প্রিন্ট ভিউ

দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন )

দেউলিয়াত্ব বিষয়ক বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু দেউলিয়াত্ব বিষয়ক বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেইহেতু নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
 
 

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯৭ এর মধ্যে যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(১) “অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পত্তি” অর্থ কোন একক দেনাদারের এমন সম্পত্তি যাহা ধারা ৩২ এর বিধান মোতাবেক অব্যাহতিপ্রাপ্ত;
 
 
 
 
(২) “আর্জি” অর্থ দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ধারা ১০ এর অধীনে দাখিলকৃত কোন আবেদনপত্র, এবং “আর্জিকারী” অর্থ যে ব্যক্তি আর্জি দাখিল করেন;
 
 
 
 
(৩) “আদালত” অর্থ ধারা ৪(৩) এ সংজ্ঞায়িত দেউলিয়া বিষয়ক আদালত;
 
 
 
 
(৪) “আনুষ্ঠানিক দাবীনামা” অর্থ ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)(ঝ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একই ধারার উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে জারীকৃত কোন দাবীনামা;
 
 
 
 
(৫) “আপীল” অর্থ ধারা ৯৬ এর অধীনে দায়েরকৃত আপীল;
 
 
 
 
(৬) “আপীল আদালত” অর্থ বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ;
 
 
 
 
(৭) “আপোষ মীমাংসা” অর্থ ধারা ৪৩ এর অধীনে প্রস্তাবিত বা অনুমোদিত কোন আপোষ মীমাংসা;
 
 
 
 
(৮) “একক ব্যক্তি” অর্থ প্রাকৃতিক সত্তা বিশিষ্ট কোন ব্যক্তি এবং “একক দেনাদার” অর্থ এমন একজন দেনাদার যিনি একক ব্যক্তি;
 
 
 
 
(৯) “ক্রোক” অর্থ ধারা ১০১ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে এই আইনের কোন বিধান অনুসরণ বাস্তবায়িত বা বাস্তবায়নযোগ্য কোন ক্রোক;
 
 
 
 
(১০) “ঘোষণাদেশ” বা “দেউলিয়া ঘোষণাদেশ” অর্থ ধারা ১০ এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে দেউলিয়া ঘোষণা করিয়া প্রদত্ত কোন আদেশ;
 
 
 
 
(১১) “জেলা আদালত” অর্থ কোন জেলার উপর আদি এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন প্রধান দেওয়ানী আদালত;
 
 
 
 
(১২) “তফসিল” অর্থ ধারা ৩৮(১) এর অধীনে প্রণীত তফসিল;
 
 
 
 
(১৩) “দণ্ডবিধি” অর্থ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860);
 
 
 
 
(১৪) “দাবী” অর্থ যে কোন প্রকারের বা প্রকৃতির দাবী যাহা অর্থ দ্বারা পরিমাণযোগ্য;
 
 
 
 
(১৫) “দায়গ্রস্ত দেউলিয়া” অর্থ কোন একক দেউলিয়া যাহার ব্যাপারে এই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করা হয় নাই;
 
 
 
 
(১৬) “দায়মুক্তি” অর্থ এমন একটি অবস্থা যখন কোন একক দেউলিয়ার ব্যাপারে এই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক প্রদত্ত দায়মুক্তি আদেশের ফলে তিনি ৩৯ ধারার অধীনে তাহার বিরুদ্ধে প্রমাণযোগ্য দেনার দায়-দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি লাভ করেন;
 
 
 
 
(১৭) “দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” অর্থ ধারা ২৪ (১)(ক) এর অধীনে মনোনীত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(১৮) “দেউলিয়া” অর্থ ধারা ১০ বা ধারা ৪৫ বা ধারা ৪৬(১৩) এর অধীনে দেউলিয়া হিসাবে ঘোষিত কোন দেনাদার;
 
 
 
 
(১৯) “দেউলিয়া কর্ম” অর্থ ধারা ৯ এ উল্লিখিত কোন দেউলিয়া কর্ম;
 
 
 
 
(২০) “দেওয়ানী কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908);
 
 
 
 
(২১) “ধারা” অর্থ এই আইনের কোন ধারা বা দেওয়ানী-কার্যবিধি বা ফৌজদারী-কার্যবিধি এর কোন section;
 
 
 
 
(২২) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
 
 
(২৩) “ডিক্রী” অর্থ দেওয়ানী কার্যবিধির ২(২) ধারায় সংজ্ঞায়িত decree;
 
 
 
 
(২৪) “পাওনাদার কমিটি” অর্থ ধারা ৩৬(১) বা ধারা ৪৬ (১১) (ছ) এর অধীনে গঠিত কোন পাওনাদার কমিটি;
 
 
 
 
(২৫) “পুনর্গঠন” অর্থ ধারা ৪৬ এর অধীনে যথাযোগ্য দেনাদারের দেনার ব্যাপারে প্রস্তাবিত বা অনুমোদিত পুনর্গঠন;
 
 
 
 
(২৬) “পুনর্বিন্যাস” অর্থ কোন দেনাদারের বিষয়াদির ব্যাপারে ধারা ৪৩ এর অধীনে প্রস্তাবিত বা অনুমোদিত পুনর্বিন্যাস;
 
 
 
 
(২৭) “পুনরীক্ষণ” অর্থ ধারা ৯৯ এর অধীন পুনরীক্ষণ;
 
 
 
 
(২৮) “প্রতিনিধি” অর্থে কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(২৯) “প্রমাণযোগ্য দেনা” অর্থ ধারা ৩৯ এর অধীনে দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রমাণযোগ্য কোন দেনা;
 
 
 
 
(৩০) “প্রশাসনিক ব্যয়” অর্থ এই আইনের বিধান অনুসারে রিসিভারের প্রাপ্য ফিস ও বন্টনযোগ্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, বিক্রয় বা বিলি-বন্টন বাবদ ব্যয়সহ দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পরে উক্ত সম্পদের বিরুদ্ধে উদ্ভূত কোন দাবী পরিশোধের ব্যয়;
 
 
 
 
(৩১) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
 
 
 
 
(৩২) “বণ্টনযোগ্য অংশ” বা “বণ্টিত অংশ” অর্থ বণ্টনযোগ্য সম্পদ হইতে পাওনাদারগণের নিকট বণ্টনের উদ্দেশ্যে ধারা ৭৬ হইতে ৭৯ এর বিধান মোতাবেক নির্ধারিত অংশ;
 
 
 
 
(৩৩) “বণ্টনযোগ্য সম্পদ” অর্থ ধারা ৩১(২) এ উল্লিখিত বণ্টনযোগ্য সম্পদ এবং এই আইনের অন্যান্য বিধান অনুসারে বণ্টনযোগ্য সম্পদের অংশরূপে অন্তর্ভুক্ত হয় এইরূপ কোন বিষয় সম্পত্তি;
 
 
 
 
(৩৪) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(৩৫) “বিশেষ ব্যবস্থাপক” অর্থ ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (৮) বা (৯) এ উল্লিখিত বিশেষ ব্যবস্থাপক;
 
 
 
 
(৩৬) “ব্যক্তি” অর্থ কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধি সংস্থা, সমিতি ও অংশীদারী কারবার (partnership firm) অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(৩৭) “ব্যাংক ঋণ” অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর অধীন কোন ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(ঞ) তে সংজ্ঞায়িত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ বা আর্থিক সুবিধা, যাহা দাবী হিসাবে গণ্য হইতে পারে;
 
 
 
 
(৩৮) “যথাযোগ্য দেনাদার” অর্থ এমন একজন দেনাদার যিনি একক ব্যক্তি নহেন;
 
 
 
 
(৩৯) “যথাযোগ্য পাওনাদার” অর্থ এমন পাওনাদার, যিনি একক বা যাহারা যৌথভাবে অন্তত: ৫,০০,০০০.০০ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ দেনার দাবীতে দেনাদারের নিকট ৯(১) ধারার (ঝ) দফা অনুসারে আনুষ্ঠানিক দাবীনামা প্রেরণ করিয়াছেন;
 
 
 
 
(৪০) “রিসিভার” অর্থ ধারা ৬৪ এর অধীনে নিযুক্ত অন্তর্বর্তী রিসিভার এবং ২৩(১) ধারা বা ৪৬(৩) ধারার অধীনে নিযুক্ত অন্তর্বর্তী রিসিভার এবং ৭৪ ধারার অধীনে নিযুক্ত সরকারী রিসিভারও অন্তর্ভুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(৪১) “দেনাদারের সম্পত্তি” অর্থ দেনাদারের নিজ নামে এবং বেনামীতে তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও অন্য কোন ব্যক্তির নামে রক্ষিত সম্পত্তি৷
অন্যান্য আইনের প্রয়োগ
৩৷ এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, ইহার বিধানাবলী আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের ক্ষুণ্নকারী হইবে না, বরং অতিরিক্ত হইবে৷
 
 
 
 

দ্বিতীয় অধ্যায়

আদালতের গঠন, ক্ষমতা ও পদ্ধতি

দেউলিয়া বিষয়ক আদালত
৪৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, জেলা আদালত হইতে এই আইনের অধীন এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন আদালত এবং উক্ত আদালতের এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকায় এই আইনের অধীন উদ্ভূত কার্যধারাসমূহের বিচার ও নিষ্পত্তিকারী বিচারক হইবেন জেলাজজ৷
 
 
 
 
(২) জেলাজজ তাঁহার জজশীপে কর্মরত যেকোন অতিরিক্ত জেলাজজকে এই আইনের অধীন কার্যধারার বিচার ও নিষ্পত্তি করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এবং (২) এ উল্লিখিত জজের আদালত, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দেউলিয়া বিষয়ক আদালত বলিয়া অভিহিত হইবে৷
দেউলিয়া বিষয়ক সকল প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আদালতের ক্ষমতা
৫৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, দেউলিয়া বিষয়ক কোন কার্যধারায় উত্থাপিত যেকোন ধরনের প্রশ্ন, স্বত্ব বা অগ্রাধিকার সংক্রান্তই হউক অথবা আইনগত বা ঘটনাগত বা অন্য যে কোন ধরনের হউক না কেন, যাহা আদালতের গোচরীভূত হয় বা যাহা উক্ত মামলার পূর্ণাঙ্গ ন্যায় বিচার বা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির পূর্ণাঙ্গ বণ্টনের উদ্দেশ্যে নিষ্পত্তি করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলিয়া আদালত মনে করে সেইরূপ সকল প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ণ ক্ষমতা আদালতের থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, আদালতের প্রত্যেক সিদ্ধান্ত, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, একদিকে দেনাদার তথা তাহার বণ্টনযোগ্য সম্পদ (Estate) এবং অপরদিকে তাহার বিরুদ্ধে বা বণ্টনযোগ্য সম্পদের উপর দাবী উত্থাপনকারী সকল ব্যক্তি বা এইরূপ ব্যক্তিগণের এক বা একাধিকের মাধ্যমে বা অধীনে দাবী উত্থাপনকারী সকল ব্যক্তির মধ্যে সকল বিষয়ে চূড়ান্ত হইবে এবং তদনুসারে তাহাদের সকলের উপর বাধ্যতামূলক হইবে৷
 
 
 
 
(৩) যেক্ষেত্রে আদালত মনে করে যে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত প্রদান করা সমীচীন বা প্রয়োজনীয় নহে কিন্তু কোন সম্পত্তিতে দেনাদারের বিক্রয়যোগ্য স্বার্থ রহিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করার কারণ আছে, সেইক্ষেত্রে, অধিকতর তদন্ত ব্যতিরেকে আদালত উক্ত স্বার্থ, উহার মতে উপযুক্ত পদ্ধতি ও শর্তাধীনে, বিক্রয় করিতে পারিবে৷
আদালতের সাধারণ ক্ষমতা
৬৷ আদালত উহার আদি দেওয়ানী এখ্‌তিয়ার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে, সেই একইরূপ ক্ষমতা এই আইনের অধীন যেকোন কার্যধারার ক্ষেত্রে, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
আদালতের বিশেষ ক্ষমতা
৭৷ (১) যেক্ষেত্রে আদালত প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ পালনে বা এই আইনের অধীনে অর্পিত ক্ষমতাবলে রিসিভার বা আদালতের অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা নির্দেশ পালনে কোন দেনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তি ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে আদালত, নিজ উদ্যোগে বা রিসিভার বা উক্ত অন্য কর্মকর্তার আবেদনক্রমে, উক্ত ব্যর্থ দেনাদার বা ব্যর্থ ব্যক্তিকে উক্ত আদেশ বা নির্দেশ পালনের আদেশ দিতে পারিবে, অথবা সংগত কারণ থাকিলে উক্ত ব্যর্থ দেনাদার বা ব্যর্থ ব্যক্তিকে আদালত নির্ধারিত মেয়াদের জন্য ও শর্তাধীনে দেওয়ানী কারাগারে সোপর্দ করিবার আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের কারণে উক্ত ব্যর্থতার ব্যাপারে কোন ব্যক্তির অন্য কোন অধিকার বা প্রতিকার ক্ষুণ্ন হইবেনা, বরং উক্ত ক্ষমতা উক্তরূপ অধিকার বা প্রতিকারের অতিরিক্ত গণ্য হইবেন৷
আদালত কর্তৃক অনুসরণীয় পদ্ধতি
৮৷ (১) এই আইনের দ্বারা বা অধীনে ভিন্নরূপ কোন স্পষ্ট বিধান করা না হইলে, দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১১ এর বিধান ব্যতীত অন্য কোন বিধান আদালতের কোন কার্যধারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন সকল কার্যধারায় আদালত এই আইন এবং বিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

দেউলিয়া কর্ম, আর্র্জ, ঘোষনাদেশ ইত্যাদি দেউলিয়া

দেউলিয়া কর্ম

দেউলিয়া কর্ম
৯৷ (১) কোন দেনাদারের নিম্্নবর্ণিত যেকোন একটি কাজই হইবে দেউলিয়া কর্ম, যথা :-
 
 
 
 
(ক) যদি তিনি বাংলাদেশ বা অন্যত্র তাহার এবং তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যার নামে বেনামীতে রক্ষিত সকল বা প্রায় সকল সম্পত্তি সাধারণভাবে তাহার পাওনাদারগণের সুবিধার্থে কোন তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করেন৷
 
 
 
 
(খ) যদি তিনি তাহার পাওনাদারগণের দাবী ব্যর্থ বা বিলম্বিত করিবার উদ্দেশ্যে তাহার এবং তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যার নামে বেনামীতে রক্ষিত সম্পত্তি বা উহার কোন অংশ বাংলাদেশে বা অন্যত্র হস্তান্তর করেন;
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- যদি কোন ব্যক্তি তাহার দেনা পরিশোধে অক্ষম থাকা অবস্থায় যুক্তিসংগত মূল্য ব্যতিরেকে তাহার সম্পত্তি বা উহার কোন অংশ হস্তান্তর করেন, তাহা হইলে তিনি তাহার পাওনাদারগণের দাবী ব্যর্থ বা বিলম্বিত করিবার উদ্দেশ্যে উক্ত হস্তান্তর করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন;
 
 
 
 
(গ) যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা উহার কোন অংশ বাংলাদেশে বা অন্যত্র এইরূপে হস্তান্তর করেন বা বন্ধক দেন বা দায়বদ্ধ বা চার্জযুক্ত করেন যে, তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার ক্ষেত্রে উক্তরূপ হস্তান্তর, বন্ধকীকরণ, দায়বদ্ধকরণ বা চার্জযুক্তকরণ এই আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের প্রতারণামূলক অগ্রাধিকার (fraudulent preference) হিসাবে ফলবিহীন পরিগণিত হয়;
 
 
 
 
(ঘ) তাহার পাওনাদারগণের দাবী ব্যর্থ বা বিলম্বিত করিবার উদ্দেশ্যে, যদি তিনি-
 
 
 
 
(অ) বাংলাদেশ ত্যাগ করেন বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন;
 
 
 
 
(আ) তাহার আবাসস্থল বা তাহার স্বাভাবিক কর্মস্থল ত্যাগ করেন;
 
 
 
 
(ই) এইরূপে আত্মগোপন করেন যে, তাহার পাওনাদারগণ তাহার সহিত যোগাযোগের সুযোগ হইতে বঞ্চিত হন; অথবা
 
 
 
 
(ঈ) ষড়যন্ত্র বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া কোন আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত তাহার স্বার্থ বিরোধী ডিক্রী, রায় বা আদেশ মানিয়া লন;
 
 
 
 
(ঙ) যদি কোন অর্থ পরিশোধের উদ্দেশ্যে কোন আদালতের ডিক্রী বাস্তবায়ন (execution) প্রক্রিয়ায় তাহার কোন সম্পত্তি বিক্রি হইয়া থাকে;
 
 
 
 
(চ) দেউলিয়া ঘোষিত হইবার জন্য যদি তিনি স্বয়ং এই আইনের অধীনে আদালতে আর্জি পেশ করেন;
 
 
 
 
(ছ) যদি তিনি তাহার কোন পাওনাদারকে এই মর্মে লিখিত নোটিশ প্রদান করেন যে, তিনি তাহার দেনা পরিশোধ স্থগিত রাখিয়াছেন বা রাখিতে যাইতেছেন;
 
 
 
 
(জ) যদি কোন পাওনা পরিশোধে অক্ষমতাহেতু কোন আদালতের ডিক্রী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় তাহাকে কারাগারে আটক রাখা হয়;
 
 
 
 
(ঝ) যদি অন্যুন ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা বৈধ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ দেনার বিপরীতে এক বা একাধিক পাওনাদার উক্ত পাওনা পরিশোধ করিতে বা উহার বাবদ পাওনাদারের সন্তোষ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জামানত প্রদান করিতে অনুরোধ জানাইয়া এই আইনের অধীন একটি আনুষ্ঠানিক দাবীনামা (formal demand) প্রেরণ করিয়া থাকেন এবং উক্ত দাবীনামা জারীর পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে দেনাদার দাবী পূরণ না করেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)(ঝ) তে উল্লিখিত দাবীনামা নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে জারি করিতে হইবে এবং উক্ত দাবী অগ্রাহ্যের ফলাফলও উহাতে উল্লেখ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন প্রতিনিধি (agent) এর কাজ তাহার নিয়োগকর্তার (principal) কাজ বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 

আর্জি

ঘোষণাদেশ প্রদানের ক্ষমতা
১০৷ দেনাদার কোন দেউলিয়া কর্ম করিলে, এক বা একাধিক যথাযোগ্য (eligible) পাওনদার বা উক্ত দেনাদার, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, আর্জি পেশ করিতে পারিবেন, এবং আদালত উক্ত আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত দেনাদারকে দেউলিয়া ঘোষণা করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিতে পারিবে; এই আইনে এইরূপ আদেশ দেউলিয়া ঘোষণাদেশ বলিয়া অভিহিত৷
দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার আওতাধীন ব্যক্তিগণ
১১৷ (১) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কোন ব্যক্তি ব্যতীত এমন যেকোন ব্যক্তি এই আইনের সূচিত দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার আওতাধীন হইবেন, যিনি-
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশের বাসিন্দা হন অথবা তাহার পরিচালিত কাজকর্মের (business) প্রধান দপ্তর বাংলাদেশে রাখেন;
 
 
 
 
(খ) আর্জি পেশ করার অব্যবহিত পূর্ববর্তী এক বত্সরের মধ্যে যেকোন সময় বাংলাদেশে সাধারণভাবে বসবাস করিতেন অথবা উক্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তাহার একটি আবাসস্থল বা কর্মস্থল ছিল;
 
 
 
 
(গ) সাধারণতঃ প্রতিনিধির মাধ্যমে বাংলাদেশে তাহার কাজকর্ম চালাইয়া থাকেন৷
 
 
 
 
(২) নিম্ন বর্ণিত কোন ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত কোন আর্জি গ্রহণ করিবেনা, যথা :-
 
 
 
 
(ক) জাতীয় সংসদ এবং বিচার বিভাগীয় সংস্থাসহ কোন সরকারী সংস্থা;
 
 
 
 
(খ) কোন দাতব্য বা ধর্মীয় সংস্থা;
 
 
 
 
(গ) মূখ্য উদ্দেশ্যে আর্থিক লাভ নয় এমন সংবিধিবদ্ধ (statutory) সংস্থা;
 
 
 
 
(ঘ) সরকার কর্তৃক বা সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত কোন স্বশাসিত (autonomous) প্রতিষ্ঠান৷
পাওনাদার কর্তৃক আর্জি পেশ করার শর্তাবলী
১২৷ (১) দেনাদারের বিরুদ্ধে কোন পাওনাদার আর্জি পেশ করার অধিকারী হইবেন না, যদি তিনি একজন যথাযোগ্য পাওনাদার না হন, এবং যদি-
 
 
 
 
(ক) দেনাদারের নিকট উক্ত পাওনাদারের পাওনার পরিমাণ, অথবা দুই বা ততোধিক পাওনাদার যৌথভাবে আর্জি পেশ করিলে তাহাদের সাকুল্য পাওনার পরিমাণ ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা না হয়;
 
 
 
 
(খ) দেনাদার কর্তৃক কোন দেউলিয়া কর্ম সংগঠনের প্রাথমিক প্রমাণ উক্ত পাওনাদার উপস্থাপন না করেন; এবং
 
 
 
 
(গ) উক্ত দেউলিয়া কর্মটি আর্জি পেশ করার তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী এক বত্সরের মধ্যে সংগঠিত না হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(২) উক্ত পাওনাদার যদি একজন জামানতকারী (secured) পাওনাদার হন, তাহা হইলে তিনি তাহার আর্জিতে উক্ত জামানতের একটি আনুমানিক মূল্য উল্লেখ করিবেন, অন্যথায় তিনি জামানতবিহীন পাওনাদার বিবেচিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷
দেনাদার কর্তৃক আর্জি পেশ করার শর্তাবলী
১৩৷ (১) একজন দেনাদার আর্জি পেশ করার অধিকারী হইবেন না, যদি তিনি আর্জিতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করেন যে, তিনি তাহার দেনা পরিশোধে অক্ষম এবং যদি না-
 
 
 
 
(ক) তিনি উক্ত আর্জিতে আরও উল্লেখ করেন যে, তাহার দেনার পরিমাণ অন্তত ২০,০০০.০০ (বিশ হাজার) টাকা; অথবা
 
 
 
 
(খ) তাহার কোন দেনা পরিশোধে অক্ষমতার কারণে তাহার বিরুদ্ধে কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় তিনি গ্রেফতার বা কারাগারে আটক; অথবা
 
 
 
 
(গ) উক্তরূপ ডিক্রী বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় তাহার সম্পত্তি ক্রোকের (attachment) জন্য একটি আদেশ প্রদত্ত হইয়া থাকে এবং উক্ত আদেশ আর্জি পেশ করার সময় বলবত্ থাকে৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীনে দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর তিনি তাহার দায় মুক্তির (discharge) জন্য আবেদন করিতে বা উক্ত আবেদন দাখিলের পর তত্সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আদালত সংশ্লিষ্ট ঘোষণাদেশ রদ করিলে, উক্ত ঘোষণাদেশ রদকারী আদালতের অনুমতি ব্যতিরেকে, উক্ত দেনাদার, দেউলিয়া ঘোষিত হইবার জন্য, কোন আর্জি পেশ করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(৩) আদালত উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অনুমতি প্রদান করিবেন না, যদি না উহা এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার তাহার দায়মুক্তির আবেদন করা বা উক্ত আবেদন পেশ করিবার পর তদবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কারণে বাধাগ্রস্ত ছিলেন; অথবা
 
 
 
 
(খ) যে সকল ঘটনার ভিত্তিতে দেউলিয়া ঘোষিত হইবার জন্য তিনি আর্জি পেশ করিয়াছেন, সেই সকল ঘটনা ইতিপূর্বে প্রদত্ত ঘোষণাদেশের আর্জিতে উল্লিখিত ঘটনা হইতে ভিন্নতর৷
এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন আদালতে আর্জি পেশ
১৪৷ ধারা ৪ এর বিধান সাপেক্ষে প্রতিটি আর্জি সেই আদালতে পেশ করিতে হইবে, যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্র (local limits)-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার সাধারণতঃ বসবাস করেন বা তাহার কাজকর্ম পরিচালনা করেন বা ব্যক্তিগতভাবে কোন লাভজনক কাজ করিয়া থাকেন, অথবা তিনি গ্রেফতারকৃত বা কারাগারে আটককৃত থাকেন, অথবা
 
 
 
 
(খ) দেনাদার একক ব্যক্তি (individual) না হওয়ার ক্ষেত্রে, উহার প্রধান বা নিবন্ধিকৃত কার্যালয় অবস্থিত৷
আর্জি সত্যাখ্যান
১৫৷ এই আইনের অধীন প্রতিটি আর্জি লিখিত হইবে এবং উহা দেওয়ানী কার্যবিধিতে আর্জি (plaint) স্বাক্ষরকরণ এবং সত্যাখ্যান (verification) এর যে পদ্ধতি নির্ধারিত আছে সেই পদ্ধতিতে স্বাক্ষর ও সত্যাখ্যান করিতে হইবে৷
আর্জির বিষয়বস্তু
১৬৷ (১) দেনাদার কর্তৃক পেশকৃত প্রতিটি আর্জিতে নিম্্নবর্ণিত তথ্যাদি থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার যে তাহার দেনা পরিশোধে অক্ষম, সেইমর্মে একটি সুনির্দিষ্ট বিবৃতি;
 
 
 
 
(খ) সাধারণতঃ যেই স্থানে তিনি বসবাস করেন বা তাহার কাজকর্ম পরিচালনা করেন বা ব্যক্তিগতভাবে কোন লাভজনক কর্মে লিপ্ত থাকেন সেই স্থান অথবা তিনি গ্রেফতারকৃত বা কারারুদ্ধ থাকিলে যেই স্থানে তিনি কাহারও হেফাজতে আছেন সেই স্থান, অথবা দেনাদার একক ব্যক্তি না হইলে, উহার প্রধান বা নিবন্ধিকৃত কার্যালয় যেখানে অবস্থিত সেই স্থানের পূর্ণ বিবরণ;
 
 
 
 
(গ) যে আদালত তাহাকে গ্রেফতার বা কারারুদ্ধ করার বা তাহার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ প্রদান করিয়াছে সেই আদালত, এবং যেই ডিক্রী বা রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে উক্তরূপ কোন আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে সেই ডিক্রী বা রায়, এর বিবরণ;
 
 
 
 
(ঘ) তাহার বিরুদ্ধে উত্থাপিত যাবতীয় আর্থিক দাবীর পরিমাণ, বিবরণ এবং সংশ্লিষ্ট পাওনাদারগণের নাম ও ঠিকানা, যতদূর তাহার জানা আছে বা যুক্তিসংগত সতর্কতা বা প্রচেষ্টা সহকারে জানা সম্ভব হয়;
 
 
 
 
(ঙ) তাহার যাবতীয় সম্পত্তির পরিমাণ এবং বিবরণসহ নিম্্নবর্ণিত তথ্যাদি:-
 
 
 
 
(অ) অর্থ ব্যতীত উক্তরূপ সকল সম্পত্তির মূল্যমান;
 
 
 
 
(আ) এইরূপ সম্পত্তি যেই স্থান বা স্থানসমূহে পাওয়া যাইবে উহার বিবরণ;
 
 
 
 
(ই) তাহার হিসাব বহিসহ সকল সম্পত্তি আদালতের নিকট অর্পণ করিতে তিনি ইচ্ছুক মর্মে একটি ঘোষণা:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, দেনাদারের ক্ষেত্রে তাহার অব্যাহতিপ্রাপ্ত (exempted) সম্পত্তি, যদি থাকে, এইরূপ অর্পণের আওতাভুক্ত হইবে না;
 
 
 
 
(চ) ইতিপূর্বে দেনাদার কোন সময়ে বাংলাদেশে বা অন্যত্র দেউলিয়া ঘোষিত হইবার উদ্দেশ্যে কোন আর্জি বা আবেদন পেশ করিয়াছেন কি না তদসম্পর্কে একটি বিবৃতি এবং এইরূপ কোন আবেদন বা আর্জি পেশ করিয়া থাকিলে-
 
 
 
 
(অ) উক্ত আবেদন বা আর্জি খারিজ হইয়াছে কি না এবং হইয়া থাকিলে উহার কারণ; অথবা
 
 
 
 
(আ) যদি তিনি তদপ্রেক্ষিতে দেউলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকেন, তবে তাহার উক্ত দেউলিয়াত্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং তদসহ এই মর্মে একটি বিবৃতি যে, ইতিপূর্বে তাহার সম্পর্কে প্রদত্ত কোন দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদ হইয়াছে কি না, ও রদ হইয়া থাকিলে, উহার কারণ৷
 
 
 
 
(২) পাওনাদার কর্তৃক পেশকৃত প্রত্যেকটি আর্জিতে তাহার সর্বোত্তম জ্ঞান মতে উপ-ধারা (১) (খ) তে উল্লিখিত দেনাদার সম্পর্কিত তথ্যাদি থাকিতে হইবে এবং তদসহ নিম্্নরূপ তথ্যাদিও উল্লেখ করিতে হইবে, যথা :-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার কর্তৃক সংগঠিত দেউলিয়া কর্ম, এবং উহা সংগঠনের তারিখ; এবং
 
 
 
 
(খ) দেনাদারের বিরুদ্ধে পাওনাদারের দাবীর পরিমাণ ও বিবরণ৷
আর্জি প্রত্যাহার
১৭৷ দেনাদার বা পাওনাদার যিনিই দাখিল করিয়া থাকেন, আদালতের অনুমতি ব্যতীত কোন আর্জি প্রত্যাহার করা যাইবে না৷
কার্যধারা একীভূতকরণ
১৮৷ যে ক্ষেত্রে একই দেনাদারের বিরুদ্ধে দুই বা ততোধিক আর্জি পেশ করা হয়, অথবা যৌথ দেনাদারের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক আর্জি পেশ করা হয়, সেক্ষেত্রে আদালত যথাযথ মনে করিলে উহার বিবেচনায় উপযুক্ত শর্তসাপেক্ষে উক্তরূপ আর্জি-ভিত্তিক সকল কার্যধারা বা উহাদের মধ্যে যে কোন সংখ্যক কার্যধারাকে একীভূত করিতে পারিবে৷
আর্জি পেশকারী পাওনাদার প্রতিস্থাপনের ক্ষমতা
১৯৷ কোন পাওনাদার যথাযথ যত্ন সহকারে তাহার পেশকৃত আর্জি সম্পর্কে পদক্ষেপ গ্রহণ না করিলে, আদালত তদস্থলে অন্য যে কোন যথাযোগ্য পাওনাদারকে প্রতিস্থাপন করিতে পারিবে৷
দেনাদারের মৃত্যুর পর কার্যধারা অব্যাহত রাখা
২০৷ যে দেনাদারের পক্ষে বা বিপক্ষে আর্জি পেশ করা হইয়াছে তাহার মৃত্যু হইলে উক্ত আর্জি-ভিত্তিক কার্যধারা ততদিন অব্যাহত থাকিবে যতদিন উক্ত দেনাদারের সম্পত্তি উদ্ধার ও বণ্টনের উদ্দেশ্যে উহা উক্তরূপে অব্যাহত রাখা প্রয়োজন হয়, যদি না আদালত লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক ভিন্নরূপ আদেশ না দেয়৷
আর্জি গ্রহণের পদ্ধতি
২১৷ আর্জি গ্রহণের (admission) সম্পর্কে দেওয়ানী কার্যবিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি যতদূর প্রযোজ্য হয় তাহা এই আইনের অধীন পেশকৃত আর্জির ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন এবং বিধিতে এতদসম্পর্কে কোন ভিন্নতর পদ্ধতি বর্ণিত থাকিলে তাহাই অনুসরণ করিতে হইবে৷
আর্জি পেশের পরবর্তী কার্যপদ্ধতি
২২৷ (১) কোন আর্জি গ্রহণ করা হইলে, আদালত উহা শুনানীর জন্য এমন এক তারিখ নির্ধারণ করিয়া আদেশ প্রদান করিবে, যেন উক্ত তারিখ আদেশ প্রদানের তারিখের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে হয়৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের নোটিশ নিম্্নবর্ণিতভাবে জারী করিতে হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) আদালত যেরূপ উপযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত বলিয়া মনে করে সেইরূপ পন্থায় আর্জিকারী অথবা তাহার আইনজীবি বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির নিকট উক্ত নোটিশ প্রদান করিয়া;
 
 
 
 
(খ) আর্জিকারী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে, আদালত যেরূপ উপযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত মনে করে সেইরূপ পন্থায় এবং তদসহ বহুল প্রচারিত ও দেশের রাজধানী হইতে প্রকাশিত অন্ততঃ দুইটি বাংলা দৈনিকের পর পর দুইটি সংখ্যায় উক্ত দরখাস্ত ও আদেশটির সারমর্ম প্রকাশ করিয়া৷
অন্তর্বর্তী রিসিভার নিয়োগ
২৩৷ (১) কোন পাওনাদার কর্তৃক দাখিলকৃত আর্জি শুনানীর তারিখ নির্ধারণী আদেশ প্রদানকালে আদালত দেনাদারের সম্পত্তি বা উহার কোন অংশ বিশেষের জন্য একজন অন্তর্বর্তী রিসিভার নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং দেনাদার কর্তৃক দাখিলকৃত আর্জির ক্ষেত্রে সাধারণতঃ উক্তরূপ নিয়োগ দান করিবে; এবং উক্ত সম্পত্তির দখল অবিলম্বে গ্রহণ না করিবার জন্য রিসিভারকে নির্দেশ দিবে; এবং তদ্‌প্রেক্ষিতে রিসিভার, আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে, দেওয়ানী কার্যবিধির অধীনে নিযুক্ত কোন রিসিভার কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতাসমূহ এবং তদ্‌সহ এই আইনের ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮ এবং ৭১ ধারায় উল্লিখিত যেকোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) অন্তর্বর্তী রিসিভার নিয়োগের ব্যাপারে আদালত ৬৪(১) ধারায় বিবৃত শর্তাদি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) পূর্বোক্তরূপে কোন অন্তর্বর্তী রিসিভার নিয়োগ না করা হইলে, দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পূর্বে আদালত যেকোন সময় উক্তরূপ রিসিভার নিয়োগ করিতে পারিবে৷
দেনাদারের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী কার্যধারা
২৪৷ (১) আর্জি শুনানীর তারিখ নির্ধারণী আদেশ প্রদানকালে অথবা দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পূর্বে যে কোন সময় আদালত, স্বীয় উদ্যোগে অথবা কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে, নিম্্নরূপ যেকোন এক বা একাধিক আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) একক দেনাদার ব্যতীত অন্য যেকোন দেনাদারকে এই মর্মে একটি আদেশ প্রদান করা যাইবে যে, উক্ত দেনাদার তাহার প্রতিনিধি হিসাবে, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, একজন একক ব্যক্তিকে মনোনীত করিবে এবং এইরূপ মনোনীত ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলিয়া অভিহিত হইবেন, এবং উক্ত দেনাদার এইরূপ মনোনয়নদানে ব্যর্থ হইলে, আদালত এমন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোনীত করিবে যিনি বা যাহারা উক্ত দেনাদারের কার্যকলাপ বা ব্যবসার অংশীদার বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী, যে নামে অভিহিত হউন না কেন;
 
 
 
 
(খ) আদালত যেরূপ যথাযথ মনে করে সেইরূপ কোন সম্পত্তি সংগ্রহ করা প্রয়োজনীয় লেনদেন করা বা উহা করা হইতে বিরত থাকা, সংশ্লিষ্ট সভা বা শুনানীতে হাজির থাকা বা অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা এইসবের যে কোনটি সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করিবার জন্য দেনাদার বা, ক্ষেত্রমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দান;
 
 
 
 
(গ) আর্জি খারিজ না হওয়া পর্যন্ত বা দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত দেনাদার বা, ক্ষেত্রমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হাজিরা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে যুক্তিসংগত জামানত প্রদান করিবার জন্য তাহাকে আদেশ প্রদান এবং উক্ত জামানত প্রদানে ব্যর্থ হইলে তাহাকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা হইবে মর্মে নির্দেশ প্রদান;
 
 
 
 
(ঘ) দেনাদারের দখলভুক্ত বা নিয়ন্ত্রণাধীন হিসাব বহিসহ সকল সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ, অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পত্তি থাকিলে উহা ব্যতীত, ক্রোক আদেশের মাধ্যমে বাস্তবে আটক করার জন্য আদেশ প্রদান;
 
 
 
 
(ঙ) দেনাদার বা, ক্ষেত্রমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দফা (খ) বা (গ) এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ পালনে ব্যর্থ হইলে তাহাকে, জামিনসহ বা জামিন ব্যতিরেকে, গ্রেফতার করার জন্য আদেশ প্রদান, এবং আর্জি খারিজ না হওয়া পর্যন্ত বা দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা বা জামানত সংক্রান্ত যুক্তিসংগত ও প্রয়োজনীয় শর্তাধীনে তাহাকে মুক্তিদানের নির্দেশ প্রদান:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, দফা (ঘ) বা (ঙ) এর অধীনে কোন আদেশ প্রদান করা হইবে না, যদি আদালত সন্তুষ্ট না হয় যে, দেনাদার বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাহার কোন পাওনাদারের দাবী ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা বা আদালতের পরোয়ানা বা নোটিশ এড়ানোর জন্য-
 
 
 
 
(অ) পলাতক রহিয়াছেন বা আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাহিরে চলিয়া গিয়াছেন, অথবা পালাইয়া যাওয়া বা উক্ত সীমার বাহিরে চলিয়া যাওয়ার উপক্রম করিয়াছেন বা উক্ত সীমার বাহিরে অবস্থান করিতেছেন, অথবা
 
 
 
 
(আ) দরখাস্ত শুনানীকালে বা দেনাদারের দেউলিয়াত্বকালে পাওনাদারগণ বা আদালতের কাজে লাগিতে পারে এইরূপ কোন সম্পত্তি, অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পত্তি ব্যতীত, বা তদ্‌সম্পর্কিত কোন দলিলপত্র-এর অস্তিত্ব প্রকাশ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন বা উহা লুকাইয়াছেন বা বিনষ্ট বা হস্তান্তর করিয়াছেন বা আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রে হইতে সরাইয়া ফেলিয়াছেন বা এইরূপ যেকোন কাজ করিবার ব্যবস্থা করিতেছেন৷
দেনাদারের কর্তব্য
২৫৷ (১) আর্জি শুনানীর তারিখ নির্ধারণী আদেশ প্রদত্ত হইলে এবং তত্পরবর্তী যে কোন সময় আদালত বা রিসিভারের নির্দেশমত দেনাদারের কর্তব্য হইবে-
 
 
 
 
(ক) তাহার সকল হিসাব বহি পেশ করা;
 
 
 
 
(খ) তাহার সম্পত্তির তালিকা, তাহার পাওনাদার ও তাহাদের পাওনার তালিকা এবং তাহার দেনাদার ও তাহাদের দেনার তালিকা উপস্থাপন করা;
 
 
 
 
(গ) আদালত বা রিসিভারের জিজ্ঞাসাবাদের উত্তর প্রদানের জন্য হাজির হওয়া;
 
 
 
 
(ঘ) তাহার সম্পত্তির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দলিল সম্পাদন করা;
 
 
 
 
(ঙ) সাধারণভাবে প্রয়োজনীয় অন্য সকল কার্য সম্পাদন করা৷
 
 
 
 
(২) আর্জি শুনানীর তারিখ-নির্ধারণী আদেশ প্রদত্ত হইলে, উক্ত আর্জি খারিজ না হওয়া পর্যন্ত, অথবা দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইলে, উহা রদ না হওয়া পর্যন্ত, অথবা আদালত ভিন্নরূপ আদেশ প্রদান না করা পর্যন্ত দেনাদার তাহার কোন পাওনাদারের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী মামলা বা দাবী আদায়মূলক কোন আইনগত কার্যধারা রুজু করিতে পারিবেন না৷
গ্রেফতারকৃত বা আটক দেনাদারের মুক্তি
২৬৷ (১) কোন আদালত প্রদত্ত অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত ডিক্রী বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় যদি কোন দেনাদার গ্রেফতার হন বা কারাগারে আটক থাকেন, তাহা হইলে আদালত, আর্জি শুনানীর তারিখ-নির্ধারণী আদেশ প্রদানকালে বা তদ্‌পরবর্তী যে কোন সময়, উহার বিবেচনায় যুক্তিসংগত ও প্রয়োজনীয় শর্ত সাপেক্ষে উক্ত দেনাদারকে মুক্ত করিবার আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) এই ধারার অধীনে মুক্তি দেওয়া হইয়াছে এইরূপ যেকোন ব্যক্তিকে পুনরায় গ্রেফতার করিবার জন্য এবং যাহার হেফাজত বা যে কারাগার হইতে তাহাকে মুক্তি দেওয়া হইয়াছে সেই একই হেফাজত বা একই কারাগারে তাহাকে প্রেরণ করিবার জন্য আদালত যেকোন সময় আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীনে কোন আদেশ প্রদানকালে আদালত সংশ্লিষ্ট কারণ লিপিবদ্ধ করিবে৷
দেনাদারের আপত্তি দাখিল ও শুনানীর পদ্ধতি
২৭৷ (১) কোন যথাযোগ্য পাওনাদার কর্তৃক আর্জি পেশ করার ক্ষেত্রে, দেনাদার, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে, তবে আর্জি শুনানীর তারিখের পূর্বে, উক্ত আর্জির ব্যাপারে তাহার কোন আপত্তি থাকিলে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখিতভাবে পেশ করিতে পারিবেন; এবং সরকার প্রয়োজনবোধে এইরূপ আপত্তির ফরম বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) আর্জি শুনানীর জন্য নির্ধারিত তারিখে, অথবা উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত শুনানী মুলতবী হইলে পরবর্তী শুনানীর তারিখে আদালত নিম্্নবর্ণিত বিষয়গুলি প্রমাণের নির্দেশ দিবে, যথা-
 
 
 
 
(ক) আর্জি দাখিলের ব্যাপারে পাওনাদার বা, ক্ষেত্রমত, দেনাদারের অধিকার:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, দেনাদার আর্জি দাখিল করিয়া থাকিলে, দেনা পরিশোধের দায় প্রমাণের উদ্দ্যেশ্যে, এতটুকু প্রমাণ উপস্থাপনে নির্দেশ প্রদান করিলেই চলিবে, যাহা হইতে উক্ত দায় আদালতের নিকট প্রাথমিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য বলিয়া প্রতিপন্ন হয়: এবং আদালত তন্মর্মে সন্তুষ্ট হইলে বিষয়টি সম্পর্কে অতিরিক্ত শুনানী করার ক্ষেত্রে কোন বাধ্য-বাধকতা থাকিবেনা;
 
 
 
 
(খ) আর্জি কোন পাওনাদার পেশ করিয়া থাকিলে এবং তত্প্রেক্ষিতে দেনাদার ইতিমধ্যে হাজির না হইয়া থাকিলে, দেনাদারকে ২২(২) ধারার অধীন নোটিশ প্রদান; এবং
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগকৃত দেউলিয়া কর্ম৷
 
 
 
 
(৩) আর্জি শুনানী সাধারণতঃ ক্রমাগতভাবে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হইবে, এবং আর্জিকারী পাওনাদার বা পাওনাদারগণ ভিন্নরূপে সম্মত না হইলে কোন অবস্থাতেই শুনানী একবারে সাত দিনের বেশী সময়ের জন্য মুলতবী করা যাইবে না:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে মেয়াদ বা মেয়াদসমূহব্যাপী শুনানী মুলতবী থাকে উহার সাকুল্য পরিমাণ ৯০ (নব্বই) দিনের বেশী হওয়া চলিবে না৷
 
 
 
 
(৪) শুনানীর সময় দেনাদার বা, ক্ষেত্রমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত থাকিলে তাহাকে আদালত বা, তত্কর্তৃক নির্দেশিত হইলে, রিসিভার, উক্ত দেনাদারের আচরণ, লেনদেন এবং সম্পত্তি সম্পর্কে পাওনাদারগণের উপস্থিতিতে, যদি কেহ থাকেন, জিজ্ঞাসাবাদ করিবেন এবং পাওনাদারগণও উক্ত দেনাদার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঐসকল বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৩) এ বিনির্দিষ্ট সময়সীমা সাপেক্ষে, আদালত দেনাদার বা, ক্ষেত্রমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বা কোন পাওনাদারকে তাহাদের দাবীকৃত কোন বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় মঞ্জুর করিতে পারে, যদি আদালত সন্তুষ্ট হয় যে, আর্জির যথাযথ নিষ্পত্তির স্বার্থে বিষয়টির উপর সাক্ষ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন৷
 
 
 
 
(৬) দেনাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং শুনানীর সময় গৃহীত মৌখিক সাক্ষ্যের মৌলিক ফলাফল সম্বলিত একটি বিবরণ আদালত প্রস্তুত করিবে এবং এই বিবরণ কার্যধারা নথির অংশ হিসাবে থাকিবে৷
দরখাস্ত খারিজকরণ
২৮৷ (১) পাওনাদার কর্তৃক দাখিলকৃত আর্জির ক্ষেত্রে আদালত উহা খারিজ করিয়া দিবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) নিম্্নবর্ণিত বিষয়াদির প্রমাণ সম্পর্কে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, যথা-
 
 
 
 
(অ) দরখাস্ত দাখিল করার জন্য উক্ত পাওনাদারের অধিকার;
 
 
 
 
(আ) দরখাস্ত শুনানীর তারিখ-নির্ধারণী আদেশের নোটিশ দেনাদারের উপর ২২(২) ধারা অনুসারে জারীকরণ; এবং
 
 
 
 
(ই) অভিযোগকৃত দেউলিয়া কর্ম; অথবা
 
 
 
 
(খ) দেনাদার আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারে যে,-
 
 
 
 
(অ) তিনি তাহার দেনা পরিশোধ করিতে সক্ষম;
 
 
 
 
(আ) তিনি কোন স্বেচ্ছাকৃত খেলাপী (wilfull defaulter) নহেন; অথবা
 
 
 
 
(গ) অন্য কোন কারণে দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদান করা সমীচীন নহে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হয়৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় “স্বেচ্ছাকৃত খেলাপী” অর্থ এমন একজন দেনাদার যিনি, আনুষ্ঠানিক দাবীনামা জারির পর, এক বত্সর সময়ব্যাপী অন্ততঃ ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকার অধিক ব্যাংক-ঋণ অপরিশোধিত রাখিয়াছেন৷
 
 
 
 
(২) দেনাদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে, উক্ত দরখাস্ত দাখিল করার জন্য দেনাদারের অধিকার সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হইলে আদালত উহা খারিজ করিয়া দিবে৷
ক্ষতিপূরণ প্রদান
২৯৷ (১) কোন পাওনাদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্ত যদি ২৮(১) ধারার অধীনে খারিজ হইয়া যায় এবং আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, দরখাস্তটি ছিল অসার বা হয়রানিমূলক, তাহা হইলে, দেনাদারের আবেদনক্রমে, আদালত উক্ত দরখাস্ত এবং তজ্জনিত কার্যধারার ফলশ্রুতিতে দেনাদারের খরচ বা ক্ষতিপূরণের জন্য আদালত অনধিক ১,০০,০০০.০০ (এক লক্ষ) টাকার ক্ষতিপূরণ দেনাদারকে প্রদানের জন্য পাওনাদারকে আদেশ দিতে পারে এবং ক্ষতিপূরণের টাকা অর্থদণ্ড (fine) এর ন্যায় একই পদ্ধতিতে আদায় করা যাইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেওয়া হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত দরখাস্ত এবং তজ্জনিত কার্যধারার ব্যাপারে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ অথবা ভিন্নরূপ প্রতিকার দাবী করিয়া অন্য কোন আইনের অধীনে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী কার্যধারা রুজু করা যাইবে না৷
 
 
 
 
 
 

দেউলিয়া ঘোষণাদেশ

দেউলিয়া ঘোষণাদেশ
৩০৷ (১) কোন আর্জি খারিজ করা না হইলে আদালত-
 
 
 
 
(ক) একটি দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদান করিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) একক দেনাদারের ক্ষেত্রে, উক্ত আদেশে-
 
 
 
 
(অ) দেনাদারকে দায়মুক্তিকরণের বিষয়টি প্রথম যে তারিখে ৪৭(৩) ধারা অনুসারে বিবেচনা করা হইবে সেই তারিখটি নির্ধারণ করিবে, এবং উল্লেখ করিবে যে, উক্ত তারিখের মধ্যে দেনাদার তাহার দায়মুক্তির জন্য আবেদন করিতে পারেন, যদি দেনাদার স্বয়ং আর্জি দাখিল না করিয়া থাকেন;
 
 
 
 
(আ) আরও উল্লেখ করিবে যে, দেনাদার আদালত কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ, যাহা যথাযোগ্য পাওনাদারগণের দাবীকৃত অর্থের শতকরা দশ ভাগের কম হইবে না, আদালতে জমা দেওয়ার পর উক্ত ঘোষণাদেশের বিরুদ্ধে ৯৬ ধারার অধীনে আপীল করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) পর্যাপ্ত কারণ দর্শানো হইলে, আদালত দেনাদারের দায়মুক্তির আবেদন পেশ করার সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে এবং সেই ক্ষেত্রে এইরূপ বর্ধিতকরণের বিষয়, আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করিবে৷
দেউলিয়া ঘোষণাদেশের ফলাফল
৩১৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইলে, দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি এই আইনের বিধান মোতাবেক তাহার বিষয়-সম্পত্তি উদ্ধার এবং উহা পাওনাদারগণের মধ্যে বণ্টন করিবার নিমিত্তে আদালতকে সর্বাত্মক সহায়তা করিবে৷
 
 
 
 
(২) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইলে দেনাদারের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পদ ব্যতীত অন্যান্য সকল বিষয় সম্পত্তি আপনা-আপনি রিসিভারে ন্যস্ত হইবে এবং কোন ক্ষেত্রে রিসিভার নিযুক্ত না হইয়া থাকিলে, উহা আপনা-আপনি আদালতে ন্যস্ত হইবে, এবং উক্ত সম্পদ পাওনাদারগণের মধ্যে বণ্টনযোগ্য হইবে এবং উক্তরূপে ন্যস্ত সম্পদ বণ্টনযোগ্য সম্পদরূপে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকাকালে, এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য যে কোন দেনার ব্যাপারে কোন পাওনাদার উক্ত দেনাদারের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পত্তি এবং বণ্টনযোগ্য সম্পদের বিরুদ্ধে অন্য কোন প্রতিকার দাবী করিতে বা কোন দেওয়ানী মামলা বা অন্যবিধ কার্যধারা দায়ের করিতে পারিবেন না, তবে আদালত এই বিষয়ে অনুমতি দিলে এবং কোন শর্ত আরোপ করিলে তদনুসারে উক্ত প্রতিকার দাবী বা কার্যধারা দায়ের করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার বিধান না থাকিলে কোন জামানতকারী পাওনাদার যে পদ্ধতিতে তাহার জামানত আদায় করার বা তত্সম্পর্কে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকারী হইতেন, এই ধারার কোন কিছুই তাহার সেই অধিকারকে খর্ব করিবে না৷
 
 
 
 
(৫) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইলে উহা আর্জি পেশ করার তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পত্তি
৩২৷ এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, একক দেনাদারের নিম্্নবর্ণিত সম্পত্তির দখল ২৩ ধারার অধীনে গ্রহণ করা যাইবে না বা উহা ৩১ ধারার অধীনে আদালতে বা রিসিভারে ন্যস্ত হইবে না এবং এইরূপ সম্পত্তি অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পত্তি নামে অভিহিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) যন্ত্রপাতি, যাহা দেনাদার স্বয়ং ব্যবহার করেন;
 
 
 
 
(খ) পরিধেয় বস্ত্রাদি, গৃহস্থালির সরঞ্জামাদি এবং দেনাদার, তাহার স্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, স্বামী এবং সন্তানাদির ব্যবহার্য অনুরূপ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী;
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের (অবন্ধককৃত) বসবাসস্থান বা বাসগৃহ, যাহার ভিত্তিভূমি বা মেঝের আয়তন, শহর এলাকায় এক বা একাধিক তলায় মোট অনধিক ২৫০০ বর্গফুট, এবং অন্যান্য এলাকায় এক বা একাধিক তলায় মোট ৫,০০০ বর্গফুট-এর অধিক নয়:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, (ক) ও (খ) দফায় উল্লিখিত সামগ্রীর মোট মূল্য ৩,০০,০০০.০০ (তিন লক্ষ) টাকার অধিক হওয়া চলিবে না৷
নিষ্পন্নাধীন মামলা ইত্যাদির স্থানান্তর
৩৩৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন দেনাদারের বিরুদ্ধে অর্থ বা অন্য কোন সম্পত্তির দাবী সংক্রান্ত কোন মামলা বা অন্য কোন কার্যধারা যেকোন আদালতে নিষ্পন্নাধীন থাকিলে, উক্ত আদালত যদি প্রমাণ পায় যে, উক্ত দেনাদারের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত ঘোষণাদেশ প্রদানকারী আদালতে উক্ত মামলা বা কার্যধারা স্থানান্তর করিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ মামলা বা অন্যবিধ কার্যধারা হইতে উদ্ভূত কোন আপীল বা রিভিশন যদি কোন উচ্চতর আদালতে নিষ্পন্নাধীন থাকে, তাহা হইলে উক্ত উচ্চতর আদালত আপীল বা রিভিশনটি ধারা ৯৬ তে উল্লিখিত আপীল আদালতে বদলী করিবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উপ-ধারা (১) এবং উহার শর্তাংশে উল্লিখিত আদালত যথাক্রমে দেউলিয়া বিষয়ক আদালত এবং আপীল আদালত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং উক্তরূপ কোন আদালত এই ধারার অধীনে কোন মামলা বা কার্যধারা স্থানান্তরের আদেশ প্রদান বা প্রত্যাখ্যান করিলে ধারা ৯৬ বা, ক্ষেত্রমত, ৯৯ এর বিধান অনুযায়ী যথাক্রমে আপীল বা পুনরীক্ষণ ব্যতীত উক্ত আদেশের ব্যাপারে অন্য কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবেনা৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে বদলীকৃত মামলা বা অন্যবিধ কার্যধারা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা হইবে৷
ঘোষণাদেশ প্রকাশ
৩৪৷ (১) আদালত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের বিষয় বিধৃত করিয়া একটি নোটিশ সরকারী গেজেটে এবং তত্সহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে এবং উক্ত নোটিশে দেউলিয়ার নাম, ঠিকানা ও পরিচিতি, ঘোষণাদেশ প্রদানের তারিখ, দেনাদারের দায়মুক্তি আবেদন করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা এবং ঘোষণাদেশ প্রদানকারী আদালতের নাম উল্লেখ করিতে হইবে, এবং যথাযথ বিবেচনা করিলে, আদালত অন্য কোন তথ্যও নোটিশে অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে যদি আদালত উক্ত নোটিশ কোন পত্রিকায় প্রকাশের আদেশ দেয়, তাহা হইলে উহার প্রকাশনা-ব্যয় বহনের জন্য আদালত উক্ত পাওনাদারকে নির্দেশ দিতে পারে৷
 
