইতে নিযুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(৪) কোন সদস্য তাহার নিয়োগের তারিখ হইতে তিন বত্সরের মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন এবং পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সদস্যের পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁহার উত্তরাধিকারী নিযুক্ত হইয়া কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৫) কোন সদস্য অসদাচরণের জন্য দোষী অথবা তাঁহার দায়িত্ব বা কর্তব্য পালনে অমনোযোগী সাব্যস্ত হইলে, সরকার তাঁহাকে যে কোন সময় তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে৷
বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান
৭৷ (১) বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন যিনি সরকার কর্তৃক সদস্যগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের একজন ভাইস-চেয়ারম্যান থাকিবেন, যিনি সদস্যগণ কর্তৃক তাঁহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান বোর্ডে তাঁহাদের সদস্যপদ বহাল থাকাকালীন সময়ে স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যানের পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁহার উত্তরাধিকারী নিযুক্ত বা, ক্ষেত্রমত, নির্বাচিত হইয়া কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৪) চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান অসদাচরণের জন্য দোষী অথবা তাঁহার দায়িত্ব বা কর্তব্য পালনে অমনোযোগী সাব্যস্ত হইলে, সরকার তাঁহাকে যে কোন সময় তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে৷
চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের পদত্যাগ
৮৷ চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য যে কোন সময় স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না৷
আকস্মিক শূন্যতা এবং অনুপস্থিতি
৯৷ (১) যদি মৃত্যু,অপসারণ বা পদত্যাগের কারণে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্যের পদ শূন্য হয়, তাহা হইলে ধারা ৬ এর বিধান মোতাবেক উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা হইবে এবং শূন্য পদে নিযুক্ত বা, ক্ষেত্রমত, নির্বাচিত ব্যক্তি তাঁহার পূর্বসূরীর মেয়াদের বাকী সময় পর্যন্ত তাঁহার পদে বহাল থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) যদি অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাঁহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাহা হইলে ভাইস-চেয়ারম্যান চেয়ারম্যানের পদের দায়িত্ব পালন করিবেন৷
বোর্ডের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
 
 
১০৷ (১) ধারা ৫ এর অধীন ক্ষমতা ও দায়িত্বের সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, বোর্ডের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য, নীতি-বিবৃতির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ, নীতিমালা প্রণয়ন;
 
 
 
 
(খ) কর্তৃপক্ষের কাজকর্ম এবং প্রশাসন কিভাবে পরিচালিত হইবে এবং ইহার অর্থ সংক্রান্ত বিষয়াদি কিভাবে নির্বাহ করা হইবে তত্সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন;
 
 
 
 
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণের নিয়োগ এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণের দয়িত্ব নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঘ) কর্তৃপক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্ধারণ এবং ইহার পরিবর্তন অনুমোদন;
 
 
 
 
(ঙ) কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের পদ সৃষ্টির অনুমোদন এবং তাহাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধাদি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(চ) কর্তৃপক্ষের বার্ষিক বাজেট এবং সম্পূরক বাজেট অনুমোদন;
 
 
 
 
(ছ) নিরীক্ষা-প্রতিবেদন অনুমোদন;
 
 
 
 
(জ) কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া, কর্পোরেট পরিকল্পনা এবং বার্ষিক ও মধ্যবর্তী বিনিয়োগ পরিকল্পনা অনুমোদন;
 
 
 
 
(ঝ) কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বিনিয়োগ এবং তদুদ্দেশ্যে অর্থ সংস্থানের অনুমোদন;
 
 
 
 
(ঞ) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সীমার মধ্যে চুক্তি অনুমোদন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বিনিয়োগ সম্পর্কিত চুক্তির ক্ষেত্রে এই সীমা প্রযোজ্য হইবে না;
 
 
 
 
(ট) প্রদত্ত সেবার জন্য বা প্রকারান্তরে কর্তৃপক্ষকে প্রদেয় বিভিন্ন অভিকর ও চার্জের সমন্বয়ের প্রস্তাব অনুমোদন;
 
 
 
 
(ঠ) কর্তৃপক্ষের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং সরকার কর্তৃক তলবকৃত অন্যান্য প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিলকরণ;
 
 
 
 
(ড) বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ে এবং প্রণালীতে সরকারের নিকট, সরকারের বাজেট পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কর্তৃপক্ষের রাজস্ব-সম্বন্ধীয় পরিকল্পনা এবং আর্থিক অবস্থার বিবরণ দাখিলকরণ;
 
 
 
 
(ঢ) সরকারের অর্থায়ন বা জামিনদারিত্বের প্রয়োজন এইরূপ সকল বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট দাখিলকরণ;
 
 
 
 
(ণ) বোর্ডের সভার জন্য কার্যপদ্ধতি গ্রহণ;
 
 
 
 
(ত) এই আইনের চাহিদা মোতাবেক বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ যাহাতে বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় বোর্ড ইহা নিশ্চিত করিবে৷
 
 
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

কার্য পরিচালনা

বোর্ডের সভা
১১৷ (১) বোর্ড উহার কর্তব্য ও দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পাদনের প্রয়োজনে যতবার প্রয়োজন ততবার সভায় মিলিত হইবে :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রত্যেক দুই মাসে অন্ততঃ একবার বোর্ড সভায় মিলিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান অথবা, তাঁহার অবর্তমানে, ভাইস-চেয়ারম্যান কর্তৃক আহূত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) বোর্ডের কোন বিশেষ সভা আহবান করা হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) চেয়ারম্যান অথবা, তাঁহার অবর্তমানে, ভাইস-চেয়ারম্যান ইহা প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করেন;
 
 
 
 
(খ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুরোধ করেন; অথবা
 
 
 
 
(গ) সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য অনুরোধ করেন৷
 
 
 
 
(৪) সভার কোরামের জন্য অন্যুন পাঁচজন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে৷
 
 
 
 
(৫) যদি কোন সভায় কোরাম পূর্ণ না হয় তাহা হইলে সভা পরবর্তী কার্যদিবস পর্যন্ত মূলতবী থাকিবে এবং ঐ দিন পূর্ব দিনের নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৬) যদি মুলতবী সভায় কোরাম পূর্ণ না হয় তাহা হইলে সভায় উপস্থিত সদস্য দ্বারা কোরাম গঠিত হইবে এবং সভার কার্য পরিচালনা করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৭) বোর্ডের সভায় সকল প্রশ্ন উপস্থিত এবং ভোটদানকারী সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নিষ্পত্তি হইবে তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে৷
 
 
 
 
(৮) বোর্ডের চেয়ারম্যান উহার সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত কোন সদস্য উহাতে সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৯) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোর্ডের যে কোন সভায় যোগদান করিতে পারিবেন এবং কার্যধারায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, কিন্ত কোন ভোট দিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(১০) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, বোর্ডের সভার সময়, স্থান এবং আহ্বান-পদ্ধতি সম্পর্কিত সকল বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
 
 
 
 
(১১) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড প্রবিধান দ্বারা এইরূপ বিধান করতে পারিবে যে, কোন বিষয়ে সকল সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত সিদ্ধান্ত বোর্ডের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ন্যায় কার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে৷
কমিটি গঠন
১২৷ (১) বোর্ড, কোন বিষয় পরীক্ষার জন্য, উহার সদস্যগণ এবং উহার বিবেচনায় অন্য যে সকল ব্যক্তির পরামর্শ ও সহায়তা প্রয়োজন সেই সকল ব্যক্তির সমন্ববয়ে কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ কোন কমিটি গঠিত হইলে, বোর্ড কমিটির বিবেচ্য বিষয় এবং কত দিনের মধ্যে উহার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে উহা নির্ধারণ করিয়া দিবে৷
সদস্যগণের ফিস
১৩৷ চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণকে বোর্ডের সভায় যোগদান করার জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফিস বা সম্মানী প্রদান করা হইবে৷
সভার কার্যবিবরণী সরকারের নিকট প্রেরণ
১৪৷ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোর্ডের প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সভা অনুষ্ঠিত হইবার পাঁচ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) সরকার, কার্যসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী পরিবীক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উহার নিকট কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোন বিষয়ে কোন বিবরণী, বর্ণনা, প্রাক্কলিত হিসাব, পরিসংখ্যান বা অন্য কোন তথ্য অথবা উক্তরূপ কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) সরকার যে কোন সময় তত্কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তার দ্বারা কর্তৃপক্ষের কোন বিষয় তদন্ত করাইতে পারিবে৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৫৷ বোর্ড, লিখিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির অধীন উহার যে কোন ক্ষমতা, কর্তব্য বা দায়িত্ব, তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বা কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তার উপর অর্পণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 

চতুর্থ অধ্যায়

কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব

নীতির প্রশ্নে নীতি-বিবৃতি দ্বারা পরিচালনা
১৬৷ (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন উহার দায়িত্ব পালনে কোন নীতির প্রশ্নে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সাধারণ নীতি-বিবৃতি দ্বারা পরিচালিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার বিষয়াদি সম্বন্ধে স্কীম প্রণয়ন করিতে, কার্যসূচী নির্ধারণ করিতে এবং উহার জন্য ব্যয় বরাদ্দ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষ সরকারের সহিত কর্তৃপক্ষের কার্যাবলীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা সম্বলিত একটি বার্ষিক কার্য সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করিবে৷
কর্তৃপক্ষের সাধারণ ক্ষমতা ও দায়িত্ব
১৭৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সকল বা যে কোন কাজ হাতে নিতে পারিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রণালীতে উহা হইতে উপকার ভোগকারী ব্যক্তিগণের নিকট হইতে অভিকর বা চার্জ আদায় করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন এলাকায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পয়ঃব্যবস্থা চালু করার তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে যদি ঐ এলকার কোন হোল্ডিংয়ের মালিক পয়ঃসংযোগ গ্রহণ না করেন তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ, যথাযথ বিবেচনা করিলে, ঐ হোল্ডিংয়ের বিপরীতে সংযোগ-পরবর্তী পয়ঃঅভিকরের অধিক হইবে না এমন হারে পয়ঃচার্জ আরোপ ও আদায় করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ উহার এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকা বা এলাকার কোন অংশ বিশেষের জন্য নিম্নলিখিত সকল বা যে কোন বিষয়ে এক বা একাধিক স্কীম প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সুপেয় পানি সংগ্রহ, শোধন, পাম্পিং, সঞ্চয় এবং সরবরাহের জন্য সরবরাহ ব্যবস্থা নির্মাণ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ;
 
 
 
 
(খ) স্বাস্থ্য-পয়ঃ এবং শিল্প-বর্জ্য সংগ্রহ, পাম্পিং, প্রক্রিয়ায়ন এবং অপসারণের জন্য পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা নির্মাণ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ;
 
 
 
 
(গ) কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় বিদ্যমান অপ্রয়োজনীয় বা অকেজো নর্দমা বন্ধকরণ বা করান;
 
 
 
 
(ঘ) বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনসহ নিষ্কাশন সুবিধার জন্য ময়লা নির্গমন প্রণালী নির্মাণ ও সংরক্ষণ৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রণীত প্রত্যেক স্কীম ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোর্ডের অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন এবং তত্সংগে নিম্নলিখিত তথ্যাদিও সরবরাহ করিবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) স্কীমের একটি বর্ণনা এবং উহা বাস্তবায়নের পন্থা;
 
 
 
 
(খ) ব্যয় ও সুবিধার একটি আনুমানিক হিসাব, স্কীমের আওতাধীন বিভিন্ন বরাদ্দকৃত ব্যয় এবং উপকার ভোগকারীগণ কর্তৃক প্রদেয় অর্থের পরিমাণ;
 
 
 
 
(গ) স্কীম বাস্তবায়নের ফলে সম্ভাব্য স্থানচ্যুত ব্যক্তি গণের পুনর্বাসনের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের বর্ণনা৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রস্তুতকৃত কোন স্কীমের জন্য সরকারকে সরাসরি অর্থ যোগান দিতে হয় অথবা যে ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোন স্কীমের জন্য জোগানো অর্থ সরকারের জামিনাধীন থাকে, সেই ক্ষেত্রে স্কীমটি অনুমোদনের জন্য উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত তথ্যাদিসহ সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(৫) বোর্ড অথবা, ক্ষেত্রমত, সরকার উপ-ধারা (৩) বা (৪) এর অধীন পেশকৃত স্কীম মঞ্জুর বা না-মঞ্জুর করিতে পারিবে, অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত্ পাঠাইতে পারিবে, অথবা প্রয়োজনবোধে স্কীম সম্পর্কে আরও তথ্য বা বিস্তারিত বর্ণনা তলব করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৬) কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য দক্ষতার সহিত উহার সেবা প্রদান করিবে এবং তজ্জন্য ব্যয়িত অর্থ সম্পূর্ণ উশুল করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৭) কর্তৃপক্ষ উহার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-
 
 
 
 
(ক) স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন, ক্রয়, বিনিময়, ধারণ, বন্ধক, বন্দোবস্ত, দায়বদ্ধ, বিক্রয়, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) যে কোন চুক্তি সম্পাদন ও যে কোন দায় গ্রহণ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) জনসাধারণের স্বার্থ ও প্রয়োজনের সহিত সংগতি রক্ষা করিয়া নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে এবং উহা সংশোধন ও বাতিল করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ঘ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিতে পারিবে৷
সরকার বা অন্য কোন সংস্থা কর্তৃক প্রণীত স্কীম বাস্তবায়ন
১৮৷ কর্তৃপক্ষ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, সরকার বা কোন কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা অন্য কোন সংস্থা কর্তৃক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পূর্বে প্রণীত কোন পানি সরবরাহ অথবা পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা সম্পর্কিত স্কীম, উভয় পক্ষের সম্মত শর্তে, বাস্তবায়ন বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে৷
পৌরসভা বা অন্য কোন সংস্থা হইতে দায়িত্ব হস্তান্তর
১৯৷ (১) কর্তৃপক্ষ উহার এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকায় কোন পানি সরবরাহ বা পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা স্বয়ং গ্রহণ করার জন্য উহা প্রতিষ্ঠার পর যত শীঘ্র সম্ভব, একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করিয়া উহা অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, উপ-ধারা (১) এর অধীন পেশকৃত পরিকল্পনা অনুমোদন করিলে, সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা কর্পোরেশনের সহিত আলোচনাক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সরকারের উপর অথবা উক্ত পৌরসভা বা কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত কোন পানি সরবরাহ বা পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে উক্ত পানি সরবরাহ বা পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন পানি সরবরাহ বা পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত হয় সেই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এই আইনের বিধান মোতাবেক উক্তরূপ ব্যবস্থার পরিচালনা গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার পর, সরকার বা কর্পোরেশন বা পৌরসভা উহার পানি সরবরাহ বা পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা যত শীঘ্র সম্ভব, কিন্তুু অনধিক এক মাসের মধ্যে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করিবে এবং উক্তরূপ হস্তান্তরের তারিখ হইতে সরকার বা কর্পোরেশন বা পৌরসভা উক্ত সেবার জন্য আর কোন অভিকর বা চার্জ অরোপ করিবে না৷
 
 
 
 
(৫) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার যদি মনে করে যে, উপ-ধারা (২) এর অধীনে ন্যস্ত কোন পানি, পয়ঃ বা বৃষ্টির পানি সংক্রান্ত স্থাপনা দক্ষতার সহিত বা সন্তোষজনকভাবে পরিচালনা করিতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হইয়াছে তাহা হইলে সরকার, প্রজ্ঞাপন দ্বারা সংশ্লিষ্ট পানি, পয়ঃ বা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সংক্রান্ত স্থাপনা উহার নিজের নিকট অথবা যে কর্পোরেশন বা পৌরসভা হইতে হস্তান্তরিত হইয়াছিল সেই কর্পোরেশন বা পৌরসভার নিকট পুনরায় হস্তান্তর করিতে পারিবে এবং এইরূপ প্রজ্ঞাপন জারীর তারিখ হইতে উক্তরূপ পানি, পয়ঃ বা বৃষ্টির পানি সংক্রান্ত স্থাপনাদি সরকার অথবা কর্পোরেশন অথবা পৌরসভায় পূনঃহস্তান্তরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীনে প্রজ্ঞাপন জারীর পর কর্তৃপক্ষ প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পানি, পয়ঃ বা বৃষ্টির পানি সংক্রান্ত স্থাপনার ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ যত শীঘ্র সম্ভব, কিন্তু অনধিক এক মাসের মধ্যে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, সরকার অথবা কর্পোরেশন অথবা, ক্ষেত্রমত, পৌরসভার নিকট পুনঃহস্তান্তর করিবে এবং কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ পুনঃহস্তান্তরের তারিখ হইতে উক্ত স্থাপনা বা সেবা বাবদ কোন অভিকর বা চার্জ আরোপ ও আদায় করা হইতে বিরত থাকিবে৷
 
 
 
 
(৭) সরকার কোন নূতন এলাকা কর্তৃপক্ষের এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকার সহিত সংযুক্ত করিতে অথবা কোন নূতন সেবা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ সংযুক্তি বা হস্তান্তরের পর যদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত এলাকায় আরোপিত অভিকর হইতে তথায় প্রদত্ত সেবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় মিটানো না যায় তাহা হইলে সরকার আরোপিত অভিকর যে পরিমাণে উক্তরূপ ব্যয় হইতে কম হয় সে পরিমাণ অর্থ কর্তৃপক্ষকে অনুদান হিসাবে প্রদান করিবে৷
নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা
২০৷ এই আইনের ধারা ১৮ অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সময় সময়, উভয় পক্ষের সম্মত শর্তে, কোন কর্পোরেশন বা পৌরসভা কর্তৃক সংরক্ষিত কোন পানি সরবরাহ বা পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে ও ব্যবস্থাপনায় হস্তান্তর করার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
প্রদত্ত সেবার জন্য অভিকর আরোপের ক্ষমতা
২১৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রণালীতে, উহার সেবার জন্য পানি অভিকর, পয়ঃঅভিকর ও বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন অভিকর আরোপ করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন এলাকায় পানি সরবরাহ বা পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত এবং তজ্জন্য আরোপনীয় অভিকর বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত এলাকায় কোন পানি অভিকর, বা পয়ঃঅভিকর বা বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন অভিকর আরোপ ও আদায় করা যাইবে না:
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, সরকার ইচ্ছা করিলে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ধর্মীয় উপাসনালয়কে পানি অভিকর, পয়ঃঅভিকর ও বৃষ্টি-পানি অভিকর আরোপ ও আদায় হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷ তবে উক্তরূপ অব্যাহতির জন্য সরকার কর্তৃক কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে৷
অভিকর সংশোধন
২২৷ (১) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সেবার জন্য আরোপিত অভিকর বা চার্জ প্রত্যেক বত্সর একবার, বা বিশেষ কারণে যে কোন সময়, পর্যালোচনা করিয়া দেখা হইবে এবং প্রত্যেক পাঁচ বত্সরে অথবা তত্পূর্বে একবার সংশোধন করা যাইবে, কিন্তু কোন সংশোধিত অভিকর বা চার্জ সরকারের পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে আদায় করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পাইলে অতিরিক্ত ব্যয় বহনের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, উক্ত অভিকর বা চার্জ প্রতি অর্থ বত্সরে একবার অনধিক পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত সমন্বয় করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) পাঁচ শতাংশের অধিক মুদ্রাস্ফীতিজনিত অথবা অন্য কোন যুক্তিসংগত কারণে কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পাইলে, উক্তরূপ ব্যয় মিটানোর জন্য সরকার, লিখিত আদেশ দ্বারা, কর্তৃপক্ষকে উহার অভিকর বা চার্জের হার, সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকেই, বৃদ্ধি করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে৷
অভিকর প্রকাশ
২৩৷ প্রত্যেক পানি অভিকর, পয়ঃ অভিকর এবং বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন অভিকর উহা কার্যকর হওয়ার তারিখের অন্যুন ত্রিশ দিন পূর্বে নির্ধারিত পদ্ধতিতে জনসাধারণের নিকট প্রকাশ করিতে এবং প্রকাশ্যভাবে প্রদর্শন করিতে হইবে৷
কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য কাহারও পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদি নিষিদ্ধ
২৪৷ (১) কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকায় সুপেয় পানি সংগ্রহ, শোধন, পাম্পিং, সঞ্চয় বা সরবরাহ করার অথবা পয়ঃ সংগ্রহ, পাম্পিং ও পরিশোধনের জন্য কোন সুবিধাদি নির্মাণ বা সংরক্ষণ করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ, উহার পানি সরবরাহ বা পয়ঃনিষ্কাশন করিতে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত, কোন ব্যক্তিকে, তাহার আবেদনক্রমে, নির্ধারিত শর্তে এবং চার্জ প্রদানে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত সুবিধাদি নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হইবার তারিখে উক্তরূপ সুবিধাদি বিদ্যমান থাকে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত তারিখ হইতে ছয় মাস পর্যন্ত উহা চালু থাকিবে এবং তত্পর নির্ধারিত শর্তে ও চার্জ প্রদানে উহা চালু রাখা যাইবে:
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে উহার এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকায় বিদ্যমান পানি বা পয়ঃ সংক্রান্ত যে কোন ব্যক্তিমালিকানাধীন সুবিধাদি বন্ধ করিয়া দিতে পারিবে৷
রেয়াত ও অধিকর
২৫৷ (১) কর্তৃপক্ষ উহার কোন গ্রাহককে পানি অভিকর, পয়ঃঅভিকর বা বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন অভিকর যথাসময়ে পরিশোধের জন্য রেয়াত প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্ত অভিকর যথাসময়ে পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য কর্তৃপক্ষ অধিকর আদায় করিতে পারিবে৷
পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ
২৬৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ-
 
 
 
 
(ক) কোন অননুমোদিত সংযোগ অর্থাত্ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে স্থাপিত কোন সংযোগ অথবা অনুমতি মোতাবেক স্থাপিত হয় নাই এমন কোন সংযোগ, যে কোন সময় বিচ্ছিন্ন করিয়া দিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) পানি অভিকর, পয়ঃঅভিকর বা বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন অভিকর অনাদায়ের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন গ্রাহককে অন্যুন এক মাসের নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) যদি কোন সংযোগ গ্রাহক যে উদ্দেশ্যে সংযোগ দেওয়া হইয়াছে সেই উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে পানি ব্যবহার করেন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে পানির সরবরাহ গ্রহণ না করিয়া বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে বা প্রকারান্তরে অননুমোদিত পন্থায় পানির সরবরাহ গ্রহণ করেন তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি কোন অননুমোদিত সংযোগ স্থাপন করিবেন না বা করিতে দিবেন না এবং উক্তরূপ অননুমোদিত সংযোগ এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে৷
চুক্তি
২৭৷ (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের যে কোন উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন মালামাল সরবরাহের জন্য অথবা কোন কাজ সম্পাদনের জন্য কৃত চুক্তি লিখিত এবং সীলমোহরযুক্ত হইতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) প্রত্যেক চুক্তি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) উক্তরূপ প্রত্যেক চুক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে সম্পাদিত হইবে এবং ইহা কর্তৃপক্ষের জন্য অবশ্য-পালনীয় হইবে৷
 
 
 
 

পঞ্চম অধ্যায়

সংস্থাপন

ব্যবস্থাপনা পরিচালক
২৮৷ (১) কর্তৃপক্ষের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকিবেন, যিনি বোর্ড কর্তৃক, সরকারের অনুমোদনক্রমে, নিযুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিন বত্সরের মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন, এবং পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) বোর্ড, সরকারের অনুমোদনক্রমে, ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অযোগ্যতা, মানসিক বা শারীরিক অক্ষমতা বা অসদাচরণের কারণে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অপসারণের আদেশ কেন দেওয়া হইবে না তত্সম্পর্কে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগদান না করিয়া উক্তরূপ কোন অপসারণের আদেশ প্রদান করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পারিশ্রমিক, সুযোগ-সুবিধা এবং চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলী বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
 
 
 
(৫) ব্যবস্থাপনা পরিচালক একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা এবং কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন৷
 
 
 
 
(৬) কর্তৃপক্ষের সহিত কোন ব্যক্তি বা অপর কোন কর্তৃপক্ষের লেনদেনের ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃপক্ষের আইনগত প্রতিনিধি হইবেন৷
 
 
 
 
(৭) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত, আর্থিক ও পরিচালনা লক্ষ্যসহ, সকল নীতি ও কর্মপন্থা বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ করা;
 
 
 
 
(খ) কর্তৃপক্ষের যাবতীয় কাজকর্ম ও বিষয়াদি আর্থিক ও প্রশাসনিকভাবে নিখুঁত পদ্ধতিতে এবং এই আইন, বিধি ও প্রবিধান অনুযায়ী এবং বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন চুক্তি মোতাবেক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করা;
 
 
 
 
(গ) প্রত্যেক আর্থিক বত্সর শেষ হইবার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে, উক্ত বত্সরে কর্তৃপক্ষের কাজকর্ম ও বিষয়াদি পরিচালনা ও কার্যসম্পাদন সম্পর্কে, নিরীক্ষা-প্রতিবেদন ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রতিবেদনসহ, একটি বার্ষিক প্রতিবেদন বোর্ডের নিকট পেশ করা;
 
 
 
 
(ঘ) বোর্ডের নিকট, উহার বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য, কর্তৃপক্ষের বার্ষিক বাজেট এবং, প্রয়োজনবোধে, সম্পূরক বাজেট পেশ করা;
 
 
 
 
(ঙ) বোর্ডের নিকট, উহার অনুমোদনের জন্য, সম্প্রসারণ পরিকল্পনাসহ কর্তৃপক্ষের কর্পোরেট পরিকল্পনা এবং বার্ষিক ও মধ্যবর্তী বিনিয়োগ পরিকল্পনা, উহাদের যৌক্তিকতা ও সুবিধাদি এবং প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও অর্থনৈতিক যথার্থতা প্রদর্শন করিয়া পেশ করা;
 
 
 
 
(চ) কর্তৃপক্ষের সহিত সরকার অথবা সরকারের কোন দপ্তর, অফিস বা এজেন্সী অথবা অন্য কোন দেশী বা বিদেশী ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ বা এজেন্সীর লেনদেনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করা;
 
 
 
 
(ছ) চাকুরী বিধি ও প্রবিধান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ প্রদান এবং তাহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
 
 
 
 
(জ) কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারী বদলী করা;
 
 
 
 
(ঝ) পরবর্তী অর্থ বত্সরে সম্ভাব্য কার্যসম্পাদনের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সমন্বয়ের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের অভিকর ও চার্জের কোন পরিবর্তন বোর্ডের নিকট সুপারিশ করা;
 
 
 
 
(ঞ) কোন মামলা রুজু করা বা উহার পক্ষ সমর্থন করা বা উহা প্রত্যাহার করা বা আপোষ করা;
 
 
 
 
(ট) কর্তৃপক্ষের কোন বিষয়ে আইনগত পরামর্শ গ্রহণ করা;
 
 
 
 
(ঠ) সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের কর্পোরেট পরিকল্পনা ও কার্যসূচীর বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্পাদন লক্ষ্য স্থির করা;
 
 
 
 
(ড) কর্মচারীগণের জন্য কার্য সম্পাদন উত্সাহসহ, কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন বিষয়াদি পরিচালনার জন্য চালনা নীতি ও অভ্যন্তরীণ কার্য-পদ্ধতি প্রণয়ন এবং বোর্ডের অনুমোদনক্রমে উহা বাস্তবায়ন করা;
 
 
 
 
(ঢ) বোর্ড কর্তৃক আরোপিত অন্য কোন দায়িত্ব পালন করা৷
 
 
 
 
(৮) কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জবাবদিহি করিতে হইবে এবং তিনি স্বীকৃত কার্য সম্পাদনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দায়ী থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৯) কর্তৃপক্ষের যাবতীয় কাজকর্ম দক্ষতা ও শৃঙ্খলার সহিত সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়ী থাকিবেন৷
 
 
 
 
(১০) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, তাহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা, তত্কর্তৃক আরোপিত শর্তে, তাহার কোন অধস্তন কর্মকর্তার উপর অর্পণ করিতে পারিবেন৷
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণ ও নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা

1[২৮ক।  এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে, সরকার, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে, কোন প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, জনস্বার্থে, যে কোন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণ ও নিয়োগ করিতে পারিবে।]

উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক
২৯৷ (১) বোর্ড, সরকারের অনুমোদনক্রমে, এক বা একাধিক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের পারিশ্রমিক, সুযোগ-সুবিধা ও চাকরীর অন্যান্য শর্তাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহার উপর বোর্ড কর্তৃক আরোপিত অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
 
 
৩০৷ (১) কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা, উপদেষ্টা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ উহার প্রথম সাংগঠনিক কাঠামো বাস্তবায়নের পূর্বে উহা অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে :
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, কোন সাংগঠনিক কাঠামো সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইবার পর উহা, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, পরিবর্তন করা যাইবে, যদি এইরূপ পরিবর্তন কোন কার্যসম্পাদন চুক্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কোন ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্ততে অথবা প্রেষণে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের সম্মত শর্তে, নিয়োগদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে অথবা কোন চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড লিখিতভাবে চাহিলে, ধারা ১৯ এর অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত কোন কার্য সম্পর্কে কর্মরত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের নিকট বদলী হইবেন এবং উক্তরূপ বদলীর অব্যবহিত পূর্বে চাকুরীর যে শর্তাবলী তাহার উপর প্রযোজ্য ছিল সেই একই শর্তাবলী অনুযায়ী তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে চাকুরীরত থাকিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না উক্ত শর্তাবলী যথানিয়মে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিবর্তিত হয়৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অপসারণ ও নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা

2[৩০ক।  এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে, সরকার, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে, কোন প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, জনস্বার্থে, যে কোন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অপসারণ ও নিয়োগ করিতে পারিবে।]

চাকুরীতে নিয়োগ, চাকুরীর শর্তাবলী ও শৃংখলামূলক ব্যবস্থা
৩১৷ (১) কর্তৃপক্ষ, প্রবিধান দ্বারা, উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের নিয়োগ পদ্ধতি এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হইবে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃপক্ষের অন্য সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিয়োগ বোর্ডের অনুমোদনক্রমে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) বিধি ও প্রবিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের বিরুদ্ধে শৃংখলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 

ষষ্ঠ অধ্যায়

কর্তৃপক্ষ তহবিল

ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা
৩২৷ (১) কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনবোধে, কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সুদের প্রচলিত হারের অনূর্ধ্বহারে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সরকারের নিকট হইতে অথবা সরকারের জামিনদারিত্বে কোন ঋণ গ্রহণ করে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ঋণের শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
ঋণ যে উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয় সে উদ্দেশ্যে ব্যয়করণ
৩৩৷ কোন বিশেষ ব্যয় মিটাইবার জন্য অথবা কোন বিশেষ ঋণ পরিশোধ করিবার জন্য ধারা ৩২ এর অধীন ঋণ গৃহীত হইলে উহার কোন অংশ অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাইবে না৷
বাজেট
৩৪৷ (১) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোন অর্থ বত্সর শেষ হইবার তিন মাস পূর্বে, কর্তৃপক্ষের পরবর্তী অর্থ বত্সরের আনুমানিক আয় ও ব্যয় সম্বলিত একটি বাজেট অনুমোদনের জন্য বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) উক্ত বাজেটে মূলধন তহবিল সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে যদি, উহার মূলধন বিনিয়োগের সহিত সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত তহবিল অথবা সরকারের জামিনদারিত্বে গৃহীত অর্থ শামিল থাকে৷
 
 
 
 
(৩) নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে বাজেট প্রাক্কলন প্রস্তুত করিতে হইবে এবং ইহাতে নির্ধারিত বিষয়াদি সন্নিবেশিত থাকিবে৷
 
 
 
 
(৪) বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বাজেট প্রাক্কলনের একটি কপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৫) বাজেট প্রাক্কলন প্রাপ্তির পর সরকার উহা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী ও কার্য-সম্পাদন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা করিয়া দেখিবে, এবং যদি সরকার দেখে যে, ইহার কোন কিছু উহাদের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ, তাহা হইলে সরকার কর্তৃপক্ষকে উক্ত বাজেট প্রাক্কলনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
ব্যয় বাজেট বরাদ্দভুক্ত থাকিতে হইবে
৩৫৷ (১) কোন অর্থ চলতি বাজেট বরাদ্দের অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে উহা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা উহার পক্ষে ব্যয় করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, নিকাশ-জের বোর্ড কর্তৃক স্থিরিকৃত অর্থের নীচে নামানো যাইবে না৷
হিসাব
৩৬৷ কর্তৃপক্ষ উহার প্রত্যেক সেবার জন্য নিখুঁত বাণিজ্যিক রীতি অনুযায়ী হিসাবের বই রক্ষণ করিবে এবং উহাতে আয়ের বিবরণ, নগদ প্রবাহের বিবরণ ও আয়-ব্যয়ের হিসাবের বিবরণ থাকিবে৷
হিসাবের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ
৩৭৷ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রত্যেক অর্থ বত্সরের অর্ধেক সময় শেষ হইবার পর কর্তৃপক্ষের হিসাবের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন, এবং উহার একটি কপি কার্যসম্পাদন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবীক্ষণের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
বার্ষিক প্রতিবেদন
৩৮৷ (১) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রত্যেক অর্থ বত্সর শেষ হইবার তিন মাসের মধ্যে যত শীঘ্র সম্ভব, উক্ত বত্সরের কর্র্তৃপক্ষের বিষয়াদি পরিচালনা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন এবং উহার একটি কপি কার্যসম্পাদন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবীক্ষণের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) প্রতিবেদনে নির্ধারিত বর্ণনা সন্নিবেশিত থাকিবে৷
কর্র্তৃপক্ষের পাওনা আদায়
৩৯৷ (১) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কর্র্তৃপক্ষের পাওনা সরকারী দাবী হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষকে প্রদেয় কোন অভিকর ও চার্জ আদায়ের জন্য উক্ত ব্যক্তির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রি করার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষকে প্রদান করিতে পারিবে৷
হিসাবের বার্ষিক নিরীক্ষা
৪০৷ (১) কর্র্তৃপক্ষের হিসাব প্রত্যেক অর্থ বত্সরে একবার বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত কোন নিরীক্ষক দ্বারা পরীক্ষিত ও নিরীক্ষিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) কর্র্তৃপক্ষ উক্ত নিরীক্ষককে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিতোষিক দিবেন৷
 
 
 
 
(৩) কর্র্তৃপক্ষ প্রত্যেক অর্থ বত্সর সমাপ্তির দুই মাসের মধ্যে উহার হিসাব নিরীক্ষণ সম্পাদন এবং বোর্ড কর্তৃক উহা অনুমোদন নিশ্চিত করিবে৷
 
 
 
 

সপ্তম অধ্যায়

বিবিধ

সরকারের বিশেষ দায়িত্ব
৪১৷ সরকার কর্র্তৃপক্ষের সম্পদের প্রেক্ষাপটে উহার কর্পোরেট পরিকল্পনা, কার্যসূচী এবং কার্যসম্পাদন-চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সম্মত কার্যসম্পাদন সময়ান্তরিক পর্যালোচনা ও পরিবীক্ষণ করিবে৷
বোর্ডের অপসারণ
৪২৷ (১) যদি কোন কর্র্তৃপক্ষ বা বোর্ড সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নীতি-বিবৃতির অধীন কোন নির্দেশ মানিয়া চলিতে ব্যর্থ হয় অথবা এই আইনের অধীন উহার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অনবরতভাবে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত মেয়াদের জন্য উক্ত বোর্ডকে অপসারণ করিতে পারিবে, অথবা উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাকে চাকুরী হইতে অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ অপসারণ আদেশ প্রদানের অন্যুন তিন মাস পূর্বে সরকার কর্তৃপক্ষকে উক্তরূপ আদেশ কেন প্রদান করা হইবে না তত্সম্পর্কে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করিবে এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে সুযোগ দান করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার পর-
 
 
 
 
(ক) বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যগণ তাহাদের পদে আর অধিষ্ঠিত থাকিবেন না;
 
 
 
 
(খ) বোর্ডের অপসারণকালীন সময়ে উহার সকল দায়িত্ব সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পালিত হইবে অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক পালিত হইবে;
 
 
 
 
(গ) বোর্ডের অপসারণকালীন সময়ে কর্র্তৃপক্ষের সকল তহবিল ও সম্পত্তি সরকারের উপর ন্যস্ত থাকিবে৷
বোর্ড বাতিল করিবার ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা

3[৪২ক।  (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে, সরকার, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে, কোন প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, জনস্বার্থে, যে কোন কর্তৃপক্ষের বোর্ড বাতিল করিতে পারিবে।

(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হয় এইরূপ সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে যে কোন কর্তৃপক্ষের কর্মসম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ বোর্ডের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।]

কর্র্তৃপক্ষের জন্য জমি হুকুম দখল বা অধিগ্রহণ
 
 
৪৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্র্তৃপক্ষের কোন উদ্দেশ্যে কোন জমির প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজন বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং তদুদ্দেশ্যে উহা The Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (II of 1982) এর বিধান মোতাবেক হুকুম দখল বা অধিগ্রহণ করা যাইবে৷
প্রবেশের ক্ষমতা
৪৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পর ও সূর্যাস্তের পূর্বে যে কোন সময়ে যে কোন জমি বা গৃহে, উহার মালিক বা দখলকারকে যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান করিয়া, প্রবেশ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি লিখিতভাবে তলব করিলে, কোন জমি বা গৃহের মালিক বা দখলকার তলব অনুযায়ী তাহার নিকট কোন তথ্য বা নকশা পেশ করিবেন৷
কাজকর্ম ও কার্যধারার বৈধতা
৪৫৷ (১) এই আইনের অধীন কৃত কোন কাজকর্ম বা গৃহীত কোন কার্যধারা সম্পর্কে কেবল এই কারণে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না যে,-
 
 
 
 
(ক) বোর্ডে কোন শূন্যতা বা উহার গঠনে কোন ত্রুটি রহিয়াছে; বা
 
 
 
 
(খ) সদস্য না থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি সদস্য হিসাবে কাজ করিয়া যাইতেছে;
 
 
 
 
(গ) কোন বিষয়ের গুণাগুণ ক্ষুণ্ন করে না এইরূপ কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি বা অনিয়ম হইয়াছে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের কোন সভার কার্যবিবরণী যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত হইলে, উক্ত সভা যথাযথভাবে আহূত হইয়াছে এবং উহা সর্বপ্রকার ত্রুটি বা অনিয়ম মুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
৪৬৷ এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত বা করার জন্য অভীষ্ট কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য কর্তৃপক্ষ, বোর্ড, চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, অথবা অন্য কোন সদস্য, বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বা কর্তৃপক্ষের অন্য কোন কর্মকর্তা, উপদেষ্টা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা দায়ের বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না৷
জনসেবক
৪৭৷ চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, বা অন্য কোন সদস্য, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বা কর্তৃপক্ষের অন্য কোন কর্মকর্তা, উপদেষ্টা বা কর্মচারী Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 21 এ “Public servant” (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে Public servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন৷
 
 

অষ্টম অধ্যায়

বিধি ও প্রবিধান

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৪৮৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৪৯৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এবং উহার নীতি-বিবৃতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 

নবম অধ্যায়

অপরাধ ও দন্ড

অপরাধ
৫০৷ তফসিলে উল্লিখিত প্রত্যেক কার্য বা বিচ্যুতি এই আইনের অধীন অপরাধ হইবে৷
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
৫১৷ ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতিরেকে কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না৷
দণ্ড
৫২৷ (১) কোন ব্যক্তি (কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ) তফসিলের দফা ১, ৬, ৯, ১০ বা ১৩ এর অধীন কোন অপরাধ করিলে বা উক্তরূপ কোন অপরাধ করার চেষ্টা করিলে বা করিতে সহায়তা করিলে, তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে, বা অনধিক দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি (কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ) তফসিলের দফা ৫, ৭, ১১, ১২, ১৪, ১৫ বা ১৮ এর অধীন কোন অপরাধ করিলে বা উক্তরূপ কোন অপরাধ করার চেষ্টা করিলে বা করিতে সহায়তা করিলে, তিনি অনধিক তিন মাস কারাদণ্ডে, বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি (কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ) তফসিলের দফা ২, ৩, ৪, ৮, ১৬ বা ১৭ এর অধীন কোন অপরাধ করিলে বা উক্তরূপ কোন অপরাধ করার চেষ্টা করিলে বা করিতে সহায়তা করিলে, তিনি অনধিক দুই মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক দুই হাজার পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসাধুভাবে কোন কাজ করিয়া বা করা হইতে বেআইনীভাবে বিরত থাকিয়া, এই আইনের অধীন এমন কোন অপরাধ করার ব্যাপারে সাহায্য করেন বা করার সুযোগ করিয়া দেন যাহা প্রতিরোধ করা বা উদ্‌ঘাটন করা অথবা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের গোচরে আনয়ন করা তাঁহার দায়িত্ব ছিল, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধ করার ব্যাপারে সহায়তা করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন বা তদনুযায়ী দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৫) যদি কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীনে দণ্ডিত হন এবং অপরাধটি অব্যাহতভাবে চলিতে থাকে তাহা হইলে তিনি অপরাধটি প্রথম সংঘটিত হইবার তারিখের পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য, যতদিন অপরাধটি অব্যাহত থাকিবে ততদিন, অনধিক দুইশত পঞ্চাশ টাকা দৈনিক অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৬) এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তি দ্বিতীয়বার দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অনধিক এক বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক পনের হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বিধি ও প্রবিধান লংঘনের দণ্ড
৫৩৷ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধানে এই মর্মে বিধান করা যাইবে যে, উহার কোন বিধান লংঘন এই আইনে তজ্জন্য কোন দণ্ডের বিধান না থাকিলে, অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
অপরাধ আপোষ
৫৪৷ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ আপোষ করিতে পারিবেন৷
রহিতকরণ ইত্যাদি
৫৫৷ (১) এই আইন বলবত্ হওয়ার সংগে সংগে The Water Supply and Sewerage Authority Ordinance, 1963 (E.P. Ordinance XIX of 1963), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত রহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সংগে সংগে-
 
 
 
 
(ক) উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Chittagong Water Supply and Sewerage Authority, অতঃপর পুরাতন চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ বলিয়া উল্লিখিত, ভাংগিয়া যাইবে এবং সংগে সংগে যে এলাকার জন্য উহা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল সেই এলাকার জন্য চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ নামে এই আইনের অধীন একটি নূতন কর্তৃপক্ষ, অতঃপর চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ বলিয়া উল্লিখিত, প্রতিষ্ঠিত হইবে;
 
 
 
 
(খ) উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Dacca Water Supply and Sewerage Authority, অতঃপর পুরাতন ঢাকা কর্তৃপক্ষ বলিয়া উল্লিখিত, ভাংগিয়া যাইবে এবং সংগে সংগে যে এলাকার জন্য উহা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল সেই এলাকার জন্য ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ নামে এই আইনের অধীন একটি নূতন কর্তৃপক্ষ, অতঃপর ঢাকা কর্তৃপক্ষ বলিয়া উল্লিখিত, প্রতিষ্ঠিত হইবে;
 
 
 
 
(গ) পুরাতন চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং পুরাতন ঢাকা কর্তৃপক্ষের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সংরক্ষিত তহবিল, বিনিয়োগ এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কীয় উহাদের যাবতীয় স্বত্ব বা উহাতে যাবতীয় স্বার্থ এবং সকল হিসাবের বই, রেজিষ্টার, নথিপত্র ও অন্যান্য দলিল-দস্তাবেজ, যথাক্রমে, চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা কর্র্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত এবং উহাদের উপর ন্যস্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) উক্ত রহিতের পূর্বে পুরাতন চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং পুরাতন ঢাকা কর্তৃপক্ষের যে ঋণ, দায় ও দায়িত্ব ছিল এবং উহাদের দ্বারা বা উহাদের সহিত যে সকল চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছিল উহা, যথাক্রমে, চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা বা উহাদের সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) উক্ত রহিতের পূর্বে পুরাতন চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং পুরাতন ঢাকা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা-মোকদ্দমা বা আইনগত কার্যধারা, যথাক্রমে, চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুসারে ঐগুলি চলিতে থাকিবে বা নিষ্পত্তি হইবে;
 
 
 
 
(চ) পুরাতন চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং পুরাতন ঢাকা কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যথাক্রমে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা কর্তৃপক্ষের নিকট বদলী হইবেন এবং উহাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন, এবং উক্ত রহিতের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, ঢাকা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে তাহারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন;
 
 
 
 
(ছ) উক্ত রহিতের পূর্বে পুরাতন চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং পুরাতন ঢাকা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত ও রক্ষিত সকল ভবিষ্য বা পেনশন তহবিল, যথাক্রমে, চট্টগ্রাম এবং ঢাকা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত হইবে, এবং উহারা ঐগুলি রক্ষণ এবং পরিচালনা করিবে;
 
 
 
 
(জ) উক্ত Ordinance এর কোন বিধানের অধীন প্রণীত সকল বিধি ও প্রবিধান, জারীকৃত সকল ঘোষণা, আদেশ, নোটিশ ও প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত বা মঞ্জুরীকৃত সকল অনুমতি, লাইসেন্স ও রিবেট, প্রদত্ত সকল উপদেশ ও নির্দেশ, প্রণীত সকল স্কীম, আরোপিত সকল পানি অভিকর, পয়ঃঅভিকর, বৃষ্টি-পানি নিষ্কাশন অভিকর, চার্জ বা জরিমানা, অনুমোদিত সকল বাজেট এবং কৃত সকল কাজকর্ম, উক্ত রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবত্ থাকিলে এবং এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হইলে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারীকৃত, মঞ্জুরীকৃত, প্রদত্ত, আরোপিত, অনুমোদিত এবং কৃত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা এই আইনের অধীন সংশোধিত বা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা কর্তৃপক্ষের জন্য বোর্ড গঠিত না হওয়া পর্যন্ত, উক্ত কর্তৃপক্ষগুলির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বা নির্ধারিত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত হইবে, এবং উক্তরূপ কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত বা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ বা ক্ষেত্রমত, পুরাতন ঢাকা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ কর্তৃক উহা পরিচালিত হইবে যেন তাহাদের দ্বারা বোর্ড গঠিত হইয়াছে৷
 
 
 
 
(৪) পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ১৯৯৬ (অধ্যাদেশ নং ১৪, ১৯৯৬) এতদ্বারা রহিত করা হইল৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কোন কাজকর্ম বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs