প্রিন্ট ভিউ
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
1[(ক) "অস্থায়ী চেয়ারম্যান" অর্থ চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;]
(খ) “ইউনিয়ন” এবং “ইউনিয়ন পরিষদ” অর্থ The Local Government (Union Parishads) Ordinance, 1983 (LI of 1983) এর section 2 এর যথাক্রমে clauses (26) এবং (27) এ সংজ্ঞায়িত "Union” এবং "Union Parishad” ;
(গ) “ইউনিয়ন প্রতিনিধি” অর্থ ধারা ৬ (গ) তে উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা তাঁহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ঘ) “উপজেলা” অর্থ ধারা ৩ এর অধীনে ঘোষিত কোন উপজেলা;
(ঙ) “কর” বলিতে এই আইনের অধীনে আরোপনীয় বা আদায়যোগ্য কোন রেইট, টোল, ফিস, বা অনুরূপ অন্য কোন অর্থ ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(চ) “চেয়ারম্যান” অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান;
(ছ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(জ) “পরিষদ” অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী গঠিত উপজেলা পরিষদ;
(ঝ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
2[(ঞ) "পৌর প্রতিনিধি" অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ)তে উল্লিখিত পৌরসভার মেয়র বা সাময়িকভাবে তাহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;]
(ট) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
3[(ঠ) "ভাইস চেয়ারম্যান" অর্থ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান;
(ড) "4[নারী] সদস্য" অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) তে উল্লেখিত পরিষদের সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত 5[নারী] সদস্য;
(ঢ) "সদস্য" অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্য যে কোন সদস্য 8[।]
11[৬। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হইবে, যথা :-
(ক) চেয়ারম্যান;
(খ) দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান, যাহার মধ্যে একজন 12[নারী] হইবেন;
(গ) উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সাময়িকভাবে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ঘ) উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক পৌরসভা, যদি থাকে, এর মেয়র বা সাময়িকভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি; এবং
(ঙ) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের 13[নারী] সদস্যগণ।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ভোটারদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচিত হইবেন।
(৩) কোন উপজেলার এলাকাভুক্ত কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বাতিল হইবার কারণে উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) ও (ঘ) এর অধীন উপজেলা পরিষদের সদস্য থাকিবেন না এবং এইরূপ সদস্য না থাকিলে উক্ত উপজেলা পরিষদ গঠনের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না।
(৪) প্রত্যেক উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা, যদি থাকে, এর মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের সম সংখ্যক আসন, অতঃপর সংরক্ষিত আসন বলিয়া উল্লিখিত, 14[নারীদের] জন্য সংরক্ষিত থাকিবে, যাহারা উক্ত উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা, যদি থাকে, এর সংরক্ষিত আসনের 15[নারী] সদস্য বা কাউন্সিলরগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় কোন কিছুই কোন 16[নারীকে] সংরক্ষিত আসন বহির্ভূত আসনে সরাসরি নির্বাচন করিবার অধিকারকে বারিত করিবে না।
ব্যাখ্যা : এই উপ-ধারার অধীন সংরক্ষিত আসনে সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে, যদি উক্ত সংখ্যার ভগ্নাংশ থাকে এবং উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেক বা তদূর্ধ্ব হয়, তবে উহাকে পূর্ণ সংখ্যা বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং যদি উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেকের কম হয়, তবে উহাকে উপেক্ষা করিতে হইবে।
(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন উপজেলা পরিষদ গঠিত হইবার পর উহার অধিক্ষেত্রের মধ্যে নূতন পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হইবার কারণে উপজেলা পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত আসন সংখ্যার কোন পরিবর্তন ঘটিবে না এবং এই কারণে বিদ্যমান উপজেলা পরিষদ গঠনের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না।
(৬) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) ও (ঘ) তে উল্লিখিত ব্যক্তি এই আইনের অধীন পরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
17[(৭) কোন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদের মধ্যে যে কোন একটি পদসহ শতকরা ৭৫ ভাগ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত সদস্যগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, পরিষদ, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে;]
18[(৮) উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুসারে পরিষদ যথাযথভাবে গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অথবা ধারা ১৪ এর বিধান অনুসারে একই সময়ে চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদই শূন্য হইলে বা থাকিলে পরিষদের যাবতীয় দায়িত্ব সরকার কর্তৃক নিয়োজিত ব্যক্তি বা কতৃর্পক্ষ সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত পদ্ধতিতে পালন করিবে।]]
৯৷ (১) 21[চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান] ও প্রত্যেক সদস্য তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে নিম্নলিখিত ফরমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোন ব্যক্তির সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন এবং শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন, যথা:-
22[শপথপত্র বা ঘোষণাপত্র
আমি...............................................................................................................
.........পিতা/স্বামী..............................................................................................
...............................................................জেলা........................
.....................................................উপজেলার চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/ সদস্য নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী এবং সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব।
23[(২) চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা 24[নারী] সদস্য হিসাবে নির্বাচিত ব্যক্তিগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যের শপথ গ্রহণ বা ঘোষণার জন্য সরকার বা তদকতৃর্ক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথ কারণ বিদ্যমান থাকার ক্ষেত্রে সরকার বা তদকর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পর মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবে, তবে এইরূপ বর্ধিত মেয়াদ উল্লিখিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখ হইতে কোনক্রমেই নববই দিন অতিক্রম করিবে না।]
33[১৩।(১) চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা 34[নারী] সদস্যসহ যে কোন সদস্য তাঁহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি তিনি-
(ক) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;
(খ) পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোন কার্যকলাপে জড়িত থাকেন অথবা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হন;
(গ) অসদাচরণ, দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সাধন বা উহার আত্মসাতের বা অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী হন;
(ঘ) তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাঁহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;
(ঙ) নির্বাচনের পর ধারা ৮ (২) অনুযায়ী নির্বাচনের অযোগ্য ছিলেন মর্মে প্রমাণিত হন;
(চ) বার্ষিক ১২(বার)টি মাসিক সভার মধ্যে ন্যূনতম ৯ (নয়)টি সভায় গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতিরেকে যোগদান করিতে ব্যর্থ হন;
35[ব্যাখ্যা।−(অ) এই উপ-ধারায় বর্ণিত ‘অসদাচরণ’ বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার,ধারা ১০ অনুযায়ী সম্পত্তি সম্পর্কিত ঘোষণা প্রদান না করা কিংবা অসত্য হলফনামা দাখিল করা, আইন ও বিধির পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি, অসদুপায়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি, ইচ্ছাকৃত অপশাসন, ইত্যাদি বুঝাইবে।
(আ) এই উপ-ধারায় বর্ণিত ‘নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ’ বলিতে দণ্ডবিধিতে সংজ্ঞায়িত চাঁদাবাজি, চুরি, দস্যুতা, ডাকাতি, ছিনতাই, সম্পত্তি আত্মসাৎ, বিশ্বাস ভংগ, ধর্ষণ, হত্যা, খুন এবং Prevention of Corruption Act, 1947 (Act. II of 1947) এ সংজ্ঞায়িত "Criminal misconduct" ইত্যাদি বুঝাইবে।]
(২) সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 36[নারী] সদস্য বা যে কোন সদস্যকে অপসারণ করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, অপসারণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিবার পূর্বে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তদন্ত করিতে ও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হইবে।
(৩) একজন চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 37[নারী] সদস্য বা যে কোন সদস্য উপ-ধারা (২) অনুসারে সরকার কর্তৃক আদেশ প্রদানের পর তাৎক্ষণিকভাবে অপসারিত হইবেন।
(৪) চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 38[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্যকে উপ-ধারা (২) অনুযায়ী তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করা হইলে, উক্ত অপসারণ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি সরকারের নিকট উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হইলে উহা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত অপসারণ আদেশটি স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবং আবেদনকারীকে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদানের পর উক্ত আদেশটি পরিবর্তন, বাতিল বা বহাল রাখিতে পারিবেন।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৭) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন ব্যক্তি কোন পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।]
39[১৩ক। (১) এ আইনের কোন বিধান লংঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে বা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে পরিষদের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 40[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব পরিষদের চার-পঞ্চমাংশ সদস্যের স্বাক্ষরে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।
(৩) অনাস্থা প্রস্তাব প্রাপ্তির পর বিভাগীয় কমিশনার অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে তদন্ত করিবার উদ্দেশ্যে পনের কার্যদিবসের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা অভিযোগসমূহের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য দশ কার্যদিবসের সময় প্রদান করিয়া অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 41[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হইলে তদন্ত কর্মকর্তা জবাব প্রাপ্তির অনধিক ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে যে সকল অভিযোগের বর্ণনা করা হইয়াছে, সে সকল অভিযোগ তদন্ত করিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী তদন্ত করিবার পর সংশ্লিষ্ট অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হইলে তদন্ত কর্মকর্তা অনধিক পনের কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা 42[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্যসহ ভোটাধিকার সম্পন্ন সংশ্লিষ্ট সকল সদস্যের নিকট সভার নোটিশ প্রেরণ নিশ্চিতকরণপূর্বক পরিষদের বিশেষ সভা আহবান করিবেন।
(৬) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্যানেল চেয়ারম্যান (ক্রমানুসারে) এবং কোন ভাইস চেয়ারম্যান বা 43[নারী] সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে পরিষদের চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান বা প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণের মধ্য হইতে যেকোন একজন সদস্যকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত করা যাইবে।
(৭) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা সভায় একজন পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত থাকিবেন।
(৮) পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার চার-পঞ্চমাংশ সদস্য সমন্বয়ে সভার কোরাম গঠিত হইবে।
(৯) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে আহুত সভা কোরাম বা নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণ ব্যতিরেকে স্থগিত করা যাইবে না এবং সভা আরম্ভ হইবার তিন ঘণ্টার মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব না হইলে অনাস্থা প্রস্তাবটির উপর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করিতে হইবে।
(১০) সভার সভাপতি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন প্রকাশ্য মতামত প্রকাশ করিবেন না, তবে তিনি ব্যালটের মাধ্যমে উপ-ধারা (৯) অনুযায়ী ভোট প্রদান করিতে পারিবেন, কিন্তু তিনি নির্ণায়ক বা দ্বিতীয় ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না।
(১১) অনাস্থা প্রস্তাবটি পরিষদের কমপক্ষে চার-পঞ্চমাংশ সদস্য কর্তৃক ভোটে গৃহীত হইতে হইবে।
(১২) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা সভা শেষ হইবার পর অনাস্থা প্রস্তাবের কপি, ব্যালট পেপার, ভোটের ফলাফলসহ সভার কার্যবিবরণী প্রস্তুত করিয়া আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(১৩) সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করিলে অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন অথবা অননুমোদন করিবে। এই ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং সরকার কর্তৃক অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হইলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, 44[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্যের আসনটি সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা শূন্য বলিয়া ঘোষণা করিবে।
(১৪) অনাস্থা প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটে গৃহীত না হইলে অথবা কোরামের অভাবে সভা অনুষ্ঠিত না হইলে উক্ত তারিখের পর ছয় মাস অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা 45[নারী] সদস্যের বিরুদ্ধে অনুরূপ কোন অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে না।
(১৫) পরিষদের কোন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা 46[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্য দায়িত্বভার গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে তাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে না।
১৩খ। (১) যেই ক্ষেত্রে কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 48[নারী] সদস্যের বিরুদ্ধে ধারা ১৩ অনুসারে অপসারণের জন্য কার্যক্রম আরম্ভ করা হইয়াছে অথবা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক কোন ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনায় উক্ত চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 49[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্য কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থী হইলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বা 50[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হইলে আদেশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ধারা ১৫ এর বিধানমতে নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যানের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবেন এবং উক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা চেয়ারম্যান অপসারিত হইলে তাঁহার স্থলে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন উপজেলা পরিষদের কোন ভাইস চেয়ারম্যান বা 51[নারী] সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত ভাইস চেয়ারম্যান বা 52[নারী] সদস্যের বিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা উক্ত ভাইস চেয়ারম্যান বা 53[নারী] সদস্য অপসারিত হইলে তাঁহার স্থলে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান বা 54[নারী] সদস্য নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে অপর একজন ভাইস চেয়ারম্যান বা 55[নারী] সদস্য উক্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।
১৩গ। উপজেলা পরিষদের কোন নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা 56[নারী] সদস্য বা অন্য কোন সদস্য এই আইনের বিধান অনুযায়ী অপসারিত হইয়া সদস্যপদ হারাইবার পর সরকার কর্তৃক পুনর্বিবেচনার পর উক্তরূপ অপসারণ আদেশ, বাতিল বা প্রত্যাহার হইলে, তাঁহার সদস্যপদ পুনর্বহাল হইবে এবং তিনি অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বপদে পুনর্বহাল হইবেন।]
১৩ঙ। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, যে কোন উপজেলা পরিষদে উহার কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী নিযুক্ত প্রশাসক এবং উপ-ধারা (২) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ, যদি থাকে, যথাক্রমে, চেয়ারম্যান ও সদস্যের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।]
60[১৪। (১) চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা কোন 61[নারী] সদস্যের পদ শূন্য হইবে, যদি তিনি-
(ক) ধারা ৯ (২) এ নির্ধারিত বা বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে উক্ত ধারায় নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ব্যর্থ হন; বা
(খ) ধারা ৮ এর অধীন তাঁহার পদে থাকার অযোগ্য হইয়া যান; বা
(গ) ধারা ১২ এর অধীন তাঁহার পদ ত্যাগ করেন; বা
(ঘ) ধারা ১৩ এর অধীন তাঁহার পদ হইতে অপসারিত হন; বা
(ঙ) ধারা ১৩ক অনুযায়ী তাঁহার বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়; বা
(চ) মৃত্যুবরণ করেন।
(২) কোন ব্যক্তি যদি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর প্রতিনিধি বা 62[নারী] সদস্য হন, এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার চেয়ারম্যান বা মেয়র বা সদস্য বা কাউন্সিলর না থাকেন তাহা হইলে পরিষদে তাহার সদস্য পদ শূন্য হইবে।]
64[১৬। পরিষদের মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের-
(ক) একশত আশি দিন বা তদপেক্ষা বেশী সময় পূর্বে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে; বা
(খ) একশত বিশ দিন বা তদপেক্ষা বেশী সময় পূর্বে কোন 65[নারী] সদস্যের পদ শূন্য হইলে,
উক্ত পদটি শূন্য হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিতে হইবে, এবং যিনি উক্ত পদে নির্বাচিত হইবেন তিনি পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য উক্ত পদে বহাল থাকিবেন।]
১৭৷ নিম্নবর্ণিত সময়ে 68[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও 69[নারী] সদস্যগণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে, যথা:-
70[(ক) প্রথম তফসিলভুক্ত উপজেলাসমূহের ক্ষেত্রে, এই আইন বলবৎ হওয়ার পর তিনশত ত্রিশ দিনের মধ্যে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন দৈবদূর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ অনিবার্য কারণে উক্ত সময়সীমার মধ্যে প্রথম তফসিলভূক্ত কোন বিশেষ বা সকল উপজেলার ক্ষেত্রে, নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হইলে 71[সরকার,] সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত সময়সীমার পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক তারিখ নির্ধারণ করিতে পারিবে;]
72[(খ) ধারা ৩(২) এর অধীনে ঘোষিত নতুন উপজেলার ক্ষেত্রে, উক্তরূপ ঘোষণার তিনশত ত্রিশ দিনের মধ্যে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন দৈবদূর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ অনিবার্য কারণে উক্ত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত সময়সীমার পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক তারিখ নির্ধারণ করিতে পারিবে;]
(গ) পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের পূর্ববর্তী 73[একশত আশি] দিনের মধ্যে; এবং
(ঘ) পরিষদ ধারা ৫৩ এর অধীনে বাতিল হওয়ার ক্ষেত্রে, বাতিলাদেশ জারীর অনধিক একশত বিশ দিনের মধ্যে৷
২০৷ (১) সংবিধান অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন, অতঃপর নির্বাচন কমিশন বলিয়া উল্লিখিত, এই আইন ও বিধি অনুযায়ী 75[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও 76[নারী] সদস্যদের 77[নির্বাচন পরিচালনা করিবে]৷
(২)78[নির্বাচন কমিশন], সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা 79[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও 80[নারী] সদস্যদের নির্বাচনের জন্য বিধি প্রণয়ন করিবে এবং অনুরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে; যথা:-
(ক) নির্বাচন পরিচালনার উদ্দেশ্যে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ এবং তাঁহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;
(খ) 81[নারী] সদস্য নির্বাচনের জন্য এলাকা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং 82[নারী] সদস্য নির্বাচন পদ্ধতি;
83[(গ) প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে হলফনামা দাখিল, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আপত্তি এবং মনোনয়নপত্র বাছাই;]
(ঘ) প্রার্থীগণ কর্তৃক প্রদেয় জামানত এবং উক্ত জামানত ফেরত প্রদান বা বাজেয়াপ্তকরণ;
(ঙ) প্রার্থীপদ প্রত্যাহার;
(চ) প্রার্থীগণের এজেন্ট নিয়োগ;
(ছ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি;
(জ) ভোট গ্রহণের তালিকা, সময় ও স্থান এবং নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়;
(ঝ) ভোট দানের পদ্ধতি;
(ঞ) ব্যালট পেপার এবং নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্রের হেফাজত ও বিলিবন্টন;
(ট) যে অবস্থায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা যায় এবং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যায়;
(ঠ) নির্বাচন ব্যয়;
(ড) নির্বাচনে দুর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ ও অন্যান্য নির্বাচনী অপরাধ এবং উহার দণ্ড;
(ঢ) নির্বাচন বিরোধ, নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও 86[নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন], নির্বাচনী দরখাস্ত দায়ের, নির্বাচন বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যাপারে উক্ত ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও অনুসরণীয় পদ্ধতিসহ আনুষংগিক বিষয়াদি; এবং
(ণ) নির্বাচন সম্পর্কিত আনুষংগিক অন্যান্য বিষয়৷
(৩) উপ-ধারা (২) (ড) এর অধীন প্রণীত বিধিতে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডের বিধান করা যাইবে, তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ 87[সাত বৎসরের] অধিক হইবে না।
101[২৯। (১) পরিষদ উহার কার্যাবলী সুচারুরূপে সম্পাদন করিবার জন্য পরিষদ গঠিত হইবার পর ভাইস চেয়ারম্যান বা সদস্য বা 102[নারী] সদস্যগণ সমন্বয়ে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির প্রত্যেকটি সম্পর্কে একটি করিয়া কমিটি গঠন করিবে, যাহার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই বৎসর ছয় মাস হইবে, যথাঃ-
(ক) আইন-শৃঙ্খলা;
(খ) যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন;
(গ) কৃষি ও সেচ;
(ঘ) মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা;
(ঙ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা;
(চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ;
(ছ) যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন;
(জ) 103[নারী] ও শিশু উন্নয়ন;
(ঝ) সমাজকল্যাণ;
(ঞ) মুক্তিযোদ্ধা;
(ট) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ;
(ঠ) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়;
(ড) সংস্কৃতি;
(ঢ) পরিবেশ ও বন;
(ণ) বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ;
(ত) অর্থ, বাজেট, পরিকল্পনা ও স্থানীয় সম্পদ আহরণ;
(থ) জনস্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ।
(২) পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্য হইতে কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হইবেন।
(৩) সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপজেলা অফিসার এই ধারার অধীন গঠিত কমিটির সদস্য-সচিব হইবেন এবং পরিষদে হস্তান্তরিত নয় এমন বিষয় সম্পর্কিত কমিটির সদস্য-সচিব হিসাবে একজন কর্মকর্তাকে উপজেলা পরিষদ নির্ধারণ করিবে।
(৪) কমিটি অন্যূন ৫ (পাঁচ) জন এবং অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং কমিটি, প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তিকে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত (Co-opt)করিতে পারিবে।
(৫) কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত সদস্য (Co-opt member)এবং সদস্য-সচিবের কোন ভোটাধিকার থাকিবে না।
(৬) প্রত্যেক কমিটির সভা প্রতি দুই মাসে অন্যূন একবার অনুষ্ঠিত হইবে।
(৭) নিম্নলিখিত কারণে পরিষদ কোন কমিটি ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) উপ-ধারা (৬) অনুযায়ী নিয়মিত সভা অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হইলে; এবং
(খ) এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির বিধান বহির্ভূত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে বা কাজ করিলে।]
৬৩৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথা:-
112[***]
(গ) 113[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও সদস্যগণের ক্ষমতা ও কার্যাবলী;
(ঘ) পরিষদের পক্ষে চু্ক্তি সম্পাদনের বিধানাবলী;
(ঙ) পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিধানাবলী;
(চ) পরিষদের রেকর্ডপত্র, প্রতিবেদন ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রকাশনা সংক্রান্ত;
(ছ) পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী সংক্রান্ত বিষয়;
(জ) পরিষদের তহবিল রক্ষণ পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ;
(ঝ) হিসাব নিরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়াদি;
(ঞ) পরিষদের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়াদি;
(ট) নির্মাণ কাজ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি;
(ঠ) পরিষদের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আচরণ সংক্রান্ত বিষয়;
(ড) কর সংক্রান্ত বিষয়;
(ঢ) পরিষদের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল সংক্রান্ত বিষয়;
(ণ) বিশেষ সভা আহ্বান এবং 114[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা অন্য কোন সদস্য সংক্রান্ত অপসারণের বিষয়;
(ত) বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়াবলী;
(থ) এই আইনের বিধানাবলী পালনের জন্য সম্পৃক্ত অন্যান্য বিষয়াদি৷
115[(৩) নির্বাচন কমিশন নিম্নবর্ণিত বিষয়ে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও 116[নারী] সদস্য নির্বাচন ও তৎসংক্রান্ত কার্যাবলী;
(খ) নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনাল নিয়োগ, উহাদের ক্ষমতা, নির্বাচনী দরখাস্ত দাখিল এবং নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়াদি।]