 
 
 

ঘোষণাদেশ প্রদানের অন্তর্বর্তী কার্যক্রম

নিরাপত্তামূলক আদেশ
৩৫৷ (১) দেউলিয়া ঘোষিত দেনাদার তাহার কোন দেনার কারণে তাহাকে গ্রেফতার বা কারাগারে আটক রাখার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রার্থনা করিয়া আদালতে আবেদন করিতে পারিবে, এবং তত্প্রেক্ষিতে আদালত, কোন পাওনাদারকে নোটিশ দেওয়া প্রয়োজন মনে করিলে, উহার বিবেচনায় উপযুক্ত পদ্ধতিতে নোটিশ প্রদান ও সংশ্লিষ্ট পাওনাদারকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া, উক্ত দেনাদারের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) দেনাদারের সকল দেনা বা তন্মধ্যে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন দেনার ব্যাপারে নিরাপত্তামূলক আদেশ প্রদান করা যাইবে; এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে ও সময়ের জন্য উক্ত আদেশ বলবত্ হইবে এবং আদালত যখনি উপযুক্ত মনে করিবে তখনি উহা প্রত্যাহার বা নবায়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) যে দেনার ব্যাপারে নিরাপত্তামূলক আদেশ প্রদত্ত হয় সেই দেনার দায়ে কোন দেনাদারকে গ্রেফতার করা কিংবা কারাগারে আটক রাখা যাইবে না, এবং এইরূপ আদেশের খেলাপ করিয়া কোন দেনাদারকে গ্রেফতার বা আটক করা হইলে উক্ত আদেশের একটি অনুলিপি প্রদর্শন করিবামাত্র অবিলম্বে তাহাকে মুক্তি দেওয়া হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত নিরাপত্তামূলক আদেশ প্রত্যাহার করা হয় বা সংশ্লিষ্ট ঘোষণাদেশ রদ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত নিরাপত্তামূলক আদেশ কোন পাওনাদারের অধিকার ক্ষুণ্ন করিবে না৷
পাওনাদার কমিটি
৩৬৷ (১) যথাযোগ্য পাওনাদারের সংখ্যা দশ এর অধিক হইলে আদালত কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অথবা এইরূপ বিধি না থাকিলে, আদালত কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে একটি পাওনাদার কমিটি গঠনের জন্য রিসিভারকে আদেশ দিবে এবং এই কমিটি আদালত কর্তৃক নির্ধারিত অনধিক পাঁচজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে গঠিত পাওনাদার কমিটি রিসিভারকে তাহার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারিবে, এবং রিসিভার, এই আইন ও বিধির বিধানাবলীর ব্যত্যয় না ঘটাইয়া, যথাসম্ভব উক্ত পরামর্শ মানিয়া চলিবে৷
ঘোষণাদেশের পর গ্রেফতারের ক্ষমতা
৩৭৷ দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পর পাওনাদার কমিটি বা রিসিভার বা কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে, আদালতের যদি এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, দেনাদার বা, ক্ষেত্রমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই আইনের অধীন তাহার উপর আরোপিত বা আরোপণীয় কোন দায়িত্ব (obligation) এড়ানোর উদ্দেশ্যে পলাতক রহিয়াছেন অথবা আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাহিরে চলিয়া গিয়াছেন, তাহা হইলে তাহাকে গ্রেফতারের জন্য আদালত পরোয়ানা জারি করিতে পারিবে, এবং তিনি আদালতে হাজির হইলে বা তাহাকে আনীত হইলে, যদি আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তিনি উক্ত উদ্দেশ্যে পলাতক ছিলেন বা চলিয়া গিয়াছিলেন, তাহা হইলে জামানতের ব্যাপারে যুক্তিসংগত প্রয়োজনীয় শর্তে তাহাকে মুক্তিদানের জন্য আদালত আদেশ দিতে অথবা এইরূপ জামানত প্রদত্ত না হইলে তাহাকে অনধিক তিন মাসের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
পাওনাদার ও পাওনা-তফসিল
৩৮৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইলে, দেউলিয়ার বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য দেনার দাবীদার সকল ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে তাহার দাবীকৃত দেনার পরিমাণ ও বিবরণ সম্বলিত একটি সংক্ষিপ্ত দাবীনামা এবং উহার সমর্থনে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য উপস্থাপন করিবে, এবং আদালত, আদেশ দ্বারা, উক্তরূপ দেনার প্রমাণকারী সকল ব্যক্তি ও তাহাদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ করিবে এবং ঐ সকল ব্যক্তি ও তাহাদের পাওনার বিবরণ সম্বলিত একটি তফসিল প্রণয়ন করিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৩৯(১) এর বিধান সাপেক্ষে, যদি আদালতের মতে কোন দেনার পরিমাণ মোটামুটি সঠিকভাবে (fairly) নির্ধারণ করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে আদালত সেই মর্মে একটি আদেশ প্রদান করিবে এবং তত্প্রেক্ষিতে উক্ত দেনা উক্ত তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হইবে না৷
 
 
 
 
(২) এইরূপ তফসিলের একটি অনুলিপি আদালত ভবনের নোটিশ বোর্ডে বা অন্য কোন প্রকাশ্য স্থানে সাঁটিয়া দিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে তফসিল প্রণীত হওয়ার পরও যে কোন ব্যক্তি, একক দেনাদারের ক্ষেত্রে, দেউলিয়ার দায়মুক্তির পূর্ব পর্যন্ত যে কোন সময়, এবং একক দেনাদার ব্যতীত অন্য কোন দেনাদারের ক্ষেত্রে, এতদুদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পূর্বে যে কোন সময় বা আদালত এইরূপ তারিখ নির্ধারণ না করিলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত তারিখের পূর্বে যে কোন সময়, এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য দেনার ব্যাপারে একজন পাওনাদার হিসাবে তাহার নাম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করিবার আদেশের প্রার্থনায় আদালতের নিকট আবেদন করিতে এবং তাহার পাওনা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য উপস্থাপন করিতে পারিবে; এবং আদালত তত্প্রেক্ষিতে রিসিভার এবং ইতিপূর্বে পাওনাদার হিসাবে প্রমাণিত ব্যক্তিকে নোটিশ প্রদানপূর্বক এবং তাহাদের কোন আপত্তি থাকিলে তত্সম্পর্কে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানপূর্বক আবেদনটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন আবেদন বা আপত্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে সংক্ষিপ্ত বিবরণসহ দাখিল করিতে হইবে এবং এইরূপ বিধি না থাকিলে, আদালত কর্তৃক নির্দেশিত ফরমে সংক্ষিপ্ত বিবরণসহ দাখিল করিতে হইবে৷
প্রমাণযোগ্য দেনা
৩৯৷ (১) যথাযথ মূল্য নিরূপণ করা সম্ভব না হওয়ার কারণে যে সকল দেনা ধারা ৩৮ এর অধীন প্রণীত তফসিলে অন্তর্ভুক্ত হয় নাই, সেই সকল দেনা এবং কোন চুক্তি হইতে বা বিশ্বাস ভংগের (breach of trust) ঘটনা হইতে উদ্ভূত অনির্ধারিত (unliquidated) ক্ষতিপূরণের দাবী ব্যতীত, অন্য যেকোন ধরনের অনির্ধারিত ক্ষতিপূরণমূলক দাবী এই আইনের অধীনে প্রমাণযোগ্য হইবে, যদি এতদ্‌বিষয়ে আদালত ভিন্নতর কোন সিদ্ধান্ত প্রদান না করে৷
 
 
 
 
(২) একক দেনাদার ব্যতীত অন্য কোন দেনাদার দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পূর্বে যেকোন সময়, এবং দেউলিয়া হিসাবে একক দেনাদারের দায়মুক্তির পূর্বে যে কোন সময়, উহার বা তাহার অর্জিত যাবতীয় দেনা এবং দায়-দায়িত্ব (liabilities), বর্তমান বা ভবিষ্যত্ অথবা নিশ্চিত (certain) বা ঘটনাপেক্ষ (contingent) যে কোন প্রকৃতির হউক না কেন, এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য দেনা বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না আদালত ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করে৷
 
 
 
 
 
 
 
 

ঘোষণাদেশ রদ

ঘোষণাদেশ রদ করার ক্ষমতা
৪০৷ যে ক্ষেত্রে আদালতের মতে কোন দেনাদারকে দেউলিয়া ঘোষণা করা যথাযথ হয় নাই, অথবা যে ক্ষেত্রে আদালতের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণিত হয় যে, উক্ত দেনাদারের দেনা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে আদালত, দেনাদার বা অন্য কোন স্বার্থবান ব্যক্তির আবেদনক্রমে, উক্ত ঘোষণাদেশ লিখিত আদেশ দ্বারা রদ করিবে; এবং আদালত নিজ উদ্যোগে অথবা রিসিভার বা কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে, এইরূপ যেকোন দেউলিয়া ঘোষণাদেশও রদ করিতে পারিবে, যাহা ধারা ১৩(২) এর বিধান অনুসারে আর্জি দাখিলের অধিকারী নহেন এইরূপ কোন দেনাদারের দরখাস্তের ভিত্তিতে প্রদত্ত হইয়াছে৷
একই দেনাদারের বিরুদ্ধে একাধিক সমগামী ঘোষণাদেশ রদ করার ক্ষমতা
৪১৷ কোন ক্ষেত্রে দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পর উক্ত আদেশ প্রদানকারী আদালতে যদি প্রমাণিত হয় যে, একই দেনাদারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে অন্য কোন আদালতে দেউলিয়া বিষয়ক বা সমফলপ্রদ অন্য কোন কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন আছে এবং উক্ত কার্যধারায় দেনাদারের সম্পত্তি উক্ত অন্য আদালতের মাধ্যমে অধিকতর সুবিধাজনকভাবে বণ্টন করা যাইবে তাহা হইলে আদালত উক্ত ঘোষণাদেশ রদ কিংবা তত্সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যধারা স্থগিত করিতে পারিবে৷
ঘোষণাদেশ রদ পরবর্তী কার্যধারা
৪২৷ (১) কোন দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদ করা হইলে, উক্ত রদকরণের পূর্বে আদালত বা, ক্ষেত্রমত, রিসিভার দেনাদারের সম্পত্তির বিক্রয় বা অন্যবিধভাবে উহাদের নিষ্পত্তিকরণ, যথাযথভাবে কোন অর্থ পরিশোধসহ এতদ্‌বিষয়ে যে সকল কার্য সম্পাদন করিয়াছেন সেই সকল কার্য বৈধ হইবে, এবং এইরূপ বৈধতা সাপেক্ষে, দেউলিয়া ঘোষিত দেনাদারের সম্পত্তি আদালত কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হইবে, অথবা এইরূপ ব্যক্তি নিযুক্ত না হইলে, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কোন শর্ত সাপেক্ষে, উক্ত সম্পত্তির যতটুকুর উপর দেনাদারের অধিকার ও স্বার্থ রহিয়াছে ততটুকু দেনাদারের উপর পুনঃন্যস্ত হইবে৷
 
 
 
 
(২) ঘোষণাদেশ রদকারী প্রতিটি আদেশ সরকারী গেজেটে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন পদ্ধতিতেও প্রকাশ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
 
 

চতুর্থ অধ্যায়

আপোষ মিমাংসা, পুনবির্ন্যাস ও পুর্নগঠন

আপোষ মিমাংসা এবং পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা

আপোষ মিমাংসা এবং পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা
৪৩৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পর যদি কোন দেনাদার তাহার দেনার দায় মিটানোর জন্য কোন আপোষ-মিমাংসা (composition) প্রস্তাব বা তদুদ্দেশ্যে তাহার বিষয়াদি সম্পর্কে পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা (scheme of arrangement) সম্বলিত প্রস্তাব, অতঃপর এই অধ্যায়ে প্রস্তাব বলিয়া অভিহিত, উপস্থাপন করেন, তাহা হইলে আদালত উক্ত প্রস্তাব বিবেচনার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে এবং তদ্‌সম্পর্কে সকল পাওনাদারকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং এইরূপ বিধি না থাকিলে, আদালতের বিবেচনামত যথাযথ নোটিশ প্রদান করিবে, এবং প্রস্তাবটির বাস্তবায়নযোগ্যতা সম্পর্কে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন ও দাখিল করার জন্য রিসিভারকে নির্দেশ দিবে; এবং অতঃপর রিসিভার তাহার সুনির্দিষ্ট মতামতসহ উক্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(২) আদালতে প্রমাণিত সকল দেনার মূল্যমানের ভিত্তিতে এবং নথিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি, দুই-তৃতীয়াংশ পাওনাদার আদালতে ব্যক্তিগতভাবে বা তাহাদের আইনজীবী বা তাহাদের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হইয়া উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রস্তাব বিবেচনান্তে গ্রহণ করেন এবং আদালত উহা অনুমোদন করে, তাহা হইলে উক্ত প্রস্তাব সকল পাওনাদার যথাযথভাবে গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিতমতে প্রস্তাবটি বিবেচনার সময় দেনাদার তাহার প্রস্তাবের শর্তাবলী সংশোধন করিতে পারিবেন এবং আদালত উক্ত সংশোধন অনুমোদন করিতে পারিবে, যদি আদালতের মতে উক্ত সংশোধন সামগ্রিকভাবে সকল পাওনাদারের জন্য কল্যাণকর হয়৷
 
 
 
 
(৪) প্রস্তাবটি সম্পর্কে রিসিভারের প্রতিবেদন এবং কোন পাওনাদার কর্তৃক বা তাহার পক্ষে উত্থাপিত আপত্তি শুনানী ও বিবেচনার পর আদালত যদি মনে করে যে, প্রস্তাবটির শর্তাবলী যুক্তিসংগত নহে বা সামগ্রিকভাবে পাওনাদারগণের জন্য কল্যাণকর হইবে না, তাহা হইলে আদালত উক্ত প্রস্তাবটির অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করিবে৷
 
 
 
 
(৫) যদি প্রস্তাবটি সম্পর্কিত এমন কোন বিষয় আদালতের গোচরীভূত হয়, যাহা প্রমাণিত হইলে আদালতকে দেনাদারের দায়মুক্তি প্রত্যাখ্যান স্থগিত বা তদ্‌সম্পর্কে শর্ত আরোপ করিতে হইবে, তাহা হইলে আদালত উক্ত প্রস্তাবের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করিবে, যদি না উক্ত বিষয়ে পাওনাদারগণকে নোটিশ প্রদান এবং শুনানীর পর পাওনাদারগণের পাওনা পরিশোধের উদ্দেশ্যে, দেনাদার আদালতের বিবেচনামতে যুক্তিসংগত জামানত প্রদান করে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জামানতবিহীন পাওনাদারগণের প্রাপ্য সকল পাওনার ১৫% হইতে ৬৫% এবং ব্যাংক ঋণের পাওনাদারগণের প্রাপ্য সকল পাওনার ২৫% হইতে ৭৫%, যাহা আদালত নির্ধারণ করে, এর সমপরিমাণ অর্থের জামানত প্রদান করা হইলে, যুক্তিসংগত জামানত প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে:
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত যুক্তিসংগত জামানত নির্ধারণের ক্ষেত্রে আদালত দেনাদারের দেনার সম্পর্কে নিম্্নবর্ণিত পরিস্থিতিগুলি বিবেচনা করিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার সম্পূর্ণভাবে তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণের শিকার হইয়া থাকিলে, উক্ত কারণের মাত্রা;
 
 
 
 
(খ) কোন উদ্যোগে (enterprise) অর্থায়নের জন্য দেনাদার অর্থ গ্রহণ করিয়া থাকিলে, উক্ত উদ্যোগের সহিত সম্পৃক্ত ঝুঁকির মাত্রা;
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের কার্যকলাপ, সত্বুদ্ধি-বিরোধী বা নৈতিকতা-বিরোধী কিনা৷
 
 
 
 
(৬) আদালত এমন কোন আপোষ-মিমাংসা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা অনুমোদন করিবে না, যাহাতে ৭৫ ধারা অনুসারে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেনাসমূহ অন্যান্য দেনার তুলনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা নাই৷
 
 
 
 
(৭) অন্য যে কোন ক্ষেত্রে আদালত প্রস্তাবটি অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে৷
অনুমোদন আদেশ ও উহার ফলাফল
৪৪৷ ধারা ৪৩ এর অধীন কোন প্রস্তাব অনুমোদন করা হইলে-
 
 
 
 
(ক) আদালত একটি আদেশের মাধ্যমে অনুমোদনের শর্তাবলী নির্ধারণ করিয়া দিবে;
 
 
 
 
(খ) আদালত উক্ত আদেশে দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদ করিবার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিবে এবং তদ্‌প্রেক্ষিতে উক্ত রদকরণের ক্ষেত্রে ৪২ ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে; এবং
 
 
 
 
(গ) অনুমোদিত আপোষ-মিমাংসা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা দেনাদারের নিকট প্রাপ্য এবং এই আইনের অধীনে প্রমাণযোগ্য সকল দেনার ব্যাপারে সকল পাওনাদারের উপর বাধ্যকর হইবে৷
দেনাদারকে পুনরায় দেউলিয়া ঘোষণা করার ক্ষমতা
৪৫৷ (১) অনুমোদিত আপোষ-মিমাংসা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা অনুসারে দেনাদার যদি কোন কিস্তি পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, অথবা যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত আপোষ-মিমাংসা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা পাওনাদারের প্রতি অবিচার না করিয়া বা অবাঞ্ছিত বিলম্ব না করিয়া বাস্তবায়ন করা যাইবে না অথবা তত্সম্পর্কে প্রতারণামূলকভাবে আদালতের অনুমোদন লাভ করা হইয়াছে, তাহা হইলে আদালত বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে যথাযথ বিবেচনা করিলে, দেনাদারকে পুনরায় দেউলিয়া ঘোষণা করিতে এবং আপোষ-মিমাংসা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা রদ করিতে পারে, কিন্তু ইহার ফলে উক্ত আপোষ-মিমাংসা ও পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা অনুসারে যথাযথভাবে সম্পাদিত কোন হস্তান্তর বা অর্থ পরিশোধ বা অন্য কোন কিছুর বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন দেনাদারকে পুনরায় দেউলিয়া ঘোষণা করা হইলে এবং উক্ত ঘোষণার পূর্বে তিনি কোন দেনা করিয়া থাকিলে উহা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় প্রমাণযোগ্য হইবে৷
পুনর্গঠন আদেশ
৪৬৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পূর্বে বা পরে যেকোন সময়, একজন যথাযোগ্য (eligible) দেনাদার তাহার দেনাসমূহ পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং এইরূপ আবেদনপত্রে পুনর্গঠনের কারণ উল্লেখপূর্বক উহার সহিত একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা (plan of reorganisation) উপস্থাপন করিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আবেদন প্রাপ্তির পর যদি আদালত সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী একজন যথাযোগ্য দেনাদার, তাহা হইলে আদালত উক্ত আবেদন প্রাপ্তির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে তত্সম্পর্কে শুনানীর একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে; এবং কোন রিসিভার নিযুক্ত হইয়া থাকিলে তাহাকে এবং আদালতের নথিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যথাযোগ্য পাওনাদারগণকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অথবা এইরূপ কোন বিধি না থাকিলে আদালতের বিবেচনামতে উপযুক্ত পদ্ধতিতে, উক্ত আবেদন শুনানীর তারিখ সম্পর্কে নোটিশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে শুনানীর তারিখ নির্ধারণের সময় আদালত একজন অন্তর্বর্তী রিসিভার নিয়োগ করিবে, যদি ইতিপূর্বে কোন রিসিভার বা অন্তর্বর্তী রিসিভার নিযুক্ত না হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(৪) আবেদনটি শুনানীর তারিখ নির্ধারণের পর আদালত, প্রয়োজনীয় মনে করিলে-
 
 
 
 
(ক) ধারা ২৪(১) এর (ক) এবং (খ) দফায় বর্ণিত যেকোন ক্ষমতা প্রয়োগ এবং তদনুসারে যেকোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) উহার নথিতে প্রাপ্ত তথ্যাদির নিরীখে পুনর্গঠন পরিকল্পনা পরীক্ষা করিতে এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, যাহা উপ-ধারা (২) এর অধীনে নির্ধারিত শুনানীর তারিখের পর হইবে না, এর মধ্যে উক্ত পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য রিসিভারকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; এবং এইরূপ নির্দেশ অনুসারে রিসিভার, প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বাস্তবায়নযোগ্যতা সম্পর্কে তাহার মতামতসহ, উক্ত পরিকল্পনার উপর একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) যথাযোগ্য পাওনাদারগণ এবং রিসিভার আবেদন শুনানীর তারিখের পূর্বে প্রস্তাবিত পুনর্গঠনের ব্যাপারে তাহাদের লিখিত আপত্তি বা পরামর্শ দাখিল করিতে পারিবেন; এবং আদালত উপ-ধারা (৪)(খ) অনুসারে রিসিভার কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন, যদি থাকে, এবং উক্ত আবেদন ও কোন আপত্তি বা পরামর্শ দাখিল করা হইলে তদ্‌সম্পর্কে শুনানীর পর নিম্্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনায় রাখিয়া একটি পুনর্গঠন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) জাতীয় স্বার্থ;
 
 
 
 
(খ) পাওনাদারগণের স্বার্থ;
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের স্বার্থ:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালতে প্রমাণিত সকল দেনার মূল্যমানের ভিত্তিতে যদি দুই-তৃতীয়াংশ পাওনাদার, ব্যক্তিগতভাবে বা তাহাদের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে, উক্ত পুনর্গঠন পরিকল্পনা সম্পর্কে লিখিত সম্মতি জ্ঞাপন না করেন, তাহা হইলে কোন পুনর্গঠন আদেশ প্রদান করা হইবে না;
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, আদালত, পুনর্গঠন আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে, উক্ত পরিকল্পনায় সম্মতি প্রদান করে নাই এইরূপ পাওনাদার বা বিভিন্ন শ্রেণীর পাওনাদারগণ বা সাধারণভাবে সকল পাওনাদারগণের স্বার্থ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে, বিধির বিধান সাপেক্ষে, উক্ত পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় রদবদলসহ উহার বিবেচনামত প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করিতে পারিবে, এবং এইরূপ রদবদল ও শর্ত পরিকল্পনার অংশ হইবে৷
 
 
 
 
(৬) পুনর্গঠনের আদেশ প্রদানের তারিখের পূর্বে প্রাপ্য হয় এইরূপ দেনাসহ এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য সকল দেনার ব্যাপারে উক্ত আদেশ দেনাদার এবং সকল পাওনাদারের উপর বাধ্যতামূলক হইবে৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৫) এর অধীনে কোন পুনর্গঠন আদেশ প্রদান করা হইলে, ইতিপূর্বে প্রদত্ত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ, যদি থাকে, আপনা-আপনি রদ হইয়া যাইবে; কিন্তু এইরূপ রদ হওয়ার ফলে উক্ত ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হওয়ার পর এই আইনের অধীনে যথাযথভাবে সম্পাদিত কোন হস্তান্তর বা অর্থ পরিশোধ বা অন্য কোন কিছুর বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না৷
 
 
 
 
(৮) উপ-ধারা (৫) এর অধীনে পুনর্গঠন আদেশ প্রদত্ত হইলে, দেনাদারের বণ্টনযোগ্য সম্পদ (Estate) আপনা আপনি রিসিভারে ন্যস্ত হইবে, এবং দেনাদার, এই আইনের বিধানাবলী ও রিসিভারের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে, তাহার বণ্টনযোগ্য সম্পদ এবং তত্সংশ্লিষ্ট কোন ব্যবসা-বাণিজ্য থাকিলে তিনি উহার বিশেষ ব্যবস্থাপক (special manager) হইবেন৷
 
 
 
 
(৯) আদালত-
 
 
 
 
(ক) স্বীয় উদ্যোগে অথবা রিসিভার বা কোন যথাযোগ্য পাওনাদারের আবেদনক্রমে, এবং
 
 
 
 
(খ) যাহার বিরুদ্ধে আবেদন করা হইয়াছে তাহাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, যথাযোগ্য পাওনাদার বা রিসিভারকে বা দেনাদারকে নোটিশ প্রদান করিয়া এবং বিষয়টি সম্পর্কে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর,
 
 
 
 
রিসিভার বা তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে দেনাদারের স্থলে বিশেষ ব্যবস্থাপক, অতঃপর বিকল্প ব্যবস্থাপক বলিয়া অভিহিত, নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(১০) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী পুনর্গঠন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে, এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, সেই একইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেরূপে সেগুলি কোন দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়৷
 
 
 
 
(১১) যে ক্ষেত্রে পুনর্গঠন আদেশ প্রদত্ত হয়, সেই ক্ষেত্রে-
 
 
 
 
(ক) আর্জি দাখিলের তারিখের পর এবং পুনর্গঠন আদেশের তারিখের পূর্বে যে কোন সময়, দেনাদার কর্তৃক অর্জিত কিংবা তাহার উপর ন্যস্ত সকল সম্পদ বণ্টনযোগ্য সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(খ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বা এইরূপ বিধান না থাকিলে আদালত কর্তৃক ধার্যকৃত তারিখের পূর্বে যেকোন সময় যেকোন পাওনাদার তাহার দাবী প্রমাণ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(গ) আর্জি দাখিলের পর দেনাদার যদি কোন দেনা করেন, তবে তাহা প্রশাসনিক (administrative) দাবী বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) অনুমোদিত পুনর্গঠন পরিকল্পনার শর্ত মোতাবেক দেনাদার দায়মুক্তি পাইতে পারেন, যদি আদালত সেইমর্মে আদেশ প্রদান করে;
 
 
 
 
(ঙ) ধারা ৪৭ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দেনাদার কোন সম্পত্তির দখলে থাকিলে এবং পুনর্গঠনের স্বার্থে উক্ত সম্পত্তি তত্কর্তৃক ব্যবহার করা প্রয়োজনীয় হইলে, তিনি উক্ত সম্পত্তির দখল অব্যাহত রাখিতে পারিবেন, যদিও উক্ত সম্পত্তি কোন পূর্বস্বত্ব (lien) বা বন্ধক সাপেক্ষ হয় বা অন্য কোনভাবে জামানতসহ দায়বদ্ধ থাকে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ সম্পত্তির দখল গ্রহণের জন্য আদালত কোন জামানতকারী পাওনাদারকে অনুমতি দিতে পারিবে, যদি আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, পুনর্গঠনের বিষয়টি নিষ্পন্নাধীন থাকাকালে উক্ত সম্পত্তিতে তাহার স্বার্থ যথাযথভাবে রক্ষিত হয় নাই অথবা উক্ত সম্পত্তিতে দেনাদারের আর কোন ন্যায়ানুগ স্বার্থ (equity) নাই;
 
 
 
 
(চ) ধারা ৬৬-তে বিধৃত হারে রিসিভার ফিস গ্রহণের অধিকারী হইবেন;
 
 
 
 
(ছ) রিসিভার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অথবা এইরূপ বিধি না থাকিলে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, অনধিক সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি পাওনাদার কমিটি গঠন করিবেন; তবে সদস্যগণকে এমন পাওনাদার হওয়া প্রয়োজন যে, তাহাদের পাওনা জামানতবিহীন ও পরিমাণের দিক হইতে সর্বোচ্চ এবং তাহারা কমিটিতে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইতে ইচ্ছুক৷
 
 
 
 
(১২) এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত কোন বিধির বিধানের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া আদালত পুনর্গঠন আদেশে নিম্্নবর্ণিত বিষয়গুলি নির্ধারণ করিয়া দিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বণ্টনযোগ্য সম্পদ ও তদ্‌সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে দেনাদারের ক্ষমতা ও কর্তব্য এবং তাহার উপর আরোপিত বাধা নিষেধ;
 
 
 
 
(খ) উক্তরূপ ব্যবস্থাপনা রিসিভার কর্তৃক পরিবীক্ষণের (monitor) পদ্ধতি;
 
 
 
 
(গ) পাওনাদার কমিটি কর্তৃক রিসিভারকে পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্রসমূহ;
 
 
 
 
(ঘ) উক্তরূপ ব্যবস্থাপনা ও পরামর্শের ব্যাপারে রিসিভারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;
 
 
 
 
(ঙ) পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে প্রযোজ্য সময়সীমা এবং দিক নির্দেশনা৷
 
 
 
 
(১৩) পুনর্গঠন আদেশ প্রদানের পর আদালত যদি, স্বীয় উদ্যোগে বা রিসিভার বা কোন যথাযোগ্য পাওনাদারের আবেদনক্রমে, লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, পুনর্গঠন আদেশ প্রদান যথাযথ হয় নাই বা পরিবর্তিত পরিস্থিততে উক্ত আদেশ সংশোধন বা প্রত্যাহার করা উচিত, অথবা আদালত এবং পাওনাদারগণের নিকট গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করিতে বিশেষ ব্যবস্থাপক বা বিকল্প-ব্যবস্থাপক অক্ষম, তাহা হইলে আদালত, হয় পুনর্গঠন আদেশ, উহার বিবেচনায় যথাযথভাবে, সংশোধন করিবে নতুবা উহা রদ করিবে; এইরূপ রদকরণের ক্ষেত্রে, আদালত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করিবে এবং এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইলে উহা আর্জি দাখিলের তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, এবং তদনুসারে এই অধ্যায় ব্যতীত এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সংশ্লিষ্ট কার্যধারা ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সংশোধন বা রদকরণের ফলে, উহার পূর্বে অনুমোদিত পুনর্গঠন পরিকল্পনার অধীনে যথাযথভাবে সম্পাদিত কোন হস্তান্তর বা অর্থ পরিশোধ বা অন্য কোন কিছুর বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না৷
 
 
 
 

পঞ্চম অধ্যায়

দায়মুক্তি ও দায়গ্রস্ত দেউলিয়া

দায়মুক্তি
৪৭৷ (১) কোন একক দেউলিয়ার ব্যাপারে আদালত তাহার দায়মুক্তির আদেশ দিতে পারিবে, এবং এইরূপ আদেশের ফলে উক্ত দেউলিয়া ৩৯ ধারার অধীনে প্রমাণযোগ্য সকল দাবী, দেনা ও দায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিবেন, যদি আদেশে সুনির্দিষ্টভাবে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকে৷
 
 
 
 
(২) দেনাদার আর্জি দাখিল করিলে উক্ত আর্জিতেই তিনি তাঁহার দায়মুক্তির জন্য প্রার্থনা করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, এবং যেক্ষেত্রে এক বা একাধিক যথাযোগ্য পাওনাদার উক্ত দরখাস্ত দাখিল করেন, সেক্ষেত্রে ধারা ৩০(১)(খ)(অ) এর অধীনে নির্ধারিত তারিখের পূর্বে দেনাদার তাহার দায়মুক্তির জন্য আবেদন করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের সময় আদালত উক্ত আদেশের একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে যে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য শুনানীর উদ্দেশ্য হইবে দেনাদারকে দায়মুক্ত করা হইবে কি না তাহা সর্বপ্রথম বিবেচনা করা, এবং উক্ত তারিখ হইবে উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখের ৬০ (ষাট) দিনের পরবর্তী কোন তারিখ:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২৭(৩) মোতাবেক দেউলিয়ার জিজ্ঞাসাবাদ সমাপ্ত না হইয়া থাকিলে উক্তরূপ শুনানী মুলতবী করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন শুনানীকালে আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে, দেনাদারের নৈতিক স্খলন বা অবহেলার কারণে নহে, বরং সম্পূর্ণভাবে তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে তাহার দেউলিয়া অবস্থার সৃষ্টি হইয়াছে, তাহা হইলে আদালত অবিলম্বে তাহার দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে কোন দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করা না হইলে, দেউলিয়া তাহার দায়মুক্তির জন্য আদালতের নিকট একটি স্বতন্ত্র আবেদন করিতে পারিবেন এবং আদালত তত্সম্পর্কে একটি শুনানীর তারিখ ধার্য করিবে, তবে ২৭(৩) ধারার অধীনে অনুষ্ঠিত দেনাদারের জিজ্ঞাসাবাদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত শুনানী করা হইবে না৷
 
 
 
 
(৬) যদি দেনাদার বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করেন এবং আদালত মনে করে যে, সঙ্গতির অভাবে বা অন্য কোন সন্তোষজনক কারণে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করিতে অসমর্থ, অথবা যদি দেনাদার একজন উন্মাদ (lunatic) হন বা আদালত যদি মনে করে যে, দেনাদার এমন কোন দৈহিক বা মানসিক অসুস্থতা বা অক্ষমতায় ভুগিতেছেন যে, প্রকাশ্য জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকিবার জন্য তিনি উপযুক্ত নহেন, তাহা হইলে আদালত জিজ্ঞাসাবাদ হইতে তাহাকে অব্যাহতি দিতে বা আদালতের বিবেচনামতে যথাযথ শর্তাধীনে, পদ্ধতিতে এবং স্থানে তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৭) দায়মুক্তির আবেদন সম্পর্কে শুনানীর জন্য আদালতের নথিতে লিপিবদ্ধ প্রত্যেক পাওনাদারকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং এইরূপ কোন বিধি না থাকিলে আদালত কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৮) শুনানীর সময় আদালত আবশ্যিকভাবে রিসিভারের বক্তব্য শুনিবে এবং কোন পাওনাদারের বক্তব্যও শুনিতে পারে, এবং আদালত প্রয়োজন মনে করিলে দেনাদারকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে এবং সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারেন৷
দায়মুক্তি প্রভাবিত করিতে পারে এমন বিষয়সমূহ
৪৮৷ (১) ধারা ৪৭(৫) এর অধীনে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের শুনানীকালে, আদালত-
 
 
 
 
(ক) দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকাকালে দেনাদারের আচরণসহ তাহার সাধারণ আচরণ এবং কার্যকলাপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত ও দাখিল করিবার জন্য রিসিভারকে নির্দেশ প্রদান করিবে;
 
 
 
 
(খ) উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনাক্রমে, নিঃশর্ত দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করিতে বা উহা প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে অথবা দায়মুক্তির আদেশ প্রদানের পরবর্তীকালে দেনাদারের প্রাপ্ত বা তত্কর্তৃক অর্জিতব্য কোন আয় বা অর্জন সম্পর্কে কোন শর্ত আরোপ করিয়া দায়মুক্তির আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) আদালত দায়মুক্তির আদেশ প্রদানের আবেদন প্রত্যাখ্যান করিতে অথবা এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইলে উহার কার্যকারিতা নির্ধারিত মেয়াদের জন্য স্থগিত করিতে পারিবে, যদি আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার এই আইনের অধীন, অথবা দণ্ডবিধির ৪২১, ৪২২, ৪২৩ বা ৪২৪ ধারার অধীন কোন অপরাধ করিয়াছেন; অথবা
 
 
 
 
(খ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত কোন ঘটনা প্রমাণিত হইয়াছে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত উহার নথিতে লিপিবদ্ধ মোট দেনার অন্ততঃ ৫০% এর সমপরিমাণ অর্থ দেনাদার কর্তৃক আদালতে জমাকরণের শর্ত সাপেক্ষে উক্ত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীনে প্রদত্ত কোন শর্তযুক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে দুই বত্সর অতিক্রান্ত হওয়ার পর যে কোন সময় আদালত যদি সংশ্লিষ্ট দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার ব্যাপারে এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত আদেশের শর্ত পালন করার মত অবস্থায় আসার সম্ভাবনা তাহার নাই, তাহা হইলে আদালত, উহার বিবেচনামতে উপযুক্ত পদ্ধতিতে এবং শর্তসাপেক্ষে, উক্ত আদেশ বা পরবর্তী কোন আদেশ সংশোধন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) (খ) তে উল্লিখিত ঘটনাসমূহ হইতেছে এই যে,-
 
 
 
 
(ক) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের অব্যবহিত পূর্বের তিন বত্সরের মধ্যে বা বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আদালত কর্তৃক নির্ধারিত স্বল্পতর সময়, এর মধ্যে, দেনাদার তাহার ব্যবসায়িক লেন-দেন এবং আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য প্রদানকারী হিসাব-বহি রক্ষণাবেক্ষণ করেন নাই;
 
 
 
 
(খ) দেনাদার নিজেকে দেউলিয়ারূপে জানার পরও বা তাহা বিশ্বাস করার সংগত কারণ থাকা সত্বেও, তিনি তাহার কারবার চালু রাখিয়াছিলেন;
 
 
 
 
(গ) দেনাদার এইরূপ কোন দেনার চুক্তি করিয়াছেন যাহা তিনি পরিশোধ করিতে পারিবেন বলিয়া উক্ত চুক্তির সময় আশা করার যুক্তিসংগত কারণ ছিল না; এইরূপ পরিশোধের আশা করার যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব দেনাদারের উপর বর্তাইবে;
 
 
 
 
(ঘ) দেনাদারের বেপরোয়া ফটকামূলক কাজকর্ম (rash speculation), বা অসংযমী জীবন-যাপন, বা হটকারিতা, বা ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিষয়াদিতে যুক্তিসংগত সতর্কতা ও মনোযোগের অভাব, তাহাকে দেউলিয়া করিয়াছে, অথবা দেউলিয়া হইতে অবদান রাখিয়াছে;
 
 
 
 
(ঙ) দেউলিয়ার বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আনীত কোন মামলা বা অন্য কোন কার্যধারায় তুচ্ছ বা হয়রানিমূলক (frivolous or vexatious) আপত্তিকর অবতারণা করিয়া দেনাদার উক্ত মামলা বা কার্যধারার নিষ্পত্তি বিলম্ব করিয়াছেন বা তাহার সংশ্লিষ্ট পাওনাদারকে অপ্রয়োজনীয় খরচ করিতে বাধ্য করিয়াছেন;
 
 
 
 
(চ) আর্জি দাখিলকৃত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে দেনাদার তাহার কোন পাওনাদারকে অবৈধ অগ্রাধিকার প্রদান করিয়াছেন;
 
 
 
 
(ছ) দেনাদার ইতিপূর্বে বাংলাদেশে বা অন্যত্র দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন, অথবা তাহার দেনা পরিশোধের ব্যাপারে কোন আপোষ-মিমাংসা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা বা পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদিত হইয়াছে;
 
 
 
 
(জ) দেনাদার কোন প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন;
 
 
 
 
(ঝ) আর্জি দাখিল হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে দেনাদার এইরূপ পরিস্থিততে বাংলাদেশের বাহিরে কোন সামগ্রী প্রেরণ করিয়াছেন যাহা হইতে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে যে, উক্ত সামগ্রী প্রেরণ সদুদ্দেশ্যমূলক বাণিজ্যিক লেন-দেন ছিল না;
 
 
 
 
(ঞ) দেনাদারের বণ্টনযোগ্য সম্পদের মূল্য তাহার জামানতবিহীন দায় (unsecured liabilities) এর ৫০% এর সম-পরিমাণ নহে, যদি না তিনি আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, এই পরিস্থিতি উদ্ভূত হওয়ার জন্য তাহাকে ন্যায়সংগতভাবে দায়ী করা যায় না৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রিসিভারের প্রতিবেদন উহাতে উল্লিখিত ঘটনাসমূহের ব্যাপারে প্রাথমিক সাক্ষ্য বলিয়া গণ্য করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৬) দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় প্রমাণযোগ্য যে দেনা দায়মুক্তির আদেশ প্রদানের তারিখে অপরিশোধিত থাকে তত্সম্পর্কে বা উহার অংশ-বিশেষ সম্পর্কে আদালত, এই ধারার অধীন আরোপণীয় অন্যতম শর্ত হিসাবে, দেনাদারকে এইরূপ নির্দেশ দিতে পারিবে যে, তিনি উক্ত অপরিশোধিত দেনা বা উহার অংশ-বিশেষ সম্পর্কে রিসিভারের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিবেন৷
 
 
 
 
(৭) দেনাদার উপ-ধারা (৬) এর বিধান মোতাবেক রিসিভারের কোন সিদ্ধান্তে সম্মতি প্রদান করিলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত অপরিশোধিত দেনা বা উহার অংশ-বিশেষ আদায়ের জন্য, আদালতের অনুমতি ব্যতীত, কোন কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না; এবং আদালত এইরূপ অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে, যদি উহা প্রমাণিত হয় যে, দেনাদারের দায়মুক্তির পর তাহার অর্জিত সম্পত্তি বা আয় উক্ত দেনা বা উহার অংশ-বিশেষ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত৷
 
 
 
 
(৮) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্্নরূপ ধারণাগুলি (Presumptions) প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) যদি দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার যেকোন পর্যায়ে দেনাদার আদালতে উপস্থিত হন এবং এইরূপ উপস্থিত হওয়ার আগে বা পরে যখন হউক, উক্ত কার্যধারায় তাহাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়, তাহা হইলে ধরিয়া লওয়া হইবে (Presumed) যে, তিনি নিজেকে দেউলিয়ারূপে জানিতেন অথবা তাহার উক্তরূপ বিশ্বাস করার কারণ ছিল;
 
 
 
 
(খ) যদি রিসিভার আদালতকে এই মর্মে অবহিত (report) করেন যে, দেনাদারের বণ্টনযোগ্য সম্পদের মধ্যে উদ্ধারকৃত এবং উদ্ধারযোগ্য সম্পত্তিগুলির (assets) আনুমানিক মূল্য প্রমাণিত দেনাসমূহের ৫০% পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত নহে, তাহা হইলে আদালত, বিপরীত প্রমাণিত না হইলে, ধরিয়া লইবে (shall presume) যে, দেনাদার নিজেকে দেউলিয়ারূপে জানিবার পরও অথবা তাহার উক্তরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকা সত্ত্বেও, তিনি তাহার কারবার চালু রাখিয়াছেন :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন নির্দিষ্ট তারিখে দেনাদার নিজেকে দেউলিয়ারূপে জানিতেন কিনা, অথবা তাহার উক্তরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ ছিল কিনা তাহা নিরূপণের ক্ষেত্রে, উক্ত তারিখে তাহার যে সকল দেনা বার মাসের অধিককালব্যাপী অপরিশোধিত ছিল সেই সকল দেনা পূর্বোক্ত সম্পত্তিগুলির (assets) মূল্যমান হইতে বাদ দিতে হইবে;
 
 
 
 
(গ) একজন দেনাদার নিজেকে দেউলিয়ারূপে জানিবার পরও, বা তাহার উক্তরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকা সত্ত্বেও, তিনি তাহার কারবার চালু রাখিয়াছেন বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে, যদি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর তিনি বাস্তবে তাহার কারবার চালু রাখিয়া থাকেন, এবং তিনি-
 
 
 
 
(অ) আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে না পারেন যে, নিজেকে স্বচ্ছল বলিয়া বিশ্বাস করিবার মত যুক্তিসংগত কারণ ছিল, অথবা
 
 
 
 
(আ) যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত আর্জি দাখিলকৃত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন বত্সরের প্রতি বত্সরের জন্য তাহার কারবারের ব্যালেন্সশীট দাখিল করিতে ব্যর্থ হন; এইরূপ যুক্তিসংগত কারণ প্রমাণের দায়িত্ব বর্তাইবে তাহার উপর;
 
 
 
 
(ঘ) আর্জি দাখিলকৃত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে দেনাদার কর্তৃক তাহার কোন পাওনাদারকে প্রদত্ত যেকোন অগ্রাধিকার, বিপরীত প্রমাণিত না হইলে, অযৌক্তিকভাবে প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে৷
দায়মুক্তির আবেদন না করা, ইত্যাদির ফলাফল
৪৯৷ (১) যদি-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার তাহার দায়মুক্তির বিষয়ে শুনানীর জন্য ধারা ৩০(১) (খ) (অ) এর অধীনে নির্ধারিত তারিখে বা, ধারা ৫০(১) এর বিধান সাপেক্ষে, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত পরবর্তী কোন তারিখে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হন, অথবা
 
 
 
 
(খ) ধারা ৫০(১) এর অধীনে নির্ধারিত তারিখের পূর্বে দেনাদার তাহার দায়মুক্তির আবেদন পেশ না করেন, অথবা
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের উক্তরূপ আবেদন শুনানীর পর আদালত যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করা যথাযথ হইবে না,
 
 
 
 
তাহা হইলে আদালত উক্ত দেনাদারকে দায়গ্রস্ত দেউলিয়া বলিয়া ঘোষণা করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(২) এই অধ্যাদেশের অধীনে কোন দেনাদার কারাগার বা অন্য কোন হেফাজত হইতে মুক্তি লাভের পর উপ-ধারা (১) এর অধীনে দায়গ্রস্ত দেউলিয়া ঘোষিত হইলে, এবং আদালত যথাযথ মনে করিলে দেনাদারকে উক্ত কারাগার বা হেফাজতে পুনঃসোপর্দ করিতে পারিবে এবং তদনুসারে উক্ত কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাহার হেফাজতে রাখিবার উদ্দেশ্যে দেনাদারকে গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিবেন; এইরূপ ক্ষেত্রে দেনাদারের মুক্তি লাভের পূর্বে তাহাকে দৈহিকভাবে আটক অবস্থায় রাখার ব্যাপারে যে ব্যবস্থা বলবত্ ছিল, তাহা পুনঃসোপর্দ করার পরও বলবত্ আছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
দায়গ্রস্ত দেউলিয়া
৫০৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে-
 
 
 
 
(ক) দেউলিয়া, উক্ত আদেশের তারিখের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে, আদালতে, তাহার দায়মুক্তির আবেদন করিবেন;
 
 
 
 
(খ) উক্ত মেয়াদের মধ্যে আবেদন করা হইলে আবেদনটি শুনানীর উদ্দেশ্যে আদালত, উক্ত মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে এবং তত্সম্পর্কে রিসিভার ও আদালতের নথিতে লিপিবদ্ধ পাওনাদারগণকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অথবা এইরূপ বিধি না থাকিলে আদালতের বিবেচনা অনুসারে যথাযথ পদ্ধতিতে, নোটিশ প্রদান করিবে;
 
 
 
 
(গ) আদালত, উপস্থিত সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর, দেউলিয়ার দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(ঘ) দায়মুক্তির আদেশ প্রদত্ত না হইলে, দেনাদার একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়া থাকিয়া যাইবে৷
 
 
 
 
(২) একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়া-
 
 
 
 
(ক) প্রতি ৬ (ছয়) মাস অন্তর একবার রিসিভারের নিকট এইরূপ একটি বিবরণী দাখিল করিবেন যাহাতে উক্ত ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে দেনাদার কর্তৃক প্রাপ্ত বা অর্জিত সকল অর্থ ও সম্পত্তির হিসাব লিপিবদ্ধ থাকিবে, এবং দেনাদার তাহার নিজের ও পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ ব্যয়িত অর্থ বাদে অবশিষ্ট অর্থ ও সম্পত্তি রিসিভারের নিকট অর্পণ করিবেন;
 
 
 
 
(খ) আদালতের পূর্বানুমতি ব্যতীত বাংলাদেশ ত্যাগ করিবেন না৷
 
 
 
 
(৩) কোন দায়গ্রস্ত দেউলিয়া-
 
 
 
 
(ক) উপ-ধারা (২)(ক) এর বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে, তিনি এক বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন;
 
 
 
 
(খ) উপ-ধারা (২)(খ) এর বিধান ভংগ করিলে, দুই বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
দায়মুক্তি আদেশের ফলাফল
৫১৷ (১) দায়মুক্তি আদেশের কারণে দেনাদার নিম্্নবর্ণিত কোন দেনার দায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিবেন না, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকারের প্রাপ্য কোন দেনা:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে শ্রেণীর দেনাকে এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করিবে, আদালত ঐ শ্রেণীর দেনার ব্যাপারে দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) দেনাদার জড়িত ছিলেন এইরূপ প্রতারণা বা প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভংগের কারণে সৃষ্ট দেনা বা দায় (liability);
 
 
 
 
(গ) দেনাদার জড়িত ছিলেন এইরূপ প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত ছাড় (forbearance) সংক্রান্ত দেনা বা দায়;
 
 
 
 
(ঘ) ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮৮ ধারা অথবা Family Courts Ordinance, 1985 (XVIII of 1985) এর অধীনে খোরপোষ প্রদানের আদেশজনিত দায়৷
 
 
 
 
(২) দায়মুক্তি আদেশের ফলে দেনাদার, উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য সকল দেনার ব্যাপারে দায়মুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) কোন দায়মুক্তি আদেশের ফলে এইরূপ কোন ব্যক্তি দায়মুক্ত হইবেন না, যিনি, আর্জি দাখিলের তারিখে, দেনাদারের অংশীদার অথবা সহ-ট্রাষ্টী ছিলেন অথবা কোন চুক্তির আওতায় দেনাদারের সহিত যৌথভাবে দায়বদ্ধ ছিলেন বা যৌথভাবে চুক্তি সম্পাদন করিয়াছিলেন অথবা দেনাদারের জামিনদার (surety) ছিলেন৷
 
 
 
 
(৪) কোন দায়মুক্তি আদেশ দেনাদারের দেউলিয়াত্বের এবং সংশ্লিষ্ট দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার বৈধতার চূড়ান্ত সাক্ষ্য হইবে, এবং দায়মুক্তি প্রদত্ত দেনা বা দাবী সম্পর্কিত অপর যে কোন কার্যধারায় দেনাদার দাবী করিতে পারিবেন যে, দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারাটি সূচিত হওয়ার কারণ ঘটিয়াছিল, এবং তিনি আরও দাবী করিতে পারিবেন যে, আর্জি দাখিলের পূর্বেই উক্ত দেনা বা দাবী উদ্ভূত হইয়াছিল এবং দায়মুক্তি আদেশের দ্বারা উক্ত দেনা বা দায় সম্পর্কিত অপর কার্যধারাটি বারিত৷
 
 
 
 
(৫) কোন দেনাদারের দায়মুক্তি সত্ত্বেও, রিসিভারে ন্যস্ত এবং তত্কর্তৃক উদ্ধারযোগ্য সম্পত্তি উদ্ধারের ব্যাপারে রিসিভার যেইরূপ সহায়তা করার জন্য নির্দেশ দেন, সেইরূপ সহায়তা করিতে উক্ত দেনাদার বাধ্য থাকিবেন এবং দেনাদার উহাতে ব্যর্থ হইলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং আদালত যথাযথ বিবেচনা করিলে দায়মুক্তি আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবে, তবে দায়মুক্তি আদেশ প্রদানের পর হইতে উহার প্রত্যাহার পর্যন্ত যথাযথভাবে সম্পাদিত কোন বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্থ পরিশোধ বা কৃত অন্য কিছুর বৈধতা উক্তরূপ প্রত্যাহারের ফলে ক্ষুণ্ন হইবে না৷
 
 
 
 
 
 
 
 

ষষ্ঠ অধ্যায়

সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা

ঘদেনা প্রমাণের পদ্ধতি

ভবিষ্যতে পরিশোধযোগ্য দেনা
৫২৷ একজন পাওনাদার এমন দেনাও প্রমাণ করিতে পারিবেন যাহা দেনাদারকে দেউলিয়া ঘোষণার তারিখে পরিশোধযোগ্য না হইলেও পরবর্তী কোন তারিখে পরিশোধযোগ্য, এবং উক্ত পাওনাদার অন্যান্য পাওনাদারের সহিত সমভাবে বণ্টিত সম্পদ (dividend) গ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে উক্ত বণ্টিত সম্পদ নির্ধারিত হওয়ার পর হইতে দেনাটি চুক্তির শর্তানুযায়ী, পরিশোধযোগ্য হওয়ার সময় পর্যন্ত মেয়াদের জন্য বণ্টিত সম্পদের উপর শতকরা বার্ষিক প্রচলিত ব্যাংক রেইট হইতে ২% বেশী হারে সুদ বাদ দিয়া নির্ধারিত বণ্টিত সম্পদের অবশিষ্টাংশ পাওনাদারকে পরিশোধ করিতে হইবে৷
পারষ্পরিক লেন-দেন এবং সমন্বয় সাধন
৫৩৷ যে ক্ষেত্রে দেনাদার এবং এই আইনের অধীনে দেনা প্রমাণকারী বা প্রমাণের দাবীকারী কোন পাওনাদারের মধ্যে পারস্পরিক লেন-দেন হইয়াছে, সে ক্ষেত্রে উক্ত লেন-দেনের কারণে এক পক্ষের নিকট হইতে অন্য পক্ষের পাওনার একটি হিসাব তৈরী করিতে হইবে, এবং এক পক্ষের নিকট পাওনা অর্থের সহিত অন্য পক্ষের নিকট পাওনা অর্থের সমন্বয় সাধন (set-off) করিতে হইবে, এবং হিসাব অনুসারে বাকী অর্থ সংশ্লিষ্ট যে কোন পক্ষ দাবী করিতে পারিবে বা উহা পাওয়ার অধিকারী পক্ষকে উহা পরিশোধ করিতে হইবে৷
জামানতধারী (secured) পাওনাদার
৫৪৷ (১) কোন জামানতধারী পাওনাদার তাহার জামানত আদায় করিয়া থাকিলে, আদায়কৃত নীট অর্থ বাদে বাকী পাওনা সম্পর্কে তিনি সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) কোন পাওনাদার দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদান তারিখের পূর্বে তাহার জামানত সম্পূর্ণ বা আংশিক আদায় না করিয়া থাকিলে, জামানত-সাপেক্ষ সম্পত্তি, ধারা ৩১(২)-এর বিধান সত্ত্বেও, উক্ত তারিখে রিসিভারে বা, ক্ষেত্রমত, আদালতে আপনা-আপনি ন্যস্ত হইবে, এবং উক্ত সম্পত্তির দখল অবিলম্বে গ্রহণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) রিসিভার, আদালতের কোন নির্দেশ সাপেক্ষে, উক্ত সম্পত্তির যে আদায়যোগ্য মূল্য চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করেন, তাহা যদি-
 
 
 
 
(ক) কোন জামানতধারী পাওনাদারের জামানত সম্পর্কিত এবং আদালতে প্রমাণিত কোন দাবী মিটাইবার জন্য যথেষ্ট হয়, তাহা হইলে রিসিভার-
 
 
 
 
(অ) উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিবেন, এবং বিক্রয় খরচ ও ৬৬ ধারার বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত রিসিভারের প্রাপ্য ফিস বাদ দিয়া বাকী অর্থ হইতে পাওনাদারের দাবীকৃত সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করিবেন, এবং
 
 
 
 
(আ) উক্তরূপ পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ বণ্টনযোগ্য সম্পদের অন্তর্ভুক্ত করিবেন, এবং
 
 
 
 
(খ) উক্তরূপ দাবী সম্পূর্ণরূপে মিটাইবার জন্য যথেষ্ট না হয়, তাহা হইলে উক্ত পাওনাদারের ইচ্ছা অনুযায়ী, রিসিভার-
 
 
 
 
(অ) উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিবেন, এবং বিক্রয় খরচ ও ৬৬ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত রিসিভারের প্রাপ্য ফিস বাদ দিয়া বিক্রয়লব্ধ সম্পূর্ণ অর্থ উক্ত পাওনদারকে পরিশোধ করিবেন, অথবা
 
 
 
 
(আ) উপ-ধারা (৬) অনুসারে সম্পাদিত একটি যথাযথ স্বত্ব দলিলসহ উক্ত পাওনাদারের নিকট উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) কোন জামানতধারী পাওনাদার তাহার জামানতের দাবী বণ্টনযোগ্য সম্পদের অনুকূলে পরিত্যাগ করিলে তিনি তাহার সম্পূর্ণ পাওনা প্রমাণ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) কোন জামানতধারী পাওনাদারের দাবীকৃত পাওনা অপেক্ষা উপ-ধারা (৩)(খ)(আ)-এর অধীনে তত্কর্তৃক প্রাপ্ত সম্পত্তির মূল্য যতটুকু কম হয় ততটুকু তিনি বণ্টনযোগ্য সম্পদ হইতে দাবী করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৩)(খ)(আ)-এর বিধান কার্যকর করার জন্য আদালত প্রয়োজনীয় স্বত্ব দলিল সম্পাদন করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে উহা আদালতের সীল-মোহরাংকিত করিয়া প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিবে; এবং এইরূপ দলিল প্রস্তুতকরণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিবন্ধন খরচ প্রদান করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট ক্রেতা বা, ক্ষেত্রমত, পাওনাদার উক্ত খরচ প্রদানে ব্যর্থ হইলে, উক্ত সম্পত্তি ধারা ৩১(২) এর বিধান অনুযায়ী রিসিভারের বা, ক্ষেত্রমত, আদালতে ন্যস্ত থাকিবে৷
সুদ
৫৫৷ (১) যেক্ষেত্রে কোন দেনার উপর প্রদেয় সুদ নির্ধারিত না থাকে বা তত্সম্পর্কে কোন সম্মতি না থাকে এবং উক্ত দেনা বা অর্থ পরিশোধের মেয়াদ দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের তারিখের পূর্বেই উত্তীর্ণ হইয়া থাকে এবং উহা এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য দেনা হয় সেইক্ষেত্রে পাওনাদার উক্ত দেনার উপর বার্ষিক অনধিক প্রচলিত ব্যাংক রেইট হইতে ২% বেশী হারে সুদের দাবী প্রমাণ করিতে পারিবেন, যদি-
 
 
 
 
(ক) কোন দলিলবলে উক্ত দেনা কোন নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধযোগ্য হয়, এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত সময় হইতে দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের তারিখ পর্যন্ত সুদ প্রদেয় হইবে; অথবা
 
 
 
 
(খ) উক্ত দেনা অন্য কোনভাবে পরিশোধযোগ্য হয় এবং সুদের দাবী করিয়া এই মর্মে একটি নোটিশ দেনাদারকে প্রদান করা হইয়া থাকে যে, উক্ত দাবীর তারিখ হইতে সুদ পরিশোধের তারিখ, যাহা ঘোষণাদেশ প্রদানের পরবর্তী কোন তারিখ হওয়া চলিবে না, পর্যন্ত সুদ পরিশোধ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীনে প্রমাণিত কোন দেনার মধ্যে যদি সুদ বা সুদের পরিবর্তে অন্য আর্থিক সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে বণ্টনযোগ্য অংশ (dividend) নির্ধারণের উদ্দেশ্যে, বার্ষিক অনধিক প্রচলিত ব্যাংক রেইট হইতে ২% বেশী হারে উক্ত সুদ বা সুবিধার পরিমাণ নির্ণয় করিতে হইবে, কিন্তু এইরূপ নির্ধারণের ফলে বণ্টনযোগ্য সম্পদ হইতে উচ্চতর হারে সুদ লাভের জন্য পাওনাদারের অধিকার ক্ষুণ্ন হইবে না, যদি এই আইনের অধীন দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রমাণিত যাবতীয় দেনা সম্পূর্ণরূপে পরিশোধের পরও কোন বণ্টনযোগ্য সম্পদ থাকে৷
প্রমাণের পদ্ধতি
৫৬৷ (১) কোন দেনার সত্যতা প্রতিপাদন করতঃ (verify) একটি এফিডেভিট আদালতে দাখিল করিয়া বা রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া উক্ত দেনা প্রমাণ করা যাইবে৷
 
 
 
 
(২) উক্ত এফিডেভিটে দেনার একটি হিসাব বিবরণী থাকিতে হইবে অথবা উক্ত বিবরণীর উল্লেখ থাকিতে হইবে; এবং উক্ত দেনা প্রমাণের জন্য কোন দলিল থাকিলে উহাও এফিডেভিটে উল্লেখ করিতে হইবে; এবং আদালত যেকোন সময় এইরূপ দলিল দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
তফসিল হইতে কোন দেনা বর্জন, ইত্যাদি
৫৭৷ (১) যদি রিসিভার মনে করেন যে, তফসিলে কোন দেনা বা তত্সংক্রান্ত কোন তথ্য যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত দেনা বা তথ্য তফসিল হইতে বর্জন বা সংশোধনের জন্য আদালতে আবেদন করিবেন, এবং আদালত, সংশ্লিষ্ট পাওনাদার ও দেনাদারকে নোটিশ প্রদান এবং, আদালতের বিবেচনামতে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর, উক্ত দেনা বা তথ্য তফসিল হইতে বর্জন বা সংশোধন করিতে বা দেনার পরিমাণ কমাইয়া দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) রিসিভার উপ-ধারা (১) এর অধীনে আবেদন না করিলে, কোন পাওনাদার বা পাওনাদার কমিটির আবেদনক্রমে, অথবা আপোষ-মিমাংসা, পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা বা পুনর্গঠন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দেনাদারের আবেদনক্রমে, আদালত উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত নোটিশ ও অনুসন্ধানের পর উক্ত দেনা বা তত্সংক্রান্ত কোন তথ্য বর্জন বা সংশোধন করিতে বা দেনার পরিমাণ কমাইয়া দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
 
 

পূর্ব লেন-দেনের উপর দেউলিয়াত্বের ফলাফল

ডিক্রী বাস্তবায়নকালে পাওনাদারের অধিকারের উপর বাধা-নিষেধ
৫৮৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন দেনাদারের সম্পত্তির বিরুদ্ধে কোন ডিক্রী বাস্তবায়ন (execution) এর আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে রিসিভারের বিপরীতে কোন ব্যক্তিই উক্ত ডিক্রীর বাস্তবায়নজনিত সুবিধা লাভের অধিকারী হইবেন না, তবে আর্জি দাখিলের তারিখের পূর্বেই উক্ত ডিক্রী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বিক্রিত বিষয়-সম্পত্তির বিক্রয়লব্ধ অর্থ ইহার ব্যতিক্রম হইবে৷
 
 
 
 
(২) যে সম্পত্তির বিরুদ্ধে উক্ত ডিক্রী বাস্তবায়ন করা হইয়াছে, সেই সম্পত্তির ব্যাপারে জামানতধারী পাওনাদারের অধিকারকে এই ধারার বিধান খর্ব করিবে না৷
 
 
 
 
(৩) ডিক্রী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে দেনাদারের কোন সম্পত্তি ক্রয় করিয়া থাকিলে, তিনি, রিসিভারের বিপরীতে সকল ব্যাপারে, উত্তম স্বত্ব অর্জন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে৷
দেনাদারের সম্পত্তির ব্যাপারে ডিক্রী বাস্তবায়নকারী আদালতের কর্তব্য
৫৯৷ যে ক্ষেত্রে কোন ডিক্রী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় দেনাদারের বিক্রয়যোগ্য সম্পত্তির বিরুদ্ধে ডিক্রী প্রদান করা হইয়াছে এবং উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়ের পূর্বে উক্ত ডিক্রী বাস্তবায়নকারী আদালতকে এই মর্মে নোটিশ দেওয়া হইয়াছে, যে, উক্ত দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে ধারা ১০ এর অধীনে আর্জি দাখিল করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত আদালত উক্ত সম্পত্তির দখল সংশ্লিষ্ট রিসিভারের নিকট অর্পণ করিবে, যদি উহা সেই সময় আদালতের দখলে থাকে, তবে এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত ডিক্রী প্রদায়ক মামলা এবং উহা বাস্তবায়নের জন্য কৃত খরচ উক্তরূপে অর্পণকৃত সম্পত্তির উপর প্রথম চার্জ হইবে এবং এই চার্জের দায় মিটানোর জন্য রিসিভার উক্ত সম্পত্তি বা উহার অংশ-বিশেষ বিক্রয় করিতে পারিবেন৷
কতিপয় হস্তান্তর রহিতকরণ
৬০৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদান তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী ১৫ (পনর) বত্সরের মধ্যে সম্পাদিত দেনাদারের কোন সম্পত্তির হস্তান্তর, তাহা স্বয়ং দেনাদার বা তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি বা তাহার উত্তরাধিকারী বা কোন ব্যবস্থাপক (administrator) বা অন্য কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যাহার দ্বারাই সম্পাদিত হউক না কেন, আদালত আদেশ দ্বারা রহিত করিতে পারিবে, যদি উহা এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত হস্তান্তরের উদ্দেশ্য ছিল কোন দেনাদারের দেনা পরিশোধ ব্যর্থ করা:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, নিম্্নবর্ণিত হস্তান্তরগুলির ক্ষেত্রে উক্তরূপ রহিতকরণ প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-
 
 
 
 
(ক) যথাযথ মূল্য বিশিষ্ট পণ্যের বিনিময়ে, কোন ক্রেতা বা, উক্ত সম্পত্তি দায়মুক্ত হইলে উক্ত দায়ের অধিকারী ব্যক্তি এর অনুকূলে, সম্পাদিত হস্তান্তর;
 
 
 
 
(খ) উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির হস্তান্তর;
 
 
 
 
(গ) দেউলিয়া আদেশ প্রদান তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৬ (ছয়) বত্সরের মধ্যে যেকোন সময় এমন কোন ব্যক্তির অনুকূলে সম্পাদিত হস্তান্তর, যিনি প্রমাণ করেন যে, হস্তান্তরের সময় দেনাদার, হস্তান্তরিত সম্পত্তির সাহায্য ব্যতিরেকেই, দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় তাহার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল দাবী পরিশোধে সক্ষম ছিলেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন সম্পত্তির হস্তান্তর রহিত করিয়া আদেশ প্রদান করা হইলে, উক্ত সম্পত্তি বণ্টনযোগ্য সম্পদের অংশ হইবে এবং উহা আপনা-আপনি রিসিভারে বা, ক্ষেত্রমত, আদালতে ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, এবং তদনুসারে অবিলম্বে উহার দখল গ্রহণ করিতে হইবে৷
অগ্রাধিকার রহিতকরণ
৬১৷ (১) যেক্ষেত্রে-
 
 
 
 
(ক) পরিশোধযোগ্য দেনাসমূহ পরিশোধে অক্ষম থাকা অবস্থায় দেনাদার তাহার কোন পাওনাদারের নিকট কোনভাবে কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করেন, অথবা কোন অর্থ পরিশোধ করেন, অথবা উক্ত পাওনাদারের অনুকূলে তাহার সম্পত্তির ব্যাপারে কোন দায়ে আবদ্ধ হন বা কোন বিচারকার্যের ধারায় তাহার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হইতে দেন, এবং
 
 
 
 
(খ) উক্ত হস্তান্তর বা অর্থ পরিশোধ বা দায়বদ্ধ হওয়া বা স্বার্থ ক্ষুণ্ন হইতে দেওয়ার ফল এই হয় যে, উক্ত পাওনাদার অথবা তাহার প্রাপ্য পাওনার ব্যাপারে কোন জামিনদাতা (surety) বা নিশ্চয়তা প্রদানকারী ব্যক্তি (Guarantor) কোন অগ্রাধিকার লাভ করিয়াছেন, এবং
 
 
 
 
(গ) উক্তরূপ হস্তান্তরের বা অর্থ পরিশোধের দায়বদ্ধ হওয়ার বা উক্ত কার্যধারা সূচিত হওয়ার পরবর্তী ১ (এক) বত্সরের মধ্যে উক্ত দেনাদার, ১০ ধারার অধীনে দাখিলকৃত আর্জির ভিত্তিতে, দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন বা একটি পুনর্গঠন আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে,
 
 
 
 
সেই ক্ষেত্রে, উক্তরূপে সম্পাদিত হস্তান্তর বা অর্থ পরিশোধ বা অর্জিত দায় বা উক্ত কার্যধারার ফলাফল, রিসিভারের ব্যাপারে, প্রতারণামূলক এবং ফলবিহীন (void) বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, এবং আদালত উক্ত হস্তান্তর, অর্থ পরিশোধ, দায় বা বিচার কার্যধারার ফলাফল রহিত করিবে, এবং তত্প্রেক্ষিতে রিসিভার হস্তান্তরিত সম্পত্তি বা পরিশোধিত অর্থ উদ্ধার করিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এমন কোন অর্থ পরিশোধ রহিত করিবে না যাহা ব্যবসায়ের স্বাভাবিক গতিতে কোন পাওনাদারকে প্রদান করা হইয়াছে, অথবা নিয়মিত পণ্য বা সেবার সরবরাহকারী হিসাবে পাওনাদার দেনাদারকে ধারে কোন অতিরিক্ত পণ্য বা সেবা সরবরাহ করিয়া থাকিলে উহার দরুণ দেনাদার যে অর্থ পরিশোধ করেন তাহাও আদালত রহিত করিবে না৷
 
 
 
 
(২) যিনি, দেউলিয়ার কোন পাওনাদারের মাধ্যমে বা অধীনে, সরল বিশ্বাসে এবং উপযুক্ত মূল্যবিশিষ্ট পণ্যের বিনিময়ে কোন স্বত্ব অর্জন করিয়াছেন, তাহার অধিকার এই ধারার বিধানের কারণে খর্ব হইবে না৷
রহিতকরণের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তি
৬২৷ কোন হস্তান্তর, অর্থ পরিশোধ, দায়বদ্ধতা বা বিচার কার্যধারার ফলাফল ধারা ৬০ বা ৬১ এর অধীনে রহিতকরণের জন্য কেবল রিসিভার বা পাওনাদার কমিটি, যদি না থাকে, আবেদন করিতে পারিবেন, অথবা কোন পাওনাদার যদি তাহার পাওনা প্রমাণ করিয়া থাকেন, এবং আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, রিসিভার বা উক্ত কমিটি উক্তরূপ আবেদন করিতে বা আবেদন করার পর তত্সম্পর্কে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন, তাহা হইলে, তিনিও আদালতের অনুমোদনক্রমে, আবেদন করিতে পারিবেন৷
সত্ উদ্দেশ্যে কৃত লেন-দেন রক্ষণ
৬৩৷ ধারা ৫৯, ৬০, ৬১ এবং ৬২-এর বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, এই আইনের অন্য কোন বিধানের ফলে কোন দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় নিম্্নবর্ণিত বিষয়াবলীর বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার কর্তৃক পাওনাদারকে কোন অর্থ পরিশোধ;
 
 
 
 
(খ) দেনাদারকে কোন অর্থ পরিশোধ বা অন্য কোন সম্পত্তি অর্পণ;
 
 
 
 
(গ) মূল্যবিশিষ্ট পণ্যের (valuable consideration) বিনিময়ে দেনাদার কর্তৃক কোন কিছুর হস্তান্তর;
 
 
 
 
(ঘ) মূল্যবিশিষ্ট পণ্যের বিনিময়ে দেনাদার কর্তৃক বা তাহার সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তি বা লেন-দেন :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত বিষয়গুলির ব্যাপারে এই ধারায় প্রদত্ত সুবিধা অনুমোদনযোগ্য হইবে, যদি-
 
 
 
 
(অ) উক্ত অর্থ পরিশোধ, অর্পণ, হস্তান্তর বা লেন-দেন দেউলিয়া ঘোষণাদেশ বা পুনর্গঠন আদেশ প্রদান তারিখের পূর্বে সম্পাদিত হইয়া থাকে;
 
 
 
 
(আ) এমন ব্যক্তির অনুকূলে বা সহিত উক্ত অর্থ পরিশোধ, অর্পণ, হস্তান্তর, চুক্তি বা লেন-দেন করা হইয়াছে, যিনি ঐ সময়ে দেনাদারের বিরুদ্ধে বা তত্কর্তৃক আর্জি দাখিল বা দেনাদারের দেউলিয়া কর্ম সংগঠন সম্পর্কে জানিতেন না, এবং
 
 
 
 
(ই) উক্ত অর্থ পরিশোধ, অর্পণ, হস্তান্তর, চুক্তি বা লেন-দেনের জন্য দেনাদার যুক্তিসংগত এবং মূল্য-বিশিষ্ট পণ্য প্রাপ্ত হইয়াছেন৷
 
 
 
 

সম্পত্তি উদ্ধার

রিসিভার নিয়োগ, ইত্যাদি
৬৪৷ (১) আদালত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদান করিবার পর, সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত ও অনুমোদিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রিসিভারগণের মধ্য হইতে এমন কোন ব্যক্তিকে রিসিভার নিয়োগ করিবেন যাহাকে আদালত উপযুক্ত মনে করে, এবং এইরূপ নিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ শর্তাবলী প্রযোজ্য হইবে:-
 
 
 
 
(ক) অন্তর্বর্তী রিসিভার হিসাবে কর্মরত ব্যক্তিকে আদালত স্থায়ী রিসিভার হিসাবে বহাল করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) কোন ব্যক্তিকে রিসিভার নিয়োগের সময় আদালতের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইতে হইবে যে, সংশ্লিষ্ট কার্যধারায় রিসিভারের কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নাই;
 
 
 
 
(গ) রিসিভার নিয়োগের সময় আদালত, আর্জিকারী পাওনাদার বা দেনাদারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পরিমাণ অর্থের দাবী রহিয়াছে এমন অন্যান্য পাওনাদারের অভিপ্রায় বিবেচনা করিবে;
 
 
 
 
(ঘ) উপরোক্ত অনুমোদিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে রিসিভারের পদ সমভাবে বণ্টন করিতে হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) যে ক্ষেত্রে রিসিভার হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তি কোন কারণবশতঃ কাজ করিতে অসমর্থ হন বা তাহাকে উক্ত কাজের জন্য পাওয়া না যায় এবং অনুমোদিত তালিকা হইতে অন্য কোন ব্যক্তিকে লিপিবদ্ধ কারণে নিয়োগ করা না যায়, সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত তালিকা বহির্ভূত কোন ব্যক্তিকে রিসিভার নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন চিঠি-পত্র বা অন্য কোন দলিলে রিসিভারকে উল্লেখ করার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার নম্বরসহ তাহার নাম এবং দেউলিয়া বিষয়ক আদালত ও দেনাদারের নাম উল্লেখ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আদালত-
 
 
 
 
(ক) রিসিভারের দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদনে তাহাকে সহায়তা করার জন্য উহার বিবেচনামতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং
 
 
 
 
(খ) এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, উক্তরূপে নিযুক্ত ব্যক্তিগণের পারিশ্রমিকসহ চাকুরী অন্যান্য শর্ত নির্ধারণ করিতে পারিবে, এবং এইরূপ পারিশ্রমিক ৬৬ ধারায় নির্ধারিত ফিস হইতে প্রদেয় হইবে৷
 
 
 
 
(৪) আদালত, এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, যে কোন সময় যে কোন রিসিভারকে এবং উপ-ধারা (৩) এর অধীনে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অপসারণ করিতে পারিবে৷
রিসিভারের সাধারণ ক্ষমতা, কার্যাবলী ও দায়-দায়িত্ব
৬৫৷ (১) রিসিভার সংশ্লিষ্ট বণ্টনযোগ্য সম্পদের পক্ষে কার্য করিতে ও ধারা ৬৪(২) তে উল্লিখিত পরিচয়ে উক্ত সম্পদের পক্ষে মামলা করিতে পারিবেন, এবং উক্ত পরিচয়ে তাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে; এবং উক্ত পরিচিতবলে তিনি যেকোন ধরণের সম্পত্তি ধারণ করিতে, চুক্তি সম্পাদন করিতে এবং বণ্টনযোগ্য সম্পদের পক্ষে বা বিপক্ষে উত্থাপিত দাবীর ব্যাপারে আপোষ-মিমাংসা করিতে বা বিষয়টি শালিসীতে প্রেরণ করিতে, বণ্টনযোগ্য সম্পদের উপর বাধ্যকর হয় এমন যেকোন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করিতে এবং তাহার পদের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ও সমীচীন অন্য যেকোন কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) রিসিভার, আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে, বণ্টনযোগ্য সম্পদের পরিচালনা এবং উক্ত সম্পদ বা উহার কোন অংশ সংগ্রহ, বিক্রয় ও নিষ্পত্তি (liquidate) করিবেন এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ পাওনাদারগণও এই আইনের বিধান অনুসারে তাহা পাইবার অধিকারী অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বণ্টন করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) রিসিভার আদালতের সাধারণ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে স্বীয় দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) রিসিভার, আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে, বণ্টনযোগ্য সম্পদের যে কোন অবৈধ দখলদার বা হেফাজতকারীকে উচ্ছেদ করিবে; এবং এতদুদ্দেশ্যে রিসিভার, আদালতের মাধ্যমে, পুলিশ বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ করিবার অধিকারী হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বণ্টনযোগ্য সম্পদ এবং পাওনাদারগণের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় আদালত এইরূপ কোন দখলদারের দখলে বা হেফাজতে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি রাখার অনুমতি দিতে পারে:
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের ভিন্নতর বিধান সত্ত্বেও, প্রাথমিকভাবে বণ্টনযোগ্য সম্পদের অংশরূপে প্রতীয়মান হয় এইরূপ সম্পত্তির দখল বা হেফাজতের বৈধতা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন নির্ধারণের এখ্‌তিয়ার কেবল দেউলিয়া বিষয়ক আদালতের এবং অন্য কোন আদালতের নহে৷
 
 
 
 
(৫) রিসিভার যদি-
 
 
 
 
(ক) আদালতের নির্দেশিত পদ্ধতিতে এবং সময়ে তাহার হিসাব-নিকাশ দাখিল করিতে ব্যর্থ হন, অথবা
 
 
 
 
(খ) তাহার নিকট হইতে পাওনা উদ্বৃত্ত কোন অর্থ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, অথবা
 
 
 
 
(গ) তাহার ইচ্ছাকৃত ত্রুটি বা গুরুতর অবহেলার দ্বারা বণ্টনযোগ্য সম্পদ বা উহার কোন অংশ-বিশেষের ক্ষতি সাধন করেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে, আদালত তাহার ব্যক্তিগত সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের আদেশ দিতে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে উক্ত উদ্বৃত্ত বা ক্ষতিজনিত পাওনা আদায় করিতে পারিবে৷
রিসিভারের ফিস, ইত্যাদি
৬৬৷ (১) ধারা ৬৪(৩)(খ) এর বিধান এবং আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে, উদ্ধারকৃত বণ্টনযোগ্য সম্পদ বা উহার অংশ-বিশেষের বিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে রিসিভার নিম্্নবর্ণিত হারে ফিস পাওয়ার অধিকারী হইবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) প্রথম ১০,০০,০০০.০০ (দশ লক্ষ) টাকা বা তদপেক্ষা কম পরিমাণ অর্থের ক্ষেত্রে, উহার অনধিক ১০% এর সমপরিমাণ অর্থ;
 
 
 
 
(খ) ১০,০০,০০০.০০ (দশ লক্ষ) টাকার বেশী, কিন্তু ২,০০,০০,০০০.০০ (দুই কোটি) টাকার বেশী নহে এইরূপ অর্থের ক্ষেত্রে, প্রথম ১০,০০,০০০.০০ (দশ লক্ষ) টাকার অতিরিক্ত অর্থের ৫% এর সমপরিমাণ অর্থ;
 
 
 
 
(গ) ২,০০,০০,০০০.০০ (দুই কোটি) টাকার অতিরিক্ত যে কোন পরিমাণ অর্থের ক্ষেত্রে, উক্ত অতিরিক্ত পরিমাণের ১% এর সমপরিমাণ অর্থ৷
 
 
 
 
(২) ধারা ৭১(৪) এর অধীনে কোন পুরস্কার প্রদানের ব্যয়সহ বণ্টনযোগ্য সম্পদ বা উহার কোন অংশ-বিশেষ উদ্ধার ও বণ্টনের জন্য রিসিভার বাস্তবে কোন ব্যয় করিয়া থাকিলে তজ্জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পুনর্ভরণ (reimbursement) পাওয়ার অধিকারী হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) যেক্ষেত্রে রিসিভার কোন জামানতধারী পাওনাদার, বা উক্তরূপ পাওনাদার এবং বণ্টনযোগ্য সম্পদের স্বার্থে ৫৪ ধারার বিধান মোতাবেক কোন সম্পত্তি বিক্রয় করেন, সেইক্ষেত্রে তিনি সাধারণভাবে, ৫৪(৩)(খ) ধারার বিধান এবং আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে, উক্ত সম্পত্তির বিক্রয় মূল্যের অনধিক ৪% হারে ফিস পাওয়ার অধিকারী হইবেন এবং বিক্রয়লব্ধ বাকি অর্থ হইতে বিক্রয়ের খরচ বাদ দিয়া অবশিষ্ট অর্থ বণ্টনযোগ্য সম্পদের অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে৷
রিসিভার কর্তৃক জিজ্ঞাসাবাদ, ইত্যাদি
৬৭৷ (১) রিসিভার-
 
 
 
 
(ক) বন্টনযোগ্য সম্পদের ব্যাপারে দেনাদার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিবেন;
 
 
 
 
(খ) দেনাদার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করিবেন;
 
 
 
 
(গ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যাপারে দেনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তির এমন যেকোন কাজ সম্পর্কে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবেন যে কাজে এই অধ্যাদেশ বা দণ্ডবিধির অধীন একটি অপরাধ বলিয়া বিশ্বাস করার মত যুক্তিসংগত কারণ আছে বা যে কাজের কারণে দেনাদারের দায়মুক্তি প্রত্যাখ্যান বা স্থগিত করা বা দায়মুক্তি আদেশে কোন শর্ত সংযোজন করা আদালতের পক্ষে যথাযথ হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) দেনাদার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আচরণ সম্পর্কে আদালত অন্য কোন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করিলে তাহা দাখিল করিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) যদি একজন অন্তর্বর্তী রিসিভার হন, তাহা হইলে তিনি ২৩(২) ধারা এবং এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দেনাদার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করিবেন অথবা এতদ্‌বিষয়ে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাজ করিবেন;
 
 
 
 
(চ) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংগঠনকারী দেনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ উক্ত মামলা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সহায়তা করিবেন৷
 
 
 
 
(২) একক ব্যক্তি নহে এইরূপ দেনাদারের ব্যাপারে তদন্ত যুক্তিসংগতভাবে সম্পন্ন হইলে, রিসিভার অবিলম্বে সেই সকল কর্মকর্তা, পরিচালক, অংশীদার, মালিক এবং অন্যান্য ব্যক্তির একটি তালিকা আদালতে দাখিল করিবেন যাহারা দেনাদারের সম্পত্তি হইতে কোন অবৈধ সুবিধালাভের কারণে বণ্টনযোগ্য সম্পদে প্রয়োজনীয় চাঁদা প্রদানের জন্য দায়ী (liable to contribute) বলিয়া প্রতীয়মান হয়৷
 
 
 
 
(৩) যেক্ষেত্রে তদন্তকালে রিসিভারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে দেনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন অথবা দণ্ডবিধির ধারা ৪২১, ৪২২, ৪২৩ বা ৪২৪ এর অধীন কোন অপরাধ সংগঠন করিয়াছেন, সেইক্ষেত্রে তিনি, পাবলিক প্রসিকিউটরের সহিত পরামর্শক্রমে উক্ত দেনাদার বা অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যধারা রুজু করিবেন; যদি তিনি মনে করেন যে, উক্ত কার্যধারায় দেনাদার বা উক্ত অপরাধ সংগঠনকারী দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসংগত সম্ভাবনা রহিয়াছে৷
বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি
৬৮৷ (১) নিয়োগলাভের পর রিসিভার অবিলম্বে-
 
 
 
 
(ক) বণ্টনযোগ্য সম্পদ সম্পর্কিত যে সকল দলিল, হিসাব-বহি এবং অন্যান্য কাগজ-পত্র দেনাদারের দখল বা নিয়ন্ত্রণে রহিয়াছে উহাদের বাস্তব (Physical) দখল গ্রহণ করিবেন;
 
 
 
 
(খ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের মধ্যে যে সকল বিষয়-সম্পত্তি বা সামগ্রীর বাস্তব দখল গ্রহণ করা সম্ভব উহাদের দখল গ্রহণ করিবেন;
 
 
 
 
(গ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের মধ্যে যে সকল সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পত্তি বা দলিলপত্রের বাস্তব দখল গ্রহণ করা সম্ভব নহে উহাদের প্রতীকী (constructive) দখল গ্রহণ করিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) উক্তরূপ দখল গ্রহণ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ধারা ৬৫(৪) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণসহ আদালতের নিকট হইতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহায়তা গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) বণ্টনযোগ্য সম্পদের যে সকল বিষয়-সম্পত্তি বা দলিলের দখল রিসিভার গ্রহণ করেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পাওনাদারগণের সর্বোত্তম স্বার্থে এবং তাহাদের মধ্যে বণ্টনের উদ্দেশ্যে তিনি উহাদের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, রিসিভার পাওনাদারগণের অভিপ্রায়ের প্রতি যথাসম্ভব লক্ষ্য রাখিবেন এবং তাহাদের অভিপ্রায় নিরূপণকল্পে, তিনি-
 
 
 
 
(ক) পাওনাদার কমিটি গঠিত না হইয়া থাকিলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে অথবা, এইরূপ বিধি না থাকিলে, সময় সময় তিনি যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ পদ্ধতিতে ও সময়ে, অথবা আদালতের নথিতে লিপিবদ্ধ সকল দেনার মোট মূল্যমানের অন্ততঃ ৫০% এর দাবীদার পাওনাদারগণের আবেদনক্রমে, পাওনাদারগণের সভা আহ্বান করিবেন;
 
 
 
 
(খ) পাওনাদার কমিটি গঠিত হইয়া থাকিলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে অথবা, এইরূপ বিধি না থাকিলে, সময় সময় তিনি যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ পদ্ধতিতে ও সময়ে, অথবা উক্ত কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুরোধে উক্ত কমিটির সভা আহ্বান করিবেন;
 
 
 
 
(গ) উক্তরূপ সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করাইবেন;
 
 
 
 
(ঘ) ধারা ৬৭-এর অধীনে অনুষ্ঠিত দেনাদারের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়বস্তু এবং উহার ফলাফলের সারমর্ম পাওনাদারগণ বা, ক্ষেত্রমত, পাওনাদার কমিটিকে অবহিত করিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে, বিশেষ ব্যবস্থাপককে উক্ত সভার আলোচ্য বিষয় অবহিত করিবেন এবং তত্সম্পর্কে তাহার কোন প্রস্তাব বা মতামত থাকিলে উহা উপস্থাপনের জন্য তাহাকে যুক্তিসংগত সুযোগ দিবেন৷
দেনাদারের নিকট ঋণী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
৬৯৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হওয়ার পর যথাশীঘ্র সম্ভব, রিসিভার, দেউলিয়ার নিকট হইতে বা অন্য কোনভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, প্রাথমিকভাবে দেউলিয়ার নিকট ঋণী বলিয়া প্রতীয়মান হয় এইরূপ ব্যক্তিগণের একটি তালিকা প্রস্তুত করতঃ আদালতে পেশ করিবেন, উক্ত তালিকায় ঋণী ব্যক্তিদের নাম এবং তাহাদের প্রত্যেকের নিকট দেউলিয়ার প্রাপ্য ঋণের পরিমাণ বা পরিধি উল্লেখ থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তালিকা পেশ করিবার পর, রিসিভার-
 
 
 
 
(ক) তালিকাভুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট একটি নোটিশ প্রেরণ করিবেন এবং উহাতে তাহার ঋণের পরিমাণ বা পরিধি উল্লেখ করিবেন;
 
 
 
 
(খ) নোটিশে ইহাও উল্লেখ করিবেন যে, উক্ত ব্যক্তি যদি নোটিশে নির্দিষ্টকৃত তারিখে বা তত্পূর্বে আদালতে হাজির না হন এবং নোটিশে বর্ণিত দেনার ব্যাপারে তাহার আপত্তি উত্থাপনের অভিপ্রায় লিখিতভাবে জ্ঞাপন না করেন, তাহা হইলে ধরিয়া লওয়া হইবে যে, উক্ত ঋণের ব্যাপারে তাহার সম্মতি আছে এবং বণ্টনযোগ্য সম্পদের অংশ হিসাবে উক্ত ঋণ আদায় করা হইবে;
 
 
 
 
(গ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত নোটিশ জারি করিবেন কিংবা এইরূপ বিধি না থাকিলে তিনি, আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে, তাহার বিবেচনামতে যথাযথ পদ্ধতিতে উক্ত নোটিশ জারি করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) যে ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোন ব্যক্তি-
 
 
 
 
(ক) উপ-ধারা (২) মোতাবেক জারিকৃত নোটিশ অনুসারে আদালতে হাজির না হন, সেইক্ষেত্রে, রিসিভার কর্তৃক প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে, আদালত উক্ত ব্যক্তির ঋণের পরিমাণ বা পরিধি এবং উহা যে তারিখে পরিশোধযোগ্য হইয়াছে বা হইবে সেই তারিখ উল্লেখপূর্বক একটি আদেশ প্রদান করিবে, এবং তদনুসারে রিসিভার উক্ত ঋণ আদায় করিবেন;
 
 
 
 
(খ) উপ-ধারা (২) (খ) এর অধীনে নির্ধারিত তারিখে বা তত্পূর্বে আদালতে হাজির হইয়া তাহার কথিত ঋণের ব্যাপারে লিখিত আপত্তি উত্থাপন করেন, সেইক্ষেত্রে আদালত, উক্ত তারিখের ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে, তবে তাহাকে ও রিসিভারকে তাহাদের নিজ নিজ দাবী প্রমাণের যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর, এতদ্‌বিষয়ে একটি আদেশ প্রদান করিবে এবং এই আদেশে উক্ত ঋণের পরিমাণ বা পরিধি, যদি প্রমাণিত হয়, এবং যে তারিখে উহা পরিশোধযোগ্য হইয়াছে বা হইবে তাহা উল্লেখ করিবে; এবং তদনুসারে রিসিভার উক্ত ঋণ আদায় করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) আদালত, উপ-ধারা (৩) এর অধীনে রিসিভারের অনুকূলে কোন আদেশ প্রদান করিলে, আইনজীবীর খরচসহ উক্ত কার্যধারার সামগ্রিক খরচ নির্ধারণ করিবেন এবং রিসিভার আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ঋণের অতিরিক্ত পাওনা হিসাবে উক্ত খরচ আদায় করিবে৷
রিসিভার নিযুক্ত না হওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের ক্ষমতা
৭০৷ কোন ক্ষেত্রে রিসিভার নিযুক্ত না হইলে বা রিসিভার পদ শূন্য হইলে, এই আইনের অধীনে রিসিভার কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য সকল অধিকার ও ক্ষমতা আদালত প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
রিসিভারের কতিপয় ক্ষমতা ও দায়িত্ব
৭১৷ (১) রিসিভার এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, যথাক্রমে দ্রুততার সহিত বণ্টনযোগ্য সম্পদের সকল বিষয়-সম্পত্তি উদ্ধার করিবেন এবং উহা, পাওনাদারগণের অধিকারের ভিত্তিতে, তাহাদিগকে বণ্টিত অংশরূপে (dividends) প্রদান করিবেন, এবং এতদুদ্দেশ্যে তিনি-
 
 
 
 
(ক) দেনাদারের চালু ব্যবসা থাকিলে উক্ত ব্যবসা ও উহার সুনামসহ সম্পূর্ণ বণ্টনযোগ্য সম্পদ বা উহার কোন অংশবিশেষ এবং দেনাদারের প্রাপ্য কোন খাতা-কলমী পাওনা (book debt) প্রকাশ্য নিলামে বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিক্রয় করিতে পারিবেন, এবং প্রয়োজনবোধে ঐ সকল সম্পদ সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে কোন তৃতীয় ব্যক্তির নিকট বিক্রয় বা বৈধভাবে হস্তান্তরের জন্য যেকোন ব্যক্তিকে ক্ষমতাও প্রদান করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) তত্কর্তৃক গৃহীত অর্থ বাবদ রশিদ দিতে পারিবেন, এবং এইরূপ রশিদ প্রদান করা হইলে উক্ত অর্থ রিসিভার কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন তত্সম্পর্কে অর্থ পরিশোধকারী ব্যক্তির আর কোন দায়-দায়িত্ব থাকিবে না;
 
 
 
 
(গ) যে বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যাপারে নিযুক্ত হইয়াছেন উহার পক্ষ হইতে কোন দাবী অন্য কোন ব্যক্তির দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় উত্থাপন ও প্রমাণ করিতে এবং তজ্জনিত অর্থ বা অন্য কিছু গ্রহণ করিতে পারেন;
 
 
 
 
(ঘ) দেনাদারের স্বত্বাধীন কোন অধিকার বা সম্পত্তির ব্যাপারে সেই একইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন যেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার উক্ত দেনাদারের আছে;
 
 
 
 
(ঙ) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যে ক্ষমতা একজন রিসিভারকে প্রদান করা হইয়াছে তাহা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং বিশেষতঃ এই আইনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে, যে কোন মোক্তারনামা (power of attorney) বা অন্য যেকোন ধরণের দলিল সম্পাদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) আদালতের কোন সাধারণ বা বিশেষ নির্দেশ সাপেক্ষে, পাওনাদারগণের সর্বোত্তম স্বার্থে উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, রিসিভার-
 
 
 
 
(ক) দেনাদারের ব্যবসায়ের লাভজনক (beneficial) বিলোপ সাধন বা বিক্রয়ের জন্য যতদূর প্রয়োজনীয় হয় ততদূর উহা পরিচালনা করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) বণ্টনযোগ্য সম্পদ বা উহার যেকোন অংশের ব্যাপারে মামলা বা অন্যবিধ কার্যধারা দায়ের, সমর্থন (defend) বা চালু রাখিতে পারেন;
 
 
 
 
(গ) কোন কার্যধারার ব্যাপারে বা কোন কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, আদালতের অনুমতিক্রমে, এডভোকেট নিয়োগ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের কোন বিষয়-সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য বাবদ ভবিষ্যতে প্রদেয় অর্থ, জামানতসহ বা তাহার বিবেচনায় যথাযথ অন্যবিধ শর্ত সাপেক্ষে, গ্রহণ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রমাণিত কোন দেনা পরিশোধকল্পে অর্থ সংগ্রহের জন্য বণ্টনযোগ্য সম্পদের কোন অংশ বন্ধক দিতে বা অনুরূপ দায়বদ্ধ (pledge) করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(চ) বর্তমান বা ভবিষ্যতে, নিশ্চিত বা ঘটনাপেক্ষ (contingent), পূর্ব নির্ধারিত (liquidated), অস্তিত্ববান বা অস্তিত্ববান বলিয়া বিবেচনা করা যায় এইরূপ যেকোন প্রকার দেনা, দাবী এবং দায়-দায়িত্বের ব্যাপারে দেনাদার এবং অন্য যেকোন ব্যক্তির মধ্যে সৃষ্ট কোন বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উহা শালিসীতে প্রেরণ করিতে অথবা এতদ্‌বিষয়ে পারস্পরিক সম্মতি মোতাবেক, নির্ধারিত সময় ও শর্তানুসারে প্রদেয় অর্থ গ্রহণ করিয়া, আপোষ-মীমাংসা করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(ছ) পাওনাদার বা পাওনাদার হিসাবে দাবীকারী ব্যক্তিগণের সহিত তাহাদের দাবীর ব্যাপারে যেরূপ প্রয়োজনীয় বা সমীচীন মনে করেন সেইরূপে আপোষ-মীমাংসা বা অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(জ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বা উত্থাপনযোগ্য অন্য কোন দাবীর ব্যাপারে যেরূপ প্রয়োজনীয় ও সমীচীন বিবেচনা করেন সেইরূপ আপোষ-মীমাংসা বা অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(ঝ) বিশেষ প্রকৃতি বা তত্সংশ্লিষ্ট বিশেষ পরিস্থিতির কারণে কোন সম্পত্তি সহজে বা সুবিধাজনকভাবে বিক্রয়যোগ্য না হইলে, উহার আনুমানিক মূল্যের ভিত্তিতে এবং বিদ্যমান প্রকৃতি অক্ষুণ্ন রাখিয়া পাওনাদারগণের মধ্যে বণ্টন করিয়া দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) আর্জি দাখিলের তারিখের পূর্বে কোন সম্পত্তি দেনাদার হস্তান্তর করিয়া থাকিলে বা তাহার নিকট হইতে গৃহীত হইয়া থাকিলে, রিসিভার উক্ত সম্পত্তি ৫৯, ৬০, ৬১ ও ৬২ ধারার আওতায় পুনরুদ্ধার করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) কোন সম্পত্তির অবস্থান নির্ধারণ বা তাহা উদ্ধারের ব্যাপারে রিসিভারের জন্য সহায়ক হয় এইরূপ কোন তথ্য দেনাদার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে পাওয়া গেলে, রিসিভার, আদালতের অনুমতিক্রমে, বাস্তবে উদ্ধারকৃত সম্পত্তির মূল্যের অনধিক ১৫% এর সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসাবে উক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করিতে পারিবেন৷
দেউলিয়ার সম্পত্তির ব্যাপারে তথ্য তলবের ক্ষমতা
৭২৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হওয়ার পরে যেকোন সময় পাওনাদার কমিটি কিংবা পাওনা প্রমাণকারী কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে, আদালত বা রিসিভার-
 
 
 
 
(ক) লিখিত নোটিশের মাধ্যমে এইরূপ যেকোন ব্যক্তিকে আদালতে বা রিসিভারের নিকট হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারিবেন যিনি, কোন দেনাদারের সম্পত্তির দখলদার হিসাবে পরিচিত বা সন্দেহভাজন কিংবা দেনাদারের নিকট ঋণী বলিয়া অনুমিত কিংবা দেনাদার বা তাহার লেন-দেন বা কোন সম্পত্তি বা বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যাপারে তথ্য প্রদানে সক্ষম বলিয়া আদালত বা রিসিভার মনে করেন; এবং
 
 
 
 
(খ) উক্ত ব্যক্তির হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণে দেনাদার বা তাহার লেন-দেন বা কোন সম্পত্তি বা বণ্টনযোগ্য সম্পদ সম্পর্কিত কোন দলিল থাকিলে, উক্ত দলিল আদালতে বা রিসিভারের নিকট পেশ করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ নির্দেশ এবং আদালতে তাহার হাজির হওয়ার খরচ বাবদ যুক্তিসংগত অর্থ প্রদানের প্রস্তাব সত্ত্বেও যদি কোন ব্যক্তি আদালত বা রিসিভারের নিকট নির্ধারিত সময়ে হাজির হইতে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন, অথবা এমন কোন দলিল পেশ করিতে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন যাহা পেশ করার ব্যাপারে আইনগত কোন বাধার বিষয় আদালত বা রিসিভারকে জানানো হয় নাই এবং তত্কর্তৃক তাহা অনুমোদিত হয় নাই, তাহা হইলে আদালত বা রিসিভার গ্রেফতারী পরোয়ানা দ্বারা তাহাকে গ্রেফতার করাইতে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাহাকে আনয়ন করাইতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার বিধান অনুসারে কোন ব্যক্তি উপস্থিত বা আনীত হইলে, আদালত বা রিসিভার তাহাকে দেনাদার বা দেনাদারের লেন-দেন বা কোন সম্পত্তি বা বণ্টনযোগ্য সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে উক্ত ব্যক্তি আইনজীবীও নিয়োগ করিতে পারিবেন৷
রিসিভারের প্রতি নির্দেশনা
৭৩৷ রিসিভার এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে-
 
 
 
 
(ক) পাওনাদারগণের সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রদত্ত কোন নির্দেশনা এবং পাওনাদার কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত পরামর্শের প্রতি লক্ষ্য রাখিবেন;
 
 
 
 
(খ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাহার নিজস্ব বিচার-বিবেচনা (discretion) প্রয়োগ করিবেন৷
সরকারী রিসিভার
৭৪৷ (১) সরকার উহার বিবেচনামতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তিকে, নির্ধারিত এলাকা এবং নির্ধারিত শ্রেণীর দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার ব্যাপারে, রিসিভার হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবেন; এইরূপ রিসিভারগণ সরকারী রিসিভার নামে অভিহিত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন সরকারী রিসিভার নিযু্‌ক্ত হইলে, তিনি উক্ত উপ-ধারার অধীনে তাহার জন্য নির্ধারিত স্থানীয় অধিক্ষেত্রে উদ্ভূত প্রতিটি দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার জন্য রিসিভার বা, ক্ষেত্রমত, অন্তর্বতী রিসিভার হইবেন, যদি না আদালত লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক ভিন্নরূপ আদেশ প্রদান করে৷
 
 
 
 
(৩) ধারা ৬৬-এর বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারী রিসিভার সময় সময় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাইবেন, এবং আদালতের অনুমতি ব্যতীত, তিনি উক্তরূপে নির্ধারিত পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 

বণ্টনযোগ্য সম্পদের বিলিবণ্টন

দেনাসমূহের অগ্রাধিকার নির্ধারণ, ইত্যাদি
৭৫৷ (১) বণ্টনযোগ্য সম্পদ বিলিবণ্টনের সময়; পাওনাদারগণের প্রাপ্য বণ্টনযোগ্য অংশ প্রদানের পূর্বে, রিসিভার যে সকল প্রয়োজনীয় খরচ করিয়াছেন তাহাসহ প্রশাসনিক ব্যয় সর্বপ্রথমে পরিশোধ করিতে হইবে, এবং তত্পর ৬৬(১) ধারা বা, ক্ষেত্রমত, ৭৪(৩) ধারা মোতাবেক রিসিভারের প্রাপ্য ফিস পরিশোধ করিতে হইবে, অতঃপর, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, নিম্্নবর্ণিত ক্রমানুসারে অন্যান্য বণ্টনযোগ্য অংশ প্রদেয় হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকারের পাওনা সকল কর এবং অনুরূপ প্রকৃতির অন্যান্য পাওনা;
 
 
 
 
(খ) আর্জি দাখিলের তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে দেনাদারের চাকুরীতে থাকাকালীন কোন কেরানী, ভৃত্য, মজুর বা শ্রমিক প্রদত্ত সেবা বাবদ পাওনা মজুরী বা বেতন, তাহাদের জনপ্রতি অনধিক ২,০০০.০০ (দুই হাজার) টাকা হারে;
 
 
 
 
(গ) সকল ব্যাংক ঋণ;
 
 
 
 
(ঘ) জামানতবিহীন সকল দাবী;
 
 
 
 
(ঙ) কোন অধীনস্থ দাবী৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর (ক) ও (খ) দফায় বর্ণিত দেনা পরিশোধের পর, সকল ব্যাংক-ঋণ সম্পূর্ণরূপে এবং সকল জামানতবিহীন দাবীর ৫০% পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত বণ্টনযোগ্য সম্পদ না থাকিলে, জামানতবিহীন দাবীসমূহ যাহাতে ব্যাংক-ঋণের অন্ততঃ ৫০% অনুপাতে পরিশোধিত হয় তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য ব্যাংক-ঋণকে প্রদত্ত অগ্রাধিকার প্রয়োজনীয় অনুপাতে হ্রাস পাইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রতিটি শ্রেণীভুক্ত দাবী বা দেনা স্ব স্ব শ্রেণীতে সমমর্যাদা লাভ করিবে, এবং বণ্টনযোগ্য সম্পদ অপর্যাপ্ত না হইলে উহাদিগকে সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করিতে হইবে; এবং এতদুদ্দেশ্যে বণ্টনযোগ্য সম্পদ অপর্যাপ্ত হইলে একই শ্রেণীভুক্ত দাবী বা দেনাসমূহ সমানুপাতিক হারে হ্রাস পাইবে৷
 
 
 
 
(৪) প্রশাসনিক ব্যয় এবং রিসিভারের ফিস মিটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংরক্ষিত রাখার পর বণ্টনযোগ্য সম্পদ পর্যাপ্ততা অনুসারে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দেনা ও দাবীসমূহ অবিলম্বে পরিশোধ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৫) দেনাদার কোন অংশীদারী প্রতিষ্ঠান (partnership firm) হইলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের দেনা মিটাইবার উদ্দেশ্যে প্রথমে উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত বণ্টনযোগ্য সম্পদ প্রয়োগ করা হইবে এবং এইরূপ পরিশোধের জন্য উক্ত বণ্টনযোগ্য সম্পদ পর্যাপ্ত না হইলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়দেনা মিটাইবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক অংশীদারের যেরূপ দায়িত্ব থাকে তদনুসারে তাহার ব্যক্তিগত সম্পত্তি প্রয়োগ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) অনুসারে অংশীদারগণের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা, ক্ষেত্রমত, প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি প্রয়োগের পর কোন উদ্বৃত্ত থাকিলে, উক্ত উদ্বৃত্ত প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক অংশীদারের স্বত্ব বা অধিকারের অনুপাতে উক্ত উদ্বৃত্ত তাহাদের মধ্যে বিভাজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৭) এই ধারায় পূর্ববর্তী বিধানাবলী সাপেক্ষে তফসিলে লিপিবদ্ধ সকল দেনা, কোন অগ্রাধিকার ব্যতীত, উহার পরিমাণের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে পরিশোধ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৮) সকল খরচ, দেনা ও দাবী পরিশোধের পর কোন উদ্বৃত্ত থাকিলে, উহা হইতে, দেনাদার দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার তারিখের পরবর্তী সময়ের জন্য, তফসিলে উল্লিখিত দেনাসমূহের উপর বার্ষিক অনধিক ৬% হারে সুদ পরিশোধ করিতে হইবে৷
বণ্টনযোগ্য অংশ নির্ধারণের পদ্ধতি, ইত্যাদি
৭৬৷ (১) রিসিভার নিম্্ন বর্ণিত দেনা ও বিষয়াদি সম্পর্কিত ব্যয় মিটানোর জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ হাতে রাখিয়া বণ্টনযোগ্য অংশ নির্ধারণ করিবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য এমন দেনা যাহার ব্যাপারে দেনাদারের নিকট হইতে বা অন্য কোনভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত দেনার পাওনাদার কোন পূর্ববর্তী স্থানে বসবাসের কারণে উহা প্রমাণের উদ্দেশ্যে যোগাযোগের জন্য সাধারণতঃ যে সময় প্রয়োজন হয় সেইরূপ পর্যাপ্ত সময় তিনি পান নাই;
 
 
 
 
(খ) এই আইনের অধীন প্রমাণযোগ্য এমন দেনা, যাহা দাবী করার ভিত্তি এখনো নির্ধারণ করা হয় নাই;
 
 
 
 
(গ) বিরোধীয় দাবীসমূহ;
 
 
 
 
(ঘ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যাপারে প্রশাসনিক দাবী৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, প্রাপ্ত অর্থ হইতে বণ্টনযোগ্য অংশ যথাসম্ভব দ্রুততার সহিত সেই সকল পাওনাদারগণের নিকট প্রদান করা হইবে যাহাদের দাবী বিনা আপত্তিতে প্রমাণিত হইয়াছে৷
 
 
 
 
(৩) বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষণা এবং প্রদানের ব্যাপারে নিম্্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পরবর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে প্রথম বণ্টনযোগ্য অংশ, যদি থাকে, ঘোষিত ও প্রদত্ত হইবে;
 
 
 
 
(খ) পরবর্তী বণ্টনযোগ্য অংশসমূহ অনধিক ১২ (বার) মাস পর পর ঘোষিত ও প্রদত্ত হইবে, যদি ইহার বিপরীতে কোন পর্যাপ্ত কারণ না থাকে;
 
 
 
 
(গ) বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষণার পূর্বে, রিসিভার তাহার উক্তরূপ অভিপ্রায়সূচক একটি বিজ্ঞপ্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অথবা এইরূপ বিধি না থাকিলে আদালতের নির্দেশিত পদ্ধতিতে প্রকাশ করিবেন, এবং তদুপরি এতদ্‌বিষয়ে একটি নোটিশ তফসিলভুক্ত এমন প্রত্যেক পাওনাদারের নিকট প্রেরণ করিবেন যাহারা তাহাদের দাবী সেই সময় পর্যাপ্ত প্রমাণ করেন নাই;
 
 
 
 
(ঘ) রিসিভার কোন বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষণা করিলে, পাওনা প্রমাণকারী প্রত্যেক পাওনাদারের নিকট এইরূপ একটি নোটিশ প্রেরণ করিবেন যাহাতে বণ্টনযোগ্য অংশের পরিমাণ, উহা প্রদানের সময় ও পদ্ধতি এবং বণ্টনযোগ্য সম্পদ সম্পর্কিত নির্ধারিত তথ্যাদি বিধৃত থাকিবে;
 
 
 
 
(ঙ) বণ্টনযোগ্য অংশের পরিমাণ ১০০ (একশত) টাকার কম হইলে তাহা কোন পাওনাদারকে প্রদান করা হইবে না৷
রিসিভারকে দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান, ইত্যাদি
৭৭৷ (১) যে ক্ষেত্রে রিসিভার-
 
 
 
 
(ক) বণ্টনযোগ্য সম্পদের সকল সম্পত্তি, বা সংশ্লিষ্ট কার্যধারা অযথা বিলম্বিত না করিয়া উক্ত সম্পদের যতটুকু উদ্ধার করা সম্ভব ততটুকু সম্পত্তি উদ্ধার করিয়াছেন এবং উহা হইতে চূড়ান্ত বণ্টনযোগ্য অংশ, যদি থাকে, বণ্টন করিয়াছেন, অথবা
 
 
 
 
(খ) অনুমোদিত আপোষ-মিমাংসার কারণে তাহার কার্যকলাপ বন্ধ করিয়াছেন, অথবা
 
 
 
 
(গ) তাহার পদ ত্যাগ করিয়াছেন বা উক্ত পদ শূন্য হইয়াছে বা তিনি উক্ত পদ হইতে অপসারিত হইয়াছেন,
 
 
 
 
সেইক্ষেত্রে আদালত, তাহার আবেদনক্রমে বা অন্য কোন কারণে রিসিভারের কার্যাবলীর উপর একটি প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য তাহাকে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত সকল নির্দেশ পালিত হওয়ার পর, আদালত উক্ত প্রতিবেদন এবং রিসিভারের দায়মুক্তির বিরুদ্ধে কোন পাওনাদার বা স্বার্থবান অন্য কোন ব্যক্তির কোন আপত্তি থাকিলে তাহা বিবেচনার পর রিসিভারকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিবে বা উহা স্থগিত রাখিবে৷
 
 
 
 
(৩) রিসিভারের অব্যাহতি প্রদান স্থগিত রাখা হইলে, কোন পাওনাদার বা স্বার্থবান কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে, রিসিভারের কর্তব্য পালনের সূত্রে তাহার কার্যকলাপ বা ত্রুটিজনিত দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করিয়া আদালত উহার বিবেচনামতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) রিসিভারকে অব্যাহতি প্রদান করিয়া আদালত কোন আদেশ প্রদান করিলে, উহার ফলে তিনি, বণ্টনযোগ্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে, তত্কর্তৃক সম্পাদিত কার্য বা সংগঠিত ত্রুটির দায়দায়িত্ব হইতে মুক্তিলাভ করিবেন, তবে যদি প্রমাণিত হয় যে, আদেশটি নিয়মবহির্ভূতভাবে (improperly) প্রদান করা হইয়াছে বা প্রতারণামূলকভাবে বা কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করিয়া হাসিল করা হইয়াছে, তবে উহা প্রত্যাহার করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৫) যদি কোন দেনাদার বা পাওনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তি রিসিভারের কোন কার্য বা সিদ্ধান্তের ফলে সংক্ষুদ্ধ হন, তাহা হইলে তিনি সেই মর্মে আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং আদালত উহার বিবেচনামতে যথাযথ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৬) যেক্ষেত্রে আদালত, স্বীয় উদ্যোগে বা কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে, এইরূপ বিবেচনা করে যে, রিসিভার বিশ্বস্ততার সহিত তাহার কর্তব্য পালন না করার বিষয়টি, অথবা তাহার উপর কোন আইন বা বিধি দ্বারা বা অন্য কোন প্রকারে আরোপিত শর্তাবলী যথাযথ পালন না করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে আদালত রিসিভারের উক্তরূপ আচরণ আমলে লইতে পারিবে, এবং বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিতে এবং উহার বিবেচনামত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৭) দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় আদালত কর্তৃক অনুষ্ঠিত যে কোন তদন্তে জবাবদিহি করার জন্য রিসিভারকে নির্দেশ দিতে এবং তাহাকে বা তাহার অধীনস্থ কোন ব্যক্তিকে সত্য কথনের শপথ বাক্য পাঠ করাইয়া (on oath) জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৮) এই আইন বা তদধীন প্রণীত শর্তানুযায়ী রিসিভার যে সকল সাধারণ কর্তব্য পালন করিতে বাধ্য, তাহা তিনি অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা করাইলে তজ্জন্য তাহাকে ৬৬(১) ধারায় নির্ধারিত ফিসের অতিরিক্ত কোন অর্থ প্রদান করা হইবে না৷
বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষণার পূর্বে পাওনা প্রদান করেন নাই এইরূপ পাওনাদারের অধিকার
৭৮৷ বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষিত হওয়ার পূর্বে কোন পাওনাদার তাহার পাওনা প্রমাণ না করিয়া থাকিলে আপাততঃ রিসিভারের হাতে যে অর্থ থাকে সেই অর্থ হইতে, ভবিষ্যতে ঘোষিতব্য বণ্টনযোগ্য অংশ প্রদানের পূর্বে, উক্ত পাওনাদার তাহার প্রাপ্য বণ্টনযোগ্য অংশ পাওয়ার অধিকারী হইবেন, তবে তাহার পাওনা প্রমাণিত হওয়ার পূর্বে ঘোষিত কোন বণ্টনযোগ্য অংশ প্রদানে তিনি বাধা প্রদানের অধিকারী হইবেন না এবং উক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় তিনি অংশ গ্রহণ করিতে পারেন নাই তাহার এমন কোন অজুহাতও গ্রাহ্য হইবে না৷
চূড়ান্ত বণ্টনযোগ্য অংশ
৭৯৷ (১) রিসিভার বণ্টনযোগ্য সম্পদ সম্পূর্ণরূপে, কিংবা তাহার মতে দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারাকে অযথা বিলম্বিত না করিয়া উক্ত সম্পদের যে অংশ উদ্ধার সম্ভব, সেই অংশ উদ্ধার করিয়া থাকিলে, তিনি, উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, চূড়ান্ত বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষণা করিবেন৷
 
 
 
 
(২) রিসিভার, উপ-ধারা (১) এর অধীনে চূড়ান্ত বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষণার পূর্বে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অথবা এইরূপ বিধি না থাকিলে আদালত কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে, এমন সকল ব্যক্তিকে নোটিশ প্রদান করিবেন যাহাদের দাবী আদালতের নথিতে লিপিবদ্ধ আছে কিন্তু প্রমাণিত হয় নাই, এবং এইরূপ নোটিশে তিনি উল্লেখ করিবেন যে, উক্ত ব্যক্তিগণ যদি তাহাদের দাবী নোটিশে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ না করেন, তাহা হইলে তিনি তাহাদের দাবী উপেক্ষা করিয়া চূড়ান্ত বণ্টনযোগ্য অংশ ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উক্ত নোটিশে উল্লিখিত সময়সীমা কিংবা কোন দাবীদারের আবেদনক্রমে আদালত কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত হইলে অতিরিক্ত সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পর, বণ্টনযোগ্য সম্পদ শুধুমাত্র সেই সকল পাওনাদারগণের মধ্যে বণ্টন করা হইবে যাহারা তাহাদের দাবী প্রমাণ করিয়াছেন এবং এইরূপ বণ্টনের ক্ষেত্রে অন্য যে কোন ব্যক্তির দাবী উপেক্ষা করা হইবে৷
বণ্টনযোগ্য সম্পদের জন্য মামলা দায়ের নিষিদ্ধ
৮০৷ (১) বণ্টনযোগ্য সম্পদের দাবীতে অন্য কোন আদালতে কোন স্বতন্ত্র মামলা দায়ের করা চলিবে না, তবে এই আইনের অধীন এখ্‌তিয়ার-সম্পন্ন আদালত, কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে, উক্ত অংশ প্রদানের জন্য রিসিভারকে আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন ক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে যে, রিসিভার কর্তৃক নিয়মবহির্ভূতভাবে আটকাইয়া রাখা কোন বণ্টনযোগ্য অংশ বা উহার উপর কোন সুদ এবং উক্ত অংশ প্রাপ্তির জন্য আবেদন বাবদ খরচ রিসিভারের ব্যক্তিগত উত্স হইতে আদায় করার যথাযথ কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে আদালত উক্ত সুদ ও খরচ পরিশোধের জন্য রিসিভারকে আদেশ দিতে পারিবে৷
দেউলিয়া কর্তৃক বণ্টনযোগ্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং তজ্জনিত ভাতা
৮১৷ (১) দেউলিয়া কোন একক দেনাদার হইলে, পাওনাদারগণের কল্যাণার্থে বণ্টনযোগ্য সম্পদ বা উহার কোন অংশের ব্যবস্থাপনার তদারকী করার উদ্দেশ্যে অথবা উক্ত দেনাদারের কোন কারবার থাকিলে তাহা পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে অথবা উক্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্য কোন ব্যাপারে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে, আদালত কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে ও শর্তাধীনে, আদালত বা রিসিভার উক্ত দেনাদারকে নিয়োগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) একক দেনাদারের নিজের বা তাহার পরিবারের ভরণ-পোষণ বাবদ, অথবা উপ-ধারা (১) এর অধীনে তাহাকে নিয়োগ করা হইলে তাহার প্রদত্ত সেবা বাবদ, রিসিভার বা আদালত সময় সময় তাহার বা উহার বিবেচনামতে ন্যায্য ভাতা উক্ত দেনাদারকে প্রদান করিতে পারিবেন, তবে রিসিভার কর্তৃক এইরূপ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমোদন থাকিতে হইবে৷
উদ্বৃত্ত সম্পত্তিতে দেউলিয়ার অধিকার
৮২৷ এই আইন দ্বারা আরোপিত হারে সুদ এবং তদধীন গৃহীত কার্যধারার ব্যয়সহ পাওনাদারগণের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধের পর যদি কোন সম্পত্তি বা অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তবে দেনাদার তাহা পাইবার অধিকারী হইবেন৷
রিসিভারের আদেশ ইত্যাদির বিরুদ্ধে আবেদন
৮৩৷ যদি দেনাদার বা কোন পাওনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তি রিসিভারের কোন আদেশ, সিদ্ধান্ত বা কাজের ফলে সংক্ষুদ্ধ হন, তাহা হইলে তিনি উহার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন, এবং আদালত উক্ত আদেশ, সিদ্ধান্ত বা কাজ বহাল রাখিতে বা, ক্ষেত্রমত, রদ রহিত করিতে বা সংশোধন করিতে পারিবে, এবং তত্সম্পর্কে উহার বিবেচনামতে ন্যায্য অন্য কোন আদেশ দিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিরোধীয় আদেশ বা সিদ্ধান্ত প্রদান বা কার্য সম্পাদনের তারিখের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এই ধারার অধীনে কোন আবেদন গ্রহণ করা যাইবে না৷
 
 
 
 
 
 
 
 

সপ্তম অধ্যায়

অপরাধ ও দন্ডসমূহ

দেনাদারের অপরাধ ও উহাদের দণ্ড
৮৪৷ (১) এই আইনের অধীনে কোন দেনাদার দেউলিয়া হইলে বা তাহার বিষয়াদি সম্পর্কে পুনর্গঠন আদেশ প্রদান করা হইলে, তাহার নিম্্নবর্ণিত প্রতিটি কাজ অপরাধ হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেনাদারের কোন ব্যবসা-বাণিজ্য থাকিলে উহার স্বাভাবিক খরচ এবং তাহার পরিবারের স্বাভাবিক ব্যয় নির্বাহের প্রয়োজনে হস্তান্তরিত সম্পত্তি ব্যতীত, তাহার অন্যান্য সকল সম্পত্তি বা উহার কোন অংশ-বিশেষ কিভাবে, কাহার নিকট, কি পণের বিনিময়ে এবং কোন সময়ে হস্তান্তর করা হইয়াছে, তত্সম্পর্কিত তথ্য তিনি যদি, তাহার জানামতে বা বিশ্বাসমতে, সম্পূর্ণভাবে ও বিশ্বস্ততার সহিত রিসিভারের নিকট প্রকাশ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ তথ্য প্রকাশ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(খ) তাহার হেফাজত বা নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পত্তির যে সকল অংশ রিসিভারের নিকট অর্পণ করিতে আইন অনুসারে দেনাদার বাধ্য, রিসিভারের নির্দেশ মোতাবেক তিনি যদি তাহা অর্পণ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপে অর্পণ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের সম্পত্তি ও বিষয়াদি সম্পর্কিত যে সকল হিসাব-বহি ও অন্যান্য দলিল-পত্র তাহার হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণে আছে তাহা যদি তিনি, রিসিভারের নির্দেশ মোতাবেক, রিসিভারের নিকট অর্পণ না করেন :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ অর্পণ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঘ) কোন আর্জি দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে দাখিল হওয়ার পর যদি তিনি তাহার কোন দেনা বা পাওনা অথবা ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা বা তদূর্ধ মূল্যের তাহার কোন সম্পত্তি গোপন করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক তিনি প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপে গোপন করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঙ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যেকোন সময় বা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা বা তদধিক মূল্যের তাহার কোন সম্পত্তি প্রতারণামূলকভাবে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাহিরে সরাইয়া থাকেন;
 
 
 
 
(চ) যদি দেনাদার তাহার বিষয়াদি সম্পর্কিত কোন বিবরণীতে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতে সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ উল্লেখ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ছ) দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন ভূয়া দেনা প্রমাণিত হইয়াছে মর্মে দেনাদারের জানা বা বিশ্বাস থাকা বা অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি উক্ত প্রমাণের পরবর্তী ১ (এক) মাসের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে রিসিভারকে অবহিত না করেন;
 
 
 
 
(জ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময় তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী বা তত্সম্পর্কিত কোন হিসাব বহি বা অন্যান্য দলিল উপস্থাপনে যদি তিনি বাধা প্রদান করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ বাধা প্রদান কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঝ) দেনাদার কর্তৃক বা তাঁহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী বা তত্সম্পর্কিত কোন হিসাব-বহি বা অন্যান্য দলিল গোপন করেন, ধ্বংস করেন, বিকৃত করেন বা ভূয়া প্রতিপন্ন করেন, অথবা এইরূপ কোন কাজে সজ্ঞানে জড়িত (privy) থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার বিষয়াদির সম্পর্কে কোন কিছু গোপন বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ কোন কাজ অথবা উহাতে তাহার জড়িত থাকা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঞ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী কোন হিসাব-বহি বা অন্যান্য দলিলে কোন ভূয়া তথ্য লিপিবদ্ধ করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার বিষয়াদির সম্পর্কে কোন তথ্য গোপন বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ তথ্য লিপিবদ্ধকরণ কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ট) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী কোন দলিল প্রতারণামূলকভাবে হাত ছাড়া করেন বা উহাতে কোন পরিবর্তন করেন বা উহাতে কোন কিছু উল্লেখ না করেন বা এইরূপ কোন কাজে সজ্ঞানে জড়িত থাকেন;
 
 
 
 
(ঠ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহতি পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, তাহার পাওনাদারগণের নিকট প্রেরিত কোন লিখিত বা মৌখিক যোগাযোগের মাধ্যমে যদি তিনি কাল্পনিক ক্ষতি বা খরচ দেখাইয়া তাহার দেনা বা সম্পত্তি বাবদ কোন হিসাব প্রদানের অপচেষ্টা করেন;
 
 
 
 
(ড) একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়া হওয়া সত্ত্বেও-
 
 
 
 
(অ) তাহার দায়গ্রস্ত দেউলিয়া থাকার বিষয়টি প্রকাশ না করিয়া যদি তিনি কোন ব্যক্তির নিকট এককভাবে বা অন্য কাহারও সহিত যৌথভাবে ১০,০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা বা তদূর্ধ পরিমাণের কোন ঋণ গ্রহণ করেন, অথবা
 
 
 
 
(আ) যে নামে তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন সেই নাম ব্যতীত যদি অন্য কোন নামে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন এবং যাহাদের সহিত ব্যবসায়িক লেন-দেন করেন তাহাদের সকলের নিকট দেউলিয়া হিসাবে ঘোষিত তাহার নামটি প্রকাশ না করেন;
 
 
 
 
(ঢ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি তাহার মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কোন আর্থিক বিবরণ প্রস্তুত বা দস্তখত বা সরবরাহ বা অন্যবিধ প্রতারণামূলক কোন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনার মাধ্যমে কোন সম্পত্তি বা ঋণ অর্জন করিয়া থাকেন এবং যাহার নিকট উক্তরূপে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হইয়াছিল সেই পাওনাদারের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ না করিয়া থাকেন;
 
 
 
 
(ণ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি একজন ব্যবসায়ী বা বণিক থাকিয়া থাকেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা বা লেন-দেন করার মিথ্যা ভান করিয়া ধারে কোন সম্পত্তি অর্জন করিয়া থাকেন এবং যে পাওনাদার মূলতঃ তাহার উক্ত ভান দ্বারা প্রভাবিত হইয়াছিলেন তাহার পাওনা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ মিথ্যা ভান করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ত) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি একজন ব্যবসায়ী বা বণিক থাকিয়া থাকেন এবং যে সম্পত্তি তিনি ধারে অর্জন করিয়াছেন অথচ উহার মূল্য সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন নাই, সেই সম্পত্তি যদি তিনি বন্ধক দেন বা অন্যবিধভাবে দায়বদ্ধ করিয়া থাকেন; বা ব্যবসার স্বাভাবিক গতি বহির্ভূত পরিমাণে বা সাধারণ লেন-দেনকারী পক্ষ বহির্ভূত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিকট বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, কাহাকেও প্রতারণা করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ কাজ অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(থ) তাহার বিষয়াদি বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার ব্যাপারে তাহার কোন পাওনাদারের সম্মতি লাভের উদ্দেশ্যে যদি তিনি কোন তথ্যের মিথ্যা উপস্থাপনা বা তদুদ্দেশ্যে অন্যবিধ প্রতারণা করেন;
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ধারা ৪৬(৯) এ উল্লিখিত বিশেষ ব্যবস্থাপকের কার্যকলাপ দেনাদারের কার্যকলাপ বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি উক্ত কার্যকলাপ রিসিভারের নির্দেশে সম্পাদিত না হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(২) যদি-
 
 
 
 
(ক) কোন দেনাদার কোন সম্পত্তি ধারে অর্জন করিয়া এবং উহার মূল্য পরিশোধ না করিয়া বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করিয়া থাকেন, এবং
 
 
 
 
(খ) তিনি উক্তরূপে প্রেরিত সম্পত্তি বাবদ তত্কর্তৃক প্রাপ্ত পণ্যের হিসাব প্রদান করিতে ব্যর্থ হন,
 
 
 
 
তাহা হইলে, দেনাদার তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি বা নিয়ম বহির্ভূতভাবে উক্ত সম্পত্তি প্রেরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি ইহার বিপরীত প্রমাণিত না হয়৷
 
 
 
 
(৩) যদি-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার এমন পরিস্থিততে কোন সম্পত্তি বন্ধকে রাখেন বা উহাকে অন্যবিধভাবে দায়বদ্ধ করেন বা বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করেন যে তাঁহার উক্ত কাজ উপ-ধারা (১)(ত) এর অধীন একটি অপরাধ হয়, এবং
 
 
 
 
(খ) অপর কোন ব্যক্তির উক্তরূপ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে উক্ত অপর ব্যক্তিকেও দেনাদারের ন্যায়, উক্ত উপ-ধারার অধীন একই অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং তদনুসারে তিনিও একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
যথাযথ হিসাব-বহি সংরক্ষণ না করার দণ্ড
৮৫৷ (১) কোন দেউলিয়া অনধিক ২ (দুই) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি তিনি, আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ২ (দুই) বত্সরের মধ্যে কোন সময় কোন ব্যবসা-বাণিজ্য করা সত্ত্বেও, উক্ত সম্পূর্ণ সময়ের যথাযথ হিসাব-বহি না রাখিয়া থাকেন অথবা সংশ্লিষ্ট সকল হিসাব-বহি সংরক্ষণ না করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত দেউলিয়াকে এই উপ-ধারার অধীনে কোন অপরাধ করেন নাই বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের তারিখে তাহার জামানতবিহীন দায়-দেনার পরিমাণ ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকার বেশী না হয়, অথবা
 
 
 
 
(খ) তিনি প্রমাণ করেন যে, তিনি তাহার ব্যবসা-বাণিজ্য এইরূপ পরিস্থিততে পরিচালনা করিয়াছেন যে, তাহার উক্তরূপ ব্যর্থতা কোন অসত্-উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল না অথবা উক্ত ব্যর্থতা উপেক্ষণীয়৷
 
 
 
 
(২) আদালতের অনুমতি ব্যতীত এই ধারার অধীনে দেউলিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিয়া কোন কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন ব্যক্তিকে যথাযথ হিসাব-বহি রাখেন নাই বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি তিনি-
 
 
 
 
(ক) তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্রে প্রতিদিন প্রাপ্ত ও পরিশোধিত নগদ অর্থের বিস্তারিত ও পর্যাপ্ত হিসাব-বহিসহ তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের লেন-দেন এবং আর্থিক অবস্থা প্রদর্শনকারী বা ব্যাখ্যামূলক প্রয়োজনীয় হিসাব-বহি রাখিয়া না থাকেন;
 
 
 
 
(খ) তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্রে কোন পণ্য লেন-দেন করা সত্ত্বেও উক্ত পণ্য মজুতকরণের বিবরণ না রাখিয়া থাকেন; এবং
 
 
 
 
(গ) প্রকৃত ভোক্তাদের নিকট কোন খুচরা পণ্য বিক্রয় করিয়া থাকিলে উক্ত পণ্য ব্যতীত, যে সকল পণ্য কেনা-বেচা করিয়াছেন সেই সকল ক্রেতা ও বিক্রেতাগণকে চিহ্নিত করিবার জন্য পর্যাপ্ত ও বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করতঃ উহা রক্ষণ না করিয়া থাকেন৷
দায়িত্বহীনভাবে ঋণ গ্রহণ
৮৬৷ একজন দেউলিয়া অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি তিনি, আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, এমন কোন দেনা করিয়া থাকেন যাহা পরিশোধ করার জন্য যুক্তিসংগত প্রত্যাশা করার মত অবস্থা তাহার ছিল না৷
দেনাদারের বাংলাদেশ ত্যাগ
৮৭৷ যদি কোন দেনাদার-
 
 
 
 
(ক) আর্জি দাখিল হওয়ার পরবর্তী কোন সময়ে, আদালতের অনুমতি ব্যতীত, বাংলাদেশ ত্যাগ করেন; অথবা
 
 
 
 
(খ) উক্ত দরখাস্ত দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং উক্তরূপ দাখিলের পরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ফিরিয়া না আসেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার পাওনাদারগণকে প্রতারিত বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন নাই, তাহা হইলে উক্তরূপ বাংলাদেশ ত্যাগ কোন অপরাধ হইবে না৷
দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার অপরাধ
৮৮৷ একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার নিম্্নবর্ণিত যে কোন কাজ অপরাধ হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) তাহার কোন পাওনাদারকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে যদি তিনি তাহার কোন সম্পত্তি দান, অর্পণ বা অন্যবিধভাবে হস্তান্তর করিয়া বা করাইয়া থাকেন, অথবা তাহার কোন সম্পত্তির উপর চার্জ সৃষ্টি করিয়া বা করাইয়া থাকেন, অথবা তাহার সম্পত্তিকে অন্য কোনভাবে দায়গ্রস্ত বা কর আরোপযোগ্য করিয়া বা করাইয়া থাকেন;
 
 
 
 
(খ) কোন পাওনাদারকে প্রতারিত করিবার উদ্দেশ্যে যদি তিনি তাহার বিরুদ্ধে প্রদত্ত কোন রায় বা আদেশ অনুসারে অর্থ পরিশোধের পূর্বে কোন সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ লুকাইয়া বা সরাইয়া থাকেন৷
কতিপয় অপরাধের ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করার পদ্ধতি
৮৯৷ যদি কোন ক্ষেত্রে আদালতের বিবেচনামতে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক তদন্তের পর, উহার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন দেউলিয়া ধারা ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৮৭ বা ৮৮-এর অধীন অপরাধ করিয়াছেন, তাহা হইলে আদালত সেইমর্মে উহার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিতে এবং এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণীর কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত অভিযোগ করিতে পারে, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান মোতাবেক অভিযোগটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন৷
দায়মুক্তি ইত্যাদির কারণে ফৌজদারী মামলা হইতে দেনাদার অব্যাহতিপ্রাপ্ত নহেন
৯০৷ দেনাদারকে দায়মুক্তি করিয়া বা তাহার বিষয়াদি সম্পর্কে কোন আপোষ-মিমাংসা গ্রহণ করিয়া বা তাহার বিষয়াদির পুনর্বিন্যাস বা পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করিয়া আদালত কোন আদেশ প্রদান করা সত্ত্বেও, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংগঠনের দায়ে অভিযুক্ত হইলে উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে গৃহীত কার্যধারা হইতে তিনি অব্যাহতি লাভ করিবেন না৷
পাওনাদার ইত্যাদির অপরাধ
৯১৷ (১) এই ধারার অধীন কোন কার্যধারায়, কোন পাওনাদার যদি এমন কোন দাবী উত্থাপন, ঘোষণা বা হিসাব প্রদান করেন যাহার গুরুত্বপূর্ণ অংশ অসত্য, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করার উদ্দেশ্য তাহার ছিল না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন কোন কার্যধারায় যদি কোন পাওনাদার, দেনাদারের বিরুদ্ধাচরণে বিরত থাকার (forbearing) উদ্দেশ্যে বা উহার প্ররোচনাস্বরূপ, অন্য কাহারো নিকট হইতে অর্থ বা সম্পত্তি বা জামানত গ্রহণের মাধ্যমে প্ররোচিত হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত অর্থ, সম্পত্তি বা জামানতের মূল্যের অনধিক ৩ (তিন) গুণের সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) যদি কোন পাওনাদার-
 
 
 
 
(ক) ধারা ৪৩ এর বিধান প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোন পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনায় সম্মতি দেন বা উহাতে দস্তখত করেন, বা উক্ত সম্মতি বা দস্তখত দেওয়ার জন্য তাহার প্রতিনিধি বা ক্ষমতা প্রদত্ত ব্যক্তিকে অনুমতি দেন, অথবা ধারা ৪৬-এর বিধান প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোন পুনর্গঠন পরিকল্পনার প্রস্তাব পেশ করেন বা এইরূপ প্রস্তাবে ইতিবাচক সম্মতি দেন, এবং
 
 
 
 
(খ) উক্তরূপ সম্মতি প্রদান, দস্তখতকরণ বা প্রস্তাব পেশকরণ-এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তজ্জন্য কোন গোপন বা যোগসাজসী (collusive) অগ্রাধিকার বা সুবিধা লাভ করেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে, তিনি উক্ত অগ্রাধিকার বা সুবিধার মূল্যমানের অনধিক ৫ (পাঁচ) গুণের সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং যাহার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরোপিত হইয়াছে, তাহাকে আরোপিত অর্থদণ্ডে অনধিক অর্ধাংশ প্রদানের জন্য আদালত আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত কোন প্রকার অগ্রাধিকার বা সুবিধা গোপন এবং যোগসাজসী বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি উহা সংশ্লিষ্ট পুনর্গঠন পরিকল্পনা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনায় সুষ্পষ্টভাবে উল্লিখিত না থাকে৷
 
 
 
 
(৫) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইয়াছে জানা সত্ত্বেও, যদি কোন ব্যক্তি, উক্ত আদেশ ব্যর্থ করিবার উদ্দেশ্যে, বণ্টনযোগ্য সম্পদের কোন অংশ সরাইয়া বা লুকাইয়া ফেলেন বা নিজে গ্রহণ করেন বা অন্য কোনভাবে বিলিবণ্টন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা উক্ত সম্পত্তির মূল্যের অনধিক ৩ (তিন) গুণের সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারার অধীন আরোপিত এবং আদায়কৃত অর্থদণ্ড বণ্টনযোগ্য সম্পদের অংশ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহা রিসিভারে ন্যস্ত হইবে৷
কোম্পানী ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংগঠন
৯২৷ এই আইনের অধীন অপরাধ সংগঠনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট কর্তৃক অপরাধ সংগঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংগঠিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ সংগঠন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকে বুঝাইবে৷
অপরাধ সংগঠনে সহায়তার দণ্ড
৯৩৷ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংগঠনে কোন ব্যক্তিকে অপর কোন ব্যক্তি সহায়তা বা প্ররোচিত করিলে, উক্ত অপর ব্যক্তিও একই অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং তদনুসারে তিনিও দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 

অষ্টম অধ্যায়

দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার অযোগ্যতা

দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার অযোগ্যতা
৯৪৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়া নিম্্নবর্ণিত ক্ষেত্রে অযোগ্য হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) জাতীয় সংসদ বা কোন স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় নির্বাচিত সদস্য হওয়া, তদুদ্দেশ্যে মনোনয়ন লাভ করা বা উহার কোন বৈঠকে অংশ গ্রহণ বা ভোট দেওয়া;
 
 
 
 
(খ) বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট, জাস্টিস অব দি পিস অথবা প্রজাতন্ত্রের অন্য কোন কর্মে (service of the Republic) নিয়োগ লাভ বা কাজ করা;
 
 
 
 
(গ) রিসিভার হিসাবে নিয়োগ লাভ বা উক্ত পদে কাজ করা;
 
 
 
 
(ঘ) ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ৷
 
 
 
 
(২) উপরোক্ত অযোগ্যতাসমূহের অবসান হইবে, যখন-
 
 
 
 
(ক) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদ হইয়া যায়; বা
 
 
 
 
(খ) আদালত দেউলিয়ার দায়মুক্তি আদেশ প্রদান করেন৷
 
 
 
 

নবম অধ্যায়

কার্যধারায় বন্টনযোগ্য সম্পদের সংক্ষিপ্ত নিষ্পত্তি

কার্যধারায় বণ্টনযোগ্য সম্পদের সংক্ষিপ্ত নিষ্পত্তি
৯৫৷ দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর, এফিডেভিট বা অন্য কোন কিছুর ভিত্তিতে, আদালতের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, দেনাদারের সমুদয় সম্পত্তির মূল্য ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকার বেশী হওয়ার সম্ভাবনা নাই, তাহা হইলে আদালত দেনাদারের বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও বিলি-বণ্টন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জন্য আদেশ দিতে পারিবে, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী, নিম্্নরূপ পরিবর্তন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের অধীনে সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি জারীর প্রয়োজন হইবে না, যদি আদালত ভিন্নরূপ আদেশ না দেয়;
 
 
 
 
(খ) দেনাদার কর্তৃক দাখিলকৃত আর্জি গৃহীত হইবার পর, দেনাদারের বণ্টনযোগ্য সম্পদ আদালতে ন্যস্ত হইবে, এবং আদালত নিজেই রিসিভার হিসাবে কার্য করিতে পারিবে, অথবা রিসিভার হিসাবে কার্য করার জন্য যে কোন ব্যক্তিকে, তিনি সরকারী রিসিভার হউন বা না হউন, নিয়োগ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) উক্ত আর্জি শুনানীর সময় আদালত, দেনাদারের দেনা ও বিষয়-সম্পত্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তদন্তের পর লিখিত আদেশ দ্বারা, উহাদের পরিমাণ নির্ধারণ করিবে, এবং ধারা ৩৮-এর বিধান মোতাবেক কোন তফসিল প্রণয়নের প্রয়োজন হইবে না;
 
 
 
 
(ঘ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের বিষয়-সম্পত্তি যুক্তিসংগত দ্রুততার সহিত সংগ্রহ করা হইবে, এবং উহা এককালীন বণ্টিত অংশরূপে (in a single dividend) পাওনাদারগণের নিকট বণ্টন করিতে হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) এতদ্‌সম্পর্কিত খরচ কমানো এবং পদ্ধতি সহজ করার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যবিধ যেরূপ পরিবর্তন করা হয় তাহা অনুসরণ করা হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত যে কোন সময়ে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, দেনাদারের বণ্টনযোগ্য সম্পদের ব্যাপারে এই আইন দ্বারা বা তদধীনে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসৃত হইবে এবং তত্প্রেক্ষিতে উক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷

দশম অধ্যায়

আপীল ও পুণরীক্ষণ (Review)

আপীল
৯৬৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, দেনাদার, যে কোন পাওনাদার, রিসিভার বা অন্য যে কোন ব্যক্তি, দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন কোন অতিরিক্ত জেলা জজ বা জেলা জজ প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হইলে উহার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) সুপ্রীমকোর্ট সময় সময় হাইকোর্ট বিভাগের এইরূপ একটি বেঞ্চ গঠন করিবে যাহার দায়িত্ব হইবে শুধুমাত্র এই আইনের অধীন দায়েরকৃত আপীলসমূহ নিষ্পত্তি করা৷
 
 
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীনে আপীল দায়ের করিতে চাহিলে, তিনি-
 
 
 
 
(ক) তাহার উক্ত অভিপ্রায় সম্পর্কে, বিরোধীয় সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদান তারিখের পরবর্তী ১০ (দশ) দিনের মধ্যে, আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন;
 
 
 
 
(খ) দেনাদার হইলে, পাওনাদারের সাকুল্য দাবী, যাহা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত হয়, এর ১০% এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত ১০ (দশ) দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিবেন;
 
 
 
 
(গ) বিরোধীয় সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদান তারিখের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীলের মেমোরেন্ডাম আপীল আদালতে দাখিল করিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) আপীল আদালতে মেমোরেন্ডাম দাখিলের পূর্বে, নিম্্ন-আদালতে তত্কর্তৃক নির্দেশিত সংখ্যক মেমোরেন্ডামের অনুলিপি দাখিল করিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) মেমোরেন্ডামের সহিত আদালত প্রদত্ত এই মর্মে একটি প্রত্যয়ন-পত্র দাখিল করিবেন যে, দফা (খ) মোতাবেক প্রয়োজনীয় অর্থ, যদি প্রযোজ্য হয়, জমা করা হইয়াছে এবং দফা (ঘ) মোতাবেক মেমোরেন্ডামের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরবরাহ করা হইয়াছে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) (ক) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, আদালত-
 
 
 
 
(ক) উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে বিরোধীয় সিদ্ধান্ত বা আদেশের সত্যায়িত (certified) নকল আপীল করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে সরবরাহ করিবে, এবং এইরূপ নকলের খরচ উক্ত ব্যক্তি অগ্রিম জমা দিবেন;
 
 
 
 
(খ) প্রস্তাবিত আপীলের দ্বারা প্রভাবিত হইতে পারেন এইরূপ ব্যক্তিগণের সংখ্যা বিবেচনাক্রমে প্রস্তাবিত আপীলের মেমোরেন্ডামের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য আপীল করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিবে এবং এইরূপ অনুলিপি জমা হইলে উহাদিগকে ঐ সকল ব্যক্তি বা তাহাদের নিয়োজিত এডভোকেট বা তাহাদের ক্ষমতা প্রদত্ত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট সরবরাহ করিবে৷
 
 
 
 
(৫) নিম্্নবর্ণিত যে কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে আপীল করা যাইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) স্বত্ব নির্ধারণের সিদ্ধান্ত;
 
 
 
 
(খ) দেউলিয়া কর্ম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত;
 
 
 
 
(গ) বণ্টনযোগ্য সম্পদ হইতে বণ্টিত অংশ প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত;
 
 
 
 
(ঘ) ধারা ২৮ এর বিধান মোতাবেক কোন আর্জি খারিজের আদেশ;
 
 
 
 
(ঙ) ধারা ২৯ এর বিধান মোতাবেক ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ;
 
 
 
 
(চ) ধারা ৩০ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ;
 
 
 
 
(ছ) ধারা ৩৩ এর বিধান মোতাবেক স্থানান্তরিত এমন কোন মামলা বা কার্যধারা নিষ্পত্তিকারী ডিক্রী (প্রাথমিক ডিক্রীসহ), সিদ্ধান্ত বা আদেশ যাহার বিরুদ্ধে, মামলা বা কার্যধারাটি যদি স্থানান্তরকারী আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হইত, আপীল করা যাইত;
 
 
 
 
(জ) ধারা ৩৮ এর বিধান মোতাবেক তফসিলে কোন মৌলিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত সংক্রান্ত আদেশ;
 
 
 
 
(ঝ) ধারা ৪০ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদকারী আদেশ;
 
 
 
 
(ঞ) ধারা ৪২ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত আদেশ, যাহা দ্বারা নিরুপিত শর্তাধীনে দেনাদারের নিকট কোন সম্পত্তি ফিরিয়া যায়;
 
 
 
 
(ট) ধারা ৪৬ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত কোন পুনর্গঠন পরিকল্পনার আদেশ বা উহা অনুমোদনকারী আদেশ;
 
 
 
 
(ঠ) দায়মুক্তির আবেদনের ব্যাপারে ৪৭ ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ;
 
 
 
 
(ড) কোন পাওনাদারের পাওনা প্রত্যাখ্যান করিয়া বা পাওনার পরিমাণ কমাইয়া ৫৭ ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ;
 
 
 
 
(ঢ) কোন সম্পত্তির পূর্ববর্তী হস্তান্তর রদ করিয় ৫২ হইতে ৬৩ ধারা পর্যন্ত ধারাসমূহের অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ৷
 
 
 
 
(৬) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত আদেশ বা সিদ্ধান্ত ব্যতীত আদালতের অন্য কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অন্য কোন আদালতে বা কর্তৃপক্ষের নিকট কোনভাবেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৭) আপীল আদালত দেউলিয়া ঘোষণাদেশের কার্যকারিত স্থগিত করিয়া সাধারণতঃ কোন আদেশ প্রদান করিবে না, এবং রিসিভার, দেউলিয়া ও পাওনাদারগণ এই আইনের বিধান মোতাবেক কার্য করিতে থাকিবে, যদি না আপীল আদালত লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক কোন বিশেষ কার্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আপীলে কোন দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদ হইয়া গেলে উক্তরূপ রদকরণ সত্ত্বেও, দেউলিয়া ঘোষণাদেশের পরে রিসিভার, দেউলিয়া, পাওনাদারগণ বা আদালত কর্তৃক এই আইনের বিধান মোতাবেক কৃত কোন কাজের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না, যদি আপীল আদালত উক্ত কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিয়া না থাকে৷
আপীলের অনুসরণীয় পদ্ধতি
৯৭৷ ধারা ৯৬ তে উল্লিখিত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপীলের ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে, এবং এইরূপ বিধি না থাকিলে আপীল আদালতের বিবেচনামত যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
আপীল আদালতের ক্ষমতা
৯৮৷ আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া-
 
 
 
 
(ক) আপীল বিরোধীয় আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে, রদ রহিত করিতে বা সংশোধন করিতে বা বাতিল করিতে পারিবে, এবং
 
 
 
 
(খ) নিম্্ন আদালতকে আপীলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে উহার বিবেচনামতে ন্যায্য ও যথাযথ নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
পুনরীক্ষণ
৯৯৷ (১) ধারা ৯৬ এর অধীনে আপীলযোগ্য নয় এইরূপ কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত আদালত বা রিসিভার কর্তৃক প্রদত্ত হইলে, উক্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, উহার ফলে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি, নিম্্নবর্ণিত যে কোন কারণে উক্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত পুনরীক্ষণের উদ্দেশ্যে উহা প্রদানকারী আদালত বা রিসিভারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন, যথা-
 
 
 
 
(ক) উক্ত আদেশ বা সিদ্ধান্তে কোন সুস্পষ্ট ভুলভ্রান্তি রহিয়াছে, যাহার ফলে আবেদনকারীর উপর অবিচার করা হইয়াছে;
 
 
 
 
(খ) যথাযথ প্রচেষ্টা ও সতর্কতা সত্ত্বেও, আবেদনকারী এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উপস্থাপন করিতে পারেন নাই, যাহা তাহার জানা বা নিয়ন্ত্রণে ছিল না, এবং আদেশ বা সিদ্ধান্ত প্রদানকালে উক্ত সাক্ষ্য উত্থাপিত হইলে তদ্বারা তিনি বিশেষভাবে (substantially) উপকৃত হইতেন৷
 
 
 
 
(২) আদালত বা, ক্ষেত্রমত, রিসিভার-
 
 
 
 
(ক) আবেদনকারীকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া আবেদনে উল্লিখিত কারণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হইলে তাত্ক্ষণিকভাবে (summarily) উহা নাকচ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) উক্ত কারণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইলে-
 
 
 
 
(অ) আবেদনটি শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া এবং যথাযথ বিবেচনা করিলে অন্য কাহাকেও নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকেই, উহা মঞ্জুর বা না-মঞ্জুর করিতে বা উহার বা তাহার বিবেচনামত যথাযথ অন্য কোন আদেশ দিতে পারিবেন, অথবা
 
 
 
 
(আ) সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে আবেদনটি সম্পর্কে নোটিশ এবং যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর, উহা মঞ্জুর বা না-মঞ্জুর করিতে বা উহার বা তাহার বিবেচনামতে যথাযথ অন্য কোন আদেশ দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাইবে না৷
আপীল ও পুনরীক্ষণ নিষ্পত্তির সময়সীমা
১০০৷ (১) আপীল ও পুনরীক্ষণ নিষ্পত্তির সময়সীমা হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) আপীলের ক্ষেত্রে, আপীলের মেমোরেন্ডাম দাখিলের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিন;
 
 
 
 
(খ) পুনরীক্ষণের ক্ষেত্রে, পুনরীক্ষণের আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে কোন আপীল বা পুনরীক্ষণ নিষ্পত্তি করা না হইলে, উক্ত আপীল বা পুনরীক্ষণ না-মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, এবং উক্ত আপীলে বা পুনরীক্ষণে বিরোধীয় আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর কোন আপীল দায়ের বা পুনরীক্ষণ আবেদন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়সীমা গণনার ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি, সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য ছুটি এবং সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক ছুটির দিন বাদ দিতে হইবে, তবে কোন দিন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বা রিসিভার যে কোন কারণে কর্মরত না থাকার কারণে উহা বাদ দেওয়া যাইবে না৷
 
 
 
 

একাদশ অধ্যায়

বিবিধ

ক্রোক, ইত্যাদি
১০১৷ (১) এই আইনের অধীন কোন ক্রোক বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং এইরূপ বিধি না থাকিলে, আদালত কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই ধারার অধীন ক্রোকের ব্যাপারে দেওয়ানী কার্যবিধির ৬৪ ধারার বিধান, প্রয়োজনীয় রদবদলসহ, প্রযোজ্য হইবে৷
নোটিশ ইত্যাদির ব্যাপারে অন্যান্য আইন অনুসরণে আদালতের ক্ষমতা
১০২৷ এই আইনের বিধান মোতাবেক কোন নোটিশ জারি, গ্রেফতারী বা ক্রোকী পরোয়ানা বা অনুরূপ কোন কিছুর প্রয়োজন হইলে, এতদুদ্দেশ্যে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত, আদালত উহার বিবেচনামত দেওয়ানী কার্যবিধি বা, ক্ষেত্রমত, ফৌজদারী কার্যবিধিতে বিধৃত প্রযোজ্য ফরম, উহাতে প্রয়োজনীয় রদ-বদল সাপেক্ষে, ব্যবহার করিতে পারিবে৷
কার্যধারা ইত্যাদির খরচ
১০৩৷ কোন দেনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখিবার খরচসহ এই আইনের অধীন কার্যধারার সকল খরচ, বিধির বিধান সাপেক্ষে, আদালত উহার ইচ্ছা অনুসারে নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
আদালতসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা
১০৪৷ দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার ব্যাপারে এখ্‌তিয়ার সম্পন্ন সকল আদালত এবং উহাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উক্তরূপ সকল কার্যধারায়, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে, পরস্পরকে সহায়তা এবং যৌথভাবে কাজ করিবে; এবং এইরূপ কোন একটি আদালত যদি কোন বিষয়ে অপর কোন এখ্‌তিয়ার সম্পন্ন আদালতের সহায়তার জন্য অনুরোধ করিয়া আদেশ প্রদান করে, তবে উক্ত আদেশবলে দ্বিতীয়োক্ত আদালত উক্ত আদেশের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সেই একই এখ্‌তিয়ার প্রয়োগ করিতে পারিবে যে এখ্‌তিয়ার উহার স্বীয় অধিক্ষেত্রে উদ্ভূত অনুরূপ বিষয়ে প্রয়োগ করিতে পারে৷
তামাদি সংক্রান্ত বিধান
১০৫৷ (১) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) এর section 4 এবং section 12 এই আইনের অধীন আপীল এবং আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে এবং উক্ত section 12 এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উক্ত Act, এর section 4 এর অধীন প্রদত্ত সিদ্ধান্ত একটি ডিক্রী বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীনে কোন দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদ করার ক্ষেত্রে, উক্ত ঘোষণাদেশ এর অনুপস্থিতিতে কোন ডিক্রী বাস্তবায়নের জন্য কোন কার্যধারা দায়ের করার ব্যাপারে অনুমোদিত সময়সীমা (limitation) গণনার উদ্দেশ্যে, দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের তারিখ হইতে উহা রদ হওয়ার তারিখ পর্যন্ত সময় (উভয় তারিখ অন্তর্ভুক্ত) বাদ দিতে হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীনে যে দেনাটি প্রমাণযোগ্য অথচ উহা প্রমাণিত হয় নাই সেই দেনা সংক্রান্ত কার্যধারার ব্যাপারে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
সরকারী রিসিভারের তালিকা
১০৬৷ সরকার, সময় সময়, এইরূপ ব্যক্তিগণ (একক ব্যক্তি, অংশীদারী প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানীসহ) এর সমন্বয়ে একটি অনুমোদিত রিসিভার তালিকা প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করিবে যাহারা উত্তম চরিত্রের অধিকারী এবং জনস্বার্থে রিসিভার হিসাবে কাজ করার জন্য উপযুক্ত, এইরূপ রিসিভারগণ সরকারী রিসিভার নামে অভিহিত হইবেন৷
সরকারী রিসিভারগণকে কতিপয় ক্ষমতা অর্পণ
১০৭৷ (১) সরকার সময় সময় এইরূপ নির্দেশ দিতে পারিবে যে, এই আইনের অধীনে যে সকল বিষয়ে আদালত এখ্‌তিয়ার প্রয়োগ করিতে পারে, সেই সকল বিষয় সম্পর্কে সরকারী রিসিভার, আদালতের কোন নির্দেশ থাকিলে তাহা সাপেক্ষে, নিম্্নরূপ সকল বা যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) তফসিল প্রণয়ন এবং পাওনাদারগণ কর্তৃক উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান;
 
 
 
 
(খ) জরুরী পরিস্থিততে অন্তর্বর্তী আদেশ প্রদান; এবং
 
 
 
 
(গ) অনাপত্তিকৃত কোন আবেদন বা একতরফাভাবে কোন আবেদনের নিষ্পত্তি৷
 
 
 
 
(২) ধারা ৯৬ তে প্রদত্ত আপীলের অধিকার সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলে সরকারী রিসিভারের যে কোন আদেশ বা কার্য আদালতের আদেশ বা কার্য বলিয়া গণ্য হইবে৷
রিসিভার, ইত্যাদি জনসেবক
১০৮৷ অন্তর্বর্তী রিসিভার ও সরকারী রিসিভারসহ এই আইনের অধীনে নিযুক্ত যে কোন রিসিভার, ধারা ৬৪(৩) এর অধীনে নিযুক্ত যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং ধারা ৪৬(৯) এর অধীনে নিযুক্ত কোন বিশেষ ব্যবস্থাপক, এই আইনের অধীন কোন কার্যধারা সূত্রে তাহারা যে কাজ করেন বা প্রয়োজনীয় কাজ না করেন (omission) উহার ব্যাপারে, দণ্ডবিধির ২১ ধারার তাত্পর্যাধীনে, জনসেবক (public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন৷
কার্যধারা স্থানান্তর
১০৯৷ (১) দেনাদার, কোন যথাযোগ্য পাওনাদার বা রিসিভারের আবেদনক্রমে, জেলা আদালত, উহার বিবেচনামতে যথাযথ পক্ষগণকে নোটিশ প্রদানের পর-
 
 
 
 
(ক) উহার নিকট বা উহার অধীনস্থ কোন আদালতের নিকট নিষ্পন্নাধীন কার্যধারা নিজ আদালতে, অথবা উহার অধীনস্থ এবং এখ্‌তিয়ার সম্পন্ন কোন আদালতে, স্থানান্তর করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) উহার অধীনস্থ আদালতে নিষ্পন্নাধীন কোন কার্যধারা প্রত্যাহার করিতে এবং-
 
 
 
 
(অ) নিজেই উহা নিষ্পত্তি করিতে পারিবে; অথবা
 
 
 
 
(আ) কার্যধারাটি নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে উহার অধীনস্থ এবং এখ্‌তিয়ার সম্পন্ন কোন আদালতে স্থানান্তর করিতে পারিবে; অথবা
 
 
 
 
(ই) যে আদালত হইতে কার্যধারাটি প্রত্যাহার করা হইয়াছিল সেই আদালতে পুনঃস্থানান্তর করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷-এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অতিরিক্ত জেলাজজ এর আদালত জেলা আদালতের অধীনস্থ বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) দেনাদার বা কোন যথাযোগ্য পাওনাদারের আবেদনক্রমে, হাইকোর্ট বিভাগ, উহার বিবেচনামতে যথাযথ পক্ষগণকে নোটিশ প্রদানের পর যে কোন আদালতে নিষ্পন্নাধীন কার্যধারা অপর কোন জেলার এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন আদালতে স্থানান্তর করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) জেলা আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগ এই ধারার অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কোন কার্যধারা স্থানান্তর করিবে না, যদি না লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক উহা এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্তরূপ স্থানান্তর ব্যতীত আবেদনকারীর প্রতি গুরুতর অবিচার হইবে, অথবা কার্যধারাটি যে আদালতে স্থানান্তর করা হয় সেখানে সর্বাপেক্ষা সুবিধাজনক উপায়ে নিষ্পত্তি করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীন কোন আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে, এবং উক্ত আবেদনে উল্লিখিত কারণে পুনরায় এইরূপ আবেদন করা চলিবে না৷
আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা
১১০৷ দেনাদার, কোন পাওনাদার বা রিসিভারের আবেদনক্রমে, আদালত উহার বিবেচনামতে যথাযথ এমন যে কোন আদেশ দিতে পারিবে, যাহা ন্যায় বিচারের স্বার্থে বা আদালতীয় কার্যক্রমের (process of Court) অপব্যবহার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় বলিয়া উহা মনে করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা এমন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হইবে না, যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীনে অন্য কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা আছে৷
কতিপয় ভুলত্রুটি সংশোধনে আদালতের ক্ষমতা
১১১৷ যে কোন সময় আদালত-
 
 
 
 
(ক) উহার কোন আদেশে পরিলক্ষিত কোন করণিক বা গাণিতিক ভুল, অথবা অসাবধানতার কারণে সংঘটিত কোন ভুল বা বর্জনকৃত বিষয় সংশোধন করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) কোন কার্যধারায় উত্থাপিত কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় মনে করিলে, উহার কোন আদেশে পরিলক্ষিত অপূর্ণতা বা ভুল সংশোধন করিতে পারিবে৷
কোর্ট ফি
১১২৷ আদালতে কোন আর্জি দাখিলের উদ্দেশ্যে ১০০.০০ (একশত) টাকার কোর্ট ফি প্রয়োজন হইবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
১১৩৷ এই আইনের অধীনে সরকার, রিসিভার বা অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম বা অনুরূপভাবে কৃত বলিয়া বিবেচনা করা যায় এইরূপ কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, রিসিভার বা উক্তরূপ অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী বা অন্যবিধ কার্যধারা রুজু করা চলিবে না৷
অসুবিধা দূরীকরণ
১১৪৷ অস্পষ্টতার কারণে এই আইনের কোন বিধান বাস্তবায়নে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত অসুবিধা দূর করিতে পারিবে৷
অন্যান্য আদালত ইত্যাদির এখ্‌তিয়ার নিষিদ্ধ
১১৫৷ এই আইনের অধীন কোন কার্যধারার ব্যাপারে, এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত অন্য কোনভাবে, কোন আদালতে বা কর্তৃপক্ষের নিকট কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
অন্যান্য আইনে উল্লিখিত Insolvent শব্দের ব্যাখ্যা
১১৬৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে উল্লিখিত Insolvent শব্দ বা তদুদ্ভূত (derivative) অন্য শব্দ উল্লিখিত থাকিলে তদ্বারা যথাক্রমে "bankrupt” শব্দ বা তদুদ্ভূত অনুরূপ শব্দকে বুঝানো হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিতে হইবে৷
বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা
১১৭৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকল্পে সরকার বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপরিউক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া নিম্্নবর্ণিত বিষয়গুলি সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকারী রিসিভার ব্যতীত অন্যান্য রিসিভার নিয়োগ এবং তাহাদের নিয়োগ ও পারিশ্রমিক প্রদানের পদ্ধতি;
 
 
 
 
(খ) রিসিভারের হিসাব-পত্র নিরীক্ষা এবং উক্ত নিরীক্ষার খরচ;
 
 
 
 
(গ) পাওনাদারগণ এবং পাওনাদার কমিটির সভা;
 
 
 
 
(ঘ) দেনাদার কোন অংশীদারী কারবারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি;
 
 
 
 
(ঙ) বণ্টনযোগ্য সম্পদের সংক্ষিপ্ত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি; এবং
 
 
 
 
(চ) বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যায় বা করিতে হইবে এইরূপ যে কোন বিষয়৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীন প্রণীত সকল বিধি সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিতে হইবে এবং উক্তরূপে প্রকাশিত হইলে উহা বলবত্ হইবে৷
ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ
১১৮৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনুদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে৷
রহিতকরণ ও হেফাজত
১১৯৷ (১) Insolvency (Dhaka) Act, 1909 (III of 1909) এবং Insolvency Act, 1920 (V of 1920) এতদ্‌দ্বারা রহিত করা হইল৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে রহিতকৃত Act দুইটির অধীনে কোন কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকিলে, উক্ত কার্যধারা রহিতকৃত যে Act এর অধীনে নিষ্পন্নাধীন ছিল, সেই Act এর বিধান অনুসারে এইরূপ নিষ্পত্তি করিতে হইবে, যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs