প্রিন্ট ভিউ

বিমান-নিরাপত্তা বিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১৭ নং আইন )

বিমানের নিরাপত্তা হানিকর অপরাধ দমন ও কতিপয় কার্যকলাপ সংক্রান্ত টোকিও কনভেনশন, হেগ কনভেনশন ও মন্ট্রিল কনভেনশনের বিধানাবলীকে কার্যকর করার নিমিত্ত প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু বিমানের নিরাপত্তা হানিকর অপরাধ দমন এবং এতদসংক্রান্ত কতিপয় কার্যকলাপ সংক্রান্ত টোকিও কনভেনশন, হেগ কনভেনশন ও মন্ট্রিল কনভেনশনে বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হইয়াছে;
 
 
 
 
এবং যেহেতু উক্ত কনভেনশনগুলির বিধানাবলীকে কার্যকর করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন বিমান-নিরাপত্তা বিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকরী হইবে৷
সংজ্ঞা
 
২৷ (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
(ক) “কনভেনশনভুক্ত দেশ” অর্থ যে দেশে টোকিও কনভেনশন, হেগ কনভেনশন বা মন্ট্রিল কনভেনশন আপাততঃ বলবত্ আছে;
 
(খ) “টোকিও কনভেনশন” অর্থ ১৯৬৩ খৃষ্টাব্দের ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিখে টোকিওতে সম্পাদিত Convention on Offences and Certain Other Acts Committed on Board Aircraft;
 
(গ) “বাংলাদেশী বিমান” অর্থ এমন একটি বিমান যাহা-
 
(অ) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত; অথবা
 
(আ) আপাততঃ কোন দেশে নিবন্ধনকৃত না থাকা সত্ত্বেও উহার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা উহাতে আইনানুগ অধিকারসম্পন্ন বা সুবিধা লাভের অধিকারসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তি-
 
(১) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন বিমানে আইনানুগ অধিকার বা সুবিধা লাভের অধিকার অর্জনের যোগ্যতা রাখেন; অথবা
 
(২) বাংলাদেশে বাস করেন বা তাহার বা উহার প্রধান কর্মস্থল বাংলাদেশে অবস্থিত; অথবা
 
(ই) বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোন দেশে নিবন্ধনকৃত, কিন্তু উহা এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের দ্বারা এককভাবে ভাড়ায় ব্যবহারের জন্য চুক্তিবদ্ধ (Chartered) যে উক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের প্রত্যেক উপ-দফা (আ) এর অনুচ্ছেদ (১) ও (২) এর শর্ত পূরণ করেন;
 
(ঘ) “বিমান” অর্থ, সামরিক বাহিনী, সীমান্ত রক্ষী, উপকূল রক্ষী, পুলিশ বাহিনী বা শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাজে ব্যবহৃত আকাশযান (Aircraft) ব্যতীত, বাংলাদেশে বা অন্য কোন দেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত যে কোন আকাশযান;
 
(ঙ) “বিমান-অধিনায়ক” অর্থ বিমানের এমন একজন ক্রু-সদস্য যিনি বিমানের অধিনায়ক হিসাবে নিয়োজিত; বিমান-অধিনায়কের অনুপস্থিতি বা দায়িত্ব পালনে অপারগতার ক্ষেত্রে বিমান অধিনায়কের দায়িত্ব পালনরত পাইলটও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
 
(চ) “ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ” অর্থ কোন বিমানের ক্ষেত্রে, কোন নির্দিষ্ট সময়ে যে ব্যক্তি বা সংস্থা উক্ত বিমানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন;
 
(ছ) “মন্ট্রিল কনভেনশন” অর্থ ১৯৭১ খৃষ্টাব্দের ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখে মন্ট্রিলে সম্পাদিত Convention for the Suppression of Unlawful Acts Against the Safety of Civil Aviation;
 
(জ) “যথাযথ কর্তৃপক্ষ” অর্থ-
 
(অ) বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, কোন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যথাযথ কর্তৃপক্ষ হিসাবে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত কোন কর্মকর্তা; এবং
 
(আ) কনভেনশনভুক্ত কোন দেশের ক্ষেত্রে, সেই দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বা উক্ত দেশ কর্তৃক টোকিও কনভেনশন বা হেগ কনভেনশন বা মন্ট্রিল কনভেনশনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ হিসাবে ঘোষিত অন্য কোন ব্যক্তি;
 
(ঝ) “সামরিক বিমান” অর্থ যে কোন দেশের স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী বা বিমান বাহিনীর কোন আকাশযান এবং এমন কোন আকাশযান যাহা উক্ত বাহিনীর কোন নির্দিষ্ট কাজে উহার কোন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়;
 
(ঞ) কোন বিমানের ক্ষেত্রে, “সার্ভিসে থাকা” অর্থ কোন নির্দিষ্ট বিমান যাত্রার উদ্দেশ্যে বিমান বন্দরের কর্মীগণ (Ground Staff) বা বিমানের ক্রু-সদস্যগণ যে সময়ে প্রস্তুতি লওয়া শুরু করেন সেই সময় হইতে উক্ত যাত্রা শেষে ‘বিমান'টির অবতররে পর ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টা সময়, এবং উক্ত সময়ের মধ্যে উহার উড্ডয়নে থাকার সময়ও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
(ট) “হেগ কনভেনশন” অর্থ ১৯৭০ খৃষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে হেগে সম্পাদিত Convention for Suppression of Unlawful Seizure of Aircraft;
 
(ঠ) কোন দেশ, রাষ্ট্র বা উহার সীমানাভুক্ত এলাকার উল্লেখ থাকিলে, এইরূপ উল্লেখে উক্ত রাষ্ট্রের সমুদ্র সীমানা (Territorial Waters), যদি থাকে, এবং উহার আকাশ সীমা অন্তর্ভুক্ত হইবে, এবং উড্ডয়নে থাকা কোন বিমানের উল্লেখ থাকিলে, উক্ত উল্লেখে ঐ সময়ে সেই দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা বহির্ভূত অন্য কোন এলাকার আকাশসীমায় বিমানটির সেইরূপ অবস্থানও অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন বিমানে “উড্ডয়ন অবস্থা” বা “উড্ডয়নে থাকা” বলিতে নিম্নবর্ণিত সময় অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
 
(ক) উক্ত বিমানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের আরোহন অন্তে বিমানটির বহিঃদরজা বন্ধ করার পর হইতে উহার অবতরণের পর উক্ত দরজা খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সময়; এবং
 
(খ) কোন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির কারণে বাধ্যতামূলক অবতরণের (Force landing) ক্ষেত্রে, বিমানের অবতরণ স্থানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত সময় বা ক্ষেত্রমত উক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিমানের সকল আরোহী এবং উহাতে অবস্থিত সকল বস্তুসহ বিমানটির দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সময়৷

দ্বিতীয় অধ্যায়

সাধারণ বিধানাবলী

বিমান-অধিনায়কের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
৩৷ (১) কোন বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে বিমান অধিনায়কের যদি এই মর্মে বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে,-
 
 
 
 
(ক) উহার আরোহী কোন ব্যক্তি এমন কোন কাজ করিয়াছেন বা করিতে উদ্যত হইয়াছেন যাহা উক্ত বিমান বা উহাতে অবস্থিত কোন বস্তু বা উহার অন্যান্য আরোহীর নিরাপত্তাহানী করিয়াছে বা করিতে পারে, বা উহার সুপরিবেশ ও শৃংখলাহানী করিয়াছে বা করিতে পারে, অথবা
 
 
 
 
(খ) উহার আরোহী কোন ব্যক্তি এমন কোন কাজ করিয়াছেন যাহা, বিমানটির নিবন্ধনকারী দেশের ধর্ম, বর্ণ বা জাতিগত বৈষম্যমূলক আইন বা রাজনৈতিক প্রকৃতির আইন ব্যতীত, অন্যান্য আইনের অধীনে একটি অপরাধ,
 
 
 
 
তাহা হইলে বিমান অধিনায়ক, এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, উক্ত আরোহীর উপর যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করিতে পারিবেন বা তাহাকে আটক করাসহ তাহার সম্পর্কে অন্য যে কোন যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন ব্যক্তির উপর বাধানিষেধ আরোপ বা তাহাকে আটক করার উদ্দেশ্যে বিমান-অধিনায়ক তাহাকে সহায়তা করার জন্য বিমানটির অন্য যে কোন ক্রু-সদস্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে এবং যে কোন আরোহীকে প্রয়োজনীয় অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ বা অনুরোধ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) বিমানটির কোন ক্রু-সদস্য বা আরোহীর যদি এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, বিমানটির বা উহার কোন আরোহী বা উহাতে অবস্থিত কোন বস্তুর নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে কোন কাজ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত ক্রু-সদস্য বা আরোহী, উপ-ধারা (২) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্তি ব্যতিরেকেই, উক্ত কাজ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীনে কোন আরোহীর উপর বাধানিষেধ আরোপ বা তাহাকে আটকের পর প্রথম যখন বিমানটির উড্ডয়ন অবস্থার সমাপ্তি ঘটে তখনই উক্ত বাধানিষেধ বা আটকাবস্থার সমাপ্তি ঘটিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিমান-অধিনায়ক যদি উড্ডয়ন অবস্থা সমাপ্তি স্থানের উপর এখতিয়ারসম্পন্ন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে উপ-ধারা (৬) অনুসারে উক্ত বাধানিষেধ আরোপ বা আটক সম্পর্কে অবহিত করিতে না পারেন, অথবা ক্ষেত্রমত সংশ্লিষ্ট আরোহীকে উপ-ধারা (৫) এর অধীনে নামাইয়া দিতে বা সমর্পণ করিতে না পারেন, অথবা উক্ত আরোহী বাধানিষেধ আরোপিত বা আটকাবস্থায় উক্ত বিমানে তাহার যাত্রা অব্যাহত রাখিতে সম্মত হন, তাহা হইলে উড্ডয়ন অবস্থার সমাপ্তি ঘটিবে না৷
 
 
 
 
(৫) কোন আরোহী সম্পর্কে যদি বিমান-অধিনায়কের এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে,-
 
 
 
 
(ক) বিমানে উপ-ধারা (১) (ক)- তে বর্ণিত অবস্থা বিরাজমান এবং সে কারণে উক্ত আরোহীকে বিমান হইতে নামাইয়া দেওয়া প্রয়োজন তাহা হইলে তিনি উক্ত আরোহীকে বিমান হইতে যে কোন দেশে নামাইয়া দিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) উক্ত আরোহী উপ-ধারা (১)(খ) তে বর্ণিত অপরাধ করিয়াছেন, তাহা হইলে তাহাকে টোকিও কনভেনশনভুক্ত দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৬) বিমান হইতে কোন আরোহীকে কোন দেশে নামাইয়া দেওয়ার বা সমর্পণ করার ক্ষেত্রে, বিমান-অধিনায়ক উক্তরূপ নামাইয়া দেওয়া বা সমর্পণের ইচ্ছা এবং কারণ সম্পর্কে, যথাশীঘ্র এবং সম্ভব হইলে বিমান অবতরণের পূর্বেই, নিম্্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) নামাইয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে, যে দেশে নামাইয়া দেওয়া হইবে সেই দেশের এখতিয়ার সম্পন্ন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে;
 
 
 
 
(খ) সমর্পণের ক্ষেত্রে, টোকিও কনভেনশনভুক্ত যে দেশে সমর্পণ করা হইবে সেই দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে; এবং
 
 
 
 
(গ) উক্ত আরোহী যে দেশের নাগরিক সেই দেশে নামাইয়া না দেওয়া বা সমর্পণ না করার ক্ষেত্রে, উক্ত দেশের দূতাবাস বা কনসুলার অফিসকে, যাহা অবতরণ স্থানের নিকটতম হয়৷
টোকিও কনভেনশনভুক্ত দেশের বিমান অধিনায়ককে বিমান অবতরণ ইত্যাদির সুবিধা প্রদান
৪৷ যদি টোকিও কনভেনশনভুক্ত দেশে নিবন্ধনকৃত কোন বিমানের বিমান-অধিনায়ক বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে অবহিত করেন যে, তিনি ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৫) এর অধীনে কোন আরোহীকে বাংলাদেশে নামাইয়া দিতে বা সমর্পণ করিতে চাহেন, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ-
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশে উক্ত বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগের ব্যবস্থা করিবে;
 
 
 
 
(খ) উক্ত আরোহীকে বিমান হইতে নামাইয়া দিবার বা সমর্পণ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ দিবে; এবং
 
 
 
 
(গ) উক্ত আরোহীকে নামাইয়া দেওয়া বা সমর্পণের পর তাহাকে গ্রেপ্তার করিবে৷
কোন আরোহীকে বিমান হইতে নামাইয়া দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব
৫৷ (১) কোন আরোহীকে ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৫) এর অধীনে কোন বিমান হইতে বাংলাদেশে নামাইয়া দেওয়া বা সমর্পণ করা হইলে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ-
 
 
 
 
(ক) সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলী সম্পর্কে একটি প্রাথমিক তদন্ত করিবে;
 
 
 
 
(খ) উক্ত আরোহী বাংলাদেশী না হইলে, তিনি যে দেশের নাগরিক সেই দেশের যথাযথ প্রতিনিধির সহিত যোগাযোগ করার ব্যাপারে তাহাকে সহায়তা করিবে;
 
 
 
 
(গ) উক্ত ব্যক্তির সমর্পণ এবং যে সকল কারণে তাহাকে গ্রেপ্তার করা হইয়াছে বা গ্রেপ্তারকৃত রাখা প্রয়োজন সেই সম্পর্কে নিম্্নবর্ণিত দেশগুলিকে অবহিত করিবে, যথা:-
 
 
 
 
(অ) যে কনভেনশনভু্‌ক্ত দেশে বিমানটি নিবন্ধনকৃত হইয়াছে সেই দেশ;
 
 
 
 
(আ) উক্ত আরোহী বাংলাদেশের নাগরিক না হইলে, তিনি যে দেশের নাগরিক সেই দেশ; এবং
 
 
 
 
(ই) সামগ্রিক বিষয়টি সম্পর্কে অন্য কোন দেশের স্বার্থ জড়িত থাকিলে, সেই দেশ৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীন প্রাথমিক তদন্তের পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ উক্ত উপ-ধারার দফা (গ) তে উল্লিখিত দেশগুলিকে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে, এবং উহার ভিত্তিতে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হইলে উক্ত অপরাধের ব্যাপারে বিচার বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম শুরু করিতে ইচ্ছুক কিনা সেই সম্পর্কেও, অবহিত করিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী কার্যধারা বা তাহাকে বহিঃসমর্পণ সংক্রান্ত কার্যধারা গৃহীত না হইলে এবং উক্ত ব্যক্তি তাহার যাত্রা অব্যাহত রাখিতে চাহিলে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাত্রা অব্যাহত রাখিবার সুযোগ দিবে; এবং তিনি যাত্রা অব্যাহত রাখিতে না চাহিলে, তিনি যে রাষ্ট্রের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা অথবা তিনি যে দেশ হইতে বিমানে যাত্রা শুরু করিয়াছিলেন, সেই দেশের নিকট যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাহাকে ফেরত্ দিতে পারিবে৷
বিমান হইতে নামাইয়া দেওয়া ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশে প্রবেশের অধিকার না জন্মানো
৬৷ ধারা ৩ এর অধীনে বিমানের কোন আরোহীকে বাংলাদেশে নামাইয়া দেওয়া হইয়াছে বা বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তাহাকে সমর্পণ করা হইয়াছে শুধু এই কারণে উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হইয়াছে মর্মে গণ্য করা হইবে না৷
ফৌজদারী আইনের প্রয়োগ
৭৷ কোন বাংলাদেশী বিমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানায় বাহিরে উড্ডয়নে থাকাকালে বিমানের আরোহী কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কাজ করেন বা করণীয় কাজ হইতে বিরত থাকেন যাহা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের অধীন একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তাহা হইলে উক্ত কাজ করা বা করণীয় কাজ হইতে বিরত থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানায় সংঘটিত অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিমান অন্য কোন রাষ্ট্রীয় সীমানায় উড্ডয়নে থাকাকালে বিমানটিতে যদি এমন কোন কাজ করা বা করণীয় কাজ করা হইতে বিরত থাকা হয় যাহা উক্ত রাষ্ট্রের আইনের দ্বারা বা অধীনে অনুমোদিত, তাহা হইলে উক্ত কাজ করা বা করণীয় কাজ হইতে বিরত থাকার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
আদালতের অধিক্ষেত্র
৮৷ উড্ডয়নে থাকাকালে কোন বিমানে যদি এই আইনসহ বাংলাদেশে বলবত্ যে কোন আইনের অধীনে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানায় যে স্থানে পাওয়া যাইবে সেই স্থানেই তিনি অপরাধটি সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং সেই স্থানের উপর এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত তাহার বিচার করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ১১, ১২ এবং ১৩ এর অধীনে কোন অপরাধ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার বাহিরে সংঘটিত হইলে, কোন আদালত অপরাধটি আমলে লইবে না, যদি না-
 
 
 
 
(ক) উক্ত অপরাধ কোন বাংলাদেশী বিমানের কোন আরোহী কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকে; অথবা
 
 
 
 
(খ) উক্ত অপরাধ এমন একটি বিমানের আরোহী কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকে যাহা, উহার ক্রু-সদস্য ব্যতীত, এইরূপ কোন ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট ভাড়া (Lease) দেওয়া হইয়াছে যে ব্যক্তি বা সংস্থার প্রধান কর্মস্থল বাংলাদেশে অবস্থিত বা, এইরূপ কোন কর্মস্থল না থাকিলে, তাহার বা উহার স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশে অবস্থিত; অথবা
 
 
 
 
(গ) অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হন অথবা তাহাকে বাংলাদেশে পাওয়া যায় অথবা যে বিমানের আরোহী হিসাবে তিনি উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া অভিযোগ করা হইয়াছে সেই বিমানটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানায় অবতরণ করিয়া থাকে৷
বিমানে সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে সাক্ষ্যগ্রহণ সংক্রান্ত বিধান
৯৷ (১) Evidence Act, 1872 (Act 1 of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন যে ক্ষেত্রে কোন বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে উহাতে সংঘটিত কোন কার্যকলাপ বা অপরাধের ব্যাপারে কোন বাংলাদেশী আদালতের কার্যধারায় এমন কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রয়োজন হয় যাহাকে, বিশেষ কোন কারণে, বা অযৌক্তিক সময়ক্ষেপণ বা খরচ ব্যতীত, বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে হাজির করান সম্ভব নহে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে তাহার মৌখিক সাক্ষ্য (Deposition) উক্ত কার্যধারায় গ্রহণ করা যাইবে, যদি তিনি উক্ত সাক্ষ্য শপথপূর্বক-
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশের বাহিরে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে প্রদান করিয়া থাকেন; এবং
 
 
 
 
(খ) সংশ্লিষ্ট দেশের কোন বিচারক বা ম্যাজিষ্ট্রেট বা উক্ত দেশের আইনানুসারে উক্তরূপ সাক্ষ্য গ্রহণের এখতিয়ারসম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা বাংলাদেশের কোন কনসুলার কর্মকর্তার সম্মুখে প্রদান করিয়া থাকেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিচারক, ম্যাজিষ্ট্রেট, ব্যক্তি বা কর্মকর্তা কর্তৃক সাক্ষীর বক্তব্য স্বাক্ষরিত না হইলে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি সাক্ষ্য গ্রহণের সময় তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন মর্মে উক্ত স্বাক্ষরকারী প্রত্যয়ন না করিলে, কোন মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(৩) কোন আইনগত কার্যধারায় উপরি-উক্ত বিচারক, ম্যাজিষ্ট্রেট, ব্যক্তি বা কর্মকর্তার স্বাক্ষর বা তাহার পদবীর সত্যতা প্রমাণের প্রয়োজন হইবে না এবং, বিপরীত প্রমাণিত না হইলে, উক্তরূপ মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহণের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতির প্রমাণ হিসাবে উক্ত প্রত্যয়নপত্রই পর্যাপ্ত সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা বহির্ভূত কোন স্থানে কোন বাংলাদেশী বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে উহাতে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে মর্মে কোন অভিযোগ উপরি-উক্ত কনসুলার কর্মকর্তার নিকট উত্থাপন করা হইলে, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিতে এবং এতদুদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শপথবাক্য পাঠ করাইয়া তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) কোন মৌখিক সাক্ষ্য এই ধারা ব্যতীত অন্য কোন আইনের অধীনে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইলে তাহা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান কোন বাধা হইবে না৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “মৌখিক সাক্ষ্য” বলিতে এফিডেভিট, দৃঢ়কথন (Affirmation) এবং বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(খ) কোন ব্যক্তি শপথবাক্য পাঠ করিতে আপত্তি করিলে তাহার ক্ষেত্রে, “শপথ” বলিতে তত্কর্তৃক সত্য বলিয়া প্রদত্ত ঘোষণা বা দৃঢ়কথনও অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
দালিলিক সাক্ষ্য সম্পর্কে বিধান
১০৷ (১) এই আইনের যে কোন কার্যধারায় The Civil Aviation Authority Ordinance, 1982 (XXVIII of 1982) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত Civil Aviation Authority কর্তৃক প্রকাশিত যে সকল দলিলকে “এরোনটিক্যাল ইনফরমেশন পাবলিকেশন্স” অথবা “নোটাম” অথবা “এরোনটিক্যাল ইনফরমেশন সার্কুলার” নামে অভিহিত করা হয় সেই সকল দলিল, উহাতে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদি সম্পর্কে, সাক্ষ্য বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) কোন বিমানের পরিস্থিতি সম্পর্কে উক্ত বিমান হইতে বা উহার নিকট প্রেরিত বা উহাতে প্রাপ্ত সংবাদ বা সংকেত উক্ত বিমানের পরিস্থিতি সম্পর্কে দালিলিক সাক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত এবং সংশ্লিষ্ট যে কোন কার্যধারায় গ্রহণযোগ্য হইবে৷
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

অপরাধসমূহ, ইত্যাদি

বিমান ছিনতাই ও উহার দণ্ড
১১৷ (১) কোন বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে উহার কোন আরোহী বেআইনী বল প্রয়োগের মাধ্যমে বা বল প্রয়োগের ভীতি প্রদর্শন বা অন্য যে কোন প্রকার ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বা অন্য কোন উপায়ে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দখল করিলে বা বিমানটিকে যে কোন প্রকারে নিয়ন্ত্রণ করিলে তাহার উক্ত কাজ বিমান ছিনতাই এর অপরাধ হইবে৷
 
 
 
 
(২) কোন বিমানের ব্যাপারে কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা করিলে বা উহা সংঘটনে সহায়তা করিলে তিনিও বিমান ছিনতাই এর অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি বিমান ছিনতাই এর অপরাধ করিলে তিনি অন্যুন পাঁচ বত্সর এবং অনধিক বিশ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, অথবা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং তদুপরি অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
বিমান ছিনতাই সংক্রান্ত সহিংস কার্যকলাপের দণ্ড
১২৷ কোন ব্যক্তি বিমান ছিনতাই এর অপরাধ সংঘটনের সূত্রে বিমানের কোন আরোহী বা কোন ক্রু-সদস্য এর প্রতি যদি এমন কোন কাজ করেন যাহা অন্য কোন আইনের অধীনে একটি অপরাধ, তাহা হইলে তিনি উক্ত কাজের জন্য উক্ত অন্য আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের দায়েও দোষী হইবেন এবং তদনুসারে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বিমান উড্ডয়ন ইত্যাদি অবস্থায় সহিংসতা ও উহার দণ্ড
১৩৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি বেআইনী ও ইচ্ছাকৃতভাবে-
 
 
 
 
(ক) কোন বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে, উহার কোন আরোহী বা কোন ক্রু-সদস্য এর বিরুদ্ধে এমন কোন সহিংস কাজ করেন যাহা বিমানটির নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে বা করিতে পারে, অথবা
 
 
 
 
(খ) কোন বিমান সার্ভিসে থাকাকালে, উহাকে ধ্বংস করিয়া ফেলেন বা উহার এমন ক্ষতিসাধন করেন যে, বিমানটি উড্ডয়নের অনুপযোগী হইয়া পড়ে বা এমন কোন কাজ করেন যাহা উড্ডয়নে থাকাকালে বিমানটির নিরাপত্তা বিঘ্নিত করিতে পারে, অথবা
 
 
 
 
(গ) বিমানটি সার্ভিসে থাকাকালে, যে কোন উপায়ে উহাতে এমন কোন বস্তু স্থাপন করেন বা কৌশল অবলম্বন করেন যাহা বিমানটিকে ধ্বংস করিতে বা উহার উড্ডয়নযোগ্যতা নষ্ট করিতে বা উড্ডয়নে থাকাকালে উহার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করিতে পারে, অথবা
 
 
 
 
(ঘ) এমন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেন বা এমন সত্য গোপন করেন যাহা বিমানটি উড্ডয়নে থাকাকালে উহার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করিতে পারে বলিয়া তিনি জানেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে তিনি অন্যুন পাঁচ বত্সর এবং অনধিক বিশ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, অথবা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তদুপরি অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা করিলে, বা উহা সংঘটনের সহায়তা করিলে, তিনি উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বিমান চলাচলের অবকাঠামো ইত্যাদি ধ্বংস বা বিনষ্ট করা ও উহার দণ্ড
১৪৷ (১) কোন ব্যক্তি বেআইনীভাবে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বা অন্যান্য সুবিধাদি ধ্বংস বা বিনষ্ট করিলে, অথবা উক্ত অবকাঠামো বা সুবিধাদির ক্রিয়াশীলতা যদি এইরূপে বিঘ্নিত করেন যে, উড্ডয়নে থাকাকালে কোন বিমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হইতে পারে, তাহা হইলে তিনি অন্যুন পাঁচ বত্সর এবং অনধিক বিশ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, অথবা মৃতুদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং তদুপরি অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা করিলে, বা উহা সংঘটনের সহায়তা করিলে, তিনি উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বিমান-অধিনায়কের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দণ্ড
১৫৷ কোন বিমান-অধিনায়ক ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৬) এর বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে, তিনি অনধিক পাঁচ বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বিমান-অধিনায়কের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধাদানের দণ্ড
১৬৷ কোন ব্যক্তি কোন বাংলাদেশী বিমানের বিমান-অধিনায়ককে ধারা ৩ এর অধীন তাহার ক্ষমতা প্রয়োগে বাধাদান বা বিঘ্ন সৃষ্টি করিলে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বিমান-অধিনায়ককে সহায়তা না করার দণ্ড
১৭৷ কোন বাংলাদেশী বিমানের বিমান-অধিনায়ক তাহাকে সহায়তা করার জন্য ধারা ৩ এর অধীনে কোন ক্রু-সদস্যকে নির্দেশ বা ক্ষমতা প্রদান করা সত্ত্বেও উক্ত ক্রু-সদস্য উক্ত সহায়তা করিতে অস্বীকার করিলে বা ব্যর্থ হইলে, তিনি অনধিক দুই বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব
১৮৷ ধারা ১১, ১২, ১৩ বা ১৪ এর অধীন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হইলে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) হইতে (গ) এবং উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবে৷
অপরাধসমূহ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য
১৯৷ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সকল অপরাধ উক্ত Code এর তাত্পর্যাধীনে আমলযোগ্য (Cognizable) এবং অজামিনযোগ্য (Non bailable) হইবে৷
 
 

চতুর্থ অধ্যায়

বিবিধ

কনভেনশনভুক্ত দেশ
২০৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কনভেনশনভুক্ত দেশসমূহের নাম এবং উক্ত দেশসমূহ কনভেনশনের কতটুকু গ্রহণ করিয়াছে তাহা প্রকাশ করিবে এবং উক্ত প্রজ্ঞাপন, উহাতে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদি সম্পর্কে, চূড়ান্ত সাক্ষ্য হইবে৷
কতিপয় বিমানকে কনভেনশনভুক্ত দেশে নিবন্ধনকৃত গণ্য করার ক্ষমতা
২১৷ সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, টোকিও কনভেনশনের আর্টিকেল ১৮ বা হেগ কনভেনশনের আর্টিকেল ৫ বা মন্ট্রিল কনভেনশনের আর্টিকেল ৯ এর শর্তাবলী কোন বিমানের ক্ষেত্রে পূরণ করা হইয়াছে, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং উহাতে উক্ত বিমান এবং সংশ্লিষ্ট কনভেনশনভুক্ত দেশের নাম উল্লেখক্রমে, এইরূপ নির্দেশ দিতে পারিবে যে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিমানটিকে উক্ত দেশে নিবন্ধনকৃত একটি বিমান গণ্য করিতে হইবে৷
অপরাধীকে বহিঃসমর্পণ (Extradition) সংক্রান্ত বিধানাবলী
 
২২৷ Extradition Act, 1974 (LVIII of 1974), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এতদ্বারা ঘোষণা করা যাইতেছে যে,-
 
(ক) এই আইনের ধারা ১১, ১২, ১৩ এবং ১৪ এর অধীন অপরাধসমূহ উক্ত Act এর section 2(1)(a) তে প্রদত্ত সংজ্ঞাধীনে æExtradition Offence”;
 
(খ) হেগ বা মন্ট্রিল কনভেনশনভুক্ত কোন দেশের সহিত বহিঃসমর্পণ চুক্তি (Extradition Treaty) সম্পাদিত হইলে-
 
(অ) হেগ কনভেনশনভুক্ত দেশের সহিত সম্পাদিত চুক্তির ক্ষেত্রে, ধারা ১১ এবং ১২ এর অধীন অপরাধ, এবং
 
(আ) মন্ট্রিল কনভেনশনভুক্ত দেশের সহিত সম্পাদিত চুক্তি ক্ষেত্রে, ধারা ১৩ এবং ১৪ এর অধীন অপরাধ,
 
চুক্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত না থাকিলেও, চুক্তিটির আওতাভুক্ত বলিয়া এবং অপরাধসমূহের ব্যাপারে চুক্তিটি আইনানুগভাবে সম্পাদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং সে অনুসারে উহা বাংলাদেশের উপর বাধ্যতামূলক হইবে;
 
(গ) টোকিও কনভেনশনভুক্ত দেশে নিবন্ধনকৃত কোন বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে উহাতে উক্ত দেশের আইন অনুসারে কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, বিমানটি উক্ত দেশের অধিক্ষেত্রে থাকা বা না থাকা বা উহা একই সংগে অপর কোন রাষ্ট্রের অধিক্ষেত্রে থাকা নির্বিশেষে, অপরাধটি টোকিও কনভেনশনভুক্ত দেশের অধিক্ষেত্রে সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
 
(ঘ) হেগ কনভেনশনভুক্ত দেশে নিবন্ধনকৃত কোন বিমানের ক্ষেত্রে, ধারা ১১ বা ১২ এর অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, অথবা মন্ট্রিল কনভেনশনভুক্ত দেশে নিবন্ধনকৃত কোন বিমানের ক্ষেত্রে, ধারা ১৩ বা ১৪ এর অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, বিমানটি উক্ত কনভেনশনভুক্ত দেশের অধিক্ষেত্রে থাকা বা না থাকা বা একই সংগে অপর কোন দেশের অধিক্ষেত্রে থাকা নির্বিশেষে, অপরাধটি উক্ত কনভেনশনভুক্ত দেশের অধিক্ষেত্রে সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
অপরাধের ব্যাপারে আইনগত কার্যধারা শুরুর ক্ষেত্রে বাধা নিষেধ
২৩৷ সরকারের বা তত্কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত ব্যক্তির পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত এই আইনের অধীন কোন অপরাধের ব্যাপারে কোন বিচার কার্যক্রম শুরু করা যাইবে না৷
কতিপয় বিমানের ক্ষেত্রে সংশোধনসহ এই আইন প্রয়োগের ক্ষমতা
২৪৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দেশ দিতে পারিবে যে, ধারা ২(১)(গ) এর দফা (আ) তে বর্ণিত বিমানের ক্ষেত্রে, এই আইনের সকল বা যে কোন বিধান প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত সংশোধন বা পরিবর্তনসহ প্রযোজ্য হইবে৷
দায়মুক্তি
২৫৷ এই আইনের বিধান বা তদধীন জারীকৃত প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোন ক্ষমতা বা আদেশ বা কৃত অনুরোধ মোতাবেক সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কিছুর জন্য সরকার বা অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা চলিবে না৷
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২৬৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ নামে অভিহিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের বাংলা এবং ইংরেজী পাঠের মধ্যে কোন বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs