প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট আইন, ১৯৯৬

( ১৯৯৬ সনের ১১ নং আইন )

এই আইন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৭ নং আইন)  দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট নামে একটি ইনষ্টিটিউট স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট আইন, ১৯৯৬ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) ইহা ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪০৩ মোতাবেক ২রা জুন, ১৯৯৬ তারিখে বলবত্ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “ইনষ্টিটিউট” অর্থ এই আইনের অধীন স্থাপিত বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট;
 
 
 
 
(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(গ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ঘ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(ঙ) “বোর্ড” অর্থ ইনষ্টিটিউটের 1[ব্যবস্থাপনা] বোর্ড;
 
 
 
 
(চ) “মহা-পরিচালক” অর্থ ইনষ্টিটিউটের মহা-পরিচালক;
 
 
 
 
(ছ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য৷
ইনষ্টিটিউট স্থাপন
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর যতশীঘ্র সম্ভব সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট নামে একটি ইনষ্টিটিউট স্থাপন করিবে৷
 
 
(২) ইনষ্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং, এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
ইনষ্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়
৪৷ ইনষ্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে থাকিবে এবং ইহা প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷
ইনষ্টিটিউট পরিচালনা
৫৷ ইনষ্টিটিউট 2[ব্যবস্থাপনা] ও ইহার প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনষ্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে 3[ব্যবস্থাপনা] বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
ব্যবস্থাপনা বোর্ড
4[৬৷ ব্যবস্থাপনা বোর্ড নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
 
 
(ক) মহা-পরিচালক, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(খ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত এইরূপ দুইজন কৃষিবিজ্ঞানী যাঁহারা ইনস্টিটিউটে কর্মরত নহেন এবং যাঁহাদের একজন সমাজবিজ্ঞানে এবং অন্যজন ইনস্টিটিউটের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ;
 
 
 
 
(গ) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(ঘ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, পরিচালকের নিম্নে নহেন এইরূপ পদমর্যাদা সম্পন্ন, একজন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(ঙ) ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(চ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটে কর্মরত দুইজন উর্দ্ধতন বিজ্ঞানী;
 
 
 
 
(ছ) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত নন-মিল জোন এলাকার একজন প্রগতিশীল চাষী এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন কর্তৃক মনোনীত মিল জোন এলাকার প্রগতিশীল চাষী;
 
 
(জ) কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উপ-সচিবের নিম্নে নহেন এইরূপ পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন করিয়া কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(ঝ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের একজন প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(ঞ) ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা, যিনি উহার সচিবও হইবেন৷]
ইনষ্টিটিউটের কার্যাবলী
৭৷ ইনষ্টিটিউটের কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) চিনি, গুড় ও সিরাপ উত্পাদন উপযোগী শর্করা সমৃদ্ধ ফসল বা গাছের উত্পাদন কর্মসূচী প্রণয়ন করা;
 
 
 
 
(খ) চিনি, গুড় ও সিরাপ উত্পাদনের লক্ষ্যে অন্যান্য প্রযুক্তি ও কলাকৌশল উদ্ভাবন করা;
 
 
 
 
(গ) ইক্ষুভিত্তিক খামার তৈরীর উপর গবেষণা করা এবং উহার অর্থনৈতিক সুবিধা চিহ্নিত করা;
 
 
 
 
(ঘ) চিনি, গুড় ও সিরাপ উত্পাদন উপযোগী শর্করা সমৃদ্ধ ফসল বা গাছের ব্যবহারের কলাকৌশল সম্পর্কে ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(ঙ) বিভিন্ন রকমের ইক্ষুর জাত সংগ্রহ করিয়া জার্মপ্লাজম ব্যাংক গড়িয়া তোলা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা;
 
 
 
 
(চ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিদেশী ও আন্তর্জাতিক গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সহিত ইক্ষু বিষয়ক যৌথ কর্মসূচী গ্রহণ করা;
 
 
 
 
(ছ) ইক্ষু উন্নয়ন ক্ষেত্রে গবেষণায় নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থাকে সহযোগিতা করা;
 
 
 
 
(জ) ইনষ্টিটিউটের গবেষণালব্ধ ফলাফল ও সুপারিশের ভিত্তিতে সাময়িকী ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা;
 
 
 
 
(ঝ) সরকারের ইক্ষুনীতি নির্ধারণে সাহায্য করা এবং ইক্ষু সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ প্রদান করা;
 
 
 
 
(ঞ) ইক্ষু চাষীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(ট) উপরি-উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা৷
বোর্ডের সভা
৮৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি 5[বত্সরে] বোর্ডের কমপক্ষে 6[চারটি] সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) বোর্ডের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের দ্বারা নির্বাচিত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
7[(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য সর্বমোট সদস্য-সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে৷]
কমিটি
৯৷ বোর্ড উহার দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তা দানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
ইনষ্টিটিউটের তহবিল
১০৷ ইনষ্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(খ) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও অন্যান্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ;
 
 
 
 
(গ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, কোম্পানী বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিদেশী রাষ্ট্র ও সংস্থা হইতে প্রাপ্ত সাহায্য বা গৃহীত ঋণ;
 
 
 
 
(ঙ) ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
 
 
(চ) অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
মহা-পরিচালক
১১৷ (১) ইনষ্টিটিউটের একজন মহা-পরিচালক থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) মহা-পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) মহা-পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহা-পরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহা-পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা মহা-পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি মহা-পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) মহা-পরিচালক ইনষ্টিটিউটের সার্বক্ষণিক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
 
 
(ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
 
 
(খ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক ইনষ্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন৷
পরিচালক নিয়োগ
8[১১ক৷ সরকার ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাদি বিধি দ্বারা স্থিরকৃত হইবে৷]
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১২৷ ইনষ্টিটিউট উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
বার্ষিক বাজেট বিবরণী
১৩৷ ইনষ্টিটিউট প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে ইনষ্টিটিউটের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে৷
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৪৷ (১) ইনষ্টিটিউট যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর ইনষ্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনষ্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইনষ্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ইনষ্টিটিউটের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
প্রতিবেদন
১৫৷ (১) প্রতি অর্থ বত্সর শেষ হইবার সংগে সংগে ইনষ্টিটিউট উক্ত বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলী খতিয়ান সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার প্রয়োজনমত ইনষ্টিটিউটের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং ইনষ্টিটিউট উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
১৬৷ এই আইন, কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড, চেয়ারম্যান, সদস্য, মহা-পরিচালক বা ইনষ্টিটিউটের অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৭৷ বোর্ড উহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বা মহা-পরিচালক বা ইনষ্টিটিউটের অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
ইনষ্টিটিউট দোকান ইত্যাদি হিসাবে গণ্য হইবে না
১৮৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইনষ্টিটিউট the Shops and Establishments Act, 1965 (E.P. Act VII of 1965), the Factories Act, 1965 (E.P. Act IV of 1965) বা the Industrial Relations Ordinance, 1969 (XXIII of 1969) এর তাত্পর্যাধীন æshop”, æcommercial establishment”, æFactory” বা æindustry” হিসাবে গণ্য হইবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইনষ্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
ইক্ষু গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের বিলোপ ইত্যাদি
২১৷ ইনষ্টিটিউট স্থাপনের সংগে সংগে-
 
 
 
 
(ক) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদ্যমান ইক্ষু গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট, অতঃপর উক্ত সংস্থা বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;
 
 
(খ) উক্ত সংস্থার সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার ইনষ্টিটিউটে হস্তান্তরিত হইবে এবং ইনষ্টিটিউট উহার অধিকারী হইবে;
 
 
 
 
(গ) বিলুপ্ত হইবার পূর্বে উক্ত সংস্থার যে সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব ছিল তাহা ইনষ্টিটিউটের ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) উক্ত সংস্থার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইনষ্টিটিউটে বদলী হইবেন এবং তাহারা ইনষ্টিটিউট কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এইরূপ বদলীর পূর্বে তাঁহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, ইনষ্টিটিউট কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে তাঁহারা ইনষ্টিটিউটের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন৷
রহিতকরণ ও হেফাজত
২২৷ (১) বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট অধ্যাদেশ, ১৯৯৬ (অধ্যাদেশ নং ২৩, ১৯৯৬) এতদ্‌দ্বারা রহিত করা হইল৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 

  • 1
    “ব্যবস্থাপনা” শব্দটি “পরিচালনা” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 2
    “ব্যবস্থাপনা” শব্দটি “পরিচালনা” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 3
    “ব্যবস্থাপনা” শব্দটি “পরিচালনা” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 4
    ধারা ৬ বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 5
    “বত্সরে” শব্দটি “দুই মাসে” শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 6
    “চারটি” শব্দটি “একটি” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 7
    উপ-ধারা (৪) বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সংযোজিত
  • 8
    ধারা ১১ক বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs